Krishnendu Radha Krishna Devotees

Krishnendu Radha Krishna Devotees

Radha Krishna devotees

24/06/2024

গঙ্গা দেবীর আবির্ভাব ও মর্ত্যে অবতরণ কিভাবে হয়েছিল জানুন 🙏
https://youtu.be/KOopkg_S3E4?si=ol3zBzZzSjFjz5ju

Photos from Krishnendu Radha Krishna Devotees's post 21/05/2024

🔴 শ্ৰী নৃসিংহ চতুর্দশী মহোৎসব ২০২৪ 🔴
*******************************************
🏵 আজ ২২ মে , বুধবার , ২০২৪ ইং , ০৮ ই জ্যৈষ্ঠ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ l🙏

💥 শ্ৰী নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত মহোৎসবে সকল সাধু গুরু বৈষ্ণব গনের শ্রী চরণে জানাই কৃষ্ণময় সুপ্রভাত শুভেচ্ছা ও অগনিত ভক্তিপূর্ণ দন্ডবৎ প্রনাম l 🙏

🏵 সন্ধ্যা (গোধূলীলগ্ন ) পর্যন্ত উপবাস l 🙏

💥 সমস্ত ভক্তবৃন্দের অবশ্যই পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার শ্রীনৃসিংহ দেবের পবিত্র আবির্ভাব দিবসে গোধূলীলগ্ন পর্যন্ত উপবাস ব্রত ভক্তিভরে পালন করবেন । এবং অন্যকে ব্রত পালনে উৎসাহিত করবেন এবং মনুষ্য জীবনকে সার্থক করে তুলুন। 🙏

🔴 আজকের আলোচনা বিষয় :-
********************************************
👉 শ্রীনৃসিংহ দেবের প্রনাম
মন্ত্র ❓
👉 শ্রী শ্রীনৃসিংহ-গায়ত্রী
মন্ত্র: - ❓
👉 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত
পারনের দিন কবে ❓
এবং এবং সময়সূচী ❓
👉 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত
আমরা কেন পালন
করব ❓
👉 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত
কিভাবে পালন করবে❓
👉 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশীর ব্রত
মাহাত্ম্যঃ ❓
👉 শ্রীনৃসিংহ দেবের
পছন্দের ভোগ
👉 শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব:-
👉 নৃসিংহ পুষ্পাঞ্জলি
মন্ত্র ❓
👉 নৃসিংহকবচং স্তব :-
*********************************************
💥 ভগবান (কৃষ্ণ) তার পরম প্রিয় ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষা করার জন্য নৃসিংহ অবতার রূপে আবির্ভূত হন। এবং হিরণ্যকশিপুকে বধ করে ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেন।

বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের, চতুর্দশী তিথির গোধূলি লগ্নে তিনি আবির্ভূত হয়েছিলেন। তাই একে নৃসিংহ চতুর্দশী বলে।🙏

🏵 শ্রীনৃসিংহ দেবের প্রনাম মন্ত্র :-
*************************
ওঁ উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুংনমাম্যহম্।।🙏

💥 শ্রী শ্রীনৃসিংহ গায়ত্রীমন্ত্র:
*************************
ওঁ বজ্রনখায় বিদ্মহে তীক্ষ্ণদংষ্ট্রায় ধীমহি।
তন্নো নরসিংহ প্রচোদয়াৎ।।

🏵 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পারনের দিন এবং সময়সূচী
*********************************************
💥 ২১ মে সন্ধ্যা থেকে চতুর্দশী তিথি শুরু। কিছু কিছু জায়গায় বিকাল থেকেই তিথি শুরু হবে। তাহলে কিভাবে ২২ মে ব্রত হয় ❓
২১ মে তিথি থাকলেও সেদিন ব্রত পালন করা যাবে না। কারণ ২১ মে হচ্ছে ত্রয়োদশী বিদ্বা। বৃহনারদীয় পুরাণে বলা হয়েছে - চতুর্দশী তিথি ত্রয়োদশী দ্বারা বিদ্ধা হলে পরদিন ব্রত পালন করতে হবে। যদিও পরদিন পূর্ণিমা যুক্ত হয়েছে তথাপি সেদিন পালন করায় শ্রেয়। অর্থাৎ ত্রয়োদশী বিদ্বা উপবাস শাস্ত্রে নিষিদ্ধ করা হয়েছে। তাছাড়া ২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্তে চতুর্দশী তিথি রয়েছে। 🙏
তাই ২২ মে বুধবার তেই নৃসিংহ চতুর্দশী পালিত হবে।

🔴 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত সময়সূচিঃ --
--------------------------------------------------------------------
চতুর্দশী তিথি শুরুঃ - ২১ মে বিকাল ৫:৩৯ মিনিট থেকে।
চতুর্দশী তিথি শেষঃ - ২২ মে সন্ধ্যা ৬:৪৭ মিনিটে।
২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্তঃ ভোর ৩:১৮ থেকে ভোর ৪:০৬ পর্যন্ত।

যেহেতু চতুর্দশী তিথি ২২ মে ব্রাহ্মমুহুর্ত স্পর্শ করেছে এবং ত্রয়োদশী বিদ্বা নয়। তাই ২২ মে ব্রত পালন করতে হবে।

🏵 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত আমরা কেন পালন করব ❓
*********************************************
💥 বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশীতে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব তাঁর পরম ভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজকে রক্ষাহেতু এ ধরাধামে আবির্ভূত হয়েছিলেন। এ বছর সেই দিনটি পড়েছে আগামীকাল ২২ মে , বুধবার , ২০২৪

💥 এক নৃসিংহ চতুর্দশী = ১০,০০০ দূর্গা অষ্টমীর
উপবাস🙏

💥 এক নৃসিংহ চতুর্দশী= ১০০০ একাদশীর সমান।

💥 তাই এই সুযোগ কেউ বাদ দিবেন না।নিজে পালন করুন অন্য পালন করতে বলুন। পবিত্র নৃসিংহ চর্তুদশী ব্রত🙏

💥 অতি পুণ্যফলদায়ক অবশ্য পালনীয় শ্রীশ্রী নৃসিংহ চতুর্দশী। মহাদেব শিবজী, ব্রহ্মাজী, দূর্গাদেবীসহ দেবলোকের সকল দেবদেবীগণ নিষ্ঠাভরে নৃসিংহদেবের এই উপবাস করেন। ১০ লক্ষ দূর্গাষ্টমী ব্রত করলে যে ফল হয়, ১০০০টি একাদশী ব্রত প্রভাবে যে ফল হয়, শুধুমাত্র ১টি নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত করলে সে ফল হয়।🙏

💥 যে ১০০০/টা দূর্গাপুজা করলে যে পূণ্য হয়, একটা একাদশী ব্রত করলে সে পূণ্য হয়, কারণ দূর্গাপুজা যে ব্রত করা হয় সেটাকে ব্রত বলা হয়, আর কলিযুগে শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু একাদশীকে মহাব্রত বলেছে। আর ১০০০/টা একাদশী ব্রত করলে যে পূ্ণ্য হয়, একটা নৃসিংহ চতূর্দশী কেউ ভক্তি ভরে করলে তার সেই পূণ্য হয়।🙏

💥 জেনে রাখুন বৈষ্ণববৃন্দঃ
────────────────
👉 সৃষ্টিশক্তি লাভের উদ্দেশ্যে ব্রহ্মা এই নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালন
করেছিলেন,🙏

👉 ত্রিপুরাসুরকে বধের উদ্দেশ্যে মহাদেব এই ব্রত করেছিলেন, 🙏

👉 স্বর্গসুখ লাভের জন্য দেবতারা শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালন করে থাকেন, এবং

👉 বেশ্যাও এই ব্রত প্রভাবে ত্রিলোকে সুখচারিনী হয়ে থাকেন।🙏

💥 যেখানে শিব, ব্রহ্মা, কালীসহ সকল দেবদেবীই এই নৃসিংহদেবের চতুর্দশী উপবাস করেন সেখানে আমি আপনি সাধারণ মানুষের তো কথাই নেই। তাই নৃসিংহদেবের অহৈতুকী কৃপালাভ থেকে বঞ্চিত না হতে কেউই আগামীকাল মহামঙ্গলময় উপবাস না থাকার কথা ভুলেও ভাববেন না। কেউ যদি একাদশী বা অন্য কোনো ব্রত নাও করে থাকেন অন্তত এই নৃসিংহ চতুর্দশীতে কৃপা করে গোধূলি (সন্ধ্যার কিছু আগে) পর্যন্ত উপবাস করুন এবং প্রতিবছরের জন্য এই মহাপবিত্র দিনে উপবাস থাকা বাধ্যতামূলক করে রাখুন। কেননা এই ব্রত শুধুমাত্র নৃসিংহদেবের ভক্তরা নয়, সাধারণ মানুষ সবাই করতে পারবে। গোধূলির পর অনুকল্প মহাপ্রসাদ (ফলমূল) খাওয়া যাবে। পরদিন যথাসময়ে পারণ করতে হবে।

