Jashore Town যশোর টাউন
Nearby restaurants
Shahid Mosiur Rahman Sorok
Sadar Hospital Road
M K Road
Shekh Rasel Chottor
Jessore Molla Para
Rail Road
In Front of Monihar Cinema Hall
7400
Jashore
Raja Borda Khanto Road
Gari Khana Road
7460
jessore pourashava
jessore district map
jessore famous food
famous person of jessore
historical
গৌরবময় মুক্তিযুদ্ধ: যশোর
ডেট লাইন ৩ মার্চ :গণপরিষদের অধিবেশন আকস্মিকভাবে স্থগিত ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে যশোরবাসী। ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যশোর জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায় জানান, ছাত্রদের ঐ মিছিলটি কালেক্টরেট ভবনের কাছে এসে পৌঁছালে ভবনের ছাদে উত্তোলিত পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন তরুণ ছাত্রনেতা আব্দুল হাই। বেলা ১১টার দিকে টেলিফোন এক্সচেঞ্জে সেনা সদস্যদের দেখে উত্তেজিত ছাত্ররা তাদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। সেনা সদস্যরা তখন তাদের দিকে গুলিবর্ষণ করে। এতে এক্সচেঞ্জের অদূরে গোলপাতার ঘরে অবস্থানকারী মধ্যবয়সী নারী চারুবালা কর নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধে তিনিই যশোরের প্রথম শহীদ। বিকালে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় নীলগঞ্জ শ্মশানে। এ সময় শহরের দড়াটানা থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য।
উত্তাল মার্চ :৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর স্বাধীনতাকামী যশোরবাসী পাক সেনাদের ঘাঁটি যশোর সেনানিবাসে রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে এবং ছাত্রনেতা হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে 'জয়বাংলা বাহিনী' মার্চপাস্ট করে। ২৫ মার্চ যশোর সেনানিবাস থেকে সেনা সদস্যরা শহরে ঢোকার সময় মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মশিউর রহমানকে পাক বাহিনী শহরের সিভিল কোর্ট এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ৩০ মার্চ পাকসেনারা যশোর শহর ছেড়ে সেনানিবাসে ফিরে যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা ক্যান্টনমেন্টের চারদিক আরিফপুর, কাশিমপুর, খয়েরতলা, শানতলা জুড়ে অবস্থান নেয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ ডাব, রুটি, চিড়া এনে মুক্তিযোদ্ধাদের আপ্যায়ন করে। ওইদিনই (৩০ মার্চ) ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দীনের নেতৃত্বে যশোর সেনানিবাসের বাঙালি সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ৩১ মার্চ নড়াইল থেকে হাজার হাজার মানুষের জঙ্গি মিছিল আসে যশোরে। তারা শহরবাসীর সহায়তায় হামলা চালায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। মুক্তি পান সকল রাজবন্দী। যশোর ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন মেজর মঞ্জুর। আর সেখানে পাক বাহিনীর ১০৭ নম্বর ব্রিগেড মোতায়েন ছিল। এর কমান্ডার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান। যশোর সেনানিবাস থেকে পাক বাহিনী ৬টি জেলা নিয়ন্ত্রণ করতো।
