সমন্বয় স্বাস্থ্য ক্লিনিক
হোমিওপ্যাথি, হিজামা, আকুপ্রেসার/পাংচার সহ আরও কিছু পদ্ধতির কার্যকর সমন্বয় ও কম্পিউটারের সফল ব্যবহার।
আমি ও আমার পরিবারের কেউ করোনার টিকা নেই নাই। একজন হোমিওপ্যাথিক ডাক্তার হিসাবে জানি টিকা ভয়ংকর! লাভের চেয়ে লস বেশি! তাই হোমিওপ্যাথি টিকা সমর্থন করে না। টিকা হোমিও নীতিবিরুদ্ধ।
♦চর্মরোগের সহজ ও স্থায়ী চিকিৎসা♦
পৃথিবীতে হাজারো ধরনের চিকিৎসা পদ্ধতি রয়েছে। এগুলির মধ্যে অন্যতম কয়েকটি হচ্ছে এলোপ্যাথি হো- মিওপ্যাথি আয়ুর্বেদ ইউনানী ও আকুপাংচার। প্রত্যেকটি প্যাথির ভালো দিক রয়েছে, খারাপ দিক রয়েছে। কেউই স্বয়ংসম্পূর্ণ নয়। emergency ক্ষেত্রে এলোপ্যাথির তুলনা আজও নাই। তেমনি chronic diseases নিরাময় করতে চাইলে অর্থাৎ একদম নির্মূল করতে চাইলে হো- মিওপ্যাথি অতুলনীয়।
CO -ভিড পরবর্তী যন্ত্রণাঃ
CO - ভিড পরবর্তী সময়ে টি কার কুফলস্বরূপ নানা রকম এলার্জি, চর্মরোগ দেখা দিচ্ছে। এখন প্রায় প্রতিটা ঘরে ঘরে চর্মরোগে কষ্ট পাচ্ছে মানুষজন। চর্মরোগের এত ব্যাপক বিস্তৃতি আগে কোনদিনই ছিল না।
স্বচিকিৎসার বিপদঃ
হাজারো রকমের চর্মরোগ আছে। কোনোটা ভাইরাস কিংবা ব্যাকটেরিয়াজনিত, কোনোটা ছত্রাক, প্যারাসাইটজনিত, কোনোটা আবার টিকার কুফল স্বরূপ। সুতরাং সব চর্মরোগে এন্টিফাংগাল বা ছত্রাকনাশক ওষুধ দেওয়া মুর্খামি ছাড়া কিছু না। আবার প্রচলিত এসব ওষুধের কোনোটা আপনার কিডনি নষ্ট করে, কোনোটা আপনার লিভার নষ্ট করে।
তাই নিজে নিজে ডাক্তারি না করে একজন অভিজ্ঞ ও দক্ষ ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
পথের দিশাঃ
কিছু কিছু চর্মরোগে এতো মারাত্মক চুলকানি, জ্বালা (burning) যে রোগি ধৈর্যের শেষ সীমায় পৌঁছে যায়। অথচ আফসোস আমাদের হাতের কাছেই থাকা এর সহজ ও স্থায়ী চিকিৎসা পদ্ধতি সম্পর্কে আমরা আজও ওয়াকিফহাল নই।
যেখানে বিভিন্ন চর্মরোগ নিয়ন্ত্রণে অন্যান্যপ্যাথি ব্যর্থ হচ্ছে সেখানে হো- মিওপ্যাথিতে প্রতিনিয়ত দুরারোগ্য সব চর্মরোগ নিরাময় হয়ে যাচ্ছে। স্রেফ মুখে সেবনের ঔষধ দিয়ে, কোনো মলম ব্যবহার না করেই।
মলম ব্যবহারে কী হয়ঃ
আপনি হয়তো মলম ব্যবহার করলেন। সকালে ঘুম থেকে উঠেই দেখলেন আরেহ, চুলকানি, জ্বালাযন্ত্রণা কিচ্ছু নাই! ঘা, উদ্ভেদও দূর হতে শুরু করেছে। দুচারদিনের মধ্যেই আপনি দিব্যি ভালো হয়ে গেছেন।
কিন্তু শুভঙ্করের ফাঁকিটা হলো, আপনি আপাতত চর্মরোগটাকে চাপা দিলেন। তাকে কিছুদিনের জন্য ঘুমাতে পাঠালেন। অচিরেই তার এই ঘুম ভেঙে যাবে। এবং তখন এই রোগটা আরও শক্তি সঞ্চয় করে ভয়ংকররূপে দেখা দেবে। আপনাকে ভোগান্তির চরম সীমায় নিয়ে যাবে। নিরুপায় হয়ে আবার আপনি মলম লাগাবেন। এভাবে বারবার মলম লাগিয়ে যেতে থাকবেন আর ক্রমশ ভালো থাকার দিনগুলি কমতে থাকবে। এক সময় সকল মলমই ব্যর্থ হবে। আর আপনার মরে যেতে ইচ্ছা করবে।
বারবার মলম ব্যবহারের মাধ্যমে রোগটাকে চাপা দিলে আরেকটা কুফল দেখা দেয়ার সম্ভাবনা খুবই প্রবল। সেটা হলো চর্মরোগটা তখন অন্য কোনো কঠিন রোগে রূপান্তরিত হয়ে পড়ে, যেমন - অ্যাজমা দেখা দিতে পারে, হার্টে সমস্যা হতে পারে, কিডনিজনিত সমস্যা হতে পারে এবং আরও কতো কী!
সতর্কতাঃ
সাধারণত একজন ডাক্তার যখন চর্মরোগকে কোনভাবেই নিয়ন্ত্রণ করতে পারেনা তখন স্টেরয়েডের আশ্রয় নিয়ে থাকে। স্টেরয়েড এমন একটি মারাত্মক কেমিকাল যা আপনাকে ধ্বংস করে দেবে। আপনার হার্ট লিভার কিডনি ফুসফুস সব এলোমেলো করে দেবে। যৌনশক্তিকে নিঃশেষ করে ফেলবে। তাই আসুন, স্টেরয়েডযুক্ত যেকোনো ধরনের ঔষধ, মলম, ইনজেকশন থেকে সচেতনভাবে দূরে থাকি।
আশার কথাঃ
কোনো রোগ নিয়ন্ত্রণের জন্যই হো- মিওপ্যাথিতে স্টেরয়েডযুক্ত কোন প্রকার ঔষধ ব্যবহারের প্রয়োজন পড়ে না। মূলত হো- মিওপ্যাথিতে স্টেরয়েডযুক্ত কোনো ঔষধই নাই।
যদি কোনো হো- মিওপ্যাথিক ডাক্তার স্টেরয়েডযুক্ত কোনো কিছু ব্যবহার করেন তবে তিনি বেআইনি কাজ করবেন।
শেষকথাঃ
যে কোনো ধরণের চর্মরোগ থেকে স্থায়ী আরোগ্য চাইলে আসুন একজন ভালো হো- মিওপ্যাথিক চিকিৎসকের শরণাপন্ন হই। মনেরাখবেন যিনি আপনাকে মলম দেবেন তিনি নিশ্চয়ই ভালো মানের হো- মিওপ্যাথিক ডাক্তার নন।
# # আরও কিছু জানতে চাইলে ইনবক্স করুন।
#হোমিওতে_চর্মরোগ_ভালো_হয়
হোমিওপ্যাথির পরিমার্জন!
কনস্টানটাইন হেরিংয়ের অভিমত
হ্যানিম্যানের Chronic Diseases এর মুখবন্ধে ( ১৮৪৫ সংস্করণ-পৃষ্ঠা ৯), কনস্টানটাইন হেরিং বলেছেন:
“It is the duty of all of us to go farther in the theory and practice of Homœopathy than Hahnemann has done. We ought to seek the truth which is before us and forsake the errors of the past.”
