বাদামবাড়ী উন্মুক্ত ইসলামিক গ্রন্থাগার
Nearby schools & colleges
Manzhar Hyhama Kupwara, Kupwara
Mulberry Street, New York
Port-au-Prince
Sangla, Poonch
Dhaka
New York
Near Bakiin Hotel Baidoa, Baydhabo
Olabiyi Agora Street Muslim Odinjo, Ibadan
Gaalkacyo
Mirpur Khas
Jhang Sadar
Str. Vasile Alecsandri
Mexico City
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from বাদামবাড়ী উন্মুক্ত ইসলামিক গ্রন্থাগার, Public School, Badambari, Rajshahi Division.
১০ মহরম.
ফেরাউন জানত তাঁর রাজত্ব একদি একজন পুরুষ ধ্বংস করে দিবে। তাই সে ফন্দী করলো মিশরে আর কোন পুএ সন্তান জন্মগ্রহণ করলে জীবিত রাখা যাবে না।
পর্যায়ক্রমে সে সব মিশরের পুএ সন্তানদের জন্মের পরেই মেরে ফেলত। মানুষও কৌশল করে আর আল্লাহও কৌশল করেন এর পরে ফেরাউনের বাড়িতেই মুসা আঃ বড়ো হইলেন।
আর আল্লাহ মুসা আঃ কে দিয়ে ফেরাউনকে ধ্বংস করলেন। আর সেই দিনটা ছিল ১০ মহরম।
১০ মহরম নূহ আঃ এর অবাদ্ধ জাতি বন্যায় প্লাবিত হয়ে ধ্বংস হয়।
১০ মহরম নমরুদের অগ্নিকান্ড থেকে ইব্রাহীম আঃ রক্ষা পান।
১০ মহরম ফেরাউন সাগরে ডুবে মারা যায়।
১০ মহরম আবু জাহেলের পতন হয়।
১০ ই মহরম শুধু কারবালা নয়।
আজ সেই ১০ ই মহরম।
যে গানে প্রেরণা আনে শহীদ হবার
দিন এলো আবার রক্ত ঝরাবার,,,
দুনিয়ায় অন্যায় প্রতিবাদকারী পিতা পাওয়া মানে জান্নাতে একসাথে ঠিকানা করে নেওয়া।
বেশিরভাগ মানুষ লোভী, অথচ তার জান্নাতের লোভ নেই...
বেশিরভাগ মানুষ ভীতু, অথচ তার জাহান্নামের ভয় নেই...
তাদের ভাষ্যমতে একজন পীর যদি জান্নাতি হয়ে থাকে তাহলে তাঁর কবরে এতো সাজসজ্জা কেন?
তাহলে কি তারা পীর মান্য করা নামে মুশরিকদের মতোই কবর পুঁজা গাছের পুঁজা প্রকৃতির পুঁজা করার জন্য আহ্বান করে?
ছবি---- হাবিবুল্লাহ ইয়ামেনী'র মাজার
শাহজাদপুর, সিরাজগঞ্জ, বাংলাদেশ।
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে দরিদ্রতা থেকে পানাহ চেয়েছেন। তিনি আল্লাহর কাছে দু'আ করেন:
"হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে আশ্রয় চাচ্ছি কুফর এবং দারিদ্র থেকে।" [সুনানে আবু দাউদ: ৫০৯০]
পাশাপাশি নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম আল্লাহর কাছে ধনাঢ্যতার জন্যও দু'আ করেন:
"হে আল্লাহ! আমি আপনার কাছে হিদায়াত, তাকওয়া, চারিত্রিক নিষ্কলুষতা ও ধনাঢ্যতা চাইছি।" [সহীহ মুসলিম: ৬৭৯৭]
নবীজি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের বিভিন্ন হাদীস থেকে জানা যায়, তিনি স্বাবলম্বী হতে উৎসাহ দিয়েছেন, মানুষকে দান করতে উৎসাহ দিয়েছেন।
একবার ইমাম আবু হানিফা দেখলেন তার ছেলে হাম্মাদ ইবনু আবু হানিফা এক বিদআতির সাথে বিতর্ক করছে। ইমাম বললেন, "উঠো"। অর্থাৎ বিতর্ক শেষ করতে বললেন। হাম্মাদ বললো "বাবা, আপনাকে তো আমরা অনেক বিতর্ক করতে দেখেছি, আমাদের মানা করছেন কেন ? আমি আপনার ছেলে, আপনাকে প্রায়ই বিতর্ক করতে দেখতাম" । ইমাম আবু হানিফা বললেন "যখন আমরা বিতর্ক করতাম, এমনভাবে করতাম যেন মাথার উপর পাখি বসে আছে যাতে সে পড়ে না যায়। একটু নড়লেও পাখি উড়ে যাবে। খুব ধীরে এবং শান্তভাবে বিতর্ক করতাম এবং ভয় করতাম যে প্রতিপক্ষ কোন ভুল করে বসবে কিনা। কিন্তু তোমার সময়ের লোকেরা এটাই চায় যে প্রতিপক্ষ ভুল করুক। এমনকি প্রতিপক্ষের মুখ থেকে কুফরি কথাবার্তা বের হোক এটাও চায়।"
এ বিতর্ক ভয়ংকর, এটা আল্লাহর জন্য না, নফসের জন্য।
--
শায়খ হামযা আল বাকরির লেকচার থেকে।
🖋️ মাহবুবুর রহমান।
🌱 মুসলিমরা গরীব কেনো? 🌱
ছোটোবেলায় আমরা কী শুনতাম? সফল হতে হলে পড়ালেখা করতে হবে, বড়ো চাকরি করতে হবে, সরকারি চাকরি হলে তো সোনায় সোহাগা!
আবার শুনতাম- 'পড়ালেখা করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে'।
ছোটোবেলা থেকে আমাদের জীবনের লক্ষ্য-উদ্দেশ্য ঠিক করতাম- ডাক্তার, ইঞ্জিনিয়ার, শিক্ষক হবো। এর বাইরে কিছু চিন্তাই করতাম না।
নিজে বড়ো কিছু করবো, বড়ো কিছু হবো এই চিন্তাই করতাম না, এই চিন্তা শেখানো হতো না।
চাকরি করা মানে আপনার বেতন ফিক্সড। বেতন ৬০ হাজার হলে ঐ মাসে ১ লক্ষ উপার্জন করা সম্ভব না।
কিন্তু, ব্যবসায় রিস্ক আছে, উপার্জন ফিক্সড না। অনেক কম যেমন হতে পারে, অনেক বেশিও হতে পারে।
বদলে যাওয়া দুনিয়ার সাথে মুসলিমরা ক্যারিয়ার চিন্তা বদলাতে পারেনি।
যে বয়সে স্কুলে পড়ুয়া ছেলেরা এপ/ওয়েবসাইট ডেভলপ করে কোটিপতি হচ্ছে, সেই বয়সে আমাদের সমাজে শেখানো হচ্ছে- পড়ালেখা করে যে, গাড়িঘোড়া চড়ে সে!
বদলে যাওয়া দুনিয়ার সাথে বেশিরভাগ মুসলিম যুবক-যুবতী পরিচিত না।
যার কারণে এই যুগে এসেও মুসলিমদের ক্যারিয়ার ভাবনা ক্লিয়ার না।
লেখায়...page Need Admin..
