ইকরা/أقرأ/iqra
أقرأ باسم ربك الذي خلق
বাংলাদেশের মুসলিমরা ইয়াওমুল আরাফার রোজা কবে রাখবে বাংলাদেশের জিলহজের ৯ তারিখ, নাকি আট তারিখ?
আলোচকঃ ফিকহে হানাফীর তরুণ ভাষ্যকার মুফতি রেজাউল করিম আবরার
আমীরুল মুমিন ফিল হাদীস আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক রহঃ বলেন-
আমি হাসান ইবনে উমারাকে দেখেছি ইমাম আবু হানীফার উটের রশি ধরে হাঁটছেন আর বলছেন- ” আল্লাহর কসম! ফিকহে আপনার চাইতে প্রাঞ্জল গভীর স্থির ও প্রতুৎপন্নমতি আর কাউকে আমরা পাইনি। আপনি আপনার কালের অপ্রতিদ্বন্দ্বী সেরা বাগ্মী। মানুষ হিংসার কারণেই আপনার সমালোচনা করে ” [৮]
আব্দুল্লাহ ইবনে মুবারক রহঃ যাকে ছাড়া সহীহ বুখারী সহীহ মুসলিম পূর্নতা পেতো না।
তিনি ইমামে আযম আবু হানীফা রহঃ নিয়ে অন্যত্র বলেন –
“ আমরা যখন ইমাম আবু হানীফার সামনে বসতাম তখন মনে হতো বাজপাখির সামনে বসা ক্ষুদ্র পাখি। ”
তিনি আরো বলেন –
لو لا أن الله أغاثني بأبي حنيفة و سفيان كنت كسائر الناس
অর্থাৎঃ আল্লাহ তায়ালা যদি আমাকে আবু হানীফা এবং সুফিয়ান সাওরী দ্বারা সাহায্য না করতেন তাহলে আমি আর দশজনের মতোই হতাম। [৯]
হাদীস শাস্ত্রের বিখ্যাত ইমাম আওযাই রহঃ। ইমাম যাহাবী যাকে শাইখুল ইসলাম ও হাফিজ উপাধিতে ভূষিত করেন।
ইমাম আবু হানীফার ছাত্র এবং আমীরুল মুমিন ফিল হাদীস আবদুল্লাহ ইবনুল মুবারক রহঃ বলেন-
“ আমি আওযাইর সঙ্গে দেখে করতে সিরিয়া গেলাম। তার সাথে সাক্ষাৎ হলো বৈরুতে। আমাকে দেখা মাত্রই বললেন-
এই খুরাসানী! বলোতো, কুফায় আবির্ভূত এই বিদায়াতি লোকটি কে- যাকে আবু হানীফা বলা হয়?!
আমি তাকে কোন উত্তর না দিয়ে ঘরে ফিরে এলাম।এসে হযরত আবু হানীফার গ্রন্থাবলী পড়তে শুরু করলাম। ভালো দেখে কিছু মাসয়ালা চয়ন করতে লাগলাম।তিনদিন কেটে গেলো এভাবে। তৃতীয় দিন গেলাম আওযাইর কাছে- মসজিদে। তিনি মহল্লার মসজিদের মুয়াজ্জিন এবং ইমাম।
আমার হাতে সংকলিত গ্রন্থ। দেখেই বললেন-
এটা কী বই? আমি তার হাতে তুলে দিলাম। একটি মাসয়ালায় চোখ ফেললেন। আমি তাতে লিখে রেখেছি- নুমান বলেছেন…. আযানের পর দাঁড়িয়ে দাঁড়িয়ে গ্রন্থের শুরুর অংশটা পড়ে ফেললেন।তারপর গ্রন্থটি আস্তিনে রেখে ইকামত দিলেন। নামায পড়ালেন।নামায শেষে বইটি বের করে পড়ে শেষ করলেন।শেষ করার পর আমাকে বললেন –
খুরাসানী! এই নোমান ইবনে সাবিত লোকটা কে?
