Md Abdullah
Nearby media companies
Dhaka
3360
R K Mission Road Gopibag
1216
Dhaka
Natore Boraigaram, Derai
Ka 18/6 Sub Kuril
DHAKA
Sirajganj
Zaianoger Bajer Dopcaciha Bogura, Bogura
Nobinogor
প্রথমে শিখুন।
তারপর নিজে চর্চা করুন।
তারপর অন্যকে শেখান।
তারপর ময়দানে বাস্তবায়ন করুন।
নিজের চেষ্টায়🤔 যুদ্ধ আমাদের বিজয় আল্লাহ তায়ালার।
(১)
গতকাল মাসজিদ আন নববীতে এক বয়স্ক চাচার সাথে পরিচয় হলো৷ রাজশাহি বাড়ি। আমার পাশে বসে সারাক্ষণ গুনগুন করে কুরআন তিলাওয়াত করেছেন। মাঝখানে একবার মাথা উঠিয়ে জিগ্যেস করলেন, ‘বাবা, আপনি থাকেন কোথায়?’
আমি বললাম, ‘চাচা, আমি ঢাকায় থাকি’।
—‘ও আচ্ছা। কী করা হয় দেশে?’
—‘কিছু ব্যবসাপাতি আছে আলহামদুলিল্লাহ’।
ক্ষণিকের আলাপ, তারপর চাচা কী মনে করে আমাকে বলতে লাগলেন, ‘বাবা, এই যে দেখেন আমরা কতো পবিত্র জায়গায় বসে আছি। আমাদের কতো কাছে শুয়ে আছেন আমাদের রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম।
এইটুকু বলা শেষ হতে না হতেই চাচা ঝর ঝর করে কেঁদে ফেললেন। এতো নিবিড়ভাবে নিকট অতীতে তেমন কাউকে কাঁদতে দেখিনি। ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে সে এক গভীর আবেগের কান্না। কথার মাঝখানে চাচাকে এভাবে কাঁদতে দেখে আমি নিজেও খানিকটা অপ্রস্তুত হয়ে পড়লাম।
কিছুটা শান্ত হয়ে এলে তিনি আমার চোখে চোখ রেখে বলতে লাগলেন, ‘বাবা, আমার রাসূলের গোটা জীবন কেটেছে মানুষকে দ্বীনের কথা বলতে বলতে। মানুষকে আল্লাহর দ্বীনে ফেরানোর জন্য সারাটা জীবন তিনি সংগ্রাম করেছেন। আমাদের জীবনটাও তাঁর মতো বানানো উচিত। যতোবেশি মানুষের কাছে আমরা দ্বীনের কথা পৌঁছাতে পারবো, ততোবেশি আমরা রাসূলের সেই সুন্নাহকে পালন করতে পারবো। মানুষকে আল্লাহর পথে ডাকার মতো পবিত্র কাজ আর কিছু হয় না’।
ইফতারের আগে আগে মাসজিদ আন নববীতে মুসল্লিদের ইফতারি দেওয়া হয়। বিশেষ করে সোম আর বৃহস্পতিবার। আমরা ইফতার সামনে নিয়ে আযানের অপেক্ষা করছি আর আপনমনে দোয়া করছি। আমাদের পাশেই একজন পাকিস্তানি বৃদ্ধ চাচা ইফতারি খুলে খেঁজুর খেতে চাইলে রাজশাহির সেই চাচা ইশারায় বললেন আযান হলেই খেতে।
তারপর দুজনের মধ্যে আলাপচারিতা শুরু হলো৷ পাকিস্তানি চাচা বলতে লাগলেন, ‘দেখো, আজ কতো সুস্বাদু, উপাদেয় খাবার এই নববীতে আমরা পাচ্ছি আর খাচ্ছি। আর আমাদের নবী কতো কতো দিন অভুক্ত থেকেছেন। কতো দিন রাত তাঁর চুলোয় আগুন জ্বলেনি। ঘরে খাবার না থাকায় কতো দিন যে আল্লাহর হাবীব রোজা রেখে দিয়েছিলেন।’
কথাগুলো বলার মাঝে দুজনেই দেখলাম একসাথে কাঁদতে শুরু করেছেন। ভীষণ অনুরাগ ছেঁয়ে থাকা হৃদয় থেকে ভেসে আসছে এক বাঁধভাঙা কান্নার জোয়ার। এতো সুন্দর আর পবিত্র সেই কান্না!
তাদের সম্মিলিত কান্না আমাকেও তাড়িত করে গেলো ভীষণভাবে। আহা, কতো কাছাকাছি আছি আমাদের রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের! এই দ্বীনের জন্য কতো ত্যাগ, কতো কষ্টই না তিনি সহ্য করেছেন। সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম।
প্রথমদিকে বাইতুল্লাহর পাশে লুকিয়ে লুকিয়ে সালাত আদায় করতেন। এমনও হয়েছে—তিনি সিজদায় গিয়েছেন আর মুশরিকেরা এসে তাঁর গায়ের ওপর উটের নাঁড়িভুড়ি তুলে দিয়েছে। মুশরিকদের অত্যাচার, নির্যাতন এড়াতে একসময় একটা বড়সড় পাথর জোগাড় করে, সেই পাথরের আড়ালে লুকিয়ে লুকিয়ে সালাত আদায় করতেন আমার রাসূল।
মসজিদ থেকে ফযর সালাত পড়ে এসে আয়িশা রাদিয়াল্লাহু আনহার কাছে জানতে চাইলেন, ‘খাওয়ার মতো কী আছে ঘরে?’
আম্মাজান আয়িশা বললেন, ‘খাওয়ার মতো কিছুই নেই আজ’।
আমার রাসূল স্মিত হেসে বললেন, ‘আচ্ছা। তাহলে আজ রোজা রেখে দিলাম’।
ইচ্ছা করলে পারস্য আর কিসরার সম্রাটদের যাবতীয় ঐশ্বর্য এসে তাঁর পায়ে লুটোপুটি খেতো, ইচ্ছে করলে তিনি থাকতে পারতেন হীরের পাথর লাগানো বিছানায়৷ কিন্তু তিনি সেসবের কিছুই চাইলেন না। শুধু চেয়েছিলেন আল্লাহর দ্বীন যেন ছড়িয়ে পড়ে দিকে দিকে, প্রান্তে প্রান্তে, ঘরে ঘরে আর হৃদয়ে হৃদয়ে। তাঁর বিছানা ছিলো খেঁজুর পাতার তৈরি। শুকনো খেঁজুর ছিলো তাঁর নিত্যকার আহার। আহা, আমার প্রিয়তম রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম!
(২)
হজ্ব উমরায় আসলে দেখা যায়—তাওয়াফ আর সাঈ করার সময় ফোন হাতে মানুষের সে কী ব্যস্ততা! ছবি তোলা, সেলফি তোলা, ভিডিও করা, তাওয়াফরত অবস্থায় আপনজনদের তা ভিডিওকলে দেখানো—ইত্যাদি যেন অত্যন্ত পরিচিত দৃশ্যপট বাইতুল্লাহজুড়ে।
সাতটা চক্কর শেষ করাই কি তাওয়াফের মর্ম? এইগুলো কি ফোন হাতে সবিশেষ ব্যস্ত হয়ে পড়ার মতোন জায়গা? পিতা ইবরাহিম আর ইসমাইল আলাইহিস সালামের স্মৃতি বিজড়িত এই বাইতুল্লাহ, আমার রাসূল সাল্লাললাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের পদধূলি মাখানো এই মাতাফের মুহূর্তগুলো কি এতোটাই কমদামি যে সেলফি আর ভিডিওতে বন্দী করতে গিয়ে সেগুলোকে অনায়াসে খরচা করে ফেলি?
