Bibaho
Nearby clinics
1234
west nakahl para. Tejgaon dhaka.
Tejgaon I/A
Shaheen Bag Tejgaon
Indera Road
Tejgaon Industrial Area
You may also like
শুধুমাত্র মাছনা, ছুলাছা, রুবা আগ্রহী গন অবশ্বই বিস্তারিত বাইও ডাটা দিবেন,এর বাহিরে যে কেউ ব্লক খাবেন
মালিক চরম ভেঙ্গে যাওয়া হৃদয় গুলোকে সঠিক জোড়া মিলায়ে একটু সুকুন দান কর।
🔴সবাইকে পড়ার অনুরোধ রইল
ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল (রহ) যখন বিয়ে করতে মনস্থির করেন তখন তার চাচিকে বলেন, ওই শায়েখের বাড়িতে দু'জন বিবাহযোগ্য মেয়ে আছে, আপনি তাদের দেখে আসুন এবং তাদের সম্পর্কে আমাকে জানান।
চাচি মেয়ে দুটিকে দেখে আসার পর ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বলের কাছে তাদের বর্ণনা দিতে শুরু করলেন। তিনি বাড়ির ছোট মেয়ের ব্যাপারে অনেক প্রশংসা করলেন। ফর্সা চেহারা, তার চোখ ও চুলের সৌন্দর্য, দীর্ঘতা বর্ণনায় পঞ্চমুখ হলেন।
ইমাম আহমদ তখন তাকে বড় মেয়েটির ব্যাপারে বলতে বললেন। বড় মেয়েটির ব্যাপারে তিনি অনেকটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে কথা বললেন। অবিন্যস্ত চুল, খর্বকায় উচ্চতা, শ্যাম বর্ণ এবং একটি চোখে ক্রটি থাকার কথা উল্লেখ করলেন।
এরপর ইমাম আহমদ তাকে দুজনের দ্বীনদারির ব্যাপারে জিজ্ঞেস করলেন। জবাবে চাচি বললেন, বড় মেয়েটি দীনদারির দিক থেকে ছোট মেয়ের তুলনার বেশ এগিয়ে। একথা শুনে ইমাম আহমদ বললেন, তাহলে আমি বড় মেয়েটিকেই বিয়ে করব।
বিয়ের ত্রিশ বছর কেটে যাওয়ার পর ইমাম আহমদের স্ত্রী মৃত্যুবরণ করলেন। দাফনের সময় ইমাম আহমদ বললেন, "ইয়া উম্মে আবদুল্লাহ! মহান আল্লাহ তোমার কবর শান্তিময় রাখুন। দীর্ঘ ত্রিশ বছরের বৈবাহিক জীবনে আমাদের মধ্যে একবারও ঝগড়া-বিবাদ হয়নি।"
একথা শুনে তাঁর এক ছাত্র অবাক হয়ে তাঁকে জিজ্ঞেস করলেন, "ইয়া শায়েখ! এটা কিভাবে সম্ভব?"
জবাবে ইমাম আহমদ ইবনে হাম্বল বললেন, "যখনই আমি তার প্রতি রেগে যেতাম তখন তিনি চুপ থাকতেন, আর যখন তিনি আমার প্রতি রেগে যেতেন তখন আমি চুপ থাকতাম। তাই আমাদের মধ্যে কখনোই ঝগড়া-বিবাদ হয়নি।"
[আল ইলমু ওয়াল উলামা : ৩৩৬ ]
আমার মনে হয় একজন মেয়ে হিসেবে এই গল্পটা পড়া উচিত....।।
সকাল সকাল শাশুড়ির রুমে এসে দাঁড়িয়ে আছি। আমার ঠিক দুইপাশে তিনজন জা দাঁড়িয়ে আছেন।
বিয়ে হয়ে শ্বশুর বাড়ি আসলাম মাত্র একদিন হলো। একদিন যেতে না যেতেই সকাল সকাল এমন করে শাশুড়ির তলব পেয়ে আমি একটু ভয় পেয়ে গেলাম। জা’দের কাছে জিজ্ঞেস করব তার সুযোগই পেলাম না। সবাই হন্তদন্ত হয়ে শাশুড়ির রুমে এসে হাজির।
শাশুড়ি খুব গম্ভীর হয়ে বললেন, ভয় পাওয়ার কারণ নাই ছোট বউ। বাড়ি উত্তরে একখান জামরুল আর কতবেল গাছ আছে। এই দুই গাছের মাঝামাঝি একটা নারিকেল গাছ লাগানোর দায়িত্ব তোমার। শুধু লাগালেই হবে না, মাঝে মাঝে যত্নআত্তিও নিবা।
বিয়ে হয়ে শ্বশুরবাড়ি আসলাম মাত্র একদিন হল। এর মধ্যে নারিকেল গাছ লাগানোর কথা শুনে আমার ভয় যেন যেমন বাড়ল তেমনি রাগও হলো। এই কোথায় এসে আমি পড়লাম! আমি চুপচাপ দাঁড়িয়ে আছি দেখে শাশুড়ি একটু কঠিন করে বলল, কথা বুঝো নাই বউ?
