Sonar Gouranga-সোনার গৌরাঙ্গ
Hare Krishna
সর্বদা ফ্যানের নিচে থাকুন;
ঘরে যখন ফ্যান ঘুরে তখন দেখবেন সবাইকেই সেইম বাতাস প্রদান করছে... এমন নয় যে, ফ্যানটা এরকম ভাবে, "ও তো অনেক টাকা-পয়সার মালিক তাই ওকে একটু বেশি বাতাস দেই। ও-তো গৃহস্থ বা সে-তো ব্রহ্মচারী!" প্রকৃতপক্ষে আদৌ সেরকম হয় না। যারা যারা ফ্যানের নিচে থাকবে তাঁরা প্রত্যেকেই একই সুবিধা পাবে।
অনেকেই হয়তো ভাবতে পারে, ব্রহ্মচারী হলে মনে হয় একটু সুবিধা বেশি, কোন জ্বামেলা নাই! বউ-বাচ্চা নাই, সংসার নাই.... দিব্যি আনন্দ। আর গৃহস্থ জীবন মানেই প্যারা, শুধু অশান্তি আর অশান্তি। প্রকৃতপক্ষে আমাদের এই দৃষ্টিভঙ্গিগুলি একেবারেই ভুল। আসল প্যারা কোথায়? প্রকৃতপক্ষে যেখানে কৃষ্ণ নেই, কৃষ্ণভক্তি নেই সেখানেই প্যারা, সেখানেই অশান্তি! তা আপনি গৃহস্থই হন কিংবা ব্রহ্মচারী।
আপনি ফ্যানের বাতাস তখনই পূর্ণাঙ্গরূপে পাবেন যখন আপনি ঠিক ফ্যানের নিচে অবস্থান করবেন। যতদূরে আপনি সেখান থেকে সরে যাবেন, ঠিক ততটুকুই ফ্যানের শীতলতা থেকে আপনি বঞ্চিত হবেন। অর্থাৎ যতটুকু আপনি কৃষ্ণের নীতি, শাস্ত্রের নির্দেশনা মেনে চলবেন... ততটুকুই আপনি দিব্য আনন্দে থাকতে পারবেন। কৃষ্ণভক্তি থেকে যখনি সরে যাবেন, ঠিক তৎক্ষণাৎ মায়া আপনাকে ঝাপটিয়ে ধরবে।
না ব্রহ্মচারী হলে সুবিধা, না গৃহস্থ হলে সুবিধা! কোথাও সুবিধা নেই, সুবিধা কিংবা আনন্দ তখুনি পাবেন যখন আপনি সাধুপথে থাকবেন, হরিনামের আশ্রয়ে থাকবেন। মনে রাখবেন, গৃহস্থ কিংবা ব্রহ্মচারী এগুলো আমাদের সুখী করে না, প্রকৃতপক্ষে আমাদের সুখী করে কৃষ্ণভক্তি। তাই কৃষ্ণভক্তি করুন, সর্বদা সুখী হউন।
জয় শ্রীল প্রভুপাদ!
জয় শ্রীল গুরুমহারাজ!
হরে কৃষ্ণ দণ্ডবৎ প্রণাম🙏
🌿কৃপা করে সবাই পেজটিতে লাইক আর অনুসরণ করবেন🌿
যাতে পেজটিতে বেশি করে ফলো হয়।
🍀🌼অনন্তকাল ধরে আমরা ইন্দ্রিয়ের দাসত্ব করে আসছি,তাই আমাদেরকে বলা হয় গোদাস..
আমরা ভক্ত হয়েও আমাদের ইন্দ্রিয়গুলোকে খুশি করার জন্য পাগোলের মত দৌড়াচ্ছি..
🌼🍀আমাদের যদি কিছু খেতে ইচ্ছে হয়,আর সেইটা যদি ঘরে না থাকে আমরা কোন না কোনভাবে সেইটাকে জোগাড় করার চেষ্টা করি..জিহ্বাকে সন্তুষ্ট করার জন্য আমরা কতকিছু করি...
এইভাবে আমরা দিনের বিভিন্ন সময়ে,বিভিন্ন ইন্দ্রিয়গুলিকে খুশি করার চেষ্টা করছি....
🍀🌼আপনাকে কখনো জিহ্বা বলেছে,"তুমি অনেকদিন ধরে আমার সেবা করছো,আজ থেকে তোমায় ছুটি দিলাম"..
কখনো কি এমন বলেছে..?জিহ্বা হচ্ছে অকৃতজ্ঞ..
🌼🍀আমরা যতই ইন্দ্রিয়ের সেবা করি না কেনো,আরো হাজার কোটি জীবন ধরে যদি ইন্দ্রিয়ের সেবা করি,কোনদিন বলবে না,"ঠিক আছে অনেক সেবা করেছো,আর করার দরকার নেই"..
🍀🌼আত্মীয়স্বজন কখনো বলে,"আমার জন্য অনেক করেছো,আর করার দরকার নেই"..ছেলে-মেয়ে কখনো বলে,"আর কিছু করার দরকার নেই,অনেক করেছো"..আপনি চলতে পারছেন না,কিন্তু আপনাকে শোষণ করে নিবে...
🌼🍀এই জগৎ হচ্ছে অকৃতজ্ঞদের জগৎ..ছেলেমেয়ের জন্য বাবা-মা কতকিছু করে,কিন্তু তারা যখন বড় হয় তারা বাবা-মাকে বৃদ্ধাশ্রমে পাঠিয়ে দেয়...বাবা-মাকে দেখে না..
কিন্তু আমরা এতই বোকা,এতই আসক্ত যে সব বুঝেও আমরা বুঝতে চাই না..
🍀🌼আর তার ঠিক বিপরীত হচ্ছে ভগবান শ্রীকৃষ্ণ..একদিকে আপনার ইন্দ্রিয়গুলি অকৃতজ্ঞ,আত্মীয়স্বজন অকৃতজ্ঞ,যার জন্য সবকিছু করলেন সে অকৃতজ্ঞ...আমরা সবাই অকৃতজ্ঞ..
🌼🍀কিন্তু ভগবান অকৃতজ্ঞ না..প্রভুপাদ বলেছেন,"ভগবান কত দয়াময়,আমাদেরকে উদ্ধার করার জন্য তিনি নামরুপে এই জগতে অবর্তীণ হলেন..এবং যিনি শ্রদ্ধার সহিত এই নাম গ্রহণ করেন,ভগবান সেই ব্যক্তির প্রতি অত্যন্ত কৃতজ্ঞ হন এবং কখনো তাকে ভুলে যান না..."
🍀🌼"হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে" উচ্চারণ করার মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ এবং তার শক্তিকে সংবোধন করা হয়..সুতরাং যিনি নিরন্তর ভগবান ও তার শক্তিকে ডাকছেন,আমরা সহজে অনুমান করতে পারি,ভগবান তার কাছে কত কৃতজ্ঞ..এই ধরনের ভক্তকে ভুলে যাওয়া ভগবানের পক্ষে অসম্ভব..এই শ্লোকে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছে,কেউ যখন ভগবানকে ডাকে,তৎক্ষনাৎ তিনি ভগবানের মন আর্কষন করেন,ভগবানও তার কাছে কৃতজ্ঞ থাকেন..."
🌼🍀এইভাবে আমরা দেখি,যেইখানে আমাদের ইন্দ্রিয়গুলি অকৃতজ্ঞ,আত্মীয়স্বজন অকৃতজ্ঞ,পাড়াপ্রতিবেশি অকৃতজ্ঞ..আমরা ওদের জন্য খেটে খেটে অসহায় হয়ে পড়েছি,ক্লান্ত হয়ে পড়েছি..
🍀🌼মায়ার দাসত্ব করতে করতে আমরা ক্লান্ত,অনন্তকাল ধরে আমরা দৌড়াচ্ছি,কিন্তু তবুও আমাদের জ্ঞান হলো না..তাই প্রভুপাদ ভক্তিরসামৃতসিন্ধুতে বর্ননা করছেন,"ভগবান এমন করবেন না,ভগবান কৃতজ্ঞ..ভগবান তার ভক্তকে কখনো ভুলেন না.."
