তাশরিফ মাহমুদ
আমি মৃত্যুকে ভালোবাসি, কারণ মৃত্যুরচে' চির সুন্দর পৃথিবীতে আর কিছু নেই।
ওমর ভাইয়ের কবিতার বই, প্রচ্ছদ ভাল্লাগছে। তবে যাওয়া-হাওয়া শব্দের ‘ও’-এর ওপর মাত্রা কেন ব্যবহার করছে? ব্যাকরণের শরিয়ত কী বলে?
জানতে চাই?
ক্রিকেট বিশ্বকাপ, মিছিলের ঘৃণা
কনকর্ড এম্পোরিয়ামে সাহিত্য আড্ডা শেষ করে হাকিম চত্বরের পরিচিত হালিমটা খেলাম। হালিম খেতে খেতে অনুভব করছি টিএসসি থেকে ভেসে আসছে ‘ভূয়া ভূয়া’ শ্লোগান। শ্লোগানমুখর শব্দে মনে হলো, ছাত্রদল বা পরিষদের কোনো বিক্ষোভ। সাঈদ আবরার ভাই বললো, আরে খেলা চলতাছে, পোলাপান খেলা দ্যাহে। টিএসসিতে নগদের স্পন্সরে পুরো বিশ্বকাপের খেলা প্রদর্শনের বিশাল মনিটরের ব্যবস্থা আছে। ফিফা বিশ্বকাপেও ছিল। হালিম খাওয়া শেষে হেঁটে হেঁটে টিএসসির পাশ দিয়ে পল্টন আসি, মূলত সোহরাওয়ার্দীর খোলা মাঠ থেকে ভেসে আসা হেমন্তের ঘ্রাণ নিতে। এই সময়ে দূষণমুখর ঢাকায় হেমন্তের ঘ্রাণ এদিকেই পাওয়া যায়, একটু শীত শীত আবহ। রাজু ভাস্কর্যের পাশে আসতেই একদল বলছে ইন্ডিয়া আরেকদল বলছে ভূয়া, মিছিলের সুরে সুরে। একটা দেশের মেধাবীরা এইখানে পড়ে। এদের ইন্ডিয়ার প্রতি এতো ক্ষোভ কেন? প্রতিটা উচ্ছ্বাসীয় চিৎকারে ভেঙে ফেলছে রাগের ঢল। নির্দিষ্ট রিদমে ভেসে বেড়াচ্ছে ঢাবির আকাশে। হাঁটতে হাঁটতে ভাবতে লাগতাম, আধিপত্যবাদীদের প্রতি মানুষের রাগ, আর এই রাগ প্রকাশ পায় যেকোনো সুযোগে। আধিপত্যবাদীদের প্রতি ঘৃণাপোষা, পৃথিবীর ইতিহাসে তা অহরহ। আর এই আধিপত্যের লড়াইয়ে পৃথিবীতে মানুষ খুন হয়েছে মিলিয়ন মিলিয়ন। বর্তমান পৃথিবীতে যে আধিপত্য বিস্তারের খেলা চলছে, এতে বলি হচ্ছে গরিব দুর্বল রাষ্টগুলো। নিকট অতীতে দেখেন, আমাদের সামনে প্রেক্ষিতে কত রাষ্ট্র শেষ হয়ে গেল। একটা সময় আধিপত্যের খেলায় রাজাবাদশাদের ক্ষয়ক্ষতি হত, আর এখন ক্ষয়ক্ষতি হয় জনতার। পৃথিবী থেকে কলোনিয়াল যুগ চলে গেছে আরও আগে। কিন্তু এই কলোনিয়াল যুগের আধুনিক ভার্সন বি-উপনিবেশ বা সাম্রাজ্যবাদ। শিল্পবিপ্লবের পর থেকে সাম্রাজ্যবাদের প্রতিযোগিতায় ম্লান হয়েছে মানবতা, সভ্যতা, স্বাধীনতা। সাম্রাজ্যবাদের মনোবাসনায় আমেরিকা বিগত ৫০ বছরের পৃথিবীকে অস্থির করেছে তুলেছে, পুঁজিচিন্তায়। সমাজতন্ত্র প্রতিষ্ঠার নাম করে রাশিয়া ধ্বংস করেছে ভূখন্ডের পর ভূখন্ড। ফ্রান্স, ইংল্যান্ড আফ্রিকা হিন্দুস্তানকে করেছে দেওলিয়া। অর্থনৈতিক সাম্রাজ্যবাদ চালিয়ে চীন দেওলিয়া করেছে, শ্রীলঙ্কাকে। এখনকার পৃথিবীতে সবলরা প্রলেতারিয়েতের ওপর জুলুম করা অধিকারে সংস্কৃতিতে পরিণত হয়েছে। আর বর্তমানে বাংলাদেশে ভারত সাম্রাজ্যবাদ চালাচ্ছে সাংস্কৃতিক আধিপত্যে। ভারতের আধিপত্য বিস্তারের বহু প্রজেক্ট।
