United Web Satsang - Zoom
DP WORK(দীক্ষা পত্রের কাজ) Our YouTube Channel
https://www.youtube.com/c/UNITEDWEBSATSANGZOOMYOUTUBE/live
ভালোবাসা কি জানেন?
এক বৃদ্ধা মহিলার সাক্ষাৎকার শুনুন।
যিনি তাঁর স্বামীর সাথে সফলতার সাথে কাটিয়ে দিলেন দীর্ঘ পঞ্চাশটি বছর। তাদের জীবন শান্তিতে ভরপুর ছিল। ঝগড়া তো দুরের কথা, দাম্পত্য জীবনে কখনো কথা কাটাকাটি পর্যন্ত হয়নি।
একজন সাংবাদিক এই বৃদ্ধার কাছে তার পঞ্চাশ বছরের স্থায়ী সফলতার রহস্যের ব্যপারে জানতে চাইলেন।
কী ছিল সে রহস্য? মজার মজার খাবার বানানো? দৈহিক সৌন্দর্য? বেশী সন্তান জন্ম দেয়া? নাকি অন্যকিছু?
বৃদ্ধা বললেন, দাম্পত্য জীবনের সুখ শান্তি প্রথমত ভগবানের ইচ্ছা তারপর স্ত্রীর হাতেই। একজন স্ত্রী চাইলে তার ঘরটাকে পবিত্র বানাতে পারেন আবার চাইলে এটাকে নরকেও পরিনত করতে পারেন।
কীভাবে? অর্থ দিয়ে? তা তো হতে পারে না। কেননা অনেক অর্থশালী মহিলা আছেন, যাদের জীবনে দুঃখ দুর্দশার শেষ নেই, যাদের স্বামী তাদের কাছেই ভিড়তে চান না।
সন্তান জন্ম দান? না, তাও নয়। কারণ, অনেক মহিলা আছেন, যাদের অনেক সন্তান আছে, অথচ স্বামী পছন্দ করেননা। এমনকি এ অবস্থায় ডিভোর্স দেওয়ার নজিরও কম নয়।
ভালো খাবার বানানো? এটাও না, কারণ অনেক মহিলা আছেন, যারা রান্না বান্নায় বেশ দক্ষ, সারা দিন রান্না ঘরে কাজ করে, অথচ স্বামীর দুর্ব্যবহারের সম্মুখীন হন।
তার কথায় সাংবাদিক বিস্মিত হয়ে গেলেন। বললেন, তাহলে আসল রহস্যটা কী?
বৃদ্ধা বললেন, যখনই আমার স্বামী রেগে গিয়ে আমাকে বকাবকি করতেন, আমি অত্যন্ত সম্মান দেখিয়ে নিরবতা অবলম্বন করতাম এবং অনুতপ্ত হয়ে মাথা দুলিয়ে তার প্রতিটি কথায় সায় দিতাম।
সাবধান! বিদ্রুপের দৃষ্টিতে কখনো চুপ হয়ে থেকো না, কেননা পুরুষ মানুষ বিচক্ষণ হয়ে থাকে, এটা সহজেই বুঝতে পারে।
সাংবাদিক: ঐ সময় আপনি ঘর থেকে বের হয়ে যান না কেন?
বৃদ্ধা: সাবধান! সেটা কখনো করবেননা। তখন তিনি মনে করবেন, আপনি তাঁর কথায় বিরক্ত হয়ে পালাতে চাচ্ছেন। আপনার উচিত, চুপ থেকে ওর প্রতিটি কথায় হা সুচক সায় দেওয়া, যতক্ষণ না তিনি শান্ত হন।
অতপর আমি তাকে বলি, আপনার শেষ হয়েছে? এবার আমি যেতে পারি? তারপর আমি চলে যাই, আর আপন কাজে লেগে যাই। কারণ চিৎকার করে তিনি ক্লান্ত হয়ে পড়েছেন, তার বিশ্রাম প্রয়োজন।
সাংবাদিক: এরপর কি করেন? এক সপ্তাহ খানেক তার থেকে দূরে থাকেন, এবং কথা বলা বন্ধ রাখেন নিশ্চয়?
বৃদ্ধা: সাবধান! এধরনের বদভ্যাস থেকে দূরে থাকুন।
যা দুধারী তরবারির চেয়েও মারাত্মক। স্বামী যখন আপনার সাথে আপোষ করতে চান তখন যদি আপনি তার কাছে না যান, তখন তিনি একা থাকতে অভ্যস্ত হয়ে যাবেন। কখনো কখনো এ অবস্থা তাকে প্রচন্ড জিদের দিকে ঠেলে দেবে।
সাংবাদিক: তাহলে কি করবেন তখন?
বৃদ্ধা: দুই ঘন্টা পর এক গ্লাস দুধ বা এক কাপ গরম চা নিয়ে তার কাছে যাই, আর বলি, নিন, এগুলো খেয়ে নিন, আপনি খুব ক্লান্ত। এসময় তার সাথে অত্যন্ত স্বাভাবিক ভাবেই কথা বলি। তারপর তিনি বলেন, রাগ করেছো? আমি বলি, না।
তারপর, তার দূর্ব্যবহারে দুঃখ প্রকাশ করেন এবং স্নেহ ও ভালোবাসার কথা বলেন।
সাংবাদিক: আপনি কি তার কথা তখন বিশ্বাস করেন?
বৃদ্ধা: অবশ্যই। কেন নয়? শান্ত থাকা অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস না করে, রাগান্বিত অবস্থায় যা বলেন তা বিশ্বাস করব?
সাংবাদিক: তাহলে আপনার ব্যক্তিত্ব?
বৃদ্ধা: আমার স্বামীর সন্তুষ্টিই আমার ব্যক্তিত্ব। আমাদের স্বচ্ছ সম্পর্কই আমাদের ব্যক্তিত্ব। আর স্বামী স্ত্রীর মধ্যে কোন ব্যক্তিত্ব থাকে না।
@সংগ্রহীত
#ভালোবাসা #প্রেম #স্বামী #স্ত্রী #প্রেমিক #প্রেমিকা #ভাইরাল #বাঙালী
#এক দাদা নিবেদন করে বললেন তার ছেলে কথা শোনে না!
"জন্মানোর সময় লিখে দিয়েছিল সে কথা শুনবে? কথা শোনানোর অবস্থাটা নিজের আচার-ব্যবহার দিয়ে করতে হয়। সার্কাসে রিং মাস্টার হিংস্র জন্তুদের নিয়ে খেলা দেখায়। হাতে হাতে তাদের মধ্যে থেকে যা নির্দেশ দেয় তাই শোনে। তার পিছনে তার করা থাকে, তাদের দীর্ঘদিন ধরে শেখায়। দেখতে হয়, নদীর পাড় ভেঙে গতিটাকে যেন অন্য দিকে না নিয়ে যায়, এইটুকুই দেখার, তাহলেই সে গন্তব্যে পৌছাবে। কিন্তু আমি নির্দেশ দেব আর সে শুনবে এরকম কখনও হয় না। আমি কি military commander? আর সে আমার সহযোগী? যে যা বলব তাই শুনবে?"
~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
[স্থান - বড়দা বাড়ি নাটমন্ডপ]
(আলোচনা: আষাঢ় ১৪৩০,, জুলাই, ২০২৩)
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
[পরবর্তী এইরকম পোষ্ট পেতে আমার এই Channel গুলিকে Subscribe করুন!]