💥 বৃহৎনারদীয়সিংহ পুরাণে ভগবান শ্রীনৃসিংহদেব পরম ভক্ত প্রহ্লাদকে বললেন-

বর্ষে বর্ষে তু কর্তব্যং মম সন্তুষ্টি কারণম।
মহা গুহ্যমিদং শ্রেষ্ঠং মানবৈর্ভব ভীরুভিঃ।🙏

অনুবাদঃ প্রতি বছর আমার সন্তুষ্টি উদ্দেশ্যে নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত্য কর্তব্য। জন্ম-মৃত্যুময় সংসার ভয়ে মানুষ এই পরম গোপনীয় ও শ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে।

💥 বৈশাখ মাসের শুক্লা চতুর্দশীতে শ্রীনৃসিংহদেব আবির্ভূত হয়েছিলেন, তাই এই তিথিতে ব্রত পালন পূর্বক তার পূজা ও উৎসব করতে হয়।

💥 শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন নরক যাতনা ভোগ করবে। যদিও আমার ভক্তরা এই ব্রত করে থাকে তবুও প্রত্যেকের এই ব্রতে অধিকার আছে।🙏

💥 যে সমস্ত মানুষ আমার এই ব্রতশ্রেষ্ঠ পালন করবে, শতকোটি কল্পেও তাদের সংসার পুনরাগমন নেই। আমার ব্রত প্রভাবে অপুত্রক ভক্ত পুত্র লাভ করে,দরিদ্র ধনশালী হয়, তেজস্কামী তেজঃলাভ করে,রাজ্যকামী রাজ্য পায়, আয়ুস্কামী দীর্ঘায়ু লাভ করে,স্ত্রীলোকেরা আমার এই চতুর্দশী ব্রত পালন করলে ভাগ্যবতী হয়, এই ব্রত সৎপুত্র প্রদ, অবৈধব্যকর ও পুত্রশোক বিনাশন,দিব্য সুখ প্রদ।

💥 স্ত্রী-পুরুষ যারা এই উত্তমব্রত পালন করে, তাদের আমি সুখ ও ভুক্তি-মুক্তি ফল দান করি।

💥 হে প্রহ্লাদ, দুরাত্মাদের আমার ব্রত পালনে মতি হয় না। পাপকর্মেই সর্বদা তাদের মতি।""

💥 হে নৃসিংহদেব প্রভু, জ্ঞাতে-অজ্ঞাতে করা সকল অপরাধ ক্ষমা করো ভগবান। হে ভগবান তোমাতে একান্ত ভক্তি প্রদান করো ভগবান ।

💥 কৃপা করে সবাই নৃসিংহ ভগবানের চতুর্দশীর ব্রতের উপবাস থাকবেন।🙏

🏵 যারা পালন করবেন না তাঁদের উদ্দেশ্যেঃ-
********************************************
💥 শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, "আমার ব্রতদিন জেনেও যে ব্যক্তি লঙ্ঘন করে, চন্দ্র-সূর্য যতদিন থাকবে ততদিন তাঁরা নরক যন্ত্রণা ভোগ করবে।"

🏵 শ্রীনৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত কিভাবে পালন করবেন ❓
*********************************************
💥 উপবাস : -- গোধূলি লগ্নে শ্রীনৃসিংহদেবের অভিষেক। এই অভিষেক ও পূজা আরতি সন্ধ্যাকালে সম্পন্ন করতে হয়। নৃত্য গীত বাদ্য ও হরিনাম সংকীর্তন, নৃসিংহস্তুতি, নৃসিংহলীলা পাঠ কীর্তন করতে হবে l তারপর অভিষেকের চরণামৃত দিয়ে উপবাস ভেঙ্গে একাদশীর ন্যায় অনুকল্প প্রসাদ গ্রহণ করা যেতে পারে। অভিষেক করতে না পারলে বা নৃসিংহদেবের শ্রী বিগ্রহ বা চিত্রপট না থাকলে শ্রী নারায়ণ বিগ্রহ বা চিত্রপটে ভোগ নিবেদন করে (পঞ্চশস্য ব্যতীত একাদশীর মতো) প্রসাদ গ্রহণ করা যেতে পারে তবে নিজ্জলা ব্রতই উত্তম।
পরদিন সকালে স্নান সেরে যত্নসহ পূজা ও মঙ্গল আরতিতে নৃসিংহস্তব প্রার্থনা করতে হয়। তারপর ব্রাহ্মণকে দক্ষিণা দান ও প্রসাদ সেবন করতে হয়।🙏

💥 পারন:পরের দিন সকালে ভগবানের নিবেদিত প্রসাদ গ্রহণ একান্তই বাঞ্ছনীয়।🙏

💥 যারা সদা গ্রহাদির পীড়ন ভোগ করছেন তারা নৃসিংহ চতুর্দশী তিথিতে উপবাস থেকে ১০৮ জোড়া তুলসীপাতা দ্বারা নৃসিংহ দেবের অষ্টোত্তর শতনাম (ছবিতে দেয়া আছে খেয়াল করুন) পাঠ করে চরণে অর্পণ করলে সমস্ত অপগ্রহাদির উপদ্রুব বিদূরিত হয়৷
💥 এছাড়াও শ্রী ভবিষোত্তর পুরাণে রক্ষোভূবন মাহাত্ম্যে শ্রী শনৈশ্চরকৃত নৃসিংহ স্তুতি অর্থাৎ শ্রী শনিদেব নৃসিংহদেবের কাছে যে প্রার্থনা করেছিলেন তা পাঠ করতে পারেন।🙏

💥 শ্রী শনিদেব বললেনঃ-
হে ভগবান নৃসিংহদেব, হে দয়ার সাগর, আমার প্রতি প্রসন্ন হোন। হে দেবদেব,
আমার শনিবার যেন আপনার প্রিয় হয়। হে বিশ্বপাবন যে সমস্ত ভক্তরা আমার গ্রথিত এই স্তব শ্রবণ বা কীর্তন করেন তাদের সমস্ত বাসনা পূরণ করুন। হে ভক্তবৎসল ভগবান শ্রী নৃসিংহদেব আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন। এরপর ভক্তবৎসল ভগবান শ্রী নৃসিংহদেব বললেন- হে শনি তাই হোক। যেহেতু আমি বিশ্বরক্ষক (রক্ষভূবন),আমার ভক্তের সকল বাসনা পূরণ করি। আরো জানো ১২-৮ অবস্থানের গ্রহ বা অন্য কুসময়ে জন্মের দ্বারা যারা যৎপরোনাস্তি দুঃখ পেয়েই যাচ্ছে তারা যদি এটা পাঠ করে বা শুনে তার কোনো ভয় থাকবেনা।🙏

🏵 শ্রীনৃসিংহ দেবের পছন্দের ভোগ :-
*********************************************
💥 চতুর্দশী তিথিতে ভগবান নৃসিংহ দেবকে এক বিশেষ প্রকার পানীয় নিবেদন করা হয় যাকে বলে পনকম্। এটি একটি সুস্বাদু পানীয় এবং এই পানীয় ভগবান রামচন্দ্রকে রাম নবমীতে এবং সর্ববিঘ্ন বিনাশক ভগবান নৃসিংহদেবকে নৃসিংহ চতুর্দশীতে নিবেদন করা হয়ে থাকে । 🙏

💥 নিচে পানাকাম বানানোর রেসিপি দেয়া হলোঃ-
👉 চার কাপ ঠাণ্ডা জল
👉 অর্ধেক চামুচ এলাচি
ক্রাশ করা
👉 এক চামুচ আদা রস
👉 অল্প কেশর
👉 একটি লেবু
👉 এক বাটি গুঁড়

💥 এই সবগুলো উপাদান এক সাথে মিশিয়ে তারপর ছেঁকে ভগবান নৃসিংহ দেবকে নিবেদন করতে পারেন।🙏

বি.দ্রঃ-ভক্তসংখ্যানু্যায়ী উপকরণের পরিমাণ বাড়বে।

💥 🔔 এছাড়া আলু ছোট করে টুকরো করে বাদাম দিয়ে এক বিশেষ ভোগ দিতে পারেন (তেলের ক্ষেত্রে ঘৃত বা সূর্যমুখী ব বাদাম তেল অথবা নরমালি ভাজা বাদাম)। 🙏

