Hindu Corner
upload hindu Religion song and photo
দেবী লক্ষ্মী কে এবং রাধা কি লক্ষ্মীর অবতার ?
মূল সংস্কৃত ভাগবত মতে- শ্রীকৃষ্ণ, কংসকে হত্যার উদ্দেশ্যে ১০ বছর ২ মাস বয়সে বৃন্দাবন থেকে মথুরা চলে যান, এর পর তিনি আর কখনো বৃন্দাবনে ফিরে যান নি। রাধার সাথে কৃষ্ণের দেখা সাক্ষাত ঐ বৃন্দাবনেই, বাল্য কালে এবং শ্রীকৃষ্ণের ১০ বছর ২ মাস বয়সেই তা শেষ। তাহলে এখানে প্রশ্ন হচ্ছে, যুবক কৃষ্ণের সাথে যুবতী রাধার দেখা হলো কোথায়, আর তাদের মধ্যে প্রেমই বা হলো কখন ? এ থেকে স্পষ্ট যে, কৃষ্ণের যুবক বয়সে রাধা বলে তার কোনো সঙ্গিনী বা সহচর ছিলো না। তাহলে প্রশ্ন হচ্ছে রাধা- কৃষ্ণের প্রেম নিয়ে এত কথা প্রচলনের কারণ কী বা কারা ছিলো এর পেছনে ?
মুসলমানরা ভারত দখল করে হিন্দুদের উপর দুটো ফরমান জারি করে- হয় ইসলাম গ্রহন, নয়তো মৃত্যু। এতে পরিস্থিতির শিকার ১০ জনের মধ্যে ৯ জন হিন্দুই মৃত্যুকে বরণ করেছে, বাকি একজন প্রাণের ভয়ে বা জিজিয়া কর দেওয়ার হাত থেকে মুক্তি পাওয়ার জন্য ইসলাম গ্রহন করেছে। তাছাড়া যারা খুন-ধর্ষণ বা চুরি বা ডাকাতি করে বন্দী হতো, তাদেরকেও মুক্তি দেওয়া হতো ইসলাম গ্রহনের শর্তে, এভাবেও কিছু লোক মুসলমান হয়েছে।
কিন্তু মুসলমানদের প্রতি প্রচণ্ড ঘৃণায় এবং মুসলমানদের সাথে লড়াইয়ে টিকতে না পেরে হিন্দুরা যদি পাইকারী হারে জীবন দিতেই থাকে, তাহলে মুসলমানরা রাজ্য চালাবে কাকে নিয়ে ? এই সমস্যার সমাধানে, সম্পূর্ণ ইসলাম বিরোধী হলেও ভারতের মুসলমান শাসকরা হিন্দুদের উপর জিজিয়া করে চাপায়, যার ফলে তাদের দুটো সুবিধা হয়- প্রথমত, হিন্দুদেরকে বাঁচিয়ে রেখে তাদের উপর ইচ্ছামতো নির্যাতন করে রাজ্য পরিচালনার মজা; দ্বিতীয়ত, হিন্দুদের টাকায় জিজিয়া কর নিয়ে আরাম আয়েশে খাওয়া।
রাজ্য পরিচালনার সুবিধার্থে মুসলমান শাসকরা হিন্দুদেরকে বাঁচিয়ে রাখলেও হিন্দু ধর্ম ও কালচারকে সম্পূর্ণ ধ্বংস করার জন্য তারা একটি সুদূর প্রসারী প্ল্যান করে, আর এই পরিকল্পনারই অংশ হলো শ্রীকৃষ্ণের জীবনে রাধাকে আনয়ন। কারণ, শ্রীকৃষ্ণ হলেন সনাতন তথা হিন্দু ধর্মের প্রধান প্রাণপুরুষ, তার চরিত্রকে যদি কোনোভাবে হেয় করা যায়, আর সেটা যদি কোনোভাবে হিন্দুদেরকে বিশ্বাস করানো যায়, তাহলে হিন্দুরা স্বেচ্ছায় সনাতন ধর্ম ত্যাগ করবে এবং ইসলাম গ্রহন করবে। এই পরিকল্পনার অংশ হিসেবে ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের দিকে কোনো এক বেতন ভোগী হিন্দুকে দিয়ে লিখানো হয় ‘ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণ’, যাতে প্রথম রাধার আবির্ভাব ঘটানো হয় এবং যুবতী রাধার সাথে যুবক কৃষ্ণের অনৈতিক ও পরকীয়া প্রেম এবং তার সাথে কৃষ্ণের যৌনতাকে তুলে ধরা হয়। শুধু তাই নয়, কৃষ্ণকে লম্পট প্রমান করতে তাকে বিভিন্ন পুরাণের মাধ্যমে একাধিক বিয়েও দেওয়া হয় এবং এই সংখ্যা ১৬,১০৮ ! রাধা কৃষ্ণের প্রেম সংক্রান্ত সকল গল্প যে মিথ্যা, তার প্রমাণ হলো- ১২০০ খ্রিষ্টাব্দের আগে রচিত প্রাচীন কোনো গ্রন্থ যেমন- মূল সংস্কৃত ভাগবত, মহাভারত, রামায়ণ, উপনিষদ, বেদ কোথাও রাধার অস্তিত্বের কোনো উল্লেখ নেই।
যা হোক, মুসলমানদের এই ষড়যন্ত্র বুঝতে না পেরে, ব্রহ্মবৈবর্ত পুরাণের পর সংস্কৃত কবি জয়দেব, রাধা-কৃষ্ণের প্রেমলীলা নিয়ে রচনা করে ‘গীত গোবিন্দ’ এবং সেই একই ঘটনা ঘটায় বাংলায় বড়ু চণ্ডীদাস নামের এক কবি ১৩৫০ সালের দিকে ‘শ্রীকৃষ্ণকীর্তন কাব্য’ লিখে; যেখানে শ্রীকৃষ্ণ সম্পূর্ণ লম্পট চরিত্র। তারপর, এই কাব্যের ঘটনাকে ভিত্তি করে চৈতন্যদেবের আবির্ভাবের পূর্বে কয়েকজন বৈষ্ণব কবি রচনা করে বৈষ্ণব পদাবলী, যার মাধ্যমে রাধা কৃষ্ণের প্রেম একেবারে বাঙ্গালি হিন্দুদের মাথায় শেকড় গেঁড়ে বসে। এই সময় ই নিমাই এর আবির্ভাব হয় এবং সে শ্রীকৃষ্ণকে নিয়ে পূর্বের সকল ষড়যন্ত্রকে বুঝতে না পেরে নিজেকে রাধা কৃষ্ণের যুগল অবতার হিসেবে বর্ণনা করে, যার ফলে রাধা, দেবীর মর্যাদায়, হিন্দুদের ঠাকুর ঘরে কৃষ্ণের পাশে জায়গা করে নেয়। রাধাকে বড় করে তোলার জন্য এবং তার মহিমা যে বিশাল, তা বোঝানোর জন্য চৈতন্যদেব পরবর্তী বৈষ্ণবরাই নানা কাহিনী বানিয়ে রাধাকে লক্ষ্মীর অবতার বানানোর চেষ্টা করে, তারা গীতা মাহাত্ম্য এবং কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রে রাধাকে ঢোকায়, আর এই ভাবে তারা প্রমাণ করার চেষ্টা করে রাধার অস্তিত্ব এবং প্রচলিত হয় যে রাধাই লক্ষ্মী; আর এই কাহিনী খুব ভালোভাবেই, এই কারণে হিন্দুদেরকে বিশ্বাস করানো যায় যে, যেহেতু বিষ্ণুই কৃষ্ণ এবং বিষ্ণুর স্ত্রী লক্ষ্মী, সুতরাং বিষ্ণু পৃথিবীতে কৃষ্ণরূপে এলে, তাকে সঙ্গ দেওয়ার জন্য লক্ষ্মীর পৃথিবীতে রাধা রূপে আসা অসম্ভব কিছু নয়। লক্ষ্মী পৃথিবীতে এসেছিলেন কিন্তু রাধারূপে নয় রুক্মিণীরূপে, যার প্রমাণ আছে হরিবংশে।
একটু আগেই গীতা মাহাত্ম্যে এবং কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রে রাধার প্রসঙ্গটা উল্লেখ করেছি, সে ব্যাপারে আরো কিছু বলা প্রয়োজন, না হলে প্রসঙ্গকে পাশ কাটিয়ে যাওয়া হবে, যেটা আমার রচনার বৈশিষ্ট্য নয়।
গীতা মাহাত্ম্যে রাধা কিভাবে এলো, সে বিষয়ে-
“গীতা মাহাত্ম্যে রাধা: প্রকৃত রহস্যটা কী”
নামে আমার একটি প্রবন্ধ আছে, সেটা যারা পড়েছেন, বিষয়টি তারা জানেন; কিন্তু রাধার অস্তিত্ব প্রমাণে কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র যে চৈতন্যদেবের অনুসারীরা বানিয়েছে, সেটা বুঝতে পারবেন নিচের এই অংশটুকু পড়লে-
আমরা কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্র হিসেবে যেটা জানি, তার শেষ দুই লাইন
“”ওঁ ব্রহ্মণ্য দেবায় গো ব্রহ্মণ্য হিতায় চ।
জগদ্ধিতায় শ্রীকৃষ্ণায় গোবিন্দায় বাসুদেবায় নমো নমঃ ।।“
এই অংশটি ঠিক আছে, এটা সংস্কৃতে রচিত এবং এর মাধ্যমে কৃষ্ণকে স্মরণ করা যায় এবং প্রণামও জানানো যায়। কিন্তু এর আগে কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রে যা আছে, যেমন-
“”হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে।
গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে ।।“
ভালো করে খেয়াল করে দেখুন তো এই অংশটুকু সংস্কৃত না বাংলা ? প্রচলিত কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রের শেষ দুই লাইন পুরো সংস্কৃত কিন্তু প্রথম দুই লাইন পুরো বাংলা হওয়ার কারণ কী ? আপনার কী মনে হয় মহাভারতের যুগের লোকজন, তাদের সময় থেকে কমপক্ষে ৪০০০ বছর পরে উৎপত্তি হয়েছে যে ভাষার, সেই বাংলায় তারা কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রের প্রথম দুই লাইন লিখে গিয়েছে ?
কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রের প্রথম দুই লাইন যে বাংলায় রচিত, তার প্রমাণ হলো এর প্রত্যেকটি শব্দ বাংলা। আবারও খেয়াল করুন শ্লোকের শব্দ গুলো-
হে কৃষ্ণ করুণা সিন্ধু দীনবন্ধু জগৎপথে।
গোপেশ গোপীকা কান্ত রাধা কান্ত নমহস্তুতে ।।
এখানে রাধাকান্ত মানে রাধার স্বামী, তার মানে বৈষ্ণবরা কৃষ্ণকে রাধার স্বামী বানাতেও দ্বিধা করে নি, কিন্তু কৃষ্ণ কি রাধাকে বিবাহ করেছিলো ?
করে নি।
তাহলে এই শ্লোকে কৃষ্ণকে উদ্দেশ্য করে ‘রাধাকান্ত’ শব্দ ব্যবহার করার উদ্দেশ্যটা কী ?
উদ্দেশ্য হলো কৃষ্ণের জীবনে রাধার অস্তিত্বকে প্রমাণ করা, যাতে চৈতন্যদেব যে রাধা কৃষ্ণের যুগল অবতার, তা প্রমান করা যায় এবং চৈতন্যদেবের অবতার তত্ত্বকে টিকিয়ে রাখা যায়। কিন্তু যা মিথ্যা তা আর কত দিন টিকে থাকে বা থাকবে ? তাই চৈতন্যদেবের বালির প্রাসাদও ধ্বসে পড়তে শুরু করেছে।
নানা ছলচাতুরী করে চৈতন্যদেবের অনুসারীরা- গীতা মাহাত্ম্যে রাধাকে ঢুকিয়ে, কৃষ্ণ প্রণাম মন্ত্রে রাধাকে জড়িয়ে, রাধাকে লক্ষ্মীর অবতার হিসেবে বর্ণনা করে, রাধার অস্তিত্ব প্রমানের নানা অপচেষ্টা করেছে, কিন্তু মূল সংস্কৃত ভাগবত এবং মহাভারত, যা কৃষ্ণের প্রামান্য জীবনী, সেখানে যুবক কৃষ্ণের সাথে যুবতী রাধার দেখা সাক্ষাতের কোনো প্রমান না থাকায় রাধা কৃষ্ণের প্রেম সম্পূর্ণ কাল্পনিক, তাই রাধার লক্ষ্মীর অবতার হওয়ার কোনো প্রশ্নই আসে না। এছাড়াও পৃথিবীতে অবতার আছে শুধু বিষ্ণুর, অন্য কোনো দেব-দেবীর নেই, তাই রাধাকে লক্ষ্মীর অবতার বলা মানেই একটা মিথ্যাকে অবলম্বন করে পথ চলা, যে পথে বৈষ্ণবরা চলছে, এমনকি ইসকনও।
আশা করছি, রাধা যে লক্ষ্মী নয়, তা সবার কাছে ক্লিয়ার হয়েছে; এবার নজর দিই তথাকথিত শিব দুর্গার মেয়ে লক্ষ্মীর দিকে।
মূল সংস্কৃত রামায়ণে, রাবন বধের পূর্বে, রামের দুর্গা পূজা করার কোনো কাহিনী না থাকলেও, যেহেতু কৃত্তিবাস ওঝা বাংলায় রামায়ণ অনুবাদ করার সময়, তার কৃত্তিবাসী রামায়ণে রামকে দিয়ে দুর্গা পূজা করিয়েছে, সেহেতু বাংলায় ১৬০০ সালের দিকে দুর্গা পূজা শুরু হলে, তাতে শুধু দুর্গা অসুর, আর মহিষই ছিলো। কিন্তু পরে এটাকে ব্যাপক রূপ দেওয়ার জন্য, আস্তে আস্তে এর সাথে সকল দেব-দেবীকে যোগ করে এক মহাশক্তির ও মহামিলনের পূজায় রূপান্তরিত করা হয়। পৌরাণিকভাবে কার্তিক-গণেশ দুর্গার ছেলে; কিন্তু তাদের পাশে লক্ষ্মী-সরস্বতীর স্থান হওয়ায়, হিন্দুরা যেহেতু ধর্মীয় জ্ঞান অর্জন ও প্রচারের ব্যাপারে বরাবরই উদাসীন, তাই প্রকৃত কাহিনী না জেনে হিন্দুরা যখন ছেলে মেয়ে নিয়ে দুর্গাপূজা দেখতে মন্দিরে গিয়েছিলো বা এখনো যায়, তখন ছেলে মেয়েরা জিজ্ঞেস করতো বা এখনও করে যে- মা, দুর্গার পাশে কার্তিক-গণেশ-লক্ষ্মী-সরস্বতী, এরা কারা ? তখন বাপ মায়ের সহজ উত্তর ছিলো এরা দুর্গার ছেলে মেয়ে, ব্যস এইভাবেই চালু হয়ে গিয়েছিলো এই মিথ এবং হিন্দুদের নির্বুদ্ধিতা ও উদাসীনতায় তা চলে আসছে শত শত বছর ধরে।
২০১৫ সাল থেকে এ পর্যন্ত হিন্দুধর্মের বিভিন্ন বিষয়ে বহু নতুন তথ্য ও ব্যাখ্যা আমি হিন্দুদের সামনে তুলে ধরেছি, যেগুলোর মধ্যে একটি হলো-
লক্ষ্মী, সরস্বতী- দুর্গার মেয়ে নয়।
তাহলে লক্ষ্মী, সরস্বতী আসলে কে ?
দেবীদের উৎপত্তির ইতিহাসে, লক্ষ্মী-সরস্বতী, দুর্গারও সিনিয়র, যদিও তারা তিনজনই একই পদমর্যাদার দেবী; কারণ- সরস্বতী, লক্ষ্মী ও দুর্গা যথাক্রমে ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বরের নারী শক্তি।
কিন্তু এই ব্যাপারটার যুক্তিটা আসলে কী ?
