Zarif Communications
Nearby computer & electronics services
Ram Babu Road
Rambabu Road
Rambabu Road
Rambabu Road
Shop# 236.Aloka Nodi Bangla Complex 4.Ram Babu Road Mymensingh.
Ram Babu Road
Ram Babu Road
27/2 Ram Babu Road
Baundary Road
Zarif Communication is located in Mymensingh. (Address # 8 Rambabu Road, -Ground Floor). (Middle of
Zarif Communications, is a concern firm of "M M Computer" Providing total IT Solutions to all over Bangladesh since 2012.
সিঙ্গাপুর গ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড বৃত্তি, মাসে ২২০০ সিঙ্গাপুরি ডলারের সঙ্গে আবাসন-টিউশন ফ্রি # #
উচ্চশিক্ষায় বিদেশি শিক্ষার্থীদের বিভিন্ন ধরনের বৃত্তি দেয় সিঙ্গাপুর সরকার। এর মধ্যে অন্যতম একটি বৃত্তি ‘সিঙ্গাপুর ইন্টারন্যাশনাল গ্র্যাজুয়েট অ্যাওয়ার্ড’। সিঙ্গা নামের এই স্কলারশিপের আওতায় শিক্ষার্থীদের বিনা মূল্যে পিএইচডি প্রোগ্রামে পড়ার সুযোগ আছে। বাংলাদেশসহ বিশ্বের যেকোনো দেশের শিক্ষার্থীরা এই স্কলারশিপের জন্য আবেদন করতে পারবেন। সিঙ্গা অ্যাওয়ার্ডের আওতায় পাঁচটি বিশ্ববিদ্যালয়ে বিজ্ঞান ও প্রকৌশল বিষয়ে পিএইচডি করতে পারবেন শিক্ষার্থীরা। পিএইচডি কোর্সের মেয়াদ সর্বোচ্চ চার বছর।
সুযোগ-সুবিধাগুলো—
*শিক্ষার্থীদের সম্পূর্ণ টিউশন ফি মওকুফ করা হবে।
*প্রতি মাসে ২ হাজার ২০০ সিঙ্গাপুরি ডলার পাবেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশি টাকায় ১ লাখ ৭৭ হাজার ২৯৫ টাকা।
*আবাসন ভাতা হিসেবে এককালীন ১ হাজার সিঙ্গাপুরি ডলার (বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ৮০ হাজার ৫০০ টাকা) প্রদান করবে।
*বিমানে আসা-যাওয়ার টিকিট পাবেন শিক্ষার্থীরা। এ জন্য ১ হাজার ৫০০ সিঙ্গাপুরি ডলার পাবেন শিক্ষার্থীরা। বাংলাদেশি টাকায় প্রায় ১ লাখ ২০ হাজার ৮৮২ টাকা।
*মেডিকেল ইনস্যুরেন্সসহ অন্যান্য সুবিধাও মিলবে এই বৃত্তিতে।
আবেদনের যোগ্যতাগুলো—
*ইংরেজি ভাষায় দক্ষ হতে হবে।
*স্নাতক ও স্নাতকোত্তর ডিগ্রিধারী হতে হবে।=
*একাডেমিক ফলাফল ভালো হতে হবে।
*আইএলটিএস/টোয়েফেল/স্যাট ১ ও ২-এর ফলের সনদ (যদি থাকে) ভর্তির সময়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলো চাইতে পারে।
*রেফারেন্স লেটার দুটি।
আবেদনের শেষ কবে ??
চলতি বছরের ১ ডিসেম্বর পর্যন্ত আবেদন করতে পারবেন আগ্রহী প্রার্থীরা।
আবেদনের প্রক্রিয়া
অনলাইনে আবেদন করা যাবে।
Zarif Tours & Travels
8 Rambabu road, Mymensingh.
Mob- 01914099661,01914099669
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা আর্থিক সংকট তৈরি করবে কি??
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার (এআই) প্রভাব নিয়ে সারা বিশ্বেই এখন ব্যাপক তর্ক-বিতর্ক হচ্ছে। এবার সেই বিতর্কের আগুনে যেন ঘি ঢাললেন প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ও লেখক ইউভাল নোয়াহ হারারি। যুক্তরাজ্যের বিখ্যাত গণমাধ্যম দ্য গার্ডিয়ানকে তিনি বলেছেন, কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তার কারণে ভয়াবহ আর্থিক সংকট হতে পারে পৃথিবীতে। তাঁর মতে, প্রযুক্তি যত উন্নত হবে, ততই এর বিপদ সম্পর্কে পূর্বাভাস পাওয়া কঠিন হবে।
দ্য গার্ডিয়ানের সঙ্গে আলাপচারিতায় নোয়াহ হারারি, এআই মডেলের নিরাপত্তা পরীক্ষা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেন। বিষয়টিকে কিছুটা পারমাণবিক বোমার সঙ্গে তুলনা করেন তিনি। বলেন, পারমাণবিক বোমার সঙ্গে এআইয়ের অমিল হলো, পারমাণবিক বোমার ঝুঁকি একটাই; কিন্তু এআইয়ের ঝুঁকি বহুবিধ, যদিও সেগুলোর সম্ভাবনা কম। হারারি জোর দিয়ে বলেন, এসব ঝুঁকি সম্মিলিতভাবে মানবসভ্যতার অস্তিত্বের জন্য হুমকি হয়ে উঠতে পারে।