-
প্রাণের গোবিন্দের চরণে দিও আমাই ঠাই,
এ চরণের সেবা করিয়াই যেনো পরলোকে যাই।।🌿🙏😭
হরে কৃষ্ণ। 🌿🌿
❤️প্রার্থনা❤️
কৃষ্ণ তুমি ছাড়া আমার আপন কেহ নাই
দ্বীপাবলির এই পূণ্যতিথিতে এই প্রার্থনা জানাই
তোমার শ্রীচরণে আমায় দিও ঠাঁই
আমি সত্যি সত্যিই হারিয়ে যাই
যখন ভাগবত সঙ্গ না পাই
তাই বারংবার এই মিনতি জানাই
তোমার শ্রীচরণে আমায় দিও ঠাঁই
সুখ কিংবা দুঃখ আমি যা কিছুই পাই
তোমায় যেন কভু ভুলে না যাই
সদা যেন আমি তব গুণ গাই
তোমার শ্রীচরণে আমায় দিও ঠাঁই
সদা কৃষ্ণভাবনায় থাকতে চাই
বৈষ্ণব সেবা করতে চাই
প্রদীপেরই মতোন হতে চাই
তোমার শ্রীচরণ আমার শতকোটি প্রণাম জানাই
শুধু এই প্রার্থনাটুকু করতে চাই
হে গোবিন্দ, তোমার শ্রীচরণে আমার একটু দিও ঠাঁই
🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏🙏
🌿🌿মানুষ কখন হয় অন্য জীব
থেকে শ্রেষ্ঠ জীব??? 🙏❤🙏।।
যখন অন্য জীব থেকে জ্ঞান,বিচার বুদ্ধি থাকবে পরিপুষ্ট! তখন মানুষ হয় অন্য জীব থেকে শ্রেষ্ঠ।❤❤মানুষের রাগ, হিংসা, ঘৃণা, কাম, ক্রোধ, লোভ, লালসা,
ইত্যাদি মানুষের সহযাত্রী ধর্ম। এইগুলি থাকে।
মানুষের যেমন, আহার নিদ্রা, ভয়, মৈথুন এই সব আছে।
পশুদের এই সব ই আছে।
নেই শুধু আত্মজ্ঞান, বিবেক, একটি পশুকে হত্যা করছে দেখে ও অন্য পশুটি পাশে, খাবার খায়।
তাই আমরা মানুষ হয়ে যদি আমাদের সেই আত্মজ্ঞান না থাকে। যখন আমাদের সেই আত্মজ্ঞান আসবে তখন থেকেই আমরা মানুষ। এবং সৃষ্টি র শ্রেষ্ঠ জীব। 🙏🙏
আর তখন গণ্য করা যায় মানুষ রূপে তাঁরে।
যিনি আধ্যাত্মিক পথ আপন করেন, চলেন ধর্মের আঁধারে
ভক্তি প্রেম ভাব থাকবে মনে,
হৃদয়ে থাকবে দয়া ক্ষমা।
সমালোচনা,পরনিন্দা,
পরচর্চা না করবেন ,
তাতে পাপ হয় জমা।।
সৎ সঙ্গে চলবেন, মুখে সত্য বাক্য বলবেন ।
তোমার সংসার গোবিন্দ এমনি চালাবেন ।।
অন্যের কথায় না দিয়ো মন।
সৎ গুরুর দীক্ষিত হন, কৃষ্ণের নাম শ্রবণ, করুন।।
এইভাবে যিনি আচরণ করেন তাঁকে শ্রেষ্ঠ মানুষ বলে জয়শ্রী কৃষ্ণ হরিবল🙏🙏🙏🙏🙏❤🙏🙏🙏❤❤।।
সজ্জনেরা বলছেন -
"সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস, অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"
একটি ভ্রমর ও একটি গোবর পোকা দুই বন্ধু ছিল। একদিন ভ্রমর উড়তে উড়তে গিয়ে গোবর পোকার কাছে গিয়ে বলল,
"বন্ধু তোমারও পোকার জীবন আর আমারও পোকার জীবন। কিন্তু, দেখ আমাদের দু'জনের জীবনে যাপনে কতটা পার্থক্য!
তুমি এই দুর্গন্ধ গোবর পচার মধ্যে পরে থেকে তার রস খেয়ে খেয়ে জীবন ধারন করছো। আর আমি কত রঙ বেরঙের সুন্দর সুগন্ধী নরম ফুলে ফুলে ঘুরে বেড়াই। সেই সুগন্ধী ফুলের মধু খাই।
তুমি আর এই পঁচা গোবরের মধ্যে পরে না থেকে, আমার সাথে চলো। তুমিও ফুলের মধু খাবে"। অনেক বোঝানোর পর, ভ্রমর অনেক কষ্টে গোবর পোকাকে রাজি করিয়ে গোবর পোকাকে নিয়ে গেল।
দুই বন্ধু মিলে এক ফুল থেকে অন্য ফুলে মধু খেতে শুরু করে দিল। মধু পেয়ে গোবর পোকা ভাবছে বাঃ! এতো খুব সুন্দর স্বাদ!! তাই আরও বেশি করে মধু খেতে শুরু করে দিল।
মধু খেয়ে একসময় তার নেশা হয়ে গেল। তখন গোবর পোকাটি নরম ফুলের মধ্যেই ঘুমিয়ে পড়ল। ক্রমশ সন্ধ্যা ঘনিয়ে এল। সন্ধ্যার সময় প্রাকৃতিক নিয়মেই অনেক ফুলের পাপড়ি মুদে যায় বা প্রায় বন্ধ হয়ে যায়।
গোবর পোকাটি যে ফুলটিতে ঘুমিয়েছিল, সেই ফুলটিও মুদে গেল।
ওদিকে ভ্রমরটি তার নিজের বাসায় চলে গেল।
পরদিন সকালে এক ভক্ত সেই ফুলটি তুলে নিয়ে গেল ভগবানের পুজোর উদ্দেশ্যে।গোবর পোকা কিন্তু তখনো ফুলের মধ্যেই।এদিকে ভক্ত সেই ফুলটি চন্দন চর্চিত করে ভগবানের শ্রীচরণে অর্পন করলেন।
কিছু সময় পর যখন ফুলটি প্রস্ফুটিত হল তখন গোবর পোকা ভয়ে ভয়ে তাকিয়ে দেখে আমি কোথায় এলাম, আমি তো ভগবানের চরণে! আমি একটা গোবর পোকা, যার স্থান ছিল পচা দুর্গন্ধ গোবরের মধ্যে, সেই আমি কিনা আজ জগৎপতির চরণে!
গোবর পোকাটি মনেমনে ভাবতে লাগল, আমি যদি আজ ভ্রমরের সঙ্গ না ধরতাম, তাহলে হয়তো কোনওদিন ভগবানের শ্রীচরণ স্পর্শ তো দূরের কথা, আমি তার দর্শনও পেতাম না।
তাই বিজ্ঞজনেরা বলছেন,
সাধুসঙ্গ সাধুসঙ্গ সর্বশাস্ত্রে কয়,
লব মাত্র সাধুসঙ্গ সর্ব্ব সিদ্ধি হয়।
এখানে দেখুন সাধু সঙ্গের জন্যই কিন্তু, আজ গোবর পোকার সিদ্ধি লাভ ঘটল। তাই অসৎ সঙ্গ ত্যাগ করুণ। অসৎ সঙ্গ শুধু নীচু পথেই নামায় না, অসৎ সঙ্গের ফলে আপনার আমার জীবনে একদিন যে ভয়ঙ্কর বিপদ নেমে আসবে, সেটা একদম নিশ্চিত।
কারণ, এদের গতি সবসময় নীচের দিকে। এরা কোনও ভাবেই উপরের দিকে উঠতে সাহয্য করে না। নীচে নামানোর প্রাণপন চেষ্টা চালিয়ে যায়।
সুন্দর ফুল তো অনেকই ফোঁটে কিন্তু, সবাই ভগবানের চরণে নিবেদিত হয় কি?
কেউ সাজসজ্জায় স্থান পায়, কেউ মৃতদেহের ওপর, কেউ আবার গাছেই শুকিয়ে মাটিতে ঝড়ে পরে।
আপনি নিজেকে কোন পথে পরিচালিত করবেন, সেই পছন্দটাও সম্পূর্ণ নিজেরই।
জয় রাধামাধব
আপনার ধর্ম আপনাকেই পালন করতে হবে আপনাকে ধর্মচুত করার জন্য অনেকেই চেষ্টা করবে, আপনি স্তির থাকুন ভগবান আপনার সাথে আছে এই ধর্ম পালনে বিশেষ কিছুই লাগে না, সদাই সত্য,সৎ চিন্তন সৎ কর্ম সদাই বদনে মধুর নাম, হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।
🙏🌹 হরিবোল হরিবোল হরিবোল হরিবোল 🌹🙏
কলিযুগের মানুষের কম আয়ু কেন ?