হিন্দু শাস্ত্র মতে, এই মহাবিশ্বের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন পরমব্রহ্ম, যাকে শুধু ‘ব্রহ্ম’ বা ‘ঈশ্বর’ও বলা হয়। এই ব্রহ্ম তিনটি রূপে তার কাজ সম্পন্ন করে থাকেন- ব্রহ্মা রূপে সৃষ্টি, বিষ্ণু রূপে পালন এবং মহাদেব বা শিব রূপে ধ্বংস। কিন্তু অজ্ঞতা ও বিকৃত ব্যাখ্যার কারণে আমরা এতদিন অনেকেই মনে করেছি বা জেনে এসেছি যে, ব্রহ্মের তিনটি রূপ বা ব্রহ্ম তিনভাগে বিভক্ত, যথা- ব্রহ্মা, বিষ্ণু ও মহেশ্বর। তাই আমরা ব্রহ্মা, বিষ্ণু এবং মহেশ্বরকে আলাদা আলাদা তিনটি সত্ত্বা বিবেচনা করেছি এবং তাদের আলাদা মূর্তি প্রথমে কল্পনা ও পরে তৈরি করেছি; শুধু তাই নয়, তাদের প্রত্যকের স্ত্রী সৃষ্টি করেছি, পরে বহু দেবতার জন্ম দিয়েছি, কিন্তু ব্যাপারটা আসলে সেরকম কিছু নয়।
একটু আগেই বলেছি- ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর আলাদা আলাদা কোনো সত্ত্বা নয়; ব্রহ্ম যখন সৃষ্টির কাজ করেন তখন তিনি ব্রহ্মা, যখন তিনি পালনের কাজ করেন তখন তিনি বিষ্ণু, আর যখন তিনি ধ্বংসের কাজ করেন, তখন তিনিই মহেশ্বর। একটি উদাহরণ দিলে এই ব্যাপারটি বোঝা আরও সহজ হবে; ধরে নিন, প্রধানমন্ত্রী বা মূখ্যমন্ত্রীর হাতে তিনটি মন্ত্রণালয় আছে, তিনি প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্বের পাশাপাশি ঐ মন্ত্রণালয়গুলোও দেখাশোনা করেন। এই অবস্থায় তিনি যে মন্ত্রণালয়ের হয়ে ফাইলে সই করেন বা করবেন, তখন কিন্তু তিনি সেই মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী, কিন্তু বাস্তবে তিনি প্রধানমন্ত্রী। ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বর এবং ব্রহ্মের ব্যাপারটাও ঠিক সেই রকম। তাই যদি না হয় তাহলে বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার কৃষ্ণ, পালনের পাশাপাশি যুদ্ধ ও হত্যার মাধ্যমে পাপী ও দু্ষ্টদের বিনাশ করেছেন কেনো ? ব্রহ্মা, বিষ্ণু, মহেশ্বরকে যদি আলাদা আলাদা সত্ত্বা্ হিসেবে বিবেচনা করা হয়, তাহলে বিষ্ণুর অবতার কৃষ্ণের কাজ ছিলো শুধু পালন করা, তার তো কুরুক্ষেত্রের যুদ্ধ বাঁধানোর কোন প্রয়োজন ছিলো না; প্রয়োজন ছিলো না শিশুকালেই রাক্ষসী ও অসুরদের, পরে কংস ও শিশুপালকে হত্যা করার এবং ভীমের মাধ্যমে জরাসন্ধ ও দুর্যোধনকে হত্যা করানোর ? আসলে কৃষ্ণ মানেই বিষ্ণু, আর বিষ্ণু মানেই পরমব্রহ্ম। এজন্য বিষ্ণুর পূর্ণ অবতার হিসেবে শুধু মানবরূপী কৃষ্ণই নয়, প্রত্যেকটি মানুষ ই যখন কোনো কিছু সৃষ্টি করে তখন এক অর্থে সে ই ব্রহ্মা, যখন কাউকে পালন করে তখন বিষ্ণু এবং যখন কাউকে ধ্বংস করে তখন শিব। এভাবে এবং এইসব রূপেই প্রত্যেকটি মানুষের মধ্যে পরমব্রহ্ম বাস করে। এজন্যই ছান্দোগ্য উপনিষদ (৩/১৪/১) ও বেদান্ত দর্শনে বলা হয়েছে,
“সর্বং খল্বিদং ব্রহ্ম”
অর্থাৎ, সকলের মধ্যেই ব্রহ্ম বিদ্যমান।
বা প্রচলিত কথায়, “যত জীব, তত শিব”।
আগেই উল্লেখ করেছি, ব্রহ্ম যখন কোনো কিছু সৃষ্টি করে তখন তার নাম হয় ব্রহ্মা, আর যেকোনো কিছু সৃষ্টি করতেই লাগে জ্ঞান এবং প্রকৃতির নিয়ম হলো নারী ও পুরুষের মিলন ছাড়া কোনো কিছু সৃষ্টি হয় না, সৃষ্টি বলতে সাধারণ অর্থে এখানে মানুষকেই বোঝানো হচ্ছে, তো প্রকৃতির এই নিয়মকে স্বীকৃতি দেওয়ার জন্যই ব্রহ্মার নারীশক্তি হলো সরস্বতী, যাকে আমরা স্থূল অর্থে ব্রহ্মার স্ত্রী বলে কল্পনা করে নিয়েছি; কিন্তু প্রকৃতপক্ষে ব্রহ্মার স্ত্রী বলে কিছু নেই, এমনকি ব্রহ্মা বলেও আলাদা কোনো সত্ত্বা নেই; লেখক কর্তৃক- গল্প, উপন্যাসে একাধিক চরিত্র সৃষ্টির মতো সবই ব্রহ্মের খেলা, এখানে ব্রহ্মই সবকিছু । যা হোক, কোনো কিছু তৈরি বা সৃষ্টি করতে হলে যেমন জ্ঞান লাগে, তেমনি সৃষ্টিকে নিখুঁত করার জন্য নজর রাখতে হয় চারেদিকে, এজন্যই কল্পনা করা হয়েছে ব্রহ্মার চারটি মাথা এবং তার নারীশক্তি সরস্বতীকে কল্পনা করা হয়েছে জ্ঞানের দেবী হিসেবে।
এবার আসা যাক বিষ্ণুতে। বিষ্ণু হলো ব্রহ্মার পালনকারী রূপের নাম। তো কাউকে পালন করতে কী লাগে ? ধন-সম্পদ। এই জন্যই বিষ্ণুর নারী শক্তি হলো লক্ষ্মী এবং তিনি ধন-সম্পদের দেবী।
এবার আসি শিব বা মহেশ্বরে। ব্রহ্মের ধ্বংকারী রূপের নাম শিব, মহেশ্বর বা রুদ্র। সৃষ্টি বা পালন করতে যেমন লাগে নারী শক্তি, তেমনি ধ্বংস করতেও লাগে নারী শক্তি। একারণেই রামায়ণের সীতা ও মহাভারতের দ্রৌপদীর জন্ম। এছাড়াও বিখ্যাত গ্রীস ও ট্রয়ের মধ্যকার যুদ্ধের কারণও ছিলো এক নারী, নাম হেলেন। নারী শক্তি যেমন ধ্বংসের কারণ হতে পারে, তেমনি নারী নিজেও ধ্বংস করতে পারে। প্রকৃতির এই নিয়মকে স্বীকৃতি দিতেই ব্রহ্মের ধ্বংসকারী রূপ মহেশ্বর বা শিবের নারী শক্তি হলো দুর্গা, যার আরেক রূপের নাম কালী।
আশা করছি, উপরের এই আলোচনা থেকে লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং দুর্গার পরিচয় আপনারা পেয়েছেন এবং সেই সাথে এটাও বুঝতে পেরেছেন যে, লক্ষ্মী- সরস্বতী, দুর্গার মেয়ে নয়। এই ব্যাপারটাকে আরো সহজভাবে বোঝানোর জন্য আরেকটা উদাহরণ দিচ্ছি-
ধরে নিন, তিন ভাই, যাদের জন্ম একই সাথে, অর্থাৎ দু চার মিনিট আগে পরে অর্থাৎ যারা যমজ, প্রকৃত অর্থে এরা কিন্তু কেউ ছোট বড় নয়, একে অপরকে তুই তুকারি বলেও সম্বোধন করতে পারে, এই তিন ভাইয়ের স্ত্রীরাও কিন্তু পরিবারে একই সমান ক্ষমতা ও কতৃত্বের অধিকারী; দেব পরিবারের এই তিন ভাই হলো- বিষ্ণু, ব্রহ্মা ও মহেশ্বর এবং তাদের তিন স্ত্রী বা নারী শক্তি হলো যথাক্রমে লক্ষ্মী, সরস্বতী এবং দুর্গা।
