Azan Foods
Ensure sunnah marriage
একদম!
'শুনলাম মঙ্গল গ্রহে নাকি হিজাব পরা বাধ্যতামূলক করা হয়েছে। জানো কিছু?'
ইউরেনাস গ্রহের এক কোনের এই সস্তা চায়ের দোকানটিতে সবাই নড়েচড়ে বসলো। এ দোকানে প্রতি সন্ধ্যায় আড্ডা বসে। ইউরেনাসের নামকরা লেখক, কবি, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিক, কলামিস্ট, বিজ্ঞানী, রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে অনলাইন সেলিব্রৃটি পর্যন্ত ভিড় করে। জমিয়ে আড্ডা দেয়। তুমুল তর্ক হয়। রাত বাড়লে সবাই যার যার গন্তব্যে চলে যায়।
আজ কে যেন মঙ্গল গ্রহের সাম্প্রতিক ভূরাজনৈতিক পরিবর্তন নিয়ে কথা তোলায় আড্ডাটা জমে উঠল। বিশিষ্ট বুদ্ধিজীবী মিস্টার এসকে বলল: এগুলো ধর্মের নামে বাড়াবাড়ি। কেউ যদি নিজে থেকে হিজাব পড়তে না চায়, কেন তাকে বাধ্য করা হবে? এই অধিকার কে দিয়েছে?
পাশ থেকে কবি তনা চিৎকার করে বলে উঠল: চৈত্রের দাবদাহে একটা মেয়ে কালো কাপড়ে মুখ ঢেকে প্রচণ্ড গরমে হাসফাঁস করবে, এটা শুনেই তো আমার গা ঘিনঘিন করছে! এটা মধ্যযুগীয় বর্বরতা, নারীত্বের চূড়ান্ত অপমান।
গোঁফে তা দিতে দিতে বিজ্ঞানী মি. জাই বলল: এটা শুনে আমি ভীষন কষ্ট পেয়েছি। আমার ভেতরটা দুমড়ে মুচড়ে গেছে। যে মেয়েটা খোলা চুলে বৃষ্টিতে ভিজতে ভিজতে ফুটপাতে হেঁটে যাওয়ার কথা, সে কিনা একটা কাপড়ের পোঁটলার মত জবুথবু হয়ে মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকবে!
বিশিষ্ট সম্পাদক নাইখা সাহেব একটা দীর্ঘশ্বাস ফেলল: সংখ্যালঘুদেরও বাধ্য করা হবে? কেন? তাদের ধর্মে তো হিজাবের কথা বলা নেই। আমার প্রশ্ন হচ্ছে, তারা কেন পড়বে?
মানবাধিকার কর্মী সুকা আপাও সায় দিয়ে মাথা নাড়তে নাড়তে বলল: হুম, এটা উচিৎ নয়। ধর্ষন কি শুধু পোষাকের জন্য হয়? হিজাব পড়া মেয়েরা কি ধর্ষিতা হচ্ছে না? এটা আসলে নারীকে দাসত্বের নিগড়ে বন্দি করার একটা সূক্ষ্ম কৌশল।
নব্য সেলিব্রৃটি সাবির মাথায় হাত দিয়ে ব্যথাতুর কন্ঠে বলল: ভয় হয়। খুব ভয় হয়।
এতক্ষণ চুপ করে সবার কথা শুনছিলাম। ভাবলাম এবার কিছু বলা দরকার। সবাই যখন কিছুক্ষণের জন্য বিরতি দিল, আমি বলা শুরু করলাম: মাস্ক না পড়ায় আজকে নাকি চারজনকে জরিমানা করেছে ভ্রাম্যমান আদালত। অদ্ভুত না!
সবাই আমার দিকে ঘুরে তাকাল। সুকা আপা বলল: কেন? তাতে সমস্যা কী?
আমি বললাম: যারা মাস্ক পড়তে চায় না, তাদেরকে কেন জোর করে পড়াবে? এটা কি ঠিক হচ্ছে?
মিস্টার এসকে বলল: সকল নাগরিকের নিরাপত্তা বিধান করা রাষ্ট্রের দায়িত্ব। মাস্ক না পড়লে স্বাস্থ্যবিধি লঙ্ঘিত হয়। তাই বৃহত্তর স্বার্থে সরকারকে কঠোর হতে হচ্ছে। আমরা সবাই রাষ্ট্রের আইন মানতে বাধ্য।
এবার আমি সুযোগ পেয়ে বললাম: ঠিক একইভাবে মঙ্গল গ্রহের বাসিন্দারাও তাদের রাষ্ট্রের আইন মানতে বাধ্য। তাদের সরকার মেয়েদের ইজ্জতের নিরাপত্তার স্বার্থে কঠোর হয়েছে। হিজাব না পড়লে পর্দা লঙ্ঘিত হয়।
সুকা আপা কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল: কিন্তু..
তাকে থামায়ে দিয়ে বললাম: মাস্ক পড়লেই কি করোনা থেকে মুক্তি নিশ্চিত? এমন কেউ কি নেই, যে মাস্ক পড়েও করোনা আক্রান্ত হয়েছে?
সুকা আপা আমতা আমতা করে বলল: তা হয়েছে। মাস্ক পড়লে রিস্ক অনেকটা কমে যায়। তবে অন্য কারণে সে আক্রান্ত হতেই পারে। তারপরও মাস্ক দরকার। এতে কিছু রিস্ক তো কমছে।
বললাম: হিজাব পড়লেও নিগৃহীতা হওয়ার রিস্ক কমে যায়, তবে অন্য কারণে সে ধর্ষিতা হতেই পারে। তারপরও হিজাব জরুরী। কারণ এটা ধর্ষনের হার কিছুটা তো কমাচ্ছে।
তারপর তনা'র দিকে ফিরে বললাম: মাস্ক যখন গরমে ঘেমে মুখের সাথে লেপ্টে থাকে, তখন তোমার ঘেন্না লাগে না? শুধু হিজাব নিকাবে এত বিবমিষা কেন?
সে অগ্নি দৃষ্টিতে তাকিয়ে কিছু একটা বলতে যাচ্ছিল, তাকে হাতের ইশারায় থামিয়ে দিয়ে মি. জাই বলল: যা-ই বলো। যে মেয়েটা নিজে হিজাব পছন্দ করে না, যে মুক্ত বাতাসে খোলা চুল উড়িয়ে ছুটে যেতে চায়, এক খন্ড কাপড় দিয়ে তার সুন্দর মুখ খানা বেঁধে ফেলাটা সত্যি নির্মম, নিষ্ঠুর।
আমি এবার কাঁচা-পাকা চুলের এই আধ-বুড়ো কথিত বিজ্ঞানীটার দিকে ফিরে তাকালাম। বললাম: নির্মম, নিষ্ঠুর? আসলে কি তাই? তাহলে যে মানুষটা মাস্ক পড়তে চায় না, মুক্ত বাতাসে প্রান ভরে শ্বাস নিতে চায়, মাস্কের নামে এক খণ্ড কাপড় দিয়ে জোর করে তার মুখ-নাক বেঁধে রাখাটাও কি নির্মম নয়?
মি. জাই বলল: সে তো চাইলেই ছাদে গিয়ে বুক ভরা শ্বাস নিতে পারে, কেউ তাকে সেখানে বাঁধা দিবে না।
আমি সায় দিয়ে বললাম: একদম ঠিক। সে চাইলেই ছাদে গিয়ে মুক্ত বাতাসে খোলা চুল উড়িয়ে ছোটাছুটিও করতে পারে, কেউ তাকে বাঁধা দিতে যাবে না।
নাইখা সাহেব দাঁত কিড়মিড় করে বলল: সব মানলাম। কিন্তু অন্য ধর্মের মানুষকে কেন হিজাব পড়তে বাধ্য করা হবে? এটা কি তাদের ধর্মীয় স্বাধীনতা ক্ষুন্ন করছে না? ইসলাম কি এটা সাপোর্ট করে? এটার কী ব্যাখ্যা দিবে?
আমি দাঁড়িয়ে গেলাম। সবাই আমার দিকে তাকিয়ে আছে। কারো কারো চোখে ক্রুর হাসি ঝিলিক দিচ্ছে, যেন মনে মনে বলছে- এইবার আটকে গেলা বাছাধন।
আমি ব্যাগটা কাঁধে গোটাতে গোটাতে বললাম: সুস্থ মানুষকে কেন মাস্ক পড়তে বাধ্য করা হয়- এটা আমারে বোঝাও। শুধু অসুস্থ মানুষ পড়লেই তো হত।
আমার প্রশ্নে নাইখা সাহেব যেন বেশ মজা পেল, হা হা করে হেসে উঠল। বলল: এ কি বোকার মত কথা! ব্যস্ত রাস্তায় সুস্থ অসুস্থ আইডেন্টিফাই করা কি সম্ভব? তাছাড়া সুরক্ষার জন্য মাস্ক তো সবারই পরিধান করা জরুরি। এটাও জানো না?
আমি বললাম: হ্যাঁ জানি। ব্যস্ত রাস্তায় ধর্ম আইডেন্টিফাই করাও কঠিন। আর দৃষ্টির সুরক্ষার জন্য হিজাবও সকলের পরিধান করা জরুরি, হোক সে মুসলিম কি অমুসলিম। আর ধর্মীয় স্বাধীনতার কথা বলছ! কোন ধর্মে হিজাব না পড়তে বলা আছে- পারলে দেখাইও সম্পাদক সাহেব।
এই বলে আমি ইউরেনাসের ছোট্ট চায়ের দোকানটা থেকে বের হয়ে এলাম। সবাই চুপ। কারো মুখে টু শব্দটি নেই।
চলে যাওয়ার আগ মুহূর্তে দরজায় উঁকি দিয়ে ভেতরে তাকিয়ে সাবিরের উদ্দেশ্যে বললাম: আইনের কথা শুনলে তো চোর ডাকাতেরা ভয় পাবে বাছা। তোমার এত ভয় কীসের?
তারপর তার উত্তরের অপেক্ষা না করে হনহন করে বেরিয়ে আসলাম। রাত বেড়েছে। বাড়ি ফিরতে হবে। সবাই বিস্ময়ে বিমূঢ় হয়ে আমার চলে যাওয়ার দিকে তাকিয়ে আছে।
#ইউরেনাসের_আড্ডা
পর্ব-০১: শর'ঈ আইন
লেখকঃ আল সাকিফ🌿
বাইতুল মুকাররম দক্ষিণ গেইটে চলছে "ইসলামি বইমেলা ২০২১", চলবে নভেম্বরের ৩ তারিখ পর্যন্ত। সম্ভব হলে ঘুরে আসুন।
সেক্যুলার মিডিয়া কখনো এগুলো প্রচার করবে না, তাই বই কিনতে যেতে না পারলেও অন্তত একটু প্রচার করে মেলাটাকে প্রানবন্ত করে তুলুন।
- MH Sopon (ভার্সিটিয়ান দ্বীনি পরিবার)
এই ফিডব্যাকগুলো উৎসাহ যোগায়, আলহামদু লিল্লাহ। জাযাকুমুল্লাহু খাইরান।
মূর্তির নীচে কুরআন দেখে মুসলিম হিসেবে আমাদের রক্তক্ষরণ হওয়া স্বাভাবিক। কিন্তু এরপরে হিন্দু ভাই-বোনদের সাথে যা হয়েছে তা খুবই বাড়াবাড়ি। খুবই দুঃখজনক।
মূর্তিপূজা ইসলামে শিরক এবং সবচে' বড়ো পাপ কিন্তু হিন্দুদের কাছে দুর্গাপূজা সবচে' বড়ো ধর্মীয় উৎসব। সারাটাবছর তারা এ দিনগুলোর দিকে তাকিয়ে থাকে। ঘোরাঘুরি করবে। আত্মীয়ের বাসায় বেড়াতে যাবে। নতুন নতুন জামা কিনবে। কিন্তু এবার তীব্র আতঙ্কের কারণে তারা অনেক আনন্দ থেকেই বঞ্চিত হয়েছে।
প্রত্যেক মানুষের নির্ভয়ে তার ধর্ম পালনের অধিকার রয়েছে। চাই সে হিন্দু হোক, বৌদ্ধ হোক, মুসলিম হোক কিংবা হোক খ্রিস্টান।
আমি কিছুটা আন্দাজ কিংবা অনুমান করতে পারি এসবে কারা লাভবান হয়। কিংবা এখন লাভবান হচ্ছে। কিন্তু এসব নিয়ে মুখ খুললে আইডি দূরে থাক, জীবন থাকবে কিনা সন্দেহ। বোবা থাকা ভালো। শুনেছি, বোবার নাকি কোনো শত্রু নেই।
তবুও কেবল এতোটুকু বলি— যারা এসবের পেছনে ইন্ধন যোগাচ্ছে, যাদের হাতে নিরীহ মানুষের রক্ত লেগে আছে— সৃষ্টিকর্তা যেন তাদের দুনিয়া ও আখিরাতে কঠিন শাস্তি দেন।
আল্লাহুম্মা আমিন।
✍️ Shihab Ahmed Tuhin
আপনার জুমআর সালাতে কি কখনো কোন হিন্দু এসেছে? দাওয়াত দিয়ে তাদের কুরবানির গোশত খাওয়াতে পেরেছেন?
না! কখনোই পারেননি!
কিন্তু সেই আপনি কিভাবে তাদের পূজায় যান, পূজার খাবার খান, পূজার সাজে নিজেকে সজ্জিত করেন।
কিভাবে বলেন — ‘ধর্ম যার যার, উৎসব সবার’! আপনার এধরণের মনোভাব তো মূর্তিপূজাকে সার্পোট করার শামিল। যা ঈমান ধ্বংসের কারন। রাসূল (ﷺ) বলেছেন —
‘‘শীঘ্রই আমার উম্মতের কিছু লোক মূর্তিপূজা করবে এবং কিছু লোক মূর্তিপূজারীদের সাথে মিশে যাবে।’’ [ইবনু মাজাহ, আস-সুনান: ৩৯৫২]
পূজায় যাওয়ার আগে হাজারবার ভাবা উচিত আপনি কি করতে যাচ্ছেন, আপনি এমন কাজে যাচ্ছেন যেটা সম্পূর্ণ কুফরি। যেটা আপনার ঈমান ধ্বংসের মূল কারন। যেটা আল্লাহর ক্রোধকে বাড়িয়ে দেওয়ার জন্য যথেষ্ট। ভুলে যাবেন না আপনি একজন মুসলিম, আর একজন মুসলিমের জন্য পূজায় যাওয়া জায়েজ নেই।
✍️ Dawah - দাওয়াহ
কেউ ধর্ষণ করলে আপনি কি তাকে শুভেচ্ছা জানাবেন? কিংবা খুন করলে? নিশ্চয়ই না। কারণ, এগুলো জঘণ্য অপরাধ।
অমুসলিমরা যে দেব-দেবীর পুজা করে, তা হল আল্লাহর জমিনে সবচেয়ে ঘোরতর শির্ক। মহান স্রষ্টা আল্লাহর অবাধ্যতার সর্বোচ্চ পর্যায়।
এখন ভাবুন, ধর্ষণ, খুন ইত্যাদি যেমন জঘণ্য অপরাধ, ইবাদতে আল্লাহর সাথে শির্ক করা কি তেমন জঘণ্য অপরাধ মনে হয় আপনার কাছে? যদি মনে না হয়, তাহলে তো আল্লাহর প্রতি ঈমানই থাকবে না! শির্ক বরং তারচেয়েও ভয়ংকর অপরাধ কারণ তা সরাসরি আল্লাহর শ্রেষ্ঠত্বে হাত দেওয়া। না'উজু বিল্লাহ!
কেউ ধর্ষন বা খুনের মত জঘণ্য অপরাধ করলে আপনি তাকে শুভেচ্ছা জানান না বা উইশ করেন না। কারণ, আপনি জানেন যে, অপরাধের কাজ করা এবং তাতে ডিরেক্টলি অথবা ইনডিরেক্টলি সম্মতি, উৎসাহ বা স্বীকৃতি দেওয়া- সবই অপরাধ। তাহলে শির্কের মত ভয়ংকর অপরাধের উৎসব তথা পুজা, ক্রিসমাস ইত্যাদিতে শুভেচ্ছা বিনিময় করছেন যে? উইশ করছেন যে?!
হারাম কাজ করা এবং তাতে যে কোনভাবে সম্মতি, স্বীকৃতি, উৎসাহ দেওয়া- সবই সম্পূর্ণ হারাম।
তাহলে হিন্দুদের পুজা দেখতে যাওয়া যাবে?
যেখানে আপনার রবের সাথে শির্ক হচ্ছে, আপনার রবের নাফরমানি হচ্ছে, সেখানে আপনি কীভাবে এনজয় করতে যান?! আল্লাহর ভালোবাসা অন্তরে থাকলে তো এইসব দৃশ্য দেখে কষ্টে আপনার চোখে পানি আসার কথা! সুতরাং এইসব শির্ক পুজা দেখতেও যাবেন না। হারাম! কোন সন্দেহ নাই।
উমর ইবনুল খাত্তাব (রাঃ) বলেন- “মুশরিকদের উৎসবের দিনগুলোতে তাদের উপাসনালয়ে তোমরা প্রবেশ করো না। কারণ, তখন সেখানে তাদের উপর আল্লাহর গজব নাজিল হতে থাকে!” (বায়হাকী ১৮২৮৮, সহীহ)
আল্লাহর একত্ববাদ বা তাওহীদের বিশ্বাস এবং ইসলামের মর্যাদা যে মুসলমানের অন্তরে আছে, সে কীভাবে এইসব কদর্য কাজ করতে পারে! কাফেরদের শির্কী অবাধ্যতায় আল্লাহর যে ভয়ংকর ক্রোধ সৃষ্টি হয়, একজন মুসলমান কীভাবে তা নিজের উপরে টেনে আনে? ভয় করে না?!
আল্লাহ হেফাজত করুন।
মেয়ের বাবাকে জিজ্ঞাসা করলাম মোহর কত চান? তিনি বললেন, "ছেলের সামর্থ্য অনুযায়ী।"
ছেলেকে জিজ্ঞাসা করলাম, তোমার সামর্থ্য কতটুকু? সে বলল, "সাত হাজার।" মেয়ের বাবা বললেন, "আলহামদুলিল্লাহ, আমি রাজি।"
আমি ছেলেকে সুপারিশ করে বললাম, দশ সংখ্যাটা পূর্ণ। আমরা তোমাকে কিছু হাদিয়া দিই। তুমি দশ পূর্ণ করে দিও। ছেলে বলল, তাহলে আমি নিজেই দশ হাজার দিব, ইনশাআল্লাহ।
আমি বললাম, "প্লিজ আমাদের একটু শরিক হতে দাও তোমার সাথে। আমি তোমাকে পাঁচশ টাকা দেব।" একথা শুনে উপস্থিত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই বাকি টাকা দেয়ার জন্য হাত তুললেন।
কিন্তু মেয়ের বাবা সবাইকে আশ্চর্য করে ঘোষণা দিলেন, "বাকি আড়াই হাজার টাকা ছেলেকে আমিই দিব, ইন-শা-আল্লাহ।"
আল্লাহু আকবার। কত উদার মনের মানুষ! নিজের মেয়ের বিবাহের মোহর বরের পক্ষ থেকে নিজেই আদায় করলেন। সুবহানাল্লাহ!
আলহামদুলিল্লাহ, আজ আমি একজন প্রকৃত রাজা খুঁজে পেলাম। বিশ্বনবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম যথার্থই বলেছেন, "প্রকৃত ধনি সে, যার আত্মা ধনি।"
—মুফতি আতাউর রহমান বিক্রমপুরী
আল–ইয়াকিন ম্যারেজ মিডিয়া
“দ্বীনদার পাত্র–পাত্রীর সন্ধানে”
ফুলটাইম চাকরি শুরু করি ১৯৯৯ সালে। বেতন ৬ হাজার টাকা; ছয় মাস পর ৮ হাজার হয়। ১ বছরের দিকে আরেকটা চাকরি হয়। বেতন এক ধাক্কায় সোজা ২২ হাজার টাকা।
কিন্তু একটা অদ্ভুত অনুভূতি আল্লাহ্ দিলেন আমার ভেতর। তখন আমি মাত্র ১ বছরের অভিজ্ঞ, তার উপর এমন প্রোফেশনে ছিলাম যা তখন বাংলাদেশেই একদম নতুন। তাতেই ৮ হতে সোজা ২২ হাজার হবার প্রশ্নই আসে না! আমার চিন্তায় আসে যে, ঠিক যেই মাসে আমি এই চাকরি পাই, তার আগের মাসেই আব্বুর চাকরি চলে যায়।
আমার অনুভূতি হয় যে, নতুন একটা লাইনে মাত্র ১ বছরের অভিজ্ঞ হওয়া স্বত্বেও ৮ হাজার থেকে ২২ হাজার টাকার বেতন পাবার যোগ্যতা আসলে আমার নেই। বরং পরিবারের একটা ইনকাম সোর্স আপাতত বন্ধ হয়েছে বলেই আল্লাহ্ সেই কমতি কিছুটা পূরণ করাবার জন্যই আমার বেতনে হঠাৎ এমন বৃদ্ধি করলেন। আর এই অনুভূতি আসার সাথে সাথে প্রথম মাস থেকেই সামান্য কিছু হাতখরচ রেখে বাকি টাকা আম্মুকে দিয়ে দিতাম।
এভাবে প্রায় ১৪ মাস পরে আব্বু আবার চাকরি পান। আম্মুও আমার কাছ থেকে টাকা নেয়া বন্ধ করে দিলেন। বলেছিলেন, "সঞ্চয় করো।"
সঞ্চয় করতে করতে বিয়ের সময় হয়ে যায়। সম্পূর্ণ নিজ খরচে বিয়ে করার ইচ্ছে ছিলো। ইচ্ছেটা এতোটাই স্পষ্ট করে আল্লাহ্ পূরণ করবেন বিশ্বাস করতে পারছিলাম না। বলতে গেলে সমস্ত সঞ্চয় শেষ হয় আমার বিয়েতে। কি অবাক! ঠিক পরের মাসেই ছিলো performance increment-এর সময়। বেশ ভালো একটা রেইজ পেলাম।
আবার আল্লাহ্ অনুভূতি দিলেন যে, যেহেতু বিয়ে করেছি নিজের হালাল উপার্জন দিয়ে, আমার বউয়ের রিজিকটা আমার ইনকামে যুক্ত হয়ে বেড়ে গেলো। শুধু তাই নয়, কিছু মাস পরে আবার নতুন একটা চাকরী পেলাম, মানে বেতন আরো একটু বাড়লো! আলহামদুলিল্লাহ।
নতুন এই কোম্পানিতে থাকা অবস্থায় আল্লাহ্ আমাদেরকে যমজ দুটি মেয়ে উপহার দিলেন। চারজনের সংসার শুরু হয়ে যায়। ওদের দুজনের ওজন কম ছিলো, নানা রকমের অসুস্থতা লেগেই থাকতো। সম্ভবত গড়ে প্রতি ২ সপ্তাহে ডক্টর ভিজিট করতেই হতো দু'জনকে নিয়েই। ডবল ডক্টর ভিজিট, ডবল ঔষধ, ডবল ডায়পার, ডবল কৌটার দুধ (বুকের দুধ পায়নি) ছিলো নিয়মিত খরচ। কিন্তু বিন্দুমাত্র বিচলিত ছিলাম না।
কি অদ্ভুত যে, এবার চাকরি খুঁজিনি। বরং চাকরিই খুঁজে নেয় আমাদের চারজনকে, আলহামদুলিল্লাহ । খুব মনে আছে, সকাল সকাল বাচ্চা-দুটোকে নিয়ে হাসপাতালের টিকেট কেটে অপেক্ষা করছিলাম। একজন মেয়ে আমার কোলে, আরেকজন বউয়ের কোলে। ফোন আসে, আমার এক্স-কলিগ চাকরীর খবর দেন। বেতনটাও আনুমানিক জানালেন।
কি আশ্চর্য, মেডিকেল বেনিফিটও আছে! তাও আবার শুধু আমার একার জন্য নয়, পুরো পরিবারের জন্য মেডিকেল বেনিফিট! আমিতো মহা খুশী,
আলহামদুলিল্লাহ। বাচ্চা জন্মের সপ্তম
মাসেই নতুন চাকরিতে জয়েন করি।
আবার অনুভূতি পাই, নতুন চাকরি, মেডিকেল বেনিফিট আমার যোগ্যতায় নয়। বরং আমার মেয়ে দুটোর রিযিক আল্লাহ্ আমার বেতনে যুক্ত করেছেন।
আমি আজও মনে করি আল্লাহ্ আমাকে যেই কর্ম দক্ষতা দিয়েছেন তার বাজার মূল্য ৬ থেকে ৮ হাজার টাকাই মাত্র। বাকি একটি অংশ আমার মা-বাবার জন্য বরাদ্দ, আরেকটা অংশ আমার স্ত্রীর জন্য বরাদ্দ, আরেকটা বড় অংশ আমার মেয়ে-দুটোর জন্য। হিসাব করে দেখলাম, আমার ইনকামের বড় একটা অংশ আসে আমার মেয়ে-দুটোর রিজিক হতে।
ওদিকে আল্লাহ্ ওয়াদা করে রেখেছেন:....
