Ghior D.N Pilot High School- ঘিওর ডি.এন পাইলট উচ্চ বিদ্যালয়

"শুভ জন্মদিন মানিকগঞ্জ জেলা"

৩৬ বছরে পা রাখলো মানিকগঞ্জ জেলা
-------------------------------------------------------
-------------------------------------------------------
মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রতিষ্ঠিত হয় ১৮৪৫ সালের মে মাসে। মানিকগঞ্জ মহকুমা প্রথমে ফরিদপুর জেলার অধীন ছিল। প্রশাসনিক জটিলতা নিরসনে ১৮৫৬ সালে মানিকগঞ্জ মহকুমাকে ফরিদপুর জেলা থেকে ঢাকা জেলায় অন্তর্ভূক্ত করা হয়। ০১ মার্চ ১৯৮৪ সালে মানিকগঞ্জকে স্বতন্ত্র জেলায় উন্নীত করা হয়। ১৩৭৮.৯৯ বর্গকিলোমিটার আয়তনের মানিকগঞ্জ জেলার বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ১৪ লক্ষ। এ জেলার উপজেলা রয়েছে ০৭ টি, পৌরসভার সংখ্যা ০২টি। জেলার সাতটি উপজেলার মধ্যে সর্ববৃহৎ উপজেলা হরিরামপুর এবং সবচেয়ে ছোট উপজেলা সাটুরিয়া। পদ্মা, যমুনা, ধলেশ্বরী, ইছামতি, কালিগঙ্গা নদী বেষ্টিত মানিকগঞ্জ জেলায় ৬৫ টি ইউনিয়ন আর ১৬৬৮টি গ্রাম রয়েছে। এ জেলার শিক্ষার হার ৫৬%।

বাংলাদেশের মধ্যাঞ্চলের অপরূপ রূপের জেলা মানিকগঞ্জের উত্তরে সিরাজগঞ্জ, টাঙ্গাইল জেলা।
দক্ষিণে ফরিদপুর, রাজবাড়ী ও ঢাকা জেলা। পূর্বে ঢাকা জেলা। পশ্চিমে পাবনা ও রাজবাড়ী জেলা।

Sani

https://youtu.be/p39G_0DmbIc

মানিকগঞ্জের মানিকদের নিয়ে গাওয়া রুনা লায়লার গান

মানিকগঞ্জ জেলার গুরুত্বপূর্ণ মোবাইল নাম্বার সমূহ

সংগ্রহ: Alfe Sani

শেয়ার করে সংগ্রহ রাখুন

আজ ২২শে নভেম্বর, ঐতিহাসিক তেরশ্রী গণহত্যা দিবস

আজ ২২ নভেম্বর, মানিকগঞ্জের ঘিওরের ঐতিহাসিক ‘তেরশ্রী গণহত্যা দিবস’। ১৯৭১ সালের আজকের দিনে মানিকগঞ্জের মুক্তিযুদ্ধের ইতিহাসের সবচেয়ে বর্বরোচিত হত্যাযজ্ঞ চালায় পাক হানাদার বাহিনী। তেরশ্রীর এই গণহত্যাই মুক্তিযুদ্ধের সময় পুরো মানিকগঞ্জে সবচেয়ে বড় গণহত্যা।

১৯৭১ সালের এই দিন শীতের কাকডাকা ভোরে মানুষ যখন ঘুমে ঠিক সেই সময় হানাদার বাহিনী ঘুমন্ত গ্রামবাসীর ওপর নারকীয় হতাযজ্ঞ শুরু করে। পাকিস্তানি হানাদাররা দু দিক থেকে আক্রমণ চালায়। এদেশীয় দোসর রাজাকার, আলবদর, আল-শামস বাহিনী তাদের সহায়তা করে। তেরশ্রী কলেজের অধ্যক্ষ আতিয়ার রহমান গুলি ও বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে হত্যা করে। তেরশ্রী এস্ট্রেটের জমিদার সিদ্ধেশ্বর রায় প্রসাদ চৌধুরীর শরীরে পেট্রোল ঢেলে পুড়িয়ে মারে। এভাবে ৪৩ জন নিরীহ স্বাধীনতাকামী মানুষকে গুলি করে এবং বেয়নেট দিয়ে খুঁচিয়ে নির্মমভাবে হত্যা করে। ৬ ঘণ্টার নারকীয় হত্যাযজ্ঞের পর তেরশ্রী বাজারসহ ৪টি গ্রামে আগুন জ্বালিয়ে দেয়।

হানাদাররা চলে যাওয়ার পর আশপাশের গ্রামের লোকজন এসে মৃত দেহগুলো নিয়ে স্থানীয় শ্মশানে ও কবরস্থানে মাটি চাপা দেয়। এলাকাবাসীর দাবির মুখে স্বাধীনতার ৪১ বছর পর ২০১২ সালে শহীদদের স্মরণে ২৪ লাখ টাকা ব্যয়ে তেরশ্রী গ্রামে নির্মিত হয় সরকারিভাবে একটি স্মৃতিস্তম্ভ। সেই স্তম্ভে ৩৬ জন শহীদের নাম লিপিবদ্ধ হলেও বাকীদের নাম অজানাই রয়ে গেছে। প্রতি বছর এই দিনে এলাকাবাসী শহীদদের স্মরণে নানা কর্মসূচী পালন করে।

সেই সময়ের ভয়াল স্মৃতি নিয়ে তেরশ্রী গ্রামে এখনও বেঁচে আছে অনেকেই। তবে স্বাধীনতার ৪৫ বছর পার হলেও আজও ঘিওর উপজেলার তেরশ্রী গ্রামবাসী ওই ক্ষত নিয়ে বেঁচে আছে। প্রতি বছর দিবসটি পালিত হলেও শহীদদের অসহায় পরিবারও পায়নি রাষ্ট্রীয় কোনো সহায়তা। সেই ভয়াল দিনে বেঁচে যাওয়া অনেকেই এখন মানবেতর দিন যাপন করছেন। শহিদদদের স্মরণে এলাকাবাসী একটি জাদুঘর ও পাঠাগার নির্মাণের দাবি জানিয়ে আসছে বহুদিন ধরে।

বিনম্র শ্রদ্ধাঞ্জলি রইলো সকল শহিদদের প্রতি।

ঘিওর ধলেশ্বরী নদী