Suma
Nearby media companies
Uttara Dhaka
1230
Uttara
Uttara
Uttara
Uttara
Dhaka
Road6
Road 17
1212
Bangladesh.
সুন্দরের চর্চায় জীবন হোক আলোকিত।
পবিত্র কোরআনে পর্দার যে বিধান রয়েছে সেখানে কী মুখমণ্ডল আবৃত রাখার কথা উল্লেখ আছে?
সুরা আল ইমরানের ১০০ নং আয়াতে আল্লাহ কী বলেছেন?
আল্লাহ কাদের অনুসরণ করতে বলেছেন আর কাদের অনুসরণ করতে নিষেধ করেছেন জেনে নিন।
#সুরাইয়াসিন
#সুরাইমরান
#ইসলাম
#আল্লাহরকথা
#আল্লাহরবাণী
জীবন সম্পর্কে আপনার উপলব্ধি কী?
যারা মনোযোগ সহকারে কথা শোনে অতঃপর তার মধ্যে যা উত্তম তা অনুসরণ করে তাদেরকেই আল্লাহ হেদায়াত দান করেন আর তারাই বুদ্ধিমান (সুরা যুমার: ১৮)।
শিশুশিল্পীদের সাথে গ্রামীণ পরিবেশে গানের আড্ডা। নোয়াখালী।
হেযবুত তওহীদের একদল নিবেদিতপ্রাণ। যারা মানবতার কল্যাণে নিজেদের উৎসর্গ করে কাজ করে যাচ্ছে নিঃস্বার্থভাবে।
গ্রাম থেকে সরাসরি।
উম্মতে মোহাম্মদী জাতি ও বর্তমান মুসলিম জাতির মধ্যেকার কয়েকটি পার্থক্য।
লানতপ্রাপ্ত ইহুদি জাতির মতোই বর্তমান মুসলিম জাতির অবস্থা নয় কী?
বই পড়ুন, জীবন গড়ুন।
উম্মতে মোহাম্মদী জাতির ইতিহাস জানতে হবে।
ছোটবেলায় গ্রামে দুইটা প্রতিবেশী বাচ্চাকে পড়াইতাম। পড়ানোর শর্ত ছিল- আমার কাছে পড়তে হলে আমার নিয়মে পড়তে হবে। আমি যেভাবে ভালো মনে করব সেভাবে পড়াবো। আমার উপর কোনো চাপ দেওয়া যাবে না। কোনো শর্ত বা বিধি-নিষেধ দেওয়া যাবে না। এমনটা মনে করা যাবে না আমাকে টাকা দিয়ে কিনে নেওয়া হয়েছে, তাই যেভাবে বলা হবে সেভাবেই আমি পড়াইতে বাধ্য থাকব।
আমি পড়াশোনার চেয়ে বেশি গুরুত্ব দিতাম শিক্ষার্থীর আচার-আচরণ ঠিক আছে কিনা, শিক্ষককে সম্মান করতেছে কিনা, শিক্ষকের আনুগত্য করতেছে কিনা এসব বিষয়ে। আনুগত্য ও সম্মানের মধ্যেও কিন্তু প্রকারভেদ আছে। একটা হলো আন্তরিকতার সঙ্গে সম্মান দেওয়া, আরেকটা তাচ্ছিল্যের সঙ্গে অনেকটা বাধ্য হয়ে সম্মান দেওয়া। আমি সেটাও খেয়াল করতাম- আমাকে প্রত্যক্ষভাবে বা পরোক্ষভাবে তাচ্ছিল্য দেখানো হচ্ছে কিনা। আসলে ছেলেগুলো আমাকে আন্তরিকভাবেই ভালোবাসত আর আমার কঠোরতার পেছনে যে তাদের চরিত্র গড়ার প্রচেষ্টা আছে, তা বুঝত।