Satsang Kendra, Ranaghat
. তাঁর সাথে দীক্ষাপরিক্রমায় চলেছি | পুরুলিয়ায় প্রবেশ করলাম আমরা | তাঁর পদার্পণের প্রতীক্ষায় অধীর জনসমুদ্র | তা'র মধ্যে হঠাৎই কোথা থেকে কলবল করতে - করতে একটা " কিচ্ছু মানি না' - ধরনের বিপ্লবী কলেজ পড়ুয়ার দল এসে হাজির | ----- ' কোথায় বাবাইদা ? উনি নাকি ধর্মপ্রচারে বেরিয়েছেন ? হাজার - হাজার দীক্ষা দিচ্ছেন ? দীক্ষা দিয়ে লোকের মাছ - মাংস খাওয়া বন্ধ ক'রে দিচ্ছেন ? এসব ক'রে কি মানুষের ভাত - কাপড়ের কিছু বন্দোবস্ত হবে? আমরা ওনার কাছে জানতে চাই |' ইত্যাদি আরো নানা আপত্তিকর কথা ব'লে তা' রা উত্তেজিত চিৎকার করতে লাগল |
এর মিনিট -- পাঁচেকের মধ্যেই ধীরপ্রশান্ত গতিতে দীক্ষাঙ্গনে প্রবেশ করলেন আচার্য্যদেব | শুধু তাঁকে দে' খে ..... শুধু মাত্র দে' খেই ওই উন্মত্ত তরুনদের সব উচ্ছাস শান্ত হয়ে গেল নিমিষে | চোখমুখের ভাবভঙ্গীই পাল্টে গেল | তাদের পাথরে - গড়া মূর্তির মত নিশ্চল দঙ্গলের সামনে দিয়ে রাজহস্তীর মত পা ফে' লে দীক্ষামন্ডলে ঢুকে গেলেন দাদা |
কিছুক্ষণ বাদে হুঁশ ফিরলে' পর তাদের ভিতর থেকে নেতা - গোছের ছেলেটি নিজেই এগিয়ে এসে আমাদের জিজ্ঞেস করছে ' আচ্ছা দাদা, দীক্ষা নিতে গেলে কী করতে হবে ? ----- শুধুমাত্র তাঁকে দে' খেই |
তাঁর দৈব ব্যক্তিত্বের দুরূপেক্ষ্য প্রভাবগুনের এমন কত ঘটনা যে নিজে চাক্ষুষ করেছি, তা'র লেখাজোখা নেই |
আচার্য্য ইষ্টের প্রতিবিগ্রহ | আর, ইষ্টদেবতা দয়ার বিগ্রহ | জীবে দয়া'- র সুমহান আদর্শ তাই আচার্য্যদেবের চরিত্রে আজন্ম অন্তঃস্যূত | আর সেই দয়া প্রায়ই গোপনচারিনী | সেই দয়া প্রচারবিমুখ, অথচ যথাস্থানে আশু ফলদায়ী | কি পার্থিব, কি বৌদ্ধিক, কি আধ্যাত্মিক ----- যখন যে - প্রার্থী তাঁর সামনে একবার এসে দাঁড়িয়েছে, সে কখনও শূন্য হাতে ফেরে নি |
ডাঃ স্বপন বিশ্বাস
আলোচনা # জৈষ্ঠ, ১৪৩০/ জুন, ২০২৩
#শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব #শুভসকাল
জয়গুরু 🙏🏻💐💐
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী আচার্য্যদেব
~~~~~~~~~~~~~~~~
উত্তর দিনাজপুর থেকে এক পরিবার এসে প্রণাম করে জানলেন নতুন বাড়ি বানাবেন, কিন্তু নানান বাধার সম্মুখীন হচ্ছেন ----
পূজ্যপাদ আচার্যদেব --- বাচ্চা হওয়ার সময় কষ্ট হয়েছিল নিশ্চয়ই।আর তারজন্যই সন্তানের অস্তিত্ব এত সুখের। তাহলে এইবার ও তেমন বাধা হবে, কষ্ট হবে, কিন্তু লেগে থাকতে হবে, সব হয়ে যাবে।
যেমন মনে করো সব্জি রান্না হচ্ছে ----নীচে আগুন আছে, তার উপরে কড়াইয়ের বাধাটা যদি না থাকতো, সব সমেত গিয়ে তো আগুনের মধ্যেই পড়ত। কড়াইয়ের বাধা আছে বলেই রান্নাটা হচ্ছে। তেমন বাধা নিয়েই তো আমরা এগিয়ে চলছি।যাও, যা করলে বাধা দূর হবে সেটা কর।এটাও হয়ে যাবে।
একদাদা তার ছোট ভাইয়ের প্রসঙ্গে উদ্বিগ্ন হয়ে জানালেন --- ছোটভাই রেলের ড্রাইভারি করে,ড্রাগ অ্যাডিক্টেড।
দুইবার সংশোধনগার থেকে ফিরে আসছে। কিছু দিন ভালো থাকে আবার পুনরায় ড্রাগ আসক্ত হয়ে পড়ে। বিশেষ কিছু পরিবর্তন হয় না।
চাকরিটা বজায় রাখা কঠিন হয়ে পড়েছে।
পূজ্যপাদ আচার্যদেব - ধরো রকেট উড়ালাম আকাশে । সেটা উড়ল, কিন্তু ফিরে আসল আবার মাটিতে।, যেখান থেকে উড়েছিল সেখানে। তাহলে সংশোধনাগার থেকে ওকে সুস্থ করে দিচ্ছে, কিন্তু ফিরে আসছে আবার কোথায়? যে জায়গাটা রোগের কারণ সেখানেই? আপনি কি রেলের অন্য কোনো ডিপার্টমেন্ট বদলির জন্য রিকোয়েস্ট করেছেন? করেন নি। আমি হলে তো তাই করতাম।ভাই যতক্ষণ না ফিরে আসছে, সেই সময়ের মধ্যে ওর ফিরে এসে থাকার জায়গাটা, চাকরির পরিবেশটা বদলে ফেলতাম।যারা একবার ক্রাইম করে, তারা বারবার ক্রাইমের জগতে ফিরে আসে কেন? কারণ তারা ঐ জগৎটাতেই আবার এসে আবর্তন করে । তোমাকে সবার আগে ঐ পরিবেশটাকে বদলে দিতে হবে।
(২৯ সেপ্টেম্বর ২০২৩)
🙏🏻 জয়গুরু 🙏🏻
#শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
#দেওঘর #শুভসকাল
. একটা গল্প বলি, অনেক দিন আগে এক দাদা এসে বললেন আমার চার বছরের ছেলে অকালে মারা গেল | আমি ঠাকুর ছেড়ে দিয়েছি তার পর থেকে | তখন আমি তাকে একটা প্রশ্ন করি, ছেলে মারা গেল তাতে কি আপনি খাওয়া শোয়া, সংসারের কাজ যাবতীয় যা কিছু সব ছেড়ে দিয়েছেন ? শুধু গুরুকে ছেড়েছেন, গুরু মানে গুরুত্ত্বপূর্ণ যিনি | কিন্তু আপনার কাছে সবচেয়ে important আপনি নিজে | সেটা ভালো কথা | আমি না থাকলে ধর্ম কী , কর্ম কী জানতাম ? এই সংসারই বা কী ? জানতাম না | কিন্তু নম্বর দুইয়ে কে ছিল ? আপনার ছেলে আর গুরু | তার মধ্যে আপনি বেছে নিলেন মৃত ছেলের শোকটাকেই আগলে রাখবেন | গুরু সরে গেল জীবনের তালিকা থেকে | নম্বর তিনে নিশ্চয়ই আপনার বউ , নম্বর চারে আপনার উপার্জন | নম্বর পাঁচে আপনার লোক লৌকিকিতা, সামাজিক যা কিছু | ছয় নম্বর, সাত নম্বরে আসছে গুরু | আর আপনি বলছেন যে তোমাকে আমি ভালোবাসি! তবুও জীবন দুঃখময়! আপনার কর্মের তালিকার কোন কোন জায়গায় আপনি দেখান যে, জীবনকে সুখের করার জন্য আসল কাজটা আপনি করেছেন | আমারও আগে তাঁকে রাখার কথা, তাঁকে রাখিনি | দুই নম্বর স্থানে তাঁর জায়গাটাও রাখিনি | আর , বলছি তুমি আমাকে দয়া করো! এটা কোন বিচার! এটা বিচার হতে পারে না | আমার জীবনে সবচেয়ে ভালোবাসার জিনিস তুমি হবে ------ এটা যতক্ষন না সঙ্কল্প করছি, ততক্ষন একে দোষ দিয়ে , ওকে আগলে ধরে, একে ঠেলে সরিয়ে, একজনকে ছেড়ে অন্যের কাছে গিয়ে কোনো লাভ হবে না | জীবন দুঃখময়ই থাকবে | যদি এর থেকে মুক্তি চান হাতি ঘোড়া কিছু করতে হবে না | সারা দিনে যা কাজ করা হয়, তার মধ্যেই শুধু জপ করতে থাকা মনে মনে | কিছু সময় পরে পরেই মনে মনে হুঙ্কার ছাড়ুন যে ------- ' ঠাকুর, আমি তোমায় ভালোবাসি' , ' তোমাকেই ভালোবাসি' | আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে মনের বদল টের পাবেন | চোখের সামনে দেখতে পাবেন আমি কী কী পারি, আর কী কী পারিনা | আমাকে জীবনের জন্য কী কী করতে হবে, কী কী করব না | মাত্র আটচল্লিশ ঘন্টার মধ্যে বুঝতে পারবেন জীবনটা কতটা সুন্দর!
