মুসলিম উম্মাহ

Education

16/07/2024

সালিম বিন আবুল জা‘দ থেকে বর্ণিতঃ
ইবনু আব্বাস (রাঃ) কে এমন এক ব্যক্তি সম্পর্কে জিজ্ঞেস করা হলো যে কোন ঈমানদার মুসলমানকে ইচ্ছাকৃতভাবে হত্যা করলো, অতঃপর তওবা করলো, ঈমান আনলো (ইসলাম গ্রহন করলো), সৎকাজ করলো, অতঃপর হেদায়েত মত চললো। তিনি বলেন, আফসোস তার জন্য! কোথায় তার জন্য হেদায়েত? আমি তোমাদের নবী (সাল্লাল্লাহু ‘আলাইহি ওয়া সাল্লাম) কে বলতে শুনেছিঃ কিয়ামতের দিন হত্যাকারী তার মাথার সাথে নিহত ব্যক্তির মাথা লটকানো অবস্থায় উপস্থিত হবে। নিহত ব্যক্তি বলবে, হে প্রভু! তাকে জিজ্ঞেস করুন, সে কেন আমাকে হত্যা করেছে? আল্লাহর শপথ! অবশ্যি আল্লাহ্ তাআলা তোমাদের নবীর উপর এ কথা নাযিল করেছেন এবং অতঃপর এমন কিছু নাযিল করেননি যা উক্ত কথাকে রহিত করতে পারে। [২৬২১]

ফুটনোট: নাসায়ী ৩৯৯৯, আহমাদ ১৯৪২, মিশকাত ৩৪৭৮। তাহকীক আলবানীঃ সহীহ।

সুনানে ইবনে মাজাহ, হাদিস নং ২৬২১
হাদিসের মান: সহিহ হাদিস
সোর্স: আল হাদিস অ্যাপ,

16/07/2024

2% মানুষের জন্য 56% কোঠা!!

প্রিয় ভাই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক হাফিয্বাহুল্লাহ

01/05/2024

আব্দুল্লাহ ইবনু মাসউদ (রাদ্বি.) বর্ণনা করেন, "আল্লাহ তা'আলা তার সকল বান্দাদের আত্মার দিকে তাকান এবং সর্বোত্তম হৃদয়ের অধিকারী হিসাবে মুহাম্মদ ﷺ এর হৃদয় খুঁজে পান, তাই তিনি নিজের জন্য তাকে পছন্দ করেন এবং তাকে রিসালাত সহকারে প্রেরণ করেন।
তারপর তিনি আবার তাকান বান্দাদের হৃদয়ের প্রতি এবং খুঁজে পান সাহাবাগণের হৃদয়কে, তাই তিনি তাদেরকে নবীর সহযোগী করে তৈরি করেন, আর তারাই দ্বীনের জন্য যুদ্ধ করে।"
মাওকূফ হাসান:
📖মুসনাদু আহমাদ/৩৬০০
শাইখ আলবানী তার 'আদ-দ্বয়ীফাতে' হাদিসটি হাসান বলেছেন/৫৩৩

15/04/2024

❝ রাফেদ্বীরা মূলত ছদ্মবেশী ইহুদি ❞

( ইমাম আশ শাবী রাহিমাহুল্লাহ
সূত্রঃ আস সুন্নাহ ১/৪৯৭ )

আরব রাষ্ট্রগুলো ইসরায়েলের সাথে ইতোপূর্বে দুই দুইবার যুদ্ধ করলেও ইরান সবসময়ই নীরবতা অবলম্বন করেছে। ইজরাইলের এত বছরের দখলদারিত্বের বিরুদ্ধে ইরান কখনো তাদের উপরে আক্রমণ করেছে বলে প্রমাণ নেই। বরং তারা সব সময় ইসরাইলের সাথে কূটনৈতিক এবং ব্যবসায়িক সম্পর্ক বজায় রেখেছে। বাকি মিডিয়ার সামনে মাঝেমধ্যেই "পৃথিবীর মানচিত্র থেকে মুছে ফেলার" হুংকার হলো, মুসলিমদেরকে বোকা বানানো এবং আই ওয়াশ মাত্র।

ইরানের শিয়া-রাফেদ্বী নিয়ে বেশি লাফাইও না। তারা মুনাফিকের মত মুসলিমদের গোপন শত্রু৷ যুদ্ধ শুধুমাত্র মিডিয়াতেই চলছে, পাশাপাশি আমাদের আবেগের লীলাভূমিতে। এমন যুদ্ধ করলো না পড়লো মিসাইল, না হইছে কোনো ক্ষয়ক্ষতি। ইতিমধ্যেই তারা একে অপরের উপরে হামলা করবেনা এমর্মে চুক্তিবদ্ধ হয়েছে। (সুত্রঃ আল জাজিরা)
তাছাড়া হামলা কেনো হইছে সেটাই তো জানোনা৷ সিরিয়াতে ইরানের এম্বাসিতে হها মলা করার কারনে তারা পালটা ২/১ টা মিসাইল ছুড়ছে। যারা রাজনীতি বুঝোনা তারা ফালাফালি একটু কমাও। ইরানপুজা বন্ধ করো।

ইরানের রাষ্ট্রীয় মাজহাব মানে আকিদা ইসনা আশারি'আ জাফরি। ৯৫% শিয়া, যারা কিনা ইসলাম থেকে খারিজ৷ তাদের মুসলিম বলে নিজেরা মুর্খের পরিচয় দিও না। যদি সত্যিকার অর্থেও যু/দ্ধ হতো ফলাফল কী হতো ধারনা আছে? ها maas যেমন ১ দিন গর্জে উঠে মাজলুমদের মার খাওয়ালো এমন কিছুই হতো। মুসলিমদের দ্বারাই এই অবস্থা, রাফেজি হলে কি অবস্থা হতো বলার অপেক্ষা রাখে না।

যায়দিয়া সম্প্রদায়ের কিতাবাদী রাফেজী-ইমামিয়া-ইসনা আশারিয়া সম্প্রদায়ের সমালোচনায় ভরপুর..বরং তাদেরকে সুষ্পষ্টভাবে পথভ্রষ্ট ও কাফির হিসেবে আখ্যা দেয়া হয়েছে। অনুরূপভাবে ইমামিয়াদের কিতাবাদী যায়দিয়াদের সমালোচনা ও কুফুরীর ফতোয়ায় পরিপূর্ণ।

সুতরাং, মুনাফিকের মত গোপনশত্রু হতে সাবধান। অবশ্যই কমেন্ট বক্স সহকারে চেক করবেন,ইনশাআল্লাহ। আল্লাহ তা'আলা আমাদের মাজলুম ভাইদের সাহায্য করুন, আমিন।

07/04/2024
29/03/2024

সতর্কতা।

26/02/2024

এগুলো নিয়ে ভাববার সময় কী এখনো আসেনি?
গত পরশু অর্থাৎ ২১ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখে নোয়াখালীর আলমগীর হোসেন সাহেব উনার ৭/৮ বছরের ছেলে আল নাহিয়ান তাজবীরকে খতনা করানোর জন্য কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যান।

খতনা চলাকালে তাজবীর ক্রমাগত আর্তচিৎকার করলে তিনি এক পর্যায়ে ওটি রুমে ঢুকে পড়েন এবং দেখতে পান তাজবীরের অঙ্গ অস্বাভাবিক বেশি কেটে ফেলা হয়েছে ও অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ে বিছানা ভিজে যাচ্ছে।

হট্টগোলের সুযোগে খতনা করতে থাকা সার্জন দ্রুত সেখান থেকে বেরিয়ে যায়। তাকে খোঁজ করতে গিয়ে জানা যায় যাকে সার্জন ভাবা হয়েছিল সে ছিল আসলে উপসহকারী কমিউনিটি মেডিকেল অফিসার (SACMO), যারা কিনা আসলে এমবিবিএস পাশ করা ডাক্তার না। সে এসেছিল আরেক SACMO-র বদলি দিতে। সেই SACMO-র খোঁজ করতে গিয়ে দেখা যায় সেও পালিয়ে গেছে।

