Banwaribad Maharaja's High School
Nearby government services
742149
Near Alomsahi Ashram, Dhulian
Bjp Wb Murshidabad South Zp
742105
C Cid Bureau Crime Control Investigation Department Officials C Cid Bureau Murshidabad
742202
Murshidabad
You may also like
দেড়শত বছর অতিক্রান্ত অন্যতম প্রাচীন উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয় (বিজ্ঞান, কলা, বানিজ্য, কারিগরি বিভাগ সহ)।
বিদ্যালয়ের বৃত্তিমূলক বা ভকেশনাল বিভাগে পড়াশোনা করে আজ বহু ছাত্র - ছাত্রী ব্যবহারিক জীবনে প্রতিষ্ঠিত। জাতীয় শিক্ষানীতিতে বিশেষভাবে গুরুত্ব আরোপিত হয়েছে এই কারিগরি শিক্ষার ওপর। স্বভাবতই এবার ভর্তির চাপ যথেষ্ট বেশি, এদিকে আসন সংখ্যা সীমিত। তাই একপ্রকার বাধ্য হয়েই বিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ আগে এলে আগে ভর্তি -- নীতি নিয়েছেন। সময় নষ্ট বা মনে কোনোরকম দ্বিধা না রেখে চলে এসো --- আমাদের বিদ্যালয়ে বৃত্তিমূলক বিভাগে ভর্তির ফর্ম তুলতে। শুধু একটা কথা মনে রেখো, এখানে যা সুযোগ সুবিধা পাবে, কান্দি মহকুমার কোনো বিদ্যালয়ে তা পাবেনা। অতএব শুভস্য শীঘ্রম ........।
বিজ্ঞপ্তিঃ আগামী ১০ মে, ২০২৪ উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার মার্কশিট বিদ্যালয়ের অফিস থেকে দুপুর দুটোর সময় দেওয়া হবে। সঙ্গে উক্ত পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড অবশ্যই শিক্ষার্থীকে আনতে হবে।
বিজ্ঞপ্তিঃ
বিদ্যালয়ের মাধ্যমিক (২০২৪) উত্তীর্ণ বা অনুত্তীর্ণ শিক্ষার্থীদের উদ্দেশে জানানো হচ্ছে যে, সম্প্রতি প্রকাশিত মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফলে অসন্তুষ্ট ছাত্র - ছাত্রীরা স্ক্রুটিনি বা রিভিউ করতে ইচ্ছুক হলে, আগামী 04/05/2024 তারিখে,অবশ্যই তাদের বিদ্যালয়ের অফিসে যোগাযোগ করতে হবে। সময়ঃ বেলা সাড়ে এগারোটা।
সঙ্গে আনতে হবে প্রধান শিক্ষক মহাশয়ের প্রতি আবেদন পত্র ও মার্কশীট এর জেরক্স কপি।
প্রয়োজনীয় ফীজ লাগবে PPS (উত্তীর্ণ ছাত্র - ছাত্রীদের জন্য) (বিষয়প্রতি) --> 80/-
PPR (অনুত্তীর্ণ ছাত্র - ছাত্রীদের জন্য) (বিষয়প্রতি )--> 100/-
বিজ্ঞপ্তিঃ আগামী 03.05.2024 থেকে 06.05.2024 (রবিবার ব্যতীত) বিদ্যালয়ের অফিস থেকে বেলা 11 টা থেকে একাদশ শ্রেণির ভর্তির ফর্ম দেওয়া হবে। মূল্য -- চল্লিশ টাকা।
একাদশ শ্রেণির ভর্তির নির্ঘণ্টঃ-
তারিখ :-15/05/2024 FORM NO -->1-40
16/05/2024 FORM NO --> 41-80
17/05/2024 FORM NO --> 81-120
18/05/2024 FORM NO --> 121-160
ভর্তি ফীজ = 840 (LAB), 740 (NON LAB)
ভর্তির সময় সঙ্গে আনতে হবে --->
1. মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড এর জেরক্স।
2. মার্কশিট এর জেরক্স।
3. স্কুললিভিং সার্টিফিকেট।
4. ব্যাঙ্কের পাস বই এর প্রথম পাতার জেরক্স।
5. তপশিলি জাতি/ উপজাতির শংসাপত্র এর জেরক্স (যদি প্রয়োজনীয় হয়।)।
6. আঁধার কের্ড এর জেরক্স।