ভগবান মানুষকে কম আয়ু দেওয়ার কারন হল, বেশি আয়ু থাকলে জগতে আরও বেশি পরিমাণে উচ্ছৃঙ্খলতা বৃদ্ধি পাবে । কলির মানুষ ধর্ম-জ্ঞানহীন হয়ে যা ইচ্ছা তা করতে শুরু করবে।
রাক্ষস পিচাশের মত মানুষও মাছ, ব্যাঙ, কাক, মোরগ, গরু, ছাগল, কুকুর, শুকর, বানর-মানুষের হাড়-পিত্ত, রক্ত-মাংস খাবে আর হিংস্র পশুর মত আচরণ করবে ।
তারা রোজ রোজ ক্রমবর্ধমান মাদকাসক্ত হয়ে- চা- সিড়ি, সিগাৱেট গাঁজা তামাক খৈনি দোক্তা-দরজা মদ-আফিম , গাজা-চরস, L*D ও সাপের ছোবলের মত হিংস্র নেশা এবং ইত্যাদি জঘন্য জিনিস সেবনপুর্বক যে কোন অশালীন নিন্দাজনক অসামাজিক আচরণ করতে কুন্ঠা বোধ করবে না ।
তারা হাট-বাজারে, ঘরে-বাইরে কলির আড্ডা বাজার বসিয়ে - তাস, জুয়া, পাশা, দাবা, লটারী ইত্যাদির গুন গেয়ে ও খেলে সময় ও সদাচার নষ্ট করবে।
সামাজিক নিয়ম - শৃঙ্খলা ভঙ্গ করে তারা অবাধে স্ত্ৰী-পুরুষ সঙ্গ করবে । নাইট ক্লাব ,বেশ্যাখানা, অশ্লীল ছায়াছবি ইত্যাদির সংগঠন করে, বিবাহ প্রথা বাদ দিয়ে লিভিং টুগেদার করে তারা মজা - স্ফুর্তি করবে এবং তারা মনে করবে এটাই তাদের জীবনের একমাত্র স্বর্গীয় আনন্দ ।
কলির মানুষ অতি নগণ্য সম্পত্তি বা ধন কিংবা খাদ্যশস্য বা আসবাব পত্ৰ ভোগ করার আশায় দিবারাত্র আত্মীয় পরিবার এবং প্রতিবেশীদের সঙ্গে কলহ-মারামারি-হানাহানি করবে ।
অতএব , সত্যযুগের ধর্মপরায়ণ মানুষের তুলনায় কলিযুগের পাপরায়ণ মানুষের আয় শতগুণ হ্রাস পাবে। প্রতিযুগে মানুষের আয়ু থেকে একটি করে শুন্য বিয়োগ হবে।
যেমন,
সত্যযুগে মানুষের আয়ু ছিল ১০০,০০০বছর
দ্বাপরে মানুষের আয়ু ছিল ১০,০০০ বছর
ত্রেতাতে মানুষের আয়ু ছিল ১০০০ বছর
কলিতে মানুষের আয়ু হল ১০০ বছর
অবশ্য কলির শেষ পৰ্যায়ে মানুষের আয়ু আরও পাঁচ থেকে দশ গুণ অবধি হ্ৰাস পাবে। ঘোর কলিতে মানুষের আয়ু হবে ২০বছর।
এই একই ভাবে কলির মানুষের সব সদ্গুনাবলী ও আয়ু কমতে থাকবে।
ভাগবতে উল্লেখ আছে,
''কলিযুগে ধর্মের এক চতুর্থাংশ ভাগই অবশিষ্ট থাকে। নিত্য বর্ধমান অধর্মের প্রভাবে সেই অবশিষ্ট ভাগও অবিরাম হ্রাস পেতে থাকবে এবং অবশেষে ধ্বংস প্রাপ্ত হবে''।। ১২/৩/২৪
কলিযুগ ভজন সাধনে পদে পদে বাধা। আসলে কলিযুগ কঠিন পরমাৰ্থ যোগ-সাধন ক্ষেত্ৰ নয়। এই কলিযুগে মুনষ্য জীবনটি দ্বারা ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার পরম সুযোগ হল একমাত্র ভগবানের নাম, রুপ, গুন লীলা শ্রবণ ও কীর্তন।৷৷
🙏🙏🙏 হরে কৃষ্ণ🙏🏿🙏🏿🙏🏿
👉পরিত্রাণায় সাধুনাং বিনাশায় চ দুস্কৃতাম্।
👉ধর্মসংস্হাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে।। (৪/৮)
🙏🙏▪️ভগবান বলেছেন, “আমি অবতীর্ণ হয়ে মূলত তিনটি কার্য সমাধা করি—
▪️১। সাধুদের পরিত্রাণ : আমার যে সকল ভক্ত আমার দর্শনাকাঙ্ক্ষায় অতিশয় উৎকন্ঠ চিত্ত, তাঁদের দর্শন দান করি। তাঁদের বিরহ বেদনা দূর করি অর্থাৎ ভক্তদের সঙ্গে লীলা আস্বাদন করি।
▪️২। দুস্কৃতি বিনাশ : সমাজে উৎপীড়নকারী অসুরদের বিনাশ করে সমাজে শান্তি প্রতিষ্ঠা করি।
▪️৩। ধর্ম সংস্হাপন: জগতে জীবের কল্যাণার্থে তাঁদের ধর্মযোগ শিক্ষা প্রদান করি, যার মাধ্যমে জীব আমার ধামে ফিরে আসতে পারে”।
▪️অসুর বিনাশ ও ধর্ম সংস্হাপন এই দুইটি গৌণ কারণ। ভগবানের অনন্ত শক্তি রয়েছে যার ভ্রুভঙ্গিতে, ইঙ্গিতে এই সমস্ত অসুর অনায়াসেই বিনাশ প্রাপ্ত হয়। এজন্য ভগবানের আসার প্রয়োজন হয় না।
▪️ধর্ম সংস্হাপনার জন্য ভগবান তাঁর প্রেরিত দূত বা ভগবানের শক্তি সমন্বিত মহান শক্তিশালী আচার্যরা এই কাজটি করতে পারেন। আজও পরম্পরাক্রমে বর্তমান আচার্যগন ধর্মকে জগতের প্রতিটি দ্বারে দ্বারে পৌঁছে দেওয়ার জন্য এবং মহাপ্রভুর বাণী সার্থক করার জন্য ব্যাপৃত আছেন।
▪️মুখ্য কারণটি হলো অসুরদের উৎপাত থেকে সাধুদের পরিত্রাণ করে ভক্তদের শান্তি বিধান করা। ভক্তদের বিরহ বেদনা দূর করার জন্য, ভক্তদের আনন্দ বিধানের জন্যই তিনি এ জগতে ছুটে আসেন। অনেকের মনে প্রশ্ন আসা স্বাভাবিক ভগবান কি তাহলে সর্ব শক্তিমান নন? এ কাজটাও তো তিনি তাঁর ইঙ্গিতে করিয়ে নিতে পারেন কিন্তু করছেন না কেন?
▪️সন্তানের বিপদে কারো অপেক্ষায় না থেকে বিপদকে তুচ্ছ করে পিতামাতা তাকে রক্ষা করে নিজ সন্তানের প্রতি প্রেম-ভালবাসা প্রদর্শন করেন। ভগবান সমস্ত জীব বা অনন্ত কোটি সন্তানের পিতা, তাঁর অনন্ত প্রেম। তাই তাঁর সন্তানেরা যখন বিপদাপন্ন হয়ে আর্তিভরে তাঁকে ডাকেন, তখন কি আর তিনি স্হির থাকতে পারেন?
▪️তিনি সর্বদা সন্তানদের জন্য উদগ্রীব। তাই তিনি বারবার এই ধরাধামে স্বয়ং চলে আসেন। তাই ভগবানের আসার মুখ্য কারণটি হলো তাঁর ভক্তদের আনন্দ বিধানার্থে তাঁদের তাঁর লীলায় অংশগ্রহণ করিয়ে আনন্দ প্রদান করা।
▪️তাঁর জন্ম-মৃত্যু আমাদের জড় দৃষ্টিতে গোচরীভূত হয় মাত্র। যেমন আমরা সূর্যকে উদয় ও অস্ত যেতে দেখি, কিন্তু প্রকৃতপক্ষে সূর্য এক জায়গায় স্হির। সুর্য ডোবেও না ওঠেও না। আমাদের বিকৃত ইন্দ্রিয়ের প্রভাবে আমরা মনে করি সূর্য উদিত হয় এবং অস্ত যায়। ভগবানও তেমনি নিত্য। তাঁর আবির্ভাব এবং অন্তর্ধান সূর্যের মত, সাধারন মানুষের জন্ম-মৃত্যুর মতো নয।
▪️শ্রীকৃষ্ণের রাজত্বকালে তাঁকে কেউই পরমেশ্বর ভগবান বলে চিনতে পারেননি। তবে চিনতে পেরেছিলেন শুধু একজন তিনি ভীষ্মদেব। আর কৃষ্ণ নিজে প্রকাশিত হয়েছিলেন এবং বিশ্বরূপ দেখিয়েছিলেন শুধু অর্জুনকে। গীতার জ্ঞান প্রকাশিত হওয়ার পরই আজ এই কলিযুগের মানুষেরা তাঁকে ভগবান বলে চিনতে পেরেছে।
▪️কংসকে নিধন করা শ্রীকৃষ্ণের অবতরণের মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল না, মুখ্য উদ্দেশ্য ছিল তাঁর ভক্ত দেবকী-বসুদেবকে উদ্ধার করা। কিন্তু এই দুটি কাজ একসঙ্গে সাধিত হয়েছিল। তাছাড়া কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধে দুর্যোধনাদি দুরাচারীদের বিনাশ করে ধর্ম সংস্হাপন করেন। তাই ভগবান এখানে বলেছেন, সাধুদের পরিত্রাণ আর অসাধুর বিনাশ করবার জন্য তিনি অবতরণ করেন।
▪️বৃন্দাবনে প্রদর্শিত শ্রীকৃষ্ণের লীলাবিলাস ধর্মের পূর্ণতার নিদর্শন —তা প্রেমপূর্ণ ভগবৎ-শরণাগতির পরম সারাৎসার। তাঁর দিব্যানন্দময় চিত্ত-উল্লাসকর ব্রজলীলা সম্পাদনের মাধ্যমে শ্রীকৃষ্ণ বদ্ধজীবকে প্রেম-ধর্মের পথ অনুসরণে আকৃষ্ট করেন।
👉নমো ব্রহ্মণ্যদেবায় গো ব্রাহ্মণ্য হিতায় চ।
👉জগদ্ধিতায় শ্রী কৃষ্ণায় গোবিন্দায় নমো নমঃ ।।
((((হরে কৃষ্ণ 👏❤️💚💚🌼🌹))))
#সুখী_হতে_চান!☘️🌹💁