এক. ঐতিহাসিক
দুই. সাংস্কৃতিক
তিন. রাজনৈতিক
চার. অর্থনৈতিক
প্রাগুক্ত চারটি ছাড়াও আরও অনেক শাখা আছে। বর্তমান ভারতের আধিপত্য বিস্তারের প্রধান লালসা হলো হিন্দুত্ববাদকে গাঢ় করা। এইটা গাঢ় করতে হলে, বাংলাদেশকে সবকিছু থেকে মূর্খ বানাতে হবে। এইদেশের তরুণ প্রজন্মকে সাংস্কৃতিক আগ্রাসন চালিয়ে রাজনৈতিকভাবে মূর্খ বানিয়েছে। অর্থাৎ বাংলাদেশের রাজনীতিটারে ধ্বংস করছে। তারপর শিক্ষাধ্বংস। শিক্ষাধ্বংসের মাধ্যমে নৈতিক অধঃপতন ঘটিয়েছে। নৈতিকঅধঃপতনে কী হচ্ছে সব দৃশ্যত। ক্রমে ক্রমে যে ফ্যাসিবাদ বড় হচ্ছে, এর পিছনে এই ভারতের শেল্টার।
ভারতের এই আধিপত্যটা যারা একটু টের পেয়েছে তারাই সোচ্চার। সুযোগ পেলেই ভারতের প্রতি ক্ষোভ উগরে দেয়। ভারতকে কখনো এইদেশের মানুষ নিতে পারবে না। সাম্রাজ্যবাদীরা কখনো বন্ধু হয় না। যারা বি-উপনিবেশায়ন করতে চায়, তাদের আত্মসত্ত্বায় স্বাধীন মানুষেরা নিতে পারে না। ঢাবির ছেলেমেয়ের এই ভারত বিরোধিতা বলে দেয়, সাম্রাজ্যবাদীদের উত্থান কোনোভাবেই গ্রহণীয় নয় এই প্রজন্মের কাছে। যার কারণে একটা ক্রিকেট বিশ্বকাপে ভারতের পরাজয়ে মিছিলে মিছিলে ঘৃণা ওড়ে।
বিশ।এগারো।তেইশ।
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
তেইশ তারিখ মুয়ায বাংলাদেশ ছেড়ে যাবে। শেষমেষ দেখা করলাম, বেঙ্গলে। একসঙ্গে বই দেখলাম। বইয়ের প্রচ্ছদ ও শিল্পকলার নানান আলাপ হলো। আমার খুব কষ্ট হচ্ছে, মুয়াযের সাথে বোধহয় জীবনের শেষ কাঙ্ক্ষিত দেখা আমার হয়ে গেছে।
যাও, ছুটে চলো লক্ষ্যে। এই যাত্রা তোমার অদম্য হোক, ছুঁয়ে ফেলুক তোমার অলক্ষ্যও।
মিশর আমার স্বাপ্নিক প্রাক্তনের শহর
বাংলাদেশের অনেক প্রিন্ট ও ইলেক্ট্রনিক্স মিডিয়ায় জায়ন'বা*দীদের শেয়ার আছে। খুব কিউট লাগতাসে, ওই মিডিয়াগুলোও মালিকের অসহায়ত্ব নিয়া নিউজ করতাসে।
অদম্য ১৯ এর চমৎকার আয়োজন
ٱلَّذِینَ قَالَ لَهُمُ ٱلنَّاسُ إِنَّ ٱلنَّاسَ قَدۡ جَمَعُوا۟ لَكُمۡ فَٱخۡشَوۡهُمۡ فَزَادَهُمۡ إِیمَـٰنࣰا وَقَالُوا۟ حَسۡبُنَا ٱللَّهُ وَنِعۡمَ ٱلۡوَكِیلُ
ভাবছিলাম, বইমেলা বাড়াবে কিন্তু বাড়ালো না। ক্লান্তিক জটিলতায় পাঁচদিন যাবৎ বইমেলায় যাওয়া হচ্ছে না।
ঐতিহ্য বা নির্বাচিতের স্টল থেকে কেউ আমার জন্য এই বইটা কিনতে পারেন। টাকা দিয়া বই নিয়ে যাবো আপনার কাছ থেকে।
খুব রাত হয়ে যায়—আমাদের কথা বলা হয় না। সময়ের লাইনজুড়ে ভাসতে থাকে দুরত্ব, জীবন আর সম্পর্কের বাস্তবতার কাছে খুবই অপারগ।
অভিমান ঢল ভেঙে নেমে আসে। টিনএজ মৌনতা আচ্ছন্ন করে ফেলে আস্ত জীবনের কোলাহল। খুব একা হয়ে যাচ্ছি, কিংবা কারো দুরত্ব ক্রমশ একা করে দিচ্ছে।
