Nibedita Chatterjee
Disciple of Ustad Abdul Rashid Khan (BABA)- Rasanpiya. Nibedita is a vocal artist of Gwalior Gharana Learner,Performer andTeacher of Indian Classical Music.
Disciple of Ustad Abdul Rashid Khan Saheb, Purnima Chowdhuri and Shubhomoy Bhattacharya. Gwalior Gharana. Principal of Rhythm.
শুভ বিজয়া দশমী ....
সবাইকে শুভ বিজয়া দশমীর প্রীতি শুভেচ্ছা ও ভালোবাসা।❤️❤️❤️♥️♥️♥️🙏🙏🙏🙏🙏🙏
সকলের আমন্ত্রণ রইলো🙏
https://m.facebook.com/story.php?story_fbid=610478811220312&id=100067745950118&mibextid=Nif5oz
।।ম্যাডাম ইনফোশিস।।
"টিকিট প্লিজ" - বলে টিটি আমার কাছে এসে দাঁড়াতে আমি একটু অবাকই হলাম। বললাম - "এইমাত্র টিকিট দেখালাম যে!" টিটি বলল - "আপনার নয়, আপনার সিটের নিচে আরেকজনকে দেখতে পাচ্ছি যে।"
"বেরিয়ে এসো" - বলতেই দেখি একটা বছর তেরো-চোদ্দর মেয়ে অস্বাভাবিক কান্নাকাটি করছে। টিকিট তো নেইই। তার উপর শীর্ণ, অভুক্ত, মলিন একটা মুখ। টিটি বলল - "ভাগো ইঁহা সে।"
আমি জিজ্ঞেস করলাম - "কোথায় নামবে তুমি?"
কোন উত্তর নেই, শুধু কান্নাকাটি। বাধ্য হয়ে টিটিকে বললাম - "ওর ভাড়া আমি দিয়ে দিচ্ছি, একদম শেষ স্টেশন ব্যাঙ্গালোর অবধি টিকিট দিন।" টিটি বলল - "কেন ফালতু এতগুলো টাকা নষ্ট করবেন ম্যাডাম?" তবুও কি ভেবে বললাম - "না, আপনি টিকিটই দিয়ে দিন। শুধুই কাঁদছে। শেষ অবধি কাটা থাকুক। মধ্যিখানে কোথাও নেমে যাবে হয়তো।"
আমায় অবাক করে মেয়েটি কোথাওই নামল না। নাম জানলাম চিত্রা। নিজের বাবা মা কেউই নেই দুনিয়ায়। সৎ মা খুব খাটায় এবং মারে। সে তাও সহ্য করে নিয়েছিল, কিন্তু খেতে দিত না যে। খিদের জ্বালায় পালিয়ে এসেছে। শুধু এটুকু ভেবেছে যে, ওই নরকের চেয়ে অন্ততঃ ভালো থাকবে।
ব্যাঙ্গালোরে নামলাম। শুধু একবার পিছন ঘুরেছি, দেখি চিত্রা অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে আছে। টিকিট কাটার সময় একবারও ভাবিনি এই মেয়েটার দায়িত্ব নিতে হতে পারে। আমার পক্ষে এ গুরু দায়িত্ব নেওয়া এই মুহূর্তে সম্ভব নয়, আমার ট্যুরে যাওয়া আছে দুদিন বাদেই। তবুও বললাম - "এসো আমার গাড়িতে এসো।" ড্রাইভার অবাক হয়ে বারবার দেখছে।
আমার এক বন্ধু আছে রাম। সে মেয়েদের শেলটার দেয় ও আরো সমাজসেবা মূলক কাজ করে। ওর ওখানে চিত্রাকে দিই। আর বলি, আমাদের ইনফোসিস ফাউন্ডেশন ওর সমস্ত দায়িত্ব নেবে। থাকতে চাইলে থাকবে, নয়তো আবার পালাবে মেয়েটা।
ভুলেই গিয়েছিলাম ওর কথা। হঠাৎ মনে পড়তে দেখতে গেলাম। কি হাসিখুশি হয়েছে এখন চিত্রা আর পড়াশোনায় ভারী আগ্রহ। ও স্কুলে আবার ভর্তি হতে চায়। এভাবে চলতে লাগল।