যাঁরা বিশেষভাবে সমৃদ্ধিপূর্ণ অবস্থায় রয়েছেন, তাঁদের মনে রাখা উচিত যে, তাঁদের সমস্ত ধন-সম্পদ হচ্ছে পরমেশ্বর ভগবানের উপহার। সেই ধন-সম্পদ পরমেশ্বর ভগবানের প্রসন্নতা বিধানের জন্য যজ্ঞ অনুষ্ঠানে ব্যবহার করা উচিত। সেটিই সম্পদ এবং ঐশ্বর্যের সদ্ব্যবহার করার উপায়। পরমেশ্বর ভগবানের কৃপা ব্যতীত কেউই ঐশ্বর্য, উচ্চ কুলে জন্ম, দেহের সৌন্দর্য অথবা উচ্চ শিক্ষা লাভ করতে পারে না। তাই, যাঁরা এই সমস্ত মূল্যবান সুযোগ-সুবিধাগুলি পেয়েছেন, তাঁদের পরমেশ্বর ভগবানের আরাধনা করে এবং তাঁর কাছ থেকে তাঁরা যা পেয়েছেন, তা তাঁকে নিবেদন করে তাঁর প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রদর্শন করা অবশ্য কর্তব্য। যখন এই প্রকার কৃতজ্ঞতা কোন পরিবার, রাষ্ট্র বা সমাজের দ্বারা প্রদর্শিত হয়, তখন তাঁদের বাসস্থান জড় জগতের ত্রিতাপ দুঃখ থেকে মুক্ত হয়ে প্রায় বৈকুণ্ঠের মতো হয়ে ওঠে। এই যুগে কৃষ্ণভাবনামৃত আন্দোলনের উদ্দেশ্য হচ্ছে, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের ভগবত্তাকে স্বীকার করতে সকলকে অনুপ্রাণিত করা। যার কাছে যা কিছু আছে তা সবই ভগবানের কৃপার দান বলে মনে করা উচিত। তাই, সকলেরই কর্তব্য হচ্ছে কৃষ্ণভাবনায় ভাবিত হয়ে ভগবদ্ভক্তিতে যুক্ত হওয়া। কেউ যদি গৃহস্থরূপে, নাগরিকরূপে, মানব-সমাজের সদস্যরূপে সুখী হতে চান, তা হলে তাঁকে অবশ্যই ভগবানের প্রসন্নতা বিধানের জন্য ভগবদ্ভক্তিতে উন্নতি সাধন করতে হবে।
#জয়_শ্রীল_প্রভুপাদ 🌹❤️🙏🏻
সূর্যের প্রখরতাকে যেমন হাত দিয়ে ঢাকা যায়না, তেমনি মিথ্যা ক্ষমতা আর অর্থের প্রাচুর্য্যে নিজের কৃতপাপ কর্মকেও ঢাকা যায়না।
—যতই চেষ্টা করা হোক, ক্ষমতা ও অর্থের অজু-হাতে কিছু দিন কিছু লোককে বোঁকা বানাতে পারলেও ভগবানের এই সৃষ্টিতে বৃহত্তর অংশকে কখনোই মূর্খ বানানো যায় না।
—কারণ শ্রীকৃষ্ণের এই প্রকৃতি সর্বব্যাপী এবং সর্বদাই নিরাময়ী। তাই পাপ মানেই ক্ষয়। এইজন্য সর্বদাই আমাদেরকে শ্রীকৃষ্ণের উপর ভরসা রাখতে হয়।
হরে কৃষ্ণ! ধন্যবাদ!!🌿🙌🏾🙏
শুভ জামাইবাবু🥰
আজকাল অধিকাংশ মানুষ ... সুখ মনের ভিতর নিজে নিজে পেলেও সুখী হয় না বরং মানুষ কে দেখিয়ে বেশি সুখ লাভ করে 🤷♀️❗
আজ সকালে এই কথাটা আমি ক্লাসে শুনেছি তখন ভাবলাম ঠিক ই ত কথাটা। কারণ আমরা সব সময় চাই মানুষ আমার প্রশংসা করুক ।
উদাহরণঃ একটা আই ফোন ১৩ প্রো ম্যাক্স ধরুন আপনি কিনলেন নিজে ই জানেন অন্য কেউ জানে না। তখন আপনার মনে এতো টা সুখ থাকবে না বাট যখন সেটা মানুষকে দেখাবেন আর মানুষ বলবো আহা কি সুন্দর। আরো তেল মসলা মেরে প্রশংসা করবে তখন যে কি আনন্দ হবে মনে বলার বাইরে।
আবার মাতাজি রা ভালো জামা শাড়ি গয়না কিনে যত টা না আনন্দ পায় তার থেকে বেশি পায় অন্য কেউ বললে যে আহা কি সুন্দর দেখাচ্ছে তোমায় ❗কত সুন্দর শাড়িটা🥻, জামাটা👗, গয়নাটা💍💄 তবে পামে ফুলে একবারে ডুল হয়ে যাবে।
আসলেই মানুষ অন্যকে দেখিয়ে বেশি সুখ পায়। আমাদের উচিত শুদ্ধ ভাবে ভগবান গুরুদেব এর চরণে শরণাগত হয়ে শুদ্ধ ভাবে গুরু কৃষ্ণের সন্তুষ্টি বিধানের জন্য কাজ করা। তাদের চরণ সেবা করা 👣। প্রশংসা আসার হলে তখন নিজে না চাইলেও আসবে। আর অতিরিক্ত প্রশংসা মানুষের মনে হিংসা আর আত্ম অহংকারের জন্ম দেয় 🤷♀️।
আমার বিশ্বাস কতটা দৃঢ়
শ্রীচৈতন্য মহাপ্রভু একদিন পবিত্র হরিনাম জপ করার যোগ্যতা প্রসঙ্গে শ্রীল হরিদাস ঠাকুরকে জিজ্ঞাসা করেন। পরমভক্ত শ্রীল হরিদাস ঠাকুর বললেন, “হরিনাম জপকে যুগধর্ম হিসেবে জেনে, অকিঞ্চন ভক্তিসহকারে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের পবিত্র নামের আশ্রয় গ্রহণ করে যে ব্যক্তি, তিনিই হরিনাম জপের যোগ্য। আর এই জপের মাধ্যমে তিনি সবকিছুই অর্জন করেন।”
শ্রীল ভক্তিবিনোদ ঠাকুর বিশ্বাসের গুরুত্ব সম্পর্কে এরূপ বলেছেন: দান, যজ্ঞ, গঙ্গাস্নান বা বৈদিক মন্ত্র জপ করার সময় একজনকে অবশ্যই বিবেচনায় রাখতে হয় যে, স্থান, কাল ও বস্তুসমূহ শুদ্ধ বা উপযুক্ত কিনা। ফলে এসব বিবেচনা করতেই অধিক সময় ব্যয় হয়। কিন্তু কারো যদি কেবল বিশ্বাস বা নিষ্ঠা থাকে, তাহলেই সে হরিনাম জপ করার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিশ্বাস থাকলে অন্য কোনো কিছুই যোগ্যতার মাপকাঠি হিসেবে বিবেচনা করার প্রয়োজন নেই।
অন্যভাবে বলা যায়, জপমালা বা দীক্ষা বা দীক্ষাকালীন প্রদত্ত নাম কাউকে হরিনাম জপ করার যোগ্য করে তোলে না। শুধু অবিচল নিষ্ঠা আর বিশ্বাস-ই হরিনাম জপের যোগ্যতার মাপকাঠি।
আপনি যখন জপ করা শুরু করেছেন, তার অর্থ দাঁড়ায় অবশ্যই আপনার একটা পর্যায় পর্যন্ত বিশ্বাস আছে, তা না হলে আপনি জপ করা শুরু করতেন না। যখন আপনি এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করবেন, তখন দেখবেন যে জপ করার সাথে সাথেই পবিত্র হরিনাম সাড়া দেওয়া শুরু করেছে।
অন্যভাবে বলা যায় যে, বিশ্বাস নিয়ে জপ করা ব্যক্তির সাথে বিশ্বাসহীন জপকারী ব্যক্তির পার্থক্য রয়েছে।
এর অর্থ, আপনার যদি ভক্তিজীবন অনুশীলনে সুদৃঢ় বিশ্বাস না থাকে, তবে আপনি খুব বেশি এগিয়ে যেতে পারবেন না। যদি আপনি প্রতিদিন জপ করবার শুধু অভ্যাস গড়ে তোলেন, তাহলে অচিরেই আপনি পারমার্থিক হরেকৃষ্ণ আন্দোলনের নব্যদীক্ষিতদের দলে শামিল হবেন কিন্তু আপনি প্রতিনিয়ত আপনার মনের সাথে যুদ্ধ করবেন এবং একজন উদ্ধত পশ্চিমা হিসেবেই থেকে যাবেন, যিনি কিনা হৃদয়ের শুদ্ধতার চেয়ে বিতর্কিত বিষয়গুলোর ওপর আলোচনা করাকেই বেশি সমাদর করে থাকে। ফলশ্রুতিতে আপনি আপনার হৃদয়ের সত্যিকারের পারমার্থিক অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত থেকে যাবেন
শ্রীল জীব গোস্বামীর মতে দু’ধরনের বিশ্বাস আছে। প্রথমটি হচ্ছে, ‘লৌকিক শ্রদ্ধা’, যা হলো এই পার্থিব জগতের বিষয়াদির প্রতি বিশ্বাস। যেমন কেউ বিশ্বাস করতে পারে যে, যদি কেউ ভালো পোশাক পড়ে তবে সে অপরের ওপর ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে। অথবা কেউ যদি বিশ্ববিদ🙏🙏
যখন আমরা অন্তর থেকে খুব শক্ত হতে পারি,যখন আমাদের ভিতরটা খুব শক্তিশালী হয় কেবলমাত্র তখনই আমরা বাহ্যিক প্রতিবন্ধকতাকে কাটিয়ে উঠতে পারি।
এই জড়জগতের প্রকৃত স্বরুপ যখন আমরা হৃদয় দিয়ে উপলব্ধি করি তখন বাহ্যিক সুখ-দুঃখ আমাদের এতটা প্রভাবিত করতে পারে না।
কোন পরিস্থিতিতে একজন ভেঙে পড়ছে আর একজন একই পরিস্থিতিতে থেকেও পুরো শান্ত।
একজন খুব উত্তেজিত হয়ে যাচ্ছে আর একজন পুরো শান্ত।
এটা কি করে সম্ভব?
একজন তার জীবনে এতটা হতাশ হচ্ছে যার ফলে সে আত্মহত্যার পথ বেছে নিচ্ছে।আরেকজন একই পরিস্থিতিতে শান্ত।
এটা তখনই সম্ভব যখন একজন ভক্ত আধাত্মিক জীবনে অনেক অগ্রগতি লাভ করে।
ভাই-বোন একটা খেলনা নিয়ে ঝগড়া করছে।মা ওখানে দাঁড়িয়ে আছে।মা কি উত্তেজিত হচ্ছে?