“হোমিওপ্যাথির তত্ত্ব ও অনুশীলনে হ্যানিম্যানের চেয়ে আরও এগিয়ে যাওয়া আমাদের সকলের কর্তব্য। আমাদের উচিত আমাদের সামনে থাকা সত্যের অনুসন্ধান করা এবং অতীতের ভুলগুলি পরিত্যাগ করা।”
এটা খুবই দুঃখের বিষয় যে স্যামুয়েল হ্যানিম্যানের অনুসারীরা ডঃ হেরিং এর করা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এই বক্তব্যের অর্থ এবং তাৎপর্য বুঝতে সম্পূর্ণভাবে ব্যর্থ হয়েছেন।
এই বিবৃতি দ্বারা, হেরিং এটা খুব স্পষ্টভাবেই বুঝিয়েছেন যে তিনি হ্যানিম্যানের দ্বারা বলা প্রতিটি শব্দকে "চূড়ান্ত সত্য" বলে মনে করেননি। তিনি আরও মনেকরেন যে, আমাদের মহান গুরু হ্যানিম্যানের তত্ত্বগুলি "অপরিবর্তনীয়" নয়, বরং পরিমার্জন ও অগ্রগতির জন্য উপযুক্ত।
হোমিওপ্যাথির তত্ত্ব ও অনুশীলনে যখনই কেউ হ্যানিম্যানের চেয়ে এগিয়ে যেতে চেষ্টা করেছে, একদল প্রাচীনপন্থী তাকে টেনে ধরেছে! এই টানাটানিতে হানি হয়েছে হোমিওপ্যাথির। আজও আমরা বলাচলে হ্যানিম্যানের যুগেই ঘুমাচ্ছি। আর ক্লাসিক! ক্লাসিক! বলে চিল্লাচ্ছি এবং সমানে জোচ্চুরি করে যাচ্ছি। কেউ কেন্ট, কেউ সেহগাল, কেউ শ্যামল অথচ দাবি করছি “আমিই হ্যানিম্যানিয়ান”!
হ্যানিম্যান যতটুকু দিয়ে গেছেন, তৎকালীন বৈজ্ঞানিক জ্ঞানের সীমাবদ্ধতার কারণেই তার বেশি এগোতে পারেননি।
আসুন আমরা হোমিওপ্যাথির তত্ত্ব এবং অনুশীলনে আরও এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করি, সত্য অন্বেষণ করি এবং অতীতের ভুলগুলি পরিত্যাগ করি!
আসুন, ভালো থাকি সুস্থ থাকি। 🏋️♂️⛹️♂️🤾♀️🏌️♂️🤾♂️🏄🏊♀️🚣♂️🚴🤸♀️🤼♂️🧘♂️
হোমিওপ্যাথি একটি প্রাকৃতিক চিকিৎসা পদ্ধতি। এটি রোগকে একদম মূল থেকে তুলে ফেলে, চাপা দেয় না। এবং সচেতন প্রত্যেককে জানতে হবে যে, একটি রোগকে বারবার চাপা দেয়া হলে সেটি রূপান্তরিত হয়ে অন্য দুরারোগ্য রোগে পরিণত হয়। উদাহরণস্বরূপ, চর্মরোগ বারবার চাপা দিলে জটিল এজমা বা হাঁপানি দেখা দিতে পারে; অথবা কিডনি বা লিভারসহ দেহের ভিতরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গপ্রত্যঙ্গগুলি অকার্যকর হয়ে যেতে পারে।
হোমিওপ্যাথির সবচেয়ে বড় সুবিধা হলো – রাসায়নিক কুফল, খাদ্যে ভেজাল জনিত কুফল এবং ক্ষতিকর ঔষধসমূহের মারাত্মক কুফলের এই যুগে হোমিওপ্যাথির পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই বললেই চলে।
জীবনধ্বংসকারী ডেঙ্গু, চিকুনগুনিয়া, ও ক - রো - নার মতো মারাত্মক অচির রোগগুলি সামলাতেও হোমিওপ্যাথির বিকল্প আর কিছু নাই।
রক্তচাপ, বহুমূত্র, হাইপো অথবা হাইপার থাইরয়েডিজম, অটিজম, সোরিয়াসিস ইত্যাদি সহ আরও বিভিন্ন অটোইমিউন ডিজিস, যেগুলির আরোগ্যকর কোনো চিকিৎসা এখনো অন্যপ্যাথিতে আবিষ্কৃত না হলেও হোমিওপ্যাথিতে এই রোগগুলি নিয়মিত আরোগ্য হচ্ছে।
যেসব ক্ষেত্রে এলোপ্যাথিতে অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হয় সেসব ক্ষেত্রেও দেখা যায় হোমিওপ্যাথিক ঔষধ প্রয়োগের মাধ্যমেই রোগি সুস্থ হয়ে ওঠে। অস্ত্রপচারের প্রয়োজন হয় না। যেমন – মূত্রপাথুরি, পিত্তপাথুরি, টনসিল প্রদাহ, অ্যাপেন্ডিসাইটিস, ডায়াবেটিস ফুট আলসার, হার্নিয়া, চোখের ছানি, অর্শ বা পাইলস, আঁচিল, টিউমার, নাকের পলিপস ইত্যাদি।
তাই আসেন, হোমিওপ্যাথির উপরে আস্থা রাখেন। ইনশাআল্লাহ, সুস্থতা আপনার দরজায় কড়া নাড়বে।
হোমিওপ্যাথিক ডাঃ নাঈম ভুঁইয়া, DHMS
চেম্বার ১
সমন্বয় হোমিও হল, মাধবপাশা বাজার, বরিশাল।
ফোন ০১৮১৮ ৩৯৯৩৪৯ (হোয়াটস আপ)
০১৯১৮৮৮৬৯৬৭ (ইমু)
চেম্বার ২
মা হোমিও হল, বোসের হাট, কড়াপুর,বরিশাল।
ফোন ০১৮১৮ ৩৯৯৩৪৯ (হোয়াটস আপ)
০১৯১৮৮৮৬৯৬৭ (ইমু)
HIGH BLOOD PRESSURE বা উচ্চ রক্তচাপ নিয়ে কিছু কথা
স্বাভাবিক রক্তচাপ -
১৮ বছর বয়সে থাকবে ১০০/৬০ মিলিমিটার মার্কারির কাছাকাছি।
৫০ বছর বয়সে থাকবে সর্বাধিক ১৪০/৯০ মিলিমিটার মার্কারি।
এর উপরে গেলে সেটাকে আমরা HIGH BLOOD PRESSURE বা উচ্চ রক্তচাপ বলবো।
এই সিসটোলিক ও ডায়াসটোলিক প্রেসার বয়সের ক্রমানুসারে ১০০/৬০ থেকে ক্রমশ বাড়তে বাড়তে ১৪০/৯০ হবে।
------------------
HIGH BLOOD PRESSURE বা উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম প্রধান কারণ অনিয়ন্ত্রিত ও অসচেতন খাদ্যাভ্যাস।
মূলত প্রোটিন বা আমিষ জাতীয় খাদ্য রক্তচাপের বৃদ্ধি ঘটায়।
যাদের রক্তচাপ বেশি আছে, তাদের প্রোটিন জাতীয় খাদ্য কমাতেই হবে ।
-------
কোনগুলা প্রোটিন জাতীয় খাদ্য?
ডাল, ছানা, মাছ, মাংস ও ডিম ইত্যাদি।
যাদের প্রেসার বেশি আছে তারা প্রোটিন জাতীয় খাদ্য কমাতে থাকুন, প্রেসার কমতে থাকবে।
একজন মানুষের প্রোটিন কতটা কমাতে পারি?
দৈনিক চল্লিশ গ্রামে নামিয়ে আনতে পারি।
-------------------------------------------------------------
অন্যথায় ক্ষতি কি?
প্রেসারের বড়ি খেয়ে প্রেসার কমালে কি হয়?
প্রেসারের বড়ি খেয়ে প্রেসার কমালে, যন্ত্রে প্রেসার কম দেখাবে। কিন্তু প্রোটিন খাওয়াতো কমবে না, ফলে শরীরে প্রোটিনের মাত্রা বেড়ে যাবে। আপনি নিয়মিত প্রেসারের ঔষধ খেয়ে প্রেসার কমাচ্ছেন। কিন্তু আমিষ খাওয়া কমাচ্ছেন না। এতে কৃত্রিমভাবে রক্তচাপ সাময়িক নিয়ন্ত্রণে থাকলেও উপরি লাভ হবে বিভিন্ন রকম অ্যালার্জি!
যেমন : চুলকানি
হাঁপানি
বাতজ রোগ
কিডনি ফেলিওর
টেনশন
বিভিন্ন রকমের যন্ত্রণা
আবার এই সব উপসর্গ কমাতে অন্যান্য ঔষধের প্রয়োগ করতে হবে। ফলে জটিলতা আরও বেড়ে যাবে। এবং অমোঘ ডায়াবেটিস দেখা দেবে। আর তারপর ষোলোকলা পূর্ণ!