কোথা হতে ভেসে আসছে সংসারভাঙা চিৎকার। ভয়ে আড়ষ্ট হয়ে হেঁটে যাই নিয়তির আলপথে, কামনার পাশাপাশি চুপিসারে বলি—আমার যেন সংসার না হয়।
বিষণ্নপাখি মাঝে মাঝে ডাহুকের মত ডেকে যায়। শূন্যে তাকিয়ে ভাবি, আমার তো বয়স হয়েছে, একটা লাল-খয়েরি পিরান পরা মেয়ের পথ চেয়ে বেঁচে আছি এই তো বেশি।
বিশ। দশ। তেইশ।
বিদ্যুৎগলি, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
আলিজা আলী ইজেতবেগোভিচ, দার্শনিক, চিন্তক, মহান জ্ঞানীয় এই নেতার আজ মৃত্যু বার্ষিকী।
মধ্যরাত। জার্নি অব কারনাক ক্যাফে।
ধন্যবাদ এম. জসীম খাঁ , তোহফা দেওয়ার জন্য
আমাদের লিটলম্যাগ আন্দোলন আজ আন্দোলন করেই আমাদের ম্যাগাজিন উৎসব করছি। ইফা বাঁধা দিয়ে ছিল, ইফাকে হুমকি দিলাম, করতে না পারলে আল্লার কসম এখন বিক্ষোভ মিছিল ও রবিবার ইফা ঘেরাও করাম। প্রধানমন্ত্রী ও রাস্ট্রপতি বরাবর স্মারকলিপি দিব। পাশেই জাগ্রত কবি মুহিবখানের প্রোগ্রাম বন্ধ করে দেয়। আমার হুমকিতে ইফার টেনপাশ কর্মচারীরা নড়েচড়ে বসে। পুলিশের হুমকি দেখিয়েও নড়াতে পারেনি আমাদের।
প্রারম্ভিক উপস্থাপনায় দুঃখের কথাগুলো বলছিলাম। ইফা একটা মেলার আয়োজন করে। যে মেলার নিজস্ব কোনো ডিজাইন নেই। ড্রয়িং নেই। অদ্ভুত। আশ্চর্য। পৃথিবীতে আর কোনো দেশে এমন মেলা হয় কিনা আমার জানা নেই। আমার জেলা ময়মনসিংহের বইমেলা কত গোছালো। ইফার মতো দায়িত্বশীল পর্যায়ের প্রতিষ্ঠান এতো বাজে অব্যবস্থাপনায় মেলা করতে পারে, লিটলম্যাগ চত্বর নেই, গ্রন্থ উন্মোচন মঞ্চ নেই। নামমাত্র একটা লেখক কর্নার দিয়া রাখছে, যেখানে পুলিশ প্রশাসন ও ইফার লোকেরাই বিশ্রাম করে দখলে রাখে।
এই কর্মচারীরে পরে আর দেখি নাই। আমাদের প্রোগ্রাম শেষ হয়। একটি সংগ্রামমুখরতার মধ্য দিয়া।
Ahmad Abu Jafor একো সুন্দর আয়োজনের জন্য ধন্যবাদ
হয়তে পারে বাংলাদেশে আমাদের একসঙ্গে শেষ বিভাগীয় বইমেলা। আবরার ফাহিম স্যার মিশরে উড়াল দিবে আগামী বুধবার। এখন সময় ‘দাম্পত্য জীবন সুখের হোক’ এই দোয়ার, কিন্তু...
সবকিছু সুখের হোক
কয়েক হাজার বছর আগে সাজু ভাই বিহারি পাড়ায় নিয়া এইসব আকাম করাইছিল। সাথে লালবাগের ছড়াকার আব্দুস সামাদ আজিজ।
এইসব আকামের প্রায়শ্চিত্ত কর Sajjadur Rahaman Sajjad ভাই।
ইসলামী বইমেলা বাইতুল মোকাররম সংগ্রহ
কাশ্মীর ও আজাদির লড়াই
লেখক: Altaf Parvez
বার্মা জাতিগত সংঘাতের সাত দশক
লেখক: আলতাফ পারভেজ
অন্য কোনো কাননে
অনুবাদক: সৈয়দ শামসুল হক
‘একটি অনুপম আদর্শ প্রতিষ্ঠার লক্ষে’ জাতীয় সীরাত সম্মেলন ও সংবর্ধনা উপলক্ষে “জাতীয় সীরাত প্রতিযোগিতা ২০২৩”
✅ প্রতিযোগিতার বিষয়
☑️ হিফজুল হাদীস.
