কলেজ রোড খেলার মাঠ, ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সীগন্জ

This is the biggest playground in Bhaberchar, Gazaria, Munshigonj.

Photos from FC Bhaberchar's post 10/09/2023
23/07/2023

⚽💖

25/07/2022

দক্ষিণ আফ্রিকার বাবেম্বা গোত্রে কোনো ব্যক্তি কোনো অপরাধ বা ভুল করলে বাকি সবাই মিলে তাকে গ্রামের মধ্যিখানে একটি নির্দিষ্ট স্থানে নিয়ে যায়। সেখানে তারা সবাই মিলে টানা দুই দিন ওই ব্যক্তিকে চারপাশ থেকে ঘিরে রাখে এবং এপর্যন্ত করে আসা তার ভালো কাজ ও ভালো ব্যবহারগুলোর স্মৃতিচারণ করতে থাকে মুগ্ধ হয়ে।

অপরাধ করা সেই ব্যক্তিটিকে তারা তিরস্কার করে না, লাঞ্ছিত করে না, অপমান করে না। তারা বিশ্বাস করে: পৃথিবীর প্রতিটি মানুষই ভালো; কিন্তু মাঝেমধ্যে ভুল করে ফেলে মানুষ, যে-ভুলের অর্থ- মানুষটি আশেপাশের মানুষের সহযোগিতা আর ভালোবাসার অভাবে তীব্র যন্ত্রণায় কাঁদছে।

মানুষটিকে তারা তার অতীতের সমস্ত ভালো'র স্মৃতি স্মরণ করিয়ে দিয়ে সেই ভালোতে তার আশেপাশের অন্যদের জীবন কীভাবে পালটে গেছে, কতোটা উপকার হয়েছে অন্যের সেসব গল্প বলতে বলতে বুকে জড়িয়ে নেয় একে একে। ওসময় ভুল করা মানুষটি এতো মমতা, এমন প্রেম, মানবিকতার অমন রূপময়তা সহ্য করতে না পেরে ডুকরে ওঠে। সে তার ভুল বুঝতে পারে। সে শুধরে যায় মানুষের ভালোবাসায়।

মানুষের ভালোবাসা কী না পারে!

"মানুষকে অপমান কোরো না।"
- বাবেম্বা

22/07/2022

এন্টিবায়োটিক আবিষ্কার করেছিলেন স্যার আলেকজান্ডার ফ্লেমিং। ফ্লেমিং স্যার বলেছিলেন, "এই এন্টিবায়োটিকের কারণে আজ কোটি কোটি লোক বেঁচে যাবে। অনেক বছর পর এগুলো আর কাজ করবেনা। তুচ্ছ কারণে কোটি কোটি লোক মারা যাবে আবার।''

এন্টিবায়োটিক খাওয়ার কিছু নিয়ম আছে। একটা নির্দিষ্ট ডোজে, একটা নির্দিষ্ট মেয়াদ পর্যন্ত এন্টিবায়োটিক খেতে হয়। না খেলে যেটা হতে পারে সেটাকে বলা হয় "এন্টিবায়োটিক রেজিসটেন্স''।

ধরি, আমার দেহে এক লক্ষ ব্যাকটেরিয়া আছে। এগুলোকে মারার জন্য আমার ১০টা এম্পিসিলিন খাওয়া দরকার। এম্পিসিলিন এক প্রকার এন্টিবায়োটিক। খেলাম আমি ৭ টা। ব্যাকটেরিয়া মরলো ৭০ হাজার এবং আমি সুস্থ হয়ে গেলাম। ৩০ হাজার ব্যাকটেরিয়া কিন্তু রয়েই গেলো। এগুলো শরীরে ঘাপটি মেরে বসে জটিল এক কান্ড করলো নিজেরা নিজেরা।

তারা ভাবলো, যেহেতু এম্পিসিলিন দিয়ে আমাদের ৭০ হাজার ভাইকে হত্যা করা হয়েছে। অতএব আমাদেরকে এম্পিসিলিন প্রুফ জ্যাকেট পরতে হবে এবার। প্ল্যান করে থেমে থাকেনা এরা, বরং সত্যি সত্যি জ্যাকেট তৈরি করে ফেলে এই ব্যাকটেরিয়া গুলো। এরা বাচ্চা-কাচ্চাও পয়দা করে একই সময়ে। বাচ্চাদেরকেও সেই জ্যাকেট পরিয়ে দেয়।
এর ফলে যেটা হয়, পরের বার এম্পিসিলিন নামক এন্টিবায়োটিকটা আর কাজ করেনা।

সবচেয়ে ভয়ংকর বিষয় হচ্ছে, জ্যাকেট পরা ব্যাকটেরিয়া গুলো কেবল ঐ ব্যাক্তির শরীরেই বসে থাকেনা। তিনি হাঁচি দেন, কাশি দেন, ব্যাকটেরিয়া গুলো ছড়িয়ে পড়ে পুরো এলাকায়। এক সময় পুরো এলাকায়ই আর ঐ এন্টিবায়োটিক কাজ করেনা। যারা খুব নিয়ম করে ওষুধ খান তারাও বিপদে পড়ে যান সবার সাথে।

আমরা খুব ভয়ংকর একটা সময়ের দিকে এগিয়ে যাচ্ছি দ্রুত। ব্যাকটেরিয়া আর তাদের বিভিন্ন 'জ্যাকেট'এর তুলনায় এন্টিবায়োটিকের সংখ্যা খুব বেশি না। অনেক এন্টিবায়োটিক এখন আর কাজ করেনা, বাকিগুলোর ক্ষমতাও কমে আসছে। আমাদের বড় বড় হসপিটাল থাকবে, সেখানে এফসিপিএস, এমডি, পিএইচডি করা ডাক্তাররা থাকবেন কিন্তু কারোরই কিছু করার থাকবেনা। সামান্য সর্দীতেই রোগী মরে সাফ হয়ে যাবে।

উন্নত বিশ্বের চিকিৎসা ব্যবস্থা আলাদা। তারা নিয়ম মেনে ডাক্তারের পরামর্শ মতো ওষুধ খায়। বিপদে আছি আমরা। 'মেডিসিনের বাইবেল' নামে পরিচিত ডেভিডসের বইয়েও আমাদের এই উপমহাদেশের উল্লেখ আছে আলাদা করে। অনেক ট্রিটমেন্টে বলা হয়েছে,
"This organism is resistant against this Drugs in Indian subcontinen.