ওকে একদিন গিয়ে বলেও এলাম, তুমি যতদূর পড়তে চাও পড়তে পারো। আমরা দায়িত্ব নিয়েছি।
আমায় অবাক করে বলল, "না আকা (দিদি), আমি তাড়াতাড়ি একটা চাকরি পেতে চাই। তাই কম্পিউটার সায়েন্স এ ডিপ্লোমা করব।"
তারপর প্রায় ভুলেই গিয়েছিলাম ওর কথা। হঠাৎ একদিন বিদেশ থেকে ইমেল পেলাম চিত্রার। ও বিদেশে চাকরিতে খুব উন্নতি করেছে আর এখন খুব হাসিখুশি সুন্দর জীবন ওর। মেল পড়ে ভগবানকে বললাম, ওর মুখের হাসি যেন এমনিই থাকে।
এবারে সানফ্রান্সিসকোতে একটা লেকচার দিতে গিয়েছি। যখন হোটেল থেকে চেক আউট করব , গিয়ে দেখি রিসেপশনিস্ট বলছে, "ম্যাম, আপনার সমস্ত বিল ফুললি পেড। ওই লেডি নিশ্চয়ই আপনাকে খুব ভালো করে চেনে।"
খুব অবাক হয়ে চারিদিকে দেখলাম, দেখি একজন ভদ্রমহিলা সুন্দর একটা শাড়ি পরা, একটু দূরে দাঁড়িয়ে মুচকি হাসছে। পাশে ফরেনার বর। কি সুন্দর দেখাচ্ছিল ওকে ছোট ছোট চুলে। সেই চিত্রা। এসে আমায় জড়িয়ে ধরল।
"চিত্রা তুমি আমার সমস্ত বিল কেন পে করবে?"
আরো শক্ত করে জড়িয়ে নিয়ে বলল - "কারণ তুমি একদিন আমার সমস্ত বিল পে করেছিলে। আমার সমস্ত জীবনটাই যে ওই পেমেন্টের ওপর দাঁড়িয়ে। সেই বম্বে টু ব্যাঙ্গালোর।"
এই ঘটনা ইনফোসিসের কো-ফাউন্ডার সুধা মূর্তি তাঁর ব্লগে লিখেছিলেন। এই ঘটনা থেকেই যেন তাঁকে খানিকটা চেনা যায়। তিনি বিয়ের আগে ছিলেন সুধা কুলকার্নি। সেই সুধা যখন ইঞ্জিনিয়ারিং পড়তে চাইলেন বাড়ির সবাই বলেছিলেন আমাদের কমিউনিটিতে কিন্তু ছেলে পাওয়া যাবে না। তোমার বিয়ে হবে কি করে? প্রসঙ্গত সুধাদেবীর বাবা ডাক্তার ছিলেন। নামী সার্জেন। কিন্তু তবুও তিনি ইঞ্জিনিয়ারিংই বেছে নেন।
ক্লাসে 599 টা ছেলে আর একটিই মেয়ে। সে আমলে মেয়েরা তেমন কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ত না যে। সুধা জোর করে ভর্তি হয়েছিলেন। কর্ণাটকের হুবলির ইঞ্জিনিয়ারিং কলেজে। তিনি সে শহরের প্রথম ছাত্রী। কলেজের প্রিন্সিপাল সুধাকে ডেকে বলেছিলেন, তিনটি শর্ত মানতে হবে।
১) রোজ শাড়ি পরে আসতে হবে ।
২ ) কলেজ ক্যান্টিনে ছেলেদের ভিড়, ওদিকে যাওয়া চলবে না।
৩ ) কোন ছেলের সঙ্গে ক্লাসে কথা বলা যাবে না।
তিনি অক্ষরে অক্ষরে তিনটিই মেনে চলতেন। কিন্তু কলেজের দ্বিতীয় বর্ষে তিন নম্বর শর্তটি আর মানা সম্ভব হয়নি। কারণ ছেলেরা তাঁর দিকে পূর্ণ দৃষ্টি নিয়ে ফিরল এবং এসে কথা বলল। ওই 600 স্টুডেন্টের মধ্যে ফার্স্ট হয়েছিলেন যে সুধা।
তিনি তারপরে আর কোথাওই দ্বিতীয় হননি। BE তে ফার্স্ট। রেকর্ড নাম্বার। গোল্ড মেডালিস্ট। স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রীর হাত থেকে সেই মেডেল নেন। আরো পড়তে ইচ্ছে হল তাঁর। এবারে ME। সেখানেও গোল্ড মেডেল। সেই মেডেল এবারে দিল ইন্ডিয়ান ইনস্টিটিউট অফ ইঞ্জিনিয়ার্সরা।
