Ihsaan

মহামারীর মত বিস্তার লাভ করা সুদ এর সমাজে সুস্থতা ফেরাতে আমাদের ক্ষুদ্র প্রচেষ্টা।

ইহসান এর "সুদ মুক্ত ঋন প্রকল্প"

ঋন প্রকল্পে অনুদান প্রদানের জন্য,
যোগাযোগঃ 01879287382

আলমারিতে পড়ে থাকা আপনার অব্যবহৃত শীতের পোশাকটি দান করে দিন। যার প্রয়োজন তার প্রয়োজনও পূরণ হলো আর আপনার জন্য সাদাকাহ্’র সাওয়াবও লেখা হলো আপনার আমলের খাতায়।

আবূ হুরায়রা (রাঃ) থেকে বর্ণিত, তিনি বলেন, "একদা একটি লোক রাসূলুল্লাহ (সাঃ) এর কাছে জিজ্ঞেস করল, হে আল্লাহর রাসূল, কোন সদাকায় সবচেয়ে বেশি সওয়াব? তিনি বলেলেন, তুমি এমন অবস্থায় দান করবে যে, তুমি সুস্থ আছ, সম্পদের প্রতি লোভ আছে, অভাব অনটনকে ভয় করছ। এবং সম্পদের আশাও পোষণ করছ। তুমি দান করার ব্যাপারে এমন কার্পণ্য পোষণ কোরো না যে, শেষে মৃত্যুর ক্ষণটি এসে যায় এবং তখন তুমি এটা ঘোষণা কর যে, এ পরিমাণ অমুকের এবং সে পরিমাণ অমুকের। অথচ অমুকের জন্য সে মাল আগেই নির্ধারিত হয়ে গেছে।"

[বুখারী ১৪১৯, মুসলিম ১০৩২]

আহলান ওয়া সাহলান, ইয়া শাহরু রামাদান 💚

>আলহামদুলিল্লাহ সকল প্রশংসা আল্লাহ তা'আলার যিনি আমাদের এই প্রকল্পকে সমফলতার দিকে নিয়ে যাচ্ছেন।

★আলহামদুলিল্লাহ আজকে আমরা আমাদের প্রকল্পের ৩য় ঋন প্রদান করলাম।
এই সৎ কাজে যারা সহযোগী হয়েছেন আল্লাহ তাদের কে দুনিয়া আখিরাতে উত্তম প্রতিদান দান করুন আমিন।

>আর যারা এখনো এই জনকল্যাণমুখী কাজে অংশীদার হননি তারা আশা করি দ্রুতই আমাদের সাথে যুক্ত হবে ইনশাআল্লাহ আল্লাহ তাওফিক দান করুন আমিন

আলহামদুলিল্লাহ আল্লাহর অশেষ রহমতে আমাদের ইহসান এর সুদ মুক্ত ঋন প্রকল্পের ২য় ঋন প্রদান করা হলো। 😇

আমরা সবাই এই জনকল্যাণমুখী কাজে এগিয়ে আসি একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির উদ্দেশ্যে ইনশাআল্লাহ 🥰

আলহামদুলিল্লাহ ২ মাস ৫ দিনের মাথায় আমাদের
১০,০০০ টাকা জমা হলো।

সকল কে আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন।সাদকায়ে জারিয়ার সওয়াব দান করুন আমিন।

নিয়মিত অনিয়মিত সাপ্তাহিক মাসিক ডোনার সকলের প্রতি আবেদন এই যে আমরা নিজে দিতে পারছি কিংবা না পারছি আমরা একটু হলে চেষ্টা করবো ইনশাআল্লাহ আমাদের পরিবার আত্মীয় বন্ধু বান্ধব দের এই সৎ কাজে এগিয়ে আসার জন্য বলার।