ইরানের জাতীয় সংগীত বাংলা অর্থ গুলো দেখুন প্রতিটি কথায় ঈমানের চেতনা বৃদ্ধি হবে।
মুসলিম সর্বক্ষণে মুসলিমের কালচারের মধ্যে ইস্তেকামত থাকবে_ মুসলিম কখনো বেদ্বীনদের কালচার অনুসরণ করতে পারে না।
আপনি যাকে বা যে জিনিসটি সবচেয়ে ভালোবাসেন, সেই আপনাকে 'নিয়ন্ত্রণ' করে।
♦️ আপনি যদি টাকাকে ভালোবাসেন, তাহলে টাকা উপার্জনের জন্য সব করতে পারবেন। হালাল-হারাম তোয়াক্কা করবেন না।
♦️ আপনি যদি কোনো মেয়েকে/ছেলেকে ভালোবাসেন, তাহলে তাকা পাওয়ার জন্য আপনার জন্মদাতা মা-বাবার বিরুদ্ধে গিয়ে পালিয়ে যেতে পারেন।
♦️ আপনি যদি চাকরি পাওয়াটা ভালোবাসেন, সেটার জন্য ঘুষ দিতে, দুর্নীতি করতে আপনার কোনো অসুবিধা হবে না।
♦️ আপনি যদি স্ত্রী-সন্তানকে অত্যাধিক ভালোবাসেন, তাহলে তাদের জন্য সব করবেন। নামাজ মিস দিয়ে পর্যন্ত উপার্জন করবেন, তাদের মুখে হাসি ফুটাবার জন্য তাদের সব আবদার পূরণ করবেন।
এজন্য বলা হয়- Whatever you love most, becomes your master।
একজন মুসলিম হিসেবে আমরা যখন আল্লাহ ও রাসূলকে সর্বোচ্চ ভালোবাসবো, তখন আমরা যাই করি না কেনো সবকিছু করার আগে আল্লাহর আদেশ-নিষেধের কথা চিন্তা করবো।
🟢 আমাদের হৃদয় আল্লাহ ও রাসূলের জন্য।
যখনই এই জায়গায় টাকা, বাড়ি-গাড়ি, নারী জায়গা নিবে, তখনই আপনার হৃদয় আর আপনার নিয়ন্ত্রণে থাকবে না।
আল্লাহ ও রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামকে প্রাধান্য দিয়ে যদি সবকিছু করেন, তাহলে স্ত্রীকে ভালোবাসতে পারবেন, টাকাও উপার্জন করতে পারবেন। তবে, সবসময় চিন্তা করবেন- সেই ভালোবাসা আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য হচ্ছে কিনা।
কিন্তু, বিপরীতটা করলে দেখা যাবে অন্য সব ভালোবাসার জন্য আল্লাহর আদেশ-নিষেধ অমান্য করা শুরু করবেন।
🖤
[কোরআনের আইন]
*মানুষ হত্যার শাস্তি*
যে ব্যক্তি কোনো মানুষকে হত্যা করল, সে যেন সব মানুষকে হত্যা করল। (সুরা মায়িদা : ৩২)
যে ব্যক্তি স্বেচ্ছাক্রমে মুমিনদের হত্যা করে, তার শাস্তি জাহান্নাম, সেখানে সে চিরদিন থাকবে। আল্লাহ তার প্রতি ক্রুদ্ধ হয়েছেন, তাকে অভিসম্পাত করছেন এবং তার জন্য প্রস্তুত করা হয়েছে কঠিন আজাব। (সূরা নিসা : ৯৩)
আমি এ গ্রন্থে তাদের প্রতি লিখে দিয়েছি যে, প্রাণের বিনিময়ে প্রাণ, চোখের বিনিময়ে চোখ, নাকের বিনিময়ে নাক, কানের বিনিময়ে কান, দাঁতের বিনিময়ে দাঁত ও জখমসমূহের বিনিময়ে সমান জখম। (সূরা মায়েদা : ৪৫)
হে ঈমানদারগণ! তোমাদের জন্য হত্যার ব্যাপারে কিসাসের বিধান লিখে দেয়া হয়েছে। স্বাধীন ব্যক্তি হত্যা করে থাকলে তার বদলায় ওই স্বাধীন ব্যক্তিকেই হত্যা করা হবে। দাস হত্যাকারী হলে ওই দাসকে হত্যা করা হবে, আর নারী এই অপরাধ সংঘটিত করলে সেই নারীকে হত্যা করে এর কিসাস নেয়া হবে। তবে কোনো হত্যাকারীর সাথে তার ভাই যদি কিছু কোমল ব্যবহার করতে প্রস্তুত হয় তাহলে প্রচলিত পদ্ধতি অনুযায়ী রক্তপণ দানের ব্যবস্থা হওয়া উচিত এবং সততার সাথে রক্তপণ আদায় করা হত্যাকারীর জন্য অপরিহার্য। এটা তোমাদের রবের পক্ষ থেকে দণ্ড হ্রাস ও অনুগ্রহ। এরপর যে ব্যক্তি বাড়াবাড়ি করবে তার জন্য রয়েছে যন্ত্রণাদায়ক শাস্তি। (সূরা বাকারা : ১৭৮)
••••আল্লাহর সাথে শিরক করার পর বড় অপরাধ হলো মানুষহত্যা। ইসলামে নরহত্যা, গুপ্তহত্যা, অপহরণ, গুম ও যাবতীয় হত্যাকাণ্ডকে হারাম করা হয়েছে। হত্যাকাণ্ড প্রকাশ্যে করলে হয় প্রকাশ্য হত্যা। আর গোপনে করলে হয় গুপ্তহত্যা। উভয় হত্যাকাণ্ডের শাস্তি একই—মৃত্যুদণ্ড। রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, 'যদি আসমান-জমিনের প্রত্যেকেই কোনো মোমিন হত্যার সঙ্গে জড়িত থাকে, তাহলে প্রত্যেককেই জাহান্নামের শাস্তি ভোগ করতে হবে’ (তিরমিজি : ১৮৪৩)। 'কেয়ামতের দিন সর্বপ্রথম খুনের বিচার করা হবে’ (মুসলিম :১৭৩৪)। 'কেয়ামতের দিন নিহত ব্যক্তি তার হত্যাকারীর চুলের মুঠো ও মাথা ধরে আল্লাহর দরবারে এমন অবস্থায় হাজির হবে যে, তখন তার রগগুলো থেকে রক্ত পড়তে থাকবে। সে ফরিয়াদ করবে, হে আমার প্রভু, এই ব্যক্তিই আমাকে হত্যা করেছে। এই বলতে বলতে সে আরশের নিকটবর্তী হয়ে যাবে’ (তিরমিজি :২৩৭৮)।
দুনিয়ার সামান্য বাহাদুরী ও ক্ষমতার দম্ভে যারা নির্বিচারে মানুষ হত্যা করে যাচ্ছে, তাদের ভাবা উচিত কী পরিণাম ভয়াবহ পরিনতি তাদের জন্য অপেক্ষা করছে।
Dr. Tuhin Malik
বান্দার জন্য রবের দরজা সারাজীবন খোলা তবে কদর রাত স্পেশাল। রবের কাছে নিয়মিত চাওয়ার অভাস করুন। মৃত্যুর পরে চাওয়ার সুযোগ নেই।
[] সূরা লাইল []
এই সূরায় তিনটি বিষয়ের শপথ করে আল্লাহ বলছেন যে, কর্মপ্রচেষ্টার দিক দিয়ে পৃথিবীতে মানুষ দু’ধরনের হয়ে থাকে। একধরনের লোক তারাই, যাদের সত্তাকে সরলপথে চলার জন্য সহজ করে দেওয়া হয়েছে। এরাই সফলকাম এবং তাদের তিনটি গুণাবলী উল্লেখ করা হয়েছে (১-৭ আয়াত)।
আরেক ধরনের লোক আছে, যাদের সত্তাকে বক্রপথে চলার জন্য সহজ করে দেওয়া হয়েছে। এরা ব্যর্থকাম এবং এদের তিনটি দোষ চিহ্নিত করা হয়েছে। অতঃপর তাদের পরিণতি ব্যাখ্যা করা হয়েছে (৮-১৬)।
সবশেষে আল্লাহর সন্তোষভাজন ব্যক্তিদের চরিত্র ও তাদের প্রতিদান বিবৃত করা হয়েছে (১৭-২১ আয়াত)।
১.
