চিকিৎসা বিজ্ঞানের আপডেট

আব্বা হওয়ার দিন শেষ 🥴🥴

একটি শিশু জন্মের পরই যখন বাবা মা জানতে পারেন তার সন্তানের এমন একটা জন্মগত রোগ নিয়ে জন্মেছেন, যা অনিরাময়যোগ্য। সেই রোগের নাম Congenital Biliary atresia... যেই রোগে লিভার থেকে পিত্তরস বের হতে পারে না, যার ফলে জন্ম থেকেই জন্ডিস নিয়ে বাচ্চা জন্ম নেয় এবং সেটা বাড়তেই থাকে।

এক সময় সেই বিলিরুবিনের ব্যাক ফ্লো হতে হতে খুব অল্প বয়সেই বাচ্চাদের লিভার সিরোসিস হয়ে যায় এবং করুণ পরিনতি মৃত্যু।।

এই রোগের পার্মানেন্ট চিকিৎসা হলো - Liver Transplantation... আর বাইপাস চিকিৎসা হিসেবে Kasai Operation করা যায়।।

১৯৯৭ সালে বিভেন শুকেট নামের পাঁচ দিনের একটা বাচ্চা ভর্তি হলো ইংল্যান্ডের কিংস কলেজ হাসপাতালে।। বিভেনের এই Congenital Biliary atresia ছিল।। এতো ফুটফুটে শিশুকে দেখে খুব মায়া লাগল সার্জনের। তিনি চাইলেন এই বাচ্চার পার্মানেন্ট চিকিৎসা লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করাবেন। কিন্তু এতো ছোট পাঁচ দিনের বাচ্চার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট কিভাবে করবেন, সেটা নিয়ে দুশ্চিন্তায় পড়ে গেলেন। কারন এতো ছোট বাচ্চার জন্য লিভারের অংশ কে দিবে, এতো ছোট বাচ্চার ক্ষেত্রেও অপারেশন ঝুঁকি বেশি।

তবুও চিকিৎসক পাঁচ দিনের বাচ্চার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার ঝুঁকি নিতে চাইলেন। লিভার ডোনার পাওয়া গেলো। বাবা মাও ঝুঁকি নিতে রাজী হলেন।।

চিকিৎসকও সফল ভাবে পাঁচ দিনের বাচ্চার লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করতে সক্ষম হন। গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড এ স্থান এই রেকর্ড। এতো ছোট্ট শিশুর শরীরে ট্রান্সপ্লান্ট কেউ হয়তো আগে ভাবেও নি।।

২০ বছর পর সার্জন ও রোগীর সাথে আবার দেখা হলো। আবেগ ধরে রাখা অনেক কঠিন। পুরো সার্জারী টিমের সবার সাথেই দেখা করতে এসেছিলেন বিভেন। তাদের সাথে পুরো দিন কাটিয়েছেন। সার্জন টিমও পুলকিত। কারন বিভেনই একমাত্র মানুষ যিনি লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করার পর সবচেয়ে বেশি সময় বেঁচে আছেন।

এই সার্জনকে নিয়ে কিছু কথা না বললেই নয়।।

বিভেনের সার্জনের নাম ছিল "মোহাম্মদ রেলা"। মোহাম্মদ গত পয়ত্রিশ বছর প্রাক্টিস লাইফে প্রায় ৩,৪০০ এর বেশী লিভার ট্রান্সপ্লান্ট করেছেন। ট্রান্সপ্লান্ট জগৎ ঘুরলে তার চেয়ে বড় ট্রান্সপ্লান্ট সার্জন দুনিয়ায় নাই। তিনি ইন্ডিয়ার তামিল নাইডু অরিজিন ব্রিটিশ সার্জন।। তার ইন্টারন্যাশনাল জার্নাল আর্টকেল আছে প্রায় ৩০০।

Please follow my Urologist Dr. Sayed Sujon Page for interesting medical news...

:) :)

মায়ের মুখে শিশুর এন্টিবায়োটিক :

ছোট বাচ্চা দেখলে সবারই আদর করতে ইচ্ছা করে। সবাই চুমুও দেয়। তবে আপনার চুমুতে কোনো কাজ না হলেও শিশুর মায়ের চুমুতে বাচ্চার রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ে। বাচ্চার শরীরে ইনডাইরেক্ট হাই ইমুউনিটি ডেভেলপ করে।।