উল্লেখ্য, প্রত্যেক ছাত্র - ছাত্রীকে ভর্তির সময় অভিভাবক বা অভিভাবিকাকে সঙ্গে আনতে হবে।
ভর্তির সময় :- বেলা 11.00 থেকে 1.30. স্থান :- বিদ্যালয়ের অফিস। নির্দিষ্ট সময়ের পর আর কোনো ভর্তি হবেনা।
প্রকাশিত হল ২০২৪ মাধ্যমিক পরীক্ষার ফলাফল। এই ব্লকের মধ্যে মেধা তালিকায় উল্লেখযোগ্য স্থান অধিকার করল শতাব্দী প্রাচীন আমাদের বিদ্যালয়। মোট পরীক্ষার্থী ছিল ৯৬ জন, AA -- 01, A+ -- 01, A -- 21, B -- 30, B+ -- 28, C -- 13, D -- 02 . সর্বোচ্চ নম্বর প্রকৃতি পাঁজা, প্রাপ্ত নম্বর 657, পরবর্তী অন্বেষা রায়, প্রাপ্ত নম্বর 591. প্রত্যেক মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীকে বিদ্যালয় পরিবারের পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা ও শুভকামনা।
বিজ্ঞপ্তিঃ- আগামী ২ মে বিদ্যালয়ের অফিস থেকে ২:৩০ মিনিট হতে ২০২৪ এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের রেজাল্ট দেওয়া শুরু হবে। ছাত্র - ছাত্রীদের মাধ্যমিক পরীক্ষার অ্যাডমিট কার্ড সঙ্গে আনতে হবে। একাদশ শ্রেণিতে ভর্তি হতে ইচ্ছুক ছাত্র -ছাত্রীদের এই দিনই রেজাল্টের সাথে ভর্তির ফর্ম দেওয়া হবে। মূল্য: চল্লিশ (৪০/-) টাকা।
বিজ্ঞপ্তিঃ- ২০২৩-২০২৪ শিক্ষাবর্ষের, আগামী ২ মে মাধ্যমিক এবং ৮ মে উচ্চমাধ্যমিকের ফলাফল প্রকাশিত হতে চলেছে।
জরুরি বিজ্ঞপ্তিঃ আগামী ২৪.০৪.২০২৪ (বুধবার) ও ২৫.০৪.২০২৪ (বৃহস্পতিবার) একাদশ থেকে দ্বাদশ শ্রেণিতে উত্তীর্ণ ছাত্র - ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া সম্পন্ন হবে। সময়ঃ বেলা এগারোটা। ২৪.০৪.২৪ --- রোল ০১ থেকে ৪০ এবং ২৫.০৪.২৪ ---- রোল ৪১ থেকে ৮৯ পর্যন্ত ছাত্র -ছাত্রীদের ভর্তি প্রক্রিয়া চলবে। ভর্তি ফিঃ Lab base subjects: 600/ এবং Non Lab base subjects: 500/-. ২৫ এপ্রিলের পর আর কোনো ভর্তি হবেনা।
মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট প্রকাশের দিন একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির ফর্ম বিদ্যালয়ের অফিস থেকে দেওয়া হবে।
বিজ্ঞপ্তিঃ পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নির্দেশ অনুসারে জানানো হচ্ছে যে, বর্তমান তাপপ্রবাহের কারণে আগামী ২২.০৪.২৪ থেকে বিদ্যালয় বন্ধ থাকবে।
মহাভোজ - ২০২৪। প্রবীর বাবুর মৃত্যু এবং পবিত্র রমজান মাস চলার জন্য সরস্বতী পুজোর মহাভোজে এবার কিছুটা বিলম্ব হল। আজকের দাবদাহও ছিল সাংঘাতিক। তা সত্ত্বেও শিক্ষার্থীদের উৎসাহে কোনো ভাটা ছিলনা। তাদের উপস্থিতিও ছিল প্রচুর। শিক্ষক, শিক্ষাকর্মী থেকে পরিচালন সমিতির সদস্য বৃন্দ প্রত্যেকেই আন্তরিকভাবে আজকের অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করেছেন। ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক শ্রী মোতিলাল রানো মহাশয় নিজে, ছেলে মেয়েদের খাওয়ার সময় দীর্ঘক্ষণ ধরে দাঁড়িয়ে থেকেছেন তাদের পাশে। এই যে পাশে থাকা..... এটা যেন কখনো হারিয়ে না যায় আমাদের মধ্যে থেকে।