☑️ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা
☑️ বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
☑️ কুইজ প্রতিযোগিতা
❂ বিস্তারিত বিবরণ
☑️ ১৩ অক্টোবর-২০২৩ শুক্রবার, সকাল ৯টা; স্থান : আইএবি মিলনায়তন।
✅ হিফজুল হাদীস
☑️ ১৩ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার, দুপুর ৩:৩০টা, স্থান : আইএবি মিলনায়তন
☑️ হিফজুল হাদীস প্রতিযোগিতা সকলের জন্য উন্মুক্ত (পুরুষ)।
☑️ সাহাবীর নামসহ হাদীস মুখস্থ বলতে হবে।
☑️ হাদীস প্রতিযোগীকে ১০০ নির্ধারিত হাদীস থেকে বিচারকগণ নির্দিষ্ট হাদীস জিজ্ঞাসা করতে পারবেন।
☑️ প্রতিযোগিতার জন্য নির্ধারিত হাদীস জানতে www.facebook.com/iabdcs মেসেঞ্জার অথবা নগর কার্যালয় থেকে প্রিন্ট কপি সংগ্রহ করা যাবে।
✅ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা
✒ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা বিষয়
☑️ আল্লাহর পথে দাওয়াত -রাসূল সা. এর কর্মপন্থা
☑️ মক্কা বিজয়-রাসূল সা. এর দয়া ও যুদ্ধনীতি
✒ নিয়মাবলী
☑️ প্রবন্ধের শব্দ সংখ্যা সবোর্চ্চ ২০০০ (দুই হাজার) হতে পারবে।
☑️ প্রবন্ধের ভাষা প্রমিত বাংলায় হতে হবে।
☑️ প্রবন্ধ রেফারেন্স ভিত্তিক হতে হবে।
☑️ প্রবন্ধের ভাষা-ব্যাকরণ ও বানান নির্ভুল হতে হবে।
অন্য কোন লেখকের লেখা হুবহু বা আংশিক নকল বা প্যারোডি করা যাবে না। তবে উদ্ধৃতি গ্রহণযোগ্য।
☑️ প্রবন্ধ SutonnyMJ ফন্টে কম্পোজ করে আমাদের নির্দিষ্ট মেইলে জমা দিতে হবে। ইমেইল : [email protected]
☑️ প্রবন্ধের নীচে অবশ্যই নাম-ঠিকানা/বর্তমান ও স্থায়ী মোবাইল নাম্বার লিখে দিতে হবে।
☑️ প্রবন্ধ জমা দেয়ার শেষ সময় ১০ অক্টোবর-২০২৩।
☑️ উপরোল্লেখিত ৬টি বিষয় থেকে যেকোন একটি বিষয়ে প্রবন্ধ লিখতে হবে।
☑️ প্রবন্ধ প্রতিযোগিতা- পুরুষ ও মহিলা সকলেই অংশ গ্রহণ করতে পারবে।
✅ বক্তৃতা প্রতিযোগিতা
☑️ ১৩ অক্টোবর ২০২৩ শুক্রবার, সকাল ১১টা, স্থান : আইএবি মিলনায়তন
✒ বক্তৃতা প্রতিযোগিতার বিষয়
☑️ রহমাতুল্লিল আলামীন
☑️ আদর্শ রাষ্ট্র নায়ক মুহাম্মাদ সা.
✒ নিয়মাবলী
☑️ উপস্থিত বক্তৃতা উপরোল্লিখিত ২টি বিষয় থাকবে। লটারীর মাধ্যমে যে বিষয়টি নির্ধারিত হবে সে বিষয়ে বক্তৃতা করতে হবে।
☑️ বক্তৃতা সুন্দর উপস্থাপনা, মার্জিত ভাষা ও রেফারেন্স ভিত্তিক হতে হবে।
☑️ মূল বক্তব্য অবশ্যই বাংলায় হতে হবে।
☑️ প্রতিযোগিতায় (পুরুষ) সকল শ্রেণি-পেশার মানুষ অংশ নিতে পারবে।
☑️ বক্তৃতার নির্ধারিত সময় ৬ মিনিট
✅ কুইজ প্রতিযোগিতা
☑️ সীরাত বিষয়ে ২০টি প্রশ্ন থাকবে।
☑️ সঠিক উত্তরে টিক চিহ্ন দিতে হবে।
☑️ টিক চিহ্ন দিতে অবশ্যই সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। কাটা-ছেড়া করা যাবে না।
☑️ উত্তরপত্রের নীচে অবশ্যই নাম, ঠিকানা ও মোবাইল নাম্বার দিতে হবে।
☑️ একই নামে একাধিক ফরম পূরণ করা যাবে।
☑️ উত্তরপত্র পূরণ করে আমাদের প্রতিনিধির কাছে যথাযথভাবে জমা দিতে হবে।
☑️ উত্তরপত্র পূরণ করে আমাদের প্রতিনিধির কাছে যথাযথ ভাবে জমা দিতেহবে।
☑️ উত্তরপত্র অবশ্যই ২০ অক্টোবরের মধ্যে জমা দিতে হবে।
☑️ আমাদের নির্ধারিত ফরমেই পূরণ করতে হবে। ফটোকপি গ্রহণ করা হবে না।
☑️ প্রতিযোগিতা সংক্রান্ত সকল বিষয়ে কর্তপক্ষের সিন্ধান্তই চূড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে।
✅ নিবন্ধনের শেষ তারিখ : ০৮অক্টোবর ২০২৩
