Raqi Md Asibul Islam
কনসাল্টেন্ট অফ রুক্বইয়াহ
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিস্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট
প্রায় ২০বছর পুরোনো জীনের উপরে কার্স রুক্বইয়াহ সেশন...
বিঃদ্রঃ
পেশেন্ট মহিলা হওয়ায় ক্লিয়ার ভিডিও দেয়া হয়নি।
জ্বীনকে মিষ্টি খাইয়ে হাড়ি ভর্তি সোনা পাওয়ার লোভে সর্বস্ব হারালো বউ শ্বাশুড়ি। 😆
জিনেরা মিষ্টি খায়। তাও প্রায় দুই লাখ টাকার। শুনতে অদ্ভুত লাগলেও এমনটাই ঘটেছে ভোলার লালমোহনে। মূলত জিনের মিষ্টি খাওয়ার নাম করে ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা হাতিয়ে নিয়েছে প্রতারক চক্র। এমনই একটি জিন প্রতারক চক্রের খপ্পরে পড়েছে লালমোহন উপজেলার পশ্চিম চরউমেদ ইউনিয়নের ২ নম্বর ওয়ার্ডের মাঝ গ্রামের কমড় আলী মাঝি বাড়ির শাশুড়ি ও পুত্রবধূ। প্রতারণার শিকার শাশুড়ি বিবি হনুফা ও পুত্রবধূ মুক্তা বেগম। মুক্তা বেগম জানান, ২০ সেপ্টেম্বর রাতে অপরিচিত নাম্বার থেকে বলা হয় আমরা বাতাসের তৈরি, জিন জাতি। ভাগ্যবতী নারী তুই, যার জন্যই তোকে ফোন করা হয়েছে। অপরপ্রান্তের এমন কথা শুনে মোবাইল নিয়ে মুক্তা ছুটে যান তার শাশুড়ি বিবি হনুফার কাছে। এরপর ওই কথিত জিন হনুফাকে ইসলামী বিভিন্ন কথা শুনিয়ে বিশ্বাস অর্জন করে। মুক্তা বেগম আরও জানান, এক পর্যায়ে আমাদেরকে হাঁড়ি ভর্তি স্বর্ণ দেওয়ার প্রলোভন দেখায়। বলে এসব স্বর্ণ পেতে হলে তাদের সঙ্গে ১৭ হাজার ৯৯৯ জন জিনকে মিষ্টি খাওয়াতে হবে। এ মিষ্টি খাওয়াতে ওইসব জিনদের টাকা দিতে হবে। মুক্তার শাশুড়ি বিবি হনুফা বলেন, আমাদের থেকে মিষ্টি খাওয়া ও বিভিন্ন খরচসহ মোট দুই লাখ টাকা দাবি করে। কথামতো ১ লাখ ৭১ হাজার টাকা পাঠিয়ে দিই। সবশেষ রোববার আমার মেঝো ছেলেকে দিয়ে টাকা পাঠাতে গেলে প্রতারণার বিষয়টি ধরা পড়ে।
তথ্যসূত্র: যুগান্তর।
রাক্বী আছিবুল ইসলাম
সিনিয়র রুক্বইয়াহ কনসাল্টেন্ট
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
জ্বীন-যাদুর সমস্যা থেকে বাচতে বেশি বেশি দরুদ পাঠ করুন।
আমাদের কাছ থেকে নাকের পলিপাসের স্থায়ী চিকিৎসা নিন এখন একদম স্বল্প মূল্যে–
কোনো ধরনের অপারেশন, এসিড প্রয়োগ ও রক্তপাত ছাড়াই সম্পূর্ণ ন্যাচারাল (প্রাকৃতিক) ক্রিমের মাধ্যমে আমরা চিকিৎসা প্রদান করে থাকি। আমাদের ব্যবহৃত ক্রিমটি ১০০% এসিডমুক্ত হওয়ায় এতে কোনো পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া নেই।
চিকিৎসার পরে আমরা একটি 'প্রতিশ্রুতি পত্র' (গ্যারেন্টি কার্ড) প্রদান করবো। আপনার পলিপাস ভালো না হলে এই কার্ডের মাধ্যমে আজীবন সম্পূর্ণ ফ্রি-তে চিকিৎসা নিতে পারবেন আমাদের কাছে।
চলুন না ভাই!