আমাদের হৃদয়ে কি অতীত এসে হানা দেয় না? আমাদের নিয়ে যায় না সাড়ে ছয় হাজার বছর পেছনে যখন আল্লাহর নবি ইবরাহিম আর ইসমাইল আলাইহিমুস সালাম মিলে একত্রে বানাচ্ছিলেন আল্লাহর এই পবিত্র ঘর৷ একটা পাথরের ওপর আরেকটা পাথর, একটা স্তম্ভের ওপরে আরেকটা স্তম্ভ। তারপর যখন এই বাইতুল্লাহ তৈরি হয়ে গেলো, পিতা আর পুত্র মিলে দুহাত তুলে আল্লাহকে বললেন যেন তিনি এই কাজটাকে কবুল করে নেন। আল্লাহ সুবহানাহু ওয়া তাআলা কবুল করলেন তো করলেন, সেই নির্জন, নিস্তব্ধ নগরীর পবিত্র গৃহটা, একদিন যেটাকে তাওয়াফ করার মতো তারা পিতা পুত্র ব্যতীত আর কেউই ছিলো না, সেই গৃহখানা এখন প্রতিদিন দশ লক্ষ বিশ্বাসী মুসলমান তাওয়াফ করে! সুবহানাল্লাহি ওয়া বিহামদিহি!
অথবা, আমাদের হৃদয়ে কি ঝেঁকে বসবে না সেই অতীতের স্মৃতি, যখন মাতা হাজরা আলাইহাস সালাম শিশুপুত্র ইসমাইলের তৃষ্ণা নিবারণের জন্য পাগলপারা হয়ে ছুটেছিলেন সাফা থেকে মারওয়ায়, মারওয়া থেকে সাফায়? তারপর আল্লাহ একটা কূপের সন্ধান দিয়ে দিলেন, বাঁচলো ইসমাইলের প্রাণ আর পবিত্র মক্কা পেলো প্রাণ ধারণের উপকরণ। সেই বারাকাহপূর্ণ আবে যমযম!
তাওয়াফ আর সাঈতে আমাদের হাতে থাকা ফোনগুলোর উপর্যুপরি ব্যবহার দেখলে মনে হয়—বাইতুল্লাহ যেনো ইট পাথরের তৈরি একটা উঁচু স্তম্ভই শুধু। সাফা আর মারওয়া যেন শুধু যেকোনো পাহাড়!!
লক্ষ লক্ষ হাজীদের মাঝে, রাজশাহী আর পাকিস্তানের সেই চাচার মতো মানুষ অত্যন্ত বিরল যারা আপনমনে সেইসব সোনালি অতীত হাতড়ে বেড়াবে আর ভাবতে ভাবতে কেঁদে ফেলবে অঝোর ধারায়। রাসূলে আরাবির কথা স্মরণ করে চোখের পানিতে বুক ভেসে যাবে—এমন নরমদিলের মানুষ কেনো আমরা হতে পারি না?
আরিফ আজাদ
মুরগির কাঁচা ঠ্যাং প্রতি পিস - 14,000 ডং (ভিয়েতনামি টাকা), বাংলা টাকায় ৬৩ টাকা.....
📍 হানই, ভিয়েতনাম।
দুবাই ৫ দেরহাম কেজি। ১ কেজিতে ৫০পিচ +- হবে।
টাকা থাকলে দুবাই মতো শান্তি পৃথিবীর আর কোথাও পাবেন না (এটা আমার মনে হয়)
উনি মাছবিক্রেতা। ক্রেতা আস্ত মাছ নিতে চাইলেও উনি ফ্রিতে কেটে-কুটে দেন,যেন তার বিড়ালরা ফেলনা অংশগুলো খেতে পারে ❤️🇧🇩❤️
ভারতের দার্জিলিং - শিলিগুড়ির মাত্র ১৮ কিলোমিটার রাস্তা আমরা ব্যবহার করতে পারলে নেপালের সাথে সরাসরি স্থলপথে বানিজ্য করতে পারতো বাংলাদেশ।
আমরা আমাদের বন্দর দিয়েছি, রাস্তা দিয়েছি, রেলও বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে যাওয়ার জন্য অনুমতি প্রায় রেডি। অথচ মাত্র ১৮ কিলোমিটার রাস্তার চলাচলের অনুমতি নিতে পারিনি আমরা!
কেমনডা লাগে...!
বাড়ি থেকে অফিসে আসতে আসতে বেশ হাঁপিয়ে উঠেছি প্রচন্ড গরমে! নেমে ভাবলাম অফিসের আসপাশে যেহেতু কিছু নেই দূর থেকেই ১টা ঠান্ডা খেয়ে যাই!
দোকানে এসে আঙ্কেল ঠান্ডা কি আছে দিলো কোক!
বললাম এটা খাই না আর কি আছে এনে দিল 7up
বললাম এটাও এখন খাইনা! আর কি আছে এনে দিল
স্প্রাইট, এটা কোন গ্রুপের কি তাতো জানা নেই,
তাই একটু চেক করতেই দেখি এটাও কোকাকোলার!!!
এখন কার না মাথাটা খারাপ হয়! এভাবেই এই কোকাকোলা আমাদের কাছে বিভিন্ন রুপে আমাদের জিম্মি করে রেখেছে! বললাম আঙ্কেল আপনি কষ্ট নিয়েন না আমি ১টাও নিবনা!
খুব তৃষ্ণা লেগেছে, বাড়ি থেকে বিরিয়ানি খেয়ে এখন ১টা ঠান্ডা খাওয়া অপরিহার্য হয়ে উঠেছিলো! কিন্তু খাওয়ার মতো কোনোটা পাইনি! তাই বলেতো আমার ভাইয়ের রক্ত খেতে পারিনা! তাই অফিসে এসে ১বোতোল ঠান্ডা পানি খেয়ে তৃষ্ণা মেটালাম। একটু কষ্ট হয়েছে তবে মরে যাইনি। এতোটুকু সেক্রিফাইস যদি আমার অসহায় বিপদগ্রস্ত ভাইদের কথা চিন্তা করে করতে না পারি তাহলে আমরা কিসের মুসলমান হলাম?😮💨😮💨❤️❤️
🌹﷽ 𝐌åś𝐡𝐚_𝐀ɭɭ𝐚ɧ ﷽🌹
Today's Best Photo ❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️❤️
Actres # jamilanagudu with and also known as in movie📽📺👈
এসির বাতাস খেতে মার্কেটে ঢুকে মেয়েদের পোশাক নেড়েচেড়ে দেখছিলাম। হঠাৎ কর্মচারী বললো, "এভাবে নাড়াচাড়া না করে বউ বা গার্লফ্রেন্ড নিয়ে আসুন। শপিং করতে মজা পাবেন।"
নিজেকে অপমানিত বোধ করছি, তবুও সামান্য ভাব নিয়ে বললাম,
- "আমার গার্লফ্রেন্ডের জন্য আমি কিনতে এসেছি তোমার সমস্যা কি?"
- "স্যরি স্যার, তবে আমি বলছিলাম কারণ আপনি পছন্দ করে নিলে ঝামেলা হবে। ৭০% এর বেশি তার পছন্দ হবে না, তখন আবার রিটার্ন কিংবা পরিবর্তন করতে আসতে হবে।"
বললাম,
- "আমার গার্লফ্রেন্ড এখানেই আসছে তাই অপেক্ষা করছি।"
লোকটা আর কিছু না বলে চলে গেল। আমি খুব বুদ্ধিমানের মতো হাঁটতে লাগলাম, কিন্তু এখন গার্লফ্রেন্ড কীভাবে আনবো। কারণ আমার কোনো গার্লফ্রেন্ড তো দুরের কথা, মেয়ে বান্ধবীও নেই।
এমন করে আমি যখন চিন্তার সাগরে ভেসে ভেসে বেড়াচ্ছি তখন হঠাৎ করে একটা মেয়ে সেখানে প্রবেশ করলো। আমি তার কাছে গিয়ে কথা বলার চেষ্টা করলাম।
- "কেমন আছেন?"
- "কে আপনি?"
- "একটা উপকার করবেন?"