আমি বললাম, বুঝেছি আম্মা।
বুঝলে ভালো। বড় বউ তোমারে সব দেখায়ে দিব। এই বাড়ির বউ হইয়া আইছো। কাজকর্ম মন দিয়া করা লাগব ছোট বউ।
জ্বী আম্মা।
আমার শাশুড়ি এবার একটু রাগী চোখে মেজ জা’য়ের দিকে তাকাল। মেজ জা আমতা আমতা করতে করতে বলল, আম্মা দোষ টা আমার। আমাকে আপনি ক্ষমা করে দেন। এমন ঘটনা আর হবে না।
কথাটা শেষ করে মেজ ভাবি ফুঁপিয়ে কেঁদে উঠল। মেজ ভাবির কান্না দেখে শাশুড়ি খুব রেগে গিয়ে বললেন, দোষ যে তোমার সেটা তো আমি আগেই জানতাম। তোমার তো কঠিন শাস্তি হওয়া উচিত বউ। তোমার বাপের বাড়ি খবর দেওয়া উচিত। কিন্তু আমি চাই না এই বাড়ির খারাপ কোনো সংবাদ বাইরের মানুষের কানে যাক। এই বিচার আমি একা করব। এই সংসার আমার। এখানে অন্যায় কিছু আমি বরদাসত করব না।
কথা শেষ করে শাশুড়ি বিড়বিড় করে কী সব পড়লেন। আমরা দাঁড়িয়ে আছি। আমি কী করব বুঝতে পারছি না। হঠাৎ করে শাশুড়ি বললেন, তোমরা যাও।
শাশুড়ির রুম থেকে বের হয়ে আসার পর আমার কাছে সবকিছু কেমন উল্টাপাল্টা লাগছে। মেজ ভাবির কান্না দেখে আমার খুব খারাপ লেগেছে। যদিও আমি বুঝতে পারছি না বিষয়টা কী। তারপরও এখন শাশুড়ির উপর খুব রাগ হচ্ছে। একজন শাশুড়ি যদি এমন করে বাড়ির বউদের শাসন করে তবে তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যাবে না। আমিও খান বাড়ির ছোট মেয়ে। আমার উপর এসব খবরদারি চলবে না।
আমি মনে মনে ঠিক করলাম গাছ আমি লাগাবো না। ইচ্ছে করেই লাগাবো না। দেখি শাশুড়ি আমার কী করে। আজ কয়েকবার বড় ভাবি গাছ লাগনোর জন্য তাগিদ দিয়েছে কিন্তু আমি এড়িয়ে গিয়েছি। ইচ্ছে করে এড়িয়ে গিয়েছি। সকাল থেকে কয়েকবার বলার পর দেখি বড় ভাবি এই নিয়ে আর কিছু বলছে না। ভালোই হলো। শাশুড়ি বুঝুক আমার উপর অত সহজে খবরদারি করা যাবে না।
একান্নবর্তী পরিবার। বহরপুর বাজারে আড়তের ব্যবসা। বিশাল ব্যবসা। চার ভাই এই আড়তেই বসে। তাছাড়া এলাকায় ব্যবসা এবং জমিজমা নিয়ে এই পরিবারের বেশ নাম-ডাক আছে। শুনেছি আমার শ্বশুর গত হয়েছেন প্রায় সাত বছর হতে চলল। এই বাড়ির চার ছেলেই মায়ের ভীষণ ভক্ত। মা যা বলেন বিনা বাক্যে ছেলেরা তা মেনে নেয়। ছেলেদের কথা হলো মা যতদিন আছে আমরা সব ভাই একসাথে। আলাদা হওয়া, আলাদা চিন্তা করার সুযোগ নেই। এই নিয়ে বাড়ির বউদের কোনো অভিযোগ কাজে লাগবে না। বাড়ির বেশির ভাগ বিষয়ে এই শাশুড়ি সিদ্ধান্ত দেন। আর সেই সিদ্ধান্তে বাড়ির ছেলেদের খুব একটা দ্বিমত নেই এবং থাকেও না।
মেজ ভাবির কাছে এসব শুনে আমার রাগ আরো বাড়ল। এটা অন্যায়। একজন মানুষ এমন করে সবার উপর কর্তৃত্ব করবেন তা কিছুতেই মেনে নেওয়া যায় না। মনে মনে রাগ পুষে রাখলেও কাউকে কিছু বললাম না।
প্রায় সাতদিন হতে চলল। শাশুড়ির সাথে বেশ কয়েকবার দেখা হলেও গাছ লাগানোর বিষয়ে কিছু বললেন না। আমিও মনে মনে ভাবলাম ভালোই হলো। শাশুড়িকে এই একটা শিক্ষা দিয়ে বুঝিয়ে দিয়েছি আমিও খান বাড়ির মেয়ে। আমার উপর এমন করে খবরদারি চলবে না। অন্যায় ভাবে বাড়ির অন্য বউদের শাসন করলেও আমাকে পারবে না।
খুব অল্প সময়ে এই বাড়িতে আমার সবচেয়ে প্রিয় মানুষ হয়ে উঠলেন বড় ভাবি। চুপচাপ আপন মনে কাজ করে চলেন। কোনো বিষয়ে বিচলিত হতে দেখি না। বাড়ির অন্য বউয়েরাও দেখি বড় ভাবিকে বেশ পছন্দ করেন। তবে এই বাড়িতে এসে একটা বিষয় শুনে বেশ কষ্ট পেয়েছি। বড় ভাবি নিঃসন্তান। ঢাকায় গিয়েও অনেক বড় ডাক্তার দেখিয়েও কোনো কাজ হয়নি। তবে এই বাড়ির বাচ্চা-কাচ্চারা বড় ভাবির ভীষণ ভক্ত। মনে হয় তাদের সব আবদার এই বড় মায়ের কাছে। বাড়ির সব ছেলে মেয়েদের পড়ালেখা খাবার-দাবার সবকিছুর খবর যেন বড় ভাবির কাছে। এই নিয়ে কারো কোন অভিযোগও নেই। এসব দেখে বড় ভাবির প্রতি আমার শ্রদ্ধা এবং মায়া যেন আরো বেড়ে গেল।
সবকিছু ঠিকঠাক চলছিল। একদিন দেখি বড় ভাবি চোখ মুছতে মুছতে আমার শাশুড়ির রুম থেকে বের হচ্ছে। ভাবিকে এমন করে দেখতে আমার খুব কষ্ট হলো। ভেতরের রুম থেকে শাশুড়ি কী সব বলে চিৎকার চেঁচামেচি করছেন। বড় ভাবির মতো এমন একটা মানুষকে বকতে পারে তা আমার বিশ্বাস হচ্ছে না। কী এমন করল যে ভাবিকে এভাবে বকতে হবে! এটা দেখার পর শাশুড়ির উপর আমার রাগটা যেন আরো বাড়ল।
সন্ধ্যার দিকে শাশুড়ি আমাকে ডাকলেন।
কেমন আছো ছোট বউ?
ভালো আম্মা।
ইসমাইলের সাথে তুমি নাকি খুব রাগারাগি করছ?
এই সংবাদ আপনার কানে আসল কেমন করে?
সংবাদের বিষয়ে তুমি কি আমার কাছে কৈফিয়ত চাও বউমা?
কৈফিয়ত কেন আম্মা? আমাদের স্বামী স্ত্রীর মাঝে একটু মান-অভিমান হতে পারে তাই বলে সেই সংবাদ আপনার কাছে আসবে, আপনি সেটা নিয়ে আমার বিচার করবেন সেটা তো ঠিক না আম্মা।
কোন টা ঠিক, কোন টা বেঠিক সেটা বোঝার ক্ষমতা তুমি এখনো অর্জন কর নাই ছোট বউ। এই বাড়িতে তোমার বড় ভাইরে আমি আসতে না করছি। এখানে ইসমাইলের কোনো দোষ নাই। এই নিয়ে তুমি আর কোনো আওয়াজ তুলবে না।
আম্মা কাজটা কি আপনি ঠিক করলেন?