প্রতিদিন কিছু সাদাকা করার চেষ্টা করি।
আলহামদুলিল্লাহ।
ভাইটির পুরো পরিবার যাদুতে আক্রান্ত। আমাদের সাজেস্টেড সিস্টেমে সেল্ফ রুক্বইয়াহ করে তিনি যাদুর জায়গাগুলো দেখতে পেয়েছেন।
আল্লাহ ভাইয়ের পরিবারকে হেফাজত করুন। তাদের দ্রুত পরিপূর্ণ সুস্থতা দান করুন।
গহীন সমুদ্রের নিচে সংরক্ষিত যাদুর সরঞ্জাম।
اللهم أبطل سحراً رمي بالبحار والآبار والأنهار أو سحراً دفن تحت الأشجار والأحجار -
হে আল্লাহ! আপনি ধ্বংস করুন– সমুদ্র, কূপ এবং নদীতে নিক্ষেপের যাদু বা গাছ এবং পাথরের নীচে কবর দেওয়ার জাদু।
তাবিজের পাতায় শাইত্বনের নাম। এই তাবিজটি এই ভাইকে কোনো হিন্দু, ইহুদি বা খ্রিষ্টান দেয়নি। মনোযোগের সাথে সম্পূর্ণ দেখুন।
🎙️ উস্তাজ আহমাদ তিম হাম্বল হাফিজাহুল্লাহ।
মানুষের প্রতিটি পদক্ষেপেই রয়েছে শয়তানের পদচারনা। ইবলিসের পক্ষ থেকে শত শত জ্বীন-শাইত্বন নিয়োজিত আছে এই কাজে। তাদের সম্পর্কে বিস্তারিত জানলে তাদের ক্ষতি এবং প্রদানকৃত ওয়াসওয়াসা থেকে সহজেই বেচে থাকা যায়।
তাই আসুন! আমাদের আশেপাশে ঘুরাঘুরি করা ১০টি জ্বীনের নাম এবং তাদের কাজ সম্পর্কে জেনে নেই–
১. ক্বারীন জ্বীন।
২. আশিক জ্বীন।
৩. চালান জ্বীন।
৪. মারিদ জ্বীন।
৫. গইলান জ্বীন।
৬. ইফরীত্ব জ্বীন।
৭. খিনযিব জ্বীন।
৮. ঘুল জ্বীন।
৯. সিলা জ্বীন।
১০. ইলহান জ্বীন।
❑ ক্বারীন জ্বীন– এদেরকে সঙ্গী জ্বীনও বলা হয়। প্রতিটি মানুষের জন্ম থেকে নিয়ে মৃত্যু পর্যন্ত এই জ্বীন সাথে থাকে। এদের কাজ শুধুমাত্র মানুষের অন্তরে খারাপ কাজের ওয়াসওয়াসা প্রদান করা।
❑ আশিক জ্বীন– এদেরকে প্রেমিক জ্বীনও বলা হয়। এদের দ্বারা মেয়েরাই বেশি আক্রান্ত হয়। এরা মানুষের সৌন্দর্যের প্রতি আকৃষ্ট হয়ে ভালোবাসার উদ্দেশ্যে আছর করে। এক্ষেত্রে এদের কোনো ভালো উদ্দেশ্য থাকে না বরং এরা মানুষের ক্ষতির উদ্দেশ্যেই আছর করে থাকে।
❑ চালান জ্বীন– এটা মূলত কোনো জ্বীনের নাম নয় বরং বৈশিষ্ট্য। যাদুকর বা কবিরাজরা মানুষের ক্ষতি করার উদ্দেশ্যে এ জ্বীনকে ভিকটিমের কাছে পাঠিয়ে দেয়। আর এই জ্বীন গিয়ে যাদুকরের আদেশ মোতাবেক ভিকটিমের শরীরে ভর করে উদ্দেশ্য হাসিল করে।
❑ মারিদ্ব জ্বীন– এদেরকে রোগ সৃষ্টিকারী জ্বীনও বলা হয়। এরা জ্বীনদের মধ্যে অধিক শক্তিশালী। এদের আক্রমনে মানুষ বছরের পর বছর অসুস্থ থাকে। এরা মানুষের শরীরে ক্যান্সার, কাঠিন্য, প্যারালাইসিস ইত্যাদির মতো ভয়াবহ সব রোগ তৈরি করে।
❑ গইলান জ্বীন– পথে চলাচলের সময় এরা মানুষকে পথ ভুলিয়ে দেয়। এরা মূলত যাদুকর জ্বীন। রাসূল ﷺ বলেছেন, 'যখন যাদুকর জ্বীন গইলান তোমাদের পথ ভুলিয়ে দেবে, তখন তোমরা আযান দাও'।
❑ ইফরীত জ্বীন– জ্বীনদের মধ্যে এরা প্রচন্ড রকমের (খারাপ) উগ্র এবং ভয়ঙ্কর। এরা কারোর শরীরে ভর করলে রোগীর আচরনে উগ্রতা প্রকাশ পায়। অল্পতেই মারাত্মক রেগে যাওয়া, রেগে গিয়ে ভাংচুর করা, মানুষের গায়ে হাত তোলা, অল্প জিকির আযকারেও প্রচন্ড পরিমান অস্বস্থিবোধ করা– ইফরিত জ্বীনের আছরের লক্ষণ।
❑ খিনযিব জ্বীন– এরা সলাতে ওয়াসওয়াসা দিয়ে মানুষকে সলাতের রাকাত ভুলিয়ে দেয়। একদা রাসূল ﷺকে তার সলাতে এক 'খিনযিব' বিরক্ত করেছিল। তখন আল্লাহর রাসূল রেগে গিয়ে তার গলা চেপে ধরেছিলেন। সলাতের মধ্যে খিনযিব বিরক্ত করলে রাসূল ﷺ 'আউযুবিল্লাহ' পাঠ করে বাম দিকে তিনবার থুথু নিক্ষেপ করতে বলেছেন।