- "যেমন।"
আমি তাকে সবকিছু খুলে বললাম। মেয়েটা তখন আমার সঙ্গে গার্লফ্রেন্ডের মতো অভিনয় করতে লাগলো। তারপর তার যা যা লাগবে সবকিছু সে কিনতে লাগলো। সবকিছু কেনা শেষ করে মেয়েটা আমাকে বললো,
- "একটা কথা বলতে চাই।"
- "বলেন।"
- "আপনি যেহেতু কিছুই কিনবেন না তাহলে শুধু শুধু এখানে কেন এসেছেন?"
- "এসির বাতাস খেতে। বাহিরে প্রচুর গরম তাই ভাবলাম কিছুক্ষণ ফ্রী ফ্রী এসির ভেতরে বাতাস উপভোগ করি।"
মেয়েটা খুব হাসতে লাগলো। তার হাসি দেখে সবাই আমার দিকে তাকিয়ে রইল, আমি অনেকটা গর্ব নিয়ে বুক টানটান করলাম।
- "ঠিক আছে তাহলে আপনি আরো কিছুক্ষণ বাতাস খেতে থাকুন আমি চলে গেলাম।"
- "আচ্ছা ঠিক আছে, কিন্তু আমিও আপনার সঙ্গে বের হতে চাই। কারণ এরা ভাববে গার্লফ্রেন্ড চলে গেছে বয়ফ্রেন্ড যাচ্ছে না কেন?"
- "না না তাহলে সমস্যা হবে, বাহিরে আমার বাবা দাঁড়িয়ে আছে। আর তিনি আপনার সঙ্গে বের হতে দেখলে বকাঝকা করবেন।"
মেয়েটা চলে গেল ক্যাশিয়ারের কাছে। তারপর কিছুক্ষণ কথা বলে আমার দিকে তাকিয়ে বললো,
- "আমি গাড়িতে অপেক্ষা করছি তুমি তাড়াতাড়ি চলে আসো।"
আমি ভাবলাম বাহহ কত বুদ্ধি তার। আমাকে আরও কিছুক্ষণ বাতাস খাবার ব্যবস্থা করে চলে গেল।
কিন্তু আর না, এবার বের হতে হবে।
বের হতে যাবো এমন সময় আমাকে তারা ধরে ফেললো।
- "ভাই টাকা না দিয়ে কোথায় যাচ্ছেন?"
- "কিসের টাকা?"
- "আপনার গার্লফ্রেন্ড ১৩৭৯০ টাকার পোশাক নিয়ে গেল সেই টাকা।"
আমি আকাশ থেকে পড়লাম। ফ্রীতে বাতাস খেতে এসে আমি আমার ২২ হাজার টাকা দামের মোবাইল জমা রেখে বের হতে চাইলাম। কিন্তু সেই প্রথম যে লোকটার সঙ্গে কথা হয়েছে সে আমার কাছে এসে বললো,
- "এখানে অপেক্ষা করুন, আর আপনার পরিচিত কাউকে টাকা নিয়ে আসতে বলেন।"
- "আশ্চর্য, এতক্ষণ আমি কি করবো?"
- "কেন? ফ্রী ফ্রী এসির বাতাস খাবেন।"
[ সেদিন রাতে আমি বাসায় ফিরেছিলাম রাত বারোটার দিকে।🥹 ]
#রম্যগল্পঃএসির_বাতাস
#লেখায়ঃসাইফুল_ইসলাম_সজীব
মজার সব গল্প পড়তে ফলো দিন
ভারতকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট দেয়ায় বাংলাদেশের লাভ না ক্ষতি?
সম্প্রতি আমরা সোশ্যাল মিডিয়ায় এ বিষয়ে ট্রানজিট বিষয়ে নেতিবাচক পোস্ট দেখছি। তাই বিষয়টির বিশদ বিশ্লেষণ জরুরি।
প্রথমেই আমাদেরকে Transit, Transhipment, Corridor সম্পর্কে ধারণা নিতে হবে।
▶️ ট্রানজিটঃ
প্রথম দেশ, দ্বিতীয় দেশের #ভূখণ্ড (Land) ব্যবহার করে যখন তৃতীয় দেশের জন্য পণ্য বহন করে নিয়ে যায়, তখন তা প্রথম দেশটির জন্য দ্বিতীয় দেশ থেকে পাওয়া ট্রানজিট সুবিধা বিবেচিত হয়৷
যেমন- বাংলাদেশকে ভারত ট্রানজিট দিলে,
বাংলাদেশের পণ্যবাহী গাড়ি ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল বা তৃতীয় কোন দেশে যেতে পারবে।
অর্থাৎ Transit হতে অন্তত ৩টি দেশ হতে হয়। এখানে শুধু ২য় একটি দেশের ভূমি ব্যবহার করা হয়। যানবাহন ১ম দেশটিরই হয়।
▶️ ট্রান্সশিপমেন্টঃ
একটি দেশের পণ্যবাহী যানবাহনগুলো প্রতিবেশী একটি দেশের সীমান্তবর্তী বন্দরে গিয়ে মালামাল গুলো ঐ দেশের নিজস্ব যানবাহনে তুলে দিবে।
সেই যানবাহন গুলো মালামাল পরিবহন করে অন্যপ্রান্তের সীমান্তে অপেক্ষমান সে দেশের যানবাহনে তুলে দিয়ে আসবে নির্ধারিত ভাড়ার বিনিময়ে- এটাই ট্রান্সশিপমেন্ট।
যেমন- ভারতের পণ্যবাহী জাহাজগুলো বাংলাদেশের চট্টগ্রাম বন্দরে এসে তাদের পণ্য গুলো খালাস করে।
তারপর বাংলাদেশের ট্রাকগুলো সেই পণ্য বহন করে ভারতের আসাম- ত্রিপুরার সীমান্ত পর্যন্ত গিয়ে আবার ভারতের ট্রাকে তুলে দিয়ে আসে।
ট্রান্সশিপমেন্ট স্থল বন্দর দিয়েও করা যায় এবং এতে অর্থনৈতিক ভাবে বেশি লাভবান হওয়া যায়।
অর্থাৎ Transhipment এ ভূমি যার, যানবাহনও তার হতে হবে।
▶️ কোরিডোরঃ
একটি দেশের যানবাহন অন্য একটি দেশের উপর দিয়ে #নিজের দেশের অন্য অংশে পৌঁছানোর সুযোগ পেলে যে দেশটির উপর দিয়ে গেল সেটা হলো তাদের জন্য করিডোর।
যেমন ভারতের পশ্চিমবঙ্গ থেকে তাদের কোন যানবাহন বাংলাদেশের উপর দিয়ে ত্রিপুরা রাজ্যে গেলে ‘বাংলাদেশ’ হলো তাদের জন্য করিডোর।
▶️ বাংলাদেশ ভারতকে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট দিয়েছেঃ
২০১০ সালে বাংলাদেশের সড়কপথ ব্যবহার করে ভারতের উত্তর-পূর্বের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহনের দীর্ঘমেয়াদী চুক্তি হয়।
ভারতকে বাংলাদেশ মূলত মাল্টিমোডাল বা বহুমাত্রিক ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দিতে শুরু করেছে ২০১০ সালে৷ দুদেশের মধ্যকার নৌ প্রটোকলের আওতায় আশুগঞ্জ নৌবন্দর ব্যবহার করে এটি শুরু হয়৷ প্রথমে কলকাতা থেকে আশুগঞ্জ পর্যন্ত নৌপথে, তারপর আশুগঞ্জ থেকে আখাউড়া-আগরতলা পর্যন্ত সড়কপথে ভারতীয় পণ্য পরিবহন করা হয় পরীক্ষামূলকভাবে ৷
এরপর ২০১৬ সালে এটি আনুষ্ঠানিকভাবে নিয়মিত ব্যবস্থা হিসেবে চালু করা হয়৷
বাংলাদেশের সড়ক ব্যবহারের জন্য ২০১৬ সালে নামমাত্র মাসুল (টন প্রতি ১৯২ টাকা) ধার্য করা হয়।