09/05/2020

হ্যামেলিনের বাঁশিওয়ালা : সত্যি ঘটনা নাকি রুপকথা ?

ইতিহাস:
-শুরুতেই নাম সংক্রান্ত বিতর্ক নিয়ে বলে নিচ্ছি। জার্মান একটি শহর যার নাম hamelin। এর উচ্চারন কোথাও হ্যামিলিন কোথাও হ্যামিলন দেয়া হয়েছে। বেশকিছু যায়গায় দুটো উচ্চারনই দেয়া। যেহেতু ছোটবেলার গল্পের বইয়ে হ্যামিলন লেখা ছিল। আমরা সবাই সে শব্দের সাথেই পরিচিত তাই এখানে হ্যামিলনই লেখা হচ্ছে। আমাদের ছোটবেলার সে গল্পের নাম ছিল হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালা। এই গল্পটি বেশ কয়েকটি রুপে রয়েছে । কিছুটা ঘষা মাজা করলে সব গল্পের মূল ভিত্তি সেই একই রকম এসে দাঁড়ায়। এতসময় ধরে যে গল্পের কথা বললাম, জানলে অবাক হবেন এটি নিছকই শুধু একটি গল্প না । বাস্তব এবং সত্যি ঘটনা। তবে গল্পের বেশ কিছু অংশে বিতর্ক রয়েই গিয়েছে।

-জার্মানির লোয়ার স্যাক্সনি প্রদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চলে ওয়েসার নদীর তীরে অবস্থিত হ্যামিলন শহর। আজকের জার্মানীর মত এতটাও উন্নত ছিলনা শহরটি। প্রায় ৭০০ বছরেরও বেশী আগে সুন্দর ছিমছাম গ্রামে শুরু হয় ইঁদুরের উপদ্রব। তারা এত পরিমাণে বেড়ে গেল যে ড্রয়ার, টেবিলের নিচে, চুলায় এমনকি চায়ের পাত্রেও দেখা মিলল তাদের। তারা আকারে এত বড় আর সংখ্যায় এত অধিক যে বিড়ালও ওদের দেখে ভয় পেয়ে পালিয়ে যেতে শুরু করল। হ্যামেলিনের লোকজন দুঃচিন্তায় পড়ে গেল। শেষ পর্যন্ত সব লোকজন একত্র হয়ে সিদ্ধান্ত নিল তারা মেয়র মল্ডিন এর কাছে যাবে। মেয়রের নেতৃত্বে সবাই মিলে একজোট করলেন, শহরকে ইঁদুরের হাত থেকে যে বাঁচাতে পারবে তাকে মোটা অঙ্কের পুরস্কার দেওয়া হবে। সেই ঘোষণায় সাড়া দিয়ে শহরে এসে হাজির হলো রহস্যময় এক বাঁশিওয়ালা। ভাল পারিশ্রমিকেই তাকে দায়িত্ব দেয়া হলো। লোকটি বাইরে বের হয়ে নিজের রঙিন আলখাল্লাটার মধ্য থেকে দারুণ একটি বাঁশি বের করলো। সেই বাঁশি বাজাতে বাজাতে ঘুরতে থাকলো হ্যামিলনের পথে৷ সে বাঁশির এক অচেনা সুরের আকর্ষণে শহরের হাজার হাজার ইঁদুর দলবেঁধে ছুটছে লোকটির পেছনে পেছনে৷। বাশিওয়ালা হাটতে হাটতে গেলো শহরের পাশের ওয়েজার নদীর বাঁকে। ইদুর গুলো ঝাপিয়ে পড়লো নদীতে। শহর হলো ইঁদুর মুক্ত।

-পারিশ্রমিক দেবার বেলায় বেকে বসলো শহরবাসী। রেগে গেলো বাঁশিওয়ালা। বের করলো এক নতুন বাঁশি। বাজাতে বাজাতে হেটে চললো শহরের বাইরে। সেই বাঁশির সুরে শহরের ঘর গুলো থেকে এবার বেড়িয়ে এলো ছোটবাচ্চারা। সবাই যেন সম্মোহিত। বাবা মা কারো ডাক শুনল না সবাই আনন্দে ছুটলো বাঁশিওয়ালার পেছনে। পাহাড়ের ওখান থেক সব বাচ্চা নিয়েই বাঁশিওয়ালা যেন হাওয়ায় মিলিয়ে গেলো। ফিরে এলো মাত্র দুইজন। একজন ছিলো বোবা যে সব দেখলেও কিছু বলতে পারলো না। অন্যজন ছিল অন্ধ যার বলার ক্ষমতা থাকলেও কোথায় গেল তা দেখতে পারলো না। কোনদিন আর বাঁশিওয়ালাকে দেখা যায়নি আর।

