Bandhu Cornea Kendra

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Bandhu Cornea Kendra, Uttarpara.

24/01/2023

আইনস্টাইনের যিনি ড্রাইভার ছিলেন,
তিনি একদিন আইনস্টাইনকে বললেন - আপনি প্রতিটি সভায় যে ভাষণ দেন সেইগুলো শুনে শুনে আমার মুখস্থ হয়ে গেছে ।" -আইনস্টাইন তো অবাক!!!
উনি তখন বললেন "বেশ তাহলে এর পরের মিটিংয়ে যেখানে যাবো তারা আমাকে চেনেন না, তুমি আমার হয়ে ভাষণ দিও আর আমি ড্রাইভার হয়ে বসে থাকবো ।"
-এরপরে সেই সভায় তো ড্রাইভার হুবহু আইনস্টাইন-এর ভাষণ গড় গড় করে বলে গেলেন । উপস্থিত বিদ্বজ্জনেরা তুমুল করতালি দিলেন । এরপর তাঁরা ড্রাইভারকে আইনস্টাইন ভেবে গাড়িতে পৌঁছে দিতে এলেন ।
-সেই সময়ে একজন অধ্যাপক ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করলেন "স্যার, ঐ আপেক্ষিক এর যে সঙ্গাটা বললেন, আর একবার সংক্ষেপে বুঝিয়ে দেবেন ?"
-আসল আইনস্টাইন দেখলেন বিপদ, এবার তো ড্রাইভার ধরা পড়ে যাবে । কিন্তু তিনি ড্রাইভার-এর উত্তর শুনে তাজ্জব হয়ে গেলেন । ড্রাইভার উত্তর দিল।।
-"এই সহজ জিনিসটা আপনার মাথায় ঢোকেনি ? আমার ড্রাইভারকে জিজ্ঞেস করুন সে বুঝিয়ে দেবে।"

বিঃদ্রঃ-- জ্ঞানী ব্যক্তিদের সাথে চলাফেরা করলে আপনিও জ্ঞানী হবেন। আপনি যেমন মানুষের সাথে ঘুরবেন তেমনই হবেন।

এই জন্যে কথায় আছে,
"সৎ সঙ্গে স্বর্গ বাস,
অসৎ সঙ্গে সর্বনাশ"।

সংগৃহীত

23/01/2023
11/01/2023

১০ জানুয়ারি ১৮৩৬ ভারতবর্ষে প্রথম শব ব্যবচ্ছেদ করেছিলেন পন্ডিত মদুসূদন গুপ্ত। দিনটি ‘চিকিৎসা বিজ্ঞান দিবস’ হিসেবে বিবেচিত। এই দিবসটিকে স্মরণে রেখে গণদর্পণের উদ্যোগে আজ ১০ জানুয়ারি ২০২৩ (মঙ্গলবার) মরণোত্তর দেহদান বিষয় নিয়ে গণদর্পণের অন্যতম সম্পাদক শ্যামল চ্যাটার্জী'র লেখা ‘মৃত্যুই শেষ কথা নয়’ শিরোনামে একটি বই প্রকাশ হয়েছে।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মাননীয় বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন আমাদের সংগঠনের ব্র্যান্ড অ্যামবাসাডর ও প্রাক্তন আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার শ্রী উৎপল চ্যাটার্জি সহ আরো অনেক বিশিষ্ট জন।
শ্রী Bikashranjan Bhattacharyya বইটির আনুষ্ঠানিক ভাবে প্রকাশ করেন ও বক্তব্য রাখেন। বক্তব্য রাখেন বিচারপতি শ্রী অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়, শ্রী উৎপল চ্যাটার্জী, এছাড়াও বক্তব্য রাখেন আমাদের সংগঠনের শ্রী Swapan Bandhu , শ্রী শ্যামল চ্যাটার্জী , ও আমাদের সম্পাদক শ্রী Sudipta Saha Roy

04/01/2023

আজ ভোরে (০.৩০), ৯২ বৎসর বয়সে নিজেদের বাড়ি, চুঁচুড়ায় মারা গেলেন অমিয় নন্দি। তিনি ব্যাংকে চাকরি করেছেন। এ ছাড়াও স্থানীয় পূরপ্রধান, মিউনিসিপ্যাল আসোসিয়েশন অফ বেঙ্গল'র সভাপতি ইত্যাদি অনেক জায়গায় সুনামের সাথে কাজ করেছেন। সময়ের জটিলতায় মরণ উত্তর চক্ষুদান না করা গেলেও দেহদান করা হবে কল্যাণী মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালে, গণদর্পণে অনেক বছর আগে অঙ্গীকার করে রেখেছিলেন। ওনার কর্মময় জীবনের শেষে এই মৃত্যুতে গভীর শ্রদ্ধাঞ্জলি জানাই এবং পরিবারের প্রতি রইল সমবেদনা।

Photos from Study With Sheli's post 02/01/2023

আন্দোলনের জন্যেই পাওয়া গেল এই অসতের তালিকা :

24/12/2022

২৩ ডিসেম্বর ২২, শুক্রবার সকাল সাড়ে দশটা নাগাদ অ্যাপেলো হাসপাতালে দমদম জপুর, দমদম এর বাসিন্দা রিনি সেন মারা যান। রিনিদেবীর পরিবার গণদর্পণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন। গণদর্পণের সহযোগিতায় কলকাতা মেডিক্যাল কলেজের RIO এর মাধ্যমে রিনিদেবীর চক্ষুগোলক সংগ্রহ হয় এবং জে বি রায় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজে মৃতদেহ দান করা হয়। প্রসঙ্গত জানাই গত মাসের ২২ নভেম্বরে তিনি গণদর্পণে মরণোত্তর দেহদানে অঙ্গীকার বদ্ধ হয়েছিলেন।

22/12/2022

ডিসেম্বরের মিল মিলাও আখড়া

মাসের চতুর্থ শনিবার,২৪শে ডিসেম্বর,২০২২, বিকেল ৪টে, গণদর্পণ এর প্রেক্ষাগৃহে (৪ ডি. এল. খান রোড, কলকাতা ২৫, শম্ভুনাথ পণ্ডিত স্ট্রিট ও ডি এল খান রোডের সংযোগস্থলে শিব মন্দিরের পাশে কর্পোরেশন স্কুল বিল্ডিং এর তিন তলা )

বিষয় :ঐতিহাসিক অনুসান্ধানে প্রত্নতত্বর ভূমিকা (role of archeology in historical enquiry )

মুখপাত করবেন :অধ্যাপক কল্লোল দাশগুপ্ত, সংগঠনের কার্যকরী কমিটির অন্যতম সদস্য।

সংগঠনের সদস্য, বন্ধু, শুভানুধ্যায়ী সকলে উপস্থিত হয়ে ও আলোচনায় অংশগ্রহণ করে অনুষ্ঠানটিকে সাফল্যমন্দিত করুন, এই আবেদন জানাই।

06/11/2022

ট্রেনে শিশুর জন্ম

ঢাকা থেকে নোয়াখালীগামী উপকূল এক্সপ্রেস ট্রেনে ফুটফুটে এক ছেলে সন্তানের জন্ম দিয়েছেন এক প্রসূতি। শনিবার (৫ নভেম্বর) সন্ধ্যা সাড়ে ৭ টায় কুমিল্লা স্টেশনের অদূরে রসুলপুর ক্রসিং এলাকায় সন্তান জন্ম দেওয়ার এই ঘটনা ঘটে।
প্রসূতির নাম তানিয়া আক্তার (১৯)। তিনি নরসিংদী জেলার মাধবদী এলাকার এরশাদ মিয়ার স্ত্রী। তানিয়া আক্তারের বাড়ি নোয়াখালী জেলার সদর উপজেলার সোনাপুর এলাকায়। তিন বছর আগে বিয়ে হয় তাদের। খবর ঢাকা মেইলের।
বর্তমানে মা ও শিশুকে কুমিল্লা নগরীর শাসনগাছা আল খিদমাহ স্পেশালাইজড হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে। নবজাতক ও মা দু’জনই সুস্থ রয়েছেন বলে হাসপাতালের চিকিৎসক জানিয়েছেন।
ওই ট্রেনে থাকা প্রত্যক্ষদর্শী মাঈন উদ্দিন বাবলু জানান, নরসিংদী স্টেশন থেকে নোয়াখালীর উদ্দ্যেশ্যে উপকূল এক্সপ্রেসের ‘খ’ বগির ৪৮-৪৯ নং সিটে উঠেন এরশাদ-তানিয়া দম্পতি। ট্রেনটি রসুলপুর ক্রসিং এলাকায় আসতেই প্রসব বেদনা উঠে তানিয়ার। বিষয়টি জানতে পেরে ট্রেনে কর্তব্যরত গার্ডরা ওই বগির অন্য যাত্রীদের সরিয়ে নেন এবং সেখানে থাকা মহিলা যাত্রীদের সহযোগীতায় তার প্রসবের ব্যবস্থা করেন। সবার সহযোগিতায় চলন্ত ট্রেনেই নিরাপদে ফুটফুটে ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তানিয়া। পরে, ট্রেনটি কুমিল্লা স্টেশনে থামলে ট্রেনে কর্তব্যরতরা দ্রুত মা ও নবজাতককে একটি হাসপাতালে ভর্তি করেন।
নবজাতকের বাবা এরশাদ মিয়া জানান, আমি আল্লাহর কাছে অনেক শুকরিয়া জানাই। আমার স্ত্রী এবং বাচ্চা দুজনই সুস্থ আছেন। বর্তমানে তারা কুমিল্লা আল খিদমাহ স্পেশালাইজড হাসপাতালে ভর্তি আছেন।
আল খিদমাহ স্পেশালাইজড হাসপাতালের চিকিৎসক ডা. বাধন জানান, বর্তমানে মা ও শিশু দুজনই সুস্থ আছেন। শিশুটিকে পর্যবেক্ষণে রাখা হয়েছে।