কিন্তু পাশ করে বেরোনোর পর অদ্ভুত ব্যাপার। তাঁর জন্য কোথাও কোন চাকরির দরজা খুলল না। সমস্ত কোম্পানিই মেল ডমিনেটিং। মহিলা ইঞ্জিনিয়ারদের জন্য দরজা বন্ধ। কি আশ্চর্য! তাই না? খুব বেশিদিন আগেও না। 1970 - 72 এর ঘটনা ।
এইসময় একটা বিজ্ঞাপন চোখে পড়ে সুধা কুলকার্নির। ইঞ্জিনিয়ার চাই। যোগ্যতা অমুক তমুক। কিন্তু নিচে বড় হরফে লেখা মহিলাদের আবেদন করার প্রয়োজন নেই। টেলকো কোম্পানির বিজ্ঞাপন।
তিনি খুব রেগে টাটা কোম্পানিতে স্বয়ং জে আর ডি টাটাকে একটা চিঠি লিখলেন। এরকম কেন হবে? যোগ্যতাই কি একমাত্র মাপকাঠি হতে পারে না? টাটা কর্তারা নড়েচড়ে বসলেন। ডাক পেলেন স্পেশাল ইন্টারভিউতে। এবং বাকিটা ইতিহাস। তিনিই টাটার টেলকো কোম্পানির প্রথম মহিলা ইঞ্জিনিয়ার। ডেভেলপমেন্ট ইঞ্জিনিয়ার পদে যোগ দিলেন। কাউকে না কাউকে তো অসম লড়াই চালাতে হয়। তার সুফল ভোগ করে পরবর্তী প্রজন্ম।
এরপর ওই টেলকোতেই নারায়ণ মূর্তির সঙ্গে আলাপ। তারপর বিয়ে। সুধা 400 টাকা আর নারায়ণ 400 টাকা দিয়েছিলেন নিজেদের বাড়িতে। সেই টাকাতেই সাদামাটা আড়ম্বরহীন বিবাহ হয়েছিল। তাঁদের এক ছেলে ও এক মেয়ে। দুজনেই এখন প্রতিষ্ঠিত ।
ইনফোসিস খোলার কথা মাথায় আসে নারায়ণের।
নিশ্চিত জীবন ছেড়ে এক অনিশ্চিত সম্ভাবনা। সুধা তখনও চাকরি করতেন এবং নিজের সমস্ত জমা পুঁজি দিয়ে দিয়েছিলেন। তারপরেও খানিক দিন সুধার চাকরির আয়ে চারজনের সংসার চলত। এই হল গোড়ার কথা।
তারপর দেশের নানা প্রান্তে 70000 লাইব্রেরি, 10000 টয়লেট, 2600 গৃহহীনকে গৃহ, দেশের খরা, বন্যা সবেতে নীরবে কাজ করে চলে ইনফোসিস।
তিনি একদিকে শিক্ষিকা, লেখিকা, আবার অত বড় কোম্পানির চেয়ারপার্সন। বহু সম্মান, বহু পুরস্কার পেয়েছেন।
টাটা কোম্পানি ছাড়ার সময়ে JRD TATA তাঁকে অমূল্য উপদেশ দিয়েছিলেন, "সবসময় একটা কথা মনে রাখবে, তোমার সমস্ত টাকা পয়সার তুমি অছিমাত্র (ট্রাস্টি)। টাকার সবসময় হাতবদল হয়। হাতে রেখে লাভ নেই। টাকা বড় ক্ষণস্থায়ী। যদি সাফল্য আসে সমাজকে কিছু ফিরিয়ে দেবে। সেটাই কিন্তু চিরস্থায়ী।
তিনি আজো ভোলেননি। এবং সবাইকে চমকে দিয়ে তিনি বলেন - "বিগত একুশ বছর আমি কোনো শাড়ি কিনিনি। যা পরি সবই পাওয়া, আমি শুধু বই কিনি।"
একবার এমনও হয়েছিল তিনি প্লেনের বিজনেস ক্লাস লাইনে দাঁড়িয়েছিলেন। এক ভদ্রলোক তাঁর সাজপোশাক দেখে তাঁকে "Cattle Class" বলেছিলেন! তিনি জানতেন না সুধা মূর্তি ভারতের Richest Person দের মধ্যে অন্যতম। পদ্মশ্রী সুধা মূর্তি বলেন - "Simplicity is the best jewellery I wear."
