Ahammed and Law Associates
Nearby finance companies
122 West kafrul, agargaon
Dhaka
Motijheel
Dhanmondi
Shadhinata Tower, 1, Bir Sreshtha Shaheed Jahangir Gate, Dhaka Cantonment
1207
Lisbon 9696
Shahidbagh
Motijheel Road
Bangabandhu Avenue
1212
Income Tax, Company, Civil & Criminal Law Consultant, (BD Tax information and solutions services)
আপনি কি Income tax রিটার্ন নির্ভুল ও সঠিকভাবে দাখিলের জন্য অভিজ্ঞ ,নির্ভরযোগ্য ও বিশ্বস্ত Professional Tax Lawyer এর সহযোগিতা চান?
আয়কর রিটার্ন দাখিলের জন্য অভিজ্ঞ ,নির্ভররযোগ্য ও বিশ্বস্ত " ল' " ফার্ম বেছে নিয়ে থাকুন নিশ্চিন্তে।
Ahammed and Law Associates এর অভিজ্ঞ Income Tax Lawyer ও Tax Consultant টিম আপনার সহযোগিতায় সর্বদা প্রস্তুত।
বিশ্বস্ততা ও সফলতার সাথে করদাতা গনের সেবা প্রদানকারী প্রতিষ্
বাংলাদেশের জাতীয় বাজেট-২০২৩ এর নির্দেশনা অনুযায়ী দাখিলকৃত রিটার্নের প্রাপ্তি স্বীকার পত্র বা দাখিলকৃত রিটার্নের প্রমাণপত্র ছাড়া নিজ নামে ক্রয়কৃত জমি, গাড়ি, ফ্ল্যাট-বাড়ি, পার্টনারশিপ ও কোম্পানি দলিল রেজিস্ট্রেশন করা , এফ,ডি,আর কিংবা সঞ্চয়পত্র কেনা যাচ্ছেনা। ক্রয়কৃত জমি, গাড়ি, ফ্ল্যাট-বাড়ি ও নগদ টাকা,স্থাবর ও অস্থাবর সম্পদ আয়কর রিটার্নে প্রদর্শন না করা না হইলে উক্ত নগদ টাকা ,সম্পদ সমুহ আইনগতভাবেই অপ্রদর্শিত বা ব্ল্যাক মানি হিসাবে অভিহিত বা চিহ্নিত হয়ে থাকে এবং উক্ত সম্পদের মালিকানা স্বত্ব বিষয়ে আইনগত জটিলতা সৃষ্টি হয় এবংপ্রযোজ্য ক্ষেত্রে বিজ্ঞ আদালত কর্তৃক প্রদত্ত শাস্তির সম্মুখীনও হতে হয়।সুতরাং বাংলাদেশের দায়িত্বশীল সুনাগরিক হিসাবে আয়কর আইন ও বিধি অনুযায়ী যথাসময়ে ও সঠিক নিয়মে আয়কর রিটার্ন দাখিল করে প্রত্যেকে নিজের ক্রয়কৃত স্থাবর অস্থাবর সম্পদ সমুহ রিটার্ণে প্রদর্শন পূর্বক সকল নাগরিক সুবিধাসমূহ নিশ্চিত করা একান্ত আবশ্যক বটে। বিস্তারিত তথ্যের জন্য যোগাযোগ করুন:- আহাম্মদ এন্ড ল’ এসোসিয়েটস
ইনকাম ট্যাক্স, কোম্পানি, সিভিল ও ক্রিমিনাল ল’ কনসালটেন্ট
ফোন: +880 1817-608891/01916188540
ই-মেইল: [email protected]
কর বর্ষ ২০২৩-২০২৪ :
চলতি বছরের আয়কর রিটার্ন জমা দেওয়ার জন্য জন্য প্রয়োজনীয় কাগজপত্র :-
ব্যক্তিগত তথ্য :
1. ই-টিন সার্টিফিকেট ফটোকপি
2. জাতীয় পরিচয়পত্রের ফটোকপি
3. পাসপোর্ট সাইজ ফটো এক কপি।
চাকরির তথ্য :
1. বেতন বিবরনী (অফিস কর্তৃক) (০১/০৭/২০২২ থেকে ৩০/০৬/২০২৩)
2. ব্যাংক হিসাব বিবরনী (০১/০৭/২০২২ থেকে ৩০/০৬/২০২৩)
3. উৎসে কর কর্তন সার্টিফিকেট
4. প্রভিডেন্ট ফান্ড সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
গৃহ সম্পত্তি হতে আয় থাকলে:
1. বাড়ী ভাড়ার প্রাপ্ত রশিদ
2. বাড়ী ভাড়ার চুক্তিপত্র
3. বাড়ী ভাড়ার টাকা ব্যাংকে নিয়ে থাকলে ব্যাংক বিবরনী
4. হোল্ডিং ট্যাক্স ও ভূমি কর/খাজনা
ব্যবসায়ের তথ্য:
1. ট্রেড লাইসেন্স
2. বার্ষিক ক্রয়-বিক্রয় ও আয় বিবরনী
3. সম্পদ ও দ্বায় বিবরনী
4. ব্যাংক হিসাব বিবরনী (০১/০৭/২০২২ থেকে ৩০/০৬/২০২৩)
বিনিয়োগের তথ্য:
1. ডিপিএস (যদি থাকে)
2. ইন্সুরেন্স সার্টিফিকেট (যদি থাকে).
3. শেয়ার মার্কেট বিনিয়োগ (যদি থাকে)
4. সঞ্চয় পত্র সার্টিফিকেট (যদি থাকে)
সম্পদ ও দায় বিবরনীঃ
1. হাউস, এপার্টমেন্ট (যদি নিজ নামে থাকে)
2. জমি, গাড়ী, ফার্নিচার, ইলেক্ট্রনিকসস ইত্যাদি।
(যদি নিজের নামে থাকে)
3. ব্যাংক ঋণের তথ্য (যদি নিজ নামে হয়)
4. অন্যান্য ঋণের তথ্য (যদি নিজ নামে হয়)।
বিগত বছরে দাখিলকৃত রিটার্নের কপি।
( প্রযোজ্য ক্ষেত্রে)
আয়কর বিষয়ে কয়েকটি পরামর্শঃ-
১. গত বছরের দাখিলকৃত রিটার্নের ফটোকপি সঙ্গে রাখুন।
২. প্রয়োজনীয় কাগজপত্রের একটি তালিকা তৈরি করুন।
৩. প্রয়োজনীয় কাগজগুলো ভালোভাবে পরীক্ষা করে নিশ্চিত হন তা নির্দিষ্ট সময়ের কি না।অর্থাৎ কাগজগুলো ২০২২ সালের জুলাই থেকে ২০২৩ সালের জুন পর্যন্ত সময়ের হতে হবে।
৪. রিটার্নের একটি ফটোকপি করুন এবং গত বছরের রিটার্ন দেখে খসড়া রিটার্ন তৈরি করুন।
৫. প্রতিটি কাগজের দুটি করে কপি করুন।
৬. স্বাক্ষর করার আগে কমপক্ষে দুবার চেক করুন।
৭. যাঁরা নিজে রিটার্ন পূরণ না করে অন্য কোন পেশাজীবি বা আয়কর আইনজীবির উপর নির্ভরশীল, তাঁরা সুপ্রশিক্ষিত , নির্ভরযোগ্য, দায়িত্বশীল ও বিশ্বস্ত ব্যক্তি ছাড়া কোনোমতেই খালি বা সাদা রিটার্নে স্বাক্ষর করবেন না।
৮. স্বাক্ষর করার আগে গত বছরের সম্পদগুলো যথাযথভাবে যাচাই করুন এবং এ বছরে নতুন কোনো সম্পদ থাকলে তা ভালোভাবে পরীক্ষা করুন।