© উপকূল এক্সপ্রেস - Upakul Express পেইজ

06/11/2022

গতকাল, ৫ নভেম্বর ২২/শনিবার দমদম রোডের বাসিন্দা মান্তু বসু রায়চৌধুরী নিজ বাসভবনে ৫৮ বছর বয়সে মারা যান। পশ্চিমবঙ্গ বিজ্ঞান মঞ্চে উনি মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন। মৃত্যুর পর ওনার পরিবার থেকে গণদর্পণের সাথে যোগাযোগ করেন। ওনাদের ইচ্ছানুযায়ী ওনার চোখ সংগ্রহ করেন প্রভা আই ব্যাঙ্ক। মান্তু দেবীর মৃতদেহ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজে চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্বার্থে দান করা হয়েছে।

25/10/2022

আজ ২৫ অক্টোবর ২২, মঙ্গলবার দক্ষিণ দমদমের প্রফুল্ল এভিনিউয়ের বাসিন্দা অজিতা চক্রবর্তী ৭০ বছর বয়সে নাগেরবাজার আই এল এস হাসপাতালে মারা যান। মৃত্যুর পর অজিতা দেবীর মরণোত্তর ইচ্ছানুযায়ী চোখ ও দেহদানের জন্য ওনার পরিবারের পক্ষ থেকে উত্তর কলকাতা উদয়ের পথের সাথে যোগাযোগ করেন।
উত্তর কলকাতা উদয়ের পথের সহযোগিতায় RIO-র মাধ্যমে চক্ষু সংগ্রহের প্রক্রিয়া চলছে। বিকেল ৪টে নাগাদ অজিতা চক্রবর্তীর মৃতদেহ জে বি রায় আয়ুর্বেদিক মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে দান করার ব্যবস্থা করা হয়েছে।
অজিতা দেবী প্রফুল্ল এভিনিউ মহিলা সমিতির আঞ্চলিক কমিটির প্রাক্তন সম্পাদিকা ও পূর্বতন মহিলা সমিতির জোনাল কমিটির প্রাক্তন সভানেত্রী ছিলেন।
প্রয়াত কমরেড অজিতা চক্রবর্তীকে শেষ শ্রদ্ধা জানানোর জন্য পূর্ব সিঁথি বকুল তলার তাঁদের পার্টি দপ্তরে বেলা ১-৩০ টায় নিয়ে আসা হবে।

22/10/2022

ট্রেনের আদলে পেইন্ট করা হয়েছে বিদ্যালয়ের শ্রেণিকক্ষ...

ছবিটি ভারতের

14/09/2022

মাত্র ১৮ ঘন্টা আগে কলকাতার ডাঃ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের পক্ষ থেকে বন্ধু কর্ণিয়া কেন্দ্রের অন্যতম প্রধান সংগঠক স্বপন কুমার বন্ধুকে মোবাইলে ফোন করে বলা হয় যে স্বাস্থ্য ভবনের নির্দেশ আছে ১৪ সেপ্টেম্বর অবশ্যই একটি থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণায়ক রক্ত পরীক্ষা শিবির স্থাপন করতে হবে।... বন্ধু কর্ণিয়া কেন্দ্র চ্যালেঞ্জ গ্রহণ করে এবং শেষ পর্যন্ত ভদ্রকালী হাই স্কুলের ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক চন্দন গুপ্ত ও এই মুহূর্তে বিদ্যালয়ের প্রবীণ শিক্ষক কৃষ্ণ চন্দ্র সাহার সাথে যোগাযোগ করে এই শিবিরের আয়োজন করে।... ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২২ দুপুরে ভদ্রকালী হাই স্কুলে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণায়ক রক্ত পরীক্ষা শিবির সংগঠিত হয় এবং বিদ্যালয়ের নবম দশম একাদশ ও দ্বাদশ শ্রেণীর ৫০ জন ছাত্র ও ১ জন শিক্ষাকর্মীর রক্ত সংগ্রহ করেন কলকাতার ডাঃ নীলরতন সরকার মেডিকেল কলেজের থ্যালাসেমিয়া ইউনিটের স্বাস্থ্যকর্মীরা। বিদ্যালয়ের শিক্ষক শিক্ষিকারা উপস্থিত থেকে সহযোগিতা করেন।... কয়েক ঘণ্টার নোটিশে বন্ধু কর্ণিয়া কেন্দ্রের সহায়তায় ভদ্রকালী হাই স্কুলে থ্যালাসেমিয়া রোগ নির্ণায়ক রক্ত পরীক্ষা শিবির স্থাপন করার মহতী উদ্যোগে উপস্থিত থেকে স্বেচ্ছাকর্মীর ভূমিকা পালন করেন স্বপন কুমার বন্ধু, সমীর কয়াল, হিল্লোল সিনহা, অমিত গোস্বামী, জ্যোতিকৃষ্ণ চট্টোপাধ্যায় ও তাপস ঘোষ।

10/09/2022

আজ সকাল 9 টা নাগাদ মারা যান নাগের বাজার এর বাসিন্দা আরতি রায়, বয়স ৮৭ ,মৃত্যুর পর তার পুত্র সৌম্য রায় গণদর্পণের সাথে যোগাযোগ করেন , জানান ওনার মায়ের মৃত্যু হয়েছে তাঁর মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করা আছে।
তখন গণদর্পণের তরফে জানানো হয় দিশা আই হসপিটালের প্রভা আই ব্যাংকের চক্ষুসংগ্রহ কেন্দ্রের সাথে যোগাযোগ করে কর্নিয়া দুটো তুলে নেওয়া হয়।
তারপর তাঁর মরদেহ সাগর দত্ত মেডিকেল কলেজের এনাটমি বিভাগের হাতে তুলে দেওয়া হয়।
আরতি রায় ছিলেন মার্ক্সবাদী কমনিস্ট পার্টির সদস্য।
ক্রাইস্টচার্চ স্কুলে কিছুদিন শিক্ষকতা করেছিলেন।
বর্তমানে তাঁর এক পুত্র ও কন্যা আছেন।
বন্ধু কর্নিয়া কেন্দ্র'র পক্ষে তাঁর প্রতি বিনম্র শ্রদ্ধা ও পরিজনদের প্রতি সমবেদনা জানাই।