বলেছি তো কোন টা ঠিক আর কোনটা বেঠিক সেই জিনিস বোঝার ক্ষমতা তোমার হয় নাই। তুমি এখন যাও ছোট বউ।
আমার রাগ যেন বাড়ছিল। ইচ্ছে করছিল শাশুড়িকে আরো কিছু কথা শুনিয়ে আসি। কিন্তু রাগটা এতো বেড়ে গিয়েছিল যে আমার মুখ দিয়ে শব্দ বের হচ্ছিল না। শাশুড়ির রুম থেকে বের হয়ে নিজের রুমে এসে দরজা বন্ধ করে একা একা কিছুক্ষণ কাঁদলাম। আমার স্বামী ইসমাইলের উপর ভীষণ রাগ হচ্ছে। গতকাল এই বাড়িতে আমার বড় ভাই আসার কথা ছিল জিনিসপত্র নিয়ে। আমি শুনেছি ইসমাইল বারণ করেছে। এই নিয়ে ইসমাইলের সাথে আমার বেশ কথা কাটাকাটিও হয়েছে। আজ যখন বিষয়টা শাশুড়ির মুখে শুনলাম তখন রাগটা আরো বাড়ল। সবকিছুতে শাশুড়ির এমন খবরদারি মেনে নিতে আমার খুব কষ্ট হচ্ছে। আমার বাড়ি থেকে কিছু জিনিসপত্র দিতেই পারে। কিন্তু তা আনতে এভাবে বারণ করা অন্যায়। মনে মনে ভাবলাম, আমিও খান বাড়ির মেয়ে। এই নিয়ে একটা বিহিত আমি করব।
রাতে ভাবিরা একে একে সবাই এসে খেতে ডাকল। আমি জানিয়ে দিলাম খাব না। ইসমাইলও অনেক জোরাজুরি করল। আমি বেশ শক্ত। কিছুতেই আজ খাব না। শেষে সবাই বুঝে নিয়েছে আমি বেশ কঠিন ধাঁচের মেয়ে। আমাকে খাওয়ানোর আশা ছেড়ে দিয়ে সবাই ডাকাডাকি বন্ধ করল। আমিও মনে মনে ভেবে রেখেছি, এবার শাশুড়িকে একটা উচিৎ শিক্ষা দিয়ে তবে আমি শান্ত হব।
রাত এগারো টার দিকে বড় ভাবি এসে বলল, হেনা আম্মা তোমায় ডাকছে।
আমি কিছু না বলে শাশুড়ির রুমের দিকে রওনা দিলাম। মনে মনে ভাবলাম এই সুযোগ। অতো সহজে ছেড়ে দেওয়া যাবে না। রুমে ঢুকে দেখি শাশুড়ি কোরআন তেলওয়াত করছেন। আমাকে ইশারা করলেন বসার জন্য। আমি বসলাম ছোট টুলে।
আমি চুপচাপ বসে আছি। শাশুড়ি একটা হালকা আওয়াজে তিলওয়াত করছেন। তিলওয়াত খুব মিষ্টি লাগছে। যদিও আমার ভেতরটা রাগে ফুসছে কিন্তু কেনজানি এই তিলওয়াত আমার খুব ভালো লাগছে শুনতে। রুমটা বেশ গোছানো। এই রুমে আরো কয়েকবার আসা হলেও এমন মনোযোগ দিয়ে দেখা হয়নি কখনো। সবকিছু বেশ সুন্দর করে সাজানো আছে। যেটা যেখানে থাকা প্রয়োজন ঠিক সেখানে আছে। একটুও এদিক ওদিক নেই।
বেশি কিছুক্ষণ হয়ে গেল। আমার শাশুড়ির তেলাওয়াতের শেষ হয়নি। আমার এই তিলাওয়াত শুনতে বেশ ভালো লাগছে। এতো সময় পেরুলেও আমার একটুও বিরক্ত লাগছে না। কেন জানি মনটা শান্ত হয়ে এসেছে। শাশুড়িকে আজ কিছু একটা বলে শায়েস্তা করার সাহসটাও যেন মিইয়ে গেল। আমি কী সব ভাবছিলাম। এমন সময় শাশুড়ি বলল, এসেছো বউমা?
জ্বী আম্মা।
ইসমাইল ঘুমিয়েছে?
শুয়ে পড়েছে। এতক্ষণে হয়তো ঘুমিয়ে পড়েছে।
যাক ভালো হলো। তোমার সাথে এখন কিছুক্ষণ গল্প করা যাবে।
আমার ভেতর রাগ এখনো আছে কিন্তু কিছু একটা বলতে গিয়েও বলতে পারলাম না। তখন শাশুড়ি বলা শুরু করল, এই বাড়ি তে আমি বউ হয়ে আসি মাত্র ষোল বছর বয়সে। কলেজে উঠতেই বিয়ে হয়ে গেল। নিজের ভেতর কত রকম স্বপ্ন ছিল। বিয়ের পর ভাবলাম সব শেষ। রান্না-বান্না, স্বামী-সন্তান এই নিয়েই যেন জীবন। আস্তে আস্তে সংসার বড় হতে লাগল। ঘরবাড়ি, জমিজমা, সম্পত্তি সব যেন আস্তে আস্তে বাড়তে লাগল। কিন্তু এই বাড়ির বউ হয়ে আসা এই আমি ঠিক আগের মতই আছি। বাবার বাড়ি থেকে সবকিছু ছেড়ে বসতি করলাম এই শ্বশুরবাড়ি। নিজের জীবনের বিশাল একটা সময় এই সংসারের পেছনে দিয়েও মনে হতে থাকে আমি শুধু এই বাড়ির বউ। সবাই আমাকে অমুক বাড়ির বউ বলে চিনে। এত কিছু করেও আমি এখনো অমুক বাড়ির বউ। রাশেদের মা, ইসমাইলের মা তো খুব কদাচিৎ।
শাশুড়ি একটা দীর্ঘশ্বাস দিয়ে বললেন, আমাকে দেখে তোমার মনে হতে পারে এই বাড়ির সবকিছুর হর্তাকর্তা বুঝি আমিই। চাইলেই অনেক কিছু করতে পারি। হ্যাঁ পারি, এখন চাইলে অনেক কিছু করতে পারি মা । তবে নিজের জন্য কিছুই তো করতে পারি না। আমার বিয়ের বছর খানেক পর ছোট ভাইটা মারা গেল টাইফয়েডে। টাকার অভাবে ঠিকমতো চিকিৎসা করাতে পারেনি। আব্বা তো সামান্য স্কুল মাষ্টার। আব্বাকে কত কিছু খাওয়াতে ইচ্ছে করত। অথচ এই সংসারের কোনো কিছুই আমার হাতে নেই। স্বামীর কাছে বলে কোনো লাভ ছিল না। দূর থেকে বড় বাড়ির বউ হয়ে আমি শুধু চোখের পানিই ফেলেছি। ছোট বোনটার বিয়েতে একটা স্বর্ণের জিনিস দেওয়ার কথা ছিল। শেষে আমার শ্বশুর না করলেন। সে যে কী কষ্ট আমার। বোনের বিয়েতেও গেলাম না। আমি শুধু এই বাড়ির বউ হয়ে রইলাম।
শাশুড়ি এবার একটু থামলেন। আমি একদৃষ্টে তাকিয়ে আছি আমার শাশুড়ির দিকে। আমার কিছুই বলতে ইচ্ছে করছে না। আমার শাশুড়ি আবার বলা শুরু করল।
এখন আমার হাতে অনেক কিছু আছে। ছেলেদের বললে অনেক কিছু হয়ে যাবে। কিন্তু আমার তো আর কেউ নেই মা। বাবা-মা মারা গেছেন সেই কবে। ভাইটা তো মরেই গেল। বোনেরাও এখন বেশ ভালো আছে। আমার নিজের জন্য যে কিছুই করার নেই।
শাশুড়ি একটু চঞ্চল হয়ে উঠে বলল, তুমি বোধহয় রাগ করেছ এই বাড়িতে আসতে না আসতে তোমাকে আমি গাছ লাগানোর কথা কেন বললাম?