২০২৩ সালের এপ্রিল মাসের শেষ সপ্তাহে বাংলাদেশের চট্টগ্রাম ও মংলা সমুদ্রবন্দর ব্যবহার করে ভারতের মূল ভূখণ্ড থেকে উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোয় নিয়মিতভাবে পণ্য আনা-নেয়ার দ্বার পুরোপুরি খুলে দিয়েছে বাংলাদেশ৷
এতে করে বাণিজ্যিকভাবে এই দুটি বন্দর ব্যবহার করতে পারছে ভারত৷
ভারতের প্রধান ভূখণ্ড থেকে জাহাজে আসা পণ্যগুলো বাংলাদেশি যানবাহনে তুলে চট্টগ্রাম ও মংলা বন্দর ব্যবহার করে বাংলাদেশের ভেতরে আটটি রুট দিয়ে চারটি স্থলবন্দর হয়ে ভারতের উত্তর-পূর্ব রাজ্যগুলোয় নেওয়ার কাজটি হলো মূলত ট্রান্সশিপমেন্ট৷ একইভাবে ঐ রাজ্যগুলো থেকেও পণ্য চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর দিয়ে আবার ভারতে নেওয়া যাবে৷
ভবিষ্যতে কখনো যদি তৃতীয় দেশ (যেমন: সিঙ্গাপুর) থেকে আমদানিকৃত পণ্য চট্টগ্রাম বন্দরের মাধ্যমে খালাস করে ত্রিপুরা বা মেঘালয়ে নেয়া হয়, তাহলে তা একটি পূর্ণাঙ্গ আন্তর্জাতিক ট্রানজিট ব্যবস্থায় রূপ নেবে৷
এই সুবিধার আওতায় মূলত ভারতের এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে পণ্য আনা-নেয়া করা যাবে বাংলাদেশকে নির্ধারিত মাশুল (Toll) প্রদান করে৷
বাংলাদেশ ভূখণ্ডে পরিবহনের সময় বাংলাদেশী যানবাহন ব্যবহার করতে হবে।
বাংলাদেশের ভূখণ্ডে ভারতীয় কন্টেইনার পরিবহনে ন্যূনতম Toll (মাশুল) নির্ধারণ করা হয়েছে ৫৮৯ টাকা।
✅ নেপাল ও ভুটানের সাথে ট্রান্সশিপমেন্ট
নেপাল ও ভুটান যথাক্রমে ১৯৭৬ ও ১৯৮৪ সালে বাংলাদেশের সাথে ট্রানজিট চুক্তি করেছিল৷
কিন্তু তা কাজ করেনি নানা প্রতিবন্ধকতায়৷ এ অবস্থা কাটিয়ে উঠতে স্থলবন্দর ও ট্রানজিট রুটের সংখ্যাও বাড়ানো হয়েছে ২০১০ সালের পর৷ বর্তমানে নেপাল ও ভুটানের ট্রাক ভারতীয় ভূখণ্ড ব্যবহার করে বাংলাদেশ সীমান্ত পর্যন্ত পণ্য বহণ করতে পারে৷
কিন্তু বাংলাদেশের ভেতর প্রবেশ করে মোংলা বা চট্টগ্রাম বন্দর পর্যন্ত যাতায়াত করতে পারে না৷
এক্ষেত্রে বাংলাদেশি ট্রাকে পণ্য নিয়ে ভারতীয় সীমান্তে গিয়ে তা খালাস করা হয়৷
তারপর আবার ভারতীয়, নেপালি বা ভুটানি ট্রাক তা তুলে নিয়ে নির্দিষ্ট গন্তব্যে চলে যায়৷ এই ট্রান্সশিপমেন্ট ব্যবস্থা অনেকদিন থেকেই চালু আছে৷
✅ বাংলাদেশকেও ফ্রি ট্রানজিট দিয়েছে ভারতঃ
ইতোমধ্যে ২০২২ সালে ভারত বাংলাদেশকে বিনা মাশুলে তাদের স্থলবন্দর, বিমানবন্দর ও সমুদ্র বন্দর ব্যবহার করে তৃতীয় কোনো দেশে পণ্য পরিবহনের প্রস্তাব দিয়েছে৷ এতে করে বাংলাদেশের পণ্যবাহী ট্রাক এখন ভারতের নির্দিষ্ট স্থলবন্দর ও পথ হয়ে নেপাল ও ভুটানে যেতে পারবে৷
অবশ্য এর আগেই মাশুল দিয়ে ২০২১ সালে বাংলাদেশ থেকে নেপালে সার রপ্তানিতে ট্রানজিট সুবিধা দিয়েছে ভারত৷
তবে এখনো সার্বিক ট্রানজিট ও ফ্রি ট্রানজিট সুবিধা পাওয়া যায়নি৷ নেপাল ও ভুটানে বাংলাদেশের পণ্যের বাজার সম্প্রসারিত হচ্ছে৷
বাংলাদেশ-ভুটান-ভারত-নেপাল (বিবিআইএন) মোটরযান চুক্তি বাস্তবায়ন করা গেলে বাংলাদেশের জন্য হয়তো আরেকটু সুবিধা হতে পারে৷ ভুটান অবশ্য এখনো এই চুক্তি অনুস্বাক্ষর করেনি৷
🟥 রেল ট্রানজিট বা কোরিডোর
২৩শে জুন, ২০২৪ বাংলাদেশ ও ভারতের প্রধানমন্ত্রীর বৈঠকে রেল ট্রানজিট বিষয়ে আলোচনা হয়। ভারতের ট্রেন এতদিন বাংলাদেশের সীমান্তে এসে ইঞ্জিন পরিবর্তন করে, বাংলাদেশের ভূখণ্ডের ওপর বাংলাদেশের ইঞ্জিনে চলতো। কিন্তু এখন ভারতের রেলগাড়ি বাংলাদেশের ভূখণ্ড ব্যবহার করে ভারতের পূর্ব-পশ্চিমে সংযোগ স্থাপন করতে পারবে।
MoU (Memorandum of Understanding) এর মূল বিষয়বস্তু হলো regional connectivity। ভারত, বাংলাদেশ, ভুটান ও নেপালের মধ্যে রেল যোগাযোগ ব্যবস্থা প্রবর্তনের জন্যই এমওইউ সই করা হবে।
🟥 ভারতের সুবিধাঃ
১) ভারতের পশ্চিম পাশের রাজ্যগুলো থেকে উত্তর-পূর্বাঞ্চলের রাজ্যগুলোতে পণ্য পরিবহন খরচ অনেক কমে যাবে।
ত্রিপুরার রাজধানী আগরতলার সঙ্গে কলকাতার দূরত্ব ১৬৮০ কিলোমিটার৷ আর চট্টগ্রাম বন্দর থেকে আগরতলার দূরত্ব মাত্র ২৪৮ কিলোমিটার৷
মেঘালয়ের রাজধানী শিলংয়ের সঙ্গে কোলকাতার দূরত্ব ১১৫০ কিলোমিটার হলেও চট্টগ্রাম বন্দর থেকে এ দূরত্ব ৫৭০ কিলোমিটার৷
মিজোরামের রাজধানী আইজলের সঙ্গে চট্টগ্রাম বন্দরের দূরত্ব ৬৫৫ কিলোমিটার আর কলকাতার দূরত্ব ১৫৫০ কিলোমিটার৷
নাগাল্যান্ডের রাজধানী কোহিমার সঙ্গে বন্দরের দূরত্ব ৮৮০ কিলোমিটার হলেও কলকাতার দূরত্ব ১৪৫০ কিলোমিটার৷
কলকাতা থেকে অন্যান্য রাজ্যের দূরত্বও চট্টগ্রামের তুলনায় গড়ে তিন গুণের বেশি৷
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহণে ভারত সরকারের সময় ও অর্থ দুটিই বেশি যাচ্ছে৷ বাংলাদেশের ওপর দিয়ে সাত রাজ্যে পণ্য পরিবহণ শুরু হওয়ায় এখন আগের চেয়ে ভারতের খরচ কমে যাবে৷
উত্তর-পূর্বাঞ্চলীয় সাতটি রাজ্যে পণ্য নিতে চট্টগ্রাম ও মোংলা বন্দর ব্যবহার করে ভারতের অর্থ ও সময় সাশ্রয় হবে ৷ সময় এবং দূরত্বেও লাভবান হবে তারা৷
২) ট্রানজিট ও ট্রান্সশিপমেন্টের মাধ্যমে বাংলাদেশের ওপর দিয়ে ভারত মিয়ানমারসহ ASEAN ভুক্ত দেশে পণ্য আমদানি-রপ্তানি করতে পারবে।
৩) India এর "Look East Policy" এর জন্য গুরুত্বপূর্ণ।
🟥 বাংলাদেশের লাভ কী?