তবে আশঙ্কার মধ্যেও কিছু আশার বাণী দিয়েছেন হারারি। তা হলো, চলতি মাসের শুরুতে যুক্তরাজ্যের বার্কিংহামশায়ারে অনুষ্ঠিত বৈশ্বিক এআই নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, যুক্তরাষ্ট্র ও চীন যোগ দিয়েছিল। এআই–বিষয়ক উদ্বেগ আমলে নিতে বা এ বিষয়ে উদ্যোগ নিতে বিশ্বের বিভিন্ন দেশ একত্র হয়েছে সম্মেলনে। হারারি মনে করেন, বৈশ্বিক পরিসরে সহায়তা ব্যতীত এআইয়ের বিপদ মোকাবিলা করা খুবই চ্যালেঞ্জিং। যুক্তরাজ্য সরকারের উদ্যোগে আয়োজিত এ সম্মেলনে ১০টি দেশ, ইউরোপীয় ইউনিয়ন, গুগল, ওপেনএআইসহ বড় বড় এআই কোম্পানি এআই মডেল প্রকাশিত হওয়ার আগে ও পরে ঐক্যবদ্ধভাবে তা নিয়ে পরীক্ষা-নিরীক্ষার বিষয়ে একমত হয়েছে। যদিও চীন সে ঘোষণায় সই করেনি।
২০০৭-০৮ সালের আর্থিক সংকটের অন্যতম কারণ ছিল কোল্যাটেরালাইজড ডেট অবলিগেশন্স বা সিডিওর মতো কিছু দুর্বোধ্য আর্থিক হাতিয়ার। হারারি মনে করেন, আর্থিক ব্যবস্থাপনায় এআইয়ের নিয়ন্ত্রণ প্রতিষ্ঠিত হলে এ ধরনের সমস্যা আরও বাড়বে, অর্থাৎ সিডিওর মতো দুর্বোধ্য বস্তু সৃষ্টি হবে। সেটা হলে আর্থিক ব্যবস্থা মানুষের বোধগম্যতার বাইরে চলে যাবে। পরিণামে যেটা হবে সেটা হলো, সংকটের সময় আর্থিক খাত নিয়ন্ত্রণের বাইরে চলে যাবে।
আর্থিক সংকট থেকে অর্থনৈতিক ও রাজনৈতিক সংকটের সৃষ্টি হবে ঠিক, কিন্তু হারারি মনে করেন, এআইজনিত আর্থিক সংকটের কারণে মানবসভ্যতা ধ্বংসের মুখে না–ও পড়তে পারে। কিন্তু এআইয়ের কারণে পরোক্ষভাবে যুদ্ধ বা সংঘাত তৈরি হতে পারে, যা মানুষের জীবনে গভীর প্রভাব ফেলার আশঙ্কা রয়েছে।
এআই মডেল দ্রুতই পরিবর্তিত হয় বা বদলে যায়। সে জন্য হারারির মত, এই ক্রমবর্ধমান চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় শক্তিশালী নিয়ন্ত্রক প্রতিষ্ঠান গড়ে তুলতে হবে, যারা দ্রুত পরিবর্তনে সাড়া দিতে পারবে। হারারি মনে করেন, দীর্ঘ ও জটিল আইন তৈরি করার চেয়ে প্রাথমিকভাবে শক্তিশালী ও সক্ষম নিয়ন্ত্রক সংস্থা গড়ে তোলা জরুরি। কারণ হিসেবে তিনি মনে করেন, আইন প্রণয়নের প্রক্রিয়া অনেক দীর্ঘ ও জটিল এবং সাধারণত দেখা যায়, যত দিনে আইন তৈরি হয় বা বাস্তবায়িত হয়, তত দিনে তার কার্যকারিতা হারিয়ে যায়।
এ প্রক্রিয়ার অংশ হিসেবে এআই নিরাপত্তাবিষয়ক প্রতিষ্ঠানগুলোর উচিত হবে ফাইন্যান্স বা আর্থিক ব্যবস্থাবিষয়ক বিশেষজ্ঞদের নিয়োগ দেওয়া, যাঁরা বুঝতে পারেন বা যাঁদের এটা বোঝার ক্ষমতা আছে যে ফাইন্যান্সের জগতে এআইয়ের কী প্রভাব পড়তে পারে।
গত মাসে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক ইউকে এআই সেফটি ইনস্টিটিউট শীর্ষক নিরাপত্তাবিষয়ক একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলার ঘোষণা দেন। হোয়াইট হাউসও ঠিক একই রকম আরেকটি প্রতিষ্ঠান তৈরির ঘোষণা দিয়েছে। আশা করা হচ্ছে, এই দুটি প্রতিষ্ঠান উন্নত এআই মডেলের পরীক্ষা–নিরীক্ষায় গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করবে।
এআই নিরাপত্তাবিষয়ক শীর্ষ সম্মেলনে অংশ নিয়ে যুক্তরাজ্যের প্রধানমন্ত্রী ঋষি সুনাক বলেন, আইন করার আগে প্রথমে যুক্তরাজ্যকে বুঝতে হবে, এসব উন্নত এআই মডেলের সক্ষমতা ঠিক কতটুকু। সে জন্য তারা এই প্রতিষ্ঠান গড়ার ঘোষণা দিয়েছে। যুক্তরাজ্যের বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি মন্ত্রণালয় সম্প্রতি এআই নিয়ে যে শ্বেতপত্র প্রকাশ করেছে, সেখানে দেশটির ফাইন্যান্সিয়াল কনডাক্ট অথরিটি অ্যান্ড প্রুডেনশিয়াল রেগুলেশন অথরিটিকে এআই ও আর্থিক খাতের যথাযথ নিয়ন্ত্রক সংস্থা হিসেবে চিহ্নিত করেছে।
এআই মানুষের কাজ কেড়ে নেবে কি না, তা নিয়ে আছে জোর আলোচনা। এখন পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে, যেসব দেশে ব্যাপক হারে রোবট ব্যবহার করা হচ্ছে, যেমন জার্মানি, জাপান, সিঙ্গাপুর ও দক্ষিণ কোরিয়া, সেই সব দেশে এখন পর্যন্ত বেকারত্ব সমস্যা হয়ে ওঠেনি। এমনকি যুক্তরাষ্ট্রের চেয়ে এসব দেশে উৎপাদনশীল খাতে কর্মসংস্থান বেশি। অর্থাৎ দেখা যাচ্ছে, যত বেশি রোবট, তত বেশি উৎপাদন।
বার্ড অ্যাপ ব্যবহার না করতে গুগলের সতর্কবার্তা, কেন ??