------- পরম পূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
#শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব #আচার্য্য #দেওঘর
*অক্ষয় থাক তোমার আনন্দ*
*অক্ষয় থাক তোমার হাসি,*
*অক্ষয় থাক হৃদয়ের মাঝে*
*ভালোবাসা রাশি রাশি ।*
*অক্ষয় থাক তোমার সুন্দর মন*
*অক্ষয় থাক শক্তি ,*
*অক্ষয় থাক শৌর্য*
*অক্ষয় থাক ঠাকুরের প্রতি ভক্তি ।*
*অক্ষয় হোক সাফল্যের পথ*
*মুছে দিয়ে যত ক্লান্তি,*
*অক্ষয় থাক সুখ অনুভূতি*
*অক্ষয় থাক শান্তি ।।*
*শুভ অক্ষয় তৃতীয়া*
#অক্ষয়তৃতীয়া #শুভেচ্ছা #পোষ্ট
#কামনা
অত্যাধিক গরম গরমে শ্রীশ্রীঠাকুর কি খাওয়া উপকার বলছেন পড়ে জেনে নিন আর সবাইকে সেয়ার করে জানিয়ে দিন 🙏
🌻" *পান্তা ভাতের জল তিন পুরুষের বল।* "🌻
*হেমদাঃ* —আগে তো অনেকে পান্তা খেয়েই ভাল থাকতেন, কিন্তু আজকালকার লোকে পান্তা খাওয়া ছেড়েই দিয়েছে।
*শ্রীশ্রীঠাকুরঃ* —বাবা জগন্নাথের কিন্তু নিত্য পান্তা না হলে চলে না।বাচ্চা যদি বাপের অনুবর্ত্তণ করতে লজ্জাবোধ করে,তাহলে যা হবার তা হবে।আমাদের মা জগৎজননী দুর্গা দৈ-পান্তা খেয়ে প্রতি বৎসর বিজয়ার দিন বিদায় নেন।আর আমাদের পান্তা খেতে লজ্জা।
*শ্রীশ্রীঠাকুর প্রফুল্লকে বললেন* --পান্তাভাতের জল খাস না কেন? ওটা খাবি।ওতে যথেষ্ট ভিটামিন আছে।ও খেলে মানুষ মোটা হ'য়ে যায়।দেখিস না পন্ডিতের মা খেয়ে কেমন মোটা হ'য়ে গেছে।
*প্রশ্নঃ—আমার বড় স্নায়ু-দৌর্ব্বল্য,বড় ভয় বড় দুশ্চিন্তা!*
*শ্রীশ্রীঠাকুরঃ* —পান্তা ভাত খাবি একবেলা কিংবা ইষ্টভৃতি-টৃতি করে সকালে খালি পেটে পান্তা ভাত খেতে পারিস।আর নাম-টাম করবি।
*পান্তাভাতের ফর্মূলা*
আমরা যাকে বলি *পান্তাভাত* , ঠাকুর বলতেন ' *আমানি* '।আর এই ' *আমানি* ' কেমন করে বানাতে হবে তা-ও বলে দিয়েছিলেন দয়াল।ভাত রান্না করে মাটির হাঁড়িতে রাখতে হবে।সেই ভাতে এবার ভাল জল ঢালতে হবে এমন করে যাতে ভাতের ১ ইঞ্চি (১কড়) ওপর অবধি জল থাকে।সবশেষে,পরিষ্কার সাদা কাপড় দিয়ে হাঁড়ির মুখ ঢেকে বেঁধে দিতে হবে। অন্যকোন ঢাকনা দেওয়া চলবে না।এই অবস্থায় (সাধারণ তাপমাত্রায়) ১৬-১৮ ঘন্টা রেখে দিলেই তৈরি হয়ে যাবে ' *আমানি* '।উপকারী ইষ্টের(ছত্রাক)দল জল-ভাতে মিশে এবং বৃদ্ধি পেয়ে নানারকম ভিটামিন তৈরি করে বলে তা খাওয়া স্বাস্থ্যকর। খাদ্যরসিক ও পুষ্টিবিশারদ ঠাকুর ' *আমানি* ' কে বলতেন--' *সর্বরোগ হরহরি'।*
আঃ প্রঃ ২২তম খন্ড ।
সবাইকে আমার রা : নন্দিত জয়গুরু 🙏
আমি বিশ্বাস করি কথাটা জানিনা আপনারা করেন কিনা ? আমাদের সময় পাড়ার গুরুজন দের ভয় পেতাম এই বুঝি বাড়িতে নালিশ করবে,
হাতে পায়ে ধরতাম বাড়িতে যাতে না বলে বাবার কানে যেন না যায় আর এখন নালিশ করতে যাবে কি যে যাবে তাকেই শুনতে হবে,"আপনার কি বেশ করেছে,নিজের চরকায় তেল দিন" আর শাসন সে করলে তো রক্ষা নেই আমি কতদিন দেখেছি আমার মা বাবাকে শিক্ষক দের বলতে "পড়া না করলে পেটাবেন" আর এখন আমি নিজে শিক্ষক হয়ে দেখছি। পরিশেষে রবীন্দ্র নাথ ঠাকুরের একটি কথা, "ছেলে যদি মানুষ করিতে চাই, তবে ছেলেবেলা হইতেই তাহাকে মানুষ করিতে আরম্ভ করিতে হইবে, নতুবা সে ছেলেই থাকিবে,মানুষ হইবে না।"
রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর🙏
শিক্ষার হেরফের 🌹
#শিক্ষা #শাসন #সন্তান #রবীন্দ্রনাথ
#পোষ্ট
▪“বাড়ীর বাচ্চারা যখন প্রশ্ন করে— - ‘ইষ্টভৃতি করব কেন? প্রার্থনা করব কেন?' বড়রা তখন তাদের ধমকিয়ে চুপ করিয়ে দেন। কেন? আরে, ও তো কেবল জানতেই চাইছে; বিষয়টির কারণ অনুসন্ধান করছে। আর কারণ অনুসন্ধান করাটাই তো আধ্যাত্মিকতা। এটাই তো আধ্যাত্মিক মনের প্রথম পরিচয় যে, সে কারণ জিজ্ঞেস করবে। আর, সেই জিজ্ঞাসার মীমাংসা দেবে তার পরিবার। যদি পরিবারের কাছে মীমাংসা না থাকে, তাহলে তাঁরা পড়বেন, জানবেন, বলবেন— তবেই না ঠাকুরবোধ জাগবে তার অন্তরে!