আমি আমতা আমতা করতে করতে শাশুড়ি বলল, আমি তো জানি তুমি রাগ করে সেই গাছ লাগাও নি। আমিই বড় বউকে বারণ করেছি এই নিয়ে তোমাকে যেন কিছু না বলে। মা, আমি চাই এই বাড়ি তোমাদের হোক। বাড়ির উত্তর পাশে বড় নারিকেল গাছটা লাগিয়েছে এই বাড়ির বড় বউ। তার পাশের নারিকেল গাছটা সেজ বউ। পুব দিকের লকলকিয়ে বড় হওয়া নারিকেল গাছটা মেজ বউ লাগিয়েছে। এই গাছগুলো এই বাড়ির বউদের লাগানো বুঝতে পেরেছ। গাছ গুলো দিন দিন বড় হবে। এই বাড়ি ছায়া দিবে, ফল দিবে। তার চেয়ে বড় কথা, এই গাছ গুলো এই বাড়ির চারপাশ ঘিরে রাখবে তা শুধু না, এই গাছ গুলো দেখলে তোমাদের ভেতর একটা সাহস আসবে। লম্বা হয়ে এই গাছ গুলো মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে এই গাছ। দূর থেকে দেখলে মনে হবে এই বাড়িটা তোমরা আগলে রেখেছ। তাছাড়া বাড়ির পুরুষ মানুষগুলো এসব গাছ দেখলে বুঝতে পারবে এই বাড়ির বউয়েরা মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে আছে। তাদের অসম্মান করা অতো সহজ নয়। তোমাদের শেকড় এই বাড়ির মাটির সাথে শক্ত হয়ে আছে। এই বাড়ি যে তোমাদের। এটা আমাদের বাড়ি। আমার এই বউদের বাড়ি।
রাগ, ক্ষোভ নিয়ে যেই আমি এই শাশুড়ির রুমে বসে প্রতীক্ষা করছিলাম শাশুড়িকে আজ হেনস্তা করে ছাড়ব, সেই আমি চোখের জল আটকে রাখতে পারছি না কিছুতেই। আমি কাঁদছি বাচ্চাদের মতো করে। আমার কান্না মনে হয় না শাশুড়ি খুব একটা দেখছেন। তিনি আপন মনে গল্প করে চলেছেন। আম্মা এবার একটু রাগ দেখিয়ে বলল, বড় বউয়ের উপর আমার খুব রাগ। রোজ দিন আমার কাছে এসে কান্নাকাটি করে। আমি বললাম, কেন আম্মা?
কেন আবার, নিজের কপালে নিজে কুড়াল মারতে চায় মেয়েটা। এমন বোকা হলে চলে! আমার বড় ছেলের আবার বিয়ে দিতে চায়। সেতো সন্তান দিতে পারল না। আবার বিয়ে করালে নাকি নতুন বউয়ের সন্তান হবে। আমি বলে দিয়েছি আমি জীবিত থাকতে এবং আমি মারা গেলেও এই কাজ হতে পারবে না। আল্লাহ তাদের কপালে সন্তান রাখে নাই। বাড়িতে আরো ছেলে মেয়ে আছে। আমার ছেলের বংশ নিয়ে নিয়ে বড় বউয়ের চিন্তা করার দরকার নাই। কত বড় বেআক্কেল মেয়ে দেখছ। খুব ভালো করে বকেছি মেয়েটারে। আমার খুব খারাপ লাগে এমন করে বকতে। কিন্তু এসব শুনলে মাথা কি আর ঠিক থাকে।
আমার শাশুড়ি এবার একটু শান্ত হয়ে বলল, আমারে একটু পানি দাও মা। অনেক কথা বলে ফেলেছি। গলাটা শুকিয়ে গেল কাঠ হয়ে গেল।
পানি খেয়ে গ্লাস টা হাতে রেখেই তিনি বললেন, কিছু জিনিসপত্র মানে ফার্ণিচার নিয়ে তোমার ভাই আসতে চেয়েছিল। আমি না করেছি। আমি জানি এই নিয়ে তুমি খুব রাগ করেছ মা। কিন্তু আমি যে তোমার বাপের বাড়ি থেকে এসব নিতে পারব না। আমি বেঁচে থাকতে এসব জিনিস এই বাড়িতে ঢুকবে না। এটা অন্যায় মা। আমি জানি তোমার বাপের অনেক সহায় সম্পত্তি। এসব তোমার বাপে খুশি হয়ে দিচ্ছে। কিন্তু এসব আমার বাড়িতে ঢুকলে আমার অন্য বউদের মনটা ছোট হয়ে থাকবে। আমার সব বউদের বাপের বাড়ির অবস্থা তো তোমাদের মতো না মা। তারা চাইলেও কিছু দিতে পারবে না। তাছাড়া ছেলেদের বিয়ে দিয়ে কোনো জিনিস আমি এই বাড়িতে আনব না এটা আমার আগে থেকেই শপথ করা। এই নিয়ে তুমি আর কিছু মনে করো না মা। আমি বলে দিয়েছি, তোমার বাড়ির লোকজন যেন যখন তখন আমার বাড়ি বেড়াতে আসে। তারা বেড়াতে আসলে আমার খুব খুশি লাগবে।
একটু দূরে বসা ছিলাম আমি। উঠে গিয়ে আমার শাশুড়ির কাছে গিয়ে বসলাম। কাছে যেতেই আমার মাথায় একটু হাত বুলিয়ে দিলেন। তিনি দেখছেন আমি কাঁদছি। অথচ তিনি একটিবার কাঁদতে বারণ করল না।
আমার শাশুড়ির কোলে মাথা গুজে আমি শুয়ে আছি। তিনি আমার মাথায় হাত বুলিয়ে দিতে দিতে বলছেন, আমি জানি মেজ বউয়ের শাস্তির কথা শুনে তুমি ভয় পেয়েছ। ভয়ের কিছু নাই মা। মেজ বউ অন্যায় করেছে। এই অন্যায় আমার মেয়ে করলেও আমি একই শাস্তি দিতাম।
কী করেছে আম্মা?
গত ঈদে আমি সব বউদের হাতে কিছু টাকা দিয়েছি তাদের বাপের বাড়ির লোকজনের জন্য কেনাকাটা করতে। মেয়েরা সবসময় তো বাপের বাড়ির জন্য কিছু করতে পারে না। ভাবলাম ঈদে মেয়েরা নিজের হাতে, নিজের মতো করে কিছু উপহার দিক। এতে তাদের মনটা বড় হবে। অথচ আমার মেজ বউ করল কী সেই টাকা নিজের কাছে রেখে দিল। একটা টাকাও খরচ করল না। আমি ভীষণ কষ্ট পেয়েছি ছোট বউ। টাকা লাগলে বলত। মানুষ এতটা ছোট মনের হয় কী করে! ঘটনা শুনে আমি নিজে লোক পাঠিয়ে কেনাকাটা করে বেয়াই বাড়ি পাঠালাম।
শাশুড়ির কোলে মাথা গুঁজে আমি শুয়েছিলাম। আমি মাথা তুলে একবার শাশুড়ির মুখটা দেখলাম। আমার কেন জানি মুখটা দেখতে খুব ইচ্ছে করল। শাশুড়ি ছোটখাটো মানুষ। সেই ছোটখাটো মানুষের ছোটখাটো মুখটা দেখতে আমার কেন জানি আজ বিশাল মনে হচ্ছে। পৃথিবীতে এত সুন্দর মানুষ দেখতে চাইলেও দেখা যায় না। এমন মুখটা দেখার জন্য প্রতীক্ষা করতে হয়। আজ আমি সেই সুযোগ পেয়েছি। আমার ইচ্ছে করছে আজ সারাটা রাত এই মুখটার দিকে তাকিয়ে থাকি।
চলো বউমা, রাত অনেক হয়েছে। এবার আমরা খাওয়া-দাওয়া করি। শাশুড়ি হুট করে বলে উঠলেন।
আপনি খান নি আম্মা?