NATIONAL MEANS - CUM MERIT SCHOLARSHIP -2023 (NMMSE) পরীক্ষায় জেলায় প্রথম এবং রাজ্যে তৃতীয় হয়েছে বিদ্যালয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র শুভৈশ্বর্য রানো। আমরা শ্রীমানের উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
আজ ইতিহাস রচিত হল প্রান্তীয় বইমেলা কমিটির উদ্যোগে। স্বাধীনতার মুক্তি যুদ্ধের বিপ্লবী সশস্ত্র ধারার বীর সেনানী স্বর্গতঃ প্রাণগোপাল মুখোপাধ্যায়ের আবক্ষ মূর্তি প্রতিষ্ঠিত হল বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র উদ্যানে। একদা এই উদ্যোগ নিয়েছিলেন প্রাক্তন প্রধান শিক্ষক শ্রী বানীন্দ্রকুমার নাগ মহাশয়। সেদিনের বনোয়ারিবাদ না পারলেও আজ পেরেছে।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাণগোপালবাবুর কনিষ্ঠ পুত্র শ্রী স্বপন মুখোপাধ্যায়, পুত্রবধূ এবং নাতনী। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট গবেষক শ্রী কুনাল কান্তি সিংহরায়, যিনি বিপ্লবী প্রাণগোপাল মুখোপাধ্যায়ের অজানা অতীত দিনের স্মৃতিচারণ করেন। ছিলেন বিশিষ্ট সমাজসেবী শ্রী অমরচাঁদ কুন্ডু মহাশয়।
এই অনুষ্ঠান ঘিরে গ্রামবাসীর আবেগ ও আন্তরিকতা ছিল চোখে পড়ার মতো। আর হবে নাই বা কেন! এই প্রত্যন্ত গ্রামে থেকেও যুগান্তর দলের সদস্য পদ গ্রহণ পরবর্তীতে শচীন্দ্র স্যান্যালের সহযোগী হিসেবে বীরভূম ষড়যন্ত্র মামলার প্রধান কর্ণধার এবং আন্দামানের সেলুলার জেলের কুঠুরিতে দিনাতিপাত করা --- ঠিক যেন সংগ্রামী জীবনের একটি বৃত্ত রচিত হয়েছিল তাঁর জীবনকথাকে ঘিরে। এই মানুষটিকে সম্মান জানিয়ে তাম্রফলক প্রদান করেছিলেন তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী। তাঁকে নিয়ে মানুষ আবেগে ভাসবেনা, তাই কী হয়! স্বাভাবিকভাবেই কে আসেননি আজ! সুদূর দক্ষিণেশ্বর থেকে যেমন এসেছেন বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী লেখিকা মালা মুখোপাধ্যায় তেমনি অসুস্থ শরীরে উপস্থিত হয়েছেন প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী বিশ্বনাথ রানো মহোদয়। প্রাণের টানে এসেছেন পরিচালন সমিতির প্রাক্তন সভাপতি শ্রী সনৎ ঘোষ মহাশয়। স্কুল প্রাঙ্গণ ঠিক যেন তখন চাঁদের হাট।
সোনারুন্দি গ্রামের দ্বিতীয় বর্ষ বইমেলা জমে উঠেছে যাঁদের প্রচন্ড জেদ আর পরিশ্রমে সেই সুদিন, সুভাষ, সমিত, আশিষ, সঞ্জীব, দেবেন, দীপঙ্কর, মনোজিৎ, প্রদ্যুৎ, রবীনবাবুরা যে কী পরিমাণ সক্রিয় ছিলেন কয়েক সপ্তাহ জুড়ে না দেখলে ভাবা যায়না। আজও তার ব্যতিক্রম নয়। আবক্ষ মূর্তির ওপর থেকে পর্দা যখন উন্মোচিত হচ্ছে তখন প্রদীপ প্রজ্জ্বলন থেকে শঙ্খধ্বনি সবই এঁরা সামলেছেন আন্তরিক উদ্যোগে। প্রান্তীয় বইমেলা কমিটির কুশীলবদের কয়েক মাসের হাড় ভাঙ্গা খাটুনির পর যখন সমস্ত অনুষ্ঠান সুন্দরভাবে সুসম্পন্ন হল , তখন আবেগের আতিশয্যে প্রত্যেকেই ভেসেছেন চোখের জলে, ঠিক যেমনভাবে ধরিত্রীর বুকে বৃষ্টি নামে।