30/08/2022

" ঘুম (SLEEP )! "
----------------------
"ঘুম" একটি বিশেষ্য শব্দ ৷যার প্রতিশব্দ নিদ্রা ( নি+দ্রা+অ+আ) , সুপ্তি , তন্দ্রা , আচ্ছন্নতা প্রভৃতি ৷
আমি একজন চিকিৎসক তাই "ঘুম" হয় না বলে অনেক রোগী আমার কাছে আসেন ৷ মনোবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর করা থেকেই এ নিয়ে আমাকে চিন্তা ভাবনা করতে হয় ৷ এই লেখার প্রথমেই চিকিৎসা বা মনোবিজ্ঞানের গুরুগম্ভীর কথার আগে পড়ে নি ঘুম নিয়ে কয়েকটি বিখ্যাত কবিতা ! কবি জীবনানন্দ দাশ তাঁর "এই নিদ্রা" কবিতায় লিখেছেন , " আমার জীবনে কোনো ঘুম নাই / মৎস্যনারীদের মাঝে সবচেয়ে রূপসী সে নাকি নিদ্রা "৷ "যত ঘুম" শিরোনামে জালালউদ্দীন রুমি লিখেছেন ," কারণ আমি ঘুমোতে পারি না / কারণ আমি ঘুমোতে পারি না / আমি রাতে গান নিয়ে থাকি / বসন্তের ফুলের মতো যার মুখাবয়ব / সেই আমাকে জ্বালাচ্ছে "৷ রুশ কবি সের্গেই ইয়েসিন "এ কেমন রাত" কবিতায় লিখেছেন ," এ কেমন রাত আমি ঘুমোতে পারি না / জ্বলজ্বলে চন্দ্রালোক অস্থিতিশীল করে রেখেছে / যেন আমি সম্মানের সাথে / আমার আত্মার ভেতর রেখে দিই / অপচিত যৌবনের পন্থাগুলো "৷ বিক্রম শেঠ "আজ যারা ঘুমিয়ে আছো" বলে ইংরেজিতে যে কবিতা লিখেছেন তার অনুবাদ ," আজ যারা ঘুমিয়ে আছো তোমরা সবাই / ভালোবাসার মানুষের কাছ থেকে অনেক দূরে " ৷ স্যামুয়েল ইভান "রুশ ঘুম নিরীক্ষা " কবিতায় তুলে ধরেছেন ," আমি জেগে আছি / প্রেতাত্মা আমাকে আর ধরতে পারবে না / আমি জেগে আছি / ইবলিশ আমাকে আর খেতে পারবে না / দেখো আমি জেগে আছি / ঘুমের মধ্যেই তারা বাস করে / সে কারণে আমি জেগে আছি , আমি মুক্ত "৷ কেউ আবার বলে ," রাত জাগার মধ্যে একটা নেশা আছে৷ রাতটাকে উপভোগ করা যায় ""৷ পঞ্চাশ বছরের পাবলো পিকাসো তাঁর বাইশ বছর বয়সের নিদ্রিত বান্ধবীর Le Reve( স্বপ্ন) ছবি এঁকেছিলেন ৷ ১৯৩২ সালেসর্বকালের সবচেয়ে বিখ্যাত ঘুমের ছবি ৷ যেখানে বান্ধবীটি চেয়ারে মাথা ঝুঁকিয়ে হয়তো স্বপ্ন দেখছে ৷ ঐ ঘুমের ছবিটিতে রয়েছে কামোদ্দীপক উপাদান ৷( তাই নিজের ঘুমন্ত ছবি না দিয়ে দিলাম দার্জিলিং এর প্রিয় ট্রয় স্টেশন ঘুমের ৷ যদিও স্লিপ বা ঘুমের সঙ্গে তা সম্পর্ক হীন ৷ হয়তো ঘুমনা বা বেড়ানোর সাথে মেলে, এখানকার মনাস্ট্রি আমাকে বারবার টানে , এখানে হয়েছিল আমাদের ছেলেবেলার হিন্দী সিনেমা রাজেশ খান্নার "আরাধনা" -র শুটিং)৷ এসব নানা চিন্তা ভীড় করে ঘুমের ব্যাঘাত ঘটায় ৷
ঘুম প্রতিটি প্রাণীর জীবনে কাজের ফাঁকে বিশ্রাম নেওয়ার স্বাভাবিক প্রক্রিয়া ৷ঐসময় সচেতন ক্রিয়া -প্রতিক্রিয়া স্তিমিত থাকে ৷ঘুমন্ত মানুষকে দেখে মনে হয় নিষ্পাপ শিশু , এক অজানা অতিরিক্ত আবেগ অনুভূতি কাজ করে ৷যা তাকে গোপন এক প্রাকৃতিক নিরাপত্তা দেয় ৷শরীর ও মন সুস্থ রাখতে ঘুম দরকার ৷ মানুষের ঘুম দুরকম ৷ "রেম" - ঘুমের একের পাঁচ ভাগ এই অবস্থা ৷তখন মস্তিস্ক ও মাংস পেশী শিথিল থাকে ৷আমাদের চোখ নানাদিকে ঘুরতে থাকে ৷ এই পর্যায়ে আমরা স্বপ্ন দেখি ৷ "নন রেম" ঘুম - এতে মস্তিষ্ক নিষ্ক্রিয় থাকলেও শরীর নড়াচড়া করতে পারে ৷এর চারটি অবস্থা - ঘুমের আগের - তখন মাংসপেশী শিথিল হয় ,দেহের তাপ ও হৃদস্পন্দন কমে ৷ হাল্কা ঘুম- এ ঘুম সহজে ভাঙে ও চারপাশে সচেতনতা থাকে ৷ , স্লো ওয়েভ- এই সময় রক্তচাপের মাত্রা হ্রাস পায় ৷অনেকে ঘুমের ঘোরে কথা বলে ৷ এমনকি কেউ কেউ হাঁটে ( নাইট টেরর)এবং গাঢ় স্লো ওয়েভ ঘুম - প্রকৃত ঘুম , যখন কোনরূপ সচেতনতা থাকে না ৷ ডাকলেও ঘুম ভাঙে না ৷ একেক রাতে প্রায় পাঁচ বার এগুলো ঘুরে ফিরে আসে ৷ ভোরের স্বপ্ন সফল হয় কিনা জানি না ৷ তবে , ভোরেই আমরা বেশী স্বপ্ন দেখি ৷বয়সের সাথে ঘুম কমতে থাকে ৷ এটা ভয়ের কিছু নয় ৷ গর্ভে শিশু সন্তান ৯৫% সময় ঘুমিয়ে কাটায় , নবজাতক সতেরো ঘন্টা, শৈশবে আট -ন' ঘন্টা , যৌবনে আট ঘন্টা এবং প্রাপ্তবয়স্কদের ছ' সাত ঘন্টা ঘুম স্বাভাবিক ৷শেষ ঘুম দেওয়ার আগে পর্যন্ত অর্থাৎ আমরা জীবনের তিন ভাগের একভাগ সময় ঘুমিয়ে কাটাই ৷ছোটবেলায় আমরা মা , দিদার গাওয়া ঘুম পাড়ানি গান বা ছড়া "ঘুম পাড়ানি মাসি পিসি মোদের বাড়ী এসো " , "আয় আয় চাঁদ মামাা" শুনতে শুনতে ঘুমের দেশে পাড়ি দিয়েছি ৷স্বাভাবিক ভাবে বেশী খেলে আবার খিদে থাকলে , শব্দ ,বেশী ঠান্ডা , গরমে ও শব্দে , নানা অসুখে , সিগারেট , মদ , কফি , চা বেশী খেলে , বিছানায় শুয়ে শুয়ে টিভি ও মোবাইলে চোখ রাখলে ঘুম কম হতে পারে ৷ মনের অশান্তি , দুশ্চিন্তা, বাড়ীতে ও কর্মস্থলে গোলমাল , বিষাদ জনিত কারণে ঘুম কম হলে চিকিৎসার দরকার ৷ ঘুম কম হলে মস্তিষ্কের কোষের ক্ষতিকর বর্জ্য রাসায়নিক ঠিকমত বেরতে না পারায় শরীরে প্রদাহকারী পর্দাথের মাত্রা বৃদ্ধি পায় ৷ ঘুম কম হলে মস্তিষ্কে ওরেক্সিন নামে যে নিউরোট্রান্সমিটার থাকে যা আমাদের মস্তিষ্ক সচল রাখে তার উৎপাদন হ্রাস পেয়ে নিজের বিচার বিশ্লেষণের ক্ষমতা সহ মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা কমিয়ে দেয় ৷ বিষন্নতা , স্মৃতিভ্রংশ , হ্যালুসিনেশনের মত সমস্যা প্রকট হয় ৷ পর্যাপ্ত ঘুম , আমাদের হৃদয় ও মনকে চাঙ্গা রাখে ৷ স্থুলত্ব কমায় ৷ ইনসুলিন ক্ষরণ ভালো করে ডায়াবেটিস হতে দেয় না ৷ ঘুমের অনেক ওষুধ আছে ৷ যা নিয়মিত খেলে অভ্যাস হওয়া ছাড়াও ঐসব ওষুধের কার্যক্ষমতা ক্রমান্বয়ে কমতে থাকে ৷ ঘুম স্বাভাবিক ব্যাপার হলেও কখনো সখনো আবার অনেকের নিয়মিত কম ঘুম সহ অনিদ্রা রোগ দেখা যায় ৷ ঘুম না আসার অন্যতম কারণ গন্ডেপিন্ডে ভোজন ৷ বিশেষত প্রোটিন বেশী খেয়ে শুলে ঘুমের সমস্যা হতে পারে ৷ তাই , উপমহাদেশের বাইরে অধিকাংশ দেশে সন্ধ্যার মধ্যে ডিনার সেরে ফেলা হয় ৷ আর আমরা রাতে খাওয়ার পর একটু হাঁটা চলাও না করে বিছানায় গা এলিয়ে দি ৷ এতে বুক জ্বালা , গলা জ্বালা থেকে কিছু পরে ঘুম ভেঙে যাওয়ার ব্যাপারটা ঘটে ৷হজম রস নিঃসরণে সহায়ক পাচক রসগুলি উপযুক্ত মাত্রায় বের হতে পারেনা ৷ দীর্ঘমেয়াদী বদহজম দেখা দেয় ৷ স্লিপ এপনিয়া ঘুম ঠিকমত না হওয়ার আর একটা কারণ ৷ ঘুমের মধ্যে অজান্তে রোগীর শ্বাসক্রিয়া স্বল্প সময়ের জন্য বারবার বন্ধ হয়ে যায় ৷ শ্বাসনালীতে পর্যাপ্ত অক্সিজেন ঢুকতে না পারায় স্লিপ এপনিয়ার রোগীরা ঘুমের মধ্যে নাক ডাকে ৷ এরা ঘুমের পর