✅ কূটনীতির হাতিয়ারঃ
ভারতকে প্রদত্ত এ বিশেষ সুবিধাটি ভারতকে ব্যাপকভাবে লাভবান করবে এবং ভারত বাংলাদেশের ওপর নির্ভরশীল হয়ে পড়বে।
ভারতের এ নির্ভরতাকে বাংলাদেশ Bargaining Tool হিসেবে ব্যবহার করতে পারবে। যেমনঃ
কোন এক সময় বাংলাদেশ বলল, তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি না হলে আমরা ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা বন্ধ করে দেবো৷ তখন কিন্তু ভারত Consider করতে বাধ্য হতে পারে।
ইতোমধ্যে ২০২৪ সালের ২৩ জুন স্বাক্ষরিত সমঝোতা স্মারকে তিস্তা প্রকল্পের বিষয়ে যৌথভাবে কাজ করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
✅ LDC উত্তরণে CEPA এর অগ্রগতিতে ভূমিকা রাখবেঃ
২০২৬ সালে বাংলাদেশ আনুষ্ঠানিকভাবে Least Developed Country থেকে উত্তরণ করে Developing Nation হিসেবে পদার্পণ করবে। তখন LDC ভুক্ত দেশ হিসেবে রপ্তানিতে যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পেতো, তা পাবে না। বর্তমানে বাংলাদেশ ভারতে পণ্য রপ্তানিতে ৯৭% পণ্যে শুল্কমুক্ত সুবিধা পাচ্ছে। LDC উত্তরণের পরবর্তী সময়েও শুল্কমুক্ত সুবিধা ধরে রাখতে ভারতের সাথে একটি CEPA (Comprehensive Economic Partnership Agreement) এর আলোচনা চলমান।
এ ক্ষেত্রে ভারত-বাংলাদেশের বন্ধুত্বপূর্ণ ও কৌশলগত সম্পর্কের এ গুরুত্বপূর্ণ পদক্ষেপ - 'ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট' প্রভাবক হিসেবে কাজ করবে।
✅ বাংলাদেশের সেবা খাতের প্রসার ও লাভঃ
এই ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্টের মধ্য দিয়ে বাংলাদেশের পণ্য-পরিবহন তথা লজিস্টিক ব্যবসা সম্প্রসারণের একটা সুযোগও তৈরি হয়েছে৷ কারণ, ট্রান্সশিপমেন্টের ট্রাক বা যানবাহন বাংলাদেশের৷
কনটেইনার ওঠানো-নামানো বাবদ মাশুল রয়েছে দুই বন্দরের। আবার ভারতীয় পণ্য আনা-নেওয়ার প্রক্রিয়ায় যুক্ত শিপিং এজেন্ট, ট্রানজিট অপারেটর এবং কনটেইনার পরিবহন বাবদ দেশীয় পরিবহন খাতেরও আয় হবে।
✅ বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা, বন্দর ও অন্যান্য অবকাঠামো খাতের উন্নয়ন হবেঃ
ভারতকে প্রদত্ত ট্রানজিট ব্যবস্থাকে কার্যকরী করতে অবকাঠামো খাতে, যেমন রাস্তা-ঘাট-সেতু ইত্যাদিতে উন্নয়ন ঘটবে। স্থল ও সমুদ্র বন্দরের সক্ষমতা বাড়ানো হবে।
✅ বাংলাদেশে ভারতের বিনিয়োগ বাড়বেঃ
নিজের স্বার্থেই ভারত বাংলাদেশের যোগাযোগ ব্যবস্থা শক্তিশালীকরণ এবং বন্দরগুলোর সক্ষমতা বাড়াতে বিনিয়োগ বা অর্থায়ন করবে।
বাংলাদেশে India এর দুটি Economic Zone রয়েছে। "Smart Bangladesh 2041" বাস্তবায়নে FDI (Foreign Direct Investment) অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।
✅ আসলে ভারতকে সুবিধা দেয়ার পরে ভারতও
বাংলাদেশকে ট্রানজিট দিয়েছে। ফলে বাংলাদেশের জন্য ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল, ভূটান, পাকিস্তান, ইরান ইত্যাদি দেশে পণ্য রপ্তানি বৃদ্ধির সুযোগ সৃষ্টি হয়েছে।
২০২৪ সালের ২৩ জুন দু দেশের বৈঠকে Nepal থেকে ভারতের ভূখণ্ড ব্যবহার করে 40 MW বিদ্যুৎ আমদানির বিষয়ে সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হয়েছে।
✅ আঞ্চলিক যোগাযোগ বা Regional Connectivity এবং Trade বাড়াতে ট্রানজিট-ট্রান্সশিপমেন্ট ভূমিকা রাখবে।
✅ মহেশখালীতে নির্মাণ করা হচ্ছে দেশের ৪র্থ সমুদ্রবন্দর, যা হবে দেশের প্রথম সমুদ্রবন্দর। ট্রান্সশিপমেন্ট সুবিধা দেয়ায়, এ সমুদ্রবন্দরটি ভারত ব্যবহার করবে এবং বাংলাদেশের আয় অনেক বাড়বে।
🟥 আরো বেশি সুবিধা পেতে বাংলাদেশের করণীয়ঃ
১) ভারত থেকে যাতে বাংলাদেশি জাহাজে পণ্য আনা যায়, সেই ব্যবসা ধরতে নজর দিতে হবে। বন্দরের সুযোগ-সুবিধা, সক্ষমতা আরও কীভাবে বাড়ানো যায়, তা দেখতে হবে। ভালো সেবা দিতে পারলে সেবামাশুলও বাড়ানো যাবে।
২) ভারতের ভূমি ব্যবহার করে নেপাল ও ভুটানের সঙ্গে বাংলাদেশ ও তৃতীয় দেশের পণ্য আনা-নেওয়ার যে সুযোগ রয়েছে, তা কীভাবে কাজে লাগানো যায়, সেটা ভাবা উচিত।
৩) ভারত থেকে যে সব জাহাজে করে পণ্য আসে। বাংলাদেশী জাহাজগুলো সেই বাজারটা ধরতে পারে।
৪) পায়রা বন্দরকে আরো সক্রিয় করতে হবে।
৫) রেল ট্রানজিটে বাংলাদেশ যেন ন্যায্য মাশুল (Toll) পায় সে বিষয়টি নিশ্চিত করতে হবে।
৬) বাংলাদেশ ভারতকে সুবিধা দেয়ায়, বাংলাদেশও তিস্তা পানিবণ্টনে সুবিধা আদায় করে নিতে হবে।
🟥 পরিশেষে বক্তব্যঃ