এই দুষ্ট চক্র চলতেই থাকবে। যাকে ইংরেজিতে বলে vicious circle.
এই দুষ্টচক্র ভাঙতে চান?
তাহলে -
সঠিক ডায়েট ফলো করুন।
সাথে পার্শ্বপ্রতিক্রিয়ামুক্ত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ গ্রহণ করুন।
ডা. নাঈম ভুঁইয়া
সমন্বয় হোমিও হল
মাধবপাশা বাজার,
থানা - বিমানবন্দর, বরিশাল।
ফোন - 01818399349
ডা. বেণি মাধবের পোস্ট থেকে ঈষৎ পরিবর্তিত ও সংকলিত।
আধুনিক কালে মাছ-মাংস-ডিম ও তৈলাক্ত ভাজাভুজি বর্জন করে উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ করা যায়।
সাথে হোমিওপ্যাথিক চিকিৎসা নিলে ইনশাআল্লাহ, কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া ছাড়াই রক্তের উচ্চ চাপ নিয়ন্ত্রণে থাকবে।
ডা নাঈম ভুঁইয়া
সমন্বয় হোমিও হল
মাধবপাশা বাজার, বিমানবন্দর থানা, বরিশাল।
ফোন 01818-399349
মানবদেহ পাথর তৈরির এক কারখানা!
মুক্তির সহজ উপায়!
মানবদেহের কোথায় কোথায় পাথর তৈরি হতে পারেঃ
১। কিডনি বা বৃক্ক, মূত্রনালি, ও মূত্রাশয়ে –
২। প্রস্টেট গ্লান্ডে –
৩। পিত্তথলিতে –
৪। প্যানক্রিয়াস বা অগ্নাশয়ে –
৫। পাকস্থলি ও অন্ত্রে -
৬। গলমধ্যস্থ টনসিলের কাছে – মুখে জিবের নিচে –
৭। দাঁতে -
৮। নাকের ভিতরে –
৯। ধমনীতে –
আজ শুধু মূত্রপাথুরি অর্থাৎ মূত্রযন্ত্র যথা - কিডনি, মূত্রনালি, ও মূত্রাশয়ের পাথর নিয়ে আলোচনা করবো।
মূত্রযন্ত্রে পাথর কেন হয়ঃ
# পর্যাপ্ত পানি পান না করা এর অন্যতম প্রধান কারণ। এছাড়া –
# অধিক পরিমাণে প্রাণীজ আমিষ খাওয়া।
# অধিক লবণ খাওয়া।
# উচ্চমাত্রার অক্সালিক এসিড যুক্ত খাবার যেমন – চকলেট, গাঢ় সবুজ শাকসবজি, বেগুন ইত্যাদি বেশি পরিমাণে খাওয়া।
# বাজারে প্রচলিত কোমল পানীয়।
# এবং কিছু এলোপ্যাথিক ঔষধ।
মূত্রযন্ত্রে পাথর হলে যত ভোগান্তিঃ
# পিঠের নিচের দিকে, পেটের নিচের দিকে এবং কুঁচকিতে ভয়ঙ্কর ব্যথা হয়। সাধারণত এই ব্যথা সহ্যসীমার বাইরে চলে যায়।
# ঘনঘন অথবা ব্যথাযুক্ত মূত্রত্যাগ।
# রক্তমিশ্রিত মূত্রত্যাগ।
# বমি বা বমিবমি ভাব।
চিকিৎসাঃ এলোপ্যাথিতে অস্ত্রপচার ভিন্ন অন্য কোনো উপায়ে সাধারণত এই পাথরগুলি বের হয়ে যায় না। তবে হোমিওপ্যাথিতে সাধারণত অস্ত্রপচার লাগে না, ঔষধেই পাথর দূর হয়ে যায়।
হোমিওপ্যাথিক কিছু ঔষধ আছে যা পেশিকে প্রসারিত ও অধিক কর্মক্ষম করে তোলে। আর কিছু ঔষধ আছে যা পাথরকে মূত্রের সাথে বের করে দেয়। তাই এই দুই ধরণের ঔষধ পর্যায়ক্রমে প্রয়োগ করলে মূত্রনালি প্রসারিত হয়ে সহজে পাথর বের হয়ে আসে।
আমাদের সাথে যোগাযোগঃ-
হোমিওপ্যাথিক -
ডাঃ নাঈম ভুঁইয়া
DHMS
সমন্বয় হোমিও হল,
মাধবপাশা বাজার, বিমান বন্দর থানা, বরিশাল।
Mob. 01818399349
বিঃদ্রঃ সংযুক্ত ছবিটি শুধুই দ্ষ্টি আকর্ষণের জন্য।
আমাদের চেম্বারে নতুন কিছু সাফল্যঃ
১। সোহাগ ছেলেটির নাম। বয়স ৩০ এর আশেপাশে। একদিন এসে বললো যে, তার কোমরে প্রচণ্ড ব্যথা। ধান কাটার মৌসুম অথচ সে নুয়ে ধান কাটতে পারছে না।
আমি তাকে হিজামা সম্পর্কে ধারনা দিলাম এবং উদ্বুদ্ধ করলাম এটা নেওয়ার জন্য। পরের দিন সে হিজামা নিলো। (হিজামা একটি পার্শ্বপ্রতিক্রিয়াবিহীন চিকিৎসা পদ্ধতি যাতে শরীরের ভিতরে জমে থাকা বিষ বা টক্সিন বিশেষ প্রক্রিয়ায় দূর করে দেয়া হয়। ফলে রোগী খুব দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠে। বাত-ব্যথা-বেদনাতে খুব ভালো কাজ করে। তবে বলা যায় যে কোনো রোগব্যাধির ক্ষেত্রেই হিজামা বা কাপিং থেরাপি গ্রহণ করে উপকৃত হওয়া সম্ভব।)
আল্লাহর রহমতে এখন আর তার কোমর ব্যথা নাই। পুরো মৌসুমে তার কাজ করতে অসুবিধা হয়নি। এপ্রিল মাসের ২৩ তারিখে সে আমাদের কাছ থেকে হিজামা নিয়েছিল।
২। আমার ক্লাস মেইট, দুলাল। একত্রে প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ও উচ্চ বিদ্যালয়ে পড়েছি। কিছুদিন আগে মাধবপাশা বাজারে বসে তার সাথে দেখা। আলাপ প্রসঙ্গে জানলাম রমজান মাসে আছাড় খেয়ে বাম ক্লাভিকলের হাড়টি ভেঙে গেছে। বহু টাকা খরচ হয়ে গেছে। এখনও ব্যথা করে প্রচণ্ড এবং বাম কাঁধের ও হাতের নড়াচড়ায় সমস্যা হচ্ছে অর্থাৎ কেতাবি ভাষায় যাকে ফ্রোজেন সোল্ডার বলে। আমি তাকে জানালাম হাড়ভাঙ্গা জুরে দিতে হোমিওপ্যাথির সাফল্য অসাধারণ। ব্যান্ডেজের পরে নিয়মিত হোমিওপ্যাথিক ঔষধ সেবন করলে দ্রুত হাড় জোরা লেগে যায়।
চিকিৎসকের পরামর্শে সে কিছুদিন ধরে ফিজিওথেরাপি নিচ্ছিল। আমি তাকে তার হাড়ভঙ্গজনিত ব্যথা-বেদনা ও ফ্রোজেন সোল্ডার ভাল করার জন্য হিজামা থেরাপির কথা বললে সে কোনো মন্তব্য করেনি সেদিন।
অতঃপর, গত পরশুদিন (০৯-০৬-২০২২) এসে সে হিজামা নিতে চাইল। জানালো যে, ফিজিওথেরাপিতে আশানুরূপ কাজ হচ্ছে না। আমার হাতে আরেকজন রোগী ছিল। তাকে হিজামা দেয়ার পরে দুলালকে হিজামা দিলাম।
গতকালকে চেম্বার খুলিনি। দুলাল এসে ফিরে গিয়েছিল। আজ খোলার পরে দুলাল এসে জানিয়ে গেল পরেরদিন থেকেই তার ব্যথা প্রায় উধাও। এবং ঢাকা ও বরিশালে প্রায় ১৫ দিন ফিজিওথেরাপি নিয়ে যা হয়নি তা একদিনের হিজামাতেই অর্জিত হয়েছে।
আলহামদুলিল্লাহ। আল্লাহ তায়ালা আমাদেরকে এত কার্যকর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি দিয়েছেন। সকল প্রশংসা তার।
৩। একজন মহিলা রোগী। সঙ্গত কারণেই তার পরিচয় গোপন রাখা হলো। তার সমস্যা ইউটেরাসে সিস্ট। এবং সে কারণে মিন্সট্রুয়াল কিছু ইস্যু এবং গর্ভসঞ্চার না হওয়া।
তাকে কেস টেকিং বা রোগীলিপি করে কম্পিউটারের সহায়তা নিয়ে ১৭ই মার্চ প্রথম ঔষধ দিয়েছিলাম। তারপর আরও কয়েকবার ঔষধ দিতে হয়েছে। গত পরশু (০৯-০৬-২০২২) এসে জানিয়ে গেলেন, তিনি বর্তমানে প্রেগন্যান্ট। পরামর্শের জন্য তার শ্বাশুড়ি তাকে নিয়ে বিশেষজ্ঞ বড় ডাক্তারের কাছে নিয়ে যেতে চেয়েছিলেন। আর যাই হোক, অনেক সাধনা ও প্রতীক্ষার ফসলতো! কিন্তু উক্ত মহিলা রোগী আমার পরামর্শ ছাড়া কিছুই করবেন না। আমি তাকে জানিয়ে দিয়েছি, যে প্যাথি আল্লাহর রহমতে তাকে সন্তান ধারণে সক্ষম করে তুলেছে সে প্যাথি তাকে বাকি পথও সুষ্ঠুভাবে পাড়ি দিতে সাহায্য করতে পারবে। ইনশাআল্লাহ, তাকে অন্য কোথাও যেতে হবে না।
কেন আমরা একত্রে একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতির আশ্রয় নেব?