وَاللَّيْلِ إِذَا يَغْشَى
অল্লাইলি ইযা-ইয়াগ্শা-।
শপথ রাত্রির, যখন সে আচ্ছন্ন করে
২.
وَالنَّهَارِ إِذَا تَجَلَّى
অন্নাহা-রি ইযা-তাজ্বাল্লা-।
শপথ দিবসের, যখন তা প্রকাশিত হয়
৩.
وَمَا خَلَقَ الذَّكَرَ وَالْأُنثَى
অমা-খলাক্বায্ যাকার অল্উন্সা-।
শপথ তাঁর, যিনি নর ও নারী সৃষ্টি করেছেন,
৪.
إِنَّ سَعْيَكُمْ لَشَتَّى
ইন্না সা’ইয়াকুম্ লাশাত্তা-।
নিশ্চয় তোমাদের কর্ম প্রচেষ্টা বিভিন্ন ধরনের।
অত্র আয়াতটি পূর্বের তিনটি আয়াতে বর্ণিত শপথসমূহের জওয়াব হিসাবে এসেছে। শপথের বিষয়বস্ত্ত রাত্রি ও দিবস, নর ও নারী যেমন পরস্পরে বিপরীতধর্মী, শপথের জবাবটাও এসেছে পরস্পর বিপরীতমুখী। অর্থাৎ মানুষের কর্ম প্রচেষ্টা হলো দু’ধরনের। ভাল ও মন্দ, যা পরবর্তী আয়াতগুলিতে স্পষ্ট হয়েছে। আর সেখানে ভাল ও মন্দ প্রতিটি দলের ৩টি করে বৈশিষ্ট্য বর্ণিত হয়েছে।
৫.
فَأَمَّا مَن أَعْطَى وَاتَّقَى
ফাআম্মা মান্ আ’ত্বোয়া-অত্তাক্ব-।
অতঃপর যে ব্যক্তি দান করে ও আল্লাহভীরু হয়,
৬.
وَصَدَّقَ بِالْحُسْنَى
অ ছোয়াদ্দাক্বা বিল্হুস্না-।
এবং উত্তম বিষয়কে সত্য বলে বিশ্বাস করে,
অত্র দু’টি আয়াতে সৎকর্মশীল ব্যক্তিদের তিনটি গুণ বর্ণনা করা হয়েছে। (এক)- যারা আল্লাহর পথে ব্যয় করে। (দুই)- আল্লাহর বিরুদ্ধাচরণ থেকে বেঁচে থাকে এবং (তিন)- ‘উত্তম বিষয়’ অর্থাৎ তাওহীদের কালেমা লা ইলাহা ইল্লাল্লাহ-কে মনেপ্রাণে সত্য বলে বিশ্বাস করে।
৭.
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْيُسْرَى
ফাসানুইয়াস্সিরুহূ লিল্ইয়ুস্র-।
অচিরেই আমি তাকে সরল পথে চলার জন্য সহজ করে দেবো।
‘সরল পথে চলার জন্য’ অর্থ ‘জান্নাতের জন্য’ (ইবনে কাসীর)। কেননা জান্নাতের পথই হচ্ছে সরল পথ বা সীরাতুল মুস্তাক্বীম। আর এ পথের শেষ ঠিকানাই হলো জান্নাত।
৮.
وَأَمَّا مَن بَخِلَ وَاسْتَغْنَى
অআম্মা-মাম্ বাখিলা অস্তাগ্না-।
পক্ষান্তরে যে ব্যক্তি কৃপণতা করে ও বেপরোয়া হয়,
৯.
وَكَذَّبَ بِالْحُسْنَى
অ কায্যাবা বিল্হুস্না-।
এবং উত্তম বিষয়কে মিথ্যা মনে করে,
১০.
فَسَنُيَسِّرُهُ لِلْعُسْرَى
ফাসানুইয়াস্সিরুহূ লিল্ ‘উসরা।
অচিরেই আমি তাকে কঠিন পথের জন্য সহজ করে দেবো।
পূর্বের আয়াতে জান্নাতী বান্দাদের তিনটি বৈশিষ্ট্যের বর্ণনা শেষে এবার জাহান্নামীদের তিনটি বৈশিষ্ট্য বর্ণনা করা হচ্ছে যে, (এক)- তারা আল্লাহর পথে ব্যয় করার বিষয়ে কৃপণতা করবে। (দুই)- আল্লাহর অবাধ্যতায় বেপরোয়া হবে। এবং (তিন)- তাওহীদের কালেমায় মিথ্যারোপ করবে এবং আল্লাহ ও তাঁর রাসূল (সাঃ)-এর বাণীর অবাধ্যতা করবে। তাদের জন্য কঠিন পথ অর্থাৎ জাহান্নামের পথ সহজ করে দেয়া হবে। অসৎকর্ম করা তখন তাদের জন্য সহজ ও মজ্জাগত হয়ে যাবে। এদের পক্ষে জান্নাতের কাজ করাটা কষ্টকর এমনকি অসম্ভব হয়ে দাড়াবে।
উল্লেখ্য যে, শয়তান সর্বদা মুমিনদের এই বলে ধোঁকা দিয়ে থাকে যে, মন্দ লোকেরাই দুনিয়াতে ধন-সম্পদ নিয়ে সুখে আছে। অতএব দ্বীনদার হয়ে কি লাভ? এর জবাব এই যে, বাহ্যিকভাবে এদের সুখী দেখা গেলেও অন্তরজগতে এরা চরম অসুখী, চরম হতভাগা। কারন অসৎকর্ম করার কারনে এরা দুনিয়ার জীবনকে প্রাধান্য দিয়ে জান্নাতের পথ থেকে নিজেকে দূরে সরিয়ে রাখে। আর দুনিয়াতে এটাই এদের জন্য আযাব। আর পরকালের জন্য নির্ধারিত রয়েছে জাহান্নাম।
১১.
وَمَا يُغْنِي عَنْهُ مَالُهُ إِذَا تَرَدَّى
অমা-ইয়ুগ্নী ‘আন্হু মা-লুহূ য় ইযা-তারাদ্দা-।
যখন সে ধ্বংস হবে, তখন তার সম্পদ তার কোনই কাজে আসবে না।
কৃপণের ধন-সম্পদ যেমন তার জীবদ্দশায় কোন কাজে লাগে না। তেমনি তার মৃত্যুর পরেও কোন কাজে লাগে না। কেননা মৃত্যুর পূর্বে সে মাল কমে যাওয়ার ভয়ে কোনরূপ ছাদাক্বায়ে জারিয়া করে যায় না। সে নিজের জন্যই যখন কিছু খরচ করে না। পরের জন্য তো প্রশ্নই ওঠে না। ফলে মৃত্যুর পরে সে কিছুই পায় না। তার আমলনামা শূন্য থাকে। আল্লাহ বলেন, ‘তারা যে বিষয়ে কৃপণতা করেছিল, ক্বিয়ামতের দিন সেগুলিই তাদের গলায় বেড়ী হবে...’ (আল ইমরান ৩/১৮০)। ক্বিয়ামতের দিন তাই সে আফসোস করে বলবে, - ‘আমার মাল আমার কোন কাজেই আসলো না’ (হাক্কাহ ৬৯/২৮)।
১২.