আমাদেরকে বুঝতে হবে যে, Regional Connectivity এর ক্ষেত্রে Transit, Transshipment, Corridor একটি স্বাভাবিক বিষয়। আমরা European Union সহ বিভিন্ন Region এ এরকম সহযোগিতা দেখে আসছি। এতে কিন্তু সমস্যা হচ্ছে না, বরং সকলেই লাভবান হচ্ছেন।
দ্বিপক্ষীয় বাণিজ্য, আঞ্চলিক স্থিতিশীলতা ও ভৌগোলিক কারণে বাংলাদেশ ও ভারত একটি বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রক্ষা করতে চায়। বাংলাদেশ ২য় সর্বোচ্চ আমদানি করে ভারত থেকে। বিশেষত, খাদ্যপণ্যের জন্য ভারত গুরুত্বপূর্ণ। আঞ্চলিক নিরাপত্তায়ও দুদেশেরই একে অপরকে প্রয়োজন। IORA, BBIN, BIMSTEC, SAARC, NDB এর সদস্য দুটি দেশই। দুটি দেশই Global South (উন্নয়নশীল দেশ) এর Voice হিসেবে স্বীকৃত।
বাংলাদেশ ২০২৬ সালে LDC থেকে উত্তরণ করবে। এর চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় এবং ২০৪১ সালে একটি উন্নত, উদ্ভাবনী, সমৃদ্ধ, Smart Bangladesh বিনির্মাণে Regional Connectivity, pivotal role প্লে করবে।
Bangladesh ও India এর সুসম্পর্কে ট্রানজিট একটি ইতিবাচক পদক্ষেপ। যা তিস্তা পানিবণ্টন চুক্তি, সীমান্ত সমস্যা, সমুদ্রবিরোধ নিষ্পত্তি ও বাণিজ্য ঘাটতি হ্রাসে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে।
অনেকে বলছেন, বাংলাদেশ ভারতের ওপর বেশি নির্ভরশীল হচ্ছে এবং ভারতের Satellite State এ পরিণত হচ্ছে। যা আদৌ যৌক্তিক নয়। বাংলাদেশ যথেষ্ট স্বাধীনভাবে তার "Friendship to all ; malice towards none" পররাষ্ট্রনীতি অনুসরণ করছে। বাংলাদেশ সফলভাবেই "Balanced Diplomacy" প্রয়োগ করছে।
China, Russia, USA, India, Japan, ASEAN, Middle East সবার সাথেই বাংলাদেশ ভারসাম্যপূর্ণ সম্পর্কের মাধ্যমে নিজের স্বার্থ হাসিল করতে কৃতিত্ব দেখিয়েছে। তবে India, Bangladesh এর neighbouring state বলে স্বাভাবিকভাবেই দুদেশের সম্পর্কের গভীরতা ও নির্ভরশীলতা বেশি এবং দুদেশের অগ্রযাত্রার জন্য বিষয়টি অনিবার্য। এক্ষেত্রে Zero Sum Game (একপাক্ষিক লাভ) না হয়ে যেন Win-Win Situation (দু পক্ষের লাভ) যেন বজায় থাকে সেটাই মূল বিষয়।
✒️ Ashraful Islam Emon
43rd BCS Information Cadre (Recommended)
আলহামদুলিল্লাহ
জান্নাত এর টুকরার মালিক হলাম।
বন্ধু Md Arif Ullah এর ওয়াল থেক।
#বন্ধু_তুকে_নিয়ে এভাবে লিখতে হবে কখনো ভাবি নি😭।
আহ্! জীবনে মানুষ অনেক কষ্টের সম্মুখীন হন।
আমার হেফজখানার সবচেয়ে প্রিয় বন্ধু হাবিব উল্লাহ।
পোস্ট দেখে আমি শিহরিত, দুঃখিত ও মর্মাহত।
বরইতলী ডেইংগাকাটা ১নং ওয়ার্ড এর #মৃত_মৌলানা নুরুল আমিন এর ছেলে দীর্ঘ ছয়মাস যাবৎ দুরারোগ্য ব্যাধিতে কষ্ট পাচ্ছেন।😪
ওনার মাথায় টিউমার জনিত কারণে তিনি চোখে দেখতেছেন না অনেক দিন যাবৎ।
বর্তমানে তিনি চট্টগ্রাম মেডিকেল কলেজের নিউরোলজি বিভাগে পঞ্চম তলায় ২৮ নং ওয়ার্ডে ভর্তি আছেন।
ডাক্তারের ভাষ্যমতে মাথার টিউমারের অপারেশনের জন্য প্রায় আড়াই লক্ষ্য (২,৫০,০০০) টাকার উপরে প্রয়োজন হতে পারে।
এ পর্যন্ত চিকিৎসায় প্রায় ৭০ থেকে ৮০ হাজার টাকা খরচ হয়ে গেছে।
বাবাহীন এই ভাইটার ছোট ভাই #সাইফুল ছাড়া আর কেউ নেই খরচ চালানোর মতো।ফলে বর্তমানে খুবই কষ্টে আছেন ওনারা।😭
তাই আপনাদের সকলের দোয়া ও সহযোগিতা প্রয়োজন।
সকলের প্রতি করজোড়ে আহ্বান করতেছি পাশে থাকার জন্য 🙏😭🙏
বিকাশ নাম্বার : 01888316034
রোগীর ছোট ভাইয়ের।
প্লীজ আপনারা সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিন😭
পোস্ট শেয়ার দিন দয়া করে।
পঞ্চগড় থেকে নেপাল এবং ভুটানের দুরত্ব খুবই কম, এবং দুটি দেশই ল্যান্ডলক অর্থাৎ কোন সী এক্সেস নাই। বাংলাবান্ধা পোর্ট দিয়ে যদি নেপাল এবং ভুটানকে রেলসংযোগে বাংলাদেশের মোংলা পোর্টে এক্সেস দেয়া যায়, তবে প্রচুর রাজস্ব অর্জন সম্ভব! সুন্দর পরিকল্পনা, সমস্যা একটাই। বাংলাবান্ধার পরে ভারতের রেল কোরিডোর ব্যাবহার করে দেশদুটিকে কানেক্ট করতে হবে! সমাধান করতে পারলে প্রচন্ড সম্ভাবনাময় একটি প্রোজেক্ট।
•••
২০২০ এর দিকে এমনই একটি রেলওয়ে প্রজেক্টের কন্সালট্যান্ট হিশেবে কাজ করেছিলাম। ফিজিবিলিটি স্টাডিতেও আমরা বারংবার উল্লেখ করেছিলাম চতুর্দেশীয় কানেক্টিভিটির কথা! প্রজেক্টের একনমিক এবং ফিন্যান্সিয়াল ভায়াবিলিটিও ডিপেন্ড করছিলো এই চতুর্দেশীয় কানেক্টিভিটির উপর। সবকিছুর বিচারে বাংলাদেশ রেলওয়ে বাংলাদেশে নিযুক্ত ইন্ডিয়ান হাই-কমিশনের রেলওয়ে এডভাইজারের সাথে একটা কোর্ডিনেশন মিটিং এরেঞ্জ করে। ফলাফল শুণ্য - O ! ভারত নেপাল এবং ভুটানকে তার দেশের উপর দিয়ে রেল কোরিডোর দিয়ে বাংলাদেশে ঢুকতে দেবে না!