তরতাজা অনুভব করে না ৷ আবার কাজের সময় ঘুমে ঢলে পড়ে ৷ টনসিল ও এডিনয়েডস গ্লান্ড ফুলে এবং শ্বাসনালীর চারপাশে চর্বি জমে এছাড়া নাকের হাড় বাঁকা থাকলে ও নাকে পলিপ থাকলে স্লিপ এপনিয়া হতে পারে ৷ বেশী জোরে নাক ডাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷ ঘুম পর্যাপ্ত না হলে আমাদের শরীরের প্রতিরোধ ক্ষমতার জন্য দায়ী লিভিং অরগানিজম কাজ করতে পারে না ৷ শরীরে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমতে থাকে ৷পৃথিবী জুড়ে অতিমারী "করোনা ,"ঘুমের মহামারী সৃষ্টি করেছে ৷ কোটি কোটি মানুষ কাজ হারিয়েছে ৷ জীবনযাপন নিয়ে উদ্বেগ সৃষ্টি হয়েছে ৷ আতঙ্কে মানুষের ঘুম উবে গেছে ৷ অনেকে ভয় কাটাতে নেশায় জড়িয়ে পড়ছে ৷ সংসারে গোলমাল ও সহিংসতা এবং নীল আলো অর্থাৎ মোবাইলের মত ডিভাইসের ব্যবহার অনলাইন কাজ ও লেখাপড়ায় হঠাৎ করে অনেক বেড়ে গেছে ৷টিভি , ল্যাপটপ , ট্যাবলেট , মোবাইলের নীল আলো ঘুমের জন্য দরকারী হরমোন মেলাটোনিনের উৎপাদন বিলম্বিত করে ৷একজন সুস্থ মানুষের বিছানায় যাওয়ার ১৫ মিনিটের মধ্যে ঘুম আসে ৷ অনেক দেরী হলে বিছানা ছেড়ে পরিবেশ বদলে দিতে হবে ৷ কিছুক্ষণ ভালো বই পড়া ও গান শোনা যেতে পারে ৷আমাদের মত মধ্য ও নিম্ন আয়ের দেশগুলোতে "ঘুমের সংস্কৃতি" গড়ে না ওঠায় অসুবিধা আরো বেশী ৷ মার্চের তৃতীয় শুক্রবারে বা মহাবিষুবের আগের শুক্রবারে প্রতিবছরের মত এবারেও" ওয়ার্ল্ড এসোসিয়েশন অফ স্লিপ মেডিসিন "বিশ্ব ঘুম দিবস পালন করেছে ৷২০০৮ সাল থেকে যা সারা পৃথিবীতে পালিত হচ্ছে ৷উদ্দেশ্য ঘুম ও স্বাস্থ্য বিষয়ক নানা আলোচনা ও সবার কাছে ঘুমের প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরা ৷ নিদ্রাহীনতা জনিত স্বাস্থ্য হানিতে বিশ্বের ৪৫% মানুষ হুমকির সম্মুখীন ৷অন্তত একশো মিলিয়ন মানুষ এই সমস্যার সম্মুখীন ৷নিদ্রাহীনতার জন্য মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রে ৪০০ বিলিয়ন , জাপানে ১৩৮ বিলিয়ন , ব্রিটেনে ৫০বিলিয়ন এবং কানাডায় ২১ বিলিয়ন মার্কিন ডলার ক্ষতি হয় ৷ আবার ছুটির দিনে দু ঘন্টা বেশী ঘুমালে দেহঘড়ি ৪৫ মিনিট বিলম্বিত হয় ৷এতে ছুটির দিনগত রাতে ঘুম কম হয় ৷ পরেরদিন শরীর ও মনে কাজের ইচ্ছা কমে যায় ৷কাজে পরিশ্রান্ত লাগে ৷ তাই প্রতিরাতেই সাত , আট ঘন্টা পর্যাপ্ত ঘুম দরকার ৷ছুটির দিনে দেহে কিছুক্ষণ রোদ লাগানো ভালো ৷ মাত্র ৬-৮ মিনিট রোদে থাকলে ভিটামিন ডি তৈরী হয়ে সূর্যের আলো দেহঘড়ি ঠিক রাখে ৷ত্রিশ বছরের পরে ভালো ঘুম ভবিষ্যতে মানসিক প্রশান্তির পুঁজি হয়ে যায় ৷এর সুফল বৃদ্ধ বয়সেও পাওয়া যায় ৷২০১০ সালের এক গবেষণায় প্রকাশ ৫০-৭৯ বছর বয়সে মৃত মহিলাদের মৃত্যুর কারন কম বা বেশী ঘুম ৷গত বারের ২০২১ এর থিম বা প্রতিপাদ্য বিষয় ছিল "নিয়মিত ঘুম: স্বাস্থ্যোজ্জ্বল ভবিষ্যৎ " ৷যে দিন নিয়ে আমার এই লেখা ৷ চার থেকে পাঁচ ঘন্টা সাউন্ড স্লিপ না হলে মানসিক অস্থিরতা ও স্নায়বিক দূর্বলতা হতে পারে ৷দরকার নিয়মিত সঠিক ভাবে ও মাত্রায় ঘুম ৷ যাকে নির্দিষ্ট সময়ে উঠে পড়তে হবে তারা এর্লাম দেয় ৷ এলার্ম বাজলেই ঘুম থেকে উঠে পড়ে ঘর আলো করে দিন ৷স্নুজ টাইমার সেট করে ক'মিনিট গা গরালে বিশেষ কোনো পার্থক্য হয় না ৷ নিম্নমানের পাতলা ক'মিনিটের ঘুমের প্রয়োজন নেই ৷ অনেকে ভাবেন মদ খেলে ঘুম ভালো হয় ৷কাজের কাজ কিছু হয় না বরং দিন দিন নেশা বাড়ে ৷ এলকোহল প্রস্রাব বৃদ্ধি করে ৷ তাই রাতে বারবার ছোট বাইরে (প্রস্রাব করতে) যেতে হয় ৷ তাই মদ সমস্যা কমায় না বরং বাড়ায় ৷এখন ঘুম নিয়ে পরীক্ষা স্লিপ স্টাডি অর্থাৎ পলিসোমনোগ্রাফি টেস্ট করে কিভাবে রোগী জীবন যাপন করবেন , না স্লিপ ডিভাইস দিতে হবে তা বলা যায় ৷ বেশী সমস্যায় অস্ত্রোপচার করতে হতেও পারে ৷ মা সারদা বলেছেন , "সহ্যের মত গুণ নেই , আর সন্তোষের মত ধন নেই ৷ মন শান্ত থাকলে ঘুম ঠিক হয় ৷ দোকান থেকে বলে ঘুমের ওষুধ খাবেন না ৷ ভেলেরিন জাত গাছ গাছরা দিয়ে তৈরী ওষুধও নয় ৷ অনেক ভালো কগ্নিটিভ বিহেভিয়ার থেরাপি ৷ যা অনিদ্রায় বিশেষ ফলপ্রদ ৷ রোগা হওয়ার এম্ফেটামিন , এক্সটাসি , কোকেন জাতীয় ওষুধ বিশেষ পরামর্শ ছাড়া না খাওয়াই ভাল ৷ব্যায়াম , শারীরিক পরিশ্রম , যোগ - প্রাণায়মের রিলাক্সিং কাজ , গান শোনা যথেষ্ঠ কার্যকর ৷আমাদের ভালো থাকা , মেজাজ ও দীর্ঘায়ু লাভের অন্যতম শর্ত রোজ ভালো ঘুম ৷এতে কোন আপস চলবে না ৷
দুপুরে খাবার পর ঘুমকে আমরা বলি "ভাত ঘুম" , যা স্পেনীয় ভাষায় "সিয়েস্তা" ৷ কেউ কেউ বলেন এটা অপকার করে ৷ যদিও , এখন দেখা গেছে দুপুরে কিছুক্ষণ নিদ্রা সহ বিশ্রাম কাজের গতি আনে ৷ষাট বছর বয়সের পর দুপুরে দু ঘন্টা ঘুমানো যায় ৷শুধু যাদের রাতে ঘুমের সমস্যা আছে তারা দিনে ঘুমাবেন না ৷ চীন সহ অনেক দেশে এখন এখন ভাত ঘুমের জন্য অফিসে ব্যবস্থা আছে ৷ জাপানে অফিসের কাজের মাঝে ঢুলু ঢুলুর প্রয়োজন আছে বলে তা তিরস্কারের নয় ৷ মনে করা হয় কাজের গতি বৃদ্ধির জন্য প্রয়োজন ৷ এতে মস্তিষ্কের কার্যক্ষমতা ক্ষুরধার হয় ৷সৃজনশীলতা বৃদ্ধি পায় ৷মন ফুরফুরে হয় ৷রাতে কম ঘুম হয়ে থাকলেও সে অসুবিধাও দূর হয় ৷অথচ, আমরা স্কুলে পন্ডিত মশাইয়ের নাক ডাকা নিয়ে কত মজা না করেছি!
ভালো ঘুম বা সুনিদ্রার প্রয়োজনীয়তা তুলে ধরতে
২০০৮ সাল থেকে "World Association of Sleep
Medicine " প্রতিবছর মার্চ মাসে মহাবিষুবের (Spring Equinox) আগের শুক্রবার "বিশ্ব ঘুম দিবস" পালন করা হয় ৷
এবারে ২০২২ সালে পড়েছে ১৮ মার্চ শুক্রবার ৷ এবারের প্রতিপাদ্য বিষয় ," Quality Sleep, Sound Mind , Happy World " অর্থাৎ "ভালো ঘুম , সুস্থ মন , সুখী পৃথিবী "৷ আমার ঐদিনের লেখাটি আজ আবার ফেসবুকে দিলাম ৷ আমরা সেই হাস্যোজ্জ্বল সুন্দর বিশ্বের অপেক্ষায় ৷এই বিশেষ দিনটি পালনের ফলে সাধারণ মানুষ থেকে নিদ্রা হীনতায় ভোগা মানুষ জন ঘুমের অভাবে শারীরিক ও মানসিক ক্ষতির বিষয়ে জানতে পারছেন ৷ এখানেই বিশ্ব ঘুম দিবস উদযাপনের উপকারিতা ৷
আজ ফেবুতে শুভ রাত্রি লিখি এভাবে ," জোনাক হল রাতের বাতি ৷ / স্বপ্ন নাকি ঘুমের সাথি/ মন যে এক মায়াবি পাখি ৷ বন্ধু আমি সুখ দুঃখের সাথী / জানাই তোমাদের শুভ রাতি "৷
॰॰॰॰॰॰॰॰ ডাঃদীপালোক বন্দ্যোপাধ্যায় ৷
৯৭৩২২১৭৪৮৯