চৌগাছার যুদ্ধ : নভেম্বর মাসে একাত্তরের যুদ্ধ চূড়ান্ত লগ্নে উপনীত হয়। ১৩ নভেম্বর চৌগাছা সেক্টরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯ নভেম্বর ভারতীয় মিত্র বাহিনী অবস্থান নেয় গরিবপুরে। ২১ ও ২২ নভেম্বর তাদের সঙ্গে পাক বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট বা বিএলএফের বৃহত্তর যশোর জেলা উপ-প্রধান জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম জানান, দুই পদাতিক বাহিনীর সর্বাত্মক লড়াই ছিল সেটা। পদাতিক বাহিনীকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পেছন থেকে গোলন্দাজ ও বিমান বাহিনী সহায়তা করে। এ যুদ্ধে পাক বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় হয়। পাকসেনারা দলে দলে খুলনার দিকে পালাতে থাকে। অনেক ইতিহাসবিদ চৌগাছার যুদ্ধকে ১৯৬৫ সালে খেমকারান সেক্টরে পাক-ভারত যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। চৌগাছার যুদ্ধে পাকিস্তানের ১১টি পেটন ট্যাঙ্ক ও ৩টি শ্যাবর জেট বিমান ধ্বংস হয়। নিহত হয় অন্তত ৩শ' পাকসেনা।
চৌগাছা যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় পাক বাহিনীর ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে। তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। রাজাকার-দালালরা পাকিস্তানি পক্ষ ত্যাগ করে দিক-বিদিক পালাতে থাকে। সৈন্যদের মনোবল চাঙা করতে ২২ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কমান্ডার নিয়াজী যশোর ক্যান্টনমেন্ট সফর করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। তখনকার মার্কিন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার 'দি হোয়াইট হাউস ইয়ার্স' গ্রন্থে ২১-২২ নভেম্বর চৌগাছায় ট্যাঙ্ক, বিমান ও গোলন্দাজ সংঘর্ষই 'পাক-ভারত যুদ্ধ শুরুর দিন' বলে উল্লেখ করেন।
যশোর দুর্গের পতন :৬ ডিসেম্বর সকালে ও দুপুরে দুই দফায় প্রচণ্ড লড়াই হয় ভারতীয় ৯ম পদাতিক ও ৪র্থ মাউন্টেন ডিভিশনের সাথে পাকিস্তানি ৯ম ডিভিশনের। সুরক্ষিত পাক দুর্গ বলে খ্যাত যশোর ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সৈন্য না থাকায় পাকিস্তানি সেনারা হতোদ্যম হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে থাকে। মুখোমুখি সে যুদ্ধে পাকসেনাদের অবস্থান ছিল যশোর ক্যান্টনমেন্টের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে আফরায়। বাংলাদেশের ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গরিবপুরে মিত্র বাহিনী অবস্থান নেয়। সীমান্তের ওপারে বয়রা থেকে দূরপাল্লার কামানের শেল এসে পড়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট, বিমান ঘাঁটিতে। আফরার প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ায় পাকসেনাদের পালানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। হৈবতপুর এবং আশপাশের গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ পাকসেনাদের হত্যা করতে থাকে। এই যুদ্ধে ভারতীয় অন্তত একশ' যোদ্ধা শহীদ হন। নিহত হয় বিপুল সংখ্যক পাকসেনা। শেষ পর্যন্ত পাক বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে খুলনায় পালিয়ে যায়। এভাবেই পতন ঘটে যশোর দুর্গের। ৬ ডিসেম্বর পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয় যশোর।
মুক্ত দিবসের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি: যশোর মুক্ত দিবস হিসেবে ৭ ডিসেম্বর পালন হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন। ২০১০ সাল থেকে হঠাত্ তা একদিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর করা হয়। এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বলেন, আমরা জাসদের উদ্যোগে সর্বপ্রথম ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস পালন শুরু করি। পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে দিনটি পালন শুরু হয়। একপর্যায়ে আমরা উপলব্ধি করি ৬ ডিসেম্বর যেহেতু পাক বাহিনী যশোর ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সে কারণে এই তারিখটিই মুক্ত দিবস হওয়া উচিত। জেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সভায় ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা তারিখটি সংশোধন করেছি।
৬ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস। ১৯৭১-এর এই দিনে যশোর জেলা সর্বপ্রথম পাক হানাদার মুক্ত হয়। বিজয়ের আনন্দে উদ্বেলিত যশোরবাসী ৭ ডিসেম্বর সকালে নেমে আসে রাস্তায়। 'জয় বাংলা', 'জয় বঙ্গবন্ধু' শ্লোগানে মুখরিত করে তোলে চারদিক। ঘরে ঘরে ওড়ে লাল-সবুজ পতাকা। পরম কাঙ্ক্ষিত স্বাধীনতা অর্জনে সারাদেশের মতো যশোরবাসীকেও দিতে হয়েছে চরম মূল্য। ঝরে গেছে অনেক তাজা প্রাণ। যশোরবাসীর সেই সংগ্রামের কাহিনীই তুলে ধরেছেন ইত্তেফাকের স্টাফ রিপোর্টার আহমেদ সাঈদ বুলবুল
ডেট লাইন ৩ মার্চ :গণপরিষদের অধিবেশন আকস্মিকভাবে স্থগিত ঘোষণার পর ক্ষোভে ফেটে পড়ে যশোরবাসী। ৩ মার্চ সর্বদলীয় ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ শহরে বিক্ষোভ মিছিল বের করে। যশোর জেলা জাসদের সভাপতি মুক্তিযোদ্ধা অশোক রায় জানান, ছাত্রদের ঐ মিছিলটি কালেক্টরেট ভবনের কাছে এসে পৌঁছালে ভবনের ছাদে উত্তোলিত পাকিস্তানের পতাকা নামিয়ে পুড়িয়ে ফেলেন তরুণ ছাত্রনেতা আব্দুল হাই। বেলা ১১টার দিকে টেলিফোন এক্সচেঞ্জে সেনা সদস্যদের দেখে উত্তেজিত ছাত্ররা তাদের ওপর ইটপাটকেল ছোঁড়ে। সেনা সদস্যরা তখন তাদের দিকে গুলিবর্ষণ করে। এতে এক্সচেঞ্জের অদূরে গোলপাতার ঘরে অবস্থানকারী মধ্যবয়সী নারী চারুবালা কর নিহত হন। মুক্তিযুদ্ধে তিনিই যশোরের প্রথম শহীদ। বিকালে তার লাশ নিয়ে যাওয়া হয় নীলগঞ্জ শ্মশানে। এ সময় শহরের দড়াটানা থেকে নীলগঞ্জ পর্যন্ত প্রায় তিন কিলোমিটার এলাকা ছিল লোকে লোকারণ্য।
উত্তাল মার্চ :৭ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ভাষণের পর স্বাধীনতাকামী যশোরবাসী পাক সেনাদের ঘাঁটি যশোর সেনানিবাসে রসদ সরবরাহ বন্ধ করে দেয়। ২৩ মার্চ স্বাধীন বাংলা ছাত্র সংগ্রাম পরিষদ ঢাকায় বঙ্গবন্ধুকে বাংলাদেশের পতাকা আনুষ্ঠানিকভাবে হস্তান্তর করে এবং ছাত্রনেতা হাসানুল হক ইনুর নেতৃত্বে 'জয়বাংলা বাহিনী' মার্চপাস্ট করে। ২৫ মার্চ যশোর সেনানিবাস থেকে সেনা সদস্যরা শহরে ঢোকার সময় মুক্তিকামী সাধারণ মানুষের চোরাগোপ্তা হামলার শিকার হয়। ২৬ মার্চ বঙ্গবন্ধুর ঘনিষ্ঠ সহচর গণপরিষদ সদস্য অ্যাডভোকেট মশিউর রহমানকে পাক বাহিনী শহরের সিভিল কোর্ট এলাকার বাসা থেকে ধরে নিয়ে হত্যা করে। ৩০ মার্চ পাকসেনারা যশোর শহর ছেড়ে সেনানিবাসে ফিরে যায়। এ সময় মুক্তিযোদ্ধারা ক্যান্টনমেন্টের চারদিক আরিফপুর, কাশিমপুর, খয়েরতলা, শানতলা জুড়ে অবস্থান নেয়। গ্রামের সাধারণ মানুষ ডাব, রুটি, চিড়া এনে মুক্তিযোদ্ধাদের আপ্যায়ন করে। ওইদিনই (৩০ মার্চ) ক্যাপ্টেন হাফিজউদ্দীনের নেতৃত্বে যশোর সেনানিবাসের বাঙালি সেনারা বিদ্রোহ ঘোষণা করে। ৩১ মার্চ নড়াইল থেকে হাজার হাজার মানুষের জঙ্গি মিছিল আসে যশোরে। তারা শহরবাসীর সহায়তায় হামলা চালায় যশোর কেন্দ্রীয় কারাগারে। মুক্তি পান সকল রাজবন্দী। যশোর ছিল মুক্তিযুদ্ধের ৮ নম্বর সেক্টরের অন্তর্ভুক্ত। কমান্ডার ছিলেন মেজর মঞ্জুর। আর সেখানে পাক বাহিনীর ১০৭ নম্বর ব্রিগেড মোতায়েন ছিল। এর কমান্ডার ছিলেন ব্রিগেডিয়ার হায়াত খান। যশোর সেনানিবাস থেকে পাক বাহিনী ৬টি জেলা নিয়ন্ত্রণ করতো।
চৌগাছার যুদ্ধ : নভেম্বর মাসে একাত্তরের যুদ্ধ চূড়ান্ত লগ্নে উপনীত হয়। ১৩ নভেম্বর চৌগাছা সেক্টরে ভয়ঙ্কর যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯ নভেম্বর ভারতীয় মিত্র বাহিনী অবস্থান নেয় গরিবপুরে। ২১ ও ২২ নভেম্বর তাদের সঙ্গে পাক বাহিনীর তুমুল যুদ্ধ হয়। এই যুদ্ধ প্রসঙ্গে বাংলাদেশ লিবারেশন ফ্রন্ট বা বিএলএফের বৃহত্তর যশোর জেলা উপ-প্রধান জাসদের কেন্দ্রীয় সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট রবিউল আলম জানান, দুই পদাতিক বাহিনীর সর্বাত্মক লড়াই ছিল সেটা। পদাতিক বাহিনীকে দ্রুত এগিয়ে যেতে পেছন থেকে গোলন্দাজ ও বিমান বাহিনী সহায়তা করে। এ যুদ্ধে পাক বাহিনীর শোচনীয় পরাজয় হয়। পাকসেনারা দলে দলে খুলনার দিকে পালাতে থাকে। অনেক ইতিহাসবিদ চৌগাছার যুদ্ধকে ১৯৬৫ সালে খেমকারান সেক্টরে পাক-ভারত যুদ্ধের চেয়েও ভয়ঙ্কর ছিল বলে উল্লেখ করেছেন। চৌগাছার যুদ্ধে পাকিস্তানের ১১টি পেটন ট্যাঙ্ক ও ৩টি শ্যাবর জেট বিমান ধ্বংস হয়। নিহত হয় অন্তত ৩শ' পাকসেনা।