সত্যতা যাচাই:
-ইতিহাসবিখ্যাত এ ঘটনাটির সত্যতা নিয়ে বিতর্কের শেষ নেই। বলা হয়ে থাকে ১২৮৪ সালের ২২ জুলাই ঘটনাটি ঘটেছে। দীর্ঘদিন অমীমাংসিত এই রহস্যের বিস্তর গবেষণা হয়েছে। বর্তমানে হ্যামিলনে যে পৌরসভা রয়েছে, তার নামের অর্থ হল ‘ইঁদুর ধরা লোকের বাড়ি’। এটি নির্মিত হয় ১৬০২ সালে। এর দেয়ালে বিশ্ববিখ্যাত কাহিনীটির ছবি চমৎকারভাবে আঁকা আছে। হ্যামিলিন শহরে এ সংক্রান্ত একটি জাদুঘর রয়েছে। ওই জাদুঘরে সঞ্চিত পঞ্চদশ শতাব্দীতে লেখা কয়েকটি বইয়ে এ রহস্যময় কাহিনীর বর্ণনা রয়েছে। ফ্রাউ ভন লিউড নামের এক ১৩ বছরের বালিকার ১২৯৪ সালের রেকর্ডে লিপিবদ্ধ আছে যে সুদর্শন এ লোকটির বয়স ছিল আনুমানিক ৩০। তার বাঁশিটি ছিল রুপোর তৈরি। এক নথিতে পাওয়া যায় ১৩০০ শতাব্দীতে হ্যামিলনের বাজারে এক কাঠের ফলক ছিল। সেখানে এক বংশীবাদক ও অনেক শিশুর ছবি ছিল। সেটা ১৭০০ সালে ঝড়ে ধ্বংস হয়ে যায়। ১২৮৪ সালের ঘটনার পরেই চার্চে Stained-glass জানালা লাগানো হয় ১৩০০ সালের দিকে। সেখানে এই করুণ ঘটনা লেখা ছিল। জানালাটা বানাবার উদ্দেশ্যই ছিল শিশুদের স্মরণ করা। জানালাটা ধ্বংস হয়ে যায় ১৬৬০ সালে, পরে ইতিহাসবিদ হ্যান্স ডবারটিন ঐতিহাসিক লেখনী থেকে এই জানালা পুনঃনির্মাণ করেন। সেখানে দেখা যায় বাঁশিওয়ালা আর সাদা পোশাকে শিশুদের ছবি! বর্তমানের হ্যামেলিন শহরে যদি কখনো বেড়াতে যান তবে দেখবেন সেখানে বাঁশিওয়ালার মূর্তি, সাথে ইঁদুর। ২০০৯ সালে জার্মানিরা এক টুরিস্ট ফেস্ট আয়োজন করে শিশুদের প্রস্থানের করুণ ঘটনার ৭২৫তম বার্ষিকীতে। যে বাড়িতে খোদাই করা ছিল ইতিহাসটি, সেটিকে এখন “র‍্যাট ক্যাচার” এর বাড়ি বলে। প্রতি বছর ২৬ জুন পালন করা হয় র‍্যাট ক্যাচার দিবস। এবার একটি আকর্ষনীয় তথ্য দেয়া যাক, যে রাস্তায় সর্বশেষ বাঁশিওয়ালাকে দেখা গিয়েছিল বলে দাবী করা হয়, সে রাস্তার নাম হচ্ছে Bungelosenstrasse বা No Drum Street এ কোন মিউজিক বাজানো নিষিদ্ধ।প্রায় ৭০০ বছর ধরেই এমনটি চলে আসছে বলে জানা যায়।

মিথ্যার দাবি:
-অনেকে ব্যাপারটিকে মিথ্যা দাবি করে থাকে , কারন পুথিগত ভবে কোন নথি বা পত্র খুজে পাওয়া যায়নি। আর এর কোন ব্যাখ্যাও আসলে দেয়া কষ্টকর। প্রাচীন নথিতে আগেও শহরে ছেলে ধরার ব্যাপারে জানা গিয়েছে। ধারনা করা হয় বাঁশিওয়ালার গল্প নিছক সেই ছেলেধরার কাহিনী এর সাথে শুধু কিছু গল্প যুক্ত হয়েছে। এছাড়া ১২৮৪ এর দিকে জার্মানে প্লেগ রোগের প্রাদুর্ভাব বেড়ে যায়। ইঁদুর ছিল এ রোগের বাহক। সে সময় শহরে ইঁদুর ধরার বিশেষ লোক ছিল যারা বাঁশি বাজিয় ইঁদুর ধরতো। এমন বাঁশি জার্মান জাদুঘরেও রয়েছে। সেসময় প্লেগে অনেক শিশু মারা যায়। তাই অনেকের দাবি গীর্জার দেয়ালে বা পুথির পাতায় বর্নিত ঘটনা গুলো আসলে রূপক অর্থে তুলে ধরা হয়েছে।

দুপক্ষের বিচার বিশ্লেষন তুলে ধরা হলো। কালের বিবর্তনে সাধারন ঘটনা যেমন অসাধারন রূপ লাভ করে তেমনি দুনিয়াতে ঘটে অমিমাংশিত অনেক ঘটনা। তবে যাই হোক হ্যামিলনের বাঁশিওয়ালার ঘটনাটি জার্মান জনপ্রিয় একটি গল্প বা ঘটনা। শতাব্দীর পর শতাব্দী ধরে জার্মানবাসী এটি ধারন করে রেখেছে।

©️Charpoka

02/05/2020

❤️

©️ Rizoan Raian Mahir

25/04/2020

ইতিহাস কখনো ভুলে যাওয়ার নয় 🌿

কলকাতার বাবুরা বলেছেন,"ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় করার কোন দরকার নেই। ফার্মগেট আছে,ধানমণ্ডি আছে পাশে একটা কৃষি কলেজ করে দাও। "

এই ধরনের কায়েমী স্বার্থবাদী আচরণে ক্ষুব্ধ হয়ে ব্রিটিশ লর্ডের কাছে গিয়ে শেরে বাংলা ফজলুল হক বোঝালেন ঢাকায় বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করতেই হবে। এবার ব্রিটিশরা কিছুটা নমনীয় হল --- কিন্তু বিশ্বযুদ্ধের কারণে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হল একটু দেরীতে । ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় যখন প্রতিষ্ঠিত হয় তখন বাংলার শিক্ষামন্ত্রী ছিলেন শেরে বাংলা ফজলুল হক ।

শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ১৯১৬ সালে মুসলিম লীগ এর সভাপতি নির্বাচিত হন । পরের বছর ১৯১৭ সালে তিনি ভারতীয় জাতীয় কংগ্রেস এর সাধারণ সম্পাদক হন । তিনিই ইতিহাসের একমাত্র ব্যক্তি যিনি একই সময়ে মুসলিম লীগ এর প্রেসিডেন্ট এবং কংগ্রেস এর জেনারেল সেক্রেটারি ছিলেন । ১৯১৮ -১৯ সালে জওহরলাল নেহেরু ছিলেন ফজলুল হকের ব্যক্তিগত সচিব ।

১৯৩৭ এর নির্বাচনে শেরে বাংলা আবুল কাশেম ফজলুল হক ঘোষণা দিয়েছেন নির্বাচনে জিতলে তিনি জমিদারি প্রথা চিরতরে উচ্ছেদ করবেন।
তিনি যাতে নির্বাচিত হতে না পারেন তার জন্য সারা বাংলাদেশ আর কলকাতার জমিদাররা একত্র হয়ে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ করেছেন। লাভ হয়নি --- কৃষকরা তাদের নেতাকে ভোট দিয়েছেন।

মুসলিম লীগ এর লাহোর অধিবেশনে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ বক্তব্য দিচ্ছেন । হঠাৎ করে একটা গুঞ্জন শুরু হলো, দেখা গেল জিন্নাহর বক্তব্যের দিকে কারও মনযোগ নাই । জিন্নাহ ভাবলেন, ঘটনা কী ? এবার দেখলেন, এক কোণার দরজা দিয়ে ফজলুল হক সভামঞ্চে প্রবেশ করছেন, সবার আকর্ষণ এখন তার দিকে । জিন্নাহ তখন বললেন --- When the tiger arrives, the lamb must give away. এই সম্মেলনেই তিনি উত্থাপন করেছিলেন ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব ।

১৯৪০ সালের ২২-২৪ শে মার্চ লাহোরের ইকবাল পার্কে মুসলিম লীগের কনফারেন্স অনুষ্ঠিত হয়। এই কনফারেন্সে বাংলার বাঘ আবুল কাশেম ফজলুল হক ঐতিহাসিক লাহোর প্রস্তাব উত্থাপন করেন। তিনি তার প্রস্তাবে বলেন, হিন্দু সাম্প্রদায়িকতার বাস্তবতায় হিন্দু মুসলিম একসাথে বসবাস অসম্ভব। সমাধান হচ্ছে, মুসলিম সংখ্যাগরিষ্ঠ উত্তর পশ্চিমাঞ্চলে একটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র এবং পূর্বাঞ্চলে বাংলা ও আসাম নিয়ে আরেকটি স্বাধীন মুসলিম রাষ্ট্র প্রতিষ্ঠিত হবে।

পাঞ্জাবের মওলানা জাফর আলী খান, সীমান্ত প্রদেশের সর্দার আওরঙ্গজেব, সিন্ধের স্যার আব্দুল্লাহ হারুন, বেলুচিস্তানের কাজী ঈসা ফজলুল হকের প্রস্তাব সমর্থন করেন। কনফারেন্সে এই প্রস্তাবটি সর্বসম্মতিক্রমে পাশ হয়।

লাহোর প্রস্তাব উত্থাপনের সময়ে হিন্দুপ্রধান প্রদেশগুলোতে মুসলিম নির্যাতনের মাত্রা বাড়তে থাকার কারণে ফজলুল হক খুবই উদ্বিগ্ন এবং কিছুটা উত্তেজিত ছিলেন। তিনি তার বক্তব্যে একবার বলেন, ‘ আমি আগে মুসলিম, পরে বাঙালী (muslim first, bengali afterwards)’। বক্তৃতার এক পর্যায়ে এসে বলেন, ‘কংগ্রেস শাসিত রাজ্যগুলোতে যদি আর কোনো মুসলিম নির্যাতিত হয় তাহলে আমি বাংলার হিন্দুদের উপর তার প্রতিশোধ নেব।’

যে ফজলুল হক তিন বছর আগে সোহরাওয়ার্দী, নাজিমউদ্দিনকে রেখে শ্যামাপ্রসাদের সাথে কোয়ালিশন সরকার গঠন করেছেন সেই ফজলুল হকের মুখে এমন বক্তব্য তখনকার ভারতে ব্যাপক আলোড়ন সৃাষ্ট করেছিল।

বর্তমানে যে পাকিস্তান রাষ্ট্র তার ভিত্তি হচ্ছে লাহোর প্রস্তাব। তাই ২৩ শে মার্চ কে পাকিস্তানে প্রজাতন্ত্র দিবস হিসেবে পালন করা হয়।

কিন্তু লাহোর প্রস্তাব পাশ হওয়ার কয়েকদিন পরে মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ চালাকির আশ্রয় নেন। তিনি বলেন, প্রস্তাবটি টাইপ করার সময়ে ভুল করে muslim majority states লেখা হয়েছে; আসলে হবে state । জিন্নাহর ধারণা ছিল, দেন-দরবার করে দুই পাশে দুইটা পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা করা যাবে না। তাই স্টেটস এর জায়গায় স্টেট লিখে একটা মুসলিম মেজরিটি রাষ্ট্র করতে হবে।