সদ্য প্রয়াত প্রাক্তন শিক্ষক সুনীল কুমার মিত্রের স্মৃতির প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে আজ বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত হল স্মরণসভা। (চিত্রঋণঃ বরাবরের মতোই শ্রী অভিজিৎ খাঁড়া)
জীববিদ্যার শিক্ষক হিসেবে পড়াতে এসেছিলেন তাঁর মাতুলালয়ের এই গ্রামের বিদ্যালয়ে, স্বর্গতঃ ভৈরব নাথ ঘোষ মহাশয়ের আমন্ত্রণে, পরে ইংরেজি সাহিত্যে মাষ্টার্স করেছিলেন। কিন্তু যে বিষয়ে পুঁথিগত ডিগ্রি অর্জন করেননি, সম্ভবতঃ সেখানেই সবচেয়ে স্বচ্ছন্দ ছিলেন সুনীলবাবু -- তা হল তাঁর খেলার প্রতি অপরিসীম ভালোবাসা। প্রতি বিকেলে স্কুল ছুটির পর ছাত্রদের নিয়ে মাঠে নামতেন তিনি। কোনো অন্যথা হবার জো ছিলনা। বল, ড্রেস, খেলার বুট মায় বিরতির টিফিন সব খরচ তাঁর .... শর্ত একটাই .... খেলতে আসতে হবে। ওখানে কোনো শৈথিল্য বরদাস্ত করা হবেনা। এই ছিলেন সুনীলবাবু। এইরকম কিছু শিক্ষকের জন্যই বোধহয় তৈরি হয়েছে অমূল্য তিনটি শব্দ -- মানুষ গড়ার কারিগর।
তাঁর ক্লাস কখনো কোলাহল মুখর হতনা। চেয়ারে পা মুড়ে বসে পড়াতেন অনেকটা বৈঠকী ঢংয়ে। কাউকে কখনো প্রহার করা কিংবা রক্তচক্ষু প্রদর্শন --- কোনোদিন তাঁকে এভাবে দেখেনি ছেলে - মেয়েরা। কোনোদিন কাউকে শাসন করলে পরের দিন কাছে ডেকে নিতেন। কিছুটা হাসি ঠাট্টায় হাল্কা করে দিতে চাইতেন তাকে। কিন্তু এই মানুষটাই ছিলেন ভীষণ রকম জেদী এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদী। পাকা চুল আর অবসরে হাতে চারমিনার -- এই ছিল তাঁর চেনা ব্র্যান্ড। একবার স্মৃতিচারণে বলেছিলেন --- " বড়ো ছুটিতে অনেকবার ভেবেছি, আর কারো সাথে কোনো দ্বন্দ্বে যাবনা .... বোবার তো শত্রু নেই। এবার জন্ম নেবে এক নতুন সুনীল মিত্র, কিন্তু পারিনি। কয়লা ধুলে যেমন ময়লা যায়না, তেমনি অন্যায় দেখে চুপ করে থাকা আমার পক্ষে সম্ভব নয়।"
অবসরের পর তাঁর সাধের তরুভবন ছেড়ে আশ্রয় নিয়েছিলেন কলকাতায়। তবুও বারবার আসতে চাইতেন সোনারুন্দিতে। শেষ এসেছিলেন বছর খানেক আগে। বললেন, "কে বলে আমি স্কুলে নেই, যেভাবে ভালোবাসা পেলাম, মনে হল আমি এখনো এখানেই আছি। এই তো কিছুক্ষণ পরই স্কুল শেষ করে মাঠে নামব।" শেষ দিকে অক্সিজেন সঙ্গী করে চলতে হত তাঁকে .... একদা যিনি অক্সিজেন যুগিয়েছেন বহুজনকে। বিদ্যালয়ের একশো ষাট বছর উদযাপন উপলক্ষ্যে আসতে চেয়েছিলেন। ''যদি তোমরা পারমিশন দাও কিছু বলব ......'' পিয়ারলেস হাসপাতালের আই সি ইউ তে শুয়ে এটাই শেষ আকুতি ছিল মাষ্টারমশাইয়ের। স্কুল চাইল .... শুধু তাঁর সময় হলনা। মহাকাল তাঁকে নিয়ে রওনা দিল অনন্ত লোকের দিকে। ভালো থাকবেন মাষ্টারমশাই। যদি পরজন্ম বলে কিছু থাকে .... আবার আসবেন বনোয়ারিবাদ মহারাজার উচ্চ বিদ্যালয়ে। অবশ্যই শিক্ষক হয়ে।
বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক শ্রী সুনীল কুমার মিত্র প্রয়াত।
