Niloy Rasul- নিলয় রসুল

নিজের মনের খুশিতে লিখি। নেশা বলতে যদি কিছু থাকে সেটা সাহিত্য। আত্মার খোরাক আরকি।

20/05/2024

ফিরব না নীড়ে,
খুঁজবো না ভীড়ে,
আমার আমিকে।
#নিলয়_রসুল

29/12/2023

চলতি পথে হয় না ভয়,
তবুও রয়ে যায় ক্ষয়৷
লড়ার শেষ ইচ্ছেটাও মরে যায়,
তবুও ছুটে যেতে হয়৷ হয় নাকি!

#নিলয়_রসুল

24/12/2023

#নেকড়ে_বাদী
#নিলয়_রসুল
আশফাক সাহেব হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছেন। তার বউয়ের মেয়েলি সমস্যা সে জানে না। জানে তার বউয়ের পুরোনো বন্ধু। 'আগের থেকে সুন্দরী হয়ে গেছো' কথাটা কোনোভাবে মন থেকে মুছতে পারছেন না তিনি। জীবনটা অনর্থক মনে হচ্ছে উনার।

আশফাক সাহেব আবারও আকাশের দিকে তাকালেন। সুবিশাল আকাশটা রক্তিম হয়ে আছে। সূর্য অস্ত যাবার প্রস্তুতি নিচ্ছে। কিছু পাখি উদ্দেশ্যহীন ভাবে ডানা মেলে নীড়ে ফিরছে।

তার জীবনটাও অস্ত গেলে ভালো হতো। সুবিশাল আকাশের থেকেও তার ভালোবাসা বড় ছিল। তবে এমন রক্তিম ছিল না। ছিল শরতের স্বচ্ছ আকাশের মতো শুভ্র৷ শুভ্র আকাশে পেঁজা তুলোর মতো মেঘগুলির মতোন ছিল তার খুনসুটি।

আশফাক সাহেব অবাক হলেন। তিনি সবকিছু চিন্তা করছেন পাস্ট ইনডিফিনাইট টেন্সে। বর্তমান নিয়ে তিনি কিছু ভাবতেও পারছেন না আর। তার কাছে মনে হচ্ছে জীবনের সবকিছু এখন অতীত। সব ই অতীত। শুধু এই অস্তমিত সূর্য আর রক্তিম আকাশটা বর্তমান।

'আচ্ছা আমার বুকের ভেতরটাও কি এমন রক্তিম? নাকি ক্ষতটা আরও বেশি? গভীর।' মনের অজান্তেই সঙ্গোপনে দীর্ঘক্ষন ধরে আটকে রাখা একটা দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। অথচ তিনি ঠিক করেছিলেন আর দীর্ঘশ্বাস ফেলবেন না। জীবন কখনো বেঁধে দেয়া নিয়মে চলে না। জীবন চলে আপন গতিতে৷

আশফাক সাহেব সিগারেট ধরালেন। চোখ বন্ধ করে লম্বা টান দিলেন৷ রক্তিম আকাশের দিকে তাকিয়ে ধোঁয়া ছাড়তে ছাড়তে ভাবলেন, তিনি ভুল কথা বলেছেন। জীবন আসলে আপন গতিতেও চলে না। জীবন চলে সমাজের নিয়মে। যে সমাজটাকে ঘুনে পোকা খেয়ে ফেলেছে। ঘুনে খাওয়া জায়গায় আশ্রয় নিয়েছে নাড়ি বাদীরা।

সিগারটে দ্বিতীয়বার লম্বা টান দিয়ে মাথা নাড়াতে নাড়াতে ভাবলেন, তিনি আবারও ভুল করছেন। শব্দটা আসলে নাড়ি বাদী না। শব্দটা হবে নারী বাদী। আচ্ছা শব্দটা নেকড়ে বাদী হলে কেমন হতো? বেশ হতো।

তারা নেকড়ের মতোই ভয়ানক। হিংস্র। ঘুনে খাওয়া অংশ থেকে তারা ভয়ানক থাবা বসাচ্ছে। খামছে ধরেছে সমাজকে। খামছে খামছে সমাজকে শেষ করছে। সমাজের ঘুনে পোকারা এখন অবসরে চলে গেছে। তারা এখন শক্তি সামর্থহীন। কারণ সমাজ এখন নেকড়ের দখলে।