ইতমধ্যে তাজবীরের অবস্থা সিরিয়াস হয়ে গেলে মেডিকেল অফিসার এসে তাকে বিশেষ চিকিৎসা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। অতিরিক্ত ব্লিডিংয়ে বর্তমানে তাজবীরের অবস্থা আশংকাজনক।

কোম্পানীগঞ্জ উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের সেই দুই SACMO-র নাম বিজয় কুমার দে এবং সৌরভ ভৌমিক।
---- মুহাম্মদ তাওসিফ সালাম এর টাইমলাইন থেকে।

15/02/2024

🙄

13/02/2024

দেখুন আমেরিকার মত নাস্তিকতার সুতিকাগার ও উন্মত্ত ভোগবিলাসের পরিবেশে থেকেও সত্য সন্ধানী নাস্তিকেরা নাস্তিকতা ছেড়ে ইসলাম গ্রহণ করছে।
এমনি একজন নও মুসলিম ভাই "সুহাইব" এর ইসলাম গ্রহণের ঘটনা এ ভিডিও সাক্ষাৎকারে উঠে এসেছে।

মুসলিম দেশে বসবাসকারী মুসলমানদের সন্তান নাস্তিকগণ কি এসব ঘটনা থেকে শিক্ষা গ্রহণ করবেন?! সত্য গ্রহণের মত সাহসী উদ্যোগ নিবেন?! সুখ ও স্বাধীনতার প্রকৃত মর্ম এ সকল নও মুসলিম ভাইদের কাছ থেকে নতুন করে শিখবেন!!

মাত্র এক বছর পূর্বে ইসলাম গ্রহণকারী প্রিয় সুহাইব ভাই উল্লেখ করেছেন তিনি একবার এক ঘণ্টা সিজদাতে ছিলেন। তিনি আর ভোগবিলাসের দেশ আমেরিকায় ফিরতে চান না। এটি কোন বল প্রয়োগ বা দুনিয়াবী কোন প্রভাবকের ফলাফল নয়। বরং ব্যক্তি তাঁর মূলের দিকে ফিরে আসা, তাঁর মালিক ও প্রতিপালকের সান্নিধ্যে এসে যে স্বাদ ও মজা অনুভব করে সেটার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।

আল্লাহু আকবার। ওয়া লিল্লাহিল হামদ।

09/02/2024

কোথায় দিচ্ছেন আপনার বাচ্চাদের!?

08/02/2024

শির্কের আস্তানা ভে*ঙ্গে দিন।

বন বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতে
গাজীপুর জেলার টংগী মাজুখান শির্কের আস্তানা ভে*ঙ্গে দিচ্ছে।
আল্লাহ তাআলা ভাইদের উত্তম বিনিময় দান করুক।

রাসুল (ছাঃ) উচু কবর ভে*ঙ্গে সমান করার নির্দেশ দিয়েছেন।
বলুনঃ সত্য এসেছে এবং মিথ্যা বিলুপ্ত হয়েছে। নিশ্চয় মিথ্যা বিলুপ্ত হওয়ারই ছিল।
(সুরা আল ইসরা ১৭:৮১)

মুহাম্মদ ইবন কাছীর (র.)... আবূ হায়্যাজ আসদী (রা) থেকে বর্ণিত ।
তিনি বলেন, একদা আলী (রা) আমাকে পাঠান এবং বলেনঃ
আমি কি তোমাকে এমন একটি কাজের জন্য প্রেরণ করবো যে কাজের জন্য আমাকে রাসূলুল্লাহ (ছাঃ) পাঠান ? (তা হলোঃ)
"আমি যেন কোন উঁচু কবর সমান করা ছাড়া এবং কোন মূ*র্তি ভেঙ্গে যমীনের সাথে মিশিয়ে দেওয়া ছাড়া, নিবৃত্ত না হই ।"

সুনান আবু দাউদ
কিতাবুল জানাযা ২১,হাদিস ৩২১৮
সনদঃ সহীহ্‌ আল আলবানি (রহঃ)

আবু বাকর ইবন আবু শায়বা ও ইসহাক ইবন ইবরাহীম (র).........
জুনদুব (রাঃ) থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, আমি নবী (সা)-এর ওফাতের পাঁচদিন আগে তাকে বলতে শুনেছি,
"তোমাদের কেউ আমার খলীল (অন্তরঙ্গ বন্ধু) হওয়া থেকে আমি আল্লাহর কাছে নিশক্রিতি চাইছি। কেননা, আল্লাহ তায়ালা আমাকে তার খলীল রূপে গ্রহণ করেছেন-যেমনিভাবে খলীলরুপে গ্রহণ করেছিলেন ইবরাহীমকে। আমি যদি আমার উম্মাতের মধ্যে কাউকে খলীলরুপে গ্রহণ করতাম তবে আবু বাকরকেই খলীল রুপে গ্রহণ করতাম।
সাবধান! তোমাদের পূর্ববর্তী লোকেরা তাদের নবী ও নেক্কারদের কবরগুলোকে মসজিদ বানিয়েছিল। সাবধান! তোমরাও কবরকে মসজিদ বানিও না। আমি তোমাদের তা থেকে নিষেধ করছি।"

সহীহ মুসলিম
মসজিদ ও স্বলাতের স্থান
অধ্যায় ৪, হাদিস ১০৮৩

আল্লাহ্‌ আমাদের রাসুল(ছাঃ) এর নির্দেশের উপর চলার তৌফিক দিন এবং তার নির্দেশ পুনরায় প্রতিষ্টিত করার শক্তি দান করুক -আমীন

Photos from মুসলিম উম্মাহ's post 05/02/2024

"পঙ্কজ আর রাহেলা" ও "সঞ্জয় আর আমেনা" কেন হল অষ্টম শ্রেণীর পাঠ্য বই এর স্বাস্থ্য সুরক্ষা বই এর গল্প ২ আর গল্প ৩ এর মধ্যে ?
এখানে কেন "আব্দুল্লাহ আর দূর্গা" ও "আলী আর সরস্বতী" হল না ?

একটা জাতিকে ধ্বংস করতে চাইলে এবং আগাগোড়া পাল্টে ফেলতে চাইলে আদর্শিক দিক থেকে ধর্মীয় দিক থেকে সাংস্কৃতিক দিক থেকে তবে প্রথমেই শিক্ষা ব্যবস্থার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে সেটার পরিবর্তন করতে হয়।
আজকের স্পেন এক সময় বীর দর্পে শাসন করেছে মুসলিমরা। আজকে স্পেন এর গ্রানাডা মসজিদ থেকে শুরু করে কর্ডোভা মসজিদ গির্জায় রূপান্তর হয়েছে। যেখানে আল্লাহর বড়ত্ব ঘোষণা করা হয়েছে দিনে রাতে পাঁচ বার সেখানেই এখন ট্রিনিটি আর যীশুর মূর্তির পূজা হয়।

যে ভারতে আজকে মুসলিমরা কুরবানী করতে পারেনা আল্লাহর নাম নিতে পারেনা উন্মুক্ত ভাবে সেই ভারতে অমুসলিমরা জিজিয়া কর দিয়ে বসবাস করতে বাধ্য হয়েছিল সম্রাট আওরঙ্গজেব এর আমলে। যে বাবরি মসজিদে এখন পৌত্তলিকতা চর্চা হয় মূর্তির পূজা হয় আল্লাহর উপর জুলুম করা হয় সেই বাবরি মসজিদ কয়েকশত বছর " আশহাদু আল'লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ" বলে ঘোষণা দেওয়া হয়েছে দিনে রাতে পাঁচ বার।