মহাপ্রতাপশালী শত্রুর সাথে লড়াইয়ে জিততে হলে আপনাকে যথোপযুক্ত অস্ত্রশস্ত্রে সমৃদ্ধ হয়েই ময়দানে নামতে হবে নয়ত হেরে যেতে হবে নিশ্চিত। কিংবা একশ জন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছুটে আসছে আপনাকে কতল করতে। আপনার পক্ষে আছেন শুধু আপনি। কাজ হবে? শত্রুদলকে হঠিয়ে দিতে হলে নিশ্চয়ই আপনারও একটি দুর্ধর্ষ বাহিনী থাকতে হবে, তাই না?
এবার চলেন এই উপক্রমনিকার কারণটুকু বলিঃ
আমরা সবাই জানি, পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান শতাব্দিতে রোগব্যাধি অকল্পনীয় জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। প্রতিটি রোগই এখন মহাপ্রতাপশালী। বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাসট্রিক, বাতব্যাধি, লিভার ড্যামেজ, কিডনি ড্যামেজ, ক্যানসার, থাইরয়েডে সমস্যা, মাইগ্রেনের ব্যথা ইত্যাদি আরও কত যে আছে! আমাদের জীবনকে অশান্তিতে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য এদের যে কোনো একটাই যথেষ্ট। সেখানে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি এরকম একাধিক হিংস্র ব্যাধিতে। এই হিংস্র দলকে কাবু করতে হলে এখন আর কোনো একক চিকিৎসা পদ্ধতিই যথেষ্ট নয় বেশির ভাগ সময়ে। সুতরাং আমাদের উচিত একত্রে একাধিক পদ্ধতির সাহায্য নেয়া। যাতে দ্রুত আমরা আরোগ্য লাভ করতে পারি। বোঝার সুবিধার্থে এভাবে উদাহরণ দেয়া যায়ঃ বড় একটা মালবোঝাই ঠেলাগাড়ি একজন লোক এসে ঠেলতে শুরু করলেন কিন্তু একচুলও নাড়াতে পারলেন না। যখন আরেকজন এসে তাকে সাহায্য করলেন তখন গাড়িটি আস্তে আস্তে চলতে শুরু করল। অতঃপর যখন আরও একজন এসে তাদের সাথে হাত লাগালেন তখন গাড়িটি তরতর করে চলতে শুরু করল। সুতরাং রোগের ক্ষেত্রেও তাই। মহাপ্রতাপশালী রোগসমূহকে পরাজিত করতে হলে আমাদেরকে একাধিক শক্তির আশ্রয় নিতে হবে। যুদ্ধ পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে হবে। এ উদ্দেশ্যে আমরা মনেকরি, একাধিক ঔষধি পদ্ধতি একত্রে না চালিয়ে একটি ঔষধি পদ্ধতির সাথে একটি অথবা একাধিক অনৌষধি পদ্ধতি যুক্ত করে চিকিৎসা নিলে রোগ আরোগ্যের গতিকে আশাতীত উন্নত করা যায়। একাধিক ঔষধি পদ্ধতি একত্রে না চালানোর যুক্তি হল, কখনো কখনো এক পদ্ধতির ঔষধ অন্য পদ্ধতির ঔষধের ক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে তুলতে পারে। বা পারস্পরিক বিরুদ্ধ স্বভাবের কারণে রোগীর কল্যাণের বদলে আরো ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সমন্বয় স্বাস্থ্য ক্লিনিক এই দর্শন বা চিন্তা থেকেই একটি ঔষধি চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে আরও বিভিন্ন অনৌষধি চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয় করে আপনাদের জন্য প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
আমাদের সেবার পরিধিঃ
১। হোমিওপ্যাথি
২। কাপিং থেরাপি
৩। ম্যাগনেট থেরাপি
৪। আকুপ্রেসার
৫। আকুপাংচার
৬। কোলন হাইড্রোথেরাপি বা এনিমা থেরাপি
৭। নিউট্রিশন ও ডায়েট থেরাপি
আমাদের কাছে আপনারা বিশেষ যে সুবিধাগুলো পাবেনঃ
# জটিল রোগের ক্ষেত্রে একাধিক পদ্ধতির সমন্বয়ে একটি সুষম বা ব্যালেন্সড চিকিৎসা সেবা।
# প্রয়োজনে অত্যাধুনিক কম্পিউটারের সহায়তায় ঔষধ নির্বাচন।
# নর-নারী ও শিশুদের যাবতীয় জটিল রোগের চিকিৎসার সুব্যবস্থা।
# পুরুষদের জন্য পুরুষ ডাক্তার ও মহিলাদের জন্য মহিলা ডাক্তারের ব্যবস্থা।
# দুঃস্থ ও অসহায় রোগিদের জন্য রয়েছে বিশেষ ছাড়।
# প্রয়োজনে অধিকতর দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের ব্যবস্থা রয়েছে।
যোগাযোগঃ
ডাঃ নাঈম ভুঁইয়া (ডি এইচ এম এস)
ডাঃ রেহানা ইয়াসমিন (ডি এইচ এম এস)
সমন্বয় হোমিও হল, মাধবপাশা বাজার (পূর্ব মাথায় মসজিদের কাছে, গ্রামীণ টাওয়ারের বিপরীতে), থানা - বিমান বন্দর, জিলা - বরিশাল।
মোবাইল ফোন: ০১৮১৮ ৩৯৯৩৪৯
Auricular acupuncture এর উপরে আজ একটি ট্রেনিং নিলাম। পূর্বে pain management এর উপরে সাধারণ acupuncture শিখেছিলাম। এবার সবকিছুর জন্য auricular বা কর্ণিক আকুপাংচার শিখলাম। কর্ণিক আকুপাংচার হলো শুধু দুই কানের বিন্দুগুলিতেই needle punch করে সকল ধরণের অসুস্থতার চিকিৎসা করা। চিনে, ইন্ডিয়ায়, জার্মানিতে এটা খুবই জনপ্রিয় ও কার্যকর একটি চিকিৎসা পদ্ধতি। আশাকরি আমাদের দেশেও সকল ধরনের আকুপাংচার জনপ্রিয় হয়ে উঠবে। কেননা এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নাই। সম্পূর্ণ প্রাকৃতিক এবং ব্যথা-বেদনার ক্ষেত্রে বলাচলে অদ্বিতীয়।
করোনায় যে সব ভেষজ সহায়কঃ
বর্তমানে করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2 ) দ্বারা সংক্রমিত বিশ্বব্যাপী একটি মহামারি রোগ কোভিড-১৯। এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ভ্যাকসিন বা ড্রাগ আবিষ্কৃত হয়নি। বিভিন্ন ড্রাগ যেমন ক্লোরোকুইন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এজিথ্রোমাইসিন ও ফেভিপিরাভিরের কথা বলা হলেও এসব ড্রাগ দিয়ে তেমন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। উন্নত দেশগুলো তাই মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও এই রোগের চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায়, বিশ্ব ভ্যাকসিন বা ড্রাগের পাশাপাশি সহায়ক কিছু চিকিৎসার কথা ভাবছে। এ ক্ষেত্রে প্রকৃতিতে যেসব ভেষজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য উপাদান পাওয়া যায় এবং যাদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল ক্ষমতা আছে, তা বিবেচনাধীন হতে পারে।
আদা