আলোচনার মাঝখানে যে বলেছি, দেব-দেবীদের উৎপত্তির ইতিহাসে, লক্ষ্মী-সরস্বতী, দুর্গারও সিনিয়র, এখন সেই বিষয়টি মিলিয়ে দেখুন।
পোস্টের সাথে ফটো হিসেবে যে স্ট্যাটাসটি যুক্ত করেছি এবং সেখানে রাধা, কৃষ্ণ ও লক্ষ্মীকে নিয়ে যে প্রশ্নগুলো উত্থাপিত হয়েছে, আশা করছি এগুলোর একটি সহজ সমাধান এই প্রবন্ধে দিতে পেরেছি, তারপরও কারো যদি এ সম্পর্কে আর কোনো প্রশ্ন থাকে নির্দ্বিধায় জানাবেন, ঈশ্বর আমাকে সে উত্তর জানানোর মতো সময় ও জ্ঞান প্রদান করবেন বলে আমি বিশ্বাস করি।
জয় শ্রীরাম, জয় শ্রী কৃষ্ণ।
*শুভ মহালয়া কাউকে বলবেন না*।
ওটা বলতে নেই। মহালয়ার সঙ্গে দুর্গাপূজোরও আদৌ কোনো সম্পর্ক নেই। যাঁরা মা দুর্গার ছবির সঙ্গে 'মহালয়া' লিখছেন তাঁরা নিজেরাও জানেন না কত বড় ভুল করছেন।
সকালে রেডিওতে যে মহালয়া শোনেন সেটা মহালয়া নয়, "মহিষাসুরমর্দিনী" নামের একটি অনুষ্ঠান। এর সঙ্গে মহালয়ার কোনো সম্পর্ক নেই। এই দিনে অনুষ্ঠানটি সম্প্রচার হয়, এই পর্যন্তই।
মহালয়া কথাটি এসেছে 'মহত্ আলয়' থেকে। হিন্দু ধর্মে মনে করা হয়, পিতৃপুরুষের আত্মা এই সময়ে পরলোক থেকে ইহলোকে আসেন জল ও পিণ্ডলাভের আশায়। প্রয়াত পিতৃপুরুষদের জল-পিণ্ড প্রদান করে তাঁদের তৃপ্ত করা হয়।
কেন এই দিনেই তাঁরা আসেন? এর সঙ্গে মহাভারতের যোগ আছে। মহাভারতে বলা হয়েছে যে, মহাবীর কর্ণের আত্মা স্বর্গে গেলে সেখানে তাঁকে খেতে দেওয়া হল শুধুই সোনা আর ধনরত্ন। “ব্যাপার কী?” কর্ণ জিজ্ঞাসা করলেন ইন্দ্রকে। ইন্দ্র বললেন, “তুমি সারাজীবন সোনাদানাই দান করেছো, পিতৃপুরুষকে জল দাও নি।”
কর্ণ বললেন, “এতে আমার কী দোষ? আমার পিতৃপুরুষের কথা তো আমি জানতে পারলাম যুদ্ধ শুরুর আগের রাতে। মা কুন্তী আমাকে এসে বললেন, আমি নাকি তাঁর ছেলে। তারপর যুদ্ধে ভাইয়ের হাতেই মৃত্যু হলো। পিতৃতর্পণের সময়ই তো পেলাম না।”
ইন্দ্র বুঝলেন, কর্ণের দোষ নেই। তাই তিনি কর্ণকে পনেরো দিনের জন্য মর্ত্যে ফিরে গিয়ে পিতৃপুরুষকে জল ও অন্ন দিতে অনুমতি দিলেন। ইন্দ্রের কথা মতো এক পক্ষকাল ধরে কর্ণ মর্ত্যে অবস্থান করে পিতৃপুরুষকে অন্নজল দিলেন। তাঁর পাপস্খলন হলো এবং যে পক্ষকাল কর্ণ মর্ত্যে এসে পিতৃপুরুষকে জল দিলেন সেই পক্ষটি পরিচিত হল পিতৃপক্ষ নামে।
সেই থেকেই হিন্দুদের মধ্যে তর্পণের প্রথা চালু হয়। পারলৌকিক ক্রিয়াকর্মের তিথি হিসেবে নির্দিষ্ট হওয়ায় একে শুভ বলতে নেই। আপনার প্রিয়জনের শ্রাদ্ধের দিন কেউ যদি আপনাকে “হ্যাপি আপনার ঠাকুরদার শ্রাদ্ধ” বা “শুভ শ্রাদ্ধ” বলে, আপনার কেমন লাগবে?
এমন না বুঝেই তো আমরা কতকিছু বলি। এবার বুঝলেন তো? এর পর থেকে এই দিনটিতে আর "শুভ মহালয়া" বলবেন না।
(সংগৃহীত)
সর্বজনীন শব্দের অর্থ — সকলের জন্য অনুষ্ঠিত, সকলের জন্য মঙ্গলজনক, বারোয়ারি।
প্রয়োগ — সর্বজনীন দুর্গোৎসব।
সার্বজনীন শব্দের অর্থ — সবার মধ্যে প্রবীণ বা সবার মধ্যে শ্রেষ্ঠ।
প্রয়োগ — তিনি একজন সার্বজনীন নেতা।
সুতরাং সকলের জন্য অনুষ্ঠিত, সকলের জন্য মঙ্গলজনক বা বারোয়ারি অর্থে ‘সার্বজনীন’ শব্দের ব্যবহার সমীচীন নয়।
তথ্যসূত্র : ক) ‘আকাদেমি বানান অভিধান’ (পশ্চিমবঙ্গ বাংলা আকাদেমি)।
খ) ‘বাংলা একাডেমি আধুনিক বাংলা অভিধান’ —জামিল চৌধুরী।
গ) ‘বানান লিখুন নির্ভয়ে, নির্ভুল’ — পবিত্র সরকার।
ঘ) ‘বাংলা লেখক ও সম্পাদকের অভিধান’ — আনন্দবাজার পত্রিকা ব্যবহারবিধি।
ঙ) ‘বাংলা বানান কোথায় কী লিখবেন’— ড. মোহাম্মদ আমীন।
একাদশী সংকল্প মন্ত্র
একাদশ্যাং নিরাহারঃ স্থিত্বা ওহম অপরেহহনি
ভক্ষামি পুণ্ডরীকাক্ষ শরনং মে ভাবাচ্যুত।
পারণের মন্ত্র
অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতে নানেব কেশব
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞান দৃষ্টি প্রদো ভব।
মহাপ্রসাদ গ্রহনের মন্ত্র
বিবিধ প্রণাম মন্ত্র
মহাপ্রসাদে গোবিন্দে, নাম-ব্রহ্মনী বৈষ্ণবে।
স্বল্প-পুণ্য বতাং রাজন, বিশ্বাস নৈব জায়তে।
শরীর অবিদ্যা-জাল, জড়েন্দ্রীয় তাহে কাল;
জীবে ফেলে বিষয়-সাগরে।
তা'র মধ্যে জিহ্বা অতি, লোভময় সুদুর্মতি;
তা'কে জেতা কঠিন সংসারে ।।
কৃষ্ণ বড় দয়াময় , করিবারে জিহ্বা জয় ,
স্ব প্রসাদ -অন্ন দিলা ভাই ।।
সেই অন্নামৃত পাও রাধাকৃষ্ণ গুন গাও ,
প্রেমে ডাক চৈতন্য নিতাই ।।
#তিলককাটার নিয়মাবলী
#হরে_কৃষ্ণ
#শ্রীকৃষ্ণেরমহিমা
#ধর্মীয়কথাজানতেহলেধর্মীয়পোস্টপড়ুন
★আসুন একটু জেনে নেই কোন আঙ্গুলের কোন ভাব বা কোন সময় কোন আঙ্গুল দিয়ে তিলক কাটতে হয়।
1. ভক্তি তিলক=অনামিকা
2. যুদ্ধ তিলক= বৃদ্ধাঙ্গুল
3. শান্তি তিলক=মধ্যমা
4. বৈভব তিলক=অনামিকা বা মধ্যমা
5. বন্ধন তিলক=কনিষ্ঠ আঙুল দ্বারা করা হয়ে থাকে (যেমন: ভাইফোঁটা)
তিলক শব্দের অর্থ বিজয়,, রিপু বিজয়ের চিহ্ন বা প্রতীক হিসেবে তিলক ব্যবহৃত হয়। দেহের সুপ্ত আত্মশক্তিকে জাগ্রত করার পদ্ধতি হলো তিলক ধারন করা।
বিষ্ণু পুরাণে শ্রী বিষ্ণুদেব নারদ মুনি কে বলেছেন,
নারদ আমার প্রিয় ভক্ত সেই হয় যে আমার গুণ কীর্তন সর্বদা করে,,এবং কপালে তিলক পরিধান করে। আর যে ভক্ত কপালে তিলক পরিধান করে না সে ভক্তের কপাল শ্বশানে পরিণিত হয়।
পবিত্র গোপী তিলক মাটি বা চন্দন শরীরে লেপন করলে পাপ ও অশুভ শক্তি বিনষ্ট হয়।
★বৈজ্ঞানিক ব্যাখ্যা কি?