আশফাক সাহেবের ইচ্ছে করছে তার স্ত্রীকে এখন রাস্তায় টেনে নামাতে। তারপর কষে গালে থাপ্পড় মারতে। একটা না। চার পাঁচটা। না চার পাঁচটাও না। যতক্ষণ রাগ মিটবে না ততক্ষণ।

ইচ্ছে করছে থাপড়ায়ে সবকটা দাঁত ফেলে দিতে। গালে পাঁচ আঙুলের দাগ বসায় দিতে। যেন পরবর্তীতে কোনো বন্ধুকে সে আর ছবি দিতে না পারে ইনবক্সে। দিলেও কেউ যেন বলার সুযোগ না পায়, তুমি আগের থেকে অনেক সুন্দরী হয়ে গেছো।

ইচ্ছে না থাকলেও তিনি আবারও দীর্ঘশ্বাস ফেললেন। তিনি উদ্ভট সব চিন্তা করছেন। তার চিন্তাধারা কি রাস্তা বদলাচ্ছে? প্রাচীন আমলে চলে যাচ্ছে? বুনো মানুষের মতো সে চিন্তাভাবনা করছে।

বুনো মানুষেরা তারা গাছের পাতা দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকতো। কিন্তু তিনি তো গাছের পাতা দিয়ে লজ্জাস্থান ঢাকছেন না। তিনি পিওর কটন কাপড়ের ধুসোর রংয়ের শার্ট পরেছেন। হালকা নীলচে কালারের প্যান্ট পরেছেন৷ পায়ে কালো স্যু। ফর্মাল গেটআপে আছেন।

বাইরে থেকে দেখলে কেউ বলবে না, তিনি এখন বুনো মানুষের মতো চিন্তা করছেন। আচ্ছা বুনো মানুষরা কি জীবনসঙ্গীকে ফাঁকি দিত? তারাও কি পরকীয়া করতো? হয়তোবা করতো না। তারা আধুনিক হবার জন্য নোংরা মানসিকতার জন্ম দেয়নি। তারা বাচ্চা কাচ্চা জন্ম দিয়েছে। তারা পরবর্তীতে স্মার্টনেস, বেস্ট ফ্রেন্ডের সাথে ক্লোজলি চলেফেরার মতোন নোংরামির জন্ম দিয়েছে।

দূরে আজানের সুমধুর সূর ভেসে আসছে। আশফাক সাহেব অবাক হলেন। তিনি ভেবেছিলেন নদীর পাড়টা নির্জন। বড়ই নিশ্চুপ। কোথাও কেউ নেই। তার আসলে ভাবনা তে ভুল আছে৷ কিছু দূরেই জনবসতি আছে।

তার সব ভাবনা-ই ভুল। তিনি সারাজীবন ভুল ভেবেই এসছে। চোখ বন্ধ করে ভুলে ভরা একটা সমুদ্রে সাঁতার কাটতে চেয়েছেন তিনি। ভুলটা এখানেই। তিনি যেটাকে সমুদ্র ভেবেছেন সেটা আসলে মহাসমুদ্র। প্রশান্ত আটল্যান্টিকের থেকেও বড় মহাসাগর।

জীবন সমুদ্র। যার শুরু আছে কিন্তু শেষ নেই। এটা জীবন নামক জুয়া খেলার আসর। এত সহজ না এখানে সবকিছু। এখানে বিল গেটসেরও সংসার টিকে না। ডিভোর্স হয়। কিন্তু রোজ সকালে নিয়ম করে ময়লা নিতে আসা পৌরসভা কর্মী দিব্যি লিভারে পাথর নিয়ে পেটের চিনচিনে ব্যথা সহ্য করে হাসিমুখে সংসার করে একটা জীবন পার করে দেয়।

তাদের ভেতর নেকড়ে বাদীদের আচড় নেই। কারণ তাদের সংগ্রাম করে টিকে থাকতে হয়। পার্সোনাল স্পেস খুঁজে না তারা। যেখানে যতবেশি পার্সোনাল স্পেস সেখানে ততবেশি নোংরামি।

আশফাক সাহেব সিগারেট ফেলে দিলেন। স্যু এর গোড়ালি দিয়ে সেটা নেভাতে নেভাতে স্বস্তি পেলেন৷ তিনি একটা দারুণ কথা ভেবেছেন, 'যেখানে যতবেশি পার্সোনাল স্পেস সেখানে ততবেশি নোংরামি।'