▪এই বাচ্চাগুলোকেই সামিল করুন দীক্ষাপত্রের কাজে। ওদের একটা ক'রে বাহন দিয়ে দিন, আর হাতে লিস্ট ধরিয়ে দিয়ে বলুন, ‘যা, বেরো! ওই অঞ্চলটা সার্ভে ক'রে আয় তো দেখি।' দেখবেন, প্লাবন এসে যাবে। কেননা, ওদের অফুরন্ত উৎসাহ আছে, উদ্যম আছে, শরীরে বল আছে— ওরা দৌড়াবে। একটা তোতা যেমন আরো তোতাকে দলে টেনে আনে, ওরাও ওইভাবে বেড়ে চলবে। আর, ঠাকুরকে নিয়ে ওদের মনের প্রশ্নও এই কর্ম দিয়েই নিরসন হয়ে যাবে।”
🙏🙏পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব। 🙏🙏
#শুভসকাল #আচার্য্য #শ্রীশ্রীঠাকুর #যাজন
বৃষ্টি থেমে গেলে ছাতাটাকেও বোঝা মনে হয় ৷
কালি ফুরিয়ে গেলে কলমটাও আবর্জনার ঝুড়িতে জমা হয়।
বাসি হয়ে গেলে প্রিয়জনের দেয়া ফুলটাও পরদিন ডাস্টবিনে পাওয়া যায়।
পৃথিবীর নিষ্ঠুরতম সত্য হলো আপনার উপকারের কথা মানুষ বেশিদিন মনে রাখবে না।
জীবনের সবচেয়ে নিদারুণ বাস্তবতা হলো, কার কাছে আপনি কতদিন প্রায়োরিটি পাবেন, সেটা নির্ভর করবে কার জন্য কতদিন কিছু একটা করার সামর্থ্য আছে তার উপর।
এই বাস্তবতা আপনি মানলেও সত্যি, না মানলেও সত্যি।
আজ সকালে যে পত্রিকার দাম ১০ টাকা, একদিন পর সে একই পত্রিকার ১ কেজির দাম ১০ টাকা। হাজার টাকা খরচ করে একাডেমিক লাইফে বছরের শুরুতে যে বইগুলো গুরুত্ব দিয়ে কিনেন, বছর শেষে সেই বইগুলোই কেজি মাপে বিক্রি করে দেন।
সময় ফুরিয়ে গেলে এভাবেই মূল্য কমতে থাকে সবার, সবকিছুর।
আমরা আপাদমস্তক স্বার্থপর প্রাণী।
ভিখারিকে ২ টাকা দেয়ার আগেও মানুষ চিন্তা করে কতটুকু পূণ্য অর্জন হবে। বিনা স্বার্থে কেউ ভিক্ষুককেও ভিক্ষা দেয় না৷
এতকিছুর পরও চলুন
একটু হেসে কথা বলি।
রাগটাকে কমাই।
অহংকারকে কবর দেই।
যদি সুখী হতে চান তবে প্রত্যাশা কমান।
আপনি কারো জন্য কিছু করে থাকলে সেটা চিরতরে ভুলে যান।
কারণ সেটা যতদিন আপনি মনে রাখবেন ততদিন সেটা আপনাকে অহংকারী করে তুলবে।
আবার কেউ যদি আপনার জন্য খুব ছোট কিছুও করে থাকে, তবে সেটা আজীবন মনে রাখবেন। কারণ এটা আপনাকে বিনয়ী ও কৃতজ্ঞতাসম্পন্ন একজন ভালো মানুষ হিসেবে বাঁচিয়ে রাখবে।
#সুখি #স্বার্থপর #অহংকার #শুভসকাল
#অনুভূতি #যাজন
#বড্ড দরীদ্র পরিবার, সামান্য টিউশনি করে কয়েকশো টাকা জোগাড় করা। অনেক দিনের স্বপ্ন দেওঘর যাওয়ার বাবাই দাদার জন্ম দিনে অনেকে দেওঘর যাচ্ছেন, সাথী হলেন আসামের এই গরীব মা টিও, ট্রেনে উঠে সঙ্গী সাথীরা বলা বলি করছেন , কেউ দামী ঘড়ি,কেউ সোনার চেইন ,কেউ দামী কাপড় বাবাই দাদার পূন্য জন্ম দিনে উপহার হিসেবে নিয়ে যাচ্ছেন ।
আমার তো কিছুই নেওয়া হল না| কিছু তো নেওয়া দরকার। ট্রেন থেকে ২টা ৫ টাকা দামের চকলেট সংগ্রহ করে সযত্নে নিজের পার্টস ব্যাগে লুকিয়ে রাখলেন। নিজের অসহায় গরীবত্বের কথা চিন্তা করতে করতে ,নিজের অজান্তে দুচোখ বেয়ে জল গড়িয়ে পড়ছে কখন , সে দিকে খেয়াল নেই। হঠাৎ সামনের সীটে বসা ভদ্র মহিলার দৃষ্টি পড়ল সেদিকে।
কি হল? তুমি কাঁদছ কেন ? কই না তো ? বাঁ হাতের কনুই দিয়ে চোখের জল মুছে স্মিত হাসি দিয়ে নিজেকে স্বাভাবিক দেখানোর বৃথা চেষ্টা। নাঃ ধরা পড়ে গেছে।
বলতেই হল ,নিজের ভেতর লুকিয়ে রাখা গোপন অভিপ্রায় ,প্রকাশ করতেই হল নিজের গরীবত্বের কথা।
তোমার মনখারাপ করতে হবে না। তুমি যখন পারবে তখন আমার টাকার শোধ দিও। আমি তোমার জন্য একটা দামী চকলেটের প্যাকেট কিনে দিচ্ছি। এই প্যাকেট টা বাবাই দাদার জন্ম দিনে উপহার দিও।
নির্ধারীত দিনে পৌঁছে , শুভপূন্য জন্ম দিনে সবাই বাবাই দাদা কে প্রণাম নিবেদন করে যে যার উপহার নিবেদন করছেন। আসামের গরীব মা টিও প্রণাম করে তার প্রিয় উপহার দিলেন। বাবাই দাদা সেই চকলেটের প্যাকেট হাতে না নিয়ে , বললেন....প্যাকেট টা অবিন কে দিয়ে দিস। মনটা খারাপ হয়ে গেল। সামান্য চকলেটের প্যাকেট দেখে হয়তো বাবাই দাদা নিলেন না। ফিরে যাচ্ছেন...অমনি ডাক দিলেন...শোন্ তোর কাছে কি একটা ছোট চকলেট হবে ?
সযত্নে নিজের পার্টস ব্যাগে লুকিয়ে রাখা ৫ টাকা দামের সেই চকলেটের একটা বের করে দিলেন মা টি, বাবাই দাদা হাতে নিয়ে খুব আনন্দিত হয়ে নিজের পকেটে পুড়ে নিলেন। যেন বিদূরের ক্ষুদের অন্ন নয়়়.....মহা পায়েসান্ন সম আনন্দ। আসামের মা টির বুকে যেন তৃপ্তি ভরা আনন্দ। সেই তৃপ্তি ভরা আনন্দ নিয়ে গেলেন ,পূজনীয় অবিন দার কাছে! প্রণাম করে সেই চকলেটের প্যাকেট টা অবিন দার হাতে দিলেন। অবিন দা চকলেটের প্যাকেট টা পেয়ে সবার মধ্যে বিলিয়ে দিলেন।
এর পর সেই একই লীলা....তোমার কাছে কি একটা ছোট চকলেট হবে ? মা টি নিজের কাছে লুকিয়ে রাখা অপর চকলেট টি সবিনয়ে বের করে দিয়ে তৃপ্ত হলেন।
এ যেন ভক্তের হ্রদয় নিংড়ানো অর্ঘ্যে ভগবানের পরম তৃপ্তি। বিশাল অর্থ রাশী ,ধন দৌলত , কাড়ি কাড়ি যাদের পায়ের তলায় গড়াগড়ি করে ,তাঁদের কাছে হ্রদয় উজাড় করা অবদান যে কত মহা মূল্যবান তা ভক্ত ভিন্ন বুঝার সাধ্য কার ? বুঝে মন....বুঝে প্রাণ
তিনি ভক্তাধীন ভগবান ||
গৌতম চক্রবর্তী || আগরতলা ||
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
https://youtube.com/?si=38hkhLuvMUxgRJ0o
[পরবর্তী এইরকম পোষ্ট পেতে আমার এই Link টিকে subscribe করুন!]
🙏 প্রশ্ন—কষ্ট কখন পেতেই হবে?
