Sanatana Seba
ঘরে বসে পূজা, পার্বণ, বিবাহ সহ যে কোন ধর্মীয় আয়োজন এর একমাত্র অনলাইন প্লাটফর্ম।
গৃহে কিংবা মন্দিরে ঠাকুরের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করতে গেলে অনেক নিয়ম মেনে করতে হয়, কারণ শুদ্ধতার একটা ব্যাপারতো থেকেই যায়। অনেকের বাড়িতে হয়তো মন্দির করার মত জায়গা নেই বা ভাড়া থাকেন তাদের জন্য সিংহাসনের কোন বিকল্প নেই!
যে যার সামর্থ অনুযায়ী সিংহাসন কিনে ঠাকুরের বিগ্রহ প্রতিষ্ঠা করে থাকেন। সনাতন সেবায় এখন থেকে আপনারা পেয়ে যাবেন ১২,০০০ টাকা থেকে শুরু করে বিভিন্ন মূল্যের সেগুন কাঠের তৈরী আকর্ষনীয় সিংহাসন।
আপনার পছন্দের সিংহাসনটি অর্ডার করতে ফোন করুন নিচে দেয়া নাম্বারটিতে।
👉 01322842510
সামনেই আসছে আমাদের বিদ্যার ও জ্ঞানের দেবী সরস্বতীর পূজা। আজকাল আমরা প্রায় সব বাড়িতেই দেবী সরস্বতীর পূজা করে থাকি। তাছাড়া সরস্বতী পূজার কথা উঠলেই চলে আসে ছাত্রছাত্রীদের প্রসঙ্গ। কারণ ছাত্রছাত্রীরাই মূলত এই পূজার আয়োজন করে থাকেন। আর এই পূজার জন্য প্রয়োজনীয় সব উপকরণ যোগার করতে গিয়ে যেন আপনাদের আনন্দের একটু ও ঘাটতি না হয় তা বিবেচনা করে মূর্তির উচ্চতা এবং পণ্যের পরিমাপের উপর ভিত্তি করে সনাতন সেবা সাজিয়েছে কয়েকটি প্যাকেজ, যেখান থেকে আপনি বেছে নিতে পারেন আপনার পছন্দের প্যাকেজটি।
আমাদের প্যাকেজে থাকছে পূজার প্রয়োজনীয় প্রায় সব উপকরণ একসাথে এবং সাথে থাকছেন পুরোহিতও। জানিয়ে দিচ্ছি কোন প্যাকেজের মূল্য কেমন হবে।
০১ প্যাকেজ – ৩৪,২৪৫.০০ টাকা, ০২ প্যাকেজ – ২২,৪৮২.০০ টাকা, ০৩ প্যাকেজ – ১২,২০০.০০ টাকা, ০৪ প্যাকেজ- ২২,৭৫০.০০ টাকা।
হিন্দু ধর্মের বিভিন্ন পূজার তারিখ মনে রাখা অত্যন্ত জরুরী। কারণ বাঙ্গালী উৎসব মুখর।কথায় বলে বাঙ্গালীর বারো মাসে তেরো পার্বণ। তাই সকল পূজার তারিখগুলো মনে রাখা খুবই কঠিন। জেনে নিন ২০২৩ (বাংলার ১৪২৯-১৪৩০) সালের সনাতন ধর্মের বিভিন্ন পূজার নির্ভুল তারিখ।
ভালো মন্দ কিছু স্মৃতির মধ্য দিয়ে শেষ হয়ে গেলো ২০২২ সন। বর্ষবরণে মেতে উঠেছে সারা বিশ্ব। সকলেই বছরের এই প্রথম দিনটি বন্ধু-বান্ধব ও পরিবারের সঙ্গে আনন্দ ও উৎসাহের সাথে উদযাপন করছেন। আমরা মনে করি আমাদের সনাতন সেবার প্রতিটি সদস্য আমাদের পরিবারেরই অংশ । নতুন বছরের প্রথম দিনে আমাদের পক্ষ থেকে আপনাদের সকলের জন্য রইলো ২০২৩ সনের শুভেচ্ছা ও শুভ কামনা। নতুন বছর আপনাদের জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি, সুস্বাস্থ্য এবং সাফল্য বয়ে নিয়ে আসুক।