আসলেই তাই। এরা জীবনসঙ্গীর থেকে পার্সোনাল স্পেস খোঁজে। আবার সেই পার্সোনাল স্পেসে আরেকটা ছেলে এসে শুয়ে পড়ছে। অদ্ভুত সমাজব্যাবস্থা মানুষের। আশফাক সাহেব মাথা ঝাকেলেন। তিনি সামান্য ভুল বলেছেন। কথাটা হবে, 'অদ্ভুত সমাজব্যাবস্থা নেকড়ে বাদীদের।'

২.
নিতু খাবার বাড়ছে। আশফাক সাহেবের দিকে বার কয়েক তাকালো৷ বুঝে উঠতে পারছে না। কী হয়েছে৷ সকাল থেকে তার স্বামী তার সাথে কথা বলছে না ঠিকমতে৷ ব্যাপারটা সে ধরতে পারল রাতে।

আশফাক সাহেব বাসায় ফিরল উদভ্রান্তের মতো৷ চুল এলোমেলো। শার্টের ইন খুলে গেছে। শার্ট একসাইড ইন করা আরেক সাইড খোলা। মনে হচ্ছে সে নেশাগ্রস্ত। মাতাল। কিন্তু তার শরীর থেকে মদের গন্ধ বের হচ্ছে না। বের হচ্ছে সিগারেটের কটু গন্ধ। দম বন্ধ হবার উপক্রম।

নিতু জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে।
আশফাক সাহেব শুধু নিতুর চোখের দিকে তাকালো একবার। এই চোখকে সে বিশ্বাস করে দিনরাত পরিশ্রম করেছে। এখন মনে হচ্ছে সব ই অনর্থক।

নিতু আবারও জিজ্ঞেস করল, কী হয়েছে?
আশফাক সাহেব উত্তর দিল না। চোখ বন্ধ করতেই চেখের সামনে ভেসে উঠল মেসেজটা, তোমার পিরিয়ডের সমস্যা কি ঠিক হয়েছে? এখনও কি অনিয়মিত হয়? '

আশফাক সাহেবের হাত শক্ত হয়ে আসছে৷ তিনি নিজেকে সামলালেন। গায়ে হাত তোলা কোনো সমাধান না। বড় বড় কবিরা বলে গেছেন, পৃথিবীতে সবথেকে বড় ছলনাময়ী হলো নারী৷ তার এখন সেটাই সত্যি মনে হচ্ছে। নারীকে চেনার জন্য একটা জীবনও যথেষ্ট নয়।

নিতু জিজ্ঞেস করল, ভাত কি আর দেব? আশফাক সাহেব কিছু বললেন না। নিতু এক চামচ ভাত তুলে প্লেটে দিল। আশফাক সাহেব প্লেট মেঝেতে ছুড়ে মারলেন। নিতু চমকে উঠেছে৷ আশফাক সাহেব উঠে দাঁড়ালেন। চোখ লাল করে বলল, তোকে আমি ভাত দিতে বলেছিহ্? নাটক করিস আমার সাথেহ্?

নিতুর হাত কাঁপছে। থরথর করে কাঁপা যাকে বলে আরকি। ওকে কখনো তুই বলে সম্বোধন করেনি। কখনো চিৎকার করে কথা বলেনি। অথচ আজ ঠিক তা-ই হলো। নিতু ক্ষণকালের জন্য ভেবেছিল তাকে চড় মারবে। কিন্তু নিতুর ভাবনা ভুল প্রমানিত হলো।

আশফাক সাহেব হাত ধুলেন। বেডরুমে গেলেন না। গেলেন গেস্টরুমে। দরজা বন্ধ করে দিলেন। পাশের রুম থেকে তার দুবছরের বাচ্চার কান্নার শব্দ ভেসে আসছে।

নিতু ওর বাচ্চাকে থামানোর জন্য গেল না। বাচ্চাটা চিৎকার করে করে কাঁদছে। নিতু হতভম্ব হয়ে দাঁড়িয়ে আছে। আশফাক সাহেব বেলকনিতে দাঁড়িয়ে সিগারেট ধরালেন।

৩.