◾️◾️শ্রীশ্রীঠাকুর— ধর্ম বলছে ছোটকে বড় ক'রে তোল, বড়কে ছোট ক'রো না। প্রতিলোম বিয়ে দিও না। নীচু ঘরে তোমার মেয়ে দিও না, বরং তার মেয়ে তুমি নিতে পার। কেষ্ট ঠাকুরকে আমরা ভগবান ব’লে মানি, তিনি বহুবিবাহ করেছেন, কিন্তু একটাও বামুনের মেয়ে বিয়ে করেন নি। বুদ্ধদেব বিয়ে করে সন্ন্যাসী হলেন, তিনিও প্রতিলোম করেননি, বলেনও নি করতে। বৈশিষ্ট্য নষ্ট করার কথা কোন মহাপুরুষই বলেন না। সবটার একটা বিধি আছে। বুনো আমের কলম দিতে হয় ভাল আমের সঙ্গে। গরুটা পাল দেওয়ার সময় ভাল ষাঁড়ের খোঁজ করে যাতে দুধ বেশী দেয়, বাচ্চাটা ভাল হয়। কুকুর-ভেড়ার বেলায়ও তা’ করে। মানুষের বেলায় ছেড়ে দিলাম, যেমন খুশী করলেই হলো। বিয়ে একটা মস্ত জিনিস। সবর্ণ ও অনুলোম বিয়ে দিতে গেলেও বিধিমাফিক দিতে হবে। এসব ঠিকমত না করলে কষ্ট পেতেই হবে।
◾️আ. প্র. ১৫/১৪.১.১৯৪৯ #পথের_দিশা---
https://youtube.com/?si=38hkhLuvMUxgRJ0o
উপরের লিঙ্কটি সাবস্ক্রাইব করলে অনেক ভালোভালো অনুষ্ঠান উৎসবের program দেখতে পারবেন।
[ JOYDEV: https://youtube.com/?si=38hkhLuvMUxg ☘️শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব-এর আলোচনা☘️
★★👇👇★★
✍️ভুল কোথায় হয় ,ভুল হয় আমাদের প্রার্থনায়। ভগবান শুয়ে থাকবেন, তাঁর মাথার কাছে একটা সিংহাসন রাখা থাকবে আর পায়ের কাছে একটা টুল রাখা থাকবে। আসবো আমরা নির্বাচন করতে। যে অর্থ, মান, যশ চায় সে বসবে সিংহাসনে, সে সিংহাসনকেই নির্বাচন করবে কারন এটাই তার বৈশিষ্ট্য।আর ভক্ত বা প্রেমী যে, সে বসবে পদতলে। তিনি উঠবেন, নিরপেক্ষ ভাবে প্রথমে ভক্তকে জিঙ্গাসা করবেন তোমায় আগে দেখেছি তুমি কি চাও বলো, একদিকে অর্থ, মান, যশ আর একদিকে আমি। ভক্ত বললেন আমি আপনাকে চাই, তিনি বললেন আমি কিন্তু তোমায় কিছু দেব না। ভক্ত বললেন আমি তাও চাই আপনাকে। তিনি বলবেন, বেশ নিয়ে নাও।পরে যে সিংহাসনে বসে ছিল তাকে জিজ্ঞেস করলেন তুমি কি চাও? সে বললো আমি এগুলোতেই খুশি।যে অর্থ, মান, যশ চাইলো সে পা ভেঙ্গে পড়ে থাকলো আর যে তাঁকে চাইলো সে পড়ে বসলো সেই সিংহাসনে।এটাই ছিল দুর্যোধন আর অর্জুনের গল্প।
(ঋত্তিক কনফারেন্স, জুলাই,২০২৩)
"যুগ-পুরুষোত্তম ও তার সৃষ্টি আচার্য্য পরম্পরা" এক এবং তাদের ভিতর কোনো ফারাক নেই, যিনি বর্তমান তার ভিতর পূর্বতন জীবন্ত,সৎসঙ্গী হয়ে আমি এটা যদি মানতে না পারি, তাহলে সে "সৎসঙ্গী" নয় দীক্ষিত মাত্র,বর্তমান আচার্য্য-পরম্পরা যে নিদেশ দিচ্ছেন সেটা মানছি না কিন্তু খেয়াল মাফিক চলছি তার মানে আমি আর "সৎসঙ্গী" নয়!!
#শুভসকাল #যাজন #শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
#দেওঘর #শ্রীশ্রীঠাকুর
ভক্তির আতিশয্যেই হোক,- বা ভাবের বিহ্বলতাতেই হোক,- আমরা অনেক সময় আচার্য্যদেবের সামনে গিয়ে এমন কিছু ভুল মন্তব্য করে ফেলি,- যা তাঁর মনোক্ষুন্নের কারন হয়ে যায়। এই ভুল আমার আপনার সকলেরই হতে পারে।
একদা,- কিছু ভক্তদাদা পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেবের কাছে গিয়ে নিবেদন করেন,-" আজ্ঞে, - আপনি দয়া করে আমাদের মন্দিরে যদি পদধূলি দেন।"
এই কথা শুনে আচার্য্যদেব ভীষণ ক্ষুব্ধ হন। তিনি বলেন,-" আমরা সবাই ঠাকুরের সেবক। কোন সেবক তার প্রভুর মন্দিরে কিভাবে পদধূলি দেয়?"
**************
একবার আচার্য্যদেব প্রার্থনায় যোগ দিয়ে সদলবলে হেঁটে যাচ্ছেন। ঠাকুরবাড়ি গেইটে ঢুকার মুখে সেখানে দাঁড়ানো সিকিউরিটি গার্ড সকলের উদ্দেশ্যে বলে উঠল,-" সরে দাঁড়ান। সরে দাঁড়ান। মালিক আসছেন। "
আচার্য্যদেব হঠাৎ দাঁড়িয়ে পড়লেন। সেই সিকিউরিটি গার্ডকে ডেকে বললেন,-" কি বলছিলেন আপনি?"
-" আজ্ঞে,- সবাইকে সড়ে দাঁড়াতে বলছিলাম।"
-" না। তার আগে কি বলছিলেন?"
-" আজ্ঞে, - বলছিলাম,- মালিক আসছে।"
আচার্য্যদেব তার উদ্দেশ্যে দৃঢ়ভাবে বললেন,-" শুনুন, এখানে যা যা দেখছেন,- সবকিছুর মালিক একমাত্র শ্রীশ্রীঠাকুর। আমরা সবাই তাঁর দাস মাত্র। তাঁর বাড়ীতে আমরা আছি। "
https://www.facebook.com/rahajoydev?mibextid=ZbWKwL
plz follow this link
প্রথম পর্ব
https://www.facebook.com/rahajoydev?mibextid=ZbWKwL
প্রথম পর্বের পর....
৪)এক কম বয়সী মেয়ে খুব সম্ভবত তার প্রেমিক বা ঠিক হয়ে যাওয়া বিয়ে এর ব্যাপারে কিছু নিবেদন জানাতে
আচার্য দেব বললেন, তোর মনের স্তর ওই ছেলের মনের স্তরের থেকে অনেকটা উঁচুতে, তাই সে বুঝতে পেরেছে তার পক্ষে এই জায়গায় পৌঁছানো সম্ভব নয়। তাই সে পালিয়ে গিয়েছে।
হিমালয় পৌঁছানোর জন্য সাধনা দরকার। সবাই সেটা পারেনা। কেউ প্রথমেই চলে যায় কেউ বা কিছুটা এগিয়ে আবার নিচে নেমে আসে। তাই কেউ তোকে ছেড়ে গেলো বলে এটা ভাবার দরকার নেই যে তুই তার যোগ্য নয়। যদি সে তোর থেকে বেশি যোগ্য হতো তাহলে তোকে যোগ্য করে তুলতো। পালিয়ে যেত না। সে নিজের অপারগতা বুঝেই চলে গেছে। মনের স্তর সব সময়ে এমন উচ্চতায় রাখবি যাতে সেখানে পৌঁছানোর জন্য সাধনার দরকার হয়।
৫) কিছু প্রসঙ্গে কথা বলতে গিয়ে তিনি বলছেন একটা ছেলে প্রকৃত কেমন সেটা তার মা ও বুঝতে পারেনা। বুঝতে পারে একমাত্র তার স্ত্রী। কারণ বাইরে খুব ভালো সেজে ঘুরে বেড়ালেও আসলে সে যদি পাষণ্ড হয়, সেই স্বভাব এর পরিচয় তার স্ত্রী পায়। ঘরের মানুষ আঁচ পেতে পারে কিছুটা। কিন্তু স্ত্রী সবথেকে ভালো বোঝে।
৬) এক দম্পতি আশীর্বাদ চাইলেন সু সন্তান এর।
আচার্য দেব বললেন সু সন্তান এর জন্য প্রয়োজন আদর্শ মুখী ইষ্ট মুখী স্বামী। স্বামী ছুটবে ইষ্ট এর দিকে। আর তার সেই গুনে মুগ্ধ হয়ে স্ত্রী চলবে তার পিছনে। তখনই স্ত্রীর সম্পূর্ন সতীত্ব সম্ভব।
আদর্শ মুখী স্বামী না হলে সু সন্তান এর সম্ভাবনা থাকেনা কারণ স্ত্রী শ্রদ্ধা করতে পারেনা।
বোঝা গেলো?
সু সন্তান প্রাপ্তির একটা উপায় উপযুক্ত স্বামী।
শুনে মনে পড়ে গেলো সেই কথা,
স্বামীর ভালো করতে গিয়ে স্ত্রীর সতীত্ব জাগে, তারপর সেই বানীর কথা
স্বামীর খোঁজে ছুটল পুরুষ শ্রেষ্ঠ ছেলের মা
ইষ্ট ঝোঁকে ছুটল পুরুষ প্রজ্ঞা অনুপমা....