আদা দক্ষিণ এশিয়ার একটি মসলা এবং এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ক্যানসার, অ্যান্টি-ভাইরাল প্রতিক্রিয়া আছে। এটি শ্বাসযন্ত্রের প্রসারণ ঘটাতে সংক্ষম, যা ব্রোঙ্কোডিলেটিং নামে পরিচিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, গুরুতর করোনা রোগীদের মধ্যে যাঁরা আদা খেয়েছেন, তাঁদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো অন্যদের তুলনায় এবং তাঁদের মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ও আইসিইউর কম প্রয়োজন পড়েছে। এটি মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্বারা সাধারণত স্বীকৃত এবং করোনা আক্রান্ত রোগীরা এটি খেতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ৪ গ্রাম খেতে পারেন।
বর্তমানে করোনাভাইরাস (SARS-CoV-2 ) দ্বারা সংক্রমিত বিশ্বব্যাপী একটি মহামারি রোগ কোভিড-১৯। এখন পর্যন্ত এর কোনো কার্যকর ভ্যাকসিন বা ড্রাগ আবিষ্কৃত হয়নি। বিভিন্ন ড্রাগ যেমন ক্লোরোকুইন, হাইড্রক্সিক্লোরোকুইন, এজিথ্রোমাইসিন ও ফেভিপিরাভিরের কথা বলা হলেও এসব ড্রাগ দিয়ে তেমন আশানুরূপ ফল পাওয়া যায়নি। উন্নত দেশগুলো তাই মানসম্মত চিকিৎসাসেবা থাকা সত্ত্বেও এই রোগের চিকিৎসায় ব্যাপকভাবে হিমশিম খাচ্ছে। এই অবস্থায়, বিশ্ব ভ্যাকসিন বা ড্রাগের পাশাপাশি সহায়ক কিছু চিকিৎসার কথা ভাবছে। এ ক্ষেত্রে প্রকৃতিতে যেসব ভেষজ উদ্ভিদ ও অন্যান্য উপাদান পাওয়া যায় এবং যাদের অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল ক্ষমতা আছে, তা বিবেচনাধীন হতে পারে।
আদা
আদা দক্ষিণ এশিয়ার একটি মসলা এবং এর অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টি-ক্যানসার, অ্যান্টি-ভাইরাল প্রতিক্রিয়া আছে। এটি শ্বাসযন্ত্রের প্রসারণ ঘটাতে সংক্ষম, যা ব্রোঙ্কোডিলেটিং নামে পরিচিত। পরীক্ষায় দেখা গেছে, গুরুতর করোনা রোগীদের মধ্যে যাঁরা আদা খেয়েছেন, তাঁদের অবস্থা তুলনামূলক ভালো অন্যদের তুলনায় এবং তাঁদের মেকানিক্যাল ভেন্টিলেশন ও আইসিইউর কম প্রয়োজন পড়েছে। এটি মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্বারা সাধারণত স্বীকৃত এবং করোনা আক্রান্ত রোগীরা এটি খেতে পারেন। প্রাপ্তবয়স্করা প্রতিদিন ৪ গ্রাম খেতে পারেন।
লবঙ্গ
শ্বাসকষ্টজনিত জটিলতায় লবঙ্গ কাজ করতে পারে। গবেষণায় লবঙ্গের কুঁড়ি বা পাতা থেকে সংগৃহীত প্রয়োজনীয় তেলগুলোতে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল, অ্যান্টি-ফাঙ্গাল, অ্যান্টি-ভাইরাল কার্যক্রম পাওয়া গিয়েছে। এ থেকে প্রাপ্ত ইউজেনল ট্র্যাকিয়াল মসৃণ পেশিতে ভালো প্রভাব ফেলে এবং ব্রোঙ্কোডিলেটিং এবং অ্যান্টি-এজম্যাটিক হতে পারে। এটিও মার্কিন খাদ্য ও ঔষধ প্রশাসন (এফডিএ) দ্বারা স্বীকৃত। এই ইউজেনল মানুষ দৈনিক ২ দশমিক ৫ মিলিগ্রাম/কেজি দৈহিক ওজনের গ্রহণযোগ্য মাত্রায় ব্যবহার করতে পারে।
গ্রিন টি
গ্রিন টিতেও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট এবং অ্যান্টি-মাইক্রোবিয়াল ক্রিয়াকলাপ পাওয়া যায়। সাম্প্রতিক গবেষণাগুলো গ্রিন টির গুরুত্বপূর্ণ উপাদান ক্যাটচিনস, বিশেষ করে এপিগ্যালোকটেকিন-৩-গ্যালেটের (ইসিজিজি) অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে অ্যান্টি-ভাইরাল কার্যকলাপ দেখানো হয়েছে। একটি গবেষণায় প্রমাণিত হয়েছে যে চা-এ ট্যানিক অ্যাসিড এবং ৩-আইসোথাফ্ল্যাভিন-৩-গ্যালেট (টিএফ২ বি) থাকে, যা ‘SARS-CoV’ দ্বারা সংঘটিত তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সিনড্রোমকে প্রতিরোধ করতে পারে। উল্লেখ্য যে এই সার্স করোনাভাইরাসের সঙ্গে বর্তমানের SARS-CoV-2-এর ব্যাপক মিল পরিলক্ষিত হয়। দৈনিক ৩ থেকে ৫ কাপ (৭২০ থেকে ১২০০ মিলি) গ্রিন টি গ্রহণের ফলে কমপক্ষে ১৮০ মিলিগ্রাম ক্যাটচিন এবং ৬০ মিলিগ্রাম থ্যানিন পাওয়া যায়। তবে খালি পেটে চা পান করা উচিত নয়।
কালো বীজ
জীবাণুর বিরুদ্ধে কালো বীজ একটি হাতিয়ার হতে পারে। এই বীজ থেকে প্রাপ্ত তেল শরীরের রোগ প্রতিরোধক্ষমতা বাড়াতে পারে। যেমন গামা ইন্টারফেরন, টিসেল এর সংখ্যাবৃদ্ধি এবং ম্যাক্রোফাজের কার্যকারিতা ও সংখ্যা কমানো। গবেষণায় দেখা গেছে, ফুসফুস জটিলতা–সংক্রান্ত এবং অন্যান্য শ্বাসজনিত সমস্যায় এর বীজ ও তেল দারুণ কাজ করে। প্রতিদিন ৫ মিলি পরিমাণ কালো বীজের তেল গ্রহণ করা যেতে পারে, এতে কোনো বিরূপ প্রভাব দেখা যায় না।
নিম
বিভিন্ন রোগের বিরুদ্ধে ঐতিহ্যবাহী ওষুধ হিসেবে নিম খুব পরিচিত। এটি ভাইরাসের বিরুদ্ধেও কাজ করতে পারে। ইঁদুরের ওপর পরীক্ষা করে দেখা গেছে, এর লিমনয়েড নামক উপাদানটি নভেল করোনা ভাইরাসের কারণে সৃষ্ট তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংকট সিনড্রোমকে (এআরডিএস) প্রতিহত করতে পারে। ভাইরাল জ্বরের উন্নতি করতে পারে নিমপাতার রস। ১০ সপ্তাহব্যাপী দৈনিক ৬০ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ডোজ নিরাপদে ব্যবহার করা যেতে পারে।
তুলসী
এটিও অনেক ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করতে পারে। পরীক্ষায় দেখা গেছে, এর ইথানলিক নির্যাস শরীরের আইএল-৬ নিঃসরণ এবং এনএফ-কে বি প্রকাশ বন্ধ করে অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি ক্ষমতা দেখায়, ফলে কোভিড-১৯ সংক্রমণের সময় কম প্রদাহ হতে পারে। অবশ্য এর পাতা ও জলীয় অংশও ব্যবহার করা যায়।
ভিটামিন-ডি, ভিটামিন-সি