বিজ্ঞানের জয়জয়কার, সেইসঙ্গে এবার জেলায় বিদ্যালয়েরও জয়জয়কার। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মেধা অন্বেষণ পরীক্ষায় এবছর মুর্শিদাবাদ জেলায় পঞ্চম স্থান অধিকার করেছে আমাদের নবম শ্রেণির ছাত্র শুভৈশ্চর্য রানো। আজ পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানে তার হাতে পুরস্কার তুলে দিলেন খড়গপুর আই আই টি কলেজের বিজ্ঞানী ডঃ মানস প্রতিম দাস মহোদয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য গুণীজন।
আরএকবার প্রমাণিত হল, আমাদের ব্লকের কোথাও কোথাও মাধ্যমিক-উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে যেভাবে ছিনিমিনি খেলা চলছে, সেখানে এক উজ্জ্বল ব্যতিক্রম বনোয়ারিবাদ মহারাজার উচ্চবিদ্যালয়, যেখানে মেধার সাথে আপোষ করা হয়না। এই ট্র্যাডিশন দীর্ঘজীবী হোক।
জনস্বাস্থ্য কারিগরী দপ্তর আয়োজিত 'জল জীবন মিশন' এর ওপর একটি মনোজ্ঞ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হল আজ বিদ্যালয়ের গোবিন্দ দেব বাহাদুর নামাঙ্কিত মুক্ত মঞ্চে। অনুষ্ঠানে ছাত্র - ছাত্রী সহ শিক্ষক মশাইদের উপস্থিতি ছিল যথেষ্ট। শুরুতেই আজকের দিনের প্রাসঙ্গিকতা সম্পর্কে উল্লেখ করে ভাষা শহিদদের স্মৃতিতে বক্তব্য রাখেন বিদ্যালয়ের শিক্ষক শ্রী কৌশিক মুখোপাধ্যায় মহাশয়।
জলস্তরের কীভাবে ক্রমাগত পরিবর্তন হচ্ছে এবং মানব সভ্যতার পক্ষে তা কতখানি ভয়ঙ্কর হয়ে উঠছে -- এ সম্পর্কে উদ্যোক্তাদের পক্ষ থেকে সচেতন করা হয়। এই উপলক্ষ্যে একটি ছোট্ট নাটিকাও মঞ্চস্থ হয়। অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন বিদ্যালয়ের বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী মোতিলাল রানো মহাশয়।
সরস্বতী পুজো -- ২০২৪। ছাত্র - ছাত্রীদের উৎসাহ, উদ্দীপনায় ভর করে মায়ের আবাহন হল আজ বিদ্যালয়ে।
একজন শিক্ষকের চাকরি জীবনের পর্যায়ক্রমিক যদি গ্রাফ আঁকা যায় ........ নিশ্চিত, অধিকাংশ ক্ষেত্রে সে আঁকিবুকির রেখা হবে নিম্নমুখী। বয়সের ভারে, সমাজের শাসনে অথবা একান্ত পারিবারিক বিরামে --- হয়তো এটাই প্রাকৃতিক নিয়ম। ব্যতিক্রম মিশ্র বাড়ির এই মানুষটি, যিনি অমল আলোয় এখনো আলোকিত।
আসেন নিয়মকরে। শিক্ষক টানাটানির এই বিদ্যালয় নামক 'অভাবের সংসারে' ক্লাসও নেন রোজ এবং অবশ্যই বিনা পারিশ্রমিকে। আজ একটু অবসর পেতেই ডেকে নিলেন সুব্রত ঘোষ মশাইকে। বেশ কিছু ব্যাগ বন্দী অবস্থায় দীর্ঘদিন পড়েছিল। যে সমস্ত ছেলে মেয়েদের ব্যাগ একদম ছিঁড়ে গেছে এবং স্কুল থেকে কোনো কারণে ব্যাগ পায়নি, তাদের হাতে তুলে দিলেন। না, মানুষটার শুধু মেরুদন্ড যে ঋজু তাই নয়, চোখও এখন পর্যন্ত সমান সজীব.......।
ছাত্র - ছাত্রী এবং সহকর্মীদের কাছে তাঁর পরিচয় 'বিশ্বকর্মার বরপুত্র' হিসেবে, বস্তুতঃ প্রযুক্তিকে এমনিভাবেই আত্মস্থ করেছেন তিনি। আচার্য শ্রী অভিজিৎ খাঁড়া। বিদ্যালয়ের নোটিশবোর্ড থেকে ষ্টাফরুমের দেওয়াল -- সর্বত্রই তাঁর হাতের পরশে অন্য মাত্রা পেয়েছে বহুবার। কাটোয়ার ভারতীভবন স্কুলের পঁচাত্তর বছর উদযাপনের কার্ড প্রস্তুতিতেও তাঁর ডাক এসেছে। বিদ্যালয়ে পালনীয় ২৬ জানুয়ারি, ১৫ আগষ্টের অনুষ্ঠানে দেশাত্মবোধক কোনো পোষ্টার, পতাকার অলঙ্করণ বা ছবি যদি আপনার নজরে পড়ে নিশ্চিত জানবেন আর কেউ নয়, মূল কারিগর শ্রী অভিজিৎ বাবুই।