ক্রমশঃ
"কখনও কখনও একজন কর্মীর ব্যবহারে আরেকজন কর্মী মনঃক্ষুণ্ণ হয়ে থাকে, একজন হয়তো কষ্ট পেয়ে থাকে। আমার কাছে কখনও কখনও কেউ কেউ বলতেও আসেন। আমি তাদের বলি এই অবস্থায়, এই আচরণ পেলে ঠাকুর কি করতেন তা ভাবা দরকার এবং সেই আচরণই আমাদের কাম্য। তা যদি করতে পারি তাহলে বোঝা যাবে আমার মধ্যে ঠাকুরত্ব জেগেছে।"
~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রী আচার্য্যদেব
(১.১.২০১৫, সৎসঙ্গ, দেওঘর)
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
[পরবর্তী এইরকম পোষ্ট পেতে আমার এই পেজটিকে Follow করুন!]
fans #শুভসকাল
#বীরভূমের একটি ভাই ঝুনু সাহা-- চাকুরী খুঁজছেন--আচার্য্যদেব শ্রীশ্রীদাদার শ্রীচরণে আশীর্বাদ প্রার্থনা করলেন।
লোকে পান বিড়ির দোকান দিয়ে বড়লোক হয়ে যাচ্ছে। বেকার হয়ে বসে আছো কেন?--- চাকর হওয়া কি জীবনের ব্রত নাকি? চাকর হওয়ার জন্য চেষ্টা না ক'রে স্বাধীনভাবে ব্যবসা কর।--- ব্যবসা হল ধরে রাখার জিনিস। ঠাকুরের দেওয়া ব্যবসায়ের পঞ্চনীতি ঠিকমত পালন ক'রে চলবে।
[আলোচনাঃ- ১৪১২.]
■ একটি ভাই তার চাকরীর প্রথম বেতনের টাকা আচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদার জন্য নিয়ে এসেছেন।নিবেদন করলেন--
অাচার্যদেব শ্রীশ্রীদাদা-- "ঠাকুর প্রনামী হিসেবে ফিলানথ্রপি অফিসে জমা দিয়ে অর্ঘ্যপ্রশ্বস্তি নিজের কাছে যত্ন ক'রে রাখবে। ঐ অর্ঘ্যপ্রশ্বস্তি রক্ষাকবচ হ'য়ে চিরদিন তোমাকে রক্ষা করবে।
( ১৩,০৪,০১ অা:চ: ১৪১৩)
#দয়ারকথা #শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব #দেওঘর
#শুভসকাল
#সমাজ আমাদের সৎসঙ্গীদের কীভাবে দেখতে চায়, তা'র একটা গল্প বলি।
এই কিছুদিন আগে, দুর্গাপুরের মানুষেরা আমার কাছে এসেছিলেন একটা উৎসব করবেন ব'লে ৷ আমি বললাম, ‘একজনও কেউ উৎসবের জন্য অর্ঘ্য চাইবেন না। জনে-জনে হাতজোড় ক'রে কেবল বলবেন, আপনারা শুধু নিজেদের যানবাহনের ব্যবস্থাটুকু ক’রে উৎসব-প্রাঙ্গণে চ’লে আসুন। কীভাবে আসছেন— আমাদের জানাবেন।'
দেখা গেল, উৎসবে অন্ততঃ হাজার চল্লিশেক মানুষের ভীড় হ'ল। তা’র মধ্যে শুধু অদীক্ষিত স্থানীয় মানুষই এসেছেন দশ-পনেরো হাজার! কোথাও অর্ঘ্যের কথা না বলতেই অর্ঘ্য এসে উপচে পড়ল। শুধু তাই নয়, উৎসবের শেষে কর্মীরা যখন গোটা
ময়দানটাকে সুন্দর করে মাটি ফে’লে পরিষ্কার ক’রে ফেরত দিলেন, তাই দেখে ওখানকার অদীক্ষিত
আবাসিকবৃন্দ তখন বলছেন, 'প্রকৃত ধর্মপ্রচারক
এঁরাই। শ্রীশ্রীঠাকুরকে আমাদের শতকোটি প্রণাম ! ”
~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব।
(৩৩০ তম সর্বভারতীয় ঋত্বিক সম্মেলন,১লা জানুয়ারি,২০২৩)
#দয়ারকথা #শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব #সৎসঙ্গ
#দেওঘর #শিক্ষা
"হিমালয় থেকে কন্যাকুমারীকা" অপূর্ব একটি ভজন। না শুনলে মিস করবেন।
কন্ঠে:- মানসী রাহা,রানাঘাট।
#সৎসঙ্গ #ভজন
#শুভসকাল #রানাঘাট
"প্রত্যেকের বাড়ী --- বাড়ী গিয়ে সৌজন্য সাক্ষাৎ করা লাগবে।রোজ বিকেলে বা সন্ধায় নিজের বাড়িতে বসে কি দোকানে গিয়ে চা -- জলখাবার না খেয়ে পাশের গুরুভাইয়ের বাড়ি চলে যান।তাদের ভালোমন্দের খোঁজখবর নিয়ে কথার ফাঁকে -- ফাঁকে যাজন করেন,ঠাকুরের কথা শোনান।সেখানেই চা --- টা খান এবং Dp works --- এর কাজকে ত্বরান্বিত করেন।
কতগুলি বাড়িতে যাওয়া হলো,কতজন গুরুভাইয়ের সঙ্গে সাক্ষাৎ হলো,এবং আর কারা বাকি রইলো ---- সবকিছুর তালিকা তৈরি করেন।পিন কোড ধরে --- ধরে কতটা কাজ হয়েছে এবং আর কতটা বাকি আছে,তার হিসাব রাখবেন।এবং নিরন্তর নিজেদের কাজের অগ্রগতি মূল্যায়ন করে চলবেন।
এখনো আমাদের অনেক কাজ করতে হবে। কারও কথা না শুনে ----- ' আমি ' যেমন বলছি, তাইই করবেন।আর জানবেন,ঠাকুরের কাজ করতে গেলে যেখানে যেখানে যা--যা
করণীয় --- তাইই করতে হবে।।"
-------- পরমপূজ্যপাদ অবিনদাদা
◾️সূত্র --- (পূজ্যপাদ অবিনদাদার পরিক্রমা)
◾️স্বস্তিসেবক (ফাল্গুন ----- ১৪২৯ /১১ তম সংখ্যা)/পৃষ্ঠা ------ ৬৬৫
#সৎসঙ্গ #পূজনীয়_অবিনদাদা #শিক্ষা
স্মরজিৎপল্লি (রানাঘাট)তে রুপা সিকদারের বাড়ির সৎসঙ্গ নাম সঙ্কীর্তনের কিছু মুহূর্ত।
#সৎসঙ্গ #রানাঘাট
পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব এর কয়েকটা অমৃত কথাঃ-
১। একের প্রতি লেগে থাকাটাই সাধনা।
২। নিজের প্রতি খুব বিশ্বাস রাখতে হয়,এই কাজ আমার দ্বারাই সম্ভব।
৩। শ্রীশ্রীঠাকুর ও আমার মাঝে কাউকে ডুকাতে নেই।
৪। নিজের জীবনকে আদর্শের সাথে লেগে রাখতে পারলে, নিজের ব্যক্তিত্বকে ধরে রাখা যায়।
৫। কাজের ফাঁকে ফাঁকে যতটুকু সময় হয়ে ওঠে
ততটুকু যেন আমি ঠাকুরের কাজ করতে পারি,এই চিন্তা ভাবনা যেন সব সময় থাকে।
৬। নিজেকে দুর্বল ভাবতে নেই, দুর্বলতা আমাদের কে চারিদিকে দুর্বল করে ফেলে।
৭। ছেলে-মেয়ের অসুস্থ হয়েছে তাতে কি হয়েছে?