✅ বি: দ্র: সকল প্রতিযোগীকে নির্ধারিত ফরমে নিবন্ধন করতে হবে। নিবন্ধন ফরম-ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণের অফিস অথবা স্থানীয় প্রতিনিধিদের থেকে সংগ্রহ করা যাবে।
❂ আয়োজনে
ইসলামী আন্দোলন বাংলাদেশ, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ
৫৫/বি, পুরানা পল্টন, ঢাকা-১০০০। [email protected], www.facebook.com/iabdcs
যোগাযোগ: ০১৯১৪৮৮৬৪৬৭, ০১৭৪১৭৯০৫৩৩
আমার দুর্ভাগ্য—এমন একটা সময়ে বেড়ে উঠেছি যখন রাজনৈতিক কোনো শৈল্পিকতা উপভোগ করতে পারিনি। চারদিকে কেমন মানুষের হাহাকার, খাদ্য, উৎপাদন, বেকারত্ব, যুলুম, নীতিহীনতা, সব কিছুতেই মানুষের হাহাকার। একজন মানুষের সাংবিধানিক অধিকার নিয়ে শুদ্ধ রাজনীতি করবে সে পরিবেশটাও নাযুক। দমন-পীড়নের তান্ডবের মধ্য দিয়ে ‘রাজনীতির ভদ্রতা’ হারিয়ে গেছে। একজন সুস্থ মানুষ কখনো বলতে পারবে না, তা রাজনীতি—তাকে গভীর দীর্ঘশ্বাসে বলতে হবে এইটা রাজনীতির নামে মাস্তানি। এইসব মাস্তানরা এখন সমাজের অধিপতি, শালিস বৈঠকের চেয়ারগুলো শোভা হয়ে থাকে এইসব অসুন্দর রাজনৈতিক অশোভায়।
মানুষের উপর আধিপত্য বিস্তার করতে মানুষের কলিজা চিবিয়ে খেয়ে নেয়, সাহসহীন নিথর হয়ে বাকীটা জীবন নিয়তিতে চেয়ে থাকে অসাড়। চারদিকে অদৃশ্য এক জুজুর ভয়। বিমূর্তে ভেসে বেড়ায় জনতার কান্না।
দাদাদের মুখে শোনা, ওমুক চেয়ারম্যান ইনসাফের বিচার করতো, নীতিবান ছিল, সৎ ছিল, এসব এখন আমাদের কাছে কিংবদন্তির মত। বোধহয় আমাদের পরবর্তীতে প্রজন্মকে শোনাতে পারব না কোনো সাহসের গল্প, প্রেরণার গল্প। চোখের সামনে কাউকে দেখি না সৎ, নীতি আদর্শচুত্য মানুষরা এখন ভিলেজ পলিটিক্সের নিয়ন্ত্রক। একজন মেধাবি তরুণ রাজনীতির প্রতি ক্ষোভ রাখে বিষম, এইসব চরিত্রহীন, লম্পট মাস্তান রাজনৈতিক কর্মীদের দেখে।
রাজনৈতিক স্নিগ্ধতা ফুরিয়েছে বহু আগে। এখন আধিপত্য টিকিয়ে রাখতে রক্ত ঝরায়, খুন করে, এতিম বানায়, বিধবা করে। আমরা শুধু নিরব আর্তনাদে হেসে যাই, আমার এই তো শক্তি; এছাড়া আর কিইবা করার আছে আমাদের। টুটির উপর যখন পড়ানো থাকে খোয়া, তখন কথা বলতে যাবে কে? প্রাণের সুরক্ষার তাগিদে নিচু হয়ে মেনে নেয় জীবনের লাঞ্ছনা।
১৯০ বছরের উপনিবেশিক প্রভুদের হাত থেকে আজাদ হয়েছিলাম রক্ত ঝরিয়ে, প্রাণ দিয়ে। শুধুমাত্র স্বনির্ভরতার জন্য। তারপর শোষকদের থেকে তিরিশ লক্ষ জীবনের দানে পেয়েছিলাম স্বাধীনতা। বাংলাদেশের যাত্রায় হয়তো মানুষের নিশ্বাসের স্বাধীনতা পাবে, কিন্তু না। আজ ৫২ বছরেও কাঙ্ক্ষিত আজাদী পাইনি। সবার চরিত্র এক, শুধু সময়ে সময়ে ভিন্নতা দেখিয়েছে রাজনৈতিক বিজ্ঞাপনে। চটকদার কথা বলে, গিলিয়েছে তৃপ্তির স্বপ্ন। স্বাধীনতার সমস্ত সংজ্ঞা এখানে এসে ভিন্ন হয়ে যায়। একটা মূর্খ সম্প্রদায় আরেকটা মূর্খ সম্প্রদায়কে বোঝায় পরাধীনতাও স্বাধীনতা।
আফসোস নিজের জন্য, জাতির জন্য—এই জাতির মহান ব্যক্তির জন্য। পরাধীনতার কোলাহল ভেঙে কখনো ধ্বনিত করতে পারি নাই ‘আমাদের ক্ষমতা আমাদেরই হাতে থাকবে—আমরাই ক্ষমতা বন্টন করে দিব’।
একটি ঘোরতর আলোহীনতায় আমিও বেড়ে উঠছি ভেবে বিস্ময়বোধ করি। কেন সমস্ত নিরবতা ডিঙিয়ে ফ্যাসিবাদের কোলাহল ভেঙে ফেলি না? আমাদের দিনগুলো কোনো রকম যাচ্ছে, তবে ভবিষ্যত এভাবে যেতে পারে না। আলো আসুক—ধুয়ে দিক তাবৎ অন্ধকার। একটা শৈল্পিক রাজনৈতিক সময়ের অপেক্ষা এখনো আশাবাদী করে তোলে।
আটাশ।আট।তেইশ।
গফরগাঁও ময়মনসিংহ
সুন্দর আয়োজন সফল হোক
একদিন তোমার বুকের ভেতর আবৃত্তি করে বলবে, এত এত শূন্যতা জমা করে কী পূর্ণতা টের পাবে?