৯. মনে রাখবেন, আয়নার সামনে দাঁড়ালে আপনার চেহারা যেমন দেখা যাবে, তেমনি রিটার্নে আপনার সম্পদ ও আয়-ব্যয়ের সম্পূর্ণ চিত্র তুলে ধরতে হবে।
১০. স্বাক্ষর করার পর একটি সেট আপনার ট্যাক্স ফাইলে সংরক্ষণ করুন।
আহাম্মদ এন্ড ল' এসোসিয়েটস,
মীরপুর,ঢাকা।
ভূমি অপরাধ আইনটি প্রবর্তন হলে অনেক অপরাধ, দূর্নীতি ও সামাজিক অবক্ষয়, সামাজিক অস্থিরতা অনেকাংশে কমে যাবে।।।।।
ভূমি সম্পর্কিত অপরাধ দমন করা গেলে সন্ত্রাসী কার্যক্রম অনেক কমে যাবে।প্রস্তাবিত ভূমি সম্পর্কিত নতুন আইন প্রকৃত স্বত্বাধিকারীর জন্য সহায়ক হবে।
(পূর্বে প্রকাশের পর):-
আয়কর আইনজীবী গন কর্তৃক রাজস্ব আহরণ করতে রাষ্ট্রের আলাদা কোন খরচ বা ব্যয় হয় না অথচ TRP নিয়োগ করা হইলে জাতীয় রাজস্ব থেকে তাদেরকে কমিশন দিতে হবে।করদাতাগন যে আয়কর প্রদান করবেন তা থেকে TRP দেরকে কমিশন দিতে হবে।এতে রাষ্ট্রের রাজস্ব নিশ্চিত ভাবেই কমে যাবে। একটি মহল রাষ্ট্রীয় কোষাগারের রাজস্ব থেকে কমিশন বা ভাগ বসানোর জন্য এই কালো আইনটির প্রবর্তন করেছেন।যারা এই কমিশন বানিজ্য সিন্ডিকেটের সাথে জড়িত, তাদেরকে জাতির সম্মুখে তুলে ধরতে হবে এবং এস.আর.ও-১৬৮ এর কালো আইন অবিলম্বে বাতিল করতে হবে।
আশাকরি চেয়ারম্যান মহোদয় বিষয়টি নিরসনকল্পে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন।যদি বিষয়টি চেয়ারম্যান মহোদয়ের পক্ষে নিরসন করা সম্ভব না হয়,তাহলে বিরোধীয় বিষয়টিকে মাননীয় অর্থমন্ত্রী মহোদয়ের হস্তক্ষেপ কামনা করে আশু নিরসনের প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহন করবেন। পরিশেষে আগারগাঁও এ অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে আয়কর আইনজীবীদের জন্য জায়গা/ স্পেস বরাদ্দ ও হস্তান্তর এবং আইনজীবী গনের পেশাগত দায়িত্ব পালনে ভিজিটরস পাসের পরিবর্তে সংশ্লিষ্ট বার হইতে ইস্যুকৃত আইনজীবী পরিচয়পত্র প্রদর্শন করে এনবিআর ভবনে প্রবেশ করতে দেওয়ার জোর দাবী জানাচ্ছি। আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। ১১ ই জুন ২০২৩ ইং।( পরিসমাপ্তি)
আমার ছেলেবেলায় ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে জনৈক এক ভদ্রলোকের নির্বাচনী ক্যাম্পেইনে অংশ গ্রহনের সু্যোগ হয়েছিল।ভদ্রলোক তাহার প্রতিপক্ষের তুলনায় শিক্ষিত। প্রতিপক্ষের স্বভাব ভালো হলেও তিনি ছিলেন নিরক্ষর। তখন তার প্রতিদ্বন্দ্বী প্রার্থী তার বিরুদ্ধে শ্লোগান তৈরি করেছিলেন," কানার হাতে কুড়াল দিও না, কানার হাতে কুড়াল দিলে কোন কিছুই আর বেঁচে থাকবে না।"-কথাটি প্রাসঙ্গিক ভাবেই মনের মধ্যে দোলা দিতে শুরু করছে। এন.বি.আর চলতি করবর্ষে TRP বিধিমালা আইন প্রনয়ণ করেছেন। টিআরপি বিধিমালা একটি কালো আইন,যা আয়কর অধ্যাদেশ ১৯৮৪ এর ১৭৪(২)(এফ) এর সাথে সাংঘর্ষিক। ফলে আয়কর অঙ্গনে দূর্নীতি ও অবৈধ প্রতিনিধিত্ব বাড়বে যা দেশের রাজস্ব বৃদ্ধিতে অন্তরায় হবে এবং জনগন সরকারের বিরুদ্ধে বিরূপ মনোভাব পোষন করবে। এটা বাস্তবায়ন করতে গেলে অনেকটা কানার হাতে কুড়াল দেওয়ার মতই অবস্থা হবে বলে অনুমিত। তারা ইনকাম ট্যাক্স আইন সম্পর্কে অভিজ্ঞ নন। তাদের প্রশাসনিক ক্ষমতা দিয়ে করদাতা তত্ত্বাবধানের দায়িত্ব প্রদান পূর্বক রিটার্ন তৈরীর ক্ষমতা প্রদান করা হলে কানার হাতে কুড়াল দেয়ার মতই পরিস্থিতি হবে বলে অনুমান করা যায়।অচিরেই এর কুফল শুরু হয়ে যাবে।কর আদায়ে স্থবিরতা আসবে, রাজস্ব কমে যাবে এবং করদাতাগন মানসিক ভাবে ভীত- সন্ত্রস্থ হতে পারেন।আবার রাষ্ট্রীয় রাজস্ব আরোহনে আয়কর আইনজীবীগনের যে বিশাল ভূমিকা রয়েছে তাদের প্রতি সরকার বাহাদুরের অবিচার প্রতীয়মাণ হইবে। একজন সচেতন আয়কর আইনজীবী হিসাবে এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয়ের নিকট নিবেদন থাকবে, অনতিবিলম্বে TRP বিধিমালা বাতিল পূর্বক আয়কর আইনজীবীদের জন্য আগারগাঁওয়ে অবস্থিত জাতীয় রাজস্ব বোর্ড (এনবিআর) ভবনে স্পেস বরাদ্দ প্রদান ও হস্তান্তরের জন্য। সেই লক্ষ্যে এনবিআর চেয়ারম্যান মহোদয়ের ঢাকা ট্যাক্সেস বারের সম্মানিত পরিচালনা পর্ষদের সাথে দ্বিপাক্ষিক আলোচনা পূর্বক সঠিক সিদ্ধান্ত নেওয়া অত্যন্ত জরুরী। তা না হলে আয়কর আইনজীবী গন তথা সমগ্র করদাতাগন অপূরনীয় ক্ষতির সম্মুখীন হতে পারেন।কারন কর আইনজীবীগন তাদের ক্লায়েন্টদের বা করদাতাদের কাছে অধিক বিশ্বস্ত ও নির্ভরযোগ্য।
আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। তারিখ: ১০ই জুন, ২০২৩(চলমান পরবর্তী পর্ব)
তৃতীয় পর্ব:-( পুর্বে প্রকাশের পর) তবুওতো নতুন করে ফুটবে বকুল আবার, সেইতো হবে নব নব আমায় ফিরে পাবার।।। ফুটলে বকুল আবার, তোমার কাছে আমার যত ঋন, পারবোনা তো জানিয়ে যেতে তোমায় কোনদিন!!!!!!
যদি আমাদের প্রতিবাদ করতেই হয়, তাহলে সরকারী ও বেসরকারি সকল সংস্থা থেকে যথাসময়ে সঠিকভাবে দ্রুত সেবা পাওয়ার এবং সকল প্রকার প্রতিবন্ধকতা ও স্বেচ্ছাচারিতা দূর করার জন্য আত্ম সচেতন হয়ে সরকার বাহাদুরকে উহা বাস্তবায়নের জন্য তাগিদ প্রদান অব্যাহত রাখতে হবে।দূর্নীতি প্রতিরোধের জন্য জনমত তৈরীতে সহায়তা করতে হবে।সরকারী ও বেসরকারী কর্মকর্তার দূর্নীতি রোধে সচেতন থাকতে হবে এবং দূর্নীতি নির্মুলের জন্য আশু পদক্ষেপ গ্রহনে সরকারকে তাগিদ প্রদান করতে হবে।তাহলেই আমলাতান্ত্রিক জটিলতা এবং লালফিতার দৌরাত্ম কমে যাবে।ফলে বাধ্যতামূলক ভাবে সরকার বাহাদুরকেই দূর্নীতিবাজদের বিরুদ্ধে জিরো টলারেন্স প্রদর্শন পূর্বক যথাযথ আইনের প্রয়োগ করে সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করতে হবে ; তাহলেই জাতির পিতার অধরা স্বপ্ন সবিস্তারে বাস্তবায়িত হবে এবং আমাদের সোনার বাংলাদেশ উন্নত রাষ্ট্রের কাতারে সামিল হইবে। আমি আশাবাদী হিসেবে সেই স্বপ্ন দেখি। সেদিন আর বেশী দূরে নয়!!!! আমাদের দেশীয় প্রাকৃতিক সম্পদগুলোর যথাযথ সদ্ব্যবহার করতে পারলেই আমাদের তনুমনে আটলান্টিক পার হওয়ার ইচ্ছা অনেকাংশে কমে যাবে।
আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। তারিখ: ৮ ই জুন,২০২৩( পরিসমাপ্তি)।।।।
পর্ব:-দ্বিতীয় ( পূর্বে প্রকাশের পর) গোপীজন মনচোর গিরিধারী নাগর রাখো মিনতি তব পায়, হায় রাখো মিনতি রাঙ্গা পায়!!!! যতই মিনতি করা হোক না কেন,করদাতাগন বিষয়টিকে সানন্দে গ্রহন কিংবা বর্জন করতে পারেন;তবে দেশের উন্নয়নে যৌক্তিক কর প্রদানের কোন বিকল্প নাই।
প্রতি বছরে ৩,৫০,০০০/ টাকা মানে মাসে প্রায় ৩০,০০০/ ত্রিশ হাজার টাকা আয় থাকলেই ন্যুনতম ৫,০০০/ টাকা আয়কর দেয়া বাধ্যতামূলক। একজন রিকশা চালকও মাসে ৩০/৩৫ হাজার টাকা আয় করেন।অনেক চা-পান -সিগারেটের দোকানদার আছেন যারা,প্রতিমাসে ৩০ হাজার টাকার অধিক আয় করেন।এরা কেউ টি.আই.এন গ্রহন করেন না এবং আয়কর দেন না।তাহলে যারা টি.আই.এন গ্রহন করেছেন বা উল্লেখিত কাজের নিমিত্তে গ্রহন করতে বাধ্য হয়েছেন, তাদের মাসিক আয় নিশ্চয়ই রিকশাওয়ালা কিংবা চা-পান দোকানদারের চেয়ে বেশী। এটাতো অনুশোচনার বিষয় হওয়া আবশ্যক ছিল।১৮ কোটির অধিক জনসংখ্যার বাংলাদেশ কিন্তু রিটার্ন দাখিল করেছেন বিগত করবর্ষে মাত্র ২৭ লক্ষ করদাতা।এটা কি একটি উন্নয়নশীল দেশের সঠিক চিত্র হওয়ার কথা ছিল???? যদি মনে করেন টি.আই.এন গ্রহন করে ভুল করেছেন তাহলে আপনি সেটা বন্ধ করার অধিকার রাখেন এবং সেই মর্মে চলতি করবর্ষের বাজেটে আইন প্রনয়ণ করা হয়েছে।যদি করসীমার নিচে আয় হয়,তাহলে টি.আই.এন বন্ধ করার আবেদন করতে পারেন। যার ফলে, আপনার ই.টি.আই.এন মনিটরিং বা তত্ত্বাবধানে সরকারের বিপুল পরিমান অর্থের সাশ্রয় হইবে।রাজস্ব বাড়লে বাজেটের ঘাটতি কমে যাবে।
আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
২০২৩-২০২৪ করবর্ষের জন্য মাননীয় অর্থমন্ত্রী বাজেট ঘোষণা করেছেন।বাজেট ঘোষনা পরবর্তী কোন এক প্রত্যুষে ফজর নামাজের উদ্দেশ্যে মসজিদে যাতায়াত কালীন সময়ে দেখতে পাই, পরস্পর দুইজন দারোয়ান নিজেদের মধ্যে বলছেন,"হুনছনি! ভিক্ষা করলেও নাকি দুই হাজার টাকা ট্যাক্স দিতে অইবো।" কথাটা শুনে যারপরনাই ব্যথিত চিত্তে মনে হল, সঠিকভাবে তথ্য প্রচারিত না হওয়ার কারনে আমাদের সাধারণ মানুষের মধ্যে একটি ভুল ধারনা বা বিভ্রান্তির সৃষ্টি হয়েছে।বিবেকের তাড়নায় তাড়িত হয়েই অগত্যা অধুনালুপ্ত এই অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়ে একজন সচেতন আইনজীবী হিসাবে কিছু বলার প্রয়োজন বোধ করছি। আমার বিশ্লেষণ ভুলও হতে পারে; এটা আমার নিজস্ব ভাবনা থেকেই উপস্থাপন করছি। আমার আলোচনাটি একটু দীর্ঘ হতে পারে বিধায় আমার বক্তব্যটি একাধিক পর্বে প্রচার হতে পারে। বর্নিত করবর্ষের বাজেটে করসীমার নিচে অর্থাৎ ৩,৫০,০০০/ টাকার নিচে আয় থাকলেও রিটার্ন দাখিল কারীকে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে সর্বনিম্ন ২,০০০/ টাকা প্রদান করতে হবে। বিষয়টি নিয়ে সিপিডি সহ অন্যান্য সামাজিক সংগঠন গুলো নানাভাবে সমালোচনা করছেন। আলোচনা কিংবা সমালোচনা করাই যায়,করাই উচিৎ ; এটা গনতন্ত্রের সৌন্দর্য। শুধুমাত্র বিরোধিতার খাতিরে বিরোধিতা না করে বাস্তবতার নিরিখে সুচিন্তিত ভাবেই আলোচনা কিংবা সমালোচনা করাই যৌক্তিক। আমি বিষয়টিকে ধনাত্মক বা পজিটিভ ভাবেই গ্রহন করতে প্রস্তুত। এবার একটু দেশের কথা ভাবুন! কর দিবেন না, উন্নয়ন চাইবেন!!!! উন্নয়নের নিমিত্তে যে বিশাল অর্থের প্রয়োজন সেটার আয়ের উৎস কোথায়? উন্নয়নের টাকা আসবে কোত্থেকে????রাষ্ট্রীয় ভাবে গৃহীত ঋন থেকে???? ভেবে দেখুনতো এই ঋন প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে আপনাকে আমাকেই বহন করতে হচ্ছে বা হবে। দিন শেষে লাভ-ক্ষতি আমাদেরকেই বহন করতে হবে। তাহলে এখন থেকেই জনগণকে সম্পৃক্ত করে বিভিন্ন ক্ষেত্র থেকে কর আরোহনের ক্ষেত্র চিহ্নিত করে কর আদায় একান্ত আবশ্যক বটে। তবে সেই কর আরোহনের কারনে যাতে সাধারণ জনগন, নিম্নবিত্ত বা মধ্যবিত্ত লোক নিস্পেষিত না হয় ; কোন প্রকার অযথা অযৌক্তিক হয়রানীর স্বীকার না হন সেই বিষয়টি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের নিবিড়ভাবে পর্যবেক্ষণ করা একান্ত আবশ্যক। তা না হলে প্রস্তাবিত পদক্ষেপের সুফল পাওয়া যাবে না। চলমান করবর্ষে ৩,৫০,০০০/ তিন লক্ষ পঞ্চাশ হাজার টাকা মানে প্রতিমাসে প্রায় ৩০,০০০/ টাকা আয় থাকলেই ন্যুনতম কর ৫,০০০/ টাকা প্রদান করতে হবে। গত অর্থবছরে করসীমা ছিল ৩,০০,০০০/ টাকা। এখন জানার ও বুঝার বিষয়, বছরে ন্যুনতম ২,০০০/ দুই হাজার টাকা আয়কর কারা এবং কেন দিবেন???? ৭৫ ধারায় যাদের রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক তাদের জন্য এই আয়কর প্রদান প্রযোজ্য। যে সব কাজের জন্য ট্যাক্স আইডেন্টিফিকেশন নম্বর ( TIN) থাকা বাধ্যতামূলক এবং তাদের আয় করসীমার নীচে হলেও তাকে বিধি অনুযায়ী সর্বনিম্ন ২,০০০/ টাকা রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা প্রদান করতে হবে। প্রায় ৩৮ টি সেবা গ্রহন করতে হলে টি.আই.এন থাকতে হবে এবং আয়ের পরিমান করসীমার নিচে হলেও বাধ্যতামূলক ভাবে রিটার্ন দাখিল করতে হবে এবং তারজন্য ন্যুনতম ২,০০০/ টাকা আয়কর প্রদান করতে হবে। যেসব কাজের জন্য ই.টি.আই.এন( eTIN) থাকা বাধ্যতামূলক, সেই ক্ষেত্রগুলো সঠিকভাবে আলোচনা করা আবশ্যক বটে। বছরে কমপক্ষে তিন কিংবা চার লক্ষ টাকা আয় না থাকলে এসব ক্ষেত্র তারজন্য প্রযোজ্যই হয় না।একটা উপমা দিয়েই বিষয়টি পরিস্কার করা প্রয়োজন বলে মনে করি। ধরুন আপনার আলাদা কোন আয় নাই,আপনি কি ব্যাংক বা কোন আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে কোন ক্রেডিট কার্ড গ্রহন করবেন কিংবা ইস্যুকারী প্রতিষ্ঠান আপনাকে ক্রেডিট কার্ড দিবেন???? ক্রেডিট কার্ড নিতে ই.টি.আই.এন গ্রহন করতে হবে এবং রিটার্ন দাখিল বাধ্যতামূলক এবং করদাতাকে ন্যুনতম ২,০০০/ টাকা কর দিতে হবে।আপনার গাড়ি আছে, ব্যাংকে পাঁচ লাখ টাকার অধিক লেনদেন হচ্ছে, সিটি কর্পোরেশন এলাকায় ব্যবসা প্রতিষ্ঠান আছে অথবা বাড়ী বা জায়গা আছে, ছেলেমেয়ে ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ে তবুও বলবেন আপনার করযোগ্য আয় নেই??? আর যদি করযোগ্য আয় নাও থাকে, সেই ক্ষেত্রে উল্লেখিত ৩৮ সেবা গ্রহনকারী করদাতার উপর ২,০০০/ টাকা কর প্রদানের বাধ্যবাধকতা কি অস্বাভাবিক???? তাহলে সহজ সরল ভাষায় প্রশ্ন হলো, আয় না থাকলে টি.আই.এন গ্রহন করেছেন কেন???যারা উক্ত করকে বোঝা মনে করেন তারা নির্দ্বিধায় ই.টি.আই.এন ক্লোজের জন্য আবেদন করে ফেলুন।কেননা আপনার ই.টি.আই.এন তদারকির জন্য সরকারের বিপুল পরিমান অর্থ ব্যয় হচ্ছে। টি.আই.এন রেখে করযোগ্য ব্যবসা কার্যক্রম করবেন অথচ সমগ্র বছরান্তে মাত্র ২,০০০/ দুই হাজার টাকা আয়কর দেবেন না এমনটি ভাবা একজন দায়িত্বশীল সুনাগরিকের পক্ষে অসম্ভব। এটাকে সর্ব নিম্ন কর না বলে সার্ভিস কর বা সার্ভিস ফি বলাই যৌক্তিক হবে বলে মনে করি।কেননা সর্বনিম্ন কর বললে ন্যুনতম কর ৫,০০০/ টাকা বিষয়টার সহিত সাংঘর্ষিক হবে। আশাকরি সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে চিন্তা করবেন। দয়া করে বিষয়ভিত্তিক এই লিখাটা কেউ কপি করবেন না। কারন কপি করলে অনেকসময় খন্ডিত অংশ আসতে পারে,ফলে মূল কথাটার অর্থ পরিবর্তন হওয়ার সু্যোগ থাকে। ভালো লাগলে শেয়ার করেন। আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট। (চলমান পরবর্তী পর্ব)
শেষ পর্ব:-( পূর্বে প্রকাশিত এর পর) ফোটে যে ফুল আঁধার রাতে, ঝরে ধুলায় ভোর বেলাতে,আমায় ★ তারা ডাকে সাথে,আয়রে আয়; সজলও করুন নয়ন তোল দাও বিদায়!!!! উপসংহারে বলা যায়,বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক প্রনীত জাতীয় কোর্সটি অনেকক্ষেত্রে বিপিটিসি থেকেও অধিক কার্যকর। কারন ব্রিটিশদের মামলা-মোকদ্দমার সঙ্গে আমাদের দেশের মামলা -মোকদ্দমার প্রথাগত ও ব্যবহারিক ভিন্নতা রয়েছে এবং বিপিটিসি থেকে প্রাপ্ত প্রশিক্ষনের প্রায়োগিক ক্ষেত্রও বাংলাদেশে পুরোপুরি বিদ্যমান নেই। তাই বাংলাদেশে আইন পেশা অনুশীলন করার পরিকল্পনা থাকলে তার জন্য বাহিরের দেশ থেকে একটি ব্যারিস্টারি ডিগ্রি অর্জনের চেয়ে সেখানকার কোন স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বিশেষায়িত এলএল.এম ডিগ্রি নেয়ার নিমিত্তে অর্থ বিনিয়োগ করাটাই অধিক কার্যকর ও যুক্তিসঙ্গত হইবে।বাংলাদেশে এই ব্যারিস্টারি ডিক্রির আলাদা কোন শিক্ষাগত এবং পেশাগত অধিক মূল্য বিদ্যমান নেই,যেখানে একটি বিশেষায়িত এলএল.এম( মাস্টার্স অফ ল') ডিগ্রির মূল্য নিশ্চিত ভাবেই অধিক বিদ্যমান রয়েছে।
আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
তৃতীয় পর্ব:-( পূর্বে প্রকাশিত এর পর) শিউলি তলায় ভোরবেলা, কুসুম কুড়ায় পল্লিবালা,শেফালি পুলকে ঝড়ে পড়ে মুখে, খোপাতে চিবুকে আবেশে উতলা.........!!!!পথ তব যেন খানিকটা বাকী রয়ে গেছে। জানি পাঠক বন্ধুদের ধৈর্য্যচ্যুতি ঘটছে তবুও আমি অসহায়। কারন একজন দায়িত্বশীল আইনজীবী হিসাবে তথ্যগত বিষয়টি সঠিকভাবে উপস্থাপন করাই আমার কর্ম।তাতে কেউ সন্তুষ্ট বা অসন্তুষ্ট হলেও আমার প্রচেষ্টা স্বার্থক বলেই প্রতীয়মান। পাঠক বন্ধুদের কাছে তথ্যটি সঠিকভাবে পৌঁছাতে পেরে যারপরনাই আমি আনন্দিত। মূল প্রসঙ্গে চলে আসি।যুক্তরাজ্যের ব্যারিস্টার বিষয়ক বিধিগুলো স্পষ্ট বলে দিয়েছে, অনুমতিপত্র (প্র্যাকটিসিং সার্টিফিকেট) ব্যাতিত ব্যারিস্টার পরিচয় দিয়ে যে কোনও ধরনের আইনী সেবা প্রদান সহ সকল প্রকার মামলা মোকদ্দমা পরিচালনা, নোটারিয়াল সেবা প্রদান, শপথ গ্রহন ইত্যাদি হলো ফৌজদারী অপরাধ। আবার এটাও সত্য যে,যেহেতু বিধি নিষেধ গুলো কেবল যুক্তরাজ্যের পরিসীমার মধ্যেই সীমাবদ্ধ তাই বাহিরের রাষ্টের জন্য যুক্তরাজ্যের প্রচলিত আইনে বলাও নাই দেশের বাইরেও তারা ব্যারিস্টার হিসাবে পরিচয় দিতে পারবেন না। তাই যুক্তরাজ্যের অনিবন্ধিত ব্যারিস্টারগন আবার বাংলাদেশে লিগ্যাল কাজ করতে পারবেন কিন্তু যুক্তরাজ্যে অনিবন্ধিত ব্যারিস্টারগন জনসম্মুখে 'ব্যারিস্টার ' হিসাবে উল্লেখ করতে নিষেধাজ্ঞা রয়েছে,এমনকি তারা এই 'ব্যারিস্টার ' বিশেষনটি তাদের কোন কার্ড বা ছাপানো নাম ঠিকানাতেও ব্যবহার করতে পারবেন না কিন্তু আইনী পেশা ছাড়া অন্য যে কোন পেশায় তারা ব্যারিস্টার বিশেষন ব্যবহার করতে পারবেন।