আমার বাড়ির ছোট মেয়েটা না খেয়ে আছে আর আমি মা হয়ে খেয়ে নিব তা হয় কেমন করে! এই বাড়িতে এমন নিয়ম কখনো ছিল না।
এবার আমি ঠিক বাচ্চাদের মত হাউমাউ করে কেঁদে আম্মাকে জড়িয়ে ধরলাম। আম্মার বুকে মাথা গুঁজে আমি শুধু একটা কথায় বললাম, আমাকে ক্ষমা করে দেন আম্মা।
‘আমাদের বাড়ি’
~রুহুল আমিন
পুরুষের ৪ বিয়ের সুন্নাত এটাত তো সবাই জানেন কিন্ত বাকিগৃুলা কী জানেন...?
১. বয়স্ক মহিলাকে বিবাহ করা সুন্নাত।
২. তালাকপ্রাপ্তা নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।
৩. বিধবা নারীকে বিবাহ করা সুন্নাত।
৪.স্ত্রীর সাথে রান্না করার কাজে,পরিস্কারের কাজে,
ধোয়া- মোছার কাজে সহায়তা করা সুন্নাত।
৫.ভালোবাসার বহিঃপ্রকাশ হিসেবে স্ত্রীর মুখে খাবার তুলে খাওয়ানো সুন্নাত।
৬.স্ত্রীর প্রতি ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা প্রকাশ করা সুন্নাত।
৭. স্ত্রীর ভুল ক্ষমা করা সুন্নাত।
৪.স্ত্রীর জন্য নিজেকে পরিচ্ছন্ন রাখা সুন্নাত।
৯. স্ত্রীর অনুভূতিগৃুলো জানার চেষ্টা করা এবং তাকে যখন প্রয়োজন হয় স্বান্তনা দেওয়া সুন্নাত।
১০.স্ত্রীর সাথে গল্প করা, ঘুরতে নিয়ে যাওয়া সুন্নাত।
১১.স্ত্রীর কোলে আবদ্ধ হওয়া এবং শিথিল করা সুন্নাত।
১২.স্ত্রীকে সুন্দর নাম নিয়ে ডাকা সুন্নাত।
১৩. পরিবারের ব্যক্তিগত সদস্য এবং বন্ধুদের কাছে তার ব্যক্তিগত কথা প্রকাশ না করা সুন্নাত।
১৪. স্ত্রী পিতা- মাতাকে ভালোবাসা এবং শ্রদ্ধা করা সুন্নাত।
১৫.স্ত্রীর এটো খাবার খাওয়া সুন্নাত।
১৬.স্ত্রীর অভিমান ভাঙ্গানো সুন্নাত।
১৭.স্ত্রীর কোলে শৃুয়ে কোর' আন তিলাওয়াত করা সুন্নাত।
১৮.স্ত্রীকে সালাম দেওয়া সুন্নাত।
১৯ .স্ত্রীর সাথে এক প্লেটে খাবার খাওয়া সুন্নাত।
২০. স্ত্রীর সাথে খুনটুসি করা, দৌড় প্রতিযোগিতা করা সুন্নাত।
অনেক পুরুষই আছেন,যারা এগৃুলোর একটা সুন্নাতও পালন করতে রাজি হন না।
কিন্ত ৪ বিয়ের সুন্নাতটা পালন করতে তারা সদা প্রস্তত। বাকিগৃুলা জেনে তারপরে ৪ টা বিয়া কইরেন...আর সব স্ত্রীকে আলেদা বাসস্হান, সমান অধিকার না দিলে কিয়ামতের ময়দানে
শৃুয়ে শৃুয়ে খোড়ায়ে যেতে হবে রবের সামনে,পারবেন তো ?
স্ত্রীর অধিকারগৃুলা ভালোভাবে আদায় করেন,
দুনিয়াটা জান্নাত হবে । দুনিয়া এবং পরকালটাতে ও রবের সান্নিধ্য পাবেন ইনশাআল্লাহ....
আল্লাহ তাআ'লা আমাদের সবাইকে বুঝার তৌফিক দান করুক
تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَمِنكُم
EID UL ADHA MUBARK
ঈদ মানে আনন্দ। আর আনন্দ হিসেবে মহা মহিমান , দয়ালু ,দাতা ঈদের দিনে এক ওয়াক্ত নামাজ বেশি দিয়েছেন। এজন্য আনন্দ মানে কি এটা নিয়ে চিন্তা শীলদের বিস্তর চিন্তা ও গবেষণা জরুরী।
ডিভোর্সড পাত্রীর (৩৮) জন্য দ্বীনদার পাত্র দরকার। পাত্রী ঢাকায় বসবাস। কর্মজীবী/প্রতিষ্ঠিত হাফেজ & আলেম অগ্রাধিকার। এছাড়া দ্বীনদার অন্যান্য ও বিবেচ্য।
০১৭১৭৯৯৪৪২৬
এক রাজা একদিন দেখতে চাইলেন
তার রাজ্যবাসীদের ঘরে কার হুকুম চলে?
স্বামীর... নাকি
স্ত্রীর।
তিনি রাজ্যে ঘোষণা করলেন...
যার ঘরে বউ এর কথা মানা হয় সে রাজপ্রাসাদে এসে একটা করে আপেল নিয়ে যাবে।
আর যার ঘরে স্বামীর কথা চলে সে পাবে একটা ঘোড়া।
পরের দিন সমস্ত রাজ্য বাসী হাজির,
সবাই একটা করে আপেল নিয়ে ঘরে চলে যেতে লাগলো...
রাজা ভাবলেন সন্ধ্যে হয়ে গেল এখনো কি এমন একজন কেও পাওয়া যাবে না যার ঘরে স্বামীর কথা চলে!
এমন সময় একজন এলো লম্বা চওড়া স্বাস্থ্য, ইয়া বড় গোঁফ। সে এসে বললো,
"আমার ঘরে আমারই কথা চলে।"
রাজা বেজায় খুশি হলেন তিনি বললেন,
"যাও, আমার ঘোড়াশাল থেকে সব থেকে ভালো ওই কালো ঘোড়াটা তোমায় দিলাম।"
লোকটা ঘোড়া নিয়ে চলে গেলো।
রাজা খুশি মনে বললেন
"যাক অন্ততপক্ষে একজন তো পাওয়া গেলো"।
কিন্তু কিছুক্ষণ পর দেখা গেল সেই লোকটা ঘোড়া নিয়ে ফিরে এলো এবং বললো,
"রাজা মশাই আমাকে ঘোড়াটা পাল্টে দিন,
আমার বউ বললো যে কালো রং অশুভ,
সাদা শান্তির প্রতীক, তাই সাদা ঘোড়া দিন।"
রাজা রেগে গেলেন...