সেদিন তুমি প্রতিআবৃত্তি করে বলে দিও—আমি এই ফ্যাসিবাদের পূর্ণতা অনুভব করি না। নির্যাতিতের জন্য বুকে হাহাকার জমেছে, এখানে ফ্যাসিস্টের জন্য প্রেম নেই।
তেরো।দুই।তেইশ।
মহারাত্রি, যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
এখন কেমন পড়ে আছি দেখ—মায়া ছেড়ে বিপুল আশাহত। পৃথিবীতে বাড়ছে কোলাহল, মানুষের মনে বিষণ্ণতার জগদ্দল। মানুষ জমাতে পারলেও জমাতে পারিনি মানুষের মায়া। পৃথিবীতে মানুষের মত অদ্ভুত নেই আর কিছুর ছায়া।
অতঃপর দীর্ঘশ্বাস বেড়ে যাচ্ছে। মৃত্যুকালীন ভয়াবহতা নেমে আসছে পৃথিবীতে। বর্তমানের ক্ষুধায়—বেহুশ হয়ে থেমে যায় মানুষ। দৃষ্টি-সামনে ঝুলে থাকে ক্ষমতাসীনের বিরুপ দৃষ্টি। উপেক্ষাশূণ্য মানুষেরা ভুলে গেছে ক্ষোভ। ভয়ের সামনে নত হয়ে ইবাদত করে—ফ্যাসিবাদ আতংকিত জনগণ। স্বাধীনতার সনদ হাতে বিমর্ষ ৫১ বছরের বাংলাদেশ; ক্রমাগত নিরব চিৎকারের উৎযাপন সয়ে যাচ্ছে।
কোনো মুক্তিআন্দোলনের অপেক্ষায় পুড়ে যাচ্ছে, অলসের বৃহৎ মন। অনিবার্য স্বপ্নের নেশায় নিশ্চিত গন্তব্য অনিশ্চিতের পথে দৌড়াচ্ছে।
তাশফিয়া নওরিন—ভূরাজনীতিতে অজ্ঞ, এসব মানহাজির ফ্যান্টাসিতে ঘুমিয়ে যাচ্ছে জাগ্রত তারুণ্য। তাহলে তোমার আমার গোরস্থান ফ্যাসিবাদের দেশেই হবে।
বারো।দুই।তেইশ।
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
ফ্যাসিবাদের দেশে আমাদের গোরস্থান হবে—ফ্যাসিস্টের যিয়ারতে কেঁপে ওঠবে গোরস্থান
লেখা ও ভয়েস তাশরিফ মাহমুদ
আত্মার সাথে বোঝাপড়াটা ইদানীং আর হয়ে উঠছে না। দ্বন্দ্বমুখর সময় এসে হামলে পড়ছে জীবনে।
চারদিকে নিঃসঙ্গতার ব্যারিকেড। বয়কট ঘোষণার নিমিত্তগুলো উপনিবেশিক চিন্তার বর্ণবাদ। খুব একা হয়ে চেয়ে থাকা হয় নিয়তিতে।
কোনো স্বস্তি নেই
হাতাশার মাঝে গল্প শোনার মানুষ নেই।
বিশ্বস্ত বন্ধু নেই
নিজেকে গুটিয়ে নেওয়ার আশ্চর্য এক পরিণতি লটকে আছে স্ফূর্তির ধর্নায়।
এই অভূত জীবন তো গত হওয়া জীবনের দুর্দমনীয় আকর্ষণের কাছে বিষণ্ন।
জীবনের শত শত ফুলও ক্ষতচিহ্নের কাছে ক্ষীণ।
চিন্তা-উপনিবেশ আর পুঁজিবাদের এই কালে—মানুষ মানুষের কাছে শুধু ত্রুটি।..
তিরিশ।এগারো।বাইশ।
গফরগাঁও ময়মনসিংহ
দস্যুর দখলে দেশ—
মিশন-ভিশনের গল্প শুনে ক্লান্ত নিমিষে চোখ পড়ে অন্তর্গত ক্ষুধায়।
উন্নয়নের নীচে চাপা পড়া আমার মায়ের আনন্দ, বাবার তৃপ্তির নির্মম অপারগতা।
উনুনে সিদ্ধ হয়—দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে ‘মানুষের জীবন’।
সহজিয়া জীবনের হাহাকার, ক্রমেই বাড়ছে।
ক্ষুধিতের মিছিলের শব্দ চৌকাঠে লেগে নিথর পড়ে থাকে; অনিরুদ্ধে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেনি—অতীতের আরশিতে ভাসা নিষ্ঠুর প্রতিবিম্বের নিমিত্তে।
বৈশ্বিক দুর্ভিক্ষের গল্প—
বৈধ করবে কি আমাদের চুষে নেওয়া রক্ত?