মাধ্যমিক পরীক্ষা নিয়ে ব্যস্ততার ফাঁকে একদিন এসেছিলেন বিদ্যালয়ে। অধুনা প্রবীরবাবুর হাত ধরে বিদ্যালয়ের ছ'টি কক্ষ মডেল ক্লাসরুম হিসেবে সেজে উঠেছে। বসেছে প্রোজেক্টর সহ হোয়াইট বোর্ড এবং কম্পিউটার। অভিজিৎ বাবু এইদিন তার পূর্ণ সদ্ব্যবহার করলেন। এই ব্লকের অন্যান্য স্কুল যেখানে এই যন্ত্রগুলোকে অকার্যকর করে রেখেছে শুধু নয়, নষ্ট হয়ে যাওয়ার অমোঘ প্রতীক্ষায় রয়েছে, সেখানে তাঁর এই উদ্যোগ অসাধারণ বৈকি।
ছাত্র - ছাত্রীদের অডিও ভিস্যুয়াল পদ্ধতিতে ক্লাস শুরু করলেন তিনি। প্রযুক্তির জয়জয়কার। চোখের সামনে জীবন্ত ভৌগোলিক উপাদান সঙ্গে জলদগম্ভীর আওয়াজ, ঝকঝকে ছবি প্রত্যক্ষ করে শিক্ষার্থীরা সকলেই আপ্লুত। বর্তমান ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী মোতিলাল রানো মহাশয়ও ভীষণ খুশি ছেলে মেয়েদের প্রতিক্রিয়া দেখে। খুশি অন্যান্য শিক্ষকেরাও। দিনের শেষে ক্লান্তিহীন অভিজিৎ বাবুর ঘোষণা --- "অন্যান্য বিষয় শিক্ষকেরাও আমাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের ভিডিও বা ছবি দিন। আমি সাধ্যমতো ভিডিও তৈরি করব .... ছেলে মেয়েদের জন্য। এতে পড়ার প্রতি ওদের আকর্ষণ আরো বাড়বে।" আসুন, সকলে মিলে অভিজিৎ বাবুর উদ্দেশে একবার বলি --- নমস্কার।
আজ তাঁর কর্মজীবন শেষ করলেন শ্রী অমল মিশ্র। এক ঘরোয়া বৈঠকে তাঁর হাতে পুষ্প স্তবক, কলম ও মিষ্টান্ন তুলে দিলেন বিদ্যালয়ের পরিচালন সমিতির সভাপতি শ্রী রাজেশ নন্দী, ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী মোতিলাল রানো এবং সহশিক্ষক শ্রী কৌশিক মুখোপাধ্যায় ও শ্রী অভিজিৎ খাঁড়া। অমলবাবুর ঊনিশ বছরের কর্মজীবন সম্পর্কে স্মৃতিচারণ করলেন কর্মী পরিষদের সম্পাদক শ্রী কৃষ্ণেন্দু পোদ্দার, সহশিক্ষক শ্রী কৌশিক মুখোপাধ্যায় এবং ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক শ্রী মোতিলাল রানো মহাশয়।
জরুরি নোটিশঃ- আগামীকাল (০১.০২.২০২৪) বৃহস্পতিবার, ২০২৪ - এর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের অফিস থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে। সাথে রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট অবশ্যই আনতে হবে। কোনো ফীজ লাগবেনা। সময়ঃ- বেলা এগারোটা।
"এই জনমের এই রূপের এই খেলা, এবার করি শেষ; সন্ধ্যা হল ফুরিয়ে এল বেলা, বদল করি বেশ।" --- হে সৌম্য, কালের যাত্রাপথে বিদায় .....।
২৬ জানুয়ারি, দেশের ৭৫ তম প্রজাতন্ত্র দিবস উপলক্ষ্যে বিদ্যালয়ের রবীন্দ্র উদ্যানে ত্রিবর্ণ রঞ্জিত পতাকা উত্তোলন করলেন প্রবীণ শিক্ষক শ্রী মোতিলাল রানো মহাশয়। উপস্থিত ছিলেন অন্যান্য শিক্ষক এবং শিক্ষাকর্মী বৃন্দ। অনুষ্ঠান শেষে ছাত্র - ছাত্রীদের হাতে তুলে দেওয়া হয় বিস্কুট - লজেন্স। দেশের বীর শহীদদের স্মৃতিচারণ করা হয় আজকের অনুষ্ঠানে।