❑ ঘুল জ্বীন– এরাই মূলত 'ভুত' বলে পরিচিত। এরা কবরস্থানে থাকে এবং মানুষদের ভয় দেখায়। আমাদের আঞ্চলিক ভাষায় এদেরকে 'ভাসোগী' বলা হয়। এজন্য রাতের বেলা কবরস্থানে একা যাওয়া উচিত নয়। তবে যথেষ্ট পরিমান সাহস থাকলে সমস্যা নেই।
❑ সিলা জ্বীন– এরা অধিক পরিমানে আকৃতি পরিবর্তন করে চলাফেরা করে। সাপ, কালো কুকুর, কালো বিড়াল ইত্যাদির বেশেই এরা বেশি থাকে। এজন্য কোনো ক্ষতিকর বা বিশাক্ত প্রাণী দেখলেই তাকে আচমকা মারা যাবে না। আগে কয়েকবার তাকে যেতে বলে যাওয়ার সুযোগ দিতে হবে। যেতে বলার পরেও না গেলে তখন মারলে সমস্যা নেই।
❑ ইলহান জ্বীন– একে ওযুর শয়তানও বলা হয়। এরা অযুখানা, বাথরুম ইত্যাদি জায়গায় থাকে। অযু-গোসল করার সময় এরা মানুষের অন্তরে বিভিন্ন রকমের খারাপ ওয়াসওয়াসা প্রদান করে থাকে। অযু-গোসলের আরকানসমূহ পালনে সন্দেহ সৃষ্টি করাই মূলত ইলহান জ্বীনের কাজ।
রাক্বী আছিবুল ইসলাম
রুক্বইয়াহ কনসাল্টেন্ট
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিস্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (স্ট্যাডিং)
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
কুরআন তিলাওয়াতেই প্রশান্তি ❤️
রুক্বইয়াহ শুরু করে কিছুদিন পরে বন্ধ করে দিলে অসুস্থতা বাড়বে নিশ্চিত। সুতরাং সবরের সাথে রুক্বইয়াহ করুন এবং রুক্বইয়াহতে ধারাবাহিকতা রক্ষা করুন। আল্লাহর রহমতে এই কুরআন আপনাকে সুস্থ করবেই– আপনি নিশ্চিত থাকুন। হয়তো একটু আগে কিংবা পরে।
রুক্বইয়াহ নেয়ার জন্য তিনটি শর্ত–
১. সুস্থ হওয়ার নিয়তে রুক্বইয়াহ করা।
২. কুরআনের উপরে যথেষ্ট পরিমান ইয়াক্বীন রাখা।
৩. সবরের সাথে রুক্বইয়াহ চালিয়ে যাওয়া।
এই শর্তসমূহ রুক্বইয়াহ প্রধান শর্তের অন্তর্ভূক্ত।
কবিরাজি চিকিৎসা আর রুক্বইয়াহ একসাথে চলতে পারে না। কবিরাজি পদ্ধতিকে অন্তর থেকে ত্বালাক দিয়ে তারপর রুক্বইয়াহ সেক্টরে আসতে হবে। নতুবা সুস্থতার জণ্য আল্লাহর সাহায্য আশা করাটা বোকামি হবে।
রাক্বী মোঃ আছিবুল ইসলাম
☎️ 01867-049700
কনসাল্টেন্ট অফ রুক্বইয়াহ
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিষ্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (স্ট্যাডিং)
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
সুবহানাল্লাহ!
এর চেয়ে আবেগময় আর কিছু হতে পারে? 🥹
🎙️উস্তাজ أحمد بن عبدالعزيز النفيس হাফিজাহুল্লাহ।
❑ বদ নজরের ভয়াবহতা!
🔶 রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেন, ❝তোমরা বদ নজরের ক্রিয়া (খারাপ প্রভাব) থেকে রক্ষার জন্যে আল্লাহ তায়ালার সাহায্য প্রার্থনা কর। কেননা তা সত্য❞—[ইবনে মাযাহ: হা/৩৫০৮]
🔹হাফেজ ইবনে হাজার আসক্বালানী রাহিমাহুল্লাহ বদনজরের সংজ্ঞা দিতে গিয়ে বলেন, ❝বদনজর বলতে বুঝায়, কোন উত্তম বস্তুকে খারাপ কোনো লোক হিংসার নজরে দেখে, যার কারণে উক্ত বস্তুর ক্ষতিসাধন হয়!❞ —[ ফাতহুল বারি: ১০/২০০]
🔹হাফিজ ইবনে কাসির রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ❝বদনজর এর প্রতিক্রিয়া সত্য, যা আল্লাহর নির্দেশেই হয়ে থাকে❞ —[তাফসিরে ইবনে কাসির: ৪/৪১০]
🔶 বদনজরের লক্ষনসমূহ:
১। শরীরে জ্বর থাকা, কিন্তু থার্মোমিটারে না উঠা।
২। কোনো কারণ ছাড়াই কান্না আসা..