আমরা যারা আশ্রমে থাকি আমাদের ছেলেমেয়েও অসুস্থ হয়, তার উপর বিশ্বাস রাখতে হয় ভালো ডাক্তার দেখিয়ে চিকিৎসা করে নিতে হয়,একটি মায়ের উদ্দেশ্যে এই কথা বললেন।
৮। ভক্তিকে ভাগ করতে নেই। ভক্তি এক জায়গায় ঠিক রাখতে হয়।
৯। একের সাধনা করতে পারলে গ্রহদোষ রাহুদোষ শনিগ্রহ, কোন খারাপ গ্রহ আক্রমণ করতে পারেন না।
১০। সৎসঙ্গ জগৎটাই ভালোবাসার জগৎ, ভালোবেসে আদায় করে নিতে তাঁর কাজ। একটা মানুষকে ও জীবনে হারাতে নেই।
~~পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
আচার্য্য ভবন, নাটমণ্ডব
দেওঘর, ভারত।
তাং-১৩/০৩/২০২৪
#শুভসকাল
অন্য বর্ণের অন্ন খেলেই কি বিপ্রের জাত যায়?
প্রফুল্ল— ঠাকুর ! আপনি যে বিপ্রের যেখানে-সেখানে খাওয়ার বিষয় অতো নিন্দা করলেন, কিন্তু অন্য বর্ণের অন্ন খেলেই কি বিপ্রের জাত যায় ?
শ্রীশ্রীঠাকুর— আমি তা' বলব কেন ? আমি বলেছি, অসংস্কৃত ও অসদাচারী যারা, তাদের হাতে খাওয়া ঠিক নয়। দ্বিজ-সংস্কারী যারা, সদাচারী যারা, তাদের পরস্পরের অন্ন পরস্পর খেতে পারে । তবে এ নিয়ে কোন জোরাজুরি চলে না। ধর, তুমি উপনয়ন নিয়েছ ও মোটামুটি সদাচার পালন ক'রে চল, তাই ব'লে তোমার বাড়ীতে কোন বিপ্র আসলে যে বুড়ী তাকে রান্না ক'রে খাওয়াবে, সে কিন্তু ঠিক নয়। তার আলাদা রান্নার ব্যবস্থা ক'রে দেওয়াই সমীচীন। যদি সে নাছোড়বান্দা হ'য়ে তোমাদের হাতে খেতে চায়, তাও প্রতিনিবৃত্ত করতে বিশেষভাবে চেষ্টা করা উচিত। যদি দেখ, তা'তে সে খুব ব্যথিত হ'চ্ছে, সে-ক্ষেত্রে এমনতর খাদ্য দিতে পার যাতে তোমার বা তার বৈশিষ্ট্য ব্যাহত না হয়। কিন্তু তোমাদের পক্ষ থেকে বিপ্রকে পক্ক অন্ন খাওয়াবার আগ্রহ অপরাধজনক। আমার মনে হয়, কোন সদাচারী বিপ্রের বাড়ীতেও যদি কোন সদাচারী বৈশ্য যায়, বিপ্রেরও তাকে জিজ্ঞাসা করা উচিত, সে স্বপাক খাবে কিনা, তাকে আলাদা পাকের ব্যবস্থা ক'রে দেবে কিনা। তা'তে বৈশ্য হয়তো বলবে— সে কি কথা ? আপনাদের প্রসাদ পাবার জন্যই তো এসেছি। তখন নিশ্চিন্ত মনে অন্ন দেওয়া চলে। আর, বৈশ্য যদি স্বপাকী হয়, তবে বিপ্রও তার আলাদা পাকের ব্যবস্থা ক'রে দেবে— সশ্রদ্ধভাবে, সাগ্রহে। নিজের ও অপরের বৈশিষ্ট্যকে শ্রদ্ধা ও সংরক্ষণ ক'রে চলাই সভ্যতার গোড়ার কথা ।
[ আলোচনা:প্রসঙ্গ:৩য় খন্ড, পৃ-১১২]
◾️◾️কোনোকিছুর 'কারণ' যতক্ষণ না আমি খুঁজে বা'র করছি, ততক্ষণ আমি আধ্যাত্মিকতাকে একটা মির্যাক্লের মধ্যে ফে'লে দিই, তারপরে এখানে এসে জিজ্ঞেস করি, 'আচ্ছা দাদা! আমার ছেলেটা এবারে পরীক্ষায় পাশ করবে তো?' -আরে! তোমার ছেলে কেমন পড়াশোনা করেছে, কেমন পরীক্ষা দিয়েছে—তা'র সেই কর্মের উপরেই না তা'র ফল দাঁড়িয়ে আছে? আমার কথার উপরে তো দাঁড়িয়ে নেই। আর, তোমার যদি মনে হয় আমি (আচার্য্যদেব) দ্রষ্টা পুরুষ, আমি জানি; তাহলে সেটা তোমার বেকুবি। কারণ, রামায়ণেও দেখি সীতাহরণের পরে রাম হাহাকার ক'রে তাঁকে খুঁজছেন। তিনি যদি পুরুষোত্তম হবেন, তাহলে ঘাড় ঘুরিয়ে দেখলেই তো রাবণকে দে'খে তা'র দিকে দৌড়াতেন। তা' নয় কেন? কারণ, তিনি যখন মানবশরীরে আছেন, তখন মানবীয় গুণেই তিনি প্রকাশিত হবেন, অন্যভাবে হবেন না। আর, হ'লেও তিনি সেটা প্রদর্শন করতে পারবেন না। সেইজন্যই, শ্রীশ্রীঠাকুর যখন নিজের মা'কে বললেন যে, 'মা! তুই কলকাতা আসিস না।'—তবুও মা যখন চ'লে আসেন কলকাতায়, তিনি হাহাকার করেন। কারণ, তিনি তো জানেন এর ফল কী হবে। তবুও তিনি তা' মুখে বলতে পারবেন না যে, 'তুই আসিস না মা, এলে তোর 'এই' (মৃত্যু) হবে।' —এইজন্যেই তিনি বিধাতা। বিধিতেই বদ্ধ থাকবেন তিনি। অযৌক্তিক ভাবে কোনো গল্পের মধ্যে কোথাও দেবত্ব আরোপ করতে গিয়ে মীরাক্কেল টানার আমাদের দরকার নেই। একদম—'তুমি' যা' পারো, তাই আমাদের ক'রে যেতে হবে। নিরন্তর এই করাই আমাদের সাধনা।
--পরমপূজ্যপাদ শ্রীশ্রীআচার্য্যদেব
৩২৯ তম সর্বভারতীয় ঋত্বিক্ সম্মেলন
#তারঁ_দয়া...
এক মা তার ছেলেকে নিয়ে পূজ্যপাদ অবিন দাদার কাছে গিয়ে বললেন যে, আগ্গে দাদা আমার ছেলেটা দিন দিন কেমন যেন হয়ে যাচ্ছে,,, এক জায়গায় শুধু ঝিমুনি খেয়ে পড়ে থাকে।
তখন অবিন দাদা বললেন,__ "আপনি আপনার ছেলেকে ভালো ডাক্তার দেখান তাড়াতাড়ি, আপনার ছেলে নিশ্চয়ই পাগলামো করে একটু, আমাদের এখানকার এক ডাক্তার ওকে একটা ঔষধ দেবে ওটা খাওয়াবেন, ওই ঔষধ খেয়ে ছেলে আপনাকে বলবে যে মাথা ঝিম ঝিম করছে, খাবো না, ভালো লাগছে না এসব বলবে, কিন্তু তা ও ওকে বলবেন বুকে পাথর চেপে কষ্ট করে হলেও ঔষধ খেতে। ছয় মাস ওকে এই ঔষধ খাওয়াবেন পাশাপাশি ওকে একজন ভালো সাইক্রেটিস্ট দেখাবেন ওর কাউনসিলং এর দরকার। প্রত্যেক মাসে ২/৩ বার করে ডাক্তারের সাথে সব ব্যপারে কথা বলতে বলবেন। আর আমার মনে হচ্ছে এই অসুস্থ ব্যাপার গুলি অন্য কারনে,,, ছেলে তো সামনেই আছে, আমি নিশ্চিত কোনো বান্ধবীর চক্করে পরে, ওই মেয়ে ছেড়ে দেওয়ায় নেশা, গাজা খাওয়া শুরু করেছে, তাই এই অবস্থা; এই কথা শুনে মা ছেলে ২জনেই অবাক হয়ে গেছে!! অবিন দাদা ওই ছেলে কে বললেন, "কিরে আমি ঠিক বলছি তো?? " ছেলে টি মাথা নিচু করে দাড়িয়ে আছে।
তখন অবিন দাদা আবারও বললেন, ঠাকুরকে মাথায় নিয়ে, সুস্থ জীবন যাপন কর, যে চলে যাওয়ার সে যাবেই, পরমপিতা সাথে আছেন কোনো ভয় পাবি না, আর মা বাবা কে কষ্ট দিবি না, সবসময় আনন্দে থাকবি.