ভিটামিন-ডি ভাইরাল সংক্রমণ রোধ করতে পারে এবং শরীরের রোগ প্রতিরোধব্যবস্থাকে শক্তিশালী করতে পারে। সাধারণত, কোভিড-১৯ আক্রান্ত রোগীদের শরীরে প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি, অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইন দেখা যায়। ভিটামিন-ডি এই প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইন যেমন এনএফ-কে বি ও গামা ইন্টারফেরনকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। সূর্যের আলো এর গুরুত্বপূর্ণ উৎস। এ ছাড়া দৈনিক হাফ-চামচ কডলিভার তেল, ১০০ গ্রাম রুই মাছ খাওয়া যেতে পারে। অন্যদিকে, ভিটামিন–সি একটি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিড্যান্ট, যা শরীরের শ্বাসযন্ত্র ও সিস্টেমিক সংক্রমণকে রোধ করতে পারে। এটিও ভিটামিন-ডির মতো প্রো-ইনফ্ল্যামেটরি সাইটোকাইনের মাত্রা হ্রাস করতে পারে, বিশেষ করে এটি ফুসফুসের অ্যালভিওলাসের পরিষ্কার, শরীরের নিউট্রোফিলের মাত্রা নিয়ন্ত্রণ করার মাধ্যমে ফুসফুসের ক্ষতি উপশম করতে পারে। এ জন্য, খাদ্যতালিকায় প্রতিদিন ভিটামিন-সি রাখা দরকার।
জিংক
জিংক মানবদেহের প্রতিরোধব্যবস্থার অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ উপাদান। এটি করোনাভাইরাসসহ নানা ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে। এমনকি এটি করোনাভাইরাসের বংশবৃদ্ধির বিশেষ এনজাইম আরএনএ পলিমারেজকে নিয়ন্ত্রণ করতে পারে। জাতীয় স্বাস্থ্য ইনস্টিটিউট, মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র, প্রাপ্তবয়স্ক পুরুষের জন্য দৈনিক ১১ মিলিগ্রাম এবং মহিলাদের ক্ষেত্রে ৮ মিলিগ্রাম জিংক সুপারিশ করে। জিংকের উৎস হলো গরুর মাংস, মুরগি, দই, মটরশুঁটি, মটর এবং কাজুবাদাম।
এই ভেষজ ও খাদ্যগুলো রোগের উপশম ও সামগ্রিক উন্নতিতে গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব ফেলতে পারে। এ অবস্থায় এই সহজলভ্য ও বৈজ্ঞানিক বিকল্প চিকিৎসাগুলো আমাদের শুধু করোনা নয়, অন্যান্য রোগের প্রতিরোধ ও প্রতিকারেও কার্যকরী হবে। নিশ্চয়ই এ আঁধার কেটে যাবে, আমরা জয়ী হব। এই বিষয়ে বাংলাদেশে আরও বিস্তারিত গবেষণার প্রয়োজনীয়তা রয়েছে।
মো. আনোয়ার খসরু পারভেজ: জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের মাইক্রোবায়োলজি বিভাগের অধ্যাপক। বর্তমানে প্রেষণে পাবনা বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ের কোষাধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করছেন। সংক্রামক অণুজীব নিয়ে গবেষণা তাঁর মূল ক্ষেত্র।
https://www.prothomalo.com/opinion/article/1656297/%E0%A6%AF%E0%A7%87%E0%A6%B8%E0%A6%AC-%E0%A6%AD%E0%A7%87%E0%A6%B7%E0%A6%9C-%E0%A6%86%E0%A6%AA%E0%A6%A8%E0%A6%BE%E0%A6%B0-%E0%A6%B8%E0%A6%B9%E0%A6%BE%E0%A7%9F%E0%A6%95
যেসব ভেষজ আপনার সহায়ক কিছু ভিটামিন, খনিজ এবং ভেষজ আমাদের দেহের ইমিউনো সিস্টেমকে শক্তিশালী করে, যা করোনা সংক্রমিতকে এই ভাইরাসের সঙ্গে য.....
কেন আমরা একত্রে একাধিক চিকিৎসা পদ্ধতির আশ্রয় নেব?
মহাপ্রতাপশালী শত্রুর সাথে লড়াইয়ে জিততে হলে আপনাকে যথোপযুক্ত অস্ত্রশস্ত্রে সমৃদ্ধ হয়েই ময়দানে নামতে হবে নয়ত হেরে যেতে হবে নিশ্চিত। কিংবা একশ জন দুর্ধর্ষ যোদ্ধা ছুটে আসছে আপনাকে কতল করতে। আপনার পক্ষে আছেন শুধু আপনি। কাজ হবে? শত্রুদলকে হঠিয়ে দিতে হলে নিশ্চয়ই আপনারও একটি দুর্ধর্ষ বাহিনী থাকতে হবে, তাই না?
এবার চলেন এই উপক্রমনিকার কারণটুকু বলিঃ
আমরা সবাই জানি, পূর্বের যে কোনো সময়ের তুলনায় বর্তমান শতাব্দিতে রোগব্যাধি অকল্পনীয় জটিল থেকে জটিলতর হয়ে উঠেছে। প্রতিটি রোগই এখন মহাপ্রতাপশালী। বহুমূত্র, উচ্চ রক্তচাপ, গ্যাসট্রিক, বাতব্যাধি, লিভার ড্যামেজ, কিডনি ড্যামেজ, ক্যানসার, থাইরয়েডে সমস্যা, মাইগ্রেনের ব্যথা ইত্যাদি আরও কত যে আছে! আমাদের জীবনকে অশান্তিতে ডুবিয়ে দেয়ার জন্য এদের যে কোনো একটাই যথেষ্ট। সেখানে আমরা আক্রান্ত হচ্ছি এরকম একাধিক হিংস্র ব্যাধিতে। এই হিংস্র দলকে কাবু করতে হলে এখন আর কোনো একক চিকিৎসা পদ্ধতিই যথেষ্ট নয় বেশির ভাগ সময়ে। সুতরাং আমাদের উচিত একত্রে একাধিক পদ্ধতির সাহায্য নেয়া। যাতে দ্রুত আমরা আরোগ্য লাভ করতে পারি। বোঝার সুবিধার্থে এভাবে উদাহরণ দেয়া যায়ঃ বড় একটা মালবোঝাই ঠেলাগাড়ি একজন লোক এসে ঠেলতে শুরু করলেন কিন্তু একচুলও নাড়াতে পারলেন না। যখন আরেকজন এসে তাকে সাহায্য করলেন তখন গাড়িটি আস্তে আস্তে চলতে শুরু করল। অতঃপর যখন আরও একজন এসে তাদের সাথে হাত লাগালেন তখন গাড়িটি তরতর করে চলতে শুরু করল। সুতরাং রোগের ক্ষেত্রেও তাই। মহাপ্রতাপশালী রোগসমূহকে পরাজিত করতে হলে আমাদেরকে একাধিক শক্তির আশ্রয় নিতে হবে। যুদ্ধ পরিকল্পনা নতুন করে সাজাতে হবে। এ উদ্দেশ্যে আমরা মনেকরি, একাধিক ঔষধি পদ্ধতি একত্রে না চালিয়ে একটি ঔষধি পদ্ধতির সাথে একটি অথবা একাধিক অনৌষধি পদ্ধতি যুক্ত করে চিকিৎসা নিলে রোগ আরোগ্যের গতিকে আশাতীত উন্নত করা যায়। একাধিক ঔষধি পদ্ধতি একত্রে না চালানোর যুক্তি হল, কখনো কখনো এক পদ্ধতির ঔষধ অন্য পদ্ধতির ঔষধের ক্রিয়াকে বাধাগ্রস্ত করে তুলতে পারে। বা পারস্পরিক বিরুদ্ধ স্বভাবের কারণে রোগীর কল্যাণের বদলে আরো ক্ষতির কারণ হয়ে উঠতে পারে।
সমন্বয় স্বাস্থ্য ক্লিনিক এই দর্শন বা চিন্তা থেকেই একটি ঔষধি চিকিৎসা পদ্ধতির সাথে আরও বিভিন্ন অনৌষধি চিকিৎসা পদ্ধতি সমন্বয় করে আপনাদের জন্য প্রাকৃতিক স্বাস্থ্যসেবা পাওয়ার ব্যবস্থা করেছে।
আমাদের সেবার পরিধিঃ
১। হোমিওপ্যাথি
২। কাপিং থেরাপি
৩। ম্যাগনেট থেরাপি
৪। আকুপ্রেসার
৫। আকুপাংচার
৬। হাইড্রোথেরাপি
৭। নিউট্রিশন ও ডায়েট থেরাপি
আমরা আপনার ব্যাস্ততার মূল্যায়ন করি। তাই আপনার সময়, ও অর্থের অপচয় রোধ করতে আমরা রেখেছি আপনার জন্য বিশেষ কিছু সুবিধাঃ
১। প্রয়োজনে আপনার বাসায় আমরা পৌঁছে যাব।
২। মহিলাদের জন্য রয়েছে মহিলা চিকিৎসক।
৩। একই পরিবারের একাধিক সদস্য চিকিৎসা সেবা নিতে চাইলে রয়েছে বিশেষ ছাড়।
৪। প্রয়োজনে দক্ষ ও অভিজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শের ব্যবস্থা রয়েছে।
অ্যাভিগান বিষয়ক ক্ষুদ্র জ্ঞান....