৩। প্রায়সময় কাজে মন না বসা, নামায যিকর ক্লাসে মন না বসা।
৪। প্রায়শই শরীর দুর্বল থাকা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব লাগা।
৫। চেহারা ধুসর/হলুদ হয়ে যাওয়া।
৬। বুক ধড়পড় করা, দমবন্ধ অস্বস্তি লাগা।
৭। অহেতুক মেজাজ বিগড়ে থাকা।
৮। আত্মীয়-স্বজন বা বন্ধুদের সাথে দেখা হলেই ভালো না লাগা।
৯। অতিরিক্ত চুল পড়া। শ্যাম্পুতে কাজ না করা।
১০। পেটে প্রচুর গ্যাস হওয়া।
১১। বিভিন্ন সব অসুখ লেগে থাকা, দীর্ঘদিন চিকিৎসাতেও ভালো হয় না। (সর্দিকাশি, মাথাব্যথা ইত্যাদি)
১২। হাত-পায়ে মাঝেমধ্যেই ব্যাথা করা, পুরো শরীরে ব্যাথা দৌড়ে বেড়ানো।
১৩। ব্যবসায় ঝামেলা লেগে থাকা।
১৪। যে কাজে অভিজ্ঞ সেটা করতে গেলেই অসুস্থ হয়ে যাওয়া।
১৫। স্বপ্নে উঁচু থেকে পড়ে যেতে দেখা, মৃত মানুষ দেখা। অথবা স্বপ্নে কাউকে মরে যেতে দেখা।
রাক্বী মোঃ আছিবুল ইসলাম
☎️ 01867-049700
কনসালট্যান্ট অফ রুক্বইয়াহ
হিজামা এন্ড পলিপাম স্পেশালিষ্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (স্ট্যাডিং)
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
❑ ব্ল্যাকম্যাজিক বা যাদুর চিকিৎসায় বড়ই পাতার গোসল এবং রুক্বইয়াহ'র সাধারণ গোসলের নিয়ম:
যাদুর ক্রিয়া নষ্ট করার জন্য রুকইয়াহ সাপ্লিমেন্ট হিসাবে বরই পাতার গোসলের উপকারিতা অবর্ণনীয়। বড়ই গাছকে কুল গাছও বলা হয়। যাদুর প্রভাবে হওয়া শারিরীক এবং মানসিক বিভিন্ন সমস্যা ও রোগের চিকিৎসায় এর ব্যবহার অত্যন্ত ফলদায়ক। এছাড়াও বিভিন্ন সেক্টরে রোগ-ব্যাধির চিকিৎসাতেও এর প্রয়োগ আমরা ব্যাপকভাবে লক্ষ্য করি।
এ গোসলের নিয়ম উল্লেখ করে সৌদি আরবের গ্র্যান্ড মুফতি শাইখ আব্দুল আজীজ বিন বায রাহিমাহুল্লাহ বলেন, ❝যাদু নষ্টে এ পদ্ধতির চিকিৎসায় অসংখ্য মানুষ উপকৃত হয়েছে❞ –[মাজমুয়া ফাতওয়া বিন বায: ৩/২৭৯] ইমাম ইবনু হাজার আসক্বালানী রাহি:ও তার ফাতহুল বারিতে 'বড়ই পাতার' গোসলের কথা উল্লেখ করেছেন।
নিম্নে ব্ল্যাকম্যাজিক বা যাদুর চিকিৎসায় বড়ই পাতার গোসল এবং রুক্বইয়াহ'র সাধারণ গোসলের পদ্ধতি বিস্তারিত দেয়া হলো–
🔻 প্রয়োজনীয় উপকরণ:
১. কুরআন মাজীদ (তিলাওয়াত করার জন্য)
২. গোসলের জন্য পরিমান মতো পানি।
৩. পরিমান মতো বড়ই পাতা (৭টি সবুজ পাতা বেটে নিন)
৪. বাথ সল্ট বা পিংক সল্ট
৫. গোলাপের পানি বা গোলাপ জল।
উপরের ৪ ও ৫নং সাপ্লিমেন্ট দুটি জরুরী নয়। তবে সংগ্রহ করতে পারলে ভালো হবে। এই দুটি সাপ্লিমেন্ট চর্মরোগ ও ব্যাথার জন্য অত্যন্ত কার্যকরী।
📌 বিঃদ্রঃ সাধারণ রুক্বইয়াহর গোসলের জন্য গোসলের পানিতে শুধুমাত্র বড়ই পাতা ব্যবহার করুন। চাইলে সাথে বাথ সল্ট এড করতে পারেন। পানি তৈরির জন্য নিচের পদ্ধতি অনুসরণ করুন এবং নিচের উল্লিখিত সবুজ (✅) মার্ক করা আয়াতগুলো পড়ে পানিতে ফুক দিয়ে গোসল করুন।
🔻 পানি প্রস্ততকরণ:
প্রথমে সব আইটেমগুলোকে সংগ্রহ করে সামনে রাখুন।গোসলের পানির সাথে এক অঞ্জলি পরিমান গোলাপের পানি, (৭টি সবুজ) বড়ই পাতার তৈরি পেস্ট এবং বাথ সল্ট বা পিক সল্ট (৩ আঙুলে যতটুকু নেয়া যায় ততটুকু অথবা পরিমান মতো) মেশান। অতঃপর একহাত বা দুহাত পানিতে ডুবিয়ে নিম্নোক্ত দুআ/আয়াতগুলি পাঠ করুন–
❑ প্রথমেই কয়েকবার ইস্তিগফার এবং দরুদ পাঠ করুন। এরপর...