“তোমাদের সন্তানদের দারিদ্র্যের আশংকায় হত্যা করো না। আমিই তাদেরকে রিযিক দেই এবং তোমাদেরকেও। (১৭:৩১)”
আমার এই লেখাটা সেই সকল বাবাদের অন্তরে ও চিন্তায় আঘাত করার জন্য,
যারা মনে করছেন তার বৃদ্ধা মা, অবসর নেয়া বাবা আর স্ত্রী-সন্তানরা শুধু বসে বসে তার কামাই খায় আর তিনি একাই সম্পূর্ন নিজ যোগ্যতায় সকলের জন্য প্রচুর পরিশ্রম করে উপার্জন করছেন।
সংগৃহীত- ভার্সিটিয়ান দ্বীনি পরিবার
বাবা যখন আমায় ত্যাজ্য করেন, তখন পকেটে ছিল মাত্র দশ টাকা। দুইটা পাঁচ টাকার কয়েন!
বাবার সাথে যখন আমার শেষ কথা হয়েছিল তখন তিনি বলেছিলেন, "তুই যখন ফিরে আসবিই না, তখন মুসলমানদের ফিতরা খেয়ে বেঁচে থাক।" তখন শুধু বাবাকে এতটুকুই বলেছিলাম, "আমাকে কারও ফিতরা খেয়ে বাঁচতে হবে না, সময় হলে আমিও যাকাত দিব, ইনশা-আল্লাহ।"
আজ প্রায় সাত বছর হতে চলল। বাবার সাথে আর কথা হয়না, কিন্তু তাঁর বলা কথাগুলো এখনও কানে বাজে! কখনও মোনাজাতে, কখনওবা আকাশের পানে চেয়ে আরশে আযীমের অধিপতির নিকট বলি, "ইয়া রব, তুমি ছাড়া আমার কেউ নাই, তুমি ছাড়া আমার কিছু নাই! আমাকে তুমি কারও বোঝা বানিও না, তুমি ব্যতীত অন্যের নিকট আমায় দারস্থ করোনা।"
আলহামদুলিল্লাহ, আজ পর্যন্ত আমি কখনও দ্বীনকে ব্যবহার করে দুনিয়া কামাই করিনি। বরং আমার রব আমায় এমন সব নিয়ামতের চাদরে আচ্ছাদিত করে রেখেছেন যে অন্যের নিকট চাওয়ারই প্রয়োজন মনে করি না। আর চাইবই বা কেন? না চাইতেই যদি আমার রব সবকিছুর বন্দোবস্ত করে দেন, তবে মাখলুকের দিকে মুখাপেক্ষী হওয়ার কি দরকার!
একটু ভাবুন তো, একজন ব্যক্তি কিভাবে একা একা মোর দ্যান সিক্স ইয়ারস কাটাতে পারে! না আছে তার জমিজমা, না আছে বাসাবাড়ি! পরিচয় দেওয়ার মত কিছুই নেই! যাযাবর ঠিক না, তবে বাস্তুহারা খুবই মানানসই! এ অবস্থায়ও আমার রব আমায় ছেড়ে যাননি। অথচ বাবার একটিমাত্র কথার অবাধ্যতা করেছিলাম তাতেই তিনি আমায় পৈত্রিক সম্পত্তিসহ যাবতীয় বিষয় হতে বঞ্চিত করেছেন, ঊনি নিজেকে আমার রিজিকদাতা ভেবেছিলেন, তবে আমি আমার রিজিকদাতা ভাবতাম অন্যজনকে। যিনি ১৭ বৎসর লাগাতার তাঁর অবাধ্যতা করার পরও আমার রিজিক বন্ধ করেননি ,তিনিই তো আমার রব!
যখন কোন ডেলিসাস ফুড সামনে আসে অথবা যখন দামী কোন পোষাক বা জুতা পরিধান করি, তখন কিছু ঘটনা নাড়া দিয়ে যায়। আহঃ কি সময়টা পার করে এসেছি!!! এইতো সেদিনের কথা! মাত্র ৬ বছর আগের!
দ্বীন পালনের জন্য ১০ দিন লুকিয়ে থাকতে হয়েছিল। যতটুকু মনে পড়ে, এই ১০ দিনের প্রথম রাত্রে শুধু ছোটমাছ আর ডাল দিয়ে ক'টা ভাত খেয়েছিলাম। বাকি ন'টা দিন শুধু ঢেঁড়স ভাঁজি! তিন বেলাতেই সেইম রেসিপি! অথচ বাসায় থাকতে এটা আমার প্লেট পর্যন্তও খুব একটা আসতো না! তখন মনে হত, ইশ! আজ যদি ডাল দিয়ে ভাত খেতে পারতাম! এভাবেই কাটতে লাগল একেকটা দিন। কখনও আধাপেট, কখনওবা নামমাত্র খাবার খেয়ে, পানি খেয়ে থাকতাম। তবে স্টাডি ঠিকই করতাম, কারন কিছুদিন পর ভার্সিটির এডমিশন টেস্ট ছিল!
সেই দশ দিনের একদিন শুক্রবার ছিল (শেষের দিকে)। পাশের বাসা থেকে গোস্তের সুঘ্রাণ ভেসে আসছে। ভেবেছিলাম অনন্ত শুক্রবারে স্পেশাল কিছু হবে। আশায় গুড়েবালি। দুপুরে সেই সুপরিচিত খাবার! তখন এটা দেখে চোখের পানি ধরে রাখতে পারিনি! মনে পড়ে কি প্রিয়, রসুল সা: এর সেই হাদিস! হয়তোবা না, আর অনেকের মনে পড়ার কথাও না। তবে আমার খুব মনে পড়ে, খুব! তাইতো মাঝে মাঝে এখন যখন রেস্টুরেন্টে খাবার খেতে যাই, তখন একজন অভুক্ত, গরীব বা অভাবী ব্যক্তিকে খুঁজি, শুধু তার ইচ্ছানুযায়ী একবেলা আহার করানোর জন্য! আমার স্যালারি থেকে মান্থলি নির্দিষ্ট পরিমান টাকা এজন্যই রাখি যাতে আল্লাহর কোন বান্দাকে তাঁর পছন্দসই খাবার খাওয়াতে পারি! তাঁদের খাবার খাওয়ার দৃশ্যটা আচমকাই চোখের কোণে পানির সৃষ্টি করে! আনন্দাশ্রু!
অবশেষে ভার্সিটিতে চান্স পেলাম। নতুন পরিবেশ। নতুন মুখ। মুদ্রার ওপিঠ তো আগে থেকেই দেখা শুরু হয়েছে! তখন আমার পাঞ্জাবী ছিল মাত্র দু'টা। একটা অলিভ অন্যটা চকোলেট কালারের সলিড ডায়েড প্রেসিডেন্ট টরে কাপড়ের। পায়ে ১০০ টাকার প্লাস্টিকের জুতা! আমি কখনও লুংগি পরে নিজেদের বাড়ীর পাশের বাজারটাও অতিক্রম করেছিলাম কিনা মনে পড়েনা। অথচ লুংগি পরে রংপুরে তাবলীগ জামাতে গিয়েছিলাম! তখন যদি আমার বাবা-মা অথবা রিলেটিভস আমায় দেখতেন, তবে কেমনভাবে ভর্ৎসনা করতেন তা সহজেই অনুমান করা যায়!