বললাম- একজন শায়খ, ইরাকে তার সঙ্গে সাক্ষাৎ হয়েছে।বললেন – এতো এক মহান শায়খ! যাও! তার কাছে গিয়ে আরো কিছু শিখো! আমি বললাম-
هذا أبو حنيفة الذي نهيت عنه
অর্থাৎ – ইনিই আবু হানীফা- যার সান্নিধ্যে যেতে আপনি বারণ করেন। ”
আরেকটি বর্নণায় আছে- আবদুল্লাহ ইবনে মুবারক রহঃ বলেছেন-
তারপর আওযাইর সঙ্গে দেখা হয় মক্কা মুকাররমায়।দেখি আওযাই সেই মাসাইয়িলগুলো নিয়ে আবু হানীফার সঙ্গে কথা বলছেন।আর আমি যা লিখেছিলাম হযরত ইমাম তা আরও বিশদভাবে তুলে ধরছিলেন। তাদের বৈঠক ভাঙ্গার পর আমি আওযাইকে বললাম –
আবু হানীফাকে কেমন দেখলেন? বললেন-
غبطت الرجل بكثرة علمه ووفور عقله،واستغفر الله تعالى،لقد كنت في غلط ظاهر، الزم الرجل، فإنه بخلاف ما بلغني عنه
অর্থাৎ -তাঁর বিপুল জ্ঞান আর বিস্তীর্ণ বুদ্বিমত্তায় ঈর্ষান্বিত হয়েছি। আল্লাহ আমাকে ক্ষমা করুন।আমি খোলামেলা ভুলের মধ্যে ছিলাম। তুমি তাঁর সঙ্গ ছেড়না। তাঁর সম্পর্কে আমরা যা জেনেছি বাস্তবে তিনি তার বিপরীত। [১০]
ইমামে আযম রহঃ জ্ঞানের অথৈ সাগর। এই সাগরের তীরে এসে উম্মাহর দুই তৃতীয়াংশেরও বেশি ভাগ্যবান কাফেলা শীতল করেছে প্রাণ, আঁজলা ভরে নিয়েছে পথের পাথেয়। আবু হানীফার মশাল হাতে নির্বিঘ্নে চলেছে পথ। এই পথ সোজা মিশেছে পবিত্র মক্কায় এবং প্রাণের মদিনায়। আর প্রাণ-শীতলকরা এই দীর্ঘ কাফেলা দেখে হিংসায় পুড়েছে কেউ কেউ।
হিংসুকেরা জ্বলে পুড়ে যাবে। কিন্তু আল্লাহ পাকের নিকট ইমামে আযম আবু হানীফার মর্যাদা ততই বাড়তেই থাকবে ইন শা আল্লাহ।
মুহাদ্দিস ইবনে দাউদ আল খুরায়বী রহঃ যথার্থই বলেছেন-
الناس في ابي حنيفة حاسد و جاهل
অর্থ: মানুষ আবু হানীফা সম্পর্কে হয় মূর্খতার স্বীকার অথবা হিংসার। [১১]
একমাত্র ইমাম যিনি সাহাবীদের সুহবাত (সান্নিধ্য) পেয়েছেন, যিনি আল্লাহর রাসূলের সময়ের সবচেয়ে নিকটবর্তী ইমাম, যার নাম নেয়ার আগে ইমাম যাহাবী ” আল ইমাম, ‘ ফকিহুল মিল্লাত ,আ’লিমুল ইরাক ‘ বলে সম্বোধন করেন, তাঁর ব্যাপারে যখন কেউ শোনায় তিনি হাদীস কম জানতেন, হাদীসে যয়িফ(দূর্বল) ছিলেন, লজ্জায় এই মুখ কোথায় লুকাই?