খলিফা মুতাসিম যেখানে একজন মুমিনার সম্ভ্রমের জন্য জিহাদ করেছিলেন সেখানে আজকে মুসলিমদের মা বোন কন্যাকে ধর্ষণ করা হচ্ছে প্রতিনিয়ত আর অবৈধ মেলামেশার দিকে উদ্বুদ্ধ করা হচ্ছে জাতীয় শিক্ষাক্রমে।

নিজেদের ইতিহাস আর নিজেদের অস্তিত্ব ভুলে আমাদের ডুবিয়ে রাখা হয়েছে নাচ, গান, সিনেমা, নায়িকা, গায়িকা, খেলা, নারী আর নেশা দিয়ে। আপনি নিজে থেকে জানবেন সেই পরিমাণ ঈমান, ইচ্ছে আর স্পৃহা জাগানোর সব পথ ওরা দিন দিন বন্ধ করে দিচ্ছে।
Copy Post

05/02/2024

আলহামদুলিল্লাহ দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল সেন্ট্রাল মসজিদে একই সাথে ২২ জন কোরিয়ান শাহাদাহ পাঠ করে ইসলামের দীক্ষা গ্রহণ করেন।

05/02/2024

সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।

ডঃ প্রফেসর আবু বকর জাকারিয়া হাফি।
Abubakar Muhammad Zakaria

05/02/2024

ফারসী কবি মাওলানা জালালুদ্দীন রূমীর আক়ীদা :
______________________________________
তাসাওউফ বা সূফীবাদ প্রায় ৭০% মুসলিমদেরকে কোন না কোনভাবে গ্রাস করেছে। দেওবান্দী ও বেরেলবী সিলসিলার খানকাহ প্রথা সূফীবাদেরই একটি অংশ। মাওলানা যাকারীয়ার "ফাজায়েলে আমল" বইটি সূফী সন্তদের কিস্সা কাহিনী দিয়ে ভরা। ইন্দো-ফারসী মহলের সূফীবাদের একটি পরিচিত চরিত্র কবি রূমী।

জালালুদ্দীন রূমী (৬০৪-৬৭২ হি.) ভ্রান্ত ছূফী মতবাদে বিশ্বাসী আধ্যাত্মিক সাধক ও কবি ছিলেন। ‘মসনবী’ তার কুখ্যাত কাব্যগ্রন্থ।
বর্তমান আফগানিস্তানের বল্খ শহরে জন্মগ্রহণকারী এই ফার্সী কবি আক্বীদাগতভাবে ইবনু আরাবীর ন্যায় হুলূল ও ইত্তেহাদের আক্বীদায় বিশ্বাসী ছিলেন। অর্থাৎ তার বিশ্বাস ছিল, বান্দার আত্মা আল্লাহর পরমাত্মার মধ্যে প্রবেশ করে সেটি আল্লাহর অংশ হয়ে যায়।
আর এই আক্বীদা থেকেই চালু হয়েছে ‘যত কল্লা তত আল্লাহ’ দর্শন (নাঊযুবিল্লাহ)। একে ‘ওয়াহদাতুল উজূদ’ বা অদ্বৈতবাদী দর্শন বলে। ‘হুলূল’-এর পরবর্তী ধাপ হ’ল ‘ইত্তেহাদ’। যার অর্থ হল আল্লাহর অস্তিত্বের মধ্যে বিলীন হয়ে যাওয়া। অতঃপর স্রষ্টা ও সৃষ্টি এক হয়ে যাওয়া।
এই দর্শনমতে অস্তিত্ব জগতে যা কিছু দৃশ্যমান, তার সবই এক ও অভিন্ন এলাহী সত্তার বহিঃপ্রকাশ মাত্র।
ফলে এই আক্বীদার অনুসারী ছূফীরা স্রষ্টা ও সৃষ্টিতে কোন পার্থক্য করে না।
রূমীর কথা, কর্ম ও জীবন সবই শিরক ও বিদআতে ভরা।
তার শিষ্য আফলাকী বলেন, মাওলানাকে (রূমীকে) কেউ সিজদা করলে তিনিও তাকে সিজদা করতেন এমনকি কাফের হলেও।
একদিন এক ব্যক্তি তাকে সাতবার সিজদা করলে তিনিও তাকে সিজদা করলেন
📕(মানকিবুল আরেফীন ১/৩৩০)।
তার বন্ধু তাবরীযী বলেন, কেউ যদি রাসূল (ছাঃ)-কে দেখতে চায় সে যেন আমাদের মাওলানাকে দেখে...কারণ তার সস্ত্তষ্টিতে জান্নাত রয়েছে এবং তার অসন্তুষ্টিতে আল্লাহর অসন্তুষ্টি। আমাদের মাওলানাই জান্নাতের চাবি
📕(মানকিবুল আরেফীন ১/৪২২)।
আফলাকী বলেন, জনৈক মুরীদের মৃত্যুসংবাদ আমাদের মাওলানাকে (রূমীকে) জানানো হলে তিনি বলেন, আমাকে মৃত্যুর পূর্বে জানাওনি কেন? যাতে আমি মৃত্যুকে ঠেকাতে পারতাম!
📕(মানাকিবুল আরেফীন ১/৪৯৫)।

তার রচিত মসনবী হাজারো মানুষকে পথভ্রষ্ট করেছে। তিনি গান-বাজনার তালে তালে নৃত্য সহকারে যিকির করাকে স্রষ্টার কাছে নিবেদনের শ্রেষ্ঠ মাধ্যম মনে করতেন।
তার নিগূঢ় অধ্যাত্মবাদী রচনা বহু মানুষের প্রশংসা পেলেও বিশুদ্ধ ইসলামী আক্বীদার বিচারে তা নিরেট শিরক ও বিদআতে পরিপূর্ণ।
অতএব একজন সচেতন মুসলমানের জন্য তার কাব্য ও দর্শন থেকে বিরত থাকা আবশ্যক।

(📖 দ্র. সা‘দুদ্দীন তাফতাযানী, ‘রিসালাতুন ফির রাদ্দি ‘আলা আহলে ওয়াহদাতুল উজূদ’)
مجموعة رسائل في وحدة الوجود لسعد الدين التفتازاني
https://ebook.univeyes.com/136964

04/02/2024

প্রাচীন যুগে সাধারণত তিন পদ্ধতিতে খোজা করা হতো—
* অন্ডকোষ কর্তন করে যেভাবে গরু, ছাগল, মুরগীকে খোজা করা হয়,
* পুরুষাঙ্গ কর্তন করে,
* অন্ডকোষ ও পুরুষাঙ্গ উভয় কর্তন করে ৷
এছাড়া বালকদের পুরুষাঙ্গে মল মেখে কুকুর লেলিয়ে দিয়েও খোজা করা হতো ৷ বর্তমানে সময়ে বিষয়টি ঘৃণ্য হলেও সেই যুগে ওটাই ছিলো আধুনিকতা ৷

মানুষ সব সময়ই আধুনিক ৷ যারা ফলমূল খেয়ে জীবন ধারণ করতো তারাও আধুনিক, যারা রান্না করে খেত তারাও আধুনিক, যারা সাদাকালো টেলিভিশনের যুগে বাস করতো তারা সেই সময়ের আধুনিক, যারা রঙ্গিন যুগে বাস করতো তারাও আধুনিক, যারা এলইডি যুগে বাস করছে তারাও আধুনিক ৷ এখন থেকে পঞ্চাশ বা একশত বছর পূর্বে যারা বাস করতো তারা আমাদের কাছে সেকেলে মনে হলেও সেই সময়ের জন্য আধুনিক, আবার একশ বা পঞ্চাশ বছরের পরবর্তী প্রজন্মের কাছে আমাদের মনে হবে সেকেলে ৷