ইনশা আল্লাহ আমরা অতি শীগ্রই খুদ্র ঋন প্রদান করা শুরু করবো ইনশাআল্লাহ ইনশাআল্লাহ।

বস্তুবাদী ধ্যানধারণায় লালিত সমাজের লোকজন মনে করে দান সদকার মাধ্যমে সম্পদ ফুরিয়ে যাবে। অথচ হাদিসে কুদসিতে রাসূল (সা.) বলেন, আল্লাহতায়ালা বলেছেন, হে বনি আদম তোমরা অন্যের জন্য সম্পদ ব্যয় কর। আমি তোমাদের জন্য সম্পদের ব্যবস্থা করে দেব। তিনি আরও বলেন, সদকা খায়রাত বিপদ আপদ থেকে মুক্তি দেয়। তা ছাড়া পরকালে জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাকা বা জান্নাতে উঁচু মর্যাদা লাভ করার জন্যও সদকার হাত প্রসারিত করা অপরিহার্য। রাসূল (সা.) বলেন, তোমরা এক টুকরা খেজুর সদকা করে হলেও জাহান্নাম থেকে বেঁচে থাক।

Alhamdulillah for everything.

আসসালামু আলাইকুম। প্রিয় ভাই/বোনেরা, গতবারের ন্যায় এবারও “শীতবস্ত্র বিতরণ” নিয়ে আপনাদের আমরা কিঞ্চিৎ কষ্ট দিবো। এজন্য আন্তরিকভাবে আমরা ক্ষমাপ্রার্থী। আশা করি আল্লাহ'র জন্য আমাদের ক্ষমা করে দিবেন ইনশাআল্লাহ।

গতবছর শীতকালীন সময়ে Ihsaan গরীব এবং অসহায় মানুষদের মাঝে আপনাদের ব্যবহৃত শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে ঢাকাসহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তে পৌঁছে দিয়েছে আলহামদুলিল্লাহ। তারই ধারাবাহিকতায় এবছরও আমরা আপনাদের স্বতঃস্ফূর্ত অংশগ্রহণে ব্যবহৃত শীতবস্ত্র সংগ্রহ করে দেশের বিভিন্ন প্রান্তে বসবাসরত গরীবদের মাঝে পৌঁছে দিচ্ছি/দিয়েছি।

আপনারা ইতিমধ্যে নিশ্চয়ই অবগত হয়েছেন যে দেশে হঠাৎ-ই শীতের প্রকোপ বেড়ে গিয়েছে। আবহাওয়া অফিসের ভাষ্যমতে শীতের প্রকোপ আগামী আরও কয়েকদিন স্থায়ী হবে।

তাই আমরা গরীব-দুঃখীদের কথা চিন্তা করে এবছরও আপনাদের থেকে আপনাদের “ব্যবহৃত শীতবস্ত্র” সংগ্রহ করে তাদের মাঝে বিতরণ করার ইচ্ছা পোষণ করেছি। আশা করি আপনারা আমাদেরকে সর্বোচ্চ সহযোগিতা করবেন ইনশাআল্লাহ।

আমাদের কাছে আপনার “ব্যবহৃত শীতবস্ত্র” পাঠানোর ঠিকানাঃ-

**সুন্দরবন কুরিয়ার সার্ভিস, টেকেরহাট, রাজৈর,মাদারীপুর।

**এস.এ পরিবহন, টেকেরহাট, রাজৈর,মাদারীপুর।

এছাড়া কেউ যদি সামর্থবান হয়ে থাকেন তবে আমাদের অনুরোধ থাকবে দয়াকরে আমাদেরকে আর্থিক সাহায্য পাঠিয়েও সহযোগিতা করবেন।

আমাদের কাছে “আর্থিক সাহায্য” পাঠানোর ঠিকানাঃ

বিকাশঃ 01879-287382(পার্সোনাল)
01402-014364(পার্সোনাল)
নগদঃ 01879-287382

এছাড়াও আমাদের পেইজের ইনবক্সে ম্যাসেজ দিয়ে যোগাযোগ করতে পারেন। আমাদের পেইজ লিংকঃ
https://www.facebook.com/ihsaanbd/

