Md Akram Hossain
সততা, নীতি ও আদর্শ নিয়ে অবিরাম পথ চলা।
দেশব্যাপি তারুণ্যের সমাবেশকে শুভেচ্ছা জানিয়ে তরুণ জাতীয়তাবাদী নেতা-কর্মীদের পক্ষ থেকে স্বাগত মিছিলে Md Rakibul Islam Rakib ভাইয়ের নেতৃত্বে বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
১১ আগষ্ট ২০২২ বিক্ষোভ সমাবেশে।
১৫ আগস্টের পটপরিবর্তনের পেছনে জিয়াউর রহমানকে অনেকেই অনুমান-নির্ভর মূল্যায়ন করে থাকেন। দু’টি ঘটনা উল্লেখ করে বলা যায়, পটপরিবর্তনের কর্মকান্ডে তাঁর সম্পৃক্ততা ছিলো না মর্মে যৌক্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায়। (১) প্রথম ঘটনাটি হলো, ঢাকার ৪৬ ব্রিগেড কমান্ডার কর্নেল সাফায়াত জামিল ১৫ আগস্টের ট্র্যাজেডির পরে ঐ বিষয়ে অবহিত করার পরও জিয়া’র মধ্যে রাষ্ট্রীয় ক্ষমতা দখল করার কোনো ধরনের লক্ষণ কিংবা আগ্রহ পরিলক্ষিত হয়নি বরং অতি সংক্ষেপে বিধান অনুযায়ী রাষ্ট্র পরিচালনার পক্ষেই তিনি মত প্রকাশ করেন (কর্নেল শাফায়াত জামিল (২০০৯), একাত্তরের মুক্তিযুদ্ধ রক্তাক্ত মধ্য-আগস্ট ও ষড়যন্ত্রময় নভেম্বর, সাহিত্য প্রকাশ, ঢাকা, পৃ- ১০৩)। (২) দ্বিতীয় ঘটনাটি ঘটে জিয়াউর রহমান সেনাপ্রধান হবার পর। ১৫ আগস্ট ১৯৭৫, সাফায়াত জামিল জিয়া’র কক্ষে বসে আছেন। এমন সময় সদ্য পদোন্নতি পাওয়া এবং সরকারি আদেশে দিল্লিতে অবস্থানরত মেজর জেনারেল এরশাদ সেনাবাহিনী প্রধান জিয়াউর রহমানের কক্ষে প্রবেশ করেন। এরশাদকে দেখে জিয়াউর রহমান রেগে গিয়ে উচ্চস্বরে বলেন, ‘আপনি অনুমতি ছাড়া কেন দেশে ফিরে এসেছেন?’ জবাবে এরশাদ বলেন, ‘আমার স্ত্রীর জন্য গৃহভৃত্য নিতে এসেছি।’ ততোধিক রেগে গিয়ে জিয়াউর রহমান বলেন, ‘আপনার মতো সিনিয়র অফিসারদের এ ধরনের লাগামহীন আচরণের জন্যই জুনিয়র অফিসাররা রাষ্ট্র প্রধানকে হত্যা করে দেশের ক্ষমতা দখলের মতো কাজ করতে পেরেছে’ (কর্নেল শাফায়াত জামিল (২০০৯), পৃ-১২০-১২১)। একইসঙ্গে তিনি এরশাদকে বঙ্গভবনে যেতে নিষেধ করেন এবং পরের ফ্লাইটেই দিল্লি যেতে নির্দেশ প্রদান করেন। নির্দেশ অমান্য করে ঐ রাতে এরশাদ বঙ্গভবনে যান এবং অনেক রাত পর্যন্ত সেখানে অবস্থানরত অভ্যুত্থানকারীদের সঙ্গে বৈঠক করেন।
১৯৭৫-এর ১৫ আগস্টে পট পরিবর্তনের পর রাষ্ট্রীয় ক্ষমতায় অধিষ্ঠিত হন খোন্দকার মোশতাক এবং সামরিক আইন জারি করেন। সংবিধান বলবৎ রাখলেও সংশোধনী এনে নাগরিক অধিকারের পরিধি আশংকাজনকভাবে সংকুচিত করেন। রাষ্ট্রপতি মোশতাক আহমেদ ২৬ সেপ্টেম্বর ১৯৭৫-এ ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করার মাধ্যমে ১৫ আগস্টে অভ্যুত্থান ও হত্যাকান্ডে জড়িত সেনা কর্মকর্তাদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার ব্যবস্থা করেন। এই আদেশে বলা হয়, ১৫ আগস্ট অভ্যুত্থানের সঙ্গে জড়িত কারও বিচার করা যাবে না (মহিউদ্দিন আহমদ, ২০১৭, পৃ-৬৪)। অধিকন্তু কর্নেল