আধুনিক যুগে দুই ভাবে খোজা করা হয়— *অপারেশনের মাধ্যমে,
*হরমোন থেরাপির মাধ্যমে ৷

এছাড়া আরেক পদ্ধতিতে মানুষকে খোজা বানানো যায়, এই পদ্ধতিটির নাম— "হিপনোসিস" বা "সম্মোহন" ৷ একবার কল্পনা করুন, কোন প্রকার দূর্ঘটনা ব্যতীত, কোন আর্থিক লেনদেন ছাড়া, সম্পূর্ণ বিনা কারণে কেউ কি স্বেচ্ছায় একটা হাত কাটতে রাজি হবে? একটা আঙ্গুল? অথবা কোন একটা আঙ্গুলের মাথা? নিশ্চয়ই, না ৷ এই কাজটিই মানুষ স্বেচ্ছায় করবে যদি তাকে হিপনোটাইজ বা সম্মোহিত করা যায় ৷ হিপনোসিস বা সম্মোহনকে বলা হয় গুপ্তবিদ্যা বা বশীকরণ বিদ্যা ৷ প্রাচীনকালে অনেকে একে যাদু বিদ্যা মনে করতো ৷ বর্তমানে চিকিৎস্যা বিজ্ঞানে মানসিক রোগের চিকিৎস্যায় হিপনোথেরাপি একটি জনপ্রিয় পদ্ধতি ৷

সম্মোহনের মাধ্যমে আদিকালের তান্ত্রিক, সাধু সন্যাসীরা মানুষের উপর আধিপত্য বিস্তার করতো ৷ যাকে হিপনোটাইজ করা হচ্ছে তিনি ব্যক্তির হাতের পুতুল হয়ে যেতো ৷ ব্যক্তির ইচ্ছার উপর তার হাসি, কান্না, সুখ, দুঃখ নির্ভর করবে ৷ যেমন ধরুন, একজন নৃত্য করছে অবচেতন মনে আপনারও নৃত্য করতে ইচ্ছে করবে, একজন গাইছে আপনারও গাইতে ইচ্ছে করবে ৷ রূপালী পর্দায় অভিনেতা-অভিনেত্রী কাঁদছে বাস্তবে আপনার চোখেও পানি চলে এসেছে ৷ ওয়াজের মঞ্চে বক্তা হাসছে আপনিও হাসছেন ৷ মন্দিরে মাথা ঠেকিয়ে নেতা বলছে, আমার ঈমান ঠিক আছে; আপনারও মনে হবে সত্যিইতো মন্দিরে মাথা ঠেকালে ঈমান যায় না ৷

নর্তকী, গায়ক, নায়ক, বক্তা, নেতা সবাই টাকা, ক্ষমতা, জনপ্রিয়তা কোন না কোন স্বার্থের জন্য এসব করছে বা বলছে ৷ কিন্তু আপনি কেন তাদের সাথে তাল মিলাচ্ছেন? আপনার স্বার্থ কী? আপনার যদি ব্যক্তিগত কোন স্বার্থ না থাকে তাহলে আপনাকে বোঝতে হবে, আপনার মাথা আপনার কাছে থাকলেও মগজ অন্যের নিয়ন্ত্রণে চলে গেছে ৷ কিছু মানুষকে স্বল্প সময়ের জন্য, কিছু মানুষকে মৃত্যু পর্যন্ত হিপনোটাইজ করা যায় ৷ কখনো স্বল্প পরিকল্পনা কখনো দীর্ঘ মেয়াদী পরিকল্পনা নিয়ে হিপনোটাইজ করতে হয় ৷

মনোবিজ্ঞানীদের মতে যে কোনো দেশের জনসংখ্যার ৯০ শতাংশকে খুব সহজেই কোন না কোন ভাবে হিপনোটাইজ করা যায় ৷ নাচ, গান, অভিনয়, বক্তব্য এসব দিয়ে আপনি কিছু মানুষকে কিছুক্ষণের জন্য বশ করতে পারবেন, কিন্তু পুরো একটা জাতিকে বশ করতে পারবেন না ৷ পুরো জাতিকে বশে নিতে হলে তাদের মেরুদন্ড এবং মাথাকে বশে আনতে হবে ৷ শিক্ষা যদি একটা জাতির মেরুদন্ড হয়, রাজনীতিবিদরা হচ্ছে জাতির মাথা ৷

ইসলামের ইতিহাস সম্পর্কে যাদের পড়ালেখা আছে তারা "হাসান আল সাবাহ" নামের নরপিশাচকে খুব ভালো করেই চিনবেন ৷ এই পিশাচ উচ্চতর সম্মোহন ক্ষমতার অধিকারী ছিলো ৷ তার এক ঈশারায় তার অনুসারীরা জীবন দিতে কার্পণ্য বোধ করত না ৷ সম্মোহন বিদ্যাকে ব্যবহার করে সে গুপ্তহত্যা ও আত্মঘাতি হামলাকে শিল্পের পর্যায়ে নিয়ে গিয়েছিলো ৷ হাসান আল সাবাহ ছিলো মুসলমান (শিয়া), তার বাহিনীতে যারা ছিলো তারাও মুসলমান, সে যাদের হত্যা করেছিলো তারাও ছিলো মুসলমান ৷

বর্তমান সময়েও আপনি এমন কিছু ধার্মিককে দেখবেন যাদের পরণে লম্বা জোব্বা, মুখ ভর্তি দাড়ি, নামায পড়তে পড়তে কপালে কালো দাগ পড়ে গেছে, কিন্তু ইসলাম ও মুসলমানদের বিরূদ্ধে চক্রান্তকারীদের সাথে সুর মিলিয়ে কথা বলছে, এসবের প্রতিবাদতো দূর উল্টো বিভিন্নভাবে তাদের সাফাই গাইছে, তাদের হয়ে কাজ করছে, যদিও এসবে তার দুনিয়া ও আখিরাতের কোন ফায়দা নেই ৷ আবার অনেক জ্ঞানী, গুণী, বুদ্ধিজীবি, আদর্শবান দেশপ্রেমিককে দেখবেন দেশের স্বার্থ বিরোধী চক্রান্তকারীদের পক্ষাবলম্বন করে কথা বলছে ৷

এদের দেখে অনেকে হয়তো আফসোস করেন, অবাক হন ৷ আফসোস করতে পারেন কিন্তু অবাক হওয়ার কিছু নেই ৷ এরা কোন না কোন ব্যক্তি বা দল দ্বারা সম্মোহিত হয়ে গেছে ৷ এদের এই মোহ ভাংতে পারে আবার মৃত্যুর আগ পর্যন্ত নাও ভাংতে পারে ৷ মোহ ভাংলে নিজেরই লাভ, না ভাংলে নিজেরই ক্ষতি ৷ এরা যেসব ব্যক্তি বা দল দ্বারা প্রভাবিত হয়েছে তারা অনেক আগেই খোজা হয়েছে, এখন এদের খোজা হওয়ার পালা ৷ পুরুষত্ব হারালে ফিরে পাওয়া যায়, কিন্তু একবার খোজা হলে
সারা জীবন কান্নাকাটি করেও আর পুরুষ হওয়া যায় না ৷
Rahman

03/02/2024

যারা শরীফ থেকে শরীফা গল্পের পিছনে!!!?