সে সুযোগটি সেখানে তাদের জন্য বিদ্যমান রয়েছে।তবুও আমাদের দেশে এসে অনিবন্ধিত ব্যারিস্টারদের অনেকেই 'ব্যারিস্টার ' বিশেষনটি প্রতিনিয়ত ব্যবহার করে যাচ্ছেন। এক্ষেত্রে তাদের পক্ষে দেখানো যুক্তিটি হলো বাংলাদেশ থেকে তো ব্যারিস্টার হওয়ার কোন সু্যোগ বিদ্যমান নেই ; তাকে ব্রিটেন থেকেই ডিক্রিটি আনতে হচ্ছে। ব্রিটেনের বাইরে এ বিষয়ে কোনও বিধিনিষেধও নেই।একইভাবে এটা বে আইনীও নয়। কারন তারা তো বাংলাদেশ বার কাউন্সিল পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়েই আইনী সেবা দেয়ার কাজ করছেন।আমাদের দেশে বেশীরভাগ মানুষের এ সম্পর্কে ধারনা কম।তারা শুধুমাত্র এডভোকেট থেকে ব্যারিস্টার দের বেশী প্রাধান্য দেন।মূল কারনটি সম্ভবত তারা ভাবেন যে,বাংলাদেশের সকল ব্যারিস্টারগন যুক্তরাজ্যের মতো দেশেও আইনী সেবা দিতে সক্ষম।অনেকে যে দেন না তা কিন্তু নয়।আমাদের অনেক স্বনামধন্য বিজ্ঞ ব্যারিস্টারের( যুক্তরাজ্যের আদালতেও নিবন্ধিত) দেশে ও যুক্তরাজ্য দুই জায়গাতেই চেম্বার রয়েছে।যদি কোন বিধিনিষেধ বা আইনী বাধা না থাকত তাহলে অনেক অনিবন্ধিত বিজ্ঞ ব্যারিস্টার গনের সদর দপ্তর হতো ইংল্যান্ডে। একটি কথা না বললে অত্যুক্তি হবে যে,ইংরেজী মাধ্যমে ব্রিটেনে এলএল.বি করার কারনে অনেক ব্যারিস্টার দের ইংরেজিতে ভালো দক্ষতা থাকে। (চলমান চতুর্থ পর্ব) আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
দ্বিতীয় পর্ব :-(পূর্ব প্রকাশিত এর পর) কত যে কথা ছিল,কত যে ছিল গান, কত যে বেদনার না বলা অভিমান।।।।সত্যিই তাই!!!অনেক কথা বাকী রয়ে গিয়েছিল।তথ্যগত বিষয়ভিত্তিক লিখাটা একটু দীর্ঘ হওয়ায় যারপর নাই আমি আন্তরিক ভাবে দু:খিত। যাইহোক উল্লেখিত বিষয়ে ফিরে যাই ; মূল বক্তব্যটি হলো,বাংলাদেশে যারা নিজেকে ব্যারিস্টার হিসাবে পরিচয় দিয়ে গর্ববোধ করেন, তারা কি যুক্তরাজ্যের আদালতে আদৌ আইনজীবী হিসাবে কাজ করতে পারেন???? পূর্বেই উল্লেখ করা হয়েছে,যে কোন ব্যারিস্টার কে যুক্তরাজ্যের আদালতে নিবন্ধনকৃত একজন পেশাদার ব্যারিস্টারের অধীনে ইন্টার্নশিপ হিসাবে কাজ করতে হয়।কিন্তু অনেক 🇧🇩 বাংলাদেশী শিক্ষার্থী ব্রিটিশ আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পর বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স (বিপিটিসি) শেষে যুক্তরাজ্যের আদালতের একজন পেশাদার ব্যারিস্টারের অধীনে ইন্টার্নশিপ ঠিকমত সম্পন্ন বা শেষ করতে পারে না। কারন সেখানকার ল'চেম্বারগুলোতে প্রতিযোগিতা মূলক কাজের চাপ অনেক বেশী আর অনুমতি পত্রের ( প্র্যাকটিসিং সার্টিফিকেট) জন্য আবেদন করাটা তাদের মধ্যে অনেকের জন্যে অধরাই থেকে যায়।ইন্টার্নশিপ শেষ করতে না পারলে এবং অনুমতিপত্র বা প্র্যাকটিসিং সার্টিফিকেট পেতে ব্যর্থ হলে ব্রিটেনের বার স্ট্যান্ডার্ড বোর্ড অনুসারে তাদের বলা হয় 'অনিবন্ধিত ব্যারিস্টার '।বাংলাদেশের অনেক ব্যারিস্টার অনিবন্ধিত এবং এভাবে তাদের আইনজীবী হিসাবে ব্রিটেনে কাজ করার কোনও অনুমতি পত্র নেই। (চলমান তৃতীয় পর্ব) আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
অনেকদিন যাবত ভাবছি বিষয়টা নিয়ে কিছু একটা লিখি কিন্তু গরমের তাপদাহে আমার সেই আগ্রহের পরিসমাপ্তি ঘটে ; মনে হয় তুমি (প্রশান্তি/স্বস্তি) এলে না, কেন এলে না, ভাঙ্গা ভাঙ্গা মন আমার কি পেল এই শ্রাবনেরই সন্ধ্যাবেলায়।অগত্যা অধুনালুপ্ত সব অনিচ্ছাকে জলাঞ্জলী দিয়ে লিখতে বসলাম।আমার এই বিষয় ভিত্তিক লিখাটাকে দয়া করে ব্যক্তিগত ভাবে নিবেন না।কাউকে সম্মান করতে গিয়ে অন্য কাউকে ছোট করতে হবে এই মতবাদে আমি বিশ্বাসী নই।যাই হোক,মূল বিষয়টি হল বাংলাদেশের আইন পেশায় এডভোকেট এবং ব্যারিস্টারের অবস্থান :- (প্রথম পর্ব) আমাদের দেশে এডভোকেট ও ব্যারিস্টারের মধ্যে পার্থক্য নিয়ে জনসাধারণের মধ্যে একটি স্পষ্ট দ্বিধা-দ্বন্ধ বিদ্যমান রয়েছে। আমাদের সমাজের কতিপয় ব্যক্তি আদালতের আইনজীবী গনের মধ্যে যারা কেবল এডভোকেট তাদের অধিকতর কম গুরুত্ব দিতে চান, অন্যদিকে নামের সাথে ব্যারিস্টার বিশেষন থাকলেই তার গুরুত্ব ও শ্রদ্ধা অনেকাংশে বেড়ে যায় তাদের কাছে।কালের পরম্পরায় আমাদের দেশের অনেকেই ব্যারিস্টারদের সাধারণ আইনজীবী গনের থেকে অধিকতর উচু স্তরের বিবেচনা করে আসছেন। এর পেছনের মনসতাত্ত্বিক কারন গুলোর মধ্যে অন্যতম হল সমগ্র ভারতীয় উপমহাদেশ ছিল ব্রিটিশ ঔপনিবেশিক উত্তরাধিকারের ধারক ও বাহক। বাংলাদেশে বার এট'ল ডিগ্রির (ব্যারিস্টারী ডিগ্রি) প্রকৃত মূল্য বা গুরুত্ব কতটুকু তা জানা সবার জন্য গুরুত্বপূর্ণ। একজন ব্যাক্তি কিভাবে সনদধারী আইনজীবী হতে পারেন সেই বিষয়েও স্পষ্ট ধারণা থাকা আবশ্যক বটে। একজন শিক্ষার্থীকে এডভোকেট হওয়ার নিমিত্তে সর্বপ্রথম বাংলাদেশ বার কাউন্সিল ও বিশ্ব বিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন কর্তৃক স্বীকৃত বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইন বিষয়ক স্নাতক ডিগ্রি (এলএল.বি)অর্জন করতে হয়। তৎপর কমপক্ষে দশ বছরের অভিজ্ঞতা সম্পন্ন একজন দক্ষ আইনজীবীর অধীনে ছয়মাস ইন্টার্নি হিসাবে কর্মরত থাকতে হয়। পরবর্তীতে উক্ত ছয় মাসের ইন্টার্নশিপ শেষ করার পর ধারাবাহিক ভাবে তিন স্তরের পরীক্ষার জন্য যোগ্য হতে হবে যথা (১) নৈব্যক্তিক (২) লিখিত এবং (৩) মৌখিক পরীক্ষায় অংশগ্রহণ পূর্বক প্রতিটি পর্যায়ে বা ধাপে উত্তীর্ণ হলেই একজন প্রার্থী পছন্দের জেলা পর্যায়ের নিম্ন আদালতে অনুশীলন করার জন্য যোগ্য আইনজীবী হিসাবে অনুমোদিত হইবেন।