"তুই ঘোড়া রেখে একটা আপেল নিয়ে এখুনি আমার সামনে থেকে বিদায় হও।"
রাতের বেলা মন্ত্রী এলো, বললো"রাজা মশাই, সবাই তো আপেলই নিলো! আপেলের বদলে আপনি যদি অন্তত পাঁচ কেজি করে চাল দিতেন তো আপনার প্রজাদের কিছু সাশ্রয় হত।"
রাজা বললেন, "আমি ও সেটাই ভেবেছিলাম কিন্তু বড় রানী বললো আপেলই ভালো হবে।"
মন্ত্রী শুধালো, "রাজা মশাই আপনাকেও কি একটা আপেল কেটে দেবো?"
রাজা লজ্জিত হয়ে বললেন,
"সে কথা থাক, আগে বলো তুমি রাজসভায় এই মতামত না দিয়ে এখন কেন দিতে এসেছো এই রাতের বেলায়??"
মন্ত্রীর লাজুক উত্তর,
"আগামীকাল সকালেই বলতাম কিন্তু আমার বউ বললো এখনই যাও আর রাজামশাইকে বুদ্ধিটা এখনই দিয়ে এসো যাতে করে পরের বারে চাল দেওয়ার ঘোষণা দেন উনি।"
রাজা স্বস্তির হাসি হেসে বললেন,
"আপেলটা তুমি নিয়ে যাবে?
নাকি ঘরে পাঠিয়ে দেবো?"
Be Alert !!
বিয়ের আগে জীবনসঙ্গীনী সম্পর্কে ইমাম আহমাদ বিন হাম্বল (রহ) এর ছেলেকে দেয়া নসীহতঃ
নারীরা সাধারণত রোমান্টিকতা পছন্দ করে। খুনসুটি-রসিকতা পছন্দ করে। নখরা-ন্যাকা তাদের স্বভাবগত। তারা ভালবাসার স্পষ্ট প্রকাশকে খুবই পছন্দ করে। তুমি একান্তে স্ত্রীর কাছে এসব কথা প্রকাশে কখনোই কার্পণ্য করবেনা। তাকে বেশি বেশি ভালোবাসার কথা বলবে। যদি এসবে কার্পণ্য কর,তাহলে দেখবে কিছুদিন পরই তোমার আর তার মাঝে একটা অদৃশ্য পর্দা ঝুলে গেছে। এরপর দিনদিন পরস্পরের সম্পর্কে শুষ্কতা আসতে শুরু করবে। ভালবাসা জানলা দিয়ে পালাবার পথ খুঁজবে।
নারীরা কঠোর-কর্কশ-রূঢ়-বদমেজাজি-রুক্ষস্বভাবের পুরুষকে একদম পছন্দ করেনা। তোমার মধ্যে এমন কিছু থাকলে এখুনি ঝেড়ে ফেল। কারণ তারা সুশীল,ভদ্র,উদার পুরুষ পছন্দ করে। তুমি তার ভালবাসা অর্জনের জন্য,তাকে আশ্বস্ত করার জন্য হলেও গুণগুলো অর্জন কর।
এটা খুব ভালো করে মনে রাখবে,তুমি তোমার স্ত্রীকে যেমনপরিচ্ছন্ন,সুন্দর,পরিপাটি,গোছাল ,সুরুচিপূর্ণ, সুগন্ধিময় দেখতে চাও,তোমার স্ত্রীও কিন্তু তোমাকে ঠিক তেমনটাই চায়। তাই সাবধান থাকবে,তার চাহিদা পূরণে যেন কোন অবস্থাতেই তোমার পক্ষ থেকে বিন্দুমাত্র অবহেলা না হয়।
ঘর হল নারীদের রাজ্য। একজন নারী নিজেকে সবসময় সেই রাজ্যের সিংহাসনে আসীন দেখতে খুবই পছন্দ করে। সে কল্পনায়,স্বপ্নে, বাস্তবে এই রাজ্য নিয়ে ভাবে। সাজায়,রচনা করে। খুবই সাবধান থাকবে। কখনোই তোমার স্ত্রীর এই সুখময় রাজত্বকে ভেংগে দিতে যেও না। এমনকি তাকে সিংহাসন থেকে নামিয়ে দেয়ার প্রয়াশও চালাবেনা। তুমি তো জানোই,আল্লাহ্ তা'আলার কাছে সবচেয়ে অপছন্দজনক বিষয় কী?
- তাঁর সাথে কোনকিছু শরীক করা।
- হ্যাঁ,ঠিক বলেছো। একজন রাজার কাছেও সবচেয়ে ঘৃণিত বিষয় কী?
- তার রাজ্যে অন্য কেউ হস্তক্ষেপ করা।
নারীরা তার স্বামীকে মনে প্রাণে,সর্বান্ত:করণে প্রবলভবে স্বামীকে পেতে চায়। তবে পাশাপাশি বাপের বাড়িকেও হারাতে চায় না। হুঁশিয়ার থেকো বাবা! তুমি ভুলেও নিজেকে আর স্ত্রীর পরিবারকে এক পাল্লায় তুলে মাপতে শুরু করে দিওনা। তুমি এ অন্যায় দাবী করে বসো না 'হয় আমাকে বেছে নাও,নাহলে তোমার বাবা-মাকে। তুমি এই বিষয়টা চিন্তাতেও স্থান দিও না। তুমি তাকে এমনটা করতে বাধ্য করলে সে হয়তো চাপে পড়ে মেনে নিবে। কিন্তু তার মনের গহীনে কোথাও একটা চাপা বোবা কান্না গুমরে মরতে থাকবে। তোমার প্রতি এক ধরনের সুপ্ত অশ্রদ্ধা তার কোমল মনে জেগে উঠবে।
তুমি জানো,অনেক শুনেছো এবং পড়েছো নারীকে সৃষ্টি করা হয়েছে বাহু (বা পাজরের) বাঁকা হাড় থেকে। এই বক্রতা কিন্তু তার দোষ নয়, সৌন্দর্য । তুমি চোখের ভ্রু লক্ষ করে দেখেছ? সেটার সৌন্দর্যটা কোথায়?
- বক্রতায়
- একদম ঠিক কথা। বক্রতাই ভ্রুকে সুন্দর করে তোলে। ভ্রুটা যদি সোজা হত,দেখতে সুন্দর লাগতো না। যদি তোমার স্ত্রী কোন ভুল করে ফেলে,অস্থির হয়ে রেগেমেগে হামলা করে বসোনা। উত্তেজিত অবস্থায় তাকে সোজা করতে যেওনা,তাহলে অতিরিক্ত চাপে ভেঙে যাবে। আর ভাঙা মানে বুঝোই তো,তালাক!
আবার সে অনবরত ভুল করে যেতে থাকলে ভেঙে যাওয়ার ভয়ে কিছু না বলে লাগামহীন ছেড়েও দিওনা। তাহলে বক্রতা যে আরো বেড়ে যাবে। নিজের ভেতরে গুটিয়ে যাবে। তোমার প্রতি আচরণ উদ্ধত হয়ে যাবে। তোমার কথায় কান দিবেনা।
- তাহলে কী করব?