শীতের শুরুতে ফজরের নামাজ পড়তে মেস থেকে ক্যাম্পসে যেতাম, দমকা হাওয়ায় ঠান্ডা লাগতো, বেশ কষ্ট হত! নিরুপায় হয়ে ভ্যানটাওয়ার (ফুতপাতে ভ্যানে করে সাজিয়ে পণ্য বিক্রির জায়গা) থেকে ১০০ টাকা দিয়ে ইউজড একটা সোয়েটার কিনেছিলাম। ওটা পাঞ্জাবির নিচে পরে ফজরের নামাজে যেতাম! পরে অবশ্য ইউসুফ ভাই এটা জানতে পেরে ৮৫০/= দিয়ে একটা সোয়েটার কিনে দিয়েছিলেন।
সম্ভবত তখন ২/২ এর মিড ভ্যাকেশন। অনেকেই যার যার মত বাসায় গিয়েছে। ফাইনাল ইয়ারের ভাইয়াদের থিসিস থাকায় হলে মিল চলছিল। আমি তখন জুবায়ের ভাইয়ের (টেক্সটাইল) কার্ডে হলে মিল চালাতাম। পার ডে ৪০ টাকা। মাসের শেষ হতে তখনও ৪ দিন বাকি। তাই টিউশনির টাকা পাওয়ারও সম্ভবনা নেই। অথচ হাতে অবশিষ্ট ৩০ টাকা ছিল। তাই মিল চালাতে পারিনি। প্রতি বেলায় ১০ টাকা দিয়ে রুটি কলা খেতাম। ৩০ টাকা শেষ। চিন্তা করলাম না খেয়েই যেহেতু থাকতে হবে সেহেতু রোজা রাখাই ভাল হবে। পরে নিজেকে প্রশ্ন করলাম, খাবারের ব্যবস্থা থাকলে কি আমি রোজা রাখতাম?? পরক্ষণেই শুধু পানি খেয়ে থাকার সিদ্ধান্ত নিলাম শুধু রোজা ভাংগার জন্য।
দ্বিতীয় দিন দুপুরের খাবার ভার্সিটির এক টিচারের বাসায় খেয়েছিলাম, উনার সাথে একটা কাজে গিয়েছিলাম তাই। দ্বিতীয় দিনের রাত্রি থেকে তৃতীয় দিন দুপুর পর্যন্ত শুধু পানি খেয়ে ছিলাম, আর দোয়া করতাম, "ইয়া আল্লাহ,আমি যে অভুক্ত আছি তার ছাপ আমার চেহারায় যেন বোঝা না যায়, কেউ যাতে বুঝতে না পারে যে আমি অভুক্ত, কোন বেদ্বীন (আমার বেশকিছু অন্যধর্মের বন্ধু ছিল) যেন আমার দিকে আংগুল তুলে এমন কথা বলতে না পারে যে, বাবা-মাকে কষ্ট দেওয়ার দরুন আমাকে এমন পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হয়েছে "।
যোহরের নামাজ ক্যাম্পাস মসজিদের উত্তর পার্শ্বের বারান্দায় আদায় করে ট্যাপ থেকে আবার পানি খেয়ে মসজিদ থেকে মেসের উদ্দেশ্যে বের হলাম। ক্যাম্পাসের মেইন গেইটের কাছে আসতেই পিছন থেকে কামরুলের (আমার ক্লাসমেট) ডাক শুনে দাঁড়ালাম। কাছে এসেই জিজ্ঞাসা করল, "কিরে বন্ধু, দুপুরে খাইছিস? তুই না হলে খাস?"
-না।
একটু পর তো ডাইনিং ক্লোজ হয়ে যাবে, খাবি কখন?
-মিল চালাইনি।
-মিল চালাস নি মানে?
-টাকা ছিলনা, তাই?
-টাকা ছিলনা তো বলবি না? মেসে গেস্ট মিল দিতাম😠 এই বলে পকেট থেকে পঞ্চাশ টাকার একটা নোট হাতে দিয়ে বলল, "ক্যান্টিন থেকে খেয়ে নে, ইন্সট্যান্ট এ ক'টাকাই আছে"।
আমি টাকাটা নিয়ে ক্যান্টিনে গিয়ে ৩৫ টাকা দিয়ে দুপুরের খাবার খেলাম। অবশিষ্ট ১৫ টাকা রাতের জন্য!
ক্যাম্পাসের তাবলীগের সাথী ভাইদের নিকট আমি ছিলাম খুবই পরিচিত মুখ। বিশেষ একটা পরিচয়ের জন্য স্যারদের কাছে সুপরিচিত ছিলাম। আমি যদি মুখ ফুটে বলতাম তবে আমার সামনে দস্তরখানা বিছিয়ে পড়ত, হাত বাড়ালেই টাকা পেতাম। তবে সেই হাদিসখানাকে ভয় পেতাম, "যে ব্যক্তি অন্যের নিকট ভিক্ষার দরজা খোলে, আল্লাহ তায়ালা তার জন্য অভাবের দরজা খুলে দেন"।
এছাড়াও আরেকটা হাদিস পড়ে ছিলাম যার ভাবার্থ ছিল কিছুটা এমন, "যে ব্যক্তি অভাবে পতিত হয় এবং আল্লাহ ব্যতিত অন্য কারও মুখাপেক্ষী হয় না, তবে আল্লাহ তায়ালা তার রিজিক প্রশস্ত করে দেন"।
আরেকটা, "যে ব্যক্তি অভাবের কারনে ৩ দিন অভুক্ত থাকে এবং কেবলমাত্র আল্লাহ ছাড়া অন্য কারও নিকট পেশ না করে, তবে আল্লাহ তায়ালা তাকে ১ বছরের হালাল রুজির ব্যবস্থা করে দেন"। আর এটাই ছিল ৩ দিন অভুক্ত থাকার মেইন উদ্দেশ্য!
৩ দিনের বদৌলতে যদি ৩৬৫ দিনের হালাল রিজিকের ব্যবস্থা হয়ে যায়, তবে ৩ দিনের না খেয়ে থাকার একটা ইনভেস্টমেন্ট করাই যায়! আমি বড্ড লোভী, তাই এই অফারটা লুফে নিয়েছি। আলহামদুলিল্লাহ, আল্লাহ তায়ালা তাঁর ওয়াদা রেখেছেন। পরের মাস থেকেই নতুন আরেকটা টিউশনি পাই, সেই সাথে আমার লাইফ স্টাইলও চেঞ্জ হতে থাকে। এটার ডিউরেশন ছিল ১ বছর!!!
ইবনে ওমর, ইবনে আব্বাস অথবা ইবনে মাসউদ (রাযি:)- এই তিন জনের যেকোন একজনের ব্যাপারে পড়েছিলাম যে, উনি (রাযি:) সওয়াল ব্যতিত যা কিছু উনার নিকট আসতো, তা তিনি গ্রহন করতেন কেননা সেটা আল্লাহর পক্ষ থেকে আসে। আর এজন্যই আমি কামরুলের দেওয়া ৫০ টাকা নিয়েছিলাম। এখন পর্যন্ত সেই ৩ হাদিস এবং সেই সাহাবী রাযি: এর আমলের অনুসরণ করার সর্বোচ্চ চেষ্টা করি, আলহামদুলিল্লাহ।
সম্ভবত ৩/১ এর ক্লাসে মুমিনুল (বেস্ট ফ্রেন্ড, ক্লাসমেট) নতুন একটা "মুজিব কোট" পরে এসেছিল।
কেন জানি ওটা আমার খুব পছন্দ হয়ে গেছিল। কিন্তু আমার তো আর আবদার করার মত দুনিয়ায় কেউ নাই! একথা ভাবতেই চোখ দিয়ে পানি পড়ার উপক্রম। কোনমতে নিজেকে সংবরণ করে নিলাম।
যোহরের নামাজের পর দুই রাকাত সালাতুল হাজতের নামাজ পড়ে দোয়া করতে লাগলাম, "ইয়া ওয়াহহাব, আজ তুমি ছাড়া আমার আবদার পেশ করার কোন জায়গা নাই। আমি জানি না তুমি কিভাবে আমায় ওটা (মুজিব কোট) দিবা, কিন্তু আমার ওটা লাগবে" এভাবে বলেছিলাম আর বাচ্চাদের মত কাঁদছিলাম ! কিছুদিন পর কিভাবে যেন টাকা ম্যানেজ হয়ে গেল! "অরবিন্দ " থেকে ৪৪০০/= দিয়ে সেই মুজিব কোট বানালাম,আলহামদুলিল্লাহ। এখনও আছে সেটা।
এরপর আর পিছনে ফিরে তাকাতে হয়নি, আলহামদুলিল্লাহ। ৪র্থ বর্ষে ওঠার পর আমার ১০ সেট পাঞ্জাবি-পায়জামা হয়ে যায়! পায়ে থাকতো তখন Bata এর Scholl (2490/=), Bata এর Weinbrenner (1799/=), Apex (3490/=) এবং আফজাল সুজ (১৭৫০/=) এর জুতা!
শীতের পোশাকও বেশ কয়েকটা জমে গিয়েছিল। একটার দাম ২৬০০/=, আরেকটা দাম ১৫০০/=, আর হুডিটার দাম ছিল ১০৫০/=, আর ইউসুফ ভাইয়ের দেওয়াটা তো ছিলই। ও হ্যাঁ, ১৫০ টাকার একটা ম্যাগী হাতা সোয়েটারও ছিল।
খাবারেরও আর কোন কষ্ট ছিল না। আল্লাহ তায়ালা এমন এমন খাবার খাইয়েছেন, হয়তো ফ্যামিলির সাথে থাকলে সেগুলো চোখেও দেখতাম না!