❑ সূরা ফাতিহা- (৩বার) ✅
بِسْمِ اللهِ الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ - الْحَمْدُ لِلهِ رَبِّ الْعَلَمِينَ * الرَّحْمَنِ الرَّحِيمِ * مَلِكِ يَوْمِ الدِّينِ * إِيَّاكَ نَعْبُدُ وَإِيَّاكَ نَسْتَعِينُ * اهْدِنَا الصِّرَاط الْمُسْتَقِيمَ * صِرَاطَ الَّذِينَ أَنْعَمْتَ عَلَيْهِمُ غَيْرِ الْمَغْضُوبِ عَلَيْهِمْ وَلَا الضَّالِّينَ*
❑ আয়াতুল কুরসি: সূরা বাকারা: ২৫৫ ✅
اَللہُ لَاۤ اِلٰہَ اِلَّا ہُوَ ۚ اَلْحَیُّ الْقَیُّوۡمُ ۬ۚ لَا تَاۡخُذُہٗ سِنَۃٌ وَّلَا نَوْمٌ ؕ لَہٗ مَا فِی السَّمٰوٰتِ وَمَا فِی الۡاَرْضِ ؕ مَنۡ ذَا الَّذِیۡ یَشْفَعُ عِنْدَہٗۤ اِلَّا بِاِذْنِہٖ ؕ یَعْلَمُ مَا بَیۡنَ اَیۡدِیۡہِمْ وَمَا خَلْفَہُمْ ۚ وَلَا یُحِیۡطُوۡنَ بِشَیۡءٍ مِّنْ عِلْمِہٖۤ اِلَّا بِمَاشَآءَ ۚ وَسِعَ كُرْسِیُّہُ السَّمٰوٰتِ وَالۡاَرْضَ ۚ وَلَا یَـُٔوۡدُہٗ حِفْظُہُمَا ۚ وَہُوَ الْعَلِیُّ الْعَظِیۡمُ ﴿۲۵۵﴾
❑ সূরা আরাফ: ১১৭-১২২
وَأَوْحَيْنَا إِلَىٰ مُوسَىٰ أَنْ أَلْقِ عَصَاكَ ۖ فَإِذَا هِيَ تَلْقَفُ مَا يَأْفِكُونَ – فَوَقَعَ الْحَقُّ وَبَطَلَ مَا كَانُوا يَعْمَلُونَ – فَغُلِبُوا هُنَالِكَ وَانقَلَبُوا صَاغِرِينَ – وَأُلْقِيَ السَّحَرَةُ سَاجِدِينَ -قَالُوا آمَنَّا بِرَبِّ الْعَالَمِينَ – رَبِّ مُوسَىٰ وَهَارُونَ –
❑ সূরা ইউনূস: ৮১-৮২
فَلَمَّا أَلْقَوْا قَالَ مُوسَىٰ مَا جِئْتُم بِهِ السِّحْرُ ۖ إِنَّ اللَّهَ سَيُبْطِلُهُ ۖ إِنَّ اللَّهَ لَا يُصْلِحُ عَمَلَ الْمُفْسِدِينَ – وَيُحِقُّ اللَّهُ الْحَقَّ بِكَلِمَاتِهِ وَلَوْ كَرِهَ الْمُجْرِمُونَ –
❑ সূরা ত্বহা: ৬৯
وَأَلْقِ مَا فِي يَمِينِكَ تَلْقَفْ مَا صَنَعُوا ۖ إِنَّمَا صَنَعُوا كَيْدُ سَاحِرٍ ۖ وَلَا يُفْلِحُ السَّاحِرُ حَيْثُ أَتَىٰ –
❑ সূরা কাফিরুন: (৩বার) ✅
قُلْ يَٰٓأَيُّهَا ٱلْكَٰفِرُونَ - لَآ أَعْبُدُ مَا تَعْبُدُونَ - وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ - وَلَآ أَنَا۠ عَابِدٌ مَّا عَبَدتُّمْ - وَلَآ أَنتُمْ عَٰبِدُونَ مَآ أَعْبُدُ - لَكُمْ دِينُكُمْ وَلِىَ دِينِ-
❑ সূরা ইখলাস- (৩বার) ✅
قُلْ هُوَ اللَّهُ أَحَدٌ - اللَّهُ الصَّمَدُ - لَمْ يَلِدْ وَلَمْ يُولَدْ - وَلَمْ يَكُن لَّهُ كُفُوًا أَحَدٌ
❑ সূরা ফালাক্ব- (৩বার) ✅
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ الْفَلَقِ - مِن شَرِّ مَا خَلَقَ - وَمِن شَرِّ غَاسِقٍ إِذَا وَقَبَ - وَمِن شَرِّ النَّفَّاثَاتِ فِي الْعُقَدِ - وَمِن شَرِّ حَاسِدٍ إِذَا حَسَدَ
❑ সূরা নাস- (৩বার) ✅
قُلْ أَعُوذُ بِرَبِّ النَّاسِ - مَلِكِ النَّاسِ - إِلَهِ النَّاسِ - مِن شَرِّ الْوَسْوَاسِ الْخَنَّاسِ - الَّذِي يُوَسْوِسُ فِي صُدُورِ النَّاسِ - مِنَ الْجِنَّةِ وَ النَّاسِ
❑ শেষে আবার কয়েকবার দরুদ পাঠ করুন।
উপরিউক্ত দুআগুলি পাঠ করার মাঝে মাঝে পানিতে বারবার ফুক দিন। এমনভাবে ফুক দিবেন যেন মুখের বাতাসের সাথে হালকা থুথু বেরিয়ে আসে এবং মুখে থাকা থুথু শিফার নিয়তে গিলে ফেলুন।
🔻 সতর্কতা:
এই পানি চুলার আগুনে গরম করবেন না, এর সাথে অন্য পানি মিশাবেন না। শীতকালে গোসল করতে কষ্ট হলে কুসুম গরম পানিতে এই বরই পাতা এবং অন্যান্য সাপ্লিমেন্ট গুলিয়ে গোসল করতে পারেন। তবে ঠাণ্ডা পানিই উত্তম।
🔻 গোসলের নিয়ম: (ব্যবহারবিধি)
১. শুরুতেই শিফার নিয়তে (বিসমিল্লাহ বলে) এই পানি থেকে তিন ঢোক পানি করুন।
২. প্রথমে এই পানি থেকে অযু করে নিন। শুধুমাত্র পা ধোয়া ব্যতীত।
৩. এরপর এই পানি দিয়ে মাথা ভিজিয়ে নিন।
৪. তারপর ডান (কাধের উপর) দিক থেকে পানি প্রবাহিত করুন। এরপর বাম দিক ভিজিয়ে নিন।
৫. এরপর মাথা থেকে নিয়ে পায়ের নিচ পর্যন্ত পানি প্রবাহিত করে গোসল সমাপ্ত করুন।
৬. গোসলের সময় নিম্নোক্ত দু'আটি পড়তে পারেন-
(এটি সুন্নাত নয় বরং ইচ্ছে হলে পড়তে পারেন)
اللَّهُمَّ طَهِّرْ قَلْبِي وَ تَقَبَّلْ سَعْيِي وَاجْعَلْ مَا عِنْدَكَ خَيْرًا لِي، اللَّهُمَّ اجْعَلْنِي مِنَ التَّوَّابِينَ وَ اجْعَلْنِي مِنَ الْمُتَطَهِّرِينَ.
পানিতে থাকা লবন এবং পাতা শরীরে লেগে থাকলে বা অস্বস্থিকর লাগলে (গোসল শেষ হলে) সাধারণ পানি দিয়ে পুনরায় গোসল করে নিন। তবে হ্যা! যদি রুক্বইয়াহ'র গোসলের পরে সাধারণ পানি ব্যবহার না করেন তাহলে সেটা আরো উত্তম হবে। অতি প্রয়োজনে গোসলের পরে কাপর ভিজিয়ে শরীর মুছে নিতে পারেন।
রাক্বী আছিবুল ইসলাম
রুক্বইয়াহ কনসাল্টেন্ট
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিস্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (স্ট্যাডিং)
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
'উম্মুস সিবিয়ান' কি? 'উম্মুস সিবিয়ান' সম্পর্কে যেসব তথ্য পাওয়া যায়– তা কি বিশ্বস্তসূত্রে প্রমানিত?
উম্মুস সিবিয়ান' সম্পর্কে যিনি যা কিছুই বলেছেন তাদের কেউই এর অর্থ বা হাক্বিকত কী তা বিশদভাবে বর্ণনা করেননি। ভাষাবিদদের কথা থেকে বুঝা যায় যে, এই নাম দ্বারা যা বোঝানো হয়েছে, তা এমন একটি রোগ যা কিছু ছেলেদের আক্রান্ত করে। আবু আলী ইবনে সিনা বলেছেন, উম্মুস সিবিয়ান এক ধরনের মৃগীরোগ।
[ابن سينا- ج2 / ص77]
আমাদের মাঝেও উম্মুস সিবিয়ান সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের আজগুবি এবং কাল্পনিক কথা প্রচলিত আছে। আরবদের কেউ কেউ বলেছেন, 'উম্মুস সিবিয়ান' এক ধরনের ডাইনি ও যাদুকর জ্বীন। যারা বাচ্চাদের/ছেলেদের চুরি করে নিয়ে খেয়ে ফেলে বা মারদ্বে আক্রান্ত করে দেয়। কেউ বলেছেন, এটি জ্বীনঘটিত একটি রোগের নাম, যাকে এপিলেপ্সি বা মৃগী রোগও বলা হয়। এ নামের উপর ভিত্তি করেই তাকে 'উম্মুস সিবয়ান' নামে ডাকা হয়। তবে এসব কথা নিতান্তই অনুমান বা ধারনার ভিত্তিতে বলা হয়। এর কোনো বিশ্বস্ত সূত্র নেই।
একটি হাদিসে 'উম্মুস সিবিয়ান' এর কথা উল্লেখ করা হয়েছে। হযরত হাসান বিন আলী রাঃ থেকে বর্ণিত। তিনি বলেন, রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম ইরশাদ করেছেন,
مَنْ وُلِدَ لَهُ مَوْلُودٌ فَأَذَّنَ فِي أُذُنِهِ الْيُمْنَى، وَأَقَامَ فِي أُذُنِهِ الْيُسْرَى رُفِعَتْ عَنْهُ أُمُّ الصَّبِيَّاتِ
যদি কারোর সন্তান হয়, তারপর লোকটি সন্তানের ডান কানে আজান ও বাম কানে ইকামত দেয়, তাহলে তাকে উম্মুস সিবয়ান ক্ষতিগ্রস্থ করতে পারবে না। [শুয়াবুল ঈমান, হাদীস নং-৮২৫৪]