إِنَّ عَلَيْنَا لَلْهُدَى
ইন্না ‘আলাইনা- লাল্হুদা-।
নিঃসন্দেহে পথনির্দেশ দেয়া আমার দায়িত্বের অন্তর্ভুক্ত।
অত্র আয়াতে একথা স্পষ্ট হয় যে, আল্লাহর দেখানো পথই প্রকৃত সুপথ এবং মানুষের জ্ঞান কখনোই চূড়ান্ত সত্যের সন্ধান দিতে পারে না বা সত্যিকারের সুপথ প্রদর্শন করতে পারে না। এজন্য আল্লাহ নিজেই মানুষের হেদায়াতের দায়িত্ব নিয়েছেন। ‘হেদায়াত’ দু’প্রকারের। (১). তাওফীক লাভের হেদায়াত,। যা কেবলমাত্র আল্লাহর হাতে। (২). পথ দেখানোর হেদায়াত। যা আল্লাহ এবং নবী-রাসূল ও আলেমগণের পক্ষ হতে হয়ে থাকে। প্রথমটির দলিল, যেমন আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি হেদায়াত করতে পারেন না যাকে আপনি পছন্দ করেন। বরং আল্লাহ যাকে ইচ্ছা করেন তাকে হেদায়াত দিয়ে থাকেন’ (ক্বাছাছ ২৮/৫৬)। দ্বিতীয় প্রকারের দলিল, যেমন আল্লাহ স্বীয় রাসূলকে বলেন, ‘নিশ্চয়ই আপনি সরল পথ প্রদর্শন করে থাকেন’ (শূরা ৪২/৫২)।
১৩.
وَإِنَّ لَنَا لَلْآخِرَةَ وَالْأُولَى
অইন্না লানা- লাল্আ-খিরতা অল্ ঊলা-।
নিশ্চয়ই ইহকালের ও পরকালের একমাত্র মালিক আমি।
অর্থাৎ আকাশ ও পৃথিবীর সৃষ্টি ও পরিচালনা এবং দুনিয়া ও আখেরাতের সার্বিক মালিকানা কেবলমাত্র আল্লাহর হাতে। এই মালিকানায় কেউ সামান্যতম শরীক নয়। আল্লাহ বলেন, ‘অতএব পবিত্র তিনি, যার হাতে রয়েছে সবকিছুর রাজত্ব এবং তাঁর দিকেই তোমরা প্রত্যাবর্তিত হবে’ (ইয়াসীন ৩৬/৮৩)।
১৪.
فَأَنذَرْتُكُمْ نَارًا تَلَظَّى
ফাআর্ন্যাতুকুম্ না-রান্ তালাজ্জোয়া-।
অতএব আমি তোমাদেরকে প্রজ্বলিত অগ্নি থেকে ভয় প্রদর্শন করছি।
১৫.
لَا يَصْلَاهَا إِلَّا الْأَشْقَى
লা-ইয়াছ্লা-হা য় ইল্লাল্ আশ্ক্ব।
নিতান্ত হতভাগ্য ব্যক্তি ছাড়া কেউ তাতে প্রবেশ করবে না,
১৬.
الَّذِي كَذَّبَ وَتَوَلَّى
আল্লাযী কায্যাবা অতাওয়াল্লা-।
যে মিথ্যারোপ করে ও মুখ ফিরিয়ে নেয়।
অর্থাৎ এখানে আল্লাহ নিজেই জাহান্নামের ভয় প্রদর্শন করছেন। এবং বলা হচ্ছে- তারাই সর্বাধিক হতভাগা, যাদের জন্য জাহান্নাম নির্ধারিত হয়ে আছে। আর তাদের বৈশিষ্ট্য হ’ল ‘সে প্রথমে অহি-র বিধানে মিথ্যারোপ করে, অতঃপর বিধান মান্য করা থেকে মুখ ফিরিয়ে নেয়’।
আবু জাহল, উমাইয়া বিন খালাফ ও তাদের ন্যায় দুষ্টু লোকদের উদ্দেশ্যে আয়াতটি নাযিল হয় (কুরতুবী)। কেননা এরা ছিল মক্কার সবচেয়ে দুরাচার নেতৃবৃন্দ। যারা রাসূল (সাঃ)-এর প্রতি মিথ্যারোপ করেছিল এবং তাঁকে সত্য জেনেও মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিল। তবে আয়াতটির মর্ম সকল যুগের হতভাগাদের জন্যই প্রযোজ্য। ‘আল্লাহর অহীর বিধান প্রকাশ্যে বাতিল করার মাধ্যমে সে মিথ্যারোপ করে না। বরং আল্লাহর আদিষ্ট বিষয়সমূহ মান্য করতে নিবৃত্ত করার ফলে তা মিথ্যারোপ হিসাবে সাব্যস্ত হয়ে যায়’ (কুরতুবী)। খেয়াল করলে দেখা যাবে যে, বর্তমান যুগে অধিকাংশ মুসলিম সরকার ও সমাজনেতাগণ এটাই করে থাকেন।
১৭.
وَسَيُجَنَّبُهَا الْأَتْقَى
অসাইয়ুজ্বান্নাবুহাল্ আত্ক্ব।
সত্বর এ থেকে দূরে রাখা হবে আল্লাহভীরু ব্যক্তিকে,
এতে বুঝা যায় যে, শুধুমাত্র বিশ্বাস দিয়ে আমল হয় না, বরং আমলের জন্য চাই আল্লাহভীতি। বিশ্বাস আছে কিন্তু আল্লাহভীতি নেই, সে ব্যক্তির আমলে খুলূছিয়াত নেই। অতএব তাকে জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে না। জাহান্নাম থেকে দূরে রাখা হবে শুদ্ধ চরিত্র সর্বাধিক আল্লাহভীরু ব্যক্তিকে।
১৮.
الَّذِي يُؤْتِي مَالَهُ يَتَزَكَّى
আল্লাযী ইয়ু”তী মা-লাহূ ইয়াতাযাক্কা-।
যে তার ধন-সম্পদ দান করে আত্মশুদ্ধির জন্য
১৯.
وَمَا لِأَحَدٍ عِندَهُ مِن نِّعْمَةٍ تُجْزَى
অমা-লিআহাদিন্ ‘ইন্দাহূ মিন্ নি’মাতিন্ তুজযা য়।
তার প্রতি কারো অনুগ্রহের প্রতিদান হিসেবে নয়।
মুফাসসিরের মতে এই আয়াতগুলি হযরত আবুবকর (রাঃ) সম্পর্কে নাযিল হয়েছে। উমাইয়া ইবনে খালাফের ক্রীতদাস ছিলেন বেলাল (রাঃ)। ইসলাম কবুলের অপরাধে তাঁর উপরে অমানুষিক নির্যাতন চালানো হতো। প্রচন্ড রোদে স্ফুলিঙ্গ সদৃশ মরু বালুকার উপরে হাত-পা বেঁধে তাকে নগ্নদেহে চিৎ করে ফেলে বুকের উপরে ভারি পাথর চাপিয়ে দেয়া হতো। আর বলা হতো - ‘তোকে এভাবেই থাকতে হবে, যতক্ষণ না তুই মরবি অথবা মুহাম্মাদকে অস্বীকার করবি’। কিন্তু ঐ অবর্ণনীয় কষ্টের মধ্যেও বেলালের মুখ থেকে কেবলই বের হতো ‘আহাদ’ ‘আহাদ’। একদিন রাসূল (সাঃ) পাশ দিয়ে যাবার সময় এই দৃশ্য দেখলেন এবং বললেন, ‘নিশ্চয়ই ‘আহাদ’ অর্থাৎ আল্লাহ তোমাকে মুক্তি দেবেন’। তিনি তখন হযরত আবুবকর (রাঃ)কে যেয়ে বললেন, ‘হে আবুবকর! নিশ্চয়ই বেলাল আল্লাহর পথে শাস্তি ভোগ করছে’। আবুবকর (রাঃ) ইঙ্গিত বুঝলেন। অতঃপর তিনি উমাইয়া বিন খালাফের কাছ থেকে বেলাল (রাঃ)কে ‘নিসতাস’-এর বিনিময়ে এবং একটি মূল্যবান চাদর ও ১০টি স্বর্ণমুদ্রার (উক্বিয়া) বিনিময়ে খরিদ করে মুক্ত করে দেন। তখন কাফেররা বলতে থাকে যে, আবুবকরের উপরে বেলালের অনুগ্রহ ছিল, যার প্রতিদান হিসাবে তিনি তাকে মুক্ত করেছেন। তখন অত্র আয়াতদ্বয় নাযিল হয়। অর্থাৎ যে ব্যক্তি তার মাল-সম্পদ খরচ করে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের উদ্দেশ্যে তাঁরই দেখানো পথে আত্মশুদ্ধি ও মালশুদ্ধির জন্য। এর মধ্যে কোনরূপ শ্রুতি বা লোক দেখানো উদ্দেশ্য থাকে না। এবং কারো কোনরূপ অনুগ্রহ বা দানের প্রতিদান হিসাবে তিনি দান করেন না। বা কারো প্রতি কোন অনুগ্রহের দায়বদ্ধতা তার মধ্যে থাকে না। কেবলমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের জন্য। যেমনটা হযরত আবুবকর (রাঃ) করেছিলেন।
২০.