বিশেষ অনুরোধঃ আপনার ব্যবহৃত পোশাকটিতে যদি ময়লা হয়ে গিয়ে থাকে তাহলে একটু ধুয়ে পরিস্কার করে পাঠালে আমাদের জন্য সুবিধা হয়। জাযাকাল্লাহ।

Ihsaan এটি একটি অলাভজনক ইসলামিক সাহায্য তহবিল।

দান-সদকা অনেক প্রকারের হয়ে থাকে।
যেমন:

১. প্রতিশোধ গ্রহণে সক্ষম হওয়া সত্ত্বেও ক্ষমা করে দেয়া সদকা।
২. অপর ভাইয়ের অনুপস্থিতিতে তার জন্য কল্যাণের দোয়া করা সদকা।
৩. কাউকে মা’জুর মনে করে তার ব্যাপারে খারাপ ধারণা সরিয়ে নেয়া সদকা।
৪. কারো অনুপস্থিতিতে তার সম্পদের হেফাযত করা সদকা।
৫. মুসলমান ভাইয়ের সাথে হাসিমুখে সাক্ষাৎ করা সদকা।
৬. অসুস্থদের সেবা করা সদকা। ইত্যাদি।।।

অধিকাংশ মানুষ দান-সদকা করতে চায় না। মনে করে এতে সম্পদ কমে যাবে। তাই সম্পদ সঞ্চিত করে রাখতেই সর্বদা সচেষ্ট থাকে, এমনকি নিজের প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রেও খরচ করতে কৃপণতা করে।

অথচ “দান-সদকা গুনাহ মিটিয়ে ফেলে যেমন পানি আগুনকে নিভিয়ে ফেলে।” (সহীহুল জামে/৫১৩৬)

দান-সদকা করলে সম্পদ কমে না: আবু কাবশা আল আনমারী (রা.) থেকে বর্ণিত, তিনি শুনেছেন রাসূলুল্লাহ (সা.) বলেন-
“সদকা করলে কোনো মানুষের সম্পদ কমে না।” (তিরমিযী, ইবনে মাজাহ)

ইসলাম ধর্মে দান বা সদকার গুরুত্ব অপরিসীম। দান করার জন্য ধনী হওয়ার প্রয়োজন নেই, সুন্দর ইচ্ছাই যথেষ্ট। দান শুধু অর্থ বা সম্পদ প্রদানে সীমাবদ্ধ নয়। কারও শুভকামনা, সুন্দর ব্যবহার, সুপরামর্শ, পথহারাকে পথ দেখানো, পথ থেকে অনিষ্টকারী বস্তু সরিয়ে ফেলা এ জাতীয় সব কর্মই দান। দানের গুরুত্ব ও ফজিলত সম্পর্কে পবিত্র কোরআন এবং হাদিস শরিফের কথাগুলো জেনে নিই।

মহান আল্লাহ তায়ালা বলেন, ‘মোমিনগণ! তোমাদের ধনসম্পদ ও সন্তানসন্ততি যেন তোমাদের আল্লাহর স্মরণ থেকে গাফেল না করে। যারা এ কারণে গাফেল হয়, তারাই তো ক্ষতিগ্রস্ত। আমি তোমাদেরকে যে রুযী দিয়েছি, তোমরা তা হতে ব্যয় কর[১] তোমাদের কারো মৃত্যু আসার পূর্বে (অন্যথা মৃত্যু আসলে সে বলবে,) ‘হে আমার প্রতিপালক! আমাকে আরো কিছু কালের জন্য অবকাশ দিলে না কেন? [২] তাহলে আমি সাদাকা করতাম এবং সৎকর্মশীলদের অন্তর্ভুক্ত হতাম।’ [১] ব্যয় করার অর্থ, যাকাত আদায় করা এবং অন্যান্য কল্যাণকর পথে দান করা। [২] এ থেকে জানা গেল যে, যাকাত আদায়, আল্লাহর পথে ব্যয় এবং হজ্জ করার সামর্থ্য হলে তা সম্পাদন করার ব্যাপারে বিলম্ব করা কোনমতেই ঠিক নয়। কারণ, মৃত্যু কখন এসে পড়বে, তার কোন ঠিক নেই? ফলে এই ফরয কাজগুলো আদায় করতে না পারলে তার উপর তা অনাদায় রয়ে যাবে। আর মৃত্যুর সময় তা আদায়ের আশা করায় কোন লাভ হবে না। সূরা মুনাফিকুন : ৯-১০(তাফসীর সহ)