নিউজিল্যান্ডের এক গবেষণা থেকে সম্প্রতি এমনটিই জানা গেছে। জন্মানোর পর সব সন্তান মায়ের কাছ থেকে উষ্ণ আদর পায়। মা কোলে নেয়, আদর করে। সেই সময়ে শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা না থাকলেও মায়ের চুমু রোগের প্রতিষেধক হিসেবে কাজ করে। বিশেষ করে কান ও গলার ইনফেকশন রোধ হয় মায়ের প্রথম চুমুতে।

ইউনিভার্সিটি অফ ওটাগোর গবেষকরা জানিয়েছেন, সন্তান জন্মানোর এক মাস আগে থেকেই মায়ের মুখে এক ধরণের ব্যাকটেরিয়া জন্মায় যা শিশুর শরীর থেকে কে-১২ নামে একটি ব্যাকটেরিয়াকে দূর করে দেয়। এছাড়া মায়ের প্রথম চুমু সন্তানের কান ও গলার ইনফেকশন রোধে সহায়তা করে।

ফ্যাক্ট :
যুবক যুবতী বা কাছাকাছি বয়সীদের এসব দিলে এন্টিবায়োটিক এর পরিবর্তে ইনফেকশন হতে পারে।। কারন মেয়েদের মুখে থাকে Epstein Barr ভাইরাস। যা দিয়া Infectious Mononucleosis রোগ হতে পারে।। সেটা ব্রেইনেও ইনফেকশন করতে পারে।।

:p :p :p :p :p

👉👉 রাজা, বাদশা, সম্রাট প্রভৃতি শব্দ দ্বারা দেশ বা রাজ্যের শাসক বােঝালেও সাধারণত হিন্দু শাসককে 'রাজা', মুসলমান শাসককে 'বাদশাহ' এবং 'সম্রাট' শব্দ দ্বারা হিন্দু-মুসলিম উভয় শাসককে বােঝায়।

ছােট ভূখণ্ড বা জনপদ নিয়ে রাজার কর্তৃত্ব ছিল। আর বাদশাহ ও সম্রাটের কর্তৃত্ব ছিল রাজার চাইতে অনেক বড় অঞ্চলের।

অন্যদিকে নওয়াব বা নবাব (হিন্দি) হলাে মােগল প্রশাসনিক ব্যবস্থায় কেন্দ্রীয় কর্তৃপক্ষের প্রতিনিধি (শাসক)। মুর্শিদকুলী খান থেকে সিরাজউদ্দৌলার সময় পর্যন্ত নওয়াবি যুগের প্রচলন ছিল। ক্ষেত্রবিশেষে এটি রাষ্ট্র কর্তৃক সম্মানসূচক উপাধি বা খেতাব হিসেবেও ব্যবহৃত হতাে।👉👉😍😍

সুলতান আরবি শব্দ যা অর্থ হলো শাসন সংক্রান্ত একটি পদবি। মূলত এটি একটি আরবি বিশেষ্য যার অর্থ “শক্তি”, “কর্তৃত্ব”, “শাসকত্ব”। এর উৎপত্তি হয়েছে সুলতাহ থেকে যার অর্থ "কর্তৃত্ব" বা "ক্ষমতা"। পরবর্তীতে এটি বিভিন্ন শাসকের উপাধি হিসেবে ব্যবহৃত হয়। এসকল শাসকরা খিলাফত কর্তৃক সরাসরি নিয়ন্ত্রিত না হয়ে সার্বভৌমভাবে শাসন করতেন। সুলতান কর্তৃক শাসিত অঞ্চলকে সালতানাত বলা হয়।👉💥💥💥

আমার মাথায় এসব আজে বাজে প্রশ্ন জাগে 😂😂😂🫣🫣

নায়িকা সাবানা ও সদ্য প্রয়াত নায়িকা দিতিকে সবাই তাদের মুখের তিলের জন্য সবার থেকে আলাদা ছিলেন।। আসুন জেনে নেই - তিলের মধ্যে কি ভেজাল থাকে।।

সারা শরীরে জন্মগত যেসব তিল হয়, মুখে ত হয় তার ১৫ ভাগ মাত্র। এটা মুখের সৌন্দর্যে নতুন মাত্রা যোগ করে। মুখের তিল হলো গুচ্ছ খানেক Melanocyte এর এবনরমাল কালেকশন। যদিও এটা বিনাইন টিউমার।

কিন্তু মাঝে মাঝে এই তিল থেকেই হয়ে যেতে ক্যান্সার। বলা হয়ে থাকে যে - মুখে তিলে সর্বোচ্চ ৪২% ক্ষেত্রে ক্যান্সার হতে পারে। সুতরাং বুঝা যাচ্ছে এটা শুধু রূপ না , বিপদ সংকেতও বটে।