রাত সাড়ে তিনটা। আশফাক সাহেব সকালের ঘটনাগুলো মনে করার চেষ্টা করলেন। অফিসে যাবার জন্য রেডি হচ্ছিলেন। এমন সময় নিতুর ফোন তার চোখে পড়ল। কখনো তিনি যে কাজটা করেননি। নিজের অজান্তে ঠিক সেটাই করলেন।

নিতুর মেসেঞ্জারে ঢুকলো। অপরিচিত ছেলের আইডি দেখে চমকে গেলেন। কনভারসেশনে ঢুকলেন। দীর্ঘ কনভারসেশন। বুঝতে পারলেন পুরোনো বন্ধু। খুব স্বাভাবিক স্ক্রল করছিলেন৷ হটাৎ তার চোখ আটকে গেল।

নিতুর মেয়েলি ব্যাপারে সে প্রশ্ন করেছে। নিতু স্বাচ্ছন্দে উত্তর দিচ্ছে। ব্যাপারটা অনেকটা এমন তারা এ বিষয়ে কথা বলতে কমফোর্টেবল ফিল করছে। এর আগেও তারা কথা বলেছে অসংখ্যবার এ বিষয়ে। বোঝায় যাচ্ছে।
তারপরের কথাবার্তা তার খারাপ লাগা আরও বাড়িয়ে দিল।

দু'জন দু'জনের ছবি চাওয়াচাওয়ি করল। এবং সেগুলো আনসেন্টও করে দিয়েছে। ছেলেটা নিতুর প্রসংশা করছে। নিতু সেগুলো বেশ এনজয় করছে। নিতু আহ্লাদী করে লিখেছে, আপনাকে চেনায় যাচ্ছে না।

আশফাক সাহেব সহজে ভাবে নিতে পারেনি ব্যাপারগুলো। স্বাভাবিক ভাবে কেউ ই নিতে পারবে না। অতীত সবার থাকতে পারে৷ বর্তমান সময়ে এসে অস্বাভাবিক কিছু না।

কিন্তু সেটা গোপন রাখা হলো কেন! আর সমস্যা থাকলে গোপন থাকবে। থাকুক। কিন্তু বিয়ের পর এসে কেন হুট করে এত লম্বা সময় নিয়ে কথা বলবে ছেলেটার সাথে। সেটাও মাঝরাতে। তা আবার গড়িয়েছে ভোর পর্যন্ত।

আশফাক সাহেব আর কিছু ভাবতে পারছেন না। তার সবকিছু আবারও এলোমেলো লাগছে। সে এগুলো পছন্দ করে না। সে নিতুকে বারবার বলেছে এসব। একসাথে চলতে গেলে বন্ধু বান্ধবী হবেই। কিন্তু তাদের সাথে কথা হবে নির্দিষ্ট সময় পর্যন্ত। রাত দশটা। সর্বোচ্চ এগারো টা। মাঝরাতে নয়। এটাকে আধুনিকতা বলে না। নোংরামী বলে। নষ্টামি বলে।

হয়তো বাধ্য হয়ে সংসার করতে হবে ওনাকে। হয়তোবা নয়। সে প্রচুর ভালোবাসে নিতুকে। নিতুও তাকে ভালোবাসে৷ কিন্তু সে ভালোবাসা চব্বিশ ক্যারেট সোনার মতো নিরেট নয়। সে ভালোবাসায় খাদ আছে৷ যে খাদটাকে বলা হচ্ছে পার্সোনাল লাইফ। আধুনিকতা।

সমাজে নারীদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য অনেকে আছে। কারণ সবাই হিরো হতে চায়। যে ছেলেটের মোছ ওঠেনি। সবে বয়ঃসন্ধিকাল আসবে আসবে করছে, সেও রাস্তায় কোনো মেয়ের সাথে ছেলের উচ্চবাচ্য হচ্ছে দেখলেই মেয়ের পাশে গিয়ে দাঁড়াবে। ছেলেটাকে মারতে যাবে। হিরো সাজবে। অথচ একবারও জিজ্ঞেস করবে না, ভাই আপনি কে? আপনার সাথে ওনার কী সম্পর্ক?

হরমোন নিঃসরণ রাস্তার পুরুষরা এখনও নিয়ন্ত্রণ করা শিখতে পারল না। যেকোনো ভাবেই হোক মেয়েদের সামনে গিয়ে হিরো সাজতে হবে।

শারীরিক ভাবে মেয়েদের শক্তি কম তাই মেয়েরাই দূর্বল। সমাজ সিল মেরে দিয়েছে। এই সিলটা মারিয়েছে নারীরা নিজেই। তাদের পক্ষ নেবে সমাজ। নিয়েছেও তাই। হাতেনাতে বউকে পরকীয়া করতে দেখেও বেশি কিছু বলতে পারে না পুরুষ এখন আর। কারণ নারী নির্যাতনের মামলা এখন খুব এক্টিভ।

মানসিক নির্যাতনের দায়ে একটা পুরুষের পাশে দাঁড়াবে না কেউ। দিনের পর দিন মানসিক যন্ত্রণা সহ্য করতে করতে একটা ছেলে মৃত্যুর কোলে ঢোলে পড়তে পারে। কেউ কখনো এগুলো ভাববে না। দেখবে না।

সমাজ নারীকে বেশি গুরুত্ব দেয়। একটু ফ্লার্ট করা হবে৷ উত্তেজনাপূর্ন কথা বলা যাবে৷ কথায় পটাতে পারলে রুম পর্যন্ত চলে আসাও বৈচিত্র্য কিছু না। সুযোগ হাতছাড়া করতে কে চায়!