إِلَّا ابْتِغَاء وَجْهِ رَبِّهِ الْأَعْلَى
ইল্লাব্তিগা-য়া অজহি রব্বিহিল্ ‘আলা-।
কেবলমাত্র নিজের রবের সন্তুষ্টি লাভের জন্য।
২১.
وَلَسَوْفَ يَرْضَى
অলাসাওফা ইর্য়াদ্বোয়া-।
সে সত্বরই (আল্লাহর নিয়ামাত পেয়ে) সন্তুষ্টি লাভ করবে।
অর্থাৎ যে ব্যক্তি পূর্বে বর্ণিত গুণাবলী অর্জন করবে, সে ব্যক্তি সত্বর আল্লাহর সন্তোষ লাভে ধন্য হবে। আর তা হলো- (ক) সর্বাধিক আল্লাহভীরু হওয়া এবং (খ) শুধুমাত্র আত্মশুদ্ধি ও মালশুদ্ধির জন্য আল্লাহর ওয়াস্তে ব্যয় করা’। আর অবশ্যই সে অচিরে আল্লাহর সন্তোষভাজন হবে অশেষ ছওয়াব লাভের মাধ্যমে। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ করার চূড়ান্ত প্রতিদান হলো আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন।
মুফাসসিরের মতে, অত্র আয়াতগুলি হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর শানে নাযিল হয়েছে (ইবনে কাসীর)। যদিও আয়াতের মর্ম ব্যাপক এবং সর্বযুগীয়। নিঃসেন্দেহে আবুবকর (রাঃ)-এর মহান চরিত্রে উপরোক্ত গুণাবলীর একত্র সমাবেশ ঘটেছিল। আল্লাহভীরুতা ও নিঃস্বার্থ দানশীলতায় তিনি ছিলেন উম্মতের সেরা ব্যক্তিত্ব। আর শেষের আয়াতটিতে যেন হযরত আবুবকর (রাঃ)-এর জন্য জান্নাতের অগ্রিম সুসংবাদ দেওয়া হয়েছে। আল্লাহ আমাদেরকে ঐ সকল পবিত্রাত্মাগণের সাথে জান্নাতের অধিবাসী করুন -আমীন!
Dr. Tuhin Malik
(১) অনেকে মনে করে এশার পর থেকে ক্বদরের রাতের শুরু। কিন্তু মাগরিবের পরই শুরু হয়ে যায় ক্বদরের রাত। চলে ফজর পর্যন্ত। আর এই ভুল ধারনার ফলে, মাগরিবের পর ইফতার শেষে দুনিয়াবি হাসি-তামাশা কিংবা পরচর্চার মত খোশগল্পে ব্যস্ত হয়ে গেলে। গুনাহ দিয়েই সূচনা হয়ে যায় হাজারো মাসের চাইতেও অধিকতর পূন্যময় মহিমান্বিত রাতটি।
(২) রমজানের শেষ দশকে রাসুলুল্লাহ (সাঃ) কোমর বেঁধে ইবাদত করতেন। তিনি নিজে রাত জাগতেন এবং উনার পরিবারবর্গকে জাগিয়ে দিতেন। তাই অবশ্যই আমাদের পরিবারের সদস্যদেরকেও জাগিয়ে দিয়ে এ রাতের সৌভাগ্য লাভে উৎসাহিত করতে হবে।
(৩) অনেকেরই জিজ্ঞাসা। ক্বদরের এই মহিমান্বিত রাতে কি কি ইবাদত করবো? এর সরল ও সহজ উত্তর রাসুলুল্লাহ (সাঃ) নিজেই দিয়েছেন। এভাবে-
হজরত আয়েশা (রা.) থেকে বর্ণিত তিনি বলেন, ‘একদা আমি রাসুল (সাঃ)কে জিজ্ঞাসা করলাম, হে আল্লাহর রাসুল! আমি যদি ক্বদরের রাত সম্পর্কে অবহিত হতে পারি; তবে আমি কি করব? তখন রাসুল (সাঃ) আমাকে এই দোয়া পাঠ করার জন্য বললেন। দোয়াটি হলো: اَللَّهُمَّ اِنَّكَ عَفُوُّ تُحِبُّ الْعَفْوَ فَاعْفُوْ عَنَّا ‘আল্লাহুম্মা ইন্নাকা আফুউউন তুহিব্বুল আফওয়া ফাফু আন্নি’। অর্থাৎ: ‘হে আল্লাহ! আপনি ক্ষমাশীল; আপনি ক্ষমা করতে ভালোবাসেন। অতএব আমাকে ক্ষমা করে দিন।’
তাই এ রাতে নিজের পাপের জন্য অনুতপ্ত হয়ে বেশি বেশি তাওবা, এস্তেগফার, দোয়া, মোনাজাত করি।
(৪) আল্লাহর ফরজ বিধান এ রাতের মাগরিব, এশা এবং ফজরের নামাজ অবশ্যই জামাতের সঙ্গে আদায় করি। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘যে ব্যক্তি এশা ও ফজর জামাতের সঙ্গে পড়ল, সে যেন সারা রাত দাঁড়িয়ে নামাজ পড়ল।’
(৫) তারাবীহ, তাহাজ্জুদ, কিয়ামুল লাইল, নফল নামাজ, কুরআন তিলাওয়াত, জিকির-আজকারসহ নেক আমলে রাত কাটাই।
(৬) কোরআনের অনেকগুলো পারা দ্রুতগতিতে তিলাওয়াত করার চাইতে। পরিমানে অল্প হলেও ধীরে সুস্থে শ্রুতিমধুর ভাবে। আয়াতের অর্থ বুঝে। শুদ্ধভাবে আদবের সাথে। পরিপূর্ণ তৃপ্তির সাথে আল্লাহর কালাম তেলাওয়াত করি।
(৭) এ রাতে দান, খয়রাত, সাদাকাহ, চ্যারেটি বা সৎকর্ম বেশী পরিমানে করি। কারন, দোয়া ও চ্যারেটির মাধ্যমে মানুষের তাকদিরের পরিবর্তন হয়ে থাকে।
(৮) পিরিয়ড অবস্থায় মা-বোনরা এ মহিমান্বিত রজনীর সাওয়াব-সৌভাগ্য অর্জন থেকে বঞ্চিত থাকবেন না। তারাও বেশি বেশি দোয়া-ইস্তিগফার-তাওবা ও জিকির-আজকার করতে পারবেন এবং দান-সাদাকাহ, চ্যারেটি বা সৎকর্ম করতে পারবেন।
(৯) ক্বদরের রাতগুলোতে টিভি বা মোবাইল স্ক্রিনের আসক্তি থেকে নিজেকে দুরে সরিয়ে রাখি। প্রয়োজনে এগুলোর সঠিক ব্যবহারও করতে পারি। বিভিন্ন ইসলামিক স্কলারের লেকচার শুনি। মোবাইল স্ক্রিনে সূরা, তরজমা, তাফসির শিখি।
(১০) সারারাত জেগে দ্রুতগতিতে শত রাকাত মনোযোগবিহীন নামাজের চাইতে। ধীরে সুস্থে লম্বা রাকাতের। লম্বা রুকু-সেজদার। কোয়ালিটিসম্পন্ন অল্প নামাজই আল্লাহর সাথে অনেক বেশী কানেক্টেভিটি বা যোগাযোগ তৈরি করতে সক্ষম। আর ক্বদরের রাতে আল্লাহর সাথে এরকম কোয়ালিটি বা মানসম্পন্ন কানেক্টেভিটিই তৈরি করতে হবে। যেমনটা রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘তুমি এমনভাবে নামাজ আদায় কর, যেন তুমি আল্লাহকে দেখছ; যদি তুমি দেখতে অক্ষম হও, তাহলে মনে কর আল্লাহ তোমাকে দেখছেন।’