যখন মুখের কোনো তিল হঠাত করেই কালার চেঞ্জ হয়ে যাবে- বিশেষ করে ব্রাউন কালার হয়ে যাবে অথবা দ্রুত সাইজ বেড়ে গেলে- ধরে নিতে হবে কোনো খারাপ কিছু হাতছানি দিচ্ছে।

যদি খ্রাপ কিছু হয় সেটা হবে – ম্যালিগন্যান্ট মেলানোমা । যেটা খুব তাড়াতাড়ি Metastasis হয়ে যায়।

পরিসংখ্যান ::

সারা পৃথিবী তে প্রতি ঘন্টায় ১ জন মারা যায় এই মেলানোমায়। ৯০ ভাগ মেলানোমার রোগীর আল্ট্রাভায়োলেট Ray এর সংস্পর্শে আসার হিস্ট্রি থাকে। ২০ থেকে ২৯ বছর বয়সী মানুষের সবচেয়ে কমন ক্যান্সার এটা। তাই সময় থাকতে সাবধান।

১৯৭০ সালের চেয়ে ২০১০ সালে এই ৪০ বছরে এটার প্রিভালেন্স বেড়েছে ৫ গুন।

খারাপ কিছু হবার আগেই কেটে ফেলুন অবস্তু গুলো।

💉🏥🩺Please follow my page for more educational post....

:) :) :)

দুই জমজ বাচ্চা।। আমার রোগী।। Monozygotic Twin... তাই বেশি কিউট লাগে।। এত্তো মিস্টি করে কথা বলে।। ভুবন ভোলানো হাসি।।।

সবাই বলে - ""জোড়া বাচ্চার স্বভাব, ভাগ্য, রোগও নাকি জোড়া জোড়া থাকে"".. তাই তাদের ড্রেস থেকে শুরু করে সব কিছুই একি রকম।।

তাদের জ্বর আসছে, তাও নাকি একি সাথে।।

কিন্তু এটা সম্পূর্ণ ভুয়া কথা।। জোড়া বাচ্চার সব কিছু জোড়া জোড়া।। কিন্তু তার বাবা মা বুঝতে নারাজ।।

এটা সত্যি - মনোজাইগোটিক বাচ্চা গুলা এক জাইগোট থেকে তৈরি হয়।। তাই চেহারা, রক্তের গ্রুপ এক থাকে।। এমনকি মায়ের পেটেও একি খাবার ভাগ করে খায়।। সব কিছুই একে অন্যের মত।।

কিন্তু যখন জন্ম হয়ে যায়।। তাদের সব কিছু ব্যক্তিগত হয়ে যায়।। এক সাথে থাকে - তাই কমন সোর্স ইনফেকশন হতে পারে।। কিন্তু বাকি সব আলাদা।।

তাদের বাবা মা কে বুঝানোর জন্য একটা উদাহরণ দিলাম।। তাদের রোল নাম্বার জানতে চাইলাম।। একজনের ৩৫, আরেক জনের ৩৬..

এখন আমিই উল্টা জিজ্ঞাসা করলাম - তাদের সব একই হলে, ওদের রোল আলাদা কেন?? একজনের রোল বিজোড়, আরেকজনের জোড় কেন।।

তাদের বাবা মা চুপ হইয়া গেলেন।। বুঝতে পারলেন- টুইন মানেই সব কিছু সেম নয়।। সেলুলার স্ট্রাকচার সেম হলেও, পৃথিবীর অবস্থান, ভাগ্য, যোগ্যতা ও মেধা আলাদা হতেই পারে।।

:) :) :) :) :)

এই দুইজন চিকিৎসকের মধ্যে কি কি মিল আছে, আপনারা হয়তো অনেকেই জানেন না।

আসুন জেনে নেই কিছু গুরুত্বপূর্ণ মিল-

১. তারা দুজনেই বাংলাদেশের ময়মনসিংহ মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেছেন। 🇧🇩🇧🇩🇧🇩

২. তারা দুজনেই বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেছেন। 🇧🇩🇧🇩

৩. তারা দুজনেই সিঙ্গাপুরের সবচেয়ে বড় হাসপাতাল সিঙ্গাপুর জেনারেল হাসপাতাল থেকে ফেলোশিপ করেছেন। 🇸🇬🇸🇬🇸🇬