ময়মনসিংহ
পঁচিশ। এগারো।বাইশ।
সিগ্রেটের ধোঁয়ার সাথে ওড়ে যায়—জীবনের সুস্থতা—
হারিয়ে যায় চিরায়ত সুন্দর
ক্রমাগত কমতে থাকে আয়ু
সমুহ ধ্বংসের রেখায়, আত্মসমর্পণ করে— জীবনের ক্ষাণিক মুহুর্ত।
ফুসফুসের চিৎকার ভেদ করেনি স্বর—সঙ্গমনিরত কুমারী মেয়ের কান্নার মত চেপে থাকে।
ভুলস্থানে মানুষ সুখ খোঁজতে যেয়ে চিরন্তন অসুখ বাঁধিয়ে ফিরে।
ভুলের মত সুন্দর, ফুলের কাছেও নেই; ভুলরত জীবনের চোখে।
ষোল। এগারো। বাইশ।
লেখা: আতিক ফারুক
পাঠ: তাশরিফ মাহমুদ
আমাদের দিনলিপিহীন কেটে যাচ্ছে সময়। প্রেমের মাঝে দুঃখ নাই, নতুন এক কথার প্রচলন চলছে আমার মস্তিষ্কে, অথচ আমার জীবনে কোনো প্রেম নেই; মানুষ প্রেম বলতে যা বোঝে।
দিনলিপিজুড়ে লেগে থাকুক আমার ভেতরের সব কথা। সব অভিযোগ। অনুযোগ। আপন বলতে কেউ নেই। বিশ্বাস করতে পারি না। নিজের সব কথা সবার কাছে বন্ধক রাখা যায় না। কারণ যারা আমায় আপন ভাবে তারাও সব কথা আমার কাছে বন্ধক রাখে না। আমি কেনো রাখবো?
অবিশ্বাসের মধ্যে বেড়ে উঠছে জীবন। আশপাশের কেউ নিরেট সত্যবাদী না।কৃত্রিম সুহৃদের বান করে যাচ্ছে। সহ্য করতে পারে না কিঞ্চিৎ আমাকেও।
অজ্ঞাত বিষাদে লেপ্টে যাচ্ছে মুহুর্ত। প্রতিনিয়ত একটা স্যাড রোমান্টিক মিউজিক বেজেই চলেছে ভেতরে। আমি অদ্ভুত আত্মার সন্ধান পাই আমার ভেতর। জেগে ওঠে—নিভে যায়। এই কারিশমায় ভেবে ভেবে কেটে যায় আরো অণু অণু সময়।
মাঝে মাঝে কেনো নিজেরে নিজের কাছে অপরিচিত লাগে?
চৌদ্দ। এগারো।বাইশ।
কবিতা: দুঃখের আরেক নাম
কবি: হেলাল হাফিজ
পাঠ: তাশরিফ
আমার আর আমার মৃত্যুর নোম্যান্স ল্যান্ডে দাঁড়িয়েও তোমাকে প্র্যত্যাশা করে চলেছি। ইহলোকে তোমার উঠোনে চাষ করতে চেয়েছি বেলিফুল। বেলিফুল আমার শৈশব আর ইদানীংকালের প্রিয়ফুল। কৈশোরে কারো দেখাদেখি গোলাপের পিছু ছুটলেও—কখনো গোলাপ আমার প্রিয় ফুল ছিল না। আমি তো বুবুর খোঁপার ভাজে জবা ফুল দেখে বেড়ে ওঠা ভাই। আমি তো কামিনী গাছতলায় অভিমান গোর করা বালক। শাপলা-শালুকে খুঁজে পেয়েছি মায়ের শৈশব। অবহেলিত ঘাসফুলের পাপড়িতে লেগে আছে আমার ইয়াতীম বাবার শৈশবের ঘাম। গন্ধরাজে লটকে আছে আমার শৈশবের নানাবাড়ি। শিমুল ফুলের চাহনিতে নানার আনন্দ। লিচু, বড়ই, কামরাঙা, কলমি ফুলের দিন—মুগ্ধতার দহলিজে এখনো মুখর। আমি এসব ভুলে গোলাপ-টিউলিপে যেতে পারিনি। গার্ডেন অফ ইউরোপের মোহনিয়ায় বিহ্বলতা আসেনি। নিরুপম ঘোরে আটকে আছি বাংলার পথ প্রান্তরে।
চেরিফুলের জীবনে যাওয়ার খুব শখ, অর্থনৈতিক দীনতায় পড়ে আছি সমস্ত চাওয়া-পাওয়ার অলখে।
নো ম্যান্স ল্যান্ডের সমস্ত উৎকন্ঠায় ভাবছি তোমায়। জীবনের অতশত ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে দুঃখের সমাধি হয় না। কাছেই থাক—রজনীগন্ধার কড়া মাদকতায়।..