03/02/2024

১৯৭৮ সালে সৌদি সরকারের উদ্যোগে বেশ কয়েকজন নও মুসলিমকে পবিত্র হজ্ব পালনের আমন্ত্রণ জানানো হয় ৷ এই নও মুসলিমদের মুয়াল্লিম ছিলেন আবুল হোসেন ভট্টাচার্য ৷ ঊনাদের সাথে এমন একজন ব্যক্তি ছিলেন যার জন্ম হয়েছিলো এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে এবং তিনি অন্য ধর্ম গ্রহণ করেন নি, তারপরেও তিনি নও মুসলিম ক্যাটাগরিতেই হজ্ব পালন করেছিলেন ৷ তিনি আমাদের প্রিয় কবি আল মাহমুদ ৷

কিশোর বয়স থেকে আল মাহমুদের বই পড়ার প্রতি প্রচন্ড ঝোঁক ছিল ৷ পড়ার টেবিল থেকে ওঠে মাঝে মাঝে রাতে রেল স্টেশনে গিয়ে চা খেতেন ৷ এক রাতে এরকম চা খেতে গিয়েই শোভার সাথে পরিচয় ৷ রাতে ট্রেন থেকে নামার পর কোন গাড়ি না থাকায় শোভা এবং তার দিদি আল মাহমুদের সাথে তাদের বাড়িতে আশ্রয় গ্রহণ করে ৷ শোভা ছিলো নবম শ্রেণীর ছাত্রী ৷ দেখতে অত সুন্দরী নয়, স্বাস্থ্যও তেমন আকর্ষণীয় না ৷ তবে তার চোখে দীপ্তিমান শিখা ছিল ৷ সে শিখায় কিশোর আল মাহমুদের হৃদয় জ্বলে ওঠে ৷

শোভার সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে চার আনা পয়সা দিয়ে কবি "লালমোহন স্মৃতি পাঠাগার" এর সদস্য হন ৷ এখন যেমন বিভিন্ন সমাজ সেবা মূলক সংগঠন ভালো ভালো কাজ দেখিয়ে মানুষের সুপ্ত মনে গুপ্তভাবে তাদের অসৎ উদ্দেশ্যের বীজ বপন করে, লালমোহন স্মৃতি পাঠাগারটি ছিলো তেমন একটি গুপ্ত প্রতিষ্ঠান ৷ কমিউনিস্ট পার্টির আদর্শ প্রচার ও প্রসার ছিলো ঐ পাঠাগারের উদ্দেশ্য ৷ শোভার পিসেমশাই ছিলেন কমিউনিস্ট পার্টির সদস্য ৷ সেও তাদের হয়ে কাজ করতো ৷ ধীরে ধীরে কবিও কমিউনিস্ট রাজনৈতিক আদর্শের সাথে জড়িয়ে যান ৷

এরপর থেকে দীর্ঘ দিন যাবত কবির মনোজগত জুড়ে কমিউনিস্ট মতবাদই বিরাজ করছিলো এবং তিনি তাদের একজন কঠোর সমর্থক ছিলেন ৷ দেশ স্বাধীন হওয়ার পর জাসদ-আওয়ামীলীগের দ্বন্ধে, জাসদ সমর্থিত "দৈনিক গণকন্ঠ" পত্রিকার সম্পাদক হিসেবে কর্মরত থাকার অপরাধে কবিকে বিনা বিচারে প্রায় এক বছর কারাগারে আটক রাখা হয় ৷ এই কারাগারই তাঁর জীবনের মোড় ঘুরিয়ে দেয় ৷ সেখানেই তিনি পূর্ণরূপে আল্লাহর সুমহান আদেশ পবিত্র কোরআনের সাথে পরিচিত হন ৷ ধর্মগ্রন্থগুলোর একটা তুলনামূলক পাঠ দেওয়ার সুযোগ পান এবং চরম নাস্তিকতার চেয়ে আস্তিকতার দিকে ফিরে আসেন ৷ কিন্তু সবাই কবির মতো ফিরে আসার সৌভাগ্য লাভ করতে পারে না ৷

বই মানুষের মনোজগত পরিবর্তন করে ৷ বই পড়ে কেউ আস্তিক হয়, কেউ নাস্তিক হয় ৷ কেউ সহীহ হয়, কেউ গোমরাহ হয় ৷ যে যে ধরনের বই পড়ে, যে দলের বই পড়ে তার মানসিকতাও তেমন হয়ে থাকে ৷ যার কারনে আমরা দেখি পিএইচডি ডিগ্রীধারী লোকটিও কুসংস্কার, বস্তুবাদ প্রচার এবং প্রসারে নিজেকে উৎসর্গ করে দেয় ৷ বুজুর্গগণ বই পড়ার বিষয়ে সতর্কতা অবলম্বন করার উপদেশ দিয়ে থাকেন ৷ পাকিস্তান গঠিত হওয়ার পর অন্যান্য মুসলমানদের মতো নও মুসলিম আবুল হোসেন ভট্টাচার্যও ভেবেছিলেন, যাক মুসলমানদের জন্য একটি নিরাপদ ভূমি তৈরি হয়েছে ৷ অচিরেই তাঁর সেই মোহ ভেঙ্গে যায় ৷

পূর্ব পাকিস্তানের বিভিন্ন স্থানে তাঁর বক্তব্যে অনুপ্রাণিত হয়ে অনেকে ইসলাম ধর্ম গ্রহণ করতে থাকে, ফলে তাকে একটা গোষ্ঠীর রোষানলে পড়তে হয় ৷ তাঁর বিরূদ্ধে সাম্প্রদায়িকতা ও জঙ্গিবাদের অভিযোগ তুলে বিভিন্ন স্থানে তাঁর বক্তব্যে বাধা প্রদান ও তাকে আইনিভাবে হয়রানি করা হয় ৷ এসবই হচ্ছিলো ইসলাম প্রিয় তৌহিদি জনতার পাকিস্তান সরকারের আমলে ৷ এই পাকিস্তান সৃষ্টি যে মুসলমানদের কোন কাজে আসবে না মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ভালো ভাবেই বুঝতে পেরেছিলেন ৷ তিনি ভারতের স্বাধীনতা সংগ্রামের নেতৃত্ব দিলেও ভারত ও পাকিস্তান নামে আলাদা দু'টি রাষ্ট্র গঠনের বিরোধীতা করে এক সাক্ষাতকারে বলেছিলেন, "যদি পাকিস্তান সৃষ্টি মুসলমানদের জন্য সঠিক হতো তবে আমি অবশ্যই তা সমর্থন করতাম । কিন্তু এই দাবির মধ্যে আমি অন্তর্নিহিত বিপদ দেখতে পাচ্ছি । আমি আশা করি না মানুষ আমাকে সমর্থন করবে, কিন্তু আমিও আমার বিবেকের বিরুদ্ধে যেতে পারি না ।"

পূর্ব পাকিস্তানের যারা ভাষা আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়েছিলেন তাদের অনেকেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা সংগ্রামের বিরোধীতা করেছিলেন ৷ কেন করেছিলেন এ বিষয়ে মুক্ত আলোচনা করার সুযোগ নেই, কারণ চেতনাবাজ পরজীবিদের রোষানলে পড়ার সম্ভাবনা রয়েছে ৷ মাওলানা আবুল কালাম আজাদ ইচ্ছে করলে পাকিস্তানের কোন একটা মন্ত্রীত্বের পদ গ্রহণ করতে পারতেন, কিন্তু তিনি ভারতে থেকে সেখানকার শিক্ষা মন্ত্রীর পদ গ্রহণ করেছিলেন ৷ কারণ তিনি বুঝতে পেরেছিলেন, শিক্ষাই একটি জাতিকে সঠিক পথ দেখাতে পারে ৷ অন্য বই মানুষ পড়ুক বা না পড়ুক কিন্তু পাঠ্য বই তাকে পড়তেই হবে ৷ তাই, যে কোন জাতিকে নিয়ন্ত্রণ করতে হলে তার শিক্ষা ব্যবস্থাকে আগে নিয়ন্ত্রণ করতে হবে ৷ বৃটিশরা এ বিষয়টি অনেক আগেই বুঝতে পেরেছিলো ৷