কিন্তু এ হাদিসটি থেকে কিছুই প্রমানিত হয় না। কারন হাদিসটি মওদ্বু বা জাল। এ হাদিসের রাবী ইয়াহইয়া ইবনুল আলা এবং তার উস্তাদ মারওয়ান ইবন সালিম উভয়ই মিথ্যাবাদী আর জালিয়াত ছিলেন। –[আবূ ইয়ালা, আল-মুসনাদ ১২/১৫০; ইবন আদী, কামিল ৭/২৬৫৬; যাহাবী, মীযানুল ইতিদাল ৪/৩৯৭; হাইসামী, মাজমাউয যাওয়াইদ ৪/৫৯; আলবানী, যায়ীফাহ ১/৪৯১]
ইয়েমেন, ইরান এবং আরো কিছু আরব উপসাগরীয় রাজ্যে প্রচলিত আছে যে, 'উম্মুস সিবিয়ান' খুবই কুৎসিত এক ধরনের জ্বীন। তারা ভোর হওয়ার আগে এবং রাতে জমিনে ছড়িয়ে পরে পুরুষদের অপহরণ করেন এবং বিয়ে করতে চান। বিয়ে করতে না চাইলে সে প্রচন্ড রেগে যায়। তাদের কেউ কেউ বলেছেন, এই জ্বীন আছড় করলে মানুষ পাগল হয়ে যায়। এমনকি মৃত্যু পর্যন্ত ঘটতে পারে। কিন্তু আদৌ এসব কথার কোনো ভিত্তি নেই। –[অ্যারাবিক উইকিপিডিয়া]
'উম্মুস সিবিয়ান' সম্পর্কে ইমামদের কিতাবেও আমরা বিভিন্ন ধরনের বক্তব্য পাই। দুমাইরি তার লিখিত কিতাব 'আল হায়াতুল হাইওয়ানুল কুবরা'তে বলেছেন, উম্মুস সিবয়ান নিয়ে ব্যাপক মতানৈক্য আছে। যেমন-
'উম্মুস সিবয়ান' সম্পর্কে হাফিজ জালালুদ্দিন সূয়ূতী (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
هي من السعالی التي تسري لیلاً ولایکون جولانها إلا في اللیل وتحت الظلام ولذلك، سميت أم الليل أيضاً (السيوطي، ۳۵۰).
উম্ম আল-সিবিয়ান হল এমন একটি সাপ যেটি রাতের বেলা বিচরণ করে এবং কেবল রাতের অন্ধকারে বিচরণ করে। তাই তাকে উম্মে 'আল-লাইল' নামেও ডাকা হত। –[আল-সুয়ুতি: ৩৫০]
পরিশেষে উপরিউক্ত কথা থেকে সহজেই অনুমেয় যে, 'উম্মুস সিবিয়ান' সম্পর্কে প্রচলিত যত কথা বা কাহিনি বর্ননা করা হয় তার কোনোটিই প্রমানিত নয়। যা-ই বলা হয় তার অধিকাংশই বানোয়াট কিচ্ছা এবং অনুমান মিশ্রিত। তবে কিছু ইমামদের বক্তব্য থেকে এটুকু বিশুদ্ধ ধারনা পাওয়া যায় যে–
১. উম্মুস সিবিয়ান একটি জ্বীন।
২. সে মানুষের জন্য ক্ষতিকর এবং ভয়ঙ্কর।
৩. সে মৃগীরোগের উদ্ভব ঘটায়।
৪. সে রাতের অন্ধকারে বের হয়।
৫. সে অধিকন্তু বাচ্চাদের এবং পুরুষদের ক্ষতি করে।
'উম্মুস সিবিয়ান' সম্পর্কে বহু খোজাখুজির পরেও বিভিন্ন এ্যারাবিক ওয়েবসাইট থেকে আমি এসব তথ্যের কোনো নির্ভরযোগ্য সূত্র পাইনি। যা কিছুই পাওয়া গিয়েছে সবটাই যার যার নিজস্ব মতামত মাত্র। তবে 'উম্মুস সিবিয়ান' যাই হোক না কেন এর থেকে বাচার জন্য নিয়মিত মাসনূন আমলগুলো গুরুত্বের সাথে নিজে পালন করুন এবং বাচ্চাদের করতে উদ্বুদ্ধ করুন।
والله اعلم بالصواب
রাক্বী আছিবুল ইসলাম
কনসাল্টেন্ট অফ রুক্বইয়াহ
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিস্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (স্ট্যাডিং)
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
ইবনুল কাইয়িম (রাহিমাহুল্লাহ) বলেন,
❝অধিকাংশ পাপের জন্ম হয় অতিরিক্ত কথা এবং দৃষ্টি থেকে। শয়তানের সবচেয়ে প্রশস্ত প্রবেশদ্বার এই দুটি। এই দুই অঙ্গ (মুখ ও চোখ) কখনো বিরক্ত হয়ে যায় না, একঘেয়েমি অনুভব করে না।