সাফায়াত জামিলের ভাষ্য অনুযায়ী, তার প্রবল বিরোধিতা সত্ত্বেও খোন্দকার মোশতাক অভ্যুত্থান ও হত্যাকান্ডে জড়িত মেজর রশীদ, ফারুক ও ডালিমকে লে. কর্নেল হিসেবে পদোন্নতির ব্যবস্থা করেন (সাফায়াত জামিল, ২০০৯, পৃ-৭)। এই ঘটনা প্রমাণ করে, জিয়াউর রহমানের বিরুদ্ধে ইনডেমনিটি অধ্যাদেশ জারি করে ১৫ আগস্টের অভ্যুত্থানকারী ও হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িতদের আইনি সুরক্ষা দেয়ার অভিযোগ সর্বৈব মিথ্যা।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে, কেন অভ্যুত্থানকারীরা ১৫ আগস্টের মর্মান্তিক হত্যাকান্ড সংঘটিত করলো? অনেকেই মনে করেন, এর পেছনে যে কারণগুলো রয়েছে, এর মধ্যে অন্যতম প্রধান কারণ হলো তৎকালীন সরকার ও রাজনীতি সম্পর্কে সেনাবাহিনীর মধ্যে তৈরি হওয়া নেতিবাচক মনস্তত্ত্ব। স্পষ্ট ভাষায় বললে, তৎকালীন সামরিক বাহিনীর প্রতি অবহেলা ও ভারতীয় আধিপত্যের প্রতি প্রশ্নহীন আনুগত্য তারা ভালোভাবে গ্রহণ করেননি। ১৯৭৪ সালে অ্যান্থনি মাসকারেনহাসকে দেয়া এক সাক্ষাৎকারে বাংলাদেশে একটি শক্তিশালী সেনাবাহিনী তৈরি করার বিরুদ্ধে মন্তব্য করতে গিয়ে তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘আমরা পাকিস্তান সেনাবাহিনীর মতো একটা দানব সৃষ্টি করতে চাই না’ (মাসক্যারেনহাস, অ্যান্থনি, ২০০২), বাংলাদেশ রক্তের ঋণ, অ খধমধপু ড়ভ ইষড়ড়ফ-এর ভাষান্তর, অনুবাদ : মোহাম্মদ শাহজাহান, হাক্কানী পাবলিশার্স, ঢাকা, পৃ-৩৮-৩৯)। এর বিপরীতে তিনি রক্ষীবাহিনী নামের একটি আধাসামরিক বাহিনী তৈরি করেন; প্রথমে পুলিশের এটি সহায়ক বাহিনী হলেও পরে এই বাহিনীকে ক্ষমতা দেয়া হয়, যা দিয়ে তারা যে কাউকে গ্রেফতার করতে পারতো এবং অনেকেই মনে করেন তাদের ব্যবহার করা হতো আওয়ামী লীগের সমালোচকদের বিরুদ্ধে (প্রাগুক্ত)। এর সঙ্গে যুক্ত হয় বাকশাল নামের একদলীয় শাসন ব্যবস্থা, যা ব্যাপকভাবে সমালোচিত ও নিন্দিত হয়েছে। রাষ্ট্রপ্রধানের আস্থাভাজন তৎকালীন সেনাবাহিনীর চিফ অব স্টাফ মেজর জেনারেল কে এম সফিউল্লাহ এ ধরনের পদক্ষেপ সেনাবাহিনী ও জনগণের মধ্যে ক্ষোভ ও অসন্তোষ তৈরি হচ্ছে বিধায় তাঁকে অবহিত করার তাগিদ বোধ করেন। এ ব্যাপারে ভোরের কাগজের (তৎকালীন) সম্পাদক মতিউর রহমানকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সফিউল্লাহ বলেছেন, স্যার, ‘সারা জীবন গণতন্ত্রের জন্য লড়াই করেছেন। হঠাৎ করে এক পার্টিতে কেন যাচ্ছেন?’ তিনি বললেন, ‘সফিউল্লাহ, তুমি বুঝবে না আমার ওপর বিশ্বাস রাখো’ ( ভোরের কাগজ, ১৫ ও ১৬ আগস্ট, ১৯৯৩)।