প্রশ্ন হচ্ছে— আল্লাহর সাথে এই কানেক্টেভিটির পরিমাপটা মাপবো কিভাবে? হিসাবটা সোজা। সেজদায় গিয়ে যতটুকু চোখের পানি ফেলতে পারি। কানেক্টেভিটির পরিমাপটাও ততটুকু বাড়বে। রাসুলুল্লাহ (সাঃ) বলেছেন, ‘বান্দা আল্লাহর অধিক নিকটবর্তী হয়, যখন সিজদারত থাকে। অতএব তোমরা তখন অধিক দোয়া করতে থাকো।’
(১১) সারাংশ একটাই। অনুতপ্ত হয়ে, চোখের পানি ফেলে, গুনাহ মাফ চেয়ে। ভবিষ্যতের জন্য পুরোপুরি সংশোধিত হয়ে। নিজের ভিতরের ইগো বা অহংকারের এখনই দাফন করি। এখন থেকেই নিজের মধ্যে দৃশ্যমান পরিবর্তন আনি। মানুষের হক ফিরিয়ে দিয়ে ও মানুষের কাছ থেকে ক্ষমা চেয়ে নিয়ে। আমৃত্যু আল্লাহর হুকুম ও রাসূল (সাঃ)এর প্রদর্শিত জীবন বিধান মত বাকি হায়াতের জীবনটুকু অতিবাহিত করতে পারাটাই হচ্ছে শবে ক্বদরের আসল প্রাপ্তি। সাথে অবশ্যই বোনাস হিসাবে পাচ্ছি, একনাগারে হাজারো মাসের চাইতেও অধিকতর পূন্যময় রাতের ইবাদতের সওয়াব।
আল্লাহ আমাদেরকে মহিমান্বিত এই রাতের মহাসৌভাগ্য দান করুন।
Dr. Tuhin Malik
‘নেক কাজ করুন, হালাল খান। মানুষকে না ঠকিয়ে নেক পথে চলুন। অল্প দোয়াই যথেষ্ট হবে। যেমন তরকারিতে সামান্য লবণ যথেষ্ট হয়।’
-হযরত আবু জর গিফারি (রাঃ)
আমি বললাম, আমি ব্যর্থ
আল্লাহ বলেন; বিশ্বাসীরা সফল হয়। ( সুরা মু'মিনুন ২৩ঃ১)
আমি বললাম, আমার জীবনে অনেক কষ্ট।
আল্লাহ বলেন, নিশ্চয়ই কষ্টের সাথে আছে স্বস্তি। (সুরা আলাম নাশরাহ ৯৪ঃ৬)
আমি বললাম, আমার কেউ নেই।
আল্লাহ বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর উপর ভরসা করে, তার জন্য আল্লাহই যথেষ্ট। ( সুরা তালাক ৬৫ঃ৩)
- আল কুরআন॥
'রোজা ততক্ষণ পর্যন্ত ইবাদত থাকে, যতক্ষণ পর্যন্ত না রোজাদার গীবত করে ফেলে।'
~ তাবেঈ আবুল আলিয়া রাহিমাহুল্লাহ
[ মুসান্নাফ ইবনে আবি শাইবাহ, ৮৩৭৫, ৮৯৮০ ]
১ পয়সা অবৈধ উপার্জন থাকলে যতই সালাত সিয়াম (রোজা) করুণ আল্লাহর সামনে অপরাধী হিসেবে দাঁড়াতে হবে।
#ঘুষ_দূর্নীতি_চাঁদাবাজি_রাষ্ট্রীয়_সম্পদ_আত্মসাতকারী___এবং_যাকাত_না_দিলেও।
[কোরআনের আইন]
*পিতা-মাতার সম্পদ থেকে মেয়েদের বঞ্চিত করার শাস্তি*
ইসলামী উত্তরাধিকার আইনে ওয়ারিশরা সম্পদের যে মালিকানা লাভ করে তা আল্লাহর পক্ষ থেকে এক মীমাংসিত বিধান। এটা পরিবর্তন-পরিবর্ধন বা ছলচাতুরী বা কূটকৌশল করার কারো কোন অধিকার নেই। তাই পিতা বা ভাই কর্তৃক মেয়েরা যেন তার উত্তরাধিকারী সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত না হয়, সেকারণেই কোরআনে আল্লাহ মেয়েদের সম্পত্তি বণ্টন করে দিয়েছেন। এটি ফরজ বিধান। কিন্তু মানুষ নিজের সম্পদের বণ্টনে শরিয়তের বিপরীতে আরেকটি নীতি গ্রহণ করে। সেটি হচ্ছে, কোনো সন্তানকে বেশি সম্পদ দিয়ে, অন্য সন্তানকে কম দেওয়া। হাদিসের বর্ণনায় এটাকেও মারাত্মকভাবে নিষেধ করা হয়েছে। কেউ তার জীবদ্দশায় সন্তানদের মধ্যে দান করতে চাইলে, সমতা বজায় রাখতে হবে। কমবেশি করা যাবে না। অর্থাৎ প্রত্যেক ছেলে-মেয়েকে সমান হারে দিতে হবে। এই আইন পিতা জীবিত অবস্থায় তার সন্তানদের মধ্যে সম্পদ প্রদানের ক্ষেত্রে। তবে পিতার মৃত্যুর পর কোরআনের বিধান মতো সম্পদ বণ্টন হবে। তখন মেয়েরা ছেলেদের অর্ধেক পাবে। আর আল্লাহর এই সীমারেখা যে লঙ্ঘন করলো, সে নিজের বাসস্থান হিসাবে জাহান্নামকেই বুকিং দিয়ে দিলো।
আল্লাহ তোমাদেরকে তোমাদের সন্তানদের সম্পর্কে নির্দেশ দিচ্ছেন, এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সমপরিমাণ। (সূরা নিসা আয়াত: ১১)
এসব আল্লাহর নির্ধারিত সীমা এবং যে ব্যক্তি আল্লাহ এবং তাঁর রাসুলের অনুসরণ করবে, আল্লাহ তাকে জান্নাতে প্রবেশ করাবেন, যার পাদদেশে ঝর্ণাধারা প্রবাহিত, তারা তাতে চিরবাসী হবে এবং এটা বিরাট সাফল্য। (সুরা নিসা আয়াত : ১৩)
আর যে আল্লাহ ও তাঁর রাসুলের নাফরমানী করে এবং তাঁর সীমারেখা লঙ্ঘন করে আল্লাহ তাকে জাহান্নামে প্রবেশ করাবেন। সেখানে সে স্থায়ী হবে। আর তার জন্যই রয়েছে অপমানজনক শাস্তি। (সুরা নিসা, আয়াত: ১৪)
••••কি সেই ‘আল্লাহর নির্ধারিত সীমারেখা’? মেয়েদের সম্পত্তিকে মহান আল্লাহর নির্ধারিত সীমা আখ্যা দেয়া হয়েছে এবং সুষ্ঠুভাবে বুঝিয়ে দেওয়া জান্নাতে যাওয়ার মাধ্যম বলা হয়েছে। অন্যদিকে যারা মেয়েদের সম্পত্তি বুঝিয়ে দেয় না, তাদের জাহান্নামের অপমানজনক শাস্তির ভয় দেখানো হয়েছে।
প্রশ্ন আসতে পারে এক ছেলের জন্য দুই মেয়ের অংশের সমপরিমাণ কেন? কারন আল্লাহ ছেলেদের তুলনায় মেয়েদের ওপর আর্থিক দায়দায়িত্ব আরোপ করেনি। আর এ দায়িত্বের কারণেই ছেলেদেরকে মেয়েদের তুলনায় মা-বাবার সম্পত্তি থেকে দ্বিগুণ অংশ দেয়া হয়েছে।
Dr. Tuhin Malik
১৭ই রমজান ঐতিহাসিক বদর দিবস।