মুসলিম আমলে বাংলার প্রায় ৩/৪ কোটি মানুষের জন্য ৮০ হাজার মাদ্রাসা ছিলো ৷ উইলিয়াম হান্টারের মতে, "বৃটিশ কারিকুলামের মত না হলেও ঘৃণার যোগ্য ছিল না, বরং উচ্চস্তরের জ্ঞান বিকাশ ও বুদ্ধিবৃত্তি পরিচ্ছন্ন হবার জন্য এবং মানসিক ও আর্থিক প্রাধান্য অর্জনের উপযোগী ৷" ইংরেজরা সবগুলো প্রতিষ্ঠান বন্ধ করে নিজেদের মন মতো শিক্ষা ব্যবস্থা চালু করে ৷ তাদের শিক্ষানীতি কেমন ছিল তা লর্ড ম্যাকালের কথায় অনেকটা স্পষ্ট ৷

লর্ড ম্যাকালে তার স্মৃতি কথায় বলেন "আমরা এমন সব পুস্তকাদি ছাপাইয়া থাকি (অর্থাৎ বোর্ড কর্তৃপক্ষ) উহার মূল্য যেমন কম তেমনি কাজ ও অত্যন্ত বাজে, আর আমরা কৃত্রিম ও মিথ্যা অনুপ্রেরণা, মিথ্যা ইতিহাস, অবান্তর বিজ্ঞান, অকেজো দর্শণ এবং ভ্রষ্ট মতবাদের শিক্ষার ব্রত গ্রহণ করিয়াছি ৷……… আমরা এখানকার প্রচলিত শিক্ষাব্যবস্থা ও সংস্কৃতি এমন একটি শিক্ষা ও সংস্কৃতি দিয়ে প্রতিস্থাপন করব, যাতে প্রতিটি ভারতীয় নাগরিক ভাবতে শেখে যে যা কিছু বিদেশি ও ইংরেজদের তৈরি, তা-ই ভালো ও নিজেদের দেশের থেকে উৎকৃষ্টতর ৷ এভাবে তারা নিজেদের ওপর শ্রদ্ধা হারাবে, তাদের দেশজ সংস্কৃতি হারাবে এবং এমন একটি পরাধীন জাতিতে পরিণত হবে, ঠিক যেমনটি আমরা চাই ।"

ভারত-পাকিস্তানের স্বাধীনতার নেতৃত্ব দেওয়া ব্যক্তিদের শিক্ষাগত যোগ্যতার সনদ তালাশ করলে দেখা যায় যে, প্রায় অধিকাংশই ইংল্যান্ডের বিভিন্ন বিশ্ব বিদ্যালয় থেকে সনদপ্রাপ্ত এবং তাদের অনেকেই ইংরেজদের দ্বারা প্ৰভাবিত ছিলেন ফলে ইংরেজ চলে যাওয়ার পরেও তাদের প্রণীত কারিকুলাম থেকে যায় ৷ বৃটিশদের সময় স্কুল, আলিয়া ও কওমী এই তিনভাগে বাংলার শিক্ষা ব্যবস্থা বিভক্ত হয়েছিলো ৷ তিন প্রতিষ্ঠানে পড়ালেখা করা শিক্ষার্থীদের মনোভাবও তিন রকম ৷

যে কোন বিষয়ে বছরের পর বছর প্রচলিত শিক্ষা মানুষের মনে একটা শক্ত ভীত গড়ে তোলে ৷ যা থেকে জন্ম নেয় এক ধরনের অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার, গোঁড়ামী ৷ এই অন্ধ বিশ্বাস, কুসংস্কার বা গোঁড়ামী তাকে এমনভাবে আচ্ছন্ন করে রাখে যে, কোন সময় এর জন্য সে যে জীবন দিতে পারে এবং জীবন নিতেও পারে ৷
বৃটিশরা যে শিক্ষানীতিতে যে বিষ বৃক্ষের বীজ বপন করেছিলো তার সুফল তারা সাথে সাথে পায়নি ৷ এর কুফল ভোগ করতে হচ্ছে আমাদের ৷

রাম-বামদের প্রচলিত শিক্ষানীতির সুফল তারা এখন না পেলেও কয়েক বছর পরেই পাবে, এর কুফল ভোগ করতে হবে আমাদের এবং আমাদের পরবর্তী প্রজন্মকে ৷ এমতাবস্থায় কেউ কেউ সন্তানদের মাদ্রাসায় ভর্তি করানোর পরামর্শ দিচ্ছেন ৷ এদের কেউ ভালো বিবেচনা করে, কেউ ব্যবসায়িক মানসিকতা থেকে, কেউ না বোঝেই পরামর্শ দিচ্ছেন ৷ বৃটিশরা ছিলো লুটেরা, পাকিস্তানীরা ছিলো হায়েনা, তাই তাদের কাছে জনগণের মতামতের কোন মূল্য ছিলো না ৷ স্বাধীন বাংলাদেশের একজন মুসলমানকে কেন দু'দুটি প্রতিষ্ঠানের খরচ বহন করতে হবে?

স্কুলগুলো কারো বাপের টাকায় চলে না ৷ সাধারণ নাগরিকদের ট্যাক্সের টাকায় এগুলো নির্মিত হয়েছে এবং শিক্ষকদের ভাতা প্রদান করা হয় ৷ তাহলে এসব প্রতিষ্ঠানে মুসলমানদের সন্তানেরা কেন দ্বীনি শিক্ষা পাবে না? দেবদাসী ওবং ঘেটুপুত্রদের ভরণ-পোষণের জন্যই কি এই ট্যাক্স আদায় করা হচ্ছে? যতদিন পর্যন্ত আপনি আওয়াজ তুলবেন না ততদিন পর্যন্ত আপনাকে গুটি কয়েক রাম-বাম-সেক্যুদের দাস হয়েই থাকতে হবে ৷ আর এই চুপ থাকার মাশুল দিতে হবে আপনার পরবর্তী প্রজন্মকে ৷ হয়তো এমন এক সময় আসবে আপনার উত্তরাধিকারীরা বলবে, "আমাদের পূর্ব পুরুষ মুসলমান ছিলো ৷"

30/01/2024

হিজড়াদেরকে কি বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে হাদিসে?

·
মুহতারাম আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক ভাই চলমান ‘নোংরাকামী মতবাদ’ বিরোধী আলোচনা করতে গিয়ে তাঁর এক বক্তব্যে বেশ কয়েকবার বলেছেন, হাদিসে হিজড়াদেরকে বাড়ি থেকে বের করে দেওয়ার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে, সমাজ থেকে দূরে রাখার নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তাঁর এই কথা বর্তমানে ‘নোংরাকামী মতবাদের’ বিরুদ্ধে আমাদের সংগ্রামে বিরূপ প্রভাব ফেলতে পারে। কারণ এমনিতেই হিজড়ারা অবহেলিত, সেখানে ইসলামের নামে যদি তাদেরকে সমাজচ্যুত করতে উৎসাহ দেওয়া হয়, তাহলে ইসলামের শত্রুরা এটাকে লুফে নিয়ে কাজে লাগাবে। যদিও ইসলামে এমনটি বলা হয়নি। তিনি যেই হাদিস দিয়ে তাঁর কথার পক্ষে দলিল দিয়েছেন, সেটার সঠিক অনুবাদ করা হলেই তাঁর বক্তব্যটি যে ভুল হয়েছে, তা বোঝা যাবে।