মা পুরো শান্ত।এরপর মা যখন দেখে ভাই বোনের ঝগড়াটা একটু বেশি হয়ে যাচ্ছে তখন থামিয়ে দেয়।
একটি প্রচলিত কাহিনী রয়েছে।
একবার যারা পেইন্টিং করে তাদের আহবান করা হলো।
যিনি সবচাইতে সুন্দর ভাবে প্রকৃত শান্তির ছবি পেইন্টিং দ্বারা প্রতিফলিত করতে পারবে তাকে বড় অঙ্কের টাকা পুরস্কৃত করা হবে।
স্বাভাবিক ভাবে বিশ্বের বড় বড় আর্টিস্ট তাদের আঁকা ছবি প্রেরণ করলো।
হাজার হাজার ছবির মধ্য থেকে একশটি ছবি বাছাই করা হলো।
সবাই অপেক্ষা করছে দেখার জন্য কে প্রথম হবে।কারন যে প্রথম হবে তাকেই পুরস্কৃত করা হবে।
আর্ট গ্যালারি করা হয়েছে।সেখানে সুন্দর সুন্দর ছবি সাজানো হয়েছে।
এর মধ্যে রয়েছে প্রাকৃতিক সৌন্দর্যের ছবি,বন-জঙ্গল,ফুলের বাগান,ঝরনা,বরফের পাহাড় ইত্যাদি ইত্যাদি।
খুব সুন্দর সুন্দর ছবি যা দেখলেই শান্তি লাগে।
অনেক সময় আমরা যখন বন-জঙ্গল বা নদীর পাড়ে যাই তখন দেখেই মন শান্ত হয়ে যায়।
কিন্তু সবাইকে অবাক করে বিচারকরা বেছে নিলেন পৃথিবীর সবচাইতে শান্তিতম একটি ছবি।কিন্তু তা দেখে সাধারণ মানুষ অবাক হয়ে গেল।
কারন সাধারণ মানুষ বুঝতে পারে নি কিভাবে এটা প্রকৃত শান্তির ছবি।
তারপর বিচারকরা বললেন,
আপনারা ছবিটা দূর থেকে দেখছেন।একটু কাছে থেকে দেখুন।ছবিটাতে বাইরে ঝড়-বৃষ্টি,তুফান হচ্ছে তার মধ্যে একটা ঘর রয়েছে আর ঘরের মধ্যে একজন ব্যক্তি রয়েছে।এই ঝড়-বৃষ্টি,তুফানের মধ্যেও এই ঘরে যে ব্যক্তিটি আছে তার মুখ একদম তৃপ্তিতে পূর্ণ।সে ঝড়-বৃষ্টি,তুফানের দ্বারা বিন্দুমাত্র প্রভাবিত হচ্ছে না।তার মুখে রয়েছে প্রশান্তি।
আমাদের জীবনে অনেক সুখ-দুঃখের মধ্যেও কিভাবে একটু শান্ত থাকা যায় সেটা আমাদের শিখতে হবে।তা নাহলে আমরা স্রোতে ভেসে যাবো।
আজকে ভালো কিছু খবর পেয়েছি ঐ স্রোতে ভেসে যাবো,কালকে কিছু খারাপ হয়েছে ঐ স্রোতেও আমরা ভেসে যাবো।
আমরা এই জড়জগতের সুখ-দুঃখের স্রোতে ভাসতে চাই না।আমরা কৃষ্ণকে ভালবাসতে চাই।কারন আমরা এই জীবনেই ভগবানের কৃপা পেতে চাই।ভগবানের কৃপা আমরা যদি পেতে চাই এই জড়জগতের সুখ-দুঃখের স্রোতে ভাসলে হবে না।
প্রকৃতির কিছু নিয়ম আছে।
প্রকৃতির নিয়মে আমাদের জীবনে কিছু ভালো ঘটনা ঘটবে কিছু খারাপ ঘটনা ঘটবে।লিখে রাখতে হবে আমাদের।
মাঝেমাঝে কেউ ফোন করে খারাপ খবর দিবে কেউ ভালো খবর দিবে।
আত্নীয়-স্বজন আমাদের সাথে কিছু ভালো ব্যবহার করবে,কিছু খারাপ ব্যবহার করবে।
কিছু ব্যক্তি আসবে যিনি আপনার পিছনে যেরকম সামনেও ঠিক সেরকম।
আর কিছু কিছু ব্যক্তি আপনার জীবনে আসবে যিনি আপনাকে দেখে বলবে,"আপনার মত ভক্ত হয়না" আর পিছনে বলে"সে একটা বদমাশ লোক।"
এই রকম পরিস্থিতিও আসবে।
কোন কোন দিন হয়তো খুব ভালো প্রসাদ পাবেন,কোন কোন দিন হয়তো আপনি কোন প্রসাদ-ই পাবেন না।
আমাদের প্রত্যেকের জীবনে মাঝেমাঝে কিছু পরিবেশ-পরিস্থিতি এমন হয় আশেপাশে প্রসাদ থাকা স্বত্ত্বেও আমরা চেয়েও প্রসাদ পাই না।
আর সেটাও মেনে নিতে হবে আমাদের।
শুধু প্রসাদের ক্ষেত্রে না সবকিছুর ক্ষেত্রেই এমন হয়।কখনো কখনো মনে হবে,"শরীরটা ঠিক আছে,এমন শক্তি আছে যে পৃথিবীকে জয় করে ফেলবো"।
তারপরের দিন আমি চাইলেও হাটতে পারছি না।সেই শক্তিটা নেই।
"কভু স্বর্গে উঠায় কভু নরকে ডুবায়,
দন্ডজনে রাজা যেন নদীতে চুবায়"
এটি হচ্ছে এই জড়জগতের স্বভাব।এই জড়জগতে ঝড়-বৃষ্টি তুফান থাকবে।পুরো প্রতিকূল পরিস্থিতি থাকবে।কিন্তু আমাদেরকে শক্ত হতে হবে।
-কখনো দুচোখে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকুন এমন অপ্রাকৃত বিগ্রহের দিকে🌿
-কখনো নিজের কন্ঠে অজান্তেই গেয়ে ফেলুন এমন মধুমাখা সুরের সাথে কৃষ্ণ নাম🌿
-কখনো পরম ভক্তির সাথে নিজের মাথা নত করুন পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের চরণে, 👣
নিজেকে মিশিয়ে ফেলুন বৈষ্ণবদের চরণ ধূলায় 🤗
একবার করেই দেখুন, দেখবেন কি শান্তি, কি সুখ, কি ভালোবাসা,কি আকর্ষন আপনার মধ্যে অনবরত বিরাজ করছে 😌
হে কৃষ্ণ, হে পরম দয়ালু ভগবান আমায় তুমি আগলে রেখো তোমায় কৃপায়।😭
হরে কৃষ্ণ। 🌿🌺
পৃথিবী হচ্ছে ভাড়া বাড়ির মতো,যতই সাজাই না কেন,মালিকের নোটিশ আসলে ঠিক বাড়ি ছেড়ে দিতে হবে।
তবে হ্যাঁ যাকে পেলে জীবনে আর কিছুই পাওয়ার বাকী থাকে না তিনিই আমার প্রাণ গোবিন্দ🙏
💞🌺🙏 হরে কৃষ্ণ 🌺💞
পৃথিবীতে যত অশান্তি তার মূখ্য কারন হলো"অধর্ম"
তেমনি শান্তির পেছনে মূখ্য কারন পাওয়া যায় "ধর্ম"।
অথচ পৃথিবীতে কিছু মানুষ ধর্মান্ধ হয়ে সেই ধর্মের নামে অশান্তি সৃষ্টি করে চলেছে,আসলে যা অধর্ম।
যা ধর্ম তা জীবন কে রক্ষা করতে শেখায় মারতে নয়।
যা ধর্ম তা মানুষ কে সুখ দেয় কষ্ট নয়।
যা ধর্ম তা অন্যের সম্পদ রক্ষা করতে শেখায় ভোগ/হরন/নষ্ট করতে নয়।
🙏হরে কৃষ্ণ🙌হরিবোল🙌জয় শ্রীকৃষ্ণ🙌
#এই নির্মল বিশুদ্ধ ভগবৎ প্রেমের ঋণ কি কখনো শোধিবে ? -
এক ভাগবত সভায় শ্রুত -
"" একসময় ব্রজের এক গোপীনী একাকিনী যমুনার তটে চোখ বুজে বসে আছে।আর সব গোপীনিরা তাকে খুঁজতে খুঁজতে সেই স্থানে এল।সবাই খুব চমৎকৃত।
তারা জিজ্ঞাসা করিল -"কি রে সখী,সবাই তোকে খুঁজছে, আর তুই এখানে একা!সবাই তোকে কত নিন্দামন্দ করছে।আর তুই কিনা এখানে একা বসে আছিস"!
"কি করবো সখী"- সেই গোপী হৃদয়ের কান্না লুকিয়ে বলে উঠলো।
"সবাই আমায় কুলটা বলে,তিরস্কার করে!
জানিস সখী!যেইদিন প্রথম কদম্বগাছের নিচে বাঁশি বাজাতে বাজাতে নন্দের ছোড়া কৃষ্ণ আড়চোখে আমার চোখে চোখ রেখে হেসেছিল,সেই দিন থেকে আর তাঁর সেই অনিন্দ্যকান্তি মুখের সুন্দর হাসি,তার বাঁকা চাহনি আমি একক্ষণও ভুলতে পারিনা!সর্বক্ষণ সর্বত্র যেন সে আমাকেই ডাকিতেছে!
সখী তোরা বল!তাকে কি ভোলা যায় ?
স্বামী,শ্বশুর, পুত্র এর জন্য রাঁধতে যাই -তখন তাঁকে মনে পড়ে যায়!রান্না আর হয়ে ওঠে না!সব পুড়ে যায়!স্বামীর পদসেবা করতে বসি,তখনো তাঁর সুন্দর চাহনি চোখের কাছে ভেসে ওঠে,শরীর যেন অবশ হয়ে যায়,তাই স্বামীর পদসেবাও করে উঠতে পারিনা।সংসারের কোনো কাজই আমি ঠিকভাবে পারিনা!সবাই তাই তিরষ্কার করে,কুলটা বলে,কতো গঞ্জনা দেয়!