(১) ২য় হিজরী সনের ১৭ই রমজানের ঐতিহাসিক বদর যুদ্ধ ছিল মুসলমানদের সাথে কাফির-মুশরিকদের সর্বপ্রথম মুখোমুখি সশস্ত্র সংঘর্ষ। বদর যুদ্ধে মুসলমান ছিল মাত্র ৩১৩ জন। অপর পক্ষে কাফিরদের সংখ্যা ছিল ১০০০-এর বেশি। মুসলমানদের মধ্যে ৮৫ জন ছিলেন মুহাজির সাহাবি। বাকি সবাই মদিনার আনসার। ৩১৩ জনের দলে উট ছিল ৭০টি। আর ঘোড়া ছিল মাত্র ২টি। অপরদিকে কাফিরদের এক হাজারের দলের ৬০০ জনের কাছেই ছিল বর্ম এবং ঘোড়া ছিল ২০০টি।
(২) এটি ছিল হক ও বাতিলের পার্থক্যকারী অথচ একটি অসম যুদ্ধ। কেননা একটি সুসজ্জিত এবং সংখ্যায় তিনগুণ অধিক ও প্রশিক্ষিত সেনাদলের সাথে অপ্রস্ত্তত, অসজ্জিত এবং সংখ্যায় তিনগুণ কম এবং বাস্তভিটা হারা মুহাজির ও নওমুসলিম আনসারদের এ যুদ্ধে জয়লাভ ছিল এক অকল্পনীয় ব্যাপার। এ কারণেই এ যুদ্ধের দিনটিকে পবিত্র কোরআনে ‘ইয়াওমুল ফুরক্বান’ বা কুফর ও ইসলামের মধ্যে ‘ফায়সালাকারী দিন’ (সুরা আনফাল ৮/৪১) বলে অভিহিত করা হয়েছে ।
(৩) বদরের এ দিনটিকে আল্লাহ স্মরণীয় হিসাবে উল্লেখ করে বলেন- ‘নিশ্চয়ই আল্লাহ তোমাদের সাহায্য করেছেন বদরের যুদ্ধে। অথচ তোমরা ছিলে দুর্বল। অতএব আল্লাহকে ভয় কর যাতে তোমরা কৃতজ্ঞ হতে পারো’ (আল ইমরান ৩/১২৩)।
(৪) বদরের যুদ্ধ ছিল কাফেরদের মূল কর্তনকারী ও সত্যকে প্রতিষ্ঠা দানকারী। এ যুদ্ধের পরে কাফের সমাজে এমন আতংক প্রবেশ করে যে, তারা আর কখনো বিজয়ের মুখ দেখেনি।
(৫) এ যুদ্ধে বিজয়ের ফলে মুসলমানদের শক্তি ও সাহস বৃদ্ধি পায়। দলে দলে লোকেরা ইসলামে প্রবেশ করতে থাকে। এমনকি মুনাফিক নেতা আব্দুল্লাহ প্রকাশ্যে ইসলাম কবুল করে। শত্রুরা ভীত হয়ে চুপসে যায়।
(৬) বদরের যুদ্ধের বিজয় ছিল মক্কা বিজয়ের সোপান স্বরূপ। এই সময় শা‘বান মাস থেকে কা‘বার দিকে কিবলা পরিবর্তিত হয় এবং বদর যুদ্ধের মাত্র ছয় বছর পরেই ৮ম হিজরীর ২০ রামাদ্বানে মক্কা বিজয়ের মাধ্যমে যা পূর্ণতা লাভ করে।
বদর যুদ্ধের শিক্ষা :
১) মক্কায় পরিবেশ প্রতিকূলে থাকায় সেখানে সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়নি। পক্ষান্তরে মদীনায় পরিবেশ অনুকূলে থাকায় এবং এখানে সবাই রাসূল (সাঃ)এর নেতৃত্ব মেনে নিতে মৌখিক ও লিখিতভাবে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়ার ফলে মুসলমানেরা চালকের আসনে থাকায় রাসূল (সাঃ)কে সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি দেওয়া হয়। এতে বুঝা যায় যে, বিজয়ের সম্ভাবনা ও পরিবেশ না থাকলে যুদ্ধের ঝুঁকি না নিয়ে সবর করতে হবে। যেমনটি মাক্কী জীবনে করা হয়েছিল।
(২) বদরের যুদ্ধ ছিল মূলতঃ আত্মরক্ষামূলক। আবূ জাহলকে বদরে মুকাবিলা না করলে সে সরাসরি মদীনায় হামলা করার দুঃসাহস দেখাত। যা ইতিপূর্বে তাদের একজন নেতা কূরয বিন জাবের ফিহরী সরাসরি মদীনার উপকণ্ঠে হামলা করে গবাদিপশু লুটে নেবার মাধ্যমে জানিয়ে গিয়েছিল। এতে বুঝা যায় যে, আত্মরক্ষা এবং ইসলামের স্বার্থ ব্যতীত অন্য কোন কারণে কাফেরদের সাথে সশস্ত্র যুদ্ধের অনুমতি নেই।
(৩) সংখ্যা ও যুদ্ধ সরঞ্জামের কমবেশী বিজয়ের মাপকাঠি নয়। বরং আল্লাহর উপরে দৃঢ় ঈমান ও তাওয়াক্কুল হ’ল বিজয়ের মূল হাতিয়ার। পরামর্শ সভায় কয়েকজন সাহাবী বাস্তব অবস্থার প্রেক্ষিতে যুদ্ধ না করে ফিরে যাবার পরামর্শ দিলে আল্লাহ ধমক দিয়ে আয়াত নাযিল করেন (আনফাল ৮/৫-৬)। এতে বুঝা যায়, আল্লাহর গায়েবী মদদ লাভই হলো বড় বিষয়।
(৪) যুদ্ধের উদ্দেশ্য হতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জন। যেটা যুদ্ধ শুরুর প্রথম নির্দেশেই আল্লাহর রাসূল (সাঃ) সাহাবীগণের উদ্দেশ্যে বলেছিলেন। অতএব চিন্তাক্ষেত্রের যুদ্ধ হোক কিংবা সশস্ত্র মোকাবিলা হোক। ইসলামের সৈনিকদের একমাত্র লক্ষ্য থাকতে হবে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ। কোন অবস্থাতেই দুনিয়া হাসিলের জন্য মুসলমানের চিন্তাশক্তি বা অস্ত্র শক্তি ব্যয়িত হবে না।
(৫) শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে যুদ্ধে নামলে আল্লাহ স্বীয় ফেরেশতা মন্ডলী পাঠিয়ে সরাসরি সাহায্য করে থাকেন। যেমন বদর যুদ্ধের শুরুতে রাসূলের বালু নিক্ষেপের মাধ্যমে (আনফাল ৮/১৭) অতঃপর ফেরেশতাদের সরাসরি যুদ্ধে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাহায্য করা হয়েছিল (আনফাল ৮/৯)।
(৬) যুদ্ধে গনীমত লাভের মাধ্যমে দুনিয়া অর্জিত হলেও তা কখনোই মুখ্য হবে না। বরং সর্বাবস্থায় রাসূলুল্লাহ (সাঃ) ও তাঁর নির্দেশ অনুযায়ী সেনাপতির অনুগত থাকতে হবে। বদর যুদ্ধে গনীমত বণ্টন নিয়ে বিবাদ উপস্থিত হলেও তা সাথে সাথে নিষ্পত্তি হয়ে যায় রাসূল (সাঃ)এর নির্দেশে এবং আয়াত নাযিলের মাধ্যমে (আনফাল ৮/১)।
(৭) কাফিররা মুসলমানদের সংখ্যা ও অস্ত্র শক্তিকে ভয় পায় না। বরং তারা ভয় পায় মুসলমানের ঈমানী শক্তিকে। বদরের যুদ্ধের পরে সে ভয় সমস্ত কুফরী শক্তিকে গ্রাস করেছিল। এ কারণেই পরবর্তী ওহুদের যুদ্ধে তারা মহিলাদের সাথে করে এনেছিল। যাতে পুরুষেরা যুদ্ধের ময়দান ছেড়ে না পালায়।