🏵 শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব:-
********************************************,
জয় নৃসিংহ শ্রী নৃসিংহ।
জয় জয় জয় শ্রীনৃসিংহ।।
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং
জ্বলন্তং সর্বতোমুখম্।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং
মৃত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহুম্।।
শ্রীনৃসিংহ জয় নৃসিংহ জয় জয় নৃসিংহ।
প্রহ্লাদেশ জয়পদ্মামুখ পদ্মভৃঙ্গং।।
জয় শ্রীনৃসিংহদেব!!🙏

🏵 শ্রীনৃসিংহদেবের স্তব ও প্রণাম:-
********************************************
নমস্তে নরসিংহায় প্রহ্লাদহ্লাদ-দায়িনে ।
হিরণ্যকশিপোর্বক্ষঃ শিলাটঙ্ক-নখালয়ে ।।
ইতো নৃ্সিংহঃ
পরতো নৃ্সিংহঃ ।।
যতো যতো যামি ততো নৃ্সিংহঃ ।।
বর্হিনৃ্সিংহ হৃদয়ে নৃ্সিংহো ।
নৃ্সিংহমাদিং শরণং প্রপদ্যে
তব করকমলবরে নখমদ্ভুতশৃঙ্গং
দলিতহিরণ্যকশিপুতনুভৃঙ্গম্ ।
কেশব ধৃত-নরহরিরূপ জয় জগদীশ হরে ।।🙏

💥 অনুবাদ– হে নৃসিংহদেব, আমি আপনাকে আমার সশ্রদ্ধ প্রণতি নিবেদন করি। আপনি প্রহ্লাদ মহারাজকে আনন্দ দান করেন এবং পাথর কাটার ধারালো টঙ্কের মতো আপনার নখের দ্বারা আপনি হিরণ্যকশিপুর বক্ষ বিদীর্ণ করেছিলেন।
শ্রীনৃসিংহদেব, আপনি এখানে রয়েছেন এবং সেখানেও রয়েছেন, যেখানেই আমি যাই, সেখানেই আমি আপনাকে দর্শন করি। আপনি আমার হৃদয়ে এবং বাইরেও রয়েছেন। তাই আমি আদি পুরুষ, পরমেশ্বর ভগবান, শ্রীনৃসিংহদেবের শরণ গ্রহণ করি।হে নৃসিংহদেব, আপনার পদ্মের ন্যায় হস্তে নখের অগ্রভাগগুলো অদ্ভুত এবং সেই হস্তে হিরণ্যকশিপুর দেহ ভ্রমরের । 🙏

🏵 নৃসিংহ পুষ্পাঞ্জলি মন্ত্র:-
********************************************
💥 ওঁ নম্ ভগবতে বাসুদেবায় শ্রীমহানৃসিংহায় দ্রংষ্ট্রাকরালায় বদনায় ঘোরূপায় বজ্ৰনখায় জ্বালামালিনে মম বিঘ্নায় পচ্ পচ্ মম ভয়ান্ ভিন্দি ভিন্দি মম শত্রুন্‌ বিদ্রবয় বিদ্রবয় মম সর্বরিষ্টান্ প্রভঞ্জয় প্রভঞ্জয় ছট ছট হন হন ছিন্দি ছিন্দি মম সর্বভিষ্টান পূরয় মাম্ রক্ষ রক্ষ হুম্ ফট্ স্বাহা।🙏

🏵 নৃসিংহকবচং স্তব :-
*****************************************

🙏 নারদ উবাচ :-🙏
ইন্দ্রাদিদেব বৃন্দেশ তাতেশ্বর জগত্পতে । মহাবিষ্ণোর্নৃসিংহস্য কবচং ব্রুহি মে প্রভো য়স্য প্রপঠনাদ্ বিদ্বান্ ত্রৈলোক্যবিজয়ী ভবেত্ ॥ ১॥ 🙏

ব্রহ্মোবাচ শৃণু নারদ বক্ষ্যামিপুত্রশ্রেষ্ঠ তপোধন ।
কবচং নরসিংহস্য ত্রৈলোক্যবিজয়াভিধম্ ॥ ২॥

য়স্য প্রপঠনাদ্ বাগ্মী ত্রৈলোক্যবিজয়ী ভবেত্ । স্রষ্ঠাঽহং জগতাং বত্স পঠনাদ্ধারণাদ্ য়তঃ॥ ৩॥

লক্ষ্মীর্জগত্ত্রয়ম্ পাতি সংহর্তা চ মহেশ্বরঃ । পঠনাদ্ধারণাদ্দেবা বভুবুশ্চ দিগীশ্বরাঃ॥ ৪॥

ব্রহ্ম মন্ত্রময়ং বক্ষ্যে ভূতাদিবিনিবারকম্ ।
যস্য প্রসাদাদ্দুর্বাসাস্ত্রৈলোক্যবিজয়ী মুনিঃ ।
পঠনাদ্ ধারণাদ্ য়স্য শাস্তা চ ক্রোধভৈরবঃ ॥ ৫॥ 🙏

ত্রৈলোক্যবিজয়স্যাস্য কবচস্য প্রজাপতিঃ । ঋষিশ্ছন্দশ্চ গায়ত্রী নৃসিংহ দেবতা বিভুঃ ।
চতুর্বর্গে চ শান্তৌ চ বিনিয়োগঃ প্রকীর্ত্তিতঃ ॥ ৬॥ 🙏

ক্ষ্রৌং বিজং মে শিরঃ পাতু চন্দ্রবর্ণো মহামনুঃ । উগ্রবীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তঃ সর্বতোমুখম্ ।
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃত্যোর্মৃত্যুং নমাম্যহম্ ॥ ৭॥

দ্বাত্রিংশাদক্ষরো মন্ত্রঃ মন্ত্ররাজঃ সুরদ্রুমঃ ।
কণ্ঠং পাতু ধ্রুবম্ ক্ষ্রৌং হৃদ্ভগবতে চক্ষুষী মম ॥ ৮॥

নরসিংহায় চ জ্বালামালিনে পাতু মস্তকম্ ।
দীপ্তদংষ্ট্রায় চ তথাগ্নিনেত্রায় চ নাসিকাম্ ॥ ৯॥

সর্বরক্ষোঘ্নায় দেবায় সর্বভূতবিনাশায় চ । সর্বজ্বরবিনাশায় দহ দহ পচ দ্বয়ম্ ॥ ১০॥🙏

রক্ষ রক্ষ সর্বমন্ত্রম্ স্বাহা পাতু মুখং মম ।
তারাদি রামচন্দ্রায় নমঃ পায়াদ্গূহ্যং মম ॥ ১১॥

ক্লীং পায়াত্পাণিয়ুগ্মংশ্চ তক্রম্ নমঃ পদম্ ততঃ । নরায়ণাঽপ্রসবম্ চ আং হ্রীং ক্রৌং ক্ষ্রৌং চং হুং ফট্
॥ ১২॥

ষডক্ষরঃ কটিং পাতু ওঁ নমো ভগবতে পদম্।
বাসুদেবায় চ পৃষ্ঠং ক্লীং কৃষ্ণায় উরুদ্বয়ম্ ॥ ১৩॥

ক্লীং কৃষ্ণায় সদা পাতু জানুনী চ মনূত্তমঃ ।
ক্লীং গ্লৌং ক্লীং শ্যামলাঙ্গায় নমঃ পায়াত্পদদ্বয়ম্ ॥ ১৪॥

ক্ষ্রৌং নরসিংহায় ক্ষ্রৌংশ্চ সর্বাঙ্গং মে সদাঽবতু
॥ ১৫॥ 🙏

ইতি তে কথিতং বত্স সর্বমন্ত্রৌঘ বিগ্রহম্ । তবস্নেহান্ময়া খ্যাতং প্রবক্তব্যং ন কস্যচিত্ ॥ ১৬॥

গুরুপূজা বিধায়াথ গৃহণীয়াত্ কবচং ততঃ । সর্বপুণ্যয়ুতো ভূত্বা সর্বসিদ্ধিয়ুতো ভবেত্ ১৭॥ 🙏

শতমষ্টোত্তরং চৈব পুরশ্চর্যাবিধি স্মৃতঃ ।
হবনাদীন্ দশাংশেন কৃত্বা সাধকসত্তমঃ ॥ ১৮॥

ততস্তু সিদ্ধ কবচঃ পুণ্যাত্মা মদনোপমঃ ।
স্পর্দ্ধামুদ্ধয় ভবনে লক্ষ্মীর্বাণী বসেত্ ততঃ ॥ ১৯॥ 🙏