[১] – মুসলিম
[২]-সিয়ারু আলামিন নুবালা- ৬/৩৯০-৩৯২
[৩]-সিয়ারু আ’লামিন নুবালা -৫/২৩৬ বরাতে, মাকানাতুল ইমাম, পৃষ্ঠা ৩৭
[৪]-মাকালাতে হাবীব- ৩;১২৩-১২৪
[৫]-মুহাদ্দিস খুওয়ারযামী, জামিয়ু মাসানীদিল ইমামিল আ’যম ২/৩০৮ দায়েরাতুল মায়ারিফ ১৩৩৩ হিজরী ,
[৬]-তারীখে বাগদাদ ১৩/ পৃ ৪১৯ দারুল ফিকর
[৭]-মুহাদ্দিস খুওয়ারযামী, জামিয়ু মাসানীদিল ইমামিল আ’যম ২/৩০৮ দায়েরাতুল মায়ারিফ ১৩৩৩ হিজরী
[৮]-ইমাম যাহাবী,মানাকিব,৪১ পৃষ্ঠা
[৯]-আসারুল হাদীস ২ঃ২৯৬; মাকানাতুল ইমাম আবু হানীফা ফিল হাদীস,নুমানী-৯৪ পৃষ্ঠা
[১০]-শাইখ আওয়ামা, আসারুল হাদীসিশ শরীফঃ ১২৪-১২৫ পৃষ্ঠা
[১১]- নুমানী, মাকানাতু আবী হানীফা-১২৭ পৃষ্ঠা
লেখক: আবদুর রহমান মুয়াজ
ইকরা কুরআন সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
তেলিসাইর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
Tiktok id
iqra64766
ঈদ মোবারক।
ইকরা কুরআন সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
তেলিসাইর,ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
ইকরা কুরআন সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
তেলিসাইর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
তারাবীর নামাযে চার রাকাত পর পর করণীয়, এবং এ সময়ের দুআ সম্পর্কে বিস্তারিত একটি মাসআলা
৪৪৫৭. প্রশ্ন
আমাদের এলাকায় প্রায় সকল মসজিদে তারাবির নামাযে চার রাকাত অন্তর অন্তর একটি দুআ-
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ...
ও তারপর মোনাজাতের রীতি রয়েছে। গত বছর হাফেজ সাহেব এভাবে মোনাজাত করাকে অনুত্তম বলেন এবং তা না করার কথা বলেন। এতে মুসল্লিরা দুই পক্ষ হয়ে যায়। ফিতনার আশংকায় কেউ কেউ মোনাজাত করার পরামর্শ দেন এবং তিনি তাই করেন। এ প্রেক্ষিতে একজন মুসল্লি বললেন, অনেকে এ মোনাজাতকে মুস্তাহাব পর্যায়ের বলে থাকে। অথচ তারাবির এ মোনাজাত সাহাবায়ে কেরাম, তাবিয়ীন ও তাবে-তাবেয়ীন কেউ করেননি; তাহলে মুস্তাহাব সাব্যস্ত হয় কীভাবে?
২য় বিষয় : মোনাজাতের পূর্বে
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ ...
দুআর ব্যাপারে শরীয়তের হুকুম কী?
উপরোক্ত বিষয়সমূহের দালীলিক সমাধান দিলে চিরকৃতজ্ঞ থাকব।
উত্তর
(১, ২) তারাবীর নামাযের চার রাকাত পর পর এবং বিশ রাকাত শেষে বিতিরের পূর্বে কিছু সময় বিরতি দেওয়া মুস্তাহাব। এই বিরতীর সময় কী করতে হবে শরীয়ত তা নির্ধারণ করে দেয়নি। তাই ফকীহগণ বলেছেন, এসময় মুসল্লীরা যেমন তাসবীহ, তাহলীল দুআ-দুরূদ বা যে কোনো যিকিরে কাটাতে পারে তেমনি কেউ চাইলে নিরবও বসে থাকতে পারে। আর আমাদের দেশের কোনো কোনো এলাকায় পঠিত-
سُبْحَانَ ذِي الْمُلْكِ....