27/08/2022

আমাদের মৃত্যই হচ্ছে জীবনের সবচেয়ে স্বাভাবিক ঘটনা।
আপনার প্রিয়জনকে অনুরোধ করে রাখুন যে আপনার মৃত্যুর পর যেন ধর্মীয় প্রথায় শেষকৃত্যর আগে আপনার চোখের কর্নিযাদুটি দান করেন।
কর্ণিয়াজনিত কারণে অন্তত দুইজন দৃষ্টিহীন মানুষ পৃথিবীর সমস্ত রঙ দেখতে পাবেন।

16/07/2022

বেশ কিছুদিন ধরে কিছু ছিদ্রানেস্বী ব্যক্তি নিজেদের স্বার্থ চরিতার্থ করার জন্য কিছু ধামা ধরা বৈদ্যুতিন মাধ্যম ও হলুদ সাংবাদিক এর সহায়তায় পশ্চিমবঙ্গের তথা এশিয়ার অন্যতম সেরা ব্লাড সেন্টার IBTM&IH কে তথা এই ব্লাড সেন্টারের ভান্ডার পূরণে সহায়তা করেন যে সকল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা ও সর্বোপরি যে সকল লক্ষাধিক রক্তদাতা তাদের আবেগ উদ্যোগ ও সেবাব্রতি র কর্মকাণ্ড কে কলুষিত করার অপপ্রচেষ্টার চালিয়ে যাচ্ছেন।ওই কুৎসিত অপপ্রচেষ্টার বিরুদ্ধে সোচ্চার ও তীব্র ভাষায় ধিক্কার জানিয়েছেন রক্ত আন্দোলনের সঙ্গে প্রথম থেকে জড়িত বিশিষ্ট সমাজসেবী সংস্থা তারা হলেন (WBVBDF)এর সাধারণ সম্পাদক ও ভারত সরকারএর রক্ত দান আন্দোলনের পরামর্শ দাতা মাননীয় অপূর্ব ঘোষ, মাননীয় শ্রী আশীষ ঘোষ,(AVBD) এর সক্রিয় সদস্য ও রক্তদান আন্দোলনের পুরোধা ও মাননীয় শ্রী শুভেন্দু চক্রবর্তী (NBVBDA) এর সাধারণ সম্পাদক। এই সকল স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা বছরে ৩০০ থেকে ৫০০ রক্ত দান শিবির পরিচালনা করেন।
তারা সকলে সম্মিলিতভাবে এই ব্লাড ব্যাংকের সকল কর্মীকে করোনা কালে তাদের নিরলস পরিষেবা ও কর্মকান্ড কে অকুণ্ঠ আন্তরিক ধন্যবাদ জানান। এই ব্লাড সেন্টারের আধিকারিকও সেই সব স্বেচ্ছাসেবী সংস্থার সকলকে ও তাদের মাধ্যমে সকল রক্তদাতা দের ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জানান। আধিকারিক এও জানান রক্তদাতাদের মহান দান যথেষ্ট মর্যাদার সাথে রক্ষা করা হয় ও তার যথাযত ব্যবহারে সর্ব্বোচ প্রয়াস গ্রহণ করা হয়। উনি এও অনুরোধ করেন কুচক্রীদের ঘৃন্য প্রয়াসে বিভ্রান্ত না হতে।
এই ব্লাড সেন্টার থেকে এই করোনা কালেও ২০২১ সালে ১,০৫,৫৫৭ টি রক্তের উপাদান তৈরী হয়েছে মহান রক্তদাতাদের দানের রক্ত উপাদানে পৃথকীকণের ফলে। । প্রতিদিন ২০০ এর অধিক রক্তের উপাদান সরবরাহ করা হয়। যার মধ্যে ৮০ থেকে ৯০জন থাকেন থ্যালাসেমিয়া রোগী। নিয়মিত রক্ত সঞ্চারণের মাধ্যমে এই সকল রোগীর জীবন ফল্গু ধারা প্রবাহিত হয়।
তাই রক্ত দান আন্দোলনের সকল স্বেচ্ছাসেবী ও IBTM&IH এর সকল আধিকারিক ও কর্মী বর্গের থেকে সকল মহান রক্ত দাতা দের নিকট নিবেদন ওই কুচক্রী ছিদ্রানেস্বী ব্যক্তি দের প্ররোচনায় বিভ্রান্ত হবেন না।
আপনাদের মহান দান সর্বোচ্চ সম্মানের সাথে যথাযথ ব্যবহার করায় কোনও রকম আপস করা হবে না।
আপনারা এগিয়ে আসুন। আপনাদের মহান দান মুমূর্ষু রোগীর প্রাণ।