গত মার্চ মাসে বার্ড (বিএআরডি) নামের কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তাচালিত চ্যাটবট উন্মুক্ত করে গুগল। চ্যাটবটটি গুগলের এলএএমডিএ (ল্যাঙ্গুয়েজ মডেল ফর ডায়ালগ অ্যাপ্লিকেশন) প্রযুক্তি কাজে লাগিয়ে ইংরেজি ভাষায় করা যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দ্রুত দিতে পারে। শুধু তা–ই নয়, জি–মেইলের ইনবক্সে থাকা বিভিন্ন ই-মেইলের পাশাপাশি গুগল ডকস থেকেও প্রয়োজনীয় তথ্য খুঁজে দেয়। আর তাই অনেকেই চ্যাটবটটি ব্যবহার করতে আগ্রহী। ব্যবহারকারীদের এ আগ্রহ কাজে লাগিয়ে ম্যালওয়্যারযুক্ত ভুয়া ‘বার্ড’অ্যাপ তৈরি করে তথ্য চুরি করছে এক দল সাইবার অপরাধী। এ ধরনের বেশ কয়েকটি ভুয়া বার্ড অ্যাপের সন্ধান পেয়ে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করেছে গুগল। ভুয়া অ্যাপগুলো প্রচারের সঙ্গে যুক্ত বিভিন্ন ব্যক্তি বা ওয়েবসাইটের বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে মামলাও করেছে প্রতিষ্ঠানটি।
গুগলের তথ্যমতে, বার্ড চ্যাটবটের কোনো অ্যাপ তৈরি করা হয়নি। বার্ডডটগুগলডটকম ঠিকানার ওয়েবসাইটে প্রবেশ করে বিনা মূল্যে ব্যবহার করা যায় চ্যাটবটটি। কিন্তু এক দল সাইবার অপরাধী একাধিক ভুয়া ‘বার্ড’অ্যাপ তৈরি করেছে। ফেসবুকসহ বিভিন্ন ওয়েবসাইটের মাধ্যমে অ্যাপগুলো বিনা মূল্যে নামানোর প্রলোভনে বিজ্ঞাপনও দিচ্ছে তারা। বিজ্ঞাপনগুলোতে ক্লিক করে অ্যাপগুলো নামানো না গেলেও যন্ত্রে ম্যালওয়্যার প্রবেশ করে। এর ফলে দূর থেকেই সেসব যন্ত্রের তথ্য সংগ্রহ করতে থাকে সাইবার অপরাধীরা। গুগলএআই, এআই গুগল বার্ডসহ বিভিন্ন নামে অনলাইনে পাওয়া যাচ্ছে অ্যাপগুলো।
মামলার বিষয়ে গুগলের জেনারেল কাউন্সিল হালিমাহ ডিলেইন প্রাডো জানিয়েছেন, ভুয়া অ্যাপগুলো বিশ্বজুড়ে অসংখ্য মানুষকে বিভ্রান্ত করছে। আর তাই ভুয়া বার্ড অ্যাপের প্রচার বন্ধের পাশাপাশি এ বিষয়ে বিজ্ঞাপন প্রচারের সঙ্গে যুক্ত ৩০০টি ওয়েবসাইটের ডোমেইন ব্লক করার অনুরোধ করা হয়েছে।
সূত্র: টাইমস অব ইন্ডিয়া
নতুন উদ্যোগের জন্যই কি ওপেনএআই থেকে সরিয়ে দেওয়া হলো স্যাম অল্টম্যানকে #
স্যাম অল্টম্যানওপেনএআই :
কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা প্রযুক্তিভিত্তিক পণ্য চ্যাটজিপিটির মূল প্রতিষ্ঠান ওপেনএআইয়ের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে স্যাম অল্টম্যানকে। এ পদ থেকে সরিয়ে দেওয়ায় প্রযুক্তি–দুনিয়ায় শুরু হয়েছে ব্যাপক আলোচনা। এআই প্রযুক্তির যন্ত্রাংশ তৈরির অল্টম্যানের নিজের উদ্যোগের জন্য তিনি বিনিয়োগ খোঁজা শুরু করেছেন বলে প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে সিমাফোর।
প্রযুক্তি বিশ্লেষকদের কেউ কেউ ধারণা করছেন, অল্টম্যানের নতুন উদ্যোগের জন্যই তাঁকে সরিয়ে দেওয়া হয়েছে। ব্লুমবার্গের এক প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মধ্যপ্রাচ্যের এক বিনিয়োগ প্রতিষ্ঠান থেকে নিজের নতুন উদ্যোগের জন্য বিনিয়োগ সংগ্রহে সক্রিয়ভাবে কাজ করছেন অল্টম্যান। চিপ নির্মাতা এনভিডিয়াকে টেক্কা দিতে এআই চিপ তৈরির জন্য নতুন উদ্যোগ নিয়ে কাজ করছেন তিনি।
ওপেনএআই অবশ্য ভিন্ন কথা বলছে। তারা এক ব্লগে জানিয়েছে, বোর্ডের (পরিচালনা পর্ষদ) সদস্যরা কয়েক দফায় পর্যালোচনা করে এ সিদ্ধান্তে পৌঁছেছেন। বোর্ড সদস্যদের সঙ্গে স্যামের যোগাযোগের ঘাটতি ছিল। এ দায়িত্ব তিনি ঠিকভাবে পালন করেননি। বোর্ড মনে করে স্যাম অল্টম্যান ওপেনএআইকে নেতৃত্ব দেওয়ার মতো সক্ষমতা হারিয়েছেন।
অন্তর্বর্তী এ সময়ে স্যাম অল্টম্যানের দায়িত্ব পালন করবেন প্রতিষ্ঠানটির প্রধান প্রযুক্তি কর্মকর্তা (সিটিও) মিরা মুরাতি। তবে স্থায়ী সিইও নিয়োগের জন্য ইতিমধ্যেই কাজ শুরু করেছে প্রতিষ্ঠানটি। ওপেনএআইয়ের যোগাযোগ বিভাগের সঙ্গে এ বিষয়ে বিভিন্ন গণমাধ্যম যোগাযোগ করলেও তাঁরা বিবৃতির বাইরে কোনো তথ্য দেননি। তবে জানা গেছে, এ প্রক্রিয়া এমনভাবে সম্পন্ন করা হয়েছে যে বিবৃতি প্রকাশের পরপরই প্রতিষ্ঠানের কর্মীরাও সংবাদটি জানতে পেরেছেন।
এদিকে স্যাম অল্টম্যান এক্স বার্তায় লিখেছেন, ‘ওপেনএআইয়ের কাটানো সময় খুব ভালো ছিল। বিশ্বে অনেক কিছুরই পরিবর্তন হয়। তেমনি এটা আমার ব্যক্তিগত জীবনের একটা পরিবর্তন। ওপেনএআইয়ে আমি অনেক প্রতিভাবান মানুষের সঙ্গে কাজ করতে পেরেছি, এটা অনেক ভালো লাগার। আমার পরবর্তী গন্তব্য সম্পর্কে পরে জানাব।’
এদিকে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (সিইও) স্যাম অল্টম্যানকে সরিয়ে দেওয়ার ঘটনার পরই পদ ছাড়ার ঘোষণা দিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির প্রেসিডেন্ট ও সহপ্রতিষ্ঠাতা গ্রেগ ব্রোকম্যান।