আমাকে যদি প্রশ্ন করা হয় যে আমি কোন তিনটা দিন সবচেয়ে ভাল ছিলাম, আমি একবাক্যে বলবো, "সেই তিনটা দিন যখন আমি কখনও রুটি খেয়ে, কখনও পানি পান করে, আবার কখনও একবেলা ভাত খেয়ে দিন অতিবাহিত করেছিলাম!"
গত বছর Asus এর একটা ল্যাপটপ কেনার জন্য মাত্র পঁয়ত্রিশ হাজার টাকা যোগাড় করতে পারিনি। এর ওর ল্যাপটপ দিয়ে কাজ সেরেছিলাম। আলহামদুলিল্লাহ, এখন Apple এর MacBook কেনার সামর্থ আল্লাহ তায়ালা দিয়েছেন!
মনে কি পড়ে প্রিয়, আব্দুল্লাহ ইবনে মাসঊদ রাযি: এর সেই কথা, যা তিনি তাঁর মৃত্যুর পূর্বে হযরত ওসমান রাযি: কে বলেছিলেন?
"আমি আমার মেয়েদের সূরা ওয়াক্বিয়ার শিক্ষা দিয়েছি"!
আমার মনে নেই যে লাস্ট কবে এই সূরার আমল আমার থেকে ছুটে গিয়েছে, আলহামদুলিল্লাহ।
"সূরা ওয়াক্বিয়ার কল্যাণে তো আমাদের অভাব আল্লাহ্ ঠিকই দূর করছেন আলহামদুলিল্লাহ, কিন্তু যারা সকাল-বিকাল এই সূরার ফাযায়েল বয়ান করতে করতে মজমা গরম করে ফেলেন, তাদের অধিকাংশকেই অভাবের ভয়ে কুঁকড়ে যেতে দেখেছি!"
"জমিন যদি পুড়ে তামা হয়ে যায়, আসমান হতে যদি একফোঁটা বৃষ্টিও না পড়ে, তবুও আল্লাহ তায়ালা তাঁর মাখলুকদের রিজিক দিতে সক্ষম এই ওয়াজ করা ব্যক্তিটিও মনের অজান্তেই টাকাওয়ালাদের রিজিকদাতা বানিয়ে নেয়!!!
"চাইতে হয় একমাত্র আল্লাহ্ রাব্বুল আলামীনের কাছে। তিনিই একমাত্র ও পরম রিজিকদাতা। রিজিকের ব্যবস্থা করার জন্য আর কারও প্রয়োজন নাই। "
✍️ Abdullah Al M Hasan (ঈষৎ মার্জিত)
হে বোন, হিজাব! হে ভাই, হিজাব! হিজাব!
পুরুষের পর্দা!
▧ হাফপ্যান্ট পরা যুবকদের সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে, যা আগে আমাদের সমাজে কল্পনাও করা যেতো না৷ অথচ হাঁটু ঢেকে কাপড় পরা ফরয৷ হাঁটু খোলা রাখা হারাম৷ আর এটা এমন হারাম যা গোপনে নয়, যুবকেরা প্রতিনিয়ত জনসম্মুখে তাতে লিপ্ত হচ্ছে৷
আমাদের মুসলিম যুবক ভাইদের মাঝে এই হারামে লিপ্ত হওয়ার প্রবণতা কেবল বেড়েই চলেছে৷ কোনো গোনাহ প্রকাশ্য করতে করতে একসময় ভেতর থেকে অনুশোচনা বা অপরাধ বোধের অনুভূতিটুকু বিনষ্ট হয়ে যায়৷ তখন সমাজের মানুষ এটাকে আর গোনাহ মনেই করে না!
হাদীসে এসেছে, রাসূল ﷺ বলেছেন-
❛আমার উম্মতের সবাইকে মাফ করে দেয়া হবে, কেবল প্রকাশ্যে গোনাহকারীকে ছাড়া৷❜
(সহীহ বুখারী ও মুসলিম)
কারণ:
➠ প্রকাশ্যে গোনাহকারীর মধ্যে অপরাধবোধের পরিবর্তে তার ভেতর গোনাহের উপর একপ্রকার অহংকার বোধ চলে আসে৷ যেন ড্যাম-কেয়ার ভাব৷
➠ প্রকাশ্যে গোনাহকারী তার কৃত গোনাহের দিকে অপরকে আহবান করতে থাকে৷ হয়ত মৌখিক আহবান নয়, নিজের কর্মের মাধ্যমে নিরব আহবান৷
➠ প্রকাশ্যে গোনাহকারী অপরকে তার গোনাহের সাক্ষী বানিয়ে নেয়৷ একজন দুইজন নয়, অসংখ্য সাক্ষী৷ এরা কিয়ামতের দিন তার বিপক্ষে তার কৃত গোনাহের সাক্ষী হবে৷
আল্লাহ তা'আলা আমাদেরকে সব রকমের প্রকাশ-অপ্রকাশ্য গোনাহ থেকে হেফাজত করুন৷
আমিন ইয়া রব্বাল আলামীন।
✍️ Muhammad Hossain
অশ্লীল কাজে জড়িত জনৈক অভিনেত্রী জেল থেকে বের হয়ে যেভাবে শো অফ করল, হৈ-হুল্লোড় করে মিডিয়া এবং কথিত সুশীল সমাজ যে বাহবা তাকে দিল, তা সত্যি বড় আশঙ্কার জন্ম দেয়! এ কেমন নোংরা সমাজ?! শায়খ Ahmadullah-র লেখাটা পড়লাম আর আরও বেশি চিন্তা করতে লাগলামঃ
"এ সমাজে (কুকর্মের ফলে) পিতৃপরিচয়হীন সন্তান জন্মদানকারী মহিলা গর্ব করেন। কুকীর্তির কারণে ভর্ৎসনার বদলে অভিনন্দন পান। অথচ লজ্জাশীলা নারীকে পর্দা করে চলতে বিব্রত হতে হয়। তাকে নিয়ে ট্রল করা হয়।
একটা সময় ছিল মদ্যপ ও ব্যভিচারী তার কর্মের কারণে লজ্জিত থাকতো। এখন ব্যভিচার শুধু শিল্প নয়, সাহসিকতার বিষয়ও বটে! নোংরামি এখন শুধু স্বাভাবিক নয়, স্বাভাবিকের চেয়েও বেশি কিছু। নিজের স্ক্যান্ডাল ফাঁস কিংবা অসামাজিক কীর্তির ফিরিস্তি প্রকাশ পেলেও এখন লজ্জায় মাথা নিচু হয় না। বরং জগত জয় করা হাসি ঝুলতে দেখা যায় মুখে। একজন ফেরেশতার মতো নিরপরাধ মানুষও মিথ্যা অপবাদের শিকার হলে তার চোখেমুখে বিষন্নতা ও জড়তার ছাপ থাকে। নিরপরাধ প্রমাণ হওয়ার আগ পর্যন্ত মুখে নির্মল হাসি ফোটে না। কিন্তু হায়, কী দেখছি আমরা!
এভাবেই শয়তান তার ক্রীড়নকদের দিয়ে অপকর্ম আর বেহায়াপনাকে সমাজে স্বাভাবিক বিষয়ে পরিণত করে, লাজ-লজ্জা তুলে দেয়। এমন সমাজে ভালো মানুষদেরই বরং মাথা নিচু করে চলতে হয়। পর্দা মেনে চলতে চাওয়া মেয়েটা তাই সমাজে হাসির পাত্র, আর বহুগামী নারীরা সাহসী! নিজেকে নোংরা কল্পনার হাত থেকে রক্ষাকারী, আত্মসম্মানবোধ সম্পন্ন নারী সেকেলে ও বন্দিদশায়, আর খোলা খাবারের মতো রাস্তার মাছিদের খোরাক হওয়া আধুনিকতা ও স্বাধীনতা!
আসলে পৃথিবী তার পরিণতির দিকে অগ্রসর হচ্ছে। সেজন্য মহানবী মুহাম্মাদ (সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম)-এর করে যাওয়া ভবিষ্যদ্বাণীগুলো দ্রুততার সাথে একে একে বাস্তবায়ন হয়ে যাচ্ছে। তিনি বলেছেন, কেয়ামত ঘনিয়ে এলে ব্যভিচারকে বৈধ গণ্য করবে মানুষ, (পুরুষদের তো বটেই, এমনকি লজ্জাবতী) নারীদের চেহারা থেকে লজ্জা উঠে যাবে।
যখন পৃথিবীতে 'সত্য ও সুন্দর' টিকে থাকার সব পথ রুদ্ধ হয়ে যাবে, তখনই মহান মালিক তাঁর সৃষ্টিজগত গুটিয়ে নিবেন। মহাফিতনার ভয়াল এই স্রোত থামানো আমাদের কর্তব্য নয়, তবে চেষ্টা করাটা অবশ্য কর্তব্য।"
হিন্দি গানগুলো আমাদের ঈমানকে ধ্বংস করে দিচ্ছে না তো?