আমরা অনেকেই বলে থাকি কনকাঞ্জলি দেয়া হয় বাবা-মায়ের ঋণ শোধ করার জন্য, আসলেই কি তাই? বাবা মায়ের ঋণ কি কখনও শোধ হয়? নাকি অন্য কোন বিশেষত্ব রয়েছে এর পিছনে? চলুন জেনে নেই__
কনকাঞ্জলি হচ্ছে কনের বিদায় অনুষ্ঠান। যা আনন্দ এবং দুঃখের মিশ্র মুহূর্ত। কারণ এতে নববধূ তার পিতা-মাতা এবং আত্মীয়দের আশীর্বাদ নিয়ে বিদায় নেয় তার স্বামীর সাথে নতুন জীবন শুরু করার জন্য। নববধূকে কিছু চাল দরজার দিকে পিছনে তাঁর মায়ের শাড়ির আঁচলে তিনবার ফেলতে হয় আর বলতে হয় মা-বাবার যাবতীয় ঋণ শোধ করে দিলাম।
হিন্দু ধর্মে কন্যা সন্তানকে ‘মা লক্ষ্মী’-র আরেক রূপ বলা হয়, সে কারণেই হয়তো যখন কন্যা সন্তান জন্মায় অথবা একজন মেয়ে নতুন সংসারে যায় তখন বলা হয় যে বাড়িতে মা লক্ষ্মীর আগমন ঘটেছে। তাঁর উপস্থিতিতে সংসারে সুখ, সমৃদ্ধি, ধন-সম্পদের প্রাচুর্য হয় বলেই মনে করা হয়। বিয়ের পর যখন কনের বিদায়পর্ব চলে এবং মেয়ে তাঁর মা-কে কনকাঞ্জলি দেন, তখন চাল ছুড়ে দেওয়ার প্রথার পিছনে রয়েছে একটি খুব সুন্দর কারণ। মা লক্ষ্মীর হাতে থাকে ধানের ছড়া এবং ধান বা চাল হল সমৃদ্ধির প্রতীক। বাপের বাড়ি থেকে বিদায় নিলেও চাল ছুড়ে কনকাঞ্জলি দিয়ে কনে এটাই বোঝাতে চান যে তিনি নতুন সংসারে গেলেও তাঁর বাপের বাড়ির সকলের সুখ-সমৃদ্ধির কোনও অভাব হবে না। এছাড়া আরও একটি কারণ রয়েছে বলেও অনেকে মনে করেন। চাল পিছন দিকে ছুড়ে কনে তাঁর নতুন সংসারে প্রবেশের আগে সমস্ত কু-দৃষ্টি কাটিয়ে ফেলেন।
বাঙালি বিয়ের অনেকগুলো অনুষ্ঠানের মধ্যে বলা যেতে পারে যে প্রথম ও একটি গুরুত্বপূর্ণ অনুষ্ঠান হল আইবুড়ো ভাত। এই অনুষ্ঠানের অর্থ হলো বিয়ের আগে মেয়েদের শেষবারের মতো অবিবাহিত অবস্থায় আনুষ্ঠানিকভাবে বাপের বাড়িতে খাওয়া।
আইবুড়ো বলতে, বিবাহ পূর্ববর্তী অবস্থাও বুঝায়। বিবাহ পূর্ববর্তী অবস্থাটি ছেলে-মেয়ে উভয়ের ক্ষেত্রেই বুঝায়, তথাপি, বহুকাল আগে থেকেই আইবুড়ো বলতে, অবিবাহিতা মেয়েকেই বুঝানো হতো। এই অনুষ্ঠানের উদ্দেশ্য, মেয়েটি বিয়ের পরে বরের সাথে বরের বাড়িতে চলে যাচ্ছে, এবং বাবার বাড়িতে এতোদিন যে মেয়েটি খাওয়া-দাওয়া করতো, সে মেয়েটি আর নিয়মিত বাবার বাড়িতে খাবে না। সুতরাং, এতোদিন যে বাবার বাড়িতে খেলো, ঠিকভাবে খেলো কি না, খাওয়ার জন্য মেয়ের মনে কোন কষ্ট রয়ে গেলো কি না, এসব অনুভূতি থেকেই বিয়ের আগে এই আইবুড়ো ভাত অনুষ্ঠান।
আইবুড়ো শব্দের অর্থ ও ব্যুৎপত্তি সন্ধান করতে গিয়ে ভিন্ন ভিন্ন তথ্য পাওয়া যায়। হরিচরণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের অভিধানে ‘আইবুড়ো’ শব্দটির উৎসে বলা হচ্ছে, এই শব্দটি এসেছে সংস্কৃতি “অব্যূঢ়” শব্দ থেকে যার অর্থ হচ্ছে অবিবাহিত কিন্তু প্রখ্যাত ভাষাবিদ অধ্যাপক সুকুমার সেন মনে করেন, কথ্য এই শব্দে, সংস্কৃতির “অব্যূঢ়” শব্দের সঙ্গে ‘আইবুড়ো’ শব্দটিরও উৎস সংস্কৃতি, তবে সেই সংস্কৃতি শব্দটি হলো ‘আয়ু বৃদ্ধি‘।
আবার হিন্দু বিবাহ রীতিমতে বিয়ের অব্যবহিত আগে বিয়ের পাত্র বা পাত্রিকে যে ভাত অর্থাৎ বিশেষ আহার পরিবেশন করে, গুরুজনেরা ধান, দূর্বা দিয়ে আশীর্বাদ করে তার দীর্ঘ আয়ু কামনা করে, সেই মাঙ্গলিক অনুষ্ঠানকে ‘আইবুড়ো ভাত’ বলে। নামকরনের সৃষ্টি অনুসন্ধান করতে গিয়ে আইবুড়ো শব্দের উৎপত্তিতে শ্রদ্ধেয় সুকুমার সেনের মতবাদই সর্বজনগ্রাহ্য বলে অনুমিত হয়।
আয়ু কথ্য ভাষায় পরিবর্তিত হয়ে ‘আই’। আর বাড়িতে বিশেষ করে যৌথ পরিবারে বড় অর্থাৎ অগ্রজ পুত্র সন্তানকে বুড়ো বলেই ডাকার চল ছিল। এইভাবে আয়ু বৃদ্ধি কথ্য ভাষার ক্রমে ক্রমে পরিবর্তিত হয়ে আইবুড়ো রুপ ধারন করে।
বিজয়ের চেয়ে আনন্দ আর কোথাও নেই। স্বাধীনতার চেয়ে সুখও আর কোথাও নেই। আমরা বিজয় এবং স্বাধীনতা দুটোই পেয়েছি।
আর সেই বিজয় এবং স্বাধীনতার আনন্দ উপভোগ করছি জাতি, ধর্ম, বর্ণ, নির্বিশেষে ৫১ বছর ধরে। ৫২ তম মহান বিজয় দিবস উপলক্ষে আমাদের সনাতন সেবার সকল সদস্য, অনুসারী, এবং দেশের সকল সম্প্রদায়ের মানুষকে জানাই মহান বিজয় দিবসের শুভেচ্ছা।
মঙ্গল সূত্রের আক্ষরিক অর্থ "একটি শুভ সুতো" যা কনের গলায় পরিয়ে দেওয়া হয়।
মঙ্গলসূত্র হিন্দুধর্মে অত্যন্ত পবিত্র বলে মনে করা হয়। হিন্দু বিবাহিত মহিলারা মঙ্গলসূত্র পরে থাকেন। যদিও বাঙালিরা বিয়ের পর মঙ্গলসূত্র নয়, শাঁখা-পলা পরে থাকেন, তবে আজকাল অনেক বাঙালি মহিলার গলাতেও মঙ্গলসূত্র দেখা যায়। মঙ্গলসূত্র এক ধরনের গয়না হলেও এটি বিবাহিত মহিলাদের অঙ্গে থাকা অত্যন্ত শুভ একটি উপকরণ।
ধর্মীয় এবং জ্যোতিষশাস্ত্রের দিক থেকেও মঙ্গলসূত্রের বিশেষ তাৎপর্য রয়েছে। বিবাহিত মহিলারা স্বামীর মঙ্গল কামনা করে মঙ্গলসূত্র পরে থাকেন। এটি মহাদেব ও পার্বতীর সঙ্গে সম্পর্কযুক্ত। জেনে নিন মঙ্গলসূত্র সম্পর্কে অনেক অজানা তথ্য।