লেখক : শোয়েব সিনান
বাংলাদেশকে হারিয়ে সেমিফাইনালে ওঠার পর, আফগানিস্তানের কাবুলে লাখো মানুষের বিজয় উল্লাস।
কিনলে (Kinley) একটি বোতলজাত পানির ব্র্যান্ড যা কোকাকোলা কোম্পানির অধীনে উৎপাদিত ও বাজারজাত করা হয়। বাংলাদেশে কোকাকোলা কোম্পানির স্থানীয় সাবসিডিয়ারি ইন্টারন্যাশনাল বেভারেজেস প্রাইভেট লিমিটেড (IBPL) ২০১৭ সাল থেকে তাদের ভালুকা, ময়মনসিংহে একটি উৎপাদন কারখানা স্থাপন করে, যেখানে তারা কিনলে উৎপাদন করে।
ইমানের উদ্দীপনায় ওদের "কিনলে" পানি বর্জন করুন।
বিকালবেলা মন্ট্রিল শহরের একটি ব্যস্ত রাস্তায় গাড়ি ড্রাইভ করছিলাম। হঠাৎ টের পাই কি যেন এক আজব শব্দে গাড়ি সহ রাস্তা-ঘাট কাঁপছে। মনে হচ্ছিল আকাশ থেকে কি যেন মাটিতে ভেঙ্গে পড়ছে। এক সেকেন্ডে বুঝতে বাকি রইল না যে আকাশ দিয়ে F-35 নামক দুটি দানব যাচ্ছে।
রাস্তার চারদিকে ব্যস্ত মানুষেরা শুধু বারবার আকাশের দিকে তাকাচ্ছিল আর মাথা ঘুরাচ্ছিল। কেউ কিছু টের পাবার আগেই ফাইটারগুলো শূন্য আকাশে হাওয়া হয়ে গেল।
এর কিছুক্ষণ পর হঠাৎ আরো দুইটি ফাইটার প্লেনের দেখা মিলল। আহা একি শব্দ! মনে হচ্ছিল মাথার উপর আকাশ ভেঙ্গে পড়ছে। মনে হচ্ছিল কেউ আমার গাড়ির উপর ধিড়িম করে বোমা ফুটাচ্ছে।
একপলকে শুধু দুটি F-35 এর ফটো দেখতে পেলাম। এরপর ফটোগুলো শূন্যে মিশে গেল। মাটি থেকে তিন-চার কিলোমিটার উপর দিয়ে যাবার সময় যে শব্দ হচ্ছিল মনে হচ্ছিল বড় বড় বিল্ডিংগুলো এই বুঝি ভেঙ্গে পড়ছে।
কানাডার প্রতিটি বিল্ডিং-এ প্রচন্ড ঠান্ডার কারনে টেম্পারড উইন্ডপ্রুফ এবং সাউন্ডপ্রুফ গ্লাস ব্যবহার করা হয়। মাইনাস ত্রিশ-চল্লিশ ঠান্ডায়ও সেই গ্লাসগুলি মেগাগ্লাসের মত কাজ করে। নইলে এই বোমারু বিমানের শব্দে বিভিন্ন বিল্ডিং এর গ্লাস ভেঙ্গে পড়ত আমি নিশ্চিত।
একবার ঢাকায় মিগ-২৯ এর মহড়া দেখেছিলাম। সেগুলো একটু নিচ দিয়ে যাচ্ছিল বলে বাংলাদেশ ব্যাংকের দুতিনটি জানালা ফেটে গিয়েছিল বলে পরদিন খবর বেরিয়েছিল। মিগ-২৯ এর শব্দের চেয়ে F-35 এর গতি, শব্দ এবং টেকনিকেল সুপিরিয়রিটি অনেক বেশী। রাশিয়ান মিগ-২৯ এ টেকনিক্যাল অনেক ত্রুটি আছে। ২০০১ সালে বাংলাদেশ ১৬ টি মিগ-২৯ অর্ডার দিয়ে মাত্র ৮টি ক্রয় করেছিল এবং এগুলো কিনার দুতিন বছর পরে ২টি এমনিতেই অকেজো হয়ে গেছে।
মনে মনে ভাবছিলাম যদি এই F-35 দুটি ঢাকা শহরে একটু নিচ দিয়ে ফ্লাই করত তাহলে হয়ত অনেক বিল্ডিং এর দরজা জানালা ভেঙ্গে যেত। এছাড়া এধরনের মেগা শব্দের যুদ্ধবিমান ঢাকার ওপর দিয়ে উড়লে হয়ত বোমা ছোঁড়ার পরিবর্তে এমনিতেই বড় বড় বিল্ডিংগুলো নাস্তানাবুদ হয়ে যেত।
আমেরিকান তৈরি F-35 এর কিছু পার্টসে আমি মাঝেমাঝে টুকটাক কাজ করি। আমার কর্মস্থল কানাডিয়ান এরোস্পেস ফ্যাক্টরিতে এগুলোর ফাস্টেনার পার্টস তৈরির কাজ হয়। কিন্তু এই দানবাকৃতি ফাইটার প্লেনের পার্টসে আমার ছোঁয়া থাকলেও কখনো এগুলোকে স্বচক্ষে উড়তে দেখিনি। আজ যখন এগুলো মাথার উপর দিয়ে যাচ্ছিল তখন বুঝতে পেরেছিলাম কেন এটি কিনার জন্য সারা পৃথিবীর মানুষ মুখিয়ে আছে!
এক নজরে F-35 >> এটি বর্তমান বিশ্বের সবচেয়ে অত্যাধুনিক একটি সুপারসনিক যুদ্ধবিমান। আমেরিকার লকহিড মার্টিন কোম্পানি এটি তৈরি করে। এটির ঘন্টায় গতিবেগ ১৯৭৫ কিলোমিটার। একসঙ্গে ৮১৬০ কেজি বোমা নিয়ে এটি ১৯৭৫ কিলোমিটার গতিবেগে আকাশে উড্ডয়ন করতে পারে। একটি F-35 এর উড্ডয়ন কালে প্রতি ঘন্টায় এর খরছ হয় ৫৫ হাজার ইউএস ডলার।
এটি একটি স্টেলথ ফাইটার জেট। এটি শব্দের চেয়ে দ্বিগুণ বেশী গতিতে ফুল লোড নিয়ে ফ্লাই করতে পারে। সোজা কথায় এটি যদি আপনার মাথার চার কিলোমিটার উপর দিয়ে ফ্লাই করে তাহলে এটির শব্দ আপনার কানে পৌঁছার আগে এটি ৮ কিলোমিটার দুরত্ব অতিক্রম করে ফেলবে।
এটি রাডার ফাঁকি দিতে সক্ষম একটি যুদ্ধ বিমান। এটি একসঙ্গে কয়েকটি স্থান টার্গেট করে নিখুঁত ভাবে সবগুলো স্থানে একসঙ্গে আক্রমন পরিচালনা করতে পারে। এটি ১৫০ কিলোমিটার দুরবর্তী যে কোন বস্তুকে অতি সুক্ষ ভাবে সনাক্ত করতে পারে এবং ৭৭০ কিলোমিটার দুরবর্তী বস্তুতে নিখুঁত ভাবে আক্রমণ পরিচালনা করতে পারে।
একটি F-35 এর মুল্য ৮৫ মিলিয়ন ইউএস ডলার (বাংলাদেশী টাকায় এগারো'শো কোটি টাকা)। কিন্তু একেকটি ফাইটার জেটের রক্ষণাবেক্ষণ খরছ ক্রয়মুল্যের চেয়েও কয়েকগুণ বেশী। তবে মজার বিষয় হলো আমেরিকান টেকনোলজি পাচার হয়ে যাবার ভয়ে এটি তার খুব ঘনিষ্ঠ মিত্র ছাড়া আমেরিকা অন্য কারো কাছে বিক্রি করে না। থ্যাঙ্ক ইউ সবাইকে সাথে থাকার জন্য।
Mohammed Shaikul Islam
CANADA
Today's best photo
🕌🕌🕋🕋🕌🕌🕋🕋🕌
Actres # jamilanagudu with and also known as in movie📽📺👈
এই ম্যাপটা হইলো ইন্ডি"য়ান রেল লাইন বাংলাদেশের ভেতর দিয়ে কিভাবে যাবে সেটার। খুব সুন্দর একটা নকশা। দেখে মনোমুগ্ধকর লাগতেছে। তাদের দরকার তাই তারা আমা"দের দে"শের উপর দিয়ে রেল যোগাযোগ ব্যবহার করবে। এখানে নেগে"টিভ কিছু নাই?
নেগে"টিভ হইলো বাংলাদেশ ক্রিকেট দল হারতেছে যেটা বাঙ্গালী মেনে নিতে পারতেছে না। রাসেল ভাইপার সাপ ঢুকে গেছে যেটা মিডিয়া সবচেয়ে বেশি হাইলাইট করতেছে সেটা নেগে"টিভ। এছাড়া সবই পজিটিভলি। নে"গেটিভ"লি ভাবেও পজিটিভ।
দেশের ভালোমন্দ নিয়ে এতো মাথাব্যাথার কিছু নাই। যে ভালো অবস্থানে আছে সে বলবে আমার কি আমি তো ভালো আছি, ক্ষ"তি তো আমার একলার হবে না!