অ্যাভিগান নামের ঔষধ নিয়ে প্রচুর কথা চলছে। এর জেনেরিক নাম ফ্যাভিপিরাভির। এটার মূল পেটেন্ট ফুজিফিল্মের কাছে। তাদের একটা ঔষধ গবেষণা প্রতিষ্ঠান আছে যেটার নাম ফুজি টোয়ামা । তারা মূলত রেডিওফার্মাসিউটিকাল/ তেজস্ক্রীয় ঔষধ, ক্যানসার, স্নায়ুতন্ত্র ও সংক্রামক ব্যাধি নিয়ে গবেষণা করে।
এরা ২০১২-১৩ সালে ফ্যাভিপিরাভির তৈরী করে, যা পশুর শরীরে পরীক্ষায় বেশ কিছু ভাইরাসের বিরুদ্ধে কাজ করে বলে প্রমান পাওয়া যায়। যেমন ফ্লু, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস, ইয়েলো ফিভার ভাইরাস, জিকা ভাইরাস, রিফট ভ্যালি ফিভার ভাইরাস ও ফুট অ্যান্ড মাউথ ডিজিজ ইত্যাদি।
২০১৩ সালেই আমেরিকার এফ ডি এ, এটার ফেজ থ্রি ক্লিনিকাল ট্রায়াল করেছিল। সেখানে এটা ফ্লুর বিরুদ্ধে কাজ করে বলে প্রমাণ পাওয়া গিয়েছিল কিন্তু ঔষধটি বাজারজাত করা হয় নাই। এর কারন কি?
কারন হলো গবেষণায় এটা টেরাটোজেনিক বলে প্রমাণিত হয়। মানে এটা গর্ভস্থ ভ্রুন ও শিশুর মারাত্মক ক্ষতি করে। এর ফলে গর্ভের শিশুর মৃত্যু হতে পারে , বিকলাংগ শিশু জন্ম নিতে পারে। এর অন্য পার্শ্ব প্রতিক্রিয়াও আছে।
গবেষণাটি র্যান্ডমাইজড ডাবল ব্লাইন্ডেড প্লাসেবো কন্ট্রোল স্টাডি ছিল। সেখানে একদলকে প্লাসেবো দেয়া হয়েছিল। আরেক দলকে ঔষধ। গবেষণাটি দৈবচয়ণ করে অংশ গ্রহণকারী বেছে নিয়েছিল। গবেষকরা ডাবল ব্লাইন্ড ছিলেন। অর্থাৎ যারা ঔষধ খাচ্ছেন তারা জানতেন না তারা কি প্লাসেবো নিচ্ছেন নাকি ঔষধ, আর গবেষকরাও জানতেন না কাকে ঔষধ দিচ্ছেন আর কাকে প্লাসেবো। যারা গবেষণা করেন, তারা এটা বুঝবেন। এটা ঔষধ পরীক্ষার সবচেয়ে ভালো পদ্ধতি।
তবে টেস্টিং এর এক্সক্লুশন ক্রাইটেরিয়া ছিল বিরাট।
১.গর্ভবতী মা, স্তন্যদায়ী মা,
২.৪ সপ্তাহের মধ্যে ফ্লু টিকা নিয়েছেন এমন ব্যক্তি,
৩, অ্যাজমা বা ক্রনিক ফুসফুসের অসুখ আছে এমন ব্যক্তি,
৪. গাউট আছে যাদের,
৫,যাদের ব্যাকটেরিয়াল নিউমোনিয়া আছে,
৬.যাদের অ্যান্টিভাইরাল ড্রাগ ও প্যারাসিটামলে অ্যালার্জি আছে,
৭. যারা স্টেরয়েড নেন,
৮. যাদের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা কমে যায় এমন অসুখ আছে,
৯. গবেষণার আগের ১ বছরের মধ্যে যাদের মানসিক অসুস্থতা বা মানসিক রোগের ঔষধ খাওয়ার ইতিহাস আছে.
১০.যাদের কিডনি জটিলতায় ডায়ালিসিস করতে হয়,
এমন মানুষদের এই গবেষণায় রাখা হয় নাই।
তার মানে এক বিরাট সংখ্যক মানুষ এর বাইরে ছিলেন।
২০১৫ সালে এই স্টাডি শেষ হয়। ২০১৪ সালে জাপানে এটা তৈরী করার অনুমোদন দেয়া হলেও স্বাভাবিক সময়ে এটা বাজারে পাওয়া যায় না। এটা কেবল হাসপাতালে দেয়া হয় এবং এটা তৈরী ও ব্যবহারের আগে জাপানের স্বাস্থ্য, কল্যান ও শ্রম মন্ত্রনালয়ের অনুমতি নিতে হয়। এবারো জাপানে এটা তৈরীর অনুমতি প্রধানমন্ত্রীর কাছ থেকে নিতে হয়েছে। কেবল মাত্র কোন ভাইরাল
আউটব্রেক হলে এটা তারা ব্যবহার করবে বলে রেখে দিয়েছিল।
কোভিড ১৯ শুরু হওয়ার পরে চীনে এটা ব্যবহার করা হয়েছে। এ বিষয়ে চীনের ন্যাশসাল রিসার্চ সেন্টার ফর ইনফেকশাস ডিজিজ এর গবেষক কিংজিয়ানলাই যিনি থার্ড পিপলস হসপিটাল শেনজেন এ কাজ করেন, তিনি বলেছেন যে এই গবেষণায় তারা দেখেছেন যে এটা টেস্টে পজিটিভ হবার ৪ দিনের মধ্যে, রোগের লক্ষন প্রকাশের আগেই দিলে বেশী কাজ করে। এটা কাজ বেশী করে কমবয়সী, সঠিক ওজনের মানুষের মধ্যে. যাদের তখনো জ্বর হয় নাই ।
তাদের পরীক্ষাটি ছিল ননর্যান্ডম এবং ননব্লাইন্ড।
তাহলে ১৮ মার্চ ২০২০ এ গার্ডিয়ান পত্রিকায় প্রকাশিত হলো , চীন দাবী করেছে অ্যাভিগান কাজ করছে। এত দুর্বল গবেষণায় আসলে এটা বলা সম্ভব না।
গবেষক নিজেই যেখানে বলেছেন যে এটা মূলত: যাদের টেস্ট পজিটিভ কিন্তু রোগ এর লক্ষন প্রকাশিত হয় নাই তাদের বেলায় বেশী কাজ করে।
তার মানে টেস্ট যে দেশে বেশী করা হবে সেখানে এটা বেশী কাজ করবে কারন রোগের লক্ষন প্রকাশের আগেই এটা দিলে বেশী কাজ করে।
২০১৪ সালেও লাইবেরিয়াতে ইবোলাতে আক্রান্ত এক নার্সের শরীরে এটা কাজ করেছিল বলে রিপোর্ট হয়েছিল। গিনিতেও এটা দেয়া হয়েছিল । কিন্তু সেসবই ইবোলা কেসে। কোভিড এর বেলায় এটার পরীক্ষা এখনো সন্তোষজনক না।
অ্যাভিগান কিভাবে কাজ করে?