জিন্নাহর এই ধূর্ততার কারণে ফজলুল হক তার সাথে পাকিস্তান আন্দোলনে সম্পৃক্ত হননি। তরুণ শেখ মুজিব যখন জিন্নাহর নেতৃত্বে পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার জন্য ঝাঁপিয়ে পড়েছেন তখন অভিজ্ঞ ফজলুল হক পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। 'তিঁনি অনুমান করতে পেরেছিলেন পাকিস্তান প্রতিষ্ঠিত হলে কী কী দুর্দশা হবে বাংলার মানুষের। তাই তিঁনি পাকিস্তানের বিরোধিতা করেছেন। অসমাপ্ত আত্মজীবনী তে বঙ্গবন্ধু লিখেছেন.......
"
বাংলার মাটিও তাকে ভালোবেসে ফেলেছিল। যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছু বলতে গেছি, তখনই বাধা পেয়েছি। একদিন আমার মনে আছে একটা সভা করছিলাম আমার নিজের ইউনিয়নে, হক সাহেব কেন লীগ ত্যাগ করলেন, কেন পাকিস্তান চাননা এখন? কেন তিনি শ্যামাপ্রসাদ মুখার্জির সাথে মিলে মন্ত্রীসভা গঠন করেছেন? এই সমস্ত আলোচনা করছিলাম, হঠাৎ একজন বৃদ্ধ লোক যিনি আমার দাদার খুব ভক্ত, আমাদের বাড়িতে সকল সময়েই আসতেন, আমাদের বংশের সকলকে খুব শ্রদ্ধা করতেন- দাঁড়িয়ে বললেন,”যাহা কিছু বলার বলেন, হক সাহেবের বিরুদ্ধে কিছুই বলবেন না। তিনি যদি পাকিস্তান না চান, আমরাও চাই না। জিন্নাহ কে? তার নামও তো শুনি নাই। আমাদের গরিবের বন্ধু হক সাহেব।” এ কথার পর আমি অন্যভাবে বক্তৃতা দিতে শুরু করলাম। সোজাসুজিভাবে আর হক সাহেবকে দোষ দিতে চেষ্টা করলাম না। কেন পাকিস্তান আমাদের প্রতিষ্ঠা করতেই হবে তাই বুঝালাম। শুধু এইটুকু না, যখনই হক সাহেবের বিরুদ্ধে কালো পতাকা দেখাতে গিয়েছি, তখনই জনসাধারণ আমাদের মারপিট করেছে। অনেক সময় ছাত্রদের নিয়ে পালিয়ে আসতে বাধ্য হয়েছি, মার খেয়ে।"

বঙ্গবন্ধু ' র বাবা বলেছেন , " বাবা তুমি যাই করো শেরে বাংলার বিরুদ্ধে কিছু বলো না। শেরে বাংলা এমনি এমনি শেরে বাংলা হয়নি। "

ফজলুল হক জানতেন মাঝখানে ভারতকে রেখে পশ্চিম আর পূর্বে জোড়া দিয়ে এক পাকিস্তান করলে তা কখনো টিকবে না। ‘ জিন্নাহ আমার লাহোর প্রস্তাবের খৎনা করে ফেলেছে -বলে ফজলুল হক পাকিস্তান প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে সক্রিয় থাকেননি।

১৯৪৬ এ এসে জিন্নাহ সোহরাওয়ার্দীর দুই বাংলা একত্র করে স্বাধীন যুক্তবাংলার দাবী মেনে নিয়েছিলেন। কিন্তু কংগ্রেসের বিরোধিতার কারণে শেষ পর্যন্ত বাংলাও ভাগ করতে হল।

ফজলুল হক বলেছিলেন, একটি পাকিস্তান কখনও টিকবে না। বাংলা এবং আসামকে নিয়ে পৃথক স্বাধীন রাষ্ট্র করতে হবে।

১৯৭১ সালে এসে দেখা গেল, ফজলুল হকের আশঙ্কা এবং ভবিষ্যতবাণী সঠিক। ১৯৭১ এর মত এমন কিছু যে ঘটবে শেরে বাংলা ফজলুল হক তা আঁচ করতে পেরেছিলেন ১৯৪০ সালেই। তাই তিনি ১৯৪০ সালেই বাংলা আর আসাম নিয়ে পৃথক রাষ্ট্র করতে চেয়েছিলেন। অর্থাৎ স্বাধীন বাংলাদেশের প্রথম স্বপ্নদ্রষ্টা হলেন শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক।

১৯৭১ এর যুদ্ধ হল ফজলুল হকের লাহোর প্রস্তাবের বাস্তবায়ন। লাহোর প্রস্তাব ফজলুল হক যেভাবে উত্থাপন করে ছিলেন সেভাবে মানলে একাত্তরে এই দেশে রক্তগঙ্গা বইত না।

পেশাজীবনে 'কলকাতা হাইকোর্টের নামকরা আইনজীবী ছিলেন। একদিন তাঁর জুনিয়র হাতে একগাদা পত্রিকা নিয়ে এসে বললেন, " স্যার , দেখুন , কলকাতার পত্রিকাগুলো পাতার পর পাতা লিখে আপনার দুর্নাম ছড়িয়ে যাচ্ছে --- আপনি কিছু বলছেন না । " তিঁনি বললেন, " ওরা আমার বিরুদ্ধে লিখছে তার মানে হল আমি আসলেই পুর্ব বাংলার মুসলমান কৃষকদের জন্য কিছু করছি। যেদিন ওরা আমার প্রশংসা করবে সেদিন মনে করবে বাংলার কৃষক বিপদে আছে। "

মুহাম্মদ ওয়াজেদ আলী বরিশাল বারের নামকরা উকিল । একবার ওয়াজেদ আলী র প্রতিপক্ষ মামলার ইস্যু জটিল হওয়ার কারণে কলকাতা থেকে তরুণ উকিল ফজলুল হককে নিয়ে আসে ওয়াজেদ আলীকে মোকাবেলা করার জন্য । ফজলুল হক ওই সময়ে কেবলমাত্র ফজলুল হক , শেরে বাংলা তখনও হননি । তিনি মামলা লড়তে এসেছেন , কিন্তু বিপক্ষের উকিল কে সেই খবর জানতেন না ।

কোর্টে এসে দেখলেন বিপক্ষে তার বাবা ওয়াজেদ আলী দাঁড়িয়েছেন । ফজলুল হক স্বাভাবিকভাবে যুক্তিতর্ক শুরু করলেন ।

এক পর্যায়ে ওয়াজেদ আলী আদালতকে উদ্দেশ করে বললেন , “ ইনি যা বলছেন তা আইনসংগত না । আইনটা হল আসলে এরকম এরকম ....... ইনি নতুন উকিল তো আইন কানুন ভালো বোঝেন না । “