নারী বুঝতেও পারল না তাকে খুব কেয়ার দেখানো ছেলেটা তার সাথে গোপনীয় কথা বলে, খোঁজ খবর নেয়। কিন্তু সেটা নিজের মানসিক যৌন তৃপ্তির জন্য। ওদিকে নারী ভাবে ওই ছেলেটা আমার কেয়ার করে।

আমার প্রেমিক বা স্বামী আমাকে সময় দেয় না। ওই ছেলেটা দেয়। আমার সবকিছু মনে রাখে। নিজেকে স্মার্ট ভাবা বোকা নারী বুঝলোও না তাকে শুধু ব্যাবহার করা হয়। আর কিছু না।

জন্মদিনে রাত বারোটাতেই উইশ করা ছেলেটা আর যায়হোক কেয়ার করে না। কেয়ার করে সে, যে ছেলেটা তাকে ভালো রাখার জন্য দিনরাত পরিশ্রম করে। একদিন মন ভালো রাখার জন্য। সারাজীবনের জন্য।

আধুনিকতা শব্দের মারপ্যাচে সমাজে যে নষ্টামি নোংরামি শুরু হয়েছে এর শেষ কোথায় আশফাক সাহেব জানেন না। জানাতেও ইচ্ছে করছে না। তার আর সংসার করতে ইচ্ছে করছে না।

ইচ্ছে করছে দূরে কোনো পাহাড়ে চলে যেতে। সেখানে গিয়ে পশুপাখির মতো জীবন যাপন করতে। ঘন ঘন নিঃশ্বাস পড়ছে তার। তিনি কি বেশি উত্তেজিত হয়ে পড়ছেন!

৪.

আশফাক সাহেব সকালের নাস্তা করছেন। নিতু তার তিন বছরের ছেলেকে খাওয়ানোর চেষ্টা করছে। বাচ্চাটা খাবার মুখে নিচ্ছে। পরক্ষণেই নিতুর কোলে তা ফেলে দিচ্ছে। ফেলার সাথে সাথে তার সে কি বাধ ভাঙা উচ্ছাস! বারংবার হাত তালি দিচ্ছে। নিতু মেকি রাগ দেখাচ্ছে। আবার খাওয়াচ্ছে। খাওয়াতে গিয়ে সে হেসে ফেলছে।

আশফাক সাহেব সেদিকে আনমনে এক দৃষ্টিতে চেয়ে আছে। হঠাৎ খেয়াল করলেন নিতু তার দিকে হাসিহাসি মুখে তাকিয়ে আছে। আশফাক সাহেবও একটু হাসার চেষ্টা করলেন।

এইতো তার সংসার। তার বেচে থাকার অবলম্বন। তার বেলাশেষে ঘরে ফেরা। তার নিতু, তার সন্তান। তার জীবন। তাদের সংসারে নতুন অতিথি আসতে চলেছে। সংসারের বেশ ফুরফুরে হাওয়া বইছে৷

আশফাক সাহেব সোফায় বসে কফির মগে চুমুক দিচ্ছেন আর পত্রিকা পড়ছেন। একটু পর ই অফিসের উদ্দেশ্য রওনা হবেন। নিতু পাশে বসে আছে। টিভি দেখছে। খবরের চ্যানেল আসতেই হটাৎ করে সে সোজা হয়ে বসলো।

তার ভ্রু জড়ো হয়ে গেছে। গভীর ভাবে শ্বাস নিচ্ছে সে। আশফাক সাহেব আঁড়চোখে তা দেখলেন। কফির মগে চুমুক দেবার আগ মুহূর্তে তার ঠোঁটের কোনে এক চিলতে হাসি দেখা যাচ্ছে।