বিপর্যয়ের পর খানিক স্বস্তির ছবি .... আমাদের ক্যানভাসে। বিদ্যালয় এখনো অভিভাবকহীন কিন্তু থেমে নেই তার জয়যাত্রা। হয়তো এই গতিময়তাই জীবন। আজ ছিল জাতীয় ভোটাধিকার দিবস (National Voters Day). ভোটারদের সচেতনতা ফেরানোই লক্ষ্য। এই উপলক্ষ্যে ব্লক এবং জেলা স্তরে ছাত্র - ছাত্রীদের নিয়ে বিভিন্ন প্রতিযোগিতার আয়োজন করেছিল নির্বাচন কমিশন।
ভরতপুর-২ ব্লকে অঙ্কন প্রতিযোগিতায় প্রথম হয়েছিল আমাদের বিদ্যালয়ের দ্বাদশ শ্রেণির ছাত্রী সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়। বস্তুতঃ সঙ্গীতা শুধু ভালো অঙ্কনশিল্পী নয়, শিল্পী সত্তা রয়েছে তার রক্তে। সেই তাগিদ থেকেই সে আঁকতে ভালোবাসে। ব্লকে বিতর্ক প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অধিকার করেছে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী সুদীপা ঘোষ এবং তৃতীয় স্থান অধিকার করেছে একাদশ শ্রেণির ছাত্রী বৃষ্টি দাঁ। আরো একবার প্রমাণিত তিন কন্যারত্নের জয়যাত্রা। আজ এরা প্রত্যেকেই ব্লকস্তরে পুরষ্কৃত হয়েছে।
আজ জেলা স্তরে অঙ্কন প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছিল ভরতপুর-২ ব্লকের প্রথম স্থানাধিকারী, আমাদের ছাত্রী সঙ্গীতা চট্টোপাধ্যায়। সে জেলাস্তরে তৃতীয় স্থান অধিকার করে শুধু আমাদের বিদ্যালয় বা ভরতপুর-২ ব্লকের নাম উজ্জ্বল করেনি, কান্দি মহকুমার নামও গৌরবান্বিত করেছে। আজ খবরটা আসার পর মনে পড়ে যাচ্ছিল একটা পুরোনো ছবি ---- স্কুলের কোনো এক অনুষ্ঠানে সঙ্গীতা তন্ময় হয়ে মাটিতে বসে ছবি আঁকছে, পেছনে এসে দাঁড়িয়েছেন ভারপ্রাপ্ত শিক্ষক প্রবীরবাবু। ইশারায় ওকে ডেকে, ছেড়ে দিলেন নিজের টেবিল ..... হ্যাঁ ছবি আঁকার জন্য। নিজে উঠে বাইরে চলে এলেন। শিক্ষক - শিক্ষার্থীর আন্তরিকতা হয়তো এই পর্যায়ে না গেলে শিল্প তৈরি হয়না ...... সঙ্গীতা কিছুদিন পরই বিদ্যালয়ের প্রাক্তন ছাত্রী হয়ে যাবে কিন্তু মনের গহীনে সে চিরকাল লালন করবে একটাই নাম .... Banwaribad Maharaja's High School . সঙ্গীতা, সুদীপা, বৃষ্টি ... তোমরা এগিয়ে চলো সমুখপানে। আমাদের বিদ্যালয় পরিবারের শুভেচ্ছা রইল তোমাদের প্রত্যেকের জন্য।
জরুরি নোটিশঃ- আগামীকাল (২৫.০১.২০২৪) বৃহস্পতিবার, ২০২৪ - এর মাধ্যমিক পরীক্ষার্থীদের বিদ্যালয়ের অফিস থেকে অ্যাডমিট কার্ড দেওয়া হবে। সাথে রেজিষ্ট্রেশন সার্টিফিকেট অবশ্যই আনতে হবে। কোনো ফীজ লাগবেনা। সময়ঃ- বেলা এগারোটা।
"নয়ন সমুখে তুমি নাই ........নয়নের মাঝখানে নিয়েছো যে ঠাঁই।" কালের নিয়মে মনুষ্য জীবনের পরিসমাপ্তি ঘটে, কিন্তু বেঁচে থাকে তাঁর কীর্তি .... তাঁর জনপ্রিয়তা .... সর্বোপরি সে নিজে। আজ তৃতীয় পর্বের পর বিদ্যালয়ে অনুষ্ঠিত শোকসভায় নিজে উপস্থিত না থেকেও প্রত্যেকের মনের মণিকোঠায় স্থান করে নিলেন যিনি, তিনি শ্রী প্রবীর কুমার ঘোষ। এ যেন তাঁর প্রয়াণ নয় ...... নতুন করে অধিষ্ঠান।