এটা আর এন এ ভাইরাসের আর এন এ পলিমারেজ নামের এনজাইমকে বাধা দেয়। ফলে ভাইরাসটি দ্রুত বংশবৃদ্ধি করতে পারে না। তখন আমাদের শরীর ভাইরাল লোড কম থাকায় সহজে এটাকে মারতে পারে।
এর কর্মপদ্ধতি থেকেই কিন্তু বোঝা যাচ্ছে যে যার শরীরে অনেক ভাইরাস বংশবৃদ্ধি করেছে ও নিউমোনিয়া করে ফেলেছে, তাদের বেলায় এটা বেশী কাজ করবে না।
তার মানে হলো যে দেশে প্রচুর টেস্ট হচ্ছে এবং আক্রান্তদের রোগের লক্ষন প্রকাশের আগেই সনাক্ত করা যাচ্ছে তাদের বেলায় এটা দেয়া সহজ। টেস্ট ছাড়া এমনি এমনি এটা খাওয়া যাবে না। এটা হাসপাতাল ছাড়া জাপানেও কাউকে দেয়া হয় না।
নতুনভাবে ফেজ থ্রি ট্রায়াল আবার শুরু করেছে জাপান। আমেরিকাও এটা করবে।
এবার বুঝে নেন ফেজ গুলি কি?
ফেজ ওয়ানে ঔষধের ডোজ, সেফটি ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া সনাক্ত করা হয়,
ফেজ টু তে আরো গভীর ভাবে ঔষধ কাজ করে কিনা সেটা দেখা হয় ও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা হয়,
ফেজ থ্রি তে দেখা হয় যেসব ঔষধ এরি মধ্যে আছে সেটার চেয়ে এটা ভালো কিনা বা সমান কিনা
আর ফেজ ফোরে দেখা হয় আর কি রয়ে গেছে যা জানা হয় নাই।
যেসব ঔষধ ট্রায়ালে যায় ফেজ ওয়ানে তার মধ্যে মাত্র ১৪% ঔষধ সবগুলি ফেজ পার হয়ে বাজারে আসতে পারে।
তার মানে বুঝেছেন তো, দুই চারটা রোগী আর দুয়েকদিনের বিষয় না। এটা বেশ সময়. শ্রম ও অর্থের বিষয়। ফেজ থ্রি থেকে প্রতি ৫ টা ঔষধের ২ টা বাদ পড়ে যায়।
অ্যাভিগানের বিষয়টা অন্য রকম। এটা একবার ফেজ থ্রি শেষ করেছে সাধারন ফ্লুতে এর কাজের পরীক্ষা দিয়ে। সাধারনত ১ থেকে ৪ বছর লাগে একটা ঔষধের ফেজ থ্রি ট্রায়াল শেষ করতে। ধরে নিলাম এটা এবার সবচেয়ে তাড়াতাড়ি হবে। তাহলেও এটার ফেজ থ্রি ট্রায়াল শেষ করতে ৬ মাস তো লাগবেই।
অথচ ২৯ টা গবেষণা পত্র নিশ্চিতভাবে প্রমাণ করেছে কোয়ারেন্টিন,
টেস্ট ,
সামাজিক দূরত্ব ও সাবান, এই ভাইরাসকে ঠেকাতে পারে।
তারপরেও আমরা বসে থাকি ঔষধ খাবোই খাবো এমন একটা পণ করে।
সেই পৃথিবীর কথা কল্পনা করেন যেখানে কোন অ্যান্টিবায়োটিক ও অ্যান্টি ভাইরাল ছিল না। মানুষ কিন্তু টিকে গেছে। কিভাবে?
তখন মানুষে মানুষে এত যোগাযোগ ছিল না। ২৪ ঘন্টার মধ্যে বাংলাদেশ থেকে আমেরিকা যাওয়া যেতো না। আমেরিকা ও অস্ট্রেলিয়াকে ইউরোপ, আফ্রিকা ও এশিয়ার মানুষ চিনতো না। ফলে ওই মহাদেশ দুটি এমনিতেই কোয়ারেন্টিন ছিল।
আমাদের সভ্যতা আমাদের এত কাছে এনেছে যে উহান থেকে নিউইয়র্ক যেতে আর ১৪ দিন লাগে না।
আগে জাহাজে যেতে হতো । চিন্তা করেন জাহাজে গেলে ১৪ দিন হয়ে যেতো জাহাজের ভেতরেই। অসুখ বিসুখ হয়ে যারা মরার মরে যেতো। নিউইয়র্ক এ রোগ ঢুকতো না। উড়োজাহাজ সব বিগড়ে দিয়েছে।
প্রকৃতি আমাদের সংক্রমনের সময় যা করতে বলেছে সেটাই সবচেয়ে নিরাপদ। অ্যাভিগান নিয়ে হাহুতাশ না করে, মরিচিকার পেছনে না দৌড়ে প্রমাণিত কাজটি করুন।
অ্যাভিগান আমাদের দেশে এমনিতেও ভালোভাবে ব্যবহার করা যাবে না, কারন আমাদের দেশে টেস্টের সুবিধা সীমিত।
লক্ষনওয়ালাদেরই অনেকের টেষ্ট হয় না, আর রোগীর সংস্পর্শে আসাদের টেস্টতো বহু পরের বিষয়।
এবার কিছু ভালো খবর দেই।
চাইনিজরা টাকা ঢালছে টিকা বানাতে।
জাপানীরা টাকা ঢালছে পলিক্লোনাল ইমিনোগ্লোবুলিন বা অ্যান্টিবডি সিরাম তৈরীর পেছনে।
জাপানীরা অ্যভিগানকেও ট্রায়াল দিচ্ছে।
জাপানীরা জিন থেরাপী করারও চেষ্টা করছে যার মাধ্যমে ভাইরাল স্ট্রেইনটিকে একটা ডিকয় রিসেপ্টর দিয়ে নিষ্ক্রিয় করা যায়।
জিএসকে ও ইনোভ্যাক্সও টিকা তৈরীর চেষ্টা করছে।
তার মানে একটা কিছু হয়ে যাবে। ততো দিন আমাদের টিকে থাকতে হবে। টিকে থাকার উপায় হলো সংক্রমনটিকে দেরী করানো।
যতো দেরী ততই ঔষধ/ টিকা পাবার সম্ভাবনা।
তাই অ্যাভিগান বাদ দিয়ে জ্ঞান সঞ্চয় করেন।
এটা ডাক্তারদের বুঝতে দেন।
যা কিছু দেখেন সেটাই শেয়ার না দিয়ে পড়াশোনা করেন। ভালো ছাত্র কে হয় জানেন?
যে ভালো শিক্ষকের কাছে যায়।
( মিডিয়া ব্যাক্তিত্ব ডা: আব্দুন নূর তুষারের লেখা )
Click here to claim your Sponsored Listing.
নিজগৃহে স্বাস্থ্যসেবা
আসসালামু আলাইকুম। আমাদের পেইজে আপনাকে স্বাগতম। সমন্বয় স্বাস্থ্য ক্লিনিক একটি ন্যাচারোপ্যাথিক বা প্রাকৃতিক চিকিৎসালয়। এই মুহুর্তে আমাদের সেবার অন্তর্ভুক্ত আছে হোমিওপ্যাথি, কাপিংথেরাপি, ম্যাগনেটথেরাপি ও আকুপ্রেসার। আমরা আপনার ব্যস্ততাকে মূল্য দেই। তাই বাসায় গিয়ে আপনার অবসরে চিকিৎসাসেবা দিতে প্রস্তুত।
আপনার কোনো প্রশ্ন থাকলে আমরা সুযোগমতো দ্রুততম সময়ে সকল প্রশ্নের উত্তর দেব, ইনশাআল্লাহ।
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Madhobpasha Bazar, Airport Thana
Barishal
8213
Barishal
ন্যাচারাল মেডিসিনের মাধ্যমে পলিপাস ও পাইলসের চিকিৎসা করা হয়। 01715 304 904
দরবেশ গেট এর পূর্ব ভবন (২য় তলা), স্বরুপকাঠী রোড, বানারীপাড়া, বরিশাল।
Barishal, 8530
কনসাল্টেন্ট অফ রুক্বইয়াহ হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিস্ট ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট