মাসিক আদর্শ নারী
Nearby media companies
ঢাকা-১০০০
6680
Purana Paltan Line
Dhaka-1000
Dhaka
Rajarbag
Purana Palton
Dhaka
Purana Paltan
Floor
Rajjak Plaza
DHAKA
বাংলাদেশের জনপ্রিয় ইসলামী মাসিক পত্রিকা
Most Popular Islamic magazine of BD
The Monthly Adarsha Nari
রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে এ যুগের মেয়েদের দ্বীনি মাসিক পত্রিকা।
আগামীকাল থেকে--
মহিলাদের নূরানী মু‘আল্লিমা ও ক্বারিয়ানা ২ মাসের কোর্স। মাদরাসা খাতুনে জান্নাত, মানিকনগর, ঢাকা।
ফোন : ০১৭১৫-০৩৯৩৯৯
সর্বস্তরের মুসলমানদের জন্য হযরত থানবী রহ. - এর ৪০টি অমূল্য উপদেশ
----------------------------------------------------------------------
প্রত্যেক মুসলমানের রাতদিন যেভাবে থাকা উচিত
-------------------------------------------------------------------
পর্ব - ২:
উপদেশ - ১১ : ইবাদতে অলসতা করবে না।
উপদেশ - ১২ : বেশী সময় নির্জনতায় থাকবে।
উপদেশ - ১৩ : অন্যদের সাথে মেলামেশা করতে হলে, সবার অপেক্ষা বিনয়ী হয়ে থাকবে, নিজ গৌরব প্রকাশ করবে না।
উপদেশ - ১৪ : বড়লোকদের সাথে খুবই কম মিশবে।
উপদেশ - ১৫ : বদদ্বীন মানুষ হতে দূরে থাকবে।
উপদেশ - ১৬ : অন্যের দোষ খুঁজবে না। কারো প্রতি কু-ধারণা করবে না। নিজের দোষের প্রতি লক্ষ্য রাখবে ও তা সংশোধন করবে।
উপদেশ - ১৭ : নামায উত্তমরূপে যথাসময় দিল লাগিয়ে নিয়মিতভাবে পড়ার প্রতি খুব খেয়াল রাখবে।
উপদেশ - ১৮ : অন্তরে বা মুখে সর্বদা আল্লাহ তাআলার স্মরণে রাখবে, কখনও গাফেল হবে না।
উপদেশ - ১৯ : যদি আল্লাহ তাআলার নাম নিতে স্বাদ লাগে, অন্তর খুশী হয়, তবে আল্লাহ তাআলার শোকর আদায় করবে।
উপদেশ - ২০ : কথা নম্রভাবে বলবে।
বইমেলায় ইসলামি লেখক ফোরামের আয়োজন
“লেখক হয়ে উঠার গল্প” মুগ্ধতা ছড়িয়েছে ....
ইসলামি বইমেলায় তারকা আলেম লেখকদের গল্প শুনে মুগ্ধ হয়েছেন শ্রোতারা। নবীনরা পেয়েছে লেখক হওয়ার অনুপ্রেরণা ও পাথেয়। পুরো অনুষ্ঠানজুড়ে ছিল এক অন্যরকম ভালোলাগা ও নান্দনিকতার ছোঁয়া।
গত ৩১ অক্টোবর বৃহস্পতিবার বিকেল ৪টায় বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরামের আয়োজনে বাইতুল মুকাররম পূর্ব চত্বরে ইসলামি বইমেলার মূল মঞ্চে এ মনোজ্ঞ অনুষ্ঠান হয়। ‘লেখক হওয়ার গল্প শুনি’ ছিল অনুষ্ঠানের মূল বিষয়। এতে দেশের বিশিষ্ট আলেম লেখকরা তাদের লেখক হওয়ার গল্প বলেছেন।
লেখকদের গল্পে উঠে এসেছে--কেন তারা লেখক হলেন, কীভাবে হলেন, কাদের লেখা পড়েছেন, লেখালেখির কৌশল কী ইত্যাদি। শ্রোতারা বেশ প্রেরণা ও খোরাক পেলেন তাদের কথায়। শ্রোতাদের কেউ কেউ প্রশ্নও করলেন। লেখকরা সাধুবাদ জানিয়ে চমৎকার করে উত্তর দিলেন। প্রাণবন্ত এক আড্ডায় রূপ নিয়েছিল সে আয়োজন। যেন লেখকদের সাহিত্যসভা চলছে।
বিকেল চারটার আগেই মূল মঞ্চে দর্শনার্থীদের ভিড় চোখে পড়ে। বেলা গড়াবার সঙ্গে সঙ্গে দর্শনার্থীর কলকাকলি বাড়তে থাকে। তাদের চোখে-মুখে নতুন কিছু জানবার আগ্রহ। পাথেয় সংগ্রহের তৃষ্ণা। অনেকের হাতে বই। কারও হাতে খাতা-কলম। অতিথিরাও যথাসময়ে শুনিয়ে গেলেন জীবনের গল্প। তন্ময় হয়ে শুনলেন সবাই। কেউ নোট করলেন পছন্দের কথা। মনে গাঁথলেন ভালো লাগার অমৃত বাণী। কেউ কেউ প্রশ্নও ছুড়লেন লেখককে।
ফোরামের সভাপতি মুনীরুল ইসলামের সভাপতিত্বে ও সাধারণ সম্পাদক আমিন ইকবালের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে লেখক হওয়ার গল্প শোনান বিশিষ্ট লেখক ও মুহাদ্দিস মুহাম্মদ যাইনুল আবিদীন, মাসিক আদর্শ নারীর সম্পাদক মুফতি আবুল হাসান শামসাবাদী, মাসিক মদিনার সম্পাদক আহমদ বদরুদ্দীন খান, লেখক ও শিক্ষক জুবাইর আহমদ আশরাফ, ঢাকামেইলের বার্তা সম্পাদক জহির উদ্দিন বাবর, লেখক ও সাংবাদিক মাসউদুল কাদির, লেখক ও শিক্ষাবিদ মাওলানা মুসলেহুদ্দীন গহরপুরী, লেখক ও আলোচক হাবিবুর রহমান মিছবাহ, লেখক ও শিক্ষক আমীর ইবনে আহমদ, লেখক ও প্রকাশক মাহমুদুল ইসলাম, লেখক ও প্রকাশক মুফতি আমিমুল এহসান, লেখক আব্দুল মুমিন প্রমুখ। এ ছাড়া ইসলামি লেখক ফোরামের কেন্দ্রীয় দায়িত্বশীলরা উপস্থিত ছিলেন অনুষ্ঠানে।
গল্প শোনার ফাঁকে ফাঁকে নতুন বইয়ের মোড়ক উন্মোচন হয়। উপস্থিত সাধারণ জ্ঞানের প্রতিযোগতাও হয়৷ প্রতিযোগিতায় বিজয়ী ১০ জনের হাতে তুলে দেওয়া হয় চমৎকার চমৎকার গ্রন্থ।
লেখক ফোরামের এ আয়োজনটি যেন শেষ হতে চাইছিল না। সময় ফুরিয়ে যায়, গল্প ফুরোয় না। কিন্তু রাত গভীর হওয়ার আগেই যে ভাঙতে হবে গল্পের আসর। পথ ধরতে হয় গন্তব্যের। এক সময় মজমা ভাঙলেও শ্রোতাদের মন পড়ে থাকে লেখকদের গল্পে। এ গল্পের ফিতা দীর্ঘ হলে বেশ হয়। কুড়ানো যাবে আরও মণিমুক্তা, জীবন চলার পাথেয়। মুগ্ধতার আবহ ছড়িয়ে থাকে লেখক ও শ্রোতাদের দেহ ও প্রাণে। মুগ্ধতা ও পাথেয় নিয়ে ফিরেন তারা।
-----------------------------------
বাংলাদেশ ইসলামি লেখক ফোরাম
জুমার বয়ান (সারাংশ)
বাইতুল মুকাররম জাতীয় মসজিদ
খতীব: মুফতি আব্দুল মালেক হাফিযাহুল্লাহ
১ নভেম্বর, ২০২৪
হামদ ও সানার পর বয়ানের শুরুতে তিনি জুমার দিনের ফজিলত আলোচনা করেন। এরপর বলেন, রাসুলুল্লাহ সাঃ তার অধিকাংশ খুতবার শুরুতে তাকওয়া বিষয়ক কয়েকটি আয়াত তেলাওয়াত করতেন। এরমধ্যে সুরা আলে ইমরান, নিসা, আহযাব ও হাশর অন্যতম। আজকে সুরা হাশরের আয়াতের সংক্ষিপ্ত ব্যাখ্যা জানবো ইনশাআল্লাহ।
আল্লাহ তায়ালা আয়াতের শুরু করেছেন, 'হে মুমিনগণ' বলে। এটি অত্যন্ত মোহাব্বত ও আবেদনপূর্ণ আহবান। এই আহ্বানের মাধ্যমে তিনি মুমিনদেরকে ঈমানের গুরুত্বপূর্ণ বিভিন্ন বিষয়ে দিকনির্দেশনা দিচ্ছেন। ঈমানের অন্যতম দিকনির্দেশনা হলো, তাকওয়া অর্জন করা।
তাকওয়া মানে কি? তাকওয়া হচ্ছে আল্লাহর নেয়ামতকে স্মরণ করে, তার সামনে উপস্থিত হওয়ার বিষয়কে মনে ধারণ করে, আল্লাহর নির্দেশিত সকল বিধান পালন করা এবং নিষেধকৃত সকল কাজ থেকে বিরত থাকা।
তাকওয়া মানে শুধু ভয় নয়, কারণ যে ভয়ের পরে করণীয় না থাকে তাকে তাকওয়া বলে না। আরবি শব্দ ওয়াও, কাফ, ইয়া এই মূল ধাতুর অর্থই হচ্ছে বেঁচে থাকা। অর্থাৎ আল্লাহর নিষেধকৃত সকল কাজ থেকে বেঁচে থাকা।
পাশাপাশি আল্লাহ এই আয়াতে মুমিনদেরকে কিয়ামত দিবসের জন্য কী প্রেরণ করেছে, তা চিন্তা করার আদেশ দিয়েছেন।
মুমিনের আসল জীবন হচ্ছে আখেরাতে জীবন। এই আয়াতে আগামীকাল বলা হয়েছে, কারণ আখেরাতের দীর্ঘ জীবনের তুলনায় পুরো দুনিয়ার সময় একদিনের মতোই বা তার চেয়েও কম।
এজন্য প্রতিটি মুমিনের কর্তব্য হল, কবরে যাওয়ার আগে কবরের প্রশ্নের উত্তর তৈরি করে নিয়ে যাওয়া। কবরে যে তিন প্রশ্ন করা হবে তার উত্তর শুধু মুখস্ত করে গেলেই হবে না, বরং যদি সত্যিকার অর্থে নিজের জীবনে তা বাস্তবায়ন করা যায় তাহলে আরবি না জানলেও কবরে গিয়ে আরবিতে উত্তর দেওয়া সম্ভব হবে।
কবরের প্রশ্ন সমূহের সারমর্ম হচ্ছে, আল্লাহর উপর বিশুদ্ধভাবে পরিপূর্ণ বিশ্বাস এবং ইসলামকে একমাত্র ধর্ম হিসেবে স্বীকৃতি দেওয়া এবং মুহাম্মদ সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে শেষনবী শ্রেষ্ঠনবী বিশ্বনবী মেনে তার জীবন বিধানকে বাস্তবায়িত করা। বেদাত এবং জাহিলিয়াতমুক্ত জীবন গঠন করা।
এরপর তিনি তাকওয়ার বিভিন্ন প্রকাশক্ষেত্রের মধ্যে থেকে দুইটি প্রকাশ ক্ষেত্র আলোচনা করেছেন।
প্রথম হলো, জুলুম থেকে বেঁচে থাকা। হাদিসে আল্লাহ রাসুল বলেন, তোমরা জুলুম থেকে বেঁচে থাকো। কারণ জুলুম কেয়ামতের দিন গভীর এবং অনেক অন্ধকারের কারণ হবে। 'একটি জুলুম' বা 'একটু জুলুম' যেটাই হোক না কেন, একজনের উপর জুলুম বা একাধিক ব্যক্তির উপর জুলুম সর্বক্ষেত্রেই জালেমের জন্য হবে, তার জীবনে কোন আলো থাকবে না।
জুলুমের অন্যতম প্রকাশক্ষেত্র হলো, দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে দেওয়া। বর্তমানে অন্যায়ভাবে সিন্ডিকেট করে যেভাবে দ্রব্যমূল্য বাড়িয়ে পুরো দেশের মানুষকে কষ্ট দেওয়া হচ্ছে পূর্বে কখনোই এমন ছিল না। তারপরও দ্রব্যমূল্য বাড়ানো এবং এভাবে বাজার নিয়ন্ত্রণ করে মানুষকে কষ্ট দেওয়ার ব্যাপারে কঠিন শাস্তির কথা বলা হয়েছে। মুসনাদে আহমদে বর্ণিত হাদিসে এসেছে, যে ব্যক্তি কোন বাজারে অন্যায় ভাবে পণ্যের মূল্য বাড়িয়ে দেয়, আল্লাহ কেয়ামতের দিন তাকে আগুনের বড় জায়গায় বসিয়ে শাস্তি দিবেন।
আজকে যারা সিন্ডিকেট করছে তাদের অপরাধ চোর ডাকাত বা অর্থ আত্মসাৎকারীদের মতই ভয়ংকর এবং তাদের এই অতিরিক্ত উপার্জন পরিষ্কার হারাম।
তাকওয়ার দ্বিতীয় প্রকাশক্ষেত্র হলো, সূরা নিসার প্রথম আয়াতে আল্লাহ বলেছেন, আদম এবং হাওয়া থেকে তিনি পুরুষ এবং নারী সৃষ্টি করেছেন। তাই পুরুষের পুরুষ থাকা এবং পুরুষের জন্য আল্লাহর প্রদত্ত সকল বিধান পালন করা ফরজ। নারীর জন্য নারী থাকা এবং নারী হিসাবে আল্লাহ প্রদত্ত সকল বিধান পালন করা ফরজ।
কোন পুরুষ নারীতে রূপান্তর হওয়া অথবা নিজেকে নারী মনে করা, অনুরূপভাবে কোন নারী নিজেকে পুরুষে রূপান্তরিত করা অথবা নিজেকে পুরুষ ভাবা হারাম এবং কবিরা গুনাহ। এটা আল্লাহর সাথে যুদ্ধ করার সমতুল্য। এল জি বি টি বা সমকামিতা একটি রুচিবিরুদ্ধ ঘৃণ্য অপরাধ। এই অপরাধকে সমর্থন কোন মুসলমান দিতে পারে না।
আজকে বাংলাদেশে জাতিসংঘের মানবাধিকার কমিশনের অফিস খোলার কথা গণমাধ্যমে এসেছে, যতটুকু জানি বাংলাদেশ সরকার এখনো এই সিদ্ধান্ত নেননি। আমরা আশা করব সরকার এই সিদ্ধান্ত নিবেন না এবং এই মুসলিম দেশে তারা সেটা বাস্তবায়ন করতে পারবেন না।
যে জাতিসংঘ ইজরায়েলের জুলুম থেকে ফিলিস্তিনের শিশুদের রক্ষা করতে পারেনি, যুদ্ধ বন্ধ করতে পারেনি এমনকি ঔষধ ও খাবার পর্যন্ত অনুরোধ করেও ঢুকাতে পারেনি তারা কিভাবে মানবাধিকারের কথা বলে!
মানবাধিকার শিখতে হবে আল্লাহর কোরআন এবং রাসূলের সুন্নাহ থেকে। আমরা রাসূলের আদর্শ নিজেরা বাস্তবায়ন করব এবং এর দাওয়াত সর্বত্র ছড়িয়ে দিব ইনশাআল্লাহ।
লিখেছেন, মাওলানা লুৎফেরাব্বি আফনান আযহারী
সর্বস্তরের মুসলমানদের জন্য হযরত থানবী রহ. - এর ৪০টি অমূল্য উপদেশ
----------------------------------------------------------------------
প্রত্যেক মুসলমানের রাতদিন যেভাবে থাকা উচিত
-------------------------------------------------------------------
পর্ব - ১:
উপদেশ - ১ : প্রয়োজন অনুযায়ী দ্বীনের এলম হাসিল করবে। কিতাব পড়ে হোক অথবা আলেমদের নিকট জিজ্ঞাসা করে হোক।
উপদেশ - ২ : সকল গোনাহ হতে বেঁচে থাকবে।
উপদেশ - ৩ : কোন গোনাহ হয়ে গেলে তৎক্ষনাৎ তওবা করে নিবে।
উপদেশ - ৪ : কারো হক বা পাওনা রাখবে না।
উপদেশ - ৫ : ধনসম্পদের মহব্বত ও সুখ্যাতির আকাঙ্ক্ষা করবে না। খুব ভালো খাদ্য ও পোষাকের চিন্তায় থাকবে না।
উপদেশ - ৬ : যদি নিজের ভুল-ত্রুটির জন্য কেউ তিরস্কার করে তবে কথা না বাড়িয়ে তৎক্ষনাৎ স্বীকার ও তওবা করবে।
উপদেশ - ৭ : খুব প্রয়োজন না হলে সফর করবে না, সফরে বহু অসতর্কতার কাজ হয়, অনেক নেককাজ ছুটে যায়, অজিফার মধ্যে ভাঙ্গন আসে, সময় মত কোন কাজ হয় না।
উপদেশ - ৮ : বেশী হাসবে না ও বেশী কথা বলবে না। বিশেষ করে না-মাহরামদের সাথে হাসি-খুশীর কথাবার্তা বলবে না।
উপদেশ - ৯ : কারো সঙ্গে ঝগড়া, তর্ক-বিতর্ক করবে না।
উপদেশ - ১০ : শরীয়তের বিধানের প্রতি সদা দৃষ্টি রাখবে।
- আদাবুল মুআ'শারাত কিতাব থেকে
৩ নভেম্বর--২০২৪ থেকে ২ মাস ব্যাপী
মহিলাদের নূরানী প্রধান ট্রেনিং কেন্দ্রে
-------------------------------------------
নূরানী মু‘আল্লিমা ও ক্বারিয়ানা ট্রেনিং কোর্স
-------------------------------------------
|| নূরানী পদ্ধতিতে আরবী-বাংলা-গণিত-ইংরেজী ট্রেনিং সম্বলিত
মহিলাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ নূরানী মু‘আল্লিমা ট্রেনিং কোর্স
এবং দু‘আ-মাসায়িল-হাদীসসহ সহীহভাবে কুরআন শিক্ষার জন্য
মহিলাদের জন্য নূরানী ক্বারিয়ানা-বয়স্কা ট্রেনিং কোর্স ||
৩ নভেম্বর ভর্তি নেয়া হবে এবং ৪ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে।
যোগাযোগ :-
বাংলাদেশ নূরানী তা‘লীমুল কুরআন ট্রেনিং
ইনস্টিটিউট-এর প্রধান কেন্দ্রীয় ট্রেনিং সেন্টার--
মাদরাসা খাতূনে জান্নাত (রা.)
৭৮/৫-এ, মিয়াজান লেন
মানিকনগর, ঢাকা।
(ঢাকা যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদের দক্ষিণে
এবং কমলাপুরের পশ্চিমদিকে
মানিকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে সামান্য উত্তরদিকে
মিয়াজান গলিতে মাদরাসা খাতুনে জান্নাত রা. অবস্থিত)
মোবাইল : 01715-039399, 01791-997733
নতুন বাংলাদেশে
নতুন করে
মাসিক আদর্শ নারীর
পথ চলা ....
মাসিক আদর্শ নারী নভেম্বর--২০২৪ সংখ্যার প্রচ্ছদ।
সংখ্যাটি নভেম্বরের শুরুতেই পাওয়া যাবে ইনশাআল্লাহ ....
#গুরুত্বপূর্ণপয়েন্ট
দুই হাজার সালের পর থেকে রুশ এবং চীনপন্থী দেশগুলোতে সরকার পতনের জন্যে যুক্তরাষ্ট্র একটা প্রসিডিওর ফলো করে থাকে। যেটার নাম হল কালার রেভ্যুলেশন। মাইকেল ম্যাকফুয়েল যিনি ছিলেন একজন রাজনৈতিক তাত্ত্বিক এবং রাশিয়াতে মার্কিন রাষ্ট্রদূত তিনি এই কালার রেভ্যুলেশনের নামকরণ করেন এবং জনক।
বাংলাদেশেও যুক্তরাষ্ট্র কালার রেভ্যুলেশন স্টাইলেও খেলতে চাচ্ছে৷ এর আগে গত বিশ বছরে সার্বিয়া, আর্মেনিয়া, কিরঘিজস্থান, জর্জিয়া, ইউক্রেনসহ অনেকগুলো রুশপন্থী দেশ যেখানে গণতান্ত্রিক স্বৈরাচার ক্ষমতায় ছিল সেইখানে এই পলিসি কাজে এসেছে।
এখন কালার রেভ্যুলেশন আসলে কী?
কালার রেভ্যুলেশন হচ্ছে স্লো এন্ড স্টেডি উইন্স দ্যা রেসের একটা পলিটিকাল ভার্সন। ধরেন বিএনপি অনশন, মোমবাতি জ্বালানো থেকে হরতালে গেল। এইটা হলো কালার রেভ্যুলেশনের একটা পর্যায়। মানে জাস্ট ধারাবাহিক আন্দোলনে থাকা।
মাইকেল ম্যাকফুয়েলের মতে একটা কালার রেভ্যুলেশনের জন্যে সাতটা জিনিস দরকার হয়। সেগুলো হচ্ছে, একটা সেমি অটোক্র্যাটিক মানে হচ্ছে নাম হবে গণতান্ত্রিক কিন্তু কাজে স্বৈরাচারী সরকার। সেই সরকার হতে হবে আনপপুলার। একটা শক্তিশালী বিরোধী দল। স্বাধীন মিডিয়া, অপোজিশনের মবিলাইজেশনের ক্ষমতা এবং ক্ষমতাসীনদের গ্রুপিং।
কিন্তু কালার রেভ্যুলেশনের সবচেয়ে বড় কথা হচ্ছে মাঠ ছাড়া যাবে না আবার মাঠে খুব শক্তিও প্রদর্শন করা যাবে না।
এখন এই থিওরি কী ভূল হয়েছে?
হয়েছে। বেলারুশ, মালদোভাতে এই থিওরি কাজে আসে নাই কারণ বিরোধী দল মনোবল হারিয়ে ফেলেছিল। কালার রেভ্যুলেশনে এই জিনিসটা খুবই দরকার। ধারাবাহিকতা এবং মনোবল।
এখন বিএনপি নেতৃত্ব কালার রেভ্যুলেশনের কথা কি জানে না?
হ্যা জানে৷ যেহেতু বিএনপি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক সমর্থন পাচ্ছে তাই তারা অবশ্যই জানে।
আওয়ামী লীগ কি জানে?
হ্যা তারাও জানে৷ এই কারণেই তারা গ্যাঞ্জামে না জড়িয়ে জাস্ট শান্তি সমাবেশ করছে। কারণ বেলারুশ, মালদোভাতে এইভাবেই সরকার টিকেছে।
কিন্তু জানে না যেসব লোক এই দুইটা নিয়ে হতাশা প্রকাশ করে। আপনি যদি কালার রেভ্যুলেশনের ইতিহাস দেখেন তাহলে দেখবেন এইটা খুবই দীর্ঘমেয়াদি এবং সফল একটা প্রসেস। কিন্তু খেলাটা খুবই কঠিন।
এখন বাংলাদেশ আসলে জর্জিয়া হবে নাকি বেলারুশ হবে তার ফলাফল আসতে এখনো অনেক দেরি। দেখা যাক বঙ্গীয় দ্বীপে ইউরোপীয় ফর্মূলা কাজ করে কী না।
- মোল্লা মোহাম্মাদ ফারুক আহসান
অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে নাক না গলানোর ফযিলত
-----------------------------
অপ্রয়োজনীয় বিষয়ে নিজের নাক গলানো থেকে বেঁচে থাকা দরকার। এটা নিজেদের মাঝে রাগা-রাগি, ঝগড়া-ফ্যাসাদের কারণ হয়ে থাকে। আমাদেরকে নিজের দায়িত্ব পরিপূর্ণভাবে পালন করা উচিত। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্বকেই ভালোভাবে পরিপূর্ণ করা উচিত। অন্যের কর্মকান্ড এবং দায়িত্বের মাঝে নাক না গলানো উচিত। নিজের উপর অর্পিত দায়িত্ব পূর্ণ করা এটাই আমার কর্তব্য হওয়া চাই।
অন্যের ভালো কর্মের স্বীকৃতি দেয়ার গুরুত্ব
------------------------
বর্তমানে উলামায়ে কেরামের মাঝে একটি বড় রোগ সৃষ্টি হয়েছে যে, অন্যের ভালো কর্মকান্ড স্বীকার করার পরিবর্তে তার প্রতি হিংসা করতে থাকে। এমনটা কখনো না হওয়া চাই। দ্বীনি কাজের মাঝে সর্বদা সাহায্যকারী হওয়া উচিত। প্রতিবন্ধক হওয়া উচিত নয়। যে কাজ আমরা করতে অক্ষম, সেই কাজ অন্যকে করতে দেখে খুশি হওয়া এবং তার জন্য দোয়া করা চাই। কেননা সে তো আমাদেরই কাজ করছে। এই দ্বীন আমাদেরই।
দ্বীনি কাজ করা প্রত্যেক মুসলমানের কর্তব্য। আমার যে কাজটি আমি নিজে করতে পারছি না। আর আমার এক ভাই আমার যিম্মাদারীর কাজ বিনা পরিশ্রামিকে করছে। তাহলে তো আমাদের খুশি হওয়া এবং তার সাহায্য করা উচিত। এর দ্বারা অন্তরের মাঝে অন্যের প্রতি শ্রদ্ধাবোধ জাগে। এভাবে ইন্শাআল্লাহ পরস্পর ভালোবাসা এবং আস্থার পরিবেশ সৃষ্টি হবে।
--------------------------
লেখক: প্রতিষ্ঠাতা পরিচালক, জামিয়াতুন নূর আল কাসেমিয়া, উত্তরা, ঢাকা।
আল্লাহ, এ বাংলাদেশকে রক্ষা করুন সকল প্রকার ষড়যন্ত্র থেকে। আপনার রহমতের চাদরে আবৃত করে রাখুন।
"আমরা মুসলিম।" মুসলিমদের জন্য হুমকিস্বরূপ কোনকিছুই এদেশে হতে দেওয়া যাবে না। সমস্ত প্রকার ঈমানবিধ্বংসী, মানবসভ্যতা ও দেশের স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব, স্বকীয়তার জন্য হুমকিস্বরূপ যে কোন কিছুর বিরুদ্ধে রুখে দাঁড়াতে হবে।
কখনো কি মনে এই চিন্তার উদয় হয় -
একদিন আল্লাহর নিকট কেদে কেটে ক্ষমা চাওয়া উচিত।
এক নির্জন রাতে একাকী ইস্তেগফার করা উচিত।
একদিন নির্জনে একটি লম্বা তৃপ্তিদায়ক সিজদায় গিয়ে জীবনের সকল অপরাধের জন্য লজ্জিত হওয়া উচিত।
অনুশোচনার অনলে পুড়ে দগ্ধ হওয়া উচিত।
যত গোনাহগারই হোন না কেনো কখনো কি তাওবা করার কথা মনের ভেতর উঁকিঝুঁকি দেয়?
যদি তাওবার কথা, মাফ চাওয়ার কথা মনে উদয় হয়, নিশ্চিতই বুঝে নিবেন এটা আল্লাহ আপনার মনের ভেতর ঢেলে দিয়েছেন। আল্লাহ চাইছেন আপনি তাওবা করে ফিরে আসুন তার কাছে। আপনি আপনার আত্মাকে সমর্পিত করুন আল্লাহর কাছে তা আল্লাহ চাইছেন।
এই চিন্তা কখনো মনে উদয় হলে নিজেকে সৌভাগ্যের অধিকারী মনে করুন। সাথে সাথেই আল্লাহর শোকরিয়া আদায় করুন। এবং সিজদায় লুটিয়ে পড়ে নিজের অপরাধের জন্য আল্লাহর নিকট ক্ষমা চাইতে থাকুন।
আল্লাহ সবাইকে ইস্তেগফার করার সৌভাগ্য দান করুন।
- সাইমুম সাদী হাফিজাহুল্লাহ
জীবনঘনিষ্ঠ সব প্রশ্ন ও উত্তর নিয়ে সাপ্তাহিক ইসলামী লাইভ অনুষ্ঠান সুওয়াল জাওয়াব এর ১৪৯তম পর্ব ।
সবাই শেয়ার করি প্লিজ
লিংক
https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/videos/417735021374244/
প্রতি সোমবার, রাত ৯টা। শুধুমাত্র মাসিক আদর্শ নারীর ফেসবুক পেইজে।
পেজ লিংক https://www.facebook.com/Adarsha.Nari/
৩ নভেম্বর--২০২৪ থেকে ২ মাস ব্যাপী
মহিলাদের নূরানী প্রধান ট্রেনিং কেন্দ্রে
-------------------------------------------
নূরানী মু‘আল্লিমা ও ক্বারিয়ানা ট্রেনিং কোর্স
-------------------------------------------
|| নূরানী পদ্ধতিতে আরবী-বাংলা-গণিত-ইংরেজী ট্রেনিং সম্বলিত
মহিলাদের জন্য পূর্ণাঙ্গ নূরানী মু‘আল্লিমা ট্রেনিং কোর্স
এবং দু‘আ-মাসায়িল-হাদীসসহ সহীহভাবে কুরআন শিক্ষার জন্য
মহিলাদের জন্য নূরানী ক্বারিয়ানা-বয়স্কা ট্রেনিং কোর্স ||
৩ নভেম্বর ভর্তি নেয়া হবে এবং ৪ নভেম্বর থেকে ক্লাস শুরু হবে।
যোগাযোগ :-
বাংলাদেশ নূরানী তা‘লীমুল কুরআন ট্রেনিং
ইনস্টিটিউট-এর প্রধান কেন্দ্রীয় ট্রেনিং সেন্টার--
মাদরাসা খাতূনে জান্নাত (রা.)
৭৮/৫-এ, মিয়াজান লেন
মানিকনগর, ঢাকা।
(ঢাকা যাত্রাবাড়ী ও সায়েদাবাদের দক্ষিণে
এবং কমলাপুরের পশ্চিমদিকে
মানিকনগর বাসস্ট্যান্ড থেকে সামান্য উত্তরদিকে
মিয়াজান গলিতে মাদরাসা খাতুনে জান্নাত রা. অবস্থিত)
মোবাইল : 01715-039399, 01791-997733
জীবনঘনিষ্ঠ সব মাসআলা নিয়ে জনপ্রিয় ইসলামী লাইভ প্রশ্নোত্তর অনুষ্ঠান
সুওয়াল জাওয়াব
-এর নতুন পর্ব আজ রাত ৯টায় ইনশাআল্লাহ।
কওমী মাদরাসায় জাদীদ নেসাব বলতে তো কিছু নেই।
সবই আবহমানকাল থেকে চলে আসা। ...
তাহলে ক্বদীম নেসাবের কথা উঠছে কেন!!
বেফাকের কাজকে সহজ করার জন্য জেলাভিত্তিক আঞ্চলিক শাখা করা হতে পারে এবং বিড়ম্বনা দূর করতে মহিলা মাদরাসাগুলোর জন্য বেফাকে আলাদা ডেস্ক স্থাপন করা প্রয়োজন।
কিন্তু অঞ্চলভিত্তিক আলাদা আলাদা বোর্ড কাম্য নয়। কাজের বিস্তৃতিতে বেফাকের অধীনেই সারা দেশে অঞ্চলভিত্তিক শাখার ব্যবস্থা করা যেতে পারে।
সিজদায় বাংলা ভাষায় দুআ করার বিধান
ফেসবুক,ইউটিউবে আহলে হাদিস ভাইয়েরা নামাযে বাংলায় দোয়া করা যাবে বলে প্রচার করে থাকেন। এতে করে বঙ্গদেশীয় হানাফী ভাই-বোনেরা বিভ্রান্তির শিকার হোন এবং সবচেয়ে বেশী এ প্রশ্নটায় আমাদের হানাফী ফিকহ (Hanafi Fiqh) গ্রুপে করা হয়ে থাকে।
তাই সকলের অবগতির সুবিধার্থে এ বিষয়ে একটু পর্যালোচনা করা যে শরয়ী দৃষ্টিকোণ থেকে কতটুক বৈধ নামাযের সিজদায় বাংলা ভাষায় দোয়া করা...
এতে কোন সন্দেহ নেই যে, সিজদা অবস্থায় মানুষ আল্লাহর সবচেয়ে নিকটবর্তী হয় এবং এই অবস্থায় দোয়া কবুল হওয়ার ব্যাপারে আরো বেশি আশা থাকে। যেখানে আল্লাহ তা'য়ালা তার বান্দার দোয়া কবুল করেন।
▪ রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন,
"عن أبي هریرة رضي الله عنه أن رسول الله صلی الله علیه و سلم قال:" أقرب ما یکون العبد من ربه و هو ساجد؛ فأکثروا الدعاء". [صحیح مسلم، کتاب الصلاة باب ما یقال فی الرکوع و السجود رقم الحدیث :١١١١]
অনুবাদ: হযরত আবু হুরায়রা রাদিয়াল্লাহু আনহু থেকে বর্ণিত আছে যে, নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন: “সিজদা অবস্থায় বান্দা আপন প্রভুর সবচেয়ে অধিক নিকটতম হয়ে থাকে। সুতরাং (ঐ অবস্থায়) তোমরা বেশী-বেশী করে দুআ কর।” [মুসলিম, সহীহ ১/৩৫৮,হাদিস নম্বর ১১১১]
▪অন্য বর্ণনায় এই শব্দের আধিক্যতার সাথে বর্ণিত হয়েছে :
"و أما السجود فاجتهدوا في الدعاء، فقمن أن یستجاب لکم". (صحیح مسلم، کتاب الصلاة، باب النهي عن قراء ة القرآن في الرکوع و السجود ، رقم الحدیث:١١٠٢)
অনুবাদ: "সিজদায় যতটা সম্ভব তোমরা প্রার্থনা করার চেষ্টা করো, এটা খুবই সম্ভব যে তোমাদের প্রার্থনা কবুল হবে"। [সহিহ মুসলিম হাদিস নম্বর ১১০২]
▪অপর বর্ণানায় এসেছে,
عَنْ أَبِى هُرَيْرَةَ أَنَّ النَّبِىَّ صلى الله عليه وسلم- كَانَ يَقُولُ فِى سُجُودِهِ « اللَّهُمَّ اغْفِرْ لِى ذَنْبِى كُلَّهُ دِقَّهُ وَجِلَّهُ وَأَوَّلَهُ وَآخِرَهُ
হযরত আবু হুরায়রা রা.থেকে বর্ণিত, রাসূল সা. সেজদায় পড়তেন আল্লাহুম্মাগফিরলি জামবি’কুল্লাহু দিক্কাহু ওয়া জিল্লাহু ওয়া আওয়ালাহু ওয়া আখিরাহু”। [তাহাবী শরীফ, হাদিস নং-১৩০৭, সুনানে আবু দাউদ, হাদিস নং-৮৭৮, সহীহ মুসলিম, হাদিস নং-১১১২]
কিন্তু নবী করিম সা. থেকে নামাজের সেজদায় দোয়া করার ব্যাপারে যেসব রেওয়ায়েত পাওয়া যায় তা নফল নামাজের সিজদায় দোয়া করার সাথে সম্পর্কিত। তাই সিজদায় যদি দোয়া করতেই হয় তাহলে নফল নামাযের সিজদায় আরবি ভাষায় কোরআন-হাদিসে বর্ণিত দোয়াগুলো করা উচিৎ।