তাসবীহটির পূর্ণ পাঠ সহীহ হাদীসে পাওয়া যায় না। আর তারাবীর তারবীহার সময় পড়ার বিষয়টি একেবারেই নবআবিষ্কৃত। সাহাবায়ে কেরামের কেউ এসময় এ ধরনের কোনো তাসবীহ পড়েছেন- এমন প্রমাণও পাওয়া যায় না। তাই এই তাসবীহকে মুস্তাহাব বা সুন্নত মনে করার সুযোগ নেই এবং এটিকে এক্ষেত্রে পড়ার মত নির্দিষ্ট তাসবীহও মনে করা যাবে না। বিশেষ করে কোনো কোনো এলাকায় যৌথভাবে উচ্চস্বরে যেভাবে তাসবীহটি পড়া হয় তা পরিহারযোগ্য। তবে তাসবীহের এ দুআটি হাদীসে বর্ণিত না হলেও তার অর্থ ঠিক আছে। তাই কেউ এটিকে সুন্নত মনে না করে ব্যক্তিগতভাবে অনুচ্চস্বরে এটি পড়লে তাকে নিষেধ করারও প্রয়োজন নেই।
আর কোনো কোনো এলাকায় চার রাকাত পর পর মুনাজাতের যে প্রচলন আছে- এ আমলেরও কোনো দলীল নেই এবং সালাফে সালেহীন থেকে এর কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না।
তাই নিয়ম করে এমনটি না করাই উচিত। কেননা এতে কেউ আমলটাকে শরীয়তের পক্ষ থেকে নির্ধারিত বা আবশ্যকীয় মনে করতে পারে, যা বিদআতের রাস্তা খুলে দেয়। তাই এ বিষয়ে সতর্ক থাকা আবশ্যক।
উল্লেখ্য যে, এ আমলটি কোনো কোনো এলাকায় যেহেতু বহুদিন থেকে প্রচলিত আছে তাই মানুষকে বুঝিয়ে ধীরে ধীরে সংস্কার করতে হবে। কোনোক্রমেই ঝগড়া-বিবাদে লিপ্ত হওয়া যাবে না।
-আলমাবসূত, সারাখসী ২/১৪৫; বাদায়েউস সানায়ে ১/৬৪৮; মা সাবাতা বিস-সুন্নাহ পৃ. ২১২; ইমদাদুল আহকাম ১/৬৫৬
[ মাসিক আলকাউসার ]
#রমাযানুল_মুবারক_মাসিক_আলকাউসার
তেলিসাইর উত্তর পাড়া জামে মসজিদে প্রতিদিন নিয়মিত সুরা তালিম হয়।
রোজার ফজিলত নিয়ে দুইটি হাদিস
ইকরা কুরআন সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
তেলিসাইর,ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
কোরআন মশ্ক তেলিসাইর উত্তর পাড়া জামে মসজিদ
রমজান বিষয়ে একটি সারগর্ভপূর্ণ হাদিস
ইকরা কুরআন সুন্নাহ ফাউন্ডেশন।
তেলিসাইর, ফরিদগঞ্জ, চাঁদপুর।
https://www.facebook.com/profile.php?id=100083552043106&mibextid=ZbWKwL
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the school
Telephone
Website
Address
Jaber
Riyadh
King Abdulaziz Road
Riyadh, 11148
Ministry Of Education Saudi Arabia وزارة التربية و التعليم المملكة العربية السعودية
طريق عثمان بن عفان
Riyadh, 11646
نرفع الكفاءة الذاتية والمؤسسية للأفراد والمنظمات عبر ?
Riyadh
SAT Subject: Biology & Chemistry & Physics Support and Help. Answering Real questions. Critical Th
Building # 3, Qandhar Street, Laban
Riyadh, 12271
Back to Quran is a distinguished online academy committed to providing comprehensive Islamic education to students around the globe along with academic education.
الشيخ علي
Riyadh, 12222
صناعة العبقرية للتدريب مركز تدريبي معتمد من المؤسسة العامة للتدريب المهني والتقني