আমরা হাদিসটি দেখে নিই। সহিহুল বুখারিতে (হা : ৫৮৮৬) বর্ণিত হয়েছে,
عَنِ ابْنِ عَبَّاسٍ، قَالَ لَعَنَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم الْمُخَنَّثِينَ مِنَ الرِّجَالِ، وَالْمُتَرَجِّلاَتِ مِنَ النِّسَاءِ وَقَالَ :‏ «أَخْرِجُوهُمْ مِنْ بُيُوتِكُمْ»‏‏.‏ قَالَ فَأَخْرَجَ النَّبِيُّ صلى الله عليه وسلم فُلاَنًا، وَأَخْرَجَ عُمَرُ فُلاَنًا‏.‏
ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা থেকে বর্ণিত হয়েছে, তিনি বলেছেন, “নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারী মহিলাদেরকে লানত (আল্লাহর কাছে তাঁর রহমত থেকে তাদেরকে বিতাড়িত করার দোয়া) করেছেন।” আর তিনি বলেছেন, “ওদেরকে তোমাদের বাড়ি থেকে বিতাড়িত করো।” ইবনু আব্বাস রাদিয়াল্লাহু আনহুমা বলেছেন, “নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম অমুককে বিতাড়িত করেছেন এবং উমার রাদিয়াল্লাহু আনহু অমুককে বিতাড়িত করেছেন।” [সহিহুল বুখারি, হা : ৫৮৮৬]

·
উক্ত হাদিসে ভিন্ন লিঙ্গের বেশ ধরা নোংরাদেরকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করতে বলা হয়েছে, হিজড়াদেরকে নয়। দুঃখজনক হলেও সত্য, এ ধরনের আরও হাদিস আছে, যেসবের বাংলা অনুবাদে বেশিরভাগ অনুবাদকই ‘মুখান্নাস’ শব্দের অর্থ করতে ভুল করেছেন। আমি ইসলামিক ফাউন্ডেশন, তাওহীদ পাবলিকেশন্স-সহ আরও অনেকের অনুবাদে দেখেছি এই গলদ রয়েছে। আমার সময় থাকলে এটা নিয়ে অনুসন্ধান করে দেখতাম। কোনো আগ্রহী ভাইয়ের সময়-সুযোগ থাকলে কাজটা করে প্রকাশকদের জানাতে পারেন। এত বড়ো ভুলের সংশোধন হওয়া আসলেই জরুরি।

একটু কমনসেন্স খাটালেও বুঝতে পারবেন, হাদিসে মুখান্নাস পুরুষ ও মর্দানি নারীদেরকে লানত করেছেন নবিজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম। তো মুখান্নাস মানে যদি হিজড়া করা হয়, যেমনটি অনেকে করেছেন; তাহলে বলেন, সত্যিকারের জন্মগত হিজড়া সম্প্রদায় কী দোষ করেছে যে, দয়ার নবি তাদেরকে লানত করবেন? আর একটু পরেই তিনি বলেছেন, এদেরকে বাড়ি থেকে বিতাড়িত করো। একই প্রশ্ন আবারও আসবে — হিজড়ারা কী দোষ করেছে যে, মহানুভব নবিজি তাদেরকে বিতাড়িত করার নির্দেশ দেবেন? বরং হাদিসে মুখান্নাস মানে মেয়েসুলভ আচরণকারী পুরুষ। আর হিজড়ার আরবি প্রতিশব্দ ‘খুনসা’; ‘মুখান্নাস’ নয়।

·
আমাদের এই দাবির পক্ষে শত শত প্রমাণ বিশুদ্ধ হাদিস, ফিকহ, আরবি ভাষাশাস্ত্রের কিতাবপত্র ও উলামাদের ব্যাখ্যাগ্রন্থ থেকে দিতে পারব। আমি কেবল একটি উদ্ধৃতি পেশ করছি।

এই হাদিসের ব্যাখ্যায় আল্লামা মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ আল-কিরমানি রাহিমাহুল্লাহ (মৃ. ৭৮৬ হি.) বলেছেন,
و﴿المخنث﴾ هو الذي يشبه النساء في أقواله وأفعاله وتارة يكون هذا خلقيا وتارة يكون هذا تكلفيا وهذا هو المذموم الملعون لا الأول.
“আর ‘মুখান্নাস’ সেই পুরুষ, যে তার কথাবার্তা ও কাজকর্মে নারীর সাদৃশ্য ধারণ করে। কখনো কখনো এটা কারও সৃষ্টিগত বৈশিষ্ট্য হতে পারে। আবার নিজে ভণিতা করেও এমনটা করতে পারে; মূলত এটারই নিন্দা করা হয়েছে এবং এ কাজের কাজিকে লানত করা হয়েছে; প্রথমোক্ত শ্রেণিকে নয় (অর্থাৎ নিন্দা ও লানত তাকে করা হয়নি, যে জন্মগতভাবেই মেয়েসুলভ)।” [মুহাম্মাদ বিন ইউসুফ আল-কিরমানি, আল-কাওয়াকিবুদ দারারি ফি শারহি সহিহিল বুখারি (বৈরুত : দারু ইহইয়ায়িত তুরাসিল আরাবি, ২য় প্রকাশ, ১৪০১ হি./১৯৮১ খ্রি.), খ. ২১, পৃ. ১০৮-১০৯]

সুতরাং হাদিসের নির্দেশ মোতাবেক বাড়ি থেকে তাড়াতে হবে ‘নোংরা মতবাদের’ লোকজনকে, যারা সোহাগ থেকে সোহাগী হয়, কিংবা সোহাগী থেকে সোহাগ। আল্লাহ আমাদের সুমতি দিন। আমিন।

30/01/2024

শরিফার গল্পের বাহিরে আরও ভ*য়াবহ তথ্য রয়েছে এবছরের পাঠ্যবইয়ে। ব্যাপক প্রচার করে ফি*ত*না মুকাবেলায় অংশ নিন।
#নবম শ্রেণীর ইসলাম শিক্ষা বই থেকে ইসলামের অকাট্য ফরজ বিধান জি*হা*দ পুরাই ডিলিট (বিলুপ্ত) করে দেয়া হয়েছে।
#বিশ্ব মানচিত্রের ছবি থেকে ফি*লি*স্তি*নের নাম ডিলিট। সেই জায়গায় অবৈধ ও স*ন্ত্রা*সী রাষ্ট্র ই*স*রাইল এর নাম সংযুক্ত করা হয়েছে।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান। নবম শ্রেণী।
#ছেলেমেয়েদের বয়:সন্ধিকালীন স্পর্শকাতর বিষয়গুলোকে এমনভাবে তোলে ধরা হয়েছে, যাতে স্বভাবজাত লজ্জ্বা শরম কারো মাঝে থাকে না। দেখুন, স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা বই। ষষ্ঠ, সপ্তম শ্রেণী।
#সবার উপরে মানুষ সত্য তাহার উপরে নাই। শ্লোগান টি দৃশ্যত ভালো মনে হলেও, এর উদ্দেশ্য পুরোটাই খা*রাপ।
এক কথায় এটি একটি কু*ফু*রি শ্লোগান। এর মাধ্যমে ধর্মীয় পরিচয় কে বর্জন করা হয়েছে।
ইতিহাস এ সামাজিক বিজ্ঞান। নবম শ্রেণী পৃষ্ঠা ১০০
#পহেলা বৈশাখ, গায়ে হলুদ, জন্মদিন পালন, মুখেভাত অনুষ্ঠান ইত্যাদিকে আমাদের ঐতিহ্য ও সংষ্কৃতি হিসেবে উপস্থাপন করা হয়েছে।
অথচ এগুলোর ইতিহাস খুবই অল্পদিনের।
দেখুন শিল্প ও সংষ্কৃতি বই। ষষ্ঠ, সপ্তম ও অষ্টম শ্রেণী।
#মানুষের আত্মপরিচয়ের ক্ষেত্রে নাম, লিঙ্গ, বয়স, পছন্দের খাবার, পোশাক, খেলা শখ উল্লেখ থাকলেও ধর্মের পরিচয় সেখানে নেই।
ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান, ৭ম শ্রেণী পৃষ্ঠা ১৮
#একটি ছেলে বন্ধু তার মেয়ে বন্ধুকে স্পর্শ করাকে নিরাপদ স্পর্শ বলা হয়েছে।
স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা ষষ্ঠ শ্রেণি, পৃষ্ঠা ৯৬।
#একটি পাঠের শিরোনাম, চলো বন্ধু হই।
ছেলে ও মেয়ের ছবি দিয়ে বলা হয়েছে প্রয়োজনে না বলি, কী চাই তা বলি, অনুভূতি প্রকাশ করি।
পুরো পাঠ পড়লে বুঝা যাবে, বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ শারীরিক সম্পর্কের দিকেই ইঙ্গি দিচ্ছে।
ষষ্ঠ শ্রেণী স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, পৃষ্ঠা ৮৯
#ভারত উপমহাদেশের স্বাধীনতা আন্দোলনে মুসলমানদের কোন অবদান নেই। শুধুমাত্র হিন্দুদের অবদান। ইতিহাস ও সামাজিক বিজ্ঞান। নবম শ্রেণী পৃষ্ঠা ১১০
#ছেলেমেয়ে বিবাহ বহির্ভূত অবৈধ সম্পর্কে জড়ালে শা*সন করা উচিৎ নয়। স্বাস্থ্য ও সুরক্ষা, সপ্তম শ্রেণী।
#তাছাড়া মাদরাসার বই সহ সকল বইয়ের প্রচ্ছদে বাদ্য-বাজনার ছবি, ভেতরে হিজাব বিহীন ছবি, কখনো মহিলাদের অ*শ্লীল ছবি তো আছেই।
সময় নিয়ে খুঁজলে আরও তথ্য বেরিয়ে আসবে।
আসুন, নিজ নিজ অবস্থান থেকে সোচ্চার হই। প্র*তিবাদ করি। সরকারের দ্রুত পদক্ষেপ গ্রহণের আহবান জানাই।
#সংগৃহীত_পোষ্ট