তোমরা যদি প্রকাশ্যে দান কর, তবে তা উত্তম। আর যদি তা গোপনে কর এবং অভাবগ্রস্তকে দাও, তবে তা তোমাদের জন্য আরও উত্তম।[১] এতে তিনি তোমাদের কিছু কিছু পাপ মোচন করবেন, বস্তুতঃ তোমরা যা কর, আল্লাহ সে সম্বন্ধে অবহিত। [১] এ থেকে প্রতীয়মান হয় যে, সাধারণ অবস্থায় গোপনে সাদাকা করাই উত্তম। তবে সাদাকা করার প্রতি মানুষকে উৎসাহ দানের প্রতি লক্ষ্য করে প্রকাশ্যেও তা করা যায়। আর এ ক্ষেত্রে যে সর্বাগ্রে অগ্রসর হবে তার যদি লোক দেখানো উদ্দেশ্য না হয়, তাহলে সে যে বিশেষ ফযীলত লাভ করবে সে কথাও বহু হাদীস দ্বারা পরিষ্কারভাবে জানা যায়। এই ধরনের কিছু বিশেষ পরিস্থিতি ছাড়া অন্যান্য অবস্থায় চুপিসারে সাদাকা-খয়রাত করাই শ্রেয়। নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, যারা কিয়ামতের দিন আল্লাহর আরশের ছায়া লাভ করবে, তাদের মধ্যে এক শ্রেণীর লোক হবে তারা, যারা এমন গোপনীয়তা রক্ষা করে দান করেছে যে, তাদের ডান হাত কি ব্যয় করেছে, তা বাম হাতও জানতে পারেনি। কোন কোন আলেমের নিকট গোপনে সাদাকা করার যে ফযীলত তা কেবল নফল সাদাকার মধ্যে সীমিত। তাঁদের মতে যাকাত আদায় প্রকাশ্যে করাই উত্তম। কিন্তু কুরআনের ব্যাপক নির্দেশ নফল ও ফরয উভয় সাদাকাকেই শামিল করে। (ইবনে কাসীর) অনুরূপ হাদীসের ব্যাপকার্থবোধক শব্দও এ কথার সমর্থন করে। (সূরা বাকারা : ২৭১[তাফসীর সহ])

যারা আল্লাহর পথে আপন ধন ব্যয় করে, অতঃপর যা ব্যয় করে, তার কথা বলে বেড়ায় না এবং (ঐ দানের বদলে কাউকে) কষ্টও দেয় না,[১] তাদের পুরস্কার রয়েছে তাদের প্রতিপালকের নিকট, বস্তুতঃ তাদের কোন ভয় নেই এবং তারা দুঃখিতও হবে না। [১] আল্লাহর রাস্তায় ব্যয় বা দান করার উল্লিখিত ফযীলত কেবল সেই ব্যক্তিই লাভ করবে, যে স্বীয় সম্পদ দান করে অনুগ্রহ প্রকাশ করবে না এবং সে মুখ দিয়ে এমন কোন তুচ্ছ বাক্যও বের করবে না, যা কোন গরীব-অভাবীর সম্মানে আঘাত হানে এবং সে তাতে ব্যথা অনুভব করে। কেননা, এটা এত বড় অপরাধ যে, নবী করীম (সাঃ) বলেছেন, "কিয়ামতের দিন মহান আল্লাহ তিন শ্রেণীর মানুষের সাথে কথা বলবেন না। তাদের মধ্যে একজন হল, (দান করে) অনুগ্রহ প্রকাশকারী ব্যক্তি।" (মুসলিম ১০৬নং)(সূরা বাকারা : ২৬২ [তাফসীর সহ])