উত্তরে ফজলুল হক বললেন , “ তিনি পুরাতন অভিজ্ঞ উকিল হলে কী হবে ? তিনি হচ্ছেন কৃষকের ছেলে উকিল ( প্রকৃতপক্ষে তার দাদা আকরাম আলী ছিলেন ফারসি ভাষার পন্ডিত ) , তিনি আইনের কী আর বোঝেন ? আমি হচ্ছি উকিলের ছেলে উকিল , যুক্তি আমারটাই ঠিক । “

খ্যাতির সাথে ৪০ বছর ধরে কলকাতা হাইকোর্টে ওকালতি করেছেন । আইন পাশ করার আগে কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে ফিজিক্স কেমেস্ট্রি আর ম্যাথমেটিক্সে ট্রিপল অনার্স করেছেন । মাস্টার্স করেছেন ম্যাথমেটিক্স এ । ছোটবেলায় একবার পড়ে বইয়ের পৃষ্ঠা ছিঁড়ে ফেলার গল্প রূপকথার মত এদেশের সবার মুখে মুখে ।

বাংলার প্রাদেশিক পরিষদের বাজেট অধিবেশনে একজন এম পি শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক কে ব্যক্তিগতভাবে আক্রমণ করে বক্তব্য দিতে লাগলেন । ঐ এম পি শেরে বাংলার বিরুদ্ধে গানও লিখে এনেছেন এবং সংসদের বাজেট বক্তুতা করতে গিয়ে সেই গানটি হেলেদুলে কর্কশ কণ্ঠে গাইতে শুরু করলেন । এরকম পরিস্থিতিতে যে কারও পক্ষে মাথা ঠাণ্ডা রাখা মুশকিল ।

শেরে বাংলা ঐ এমপি র বক্তব্যের মধ্যেই বলে উঠলেন -- "Mr Speaker, I can jolly well face the music, but I cannot face a monkey."

এবার ঘটলো মারাত্মক বিপত্তি । তার মত নেতার কাছ থেকে এরকম মন্তব্য কেউ আশা করেনি । এদিকে , ঐ এম পি স্পিকারের কাছে দাবী জানালেন -- এই মুহূর্তে ক্ষমা চাইতে হবে এবং এই অসংসদীয় বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে । স্পিকার পড়লেন আরেক বিপদে -- তিনি কীভাবে এত বড় একজন নেতাকে এই আদেশ দেবেন ।

শেরে বাংলা ছিলেন ঠাণ্ডা মাথার বুদ্ধিমান মানুষ । তিনি উঠে দাঁড়িয়ে বললেন --- " Mr. Speaker, I never mentioned any honourable member of this House. But if any honourable member thinks that the cap fits him, I withdraw my remark."

'জ্ঞানতাপস প্রফেসর আবদুর রাজ্জাক তাঁর জীবনী লিখতে চান জেনে বলেছিলেন, " রাজ্জাক, সত্যি বলো, তোমার মতলবটা আসলে কী ? " প্রফেসর রাজ্জাক বললেন, " আমার এই বিষয়টা খুব ভালো লাগে ---- আপনি যখন ইংরেজদের সাথে চলেন তখন মনে হয় আপনি জাত ইংরেজ। যখন বরিশালে আসেন মনে হয় আপনি বহুবছর ধরে নিজেই কৃষিকাজ করেন। আবার যখন কলকাতায় শ্যামাপ্রসাদ বাবুকে ভাই বলে ডাক দেন তখন আপনাকে আসলেই হিন্দু মনে হয়। আবার যখন ঢাকার নবাব বাড়িতে ঘুড়ি উড়ান তখন মনে হয় আপনিও নবাব পরিবারের একজন । নিজেকে কেউ আপনার মত এত পাল্টাতে পারে না। আপনি যাই বলেন, সত্য হোক -- মিথ্যা হোক, মানুষ বিনা দ্বিধায় তা বিশ্বাস করে। "

মহাত্মা গান্ধী র নাতি রাজমোহন গান্ধী তার বইতে লিখেছেন -- তিন নেতার মাজারে তিনজন নেতা শায়িত আছেন যার মধ্যে দুজন পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হয়েছিলেন । একজনকে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী হতে দেওয়া হয়নি, অথচ তিনিই ছিলেন সত্যিকারের বাঘ ।

কিন্তু এটা তার জীবনের কোনো অপূর্ণতা নয়, একমাত্র রাষ্ট্রপতি হওয়া ছাড়া সম্ভাব্য সব ধরনের পদে তিনি অধিষ্ঠিত ছিলেন জীবনের কোনো না কোনো সময়ে । তিনি ছিলেন বাংলার প্রথম প্রধানমন্ত্রী, পূর্ব বাংলার তৃতীয় মুখ্য মন্ত্রী; পাকিস্তানের কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী, পূর্ব - পাকিস্তানের গভর্নর, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যান্সেলর ।

সর্বভারতীয় রাজনীতি ছেড়ে শুধু পূর্ববাংলার রাজনীতি কেন করছেন এই প্রশ্নের উত্তরে ফজলুল হক বলেছিলেন -- এরোপ্লেন এ উঠলে নিচের জিনিস ছোট আর ঝাপসা দেখাতে পারে, তাই আমি মাটিতেই থাকছি । রাজনীতির এরাপ্লেন এ না চড়লেও সৌদি বাদশাহ সউদ ফজলুল হকের সাথে একটা মিটিং করার জন্য নিজের ব্যক্তিগত বিমান পাঠিয়েছিলেন ফজলুল হককে নিয়ে যাওয়ার জন্য ।

অসীম সাহসী এই মানুষটি আমাদেরকে সকল অন্যায় অবিচারের বিরুদ্ধে নির্ভয়ে প্রতিবাদ করার কথা বলেছেন। বাঙালী জাতিকে সতর্ক করে দিয়েছিলেন অনেক আগেই । তিনি বলেছেন, যে জাতি তার বাচ্চাদের বিড়ালের ভয় দেখিয়ে ঘুম পাড়ায়, তারা সিংহের সাথে লড়াই করা কিভাবে শিখবে ?

আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায় ছিলেন ফজলুল হকের শিক্ষক। আবুল মনসুর আহমদের সাথে আলাপচারিতায় ফজলুল হক সম্পর্কে আচার্য প্রফুল্লচন্দ্র রায়ের মন্তব্য :

"ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি বাঙ্গালী।সেই সঙ্গে ফযলুল হক মাথার চুল থেকে পায়ের নখ পর্যন্ত খাঁটি মুসলমান।খাঁটি বাঙ্গালীত্বের সাথে খাটি মুসলমানত্বের এমন অপূর্ব সমন্বয় আমি আর দেখি নাই। ফযলুল হক আমার ছাত্র বলে বলছিনা, সত্য বলেই বলছি।খাঁটি বাঙ্গালীত্ব ও খাটি মুসলমানত্বের সমন্বয়ই ভবিষ্যৎ বাঙ্গালীর জাতীয়তা।"

রেফারেন্স: আমার দেখা রাজনীতির পঞ্চাশ বছর।(পৃষ্ঠা ১৩৫-৩৬)

পহেলা বৈশাখের সরকারি ছুটি, বাংলা একাডেমির প্রতিষ্ঠা এই ফজলুল হকের অবদান । কিন্তু সবকিছু ছাপিয়ে ফজলুল হক মানুষের ভালোবাসা পেয়েছেন কারণ কৃষক--শ্রমিক সংখ্যাগরিষ্ঠ এই উপমহাদেশে মাত্র একজন ব্যক্তি কৃষকদের জন্য রাজনীতি করেছেন । তিঁনি হলেন -- শেরে বাংলা এ কে ফজলুল হক ।

১৯৪৮ সালে ঢাকায় এসেছিলেন মোহাম্মদ আলী জিন্নাহ। উর্দুকে রাষ্ট্রভাষা করার কথা বললে ছাত্ররা তীব্র প্রতিবাদ করে। জিন্নাহ ছাত্রদের সাথে বৈঠকও করেন। কিন্তু ছাত্ররা ছিল নাছোড়বান্দা। জিন্নাহর ধারণা হলো, ফজলুল হক ছাত্রদেরকে উসকানি দিচ্ছেন। ফজলুল হকের বুদ্ধিতে ছাত্ররা উর্দুর বিরোধিতা করছে। জিন্নাহ এবার ফজলুল হকের সাথে দেখা করতে চাইলেন। কিন্তু ফজলুল হক দেখা করতে রাজি হলেন না। ফজলুল হক জিন্নাহকে ব্যক্তিগতভাবে অপছন্দ করতেন।

জিন্নাহর পীড়াপিড়িতে শেষ পর্যন্ত রাজি হলেন ফজলুল হক। বন্ধ দরজার আড়ালে কথা হয়েছিল দুই মহান নেতার। কিন্তু ইংরেজিতে কী ধরনের বাক্য বিনিময় হয়েছিল তাদের মধ্যে পরবর্তীতে তা লিখেছেন ফজলুল হকের একান্ত সহকারী আজিজুল হক শাহজাহান --

জিন্নাহ : পাকিস্তান তো তুমি কোনোদিন চাওনি। সব সময়ে বিরোধিতা করে এসেছো।

হক : প্রস্তাবটি তো আমিই করেছিলাম। পরে ওটার খতনা করা হয়েছে। আমি এটা চাইনি।

জিন্নাহ: পাকিস্তানের এই অংশ বেঁচে থাক তা তুমি চাও না। তাই ভারতের কংগ্রেসের টাকা এনে ছাত্রদের মাথা খারাপ করে দিয়েছ। তারা আমাকে হেস্তনেস্ত করছে।

হক: আমি এখানে কোনো রাজনীতি করি না। হাইকোর্টে শুধু মামলা নিয়ে চিন্তা করি। আইন আদালত নিয়ে থাকি ।

জিন্নাহ : জানো, তুমি কার সাথে কথা বলছো ?

হক: আমি আমার এক পুরোনো বন্ধুর সাথে কথা বলছি।

জিন্নাহ: নো নো, ইউ আর টকিং উইথ দ্য গভর্নর জেনারেল অব পাকিস্তান ।

হক: একজন কনস্টিটিউশনাল গভর্নর জেনারেলের ক্ষমতা আমি জানি।

জিন্নাহ: জানো, তোমাকে আমি কী করতে পারি ?

হক: (ডান হাতের বুড়ো আঙুল দেখিয়ে) তুমি আমার এ্যাই করতে পারো। মিস্টার জিন্নাহ, ভুলে যাওয়া উচিত নয় এটা বাংলাদেশ এবং তুমি রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সাথে কথা বলছ।

(আজিজুল হক শাহজাহানের কলাম,অমরাবতী প্রকাশনী,ঢাকা;পৃষ্ঠা ৪৬-৪৭)

Photos from কলেজ রোড খেলার মাঠ, ভবেরচর, গজারিয়া, মুন্সীগন্জ's post 17/04/2020

মারিনা আবরামোবিক। ১৯৭৪ সালে ইতালির একটা হলে দাড়িয়ে ৬ ঘন্টা পারফরমেন্স করেছিল। মারিনা হলের ভিতর লিখিত একটা কাগজ হাতে দাড়িয়েছিল যে কাগজে লেখা ছিল..."মনে করো আমি একটা বস্তু,আমি তোমাদের ৬ ঘন্টা সময় দিচ্ছি এর মধ্যে তোমরা আমার সাথে যা খুশি করতে পারো,এবং এর সম্পূর্ণ দায়ভার আমার নিজের।" সময়টা ছিল রাত ৮টা থেকে রাত দুইটা পর্যন্ত।
মারিনা টেবিলের উপর রেখেছিল, ব্লেড,গোলাপ,আঙ্গুর,মধু,পাউডার,পিস্তল,কনডম,পালক,বাঁশি;যেগুলো দিয়ে মারিনাকে টর্চার করা যাবে। যেমন খুশি ব্যবহার করা যাবে।

