ইউনানী আয়ুর্বেদা লিঃ
Nearby health & beauty businesses
Savar
1343
Savar 1340
Sabhar 1340
Saver
Savar
Ahsulia, Savar
Savar 1343
Savar 1340
Savar 1340
Mirpur
Savar
Post Code/1340
1340
Unani Ayurveda Ltd. is an ancient method of medicine that has the potential to deepen the cure and c
প্রিয় আবুল খায়ের এর এই বিজ্ঞাপনের কথা কারো মনে আছে?
—সব গাছ কাইটা ফালাইতাসে। আমি ঔষধ বানামু কি দিয়া?
* কি গো কবিরাজ, কি খোঁজতাসেন?
-- আইচ্চা, এইখানে একটা অর্জুন গাছ আছিলো না?
*আছিলো, কাইট্টা ফালাইছে।
-- এইখানে একটা শিশু গাছ আর ঐ মাথায় একটা হরতকী গাছ?
* আছিলো, কাইট্টা ফালাইছি।
-- আপনের গাছ?
* হ, টেকার দরকার পড়ছে তাই বিক্রি করছি।
-- গাছ লাগাইছিলো কে?
* আমার বাবায়।
-- আপনি কী লাগাইছেন?
-- আমি কী লাগাইছি?
* হ, ভবিষ্যতে আপনার পোলারও টেকার দরকার হইতে পারে...........
আবুল খায়েরের শেষ কথাটি ছিল: "এক একটা গাছ, এক একটা অক্সিজেনের ফ্যাক্টরী।" জনস্বার্থে বিজ্ঞাপনটি আবারো প্রচার করা হোক।
কখন চা পান করবেন ?
চা পান করার সবচেয়ে ভালো সময় হলো খাওয়ার ১-২ ঘণ্টা পরে। সকালেও এটি পান করতে পারেন, তবে খালি পেটে নয়।
আর দুধ চা এড়িয়ে যান। কারণ এর থেকে কোনো পুষ্টিগুণ শরীর পায় না। তার চেয়ে ভেষজ বিভিন্ন চা যেমন- গ্রিন টি, তুলসি টি, লেমনগ্রাস টি ইত্যাদি।
ওয়ার্কআউটের আগে সাধারণত কফি পান করার পরামর্শ দেন বিশেষজ্ঞরা। এতে আপনি আরও শক্তি পাবেন। আবার ব্ল্যাক কফি অতিরিক্ত ক্যালোরি পোড়াতে সাহায্য করে।
ঘুম থেকে ওঠার খালি পেটে চা বা কফি পান না করে এক কাপ গরম পানিতে সামান্য লেবুর রস, এক চিমটি লবণ ও কালো মরিচের গুঁড়া মিশিয়ে পান করলে উপকার পাবেন। এই পানীয় ওজন কমাতে সাহায্য করে।
⭕কুকুরে কামড়ালে বা আঁচড় দিলে কি করবেন?👇
🔘সাধারণত পোষা প্রাণীরা তাদের মনিবকে কামড়ায় না। কিন্তু কখনো কখনো কুকুর বা বিড়াল তাদের যারা আদর করেন, খাওয়ান, কোলে নেন এবং সাথে নিয়ে হাঁটতে বের হন তাদেরকেও আঁচড় দিতে পারে। এই ছোট খাট আঘাতগুলো অ্যালকোহল বা অ্যান্টিব্যাকটেরিয়াল অয়েন্টমেন্ট ব্যবহার করলেই ভালো হয়ে যায়। যদি দুর্ঘটনাবশত কুকুর কামড় দেয় এবং ত্বক ছিলে যায় এবং রক্ত বের হয় তাহলে ইনফেকশন হতে পারে। এক্ষেত্রে আপনার করণীয় সম্পর্কে জেনে নিই চলুন।👇
👉১। প্রথমেই রক্তপাত বন্ধ করতে হবে।
👉২। কুকুরটিকে ধরার চেষ্টা করুন। কুকুরটি যদি কারো পোষা হয় তাহলে তার ঠিকানা নিয়ে রাখুন এবং তাদেরকেও সতর্ক থাকতে বলুন।
👉৩। পাঁচ মিনিট যাবৎ ক্ষতটি ধুয়ে নিন। এক্ষেত্রে কলের পানি ব্যবহার করাই ভালো। যদি কলের পানি সহজলভ্য না হয় তাহলে আক্রান্ত স্থানটি পানিতে ভিজিয়ে রাখুন। পানি বার বার পরিবর্তন করে দিন। এক্ষেত্রে গ্লাবস পড়ে নেয়া ভালো। এভাবে আক্রান্ত স্থানটি ধুয়ে ফেললে কুকুরের লালা সম্পূর্ণ দূর হবে।
👉৪। যদি কুকুরের কামড়ের ফলে হালকা কেটে যায় বা আঁচর লাগে তাহলে পরিষ্কার একটি কাপড় দিয়ে সরাসরি চাপ দিলে রক্তপাত বন্ধ হবে। সম্ভব হলে আক্রান্ত স্থানটি হার্টের চেয়ে উপরের দিকে উঠিয়ে রাখুন। এর ফলে রক্তপাত নিয়ন্ত্রণ করা সহজ হবে।
👉৫। জীবাণুমুক্ত গজ দিয়ে ব্যান্ডেজ করে নিন এবং ঐ দিনই ২৪ ঘন্টার মধ্যে ডাক্তারের সাথে দেখা করুন।
👉৬। যদি আক্রান্ত ব্যক্তি গত ৮ বছরে টিটেনাসের ইনজেকশন নিয়ে না থাকেন তাহলে দ্রুত টিকা নিতে হবে। যেকোন ধরণের কামড়ের ফলেই টিটেনাস হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
🔘উষ্ণ রক্তের প্রাণীর মধ্যে জলাতঙ্কের ভাইরাস আছে কিনা তা শুধু ল্যাবরেটরি পরীক্ষার মাধ্যমেই নিশ্চিত হওয়া সম্ভব। যদিও কিছু লক্ষণ প্রাণীর মধ্যে জলাতঙ্কের সম্ভাবনাকে নির্দেশ করে যেমন- 👇
-👉 বন্য পশু দৌড়াতে দৌড়াতে আপনার কাছে আসলে।
-👉 পশুটির মুখ দিয়ে ফেনা বের হতে থাকলে এবং তার জিভ ঝুলে থাকলে।
-👉 পশুটির শ্বাস নিতে সমস্যা হলে।
-👉 বন্য পশুটি হঠাৎ করে আপনার উপর ঝাপিয়ে পড়লে।
⭕প্রাথমিক অবস্থায় র্যাবিস চিহ্নিত করা যায় না। কিন্তু কিছু প্রাণী অন্যদের তুলনায় জলাতঙ্ক প্রবণ হয়। যদি কোন কুকুর, বাদুর, শেয়াল, ইঁদুর অথবা কাঠ বিড়ালি আপনার সামনে বা কাছাকাছি আসে তাহলে ধীরে ধীরে এদের সামনে থেকে সরে আসাটাই সবচেয়ে ভালো, যাতে প্রানিটি ভয় না পায় বা রেগে না যায়।
🔘কামড়ের তীব্রতা দেখেই ডাক্তার চিকিৎসার ধরণ নির্ধারণ করবেন যেমন- কামড়ের স্থানটি শুধু পরিষ্কার করলেই হবে নাকি টিকা বা ইনজেকশন ও দিতে হবে।👇
👉 হালকা আচরের ক্ষেত্রে টিকা নেয়াই সবচেয়ে ভালো উপায়। কুকুরের কামড় যদি খুব বেশি মারাত্মক হয় তাহলে অ্যান্টি-র্যাবিস ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়।
👉 বেশীরভাগ ক্ষেত্রেই চিকিৎসক ক্ষতটি সেলাই করা এড়িয়ে যান যদিনা সেটি চেহারা বা কোন গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গে হয়ে থাকে।
👉 যদি পোষা প্রাণী কামড় দিয়ে থাকে তাহলে টিকার ৩ টি ডোজ নেয়ার পরামর্শ দেয়া হয়ে থাকে। এক্ষেত্রে প্রথম দিন ১ টি টীকা নিলে দ্বিতীয় টিকাটি নিতে হবে ৩ দিন পরে এবং তৃতীয় টিকাটি নিতে হবে ৭ দিন পরে।
👉 যদি পথের কোন ক্ষিপ্র কুকুর কামড় দেয় সেক্ষেত্রে ৫ বা ৭ টি ইনজেকশন নিতে হবে। টিকার তৃতীয় ডোজ নেয়ার ১ সপ্তাহ পরে নিতে হবে এই ইনজেকশন। ইমিউনিটিকে উন্নত করার জন্য এবং ইনফেকশনের ঝুঁকি কমানোর জন্য এই ইনজেকশন দেয়া হয়।
🔘জলাতঙ্ক থেকে মুক্ত থাকার সঠিক উপায় হচ্ছে টিকা নেয়া এবং ইমিউনোগ্লোবিউলিন ইনজেকশন নেয়া। যেহেতু জলাতঙ্ক ভাইরাসজনিত রোগ তাই অ্যান্টি ব্যাকটেরিয়াল লোশন ব্যবহার করে কোন উপকার পাওয়া যায়না। ইনফেকশন যেন না বারে সেজন্য অ্যান্টিসেপ্টিক ক্রিম ব্যবহার করতে পারেন। কিন্তু যত দ্রুত সম্ভব চিকিৎসকের পরামর্শ নেয়াও প্রয়োজন। যদি সময় মত চিকিৎসা করা না হয় তাহলে কুকুরের কামড়ের ফলে মৃত্যু পর্যন্ত হতে পারে। তাছাড়া জলাতঙ্ক নিরাময় করা যায়না। তাই উপসর্গের তীব্রতা বুঝা গুরুত্বপূর্ণ এবং চিকিৎসা নেয়া প্রয়োজন। এক্ষেত্রে চিকিৎসককে চিকিৎসার বিষয়ে সিদ্ধান্ত নিতে দিন।
👉⭕নিয়মিত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।🔘🌻
👉⭕বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ পূর্বক ঔষধ সেবন করুন।🔘🌻
🌻লিখেছেন –
সাবেরা খাতুন
*সংগৃহীত
🌻💠"U" আকৃতির ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ এর উপকারিতা ও প্রয়োজনীয়তা💠👇
👉🥦🔘🍀সম্মানিত সদস্য বৃন্দ, আজ আমরা জানবো সন্তান জন্মের পর বুকের দুধ আসা বা পাওয়া নিয়ে যে সমস্ত জটিলতা ও ভ্রান্ত ধারণা রয়েছে তার কিছু প্রমাণিত বৈজ্ঞানিক সমাধান সম্পর্কে। জনসচেতনতার স্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।🌿💠🌻👇
🔘☘️⭕সন্তান জন্মের পরে মায়ের দুধ আসতে দেরি করে! ৩ দিন লাগে! আবার যদি সিজারে হয় তাহলে তো কথাই নেই কমপক্ষে ৭দিন তো লাগবেই! ইত্যাদি কথা প্রচলিত এমনকি আমরা বিশ্বাসও করি। কিন্তু এসকল কথাই পরিপূর্ণ সঠিক নয়। মায়ের দুধ আসা সম্পূর্ণভাবে নির্ভর করে মা আরামদায়কভাবে বসে অথবা শুয়ে স্তনের বোটার চার পাশের কালো অংশসহ শিশুর চোষার উপরে যাকে পজিশন ও এটাচমেন্ট বলে। আর যতক্ষণ পর্যন্ত না এই পদ্ধতি সঠিক হবে ততক্ষণ পর্যন্ত শিশুকে সফলভাবে মায়ের দুধ খাওয়ানো অসম্ভব। তাই শিশু জন্মের পর থেকে পজিশন ও এটাচমেন্ট সঠিক করে দৈনিক কমপক্ষে ৮-১০ বার মায়ের দুধ চোষাতে হবে। আর ছোট নবজাতকের এই পজিশন ও এটাচমেন্ট সঠিক করে দিলেও কিছুক্ষণ পর পর তা সরে যায় মায়ের হয়ত একটু নড়া বা কোলে নিয়ে আছে হাতটা একটু সরে যাওয়ার কারণে। যা একইভাবে মা ও শিশুর এই সঠিক পজিশন ও এটাচমেন্ট বজায় রাখা একটি অন্যতম চ্যালেঞ্জ। এই চ্যালেঞ্জ মোকাবেলায় বিশেষভাবে ডিজাইন করা (ইংরেজি ‘U’ আকৃতির) ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ অন্যতম সহায়ক হিসাবে কাজ করে। ব্রেস্টফিডিং পিলো ব্যবহারে শিশুকে মায়ের দুধ খাওয়ানো আরামদায়ক হয় এবং মায়ের জন্য সুবিধাজনকও। এটি নার্সিং বালিশ হিসাবেও পরিচিত।☘️
💠🌿ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ ব্যবহারের সুবিধাঃ👇☘️
🍀👉১। বালিশটি ব্যবহারে মা ছোট শিশুকে আরামদায়ক উচ্চতায় ধরে রাখতে পারে ফলে শিশুর অবস্থান ও সংস্থাপন ঠিক রাখা সম্ভব হয়।🥦
🍀👉২। শিশুকে হাতের উপরে নিয়ে মা একটানা বেশি সময় ধরে দুধ খাওয়াতে পারে না মায়ের কষ্ট হয়, কিন্তু এই বালিশ ব্যবহারে অনায়াসে মা একসাথে ১-২ ঘন্টা কোন ক্লান্তি বা কষ্ট ছাড়া মায়ের দুধ খাওয়াতে পারে।🥦
🍀👉৩। সিজারের (অস্ত্রোপচার) মাধ্যমে প্রসবের ক্ষেত্রে মায়ের পুরোপুরি নিরাময়ে কয়েক সপ্তাহ সময় লাগে। শিশুকে দুধ খাওয়ানোর সময় এই বালিশের ব্যবহার মায়ের সেলাইগুলির উপর চাপ রোধ করতে সহায়তা করে।🥦
🍀👉৪। জমজ শিশুদের ক্ষেত্রে ব্রেস্টফিডিং বালিশ বা নার্সিং বালিশ ব্যবহার করে একই সাথে দুইজন শিশুকেই মায়ের দুধ খাওয়ানো যায়।🥦
🍀👉৫। কিছু কিছু শিশুর দুধ খাওয়ার পরে অ্যাসিড রিফ্লাক্স হয়। এই বালিশে বিশেষ অবস্থানে শিশুকে নিয়ে খাওয়ালে তা শিশুর অ্যাসিড রিফ্লাক্স প্রতিরোধে সহায়তা করতে পারে। এছাড়া এই বালিশ বারপিং বালিশ হিসাবেও ব্যবহার করা যায়।🥦
🍀👉৬। ইংরেজি ‘U’ আকৃতির ব্রেস্টফিডিং বালিশকে দুগ্ধদানকালীন সময়ে এমনকি গর্ভাবস্থায়ও ভাল ব্যাক সাপোর্ট কুশন হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে।🥦
👉☘️⭕নিয়মিত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।🔘🌻
👉☘️⭕বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ পূর্বক ঔষধ সেবন করুন।🔘🌻
⭕🍀বিশেষ দ্রষ্টব্য:👇💠
🥦*বাংলাদেশ ব্রেস্টফিডিং ফাউন্ডেশন এর টাইমলাইন থেকে সংগৃহীত🌿
🥦*এই পোস্টটি কোনো বিশেষ পণ্যের বিজ্ঞাপন নয়, বরং গর্ভবতী মায়েদের জন্য সচেতনতামূলক পোস্ট মাত্র🌿
⭕জনসচেতনতার স্বার্থে পোস্টটি শেয়ার করার অনুরোধ রইলো।⭕
(একটি বাস্তব ঘটনা)
পাঁচ বছর আগে আমার একটা পরকীয়া ঘটনা ধরে আমি আর রিয়া আলাদা হয়ে যাই। শেষবার যখন রিয়ার সাথে কথা হয়েছিলো তখন সে বলেছিলো, "তোমার এমন চরিত্র নিয়ে তুমি কখনো সুখী হতে পারবেনা, ভালো থেকো!"
রিয়া একটু শ্যামলা বর্ণের ছিলো। আমাদের বিয়েটা বাবা, মা পছন্দ করে করিয়েছিলো। মেয়েটা শ্যামলা বর্ণের হওয়ায় আমি অনেক না করেছিলাম তারপরেও আমাদের বিয়েটা হয়েছিলো। বিয়ের কিছুদিন পর আমি অন্য একটা মেয়ের সাথে পরকীয়ার সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ি। সেটা নিয়ে পরিবারে অনেক অশান্তি। সে জন্য রিয়া গোপনে অনেক কান্না করতো। দুজনে দু পাশ হয়ে শুইলে তার ফুঁপিয়ে ফুঁপিয়ে কান্না করার শব্দ আমার কানে আসে। কখনো জানতেও চাইনি তার কান্নার কারণ। এত কিছুর পরেও তার কোন অভিযোগ নেই। সকালে ঘুম থেকে উঠে রিয়া ঠিকই চা এনে দিবে। কতবার তার হাত থেকে চায়ের কাপ নিয়ে ফ্লোরে ছুড়ে মেরেছি সেটার কোনো হিসাব নেই। বিয়ের পর কখনো আমার নিজের হাতে কাপড় নিতে হয়নি, আমি গোসল করতে ঢুকলেই সে কাপড় গুলো ওয়াশরুমের বাইরে সাজিয়ে রাখে। রিয়া আমাদের বাড়িতে আসার পর মা'কে কখনো রান্না ঘরে যেতে হয়নি। রিয়া যে এক বছর আমাদের বাসায় ছিলো তার মাঝে এক সপ্তাহও মনে হয় তার বাপের বাসায় যায়নি। পুরো বছরটা সে আমাকে ইম্প্রেস করার চেষ্টা করে। একটা সময় সে মানসিক অত্যচার সহ্য করতে না পেরে আমার কাছ থেকে আলাদা হতে চায়। আমি সেদিন হাসতে-হাসতে, নাচতে-নাচতে তাঁকে আলাদা করে দিই।
আজ পাঁচ বছর পূর্ণ হলো রিয়া আমাকে ছেড়ে চলে গেছে। আসলে চলে গেছে বললে ভুল হবে তাড়িয়ে দিয়েছিলাম। রিয়া চলে যাওয়ার দু বছর পর বাবা মারা যায়। রিয়া চলে যাওয়ার পর থেকে বাবা মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে একটা কথাও বলেনি। মারা যাওয়ার সময় আমি অফিসে ছিলাম এসে শুনলাম মারা যাওয়ার সময় বাবা তার একমাত্র ছেলেকে না খুঁজে ছেলের বউকে একবার দেখতে চেয়েছিলো। জীবনের প্রথম ধাক্কাটা খেয়েছিলাম সেদিন।
আজ আমার মা মারা গেলো!! রিয়া যাওয়ার পর থেকে মা প্রয়োজনের বেশি আমার সাথে একটা কথাও বলতো না। "ভাত দিছি খেতে আয়।" এই কথাটা ছাড়া আর বেশি কিছু বলতো বলে আমার মনে পড়েনা। খুব বেশি কান্না পাচ্ছে যখন মায়ের আলমারিটা খুলে দেখলাম রিয়া যাওয়ার পর থেকে আমার দেওয়া একটা শাড়ীও মা পড়েনি। কখনো বলতো না আমার জন্য কিছু লাগবে বা লাগবেনা। তবুও আমি অনেক কিছুই এনে দিয়েছিলাম যেগুলো যেভাবে এনেছি সেভাবেই এখন চোখের সামনে দেখতে পাচ্ছি। আমার উপর এতটা অভিমান নিয়ে মা পৃথিবী থেকে বিদায় নিয়েছে। মা মারা যাওয়ার সময় শুধু একটা কথাই বলেছে, "বাবা, তুই ছিলি আমাদের একমাত্র সন্তান তোর ভালোবাসায় কমতি হবে ভেবে আমরা দুইটা সন্তান নেইনি তারপরেও আমাদের মুখের দিকে তাকিয়ে রিয়াকে মেনে নিতে পারিস নি! তোর বাবা মারা যাওয়ার আগে প্রতি রাতে শুধু এই কথাটা বলেই কান্না করতো, মেয়েটা অনেক ভালো ছিল রে।"
আমার পরকীয়ার সম্পর্ক ছিলো দুই থেকে তিন মাসের মতো এই দুই তিন মাস আমার কাছ থেকে মা, বাবা,রিয়া এবং পাঁচ পাঁচটা বছর কেড়ে নিলো। আজ বুঝতেছি ভালো থাকার মানেটা কি। কতো সুখি হতাম যদি বাবা মারা যাওয়ার আগ পর্যন্ত আমার সাথে আগের মতো সব কথা বলতো! কতো সুখি হতাম মা যদি আগের মত আমার বন্ধুর মতো থাকতো!
কিন্তু বুঝতে পারতেছিনা আজ কেনো এসব ভাবতেছি সেই পাঁচ বছর আগে যদি ভাবতাম তাহলে আমার জীবনটা অনেক সুন্দর হতো। এখন পুরো একটা বাড়িতে আমি একা কাউকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো সে উপায় ও নেই। নিজে নিজে কান্না করতেছি, নিজে নিজে চিল্লাতে চিল্লাতে আকাশ বাতাস ভারি করে ফেলতেছি কিন্তু সব কিছুই যেনো আমার থেকে বিমুখ হয়ে গেছে। আকাশের দিকে তাকিয়ে কিছু বললেই আকাশ যেনো উল্টো আমাকে বলতেছে সব কিছুর জন্য তুই দায়ী। আজ নিজেকে খুব বেশি অপরাধী মনে হচ্ছে। রিয়ার চলে যাওয়ার সময় কথাটা যেনো আজ অক্ষরে অক্ষরে সত্যি হয়ে গেলো।
আজ পাঁচ বছর পর রিয়ার নাম্বারে ফোন দিলাম। ফোন দেওয়ার সাথে সাথেই কলটা রিসিভ করে ওপাশ থেকে একটা বাচ্চা বললো, "পাপ্পা-পাপ্পা তুমি কখন আতবে?"
বাচ্চাটার কথা শোনে আমার কণ্ঠ রুদ্ধ হয়ে গেলো! মুখ দিয়ে একটা কথাও বের হচ্ছেনা।
দূর থেকে কেউ একজন বললো, "কে ফোন করেছে মা?"
কণ্ঠ শোনে বুঝতে পারলাম এটা রিয়া, মেয়েটা কতো সুখি হয়ে গেলো, বিয়ে করে বাচ্চা হলো। এখন খুব জেলাস ফিল হচ্ছে তার স্বামীর কথা ভেবে!!
ইচ্ছে করতেছে দৌড়ে গিয়ে রিয়াকে আমার কাছে নিয়ে আসি, জড়িয়ে ধরে অনেক কান্না করি। রাত দিন কান ধরে ক্ষমা চাই। কিন্তু সেটা তো আর সম্ভব নই। সে এখন আরেকজনের বউ। তাছাড়া আমার মত খারাপ একটা মানুষকে কেনো সে জড়িয়ে ধরবে!
ওপাশ থেকে রিয়া বলতেছে, "দাও মা ফোনটা দাও, দেখি কে ফোন করেছে।"
এরপর আর কোনো কথা শুনতে পেলাম না। হয়তো আমার নাম্বার সে চিনতে পারছে তাই কোনো কথা বলতে চাচ্ছেনা। আমিও কেমন বোকা তার কাছ থেকে কথা আশা করতেছি। তার কণ্ঠ শুনতে পেয়েছি সেটাই তো অনেক। ফোনটা যদি তার কাছে থাকতো হয়তো তার কণ্ঠটাও শোনা হতো না। আমার মতো জঘন্য একজন মানুষের সাথে তার কথা বলা উচিৎ নই। এসব ভাবতে ভাবতে ফোনটা কেটে দিলাম।
।
মায়ের সাথে সাথে আমার চোখ থেকে ঘুমও বিদায় নিলো। বালিশে মাথা রাখলেই চোখের দু কোণা দিয়ে অজস্র পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। মুছতে মুছতে ভাবতেছি,"শুধু কান্না নই এখন যদি মরেও যাই একটা লোকও নাই যে আমার জন্য দু ফোটা চোখের পানি ফেলবে।" আজ আমি এতই একা। একটা মূহুর্তের জন্যও ঐ পরকীয়ার সম্পর্ক টার ব্যাপারে ঘৃণা ছাড়া কিছু মাথায় আসতেছেনা। অথচ একটা সময় ছিলো রিয়ার প্রতি ঘৃণা আর পরকীয়ার প্রতি মায়া। আজ পরকীয়ার প্রতি ঘৃণা আর রিয়ার প্রতি মায়া। সময় কতো বড় শিক্ষক আজ তা শিখিয়ে দিয়ে গেল। আমাকে কেউ মারেনি কিন্তু সময়ের কাছে কী মার টাই না খেয়ে গেলাম!
খুব সকালে বাড়ির কলিং বেলটা বেজে উঠলো, চমকে উঠলাম কারণ মা মারা যাওয়ার তিন দিন পর কেউ একজন বাড়ির কলিং বেলটা বাজালো!
দরজা খুলতেই আরো বেশি অবাক হলাম, দেখলাম রিয়া একটা বাচ্চা মেয়েকে কোলে নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারতেছিনা এমন সময় আমি কি করবো? আমার কি করা উচিৎ?
দরজা খুলতেই আরো বেশি অবাক হলাম, দেখলাম রিয়া একটা বাচ্চা মেয়েকে কোলে নিয়ে দরজার সামনে দাঁড়িয়ে আছে। বুঝতে পারতেছিনা এমন সময় আমি কি করবো? আমার কি করা উচিৎ?
মাথা নিচু করে দাঁড়িয়ে থাকলাম। রিয়াও কথা বলতে ইতস্তত বোধ করতেছে। অনেকক্ষণ দাঁড়িয়ে থেকে জিজ্ঞেস করলাম, "তুমি?"
রিয়া তার কোল থেকে বাচ্চা মেয়েটাকে নামিয়ে দিয়ে বললো, "মা এখানে দাঁড়াও তো। আমি আসবো সেটা আশা করোনি তাইনা?"
চোখের সামনে সেই পাঁচ বছর আগের রিয়াকে ই যেনো দেখতে পাচ্ছি। মেয়েটার ভেতরটা যতটা নরম বাহির টা ততোটা নরম না। সেই আগের মতো তার কথা বলার ধরণ। রিয়ার মেয়েটার বয়স চার থেকে সাড়ে চার বছরের মতো হবে। হয়তো এখান থেকে গিয়েই বিয়ে করে ফেলেছিলো। মেয়েটা দেখতে একদম তার মায়ের মতো হয়েছে। আমি কিছু না বলে তার আশপাশ দেখতেছিলাম! সে কি একা আসছে নাকি স্বামী নিয়ে আসছে। দেখলাম তার পেছনে একটা সুটকেস ছাড়া আর কিছু নেই। কাউকে দেখতে না পেয়ে বললাম, "একা আসছো?"
-কেনো অন্য কেউ আসার কথা নাকি? আচ্ছা আমরা কি বাইরে দাঁড়িয়ে কথা বলবো নাকি ভেতরে যাবো?
আমি আমতা আমতা করতে করতে বললাম, "আসো!"
ঘরের ভেতর ঢুকে সে তো আগুন, "কি অবস্থা করে রেখেছো ঘরটার, একটু গুছিয়েও তো রাখা যায়।" এই বলতে বলতে সে আমার রুম গোছাচ্ছে। আমি সোফায় বসে রিয়ার দিকে অপলক দৃষ্টিতে তাকিয়ে থাকলাম আর ভাবতেছি মেয়েটা কত সহজ-সরল, এমন একটা মেয়েকে আমি কতো কষ্ট দিয়েছি।
পাশ থেকে ওর বাচ্ছাটা আমার দিকে আঙ্গুল দিয়ে বার-বার বলতেছে, "মাম্মা, মাম্মা এতা কে? (মেয়েটার ভালো করে কথা ফোটেনি)
রিয়া চুপচাপ রুম গোছাতে থাকলো।
হঠাৎ খেয়াল করলাম তার হাতে আমাদের বিয়ের একটা ফটো, এটাই একমাত্র আমাদের বিয়ের স্মৃতি যেটা বিছানার পাশে ছিলো। রিয়ার চোখ দিয়ে নিরবে পানি বেরিয়ে যাচ্ছে। হয়তো বিয়ের কথা মনে পড়তেছে।
সাহস নিয়ে এক নিশ্বাসে বলে ফেললাম, "রিয়া তোমার স্বামী আসেনি? সে কেমন আছে? নিশ্চয় সে আমার মতো এত স্বার্থপর না তাইনা?
রিয়া চোখের পানি মুছতে মুছতে বলতেছে, " হ্যা সে-ও স্বার্থপর তাইতো তোমার সাথে পরকীয়া করতে চলে আসলাম। কি আমার সাথে পরকীয়া করবে?
রিয়া কি বললো সব কিছু আমার মাথার উপর দিয়ে গেলো, হয়তো আমার ধারণা ই ঠিক সে বিয়ে করেছে। কিন্তু আমার কাছে এটা পরিষ্কার যে আমাকে পরকীয়ার কথাটা ইগো দেখিয়ে বলছে। কারণ রিয়া এমন কোন মেয়ে না।
-"মানে"
-সুখ জিনিসটা আমার কপালে নেই মনে করেছিলাম, আমি বিশ্বাস করতাম তোমাকে নিয়ে সুখী হতে না পারা টা আমার ভাগ্যে লিখা আছে, বিধাতা হয়তো আমার কপালে সুখ রাখেননি। তবুও আমি এই বিছানার এক পাশে সারা জীবন পার করে দিতে চেয়েছিলাম। এত কিছুর পরও আমি নিজে কান্না করে আমার দুঃখ গুলো ঢেকে রাখার চেষ্টা করেছিলাম। যেদিন আমি রাগের বসে চলে যাবো বলছি আর তুমিও আমাকে আটকালেনা সেদিন মনে করেছিলাম আমার জীবনের শেষ দিন। কিন্তু আমার হায়াত ছিলো তাই বেঁচে গেছি। তোমার কি মনে আছে একদিন প্রচন্ড ঝড়-বৃষ্টি হচ্ছিলো? বিয়ের পর তুমি আমাকে স্ত্রীর মর্যাদা দিয়েছিলে শুধু মাত্র সেদিন। হয়তো তুমি অবচেতন মনে ছিলে। যায় হউক। সেই রাতের ফসল হচ্ছে আমার মেয়েটা। যেদিন এখান থেকে চলে যাচ্ছিলাম সেদিন আমি আমাদের বাসায় যাইনি। গিয়েছিলাম সুইসাইড করতে। কিন্তু আমার মেয়েটা সুইসাইড করতে দেয়নি। আমার মনে হলো পেটের ভিতর থেকে সে বলতেছে, "মা আমি কোন অন্যায় করিনি আমাকে মেরো না!" এই সব ঘটনা আব্বা(শশুড়) জানতো। কিন্তু আমি বারন করেছিলাম তোমাকে কিছু বলতে, কারণ আমি চাইনি তুমি আমার প্রতি দয়া করো। আমি চেয়েছি তুমি আমাকে ভালোবাসো। আমি চেয়েছি তোমার মাঝে অনুশোচনা বোধ সৃষ্টি হোক। আমার জীবনের কঠিন সময়ে তুমি স্বার্থপরের মতো আমাকে ছেড়ে দিয়েছিলে। কিন্তু আমি পারিনি তোমার কঠিন সময়ে তোমাকে ছেড়ে থাকতে, কেনো জানো? অল্প দিনে বড্ড বেশী ভালোবেসে পেলেছিলাম। এই পাঁচ বছরে সব থেকে বেশী কষ্ট পাচ্ছিলাম তখন যখন মেয়েটা ওর পাপ্পা কোথায় জিজ্ঞেস করতো আর কথাটার আমি কোন জবাব দিতে পারতাম না। আমার ফোন যদি ওর হাতে থাকে যে কেউ কল দিলে ও পাপ্পা পাপ্পা বলে ডাকতে থাকে। একটা মেয়ের জীবনে সন্তানের কাছে তার পিতার পরিচয় দিতে না পারার মতো আর কোন কষ্ট নেই।
আমি নিজের কান কে বিশ্বাস করতে পারতেছিলাম না, মেয়েটা নিজের মধ্যে এতো কষ্ট লুকিয়ে রেখেছিলো?
রিয়া কথা গুলো বলে খাটের এক কোণায় বসে অবুঝ শিশুর মতো হু হু করে কান্না করতে করতে বলতেছে, "তুমি হয়তো ভাবতেছো তাহলে আজকে কেনো আসলাম, কারণ গতকাল তোমার ফোন পেয়ে বুঝেছিলাম তোমার মতো স্বার্থপর একটা মানুষ কখনো কোন কারণ ছাড়া ফোন দিবেনা। মা, বাবা দুজনের মৃত্যুর খবর আমি শুনেছি তারপরেও আমি তোমাকে দেখা দেইনি কারণ তোমার মধ্যে অনুশোচনা বোধ না আসলে কখনো ভালোবসার আসল অর্থটা তুমি বুঝতেনা।
মেয়েটাকে কোলে নিয়ে রিয়ার সামনে গিয়ে বললাম, "আমার মেয়েটার নাম কি রাখছো?"
সে নিচের দিকে তাকিয়ে আছে। স্পষ্ট দেখতে পাচ্ছি তার চোখের পানি টপ-টপ করে নিচে পড়তেছে। আমি পাশে বসে ওকে জড়িয়ে ধরতে চাইলাম। কিন্তু সে এমন জেদ ধরে বসে আছে তাঁকে কোন ভাবেই ধরতে পারতেছিনা। খুব বেশী জোর করে তাকে জড়িয়ে ধরে বললাম, "হুম আজকে বেশী করে কেঁদে নাও এরপর কখনো এই চোখে পানি আসতে দিবো না। ভালো কিভাবে বাসতে হয় সেটা তুমি আমাকে শিখিয়েছো। এখন ভালোবাসার পরীক্ষাটা আমি দিবো।
সমাপ্ত...
গল্প - ফিরে আসার গল্প
জেনে নিন, পুরুষের মেহ,প্রমেহ/ প্রসাবে ক্ষয়/ ঘন ঘন প্রসাব/ অল্প উত্তেজনায় ধাতুঝরা/ ধাতু ক্ষয়জনিত সমস্যার শতভাগ কার্যকরী এবং স্থায়ী সমাধানসমূহ -ছবিতে ক্লিক করে।
জেনে নিন,পুরুষের প্র'সাবে ক্ষয় / ঘন'ঘন প্রসাব/গোপন সমস্যার শতভাগ কার্যকরী স্থায়ী সমাধানসমূহ। - UNA FacebookTwitter প্রসাবে ক্ষয় / যৌন দুর্বলতা / ধাতু ক্ষয় / ধাতু দুর্বলতা/ ঘন ঘন প্রসাব ? আমাদের দেশের অধিকাংশ পুরুষের মাঝে যৌন....
হোমিও ও ইউনানি পড়ে কেউ ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবে না।
হোমিও ও ইউনানি পড়ে কেউ ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না ‘হোমিওপ্যাথি ও ইউনানি পড়ে কেউ তার নামের আগে ‘ডাক্তার’ পদবি ব্যবহার করতে পারবেন না’—আদেশের ওপর পূর্ণাঙ্গ ...
জ্বর ?
প্রাকৃতিক ঔষধ বলে দিচ্ছি ।
এক টেবিল চামচ আদার রসের সাথে সমপরিমাণ মধু মিশিয়ে খান । মাঝে মাঝে লেবুর শরবত খাবেন । আশা করি সেরে যাবে ইনশাআল্লাহ !!
কোভিড ICUতে ডিউটিরত এক ডাক্তারের লেখা-
চোখ ভেঙে কান্না আসছে......
আধা ঘণ্টার ব্যবধানে দুজন রোগী মারা গেলেন হাতের উপর.....
হাই ফ্লো অক্সিজেন (৪০-৫০ লিটার/মিনিট) সাপ্লাই দিয়েও স্যাচুরেশন ৬৫-৭০% উঠে খুব কষ্টে। চোখের সামনে একটু বুক ভরে নিঃশ্বাস নিতে না পারার কষ্টে ডাঙায় তোলা মাছের মত ছটফট করে মারা যাচ্ছে মানুষ..
দাঁড়িয়ে দেখা ছাড়া আর কিচ্ছু করতে পারছি না। বড্ড অসহায় লাগছে। এত অসহায় আর কখনো লাগেনি। মেন্টাল ট্রমার মত হয়ে যাচ্ছে ব্যাপারটা। যমে মানুষে টানাটানি করতে করতে ক্লান্ত হয়ে যাচ্ছি। একটার পর একটা ডেথ সার্টিফিকেট সাইন করতে হাত কাঁপছে। বিশ্বাস করেন একজন ডাক্তারের জন্য এর থেকে অসহায় মুহূর্ত আর কিছু নেই।
প্রাণপণ চেষ্টা করে যাচ্ছি আমরা....
নিজেদের জানের মায়াও করছি না অনেক সময়....
রোগী বেশী খারাপ হয়ে গেলে সময় অপচয় করছিনা, প্রোপার পারসোনাল প্রটেকশন, গ্লাভস, মাস্ক এর চিন্তা না করেই রোগী ধরে ফেলছি....
নিজেরা সাবধান না হলে দুনিয়ার সবচেয়ে বড় ডাক্তারেরও সাধ্যি নাই আপনাকে বাঁচানোর। কোন ওষুধে কাজ হবেনা যদি আল্লাহ মৃত্যুর মুখ থেকে টেনে না আনেন আপনাকে। আই সি ইউ, অক্সিজেন সব দুষ্প্রাপ্য এখন।
নিজে সাবধান হউন, উপরওয়ালা কে ডাকেন। কোভিড এর ভয়াবহতা সম্পর্কে ততক্ষণ বুঝবেন না যতক্ষণ না নিজে বা কাছের কেউ আক্রান্ত না হবে (আল্লাহ মাফ করুক)। কিন্তু ততক্ষণে অনেক বেশি দেরী হয়ে যাবে.....
গরমে ত্বকের যত্নে, খাবারের তালিকায় কী কী?
গরমে সবচেয়ে বেশি ক্ষতি হয় আমাদের ত্বকের। সেই ত্বকের যত্ন নিতে কতকিছুই না করতে হয় সারাদিনে। হাজারও সানস্ক্রিন, ফেসিয়াল, মাসাজেও ঠিকঠাক কাজ দেয় না। ত্বকের ক্ষতি হয়েই চলে। আসলে ত্বককে সারানো দরকার ভিতর থেকে। শরীরের প্রয়োজনীয় ভিটামিন, হাইড্রেশন, প্রোটিন ও কার্যকরী ফ্যাট যদি খাবারের মাধ্যমে গ্ৰহণ করা যায়, তবে ত্বক ভিতর থেকেই যথেষ্ট সেরে ওঠে, কমে যায় রোদের ও অত্যন্ত গরমের ক্ষতিকর প্রভাবজনিত ক্ষয়।
তাই ত্বককে গরমের ভয়াবহ পরিবেশ থেকে রক্ষা করতে হলে প্রয়োজন খাবারের তালিকায় পরিবর্তন আনা। খুব চেনা কিছু খাবার যাদের সম্পর্কে আমরা প্রায় কিছুই জানি না, তারাই আমাদের ত্বককে দিতে পারে যথাযথ সুরক্ষা। প্রতি খাবারের মধ্যেই কিছু বিশেষ জৈবিক পদার্থ থাকে যা আমাদের চাহিদা মেটায়, সেগুলো নিয়েই নিচে পরপর আলোচনা রইল, যাতে সহজে বোঝা যায় কী কী পদার্থ আমাদের ত্বককে রক্ষা করতে অবশ্যই দরকার।
১। জল: গরমে যে জিনিসটি আমাদের শরীরে সবচেয়ে কমে যায় ও যার জন্য ত্বকের ডিহাইড্রেশন ঘটে তা হল জল। ডিহাইড্রেশন এর ফলে ত্বক শুষ্ক, খসখসে হয়ে পড়ে। কোষগুলোর কাজকর্মও ধীরগতিতে চলে। তাই গরমে জলের প্রয়োজন সবচেয়ে বেশি। শরীরে জলের ভারসাম্য ঠিক রাখতে সাধারণ জলের পাশাপাশি খান বিভিন্ন ফলের রস, জলের পরিমাণ বেলি এমন ধরনের খাবার, এছাড়াও নুনচিনির জলও খেতে পারেন যাতে শরীরে জলের পাশাপাশি সোডিয়ামের ভারসাম্য ঠিক থাকে।
২। ক্যারোটিনয়েডস: ক্যারোটিনয়েডস আমাদের ত্বকের জন্য আরও একটি প্রয়োজনীয় উপাদান। সূর্যরশ্মিতে ইউভিএ ও ইউভিবি রশ্মি থাকে তা ত্বকের জন্য প্রচন্ড ক্ষতিকর। টম্যাটো, গাজর, আম ইত্যাদি খাবারে থাকা আলফা আর বিটা ক্যারোটিন ত্বককে এই রশ্মিগুলির কুপ্রভাব থেকে অল্প হলেও রক্ষা করে। ফলে ত্বক রোদে পোড়ে না। এছাড়াও এই ক্যারোটিনয়েডগুলি ত্বককে উজ্জ্বল করতে সাহায্য করে।
৩। আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটস: আনস্যাচুরেটেড ফ্যাটস আছে এমন খাবার খেলে আপনার ত্বকের আর্দ্রতা বৃদ্ধি পায়। গরমকালে ঘামের কারণে ত্বকের জলীয় অংশ রোদে শুষে নেয়। বিভিন্ন সবজিতে থাকা এই ফ্যাটগুলো ত্বকের জলীয় ভারসাম্য বজায় রাখে। এছাড়াও ত্বককে অকাল বার্ধক্যের হাত থেকে রক্ষার ক্ষেত্রে ওমেগা থ্রি যথেষ্ট প্রয়োজনীয় একটি ফ্যাট। অ্যাভোকাডো, ওয়ালনাটে এই ফ্যাট বেশি পরিমাণে মেলে।
৪। ভিটামিন সি: ত্বকের জন্য অন্যতম প্রয়োজনীয় উপাদান হল ভিটামিন সি। সূর্যের বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের ক্যান্সার ঘটাতেও সক্ষম। একমাত্র ভিটামিন সি ই পারে এই ক্যান্সার প্রতিরোধ করতে। শুধু তাই নয়, এটি ত্বকের অকাল বার্ধক্য রোধে সাহায্য করে, এমনকী আটকায় পিগমেন্টেশনও। রোজকার খাবার তালিকায় তাই রাখুন ভিটামিন সি। যে কোনও টকজাতীয় খাবারেই ভিটামিন সি পাওয়া যায়। আঙুর, লেবু, স্ট্রবেরি, জাম ইত্যাদি ফল ভিটামিন সি এর অন্যতম উৎস।
প্রোটিন জাতীয় খাবার: প্রোটিন জাতীয় খাবার আমাদের ত্বকের স্বাস্থ্যের জন্য উপকারী বিশেষত যখন গরমে সূর্যের বিভিন্ন ক্ষতিকারক রশ্মি ত্বকের সরাসরি ক্ষতি করছে। এজন্য বেছে নিন প্রোটিনসমৃদ্ধ খাবার যেমন মাছ মাংস দুধ ডিম। মাছের প্রাণীজ প্রোটিন আপনার ত্বকের কোষগুলোর কর্মক্ষমতা বাড়ায় ও কোনোরকম ক্ষতিকর প্রভাব থেকে বাঁচার জন্য প্রয়োজনীয় শক্তির জোগান দেয়। আপনি যদি অপনার ত্বক নিয়ে সচেতন হষ, তবে গরমকালে এগুলোই আপনার প্রধান খাবার হওয়া উচিত। ফাস্টফুড মশলাদার খাবার বাদ দিয়েই শুধু ত্বককে সুস্থ রাখা যায় না, তাই শেষ উপায় কিন্তু এই প্রয়োজনীয় উপাদান সমৃদ্ধ খাবারগুলিই।
সংক্ষিপ্ত খবর কোষ্ঠকাঠিন্য থেকে মুক্তির ঘরোয়া উপায় গরমে ত্বকের যত্নে, খাবারের তালিকায় কী কী? শিশুর ওজন কম? কীভাবে এই সমস্যা কাটাবেন? বিবিসি নিউজ বাংলায় প্রতিটি গল্পে আরো বেশি আবিষ্কার করুন রাসায়নিকে তৈরি নয়, প্রাকৃতিক উপায়ে বাড়িতেই বানান মাস্কারা আপনার যত্নের অভাবে শিশুর প্রতিভা যেন হারিয়ে না যায় মেদ বেড়েছে? ব্যায়াম করে লাভ হবে কি? শরীরে নানা সমস্যা? ম্যাগনেসিয়ামের অভাব নয় তো? নতুন মা হতে চলেছেন? নিজের এবং শিশুর শরীরের জন্য এই ভিটামিনগুলি ... কাশি সারছে না? ঘরোয়া টোটকায় রয়েছে সমাধানের সূত্র দীর্ঘদিন তারুণ্য ধরে রাখতে চান? রাস্তা হতে পারে ওয়েটলিফ্টিং।
লো প্রেশার হলে কী করবেন?
নিম্ন রক্তচাপ হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ছবি: অধুনা
নিম্ন রক্তচাপ হলে পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করতে হবে। ছবি: অধুনা
রক্তচাপ কমে যাওয়া, লো প্রেশার, লো ব্লাড প্রেশার কিংবা নিম্ন রক্তচাপ নিয়ে অনেকেই চিন্তিত থাকেন। এ নিয়ে অতিরিক্ত চিন্তিত হওয়ার কিছু নেই। অনেকেই মনে করেন দুর্বল স্বাস্থ্য যাঁদের, তাঁরা নিম্ন রক্তচাপে ভুগে থাকেন। এটা সত্য নয়। স্থূল মানুষেরও নিম্ন রক্তচাপ বা লো প্রেশার থাকতে পারে।
এ বিষয়ে জাতীয় হৃদরোগ হাসপাতালের সহযোগী অধ্যাপক মু. সালাউদ্দিন বলেন, সাধারণত সিস্টোলিক রক্তচাপ ৯০ মি. মি. মার্কারি ও ডায়াস্টোলিক রক্তচাপ ৬০ মি. মি. মার্কারির নিচে হলে তাকে নিম্ন রক্তচাপ বলা হয়। প্রেশার যদি খুব বেশি নেমে যায় তাহলে মস্তিষ্ক, কিডনি ও হৃৎপিণ্ডে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে না। ফলে অসুস্থতা দেখা দেয়। তাই প্রেশার লো হলে বাড়িতেই প্রাথমিক কিছু পদক্ষেপ নেওয়া জরুরি। আমাদের শরীরের জন্য উচ্চ রক্তচাপের মতো নিম্ন রক্তচাপ অর্থাৎ লো ব্লাড প্রেশারও ক্ষতিকর। অতিরিক্ত পরিশ্রম, দুশ্চিন্তা, ভয় ও স্নায়ুর দুর্বলতা থেকে লো ব্লাড প্রেশার হতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপের কারণ
* কোনো কারণে পানিশূন্যতা হওয়া।
* ডায়রিয়া বা অত্যধিক বমি হওয়া।
* খাবার ঠিকমতো বা সময়মতো না খাওয়া।
* ম্যাল অ্যাবসরবশন বা হজমে দুর্বলতা।
* কোনো দীর্ঘমেয়াদি রোগে আক্রান্ত থাকা।
* শরীরে হরমোনজনিত ভারসাম্যহীনতা।
* রক্তশূন্যতা।
শারীরিকভাবে আঘাতপ্রাপ্ত বা দুর্ঘটনার ফলে রক্তপাত ঘটলে এবং অপুষ্টিজনিত কারণে লো ব্লাড প্রেশার দেখা দিতে পারে। গর্ভবতী মায়েদের গর্ভের প্রথম ছয় মাস হরমোনের প্রভাবে লো প্রেশার হতে পারে।
নিম্ন রক্তচাপের লক্ষণ
মাথা ঘোরানো বা মাথা হালকা অনুভূত হওয়া, মাথা ঘুরে অজ্ঞান হয়ে যাওয়া, বসা বা শোয়া থেকে হঠাৎ উঠে দাঁড়ালে মাথা ঘোরা বা ভারসাম্যহীনতা, চোখে অন্ধকার দেখা বা সরষে ফুলের মতো দেখা বা চোখে ঝাপসা দেখা, শারীরিক দুর্বলতা এবং মানসিক অবসাদগ্রস্ততা, কোনো কিছুতে মনোযোগ দিতে না পারা, ঘন ঘন শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়া বা হাত-পা ঠান্ডা হয়ে যাওয়া, খুব বেশি তৃষ্ণা অনুভূত হওয়া, অস্বাভাবিক দ্রুত হৃৎস্পন্দন, নাড়ি বা পালসের গতি বেড়ে গেলে বুঝতে হবে আপনি লো ব্লাড প্রেশারে আক্রান্ত হয়েছেন।
লো নাকি হাই প্রেশার—কোনটি বেশি খারাপ?
দুটোই খারাপ, তবে যখন প্রশ্ন করা হয় কোনটি বেশি খারাপ? নিঃসন্দেহে লো প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপ বেশি খারাপ। কারণ, হঠাৎ প্রেশার কমে গেলে বা কোনো কারণে প্রেশার কমে গেলে তাৎক্ষণিক শরীরের গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ যেমন কিডনি, মস্তিষ্ক ইত্যাদি নষ্ট হয়ে যেতে পারে এবং তাৎক্ষণিক মৃত্যুও হতে পারে। এ জন্যই ডায়রিয়ায় পানিশূন্যতা রোধে শিরায় স্যালাইন দেওয়া হয়। তবে উচ্চ রক্তচাপও দীর্ঘ মেয়াদে ক্ষতির কারণ হয়ে থাকে। তাই উচ্চ রক্তচাপও নিয়ন্ত্রণে রাখা উচিত।
চিকিৎসা
লো ব্লাড প্রেশার বা নিম্ন রক্তচাপের কোনো সুনির্দিষ্ট চিকিৎসা নেই। নিম্ন রক্তচাপের উপসর্গ অনুযায়ী চিকিৎসার প্রয়োজন পড়ে। যদি শরীরে পানিশূন্যতা ও ইলেকট্রোলাইট ভারসাম্যহীনতার কারণে নিম্ন রক্তচাপ হয়, তাহলে শুধু খাবার স্যালাইন মুখে খেলেই লো প্রেশার ঠিক হয়ে যায়। তবে যাঁদের দীর্ঘমেয়াদি নিম্ন রক্তচাপ আছে, তাঁদের অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
নিম্ন রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে করণীয়
* নিম্ন রক্তচাপের ভুক্তভোগীরা অনেকক্ষণ একই স্থানে বসে বা শুয়ে থাকবেন না।
* অনেকক্ষণ ধরে বসে বা শুয়ে থাকার পর ওঠার সময় সাবধানে ও ধীরে ধীরে উঠুন।
* ঘন ঘন হালকা খাবার খান। বেশি সময় খালি পেটে থাকলে রক্তচাপ আরও কমে যেতে পারে।
* পর্যাপ্ত পরিমাণে পানি পান করুন।
* খাবার সময় পাতে এক চিমটি করে লবণ খেতে পারেন।
* দৈনন্দিন খাবারের তালিকায় গ্লুকোজ ও স্যালাইন রাখুন।
*** তেতুলের শুধুই উপকারিতা ***
"তেতুল খেলে রক্ত পানি হয়ে যায় কিংবা তেতুল মস্তিষ্কের জন্য ক্ষতিকর" আধুনিক ডাক্তারদের মতে এ ধারনা সম্পূর্ণ ভুল।।
জেনে নেই তেতুলের উপকারিতা:
১: হৃদরোগের জন্য উপকারী।
২: উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্তনে রাখে।
৩: রক্তে কোলেস্টেরল কমায়।
৪: শরীরের মেদ কমায়।
৫: হজমে সহায়তা করে।
৬: পেটের বায়ু, হাত পা জ্বলায় তেতুলের শরবত অনেক উপকারী।
৭: তেতুল গাছের বাকল লাগালে ক্ষত সারে।
৮: বুক ধড়ফর করা, মাথা ঘোরানো রোগে তেতুল উপকারী।
৯: আমাশয়,কোষ্ঠবদ্ধতা ও পেট গরমে উপকার করে।
১০: পাকা তেতুল কাশি সারায়।
১১: তেতুল পাতার রস কৃমিনাশক ও চোখ উঠা সারায়।7
১২: মুখে ঘা হলে তেতুলের পানিতে কুলি করলে উপকার পাওয়া যায়।
১৩: মস্তিষ্কের জন্য উপকারী।
১৪: ক্যান্সারের জন্য উপকারী।
১৫ তেতুলের সাথে রসুন খেলে রক্তের চর্বি কমে।
১৬: তেতুল খিদে বাড়ায় বমি বমি ভাব দূর করে।
১৭: তেতুলের পাতা ম্যালেরিয়া জ্বর সারায়।
১৮: শিশুদের পেটের কৃমি দূর করে।
১৯: বাত ও জয়েন্টের ব্যথা দূর করে।
বেকিং পাউডারে রূপচর্চা
[[ শিরোনাম দেখে চমকে যেতে পারেন। সাধারণত মজার খাবার তৈরিতেই বেকিং পাউডার ব্যবহার হলেও,বেকিং পাউডার আপনার রূপচর্চাতেও রাখতে পারে বড় অবদান। আজ সে সম্পর্কেই বলবো।]]
ফেসওয়াশে ব্যবহার হতে পারে বেকিং পাউডারঃ
১ চা চামচ হালকা কুসুম গরম পানির সাথে ২ চা চামচ বেকিং পাউডার মিলিয়ে পেস্ট তৈরি করে নিন। মুখ পানি দিয়ে ভিজিয়ে বেকিং পাউডারের পেস্ট মেখে হালকা করে কিছুক্ষণ ম্যাসাজ করুন। দেখবেন মুখের ময়লা উঠে গিয়ে একটা ফ্রেস ভাব চলে এসেছে।
পরিষ্কার হবে ত্বকের মৃত কোষঃ
বেকিং পাউডারের ত্বকের মৃত কোষ পরিস্কারে চমৎকার কাজ করে। দৈনন্দিন ক্লিনজারের সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে কিছুক্ষণ মুখে ম্যাসাজ করুন। এতে ত্বকের মরা চামড়া পরিস্কারভাবে উঠে আসবে। ত্বক তৈলাক্ত হলে সামান্য পানি মিশিয়ে নিতে পারেন।
পায়ের যত্নেঃ
হালকা কুসুম গরম পানির সাথে বেকিং পাউডার মিশিয়ে কিছুক্ষণ পা ভিজিয়ে রাখুন। বেকিং পাউডারের পায়ের গোড়ালির মরা চামড়া তোলাসহ পায়ের ত্বককে করবে মসৃন।
রোদে পোড়া ত্বকের জন্যঃ
রোদে পোড়া, কোচকানো ত্বককে কোমল ও মসৃন করতে বেকিং পাউডার অত্যন্ত কর্যকরী ভূমিকা রাখতে পারে। প্রথমে একটি পাত্রে পানির সাথে বেকিং পাউডারের মিশিয়ে নিন। পরে একটি পরিস্কার কাপড় ওই পানিতে ভিজিয়ে তা দিয়ে হালকা ভাবে রোদে পোড়া ত্বক মুছে নিন। এতে রোদে পোড়া ত্বকে আরাম পাবেন আর ত্বকের কালো পোড়া দাগগুলো কিছু দিন পরে আর ত্বকে খুঁজে পাবেন না।
ব্রণঃ
ব্রন সমস্যায়ও ভালো কাজ করবে বেকিং পাউডার। প্রথমে মুখ ভালো ভাবে পরিস্কার করে নিন। তারপর পানি আর বেকিং পাউডারের পেস্ট মুখে মেখে ১০ মিনিট রেখে ধুয়ে ফেলুন। বেকিং পাউডার ব্ল্যাকহেডস পরিস্কারেও উপকারী।
________________________________________________________________
*******************************************************************************************
সুস্থ থাখুন সবসময় আপনাদের সুখী ও সুস্থ জীবন আমাদের একান্ত কাম্য।
তাই পেজটিকে জীবিত রাখতে নিয়মিত লাইক এবং শেয়ার করুন । .
√ বিঃদ্রঃ পোষ্ট টা কমেন্ট (Comment) করতে ভুলবেন না ।
-হেলথ ফি্টনেস
১০ টি খাবারেই পরিষ্কার হয়ে যাবে আপনার ফুসফুস!
🍊ভিটামিন ‘সি’সমৃদ্ধ খাবারের কোনো বিকল্প নেই। ফুসফুসের প্রদাহজনিত সমস্যা রোধ করে এই ভিটামিন। শ্বাসযন্ত্রে অক্সিজেন সরবরাহ করতে সাহায্য করে এবং শ্বাসনালির জীবাণু ধ্বংস করে। লেবু, আমলকি, কমলা, আপেল, পেয়ারা ইত্যাদি খাবারে প্রচুর ভিটামিন ‘সি’ রয়েছে।
🧄রসুনে রয়েছে প্রচুর সেলিনিয়াম ও অ্যালিসিন। এ দুটি প্রাকৃতিক উপাদান ফুসফুস ও শ্বাসনালি ভালো রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া দীর্ঘদিন ধরে ভাইরাসজনিত সংক্রমণ রোধে রসুনের ব্যবহার হয়ে আসছে।
🦈সামুদ্রিক মাছে ওমেগা-৩ ফ্যাটি এসিড রয়েছে। যা ফুসফুস ভালো রাখতে সাহায্য করে। তাই প্রতিদিনের খাদ্যতালিকায় মাছ রাখুন।
☕️গ্রিন টি বা সবুজ চায়ে ফ্ল্যাবিনয়েড নামের অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট রয়েছে। যা ফুসফুসের কার্য পরিচালনায় সহায়তা করে। সেইসঙ্গে ফুসফুস থেকে দূষিত পদার্থ বের করে দিতে সাহায্য করে।
🧯মধুতে অ্যান্টি-মাইক্রোবায়াল ও প্রদাহনাশক ক্ষমতা রয়েছে, যা ফুসফুস পরিষ্কার করে। তাই প্রতিদিন এক চা চামচ মধু খেলে তা হবে ফুসফুসের জন্য উপকারী।
🛐শারীরিক কসরতের বিকল্প নেই। শরীর সুস্থ রাখার পাশাপাশি ব্যায়াম আপনার ফুসফুসকে ভালো রাখবে। এজন্য এরোবিক্স, ইয়োগা বা কার্ডিও এক্সারসাইজ প্রতিদিন করতে হবে।
লিখাটি পড়ে যদি উপকৃত হন, তবে লিখাটি শেয়ার করে আপনার বন্ধুদেরও উপকৃত হবার সুযোগ করে দিন !
⭕লিভার ক্যান্সার কেন হয়?⭕
🌻সুপ্রিয় বন্ধুরা, আজ আমরা জানবো লিভার ক্যান্সার এর কারণ, লক্ষণ, ফলাফল ও চিকিৎসা নিয়ে। সকলের সচেতনতার স্বার্থে পোস্ট শেয়ার করার অনুরোধ জানাচ্ছি।🌻
🔘সারা পৃথিবীতেই লিভার ক্যান্সার, ক্যান্সারজনিত মৃত্যুর অন্যতম প্রধান কারণ। প্রতি বছর পৃথিবীতে প্রায় সাড়ে চার লক্ষ লোক এ রোগে আক্রান্ত হন। পুরুষদের ক্ষেত্রে মোট ক্যান্সারের ৭.৫ ভাগ লিভার ক্যান্সার, আর নারীদের বেলায় এ সংখ্যাটি ৩.২ ভাগ। আশংকাজনক সত্যটি এই যে দক্ষিণ ও দক্ষিণ-পূর্ব এশিয়ায় লিভার ক্যান্সারের প্রাদুর্ভাব পৃথিবীর অন্য যে কোন অঞ্চলের চেয়ে অনেক বেশী।
🔘বিশ্বব্যাপী লিভার ক্যান্সারের মুল কারণ হেপাটাইটিস বি ও সি ভাইরাস আর অ্যালকোহল। আমাদের দেশে অবশ্য হেপাটাইটিস বি মুল খলনায়ক, কারণ এদেশে প্রায় ৮০ লাখ লোক এ ভাইরাসের বাহক। হেপাটাইটিস বি ভাইরাসে আক্রান্ত ৫ থেকে ১০ শতাংশ লোক জীবনের কোনো এক পর্যায়ে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।
⭕লিভার ক্যান্সারের লক্ষণগুলো কী?⭕
🔘যেকোনো বয়সের লোকই এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন। লিভার ক্যান্সারের ঝুকি পুরুষদের ক্ষেত্রে নারীদের চেয়ে ৪ থেকে ৬ গুণ বেশী। সাধারণত ক্যান্সার হওয়ার আগে লিভারে সিরোসিস দেখা দেয়, তবে এর ব্যতিক্রম হওয়াটাও অস্বাভাবিক না।
🔘লিভার ক্যান্সারের রোগীরা প্রায়ই পেটের ডান পাশে উপরের দিকে অথবা বুকের ঠিক নিচে মাঝ বরাবর ব্যথা অনুভব করেন যার তীব্রতা রোগী ভেদে বিভিন্ন রকম। সহজেই ক্লান্ত হয়ে পরা, পেট ফাপা, ওজন কমে যাওয়া আর হালকা জ্বর জ্বর ভাব এ রোগের অন্য লক্ষণ।
🔘লিভার ক্যান্সার রোগীদের প্রায়ই জন্ডিস থাকে না, আর থাকলেও তা খুবই অল্প। রোগীদের খাওয়ায় অরুচি, অতিরিক্ত গ্যাস কিংবা কষা পায়খানার কমপ্লেন থাকতে পারে। পেটে পানি থাকতেও পারে, আবার নাও থাকতে পারে।
⭕লিভার ক্যান্সার নির্ণয় করা হয় কিভাবে?⭕
🔘লিভার ক্যান্সার নির্ণয়ের সহজ উপায় একটি নির্ভরযোগ্য আল্ট্রাসনোগ্রাম। কখনও কখনও সিটি-স্ক্যানেরও দরকার পরে। কিছু ক্ষেত্রে লিভার ক্যান্সার নির্ণয় করার জন্য আরও আধুনিক পরীক্ষা-নিরীক্ষা যেমন এম.আর.আই.ও সিটি এনজিওগ্রামের দরকার পরতে পারে। রক্তের এ.এফ.পি. পরীক্ষাটি লিভার ক্যান্সারের একটি মোটামুটি নির্ভরযোগ্য টিউমার মার্কার। লিভার সিরোসিসে আক্রান্ত যে কোন ব্যক্তিরই উচিত প্রতি ৬ মাসে একবার এ.এফ.পি. ও আল্ট্রাসনোগ্রাম পরীক্ষা করা।
🔘তবে লিভার ক্যান্সারের ডায়াগনোসিস কনফার্ম করতে হলে কিছু কিছু ক্ষেত্রে আল্ট্রাসনোগ্রাম আর এমন কি সিটি গাইডেড এফ.এন.এ.সি. জরুরি।
🌻চিবিৎসাঃ🌻
👉লিভার ক্যান্সারে আক্রান্ত যেকোনো ব্যক্তির উচিত দ্রুত অভিজ্ঞ চিকিৎসকের শরণাপন্ন হয়ে চিকিৎসা নেয়া এবং নিয়মিত ওষুধ সেবন করা। যথাসময়ে চিকিৎসা নিলে দ্রুত আরোগ্য হয়ে সুস্থ জীবন লাভ ও দীর্ঘদিন ভালো থাকা যায়।
👉পাশাপাশি সিরোসিসের কারণ শনাক্ত করে তার চিকিৎসা করলে লিভার খারাপের দিকে যাওয়ার ঝুঁকিও কমে যায়। লিভার সিরোসিস ও এর কারণগুলোর আধুনিক চিকিৎসা আজ আমাদের দেশেই সম্ভব ও সহজলভ্য।
👉এ দেশে যা নেই তা হলো লিভার প্রতিস্থাপনের ব্যবস্থা। বিভিন্ন দেশে এ সুযোগ থাকলেও তা খুব ব্যয়বহুল আর সঙ্গত কারণেই আমাদের দেশের বেশির ভাগ রোগীর সাধ্যের বাইরে।
👉⭕নিয়মিত লাইক, কমেন্ট ও শেয়ার করে আমাদের সাথে থাকুন।🔘
👉⭕বিশেষজ্ঞ চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ পূর্বক ঔষধ সেবন করুন।🔘
⭕বিশেষ দ্রষ্টব্য:👇
লিখেছেন:
ক্যান্সার গবেষক অধ্যক্ষ ডাঃ এস এম সরওয়ার
গণস্বাস্থ্য হোমিও ঢাকা।
#সংগৃহীত
Click here to claim your Sponsored Listing.
Contact the business
Telephone
Website
Address
Sujapur, Savar, Dhaka
Dhaka
1340
73, Radhika Mohon Basak Lane
Dhaka, 1100
General Medicine Doctor. we offers treatment for Asthama, Bronchitis, B.P, Diabetes, Thyroid disorder, Female disorders, Migraine, Acne, Warts, Mental illness, Life style disorders
102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi
Dhaka, 1207
Largest Education & ICT Conglomerate in Bangladesh. 102/1, Shukrabad, Mirpur Road, Dhanmondi, Dhaka
BDBL Bhavan, Level-3, 12 Kawran Bazar
Dhaka, 1215
Software Development and IT Enable Services Provider
House 7C, Road 13/A, Sector 3, Uttara
Dhaka, 1230
While you relax our software will work for you.
Dhaka, 1207
we share our experience regarding Trauma, Casualty cases in private hospital
AHMAD MEDICAL CENTRE, House-71/1, Road-15, Satmosjid Road, (Shonkor Bus Stand) Dhanmondi
Dhaka, 1209
We add live in your life
1/14 Iqbal Road
Dhaka, 1207
society for Community-health Rehabilitation Education and Awareness.A web space for supporting ment
Tajmohol Road, Mohammadpur
Dhaka, 1207
Leading Fashion Photography and Advertising Photography provider in Bangladesh
House: 1, Road: 8, Bosilla Garden City, Mohammadpur
Dhaka, 1207
Digito, the trusted name in the health and digital gadget sector of Bangladesh. We are ready to serv