স্যাম অল্টম্যানের সঙ্গে ওপেনএআইয়ের সহপ্রতিষ্ঠাতা এবং কো-চেয়ার হিসেবে কাজ করা ইলন মাস্ক ২০১৮ সালে প্রতিষ্ঠানটি থেকে সরে যান।
সূত্র: দ্য ভার্জ, সিমাফর ডটকম ও টাইমস অব ইন্ডিয়া
স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যাওয়ার ৪ কারণ #
সাধারণ কিছু ভুলের কারণে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যায় :
সাধারণ কিছু ভুলের কারণে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। এসব ভুলের বেশির ভাগই খুব সাধারণ এবং অনেকেই তা না জেনে করে থাকেন। ফলে পুরো চার্জ দেওয়ার পরও দ্রুত স্মার্টফোনের চার্জ শেষ হয়ে যায়। যেসব কারণে ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যায় তা দেখে নেওয়া যাক—
স্মার্টফোন চার্জ করার পদ্ধতি >
সঠিক পদ্ধতিতে স্মার্টফোন চার্জ না করলে ব্যাটারির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই সারা রাত ধরে স্মার্টফোন চার্জ করেন। কেউ আবার স্মার্টফোনের ব্যাটারির চার্জ পুরো শেষ হওয়ার পর চার্জ করেন। এমনকি চার্জে থাকা অবস্থায় দীর্ঘ সময় কাজও করেন অনেকে। এ সব কারণে স্মার্টফোনের ব্যাটারির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। সমস্যা সমাধানে স্মার্টফোনের চার্জ সব সময় ২০ থেকে ৮০ শতাংশের মধ্যে রাখতে হবে। অর্থাৎ স্মার্টফোনের চার্জ ২০ শতাংশ থাকা অবস্থায় চার্জ করতে হবে এবং ৮০ শতাংশের বেশি থাকলে চার্জ বন্ধ করতে হবে।
রোদে দীর্ঘ সময় স্মার্টফোন ব্যবহার >
সরাসরি সূর্যের আলো বা রোদের মধ্যে স্মার্টফোন ব্যবহার করেন অনেকেই। কেউ আবার রোদের মধ্যে ফোন রেখে খেলাধুলা বা বিভিন্ন কাজ করেন। এতে স্মার্টফোন গরম হয়ে ব্যাটারির স্থায়ী ক্ষতি হতে পারে। আর তাই সূর্যের আলোতে স্মার্টফোন ব্যবহারের সময় অতিরিক্ত গরম হলে সতর্ক থাকতে হবে।
ব্যাটারি গরম হওয়ার পরও স্মার্টফোন ব্যবহার >
স্মার্টফোনের ব্যাটারি বিভিন্ন কারণে গরম হতে পারে। যে কারণেই গরম হোক না কেন, এতে ব্যাটারির কার্যকারিতা ধীরে ধীরে কমে যায়। আর তাই ব্যাটারি গরম হলে স্মার্টফোন ব্যবহার করা থেকে বিরত থাকতে হবে। প্রয়োজনে পর্দার উজ্জ্বলতা কমিয়ে স্মার্টফোন ব্যবহার করতে হবে।
চার্জিং পোর্টে ময়লা >
স্মার্টফোনের চার্জিং পোর্টে ময়লা থাকলে চার্জ করার সময় ব্যাটারি অতিরিক্ত গরম হয়ে যায় বা চার্জ হয় না। ফলে ধীরে ধীরে ব্যাটারির কার্যকারিতা কমে যায়। কিন্তু এ বিষয়ে বেশির ভাগ ব্যবহারকারীই সচেতন নন। সমস্যা সমাধানে কিছুদিন পরপর টুথপিক এবং পরিষ্কার কাপড় দিয়ে চার্জিং পোর্ট পরিষ্কার করতে হবে।
স্মার্টফোন ব্যবহারে সাধারণত যে ৮ ভুল হয় # #
স্মার্টফোন এখন যেন জীবনের অবিচ্ছেদ্য অংশ হয়ে উঠেছে। ব্যক্তিগত যোগাযোগ, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম চালানো, বিনোদনসহ নানা কাজে এর ব্যবহার বেড়েছে। তবে স্মার্টফোন ব্যবহারে কিছু সাধারণ ভুল হয়, যেগুলো ব্যবহারকারীকে নিরাপত্তা–জটিলতায় ফেলতে পারে। এ ছাড়া নানা বিপদ ওত পেতে রয়েছে। নিরাপদ থাকতে হলে স্মার্টফোনের যে আটটি সাধারণ ভুল অবশ্যই এড়াতে হবে, সেগুলো দেখা যাক এই প্রতিবেদনে।
ফার্মওয়্যার ও নিরাপত্তা হালনাগাদ না করা :
বেশির ভাগ ব্যবহারকারী স্মার্টফোনের হালনাগাদ আসা সত্ত্বেও তা ইনস্টল করেন না বা দেরিতে ইনস্টল করেন। এতে তাঁরা শুধু নতুন সুবিধা ও পরিবর্তন থেকে পিছিয়ে পড়েন না, স্মার্টফোনের নিরাপত্তা ও হ্যাকিং বা ম্যালওয়্যার দ্বারা আক্রমণের ঝুঁকিতে পড়েন।
অ্যাপের সব চাহিদায় অনুমতি দেওয়া :
প্রতিটি অ্যাপই ভালোভাবে কাজ করতে ব্যবহারকারীর কয়েক ধরনের অনুমতি চায়। তবে অ্যাপের জন্য অনুমোদনের সব বাধ্যতামূলক বা প্রয়োজনীয় নয়। কিছু ক্ষেত্রে প্রয়োজন না থাকা সত্ত্বেও অ্যাপগুলো ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্যে, ক্যামেরা বা মাইক্রোফোনে প্রবেশাধিকারের অনুমতি চায়। তাই কেবল প্রয়োজনীয় ক্ষেত্রগুলোতে অনুমতি দেওয়া উচিত।
যেকোনো কেব্ল বা চার্জারে চার্জ দেওয়া :
এটা সাধারণ একটি ভুল, যা ব্যবহারকারী করেন। ফোনে চার্জ নেই, সামনে সংযোগ দেওয়া যাবে এমন যেকোনো চার্জার বা পোর্ট পেলেই হলো। অধিকাংশ ফোন সি-টাইপ ইউএসবি চার্জিং পোর্ট ব্যবহার করলেও তারা আসলে ভিন্ন ভিন্ন চার্জিং প্রযুক্তি ব্যবহার করে। অননুমোদিত চার্জিং কেব্লের ব্যবহার ব্যাটারির ক্ষতি ও নিরাপত্তার ঝুঁকি তৈরি করতে পারে।
রাতভর ফোন চার্জ করা :