একটা মেয়ে যখন ৬ ঘন্টার পারমিশন দিচ্ছে আসো আমার সাথে যা খুশি করো,ঠিক সেই সময় তার সাথে কেমন ব্যবহার করা হয়েছিল সেটা শুনলে শরীরের লোম শিহরি ওঠে।
কেউ টাস করছিল কেউ গায়ে ঠেলা দিচ্ছিল এবং ভাবছিল এর সাথে এখন কি কি করা যায়। একটা দল তাকে তুলে আছাড় দিচ্ছিল,কেউ ব্লেড দিয়ে শরিরের বিভিন্ন জায়গায় কেটে দিয়েছিল। শুধু তাই নয়। কেউ কেউ তার শরীরের পোশাক খুলে তার সঙ্গে যৌন সঙ্গমও করেছিল। এত কিছুর পরও তাদের মন ভরছিল না,তারা কেউ কেউ মারিনার শরীরে কাঁটা ঢুকিয়ে দিয়েছিল। এই ৬ ঘন্টার মধ্যে যা যা করার তার সবই করেছিল। তার পরেও তাদের খায়েশ কিছুতেই মিটছিল না।

একটা পর্যায়ে মারিনার দেয়া ৬ ঘন্টা সময় শেষ হলো। মারিনা হাঁটতে শুরু করল। আর হলে থাকা যত মানুষ ছিল যারা তার সাথে এমন আচরণ করেছে,শারীরিক নির্যাতন করেছে,গায়ে কাঁটা ঢুকিয়ে দিয়েছে,কাপড় খুলে দিয়েছে, মারিনা এক এক করে তাদের সামনে গিয়ে দাড়ালো এবং তাদের চোখে চোখ রেখে দেখা শুরু করে। এতক্ষন যারা তার সঙ্গে অসভ্য আচরন করল,তার গায়ের কাপড় খুলে দিল,সেই মানুষ গুলো তার চোখের দিকেও তাঁকাতে পারছিল না।

মারিনা এই পারফরমেন্সে মানুষদের মাঝে লুকিয়ে থাকা একটা রাক্ষস দেখিয়েছে। খারাপ মনোভাবগুলো বের করে এনেছে। মানুষ মনের মাঝে কতটা রাক্ষস লালন করে সেটা দেখানোই মারিনার উদ্দেশ্য ছিল। মানুষ যখন আপনাকে অসহায় পাবে তখন আপনাকে যন্ত্রণা দেয়ার একটা উপায়ও বাদ রাখবে না। অসহায় ও প্রতিবাদ করার ক্ষমতা না থাকলে সবাই আপনাকে বস্তু মনে করবে। ওরা তখন টর্চার করে মজা পাবে। ওরাউ কিন্ত মানুষ। মানুষ রাক্ষস! যারা মারিনার সাথে অমন করেছিল।
পরিশেষে বলা যায় যে, আপনারা বনে জঙ্গলে কোথাও রাক্ষস পাবেন না, এই মানুষের মাঝেই রাক্ষস, মানুষরূপী জন্তু-জানোয়ার গুলো (অমানুষ) লুকিয়ে থাকে।
আমাদের উচিত এদের থেকে সাবধান থাকা।

(সংগৃহীত)

Photos from College Road, Bhaberchar, Gazaria, Munshigonj.'s post 11/04/2020

মমিনুল ইসলাম চৌধুরীর প্রশংসনীয় উদ্যোগ 😍

Photos from College Road, Bhaberchar, Gazaria, Munshigonj.'s post 29/03/2020

প্রশংসনীয় 👍

26/03/2020

কি আশা করা যায় এই জাতি কে দিয়ে 😞😔

26/03/2020

Happy Independence Day 🇧🇩

18/03/2020

❤️❤️

রাতের খেলার মাঠ।
❤️

Want your business to be the top-listed Gym/sports Facility in Dhaka?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Telephone

Website

Address


College Road, Bhaberchar
Dhaka
1510

Other Sports Venues & Stadiums in Dhaka (show all)
Bangla News 2417 Bangla News 2417
Dhaka, 1230

সংবাদ মাধ্যম

Football x galaxy Football x galaxy
Dhaka, 1205

Football x galaxy #football#footballleague

Md  Sajib Md Sajib
Dhaka, 123RIAJ

Pharmacists Md Golam Rabbir Pharmacists Md Golam Rabbir
Dhaka, 1000

Md Golam Rabbir information

sakibulhasan581 sakibulhasan581
Dhaka

Natural is the most beautiful

Rakib Rakib
Dhaka, MABABA

Spark Sports Spark Sports
Spark Sports, Baunia, Jashimuddin Road, Uttara
Dhaka, 1230

The Spark Sports is a brand new football centre located in Baunia, Uttara, Dhaka- 1230.

ALPHA Sports- Mohammadpur ALPHA Sports- Mohammadpur
Road 09, Plot 21, Block B, , Entry Gate Avenue 1 & 2, Chandrima Housing Society, , Dhaka Uddan, Mohammadpur, (Near Chandrima Housing Central Masjid)
Dhaka, 1207

FIRST ever 5v5 futsal ground outside of Bashundhara.Just 15minutes away from MohammadpurShiyaMashjid

Abul kalam azzad Abul kalam azzad
Dhaka Vaglasahs
Dhaka, 200300400

মাশাআল্লাহ আমি হেল্প ছাই

Mr. Tahsin Mr. Tahsin
Khilbarirtak
Dhaka

Cricket Tours Bangladesh Cricket Tours Bangladesh
Mirpur Road
Dhaka

We are a professional agent of Cricket tours in Bangladesh , we Arrange short , mid and Long tour ar

EVOS      VRK EVOS VRK
Satkhira
Dhaka

Anyone play custom with me ? � Inbox