👉গবেষণা করে জানা গেছে কপালে তিলক বা চন্দন দিলে মস্তিষ্ক ঠান্ডা রাখে, ধর্য্যশক্তি বৃদ্ধি করে, মনকে শান্ত রাখে!
সুতরাং সকল সনাতনধর্ম পালনকারীদের কপালে তিলক বা চন্দন দেওয়া উচিত।
সংগৃহীত 🙏🌹
নমো নমঃ তুলসী দেবী কৃষ্ণ প্রেয়সী 🙏🙏🙏
হরে কৃষ্ণ
হাতের তালুতেতিল চিহ্ন ও তার কিছু খারাপ প্রভাব👉🤲
👐১:-আয়ুরেখা তে তিল থাকলে ওই বয়সে রোগ এবং শোক বোঝায়।
👐২:-শিরোরেখা তে তিল থাকলে ওই বয়সে নানা অশান্তি বোঝায়।
👐৩:-ভাগ্য রেখা তে তিল চিহ্ন থাকলে ওই বয়সে ভাগ্যে উন্নতিতে বাধা বোঝায়।
👐৪:-রবি রেখা তে তিল চিহ্ন থাকলে সুনাম যশ এ বাধা মিথ্যা বদনাম প্রভৃতি বোঝায়।
👐৫:-হৃদয়ের এ খাতে তিল থাকলে প্রেমে ওই বয়সে আঘাতের জন্য মনে কষ্ট বোঝায়।
👐৬:-স্বাস্থ্য রেখার উপরে তিল থাকলে শরীরে নানা কষ্ট নির্দেশ করে।
👐৭:-বিবাহ রেখা তে তিল চিহ্ন থাকলে বিবাহে বাধা দাম্পত্য কলহ এমনকি ডিভোর্স পর্যন্ত বোঝায়।
👐৮:-শুক্রের ক্ষেত্রে তিল থাকলে বিপথগামী নারীসঙ্গ অথবা বিপথগামী নারী দ্বারা প্রতারণা বোঝায় ।ডায়াবেটিস, কিডনি রোগ ,যৌন রোগের ভয় থাকে।
👐৯:-বুধের ক্ষেত্রে তিল থাকলে ব্যবসায় লস ,প্রতারণা, বিবেক বুদ্ধি কম।
👐১০:-মঙ্গলের দুটি ক্ষেত্র হয় ,সেখানে তিল আঘাত দুর্ঘটনা কর্মে বাধা অস্ত্রাঘাত রক্তপাত অপারেশন বোঝায়।
🤲১১:-বৃহস্পতির ক্ষেত্রে তিল অনেক সময় ধর্মে অবিশ্বাস ,দুর্নাম, কলহ বোঝায়।
👐১২:-চন্দ্র এবং কেতু তে তিল থাকলে মানসিক অবসাদ ,মনের কষ্ট ,মানসিক পীড়া বোঝায়।
🙏 এটা সাধারন একটি পোস্ট গোটা জীবনের গল্প কিন্তু বুঝতে গেলে সমগ্র হাত এবং কুষ্টি সঠিকভাবে বিচার করতে হয় ।। সংগৃহীত
পিতৃঋণ
সুপ্রতিষ্ঠিত ছেলে জীবনে প্রথম মাসের
বেতন বাবার হাতে তুলে বাবাকে বলছে -"বাবা তুমি তো বলেছিলে পিতৃ ঋণ কোনদিন শোধ হয়
না। তুমি ছাব্বিশ বছরে আমার পেছনে যত টাকা খরচ
করেছো তুমি কি জানো আমি আগামী তিন বছরে সে টাকা তোমায় ফিরিয়ে দিতে পারবো"?
বাবা : ( কিছুটা মুচকি হেসে) "একটা গল্প শুনবি?"
ছেলেটা কিছুটা অপ্রস্তুত হয়ে গেলো। নিচু স্বরে বললো- "বলো বাবা শুনবো......"
- তোর বয়স যখন চার আমার মাসিক আয় তখন দুই হাজার টাকা। ওই টাকায় সংসার চালানোর কষ্ট বাড়ির কাউকে কখনো বুঝতে দিইনি। আমি আমার সাধ্যের মধ্যে সব সময় চেষ্টা করেছি তোর মা'কে সুখী করতে। তোকে যেবার স্কুলে ভর্তি করলাম সেবারই প্রথম আমরা দুজন-
আমি আর তোর মা পরিকল্পনা করেছি আমরা তোর পড়ার খরচের বিনিময়ে কি কি ত্যাগ করবো।
সে বছর তোর মাকে কিছুই দিতে পারিনি আমি।
তুই যখন কলেজে উঠলি আমাদের অবস্থা তখন মোটামুটি ভাল। কিন্তু খুব কষ্ট হয়ে গেছিল যখন তোর মা খুব অসুস্থ হয়ে পড়েছিল। ওষুধ কেনার জন্য রোজ রোজ ওভারটাইম করে বাসে করে; পায়ে হেটে, ঘামে ভিজে বাড়ি ফিরতে খুবই দুর্বিষহ লাগতো। কিন্তু কখনো কাউকে বুঝতে দিইনি, এমনকি তোর মাকেও না।
একদিন শো রুম থেকে একটা বাইক দেখে আসলাম। সে রাতে আমি স্বপ্নেও দেখেছিলাম আমি বাইকে চড়ে কাজে যাচ্ছি। কিন্তু পরের দিন তুই বায়না ধরলি ল্যাপটপ এর জন্য। তোর কষ্টে আমার কষ্ট
হয় বাবা। আমি তোকে ল্যাপটপটা কিনে দিয়েছিলাম।
আমার তখনকার এক টাকা তোর এখন এক পয়সা! কিন্তু মনে করে দেখ এই এক টাকা
দিয়ে তুই বন্ধুদের নিয়ে পার্টি করেছিস।
ব্রান্ড নিউ মোবাইলে হেড ফোন কানে দিয়ে সারা রাত গান শুনেছিস; পিকনিক করেছিস, ট্যুর করেছিস, কন্সার্ট দেখেছিস। তোর প্রতিটা দিন ছিল স্বপ্নের মতো।
আর তোর একশো টাকা নিয়ে আমি এখন হার্টের বাইপাস করাই, ডায়াবেটিস
মাপাই। জানিস আমার মাছ খাওয়া
নিষেধ, মাংস খাওয়া নিষেধ, কি করে এতো
টাকা খরচ করি বল! তোর টাকা নিয়ে তাই
আমি কল্পনার হাট বসাই। সে হাটে আমি
বাইক চালিয়ে সারা শহর ঘুরে বেড়াই।
বন্ধুদের নিয়ে সিনেমা দেখতে যাই। তোর
মায়ের হাত ধরে তাঁত মেলায় ঘুরে বেড়াই।
বাবারা নাকি তোদের ভাষায় "খাড়ুশ টাইপ"। আমিও আমার বাবাকে তাই ভাবতাম । পুরুষ থেকে পিতা হতে আমার কোনো কষ্টই হয়নি, সব কষ্ট তোর মা সহ্য করেছে। কিন্তু বিশ্বাস কর বাবা থেকে দ্বায়িত্বশীল বাবা হবার কষ্ট একজন বাবা'ই বোঝে।
যুগে যুগে সর্বস্থানে মাতৃবন্দনা হলেও পিতৃবন্দনা কোথাও দেখেছিস? পিতৃবন্দনা আমি আশাও করি না। সন্তানের প্রতি ভালোবাসা কোনো পিতা হয়তো প্রকাশ করতে পারে না, তবে কোনো পিতা কখনোই সন্তানের প্রতি দ্বায়িত্ব পালনে বিচ্যুত হয় না। আমি তোর জন্য আমার যে কষ্টার্জিত অর্থ ব্যায় করেছি তা হয়তো তুই তিন বছরে শোধ দিতে পারবি...... কিন্তু যৌবনে দেখা আমার স্বপ্নগুলো ??? যে স্বপ্নের কাঠামোতে দাঁড়িয়ে তুই আজ তোর ঋণশোধের কথা
বলছিস....... সেই স্বপ্নগুলো কি আর
কোনো দিন বাস্তব রুপ পাবে??????
বাবা চুপ করো প্লীজ!! আমি তোমার টাকা না তোমার ভালবাসা
তোমায় ফিরিয়ে দেবো।
হা..হা..হা.. বোকা ছেলে! বাবাদের ভালবাসা কখনো ফিরিয়ে দেয়া যায় না। ছোট্ট শিশুর মল মুত্রও মোছা যায় আর বুড়োদের ঘরেও ঢোকা যায় না। তোকে একটা প্রশ্ন করি বাবা। ধর তুই, আমি আর তোর খোকা তিন জন এক নৌকায় বসে আছি। হঠাৎ নৌকাটা ডুবতে শুরু করলো.....
