Your Tanmoy Roy
for your entertainment
জীবন চলছে , এগিয়ে চলছে বহুদূর থেকে দূরে । আর সংগ্রহ করে চলেছে প্রতিদিনকার অভিজ্ঞতা, ব্যস্ততা, রাগ ,ভালোবাসা, আলো-অন্ধকার। যেখানে নিজেকে খুঁজে পাওয়া যায় না; থাকে না নিজের জন্য সময়। অথচ সময় স্রোতে স্মৃতি হয়ে পড়ে থাকে সেই রাগ ভালোবাসা। এই ব্যস্ততায় নিজেকে খুঁজে পাওয়া বেশ কঠিন । আর বলা কঠিন নিজেকে আসলেও কি ভালোবাসি । যদি না কোন মিরাক্কেল ঘটে। যা ধুয়ে দেবে স্মৃতি আয়না এবং নিজেকে দেখাবে।
দিনটা শনিবার। ঝকঝকে আকাশ। স্কুলের জন্য বেরিয়েছি, আর আমি অনেক আগেই অনেক দেরি করে ফেলেছি। প্রায় এক কিলোমিটারের মতো রাস্তা। কোনো গাড়ির জন্য অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থাকার পরও কোন গাড়ি না পাওয়ায় শেষমেষ হেঁটে ই স্কুলে যেতে হল। সামনেই আমার উচ্চমাধ্যমিকের পরীক্ষা, বুঝলাম সেই কারণেই ক্লাসে কেউ আসেনি। কিন্তু কি কারণে জানি স্কুলেই প্রায় বেশিকেউ আসেনি। একেবারে ফাঁকা চারিদিকটা। ভাবলাম স্তব্ধতাকে কাজে লাগিয়ে পরীক্ষার পড়া গুলো করব। বইটা খুললাম ঠিকই কিন্তু পড়ায় মন লাগছিল না। মনে হচ্ছিল এই ফাঁকা সমুদ্রে নিজের মধ্যেই নিজেকে যেন হারিয়ে ফেলি। তাই ক্লাস থেকে বেরিয়ে স্কুলটা ঘুরতে লাগলাম । আর ফাঁকা ক্লাসগুলোর ভেতরে ভেঙ্গে যাওয়া টেবিল ,চেয়ার ,পাখা, দেওয়ালে আঁকা নাম গোত্রহীন কিছু ছবি; ফাঁকা বারান্দা দীর্ঘ বছরের সাক্ষ্য বহন করে চলা পিলার সবকিছুতেই নিজেকে পেলাম। আর একা একাই পাগলের মত আনন্দে মেতে উঠলাম । এরপর আমার খুব পরিচিত একটা ঘরে গেলাম। গত অষ্টম ও নবম শ্রেণী আমি এই ক্লাসেই কাটিয়েছিলাম। এই ক্লাসের সঙ্গে অনেক খুশি স্মৃতি ব্যথা জুড়ে আছে। এই ক্লাসেই একটা জানলা আজ। যার পাশে আমি বসতাম। সেখানে বসে আমি আকাশের দিকে তাকিয়ে ভাবতাম আকাশটা কত বড়, এখানে যদি হারিয়ে যেতে পারতাম, যদি আমার ডানা থাকতো শঙ্খ ছিলেন ছিলেন ন্যায় আমিও এখান দিয়ে উড়ে যেতাম ওই কাঞ্চনজঙ্ঘার মাথায়। সেই দিনও সেই জানলার ধারে বসলাম আর জানলার বাড়ির উঁকি মেরে দেখলাম সে চেনা আম, কাঁঠাল, নারকেল গাছের সাড়ি।
হঠাৎ একটা শব্দ - “ কিরে কোন ক্লাস? ” আমাদের স্কুলের কল্যাণ স্যার জীববিদ্যা পড়ান অত্যন্ত ভালো মনের মানুষ। যদিও এনার ক্লাস করার সৌভাগ্য আমার কোনদিনও হয়নি, কারণ আমি আট'স আর উনি পড়ান সাইন্স , তাই। ওনাকে বললাম আমি ক্লাস টুয়েলভে পড়ি। তারপর উনি কিছু না বলেই সেখান থেকে চলে গেলেন। ওনার যাওয়ার কিছুক্ষণ পরেই আমিও চলে গেলাম । আর গিয়ে বসলাম মাঠের সামনে বারান্দার উপরে রাখা একটা বেঞ্চে। বড্ড বাতাস বইছিল এবং তার জোরেই মাঠের মধ্যে থাকা গাছ থেকে সোনাঝুরি পাতাগুলো ক্রমাগত খসে পড়ছিল । যাকে আমার বড্ড আপন মনে হচ্ছিল। হঠাৎ ঝিরঝির বৃষ্টি , চারিদিকে ঠান্ডা আর শান্তির মাঝে বৃষ্টির শব্দ ছাড়া আর কিছুই নেই। আমি সেখানেই বসে রইলাম। আর ভাবতে লাগলাম কাগজে না লেখা পুরনো সেই কথাগুলো, যার সাক্ষ্য বহন করে চলে স্কুলের প্রতিটা টেবিল চেয়ার বারান্দা। মনে পড়ে স্কুলের বন্ধুদের সঙ্গে মজার ঝগড়ার কথা । মনে পড়ে একটা টিফিনে সবার লুটিয়ে পড়ার কথা। মনে পড়ে স্যারের কাছ থেকে পাওয়া শাস্তির কথা।
এইসব ভাবতে ভাবতে হঠাৎ দেখি বৃষ্টি থেমে গিয়েছে। আবারো একটা বেল বাজলো, এই আওয়াজ শুনে মনটা যেন আবারও সামান্য উদাস হল। সেটাই ছিল শেষ দিন স্কুলে আমার। কথা দিয়ে এসেছিলাম সে বন্ধুকে অর্থাৎ নিজেকে যার সঙ্গে বারোটা বছর স্কুলে কাটিয়েও চিনতে পারিনি-“ আবারও আসবো”।
সেই কথা আমি রাখতে পারিনি । তাইএখন ঝিরিঝিরি বৃষ্টির সময় একলা থাকলে, নিজেকে সান্ত্বনা দিয়ে বলি-
“যদি আমায় ধরে মনে
চেয়ে দেখে - গগনে।
মনে রেখো আমিও ছিলাম,
এই বৃষ্টির নাম তোমায় দিলাম ।”
কলমে- তন্ময় রায়
"ভালোবাসি" শব্দটা সহজ সরল হলেও এটাকে প্রকাশ করাটা বেশ কঠিন। ভালো তো অনেককেই বাসা যায়, কিন্তু ভালো রাখতে পারে কজন!
নিজে যোগ্য সেটা প্রমাণ করতে গিয়ে হয়তো তাকে কোনো দিনও পাওয়া হবে না। সে হয়তো কখনো এসে নিজের মনের মানুষের কথা বলবে;তাঁর মন ভাঙ্গার কথা বলবে। 🙂 কিন্তু সেটা হয়তো আমি হবো না। তাঁর ফোন হয়তো চিরকাল অন্যের জন্য ব্যাস্ত থাকবে। হয়তো আমার অস্তিত্ব সেই সময় তাঁর কাছে বিরক্তিকর হবে...। হয়তো সে আমাকে সেই সময় ইগনোর বা অবহেলা করবে, অথবা আমি হয়তো তাঁর কাছে সেই সময় প্রয়োজন ছাড়া কিছুই নই। 🙂 হয়তোবা সে একদিন সত্যিই অন্য কারোর হয়ে যাবে। সেই দিনও তাকে কিছু বলা হবে না। 😊
কিন্তু আমি চিরকাল তাকে অতটাই ভালোবাসবো যতটা চিরকাল কাল ভালোবেসেছি। কারন সে আমাকে না, আমি তাকে তাকে ভালোবেসে ছিলাম। সে আমার ১০০০ টা ফোন কল না ধরুক কিন্তু আমি তাঁর ১টা ফোন তাঁর সামনে হাজির থাকবো, তাঁর খুশিটাকে আপন করবো, তাঁর না বলা চোখের জল মুছবো🙂💙 আর আমার সমস্ত খুশি দিয়ে তাকে খুশি রাখার চেষ্টা করবো। কারণ সে আমার কাছে পবিত্র ভগবানের মতো, যার কারণ শুধুমাত্র তাকেই বলবো......। 🙂
তোমার আকাশের ঝড়ো মেঘকে
আমার ঠিকানা দিও। 🥀
আমার আকাশের মিষ্টি রোদে'কে
আপন করে নিও ☺
- তন্ময় রায় 🐱
প্রেম কি?প্রেম আসলে যত্ন দায়িত্ব সত্যতা শ্রদ্ধা ইত্যাদির মিশ্রিত রূপ । যাদের মর্যাদা রাখা সকলের পক্ষে প্রায় সম্ভব না। যা পালন করা সকলের পক্ষে বড়ই কঠিন। আর ভালোলাগা যখন গভীরতা লাভ করে, পরিচিতি লাভ করে তখন হয় ভালোবাসা। যা প্রতিটি মানুষ প্রায় করে থাকে। সে যে কারো সাথেই হোক না কেন; মানুষ, পশু বা যে কোন বস্তু কিংবা প্রাণী। ফলে সকালে ভালবাসতে পারলেও প্রেম করতে পারে না। স্বয়ং শ্রীকৃষ্ণ এর প্রমাণ। ...🥀
"প্রেম খুজতে গিয়ে সে,
প্রেম নাহি পেলো।
তাকে পাপড়ি দিয়ে,
সে কাঁটা মারিয়ে এলো। "
রাত ৩টা ঘুম ভেঙ্গে গেল হঠাৎ অনুভূত হল বক্ষ বুঝি ভেঙ্গে চুরমার হয়ে যাচ্ছে কিন্তু সেই ভাঙ্গনের শব্দ কেউ শুনতে পায় না।
একজনকে ভালোবাসি অনেক। সবসময় তার ভালো টাই চাইতাম। তার জন্য ভালো কিছু করতে চাইতাম। তার দুঃখগুলো নিজের বলে মনে হতো।তার মা তার চেয়ে দূরে ছিল। আমার মনে হয়েছিল তার মায়ের জন্য তার কষ্ট হয়।তাকে বুঝিয়ে তার মায়ের কাছে নিয়ে গেলাম।তার একটা ভাল রেজাল্ট এর জন্য তাকে সবসময় পড়তে বলতাম।আমার সবটুকু দিয়ে তাকে হেল্প করার চেষ্টা করতাম।সে ভালো রেজাল্ট ও করল।তার এখন সব আছে ফ্যামেলি,বন্ধু, সুখ, শান্তি । তবে আমার কেন আজ কেউ নেই।
তাকে অন্য কারোর পাশে খুশি দেখে শেষবারের মতো চলে আসি। সেদিন বাড়িতে এসে তাকে একটা গানটা লিখেছিলাম। মনে পড়ে!! হয়তো পড়ে না। আজো তাকে মনে মনে বলি, “তুই নিজের মধ্যে ভালো থাকিস। তোকে সেদিনের মতোই ভালোবাসি।”
গোপন ভালোবাসার গল্পটা সত্যি খুব মিষ্টি মধুর হয় । গোপন ভালোবাসায় চোখ বন্ধ করলেই ভালোবাসার মানুষ চোখের সামনে, আর চোখ খুললেই ফুরুত.. চোখ বন্ধ করে ভালোবাসাটা গভীর ভাবে অনুভব করা যায়, আর চোখ খুললেই বাস্তবতাকে অনুভব করা যায়। আর বাস্তবে তো আর তাকে পাওয়া যাবে না।
মাঝে মাঝে বড়ো দুঃখ হয়। মন কাঁদতে থাকে। তখন মনকে বোঝাই,
"বলা হয়নি অনেক কথা
মনেই থাকুক তবে,
কে বলেছে ভালোবাসলে
তাকেই পেতে হবে।"
- তন্ময় রায়
আমাকে অনুসরণ করুন পকেট FM -এ
Pocket Novel I'm loving this story. You should read it too. And it's completely FREE!
আমায় প্রতিলিপিতে অনুসরণ করুন,
https://pratilipi.page.link/oFtxwYhmxnGZNa6v7
সংখ্যাতীত রচনা ভারতীয় ভাষায় পড়তে, লিখতে এবং শুনতে পারেন সম্পূর্ণ বিনামূল্যে
একটি ফুল একা ছিল,
ছিল গোপন বেশে।
দুটি জোনাকি সঙ্গী হলো
আলো হারানোর শেষে।
অজানা অপরাধে তে
চলে গেলো তাঁরা।
সে আবার অন্ধকারে পড়ে রইলো
দুটি জোনাকি ছাড়া।
অন্ধকারে দেখেছিল সে
সুখের এক আলো।
কাছে গিয়ে হাত বাড়াতেই
যেনো সে আলেয়া হয়ে গেলো।
বুঝলো না সে ,
কোথায় যে ভুল, কি তার অপরাধ?
কেনো তাকে ব্যাথা দিলো,
সেই সুখে বাড়ানো হাত।
আবার হঠাৎ একলা নিশি বলে,
আজ তুমিও আমার দলে।
দূঃখ দিয়ে সুখ লিখবো আজ
অন্ধকারের ছলে।
কলমে- তন্ময় রায়
❤
Happy independence day 🇮🇳❤
ওই মেঘ তোর সঙ্গে যাবো ;
একটা দুটো গল্প আছে
মন ভোলানো
শুনবি নাকি বল ...?
আছে তাদের রাজকন্যা
সোনায় মুড়ী দিয়ে...,
ঘুম যে নিয়েছিল
ঘুম ভাঙানি গল্প দিয়ে।
তাকে আমি এঁকেছিলাম
মনের ওই ক্যানভাসে
সেখানে এসে বসেছিল
আমার পাশে।
সে যে আমার মেঘলা আকাশ,
স্বপ্নে দেখে তারা ,
আমার সময় কাটে না রে ;
এক মুহূর্ত তোকে ছাড়া।
তাঁর দেওয়া কলমেতে,
লিখেছিলাম গান। 😊
সেই গানেরি সিঁড়ি ধরে,
চলল আমার প্রাণ।
অনেক নতুন কবিতা আছে,
তার জন্যে লেখা।
মনের কোণে স্বপ্ন আছে,
তাকে নিয়ে দেখা।
তাকে নিয়ে ঘুরতে যাব,
কৃষ্ণচূড়ার দেশে । ❤
তাকে আমি সাজিয়ে দেবো,
হলুদ রাঙা বেসে।
সে যে আমার মনের পাখি,
রঙিন ফুলের মালা।
আমার সময় কাটে না রে,
একমুহূর্ত তাকে ছাড়া।
বাতাস হয়ে জড়িয়ে ধরি,
তার ভালবাসার বৃষ্টি ,
বড়ো মায়াবী লাগে ,
তাঁর কাজলকালো দৃষ্টি।
কাজল কালো চোখ দুটি তার
দূর করে আমার ক্লান্তি,
আকাশ ভরা বেদনার
সে যেন এক শান্তি।
মেঘলা আকাশ যেন,
দেখায় তার আশা। 😉
জীবনটা আর কিছুই নয়,
তার আমার ভালোবাসা।
সে যে আমার হৃদয় নদী,
আমি তার ধারা।
আমার সময় কাটে নারে,
এক মূহুর্ত তাকে ছাড়া।
- এক মূহুর্ত
লেখনী- তন্ময় রায়
☺
বেলাশেষে ফিরতি পথে 🚶🏻♂️
শুভ জন্মদিন স্যার 🙏🏻😊☺❤
নির্জন নিঃসঙ্গ স্তব্ধ দুপুরে শহরের এই রাস্তায় যেনো আকাশ থেকে আগুন ঝরছে। আর সেই আগুন গায়ে মেখে বাতাস যেনো ছুটে যাচ্ছে দূরের গ্রাম-শহরের নির্জনতায়। রাস্তায় লোক চলাচল কমে গেছে। যানবাহনের দেখাও প্রায় নেই। এমন সময় হঠাৎই রাস্তার পাশে থাকা কৃষ্নচূড়া গাছের নিচ থেকে কিছু লোকের কন্ঠস্বর " মার! মার! "। আওয়াজ শুনে আরো কিছু লোক সেখানে এসে ভিড় বাড়ালো। দুপুরের নির্জনতার সুযোগে চুরি-ডাকাতি, খুনখারাপি হয়। কত গা-হিম করা করা কান্ডই'না ঘটে যায়।
হঠাৎ একটা জিপ এসে সেই ভিড়ে সামনে দাঁড়ায়। জিপ থেকে নামে এক বলিষ্ঠ ভদ্রলোক। সে ভিড় কাটিয়ে দেখল এক বৃদ্ধাকে এতগুলো লোক মিলে মারছে। বৃদ্ধের পরনে ছিল একটি ধূসর রঙের কুর্তা আর সাদা রঙের ধুতি । কুর্তার পকেটটা অনেকটা ছিঁড়ে কিছুটা লেগে রয়েছে আর কপাল থেকে রক্ত ঝরছে , পাশে পড়ে রয়েছে তার ভাঙা চশমা। সাহায্য চাইছে সে আর বলছে "আমি কিছু করিনি, আমি কিছু করিনি"। দেখে কষ্ট হল তার । সেই ভদ্রলোক সেখানে দাঁড়িয়ে থাকা একজন লোককে জিজ্ঞাসা করল "কী হয়েছে দাদা? " সে বললো "বুড়ো একটা বাচ্চাকে চুরি করে পালানোর চেষ্টা করছিলো"। কিন্তু সেই ভদ্রলোকের একথা বিশ্বাস হলো না । কারণ এই বৃদ্ধার মুখে সে ভদ্রতা , সততা ও শিক্ষার একটা ছাপ দেখতে পেয়েছে । ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন বলল উঠে " পুলিশকে খবর দেও"। সেই ভদ্রলোক হঠাৎ বলে উঠলো "তার দরকার নেই। আমিই পুলিশ"।তারপর সে সেই বৃদ্ধাকে জিজ্ঞাসা করলো, "আপনি বাচ্চা চুরি করে পালাচ্ছিলেন কেন?"সে বলল, "না বাবা বাচ্চাটার একটা বেলুন এই গাছে আটকে গিয়েছিল। সে আমাকে বলল দাদু বেলুনটা পেরে দাওনা। নাতনির বয়সের বাচ্চা মেয়েটা এই ভাবে বলল তাই আমি চেষ্টা করলাম, কিন্তু পারলাম না । তারপর বাচ্চাটাকে কোলে নিয়ে সেটা পারার চেষ্টা করলে, তার হাত লেগে কোনভাবে বেলুনটা উড়ে যায়। আর সে কাঁদতে শুরু করে । তার কান্নার আওয়াজ শুনে এরা দৌড়ে এসে আমাকে কিছু বলার সুযোগ না দিতেই, আমাকে মারতে শুরু করে। ভিড়ের থেকে একজন বলল " না স্যার এই বুড়ো মিথ্যে কথা বলছে " । তার কথা পাত্তা না দিয়ে সেই ভদ্রলোক বললেন, " ইনি যেই বাচ্চাটার কথা বলছেন , সে কই"। তাকে নিয়ে আসা হল এবং তাকে জিজ্ঞাসা করা সেও আতঙ্কে জড়োসড়ো হয়ে একই কথা বলল। তার কথা শুনে সকলের মাথায় মাটির দিকে। তারপর সেই ভদ্রলোক সেই বৃদ্ধকে ও তার ভাঙা চশমাটা মাটি থেকে তুলল। তারপর সকলকে উদ্দেশ্যে করে কড়া স্বরে বললো, "দৃষ্টিকোণ বদলান । কোন কিছু করার আগে তার আসল সত্যতা যাচাই করুন। আপনাদের বাবা-কাকার বয়সী এই বৃদ্ধকে মারতে আপনাদের দ্বিধা বোধ হল না"। হঠাৎ একটা ছেলের ভিড় ভেতরে এসে সেই বৃদ্ধির উদ্দেশ্যে বললো " কী হয়েছে স্যার আপনার"? ভিড়ের মধ্যে থেকে একজন বললো " কে ইনি"? সে বললো "ইনি নরহরি দাস স্কুলের প্রাক্তন শিক্ষক হরিহর ভট্টাচার্য"। যেই লোক গুলো তাকে মার ছিলো তাদের মধ্যে থেকে একজন অবাক মৃদু স্বরে বলল "হরিহর স্যার"।
তারপর সেই ভদ্রলোক হরিহর স্যারকে নিয়ে গিয়ে জিপে বসালো। জিপে বসির আগে সেই বৃদ্ধ তাকে উদ্দেশ্য করে বললো ,"ভালো থোকো রাম "।
এরপর জিপটা স্টাট নিলো এবং বিকেলের পড়ন্ত সূর্যের মতন কোথায় যেন হারিয়ে গেল । আর দিয়ে গেলো সকলকে নতুন পাঠ। সকলকে দাঁড় করিয়ে দিল নিজের মুখোমুখি।
গল্প- দৃষ্টিকোণ
কলমে - তন্ময় রায়
ছবি- সংগৃহীত
কবিতা - এই সময়টা চলে যাবে
কলমে - তন্ময় রায়
সময় ও নদীর স্রোত কারো জন্য অপেক্ষা করে না । প্রতিদিনই সকাল হয় তারপর স্তব্ধ দুপুর,তারপর ক্লান্তিমাখা সন্ধ্যা,সন্ধ্যার পরে অলস রাত্রি।রাত্রি শেষ ফের সকাল।প্রতিদিনের একঘেয়েমি ও ব্যস্তজীবনে অন্যকে জানতে গিয়ে আমরা নিজেকে ভুলে যাই বা হারিয়ে ফেলি।যা কাটিয়ে ওঠার জন্য চাই খনিকের স্বাধীনতা।
সামনে জীবনের একটা বড় পরীক্ষা উচ্চমাধ্যমিক। মাথার মধ্যে দুশ্চিন্তা, ভয়, রাগ সব যেনো একসাথে মাথার মধ্যে কাটাকুটি খেলছিল।কি করবো কিছুই বুঝতে পারছিলাম না। একথা আমার এক খুড়ো অর্থাৎ কাকাকে বলায় সে আমাকে প্রাতঃভ্রমণের পরামর্শ দেয়। ঠিক হল পরদিন অর্থাৎ রবিবার সকালে আশেপাশে কোথাও দুজনে সাইকেলে করে ঘুরে আসবো। আমরা এক কাকা শুধু সম্পর্কেই কাকা আসলে সে আমার প্রায় সমবয়সী এক বন্ধুর মতো।
দিনটা ছিলো রবিবার। শীতের সকালে অলস শরীরটাকে বিছানা থেকে বের করার ঘোরতর অনিচ্ছা থথাকলেও , খুব কষ্টে নিজেকে সেখান থেকে বের করলাম। কিছুক্ষণ পরে দুজনে সাইকেল নিয়ে বেরিয়ে পড়লাম প্রাতঃভ্রমণে। শহরে থাকি তাই এত সকালেও রাস্তায় গাড়ির উপদ্রব কমেনি। শীত মানে বাজারে নতুন সবজি, আপেল আর কমলালেবু।তাই আরতের এর সামনে সবজি ও ফল গাড়ি ভিড় আটকে পড়লাম সেখানেই। তারপর খুব কষ্টে সেখান থেকে বেরিয়ে দ্রুত এগোতে লাগলাম লক্ষ্যের দিকে। তারপর কিছুদুর গিয়ে আমি হাপিয়ে পরলাম , মাথাটা সামান্য ঘুরছিল। একেতো শরীরে কিছু নেই,তার মধ্যে আবার আগের দিনে কিছু খাইনি। মনে হলো এর আগে হয়তো যেতে পারবো না। কিন্তু আমার সঙ্গে থাকা সেই কাকার দেওয়া মনবলে আর বিস্কুট ও জলে আবার এগোতে শুরু করলাম।এতক্ষন শহরেই ছিলাম এখন গ্রামে প্রবেশ করলাম। বেলা সামান্য বেড়েছে ইতিমধ্যে কুয়াশা সরে গেছে । ঝলমল করছে রোদ্দুর। নগরায়নের ফলে গ্রাম গুলো যেন দ্রুত পাল্টে যাচ্ছে, এই গ্রামো তার ব্যতিক্রম নয়। লক্ষ্য করলাম সেখানকারি একটি মাঠে কিছু ছেলে রঙিন কিছু ঝান্ডা লাগাচ্ছে । বুঝলাম কোন খেলা হবে।
এগিয়ে যেতে থাকলাম এখন আর রোদ নেই কারন রাস্তার দু-ধারে বড় বড় গাছ তাদের ছায়া ফেলেছে । রাস্তার সামনের দিকে দেখে মনে হচ্ছিল সবুজ সিঁথির মাঝে কোথাও যেন হারিয়ে যাচ্ছি। এখন চড়াই উঠতে হবে। তাই কাকার পরামর্শে সাইকেল নিয়ে হাঁটতে শুরু করলাম। হাপিয়ে গেছি কিছু চারপাশের দৃশ্য আর নিজেকে ফিরে পাওয়ার আনন্দে তা ভুলে ক্রমশ এগিয়ে যাচ্ছে। লক্ষ্য করলাম আমাদের আগে কিছু ছেলে এগিয়ে যাচ্ছে আর মাঝে মাঝেই তাঁরা থামছে আর এগোচ্ছে। কিছুক্ষণ পরে আমরা তাদের আগে। তাদের দামি সাইকেল আর আমাদের কাছে পাতি বাংলা সাইকেল থাকা সত্ত্বেও আমরা তাদের আগে।
হাঁটতে হাঁটতে এই বিষয় নিয়ে আমার সেই কাকা আমাকে জীবনে দুটো বড় অধ্যায়ে পরিয়ে দেয়। প্রথমত আমার মতন দুর্বল ছেলে যে কিনা একটুতেই হাঁপিয়ে যায়,সে তার ইচ্ছা শক্তির জোরে কিনা করতে পারে। আর দ্বিতীয়ত লক্ষ্য স্থির রাখতে হবে যতক্ষণ না সেই লক্ষ্যে পৌঁছোচ্ছি থামা যাবে না। অবশেষে খাড়া দেওয়ালের মতন পাহাড়ি রাস্তা পার করে পাহাড়ের মাথায় পৌঁছলাম। বাড়ি যেতে চাইলে না মন যেন হারিয়ে যেতে চাইলাম সেইখানে। ওপর থেকে দেখে মনে হচ্ছিল যেন গোটা পৃথিবীতে সবুজে ঢাকা। সামনে অন্যান্য পাহাড় যেন আমাদের ডাকছে। সেইসময় নরেন্দ্রনাথ চক্রবর্তীর সেই কবিতার এই লাইন গুলো মনে পড়ে গেলো-
" শহরে প্রচন্ড ভিড়, অকারনে তুমুল চিৎকার।
নগ্ন নিয়নের বাতি। ফিরবো না কেউ আর। "
মন চাইল না সেই সুন্দর স্বাধীন পৃথিবী ছেড়ে আসতে। তবুও রংটং-এ মানুষের আদিমতম এক প্রজাতির কাছ থেকে বিদায় চেয়ে পলাশ ফুলে ঢাকা সেই গ্রামের রাস্তা দিয়ে আবার বাড়ি ফিরে এলাম।
শুধু ইচ্ছে ছিল আশেপাশে কোথাও ঘুরে আসবো। কোনরকম পরিকল্পনা ছাড়াই সেখানে গিয়েছিলাম।তাই বুঝলাম জীবন পরিকল্পনাহীন। কিছু জানলাম,নিজেকে বুঝলাম আর সেই কাকা এবং অচেনা সে নিজেকে ধন্যবাদ দিয়ে বললাম "আবার দেখা হবে"।
*************************************
কলমে- তন্ময় রায়।
বিদায় নেওয়া সেই দিন
আমাদের এই ছন্দময় জীবনে সুখ-দুঃখ , হাসি-কান্না, জানা-অজানা , বিরহ-মিলন কত ঘটনা ঘটে প্রতিদিন ।রোজ নতুন ভাবে বেড়ে ওঠা, নতুনকে শেখা , নতুনকে জানা । কত কিছুই না ঘটে রোজ। একদিকে যেমন মানুষের কাজের জীবন, তার ক্ষুধা-তৃষ্ণা-বাঁচার লড়াই। আবার অন্যদিকে তার ফেলে আসা সীমাহীন খুশির একটি সুন্দর স্মৃতি। সেই স্মৃতি তাকে জীবনের একাকী মুহূর্তে খুশি দেবে , তার একাকীত্ব দূর করবে যাতে কোনো মিথ্যা থাকবেনা। শুধু থাকবে লোভ , সেই স্মৃতিকে ফিরে পাওয়ার লোভ।
আমি তখন দশম শ্রেণীতে পড়ি। এক দিন আমি ও আমার দশজন সহপাঠী বন্ধু শুধু ক্লাস এসেছি। সেই দিন সকাল থেকেই আকাশ কালো মেঘে ঢাকা ছিল। স্কুলে পৌঁছে প্রথমে ক্লাসের পরেই বৃষ্টি পড়তে শুরু করলো। খুব জোরে নয়, টিপটিপ করে। বুঝলাম এ বৃষ্টি সহজে থামবার নয়। বছরের প্রায় শেষ সময় অর্থাৎ শীতকালীন বৃষ্টি। ঠান্ডা একেবারে হাড় কাপানো। অনেকক্ষন ক্লাসে কোনো স্যার কিংবা মেডাম না আসায় বুঝলাম এর পরেও কেউ আসবে না। তাই আমরা সকলে মিলে বসে আড্ডা দিতে শুরু করলাম। দিনের আলো কোন চিহ্নই ছিল না। শুধু ছিল একটি খোলা জানলা আর নিস্তেজ সাদা জ্বলন্ত বাল্ব। জানলা দিয়ে বাইরের আকাশ আর পথ দেখা যাচ্ছিল। বৃষ্টি হয়েই চলছে। আগের খানিকটা জোরে বৃষ্টি শুরু হয়েছিল। আড্ডা আরো জমে উঠতে লাগলো।
এই আড্ডা প্রতিদিনের একঘেয়েমি থেকে, জ্বর বস্তুর জগৎ থেকে নিয়ে যায় সুন্দরের জগতে। আড্ডায় উঁচু-নিচু , জাত-ধর্ম-গোত্র। কোন কিছুরি জায়গা ছিল না। ছিল শুধু বন্ধুর জায়গা ।
এই আড্ডার কোন নির্দিষ্ট বিষয়বস্তু ছিল না। যে যা পারছে তাই শোনাচ্ছে । কেউ তার হাস্যকর ব্যর্থ প্রেমের কথা , কেউ বা তার ঘুরতে যাওয়ার অভিজ্ঞতা ইত্যাদি।কিছুক্ষণ পরে আমাদের আড্ডা ভূতের গল্পে এসে পৌঁছল। এই দায়িত্বটা পরল আমার উপরে। সত্যি বলতে সেইদিন আমিও জানিনা এত ভালো করে গল্পটা বললাম কি করে। সেই আবহাওয়ায় গল্পটা বেশ জমে উঠেছিলো। তারা প্রায় প্রত্যেকেই ভয় পেয়েছিল। অবশেষে আবেগপূর্ণ কিছু কথা , বন্ধুত্ব নিয়ে কিছু কথা । কথা বলতে বলতে স্কুলের পাশে দোতলা বাড়ি থেকে রবীন্দ্রনাথ ঠাকুরের - " যখন পড়বে না মোর পায়ের চিহ্ন এই বাটে " গানটা বেজে উঠলো । মনটা সুরের সঙ্গে যেন মিলিয়ে যেতে চাইলো। হঠাৎ স্কুলের শেষ ঘন্টা বাজায় আমরা যেন মায়া ভরা সুন্দর জগৎ থেকে বেরিয়ে এলাম।
তখন বৃষ্টি থেমে গেছে। আমারা যে কয়েকজন ছিলাম তাদের মধ্যে থেকে এখন দু-তিন জন একসাথে একই পথে যে যার বাড়ি যাচ্ছি । রাস্তা দিয়ে যাওয়ার সময় দেখলাম পড়ন্ত বিকেলে দূরের পাহাড়ের ওপরে কে জানি তরল সোনা ঢেলে দিয়েছে, রাঙা রোদে মাখামাখি হয়ে আছে নারকেল গাছ, সোনার মতোই ঝকঝক করছে শিব মন্দিরের চূড়া ।