আর নামাযে আরবি ভাষা ব্যতীত অন্য যে কোনো ভাষা চাই তা বাংলা হোক বা ইংরেজী বা উর্দু ইত্যাদি ভাষায় দোয়া করা জায়েয নেই, করলে নামায ভেঙ্গে যাবে।
তাই নফল নামাযে চাই তা তাহাজ্জুদ হোক বা অন্য নামায হোক সিজদায় গিয়ে কুরআন-সুন্নাহে বর্ণিত দুআ করা যাবে। বা কুরআন-হাদীসে আছে এমন দুআর সমার্থক শব্দের দুআ করা যাবে। বা আখেরাতের জন্য দুআ করা যাবে। কিন্তু দুনিয়াবী দুআ করা যাবে না। আরবী ছাড়া অন্য ভাষায়ও দুআ করা যাবে না।
দুনিয়াবী দুআ করলে বা আরবী ছাড়া অন্য ভাষায় দুআ করলে নামায ভেঙ্গে যাবে। দুনিয়াবী দুআ-যেমন হে আল্লাহ! আমাকে এক লাখ টাকা দান করেন আখেরাতের জন্য দুআ-যেমন-হে আল্লাহ আমাকে জান্নাত দান করেন।
ফরজ নামাজের সেজদায় গিয়ে নির্ধারিত তাসবীহ পড়াই উত্তম। নির্ধারিত দোয়া ও তাসবীহ পড়াই বিধেয়। ইচ্ছামত দোয়া করা ফরজ নামাজে অনুচিত। তাই যে কোনো নফল নামাযের সিজদায় আরবি ভাষায় দোয়া করতে পারবে।
▪ফতোয়ায়ে শামীতে এসেছে,
নামাযে আরবী ভাষায় দোয়া করতে পারবে এবং অন্য ভাষায় দোয়া করা নিষিদ্ধ। [ফতোয়ায়ে শামী ১/৫২১]
الدر المختار وحاشية ابن عابدين (رد المحتار) (1/ 521):
"(ودعا) بالعربية، وحرم بغيرها ...... (بالأدعية المذكورة في القرآن والسنة. لا بما يشبه كلام الناس)".
▪হালাবী কাবীরে এসেছে,
নবী করিম সা.থেকে বর্ণিত দোয়া সমূহ এবং যা কুরআনের শব্দের সাথে সাদৃশ্য রাখে এমন দোয়া করা যাবে। [ হালাবী কাবীর ৩৩৫ ]
ویدعو بالدعوات الماثورة أي المنقولة عن النبي صلی اللّٰہ علیہ وسلم الخ، ویدعو بما یشبہ ألفاظ القرآن۔ (حلبي کبیر ۳۳۵لاہور)
▪দুনিয়াবী দুআ করলে নামায ভেঙ্গে যায় কারণ নবী করিম সা. ইরশাদ করেছেন
إِنَّ هَذِهِ الصَّلَاةَ لَا يَصْلُحُ فِيهَا شَيْءٌ مِنْ كَلَامِ النَّاسِ، إِنَّمَا هُوَ التَّسْبِيحُ وَالتَّكْبِيرُ وَقِرَاءَةُ الْقُرْآنِ»
নিশ্চয় এ নামাযে মানুষের কথাবার্তার ন্যায় কথা বলা উচিৎ নয়। নিশ্চয় এটি তাসবীহ, তাকবীর এবং কুরআন তিলাওয়াতের স্থান। [সহীহ মুসলিম, হাদীস নং-৫৩৭]
হাকিমুল উম্মত আশরাফ আলী থানবি রহ.বলেন উক্ত হাদীস প্রমাণ বহন করে যে নামাজের ভিতর দুনিয়াবি কথাবার্তা বলা জায়েজ নেই। সুতরাং দুনিয়াবি দোয়া যেটা মানুষের কথার সাথে সাদৃশ্য রাখে,সেটি বলাও জায়েজ নেই।
قال العلامۃ التہانوي تحتہ: دل الحدیث علی أنہ لا یجوز في الصلاۃ شيء من کلام الناس، فتفرع علیہ أن الدعاء أیضاً إذا کان یشبہ کلامہم لا یجوز، وہو قول أبي حنیفۃ وأصحابہ وطاؤس وإبراہیم النخعي۔ (کذا في فتح الباري ۲؍۲۶۶، إعلاء السنن ۳؍۱۷۲ رقم: ۸۹۳ دار الکتب العلمیۃ بیروت)
যারা বাংলা ভাষায় সিজদায় দোয়া করার স্বপক্ষে মত দিয়ে থাকেন তাদের কে যদি জিজ্ঞাসা করা হয় তোমাদের মতের স্বপক্ষে রাসুলের কোনো হাদিস অথবা কোনো একজন সাহাবী বা তাবেয়ি আমল পেশ করুন, যে তারা অনারবী ভাষায় দোয়া করেছেন বা সমর্থন করেছেন। তারা সেটা প্রমাণ করতে পারবে না
বঙ্গদেশীয় সালাফি ভাইয়েরা সউদী স্কলারদের মতামত বর্ণানা করে বলেন,
" সার্বিক বিচারে সর্বাধিক সঠিক মত হল, আরবি না জানলে নিজ ভাষাতেই দুনিয়া ও আখিরাতের যে কোন কল্যাণের জন্য দুয়া করা জায়েয রয়েছে। এ মতটিকেই সউদী বড় আলেমগণ সমর্থন করেছেন।"
সে মত প্রমাণ করতে গিয়ে তারা কতিপয় হাদিস কে দলীল হিসাবে পেশ করে, সে হাদিসগুলো হলো
রাসুল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সল্লাম বলেছেন,