দ্বিতীয়বার টিউশনিতে যুক্ত হই ঢাকায় আসার পর। এক পরিবারের তিন ভাই বোনকে পড়ানো শুরু করেছিলাম। বলতে দ্বিধা নেই- তিনজনই ছিল মেধাবী, কিন্তু ইঁচড়েপাকা। আমি খেয়াল করে দেখলাম- এরা শিক্ষককে মনে করতেছে টাকায় কেনা গোলাম। তারা যেভাবে বলবে সেভাবেই আমাকে পড়াতে হবে। তারা পড়ার মাঝে ফাজলামু করবে, শিক্ষকের সঙ্গে ইয়ার্কি করবে, হাসাহাসি করবে, কিন্তু শিক্ষক কোনো ব্যবস্থা নিতে পারবে না। আমি পরপর দুই দিন ধমকের উপর রাখলাম। বইয়ের পড়া শেখানোর চেয়ে আচার-আচরণ শেখানোর দিকে বেশি জোর দিলাম। স্বভাবতই সেটা ওদের ভালো লাগলো না।
আসলে ওরা শিক্ষককে সম্মান দিয়ে অভ্যস্ত নয়। সম্পূর্ণ নতুন একটা জিনিস তারা আমার কাছ থেকে শিখছিল। যার সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে পারছিল না। বুঝতে পারছিল না- এই লোক পড়াশোনার বিষয় বাদ দিয়া আমাদের কথা-বার্তা নিয়া সিরিয়াস হচ্ছে কেন? ছোট ছেলেটা তো আম্মুর কাছে নালিশই দিয়ে ফেলল। এরপর যখন তাদের আম্মু আমাকে ওদের মতো করে পড়াতে বলল, আমি বুঝতে পারলাম আমি ওদের দৃষ্টিতে শিক্ষক নই, টাকায় কেনা গোলাম। ওইদিনই টিউশনি ছেড়েছুড়ে তওবা পড়লাম। প্রয়োজনে রিক্সা চালাবো কিন্তু সম্মান বিক্রি করব না।
প্রশ্ন হলো- এই গল্পটা কেন বললাম? বললাম এই জন্য যে, মসজিদের ইমাম সাহেবদের নিয়ে কয়েকটা পোস্ট দেওয়ার পর কমেন্টবক্সে অনেককে দুঃখ করে বলতে দেখলাম- ইমাম সাহেবের কী করার আছে তার কথা মুসল্লিরা না শুনলে? কেউ বললেন- ইমাম সাহেব তো অসহায়! তিনি তো মসজিদ কমিটির কথার বাইরে যেতে পারেন না।
আমার কথা হলো, তিনি সত্যিকারের নেতা হতে পারেন না, তাহলে নেতার অভিনয় করার দরকারটা কী? তিনি ইমামতি ছেড়ে দিতে পারলেন না? তিনি বলতে পারলেন না- আমাকে যদি তোমরা সত্যিকারের ইমাম বা নেতা মানতে না পারো তাহলে আমার পেছনে তোমাদের নামাজই হবে না? তাকে যখন মসজিদে ইমাম হিসেবে নির্বাচিত করা হয়েছিল- তিনি কি তখন বলেছিলেন আমি কেবল তাদেরই ইমামতি করব যারা বাস্তব জীবনে আমার আনুগত্য করবে, আমার আদেশ নিষেধ শুনবে? তিনি কি মসজিদ কমিটিকে বলেছিলেন- আমি আপনাদের গোলামী করব নাকি আল্লাহর গোলামী করব সেটার মীমাংসা আগে করুন, তারপর আমি সিদ্ধান্ত নিব ইমামতি করা যায় কিনা। এই শর্ত কি তিনি মসজিদ কমিটিকে দিয়েছিলেন? নাকি ভাগ্যগুণে ইমামতির চাকরি পেয়ে ধন্য হয়েছিলেন?
যে মুসল্লি ইমামের পেছনে নামাজ পড়ে, নামাজ যাতে সহিহ শুদ্ধ হয় সেজন্য ইমামের কাছ থেকে খুঁটিনাটি জানতে চায়, ওজুর দোয়া মসজিদে প্রবেশের দোয়া মুখস্থ করে, কিন্তু ইমামের আনুগত্য করে না, সেই মুসল্লির উদ্দেশে তিনি কয় ঘণ্টা নামাজের গুরুত্ব বয়ান করেছেন আর কয় ঘণ্টা ঐক্য, শৃঙ্খলা, আনুগত্যের বয়ান করেছেন? মুসল্লি ইমামের আনুগত্যের গুরুত্ব শিখবে কীভাবে? কেন তিনি মুসল্লিদেরকে আনুগত্যের শিক্ষা না দিয়েই ফেরাউন নমরুদের কাহিনী বলে জুমার খুতবা শেষ করলেন?
আসল ব্যাপার হলো- তারা নিজেরাই নিজেদেরকে নেতা বলে মনে করেন না। লোকলজ্জা বলে তো একটা ব্যাপার আছে। ভালোভাবেই তারা জানেন সমাজে তাদের অবস্থান কোথায়। যাত্রাপালার রাজার সঙ্গে বাস্তবের রাজার পোশাক আশাকের অনেক মিল থাকে, বাস্তবের রাজার মতোই জনগণ যাত্রাপালার রাজার বক্তব্য মনোযোগ দিয়ে শোনে, কিন্তু ওই যাত্রাপালার রাজা জানে তার আসল অবস্থান কোথায়। সে আর যাই হোক- যাত্রাপালার মঞ্চ থেকে জনগণকে আদেশ নিষেধ করতে পারে না। করলে জনগণ হাসবে।
আমাদের মসজিদগুলোতে যারা ইমামতি করছেন, তাদের কাছে ইমামতি কোনো দায়িত্বের নাম নয়। চাকরির নাম। তারা নিজেদেরকে যেমন নেতার জায়গায় ভাবতে পারেন না, জনগণকেও অনুসারীর জায়গায় ভাবতে পারেন না। ভাববেন কীভাবে? জনগণের দান-খয়রাতের উপর তার রোজগার নির্ভর করে, আর মসজিদ কমিটির পছন্দ-অপছন্দের সুতোয় ঝুলে থাকে চাকরি। তাই প্রতি জুমার খুতবাতেই ইমাম সাহেবকে খেয়াল রাখতে হয় দুনিয়া উল্টে গেলেও দুইটা বিষয় যাতে না উল্টায়। এক- মসজিদ কমিটি যেন কোনো কথায় বিরক্ত না হয় এবং দুই- জনগণ যেন দান করতে নিরুৎসাহিত না হয়। তার জন্য ইমামের সম্মান কেন, পুরো মুসলিম জাহানের সম্মানও কুরবানি দেওয়া লাগলে ইমাম সাহেব দিতে প্রস্তুত থাকেন। এটাই গোলামীর জীবন, যা তারা নিজেরাই বেছে নিয়েছে। মসজিদ কমিটি বা জনগণ তাদেরকে এই জীবন বেছে নিতে জোর করেনি।
আজ ইমাম সাহেবরা ইসলামের কতই না খেদমত করছেন, কষ্ট করে কুরআন হাদিসের ইলম অর্জন করছেন, কুরআন মুখস্থ করছেন, ইবাদত বন্দেগী করছেন, দো জাহানের অশেষ নেকি হাসিল করছেন, কিন্তু এটুকু বলার হেডম নাই- আজ থেকে আমরা আর কমিটির গোলামী করব না, জনগণের গোলামী করব না, শুধু আল্লাহর গোলামী করব! এটুকুই যদি বলতে না পারেন তাহলে কিসের মু’মিন?