৪. তারা দুজনেই যুক্তরাজ্য থেকে প্রেস্টিজিয়াস MRCS ডিগ্রি অর্জন করেছেন। 🇬🇧🇬🇧

৫. তারা দুজনেই ইউরোলজি ও এন্ড্রোলজি বিশেষজ্ঞ ও সার্জন।🏥🩺💉

৬. তারা দুজনেই এখন বাংলাদেশে থাকেন না। 🤐🤐🤐

৭. একজন অলরেডি প্রধানমন্ত্রী হয়ে গেছেন, আরেকজন হওয়ার পথে। 😂😂

Dr Lotay Tshering vs Urologist Dr. Sayed Sujon 😁😁

৬০০ নাম্বারের মধ্যে ৫৯৩ পেয়ে প্রথম স্থান অধিকারিণী তাবাসসুম শেখ 👍👍👍🤗🤗

অর্থোপেডিক সার্জারীতে MS, FCPS করারা প্র* তা* র*ক। শুধু মাত্র মরহুম রেনু নানুর ছেলেরা রিয়াল 😂😂😂😂 হাড্ডি জোড়া না লেগে যাবে কই 🫣🫣

MBBS 😂😂

হাসপাতালে দেখতাম- রোগীর লোক বগলের নিচে রক্তের ব্যাগ রেখে রক্ত গরম করতেছে। কম্বলে পেচিয়েও অনেকে গরম করে, যা ঠিক নয়। 😒😒😒

প্রাচীন মিশরে সমাজের সর্বোচ্চ পদমর্যাদার পুরুষরাই শুধু নেইল পলিশ ব্যবহার করতো। রেভলন কোম্পানী গাড়ী রঙ করার উপাদান দিয়ে প্রথম নখ রাঙানোর উপাদান নেইল পলিশ উৎপাদন করেন বানিজ্যিক ভাবে । বলা হয়ে থাকে নেইল পলিশ যদি ফ্রিজে রেখে দেয়া হয় তাহলে এটি ভালো থাকে অনেক বছর।

মজার বিষয় হলো- Nail Polish Remover এর কোনো এক্সপায়ার ডেট থাকে না। এটার মেয়াদ আজীবন ।

মেনিকিউর আর পেডিকিউর করে নেইলের আর্টিফিশিয়াল সৌন্দর্য বানানো হয়। কিন্তু ন্যাচারাল মেথড হলো- Clubbing যেখানে নেইল হয় ডাম্বেল শেপ, Koilonychia যেখানে নেইল হয় চামচ শেপ, Leuconychia যেখানে নেইল হয় শ্বেত শুভ্র। :p :p

মুসলিম মেয়েদের চেনার উপায় হলো হাত ও নখের মেহেদী। কিন্তু দিনে দিনে সেটা রিপ্লেস হয়ে হয়ে গেছে নেইল পলিশ দিয়ে। বলা হয়ে থাকে মেয়েদের হায়েজ ও নেফাজের সময় (যখন নামাজ পড়া যায়েজ না) শুধু নখ কালার করা যাবে। কিন্তু দেখা যায় অনেকে সারা বছর দিয়ে রাখেন এই নেইল পলিশ। অবশ্য মুরাদ টাকলা চ্যানেল থেকে জানা গেছে- যাদের Prolong Menorrhagia আছে, শুধু তারাই নাকি সারা মাস দিয়ে রাখেন ।

Please follow my page for more educational post...

🙏👍👍🙏

দুইটা কথা মনে রাখবেন-

১. যৌ*ন* রোগের নাম করে যেসব রোগী দেখাতে আসেন, তাদের ৮০% এর এই রোগ নাই। শুধু ভয়ে আসেন।

২. যারা এই বিষয়ে প্রচুর পরামর্শ বা জ্ঞান দেন ফেসবুক বা ইউটিউবে ৷ তাদের ৮০% এর এই রোগ সম্পর্কে ভালো জ্ঞান নাই অথবা বিশেষজ্ঞ নন। শুধু রোগী বাড়ানোর জন্য অযথা জ্ঞান দেন।

#ওসি_হারুন

সবাই বলবেন মিথিলার দোষ 😂😂😂😂

আমাদের দেশের মেডিকেল সাইন্সের অগ্রগতির নক্ষত্র 😪😪😪😪😪 May Allah Keep you in Jannat...

নিজের টাকায় ডাক্তাররা পরীক্ষা দিতে গেলেই দোষ 🤗🤗 খুশি থাকুক প্রশাসনের কর্মচারীরা 🤮🤮🤮

হতাশ চিকিৎসক সমাজ:

নামের সাথে যত সংখ্যক ব্যক্তি প্রতি বছর চিকিৎসক যোগ করছেন, দিনে দিনে চিকিৎসক কম্যুনিটিতে হতাশ ব্যক্তির সংখ্যা বৃদ্ধি পাচ্ছে ।।।