"أَقْرَبُ مَا يَكُونُ الْعَبْدُ مِنْ رَبِّهِ وَهُوَ سَاجِدٌ فَأَكْثِرُوا الدُّعَاءَ". أخرجه مسلم (1/350 ، رقم 482)
“সিজদা অবস্থায় বান্দা আপন প্রভুর সবচেয়ে অধিক নিকটতম হয়ে থাকে। সুতরাং (ঐ অবস্থায়) তোমরা বেশী-বেশী করে দুআ কর।” (মুসলিম, সহীহ ১/৩৫৮)
ইবনে মাসউদের হাদিসে যখন তিনি তাশাহহুদ শিক্ষা দিচ্ছিলেন তখন বলেছিলেন :
( ثُمَّ لِيَتَخَيَّرْ مِنَ الدُّعاَءِ أَعْجَبَهُ إِلَيْهِ فَيَدْعُوْا )
"অত:পর তার কাছে যে দু'আ পছন্দনীয়, তা নির্বাচন করে দু'আ করবে।"
অন্য এক বর্ণনায় আছে,
( ثُمَّ يَتَخَيَّرْ مِنَ الْمَسْأَلَةِ مَا شَاءَ )
" অতঃপর যা ইচ্ছা চেয়ে দু'আ করতে পারে।" (বুখারী হা/৮৩৫ ও মুসলিম হা/৪০২)
কিন্তু এ হাদিসগুলোতে একথা কোথায়ও উল্লেখ নেই যে মাতৃভাষায় দোয়া করা যাবে। তাই অন্যান্য সুরা কেরাত,তাসবিহ,তাশাহুদ যেভাবে আরবী ভাষায় পড়তে হয় সেভাবে সিজদায় দোয়াও আরবী ভাষায় করতে হবে।
সিজদায় ভিন্ন ভাষায় দোয়া করা যাবে না যেমনিভাবে ভিন্ন ভাষায় নামাযে সুরা,তাশাহুদ পড়া যায় না।
সুতারং যারা আরবীতে দোয়া পারি না তারা সুরা,তাশাহুদের ন্যায় আরবী দোয়াও শিখে নেওয়ার চেষ্টা করবো।
Khairul Islam 5/10/2021
দ্রব্যমূল্যের উর্ধ্বগতিতে বেসামাল আপনার প্রতিবেশী গরিবের সাহায্যে
নফল উমরাহ্'র টাকা দিয়ে দেন!
শরীআহ্ এমনটাই বলে।
- মুফতী হারুন ইযহার হাফিজাহুল্লাহ
১ নভেম্বর থেকে ঢাকায় মহিলাদের জন্য আরবী-বাংলা-ইংরেজী নূরানী মু‘আল্লিমা ও সহীহ কুরআন শিক্ষার নূরানী ক্বারিয়ানা ট্রেনিং
01715-039399
বাংলাদেশের সকল কওমী মাদরাসা অভিন্ন সিলেবাসে একটি বোর্ডের মাতাহাতে হলে সবচেয়ে ভালো হয়। তাহলে কল্যাণের পথে সবাই একসাথে থাকা সহজ হয়।
জাতীয় মসজিদ বাইতুল মুকাররমে
গত ২৫ অক্টোবর শুক্রবার প্রথম জুমু‘আয়
হযরত মাওলানা আবদুল মালেক দা. বা.-এর
জুমু‘আর খুৎবাহপূর্ব বয়ান ....
জাতীয় মসজিদে মুফতি আব্দুল মালেক {হাফি.} সাহেবের জুমা। m***i abdul malik baitul mukarram
“কওমী মহিলা মাদরাসা
ঐক্য পরিষদ” গঠিত বোর্ড
সফল হোক .....
রাজনীতিকে যারা ‘ইনকামের হাতিয়ার’ মনে করবেন, তারা ফ্যাসিবাদের করাল থেকে কিছুতেই বের হতে পারবেন না।
আর যারা রাজনীতিকে ‘জন সেবা’ মনে করবেন, তারা ফ্যাসিবাদকে কিছুতেই প্রশ্রয় দিতে পারবেন না।
Click here to claim your Sponsored Listing.
মাসিক আদর্শ নারী
❇️ রুচি ও প্রগতির সমন্বয়ে এ যুগের মেয়েদের দ্বীনি মাসিক পত্রিকা।
মাসিক আদর্শ নারী পড়ুন, লিখুন, প্রিয়জনদের উপহার দিন।
প্রতিষ্ঠাকাল : ১৯৯৪
প্রতিষ্ঠাতা সম্পাদক : মুফতী আবুল হাসান শামসাবাদী
🏠 অফিস :
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
১১/১, পুরানা পল্টন লাইন (এরিস্টো ফার্মার পাশে), ঢাকা-১০০০
Dhaka
1000
Dhaka
"Mind Splash Magazine" is an online based magazine which publishes magazine in PDF format every month
Dhaka
The best Bangladeshi stories from the world of lifestyle, fashion, food, business and travel that yo
Farmgate
Dhaka, 1216
Follow the trends with BoltZ News BD. We are active 24/7. #News #Tech #Sports #BoltZ
Shekhdi, Dania, Jartabari
Dhaka, 1236
Bike lover �� biker �� bike vidio creators ��& bike photo shoter��
Dhaka
Textile Xperts is a unique platform where we provide textile-related training, soft skills training,