তাশরিফ মাহমুদ
যাত্রাবাড়ী,ঢাকা।
তিরিশ।দশ।বাইশ।
রক্তশূন্যতার দহলিজে—প্রতিনিয়ত খেলা করে ১০৪ ডিগ্রি জ্বর। মারা যাবার মতো একটা রুগ নিয়ে তোমাদের সামনে হাসা হয়, ঘোরা হয়, কথা হয়, যেনো ভুলে যাই অস্বচ্ছন্দ জীবন।
কাঠগোলাপের সন্ধ্যায় প্রেমিকার হাত ধরে হেঁটে যাওয়ার ইচ্ছা এখনো জেগে ওঠে। সেই চিরচেনা দোয়েল চত্বর থেকে বাংলা একাডেমির পথে ভ্যগাবণ্ড হয়ে নিজের অস্বস্তির গোর করার ব্যর্থ চেষ্টা করার খাহেশ মাঝে শাঝে উঁকি মারে।
মানুষ অসুস্থ হলে, সুস্থতার প্রতিক্ষা করে আর আমি একটা বেলিফুলের সকালে কোথাও হারিয়ে যাবার লোভে সিলিং আর ধরনায় চেয়ে থাকি।
বারবার চোখের সামনে ভেসে উঠছে মৃত্যু, উঠোনে রজনীগন্ধ্যা ধোঁয়া সুবহে সাদিক; মৃত্যু আসুক কালিমা তায়্যিবার ধ্বনি হয়ে।
তাশরিফ মাহমুদ
আটাশ।দশ।বাইশ।
যাত্রাবাড়ী, ঢাকা।
আক্রোশ নিয়ে চেয়ে আছ, পৃথিবীর পথে আজ হাহাকার। ইউক্রেন—রাশিয়ার যুদ্ধে নিহত—দরিদ্র দেশের রিজার্ভ।
মানচিত্রে মধ্যবিত্তের অশ্রু, ভেতরে বয়ে যাচ্ছে চরম দুর্ভিক্ষ। অবশিষ্ট ‘আত্মমর্যাদার’ চিৎকার এখনো শুনেনি পড়শী। ফিসফিস কান্নার ধ্বনি এখন প্রতিনিয়ত নিরব। প্রতিধ্বনিত হতে আর কতক্ষণ বাকী...
তোমার বই করা হল না। কাগজের দাম বাড়ল। বাবার ওষুধ কেনা হ্রাস পাচ্ছে। জীবনের সংলগ্নে পরিযায়ী হয়ে আছে মৃত্যু। কোনো এক অভুক্ত দিনের রাতের শেষ প্রহরের—ঘোর বৃষ্টিতে বাবার চলে যাওয়া নিশ্চিত হল। ফজরে মসজিদের মাইকে ঘোষণা হয় মৃত্যু সংবাদ। বাবার লাশ দেখতে আসা মানুষের চোখে ক্ষুধা। হেলে পড়া জীবন নিয়ে প্রতিবেশী ও আত্মীয়র সম্প্রীতির চাহনী। কাফনের টাকা নেই। কম্পোজ করা কবিতার প্রুফ, সংগ্রহে থাকা পুরাতন বই কেজি ধরে বিক্রি করে গোর হল বাবার দেহ।
কবরস্থানের পাশে দাঁড়িয়ে আছে কামিনী ফুল গাছ। সন্ধ্যার হাওয়ায় ওড়ছে কামিনীর ঘ্রাণ, মওতাবাড়ির উঠোনজুড়ে হাহাকারের ঘোর। প্রথম রাতের বৃষ্টির জলে তোমার মায়ের অশ্রুর মোলাকাত। মধ্যরাতে বাবার ঘরের দেয়াল ধরে নিয়তির সম্মোহনে আছো, চোখের অশ্রুই দেখছো ফেলে আসা সুখ। মর্মান্তিক একটা সময়ে উপস্থিত তুমি, অশ্রু নদী শুকিয়ে গেছে। চর পরে আছে। চরে খেলা করছে তাবৎ পুঁজিবাদী। আর তুমি আগামী সন্ধ্যার খাবারের জন্য চেয়ে আছ ভবিতব্যে। ..
পঁচিশ।দশ। বাইশ।
যাত্রাবাড়ি, ঢাকা।
থাকবো
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Dhaka
5549
Street No :03
Dhaka, DHAKA-1230
Dr. Abdul Mannan Choudhury is an academic, media personality, politician, and freedom fighter,
40/1A, West Tolarbag, Mirpur-1
Dhaka, 1216
#TeamHAPPY #ChangeForWell #ChangeForTommorow #Mirpur #Dhaka14 #কাজীহ্যাপী #ভ?
Savar
Dhaka
সাবেক সভাপতি. মোচনা ইউনিয়ন ছাত্রলীগ. সদস্য. বাটিকামারী ইউনিয়ন আওয়ামীলীগ. মুকসুদপুর. গোপালগঞ্জ.
Dhaka
আহবায়ক ফেনী জেলা বঙ্গবন্ধু ফাউন্ডেশন। Convener Feni District Bangabandhu Foundation.