আদি শঙ্কর তাঁর বিখ্যাত গ্রন্থ সৌন্দর্য লহরীতে মঙ্গলসূত্রের তাৎপর্য পুনর্ব্যক্ত করেছেন। হিন্দু রীতি অনুসারে স্বামীর দীর্ঘায়ু কামনায় মঙ্গলসূত্র পরা হয়। ধর্মীয় রীতিনীতি এবং সামাজিক প্রত্যাশা অনুসারে, বিবাহিত মহিলাদের সারা জীবন ধরে মঙ্গলসূত্র পরিধান করা উচিত কারণ বিশ্বাস করা হয় যে এর ফলে তার স্বামীর মঙ্গল হয়। প্রাচীনকালে বিবাহের গহনাগুলি বার্ধক্য এবং বৈধব্যের সময়ে আর্থিক সুরক্ষা দিত, কারণ সম্পত্তির ওপর মহিলাদের কোনও অধিকার ছিল না।
মনে করা হয় মঙ্গলসূত্রের কালো সুতো স্বামীর জীবন অশুভ শক্তি থেকে রক্ষা করে এবং তাঁর আয়ুবৃদ্ধি করে। মঙ্গলসূত্র সোনা দিয়ে বাঁধিয়ে পরার রীতি প্রচলিত রয়েছে। এর ফলে জন্মকোষ্ঠীতে বৃহস্পতির অবস্থান ভালো হয় বলে মনে করা হয়। বৃহস্পতির শুভ প্রভাবে যে মহিলা মঙ্গলসূত্র পরেন, তাঁর জীবনে প্রেম ও মাধুর্য বজায় থাকে এবং তাঁর স্বামীর আয় বৃদ্ধি হয়।
তথ্যসূত্রঃ
https://bn.wikipedia.org/wiki/%E0%A6%AE%E0%A6
https://eisamay.com/astrology/daily-bengali-horos
https://www.google.com/search?rlz=1C1ONGR_enBD103
আমাদের হিন্দুদের মেয়ে বিয়ের জন্য যেমন লম্বা একটা ফর্দ রয়েছে তেমনি ছেলে বিয়ের জন্যও রয়েছে লম্বা একটি ফর্দ। যেগুলো যোগাড় করতে আমাদের ছুটতে হয় বিভিন্ন জায়গায়। তাই আপনাদের সুবিধার্থে ৪০ টিরও বেশি পণ্য নিয়ে আমরা সাজিয়েছি দুইটি প্যাকেজ।
আমাদের প্যাকেজে থাকছে বিয়ের প্রয়োজনীয় সব উপকরন একসাথে। জানিয়ে দিচ্ছি কোন প্যাকেজের মূল্য কেমন হবে।
০১ প্যাকেজ- ৬২০০ টাকা, ০২ প্যাকেজ – ৫৮০০ টাকা।
আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন ০১৩২২৮৪২৫১০ এই নাম্বরটিতে অথবা আমাদেরকে ইনবক্স করুন ধন্যবাদ।
আপনি কি জানেন হিন্দু নারীরা শাঁখা-সিঁদুর পরেন কেন ? আসুন জেনে নেই এ বিষয়ে সনাতন ধর্মের কি ব্যাখ্যা___
সনাতন ধর্ম অনুযায়ী সিঁদুর হল বিবাহিত মহিলার প্রতীক। মনে করা হয় সন্তানের মঙ্গলের জন্যই মেয়েরা সিঁদুর পরেন। সেই সঙ্গে এটাও মনে করা হয় যে স্ত্রীর সিঁদুর যে কোন বিপদের হাত থেকে স্বামীকে রক্ষা করতে পারে। যদিও শাস্ত্রমতে এই সব আচার বিধির সঠিক কোন কারণ নেই। সিঁদুর না পরলেই যে অমঙ্গল হবে কিংবা বিবাহিত মেয়েদের সিঁদুর পরতেই হবে এমন কিন্তু কোথাও লেখা নেই। প্রজাপ্রতি ব্রহ্মার প্রতি শপথ করেই বিয়ের অনুষ্ঠানে যজ্ঞের পর সিঁদুর দানের অনুষ্ঠান হয়। যে কারণে সিঁথির সিঁদুরকে এত পবিত্র বলে মনে করা হয়। অনেকেই মনে করেন স্বামী-স্ত্রীর মধ্যেকার বন্ধন রক্ষা করে সিঁদুর। শাঁখা, সিঁদুর, ও লোহা ব্যাবহারের তিনটি কারণ হচ্ছে আধ্যাত্মিক, সামাজিক এবং বৈজ্ঞানিক।