কয়েকটা হিন্দি গানের অংশবিশেষ অর্থসহ দিলাম। পড়ে দেখুন। যদি হৃদয়ে ঈমানের ছিটে ফোঁটাও থাকে, আপনি নিজেই বুঝতে পারবেন আজকের এই পোস্টের উদ্দেশ্যটা কী...
Tu hi meri sab hai, subah hai,
tu hi din hai mera, tu hi mera rab hai,
jahaan hai,
tu hi meri duniya
তুমি আমার সবকিছু, আমার সুর্যোদয় তুমি,
দিন তুমি, তুমি আমার রব,
আমার পৃথিবী,
আমার দুনিয়া তুমি
Tu Hi Ab Mera Deen Hai, Imaan Hai,
Rab Ka Shukrana
Mera Kalma Hai Tu, Azaan Hai,
Rab Ka Shukrana
তুমিই এখন আমার দ্বীন, আমার ঈমান,
খোদাকে তাই ধন্যবাদ
আমার কালেমা তুমি, আযান তুমি,
রবকে তাই ধন্যবাদ
Tujh mein rab dikhta hai, Yaara mein kya karu?
Sajdhe sar jhukta hai, Yaara mein kya karu?
তোমার মাঝেই রবকে খুঁজে পাই আমি, প্রিয়া আমি কি করবো?
সিজদার জন্য মাথা ঝুঁকে যায়, প্রিয়া আমি কি করবো?
Khuda Jaane Ke Mein Fida Hoon
Khuda Jaane Mein Mitt Gaya
Khuda Jaane Yeh Kyun Hua Hai
Ke Ban Gaye Ho Tum Mere Khuda
খোদা জানে আমি প্রহৃত
খোদা জানে আমি হারিয়ে গিয়েছি
খোদা জানে এমন কেনো হয়েছে
তুমি আজ হয়ে গিয়েছো আমারই খোদা
Tumhare siva kuch na chahat karenge
Ke jab tak jeeyenge mohabbat karenge
Saza rab joh dega woh manzoor humko
Ke hum ab tumhari ibaadat karenge
তোমাকে ছাড়া আমি কিছুই চাইবো না
আমি যতদিন বেঁচে থাকবো তোমাকেই ভালোবাসবো
খোদার যেকোনো শাস্তি আমি নেবো
এখন শুধু আমি তোমারই ইবাদত করবো
Dil Mein Ho Tum, Aankho Mein Tum
Bolo Tumhe Kaise Chahu
Puja Karu, Sajda Karu
Jaise Kaho Waise Chahu
আমার হৃদয়ে তুমি, চোখে তুমি
বলো তোমাকে কীভাবে চাইবো
পূজা করবো, সিজদা করবো
যেভাবে বলবে সেভাবে চাইবো
Vaaste Jaan Bhi Du
Main Gawah Emaan Bhi Du
Kismato Ka Likha Mod Du
Badle Mein Main Tere
Jo Khuda Khud Bhi De
Jannate Sach Kahu Chhod Du
তোমার জন্য জীবনও দিব
ঈমানও বিসর্জন দিব
ভাগ্যের লেখাও বদলে দিব
তোমার বিনিময়ে
খোদা নিজেও যা দেন
সত্যি বলছি জান্নাতও ছেড়ে দিব
অনেকে জেনে, অনেকে না জেনে এসব হিন্দি গান গেয়ে প্রতিনিয়তই শিরক করে চলেছে। যা ঈমানই ধ্বংস করে দিচ্ছে। এসব গান গেয়ে সাময়িক মজা পাওয়া যায় হয়ত কিন্তু পরিণতি ভয়ংকর! শয়তানের এক বিশাল ফাঁদ! শয়তান তাঁর নিজের সাথে আপনাকেও আগুনে পোড়ানোর ফাঁদ পেতে আছে। খবরদার ভাই আমার, বোন আমার, শয়তানকে জিততে দিবেন না। নিজেকে রক্ষা করুন।
আল্লাহ আমাদের সকলকে এ ভয়ঙ্কর ফিতনা থেকে হিফাজত করুন। আমীন।
আপুরা, একটু খেয়াল করে...
◉পরিবারে স্ত্রী হিসেবে মেয়েদের করণীয়ঃ
❑ সংসারের প্রতিটি কাজকে ইবাদত মনে করা।
❑ নিজেকে পরিবারের প্রাণ মনে করা।
❑ স্বামীকে বন্ধু, জীবনসঙ্গী, দিশারী ও পারিবারিক প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা।
❑ স্বামীকে লুকিয়ে কোন কাজ না করা। (সারপ্রাইজ দেয়া,এগুলো ভিন্ন)
❑ স্বামীর ভালো কাজ, অবদান ও কৃতিত্বের জন্যে গর্ববোধ করা।
❑ স্বামীর প্রতি সর্বাবস্থায় বিশ্বস্ত থাকা এবং ভালোবাসা ও অনুরাগ কথা ও আচরণে প্রকাশ করা।
❑ স্বামী-সন্তান বাইরে থেকে আসার সাথে সাথে কোন সমস্যা বা অভিযোগ না করা।
❑ কোন ভুল বা অন্যায় হয়ে গেলে নিঃসঙ্কোচে তা স্বীকার করা বা স্বামীর কাছে মাফ চেয়ে নেয়া।
❑ নিজের হাত খরচা থেকে কখনও কখনও স্বামীর জন্যে ছোটখাট উপহার কেনা।
❑ প্রয়োজনে নিজের অর্জিত অর্থ স্বামী ও সংসারের জন্যে খরচ করা।
❑ স্বামীর কাছে কোন অযৌক্তিক আবদার না করা।
❑ স্বামীর যুক্তিসঙ্গত আয় সম্পর্কে ধারণা রাখা। আয়ের মধ্যেই সংসারের খরচ সীমিত রাখা।
❑ অতিরিক্ত খরচ ও চাপ সৃষ্টি করে স্বামীকে দুর্নীতিপরায়ণ হতে বাধ্য না করা।
❑ যে কোন বিপদে বা সংকটে স্বামীর পাশে অটল পাহাড়ের ন্যায় দাঁড়িয়ে থাকা।
❑ স্বামীর অগোচরে কাউকে কিছু না দেয়া। এতে সম্পর্কে অনেক সমস্যা সৃষ্টি হয়।
❑ স্বামীর আত্মীয়-স্বজন নিয়ে খোঁটা না দেয়া।
❑ শ্বশুর-শ্বাশুড়ীকে নিজের বাবা-মায়ের মত শ্রদ্ধা করা।
❑ ঘরের খুঁটিনাটি সমস্যা নিজেই সমাধানে সচেষ্ট থাকা।
❑ সন্তানের সামনে স্বামীর সাথে ঝগড়া না করা এবং তার ভুল-ত্রুটি নিয়ে সমালোচনা না করা।
❑ চাকরিজীবী হলেও সন্তান ও সংসারের ব্যাপারে যাতে কোন অবহেলা না হয় সেদিকে খেয়াল রাখা।
❑ স্বামীর যে কোন অক্ষমতাকে সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা।
❑ আত্ম উন্নয়ন ও আত্মিক উন্নয়নের কাজে স্বামীকে সহযোগিতা করা। অন্যের কাছে স্বামীকে ছোট না করা।
❑ মা হিসেবে সন্তানের মাঝে মহৎ মানুষের গুণাবলীকে বিকশিত করার চেষ্টা করা।
❑ সকল ধরনের অপচয়ের বিরুদ্ধে পরিবারের সবার মধ্যে সচেতনতা সৃষ্টি করা।
❑ রাগ না করা। নিজের কষ্টকে বড় করে না দেখা।
❑ ঘর-বাড়ি পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন ও পরিপাটি রাখা।
❑ স্বামীর পছন্দের রান্না করে খাওয়ানো।
❑ স্বামীর সাথে কখনো কখনো ইচ্ছে করে একটু অভিমান করা।
❑ সর্বদা স্বামীকে হাসি-খুশি রাখার চেষ্টা করা।
❑ স্বামীর যেকোনো সমস্যায় স্বামীর পাশে থাকা। স্বামীকে সাহস জোগানো।
❑ দুজনে একসাথে তাহাজ্জুদ আদায় করা। নেক সন্তান কামনা করা।
©Arifin Al Mahmud
◉ পরিবারে স্বামী হিসেবে ছেলেদের করণীয়ঃ
❑ পরিবারের দায়িত্ব পালনকে ইবাদত মনে করা।
❑ স্বামী হিসেবে নিজেকে পরিবারের প্রধান দায়িত্বশীল মনে করা।
❑ স্ত্রীকে বান্ধবী, জীবনসঙ্গিনী ও ঘরের অধিনস্তদের প্রধান হিসেবে বিবেচনা করা।
❑ পারিবারিক প্রতিটি সিদ্ধান্ত গ্রহণে স্ত্রীর সাথে পরামর্শ করা।