আল্লাহ তায়ালা আরও বলেন,
শয়তান তোমাদেরকে দারিদ্রে্র ভয় দেখায় এবং জঘন্য কাজে উৎসাহ দেয়,[১] পক্ষান্তরে আল্লাহ তোমাদেরকে তাঁর ক্ষমা ও অনুগ্রহের প্রতিশ্রুতি প্রদান করেন। আল্লাহ বিপুল দাতা, সর্বজ্ঞ। [১] অর্থাৎ, সৎ পথে মাল ব্যয় করতে চাইলে শয়তান নিঃসব ও কাঙ্গাল হয়ে যাওয়ার ভয় দেখায়। কিন্তু অন্যায় পথে ব্যয় করার সময় এই ধরনের কোন আশঙ্কা মনে আসতেই দেয় না; বরং মন্দ কাজগুলোকে এত সুন্দর করে সাজিয়ে পেশ করে এবং নিদ্রিত আশা-আকাঙ্ক্ষাকে এমনভাবে জাগিয়ে তোলে যে, মানুষ তার জন্য বিশাল পরিমাণ অর্থ অনায়াসে ব্যয় করে ফেলে। তাইতো দেখা যায় যে, যখন কোন মসজিদ, মাদ্রাসা অথবা কল্যাণকর কাজের জন্য কেউ চাঁদার জন্য যায়, তখন বিত্তশালী টাকা-পয়সার মালিক এক-দু'শ টাকা দেওয়ার জন্য বার বার হিসাবের খাতা যাচাই করে এবং চাঁদা আদায়কারীদেরকে অনেক সময় বহুবার আনাগোনা করতে বাধ্য করা হয়। পক্ষান্তরে এই মানুষটাই সিনেমা, টিভি, মদপান, প্রেম-ব্যভিচার এবং মামলা-মকদ্দমার জালে ফেঁসে গিয়ে বেহিসাব মাল ব্যয় করে। এ সব কাজে অর্থ ব্যয় করার সময় তার মধ্যে কোন প্রকারের উৎকণ্ঠা ও দ্বিধা-দন্ধ প্রকাশ পায় না!(সূরা বাকারা : ২৬৮ [তাফসীর সহ])