🙏কামারপুকুর, উৎসব প্রাঙ্গণে।
#দয়া #দয়ারকথা #পূজনীয়_অবিনদাদা
১২|০৮|১৯৪৮ দেওঘরের S.D.O. শ্রীশ্রীঠাকুরের কাছে এলে শ্রীশ্রীঠাকুরের বলা কথার কিছু অংশ---
" আমি বলি- আপনি জনসাধারণের আপনজন হ'য়ে উঠুন। তাদের যাতে সব দিক দিয়ে ভাল হয়, তেমনভাবে ভাবুন, বলুন, চলুন, করুন, এই চলার তোড়ে, সেবার তোড়ে আপনার ভিতর আপনার মত করে ভগবত্তা জেগে উঠবে। তখন আপনি যেখানে যাবেন, সেখানেই লোকহৃদয়ের অধীশ্বর হয়ে উঠবেন। যে আত্মশাসনে নিজেকে শিষ্ট ক'রে তোলে এবং সক্রিয়ভাবে লোকস্বার্থী হ'য়ে চলে, সেই প্রকৃত শাসক হ'য়ে ওঠে। সে জানে কেমন ক'রে শিষ্টের পালন- পোষণ ও দুষ্টের শাসন- সংযমন করতে হয়।-------- আপনার আগ্রহই পরমপিতার দয়াকে আলোড়িত ক'রে এই মুর্খের মুখ দিয়ে যা' বলাবার বলিয়ে নিয়েছে। প্রত্যেকের ভিতর- দিয়েই পরমপিতা এক-একভাবে উঁকি মারেন, তাই সবাইকেই আমার ভাল লাগে, দেখতে ইচ্ছা করে।" (সূত্র : আঃ প্রঃ -১৩ পৃঃ -১৬৩)
HIGH LIGHT
#ঠাকুরের দীক্ষা নিয়ে যদি কিছু অভ্যাস না করেন তাহলে হবে না কিন্তূ। এই অভ্যাসটাই যজন,যাজন ইস্টভৃতি। যজন মানে ঠাকুর বিষয়ে জানা। আমি ঠাকুরকে দেখেনি ,বড়দাকেও দেখেনি ।ঠাকুরের বিষয়ে জানতে গেলে বই পড়তে হবে।
ছোটকাল থেকে আমি পড়ার ব্যাপারে আলসে। বই পড়তে পারতাম না। পড়তে গেলে অস্বস্তি হত। যখন ক্লাস ওয়ানে পড়ি ,পাঁচ বছর বয়স। মনোজ স্যার হিন্দি পড়াতেন। একদিন মনোজ স্যার আমাদের কাছে শুনতে চাইলেন ।
আমায় বললেন , তুমি তো সৎসঙ্গে থাকো , তুমি ঠাকুরের সম্বন্ধে কিছু বলো। আমাদের বাড়িতে ঠাকুরের জীবনী ছোটদের শ্রী শ্রী ঠাকুর অনুকুলচন্দ্র পরানো হত। কিছু কিছু জানা ছিল। তা থেকে কিছু বলেছিলাম। সেদিন আমার মনে হয়েছে ঠাকুর সম্বন্ধে আরও কিছু জানা দরকার।
■ তিন সাড়ে তিন বছর বয়স তখন। ক্ষমাদি (কুন্ডু)আমায় জামা - কাপড় পরাচ্ছে।
কী একটা কারনে রেগে গিয়ে ক্ষমাদিকে একটা কথা বলতেই মায়ের কানে পৌছে গেল। মা বললেন ,তুই বললি কেন ? আগে ক্ষমা চা। আমি ক্ষমা চাইব না। মা আমায় মারতে লাগল যতক্ষন না ক্ষমা চাইছি। শেষ পর্যন্ত ক্ষমা চাইলাম ক্ষমাদির কাছে। এইভাবে আমার ক্ষমা চাইবার অভ্যাস হয়েছে। ক্ষমা চাইতে লজ্জা করে না আর এখন। বাবার সঙ্গে আমার খুব একটা গল্প হয় না। পরিবারের লোকজনদের সঙ্গেও হয় না। ঠাকুরের জন্মদিবসে আমরা আশ্রমিকেরা ঝাঁট দিয়ে ঠাকুরবাড়ি পরিস্কার - পরিচ্ছন্ন করি , বিনতি প্রার্থনায় আসি , সৎসঙ্গের আয়োজন করি ,একসঙ্গে আনন্দবাজারে প্রসাদ নিই।
বাবা একদিন আমাকে বন্ধুদের নিয়ে ডাস্টবিন পরিস্কার করার ডিউটি দিলেন। হাতে গ্লাভস পরে ডাস্টবিন ঘষতে ঘষতে আমার অহঙ্কার মনে হল যেন চলে গেছে। সাধারনের মতোই হয়ে গেছি। তা না হলে জনসাধারন কী চাইছেন বুঝতে পারতাম না।
ঠাকুর বলেছেন বেশিরভাগ রোগের কারণই হচ্ছে মন। আগে মন দুষ্ট হয়।
এমন একটা মানুষ চাই যে কথা বলে মনের সঙ্গে মিশে মনের খবর নিয়ে সমস্যাটা ধরতে পারবে। আমি যদি গাড়িতে ঘুরি ,হাঁটার মর্ম বুঝতে পারব না। বাবা ছোট ছোট কাজ দিয়ে আমায় শিখিয়েছেন।
_ জানলা খোল , নাইট নেভা,নিজের থালা নিজে ধো , বাসনটা জায়গামতো রাখ ইত্যাদি। এইসবের মধ্য দিয়ে মানুষ নিখুঁত হয় , মানুষের সঙ্গে মিশে তখন কথা বুঝতে পারতে থাকে।
■ আমার মা অদিক্ষিত পরিবারের ,আমিষভোজী। বাবার সঙ্গে বিয়ে হওয়ার পর এই বাড়িতে চলে এল। বাড়িভর্তি লোক ,পেঁয়াজ,রসুন কোনও আমিষের কারবার নেই। বিয়ের পর মা বাপের বাড়ি মুর্শিদাবাদ যাচ্ছে বাবার সঙ্গে। মা দিদাকে ফোনে জানিয়েছে ,এই ক দিন ঠিকমতো খাওয়া হয়নি। ভালো মন্দ রান্না করে রাখবে। যাওয়ার পথে বাবা মাকে বলেছে , তোমার কাছে একটা জিনিস চাইব,দিতে পারবে ? মা মনে করেছে প্রথম চাইছে , তাই সম্মত হল সাথে সাথেই।
বাবা মাকে বললেন ,পারলে বাড়ি গিয়ে মাছ- মাংস খেয়ো না। মায়ের মনে হয়েছে , বর এই প্রথম একটা জিনিস তাই প্রাণপণ তাঁর কথা রক্ষা করেছে।
তখন থেকে মায়ের আমিষাহার বরাবরের জন্য বন্ধ হয়ে গেল।
এরকমভাবে একজনকে ভালোবেসে কিংবা ঠাকুরকে ভালবেসে
অবাঞ্ছিতগুলো ছেড়ে দিই , ক্রমে আমরা শুদ্ধ হতে থাকি। ~পরমপূজ্যপাদ অবিন দাদা
সৎসঙ্গ ,দেওঘর,১৫.৭.১৮
(আলোচনা ◆শ্রাবণ ১৪২৫/ আগস্ট ২০১৮◆ ৬৩৩)
 ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄ ̄
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the place of worship
Telephone
Address
Ranaghat
741201
Ranaghat
"পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥"
Dayabari
Ranaghat, 741256
St. Luke's Church Dayabari Church of North India (Diocese of Barrackpore) Ranaghat , Nadia , pin-74
NH34 Ranaghat , Nadia . Phone/(03473)281150, 9230700772
Ranaghat, 281150
Iskcon Gourdham , International society for krishna consciousness , founder - Acharya: His Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada.
Ranaghat, 741256
Official page of Indian Catholic Youth Movement - Ranaghat (Our Lady of Guadalupe) Parish