পুষ্পাঞ্জল্যাষ্টকম্ দত্বামূলে নৈব পঠেত্ সকৃত্ ।
অপি বর্ষসহস্রাণাম্ পূজায়াঃ ফলমাপ্নুয়াত্ ॥ ২০॥ 🙏

ভূর্জে বিলিখ্য গুটিকাম্ স্বর্ণস্থাম্ ধারয়েত্ য়দি ।
কণ্ঠে বা দক্ষিণে বাহৌ নরসিংহো ভবেত্ স্বয়ম্
॥ ২১॥ 🙏

য়োষিদ্বামভুজে চৈব পুরুষো দক্ষিণে করে ।
বিভৃয়াত্ কবচং পুণ্যম্ সর্বসিদ্ধিয়ুতো ভবেত্
॥ ২২॥ 🙏

কাকবন্ধ্যা চ য়া নারী মৃতবত্সা চ য়া ভবেত্ ।
জন্মবন্ধ্যা নষ্টপুত্রা বহুপুত্রবতী ভবেত্ ॥ ২৩॥ 🙏

কবচস্য প্রসাদেন জীবন্মুক্তো ভবেন্নরঃ ।
ত্রৈলোক্য ক্ষোভয়ত্যেব ত্রৈলোক্যং বিজয়ী ভবেত্ ॥ ২৪॥

ভূতপ্রেতপিশাচাশ্চ রাক্ষসা দানবশ্চ য়ে ।
তং দৃষ্ট্বা প্রপলায়ন্তে দেশাদ্দেশান্তরং ধ্রুবম্
॥ ২৫॥

য়স্মিন্ গেহে চ কবচং গ্রামে বা য়দি তিষ্ঠতি ।
তং দেশন্তু পরিত্যজ প্রয়ান্তি চাতি দূরতঃ ॥ ২৬॥ ॥

ইতিশ্রীব্রহ্মসংহিতায়াং সপ্তদশাধ্যায়ে ত্রৈলোক্যবিজয়ং নাম শ্রীশ্রীনৃসিংহকবচং সম্পূর্ণম্ ॥

ওঁ ইতঃ পূর্ব্বং প্রাণবুদ্ধি দেহধর্ম্মাধিকারতো জাগ্রৎস্বপ্নসুষুপ্ত্যবস্থাসু মনসা বাচা হস্তাভ্যং পদ্ভ্যামুদরেণ শিশ্মা যৎ স্মৃতং যদুক্তং যৎ কৃতং তৎসর্ব্বং ব্রহ্মার্পণং ভবতু স্বাহা,
মাং মদীয়ং সকলং সম গশ্রীশ্রীনৃসিংহদেবতায়ৈ সমর্পয়ামি ওঁ তৎ সং।

ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু ওঁ বিষ্ণু
ওঁ বিষ্ণু 🙏

ওঁ ঋচং বাচং প্রপদ্যে মনো যজূঃ প্রপদ্যে সাম প্রাণং প্রপদ্যে চক্ষুঃশ্রোত্রং প্রপদ্যে বাগৌজঃ সহৌজ ময়ি প্রাণাপানৌ।

ওঁ ষন্মে ছিদ্রং চক্ষুষোর্হৃদয়স্য মনসো বাতিতৃণ্নং বৃহস্পতিতে তদ্দধাতু।

শন্নো ভবতু ভুবনস্য যস্পতিঃ।।

ওঁ স্বস্তি ন ইন্দ্রো বৃদ্ধশ্রবাঃ স্বস্তি নঃ পূষা বিশ্ববেদাঃ।
স্বস্তি নস্তাক্ষ্যো অরিষ্টনেমিঃ স্বস্তি নো বৃহস্পতির্দ্দাধাতু।।
ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি ওঁ স্বস্তি।।

সবাই এই স্তব কয়েক বার পড়ুন (পাঠ করুন কীর্তন আকারে কীর্তন করুন) অনেক অনেক ভক্তি এবং পারমার্থিক শক্তি সঞ্চিত হবে।। যা এ সময়ে অকল্পনীয়।। জয় নৃসিংহদেব ভগবান কি জয়।।

🏵 ব্রত শেষ করার মন্ত্রঃ-
********************************************
মদ্বংশে যে নরা জাতা যে জনিষন্তি মৎপুরঃ
তাংঔষদ্ধর দেবেশ দুঃসহাব
সাগরাৎএ পাতকার্ণবমগ্নস্য
ব্যধিদুঃখাম্বরাশিভিঃ
তীব্রৈস্ত পরিভূতস্য মহাদুঃখগতস্য তু মে🙏

💥 জয় শ্ৰী নৃসিংহ চতুর্দশী মহোৎসব🙏
জয় শ্ৰী নৃসিংহ দেব ভগবান কি জয় 🙏

💥 সদা সর্বদা শ্রী শ্রী রাধা ও কৃষ্ণের পাদপদ্মের কথা স্মরণ করুন, তাহলে শ্রীকৃষ্ণের দ্বারা আপনার জন্য বরাদ্দকৃত কার্য সম্পাদন করতে কোনও অসুবিধা অনুভব করতে হবে না।🙏

জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে শ্রীকৃষ্ণের কৃপার প্রতি অগাধ বিশ্বাস ও ভরসা রাখতে হবে।
শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামটিতে অসাধারণ আধ্যাত্মিক শক্তি রয়েছে কারণ শ্রীকৃষ্ণের নাম স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণের থেকে আলাদা নয় ....

💥 সবাই হরে কৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ করুন।এই নামে শুধু আপনি নই আপনার পুর্ব পুরুষ ও উদ্দার হবে।ভাত খাওয়া যেমন আপনার নিত্যকাজ,স্নান করা যেমন আপনার নিত্য কাজ,ঠিক তেমনি জপটাও আপনার আরও নিত্য গুরুত্বপূর্ণ কাজ,,তাই এই হরি নামকে অবজ্ঞা করবেন না🙏
জয় শ্রীকৃষ্ণচৈতন্য প্রভু নিত্যানন্দ শ্রীঅদ্বৈত গদাধর শ্রীবাসাদি গৌর ভক্তবৃন্দ হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে🙏

💥 আমাদের কখনো হরি নাম জপকে হেলার সহিত নেয়া উচিত নয়। হরিনাম সাধারণ কোন মন্ত্র নয়। হরিনাম সাক্ষাৎ শ্রীকৃষ্ণের অভিন্ন রূপ। তাই আমাদের খুব যত্নের সহিত হরিনাম জপ করা উচিত।🙏

💥 "হরেরনাম হরেরনাম হরেরনামৈব কেবলম
কলৌ নাস্তেব নাস্তেব নাস্তেব গতিরন্যথা।।"
🙏🙏🙏🙏

💥 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 🙏
💥 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। 🙏

বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যা বৈষ্ণবেভ্যে নমো নমঃ ।।🙏

💥 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 🙏
💥 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। 🙏

Photos from Krishnendu Radha Krishna Devotees's post 19/05/2024

🔴 একাদশী বার্তা 🏵 মোহিনী একাদশী "🔴
========================================
🏵 আজ ১৯ মে , রবিবার , ২০২৪ ইং , ০৫ ই জ্যৈষ্ঠ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ l
💥 মোহিনী একাদশী ব্রত উপবাস । সবাই এই একাদশী পালন করবেন, এবং অন্যকে একাদশী ব্রত পালনে উৎসাহিত করবেন এবং মনুষ্য জীবনকে সার্থক করে তুলুন। 🙏
সকল সাধু গুরু বৈষ্ণব গনের শ্রী চরণে জানাই কৃষ্ণময় সুপ্রভাত শুভেচ্ছা ও অগনিত ভক্তিপূর্ণ দন্ডবৎ প্রনাম l 🙏

🏵 পারনের সময় (পরের দিন): ---
*******************************************
💥 কলকাতা, ভারত সময় :-
সকাল ০৪ : ৫২ থেকে
০৯ : ১৯ মি: মধ্যে l🙏

💥 ঢাকা, বাংলাদেশ সময় :-
সকাল ০৫ : ১৪ থেকে
০৯ : ৪১ মি: মধ্যে।🙏

🏵 একাদশী পারন মন্ত্র :-
******************************************
👉 অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥
(বৃ: না: পু: ২১/২০)

👉 অনুবাদ : হে কেশব! আমি অজ্ঞানরূপ অন্ধকারে নিমজ্জিত আছি। হে নাথ! এই ব্রত দ্বারা আমার প্রতি প্রসন্ন হয়ে আমাকে জ্ঞানচক্ষু প্রদান করুন।🙏