সুধা মূর্তির ব্লগ থেকে অনূদিত ।
🌸 একজন প্রবীণ মহিলা বাসে উঠে বসল। পরের স্টপে একজন শক্ত সমর্থ যুবতী উঠে এসে বৃদ্ধা মহিলার পাশে বেশকিছু ব্যাগ নিয়ে ঠেলে ঠুলে বসে পড়ল।
যুবতীটি যখন দেখল যে বয়স্কা মহিলা চুপ করে রয়েছেন, তখন সে বৃদ্ধা মহিলাকে জিজ্ঞাসা করল যে সে যখন ব্যাগ নিয়ে চেপে চুপে বসল তখন তিনি কেন অভিযোগ করলেন না।
প্রবীণ মহিলা হাসি দিয়ে জবাব দিলেন: '' এত তুচ্ছ কিছু নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই, কারণ তোমাকে পাশে নিয়ে আমার ভ্রমণটি খুব ছোট কারণ আমি পরের স্টপে নেমে যাচ্ছি। "
এই উত্তরটি সোনার অক্ষরে লেখার দাবিদার: "এত তুচ্ছ কিছু নিয়ে আলোচনা করার দরকার নেই, কারণ আমাদের একসাথে যাত্রা খুব ছোট"।
আমাদের প্রত্যেককে বুঝতে হবে যে এই পৃথিবীতে আমাদের সময়টি এতটাই স্বল্প যে রেশারেশি, অনর্থক যুক্তি, হিংসা, অন্যকে ক্ষমা না করা, অসন্তুষ্টি এবং অন্যকে প্রতিদ্বন্দ্বী ভাবা মনোভাবটা দ্রুত শেষ হয়ে যাওয়া 'সময় এবং শক্তির' একটি হাস্যকর অপচয়।
কেউ কি আপনার হৃদয় ভেঙেছে?
শান্ত থাকুন,
ট্রিপটি খুব ছোট।
কেউ আপনার সাথে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে, ভয় দেখিয়েছে, ঠকিয়েছে বা অপমান করেছে?
"আরাম করুন। ক্ষমা করে দিন। কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।
কেউ আপনাকে বিনা কারণে অপমান করেছে?
"শান্ত থাকুন, এড়িয়ে যান কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।
কোন সাক্ষাতে আপনার বন্ধু আপনি যা পছন্দ করেন না এমন কোন মন্তব্য করেছিলেন?
"শান্ত থাকুন, তাকে উপেক্ষা করুন, ক্ষমা করে দিন, কারণ ট্রিপটি খুব ছোট"।
কেউ আপনার জন্য যে সমস্যাই নিয়ে আসুক না কেন, মনে রাখবেন যে একসাথে আমাদের যাত্রা খুব ছোট।
এই ভ্রমণের দৈর্ঘ্য কেউ জানে না। এটি কখন থামবে তা কেউ জানে না। আমাদের একসাথে ভ্রমণ খুব ছোট।
🌸 আসুন কাউকে প্রতিদ্বন্দ্বী না ভেবে সহযাত্রী ভেবে একে অন্যকে সহযোগিতা করি, কারণ ট্রিপ টি খুবই ছোট্ট কিন্তু কাজ অনেক। এই অল্প সময়ে অনর্থক সময় নষ্ট না করে সততার সাথে নিজেকে সফল করতে চেষ্টা করি। সবার জন্য অবিরাম ভালোবাসা 💝💝
Return to Kolkata...🙂
Some moments of our Ooty trip ......🥰
অসহনীয় আবহাওয়ার আর্থ- সামাজিক, রাজনৈতিক ও সাংস্কৃতিক সহ সব ধরনের প্রতিকূলতা দূরীভূত হোক এবং সুস্থ ও সুন্দর জীবনযাপনের উপযোগী পরিবেশ গড়ে উঠুক বাংলা শুভ নববর্ষে এই কামনা করি।💐❤🙏🏻
সংসারী ছেলে মা কে ডেকে বলছে......... "মা একটা কথা বলি? আমার একটা অনুরোধ রাখবে?"
মা: "তুই চাইলে আমি কি না করতে পারি? বল তোর সব কথা আমি রাখবো।"
"তোমার বৌমা বলছিলো... তোমার তো বয়স হয়েছে। এখন তো তোমার শরীরের একটু বিশ্রাম প্রয়োজন... আর এই বাড়িটা তো খুব একটা ভালো না। ছোট ঘুপচি....... তোমার কাশিটাও বেড়ে গেছে। আরো তো ডায়বেটিকস আছেই, হার্টের সমস্যা, হাড়ের সমস্যা আরো কতো কি!"
মা: "হ্যাঁ রে... মনে হয় আর বেশিদিন..."