এই লেখা যখন আমরা লিখছি .... তখন বরফাবৃত হিমঘরে শায়িত আছে পঙ্কজবাবুর নিথর দেহ। চব্বিশ ঘণ্টা পর পঞ্চভূতে বিলীন হয়ে যাবে তাঁর নশ্বর শরীর। বাইরে অসংখ্য গুণমুগ্ধ-আত্মীয়-বন্ধু-ছাত্র-ছাত্রী শুভানুধ্যায়ীর অশ্রুভেজা আর্তনাদ চলছে .... কিছুটা হাহাকারের মতো। বড়ো অকালে চলে গেলেন মানুষটা, যিনি শুধু স্বপ্ন দেখতে জানতেননা, স্বপ্ন দেখাতে জানতেন। এই শূণ্যতা সহজে মেটার নয় ..... শূণ্যতা যত গভীর হবে ততই তাঁকে ঘিরে চর্চা প্রবল হবে। এখানেই ওঁর সাফল্য। এখানেই ওঁর প্রাসঙ্গিকতা।
সবাই জানেন, প্রবীরবাবু শুধু জীববিজ্ঞানের শিক্ষকতার পরিসরে সীমাবদ্ধ রাখেননি নিজেকে, একদিকে যেমন বিস্তীর্ণ করেছিলেন নিজেকে সংস্কৃতি চর্চার অঙ্গনে তেমনি বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও অভিভাবকদের দিকে বাড়িয়ে দিয়েছিলেন সহযোগিতার দক্ষিণ হস্ত। রক্ষণশীলতাকে ঝেড়ে ফেলে নতুনকে গ্রহণ করার মতো ঔদার্য তাঁর মতো কম জনেরই ছিল। শুধু বড়ো মনের মানুষদের পক্ষেই বোধহয় এতটা প্রাগ্রসর হওয়া সম্ভব।
শেষদিকে অসুস্থতা জনিত কারণে রোজ আসতে পারতেন না স্কুলে, কিন্তু যেকোনো সময় তিনি আসবেন বলে আমাদের প্রতীক্ষা চলতোই। প্রতি সন্ধ্যায় তাঁর সহকর্মীদের কাছ থেকে ফোনে জানতেন বিদ্যালয়ের হালহকিকত। প্রায় ভেঙ্গে পড়া শরীরে কষ্ট করেই আসতেন, লাঠি ভরসা করে। প্রতিষ্ঠানের ভালো দেখলে চিক্ চিক্ করে উঠত তাঁর চোখের কোণ। আবেগ ছিল ওঁর সহজাত। গতকালও তৈরি হচ্ছিলেন স্কুলে আসবেন বলে, শেষ মুহূর্তে পারেননি। তবে আজ এলেন, নায়কোচিত ভঙ্গীতে, শেষবারের মতো। আর কোনোদিন তাঁকে ঘিরে আমাদের প্রতীক্ষা করতে হবেনা।
"বলো শান্তি, বলো শান্তি, দেহ সাথে সব ক্লান্তি পুড়ে হোক ছাই।"
অনিবার্য কারণ বশতঃ আগামী ২৪ জানুয়ারির বৈঠক বাতিল করা হল। পরবর্তী বৈঠকের তারিখ পরে ঘোষিত হবে।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Contact the organization
Telephone
Website
Address
P. O//Banwaribad Raj, P. S//Salar, Pin/-
Murshidabad
713123
Kishan Mandi, Amtala
Murshidabad, 742121
An Official page of Nowda block Agriculture Department, Murshidabad District.
Murshidabad, 742135
this page any information here. that government service, government scheme, government news
KAMAL KUMARI DEVI MODEL SCHOOL, HARIDAS NAGAR, RAGHUNATHGANJ NEAR NIRMAN BRICKS FIELDS PVT LTD
Murshidabad, 742225
Kamal Kumari Devi Model School is a English CBSE institute with a non-profit making charitable trust to impart the best education to a child. It is managed by a group of profession...
Murshidabad, 742406
Human Rights force this is our Manav Adhikar Commission any Indian citizen people any problem face for help for human rights force