আরেকটি সাধারণ ভুল হলো রাতভর ফোন চার্জ করা। অধিকাংশ আধুনিক ফোনে ব্যাটারির স্বাস্থ্য সুরক্ষায় সুবিধা থাকে। কিন্তু রাতভর চার্জ দিলে ব্যাটারির কর্মক্ষমতা ও স্থায়িত্ব কমে যায়। কিছু ক্ষেত্রে এটা আরও ভয়ানক হতে পারে।
প্রতিনিয়ত ব্যাকআপ এড়িয়ে চলা :
ফোন হারিয়ে গেলে, চুরি হলে বা নষ্ট হয়ে গেলেও তাতে সংরক্ষিত তথ্য, ছবি ও অন্য কিছু নিরাপদ থাকার সবচেয়ে সহজ উপায় হলো ব্যাকআপ। অ্যান্ড্রয়েড ও আইওএস অপারেটিং সিস্টেমে চলা উভয় যন্ত্রে গুগল ড্রাইভ ও আইক্লাউডের মাধ্যমে স্বয়ংক্রিয়ভাবে ব্যাকআপ সুবিধা পাওয়া যায়। তাই সব সময় সেটি সক্রিয় রাখা।
অবিশ্বস্ত উৎস থেকে অ্যাপ ডাউনলোড :
এই ঘটনা অ্যান্ড্রয়েড যন্ত্রে ঘটতে পারে। অ্যাপলে তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ইনস্টল করা যায় না। অ্যান্ড্রয়েডে তা সম্ভব এবং তৃতীয় পক্ষের অ্যাপ ফোনে ইনস্টলও করা যায়। এই অ্যাপ ডাউনলোড ও ইনস্টল বিপজ্জনক হতে পারে এবং এতে ম্যালওয়্যার বা স্পাইওয়্যার থাকতে পারে—যা ফোনের ক্ষতি করতে পারে এবং ব্যক্তিগত তথ্য চুরি হতে পারে।
গণওয়াইফাইয়ে ইন্টারনেট ব্যবহার :
বিভিন্ন কারণে গণ বা পাবলিক ওয়াইফাই নিরাপদ নয়। এতে ম্যালওয়্যার থাকতে পারে। এ রকম খোলা প্রকৃতি তথ্যে গুপ্তচরবৃত্তি, এমনকি সেগুলো হাতাতে ব্যবহারকারীর স্মার্টফোনে ক্ষতিকর কিছু প্রবেশ করাতে পারে।
সব সময় ব্লুটুথ চালু রাখা :
ব্যবহার না করা সত্ত্বেও সব সময় ব্লুটুথ এবং এনএফসি চালু রাখলে ফোন অননুমোদিত প্রবেশাধিকার ও হ্যাকিংয়ের জন্য ঝুঁকিপূর্ণ হয়ে উঠতে পারে।
সূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া
গোপনে ভাইরাস ছড়াচ্ছে এই ১৬ অ্যাপ #
স্মার্টফোন থেকে দ্রুত ক্ষতিকর অ্যাপ মুছে ফেলতে হবেছবি :
স্মার্টফোনে ভাইরাস ছড়াতে সক্ষম ১৬টি অ্যাপের সন্ধান পেয়েছে রাশিয়ার অ্যান্টিভাইরাস নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ড. ওয়েব। প্রতিষ্ঠানটির তথ্যমতে, বিভিন্ন সুবিধা ব্যবহারের প্রলোভন দেখানো অ্যাপগুলো নামালেই ব্যবহারকারীদের ফোনে জোকার, ফেকঅ্যাপ ও হিডেনঅ্যাডস ট্রোজান ভাইরাস প্রবেশ করে। গুগলের নিরাপত্তাব্যবস্থার চোখ এড়িয়ে প্লে স্টোরে জায়গা করে নেওয়ায় এরই মধ্যে ২০ লাখের বেশিবার নামানো হয়েছে অ্যাপগুলো। এর ফলে অনেক ব্যবহারকারীই সাইবার হামলার ঝুঁকিতে রয়েছেন।
ভাইরাস ছড়ানোর অভিযোগে এরই মধ্যে প্লে স্টোর থেকে ক্ষতিকর অ্যাপগুলো মুছে ফেলেছে গুগল। তবে ব্যবহারকারীদের ফোনে থাকা অ্যাপগুলো এখনো তথ্য সংগ্রহ করে পাচার করতে সক্ষম। আর তাই ব্যবহারকারীদের ফোন থেকে অ্যাপগুলো দ্রুত মুছে ফেলার পরামর্শ দিয়েছেন নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা।
ড. ওয়েবের তথ্যমতে, ক্ষতিকর ১৬টি অ্যাপের মধ্যে সবচেয়ে বেশিবার নামানো হয়েছে ‘সুপার স্কিবিডি কিলার’। ১০ লাখের বেশিবার নামানো হয়েছে অ্যাপটি। এরপরই রয়েছে ‘এজেন্ট শুটার’ ও ‘রাবার পাঞ্চ থ্রিডি’। দুটি অ্যাপই প্রায় পাঁচ লাখবার করে নামানো হয়েছে। অন্য অ্যাপগুলো হলো রেইনবো স্ট্রেচ, ইন্টারনাল মেজ, কাউবয়েজ ফ্রন্টিয়ার, ইনচ্যান্টেড ইলিক্সির, ফায়ার ফ্রুটস, জাঙ্গল জুয়েলস, স্টিলার সিক্রেটস, গ্যাজইনডো ইকোনমিক, ফিন্যান্সিয়াল ফিউশন, ফিন্যান্সিয়াল ভল্ট, মানিমেন্টর, লাভ ইমোজি মেসেঞ্জার ও বিউটি ওয়ালপেপার এইচডি।
সাইবার নিরাপত্তা বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, ক্ষতিকর অ্যাপ থেকে রক্ষা পেতে অ্যাপ নামানোর আগেই নির্মাতাদের বিষয়ে অনলাইনে খোঁজখবর নিতে হবে। জানতে হবে অ্যাপটির বিষয়ে অন্য ব্যবহারকারীদের অভিজ্ঞতাও। অনলাইনে পাওয়া অপরিচিত লিংকে ক্লিক করে অ্যাপ নামানো থেকেও বিরত থাকতে হবে।
ইনস্টাগ্রামে যে সাত অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করবেন #
ইনস্টাগ্রামে মোট অ্যাকাউন্টসংখ্যা কত জানেন? ২২৫ কোটি ৯৪ লাখ ৪৯ হাজারেরও বেশি। আপনি কোন অ্যাকাউন্টগুলো অনুসরণ করেন, আপনার জীবনযাপনে এর গভীর গুরুত্বপূর্ণ প্রভাব রয়েছে। তাই ‘থিঙ্ক বিফোর ইউ ফলো’। চিন্তাভাবনা করে অ্যাকাউন্ট অনুসরণ করুন। ইনস্টাগ্রামকে কেবল বিনোদনের হাতিয়ার হিসেবে ব্যবহার করবেন না। অপ্রয়োজনীয় অ্যাকাউন্টগুলো বিশেষ করে তারকা, মডেলদের আনফলো করুন। মস্তিষ্ককে ভালো রাখার জন্য, শারীরিকভাবে ফিট থাকার জন্য এবং মানসিক সুস্থতা আর নিজের সেরাটা বের করে আনার জন্য, অনুসরণ করুন এই সাত অ্যাকাউন্ট। এই অ্যাকাউন্টগুলো আপনাকে ফ্রিতে যা দেবে, আপনি হয়তো লাখ টাকা খরচ করেও সেই শিক্ষা, উপলব্ধি, অনুপ্রেরণা পাবেন না!