💥 একাদশী তিথির পরদিন উপবাস ব্রত ভাঙার পর অর্থাৎ, উপবাসের পরদিন সকালে যে নির্দিষ্ট সময় দেওয়া থাকে, সেই সময়ের মধ্যে পঞ্চ রবিশস্য ভগবানকে ভোগ নিবেদন করে একাদশীর পারণ মন্ত্র তিনবার ভক্তিভরে পাঠ করতে হয়। এরপর প্রসাদ গ্রহণ করে পারণ করা একান্ত ভাবে দরকার, নতুবা একাদশীর পূর্ণ ফল লাভ হবে না। আর অবশ্যই একাদশীর আগের দিন ও পরের দিন নিরামিষ
প্রসাদ গ্রহণ করতে হবে। 🙏

🏵 মোহিনী একাদশী মাহাত্ম্য :-
*********************************************
💥 কুর্মপুরাণে বৈশাখ শুক্লপক্ষের ‘মোহিনী’ একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য বর্ণনা করা হয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন- ‘হে জনার্দন! বৈশাখ শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর কি নাম, কি ফল, কি বিধি-এসকল কথা আমার নিকট বর্ণনা করুন।’ উত্তরে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ বললেন হে ধর্মপুত্র! আপনি আমাকে যে প্রশ্ন করেছেন পূর্বে শ্রীরামচন্দ্রও বশিষ্ঠের কাছে এই একই প্রশ্ন করেছিলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করেছিলেন- হে মুনিবর! আমি জনকনন্দিনী সীতার বিরহজনীত কারণে বহু দু:খ পাচ্ছি। তাই একটি উত্তম ব্রতের কথা আমাকেবলুন। যার দ্বারা সর্বপাপ ক্ষয় হয় ও সর্বদু:খ বিনষ্ট হয়। 🙏

💥 এই কথা শুনে বশিষ্ঠদেব বললেন- হে রামচন্দ্র! তুমি উত্তম প্রশ্ন করেছ। যদিও তোমার নামগ্রহণেই মানুষ পবিত্র হয়ে থাকে। তবুও লোকের মঙ্গলেরজন্য তোমার কাছে সর্বশ্রেষ্ঠ ও পরম পবিত্র একটি ব্রতের কথা বলছি। বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশী ‘মোহিনী’ নামে প্রসিদ্ধা। এই ব্রত প্রভাবে মানুষের সকল পাপ, দু:খ ও মোহজাল অচিরেই বিনষ্ট হয়। তাইমানুষের উচিত সকল পাপক্ষয়কারী ও সর্বদু:খবিনাশী এই একাদশী ব্রত পালন করা। একাগ্রচিত্তে তার মহিমা তুমি শ্রবণ কর। এই কথাশ্রবণমাত্রেই সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয়।🙏

💥 পবিত্র সরস্বতী নদীর তীরে ভদ্রাবতী নামে এক সুশোভনা নগরী ছিল। চন্দ্রবংশজাত ধৃতিমান নামে এক রাজা সেখানে রাজত্ব করতেন। সেই নগরীতেই
ধনপাল নামে এক বৈশ্য বাস করতেন। তিনি ছিলেন পুণ্যকর্মা ও সমৃদ্ধশালী ব্যক্তি। তিনি নলকূপ, জলাশয়, উদ্যান, মঠ ও গৃহ ইত্যাদি নির্মাণ করেদিতেন। তিনি ছিলেন বিষ্ণুভক্তি পরায়ণ ও শান্ত প্রকৃতির মানুষ। সুমনা, দ্যুতিমান, মেধাবী, সুকৃতি ও ধৃষ্টবুদ্ধি নামে তার পাঁচজন পুত্র ছিল। পঞ্চমপুত্র ধৃষ্টবুদ্ধি ছিল অতি দুরাচারী। সে সর্বদা পাপকার্যে লিপ্ত থাকত। পরস্ত্রী সঙ্গী, বেশ্যাসক্ত, লম্পট ও দ্যুতক্রীড়া প্রভৃতি পাপে সে অত্যন্ত আসক্তছিল। দেবতা, ব্রাহ্মণ ও পিতামাতার সেবায় তার একেবারেই মতি ছিল না। সে অন্যায়কার্যে রত, দুষ্টস্বভাব ও পিতৃধন ক্ষয়কারক ছিল। সবসময় সেঅভক্ষ ভক্ষণ ও সুরাপানে মত্ত থাকত।🙏

💥 পিতা ধনপাল একদিন পথ চলছিলেন। হঠাৎ তিনি দেখতে পেলেন ধৃষ্টবুদ্ধি এক বেশ্যার গলায় হাত রেখে নি:সঙ্কোচে ঘুরে বেড়াচ্ছে। তার নির্লজ্জপুত্রকে এভাবে চৌরাস্তায় ভ্রমণ করতে দেখে তিনি অত্যন্ত মর্মাহত হলেন। এই কুস্বভাব দর্শনে ক্রুদ্ধ হয়ে তিনি তাকে গৃহ থেকে বার করে দিলেন। তার আত্মীয়-স্বজনও তাকে পরিত্যাগ করল। সে তখন নিজের অলংকারাদি বিক্রি করে জীবন অতিবাহিত করত। কিছুদিন এইভাবে চলার পরঅর্থাভাব দেখা দিল। ধনহীন দেখে সেই বেশ্যাগণও তাকে পরিত্যাগ করল। অন্নবস্ত্রহীন ধৃষ্টবুদ্ধি ক্ষুধা-তৃষ্ণায় অত্যন্ত কাতর হয়ে পড়ল। অবশেষে নিজের গ্রামে সে চুরি করতে শুরু করল। একদিন রাজপ্রহরী তাকে ধরে বন্দীকরল। কিন্তু পিতার সন্মানার্থে তাকে মুক্ত করে দিল। এভাবে বারকয়েক সে ধরা পড়ল ও ছাড়া পেল। কিন্তু তবুও সে চুরি করা বন্ধ করল না। তখনরাজা তাকে কারাগারে বদ্ধ করে রাখলেন। বিচারে সে কষাঘাত দন্ডভোগ করল। কারাভোগের পর অনন্য উপায় ধৃষ্টবুদ্ধি বনে প্রবেশ করল। সেখানেসে পশুপাখি বধ করে তাদের মাংস ভক্ষণ করে অতি দু:খে পাপময় জীবন যাপন করতে লাগল।🙏

💥 দুষ্কর্মের ফলে কেউ কখনও সুখী হতে পারে না। তাই সেই ধৃষ্টবুদ্ধি দিবারাত্রি দু:খশোকে জর্জরিত হল। এভাবে অনেকদিন অতিবাহিত হল l কোন
পুণ্যফলে সহসা একদিন সে কৌন্ডিন্য ঋষির আশ্রমে উপস্থিত হল। বৈশাখ মাসে ঋষিবর গঙ্গাস্নান করে আশ্রমের দিকে প্রত্যাবর্তন করছিলেন।শোককুল ধৃষ্টবুদ্ধি তার সম্মুখে উপস্থিত হল। ঘটনক্রমে ঋষির বস্ত্র হতে একবিন্দু জল তার গায়ে পড়ল। সেই জলস্পর্শে তার সমস্ত পাপ দূর হল।হঠাৎ তার শুভবুদ্ধির উদয় হল।🙏

💥 ঋষির সামনে সে কৃতাঞ্জলিপুটে প্রার্থণা করতে লাগল ‘হে ঋষিশ্রেষ্ঠ! যে পুণ্য প্রভাবে আমি এই ভীষণ দৃ:খযন্ত্রণা থেকে মুক্তিলাভ করতে পারি, তাকৃপাকরে আমাকে বলুন।’ ঋষিবর বললেন-‘বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষে মোহিনী নামে যে প্রসিদ্ধ একাদশী আছে, তুমি সেই ব্রত পালন কর। এই ব্রতের ফলে মানুষের বহুজন্মার্জিত পর্বত পরিমাণ পাপরাশিও ক্ষয় হয়ে থাকে। মহামুনি বশিষ্ঠ বললেন-কৌন্ডিন্য ঋষির উপদেশ শ্রবণ করে প্রসন্ন চিত্তে ধৃষ্টবুদ্ধি সেই ব্রত পালন করল। হে মহারাজ রামচন্দ্র! এই ব্রত পালনে সে নিষ্পাপ হল। দিব্যদেহ লাভ করল। অবশেষে গরুড়ে আরোহন করে সকল প্রকার উপদ্রবহীনবৈকুন্ঠধামে গমন করল। হে রাজন, ত্রিলোকে মোহিনী ব্রত থেকে আর শ্রেষ্ঠ ব্রত নেই। যজ্ঞ, তীর্থস্থান, দান ইত্যাদি কোন পুণ্যকর্মই এই ব্রতেরসমান নয়। এই ব্রত কথার শ্রবণ কীর্তনে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয়।🙏