©
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন যাবে এটা তো সবাই-ই জানি। অনেকে জিজ্ঞেস করেছেন, ভারতের জন্য রাস্তাটা কেন ইম্পর্ট্যান্ট।
বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে ভারতের ট্রেন যাওয়া ভারতের জন্য অনেক অনেক ইম্পর্ট্যান্ট। ছবির মধ্যে শিলিগুড়ি করিডর দেখতে পাচ্ছেন। এটাকেই চিকেন'স নেকও বলা হয়। প্রস্থে এটি মাত্র ১৭ থেকে ২২ কিলোমিটার। এর ডানপাশের আছে ইন্ডিয়ার উত্তরপূর্বের আটটা স্টেট। বাম সাইডে মেইনল্যান্ড ইন্ডিয়া।
এখন এই ছোট রাস্তা ছাড়া ভারতের বাকী আটটা স্টেটের সাথে ভারতের সরাসরি যোগাযোগ রাখা ইম্পসিবল। এই ১৭ কিলোমিটারের জায়গা বেদখল হলে ভারত হারিয়ে ফেলবে তাদের ৮টি স্টেট এবং ভুটানের সাথে সরাসরি বর্ডার। আর, এই জায়গায় ভারতকে সবসময় চাপের উপর রাখে চীন। এখন ভারতের এই ৮ টা স্টেটের সাথে আরো নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য যোগাযোগের জন্য কয়েকটা উপায় আছে৷ চীনের অধীনে থাকা তিব্বত দখল করা বা বাংলাদেশের ঐ অঞ্চল নিয়ে জায়গাটা মোটা বানানো। কিন্তু, এই মূহুর্তে ফোর্সফুলি এই দুইটা করা ভারতের পক্ষে সম্ভব না বা ইচ্ছে নাই। তাই, বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে যোগাযোগ স্ট্রং করাই বেটার।
এদিকে, চীন এই চিকেন নেকের দুপাশে থাকা দেশ নেপাল ও বাংলাদেশের উপর সবসময়ই প্রভাব রাখার চেষ্টা করে। ২০২০ সালে তো বাংলাদেশের ৯৭ ভাগ পণ্যে শুল্ক মুক্ত সুবিধাও চীন দিয়েছে।
মানে, স্ট্র্যাটেজিক্যালি এই জায়গাটা অনেক অনেক ইম্পর্ট্যান্ট ভারতের জন্য। এখন ভারতের বাকী এই ৮ স্টেটের সাথে নিজের যোগাযোগ বজায় রাখতে একমাত্র সমস্যাময় এই চিকেন নেকের উপর ভরসা না করে, এটাকে এড়িয়ে বাংলাদেশের মধ্য দিয়ে সরাসরি ইন্ডিয়ার ওপাশে যুক্ত হয়ে যোগাযোগ ব্যবস্থা অনেক নিরাপদ ও নির্ভরযোগ্য করতে পারবে ভারত। একইসাথে ভারতের বাকী ৮ স্টেটে নিয়ন্ত্রণ বা যোগাযোগ করা নিয়েও ভারতের মাথাব্যথা অনেকটাই কমবে।
দেশের সীমানা পেরিয়ে মোজো এখন ইউরোপে।
এই যে Mojo দেখতেছেন এটার অবস্থান বর্তমানে বাংলাদেশে নয়, আমার এক ভাই, তিনি পর্তুগাল প্রবাসী। আগে উনি কোক ছাড়া কিছুই বুঝতেন না৷ কিন্তু কোকাকলাকে বয়কট করেছেন তিনি। তাই মজো সেখানে পাওয়া যায়না বলে এগুলো দেশ থেকে সাথে করে নিয়ে গেছেন। এই মজোগুলো আমি নিজ হাতে পেকিং করে৷ দিয়েছিলাম। 😍
এভাবেই বয়কট করা হোক কোকাকোলাকে। ✌️
একতরফা ভালোবাসা ও বন্ধুত্বের বন্ধনের অদ্ভুত নমুনা, ভারতের রেলপথ বাংলাদেশের বুক চিড়ে। এই কেনাবেচা ও প্রেম-প্রেম খেলার পরিণতি অনেক বড় ভোগান্তি ও বিপর্যয়ের কারণ হতে পারে। যারা ভুল পথে হাঁটছেন এবং ঘোরের মধ্যে আছেন, হুশ হলে পরে হয়তো বেকার আফসোসে ডুবে যাবেন।
কিন্তু সময় পার হয়ে গেলে এসব বেকার আফসোসে পরিস্থিতির কোনো উন্নতি/ক্ষতিপূরণ হবে কি না বলা মুশকিল।
একদিন আমারও অনেক বড় বাড়ি হবে 🥰
Today best photo 🥰🥰
পামির কোলা ৩০০ মিলি এক কোটার দাম ২৪০, টাকা অথচ ২৬০ থেকে ২৭০ টাকার মধ্যে এক কেজি ডালিম কিনতে পাওয়া যায়। কোনটি খাবেন ৩০০ মিলির পামির কোলা নাকি এক কেজি ডালিম? বাংলাদেশের একটি প্রতিষ্ঠান এলসির মাধ্যমে সম্ভবত ৩ কন্টেইনার পামির কোলা এনেছেন আফগানিস্তান থেকে দীর্ঘদিন যাবত বাংলাদেশের পোর্টে আটকেছিল গত কয়দিন আগে তা খালাস করতে পেরেছে। হাই রেট নির্ধারন করে পামির কোলার তিন কন্টেইনার দিয়ে কি সারাদেশের চাহিদা ও ডিলারশিপ দিয়ে ব্যবসা করা যায়? নাকি গ্রাহক পর্যায়ে কতজন ব্যক্তি এতো দাম দিয়ে এগুলো কিনে খাবেন?
দ্বিতীয় কথা আমরা চাইলে আফগানিস্তান থেকে পামির কোলা আনতে পারি বা পারতাম কিন্তু এদেশে আমাদের ব্যবসায়িক হিসাব নিকাশ না মিলিয়ে দেশ ও জনগণের অনুকূলে না হওয়ার কারণে এখনো পামির কলা অর্ডার করা হয়নি এখন বলুন আমরা যখন আনবো আমাদের জারা ডিস্ট্রিবিউটর ও গ্রাহক তারা কি লাভবান হবে গ্রাহকের ক্রয় সাধ্যের বাহিরে প্রোডাক্ট এনে আমরা জাল জ্বালিয়াতির মাধ্যমে ব্যবসা করার ব্যক্তি ও প্রতিষ্ঠান নয়। সংবাদটি সর্বোচ্চ শেয়ার করে সবাইকে জানার সুযোগ করে দিন।
ধন্যবাদ
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Dhaka
Ground Floor, House # 302 Road # 4, Baridhara DOHS
Dhaka, 1212
Complete web solutions including domain, hosting, design, development & digital asset management.
Dhanmondi
Dhaka
HI, I am Lihan. like to make friends...love to traval and ride motorcycle also make moto vlog....
All The Funny Turn
Dhaka
This is all about fun. We are gathering all the funny moments of life....
Cricket@BD24/7
Dhaka
This page was created long ago for no reason & its still looking for its Path ? Let's give it one :)
Haragach, Rangpur. Bangladesh
Dhaka
ব্যার্থতা একটা পরিক্ষা মাত্র। শক্তি রেখে যারা চলে, তারা কখনো হারে না। আল্লাহ ভরসা❤️
Dhaka
"দুনিয়াতে আপনি আল্লাহকে খুশি করতে এসেছেন মানুষকে নয়।" ~ ড. বিলাল ফিলিপ্স হাফিজাহুল্লাহ