চৌগাছা যুদ্ধে শোচনীয় পরাজয় পাক বাহিনীর ভয়াবহ বিপর্যয় ডেকে আনে। তাদের মনোবল ভেঙ্গে পড়ে। রাজাকার-দালালরা পাকিস্তানি পক্ষ ত্যাগ করে দিক-বিদিক পালাতে থাকে। সৈন্যদের মনোবল চাঙা করতে ২২ নভেম্বর পূর্ব পাকিস্তানের সামরিক কমান্ডার নিয়াজী যশোর ক্যান্টনমেন্ট সফর করেও শেষ রক্ষা করতে পারেননি। তখনকার মার্কিন প্রতিরক্ষা উপদেষ্টা হেনরি কিসিঞ্জার 'দি হোয়াইট হাউস ইয়ার্স' গ্রন্থে ২১-২২ নভেম্বর চৌগাছায় ট্যাঙ্ক, বিমান ও গোলন্দাজ সংঘর্ষই 'পাক-ভারত যুদ্ধ শুরুর দিন' বলে উল্লেখ করেন।
যশোর দুর্গের পতন :৬ ডিসেম্বর সকালে ও দুপুরে দুই দফায় প্রচণ্ড লড়াই হয় ভারতীয় ৯ম পদাতিক ও ৪র্থ মাউন্টেন ডিভিশনের সাথে পাকিস্তানি ৯ম ডিভিশনের। সুরক্ষিত পাক দুর্গ বলে খ্যাত যশোর ক্যান্টনমেন্টে পর্যাপ্ত সৈন্য না থাকায় পাকিস্তানি সেনারা হতোদ্যম হয়ে যুদ্ধক্ষেত্র ছেড়ে পালাতে থাকে। মুখোমুখি সে যুদ্ধে পাকসেনাদের অবস্থান ছিল যশোর ক্যান্টনমেন্টের ১০ কিলোমিটার পশ্চিমে আফরায়। বাংলাদেশের ৮ কিলোমিটার অভ্যন্তরে গরিবপুরে মিত্র বাহিনী অবস্থান নেয়। সীমান্তের ওপারে বয়রা থেকে দূরপাল্লার কামানের শেল এসে পড়ে যশোর ক্যান্টনমেন্ট, বিমান ঘাঁটিতে। আফরার প্রতিরোধ ভেঙ্গে পড়ায় পাকসেনাদের পালানো ছাড়া গত্যন্তর থাকে না। হৈবতপুর এবং আশপাশের গ্রামের মুক্তিকামী মানুষ পাকসেনাদের হত্যা করতে থাকে। এই যুদ্ধে ভারতীয় অন্তত একশ' যোদ্ধা শহীদ হন। নিহত হয় বিপুল সংখ্যক পাকসেনা। শেষ পর্যন্ত পাক বাহিনী যশোর ক্যান্টনমেন্ট ছেড়ে খুলনায় পালিয়ে যায়। এভাবেই পতন ঘটে যশোর দুর্গের। ৬ ডিসেম্বর পুরোপুরি শত্রুমুক্ত হয় যশোর।
মুক্ত দিবসের তারিখ নিয়ে বিভ্রান্তি: যশোর মুক্ত দিবস হিসেবে ৭ ডিসেম্বর পালন হয়ে আসছিল দীর্ঘদিন। ২০১০ সাল থেকে হঠাত্ তা একদিন এগিয়ে ৬ ডিসেম্বর করা হয়। এ প্রসঙ্গে বীর মুক্তিযোদ্ধা অ্যাডভোকেট রবিউল আলম বলেন, আমরা জাসদের উদ্যোগে সর্বপ্রথম ৭ ডিসেম্বর যশোর মুক্ত দিবস পালন শুরু করি। পরবর্তীতে ব্যাপকভাবে দিনটি পালন শুরু হয়। একপর্যায়ে আমরা উপলব্ধি করি ৬ ডিসেম্বর যেহেতু পাক বাহিনী যশোর ছেড়ে চলে গিয়েছিল, সে কারণে এই তারিখটিই মুক্ত দিবস হওয়া উচিত। জেলা প্রশাসনসহ সকল রাজনৈতিক দলের সাথে সভায় ঐক্যমতের ভিত্তিতে আমরা তারিখটি সংশোধন করেছি।
অহংকারী ব্যক্তি কখনো বুঝতে পারে না যে
সে আসলে একটা মূর্খ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Address
Doratana Mor, Jashore
Jessore
7400
1016 Airport Road;Joya Trisha Complex; Shop No : 01; Arobpur More
Jessore, 7400
"MAWA'S CAFE Is A Good Place For All Foodies"
14 Rail Road
Jessore, 7400
Family style restaurant. Here we serve best Thai and continental food in jessroe.
Upashahopr
Jessore, 7400
We are offering different types of cuisine. This page is specially for those who love to eat in a Ha