আর সহিতে পারছি না!!
তাই তাঁকে ভোলবার জন্য আজ আমি কঠোরভাবে নিজের মনটাকে সংযত করছি -তাঁকে বাদ দিয়ে জগতের ধ্যান করছি-আকাশ,বাতাস,গাছ,নদী,পর্বত সবকিছুর ধ্যান করছি।কিন্তু তবুও তাঁকে ভুলতে পারছি কই!"😢
সব গোপীদের চোখে জল।কারণ এই দশা তো সবারই।সবাই আজ কুলটা,কলঙ্কিনী শ্যাম কে হৃদয়ে স্থান দিয়ে।শ্যাম যে হৃদয়ের সবটাই দখল করে নেবে তা কে জানতো!!
"কিন্তু হায়!!তাঁকে কি ভোলা যায়,জগতের সবকিছুতেই তো তিনি,তাঁকেই যেন দেখতে পাই।কোথায় নাই সে?শ্যাম সাগরে ডুবে মরিছি আমি সখী!!"
আমিও, আমিও,আমরা সবাই - চোখের জলে বলে উঠলো সব গোপীনারী।।
সখী এখন আমাদের পালিয়ে বাঁচার পথ নাই।জগতে সবখানেই যে সে বিরাজ করছে আর আমাদের মন প্রাণ জীবন সর্বস্য হরণ করেছে!তাঁকে ছাড়া একক্ষণও থাকিতে পারি না যে আমরা!
কিন্তু হায়!তথাপি এই বিরহ সবার কাছে লুকাতে হয়,গোপন করিতে হয় আমাদের সাথে শ্যামের পিরিতি।এইখানেই তো কষ্ট!আমরা প্রাণভরে শ্যামসাগরে ডুবতেও পারছি না সংসারের কলঙ্কিনী ভর্ৎসনার তাড়নায়। হায়!আমরা কতো বড়ো অসহায়!!আমরা যে অবলা ব্রজনারী!" ""
গোপীদের এই বার্তালাপ আড়ালে থেকে শুনছিলেন স্বয়ং গোবিন্দ -আর মনে মনে বলে উঠলেন - -"ন পারয়েহহং নিরবদ্যসংযুজাং,
স্বসাধুকৃত্যং বিবুধায়ুষাপি ব: ...."
-ভাগবতম্(১০ম্ স্কন্ধ)
"হে গোপীগণ, আমি নিজেকে তোমাদের কাছে শত বার বিকিয়ে দিলেও তোমাদের এই প্রেমের ঋণ শোধিতে পারব না '।
ধন্য ব্রজবধূগণ!সার্থক তাদের কৃষ্ণপ্রীতি!তাইতো উদ্ধ্ববজীর মতো ব্রহ্মজ্ঞানী পুরুষও মুক্ত কণ্ঠে তাঁদের চরণ বন্দনা করে স্তুতি করলেন -"বন্দে নন্দ ব্রজস্ত্রীনাম্ পাদরেণু অভিক্ষণশ, যাসাম হরি কথামৃতম্ পূনাতি ভুবনত্রয়ম "(ভাগবত,১০ম্ স্কন্ধ)।
আহা!ধন্য ব্রজের গোপীনারীগণ।সার্থক তাদের কৃষ্ণ ভক্তি,প্রীতি।সার্থক তাদেরও জীবন যাঁরা এই দূর্লভ গোপীভাব হৃদয়ঙ্গম করে ব্রজের রাগানুগা ভজনে জীবন কাটাচ্ছেন ।
জীবনে কিছু মূখ্য জিনিস পেতে গেলে কিছু গৌণ জিনিস ত্যাগ করতে হয়।
ভালো কিছু পেতে গেলে খারাপ বা কিছু বদ-অভ্যাস আমাদের পরিত্যাগ করতে হয়।
ভক্তিজীবন থেকে আমরা শিখি যে আমরা কৃষ্ণপ্রেম পেতে চাই,ভগবানের ধামে ফিরে যেতে চাই,এই জড় জগতের জন্ম-মৃত্যুর চক্র থেকে আমরা নিস্তার পেতে চাই।
আমাদের যখন জিজ্ঞাসা করা হয় কে কে ভগবানকে পেতে চায়,আমরা খুব উৎসাহ নিয়ে "হরিবল" বলি।
আমাদের চাওয়াটা তখনই বাস্তবে রুপদান করবে যখন আমরা জড়জগতের প্রতি আমাদের যে আসক্তি রয়েছে,লাভ-পূজা-প্রতিষ্ঠার প্রতি যে আসক্তি রয়েছে তা আমরা ত্যাগ করতে পারবো।
"অহংকারে মত্ত হইয়া,
নিতাই পদ পাসরিয়া"
অহংকারে মত্ত হয়ে আমরা ভগবানকে মানতে চাই না,সাধু-গুরু-বৈষ্ণবকেও মানতে চাই না।এই স্বভাবগুলো আমাদের পরিত্যাগ করতে হবে।আর তখনই ভগবানকে পাওয়ার আমাদের যে ইচ্ছা সেইটা বাস্তবে রুপদান হবে।
পুকুর বা নদীর তীরে সারস বা বড় কোন পাখি থাকে।জলের উপর তাদের তীক্ষ্ণ নজর থাকে,পূর্ণ মনোযোগ দিয়ে জলের প্রতি সে দৃষ্টিপাত করে।
কিছু কিছু পাখি আছে এত চালাক যা কল্পনার অতীত।
যারা মাছ ধরে।তারা মাছকে শিকার করার জন্য বরশিতে কিছু খাবার দেয়,লোভ দেখায় আর মাছ লোভ সামলাতে না পেরে বরশিতে অল্প একটু খেতে গিয়ে তার জীবন হারায়।
কিছু কিছু পিঁপড়ে মধু খেতে গিয়ে মধুর উপর বসে এরপর তাদের জীবন হারায়।
কিন্তু আমরা যেন এমন না হই।
অল্প ইন্দ্রিয় সুখ ভোগ করতে গিয়ে আমরা যেন মৃত্যুবরণ না করি।
কিছু পাখি রয়েছে যারা মাছকে শিকার করার জন্য কিছু খাবার দেয় এবং তীক্ষ্ণ নজর রাখে।যদি কোন ছোট মাছ খাবারটা নিতে আসে ঐ পাখিটি সঙ্গে সঙ্গে খাবারটি জল থেকে তুলে নেয় যেন ছোট মাছ তা নিতে না পারে।
পাখিটি অপেক্ষা করে কখন বড় মাছ আসবে তাই ছোট ছোট মাছ গুলোকে সে ছেড়ে দেয়,কারন সে বড় কিছু চায়।আর যখনই বড় মাছ আসে তখনই তাকে শিকার করে।
আমাদেরকে সেরকম হতে হবে।
ছোট ছোট জিনিস আমাদের ছেড়ে দিতে হবে।
কে আমার সম্বন্ধে ভালো বলছে,কে খারাপ বলছে,আমার মনের মত এটা হলো না,সে আমার কথা শুনলো না,এই ছোট ছোট জিনিসকে ছেড়ে দিতে হয়।
কারন আমরা বড় কিছু চাইছি।
আমরা মহাপ্রভুকে পেতে চাইছি,আমরা ভগবদ্ভক্তি চাইছি,আমরা হরিনামের অপ্রাকৃত আনন্দ আস্বাদন করতে চাইছি।
হরিনামের অপ্রাকৃত রস আস্বাদন করতে গেলে ছোট-খাটো জিনিস শাস্ত্রে যাকে বলে খুটিনাটি তাকে পরিত্যাগ করতে হবে।কারন আমাদের উদ্দেশ্য বড়।
যেমন সারস পাখি বা অন্যান্য বড় পাখি ছোট-ছোট মাছগুলো ছেড়ে দেয়,বড় মাছকে ধরার জন্য।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে সকাল বেলা জপ যদি মহৎ উদ্দেশ্য হয় তাহলে কিছু ছোট ছোট জিনিস যা সহজে পরিত্যাগ করা যাবে,সেই ছোট ছোট জিনিসগুলো কি?
"রাত জেগে ফেসবুক না করা,কষ্ট হলেও সকালে ঘুম থেকে উঠা,রাতে অল্প প্রসাদ পাওয়া,জপের সময় কারো সাথে কথা না বলা", এই ছোট ছোট জিনিসগুলো আমরা ত্যাগ করতে পারি ভালো করে জপ করার জন্য।কারন আমাদের উদ্দেশ্য মহৎ।যেহেতু উদ্দেশ্য মহৎ তাই এসব ছোট ছোট বিষয়গুলো আমরা সহজে ত্যাগ করতে পারি।
বাংলায় একটা কথা আছে"কষ্ট না করলে কেষ্ট মেলে না"।
তাই আমরা যদি কষ্ট না করি,কিছু ত্যাগ না করি আর যদি সব মহৎ উদ্দেশ্য সাধন করতে চাই আমরা তা পারবো না।
সকালে ঘুম থেকে উঠবো না আর সকাল সকাল জপ করে নিবো,এইটা কি হয়!সব উল্টোপাল্টা খাবো আর ভাববো আমার মন কেন চঞ্চল!প্রভুপাদের কীর্তন শুনবো আবার বাইরের গানও শুনবো,এরপর ভাববো আমি যখন জপ করতে বসি আমার মনটা এদিক-ওদিক চলে যায় কেন!প্রত্যেকদিন টিভিতে একটা করে সিরিয়াল দেখবো আর ভাববো ক্লাসের সময় আমার ঘুম কেন পায়!