১। আধ্যাত্মিক কারণঃ শাঁখার সাদা রং _স্বত্ব, সিঁদুরের লাল রং _রজঃ, লোহার কালো রং- তম গুনের প্রতিক। সংসারী লোকেরা তিনটি গুনের অধিন হয়ে সংসারধর্ম পালন করে থাকেন।
২। সামাজিক কারনঃ এই তিনটি জিনিস পরিধান করলে প্রথম দৃষ্টতেই জানিয়ে দেয় এই রমণী একজন পুরুষের আভিবাবকত্বে আছেন। স্বামীর মঙ্গল চিহ্নতো অবশ্যই এই শাঁখা সিঁদুরের আবরনে।
৩। বৈজ্ঞানিক কারনঃ রক্তের তিনটি উপাদান_ শাখায় ক্যালসিয়াম, সিঁদুরে মার্কারি বা পারদ, এবং লোহায় আয়রন আছে। রক্তের এই তিনটি উপাদান মেয়েদের মাসিক রজস্রাবের সাথে বের হয়ে যায়। এই তিনটি জিনিস নিয়মিত পরিধানে রক্তের সেই চাহিদা পূরণে সহায়তা করে। ঋষিগণ সনাতন ধর্মের প্রতিটি আচার অনুষ্ঠানেই বৈজ্ঞানিক প্রয়োজনীয়তাকে প্রাধান্য দিয়ে আচার বা অনুষ্ঠানের ব্যাবস্থা করেছেন।
তথ্যসূত্রঃ
https://www.anandabazar.com/horoscope/articles/why-should-
https://eisamay.com/lifestyle/relationship/why-sindoor-is
https://m.facebook.com/krishnakatha.c
** সনাতন ধর্মের মেয়েদের বিবাহের পন্যের ফর্দ এর বিভিন্ন প্যাকেজ **
সনাতন ধর্মাবলম্বীদের বিয়ে মানেই বিশাল এক পন্যের ফর্দ। আর এই পণ্যগুলো কখনো এক জায়গা থেকে কেনা সম্ভব হয়না বলে আমাদেরকে যেতে হয় বিভন্ন জায়গায়। এতে করে নষ্ট হয় আমাদের মুল্যবান সময়ও।
তাই এই সমস্যা সমাধানের জন্য আমরা ৮০ টির বেশী পন্য নিয়ে সাজিয়েছি তিনটি প্যাকেজ। যেখানে সবাই সাধ্য অনুযায়ী পছন্দের প্যাকেজটি বেছে নিতে পারবেন।
আমাদের প্যাকেজে থাকছে বিয়ের প্রয়োজনীয় সব উপকরন একসাথে। জানিয়ে দিচ্ছি কোন প্যাকেজের মূল্য কেমন হবে।
০১ প্যাকেজ - ২০৫০০ টাকা, ০২ প্যাকেজ - ১৫০০০ টাকা, ০৩ প্যাকেজ - ১৪০০০ টাকা
আমাদের সার্ভিস সম্পর্কে বিস্তারিত জানতে কল করুন ০১৩২২৮৪২৫১০ এই নাম্বারটিতে অথবা আমাদেরকে ইনবক্স করুন ধন্যবাদ।
আপনি কি জানেন হিন্দু শাস্ত্র মতে বিয়েতে কেন সাত পাকে ঘুরতে হয়? কী এমন মাহাত্ম্য রয়েছে প্রতিটি পাকের পিছনে ? চলুন জেনে নেই বিস্তারিত__