🏵 একাদশী ব্রত পালনের সাত্ত্বিক নিয়মঃ -
*********************************************
💥 সমর্থপক্ষে দশমীতে একাহার, একাদশীতে নিরাহার, ও দ্বাদশীতে একাহার। অসমর্থপক্ষে শুধুমাত্র একাদশীতে অনাহার। এছাড়াও, একাদশীতে পঞ্চ রবিশস্য বর্জন করে ফলমূলাদি অনুকল্প গ্রহণ।

🏵 একাদশী এমনই একটি মহাব্রত যে, সে যদি পাপীর থেকেও মহাপাপী হয় এই একাদশী ব্রত পালন করার ফলে তার অতীতের সমস্ত পাপ-তাপ সমুলে নাশ হয়ে যায়। তাই যারা নিয়মিত একাদশী ব্রত পালন করেন, তারা সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হয়ে ভগবৎ ধামে প্রবেশ করেন।🙏

💥 আমাদের কখনো হরি নাম জপকে হেলার সহিত নেয়া উচিত নয়। হরিনাম সাধারণ কোন মন্ত্র নয়। হরিনাম সাক্ষাৎ শ্রীকৃষ্ণের অভিন্ন রূপ। তাই আমাদের খুব যত্নের সহিত হরিনাম জপ করা উচিত।

💥 "হরেরনাম হরেরনাম হরেরনামৈব কেবলম
কলৌ নাস্তেব নাস্তেব নাস্তেব গতিরন্যথা।।"
🙏🙏🙏🙏

💥 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 🙏
💥 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। 🙏

বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যা বৈষ্ণবেভ্যে নমো নমঃ ।।🙏

🙏 এই মহামন্ত্র জপ করুন

04/05/2024

হরে কৃষ্ণ😊 সকল ভক্তের চরণে dondabhat প্রণাম🙏একাদশী সংকল্প মন্ত্র ও একাদশীর পারণ মন্ত্র দেওয়া দেওয়া হল সকলের সুবিধার্থে আপনারা কৃপা পূর্বক এই মন্ত্র গুলো দেখে নেবেন 🙏

04/05/2024

ুথিনী_একাদশীব্রত_মাহাত্ম্য__
বৈশাখ কৃষ্ণপক্ষীয়া বরুথিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণ সংবাদে বর্ণনা করা হয়েছে। যুধিষ্ঠির মহারাজ শ্রীকৃষ্ণকে বললেন–হে বাসুদেব! আপনাকে প্রণাম। বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশী কি নামে প্রসিদ্ধ এবং তার মহিমাই বা কি তা কৃপা করে আমাকে বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন–হে রাজন! ইহলোক ও পরলোকে বৈশাখ মাসের কৃষ্ণপক্ষীয়া একাদশী 'বরুথিনী' নামে বিখ্যাত। এই ব্রত পালনে সর্বদা সুখলাভ হয় এবং পাপক্ষয় ও সৌভাগ্য প্রাপ্তি ঘটে। দুর্ভাগা স্ত্রীলোক এই ব্রত পালনে সর্বসৌভাগ্য লাভ করে থাকে। ভক্তি ও মুক্তি প্রদানকারী এই ব্রত সর্ব পাপহরণ ও গর্ভবাস যন্ত্রণা বিনাশ করে। এই ব্রত প্রভাবে মান্ধাতা, ধুন্ধুমার আদি রাজারা দিব্যধাম লাভ করেছেন। এমনকি মহাদেব শিবও এই ব্রত পালন করেছিলেন। দশ হাজার বৎসর তপস্যার ফল কেবলমাত্র এক বরুথিনী ব্রত পালনে লাভ হয়। যে শ্রদ্ধাবান ব্যক্তি এই ব্রত পালন করেন তিনি ইহলোক ও পরলোকে সমস্ত প্রকার বাঞ্ছিত ফল লাভ করেন।

হে নৃপশ্রেষ্ঠ! অশ্বদান অপেক্ষা গজদান শ্রেষ্ঠ, গজদান থেকে ভূমিদান, তা থেকে তিলদান, তিলদান থেকে স্বর্ণদান এবং তা অপেক্ষাও অন্নদান শ্রেষ্ঠ। অন্নদানের মতো শ্রেষ্ঠ দান আর নেই। পিতৃলোক, দেবলোক ও মানুষেরা অন্নদানেই পরিতৃপ্ত হন। পন্ডিতেরা কন্যাদানকে অন্নদানের সমান বলে থাকেন। স্বয়ং ভগবান গোদানকে অন্নদানের সমান বলেছেন। আবার এই সমস্ত প্রকার দান থেকেও বিদ্যাদান শ্রেষ্ঠ। কিন্তু এই বরুথিনী ব্রত পালনে সেই বিদ্যাদানের সমান ফল লাভ হয়ে থাকে।
পাপমতি যেসব মানুষ কন্যার উপার্জিত অর্থে জীবনধারণ করে, পুণ্যক্ষয়ে তাদের নরকযাতনা ভোগ করতে হয়। তাই কখনও কন্যার উপার্জিত অর্থ গ্রহণ করা উচিত নয়। যে ব্যক্তি বিভিন্ন স্বর্ণালঙ্কার সহ কন্যাদান করেন তাঁর পুণ্যের হিসাব স্বয়ং চিত্রগুপ্তও করতে অসমর্থ হন। কিন্তু 'বরুথিনী' ব্রত পালনকারী কন্যাদান থেকেও বেশি ফল লাভ করে।

ব্রতকারী ব্যক্তি দশমীর দিনে কাঁসার পাত্রে ভোজন, মাংস, মসুর, ছোলা, শাক, মধু, অন্যের প্রদত্ত অন্নগ্রহণ, দুইবার আহার ও মৈথুন পরিত্যাগ করবে। দ্যূতক্রীড়া, নেশাজাতীয় দ্রব্য, দিবানিদ্রা, পরনিন্দা-পরচর্চা, প্রতারণা, চুরি, হিংসা, মৈথুন, ক্রোধ ও মিথ্যাবাক্য একাদশীর দিনে বর্জনীয়।
কাঁসার পাত্রে ভোজন, মাংস, মসুর, মধু, তেল, মিথ্যাভাষন, ব্যায়াম্, দুইবার আহার ও মৈথুন এসব দ্বাদশীর দিনে পরিত্যাজ্য।

হে রাজন! বিধি অনুসারে বরুথিনী ব্রত পালনে সকল প্রকার পাপের বিনাশ ও অক্ষয়গতি লাভ হয়। যিনি হরিবাসরে রাত্রিজাগরণ করে ভগবান জনার্দনের পূজা করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হয়ে পরমগতি লাভ করেন।
তাই সূর্যপুত্র যমরাজের যাতনা থেকে পরিত্রাণের জন্য পরম যত্নে এই একাদশী ব্রত পালন করা কর্তব্য। বরুথিনী একাদশীর ব্রতকথা শ্রদ্ধাভরে পাঠ বা শ্রবণ করলে সহস্র গোদানের ফল লাভ হয় এবং সর্বপাপ থেকে মুক্ত হয়ে বিষ্ণুলোকে গতি হয়।

১.আমিষ আহার বর্জন।
২. অবৈধ স্ত্রী-পুরুষ সঙ্গ বর্জন।
৩. তাস পাশা জুয়া ইত্যাদি সকল প্রকার গেম খেলা বর্জন।
৪.সিগারেট মদ ইত্যাদি মাদকদ্রব্য সকল প্রকার নেশা বর্জন।

এই চারটি নিয়ম পালন করুন, দিব্য হরিনাম জপ করুন, ভগবানের সেবা করুন, ভগবদ্ধামে ফিরে চলুন।

হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে ॥

হরে কৃষ্ণ 🌷🌷🌷🙏🙏🙏🥰🥰🥰

20/04/2024

আজ পবিত্র কামদা একাদশী!

চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের কামদা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য বরাহ পুরাণে বর্ণিত আছে, মহারাজ যুধিষ্টির বলেন- হে বাসুদেব ! আপনি কৃপা করে আমার কাছে কামদা একাদশীর মহিমা কীর্তন করুন । শ্রীকৃষ্ণ বলেন-হে মহারাজ ! এই একাদশী ব্রত সম্পর্কে এক বিচিত্র কাহিনী বর্ণনা করছি । আপনি একমনে তা শ্রবণ করুন। পূর্বে মহর্ষি বশিষ্ঠ মহারাজ দিলীপের কৌতুহল নিবারণের জন্য এই ব্রত কথা কীর্তন করেছিলেন। ঋষি বশিষ্ঠ বলেন- হে মহারাজ। কামদা একাদশী তিথি পাপনাশক ও পুণ্যদায়িনী। পূর্বকালে মনোরম নাগপুরে স্বর্ণনির্মিত গৃহে বিষধর নাগেরা বাস করত। তাদের রাজা ছিলেন পুণ্ডরীক। গন্ধর্ব, কিন্নর ও অপ্সরাদের দ্বারা তিনি সেবিত হতেন। সেই পুরীমধ্যে অপ্সরা শ্রেষ্ঠ ললিতা ও ললিত নামে গন্ধর্ব স্বামী-স্ত্রী রূপে ঐশ্বর্য্যপূর্ণ এক গৃহে পরমসুখে দিনযাপন করত ।

একদিন পুণ্ডরীকের রাজসভায় ললিত একা গান করছিল। এমন সময় ললিতার কথা তার মনে পড়ল। ফলে সঙ্গীতের স্বর-লয়-তাল-মানের বিপর্যয় ঘটল। কর্কটক নামে এক নাগ ললিতের মনোভাব বুঝতে পারল। ব্যাপারটি সে পুণ্ডরীক রাজার কাছে জানাল । তা শুনে সর্পরাজ ক্রোধভরে কামাতুর ললিতকে-"রে দুর্মতি! তুমি রাক্ষস হও" বলে অভিশাপ দান করল। সঙ্গে সঙ্গে সেই ললিত ভয়ঙ্কর রাক্ষসমূর্তি ধারণ করল। তার হাত দশ যোজন বিস্তৃত, মুখ পর্বত গুহাতুল্য, চোখ দুটি প্রজ্বলিত আগুনের মতো, উর্ধ্বে আট যোজন বিস্তৃত প্রকাণ্ড এক শরীর সে লাভ করল। ললিতের এরকম ভয়ঙ্কর রাক্ষস শরীর দেখে ললিতা মহাদুঃখে চিন্তায় ব্যাকুল হলেন। স্বেচ্ছাচারী রাক্ষস ললিত দুর্গম বনে ভ্রমণ করতে লাগল। ললিতা কিন্তু তার সঙ্গ ত্যাগ করল না। ললিত নির্দয়ভাবে মানুষ ভক্ষণ করত। এই পাপের ফলে তার মনে বিন্দুমাত্র শান্তি ছিল না। পতির সেই দুরবস্থা দেখে ব্যথিত চিত্তে রোদন করতে করতে ললিতা গভীর বনে প্রবেশ করল। একদিন ললিতা বিন্ধ্যপর্বতে উপস্থিত হল। সেখানে ঋষ্যশৃঙ্গ মুনির আশ্রম দর্শন করে মুনির কাছে হাজির হল। তার চরণে প্রণাম করে সেখানে দাঁড়িয়ে রইল। মুনিবর জিজ্ঞাসা করলেন- "হে সুন্দরী! তুমি কে, কার কন্যা কি কারণেই বা এই গভীর বনে এসেছ ? তা সত্য করে বল। তদুত্তরে ললিতা বলল- "হে প্রভু ! আমি বীরধন্যা গন্ধর্বের কন্যা। আমার নাম ললিতা। আমার পতির পিশাচত্ব দূর হয় এমন কোন উপায় জানবার জন্য এখানে এসেছি।" তখনই ঋষি বললেন- "চৈত্র মাসের শুক্লপক্ষের কামদা নামে যে একাদশী আছে, তুমি সেই ব্রত যথাবিধি পালন কর। এই ব্রতের পুণ্যফল তোমার স্বামীকে অর্পণ করলে তৎক্ষণাৎ তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হবে। বশিষ্ঠ ঋষি বললেন- "হে মহারাজ দিলীপ! মুনির কথা শুনে ললিতা আনন্দ সহকারে কামদা একাদশী পালন করল। তারপর ব্রাহ্মণ ও বাসুদেবের সামনে পতির উদ্ধারের জন্য--"আমি যে কামদা একাদশীর ব্রত পালন করেছি, তার সমস্ত ফল আমার পতির উদ্দেশ্যে অর্পণ করলাম।" এই পুণ্যের প্রভাবে তাঁর পিশাচত্ব দূর হোক।" এই কথা উচ্চারণ মাত্রই ললিত শাপ মুক্ত হয়ে দিব্য দেহ প্রাপ্ত হলো। পুনরায় গন্ধর্ব দেহ লাভ করে ললিতার সাথে সে মিলিত হলো। তাঁরা বিমানে করে গন্ধর্বলোকে গমন করল।

হে মহারাজ দিলীপ এই ব্রত যত্নসহকারে সকলেরই পালন করা কর্তব্য। এই ব্রত ব্রহ্মহত্যা পাপবিনাশক এবং পিশাচত্ব মোচনকারী। এই ব্রত কথা শ্রদ্ধাপূর্বক পাঠ ও শ্রবণে বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয় ।

16/04/2024

🔹👉https://youtube.com/?si=wauwc0_d9Yz39enz

শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযত 📒 পাঠ করুন মানব জীবনের উদ্দেশ্য জানুন ?
ভগবান কে জানুন ?
সমস্ত জ্ঞান অর্জন করুন 😇
শ্রীমদ্ভগবদ্গীতা যথাযত 📒 কোন সাধারণ গ্ৰন্থ নয় হিন্দু সনাতন ধর্মের শ্রেষ্ঠ ধর্ম গ্ৰন্থ
এই গ্ৰন্থে সমস্ত জ্ঞান রয়েছে
এই গ্ৰন্থ পাঠ করে সারা বিশ্বের সমস্ত মানুষ তাদের জীবন পরিবর্তন করছেন আপনার
এই মানব জীবন পরিবর্তন করুন 👤🤩.
মানব জীবন সফল 🤵 করুন.
এই মানব জীবন ধন্য করুন 🛐🙇

Photos from Krishnendu Radha Krishna Devotees's post 16/04/2024

💥 শুভ শ্রীরাম নবমী ব্রত মহোৎসব ২০২৪ 💥
******************************************
🏵 আগামীকাল ১৭ ই এপ্রিল , বুধবার , ২০২৪ ইং , ৪ ঠা বৈশাখ , ১৪৩১ বঙ্গাব্দ l

💥 শুভ শ্রীরাম নবমী ব্রত পরমেশ্বর ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসবে সকল সাধু গুরু বৈষ্ণব গনের শ্রী চরণে জানাই কৃষ্ণময় শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন অগনিত ভক্তিপূর্ণ দন্ডবৎ প্রনাম l 🙏

💥 দুপুর পর্যন্ত উপবাস ।🙏
💥 অভিষেকঃ- মধ্যাহ্নে । 🙏

💥 শ্রীরামের প্রণাম মন্ত্র :--
----------------------------------------
রামায় রামচন্দ্রায় রামভদ্রায় বেধসে,
রঘুনাথায় নাথায় সীতায়াঃ পতয়ে নমঃ!!৷ 🙏

💥 সীতা মায়ের প্রণাম মন্ত্র :--
----------------------------------------
বন্দে রামহৃদম্ভোজ-প্রকাশাং জনকাত্মজাম্,
সত্রিবর্গ -পরমানন্দদায়িনীং ব্রক্ষরূপিণীম্!!🙏

🏵 শ্রীরামনবমী ব্রত মাহাত্ম্য :-
********************************************
💥 আগামীকাল রাম নবমী। চৈত্র মাসের শুক্ল পক্ষের নবমী তিথিতে জন্মগ্রহণ করেছিলেন রাম। এ বছর ১৭ এপ্রিল চৈত্র শুক্ল নবমী তিথি। এই তিথিতে রামের পূজার্চনার বিশেষ মাহাত্ম্য রয়েছে। পুত্র সন্তান লাভের কামনায় রাজা দশরথ পুত্রকামেষ্ঠি যজ্ঞ করিয়েছিলেন। সেই যজ্ঞের পরই রাম, ভরত, লক্ষ্মণ ও শত্রুঘ্নের জন্ম হয়। এ ছাড়াও রামের জীবনের সঙ্গে নানান চমকপ্রদ ঘটনা ও তথ্য জড়িত রয়েছে। 🙏

💥 নবরাত্রির নবম দিনে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে রামনবমী পালিত হয়। হিন্দুশাস্ত্রে এই দিনটির অনেক মাহাত্ম্য। মনে করা হয় অযোধ্যারাজ রাজা দশরথ ও রানি কৌশল্যার সন্তান হিসাবে এই দিন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের আবির্ভাব হয়।🙏