❑ স্ত্রীর ভাল কাজ, অবদান ও কৃতিত্বের প্রশংসা করা।
❑ স্ত্রীর প্রতি বিশ্বস্ত থাকা এবং ভালোবাসা ও অনুরাগ, কথা ও আচরণের মাধ্যমে প্রকাশ করা।
❑ কর্মস্থলের বা বাইরের রাগ, ক্ষোভ, ঘরের স্ত্রী-সন্তান বা গৃহকর্মীর উপর প্রকাশ একদমই না করা।
❑ নিজের ভুল নিঃসঙ্কোচে স্ত্রীর নিকট স্বীকার করা। অন্যায় করলে মাফ চেয়ে নেয়া।
❑ আয় অনুসারে স্ত্রীর প্রয়োজন পূরণ, ছোটখাট উপহার দেয়া ও হাতখরচা প্রদান করা এবং হাতখরচা ব্যয়ের ব্যাপারে জিজ্ঞেস না করা।
❑ স্ত্রীর অর্জিত অর্থ ও সম্পদ ব্যয়ে স্ত্রীকে স্বাধীনতা প্রদান করা।
❑ স্ত্রীর যুক্তি সঙ্গত আবদার পূরণ করা।
❑ নিজের আয় সম্পর্কে প্রথম থেকেই স্ত্রীকে সুস্পষ্ট ধারণা দেয়া ও অবৈধ পন্থায় অর্থোপার্জন না করা।
❑ পেশাগত বা পারিবারিক সংকট দেখা দিলে স্ত্রীর সাথে তা খোলামেলা আলোচনা করা।
❑ আত্মীয়-স্বজনকে উপহার বা সাহায্য করার ব্যাপারে স্ত্রীকে অযৌক্তিক বাধা না দেয়া।
❑ স্ত্রীর আত্মীয়দের নিয়ে তাকে কথা না শোনানো।
❑ স্ত্রীর মা-বাবাকে নিজের মা-বাবার মত শ্রদ্ধা করা।
❑ ঘরের খুঁটিনাটি ব্যাপারে হস্তক্ষেপ না করা। ঘরের কাজে স্ত্রী কে সাধ্যমত সাহায্য করা।
❑ স্ত্রীর ভুল-ত্রুটি নিয়ে সন্তানদের সামনে ভর্ৎসনা না করা।
❑ সপ্তাহে একদিন পুরোপুরি স্ত্রী-কে নিয়ে কাটানো।
❑ ঘরের প্রতিটি কাজ এমনি রান্নাবান্নায়ও পিকনিকের মতো অংশ নেয়া।
❑ স্ত্রীর যে কোন ভুল-ত্রুটিকে সহানুভূতির সাথে বিবেচনা করা।
❑ অন্যের কাছে স্ত্রীর বদনাম না করা।
❑ পেশাগত দক্ষতা অর্জনে সদা সচেষ্ট থাকা।
❑ অর্থ অপচয় না করা। আবেগ প্রসূত কেনাকাটা না করা।
❑ নিজের দোষ খুঁজে বের করার চেষ্টা করা।
❑ স্ত্রীর শারীরিক খোঁজখবর নিয়মিত জিজ্ঞেস করা। অসুস্থ হলে নিজে ডাক্তারের কাছে নিয়ে যাওয়া।
❑ স্ত্রীর যে কোন অভিযোগ মনোযোগ দিয়ে শোনা। কোন প্রস্তাব বা কথায় প্রথমেই না বলা থেকে বিরত থাকা।
❑ স্ত্রীর সাথে খেলাধুলা করা,কৌতুক করা, তাকে বেশি বেশি সময় দেয়া।
❑ মাঝে মাঝে নিজ হাতে রান্না করে স্ত্রীকে খাওয়ানো।
❑ বাইরে কাজ আছে বলে ক্লাব বা বন্ধু-বান্ধবদের সাথে তাস খেলে বা ফালতু আড্ডায় সময় নষ্ট না করে পরিবারের আত্মিক ও মানসিক উন্নতির জন্যে সময় ব্যয় করা।
❑ মাঝে মাঝে স্ত্রীকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়া। অথবা দূরে কোথাও বেড়াতে নিয়ে যাওয়া।
❑ সাধ্য থাকলে প্রতিদিন রাতে বাসায় ফেরার সময় স্ত্রীর জন্য ছোট-খাট উপহার নিয়ে আসা (গোলাপ-চকলেট) ইত্যাদি
❑ স্ত্রীকে নিয়ে একসাথে তাহাজ্জুদ আদায় করা,দু'আ করা।
❑ স্ত্রীকে নিয়ে অন্তত সপ্তাহে একদিন একান্তে সময় কাটানো।আলাদাভাবে সময় দেয়া।
~ Arifin Al Mahmud
Click here to claim your Sponsored Listing.
“আজান”-এর পথচলা
আস-সালামু আলাইকুম।
আজান (اذان) অর্থ আহ্বান। এই আহ্বান কল্যাণের পথে, সফলতার পথে।
দুইটি বিষয়কে সামনে রেখে আজানের পথচলাঃ
১। দাও’আতঃ আল্লাহ্র মনোনীত একমাত্র ধর্ম ইসলাম-ই হচ্ছে চুড়ান্ত সফলতার পথ। তাই সমাজের সর্বস্তরে ইসলামের বাণী ছড়িয়ে দেয়া শুধু ধর্মীয় কর্তব্য-ই নয়, এটা আমাদের মানবিক দায়িত্বও।
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
House# 1/1, Road# 6, Block# C, Mirpur#1
Dhaka
1216
Opening Hours
Monday | 09:00 - 23:00 |
Tuesday | 09:00 - 23:00 |
Wednesday | 09:00 - 23:00 |
Thursday | 09:00 - 23:00 |
Friday | 09:00 - 23:00 |
Saturday | 09:00 - 23:00 |
Sunday | 09:00 - 23:00 |
Road 45, Gulshan 02
Dhaka, 1212
We are the Match-makers (Bride & Groom), living in Dhaka, Bangladesh. We have been doing this job for more than 25 years.
141/1, Sher-e-bangla Road, Mohammadpur
Dhaka, 1207
Sher-E-Bangla Road Kazi Office is a marriage registration office that also provides consultancy services relevant to marriage and divorce issues.
Banasree Central Mosque, Rampura
Dhaka, 1212
We trust, changing to right attitude towards marriage will change lives.
TEJGOAN
Dhaka, 1215
শুধুমাত্র মাছনা, ছুলাছা, রুবা আগ্রহী গন অবশ্বই বিস্তারিত বাইও ডাটা দিবেন,এর বাহিরে যে কেউ ব্লক খাবেন
House: 1/B/1, (3rd Floor), Road:1, Shyamoli
Dhaka, 1207
RightLifePartner.com is an international matrimonial web portal and one of the best online matchmakin
House# 22/a, Road#2, Dhanmondi R/A
Dhaka, 1205
A faithful way of marriage for BrIde & Groom. Asswalamu alaikum,from behalf of Gazi Marriage Media best wishes for all of you ladies & gentleman.I'm very happy to inform you that t...
HM Plaza, Plot-34, Lift-12, Office-08, Road-2, Sector-3, Rajlaxmi, Uttara
Dhaka, 1230
Marriage Media
House 7, Road 18, Sector 12, Uttara
Dhaka, 1230
� biyye.com is a matrimonial site to help bride and groom to find each other for a perfect match for a happy couple life.��
Road No. 20, House No. . . 46, Mohakhali New Dohs
Dhaka
marriage solution services
House: 5/10, 7th Floor, Block: E (Opposite Lalmatia Govt. Mohila College), Lalma
Dhaka, 1207
🎯 Marriage Solution BD is Bangladesh's largest and most trustable matrimonial organization. Marriage Solution BD's philosophy is to change attitudes and change misconceptions about...