ভালো কিছু করতে গেলে আমাদের কিছু ত্যাগ করতে হবে।আমাদের বিভিন্ন বেগ রয়েছে যা নিয়ন্ত্রণে নিয়ে আসতে হবে।আর তাহলেই আস্তে আস্তে আমরা এগোতে পারবো।তা নাহলে কিভাবে পারবো!
তাই আমরা একটু সচেতন হই,আর দেখি কি কি জিনিস আমরা ভুল করছি যা আমরা সহজে ত্যাগ করতে পারি।আর এটা এত কঠিন কাজ না।নিজেকে "না" বলা শিখতে হবে আমাদের।
🌿🌿4 বছরের শিশু নিশ্চয়ই আপনার মন চুরি করতে পেরেছে🌿🌿
. “একটা উপহার দেওয়াকে তখনই আসল এবং পবিত্র বলে গণ্য করা হয় যখন সেটা আন্তরিকতার সাথে সঠিক মানুষকে, সঠিক সময়ে আর সঠিক জায়গায় দেওয়া হয়ে থাকে এবং উপহার দেওয়া ব্যক্তির মধ্যে কোনো ধরনের পাওয়ার আশা থাকেনা” – Shri Krishna
*❀꧁মাছ মাংস খেতে নেই কেন?꧂❀*
*☆☆কোন শাস্ত্রে আছে?প্রমাণ চাই!!☆☆*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*মাছ মাংস খেয়ে কি হরিনাম করা যায় না?ভগবানকে পাওয়া যায় না?কোন্ শাস্ত্র বলেছে,মাছ মাংস খেয়ে হরিনাম করা যায় না?*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*_⚜❈❀━┉শাস্ত্রের প্রমাণের পূর্বে কিছু আলোচনা করা যাক!প্রথমত বলি মাছ মাংস আসলে কাদের খাদ্য? জীব হিংসা বা হত্যা মানেই পাপ!তাহলে কাদের ক্ষেত্রে এই আইন?? যাদের উন্নত চেতনা দিয়েছেন ভগবান অর্থাৎ জীবশ্রেষ্ঠ মানুষ।একটা সাপ,ব্যাঙ,মাছকে ধরে হত্যা করে খেয়ে জীবন ধারণ করবে, আবার সাপকে ময়ূর ধরে হত্যা করে খাবে,ময়ুরকে হিংস্র পশুরা ধরে হত্যা করে খাবে। এটাই খাদ্যশৃঙ্খল।একটা জীব আর একটা জীবকে খেয়ে জীবন ধারণ করবে,এটা শাস্ত্র অনুমোদিত। তাই এইসব প্রাণীদের অন্য প্রাণী হত্যা করে খেলেও পাপ পূণ্যের কোনও বিচার করা হয়না।কারণ তাদের চেতনা মনুষ্য অপেক্ষা অনেক নিম্নমানের।_*
*_⚜❈❀━┉বর্তমানে কলিযুগ চলছে! আজ থেকে প্রায় সাড়ে পাঁচ হাজার বছর পূর্বে যখন পৃথিবীতে দ্বাপরযুগ শেষ হয়ে,কলি মহারাজ প্রবেশ করছিলেন, তখন এই পৃথিবীর শাসনকর্তা শ্রীঅর্জুনের প্রোপৌত্র পরীক্ষিত মহারাজ কলিকে প্রথম আশ্রয় প্রদান করেছিলেন জীবহিংসুক ব্যক্তিগণের মধ্যে,অর্থাৎ যারা নীরিহ প্রাণীদের হত্যা করে খাদ্য হিসাবে জীবন ধারণ করবে, তাদের মধ্যে কলি সর্বদাই বিরাজমান থেকে নানাবিধ পাপকর্মে লিপ্ত করাবেন।_*
*⚜❈❀━┉এইবার কিছু শাস্ত্রীয় প্রমাণ দেওয়ার প্রয়াস করছি।পরে আরও বিস্তারিত আলোচনা করা যাবে।*
*_⚜মনুসংহিতা_ শাস্ত্রে পঞ্চম অধ্যায়ে ৫৫ নং শ্লোকে বলা হয়েছে--*
*_"মাংস ভক্ষয়িতামুত্র যস্য মাংসামিহাদ্ম্যহম্।_*
*_এতন্মাংসস্য মাংসত্বং প্রবদন্তি মনীষিণঃ॥"_*
*মনিষীগণের দ্বারা _'মাংস' কথাটির অর্থ ব্যাখ্যা করা হয়েছে- _'মাম্' স খাদতি ইতি মাংস'_ অর্থাৎ, _"সেও আমাকে খাবে যেরূপ আমি তাকে খাচ্ছি।_"*
*অর্থাৎ _"ইহলোকে আমি যার মাংস ভক্ষণ করছি পরলোকে আমাকেও সে ভক্ষণ করবে।_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*_⚜❈❀━┉অনেকে পূজাতে পশুবলি দিয়ে মাংস খায় আবার মুসলিম সম্প্রদায়ে বিভিন্ন নীরিহ পশু পাখিকে বিসমিল্লা বলে নৃশংসভাবে টুঁটি বা গলা কেটে মাংস খাওয়ার জঘন্য প্রথা আছে। আসলে এগুলো নারকীয় ইন্দ্রিয় তৃপ্তি বলা হয়।এদের জন্য শাস্ত্র কি বলছে-----?_*
*_⚜"বলি দিয়ে মাংস খাওয়া ধর্মানুমোদিত মনে করে যদি কেউ মাংসাশী হয় তবে সে স্বধর্মকেই ত্যাগ করে বিধর্মকেই স্বধর্ম মনে করে।"(ভাগবত ১১.৫.১৩) বিবৃতি)_*
*_⚜"আর যে সব দাম্ভিক ব্যক্তি ইহলোকে দম্ভ প্রকাশ করার জন্য যজ্ঞের অনুষ্ঠান করে এবং সেই যজ্ঞে পশু বধ করে,পরলোকে তারা 'বৈশস' নামক নরকে নিক্ষিপ্ত হয়। যমদূতগণ তাদের অশেষ যাতনা দিয়ে বধ করে।"(ভাগবত১১.৫.২৫)কিন্তু তাদের যাতনা শরীরের মৃত্যু হয়না। শুধু অসীম তীব্র যন্ত্রণা ভোগ করতেই থাকে।(যারা নরকের অস্তিত্ব বিশ্বাস করেনা তারা নরকে গিয়েই তবে বিশ্বাস করবে।)_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*_⚜ছাগল-মহিষ-আদি বলি দিয়া পূজে॥_*
*_বৈশস-নরকে যাথে বধস্থান বলি।_*
*_নরক ভুঞ্জায়ে তারে তথা লইয়া ফেলি॥_*
*_ছাগ-মহিষের রূপ ধরি ভয়ঙ্কর।_*
*_খন্ড খণ্ড করি তার কাটে কলেবর॥_*
*_আর্তনাদ করি কান্দে হইয়া ফাপর।_*
*_মহাশুলে তার অঙ্গ বিন্ধে নিরন্তর॥_*
*(শ্রীকৃষ্ণ প্রেম তরঙ্গিনী ৫.৮ ৪১-৪৪)*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*⚜❈❀━┉শ্রীমদ্ভাগবতে (৫.২৬.৩১) বলা হয়েছে--- _"যারা পশুবলি দিয়ে ভৈরব বা ভদ্রকালী প্রভৃতি দেবদেবীর পূজা করে,হিংসা-কবলিত সেই পশু যমালয়ে রাক্ষস হয়ে ঘাতকের মতো সুতীক্ষ্ণ অস্ত্র দিয়ে তাদের বধ করে। ইহলোকে যারা পশুর রক্ত পান করে আনন্দে নৃত্যগীত করে সেইসব হিংস্রাশ্রিত পশু সেইরূপেই পরলোকে হিংসাকারীর রক্ত পান করে আনন্দে নৃত্যগীত করতে থাকে।"_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*_⚜❈❀━┉মাছ-মাংস হচ্ছে উগ্র রাজসিক ও ঘোর তামসিক খাদ্য,যা মানব মনের পশুবৃত্তি বাড়িয়ে তোলে,ধীরতা ও পবিত্রতা নষ্ট করে। উদ্ভিজ্জ খাদ্য সাধারণত দেহ ও মনে সত্ত্বগুণের সঞ্চার করে।_*
*_❈❀━┉⚜রক্ত-মাংস-হাড়-কাঁটা দিয়ে তৈরি খাদ্য হল ঘোর তমসান্ধ ব্যক্তির খাদ্য। তাই মাছ-মাংস অমেধ্য অর্থাৎ,অস্পৃশ্য খাদ্যরূপে চিহ্নিত। শ্রীমদভগবদ্ গীতায় (১৭.১০) ভগবান নির্দেশ দিয়েছেন এই অস্পৃশ্য খাদ্য তামসিক ব্যক্তিদের প্রিয়। "চামেধ্যং ভোজনং তামসপ্রিয়ম।"_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*_⚜❈❀━┉পিশাচ,রাক্ষস,ডাইনী ইত্যাদি ধরনের জাতি কিম্বা হিংস্র প্রাণীরাই রক্ত, মাংস,হাড়, কাঁটা ভোগ করতে চায়। কিন্তু সভ্যতাগর্বী মানুষগুলি কেন পিশাচ-রাক্ষস ধর্ম গ্রহণ করবে?_*
*⚜শ্রীমদ্ভাগবতে (৪/১৮/২১) বলা হয়েছে-- _"যক্ষ,রাক্ষস,ভূত ও পিশাচেরাই মাছ মাংস আহারে অভ্যস্ত হয়।"_ সত্যিকারের মানুষ এগুলো ভক্ষণ করেনা।*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*⚜❈❀━┉অনেকে বলেন যে,আমরা অন্যান্য পোকামাকড়,সাপব্যাঙ,পশুপাখি খাইনা।,কেবল মাছটা খাই! এতে দোষ কোথায়???*