💥 তাই এই দিনটি রামনবমী হিসাবে পালন করা হয়। ভগবানের সপ্তম অবতার হলেন রামচন্দ্র। মনে করা হয় ভগবান পৃথিবীতে লঙ্কার রাজা রাবণকে শাস্তি দেওয়ার জন্যই মানব রূপে মর্ত্যে এসেছিলেন। রাবণ ছিলেন বরপ্রাপ্ত।🙏

💥 দেববতারা তাঁর বিরুদ্ধে লড়াই করে এঁটে উঠতে পারছিলেন না। তাই পরমেশ্বর ভগবান মানুষরূপে পৃথিবীতে এসে ধর্মরক্ষার জন্য রাবণকে যুদ্ধে পরাজিত করেন। সেই যুদ্ধে রাবণ প্রাণ হারান🙏

💥 ব্রত মানে ভক্তিপূর্বক পরমেশ্বরের আরাধনা করে তাকে শরণ করা-এটাই তার প্রতি শ্রদ্ধা ও ভালবাসা। ভগবান তার কোন সন্তান কে আলাদা করে দেখে না, শুধু ভগবান বিচার করে আমার সন্তান আমার প্রতি কি রকম ভালবাসা নিবেদন করে আর ভগবান অন্তিমে সেরকম ভালবাসা উপহার দিয়ে থাকেন।🙏

💥 শ্রীহরিভক্তিবিলাস শ্রীরামনবমী ব্রত।
অগস্ত্য-সংহিতায় লিখিত আছে, হে ব্রহ্মন্! চৈত্রের শুক্লা নবমী তিথিতে একমাত্র পরমব্রহ্ম রঘুকুলধুরন্ধর রাম আবির্ভূত হইয়াছিলেন, সুতরাং তদ্দিনে উপবাস-ব্রতাদির অনুষ্ঠান কর্তব্য।🙏

💥 দেবশ্রেষ্ঠ ইন্দ্রও সর্বদা রামনবমী ব্রত পালন করেন, কদাচ পরিত্যাগ করেন না। আরও লিখিত আছে, যে মূঢ়মতি রামনবমী সমাগত দেখিয়াও উপবাসী না থাকে, কুম্ভীপাক নরকে তাহাকে পচ্যমান হইতে হয়। মোহবশে রামনবমীতে আহার করিলে সেই মূঢ়মতি ভীষণ কুম্ভীপাকে পচ্যমান হয়,এতে সন্দেহ নাই।

💥 শ্রীরামনবমী ব্রত কোটিসূর্যগ্রহণ অপেক্ষা শ্রেষ্ঠ।এ মহাপূণ্যস্বরূপ রামনবমী-দিবসে ভক্তিসহকারে শ্রীরামের উদ্দেশ্যে যে কর্ম করা যায়,তাহাই ভববন্ধনের ছেদনের হেতু হয়।অতন্দ্রিত হইয়া শ্রীরামনবমীতে উপবাস থাকিলে সেই ব্যাক্তিকে আর জননীজঠরে প্রবিষ্ঠ হইতে হয় না এবং তিনি রঘুনাথের প্রিয় পাত্র হন।🙏

💥 উক্ত অগস্ত্য-সংহিতাতেই ব্যক্ত আছে, শ্রীরামনবমী কোটিসূর্যগ্রহণ অপেক্ষাও শ্রেষ্ঠ। ঐ মহাপুণ্যস্বরূপ শ্রীরামনবমী-দিবসে ভক্তি সহকারে রামের উদ্দেশ্য যে কোন কর্ম করা যায়, তাহাই ভববন্ধন-ছেদনের হেতু হয়। আরও লিখিত আছে, অতন্দ্রিত হইয়া শ্রীরামনবমীতে উপবাসী থাকিলে সেই ব্যক্তিকে আর জননীজঠরে প্রবিষ্ট হইতে হয় না এবং তিনি নিঃসন্দেহে রঘুনাথের প্রিয়পাত্র হন।🙏

💥 সকল ভক্তগণই এই ব্রত করা উচিত। একাদশী ব্রতের মতো পালন করতে হবে বা কেউ সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস করার পর অভিষেক করে চরণামৃত বা জল বা শরবত পেতে পারেন।🙏

💥 উপবাস এর অর্থ হলো উপ অর্থাৎ নিকটে,আর বাস অর্থাৎ অবস্থান করা,
সুতরাং ভগবানের নিকটে বসবাস করাকে উপবাস বলা হয়।🙏

💥 এইদিন শ্রীরামচরিত বর্ণনা,রামায়ন পাঠ,ভাগবত পাঠ,হরিনাম জপ,তুলসীতে জলদান করতে হবে।🙏

🏵 রামনবমী-ব্রতের বিধি :--
******************************************
💥 চৈত্রের শুক্লাষ্টমীতে ইন্দ্রিয়-সংযম পূর্বক দন্তধাবনান্তে বিধানে প্রাতঃস্নান করিবে। তদনন্তর দান্ত, কুটুম্বী, নিরন্তর বেদশাস্ত্র পরায়ণ, রামার্চনানিরত, সুশীল, দম্ভশূন্য, রামমন্ত্রের বিধিবেত্তা, কেবলমাত্র রামমন্ত্রের সাধক বিপ্রকে আহ্বান ও প্রার্থনা পূর্বক বলিবে, হে দ্বিজশ্রেষ্ঠ! আমি শ্রীরামমূর্তির অর্চনা করিব, এই বিষয়ে আপনিই শ্রীরঘুনাথস্বরূপ; সুতরাং প্রীতচিত্তে আচার্য্য-পদ গ্রহণ করুন। তদনন্তর ভূরি-প্রমিত সাত্ত্বিকান্ন ( সর্বদা বিশুদ্ধান্ন) দ্বারা আচার্য্যকে ভোজন করাইয়া স্বহৃদয়ে শ্রীরামচন্দ্রকে ধ্যান করিতে করিতে স্বয়ং আহার করিবে।

💥 জয় শ্রীরাম নবমী ব্রত মহোৎসব 💥

💥 জয় পরমেশ্বর ভগবান শ্রীরামচন্দ্রের শুভ আবির্ভাব তিথি মহোৎসব 🙏

🙏 জয় সীতারাম 🙏

💥 "হরেরনাম হরেরনাম হরেরনামৈব কেবলম
কলৌ নাস্তেব নাস্তেব নাস্তেব গতিরন্যথা।।"
🙏🙏🙏🙏

💥 হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে। 🙏
💥 হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।। 🙏

বাঞ্ছাকল্পতরুভ্যশ্চ কৃপাসিন্ধুভ্য এব চ।
পতিতানাং পাবনেভ্যা বৈষ্ণবেভ্যে নমো নমঃ ।।🙏

🙏 এই মহামন্ত্র জপ করুন

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Medinipur?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

#viralreelsfb #radhakrishnadevotees #shortsfeed #shortreels #bhagwatkatha #jamna @friends @follwers
#viralreelsfb #mayapurkirtanmela
THE BIGGEST TEMPLE IN THE WORLD 🌎😱🙂🫶 TOVP Mayapur vlog coming soon 🫶🥰❣️👍
#Narasimha
💥   সুসংবাদ 💥 সুসংবাদ 💥Tovp তে ভগবান নৃসিংহদেব বরণ করার আনুষ্ঠানিক প্রস্ততির মাহেন্দ্রক্ষণ।*****************************...
🦋শুধু সেই সময়ের অপেক্ষা 🥰 মহাপ্রভুর ভবিষ্যবাণী অবশ্যই সত্যি হবেই🙏    .......পৃথিবীতে আছে যত নগরাদী গ্রাম               ...
🦋যখন খারাপ সময়ে সবাই তোমার সঙ্গ ছেড়ে দেবে ঠিক তখন একবার পেছনের দিকে তাকিয়ে দেখবে এই মাতৃগর্ভ থাকাকালীন অবস্থা থেকে আজ...
🦋কাউকে বার বার ডাকলে সে রেগে যায়   কিন্তু আপনি বার বার ভগবানকে ডেকে দেখুন কৃষ্ণ অত্যন্ত খুশি হয়☺️ভগবান সবসময় প্রস্তুত...
রাধা অষ্টমী মহোৎসব, ব্রত সম্বন্ধে জানতে হলে দেখুন?
প্রেম সে বোলো                    রাধে রাধে ❤️🙏🏻💐
পদ্মিনী একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য সম্বন্ধে জানুন ?🙏🏻⬇️প্রেম সে বোলো                 রাধে রাধে ❤️🙏🏻❤️আজ (শনিবার) পদ্মিনী একাদ...

Telephone

Address


Medinipur
721140