আমরা সকলেই জানি, বিয়ের সময় বর-বধূকে আগুনের চারপাশে সাত বার ঘুরতে হয়। একে সাত পাকে বাঁধা পরা বলা হয়। এই নিয়মের বিশেষ একটি কারণ আছে। আগুনের চারপাশে সাত পাক ঘোরে অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রেখে সারা জীবনের জন্য কিছু অঙ্গিকার করা হয়। অগ্নি দেবতাকে সাক্ষী রাখা হয় কারণ সাত পাক ঘুরে যে অঙ্গিকারগুলি নেওয়া হয়, তার যেন কোনও অমর্যাদা না হয়। সারা জীবন যেন একে অপরের প্রতি দায়িত্ব, কর্তব্য, সত্য, সমর্থন, দুঃখ-কষ্ট জীবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত পালন করে যেতে পারে। চলুন তাহলে জেনে নেয়া যাক প্রতিটি পাকের মাহাত্ম্যঃ
১। প্রথম প্রতিশ্রুতি- পবিত্র অগ্নির সামনে দাঁড়িয়ে বর, কনেকে কথা দেন যে বিয়ের দিন থেকে কনের ভরণ-পোষণের দায়িত্ব তাঁর। অগ্নি এবং অন্যান্য দেবদেবীর আশীর্বাদে যাতে কোনওদিনই নব-দম্পতির অন্ন-বস্ত্রের অভাব না হয় সেই দায়িত্ব বর নেন। উত্তরে কনে প্রতিজ্ঞা করেন যে সংসারের সুখের জন্য খুটিনাটি বিষয়ও তিনি নজরে রাখবেন। অর্থাৎ প্রথমে বর তাঁর বউ এবং তাঁর ভাবী সন্তানদের যত্ন নেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন। বিনিময়ে কনেও প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তাঁর স্বামী এবং তাঁর পরিবারের যত্ন নেবেন।
২। দ্বিতীয় প্রতিশ্রুতি- সাত পাকের দ্বিতীয় পাক ঘোরার সময়ে বর-কনে একে অন্যকে প্রতিজ্ঞা করেন যে তাঁরা জীবনের সব ওঠাপড়ায় একে অন্যের সঙ্গে থাকবেন। বর কনেকে বলেন যদি কখনও কোনও বিপদ আসে, তা হলে তিনি তাঁর স্ত্রী-সন্তানদের রক্ষা করবেন। আবার উত্তর কনে বরকে কথা দেন যে, সব সময় তিনি তাঁর স্বামীকে সাহস ও শক্তি যোগাবেন। অর্থাৎ এবার বর প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তাঁর স্ত্রীকে সবরকম পরিস্থিতি থেকে রক্ষা করবেন। বিনিময়ে কনেও প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি স্বামীর সবরকম যন্ত্রণায় পাশে থাকবেন।
৩। তৃতীয় প্রতিশ্রতি- তৃতীয় পাকে বর এবং কনে একে অন্যের পার্থিব সুখের দিকে নজর দেবেন বলে প্রতিজ্ঞা করেন। তবে একইসঙ্গে আবার আধ্যাত্মিক পথেও হাটবেন বলেও একে অপরকে কথা দেন। অর্থাৎ এবার বর প্রতিশ্রুতি দেন যে তিনি তাঁর পরিবারের জন্য রোজগার করবেন এবং তাঁদের দেখভাল করবেন। একই প্রতিশ্রুতি এবার কনেও করেন।