১. ম্যাক্স লুগাভার (Max Lugavere) :
ম্যাক্স পুষ্টিবিষয়ক বিভিন্ন মিথ আর ভুল ধারণা নিয়ে পোস্ট করেন। আর বার্ধক্যপ্রতিরোধী খাবার, মস্তিষ্কের স্বাস্থ্য প্রভৃতি বিষয়ে বৈজ্ঞানিক তথ্য উপস্থাপন করেন। এ ছাড়া ‘কীভাবে বুঝবেন যে আপনার সামনের ব্যক্তিটি মিথ্যা বলছেন’, ‘নারীরা ডেটে গিয়ে পুরুষের কোন বিষয়টির ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্বারোপ করে’—এ রকম জনপ্রিয় সব প্রশ্নের উত্তরও পাবেন। মার্কিন এই টেলিভিশন ব্যক্তিত্ব ও ডায়েট অ্যাডভোকেট ‘দ্য জিনিয়াস লাইফ’, ‘জিনিয়াস ফুড’, ‘জিনিয়াস কিচেন’—নিউইয়র্ক টাইমসের বেস্টসেলার বইয়ের লেখক।
২. জিলিয়ান তুরেকি (Jillian Turecki) :
জিলিয়ান ২০ বছরের বেশি সময় ধরে মানুষের সম্পর্কের বিভিন্ন জটিলতা নিয়ে কাজ করছেন। তিনি একজন সম্পর্ক কোচ। সম্পর্ক নিয়ে তাঁর পডকাস্ট বিশ্বব্যাপী জনপ্রিয়।
৩. সাইমন হিল (Simon J Hill) :
সাইমন হিলও বেস্টসেলার বইয়ের লেখক, দ্য প্রুফ পডকাস্টের উপস্থাপক। ‘স্ট্রেস ম্যানেজমেন্ট’ ও খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে কীভাবে লম্বা সময় সুস্থভাবে বেঁচে থাকবেন, সে বিষয়ে কথা বলেন।
৪. জেমি মোরান (Jamie Moran) :
জেমি মূলত ওজন কমানোর বিশেষজ্ঞ। তিনি ওজন কমানো নিয়ে যত ভুল তথ্য আছে, ইনস্টাগ্রামে সেগুলো বিষয়ে মানুষকে সচেতন করেন আর বিজ্ঞাননির্ভর সমাধান দেন।
৫. দ্য রাইজিং সার্কেল (The Rising Circle) :
এই অ্যাকাউন্টটির অনুসারী মাত্র ১ লাখ ৪৭ হাজার। অথচ মানসিক স্বাস্থ্য নিয়ে এ রকম আরেকটি ইনস্টাগ্রাম অ্যাকাউন্ট খুঁজে পাওয়া দুষ্কর।
৬. দ্য ব্রেন ডকস (Drs. Ayesha & Dean Sherzai) :
দুজন স্নায়ুবিশেষজ্ঞ দম্পতি অ্যাকাউন্টি চালান। মস্তিষ্কের ফিটনেস নিয়ে কাজ করেন তাঁরা। কীভাবে মস্তিষ্ককে সচল, কর্মক্ষম আর মস্তিষ্কের অসুখ থেকে নিজেকে মুক্ত রাখবেন—এ বিষয়ে সঠিক তথ্য দেন তাঁরা।
৭. স্টিভেন বার্টলেট (Steven Bartlett) :
‘দ্য ডায়েরি অব আ সিইও’ বইয়ের এই লেখক উদ্যোক্তা হিসেবে নাম কুড়িয়েছেন। তিনি যাঁদের সঙ্গে কথা বলেছেন, সেই কথোপকথন আশপাশের অন্যদের থেকে আপনাকে আলাদা করে ফেলবে। জীবনকে নতুন দৃষ্টিভঙ্গি দিয়ে দেখা আর নিজের সেরাটা বের করে আনার ‘মোটিভেশন’–এর জন্যও স্টিভেন বার্টলেটের ভিডিওগুলো দেখতে পারেন।
গুগল ওয়ার্কস্পেসের বিভিন্ন টুলের মধ্যে গুগল ডকস অন্যতম। অনলাইনে সংরক্ষণ করা থাকায় খুব সহজেই যেকোনো স্থান থেকে গুগল ডকসে থাকা তথ্য ব্যবহার করা যায়। অনলাইনে সংরক্ষণ করা তথ্যকে আকর্ষণীয় করতে গুগল ডকসে থাকা বিভিন্ন ফাইলে ছবিও যুক্ত করেন অনেকে। কম্পিউটার থেকে ছবি আপলোডের পাশাপাশি গুগল ড্রাইভ, ফটোজ, ওয়েবসাইটের লিংক, গুগলে থাকা ছবিসহ ওয়েবক্যামে ধারণ করা ছবিও গুগল ডকসে যুক্ত করা যায়। গুগল ডকসে ছবি যুক্ত করার পদ্ধতি দেখে নেওয়া যাক।
গুগল ডকসে ছবি যুক্ত করার জন্য প্রথমে কম্পিউটার থেকে জিমেইলে প্রবেশ করার পর ডান দিকের ওপরে থাকা ‘গুগল অ্যাপস’ বক্সে ক্লিক করে গুগল ডকস চালু করতে হবে। এরপর নতুন ডকস চালু বা পুরোনো ডকসে প্রবেশ করে ফাইলের যে জায়গায় ছবি যুক্ত করতে হবে, সেখানে ক্লিক করার পর ইনসার্ট বাটন নির্বাচন করতে হবে। এবার প্রদর্শিত বক্স থেকে ইমেজ নির্বাচন করলেই ‘আপলোড ফ্রম কম্পিউটার’, ‘সার্চ দ্য ওয়েব’, ‘ড্রাইভ’, ‘ফটোজ’, ‘বাই ইউআরএল’ ও ‘ক্যামেরা’ অপশন দেখা যাবে। যেকোনো একটি অপশন নির্বাচন করে ইনসার্ট বা ওপেন বাটনে ক্লিক করলেই নির্দিষ্ট ছবি গুগল ডকসে যুক্ত হয়ে যাবে।
জুম সভায় স্ক্রিন শেয়ার করবেন যেভাবে
আহসান হাবীব
প্রকাশ: ০৫ নভেম্বর ২০২৩, ১১: ৩০
অনলাইন সভা, ক্লাস বা ভিডিও কনফারেন্সে পর্দা ভাগাভাগি (স্ক্রিন শেয়ার) করে অন্যদের পাওয়ারপয়েন্ট উপস্থাপনাসহ বিভিন্ন ধরনের তথ্য দেখানোর প্রয়োজন হয়। এর ফলে যেকোনো বিষয় খুব সহজেই অংশগ্রহণকারীদের সঙ্গে ভাগাভাগি করে বোধগম্য করা যায়। অনলাইন সভার জন্য জনপ্রিয় অ্যাপ্লিকেশন জুমে ব্যবহারকারীরা নিজেদের স্ক্রিন শেয়ার করতে পারেন। এমনকি সভার আয়োজক (হোস্ট) ছাড়া অংশগ্রহণকারীরা নিজেদের স্ক্রিন শেয়ার করতে পারেন। দেখে নেওয়া যাক কীভাবে জুমে স্ক্রিন শেয়ার করা যায়।
কম্পিউটার থেকে:
কম্পিউটারের ব্রাউজার থেকে জুমের ওয়েবসাইট বা জুম অ্যাপে যেতে হবে। এরপর নির্ধারিত অনলাইন সভা, ক্লাস বা ভিডিও কনফারেন্সে যেতে হবে। স্ক্রিন শেয়ার করার জন্য জুমের ফিডের নিচের অংশে প্রদর্শিত অপশন থেকে ‘শেয়ার স্ক্রিন’–এ ক্লিক করতে হবে। একটি পপআপ বক্স দেখা যাবে। সেখানে পুরো স্ক্রিন, একটি উইন্ডো বা ব্রাউজার ট্যাব প্রদর্শনের অপশন দেখা যাবে। কাঙ্ক্ষিত অপশন নির্বাচন করে শেয়ার বাটনে প্রেস করলে নিজের কম্পিউটার স্ক্রিন অন্যদের দেখাতে পারবেন ব্যবহারকারী। স্ক্রিন শেয়ার বন্ধ করতে চাইলে ফিড–এ থাকা ‘স্টপ শেয়ার’–এ ক্লিক করতে হবে।