প্রত্যেক আলেমের অভিমত এই যে, ঈমানের আগে আকিদা। কারণ আকিদা ভুল হলে ঈমান অর্থহীন হয়ে যায়।
দুঃখিত।
আন্তরিকভাবে দুঃখিত। আজকের লাইভটি বৈদ্যুতিক সমস্যার কারণে স্থগিত করতে হলো। ইনশাআল্লাহ শীঘ্রই উক্ত বিষয়টি নিয়েই লাইভ হবে।
বই পড়ার প্রতি অনীহা নয় প্রবল আগ্রহ সৃষ্টি করুন। কারণ তথ্যসমূহ জ্ঞান হলো প্রদীপের মতো যা অন্ধকারকে দূরীভূত করে পথ দেখাতে ও এগিয়ে যেতে সাহায্য করে, সঠিক গন্তব্যে পৌঁছাতে সহায়ক হয়।
#সুমাইয়াহক
লাইভ, লাইভ, লাইভ।
আজ রাত ৮টায় লাইভ।
মানদণ্ড
সত্য-মিথ্যা, ন্যায়-অন্যায় নিরূপণের সর্বপ্রথম মানদণ্ড নিঃসন্দেহে কোরআন। সেটা আল্লাহর রসুল (সা.) এবং তাঁর সঙ্গীসাথীদের জীবনী থেকে প্রমাণিত। যতদিন তাঁরা ইহজগতে ছিলেন ততদিন তাঁরা কোরআনের পথনির্দেশ অনুসরণ করেছেন এবং এর দ্বারা সফলও হয়েছেন আল্লাহর সত্যদীন প্রতিষ্ঠার মাধ্যমে ন্যায়-সুবিচার শান্তি প্রতিষ্ঠা করতে।
কিন্তু দুর্ভাগ্যজনক কথা হলো ধীরে ধীরে যখন তাঁরা পৃথিবী থেকে বিদায় নেওয়া শুরু করল তখন তাদের সমাজ থেকে উদ্ভব ঘটল এমন একটি শ্রেণীর, যারা আল্লাহর রসুলের প্রকৃত শিক্ষা ও অর্পিত দায়িত্ব কাঁধে নিয়ে দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে অগ্রণী হওয়ার বদলে দীন নিয়ে ও আল্লাহর রসুলের সংগ্রামী জীবনী নিয়ে চুলছেঁড়া ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণে লিপ্ত হলো।
ফলে তাদের ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণের প্রভাবে উম্মতে মোহাম্মদী জাতির সংগ্রাম ব্যাহত হলো। যারা ছিল সমগ্র পৃথিবীতে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠায় জীবন-সম্পদ উৎসর্গকারী তারাই হয়ে গেল ঘরমুখী, দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রামের পরিবর্তে রসুলের ব্যক্তিগত অভ্যাস অনাভ্যাস নিয়ে ব্যস্ত এবং তা নিয়ে জাতির মধ্যে মতানৈক্য সৃষ্টি করে বিভক্ত।
এমনটা কেন হলো, এমনটা হওয়ার কথা ছিল কী? ছিল না। তবু হলো সেই শ্রেণীটির কারণে। আর তারা সেখানেই ক্ষান্ত হলো না। তারা যা করার সেটা তো করলই, সাথে সাথে তাদের উত্তরসূরী রেখে গেল যারা তাদের সেই অপকর্মকে চলমান রাখল পরবর্তী সময়। আর তাদের সেই উত্তরসূরীদেরকেই অনুসরণ করে চলেছে মুসলিমরা।
কোন কথাটি আল্লাহর আর কোন কথাটি ব্যক্তিবিশেষের, গোষ্ঠীবিশেষের প্রাণিত সেটা যেন মানুষ আলাদা করতে পারে সেজন্য আল্লাহ পবিত্র কোরআন দিয়েছেন। কিন্তু মানুষ সেই কোরআনের মানদণ্ডকে উপেক্ষা করে তাদের কথাকেই অধিক গ্রহণ করে চলেছে যারা তাদের ধর্ম-সম্পর্কে অজ্ঞতার সুযোগ নিয়ে মনগড়া ফতোয়া দিয়ে ফায়দা হাসিল করে।