নিতু থ মেরে বসে আছে। আশফাক সাহেব অফিসের উদ্দেশ্য রওনা দিলেন। কফির মগে চুমুক দেবার আগে তার ঠোঁটের কোনে হাসিটা এখন প্রসারিত হচ্ছে ধীরে। কুৎসিত ভয়ংকর সে হাসি। তিনি মনে মনে হাসলেন। এটা হবার ই ছিল।

আশফাক সাহেবের মাথায় হটাৎ একটা চিন্তা আসলো। নেকড়ে তো পুরুষবাচক শব্দ। নেকড়ের স্ত্রীবাচক শব্দ কি? নেকড়ী? তাহলে কি নেকড়ে বাদী না হয়ে নেকড়ী বাদী হওয়া উচিত কথাটা! আশফাক সাহেব মাথা নাড়ালেন। তিনি আর অতীত নিয়ে চিন্তা করবেন না। চিন্তা করার দরকারও নেই আর।

সমাপ্ত।

©নিলয় রসুল

27/02/2023

মরুভূমির শেষ রাত্তির।
ধীরে ধীরে কমে আসছে ঘুটঘুটে অন্ধকার।
বেলা ফুটবে একটু পরেই।
শীতল হাওয়া বইবে জলহীন মরুর বুকে।
দূরে কোথাও ডাক শুনি।
ধুঁকে ধুঁকে টিকে থাকা জীবনে ঘটবে বেঁচে থাকার আশা।
এক ফোটা জল।
অতলে তলিয়ে যাবে সমস্ত ক্লান্তি।
বেঁচে ফিরব আপন নীড়ে।
হঠাৎ ঝড় উঠল।
চারিদিকে তাকিয়ে দেখি
শূন্য এ প্রান্তরে
মরুর বুকে কেউ নেই।
কোথাও কেউ নেই!
কেবল-ই ঝড়ের সাথে বয়ে যাচ্ছে হাঁপিয়ে ওঠা ক্লান্ত দীর্ঘশ্বাস..
#নিলয়_রসুল

Want your public figure to be the top-listed Public Figure in Kushtia?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Videos (show all)

জুনিয়র ছেলেপেলে হয়ে তারা মাসুদের মতো কাজকাম করে। মাসুদের সাথে সাথে এরাও ভালো হয়ে যাক। যে জাতির পথ থাকে সে জাতি পথভ্রষ্ট ...
অনেকদিন পর আবৃত্তি করলাম। আমার খুব প্রিয় অভ্যাস কবিতা বানাতে বানাতেই সেটা আবৃত্তি করা কোনো বিরতি ছাড়াই। বছর খানেক পর চেষ...

Category

Telephone

Website

Address


N. S Road
Kushtia

Other Writers in Kushtia (show all)
LALON LALON
Kushtia

Lalon Fakir was born in 1774 in an obscure village in the district of Kushtia, in Bangladesh. One of

Roja Rahman - নাঈমা Roja Rahman - নাঈমা
Kushtia

“ The Novelist ” _____শখের বশে লেখালেখি করি হৃদয় নিংড়ানো শব্দ দিয়ে বাক্য সাজাই _____

মায়া彡 মায়া彡
Kushtia To Dhaka Highway
Kushtia

আমায় ডেকো একা বিকেলে �� কখনো কোনো ব্যথা পেলে��

রাকিব-Rakib রাকিব-Rakib
Kushtia

༺༒Ꭺℓнαм∂υℓιℓℓαн ༒༻ Ꮖ.αм Ꮇυѕℓιм

Ruhul Amin Bijoy Ruhul Amin Bijoy
Khoksa
Kushtia, 7020

DREAMER OF BEING CONTENT CREATOR, ENTREPRENEUR BLOGGER, I need your support for ful

Break Up Official Break Up Official
Kushtia
Kushtia

Himu Himu
Gazipur
Kushtia

This colorless me,,

Oasif Islamic.Chanal Oasif Islamic.Chanal
Kushtia

Unknown database rich page based on Holy Quran and Islamic topics.

Mr.SOJIB YT Mr.SOJIB YT
Kushtia

Plesse Follow my new page. Or support me ��

Shourov Squad Shourov Squad
Kushtia, 17

Meme writer at "Kiree Baal?" 😉

দেবদাস দেবদাস
Kushtia

"আপনার প্রতি সাংঘাতিক ভালবাসা আর অগাধ বিশ্বাসের কারনে! আজ আমার সঙ্গী হয়েছে অন্ধকারে ঘেরা চার দেয়াল..!

Emon-ইমন Emon-ইমন
Kushtia
Kushtia, 7000

অনন্ত মহাকালে মোর যাত্রা