যেকোন একজনকেই বাঁচাতে পারবি তুই। কাকে বাঁচাবি বল?
ছেলেটা হাজার চেষ্টা করেও এক চুল ঠোঁট
নড়াতে পারছে না!
উত্তর দিতে হবে না। ছেলেরা বাবা হয়,
বাবা কখনো ছেলে হতে পারে না।
পৃথিবীতে সব চেয়ে ভারী জিনিস কি জানিস? পিতার কাঁধে পুত্রের লাশ! আমি শুধু ভগবানের কাছে একটা জিনিসই চাই। আমার শেষ যাত্রায় যেন আমি আমার
ছেলের কাঁধে চড়ে যাই। তাহলেই তুই একটা ঋণ শোধ করতে পারবি - তোকে কোলে নেবার ঋণ........।
সংগৃহীত
|| বিশ্বাসে মিলায় বস্তু তর্কে বহুদূর ||
এই মন্ত্রটি ষোড়শ শতাব্দী থেকে চৈতন্য মহাপ্রভু দ্বারা ভক্তি আন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নিয়ে থাকে
১১৭৬ হরে কৃষ্ণ, আমাদের নিজস্ব ভাবে কিছু বিশ্বাস, অবিশ্বাস থাকতেই পারে কিন্তু অন্যের বিশ্বাস নিয়ে তামাশা করার অধিকার তোমার নেই, হরে কৃষ্ণ
#ভাদ্র মাসের কৃষ্ণ পক্ষের নবমী তিথি, আর এই তিথি কেই দশমহাবিদ্যার নবম মহাবিদ্যা শ্রী শ্রী মা মাতঙ্গী র আবির্ভাব তিথি ll
|| মাতঙ্গী ||
"ওঁ শ্যামাঙ্গীং শশিশেখরাং ত্রিনয়নাং রত্নসিংহাসনস্থিতাম্।
বেদৈর্বাহু দন্ডৈরসি খড়্গখেটক পাশাঙ্কুশ ধরাম ।।"
নবমী মহাবিদ্যা হলেন দেবী মাতঙ্গী।
ইনি পরমতম বিদ্যার অধিশ্বরী দেবী সরস্বতীর তেজস্বিনী মূর্তি। মাতঙ্গী সুরাধিশ্বরী । ইনি তান্ত্রিক সরস্বতী নামে আখ্যায়িতা ।
দেবী সরস্বতীর ন্যায় শুভ্রতা মাতঙ্গী দেবীর মধ্যে অনুপস্থিত।
মাতঙ্গীদেবী পরমাপ্রকৃতির আদি এবং শুদ্ধ রূপ। তাই তিনি শ্যামাঙ্গী হরিদ্বর্ণা শুচিস্মিতা ।
তিনি বিপদনাশিনী এবং অপার বিদ্যার আধারস্বরূপা।
তিনি কদম্বকাননে প্রথম আবির্ভূতা হয়েছিলেন এবং বলা হয় দেবীর কদম্বমালিকা অত্যন্ত প্রিয়।
তিনি কখনও চতুর্ভূজা কখনওবা অষ্টভূজা।
দেবী কখনও ধারণ করেন অস্ত্র আবার কখনওবা তার চতুর্হস্তে শোভা পায় চতুর্বেদ ।
দেবীর ত্রিনয়ন সুচারুভাবে স্থাপিত এবং তারা সূর্য, চন্দ্র ও অগ্নির প্রতীক ।
দেবীর উৎস নিয়ে কয়েকটি টুকরো টুকরো উপাখ্যান পাওয়া যায়।
দেবী কোথাও অসুরদলনী কোথাও আবার বরদাত্রী কখনও আবার ছলনাময়ী।
মাতঙ্গীর পুজা বৌদ্ধ যন্ত্র মতেও প্রচলিত। বলা হয়, কৃষ্ণানন্দ আগমবাগীশ প্রথম এই দেবীকে তিব্বত থেকে ভারতবর্ষে আনয়ন করেন এবং পুজাপ্রচার করেছিলেন।
ব্রহ্মযামলে মাতঙ্গী রূপের উপাখ্যান পাওয়া যায়।
একদা মাতঙ্গ নামক এক ঋষি বহুবৃক্ষসমন্বিত এক কদম্বকাননে ধ্যানস্থ হবার পরিকল্পনা করেন। কিন্তু ঋষির ধ্যানে বিঘ্ন ঘটাচ্ছিলো কাননের অজস্র পশুপাখিরা । কোকিলের সুমধুর কুহুতান, টিয়া কাকাতুয়ার মতো মধুচর্চিতকন্ঠধারী পাখিদের কলরবে ঋষির ধ্যান বারবার বিঘ্নিত হচ্ছিলো।
তখন ঋষি মাতঙ্গ ত্রিপুরাসুন্দরী দেবীর জপস্তুতি আরম্ভ করলেন, এই বাসনায় , যাতে তিনি ঐ কাননের সকল প্রাণীকে নিজের বশীভূত করতে পারেন। আরাধনায় তুষ্ট হয়ে দেবী ত্রিপুরাসুন্দরী এলেন এই সালঙ্কারা চন্ডালিনীর বেশে, ঋষির অভিষ্টপূরণকারিণী রূপে। কিন্তু দেবীর শর্ত ছিল যে ঋষি নিজে কখনও প্রাণীদের বশ করতে পারবেননা। তাই স্বয়ং মহাদেবী তার আশ্রমে তার কন্যা রূপে আবির্ভূতা হবেন, সেই করবে সমগ্র প্রকৃতির নিয়ন্ত্রণ। এই মর্মে দেবী বিদায় নিলেন এবং আবির্ভূতা হলেন মাতঙ্গ মুনির কন্যা রূপে। ঋষি তার নামকরণ করলেন "মাতঙ্গী" ।
মার্কন্ডেয় পুরাণে পাওয়া যায় মাতঙ্গীর অপর একটি উপাখ্যান। সেখানে তিনি অসুরদলনী ।
একদা মতঙ্গাসুর নামক এক দৈত্য মহাদেবের কঠোর তপস্যা আরম্ভ করলো। অবশেষে ভোলা তুষ্ট হয়ে অসুরকে দর্শন দিলেন এবং মনষ্কামনা ব্যক্ত করতে বললেন। অসুর বললো, তাকে এমন ক্ষমতা প্রদান করতে যাতে এ জগতের কোনো প্রাণী তার বিনাশ সাধন না করতে পারে এবং কোনো শুদ্ধাচারে পূজিত দেবতাও তার ক্ষমতান্ত করতে পারবেন না।
এই মর্মে মহাদেব তাকে বরদান করলেন। অতঃপর শুরু হলো তান্ডব। মতঙ্গাসুর দেবলোক নয়, আক্রমণ করলো মর্তলোকে। সেখানকার সমস্ত প্রাণীকে সে তার বশবর্তী করে তুললো। পন্ড করতে থাকলো সমস্ত দেবতাদের যজ্ঞ । যজ্ঞের ভোগ না পেয়ে দেবতাদের শক্তিহ্রাস হতে থাকলে তারা সকলে মহামায়ার স্মরণাপন্ন হলেন।