বিঃদ্রঃ হাদিস শরিফের কথাগুলি পরবর্তী পোষ্টে জানানো হইবে৷

আলহামদুলিল্লাহ আজকের আপডেটঃ

আজকে ডোনেশন দিয়েছেন,

নিয়মিত ডোনারঃ৬ জন
মাসিক ডোনারঃ ১ জন
অনিয়মিত ~ ঃ ১ জন

আজকের মোট অনুদানঃ২৩০ টাকা

২৯/১/২২ পর্যন্ত মোট জমাঃ১৪৪২ টাকা

সকল অনুদান দাতা দের আল্লাহ উত্তম প্রতিদান দান করুন আমিন।

আসসালামু আলাইকুম

ihsaan-ইহ্সান, আমার ব্যক্তিগত উদ্যোগে তৈরি একটা সংস্থা। এটির একটি ফেইসবুক পেইজও আছে Ihsaan নামে। ইহ্সান মূলত একটি অলাভজনক সামাজিক প্রতিষ্ঠান। যেখান থেকে সাধারণত সামাজিক উন্নয়ন মূলক কাজ করা হয়ে থাকে। গত বছর আমরা ইহ্সানের পক্ষ থেকে অসহায়দের মাঝে শীতবস্ত্র বিতরণ করেছিলাম। আর এবার আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি লং টার্ম এবং স্থায়ী সেক্টর/প্রকল্পের। আমাদের সমাজে এখন অহরহ সুদের ছড়াছড়ি। সুদের এমন বিস্তার দেখলে মনে হয় এ যেন অঘোষিত একটি হালাল ব্যাবসা। আর এই সুদের ভয়াবহ থাবায় অনেক অসহায় গরিব পরিবার নিঃস্ব হয়ে যাচ্ছে। আর বড়লোক সুদের ব্যবসায়ীরা দিনদিন শুধু ধনী-ই হচ্ছে। তাই এবার আমাদের সিদ্ধান্ত হচ্ছে ইসলামী স্বর্ণযুগের মত বিনা সুদে বিশ্বস্ততার মাপকাঠিতে উত্তীর্ণদের বন্ধকি না রেখে টাকা আর কম বিশ্বস্তদের সমমূল্যের জিনিস বন্ধকি রেখে সহজ কিস্তিতে সুদ বিহীন ঋণ বা ধার দেওয়া। এর লক্ষ্যেই আল্লাহ'র উপর পূর্ণ ভরসা রেখে গত পহেলা জানুয়ারি থেকে আমরা মুষ্টিমেয় কয়েকজন টাকা জমানো শুরু করেছি। এই টাকা মূলত জনকল্যাণ এর উদ্দেশ্যে একমাত্র আল্লাহর সন্তুষ্টির জন্যই দিয়ে দিতে হবে।

যা পরবর্তী তে ঋণ দেওয়া হবে এবং যখন টাকার পরিমান বাড়তে থাকবে তখন তা থেকে অসহায় ব্যক্তিদের স্থায়ী আয় রোজগারের ব্যবস্থা করার জন্য ব্যয় করা হবে। পরবর্তীতে এ বিষয়ে চুড়ান্ত সিদ্ধান্ত জানানো হবে ইনশাআল্লাহ।

এখানে যে কেউ নিয়মিত বা অনিয়মিত ডোনার হতে পারবেন। তবে নিয়মিত ডোনার হলে পরবর্তীতে দানের টাকা দিতে চাপ কম হবে।

আমরা সাধারণত প্রতিদিন ১০ টাকা হিসেবে জমা নিয়ে থাকি। তবে অবশ্যই কারো সামর্থের বাহিরে যাওয়ার প্রয়োজন নেই। কেউ চাইলে ২ টাকা করে জমিয়েও আমাদের পাঠাতে পারেন। আবার কারো সামর্থ ১০ টাকার বেশি থাকলে সে অবশ্যই বেশি দিতে পারবেন।এখানে কোনো নির্দিষ্ট সীমারেখা নেই। কেউ চাইলে মাসিক ভাবে প্রতি মাসেও ডোনেশন করতে পারবেন।

আপনি চাইলে এই জনকল্যাণমূখী কাজে নিয়মিত ডোনেশন দিয়ে আল্লাহ সুবাহানাহু ওয়াতালা'কে খুশি করার পথে নিজেকে অগ্রসর করতে পারেন।

কে আছে, যে আল্লহকে উত্তম ঋণ দেবে, ফলে তিনি তার জন্য বহুগুণে বাড়িয়ে দেবেন।
[সূরা আল বাকারা:২৪৫]

জাজাকাল্লাহু খাইরান

Page Link : https://www.facebook.com/ihsaanbd/

Ihsaan এটি একটি অলাভজনক ইসলামিক সাহায্য তহবিল।

মু'মিনদের উচিত আল্লাহর উপরই ভরসা করা করা।
(সুরা ইব্রাহীম, আয়াতঃ১১]