12/07/2022

// পর পর দু’দিন পিজি(এস এস কে এম) তে যকৃৎ প্রতিস্থাপন //

এক জন অপেক্ষা করেছিলেন প্রায় এক বছর। অন্য জন মাস পাঁচেক। শেষমেশ যকৃৎ প্রতিস্থাপন হল দু’জনেরই। মরণোত্তর অঙ্গদান থেকে পাওয়া যকৃৎ প্রতিস্থাপিত হল পর পর দু’দিনে। এসএসকেএমের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজির বিভাগীয় প্রধান গোপালকৃষ্ণ ঢালির কথায়, ‘‘গত ডিসেম্বর থেকে পাঁচ জনের যকৃৎ প্রতিস্থাপন হল। পাঁচটিই আমাদের চিকিৎসকেরা একক ভাবে করলেন। আগে দিল্লি থেকে প্রতিস্থাপন-শল্য চিকিৎসকেরা আসতেন। দু’জন গ্রহীতাই স্থিতিশীল রয়েছেন।’’

, ঘাটালের বাসিন্দা ৪১ বছরের এক যুবক দু’বছর ধরে পিজিতে চিকিৎসা করাচ্ছেন। গত ৮ জুলাই, শুক্রবার হাওড়ার বেসরকারি হাসপাতালে সৌরভ মাইতি (৩১) নামে এক যুবকের ব্রেন ডেথ হয়। পরিজনেরা অঙ্গদান করেন। তাঁর যকৃৎ পরের দিন প্রতিস্থাপন করা হয় ঘাটালের যুবকের শরীরে। অন্য দিকে, ওই দিনই ব্রেন ডেথ হচ্ছে নিশ্চিত হওয়ার পরে সল্টলেকের এক বেসরকারি হাসপাতাল থেকে আনা হয় মঞ্জুবালা ভক্তকে (৫৮)। শনিবার তাঁর ব্রেন ডেথ নিশ্চিত হয়।
প্রৌঢ়ার যকৃৎ রবিবার প্রতিস্থাপন করা হয় বজবজের বাসিন্দা, ৪৭ বছরের এক যুবকের শরীরে। বছর পাঁচেক ধরে লিভার সিরোসিসে ভুগছিলেন তিনি। গ্যাস্ট্রো-শল্য চিকিৎসক সুকান্ত রায়, সোমক দাস, তুহিনশুভ্র মণ্ডল-সহ হেপাটোলজি, গ্যাস্ট্রো-অ্যানাস্থেশিয়া এবং আরও ২০-২৫ জন চিকিৎসকের দল দু’দিন প্রায় আট ঘণ্টা করে অস্ত্রোপচার করেন। দু’জন রোগীকেই ভেন্টিলেশন থেকে বার করা হয়েছে। হেপাটোলজিস্ট অভিজিৎ চৌধুরী বলেন, ‘‘দেশে সরকারি স্তরে পর পর দু’দিন ধরে প্রতিস্থাপন এই প্রথম।’

09/07/2022

রাজ্যে অটোপসির (রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত) ক্ষেত্রে বিরল ঘটনা।

পাঞ্জাবের রূপনগর থেকে কলকাতায় এসেছিলেন সন্তানসম্ভাবা রূপা বিশ্বাস ও তার স্বামী নভোনীত সিং, কলকাতায় যে বাড়িতে রূপা কাজ করতেন। আজ নিউ আলিপুরে বি পি পোদ্দার হাসপাতালে রূপা মৃত পুত্র সন্তান প্রসব করেন। এরপর রূপা যে বাড়িতে কাজ করতেন সেই বাড়ির কর্তা স্বপন চট্টোপাধ্যায়ের উদ্যোগে মৃত পুত্র সন্তানের অটোপসির (রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত) সিদ্ধান্ত নেয় নভোনীত ও রূপা।
আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগের প্রধান ডাঃ সোমনাথ দাসের তত্ত্বাবধানে আগামী সোমবার (১১ জুলাই ২২) অটোপসি (রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত) হবে।
এই অটোপসি (রোগ নির্ণায়ক ময়নাতদন্ত) রাজ্যের চিকিৎসাবিজ্ঞানে বিরল।
সম্পূর্ন ব্যাপারটি গণদর্পণের সহয়তায় হচ্ছে। গণদর্পণের পক্ষ থেকে শ্যামল চ্যাটার্জী শিশুর মরদেহ আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের ফরেন্সিক বিভাগে পৌঁছে দেবার দায়িত্ব নিয়েছেন।

26/06/2022

গতকাল (২৬-৬-২২) সকাল ১১.১০ মিনিটে উত্তরপাড়া বন্ধু কর্নিয়া কেন্দ্র'র একনিষ্ঠ সদস্য, শ্রী প্রদীপ কোলে মহাশয়ের বাবা শ্রী মহানন্দ কোলে মহাশয় উত্তরপাড়া মহামায়া শিশু ও মাতৃ মঙ্গল কেন্দ্রে ৮৮ বছর বয়সে দীর্ঘ রোগভোগের পর, হৃদযন্ত্রের ভারসাম্য হারিয়ে মৃত্যু বরন করেন। সংস্থার একনিষ্ঠ সেবক ও কর্মী প্রদীপ কোলে মহাশয় সংস্থার কর্নধার শ্রী স্বপন বন্ধুর মারফত শ্রীরামপুর আই ব্যাঙ্ক এর সঙ্গে চোখ দান এর জন্য তৎক্ষণাৎ কথা বলা ও চক্ষুগোলক দান এর ব্যবস্হা করেন। শ্রীরামপুর সেবা কেন্দ্র মারফত প্রদীপ কোলের উপস্থিতিতে, পিতা মহানন্দ কোলের চোখদান করা হয়।সংস্থার সকল সদস্য ফোন মারফত সংবাদ পাওয়া মাত্র, নিজ প্রচেষ্টায়, চিকিৎসা বিজ্ঞানের সাহায্যে দৃষ্টি হীন মানুষের সেবায় যে সাধক, এ মহান দান করেন, সংস্থার সকলেই প্রায়, বাড়ি ও শেষ ঠিকানা শ্মশানে, শেষ শ্রদ্ধা জানাতে সারাদিনের বিরক্তিকর বৃষ্টিকে, তুচ্ছ করে, শ্মশানে শেষ শ্রদ্ধা জানাতে উপস্থিত হন।মরণোত্তর চক্ষুদাতা মহানন্দ কোলে অমর রহে। পরিবারের সকলের প্রতি জানাই সমবেদনা।

30/05/2022

মায়ের অঙ্গীকারকে সম্মান

গত ২৮ মে ২২, শনিবার বরানগর আলমবাজারের বাসিন্দা নীপা বিশ্বাস ৮৯ বছরে মারা যান।
বরানগর তথা আলম বাজার অঞ্চলের এক বিপ্লবী পরিবারের কন্যা সন্তান ছিলেন নীপা শতপথী। পিতা কমঃ বিমল বিশ্বাস ছিলেন আলমবাজার জুট মিল অঞ্চলের অবিভক্ত কমিউনিস্ট পার্টির ও শ্রমিক সংগঠন গড়ে তোলার জন্য প্রথম পাটি সদস্য। নীপা বিশ্বাস তার শৈশবে সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ডে জড়িয়ে পড়েন। নাট‌্য চর্চায় তার হাতে খড়ি পিতৃবনধু প্রয়াত চন্দ্র রায়ের মাধ্যমে। পরবর্তী সময়ে ছাত্র আন্দোলনের মধ্য দিয়ে তিনি ক্রমে বরানগর তথা অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার ছাত্র নেত্রী হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। কমিউনিস্ট পার্টির মধ্যে মতাদর্শের লড়াইয়ে তিনি সি পি আই এম এর সাথে যুক্ত হন।। 1964 সালে পাটি সদস্য পদ লাভ করেন। মূলত বরানগর অঞ্চলের বি পি এস এফ সংগঠন তার হাত ধরে গড়ে ওঠে। তিনি অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার নেতৃ হিসাবে পরিচিতি লাভ করেন। পরবর্তী সময়ে নব গঠিত এস এফ আই সংগঠনের বরানগর আঞ্চলিক কমিটির সভানেত্রী হন। জেলা ও রাজ্য কমিটির সদস্যা হন। পৌরসভা সভায় নির্বাচিত হয়েছেন। সি পি আই (এম) বরানগর পার্টির দক্ষ সংগঠক ও নেতা ছিলেন। আঞ্চলিক কমিটি র দীর্ঘ সময় ধরে সদস্যা ছিলেন। পরবর্তী সময়ে জোনাল কমিটির সদস্য হন। রাজ্যোর সাক্ষরতা আন্দোলনের তিনি ছিলেন একজন অন্যতম সেরা সংগঠক। কর্মজীবনের অনেকটা সময় তিনি বস্তি উন্নয়ন ও মানুষের স্বার্থে কাজ করেছেন। তার দুই সন্তান দীপ ও জয় বর্তমান।
নিয়মের জন্য শনিবার ও রবিবার নীপা দেবীর মরদেহ দান করা সম্ভব হয় নি। কিন্তু নীপা দেবী ১৯৯৭ গণদর্পণের মারফৎ মরণোত্তর দেহদানের অঙ্গীকার করেছিলেন। পরিবারের পক্ষ থেকে সি পি আই (এম)-র নেতা তন্ময় ভট্টাচার্য গণদর্পণের সঙ্গে যোগাযোগ করেন।
সেই অঙ্গীকারকে সম্মান জানিয়ে দীপ ও জয় মায়ের দেহ সংরক্ষণ করেন।
আজ ৩০ মে ২২, সোমবার এস এস কে এম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে মায়ের মরদেহ দান করেন। এই সমগ্র ব্যাপারটি বাস্তবায়িত হয়।
দেহদানের সময় উপস্থিত ছিলেন বিমান বসু, রমলা বিশ্বাস সহ সি পি আই (এম) পার্টির নেতৃত্ব সহ স্থানীয় বহু মানুষ।