"আহ... থামো তো মা। তোমার সব সময় দেখাশোনার জন্য কাউকে রাখতে হবে। আচ্ছা তোমাকে তাহলে গ্রামের বাড়িতে... না না ওই যে বৃদ্ধাশ্রমের স্পেশাল ব্র্যাঞ্চে ভর্তি করালে কেমন হয়?...... এটাই বলছিলো তোমার বৌমা। ওখানে অনেকে থাকবে তোমার মতোই। তাদের সাথে গল্প করতে পারবে আর এ বাড়িতে তো কেউই নাই, আমি ব্যবসায় দৌড়াচ্ছি, তোমার বৌমা অফিসে আর মিঠু তো সারাদিনই স্কুলে। ওখানে তুমি আরামেই থাকবে মা। মা এটাই আমার...... মানে আমাদের অনুরোধ ছিলো।"
"আচ্ছা তুই চাইলে তাই হবে"।
"থ্যাংকস মা...... আচ্ছা কালকে বিকেলেই কিন্তু তাহলে ওখানে যাচ্ছো। তোমার ব্যাগ গুছিয়ে রাখবে।"
পরের দিন: অস্বস্তিকর জ্যামে আটকে আছে মা-ছেলে। নীরবতা ভাঙলেন মা.......
"বাবা ওখানে আমাকে দেখতে যাবি তো? পারলে একটা ফোন কিনে দিস আমাকে..."
" হা হা হা... মা তুমি ফোন দিয়ে কি করবে? আহা... ওখানে ফোন আছে তো......"
কিছুক্ষন পরে একটা পাঁচতলা বাড়ির সামনে এসে গাড়ি থামালো। আবার বেশকিছুক্ষন নিরব থেকে এবার ছেলে বলে উঠলো...
"নামো মা..... এটাই তো ওই বৃদ্ধাশ্রম মা। দেখেছো! বলেছিলাম না তোমার পছন্দ হবে। তোমার জন্য দোতালার দক্ষিনের ঘরটা বুকিং করে রেখেছি।"
টিং ডং টিং ডং(দরজা খুললো):
"হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ ! !
হ্যাপি বার্থ ডে টু ইউ 'মা' ! ! !"
দরজা খুলতেই চমকে গেলেন মা। আরে ওই তো তার একমাত্র নাতি আর বৌমা বিশাল একটা কেক নিয়ে দাঁড়িয়ে আছে। এতো বেলুন আগে কখনো দেখেননি। এতো আয়োজন করে কখনো কেউ তাকে জন্মদিনের শুভেচ্ছাও জানায় নি। আরে ওই তো তার দুই মেয়ে আর তাদের জামাই দাঁড়িয়ে। ওদেরও ডেকে এনেছে তার পাগল ছেলেটা।
" হ্যাপি বার্থ ডে মা"
মা: "তুই অনেক বড় হয়ে গেছিস(কান্নাভেজা কন্ঠে)
কিন্তু এটা কার ঘর?"
"বাড়ির ফলকে নাম দেখোনি! বাবার নামে রেখেছি। মা পুরো বাড়িটাই আমাদের। এবার তুমি আরামে থাকতে পারবে মা।
"তুই না ! ! এমন কি কেউ করে?(কান্না ভেজা চোখে জোরে জোরে মাথা নাড়ছেন। আনন্দে কথা বলতে পারছেন না)
পার্টি শেষে ঘুমাতে যাবে এমন সময় পেছন থেকে মায়ের ডাক। হাতের ব্যাগটা আঁতিপাঁতি খুঁজে একটা কৌটা বের করে ছেলের হাতে ধরিয়ে দিলেন।
"নে এটার আর দরকার হবে না। ইঁদুরের বিষ! চিন্তা করেছিলাম যদি বৃদ্ধাশ্রমে রেখে আসিস তাহলে সেদিনই খেয়ে নেবো।"
"ধুর মা কি যে বলো! এটায় তো সেইসব কাল রাতেই পাল্টে আমি তোমার ক্যালসিয়ামের ওষুধ ভরে রেখেছি। তুমি ঘুমাও।"
মার আজ আর কিছুই চাওয়ার নেই। আর কিছু না হোক তার ছেলেকে অন্তত মানুষ করতে পেরেছে সে। যাক আজকের ঘুমটা সত্যিই আরামের হবে, ঘুমের ঔষুধ খেতে হবে না ।
কিছু কথা