আর বাংলাদেশে যে প্রক্রিয়া বা পদ্ধতিতে পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হয়ে সনদধারী আইনজীবী হওয়া যায় ঠিক তদ্রুপ এমনই এক পরীক্ষা রয়েছে যুক্তরাজ্যে যাহা ব্রিটিশ ল'( এলএল.বি) শেষ করার পর সেই প্রক্রিয়ায় প্রবেশ করার সুযোগ পাওয়া যায় এবং উত্তীর্ণ প্রার্থীরাই ইংলিশ আদালতে অনুশীলন করতে সক্ষম হবে বলে মনে করা হয়।এজন্য ব্রিটিশ আইনে স্নাতক ডিগ্রি অর্জনের পরে বার প্রফেশনাল ট্রেনিং কোর্স (বিপিটিসি) করতে হয়। এরপর যুক্তরাজ্যের আদালতে নিবন্ধনকৃত অনুশীলনকারী একজন পেশাদার ব্যারিস্টারের অধীনে ইন্টার্নি হিসাবে কাজ করার সুযোগ নিতে পারে।ইন্টার্নি হিসাবে ১(এক) বছর পার করার পর ইংলিশ আদালতে অনুশীলন করার জন্য একটি অনুমতি পত্রের ( প্রাকটিসিং সার্টিফিকেট)জন্য আবেদন করতে হয়। আবেদন মঞ্জুর হলে ব্যারিস্টার হিসাবে কাজ করার অনুমোদন প্রাপ্ত হন। বাংলাদেশী আইনে ব্যারিস্টারদের কেও পূর্বে আলোচিত তিন স্তরের বার কাউন্সিল পরীক্ষায় ধারাবাহিক ভাবে উত্তীর্ণ হতে হয়। ব্যারিস্টার হওয়ার কারনে শুধুমাত্র ছয়মাসের ইন্টার্নশিপ করার দরকার হয় না ( যেহেতু তারা ইন্টার্নি হিসাবে ইংল্যান্ডে ১ বছর পার করেছে) । বাংলাদেশের আইন পেশায় নিয়োজিত হতে হলে বাংলাদেশ বার কাউন্সিল কর্তৃক পরীক্ষায় সবাইকে অংশ গ্রহন করতে হবে( ব্যারিস্টার অথবা ব্যারিস্টার নন) এবং পরিক্ষায় উত্তীর্ণ হতে হবে অর্থাৎ ব্যারিস্টারী ডিগ্রি নিয়ে এলেও পরীক্ষায় আলাদা ছাড় পাওয়ার কোন সুযোগ নাই।অবশ্য উচ্চ আদালতে তালিকাভুক্তির ক্ষেত্রে যেখানে একজন সাধারন আইনজীবীর নিম্ন আদালতে ২( দুই) বছরের অভিজ্ঞতা থাকার প্রয়োজন হয়, সেখানে ব্যারিস্টার ডিগ্রীধারী আইনজীবীর অথবা কোন বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আইনে মাস্টার্স ডিগ্রী এলএল.এম সনদধারী আইনজীবী গনের এক বছরের অভিজ্ঞতাই গ্রহনযোগ্য। সম্মানিত পাঠক বন্ধুদের অবগতির জন্য জানানো যাচ্ছে যে,ব্যারিস্টারদের ( শুধুমাত্র বাংলাদেশ বার কাউন্সিলের আইনজীবী তালিকা ভুক্তির পরীক্ষায় উত্তীর্ণরা) অবস্থান ও অন্যান্য সাধারন আইনজীবীর( যারা ব্যারিস্টার নন) অবস্থান ও যোগ্যতা সমান। গুনগতভাবে যোগ্যতার কোন তারতম্য নেই। বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার একটা সামাজিক উপাধি। হজ্জব্রত পালনের পর অনেকেই নামের পূর্বে আলহাজ্ব লিখেন,বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে ব্যারিস্টার শুধুমাত্র তেমন একটা সামাজিক উপাধি। গন সচেতনতার অভাবে সাধারণ মানুষের মনে একটি বিভ্রান্তি তৈরী হয়েছে যে, ব্যারিস্টারগন সম্ভবত সাধারন ( যারা ব্যারিস্টার নন) এডভোকেটদের চেয়ে অধিকতর যোগ্য।মর্যাদার বিচারে দু'জনই সমান।যোগ্যতা বা অযোগ্যতা যার যার কর্মের মধ্যেই নিহিত। আইন পেশায় একটাই উপাধি ; আর তা হল 'এডভোকেট '। আমাদের দেশের প্রচলিত আইনে এডভোকেটদেরকেই কোর্ট অফিসার হিসাবে আখ্যায়িত করা হয়।
(চলমান দ্বিতীয় পর্ব)
আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রীম কোর্ট।
Bond License কারা পাবেন? কি কি উপায়ে পাবেন? লাইসেন্স কমিটি কি যাচাই বাছাই করে লাইসেন্স ইস্যু করেন তার সংক্ষিপ্ত বর্ণনা ।
এদেশে বন্ড লাইসেন্স লাইসেন্স দেওয়া হয় এস,আর,ও নং১৮১/আইন/২০০৮/২২০৯/শুল্ক তাং২৬/৬/২০০৮ ইং এ বরনিত "বন্ডেড ওয়ার হাউস লাইসেন্স বিধিমালা ২০০৮" ও কমিশনার মহোদয়ের কিছু গাইড লাইন অনুযায়ী।কাস্টমস আইন ৬৯ এর ধারা ৭৯ অনুযায়ী পন্য খালাসের জন্য যেমন বিল অব এন্ট্রি দাখিল করা হয় তেমনি বন্ড লাইসেন্স প্রাপ্তির লক্ষ্যে কাস্টমস আইনের ধারা ১৩ অনুযায়ী লাইসেন্সিং বিধিমালার সাথে সংযুক্ত ফরম পুরন ও চাহিদাকৃত তথ্য সমেত দলিলাদিসহ কমিশনার বরাবরে আবেদন করতে হয়।
বন্ডেড ওয়্যারহাউজ লাইসেন্স বিধিমালা ২০০৮ অনুযায়ী যে সকল প্রতিস্টানকে বন্ড লাইসেন্স প্রদান করা হয় তা হলো :
(১) সরাসরি রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান;
(২) প্রচ্ছন্ন রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান ;
(৩) ডিপ্লোম্যাটিক, ডিউটি ফ্রি ও ডিউটি পেইড বন্ড প্রতিষ্ঠান ;
(৪) সরকারী ও বেসিরকারী ইপিজেড এলাকায় রপ্তানীমূখী সরাসরি ও প্রচ্ছন্ন শিল্প প্রতিষ্ঠান ;
(৫) BEZA বা বাংলাদেশ ইকোনমিক জোন এরিয়ায় রপ্তানীমূখী শিল্প প্রতিষ্ঠান ;
(৬) হাইটেক পারকে রপ্তানিমূখী সফট ওয়্যার শিল্প প্রতিষ্ঠান;
উপরের ক্যাটাগরির শিল্প প্রতিস্টানের আবেদন পাওয়ার পর একজন এ,আর,ও প্রথমে সব দলিলাদি দাখিল করেছেন কিনা তা চেক লিস্টের সাথে মিলিয়ে দেখেন। মিলিয়ে দেখতে গিয়ে মোটামুটি ২৬ ধরনের দলিলাদি হালনাগাদ আছে কিনা দেখেন। এ,আর,ও সাহেব যে সকল প্রধান প্রধান দলিলাদি আছে কিনা দেখেন তাহলো :
ক) লাইসেন্স এর জন্য আবেদনীয় ডাটা ফরমে চাহিদামত তথ্য এন্ট্রি দেয়া হয়েছে কিনা?
(খ) BIDA/BOI/বস্ত্র/কুটিরশিল্প , মূসক, ট্রেড লাইসেন্স, RJSC, IRC/ERC, TIN, NID, Fire Certificate , Boiler সনদ, পরিবেশ সনদ(প্রযোজ্য ক্ষেত্রে) জায়গাজমির দলিল, ব্যাংক প্রত্যয়ন, সার্টিফাইড আইটি১০বি সহ আয়কর রিটার্ন, সার্টিফাইড ইঞ্জিনিয়ার স্বাক্ষরিত নীল নকশা, সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ী গোস্টির মেম্বার শীপ ও গোস্টি কতৃক কমিশনার বরাবর সুপারিশ, প্রতিষ্ঠানের ভাড়ার দলিল, ইলেক্ট্রিক বিল, গ্যাস বিল এ জাতীয় ২৬ টি পেপারস লাগে এমন সব দলিলাদি দাখিল করেছে কিনা?