(৮) বদর যুদ্ধের বড় শিক্ষা এই যে, কুফর ও ইসলামের মুকাবিলায় মুসলমান নিজের সীমিত শক্তি নিয়ে আল্লাহর উপরে তাওয়াক্কুল করে ঝাঁপিয়ে পড়বে। আর এভাবেই চিরকাল ঈমানদার সংখ্যালঘু শক্তি বেঈমান সংখ্যাগুরু শক্তির উপরে বিজয়ী হয়ে থাকে (বাক্বারাহ ২/২৪৯)। এই ধারাবাহিকতা ক্বিয়ামত পর্যন্ত জারি থাকবে।
এটি ছিল একটি মহা অলৌকিক বিজয়। পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘(যুদ্ধে যারা নিহত হয়েছে) তাদের তোমরা কেউই হত্যা করোনি; বরং আল্লাহ তায়ালাই তাদের হত্যা করেছেন। আর তুমি যখন (তাদের প্রতি) তীর নিক্ষেপ করেছিলে, মূলত তুমি নিক্ষেপ করোনি, বরং করেছেন আল্লাহ তায়ালা স্বয়ং’ (সূরা আনফাল : ১৭)।
ইন রিলেশন উইথ আল্লাহ।
রাসূল (সাঃ) সমাজ সংস্কারে হিলফুল-ফুযুল গড়ে তুলেছিলেন তরুন বয়সে। হযরত আলী (রাঃ) রাসূল (সাঃ)এর সঙ্গী হয়েছিলেন কিশোর বয়সে।
যুবক যুবতী ভাই বোনেরা। আসুন, যৌবনের সেরা সময়টা আল্লাহকে দেই। রিলেশন করি আল্লাহর সাথে। নগদে পাওয়া ক্ষনিকের অযাচিত সুখকে চিরস্থায়ী সুখের বিনিময়ে ছেড়ে দেই, শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্য।
বৃদ্ধের ইবাদতের চেয়ে আল্লাহ অনেক অনেক বেশি খুশি হন যৌবন বয়সের ইবাদতে। রাসূল (সাঃ) বলেন, “যেদিন (কিয়ামত দিবসে) আল্লাহর আরশের ছায়া ছাড়া আর কোনো ছায়া থাকবে না। সেদিন তিনি সাত শ্রেনীর লোককে আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দিবেন। তাদের মাঝে একশ্রেনীর হলেন এমন যুবক, যারা যৌবনকাল আল্লাহর ইবাদতে কাটিয়েছেন।” (বুখারি, ৫০৪)
এই সাত শ্রেনীর মধ্যে সেই শ্রেনীকেও আল্লাহ তাঁর আরশের ছায়ায় স্থান দিবেন — “যে যুবককে কোনো সুন্দরী নারী ব্যভিচারের আহবান করলে সে বলে, আমি আল্লাহকে ভয় করি।”
রাসূল (সাঃ) আরো বলেন, “হাশরের ময়দানে মানুষকে পাঁচটি বিষয়ে প্রশ্ন করা হবে- তন্মধ্যে একটি প্রশ্ন করা হবে যৌবনকাল কিভাবে কাটিয়েছো।” (বুখারি)
আর এই সেক্রিফাইসের বিনিময় একটাই। আর সেটা হচ্ছে চিরস্থায়ী জান্নাত। খুব বেশী কি দুরে? তারুণ্যের পর যৌবন। এরপর বার্ধক্য। এরপর .... ? এরপর সবই চিরস্থায়ী! হয় চিরস্থায়ী জান্নাত। আর না হয় চিরস্থায়ী জাহান্নাম!
যুবক যুবতী ভাই বোনেরা। আসুন, যৌবনের অযাচিত ক্ষনিকের সুখের বিনিময়ে জান্নাতের চিরস্থায়ী সুখকে কিনে নেই। আত্মশুদ্ধির এই পবিত্র মাসে এটাই হোক তারুণ্যের প্রত্যয়। মৃত্যু বার্ধক্য পর্যন্ত অপেক্ষা করে না। মৃত্যু কোন সিরিয়ালও মানে না। তাই আল্লাহকে সেরা সময়টাই দেই। রিলেশন হোক আল্লাহর সাথে।
Dr. Tuhin Malik
আজ সকালে প্রিয়তমা স্ত্রীকে ডেকে বললাম আমার মৃত্যুর পরে যদি কখনো আমার সন্তানেরা তোমাকে জিজ্ঞাস করে আমাদের বাবা আমাদের জন্য কি রেখে গেছে? তখন তুমি আমার গড়া পরিছন্ন বইয়ের এই ছোট্ট সেল্ফটি দেখিয়ে দিও।
© Hossain Bin Moazzem Polash
সবাই বই কিনুন বই পড়ুন, পরবর্তী প্রজন্মকে সঠিক পথ দেখাতে প্রতি ঘরে ঘরে ব্যক্তিগত লাইব্রেরী গড়ে তুলুন—
চিন্তাভাবনা করছি সুধ মুক্ত ঋণ প্রচলন করার। কেউ টাকা দিলে তার নিজস্ব কোন এখতিয়ার থাকবে না। অবশ্যই বৈধ ব্যবসা জন্য প্রযোজ্য হবে। এবং অনেক কিছু কন্ডিশন থাকবে।
ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ কাফেরের ইচ্ছা দ্রুত পূরণ করেন। আর মুমিনের ইচ্ছা দেরিতে পূরণ করে। কারণ মুমিনের কান্নাকাটি আল্লার ভালো লাগে।
চাওয়ার সাথে সাথেই ইচ্ছে পূরণ হয়ে গেলে দুআ আর দীর্ঘায়ু হয় না। আল্লাহর প্রতিদান গুলো অসাধারণ।
রাসূল সাঃ এর জীবনী জানা ফরজ।
আপনি অযোগ্য, তাই হাল ছেড়ে দিয়েছেন—বিষয়টি এমন নয়। বিষয় হলো—আপনি হাল ছেড়ে দেন, তাই আপনি অযোগ্য।
~জাফর বিপি।
"জ্ঞান পরিবেশ রুচির পরিবর্তন ঘটায়।"
"আল্লাহ যাকে সন্মানিত করেন কে আছে তাঁর সন্মান কেড়ে নেওয়ার?"
আলহামদুলিল্লাহ!🍂
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Badambari
Rajshahi Division
BADAMBARI
Calle 8va # 230 Interior # 2 Fracc. San Quintín Cuidad San Quintín
Rajshahi Division, 22940
Educación de belleza y estilismo profesional
Rajshahi Division
إن الذي ملأ اللغات محاسنآ ،جعل الجمال وسره في الضاد
12 Avenida NoRoute Barrio Honduras, La Union
Rajshahi Division
Institución educativa que ofrece servicios desde Parvularia hasta Bachillerato
744660627782, , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , , ,
Rajshahi Division
niyaz uddin
Zone 1 Barangay Dangla Garchitorena Camarines Sur
Rajshahi Division, 4428
Reunited after 22 years!