যারা বঞ্চিত চাকুরী-প্রার্থীদের নিয়োগের বিরোধিতা করছেন তাদেরকে বিনম্রভাবে বলছি:
দৃষ্টিভঙ্গির পরিবর্তন করুন, মনের প্রসারতা বাড়ান।
আমাদের নিয়োগ হলে কারো কোনো ক্ষতি হবে না,(সুপার নিউমেরারি পোস্ট কারো সিট দখল করে না, বরং এটা স্কুল তথা শিক্ষার্থীদের অতিরিক্ত পাওনা) অথচ সার্বিকভাবে কিছু ন্যায়-বঞ্চিত মানুষ মনে-প্রাণে বাঁচবেন, আপনার আমার কোমল মতি পবিত্রমনা শিশুটি যোগ্য কিছু শিক্ষক পেয়ে আদর্শ মানুষ রূপে গড়ে উঠার সুযোগ পাবে।
আমাদের অবস্থান নিয়ে কিছু মানুষ বিরূপ প্রশ্ন তুলছেন, তাদের শ্রদ্ধা জানিয়েই বলছি-
আমরা কিন্তু এখনও ন্যায্য-নিয়োগের দাবিতে ও দুর্নীতির বিরুদ্ধে রাস্তায় নেমে দীর্ঘ 618 দিনেরও বেশি সময় লড়াই করেই যাচ্ছি। এমন প্রতিবাদ বাংলা তথা ভারতের মানুষ এর আগে দেখেছে কিনা অন্তত আমি জানি না!
দুর্নীতির ফাইল গুলি আমরাই অতিকষ্টে RTI করে উদ্ধার করি, আমরাই "গাঁটের-কড়ি" (আসলে তা বুকের রক্ত) খরচ করে উকিলের মাধ্যমে কোর্টে তুলে ধরি। যার ফলেই সম্মানীয় বিচারক মহাশয় একের পর এক CBI তদন্তের আদেশ দেন। এই সবের উদ্দেশ্য ছিল নিজের চাকরিটা পাওয়া ও দুর্নীতির অপসারণ। দুর্ভাগ্যজনক হলেও একথা সত্যি,
এখন অনেকাংশে মনে হচ্ছে কিছু আইনজীবীই দুর্নীতির প্রসঙ্গ তুলে আবার বঞ্চিতদের টুটি চিপে ধরতে চাইছেন? আশা করছি তাঁরাও অর্থনৈতিক লালসার উর্ধ্বে উঠে, রাজনৈতিক সংকীর্ণ গণ্ডির বাইরে এসে মানবিক ভাবেই বঞ্চিতদের পাশে বরাবরের মতোই দাঁড়াবেন।
একটা কথা বিশেষ ভাবে উল্লেখ্য যে, বর্তমান নিয়োগ সংকটের দুইটি দিক আছে - একদিকে যারা বঞ্চিত হয়েছে তাদের বঞ্চনার অবসান এবং দুর্নীতির কুশীলবদের বিচার। একথা বলাই বাহুল্য যে, যোগ্য প্রার্থীদের বঞ্চনা দিয়েই এই কুচক্র শুরু হয়েছিল, তাই প্রথমেই বঞ্চনার অবসানের মাধ্যমে তাদের জীবনে মুক্তির-আলো ফোটা দরকার, এটাই বঞ্চিতদের প্রতি প্রকৃত ন্যায় বিচার। আর দুর্নীতির তদন্ত যেটা সময় সাপেক্ষ সেটা চলছে চলুক, সে দায়িত্ব কোর্ট, CBI সহ যারা নিয়েছেন, আশা করছি সঠিক তদন্ত হয়ে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাবে। আশা করছি ও দাবী জানাচ্ছি এই তদন্তের গতি আরো দ্রুততর হোক, সঠিক তদন্তের মাধ্যমে দোষীরা উপযুক্ত শাস্তি পাক।
একবার ভাবুন-
এই নৃশংস নিপীড়নকে মেনে না নেওয়া কিছু যুবক-যুবতী দিনের পর দিন প্রতিনিয়ত কলকাতার রাস্তায় রাস্তায় প্রতিবাদের আওয়াজ না তুলতো, প্রশাসনের রক্ত-চক্ষুকে উপেক্ষা করে দীর্ঘ মেয়াদী আন্দোলন গড়ে না তুলতো তাহলে বাংলায় দুর্নীতিবাজ মানুষ গুলির নৃশংস লীলাখেলা কি মানুষের সামনে, আদালতের কক্ষে উন্মোচিত হতো!?