শিব মন্দিরের পাশের মাঠে কিছু ছেলে ফুটবল খেলছিল । তাদের মধ্য থেকেই একজনের ফুটবল জোরে শট মারায় ফুটবল মাঠের বাইরে এসে লাগে আমার সঙ্গে হেঁটে যাওয়া এক বন্ধুর। সে প্রায় একটুর জন্য বেঁচে যায় ,কারণ কাঁদা ও জলে ভরা একটা গর্তের পাশে সে পড়ে যায়। সেই ছেলেটি আমাদের কাছে এসে একটু অনুশোচনা না করে বলে "খেলবি নাকি"।আমরা তার প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করে, তার প্রতি কোন রূপ রাগ পোষণ না করে, সেখান থেকে চলে আসি। আসতে আসতে ছিন্নবিচ্ছিন্ন গল্প আর হাসি। সবার আগে আমার বাড়ি পরে। তাই আমি যখন বাড়ির গেটের সামনে পৌঁছাই তখন তারা আমায় বলে "বিদায় বন্ধু কাল দেখা হবে " এবং চলে যায় । আমিও দিকে হাত উঠিয়ে হাসি মুখে বিদায় দিলাম, আর মনে মনে বললাম -
অনেক নতুন গল্প আছে,
তোদের জন্য লেখা।
বলবো একদিন সময় করে ।
যদি পাই এমন দিনের দেখা।
বিদায় নিয়ে,
মুখে বললাম আসি।
যাবার আগে শুনে যা,
বন্ধু "আমি তোদের বড্ড ভালোবাসি।"
একটানা জীবনপ্রবাহের এরকম অনেক ঘটনাই বুদবুদের মতন ক্ষণিক। তার মধ্যে দু-একটা ঘটনা ভোলা যায় না। ভোলার নয় । আমার কাছে আজও সেই বর্ষার দিনটি আবেগপূর্ণ। সেই দিনের স্মৃতি আজও আমাকে আনমনা করে, উদাস করে।
কলমে - তন্ময় রায়
😊 🙏🏻 এই সময়টা চলে যাবে (কবিতা)
🥶🤓🤗
পুরোনো খারাপ'টা ভুলে
আবার নতুন করে বাঁচাতে চাই।
পুরানো কিংবা নতুন আমায় বুঝবে ,
এমন কাউকে পাশে চাই।
অনেক কথা বলতে চাই।
অনেক কথা শুনতে চাই।
কারোর খারাপ না বলে,
ভালো ভালো বলতে চাই।
সুন্দরটা'কে আপন করে ,
মুখে খুশি দেখতে চাই।
কারোর খারাপ না করে,
সকলের পাশে থাকতে চাই।
এইটা যেনো আমার তোমার,
সকলের হয় ইচ্ছা।
এই বছরটা'কে বিদায় দিয়ে,
সকলকে নতুন বছরের শুভেচ্ছা। 😊🙏🏻
নববর্ষের চাওয়া
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Siliguri Sevoke Raod Checkpost Near Bhaktinagar Police Station
Siliguri, 734008
Parijat Siliguri Salig Sthapana Samity
New Paulpara
Siliguri, 734010
This is a bengali Shayeri , reels video chennel. some time we make the funny video, natok,
Siliguri
m.j moner filings is a facebook Bangla page founded by Bengali youtuber m.j moner filings.This channe
Siliguri
Siliguri
When emotions and feelings are scattered in the air, I gather it and pen it in my words .
Siliguri
স্কুল, কলেজ ও বিভিন্ন ছাত্রছাত্রীদের পড়াশোনার ডিজিটাল মাধ্যম examnote.online এর প্রধান উদ্দেশ্য
NH-31
Siliguri, 734005
Warmest welcome to everyone here in this page, I will share my poetry and social experiences here. F