মহামায়া দেখা দিলেন ত্রিপুরাসুন্দরী রুপে। দেবতারা তাদের মনষ্কামনা ব্যক্ত করলেন এবং বললেন কোনো শুদ্ধাচারে পূজিত দেবতা তার বিনষ্টের কারণ হতে পারবেন না।
অতঃপর দেবী ধারণ করলেন তার উচ্ছিষ্টভোগ্যা মাতঙ্গী রূপ। দেবী মর্তধামে এলেন এবং সৃষ্টির করলেন অভেদ্য কুহক। তার টিয়া ও শুকপাখির সুমধুর কন্ঠস্বরে মতঙ্গাসুরকে তিনি আবিষ্ট করলেন । শুকপাখির স্বর দ্বারা সম্মোহিত মতঙ্গাসুর সমস্ত বুদ্ধিভ্রষ্ট হয়ে দেবীর নিকট এলো। তখন দেবী মাতঙ্গী তাকে সন্মুখসমরে পরাজিত করলেন।
ললিতোপাখ্যান অনুসারে, দেবী মাতঙ্গী হলেন ত্রিপুরাসুন্দরীর প্রধানমন্ত্রী। তার অপর নাম মন্ত্রিণী । তিনি ভন্ডাসুর দমনে ত্রিপুরাসুন্দরী কে সহায়তা করেছিলেন।
দেবী মাতঙ্গী রহস্যময়ী । হিন্দুপুরাণে একমাত্র এই দেবীই যিনি শুদ্ধাচারে পুজা গ্রহণ করেননা। তিনি উচ্ছিষ্টভোগ্যা।
একবার পার্বতী কৈলাসে সকল দেবগণকে আমন্ত্রণ জানান। কিন্তু বিনানিমন্ত্রণে সেখানে হাজির হয় একদল চন্ডাল সম্প্রদায়ের ব্যক্তি। কৈলাসের দ্বার রক্ষী নন্দী ও ভৃঙ্গী তাদের পার্বতীর সাথে সাক্ষাৎকারে বাধাপ্রদান করলেন। এবং বললেন মাতা কখনও চন্ডালদের অশুচি হস্তের নৈবেদ্য গ্রহণ করেননা।
এমতাবস্থায় পার্বতী স্বয়ং এলেন কৈলাসের সিংহদ্বারে। তিনি বললেন, মায়ের কখনও জাতিভেদ, শুদ্ধ অশুদ্ধ ভেদ থাকতে পারেনা। মা সকলের সমান । তাই আজ থেকে তিনি চন্ডালিনীরূপে চন্ডালদের মাঝেই বসবাস করবেন এবং তাদের উচ্ছিষ্ট খেয়েই জীবনধারণ করবেন।
এই মর্মে দেবী ধারণ করলেন তার মাতঙ্গী রূপ এবং কৈলাস ত্যাগ করে চলে গেলেন চন্ডালরাজ্যে।
অতঃপর ধাত্রীহীন কৈলাসে মহাদেব তো স্থির থাকতে পারলেন না। তিনি স্বয়ং নিলেন চন্ডাল রূপ এবং মাতঙ্গীর পতি মাতঙ্গ রূপে চন্ডালরাজ্যে গমন করলেন দেবীকে আহরণের জন্য । দেবীর কাছে উপস্থিত হলে তিনি জানিয়ে দেন যে পার্বতী সদাসর্বদা মাতঙ্গী রূপেই চন্ডালদের পুজাগ্রহণ করতে চান । দেবাদিদেব তাকে এই আশীর্বাদ দিয়ে ফিরিয়ে নিয়ে এলেন কৈলাসে।
মাতঙ্গী হলেন সূর্যের ইষ্টদেবী। তন্ত্রশাস্ত্রীয় দেবী ত্রিকোণাকৃতি রত্নমঞ্চে আসীন । তার লোহিতাভ বস্ত্র অগ্নির ত্যেজ স্বরূপ । এনার বীণা শব্দ বা নাদের প্রতীক । টিয়া, কাকাতুয়ার কন্ঠনিসৃত "হ্রীং" ধ্বনি বীজমন্ত্রছর প্রতীক । শুকপাখি হলো পরমবিদ্যার প্রতীক। এবং শঙ্খপাত্রের অমৃত মধুরতার প্রতীক।
এই দেবীকে শিবের যোগ্য শক্তি কল্পনা করা হয় এবং মনে করা হয় ইনিও শ্মশানচারিণী ডোমদের আরাদ্ধ্যা। তাই এনাকে "ডামরী'' নামেও পুজা করা হয়ে থাকে। কিছু কিছু মতে ডামরী কোনো দেবী নন, ইনি মাতঙ্গীর উপদেবী, অর্থাৎ মাতঙ্গীর মতোই চরিত্র অথচ মাতঙ্গী নন। হিন্দু শাস্ত্রে তিনটি ভাগে চৌষট্টি টি অর্থাৎ সর্বমোট ১৯২টি তন্ত্রের অস্তিত্ব আছে । ডামর তন্ত্র তার অন্যতম । অত্যন্ত দুর্লভ এই তন্ত্র পদ্ধতি, অতিভয়াবহ। মাতঙ্গীর সঠিক সাধনায় এই ভয়ংকর ডামরীশক্তি জাগ্রত হয়, যা বেশিরভাগ ক্ষেত্রে সাধকের দ্বারা নিয়ন্ত্রণ অসম্ভব হয়ে যায়। মাতঙ্গীর সাধনাপদ্ধতি গোপন ও গুঢ়ো। পূজারী ক্লিন্নতা মুক্ত হন, তবে এনার সাধনার ফল দুটি- সিদ্ধি অথবা মৃত্যু।
❤️ #ঘরে_পেঁচা_প্রবেশ_করলে_অমঙ্গল...❗❓
সনাতনী সমাজে পেঁচাকে ভগবতী মা লক্ষী দেবীর বাহন হিসেবে পূজা করা হলেও গৃহে পেঁচা প্রবেশ করলে গৃহশান্তি করতে হয়। শাস্ত্রীয়ভাবে এই শান্তি বিধিকে বলা হয় "অদ্ভুত শান্তি"।।
সম্প্রতি এই বিষয়টা নিয়ে অনেক শিক্ষিত ব্যক্তিরা প্রশ্ন তুলেছেন। আবার দেখা যায় অনেকে শাস্ত্র জ্ঞানের অভাবে এই বিষয়টাকে কুসংস্কার ও অশাস্ত্রীয় বলে উড়িয়ে দিচ্ছেন। এই পরিস্থিতিতে আমি এই বিধি ব্যবস্থার শাস্ত্রীয় প্রমাণ ও ব্যখ্যা দিতে প্রবৃত্ত হলাম।
আসুন দেখি পেঁচা ঘরে প্রবেশ করলে কি হয় তা শাস্ত্র থেকেই জেনে নিই–
"উলূকো দৃশ্যতে যত্র নৃপদ্বারেতথা গৃহে।
জ্ঞেয়ো গৃহপতেমৃর্ত্যুধননাশস্তথৈবচ"।।
(শ্রীমৎস্য পুরাণম্-২৩৮/১২)
অর্থাৎ -উলূক (পেঁচা) ঘরে প্রবেশ করলে গৃহ কর্তার মৃত্যুযোগ এবং গৃহের ধনসম্পদ নাশ হয়।
এখন প্রশ্ন আসতে পারে, পেঁচা ঢুকলে এমনটা কেন হয়? বা পেঁচার দোষটা কি??
শাস্ত্রই আবার তার উত্তর দিচ্ছে...