একবার নিরপেক্ষ মন নিয়ে ভাবলেই আপনার মানবিক অনুভবে ধরা পড়বে যে, এই বঞ্চিত মানুষগুলি এতো কিছু না করলে বাংলার মানুষ দুর্নীতির বিন্দু বিসর্গ জানতে পারতেন না, দুর্নীতিবাজরা জেলে যেতো না, আগামী যুবসমাজ স্বচ্ছ পরীক্ষার আশার আলো দেখতে পারতো না! অন্যায়ের বিরুদ্ধে মাথা তুলবার ঝুঁকি নেওয়ার স্পর্ধাও জেগে উঠতো না।
এটা নিজেদের কোনো আত্মগরিমা প্রকাশ করছি না,(তা মনে হলে ক্ষমাপ্রার্থী) বাস্তবটাকেই তুলে ধরছি।
একবার ভাবুন, এই আন্দোলনের সুফলগত দিকটা। পশ্চিমবঙ্গের বুকে শিক্ষা-ব্যবস্থার এই ভয়ঙ্কর দুর্দিনে রুখে দাড়ানোটা কি অতি প্রাসঙ্গিক ছিল না?
পশ্চিমবঙ্গের মানুষের জন্য, ভবিষ্যৎ প্রজন্মের জন্যই এই আন্দোলনের সাফল্য কামনা করা কি উচিত নয়? অন্তত একজন শুভবুদ্ধি সম্পন্ন মানুষ হিসাবে। কারণ এই রকম একটা ন্যায্য ও দীর্ঘস্থায়ী আন্দোলন ব্যর্থ হলে দুর্নীতির বিরুদ্ধে বা যেকোন কোনো অন্যায়ের বিরুদ্ধে মানুষ প্রতিবাদ করার স্পৃহা হারিয়ে ফেলবে, যেকোনো অন্যায়কে মেনে নেওয়াকেই ভবিতব্য মনে করবে। যা ভবিষ্যৎ বাংলার জন্য অত্যন্ত অশুভ।
সবশেষে বলি, আমরা গভীরভাবে আশাবাদী ও বিশ্বাসী যে, আমরা সফল হবোই, কারণ সমাজের সুফলকামী মানুষ গুলি আমাদের পাশে আছেন, দায়িত্বশীলেরা নিজেদের দায়িত্ব সম্পর্কে সচেতন হয়ে উঠছেন।
Wish all of you and your family a lot of Happiness, Prosperity and a Sparkling Diwali.❤🙏🏻
With the devine blessings of God & my parents,Gurus & all elders Kriti(my son) has secured 1st position of Swami Vivekananda Foundation of Art & Culture Competition (Bhavna) 2022, on the sphere of Hindustani Classical Music, Semi- Classical Music and Bhajan also. Need your blessings for his bright future.🙏🏻🙏🏻🙏🏻
1st SLST (2016)- এর মাধ্যমে নবম-দশমে প্রায় 14 হাজার এবং একাদশ-দ্বাদশে প্রায় ছয় হাজার যে শিক্ষক নিয়োগ হয়েছে এর মধ্যে ৭৫ শতাংশের বেশি দুর্নীতি করে নিয়োগপত্র দেওয়া হয়েছে।
প্রথম অভিযোগ:- ''সাদা খাতার মজাই আলাদা।'' সাদা খাতা যারা জমা দিয়েছিল শুধুমাত্র নিজের নাম ও রোল নাম্বার লিখে তাদেরকে ৫৫ তে ৫৩, ৫৪ ,৫৫ দেওয়া হয়েছে এবং এর পাশাপাশি শুধুমাত্র টাকার বিনিময় বহু ক্যান্ডিডেটকে ইন্টারভিউতে ১০ এর মধ্যে ১০, ৯.৫ বা ৯ দিয়ে তাদেরকে এম্প্যানেল করে জব দেওয়া হয়েছে। সাদা খাতাতে যেহেতু ওএমআর শিটগুলির সঠিক এনসার কমিশন নিজেরাই করে দিয়েছে এবং সেই OMR শিট পুড়িয়ে দিয়েছে বলে সেই দুর্নীতির প্রমাণ করা CBl-এর সাধ্যের বাইরে, সেক্ষেত্রে সাদা খাতায় ৫৫ তে যে ৫৩, ৫৪, ৫৫ নাম্বার পেয়েছে তা সিবিআই তদন্তে কোনোভাবেই ধরা পড়বে না।
অপরদিকে ইন্টারভিউ এর ক্ষেত্রে যেহেতু কোন ভিডিওগ্রাফি নেই তাই তাই যারা ১০ এর মধ্যে ১০, ৯, ৯.৫ পেয়েছে তাদেরকে ধরার মতো জায়গায় সিবিআই থাকতে পারবে না বা প্রমাণ করতে পারবে না।
সিবিআই কি করতে পারবে ? সিবিআই কেবলমাত্র গুটিকয়েক র্যাঙ্ক জাম্প ক্যানডিডেট ও মেধা তালিকা বহির্ভূত ক্যানডিডেটদের ধরতে পারবে মাত্র। যা পুরো দুর্নীতির ১% ও নয়। ফলে প্রায় ৭৩% - ৭৪% অবৈধ নিয়োগ এই প্যানেলের মধ্যে থেকেই যাবে এবং তারা চাকরিও করবে।