পেটের অবস্থা এর বিপরীত। পেট যদি পূর্ণ হয়ে যায়, খাওয়ার ইচ্ছা আর থাকে না। কিন্তু চোখ আর মুখকে যদি ছেড়ে দেওয়া হয়, এই দুটো দেখতে আর কথা বলতে গিয়ে কোনো ক্লান্তি অনুভব করবে না।
এদের পাপের মাত্রা সুবিস্তৃত ও শাখা-প্রশাখা বিশিষ্ট।❞
—[বাদায়েউল ফাওয়ায়েদ: ২/৪৯৮]
অনুরোধ! হৃদয়টাকে মেরে ফেলোনা যুবক।
– জামসেদ মজুমদার হাফিজাহুল্লাহ।
এক বিধর্মী ভাইয়ের দ্বীনে (ইসলামে) ফেরার গল্প।
সুবহানাল্লাহ, সকল প্রশংসা মহান রব্বুল ইজ্জত ওয়াল জালালের।
সোশ্যাল একাউন্টের নিরাপত্তা বিধান ও মিডিয়া একাউন্ট হ্যাক হলে করনীয়–
শেয়ার করে নিজ নিজ প্রোফাইলে রেখে আপনার রিলেটিভদের এই বিষয়গুলো জানার সুযোগ করে দিন।
রাসূলুল্লাহ ﷺ ভাষণ দিতে দাঁড়ালেন এবং বললেন:
أَلاَ لاَ يَمْنَعَنَّ رَجُلاً هَيْبَةُ النَّاسِ أَنْ يَقُولَ بِحَقٍّ إِذَا عَلِمَهُ
❝সাবধান! মানুষের ভয় যেনো কোন ব্যক্তিকে সজ্ঞানে সত্য কথা বলতে বিরত না রাখে।❞–[ইবনে মাজাহ: হা/৪০০৭, সানাদ সহিহ]
তা'বিজ কুরআন দ্বারা হোক বা গায়রে কুরআন দ্বারা হোক তা তামীমারই অন্তর্ভুক্ত।
من تعلق تميمه فقد اشرك.
যে ব্যক্তি তামীমা (তাবীজ) লটকালো সে শিরক করল। (মুসনাদে আহমাদ-১৭৪২২, সিলসিলা সহীহাহ ১/৮০৯)
ইমাম ওয়াকি (রাহি:) ইবরাহীম নাখঈ থেকে বর্ণনা করেছেন,
قال كانوا يكرهون التمائم كلها من القران وغير القران.
তিনি (ইবরাহীম) বলেছেন যে, ছাহাবাগণ সকল প্রকার "তামীমা" ঘৃনা করতেন, কুরআন দ্বারা তৈরীকৃত হোক বা অন্য কোন কিছু দ্বারা তৈরিকৃত হোক।
(مصنف ابن ابي شيبه.٢٣٤٧١)
উক্ত বর্ণনা থেকে স্পষ্টভাবে বুঝা যাচ্ছে কুরআন দিয়ে তাবীজ লিখলেও সেটি তামীমা।
এ কারনে শরীরে কুরআনের আয়াত লটকানোকেও ইমামগণ ঘৃনা করতেন।
حَدَّثَنَا هُشَيْمٌ ، عَنْ مُغِيرَةَ ، قَالَ : قُلْتُ لإِبْرَاهِيمَ : أُعَلِّقُ فِي عَضُدِي هَذِهِ الآيَةَ : {يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلاَمًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ} مِنْ حُمَّى كَانَتْ بِي ؟ فَكَرِهَ ذَلِكَ-
মুগীরা বলেন, আমি ইবরাহীম নাখঈকে বললাম, আমার শারীরিক জ্বরের কারণে বাহুতে {يَا نَارُ كُونِي بَرْدًا وَسَلاَمًا عَلَى إِبْرَاهِيمَ} আয়াতটি ঝুলিয়ে রাখতে চাই। তিনি সেটাকে ঘৃনা করলেন।
(আল মুসান্নাফ, ইবনু আবী শাইবা, হা/২৩৯৩৫)
রাক্বী আছিবুল ইসলাম
☎️ 01867-049700
কনসাল্টেন্ট অফ রুক্বইয়াহ
হিজামা এন্ড পলিপাস স্পেশালিষ্ট
ডিপ্লোমা ইন মেডিকেল এসিস্ট্যান্ট (স্ট্যাডিং)
আন-নাফিয়াহ সুন্নাহ হেলথ কেয়ার সেন্টার
ইয়া রব্বি- ❤️❤️❤️
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Barishal
8530
Madhobpasha Bazar, Airport Thana
Barishal, 8213
হোমিওপ্যাথি, হিজামা, আকুপ্রেসার/পাংচার সহ আরও কিছু পদ্ধতির কার্যকর সমন্বয় ও কম্পিউটারের সফল ব্যবহার।
Gorosthan Road
Barishal, 8207
Life is about striking a balance between certain fundamental parts of life. Health is one of these aspects. We value health in the same way that we value time once we have lost it....
Barishal
ন্যাচারাল মেডিসিনের মাধ্যমে পলিপাস ও পাইলসের চিকিৎসা করা হয়। 01715 304 904