24/01/2024

🤦

24/01/2024

পুরুষ-মহিলা-হিজড়া-ট্রান্সজেন্ডার কি?
আসুন বিস্তারিত জেনে নিই মেডিকেল সাইন্সের আলোকে-----

১। XY+টেসটিস+ মেইল সেকেন্ডারি সেক্সচুয়াল ক্যারেকটার = Male(পুরুষ)। এই পুরুষ অপারেশন করেও কখনো মা হতে পারবে না।

২। XX +ওভারি+ ফিমেল সেকেন্ডারি সেক্সুয়াল ক্যারেকটার= Female (নারী)। এই নারী অপারেশন করেও কখনো বাবা হতে পারবে না।

এখন হিজড়াতে আসি, স্পেকট্রাম তো ওয়াইড, তবে এদেরকে মোটাদাগে ৩ভাগে ভাগ করি।

৩। প্রকৃত হিজড়া ( True hermaphrodite) এদের বিষয়টা কমপ্লেক্স। অনেক সময় টেসটিস, ওভারি একসাথে থাকতে পারে। এদের প্রকৃত সেক্স ডিটারমাইন করা টাফ। এরা সংখ্যায় অতিনগন্য।

৪। মেল প্রিডমিনেন্ট হিজড়া ( Male pseudohermaphrodite) XY+টেসটিস+ ফিমেল সেকেন্ডারি। এরা ইন্টারনালি মেইল, এক্সটারনালি ফিমেল। এদের মেডিকেল ও সার্জিকাল ট্রিটমেন্টের পর বাবা হবারও সুযোগ থাকে।

৫। ফিমেল প্রিডমিনেন্ট হিজড়া ( Female pseudohermaphrodite) XX + ওভারি+ মেল সেকেন্ডারি। এরা ইন্টারনালি ফিলেম, এক্নটারনালি মেইল। মেডিকেল ও সার্জিকাল ট্রিটমেন্টের পর এদের মা হবার সুযোগ থাকছে।

এখানে ১ পুরুষ, ২ নারী, ৩,৪,৫ হিজড়া।

তাহলে ট্রান্সজেন্ডার কারা? যারা ১ থেকে ২ হতে চায় অথবা ২ থেকে ১ হতে চায় যেটা কখনোই পসিবল না। এদের কারো কারো জেন্ডার ডিস্ফোরিয়া থাকে যা একটা মানসিক সমস্যা।এটার জন্য অধিকার নয়, চিকিৎসা দরকার।

Collected

Photos from মুসলিম উম্মাহ's post 24/01/2024

মাদ্রাসার বই

Promoting Free mixing on Cover!!?

24/01/2024

🤦🤦

Want your place of worship to be the top-listed Place Of Worship in Riyadh?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

2% মানুষের জন্য 56% কোঠা!!প্রিয় ভাই আব্দুল্লাহ বিন আব্দুর রাজ্জাক হাফিয্বাহুল্লাহ
সতর্কতা।
🙄
দেখুন আমেরিকার মত নাস্তিকতার সুতিকাগার ও উন্মত্ত ভোগবিলাসের পরিবেশে থেকেও সত্য সন্ধানী নাস্তিকেরা নাস্তিকতা ছেড়ে ইসলাম গ...
কোথায় দিচ্ছেন আপনার বাচ্চাদের!?
শির্কের আস্তানা ভে*ঙ্গে দিন।বন বিভাগের কর্মকর্তার উপস্থিতিতেগাজীপুর জেলার টংগী মাজুখান শির্কের আস্তানা ভে*ঙ্গে দিচ্ছে। আ...
আলহামদুলিল্লাহ দক্ষিণ কোরিয়ার সিউল সেন্ট্রাল মসজিদে একই সাথে ২২ জন কোরিয়ান শাহাদাহ পাঠ করে ইসলামের দীক্ষা গ্রহণ করেন।
সৌদি আরব প্রতিষ্ঠার ইতিহাস।  ডঃ প্রফেসর আবু বকর জাকারিয়া হাফি।Abubakar Muhammad Zakaria
যারা শরীফ থেকে শরীফা গল্পের পিছনে!!!?
▌পরিবেশ খুব বিপজ্জনক, সারাবিশ্ব তোমাদের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে... .--- ড. আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর রাহিমাহুল্লাহ।

Telephone

Address


Comilla Bangladesh
Riyadh

Other Religious Organizations in Riyadh (show all)
Iqra International Quran Academy Iqra International Quran Academy
Riyadh, 11491

Online Quran Academy

Mishkat  ' Al-Sahafah ' -  Filipino Department Mishkat ' Al-Sahafah ' - Filipino Department
Riyadh
Riyadh

ang PAGE na ito ay para sa ating ikakabuti dito sa mundong ito at sa kabilang buhay

ALOR PATH 01 ALOR PATH 01
Riyadh

I'm Shofiq Muhammad

Today Ummah Today Ummah
Cumilla
Riyadh

The situation of the Ummah of the world will be shown on this page, Inshallah.

𝘿𝙖𝙖𝙣 𝙏𝙪𝙣𝙜𝙤 𝙨𝙖 𝙋𝙖𝙧𝙖𝙞𝙨𝙤.2 𝘿𝙖𝙖𝙣 𝙏𝙪𝙣𝙜𝙤 𝙨𝙖 𝙋𝙖𝙧𝙖𝙞𝙨𝙤.2
Al
Riyadh

Kung meron kayong mga katanungan patungkol sa Reliyong Islam, magpadala lamang ng mensahe at ami

Come to Success Come to Success
Riyadh

This channel created for posting Quran recitation/tilwat and islamic videos for educating people and as sadqa

Allah Hu Akbar Allah Hu Akbar
Riyadh, 14517

Only for Allah

Charity Charity
Riyadh

Prayers and cancelling

Biography of Nupur Biography of Nupur
Riyadh, 3600

I Trust Mohammad (SAW)

Quran Hadees /LR Quran Hadees /LR
Riyadh

Quran Hadees LR

مرکزی جمعیت اہل حدیث سعودی عرب مرکزی جمعیت اہل حدیث سعودی عرب
Riyadh

An authentic source of islamic information