আমরা বলতে চাই মহামান্য বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায় একজন বিচক্ষণ ব্যক্তি এবং মানবিক দৃষ্টিভঙ্গিতে তিনি যদি বিচার করেন তাহলে মেধা তালিকায় প্রকৃতযোগ্য অথচ বঞ্চিত শিক্ষক পদপ্রার্থীরা, যারা দীর্ঘদিন ধরে কলকাতায় গান্ধী মূর্তির পাদদেশে ন্যায্য অধিকারের দাবিতে আন্দোলন করছে তাদের প্রত্যেককে চাকরি দিলেই এর একটা প্রকৃত, ন্যায় সঙ্গত সুবিচার সম্ভব। তাছাড়া এভাবে সরকারের কাছ থেকে বা সিবিআই এর কাছ থেকে দুর্নীতির তালিকা চেয়ে তাদেরকে বাদ দিয়ে অল্প কিছু জনকে নিয়োগ করলে মূল দুর্নীতি কখনোই খুঁজে পাওয়া সম্ভব নয়। ফলে বেশিরভাগ দুর্নীতি পরায়ণ ব্যক্তি চাকরিতে থেকে যাবে।
ফলে প্রকৃত মেধা যেভাবে রাস্তায় পড়ে আন্দোলন করেছিল তারা বঞ্চিতই থেকে যাবে, সুবিচার কোনদিনও পাবে না।
Happy birthday Baba .Rasan Piya Padmabhushan Ustad Abdul Rashid Khan my guruji💐💐💐💐❤❤❤❤❤❤❤❤❤🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
Jai Hind 🇮🇳💐🙏🏻🙏🏻
https://youtu.be/ceEkvGZ0w1A
My beloved Shanit Mondal...... https://fb.watch/eKY1u4gvj2/
I've just reached 5K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 💐❤❤🙏🏻❤❤🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🤗🎉
I've just reached 4.5K followers! Thank you for continuing support. I could never have made it without each and every one of you. 🙏🤗🎉❤❤❤❤❤
শিশুশিল্পী দেবাংশী মন্ডল (7 বছর)
নজরুলগীতি
🙏🏻🙏🏻অঞ্জলি লহ মোর সংগীতে...💐💐❤❤🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
শিশুশিল্পীঃ শাণিত মন্ডল
কাজী নজরুল ইসলামের প্রতি কৃতীর শ্রদ্ধার্ঘ্য 💐🙏🏻🙏🏻🙏🏻
শিল্পীঃ মেঘা দত্ত
স্কুলের অনুষ্ঠানে রবীন্দ্রসঙ্গীত গাওয়ার চেষ্টা করেছে।
সবাই আশীর্বাদ করবেন🙏🏻
স্কুলে রবীন্দ্র জয়ন্তীতে কৃতী চট্টোপাধ্যায়
You are the constant star of our life ; the diction ,the melody ,the SOUL of our music . You are the force behind all our endeavours. # , sahab (19th August 1908 - 18th February 2016)
💐❤❤🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻🙏🏻
Miss you Baba💐❤🙏🏻🙏🏻🙏🏻
Chala Re Pardesiya Nayn Milake| Dadra | Kriti Chattopadhyay KallolChattopadhyay If you like my song then subscribe my channel and press the bell icon to ...
Raga Bhairav |Nibedita Chatterjee | Chhaila Mori Mudariya Raga Bhairav Nibedita Chatterjee Tabla Kallol ChatterjeeIf you like my song then subscribe my channel and press the bell icon to stay with me.Please like and...
Raga Chandrakouns | Nibedita Chatterjee Raga Chandrakouns Nibedita Chatterjee Bandish composed by Ustad Abdul Rashid Khan Sahab Ektaal Alap & Bandish
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Address
Palashipara
Krishnagar
741155