"পুরুষাপচারান্নিয়তমপরজান্তি দেবতাঃ।
ততোহপরাগাদ্দেবানামুপসর্গঃ প্রবর্ততেঃ।।
(শ্রী মৎস্য পুরাণম্ -২২৯/০৫)
অর্থাৎ, ব্যক্তির নিয়ত অপচারে দেবগণ রুষ্ট হন।অনন্তর দেবগণ রুষ্ট হইলে উপসর্গ উপস্থিত হয়।।
এখানে মূল বিষয় হলো, যখন কোনো ব্যক্তি বা তার পরিবার ধর্ম বিরোধী পাপ কাজে লিপ্ত হয়, তখন দেবতাগণ সেই পরিবারের কর্তা এবং অন্যদের উপর রুষ্ট হন। তখন দেবতাগণ কৃপা করে ঐ ব্যক্তির ঘরে নানা প্রকার সংকেত পাঠান।
যার মধ্যে অন্যতম হলো পেঁচার দ্বারা সংকেত।দেবতাগণ পেঁচাকে ঘরে পাঠিয়ে সংকেত প্রদান করেন যে এই পরিবারের কর্তা ব্যক্তিদের কাজে দেবতাগণ রুষ্ট হয়েছেন। এর শাস্তি স্বরূপ এই পরিবারের ধনসম্পদ অর্থ ধ্বংস হতে পারে এবং গৃহ কর্তার মৃত্যুও হতে পারে। এবং খুব শীঘ্রই ঐ ব্যক্তি যাতে সঠিক ধর্ম পথে পরিচালিত হয় এবং এই পাপ কাজের প্রায়শ্চিত্ত স্বরূপ শান্তি ও পূজা করান।
পেঁচা অমঙ্গলের প্রতীক নয়, বরং পেঁচা দেবগণের সংকেত নিয়ে আসে, যাতে মানুষ ভবিষ্যৎ অমঙ্গলের হাত থেকে রক্ষা পায়।
আর দেবতাদের দ্বারা এই সংকেত শুধুমাত্র তারাই পান, যাদের পূর্বজন্মকৃত কোনো পূণ্য থাকে। পেঁচা ঢুকার পর অতি শীঘ্র কালবিলম্ব না করে বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ দ্বারা অদ্ভুত শান্তি করার বিধানও মৎসপুরাণের ২২৯ অধ্যায়, ২৩৭অধ্যায়, ২৩৮অধ্যায়, বায়ুপুরাণম্, গরুড়পুরাণম এর উত্তর খন্ড সহ নানা শাস্ত্রে বর্ণিত হয়েছে। ((সংগৃহীত
জয় মা লক্ষ্মী 🙏🙏❤️🌺🌺🌺
Copy
#হাতে_লাল_সুতো_বাঁধা_হয়_কেন... 🤔
হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে, রাস্তাঘাটে চলতে গিয়ে আপনি হয়তো লক্ষ্য করে থাকবেন অনেক লোকের কবজিতে এক গুছো লাল সুতো বাঁধা থাকে। সাধারণত হিন্দু ধর্মের লোকেরা বিপদতারিনী পূজোর লাল সুতো হাতে বেধে থাকে।
তাদের বিশ্বাস এই অলৌকিক সুতো সমস্ত অমঙ্গল ও বিপদ আপদ থেকে তাদের নিরাপদ রাখবে। বিভিন্ন যজ্ঞ ও পূজো ছাড়াও পুরাণে লাল সুতো ব্যবহারের আরো কিছু উদাহরণ পাওয়া যায়।
#প্রথমতঃ ভক্ত প্রহ্লাদের পৌত্র বলিরাজ ব্রহ্মার আশীর্বাদে সর্গ, মর্ত্য ও পাতালের অধিকারী হয়েছিলেন। দেবরাজ ইন্দ্রের সিংহাসন রক্ষা করতে ভগবান বিষ্ণু বামন রূপে জন্মগ্রহণ করে বলিরাজকে পাতালে পাঠিয়ে দেন। ভগবান বিষ্ণু বলিরাজকে অমরত্ব দান করেন। আশীর্বাদ স্বরূপ তিনি তার হাতে বেধে দেন লাল সুতো। তাই ভগবানের আশীর্বাদ হিসেবে হিন্দুদের মধ্যে হাতে লাল সুতো বাঁধার প্রচলন রয়েছে।
#দ্বিতীয়তঃ একসময় দেবতা ও অসুরদের মধ্যে প্রচন্ড যুদ্ধ শুরু হয়,অসুরদের পরাক্রম দেখে দেবরাজ ইন্দ্র খুব চিন্তিত হয়ে পড়েন। স্বামীকে চিন্তিত দেখে স্ত্রী ইন্দ্রাণী তার জন্য প্রার্থনা শুরু করেন। ইন্দ্রাণী তার আধ্যাত্বিক শক্তি একত্রিত করে লাল সুতো দিয়ে একটা মালা তৈরি করেন।
তারপর দেবরাজ ইন্দ্রের মঙ্গল কামনা করে সেই লাল সুতোর মালা তার গলায় বেধে দেন যাতে অসুরেরা তাকে আঘাত করতে না পারে। এরপর দেবতা ও অসুরদের মধ্যে ভয়ংকর যুদ্ধ শুরু হয়। ইন্দ্রের নেতৃত্বে দেবতারা যুদ্ধে জয় লাভ করেন। তখন থেকেই বিপদ থেকে রক্ষা পেতে মন্ত্রপূত লাল সুতো বাঁধার প্রচলন হয়।
চুরাশি লক্ষ যোনি ভ্রমণ সম্পর্কে- পুরাণাদি শাস্ত্রে যা আছে তার বিবরণঃ-
🚩------------------------ওঁ-----------------------🚩
৩০ লক্ষ বার বৃক্ষ যোনিতে জন্ম হয়। এটাতে সবচেয়ে বেশি কষ্ট হয়। রৌদ্রের তাপ লাগে, ঝড় বৃষ্টির ফলে ডালপালা ভাঙ্গে। শীতকালে সব পাতা ঝরে যায়, কুঠার দিয়ে কাটা হয়। আরো অনেক প্রকার কষ্ট পায়।
তারপর জলচর রুপে জন্ম হয়। এই রুপে ৯ লক্ষবার জন্ম হয়। হাত নেই,পা নেই শুধু দেহ আর মাথা। খায় পচা মাংস আর যা পায়। একজনের মাংস আরেকজন খেয়ে জীবন রক্ষা করে।
তারপর ক্রিমি যোনি। ১০লক্ষ বার জন্মে।
১১লক্ষবার পাখি রূপে। তাদের ঘর বাড়ি নেই। গাছে গাছে থাকে। জোঁক,পোকা, পচা গলা যা পায় তা খায়। নিজে না খেয়ে সন্তানকে খাওয়ায়। যখন সন্তান উড়তে পারে তখন আর ফিরেও তাকায় না। যদি কাক আর শকুনি হয়ে জন্মায় তবে অনেকদিন বেঁচে থাকে।
২০ লক্ষবার পশু যোনি। নানা পশু নানা কষ্ট পায়। কোনো পশু হিংস্র পশু দ্বারা আক্রান্ত। কেউ বা লোকালয়ে লুকিয়ে থাকে। কেউ একে অন্যকে মেরে খায়। কেউবা ঘাস তৃণ খায়। হাল চাষে গাড়ি টানায়। যত রোগশোক হয় দিনরাত মল মুত্রের সাথেই বাস করতে হয়।
গো-যোনিতে জন্ম লাভ পশুর মধ্যে শ্রেষ্ঠ গো-র শেষ আর পশু জন্ম নেই।
তারপর মানব কুলেতে জন্ম ৪লক্ষ বার। বনের মানুষ বনের মধ্যে তারা পশুসম খাবার খায় তাদের আত্ম-পর জ্ঞান নেই।
তারপর পাহাড়িয়া জাতির জন্ম হয়। নাগা, কুকি, সাওতালি।
তারপর জন্ম হয় অধম কুলে। তারা দেবধর্ম মানেনা। অপকর্ম করে। মদ্য পান করে।
তারপর শুদ্রুকুলে জন্ম। যা কর্ম করে তা নিজেই ভোগ করে। কেউ অন্ধ, কেউ কানে শুনেনা ইত্যাদি হয়। কারো স্বভাব ভাল হয় কর্মগুণে।
তারপর জন্মায় বৈশ্য জাতি কুলে। কর্ম অনুযায়ি ফল ভোগ করে ওরা।
তারপর ক্ষত্রিয়। কর্ম ফলে ফল ভাগি হয়।
অবশেষে ব্রাহ্মণকুলে জন্মায়। এখানে আর একাধিকবার জন্ম হয়না। উত্তম ব্রাহ্মণ জন্ম তার শ্রেষ্ঠ। ব্রহ্মজ্ঞান থাকলেই সে ব্রাহ্মণ। নিজের উদ্ধারে সে আত্মজ্ঞান লাভ করে। শুধু ব্রাহ্মণ কুলে জন্মালেই উদ্ধার হওয়া যায়না। যদি সে জ্ঞান লাভ করতে না পারে তবে পুনরায় সে চুরাশিলক্ষ যোনি পদে ঘুরে। বারবার জন্মলাভে কষ্ট পায়। আর কোনো উপায় নেই যদিনা ভগবানের শরণাগত হয়।
বড় দূর্লভ এই মানব জীবন,অনেক রাস্তা পার করে এখানে আসতে হয়ছে,তাই এই দূর্লভ মানব জীবন কে সফল করো,কৃষ্ণ নাম করে মুক্তির পথ প্রশস্ত করো।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।🙏
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।🙏
জয় শ্রীকৃষ্ণ🙏
#সংগৃহীত ✌️
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the place of worship
Telephone
Website
Address
Singapore
50, Rivervale Crescent, Sengkang
Singapore, 545029
The installation of the Divine Statue of Sri Shirdi Sai Baba Maharaja at AVGMT for devotees.
931 Upper Bukit Timah Road
Singapore, 678207
Established in 1962, the Murugan Hill Temple has come a long way since its early days up on the hill in Sungei Tengah to Upper Bukit Timah. Back then, thousands of devotees would t...
50 Rivervale Crescent
Singapore, 545029
Official page of Arulmigu Velmurugan Gnanamuneeswarar Temple. Discover divinity at #AVGMT
141 Serangoon Road
Singapore, 218042
Temple opens at 5.30 am, Morning Pooja at 7.30 am,. Afternoon Pooja at 12.00 pm before temple close
73 Keong Saik Road
Singapore, 089167
This page is voluntarily run by anonymous devotees of Sri Layan Sithi Vinayagar Temple in Singapore.