সময় হয়েছে সচেতনতার। এখনও যদি অজ্ঞতার চর্চায় কেউ বুদ হয়ে থাকে তবে তার দায়ভার তার। কেউ যেন কারও দ্বারা ক্ষতিগ্রস্ত না হয় সেজন্য আল্লাহ সুরা ইমরানের ৭৮ নং আয়াতে বলেছেন: একদল লোক আছে যারা আল্লাহর কিতাবকে জিহবা দ্বারা বিকৃত করে এবং তারা বলে- এসব আল্লাহর পক্ষ থেকে কিন্তু তা আল্লাহর পক্ষ থেকে প্রেরিত নয়। তারা জানিয়া-শুনিয়া আল্লাহর সম্পর্কে মিথ্যা বলে।
#সুমাইয়াহক #সুমাইয়াহাসান
সরাসরি লাইভ।
বিষয়: বিভিন্ন প্রশ্নোত্তর ও সমসাময়িক বিষয়।
পবিত্র ঈদুল ফিতর ও বাংলা নববর্ষের শুভেচ্ছা ও অভিনন্দন সবাইকে। আশা করি সবাই সুস্থ আছেন, সুন্দরের চর্চায় আছেন। আমিও যেন সুস্থ থেকে সৃষ্টির কল্যাণে কাজ করে যেতে পারি সেই দোয়া করবেন।
কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের শিশুসদস্যদের পত্রিকা বিক্রয় দেখতে চোখ রাখুন।
কেমন কাটছে ঈদ উপলক্ষে ছুটির দিনগুলো?
যাবতীয় অন্যায়ের বিরুদ্ধে শুধু প্রতিবাদ নয় সময় হয়েছে ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত হয়ে অন্যায়কে নিশ্চিহ্ন করার বলে মন্তব্য করেন কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম। সকালে কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের কার্যালয় থেকে বের হওয়ার সময় এক সাক্ষাৎকারে এই মন্তব্য করেন তিনি।
এসময় তিনি আরও বলেন- কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদ জাগতিক স্বার্থে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকা বিক্রি করে না, তারা এই পত্রিকা বিক্রি করে প্রকৃত ইসলামের রূপরেখা মানুষের সামনে তুলে ধরতে। অনেকের ধারণা এই পত্রিকা বিক্রি করে হেযবুত তওহীদ আর্থিক ফায়দা হাসিল করে। কিন্তু তাদের এই ধারণা সত্য নয়।
যাকাত ধনীরা দেয় আর গরীবেরা খায়। আর সুদ গরীবেরা দেয় ধনীরা খায়। এটাই যাকাত আর সুদের মধ্যে পার্থক্য।
ঈদের দিন ও পরদিন দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকা বিক্রয়কালীন এক পাঠকের সাথে কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সদস্যের কথোপকথন।
- ঈদের দিনও পত্রিকা বিক্রি করতে হবে! এত অভাব-অনটন আপনাদের?
- না। এই পত্রিকা অভাব-অনটনে পরে বিক্রি করি না আমরা, উপার্জনের উদ্দেশ্যেও বিক্রি করি না। এই পত্রিকাটির মধ্যে নিয়মিত আদর্শিক নিবন্ধ প্রকাশিত হয় যা সাধারণ মানুষের কাছে পৌঁছে দিতেই আমাদের এই পত্রিকা বিক্রির উদ্যোগ।
- তাই নাকি। তা কী আদর্শ তুলে ধরেছে এই পত্রিকা?