৪। চতুর্থ প্রতিশ্রুতি- সাত পাকের চতুর্থ পাক ঘোরার সময়ে বর কনেকে কথা দেন যে সর্বাঙ্গে তিনি তাঁর স্ত্রীয়ের সম্মান রক্ষা করবেন এবং কনে বরের কাছে প্রতিজ্ঞা করেন যে সারাজীবন তিনি তাঁর স্বামীক ভালবাসবেন, অন্য সব পুরুষরা তাঁর কাছে গৌন। অর্থাৎ স্ত্রীর কাছে তাঁর পরিবারের সমস্ত দায়িত্ব তুলে দেওয়া এবং একইসঙ্গে স্ত্রীর সমস্ত মতামতকে গুরুত্ব দেওয়ার প্রতিশ্রুতি দেন বর। স্ত্রী তাঁর সমস্ত দায়িত্ব ঠিকভাবে পালন করার প্রতিশ্রুতু দেন।
৫। পঞ্চম প্রতিশ্রুতি- একে অন্যকে সব সময় ভালবাসা এবং সম্মান করার প্রতিজ্ঞা হয় সাত পাকের পঞ্চম পাকটিতে। বর-কনে একসঙ্গে দেবদেবীর কাছে প্রার্থনা করেন যাতে তাঁদের সংসার আনন্দে ও সমৃদ্ধিতে পূর্ণ হয়ে ওঠে, তাঁদের সন্তান/রা যেন সুস্থ থাকে। বর এবং কনে একে অপরের সবচেয়ে কাছের বন্ধু হয়ে ওঠার অঙ্গিকারও করেন। অর্থাৎ যে কোনও গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে স্ত্রীর সঙ্গে আলোচনা করার প্রতিশ্রুতি দেন বর। স্বামীকে সমর্থন করার প্রতিশ্রুতি দেন স্ত্রী।
৬। ষষ্ঠ প্রতিশ্রুতি- ষষ্ঠ পাক নেওয়ার সময়ে সারা জীবন একে অপরের প্রতি সত্য থাকবেন – এই প্রতিজ্ঞাই করেন বর এবং কনে। অর্থাৎ স্ত্রীর প্রতি সত্য থাকার প্রতিশ্রুতি দেন স্বামী। স্ত্রীও স্বামীর প্রতি সত্য থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
৭। সপ্তম প্রতিশ্রুতি- সাত পাকের শেষ পাকটি নেওয়ার সময়ে বর বলেন, এখন থেকে আমরা স্বামী-স্ত্রী হলাম। এখন থেকে আমরা এক। কনেও তাতে সহমত দেন। অর্থাৎ শুধু স্বামী হিসেবেই নয়, বন্ধু হিসেবেও সারাজীবন স্ত্রীর সঙ্গে থাকার প্রতিশ্রুতি দেন বর। বিনিময়ে স্ত্রীও স্বামীর সঙ্গে জাবনের শেষ মুহূর্ত পর্যন্ত থাকার প্রতিশ্রুতি দেন।
এই প্রতিশ্রুতিগুলো পরস্পরের প্রতি বহন করতে হয় বলেই হিন্দু বিয়ের শাস্ত্রীয় নাম হলো ‘বিবাহ’, অর্থাৎ ‘বিশেষভাবে বহন করা’। তাই হিন্দু বিয়ে মানেই আজীবনের সুরক্ষা ও অবিচ্ছেদ্য সুখ-শান্তির প্রতিশ্রুতি।
বিয়ে মানে হচ্ছে একটি সামাজিক বন্ধন বা বৈধ চুক্তি যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে দাম্পত্য সম্পর্ক স্থাপিত হয়। বিভিন্ন দেশে সংস্কৃতি ভেদে বিবাহের সংজ্ঞার তারতম্য থাকলেও সাধারনভাবে বিয়ে এমন একটি প্রতিষ্ঠান যার মাধ্যমে দুজন মানুষের মধ্যে সম্পর্কের সামাজিক স্বীকৃতি লাভ করে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক সনাতন ধর্মের বিয়ের বিভিন্ন প্রথার শাঁখা উপশাখার কথা!