28/05/2022

প্রয়াত কমরেড রামকৃষ্ণ ব‍্যাণার্জীর দেহ চিকিৎসা বিজ্ঞানের উন্নতি কল্পে উনার ইচ্ছা অনুসারে বর্ধমান মেডিকেল কলেজের এ্যানাটমী ডিপার্টমেন্টে দান করা হলো।

কমরেড রামকৃষ্ণ ব‍্যাণার্জী অমর রহে।

Photos from Bandhu Cornea Kendra's post 15/05/2022

🗣️ 15/05/2022 (রবিবার) উত্তরপাড়া পি. আর. সি. ভবনে "উত্তরপাড়া আমাদের প্ৰিয় শহর" গ্রূপের রক্তদান শিবিরে আমরা "বন্ধু কর্নিযা কেন্দ্র" থেকে উপস্থিত ছিলাম। শ্রমজীবী ব্লাড সেন্টার ৩৪ ইউনিট রক্ত সংগ্রহ করেন। মরন উত্তর দেহদানের বিষয়ে বহু মানুষ আগ্রহের সাথে আলোচনা করেন। অংগীকার পত্রে স্বাক্ষর করেন পাঁচ জন এবং অনেকেই ফর্ম নিয়ে গেছেন পরে জমা দেবেন বলে।

14/05/2022

বাঁশদ্রোণীর ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা জয়ন্ত কুমার ব্যানার্জী। না কোন বিখ্যাত ব্যক্তি সেই হিসেবে নয়। রবীন্দ্রভারতী বিশ্ববিদ্যালয়ে অধ্যাুপণা করতেন। তাঁর ঋজু ও সংগ্রামী ব্যক্তিত্ব ছাত্রছাত্রীর হৃদয়ে একটা স্থান করে নিয়েছিল। এর থেকেও আরেকটা ব্যাপার জানাই উনি সেই ব্রহ্মপুরের বাসিন্দা যা এখন খবর। সোশ্যাল মিডিয়ায় যা ভাইরাল। যে পাড়ার দেওয়াল রাজনৈতিক কিংবা বিজ্ঞাপনী লেখা নয়, বিভিন্ন মনীষি কিংবা গল্পের চরিত্রে ছবিতে ভরা। যা এক নান্দনিক বার্তা এনেছে। দৃশ্য দূষণ রোখার পথ দেখিয়েছে।
গত ১২ মে ২২ , সন্ধ্যে ৬টা নাগাদ তিনি মারা যান। সাথে সাথে ওনার কন্যা পূর্বাসা গণদর্পণের সাথে যোগাযোগ করেন। প্রথমে প্রভা আই ব্যাঙ্কের মাধ্যমে জয়ন্তবাবুর কর্ণিয়া সংগ্রহ হয়। এরপর যেহেতু সন্ধ্যে হয়ে যায়। তাই সেদিন নিয়মানুসারে এস এস কে এম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা সম্ভব হয় নি। ঐদিন এস এস কে এম হাসপাতালের মর্গে রাখার ব্যবস্থা করা হয়। এই সময় একটি ঘটনা ঘটে যার জন্য জয়ন্তবাবুর কন্যা পূর্বাসাকে স্যালুট জানাতেই হয়।
জয়ন্তবাবুর মরদেহ যখন এস এস কে এম হাসপাতালের মর্গে নিয়ে যাওয়া হয় তখন রাত সাড়ে এগারটা। দেখা যায় ডেথ সার্টিফিকেটে ভুল আছে। পরিবর্তন করতে হবে। অসম্ভব সৃজনশীল সচেতন মানসিকতার পরিচয় দিলেন পূর্বাসা। ডেথ সার্টিফিকেট পরিবর্তন করিয়ে আনলেন। গতকাল ১৩ মে ২২, শুক্রবার এস এস কে এম মেডিক্যাল কলেজের অ্যানাটমি বিভাগে দান করা হয়।
পূর্বাসার ভূমিকা প্রমাণ করে দেয় প্রিয়জনকে সম্মান কীভাবে জানাতে হয়। সদিচ্ছা থাকলে কোন বাধাই বাধা নয়। কোন অজুহাত দিয়ে এড়িয়ে যেতে হয় না।
পুর্বাসার ভূমিকা গণদর্পণের আন্দোলনকে জোরদার করলো।

13/05/2022

বিরাটি স্টেশন | প্রতি শনিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে কাঁধে ওষুধভর্তি তিন চারটে ব্যাগ নিয়ে আপ শিয়ালদহ হাসনাবাদ লোকালের অপেক্ষা করেন ৭০ বছর বয়সী এক ডাক্তারবাবু

| গন্তব্য সুন্দরবনের চাঁড়ালখালিতে গ্রামের বাড়িতে | ট্রেনে প্রায় দুই ঘন্টার পথ হাসনাবাদ | হাসনাবাদে নেমে ভ্যান রিক্সায় মিনিট কুড়ি | তারপর নৌকায় ডাঁশা নদী পেরিয়ে ট্রেকারে চেপে পৌঁছতেন রায়মঙ্গল নদীর পাড়ে

| নদী পেরিয়ে প্রায় এক ঘন্টা পায়ে হেঁটে বা সাইকেল চালিয়ে ডাক্তারবাবু পৌঁছান চাঁড়ালখালি | সেখানে দিনে তিনি ২০০ জন রোগীর বিনামূল্যে চিকিৎসা করেন | রোগীদের হাতে বিনামূল্যে তুলে দেন ওষুধ | প্রতি সপ্তাহের শনি ও রবিবার এটাই ছিল ডাক্তারবাবুর রুটিন | রবিবার বিকেলে রওনা হন বিরাটি ফেরার জন্য |

কে এই ডাক্তারবাবু ?
তিনি ডাক্তার অরুণোদয় মন্ডল | জন্ম ইছামতির তীরে সুন্দরবনের চাঁড়ালখালিতে | দাদু ছিলেন এলাকার একমাত্র হোমিওপ্যাথি ডাক্তার |

তাকে দেখেই ডাক্তার হওয়ার ইচ্ছা জন্মায় অরুণোদয় মন্ডলের | কিন্তু একদিন গ্রামেরই একটি ছেলেকে সাপে কাটল এবং বিনা চিকিৎসায় তার মৃত্যু হয় | সেই দিন থেকেই অরুণোদয় মন্ডল শপথ নিলেন ডাক্তার হয়ে গ্রামের মানুষের পাশে দাঁড়াবেন |

অরুণোদয় মন্ডল সুন্দরবন থেকে এসে ভর্তি হলেন টাকি গভর্নমেন্ট কলেজে | প্রথম বর্ষের পরীক্ষার আগেই মারা গেলেন বাবা |

অরুণোদয়ের কাঁধে চাপল বাকি তিন ভাই ও চার বোনের দায়িত্ব | এরই মাঝে কলকাতা ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে সুযোগ পেলেন | পড়াশোনার পাশাপাশি সামলাতেন সংসার | ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজে পড়ার সময় তিনবেলা টিউশন পড়াতেন তিনি |

বিলাসবহুল জীবনের স্বপ্ন ছিল না অরুণোদয় মন্ডলের | তাঁর একটাই স্বপ্ন - মানুষের পাশে দাঁড়ানো |

ইতিমধ্যে বিয়েও করেছেন | ১৯৮১ সাল | বিরাটিতে একটি ঘর ভাড়া নিয়ে খুলেছিলেন চেম্বার। ডাক্তার অরুণোদয় মণ্ডলের ফি ছিল ২ টাকা। সেই সময় থেকেই কাছেপিঠে, কখনও বা দূরে কোনও স্বাস্থ্যশিবির হলে বিনামূল্যেই চিকিৎসা করতেন তিনি |

কিন্তু একটা কথা বুঝতে পারছিলেন, স্বাস্থ্যশিবিরে গিয়ে যাঁদের দেখে আসছেন সেই রোগীরা পরামর্শ মেনে চলছে কি না, প্রেসক্রিপশন ওঁদের কাজে লাগছে কি না, তা নিয়ে কোনও ফলো-আপ তো করা হচ্ছে না | আর এই ফলো-আপ করার জন্যই নিজের গ্রামের কথা মনে পড়ল তাঁর |

২০০০ সাল | প্রতি সপ্তাহে বিরাটি থেকে চাঁড়ালখালি আসতে লাগলেন অরুণোদয় মন্ডল | সেখানে গ্রামের বাড়িতেই সকাল থেকে রাত পর্যন্ত দেখতেন সব ধরনের রোগী | তাঁর বসার জন্যে গ্রামে স্থায়ী কোনও জায়গাও ছিল না |

সেই সময় ওই গ্রামে বিদ্যুত পৌঁছায়নি | রাতে লন্ঠন, কুপি জ্বালিয়ে রোগী দেখতেন ডাক্তারবাবু | কিন্তু বুঝলেন কাজের কাজ কিছুই হচ্ছে না। কারণ, তাঁর লেখা প্রেসক্রিপশন মেনে চলতে পারছেন না রোগীরা।

দামি ওষুধ কিনতে পারছেন না | এমনকি রোগ নির্ণয়ের জন্যে মেডিক্যাল টেস্ট করাও রোগীদের পক্ষে সম্ভব হচ্ছে না |

স্থানীয় প্রশাসনের কাছে সরকারী সাহায্য চাইলেন, পেলেন না | হাল ছাড়লেন না অরুণোদয় বাবু | পাশে দাঁড়ালেন স্ত্রী |

বিরাটির বন্ধু,আত্মীয়,প্রতিবেশীদের কাছে সাহায্য চাইলেন | অনেকেই আর্থিক সাহায্য করলেন | সেই টাকা দিয়ে ওষুধ কিনে নিয়ে তিনি সপ্তাহের প্রতি শনিবার পৌঁছে যেতেন চাঁড়ালখালিতে। কাঁধে ওষুধবোঝাই তিন-তিনটি ব্যাগ নিয়ে |

কিন্তু বুঝলেন এতেও পুরো কাজ হচ্ছে না | তাই অন্য পথ ধরলেন | সারা সপ্তাহ কলকাতার ডাক্তারদের চেম্বারে চেম্বারে ঘুরে যে ‘ডক্টরস্‌ স্যাম্পেল্স’ জোগাড় করতে লাগলেন অরুণোদয় বাবু | তাতেও সমস্যা থেকে গেল। যে রোগীর সপ্তাহে পাঁচ দিনের ওষুধ লাগে, তাঁকে বড়জোর দু’দিনের ওষুধ দিতে পারতেন |

অরুণোদয় বাবু বুঝলেন স্থায়ীভাবে সমস্যার সমাধান না করলে রোগীদের সমস্যা মিটবে না | শেষমেশ নিজের সঞ্চয় এবং বেশ কিছু মানুষের সাহায্যে সুন্দরবনের ওই গ্রামেই ১১ কাঠা জমি কিনলেন তিনি |

গড়ে তুললেন দোতলা স্বাস্থ্যকেন্দ্র | নাম সুজন | ২০০৬ সাল থেকে সেখানেই রোগী দেখতে লাগলেন তিনি | নিজের পয়সায় রোগীদের কলকাতায় এনে কম খরচে মেডিক্যাল টেস্টও করিয়ে দেন অরুণোদয় বাবু |

রোগীদের হাতে তুলে দেন দামী ওষুধ | রোগীদের রক্ত ও অন্যান্য পরীক্ষাগুলি নমুনা কলকাতায় নিয়ে এসে কম খরচে করিয়ে দেন অরুণোদয় বাবু | ‘সুজন’-এ প্রতি শনি ও রবিবার তাঁকে দেখাতে আসেন গড়ে আড়াইশো রোগী | সকলেই পান বিনামূল্যে চিকিৎসা |

কেন্দ্রীয় সরকার ২০২০ সালে পদ্মশ্রী সম্মানে ভূষিত করেছেন ডক্টর অরুণোদয় মণ্ডলকে | কিন্তু অরুণোদয় বাবুর কাছে রোগীদের মুখের হাসিই জীবনের সবচেয়ে বড় পুরস্কার |

রোগীদের পাশে দাঁড়াতে গিয়ে বহু বাধা বিপত্তির সম্মুখীন হয়েছেন ডাক্তারবাবু | কিন্তু তিনি হাল ছাড়েননি | কবিগুরুর "একলা চল রে"-ই অনুপ্রেরণা ডাক্তারবাবুর |

আর তাই আজও প্রতি শনিবার ভোরবেলা কাঁধে তিন চারটে ওষুধভর্তি ব্যাগ নিয়ে বিরাটি স্টেশনে হাসনাবাদ লোকালের অপেক্ষায় থাকেন ডক্টর অরুণোদয় মণ্ডল.....

তথ্য : আনন্দবাজার পত্রিকা
সংগৃহিত।।

Want your practice to be the top-listed Clinic in Uttarpara?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address


Uttarpara
712232

Other Uttarpara clinics (show all)
Rising Foundation Rising Foundation
77/1/11, Rajmohan Road, P. O./Uttarpara, P. S./Uttarpara, Dist./Hooghly Pin./
Uttarpara, 712258

A Modern and scientific Rehabilitation Center for Substance Abuse & Comprehensive Mental Health Care. Our Message of Recovery is based on our Experience

Dr. Kundu Clinic Dr. Kundu Clinic
Hindmotor Plaza
Uttarpara, 712233

Dr. Sourav Kundu | MBBS | MD (MED) Diploma in Diabetes (Boston, UK)

Jnanalok Institute of Natural Intelligence Jnanalok Institute of Natural Intelligence
115/1 Palas Sarani, Bhadrakali
Uttarpara, 712232

Jnanalok Institute of natural intelligence is an academic endeavour that envisages natural intelligence for healthy living. It has congregated a learned team of experts in mindfuln...

Medi World Orthopedic Equipment & Mobility Aids Medi World Orthopedic Equipment & Mobility Aids
35/2, Netaji Subhas Road
Uttarpara, 712258

We are Manufacturer, Wholesaler & Retailer of all kind of Orthopedic Appliances , Fracture Aids, & Mobility Support Equipment

N.C.P WORKS N.C.P WORKS
97 G T Road, Bhadrakali, Hooghly, West Bengal, India. Pin:
Uttarpara, 712232

Ayurvedic Health Care, Personal Wellness, OTC & Pharmaceutical Products Manufacturer & Exporter.

Akanta apan Akanta apan
Hindmotor
Uttarpara, 712232

Dr. Runu Banerjee Memorial Polyclinic Private Limited Dr. Runu Banerjee Memorial Polyclinic Private Limited
83/A Nilmoni Som Street
Uttarpara, 712232

Dr.Runu Banerjee Memorial(RBM)Polyclinic established with vision of providing personalized healthcar

Aesthetica Aesthetica
Uttarpara, 712258

A SPECIALITY HOMOEOPATHIC CLINIC TO ESCALATE THE FACILITIES OF HOLISTIC HEALTHCARE.

Vivekananda X-ray Clinic Vivekananda X-ray Clinic
79, Deshbandhu Nagar Road, Hindmotor, Hooghly
Uttarpara, 712233

Vivekananda X-ray Clinic has been created keeping in mind that those needing treatment should find this unit as an end-point of their search for excellence in clinical services, a...

Heal n Healthy Doctors' Clinic Hindmotor. Heal n Healthy Doctors' Clinic Hindmotor.
14, Radha Gobinda Nagar Road (Near Radha Gobinda Temple, Behind Old Post Office), Hindmotor, Hooghly
Uttarpara, 712233

All Consultant Expert Doctors under one roof. All Pathological Examinations done by Internationally famed NABL & CAP accredited company at a very reasonable rate.

Chatuskon Daycare Chatuskon Daycare
239/3 GT Road
Uttarpara, 712258

"Chatuskon" means "four corners". Four Doctors have started their journey together by forming Chatuskon Daycare Centre at a small town Uttarpara at Hooghly District of West Bengal,...