*⚜কিন্তু মানবজাতির পিতা মহর্ষি মনু মনুসংহিতা শাস্ত্রে সবার প্রথমেই মাছ ভক্ষণ করতে নিষেধ করেছেন। তিনি বলেছেন--*
*_"যো যস্য মাংসমশ্নাতি স তন্মাংসাদ উচ্যতে।"_*
*_মৎস্যাদঃ সর্বমাংসাদস্তস্মান্মৎসান্ বিবর্জয়েৎ॥_*
*(মনুসংহিতা ৫ /১৫)*
*_❈❀━┉অর্থাৎ"যে যার মাংস খায়,সেই ব্যক্তি তন্মাংসখাদক(সেই প্রাণীর মাংস খাদক) বলে কথিত। কিন্তু মাছ সমস্ত প্রাণীর মাংস খায়।সব রকমের মরা প্রাণীর পচা দেহ মলমূত্রাদি খেতে অভ্যস্ত। সুতরাং একটি মাছ খাওয়া যা, আর সব রকমের প্রাণীর মাংস খাওয়াও তাই। তাই মাছ খাওয়া সর্বতোভাবে পরিত্যাজ্য।_*
*_⚜❈❀━┉শ্রীমদ্ভাগবতে (১১/৫/১৪) বলা হয়েছে, "ধর্মতত্ত্বে অনভিজ্ঞ,দুর্বিনীত, সাধুত্ব-অভিমানী,দুর্জন অসাধু ব্যক্তিরাই নিঃশঙ্কচিত্তে পশুহিংসা করে থাকে।" অতএব নরদেহ লাভ করে যারা বুদ্ধি বিপর্যয়ক্রমে মাংস খাচ্ছে,তাদের অনুরূপভাবে ঋণচক্র পরিশোধ করতেই হবে।হ্যাঁ এটাই বাস্তব সত্য কথা।_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*⚜❈❀━┉যারা মাছ-মাংস আহার করে অর্থাৎ,জীব হিংসা করে তারা ভগবদ্বিদেষীরূপে পরিগণিত বলে শাস্ত্রে উল্লেখ রয়েছে---*
*⚜❈❀━┉শ্রীমদ্ভাগবতে বলা হয়েছে--*
*_"দ্বিষন্ত পরকায়েষু স্বাত্মানং হরিরিশ্বরম্।_*
*_মৃতকে সানুবন্ধেঽস্মিন্ বদ্ধস্নেহাঃ পতন্ত্যধঃ॥"_*
*⚜অর্থাৎ _"স্ত্রী-পুত্রাদিযুক্ত শবতুল্য নিজ দেহের প্রতি আসক্ত মানুষেরা পরদেহে স্থিত জীবাত্মার প্রতি হিংসাবশত পরমাত্মা জগদীশ্বর শ্রীহরির প্রতিই বিদ্বেষ করে থাকে এবং তার ফলে তারা নরকগামী হয়।"_*
*(ভাগবত-১১/৫/১৫)*
*⚜কৃষ্ণ-প্রেমতরঙ্গিনী গ্রন্থে(১১/৫/৪১)বলা হয়েছে---*
*_"কেবল ঈশ্বরদ্রোহী প্রাণী বধ করে।"_*
*❈❀━┉সুতরাং,নারকী ভগবদ্ বিদ্বেষীরা ভগবদ্ উপাসনা করার অনুপযুক্ত--এরূপ মানুষেরা যদি ভগবানের শ্রীবিগ্রহ পূজা করেও,তবুও ভগবান প্রীত হননা। এই সম্পর্কে ভাগবতে বলা হয়েছে---*
*_"ততোঽর্চ্চায়াং হরি কেচিৎ সংশ্রদ্ধায় সপর্য্যয়া।_*
*_উপাসত উপাস্তাপি নার্থদা পুরুষদ্বিষাম্॥"_*
*_❈❀━┉অর্থাৎ," তদন্তর কেউ কেউ শ্রীহরির অর্চা মুর্তি শ্রদ্ধা সহকারে নানাবিধ উপকরণ দ্বারা পূজা করেন,কিন্তু জীব বিদ্বেষী ব্যক্তিরা পূজা করলেও শ্রীমূর্তি পরমার্থপ্রদ হননা।"(ভাগবত-৭/১৪/৪৩)_*
*_তাই যারা ডিম,মাছ,মাংস ভক্ষণ করেন,তাদের দ্বারা ভগবানের বিগ্রহ পূজা একেবারেই নিষিদ্ধ।_*
*❈❀━┉এই প্রসঙ্গে শ্রীকৃষ্ণপ্রেমতরঙ্গিনী গ্রন্থে নির্দশিত হয়েছে---*
*_"সেই মূর্তি করে যেবা ভজে নারায়ণ।_*
*_জীব হিংসা করে যদি নাহি প্রয়োজন॥"_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*_⚜❈❀━┉উপরের আলোচনা থেকে কি মনে হয়,মাছ মাংস খেয়ে হরিনাম করলে হরিনামের ফল ফলবে? না!!!ভগবানকে পেয়ে যাবেন?স্বয়ং বিচার করবেন!!_*
*_⚜❈❀━┉শেষে একটা কথা বলি, আপনি আপনার মন্দিরে কখনো একটা অপবিত্র আমিষের পাত্র আপনার মন্দিরে নিয়ে যান না, অথচ আপনি সবসময় মাছ মাংস ভক্ষণ করছেন তাহলে আপনার অপবিত্র বড় আমিষের পাত্র আপনার দেহ, সেই অপবিত্র দেহ নিয়ে মন্দিরে প্রবেশ করেন কি করে? ভগবানের বিগ্রহ স্পর্শ করেন কি করে? ভগবানের সেবায় আপনার দেহপাত্র লাগবে কি করে? স্বয়ং বিচার করে দেখবেন।_*
*_⚜❈❀━┉এবার বলি মাছ মাংস খেয়ে হরিনাম করবেন,তা ভালোই! আচ্ছা বলুন তো আপনার গায়ে চুলকানি বা এলার্জী হলে ডাক্তার CTZ ট্যাবলেট দিয়ে বলেন যে,এই ট্যাবলেট খাবেন আর চুলকানি বৃদ্ধিকারক খাবার যেমন বেগুন, ডিম,মাংস ইত্যাদি খাবেন না। কিন্তু আপনি লোভ সামলাতে না পেরে ট্যাবলেটও খাচ্ছেন আবার চুলকানি বৃদ্ধির খাবারগুলোও খেয়ে যাচ্ছেন তাহলে কি আপনার চুলকানি সারবে?? কখনোই না।_*
*_তেমনি হরিনামও করবেন আবার জীবহত্যা পাপে লিপ্ত থাকবেন,এতে কখনোই হরিনাম পূর্ণ ফল প্রদান করবেন না। অর্থাৎ হৃদয়ে কখনোই শুদ্ধ কৃষ্ণপ্রেমের উদয় হবে না।_*
*_❈❀━┉এইবার শেষে বলি তাই বলে যারা পরিস্থিতির চাপে পড়ে হরিনাম জপ করছেন ও আমিষ আহার করছেন,তারা প্রচেষ্টা করবেন যত তাড়াতাড়ি সম্ভব জীব হিংসা ত্যাগ করার প্রচেষ্টা করবেন,কিন্তু হরিনাম ছাড়বেন না।_*
*_কারণ হরিনাম হল গঙ্গাজলের মতো পবিত্র,একটা মদের বোতলে রাখলে তা ভগবানের সেবায় লাগে না, কিন্তু মনে করুন গঙ্গার পাড়ে একটা ছোট্ট পচা ডোবা আছে, গঙ্গা থেকে গর্ত দিয়ে একটু একটু জল ঢোকে, কিন্তু পচে যায়। তবে একটু একটু করে ঢুকতে ঢুকতে যখন ঐ গর্তটা বড় হয়ে যায় বা গঙ্গার ঢেউ আসে তখন ঐ পচা ডোবাটাও পবিত্র গঙ্গাজলে পরিপূর্ণ হয়ে স্বয়ং গঙ্গা হয়ে যায়। সুতরাং আমরা সবাই অপবিত্র থাকি, কিন্তু পবিত্র গঙ্গাসম হরিনাম জপ করতে করতে যখন এই হরিনামের প্রভাবে বন্যা বয়ে যাবে, তখন আপনার পচা দেহরূপ ডোবাখানাও একদিন পবিত্র গঙ্গাতে রূপান্তরিত হবেই হবে।অর্থাৎ হরিনামের প্রভাবে একদিন আপনি সমস্ত কিছুই পরিত্যাগ করে দিয়ে পবিত্র শুদ্ধ ভক্তে রূপান্তরিত হয়ে যাবেন।_*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*🙏🙌নিতাই গৌর হরিবোল🙌🙏*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
🌸🌹🌸🌹🌸🌹🌸🌹🌸🌹🌸
*"_হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।_*
*"_হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে॥_*
🌸🌹🌸🌹🌸🌹🌸🌹🌸🌹🌸
*•••••••┈┉━❀❈🙏🏻❈❀━┉┈•••••••*
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the place of worship
Telephone
Website
Address
Ranaghat
"পরিত্রাণায় হি সাধুনাং বিনাশয় চ দুষ্কৃতাম। ধর্মসংস্থাপনার্থায় সম্ভবামি যুগে যুগে॥"
Dayabari
Ranaghat, 741256
St. Luke's Church Dayabari Church of North India (Diocese of Barrackpore) Ranaghat , Nadia , pin-74
NH34 Ranaghat , Nadia . Phone/(03473)281150, 9230700772
Ranaghat, 281150
Iskcon Gourdham , International society for krishna consciousness , founder - Acharya: His Divine Grace A.C. Bhaktivedanta Swami Prabhupada.
Ranaghat, 741256
Official page of Indian Catholic Youth Movement - Ranaghat (Our Lady of Guadalupe) Parish