যদি মিলিয়ে দাখিলকৃত দলিলাদি ১০০% সঠিক পেলে আবেদন গ্রহণী মতামত দিয়ে আবেদনে স্বাক্ষর দিয়ে আবেদন গ্রহণ শাখায় প্রেরণ করেন। গ্রহণ শাখা তাতে রিসিভড সীল দিয়ে কমিশনার মহোদয়ের নিকট প্রেরণ করেন, কমিশনার মহোদয় তাতে স্বাক্ষর করে লাইসেন্স শাখার এসি/ডিসি এর নিকট প্রেরণ করেন। এসি/ডিসি তা স্বাক্ষর করে লাইসেন্স শাখা সহকারীর নিকট নথি গঠনের জন্য প্রেরণ করেন ।
লাইসেন্স শাখার সহকারী(অফিস/উচ্চমান সহকারী) নথি গঠন করে রাজস্ব কর্মকর্তাকে দেন, রাজস্ব কর্মকর্তা একজন এ,আর,ও মনোনয়ন দেয়ার জন্য এসি/ডিসি মহোদয়ের নিকট নথিটি প্রেরণ করেন। এসি/ডিসি নথির কার্যক্রম সম্পাদন করার জন্য একজন এ,আর,ও মনোনয়ন করে নথি তার নিকট প্রেরণ করেন।
আবেদনকারীর কোন সহযোগী প্রতিষ্ঠানের নিকট জারাবো পত্র নং ৩(৪)শু:রপ্তানি ও বন্ড/২০০২/৭২ (১৯)তারিখ ০৭/০২/২০১৬ ইং অনুযায়ী সরকারের পাওনা, দাবীনামা, পাওনা ও দাবীনামার বিপরীতে মামলা আছে কিনা কম্পিউটার প্রোগ্রামারের কাছ থেকে নথিতে মতামত নেবেন। যদি কোন ক্ষেত্রে সরকারী পাওনা থাকে তাহলে তা পরিশোধ না করা পর্যন্ত লাইসেন্স দেয়া যাবে না।
অতপর লাইসেন্স দল প্রতিষ্ঠানের সাথে যোগাযোগ করে নিদিষ্ট দিন প্রতিষ্ঠান সরেজমিনে ভিজিট করতে যান। ভিজিট করতে গিয়ে লাইসেন্স দল বিশেষ করে একটি আদর্শ প্রতিষ্ঠান বলতে যা যা দেখেন তা নিম্নরুপ :
(১) প্রতিষ্ঠানে গমনাগমন এর জন্য রাস্তা যথাযথ আছে কিনা, বিষয়টা এমন আপনি প্রতিষ্ঠান ঠিকমতো পেলেন কিন্ত সেখানে রিক্সা ছাড়া তিন টন ক্ষমতা সম্পন্ন ট্রাক ও প্রবেশ করতে পারেনা। সেক্ষেত্রে উৎপাদিত পন্য ও কাচামাল আনা নেয়ার সহজলভ্যতা।
(২) প্রতিষ্ঠানের আয়তন পর্যাপ্ত কিনা? মানে প্রতিস্টান আয়তন পর্যাপ্ত হতে হবে; মোটামুটি সন্তোষজনক আয়তনের কিনা?
(৩) বিধিমালার বিধি ৩ মোতাবেক প্রতিষ্ঠান ও বন্ডেড ওয়ার হাউস যথেষ্ট সুরক্ষিত কিনা? সুরক্ষিত বলতে বাউন্ডারি ওয়াল, পন্য উৎপাদন প্রিমিজ, বন্ড গুদাম, ফিনিসড প্রডাক্ট রক্ষিত স্থান সুরক্ষিত আছে কিনা? প্রতিস্টান থেকে পন্য/ উপকরণ সহজে খোয়া বা চুরি না হয়, বা অন্য কেউ সহজে নাশকতা করতে না পারে এমন সুরক্ষিত হওয়া বাঞ্চনীয়।
(৪) প্রতিষ্ঠানের মেশিনারি সচল থাকতে হবে, প্রতিষ্ঠান পুরোপুরি চালু থাকলে খুবই ভাল;
(৫) শ্রমিকদের প্রতিষ্ঠানে অবস্থান কালীন সময়ে যাবতীয় সুবিধা আছে কিনা?;
(৬) প্রতিষ্ঠানের অফিস আছে কিনা?
(৭) অগ্নিনির্বাপণ ব্যবস্থা যথাযথ থাকতে হবে; Emergency Exit আছে কিনা?
(৮) ডায়িং, ওয়াশিং, ট্যানারি শিল্প হলে ETP (ইফুলুয়েন্ট ট্রিটমেন্ট প্লান্ট) আছে কিনা?
(৯) ওভেন ও নীট গার্মেন্টস কারখানা হলে বয়লার যথাযথ স্থাপিত আছে কিনা?
(১০) প্রতিষ্ঠান ভবন আধুনিক সুযোগ সুবিধা সম্বলিত আছে কিনা?
মুলত উপরের উপযোগীতা অনুযায়ী প্রতিষ্ঠান যথাযথ পেলে এবার দলিলাদি যাচাই বাছাই করে সঠিক পেলে মনোনীত অফিসার (এ,আর,ও) বিস্তারিত তুলে ধরে প্রতিস্টানের কাচামালের প্রয়োজনীয়তা ও সাধারণ আদেশ ১৪/২০০৮ অনুযায়ী কাচামালের প্রাপ্যতা নির্ধারণ করে প্রস্তাবসহ নথি আর,ও কে দেবেন।
রাজস্ব করমকরতা প্রস্তাব যথাযথ মনে করলে নথি এসি/ডিসি এর নিকট প্রেরণ করবেন।প্রস্তাব যথাযথ মনে না করলে যেখানে সংশোধন করা দরকার তা করে এসি/ডিসি কে দেবেন। এসি/ডিসি অধিকতর যাচাই করে নথি অতিরিক্ত কমিশনার বরাবরে প্রেরণ করবেন।
অতিরিক্ত কমিশনার আরো অধিকতর যাচাই করে কমিশনার বরাবরে নথিটি প্রেরণ করবেন। কমিশনার নথি পাওয়ার পর উক্ত প্রতিষ্ঠানের দলিলাদি অধিকতর যাচাই করে করমকান্ডের উপর "সন্তুষ্ট বা সন্তোষজনক হইলেই" প্রতিষ্ঠানের লাইসেন্স প্রদানের সুপারিসে অনুমোদন দেবেন।
অত:পর নথি শাখায় ফেরত আসবে, এবার নথিতে লাইসেন্স ফরম পুরন করে পুনরায় কমিশনার মহোদয়ের সম্মুখে বন্ডারগন লাইসেন্স কপিতে স্বাক্ষর দেবেন, কমিশনার লাইসেন্স কপিতে স্বাক্ষর করে বন্ডারের বরাবরে হস্তান্তর করবেন। তবে হস্তান্তরের পূরবে লাইসেন্সের হিস্যা ও তথ্য অনলাইনে প্রোগ্রামার সাহেব আপলোড দেবেন।
ভাবতে ভালো লাগে বাংলাদেশ এখন মধ্যম আয়ের দেশ।২০৪১ সালের মধ্যে উন্নত দেশের কাতারে থাকার প্রত্যয় নিয়ে আমাদের অর্থনৈতিক যাত্রা শুরু হয়েছে। এজন্য অবশ্যই সকল সুনাগরিকগনকে সঠিক ও যথাযথভাবে আয়করের আওতায় আসতে হবে ও প্রদেয় কর যথাসময়ে সঠিকভাবে পরিশোধ করতে হবে।।।
প্রদেয় আয়কর পরিশোধ করুন এবং দেশের অর্থনৈতিক উন্নয়নে আপনার অবদান রাখুন।
আহাম্মদ আলী খোকন, এডভোকেট, বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট।
সরকারের রাজস্ব আয় ও করের পরিধি বাড়াতে জেলা শহরগুলোতে নজর দিয়েছে জাতীয় রাজস্ব বোর্ড(এন.বি.আর)। এজন্য জেলা পর্যায়ে বড় বড় বাড়ী ও ফ্ল্যাটের স্বত্ত্বাধিকারীগনকে করের আওতায় আনার নিমিত্তে সনাক্ত করা হচ্ছে।এন.বি.আর চেয়ারম্যান আবু হেনা মো: রহমাতুল মুনিম এ কথা জানিয়েছেন।
জমির পরিমাণ সম্পর্কে গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন ধারনাঃ
১ কাঠা = ৭২০ বর্গফুট = ৮০ বর্গগজ
১ কাঠা = ৬৬.৮৯ বর্গমিটার
১ কাঠা = ১.৬৫ শতাংশ
১ কাঠা = ১৬ ছটাক
১ কাঠা = ৩২০ বর্গহাত
২০ কাঠা = ১ বিঘা
৬০ কাঠা = ১ একর
১৪৮২০ কাঠা = ১ বর্গকিলোমিটার
১৪৮.২ কাঠা = ১ হেক্টর
কানি পরিমাপক
১ কানি = ১৭২৮০ বর্গফুট = ১৬১৯ বর্গমিটার = ৪০০০০ বর্গলিংক = ৮০ করা
১ কানি = ৭৬৮০ বর্গহাত = ১৯৩৬ বর্গগজ = ১২০ শতাংশ
১ কানি = ২০ গন্ডা = ৪০ শতাংশ
১ কানি = ২০ গন্ডা=৪০০০০ বর্গলিংক
১ কানি = ২৪ কাঠা
বিঘা পরিমাপক
১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ = ১ পাকি
১ বিঘা =২০ কাঠা
১ বিঘা = ৬৪০০ বর্গহাত
১ বিঘা = ৩৩০০০ বর্গলিংক
১ বিঘা = ১৬০০ বর্গগজ
১ বিঘা = ১৪৪০০ বর্গফুট = ১৩৩৮ বর্গ মিটার
১ বিঘা = ১৬ গন্ডা ২ করা ২ ক্রান্তি
৩ বিঘা = ১ একর (মোটামুটি) = ১৬০০ বর্গইয়ার্ড
৭৪১ বিঘা=১৪৮২০ কাঠা=১০৬৭০৪০০ বর্গফুট =৯৯১৬৭২ বর্গমিটার= ১বর্গকিলোমিটার=
২৪৭একর
৭.৪১বিঘা=১৪৮.২কাঠা=১০৬৭০৪ বর্গফুট =৯৯১৩ বর্গমিটার=১ হেক্টর=২.৪৭একর
জেনে নিন খতিয়ান, পর্চা, চিটা, দখলনামা, বয়নামা, জমাবন্দি, দাখিলা, হুকুমনামা, জমা খারিজ, মৌজা কি?
পাকি পরিমাপক
১ পাকি = ১ বিঘা = ৩৩ শতাংশ
১ পাকি = ২০ কাঠা = ৩৩ শতাংশ
শতাংশ নির্ণয়ের সুত্র
১.৬৫ শতাংশ = ১ কাঠা = ১৬৫ অযুতাংশ =৭২০ বর্গফুট (মোটামুটি)
১ শতাংশ = ১ শতক = ৪৩৫.৬ বর্গফুট (মোটামুটি)
১ শতাংশ = ১০০ অযুতাংশ = ১০০০ বর্গলিংক
৩৩ শতাংশ = ১ পাকি = ১ বিঘা = ২০ কাঠা
১ শতাংশ =১৯৩.৬ বর্গহাত
২৪৭.১০৫ শতাংশ = ১ আয়ের
একর পরিমাপক
১ একর = ১০ বর্গচেইন = (৬৬*৬৬০) = ৪৩৫৬০ বর্গফুট
১ একর = ১০০ শতক = ৪৩৫৬৯ বর্গফুট
১ একর = ১০০ শতক = ১০০০০০ বর্গলিংক
১ একর = ১৯৩৬০ বর্গহাত
১ একর = ৪৮৪০ বর্গগজ
১ একর = ৪০৪৭ বর্গ মিটার = ০.৬৮০ হেক্টর
৬৪০ একর = ১ বর্গমাইল
১ একর = ৩ বিঘা ৮ ছটাক
১ একর = ৬০.৫ কাঠা
১ একর = ২ কানি ১০ গন্ডা ( ৪০ শতক কানি অনুসারে)
২৪৭ একর = ১ বর্গকিলোমিটার
হেক্টর পরিমাপক
১ হেক্টর=২.৪৭একর
১ হেক্টর = ৭.৪১বিঘা
১ হেক্টর = ১৪৮.২কাঠা
১ হেক্টর = ১০৬৭০৪ বর্গফুট
১ হেক্টর = ১০০০০ বর্গমিটার =৯৯১৩ বর্গমিটার
১ হেক্টর = ১১৯৬০ বর্গগজ
১ হেক্টর = ১.৪৭ একর
১ আয়ের = ২৮.৯ বিঘা
১ হেক্টর = ২৪৭.১০৫ শতক
১ হেক্টর = ৪৭৮৯.৫২৮ বর্গহাত
১ হেক্টর = ১০৭৬৩৯ বর্গফুট
১ হেক্টর = ১১৯৫৯.৮৮২ বর্গগজ
১ হেক্টর = ৭.৪৭৪ বিঘা
১ হেক্টর = ১০০ আয়ের গন্ডা পরিমাপক ১ গন।
ভূমি আইন পাস হয়েছে, ১০ই জানুয়ারি ২০২৩ থেকে কার্যকর হবে। যে বিষয়-গুলো উল্লেখযোগ্য , নিম্নে তা তুলে ধরা হলোঃ-
(০১) কাহারো ৬০ বিঘার উপরে কৃষি জমি থাকতে পারবেনা।
(০২) এক নামে ২৫ বিঘা জমি থাকলে তার খাজনা মাফ।
(০৩) আসল দলিল যার ভূমি তার।
(০৪) ভূমি অপরাধ আইন, ভুয়া বেনামি ও জাল দলিল বাদ ও সেই দলিলের দাবিদারের জেল হবে।
(০৫) ভূমি জবর দখল দন্ডনিয় অপরাধ।
(০৬)মূল মালিক কে জমি দেওয়া হবে।
(০৭) আন রেজিষ্টার্ড দলিল বাদ।
(০৮)কারো থেকে অতিরিক্ত জমি লিখে নেওয়া দলিল বাদ ও দন্ডনিয় অপরাধ।
(০৯) অন্যের নামে ভূয়া জাল দলিল বাদ বা ১০০ বৎসর ভূমি জবরদখল রাখলেও সেই জমির দখল ছাড়তে হবে।
(১০) খাস জমি ভূয়া দলিল করে দখলে রাখলে সেই ভূমির দলিল বাদ ও দখল ছাড়তে হবে।
(১১) নিজের ভাই-বোন মা-বাবা ও কাউকে পাগল বা প্রতিবন্ধী বলে ভূল বুঝিয়ে দলিল করে নেওয়া, ওই সকল নামে জাল দলিল বানিয়ে ভুমি আত্মসাৎ করা দলিল বাদ হয়ে যাবে।
(১২) উত্তরাধিকারিকে বঞ্চিত করে ভূয়া দলিল তৈরি করিলে বা দখল না দিয়ে বা বঞ্চিত করলে সেই দলিল বাদ।
(১৩) ভূমি ক্রয়কারী ও বিক্রয়কারীর দলিল সঠিকতর থাকতে হবে।
এক কথায় আসল দলিল যার ভূমি তার। [সংগৃহীত]
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the business
Telephone
Address
Dhaka
1216
Eastern Housing, Pallabi, Mirpur
Dhaka, 1216
Income Tax Consultant, ITP (NBR), MBS (Accounting), Diploma in Secretarial Science.
Basundhora Road
Dhaka
we create your value addition day to day by serving Bangladesh
Zigatola Bus Stand, Dhanmondi 2/A
Dhaka, 1209
Income Tax Chamber Daroga Market, 1st Floor 21/1, Haque Manson, Zigatola Bus Stand, Dhanmondi 2/A
Holy Tower, 273/3-Ga West Agargaon, Sher E Bangla Nagar
Dhaka, 1207
Kamal Uddin & associates does help businesses, organizations, and individuals with legal issues regarding their VAT, Tax, Real estate and Financial planning. That includes helping ...
Ramna
Dhaka
Largest Taxation Network in Bangladesh. Low Cost Better Service.
House 24, Road 130, Gulshan-1, Segunbagicha & Mirpur Dhaka
Dhaka, 1212
আয়কর আইনজীবী INCOME TAX, VAT, COMPANY REG. TRADE LICENCE, ACCOUNTS & AUDIT PROJECT LOAN PROSSES ETC.
Dhaka
Tripty Shop is an online-based e-commerce platform mainly focusing on baby, healthcare and food prod
8, Tayaba Bhaban, South Kallanpur
Dhaka, 1207
Providing sound Tax & Vat advice to our clients.
SEL Centre (4th Floor), 29 West Panthapath
Dhaka, 1207
BD Tax Lawyer is the best income tax law service in Bangladesh.