সফিউল্লাহ এক্ষেত্রে আরও মন্তব্য করেন, ‘মনে হয় এসব কিছুর পরও যদি রক্ষিবাহিনী সামনে না আসতো, সেনাবাহিনী সেগুলো মেনে নিতো (প্রাগুক্ত)। সেনাবাহিনীর প্রতি আওয়ামী লীগের মনোভাব অগ্রহণযোগ্য ছিলো মর্মে মন্তব্য করেছিলো আওয়ামী লীগের পরীক্ষিত মিত্র বাংলাদেশ কমিউনিস্ট পার্টি (সিপিবি)। তাদের মূল্যায়নে বলা হয়Ñ ‘আমাদের দেশের সামরিক বাহিনীর জন্ম ও ভিত্তি তৈরি হয়েছে স্বাধীনতার মতো সশস্ত্র মুক্তিযুদ্ধের মধ্য দিয়ে পাকিস্তান আমলে সামরিক বাহিনীর যে দৃষ্টিভঙ্গি ছিলো, স্বাধীন বাংলাদেশের সামরিক বাহিনীর প্রতি আমাদের পক্ষ থেকে তেমন বৈরীসুলভ দৃষ্টি গ্রহণ করা খুবই ক্ষতিকর হবে (বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টি, ১৯৭৯, ‘জাতীয় গণতান্ত্রিক বিপ্লব এবং আমাদের পার্টির ভূমিকা ও করণীয়’, কেন্দ্রীয় কমিটির সভায় গৃহীত, পৃ-১৪-১৫)’। ১৫ আগস্টে অভ্যুত্থানকারী ও আত্মস্বীকৃত হত্যাকারীদের নিজস্ব বয়ানের (জনগণ এ বিষয়ের উপর রচিত বিভিন্ন গ্রন্থ ও মিডিয়ায় প্রচারিত সংবাদ মাধ্যমে যথেষ্টই অবগত হয়েছেন) পাশাপাশি উপরোল্লিখিত ঘটনাবলী বিশ্লেষণের আলোকে এই সিদ্ধান্তে উপনীত হওয়া যায় যে, ’৭৫-এর পট পরিবর্তনের সঙ্গে জিয়াউর রহমানের কোনো সংশ্লিষ্টতা নেই বলে প্রমাণিত হয়। সুতরাং এ ব্যাপারে তাঁকে দায়ী করা বক্তব্য কিংবা লেখনি ভ্রান্ত অনুমাননির্ভর, অযৌক্তিক ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত।
রণাঙ্গনের জিয়া থেকে রাষ্ট্রনায়ক জিয়া : বাংলাদেশী জাতীয়তাবাদী রাজনৈতিক দর্শনের সুরতহাল, অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ কামরুল আহসান, দর্শন বিভাগ, জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়। (দৈনিক দিনকাল, প্রকাশ: ১১:৪২ পিএম, ২ জুন, বুধবার,২০২১ )|
তারণ্যের অহংকার, আগামীর রাষ্ট্রনায়ক জনাব তারেক রহমান।
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতি ও সর্বগ্রাসী দুর্নীতির প্রতিবাদে প্রতিকী অনশনে, বিএনপি-ঢাকা মহানগর (উত্তর-দক্ষিণ)অংশগ্রহণে জাতীয়তাবাদী ছাত্রদল।
“আমরা নির্বাচন চাই নিরপেক্ষ সরকারের অধীনে এবং নির্বাচনের পরে- যারা নির্বাচনে জিতবে, যারা নির্বাচনে জিতবে না কিন্তু গণতন্ত্রের পক্ষের, জনগণের পক্ষের প্লাটফর্মে এসে যারা দাঁড়াবেন, সকলকে একসাথে নিয়ে আমরা জাতীয় সরকার গঠন করবো।”
- দেশনায়ক জনাব তারেক রহমান
পুরাতন এলবাম।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
1212
Street No :03
Dhaka, DHAKA-1230
Dr. Abdul Mannan Choudhury is an academic, media personality, politician, and freedom fighter,
40/1A, West Tolarbag, Mirpur-1
Dhaka, 1216
#TeamHAPPY #ChangeForWell #ChangeForTommorow #Mirpur #Dhaka14 #কাজীহ্যাপী #ভ?
Savar
Dhaka
সাবেক সভাপতি. মোচনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ. সদস্য. বাটিকামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ. মুকসুদপুর. গোপালগঞ্জ.
Dhaka
আহবায়ক ফেনী জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। Convener Feni District Bangabandhu Foundation.