- মাঝামাঝি অবস্থানে থাকবে।
তুমি ঐ হাদিসটা পড়ো নি?
- কোনটা?
- ঐ যে,যার ভাবার্থ হল,নারীদের সৃষ্টি করা হয়েছে এমনভাবে যে,তারা স্বামীর প্রতি অকৃতজ্ঞ হয়। তার প্রতি অতীতে কৃত সব সদ্ব্যবহার-সদাচার ভুলে যায়। তুমি যদি তার প্রতি যুগ-যুগান্তরও সুন্দর আচরণ কর, হঠাৎ একদিন কোনক্রমে একটু রূঢ় আচরণ করে ফেলেছ, ব্যাস অমনিইই সে নাকের জল চোখের জল এক করে ফেলবে - আমি তোমার কাছে কখনোই ভালো কিছু পাইনি।
দেখো বাছা! তার এই আচরণে রুষ্ট হয়োনা। তার এই চপল স্বভাবের প্রতিক্রিয়ায় তার প্রতি বিতৃষ্ণা এনো না। তার এই স্বভাবকে তুমি অপছন্দ করলেও, তার মধ্যে এমন অনেক কিছু পাবে, যা তুমি শুধু পছন্দই করোনা, বরং জানও লড়িয়ে দিতে পারো।
নারীদের শরীর মনের অবস্থা সবসময় একরকম থাকে না। প্রতি মাসে নির্দিষ্ট একটা সময় তাদের শারীরিক দুর্বলতা থাকে। অনেকসময় মানসিক অস্থিরতাও বিরাজ করে। তাদের এই দুর্বলতা, অসহায় অবস্থার কথা বিবেচনা করে আল্লাহ্ তা'আলা তাদের নির্দিষ্ট সময়ের নামাজ মআআফ করে দিয়েছেন। রোযাকে পিছিয়ে দিয়েছন তার স্বাস্থ্য ও মেজাজ ঠিক হওয়া পর্যন্ত। তুমিও তোমার স্ত্রীর দুর্বল মুহুর্তগুলোতে তার প্রতি কোমল হবে।
সবসময় মনে রেখো, তোমার স্ত্রী তোমার কাছে অনেকটা দায়বদ্ধ। বিভিন্নভাবে তোমার মুখাপেক্ষী। তোমার সুন্দর আচরণের কাঙাল। তুমি তার প্রতি যত্নবান হবে। তার প্রতি অনেকবেশি মনোযোগ দিবে। তাকে আপন করে নেবে। তাহলে সে তোমার জন্য শ্রেষ্ঠ সম্পদে পরিণত হবে। তাকে অনুপম সংগী হিসেবে পাবে।"
-মহানবী সা.এরশাদ করেন:দুনিয়াটাই সবুজ, সুমিষ্ট সম্পদে ভরপূর, আর এ সকল সম্পদের মধ্যে নেক্কার নারীই সর্বোত্তম সম্পদ।" আপনার এ মহামূল্যবান সম্পদ কিভাবে অতি আগলে রাখবেন এটা আপনার দায়িত্ব।
(সংগৃহীত)
বিধবা, তালাকপ্রাপ্তা & মাসনা, সুলাস, রুবা
বিবাহ বন্ধন এ আগ্রহী গণ বিবরণ দিবেন. বিবাহ ছাড়া অন্য বিষয় আলাপ করলে সরাসরি ব্লক খাবেন. একে অপরকে অপমান করা, কোনো তথ্য গোপন রাখা যাবে না .
"আজকে চেম্বারের শেষ রুগী দেখলাম, ২১ বৎসরের একটা মেয়ে.... অবিবাহিত।
রুগী'র কমপ্লেইন হলো,গত ৩ মাস যাবত তার পিরিয়ড বন্ধ এবং সাথে এক ডাক্তারের ৩ মাস পূর্বের প্রেসক্রিপশন দেখিয়ে অভিযোগ করলো, ঐ ডাক্তারের ঔষুধ খেয়েই তার এই সমস্যা হইছে!
পেসক্রিপসনে দেখলাম UTI-এর চিকিৎসা দেওয়া। রুগী ও তার মা'কে বুজানো'র চেষ্টা করলাম যে, ঐ ঔষুধ গুলোতে এই রকম হওয়ার কোন সম্ভাবনাই নাই।
ব্যার্থ হলাম...
তারা তাদের অভিযোগেই অটল।
যা হোক,কথা না বাড়িয়ে একটা তলপেটের USG ও প্রস্রাবের রুটিন পরিক্ষা করতে বললাম।
USG করতে গিয়ে দেখি .. ১২ সপ্তাহের Pregnancy ....
আমি অবাক হলাম না, এই রকম অনেক দেখেছি!
মেয়ে এবং তার মা'কে বলার সাথে সাথে মেয়ে লাফ দিয়ে উঠলো USG বেড থেকে,' কি বলেন এইসব? আম্মা গো, আম্মা এই ডাক্তার এই সব কি বলে! কি ভাবে সম্ভব!!
আম্মা বিশ্বাস করো...
ডাক্তার সাব বিশ্বাসকরেন, আমার এই রকম কোন কিছুই ছিলো না।
আল্লাহ্ গো আল্লাহ্ ..
তুমি আমারে একি শুনাইলা....'
কাঁদতে কাঁদতে প্রায় অজ্ঞান হয়ে যাওয়ার দশা। মা'র দিকে তাকালাম দৃষ্টি দেখে মনে হলো,দুনিয়াতে নাই।
বললাম, 'মেশিনে যা দেখা যাচ্ছে, যা সত্যি, তাইআমি বলছি... এতে কোন ভূল নেই।
এইবার আমার অবাক হবার পালা..মা বলছেন,' ঐ তুই কাঁদিসনা.. কাঁদিসনা, বাতাসে এই রকম হইছে ...
আলগা বাতাস.. খারাপ বাতাসে, কাঁদিসনা...
এইবার মেয়ে সুযোগ পেয়ে গেলো,
'হ..আম্মা ..হ.... আমি তোমারে ৩ মাস আগে একবার বলছিলাম না?
আমি ঘরে শুয়ে থাকা অবস্থায় একটা কি রকম জানি বাতাস...............................
আমার গায়ে লাগছিলো, তখন থেকেইতো আমার শরীর অসুস্থ হইতে শুরু করলো..না..আম্মা?
ডাক্তার সাব, এখন এইটা কি করা যাইবো...আল্লাহ্ গো তুমি আমারে মাইরা ফালাও..উঠাইয়া নাও....