তিনটা কারন -

১. বিডিএস ডাক্তারদের পাশ করার করার পরে খালি হাতে চেম্বার দেয়ার ক্ষমতা নাই। আবার বিনা বেতনে অন্যের চেম্বারে কাজ করার ধৈর্য্য নাই। খ্যেপ মারার সুযোগ নাই। প্রতিষ্ঠিত হওয়ার পোস্ট গ্রাজুয়েশন করার অঢ্লে সুযোগ নাই।। পেটে ভাতে বাঁচা কঠিন, নামের সাথে চিকিৎসক সাইনবোর্ড লাগিয়ে।।

২. এমবিবিএস ডাক্তারদের পাশের পরেই বাবা মায়ের উপ্রে ভরের আপেক্ষিত গুরুত্ব শূণ্য হয়ে যায়।। তাই নিজের পায়ে ভর দিয়া দাড়াতে হয়। কিন্তু তখনো দাড়ানো শিখে নাই। খ্যেপ নিয়া কাড়াকাড়ি। পরে ক্লিনিক মালিক এমবিবিএস ডাক্তারদের গরু খাটানোর সুযোগ পায়।। আবার অনেক ডাক্তার বেশি সস্তায় শ্রম বিক্রি করে বলে ক্লিনিকে নব্য ডাক্তারদের শুধু ডিউটি ডাক্তার মনে করে।। আর যত কম মাইনে পারে, ততই ভাল। পোস্ট গ্রাজুয়েশন দিনে দিনে সোনার হরিন।। চেম্বার দেয়ার সুযোগ নাই।। অনাহারে চলে যায়।।

৩. উভয়ের জন্য সমস্যা হলো - বিসিএস দিয়া জীবন নিশ্চিত করবে।। নাকি পোস্ট গ্রাজুয়েশনের মাধ্যমে নিজেকে বড় প্রফেসর বানাবে।। দ্বিধায় ভুগে দুইটাই ৫০% করে প্রিপারেশন নেয়।। এতে করে দুই তরী এক সাথে ডুবে।

#দশ বছর পর হয়তো দেশে বেকার ডাক্তার এর সংখ্যা দেশের জনসংখ্যা এর একটা নির্দিষ্ট পার্সেন্ট দখল করে নিবে।। ডিপ্রেশন পড়াতে চিকিৎসক হবে উৎকৃষ্ট উদাহরণ।।

:( :( :(

এমন দেশ যেখানে জিলাপির কেজি মাসের বেতন 🇧🇩🇧🇩🇧🇩

নন রোজার দিনঃ

সকাল ৮টা বাজার আগেই পেটের দারোয়ান বাশি ফু দিয়া দেয়। গুদাম খালি । তাড়াতাড়ি গলধঃকরণ করো, নইলে কিন্তু ক্ষিদায় মইরা সিধা হইয়া যাইবা । পেটের মধ্যে অলওয়েজ হাউ মাউ কাউ টাইপের একটা ভাব থাকেই। খাওয়া একটু লেট হলে যেন পাগল হইয়া যাই।

কিন্তু

রোজার দিনঃ

বিকাল ৬ টা বাজে। টানা ১৫ ঘন্টা ধরে না খাওয়া , কোনো খেয়ালই নাই। ক্ষুধা নাই রোজাদারের পাকস্থলি রাজ্যে। নাই কোনো পানি পিপাসার তাড়না। দিল ঠান্ডা, কুল কুল ।

এর বৈজ্ঞানিক কারন হলো- আমাদের ব্রেইনের হাইপোথ্যালামাসে Hunger Centre ও থাকে, পেট ভরার Satiety Centre ও থাকে। আমরা নন রোজার সময়ে দুই সেন্টার এক বারে চালু করে দেই । তাই ক্ষুধার রাজ্যে পৃথিবী গদ্যময় হয়। কিন্তু রোজার সময় ব্রেইন আমাদের হাংগার সেন্টার কে স্টপ করে কন্টিনিউয়াস স্যাটাইটি সেন্টারের লাইন অন করে রাখে । তাই কোনো ক্ষুধার চাহিদা থাকে না।

আর মনে রাখতে হবে - আমাদের খাদ্যাভ্যাস শুধু খাদ্যনালীর খাদ্যশূন্যতা থেকে নয়, বরং চোখে দেখা, ঘ্রান শুকা, মনে রাখা ইত্যাদি দারাও নিয়ন্ত্রিত হয়। সুতরাং এসব ইওহিবিটরি ফ্যাক্টর গুলো একসাথে খাবারের থেকে আমাদের বিরত রেখে রোজা কে সহজ করে দিয়েছে।

সবশেষে- "রোজার সময় আল্লাহর বিশেষ রহমত থাকে, তাই সবকিছু খুব সহজে মানিয়ে নেয়া যায়" ।

:) :) :)