বাঙালি ব্রাহ্মণ সমাজে পাঁচটি শাখা রয়েছে — রাঢ়ী, বারেন্দ্র, বৈদিক, সপ্তশতী ও মধ্যশ্রেণী। বাঙালি কায়স্থ সমাজে রয়েছে চারটি শাখা — উত্তর রাঢ়ী, দক্ষিণ রাঢ়ী, বারেন্দ্র ও বঙ্গজ।
এই সকল বর্ণ এবং তাদের শাখা ও উপশাখাগুলির মধ্যে বিবাহ প্রথায় দুটি বিভাগ দেখা যায় — বৈদিক ও লৌকিক। লৌকিক প্রথাগুলি মেয়েলি আচার। এই কারণে এগুলি ‘স্ত্রী আচার’ নামে পরিচিত। বৈদিক আচারে সাম, যজুঃ ও ঋক্ বেদত্রয়ের অনুসরণকারী ব্রাহ্মণদের মধ্যে বিবাহ প্রথায় আবার সামান্য পার্থক্য দেখা যায়।
হিন্দু বিবাহের বৈদিক আচারগুলির মধ্যে অপরিহার্য হল কুশণ্ডিকা, লাজহোম (লাজ বা খই দিয়ে যজ্ঞানুষ্ঠান), সপ্তপদী গমন, পাণিগ্রহণ (কন্যার পাণি অর্থাৎ হস্ত গ্রহণ), ধৃতিহোম (ধারণ করার অর্থাৎ কন্যাকে ধরে রাখার যজ্ঞ) ও চতুর্থী হোম। এছাড়া পালিত হয় অরুন্ধতী নক্ষত্র দর্শন, ধ্রুব নক্ষত্র দর্শন, শিলারোহণ ইত্যাদি কয়েকটি বৈদিক প্রথাও। বৈদিক প্রথাগুলি বিধিবদ্ধ শাস্ত্রীয় প্রথা ও বিবাহের মূল অঙ্গ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
House 33A, Floor 05, Road 04, Dhanmondi Residential Area, Dhaka/
Dhaka
1205
Dhaka, 1229
This is a initiative to sell quality fashion products both imported and domestic. Our target is to sell quality fashion products in an affordable price for everyone.
Pabna House, 152, Shantinagar Bazar Road (Ground Floor)
Dhaka, 1217
We are an Export Quality Leather Goods Manufacturer, Exporter, Wholesaler & Order Supplier. Our Prod
House # 18, Block # K, Main Road, South Bansree
Dhaka
Premium Quality Fruits, Dates, Dry fruits & Food Items Importer & Distributer.
Nawabpur Road
Dhaka
Deals in : V-belt, Fan belt, Timing belt & all kind of industrial belt.
Shop-17 (2nd Floor) New Super D Block Market
Dhaka, 1205
We provide better ladies dress collection with reasonable price... Best quality is our Capital.. Customer's satisfaction is our profit....
271/1 Elephant Road
Dhaka, 1205
ভাই ভাই ফোম হাউস।ভালো মানের পর্দা ও সোফা কাপর। ফোম এবং Matters. Bhai Bhai Foam House ২৭১/১ Elephant Road Dhaka - 1205
795 Mirpur
Dhaka, 1216
We wholesale baby desk table in bangladesh. collect from manufacturing company.