- মুসলিম জাতি আজ যে আমলের চর্চা করছে, যে আমলের মাধ্যমে আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভ তথা জান্নাতে যাওয়ার চেষ্টা করছে তা আল্লাহর কাছে গৃহীত হচ্ছে না মুমিন না হওয়ার কারণে। আপনারা নিশ্চয়ই জানেন যে সমস্ত আমলের পূর্বশর্ত ঈমান, আর ঈমান আনার পন্থা হচ্ছে কলেমা পড়ে আল্লাহর সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া।
এখানে লক্ষণীয় বিষয় হলো: কলেমা পড়া মানেই আল্লাহর সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হওয়া বা ঈমান আনা নয়। যদি কেউ আল্লাহর সাথে অঙ্গীকারাবদ্ধ হয় অর্থাৎ ঈমান আনে তবে তার সর্বপ্রথম কাজ হবে সমস্ত অন্যায় মিথ্যার বিরুদ্ধে দাঁড়ানো এবং ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত থেকে আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠায় নিজেকে নিবদ্ধ করা। আজকে মুসলিম জাতি কমেলা পড়ছে ঠিকই কিন্তু তারা ন্যায়ের ওপর প্রতিষ্ঠিত নেই, আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠায় নিবদ্ধ না।
যে কারণে যেই মুসলিম জাতির উত্থান হয়েছিল মানবজাতিকে শান্তির পথ দেখাতে, সৎকাজের আদেশ ও অসৎকাজের নিষেধ প্রদান করতে, সেই মুসলিম জাতিই আজ অন্যান্য জাতির পদানত, গোলাম। সেই জাতিরই লাখ লাখ সদস্য আজ শোষিত, লাঞ্ছিত, নিগৃহীত, উদ্বাস্তু। সেই জাতিরই আজ নারী-পুরুষ-শিশু বোমার আঘাতে ছিন্নভিন্ন হয়ে ধ্বংসপ্রাপ্ত।
কেন হলো এই অবস্থা সেটা অনেকেই জানে না। হেযবুত তওহীদ চেষ্টা করছে সেই কারণটিই জানানোর। সেই কারণটি হলো, দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্যাগ ও ভোগবিলাসে মত্ত হওয়া। সুরা তওবার ৩৮ নং আয়াতে আল্লাহ বলেছেন- ‘যদি তোমরা অভিযানে বের না হও (দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্যাগ করো) তবে তিনি তোমাদের কঠিন শাস্তি দিবেন এবং তোমাদের স্থলে অন্য জাতিকে শ্রেষ্ঠত্ব দান করবেন, আর তোমরা তাদের কোনো ক্ষতিই করতে পারবে না’।
আল্লাহর এই সতর্কবাণী বহুপূর্বে সত্যায়িত হয়েছে মুসলিম জাতি যখন আল্লাহর দীন প্রতিষ্ঠার সংগ্রাম ত্যাগ করে ভোগবিলাসে মত্ত হয়েছে, আল্লাহর দীন নিয়ে ব্যাখ্যা-বিশ্লেষণ করে এক ঐকবদ্ধ জাতিসত্তা ভেঙে খণ্ডবিখণ্ড হয়েছে, সম্পদ ও সম্পত্তি নিয়ে নিজেদের মধ্যে দ্বন্দ্ব-সংঘাত করে দুর্বল হয়েছে। এই কঠিন সত্যটিই মুসলিম জাতিসহ সমগ্র মানবজাতির সামনে তুলে ধরেছে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকাটির মাধ্যমে হেযবুত তওহীদ।
রিপোর্টার: আজিমুল হক
আপনারা নিশ্চয়ই অবগত আছেন যে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকাটি আর পাঁচটি সাধারণ পত্রিকার মতো গতানুগতিক সংবাদ প্রকাশে কাজ করে না, বাণিজ্যিক পত্রিকা নয়, এটি একটি আদর্শিক পত্রিকা। অরাজনৈতিক আন্দোলন হেযবুত তওহীদ প্রকৃত ইসলামের যে রূপরেখা তুলে ধরেছে তা সর্বসাধারণের কাছে পৌঁছে দিতেই প্রতিনিয়ত কাজ করে যাচ্ছে এই পত্রিকা।
ছবি: কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদ
সত্যপ্রচারে কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদ
যাবতীয় অন্যায়, মিথ্যা, জড়তা, ধর্মান্ধতা ও ক্ষমতার অপব্যবহারের বিরুদ্ধে কথা বলে যাচ্ছে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকা বলে মন্তব্য করেন কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম। সকালে কুমিল্লা জেলা সদর, চান্দিনা, দেবিদ্বার, বুড়িচং, লালমাই, লাকসাম, চৌদ্দগ্রামসহ অন্যান্য উপজেলায় পত্রিকাটি নিয়ে সর্বাত্মক প্রচারণা শুরু করে কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদ।
এসময় কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি মোঃ সাইফুল ইসলাম বলেন- যখন মানবসৃষ্ট জীবনব্যবস্থার চর্চায় সমাজের প্রতিটি অঙ্গন ও ব্যক্তি ন্যায়-নীতি লঙ্ঘন করে বেপরোয়াভাবে কার্যবিধি করছে, জীবনযাপন করছে তখন ন্যায়ের উপর প্রতিষ্ঠিত থেকে ন্যায়-সত্যকে প্রতিষ্ঠার প্রয়াস নিঃসন্দেহে দুঃসাহসিক সিদ্ধান্ত। যার পরিণতি নির্যাতন নিপীড়নের শিকার ও প্রাণনাশও হতে পারে।
বাস্তবতার এই নির্মম সত্যকে স্বীকার করে একদল তরুণ-তরুণী নিজেদের আত্মনিয়োগ করেছেন ধ্বংসের দিকে অগ্রসরমান পৃথিবী নামক গ্রহটিকে বাঁচাতে, মানবজাতিকে শান্তির পথে ফেরাতে। জীবনের মায়া ত্যাগ করে, পৈতৃক ও অর্জিত সম্পদ ব্যয় করে শুধুমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টি অর্জনে ঈমানি দায়িত্ব হিসেবে এই কাজ করে যাচ্ছে তারা।
এসময় কুমিল্লা জেলা হেযবুত তওহীদের সাধারণ সম্পাদক ওমর ফারুক বলেন- যে মুহূর্তে ৬ কোটি মুসলমান উদ্বাস্তু, ফিলিস্তিনে হাজার হাজার মুসলমান বোমার আঘাতে ধ্বংসপ্রাপ্ত হয়ে মৃত্যুর প্রহর গুনছে, আরাকানের ১০ লাখ মুসলমান পৈতৃকভূমি হারিয়ে বেঁচে থাকার শেষ চেষ্টা করছে তখন বাকি মুসলমান জনগোষ্ঠীর ঈদ উৎযাপন আল্লাহকে ক্রোধিত করা ব্যতীত সন্তুষ্টি অর্জনের হতেই পারে না।
তিনি আরও বলেন- তারা সেদিনই ঈদ উৎযাপন করবেন যেদিন পৃথিবীর বুকে কোনো অনাহারী, বিবস্ত্র, উদ্বাস্তু মানুষ থাকবে না, কোনো মানুষ অন্যায়ের, প্রতারণার শিকার হবে না, কোনো নারী ইজ্জত হারাবে না, কোনো শিশুর বেড়ে উঠা অনিরাপদ থাকবে না। এমন সুখী সমৃদ্ধ নিরাপদ সমাজ, দেশ, পৃথিবী যেদিন গড়ে তুলতে পারবে সেদিনই তারা ঈদ উৎযাপন করবে এবং সেদিনই তাদের প্রকৃত ঈদ উৎযাপন হবে।
লেখা: আজিমুল হক
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Website
Address
Dhaka
2030
Ground Floor, House # 302 Road # 4, Baridhara DOHS
Dhaka, 1212
Complete web solutions including domain, hosting, design, development & digital asset management.
Dhanmondi
Dhaka
HI, I am Lihan. like to make friends...love to traval and ride motorcycle also make moto vlog....
All The Funny Turn
Dhaka
This is all about fun. We are gathering all the funny moments of life....
Cricket@BD24/7
Dhaka
This page was created long ago for no reason & its still looking for its Path ? Let's give it one :)
Haragach, Rangpur. Bangladesh
Dhaka
ব্যার্থতা একটা পরিক্ষা মাত্র। শক্তি রেখে যারা চলে, তারা কখনো হারে না। আল্লাহ ভরসা❤️
Dhaka
"দুনিয়াতে আপনি আল্লাহকে খুশি করতে এসেছেন মানুষকে নয়।" ~ ড. বিলাল ফিলিপ্স হাফিজাহুল্লাহ