আমি দেখলাম বিপদ.. এতো চেম্বারই উঠাইয়া ফেলতেছে,'
শুনেন,বাতাসে হইছে না কিসে হইছে এটা আমার জানার দরকার নাই.. আপনার পেটে বাচ্চা আছে এটাই এখন সত্যি.... আর MR করানোর সময়ও পার হয়ে গেছে, এখন বাচ্চা নষ্ট করতে চাইলে Abortion করাতে হবে.... গোপনে কোথাও করাইয়া ফেলেন।
আরও কিছুক্ষন কান্নাকাটি - রোনাজারি'র পর চেম্বার থেকে তারা বের হয়ে যাওয়ার সময়, মেয়ের মা'কে ডেকে বল্লাম,'শুনেন এইসব আলগা বাতাস-টাতাস বাদ দিয়ে.. কার বাতাসে হইছে, মেয়ের থেকে বের করেন ও পারলে তার সাথে বিয়ে দিয়ে দেন।
মা,'হ..বুজছি ..' বলে হন হন করে হাটা দিলেন।
আমি বসে বসে কিছুক্ষন ভাবলাম,
'হায়রে বাতাস...আজকাল বাতাসে কি না হয়!..কারো মাথার সব চুল উড়ে যায়...আবার কারো পেটে বাচ্চাও হয়!!"
~লিখেছেন একজন ডাক্তার ভাই।
আমাদের মন্তব্য: সময়ের কাটা খুব দ্রুত ঘুরছে। আপনার বাড়ীর মেয়েটির দিকে লক্ষ রাখুন। অসভ্য সমাজের মাঝে সভ্য বানাতে পাঠিয়ে এরকম অসভ্য ব্যভিচারের ধাক্কা যেন আপনার পরিবারে না আসে। তাই আমাদের স্লোগান...
প্রেমের নামে হারাম অবৈধ সম্পর্ক নয় বিয়ে করুন
: আল্লাহর সন্তষ্টি অর্জন করুন।
সংগ্রীহিত
LOOKING FOR GROOM
Personal information:
Name: **
Father's name- **
Father's occupation: Employed
Mother's name: housewife.
Permanent Address: Rajshahi
Current Address: Dhaka.
Age: 24+
Height: 5 feet 4 inches
Weight: Fit
Face: fair.
Blood group: A positive
Educational Qualifications: Honor'sHonours
Occupation: Student
Marital Status: Unmarried.
Something about the bride: From her childhood, she was pious, obedient, polite, humble, self-respecting and personable.
Family status: middle class.
-------------------------------------------------- ------
Companion expectations
# Practicing Muslim
# Profession: Engaged in any halal profession
# Cannot be associated with politics. Cannot be a follower of any Pir.
# Special qualities - expect a companion who possesses good character, protects the veil of eyes.
Contact : 01725684269, cousin
Amader eta 100% non profit organisation. Eniye biniye, guraia pechaia, or hidden charge name kono rokom takar prosno nai. 100% Musolmander help kore ALLAH r kas theke binimoe er asa raki.
Kono rokom mithar asroe nile sorasori mamla kaia jaben. Ejonno apnar nid, apnar baba & maer nid r poriskar pic diben amar ekane.
Amra jehuto 2 poesa nitesi na, so just information ta 100% true dite hobe details, kono rokom saririk somosha thakle, esara je kono doroner bisoe agei clear cut janaite hobe.
Awesome work !
_সময়_পরিবর্তনশীল "✌✌
* ১০ বছর আগে ক্লাসের সবচেয়ে সুন্দরী
নজর কাড়া মেয়েটাও এখন দুই সন্তানের মা..
কিন্তু সেই রুপ আর নাই....
* সব পরীক্ষায় নকল করে পাস করা
ছেলেটিও এখন বিসিএস ক্যাডার.....
* ক্লাসের পড়াশুনোয় সবচেয়ে বেশি সময়
ব্যয় করা ছেলেটিও এখন বেকার ঘুরছে...
*অন্যের গার্ল ফ্রেন্ড ভাগিয়ে নিয়ে যাওয়া
বাইকওয়ালা ছেলেটার হবু বউও এখন
আরেক প্রতিষ্ঠিত টাকাওয়ালার বিয়ে করা বউ...
* ৮ বছর আগে ক্লাসে সবচেয়ে অহংকার
নিয়ে চলাফেরা করা ছেলেটাওও এখন
ঋণের বোঝা নিয়ে কোন মতে বেচে আছে....
* ১০ বছর আগে ক্লাসের লাস্টে বসা
প্রতিনিয়ত খারাপ রেজাল্ট করা ছেলেটাও
এখন ডাক্তারি পড়া শেষ করে ফেলেছে...
* ৬-৭ বছর ধরে বারবার বয়ফ্রেন্ড চেন্স করা
ফর্সা সুন্দরী মেয়েটাও এখন পাত্র পক্ষের কাছে
বার বার রিজেক্ট হচ্ছে....
* ৫ বছর আগের সবচেয়ে সেরা জুটিটা
এখন একজন আরেকজনের ব্লক লিস্টে....
* ৭-৮ বছর ধরে নিজের ইচ্ছামতো একের
পর এক প্রেম করা মেয়েটিও এখন নিজের
অনিচ্ছায় অপছন্দের মানুষের সাথে সংসার করছে...
* ১০ বছর আগে আড্ডা জমানো ছেলেটাকে
বন্ধু সার্কেল থেকে সরিয়ে দেওয়া মানুষটা
এখনো বন্ধুত্তহীনতায় ভুগছে....
কখন কার কপালে কি ঘটে
তা আগে থেকে জানা সম্ভব নয়।
অর্থ-বিত্ত,রুপ-গুনের কারনে সাময়িক
কিছু দিনের জন্য আপনি-আমি হয়তো
সময়কে নিজের মতো করে চালাতে পারবো..
কিন্তু সময় সবসময় আমার-আপনার
ইচ্ছামত চলবে,এমন আশা করা টা ভুল..
সময় সময়ের মতো করে শোধটা নিয়ে নেয়...
এত অহংকার কিসের আমাদের..?
জীবনের প্রথম গোসল করছি অন্যজনের হাতে,
শেষ গোসল টা ও হবে অন্যজনেরই হাতে....(সংগৃহীত)
IF YOU MARRY A PIOUS WOMEN, YOU CAN BUILD YOUR WORLD SATISFIEDLY ON YOUR OWN STRATEGY
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
TEJGOAN
Dhaka
1215
Road 45, Gulshan 02
Dhaka, 1212
We are the Match-makers (Bride & Groom), living in Dhaka, Bangladesh. We have been doing this job for more than 25 years.
141/1, Sher-e-bangla Road, Mohammadpur
Dhaka, 1207
Sher-E-Bangla Road Kazi Office is a marriage registration office that also provides consultancy services relevant to marriage and divorce issues.
Banasree Central Mosque, Rampura
Dhaka, 1212
We trust, changing to right attitude towards marriage will change lives.
Biya
Dhaka, 1215
Biya / বিয়ে is the Bangladeshi oldest and most successful matchmaking service, provider. Now
House: 1/B/1, (3rd Floor), Road:1, Shyamoli
Dhaka, 1207
RightLifePartner.com is an international matrimonial web portal and one of the best online matchmakin
Dhaka
সাক্ষাৎ সহ গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে সরাসরি Call : +8801978222646 (What's app) [email protected]
House# 22/a, Road#2, Dhanmondi R/A
Dhaka, 1205
A faithful way of marriage for BrIde & Groom. Asswalamu alaikum,from behalf of Gazi Marriage Media best wishes for all of you ladies & gentleman.I'm very happy to inform you that t...