স্মার্টফোন থেকে:
প্রথমে জুম অ্যাপে গিয়ে নির্ধারিত সভা বা ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে। এরপর নিচে থাকা শেয়ার বাটন চেপে অপশন নির্বাচন করতে হবে। এখানে ‘ফটো’, ‘ডকুমেন্ট’, ‘ওয়েব ইউআরএল’, ‘স্ক্রিন’, ‘ক্যামেরা’ ইত্যাদি অপশন দেখা যাবে। অপশন নির্বাচনের পর স্টার্ট বাটন চাপতে হবে। পর্দা প্রদর্শন বন্ধ করতে চাইলে স্টপ শেয়ার বাটন চাপতে হবে।
অংশগ্রহণকারীদের স্ক্রিন শেয়ারের অনুমতি
কম্পিউটার থেকে: কম্পিউটার থেকে জুমের ওয়েবসাইটে যেতে হবে। এরপর অ্যাকাউন্টে লগইন করে সেটিংসে যেতে হবে। সেটিংসে থাকা ‘ইন মিটিং (বেসিক)’ অপশনে ক্লিক করে স্ক্রল করতে হবে। স্ক্রিন শেয়ারিং টগলটি চালু করে দিতে হবে।
স্মার্টফোন থেকে: জুম অ্যাপে গিয়ে নির্ধারিত সভা বা ক্লাসে প্রবেশ করতে হবে। স্ক্রিন শেয়ার করার জন্য নিচে থাকা অপশনগুলো থেকে তিনটি ডট মেনু বা মোর–এ ট্যাপ করতে হবে। সিকিউরিটি অপশন নির্বাচন করতে হবে। ‘অ্যালাউ অল পার্টিসিপেন্টস টু’–এর নিচে থাকা শেয়ার স্ক্রিন টগল চালু করতে হবে।
প্রযুক্তির অপব্যবহারে বিপর্যস্ত তরুণ প্রজন্ম, উত্তরণের উপায় কী? পৃথিবীর আয়ু বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিপুল সম্ভাবনার দ্বার খুলে দিচ্ছে প্রযুক্তি। বিজ্ঞানের অবিশ্বাস্য উন্নতির ফলে ...
MM COMPUTER
01914099673
কোন সমস্যায় কোন ডাক্তারের কাছে যাব #
লেখা:ডা. রাফিয়া আলম, ক্লিনিক্যাল স্টাফ, নিউরোমেডিসিন বিভাগ, স্কয়ার হাসপাতাল লিমিটেড, পান্থপথ, ঢাকা
চিকিৎসকের কাছে গিয়ে আপনার উপসর্গগুলো ঠিকঠাক জানাতে হবে:
কে না জানেন, অসুখ হলে চিকিৎসকের কাছে যেতে হয়! কিন্তু কোন ধরনের সমস্যায় কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যেতে হবে, তা নিয়ে দ্বিধায়ও পড়েন কেউ কেউ।
রোগী কিংবা রোগীর স্বজন হিসেবে আপনার প্রথমেই জানার কথা নয়, কোন রোগে ভুগছেন আপনি (বা আপনার আপনজন)। আপনি কেবল কষ্টটা উপলব্ধি করতে পারেন। এই কষ্টই হলো ‘উপসর্গ’, চিকিৎসকের কাছে গিয়ে যা আপনাকে বলতে হবে। উপসর্গ হতে পারে হাজারো রকম। এর মধ্যে এমন অনেক উপসর্গ আছে, যার উৎপত্তি হতে পারে শরীরের একেবারেই আলাদা আলাদা অংশের কোনো একটিতে। এই যেমন মাথা ঘোরানো। কারও মাথা ঘোরানোর কারণ হলো তাঁর রক্তচাপ, কারও রক্তশূন্যতা থাকলে তাঁরও মাথা ঘোরাতে পারে, আবার কানের সমস্যায়ও মাথা ঘোরায়। বড্ড মুশকিল! আপনি তাহলে যাবেন কার কাছে? মেডিসিন বিশেষজ্ঞ, রক্তরোগ বিশেষজ্ঞ না কি নাক-কান-গলা বিশেষজ্ঞ? আবার একজন রোগীর যে কেবল একটি উপসর্গই থাকে, তা–ও নয়। একাধিক উপসর্গের প্রতিটির জন্য কি তাহলে আলাদা আলাদা চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে?
ঘাবড়াবেন না। সমস্যায় না পড়ে যেন সহজে বুঝতে পারেন, কোন চিকিৎসকের কাছে যেতে হবে, তার জন্যই এই লেখা।
জরুরি উপসর্গ শনাক্ত করুন :
হঠাৎ শরীরের এক পাশ অবশ হয়ে যাওয়া, মুখ বেঁকে যাওয়া, কথা জড়িয়ে যাওয়া, প্রস্রাব-পায়খানার নিয়ন্ত্রণ হারানো, অজ্ঞান হয়ে যাওয়া কিংবা খিঁচুনির মতো সমস্যায় রোগীকে দ্রুত হাসপাতালে নিতে হবে। এগুলো স্ট্রোকের উপসর্গ হতে পারে। দ্রুততম সময়ে চিকিৎসা শুরু করতে পারলে অনাকাঙ্ক্ষিত অনেক জটিলতা এড়ানো যাবে। তবে সে জন্য আপনার জানা থাকতে হবে, আপনার নিকটস্থ কোন হাসপাতালে স্ট্রোকের আধুনিক চিকিৎসার ব্যবস্থা আছে। এই বিষয়টি ভীষণ গুরুত্বপূর্ণ। সাধারণভাবে আমরা বলতে পারি, রক্তজমাট বেঁধে স্ট্রোক হলে আপনাকে চিকিৎসা দেবেন নিউরোমেডিসিন (স্নায়ুরোগ) বিশেষজ্ঞ এবং রক্তক্ষরণ হয়ে স্ট্রোক হলে আপনার চিকিৎসা করবেন একজন নিউরোসার্জন। এই দুই বিভাগের চিকিৎসকের কাছে আপনি চিকিৎসা পাবেন অবশ্যই। কিন্তু যে আধুনিক চিকিৎসা দ্রুততম সময়ে শুরু করতে হয়, তা বাংলাদেশের গুটিকয়েক হাসপাতালেই রয়েছে। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে সেখানে পৌঁছতে না পারলে কিন্তু মূল্যবান ‘সময়’ হারিয়ে যাবে রোগীর জীবন থেকে। কোনো বিশেষজ্ঞই এই সময়কে ফিরিয়ে আনতে পারবেন না।
শ্বাসকষ্ট, বুকে ব্যথা, প্রচণ্ড পেটব্যথা, প্রস্রাব আটকে যাওয়া, রক্তবমি কিংবা অস্বাভাবিক রক্তপাত, আকস্মিক দুর্ঘটনা প্রভৃতি হলে হাসপাতালের জরুরি বিভাগেই যেতে হবে।
বিশেষজ্ঞের চেম্বারে ‘লাইন’ ধরে বসে থাকলে রোগীর কষ্টই বাড়বে। গভীর রাত কিংবা ছুটির দিনেও জরুরি সেবা অব্যাহত রাখেন চিকিৎসকেরা। বিশেষজ্ঞদের পাবেন কি না, এমন ভাবনায় চিকিৎসা নিতে দেরি করবেন না।
উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা :
ইন্টারনাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ দেহের প্রতিটি অংশের চিকিৎসা দিতে পারেন (সার্জারি বা অস্ত্রোপচারের বিষয়াদি বাদে)। জ্বর, প্রস্রাবে জ্বালাপোড়া, কাশি, পেটব্যথা ইত্যাদি নানাবিধ উপসর্গ নিয়েই তাঁদের কাছে যাওয়া যেতে পারে। তবে প্রয়োজনে তাঁরা আপনাকে নির্দিষ্ট বিষয়ের বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়েও দিতে পারেন।
কাশি বা শ্বাসকষ্টের জন্য বক্ষব্যাধি বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে পারেন। তবে মনে রাখতে হবে, কেবল ফুসফুস বা শ্বাসতন্ত্রের সমস্যাতেই শ্বাসকষ্ট হয় না। হৃৎপিণ্ডের সমস্যাতেও শ্বাসকষ্ট হতে পারে। এমনকি রক্তশূন্যতার রোগীও একপর্যায়ে শ্বাসকষ্টে ভুগতে পারেন। তাই বক্ষব্যাধি চিকিৎসক আপনাকে প্রয়োজনীয় পরীক্ষা–নিরীক্ষার পর হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ কিংবা রক্তরোগ বিশেষজ্ঞের কাছেও যেতে বলতে পারেন।
হৃদ্রোগের জন্য হৃদ্রোগ বিশেষজ্ঞ (কার্ডিওলজিস্ট) যেমন রয়েছেন, তেমনি হৃৎপিণ্ডের অস্ত্রোপচারের জন্য কার্ডিয়াক সার্জনও রয়েছেন।
পেটব্যথা, অ্যাসিডিটি, বমি, পাতলা পায়খানার জন্য যেতে পারেন পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের কাছে। রক্তবমি, পায়খানার সঙ্গে রক্ত যাওয়া কিংবা কালো পায়খানা হবার মতো উপসর্গেরও চিকিৎসা করবেন তিনি।
হাড় ভেঙে বা মচকে গেলে কিংবা হাড়ে টিউমারজাতীয় কিছু দেখা দিলে অর্থোপেডিকস বিশেষজ্ঞের শরণাপন্ন হতে হবে।
শরীরের বিভিন্ন অংশে ব্যথার জন্য যেতে পারেন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের কাছে (ফিজিওথেরাপিস্ট নয়)। জয়েন্ট আক্রান্ত হয়, এমন নির্দিষ্ট কিছু রোগের জন্য রিউমাটোলজিস্টের কাছেও যেতে হতে পারে।
নখ উপড়ে গেলে, পায়ুপথের সমস্যা কিংবা দীর্ঘমেয়াদী কোষ্টকাঠিন্য হলে জেনারেল সার্জনের কাছে যেতে পারেন। পাঁজরে আঘাতের জন্য প্রয়োজন থোরাসিক সার্জন।
প্রস্রাবের পরিমাণ কমে গেলে বা বেড়ে গেলে, মুখ ফুলে গেলে কিডনি বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। পেট ফোলা বা রক্তবমির মতো সমস্যা হতে পারে লিভারের সমস্যায়। লিভারের সমস্যা ধরা পড়লে লিভার বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।
প্রস্রাব করতে অসুবিধা হলে, অল্প অল্প করে প্রস্রাব ঝরলে ইউরোলজিস্টের শরণাপন্ন হোন।
মাসিক অনিয়মিত হলে হরমোন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন। ডায়াবেটিসের জন্যও তাঁরাই বিশেষজ্ঞ।
রক্তরোগ (রক্তের ক্যানসারসহ) চিকিৎসা দেন হেমাটোলজিস্ট। অন্যান্য ক্যানসারের চিকিৎসা দেন অনকোলজিস্ট।
কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন, তা বুঝতে না পারলে আপনার নিকটস্থ এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন
কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন, তা বুঝতে না পারলে আপনার নিকটস্থ এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিনছবি: পেক্সেলস
আরও যা
শিশুদের জন্য যেমন পেডিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগ, তেমনি বয়োজ্যেষ্ঠদের জন্য আছে জেরিয়াট্রিক মেডিসিন বিভাগ।
শিশুদের কিডনির রোগ, স্নায়ুরোগ, রক্তরোগ, সার্জারি প্রভৃতির জন্যও বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক রয়েছেন।
আপাতদৃষ্টিতে কোনো কারণ না থাকা সত্ত্বেও যদি অস্বাভাবিকভাবে ওজন কমে, তাহলে এন্ডোস্কপি এবং কোলনস্কপি পরীক্ষার জন্যও আপনাকে পরিপাকতন্ত্র বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠানো হতে পারে।
কোন বিশেষজ্ঞের কাছে যাবেন, তা বুঝতে না পারলে আপনার নিকটস্থ এমবিবিএস চিকিৎসকের পরামর্শ নিন। তিনি আপনাকে উপসর্গভিত্তিক চিকিৎসা দিয়ে বিশেষজ্ঞের কাছে পাঠিয়ে দেবেন।
একই স্মার্টফোনে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে #
অনেকেই ভিন্ন ভিন্ন ফোনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করেন। ফলে গুরুত্বপূর্ণ কোনো তথ্য এলে সময়মতো তা জানা সম্ভব হয় না। সমস্যা সমাধানে একই স্মার্টফোনে একসঙ্গে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ চালুর ঘোষণা দিয়েছে হোয়াটসঅ্যাপের মূল প্রতিষ্ঠান মেটা। আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে সব অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীর জন্য এ সুবিধা উন্মুক্ত করা হবে বলে জানিয়েছে প্রতিষ্ঠানটি।
মেটার প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা মার্ক জাকারবার্গ ফেসবুকে জানিয়েছেন, অ্যান্ড্রয়েড ব্যবহারকারীদের জন্য অ্যাকাউন্ট পরিবর্তনের সুযোগ চালু করছে হোয়াটসঅ্যাপ। এ সুবিধা চালু হলে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য আলাদা ফোন ব্যবহার করতে হবে না। ফলে বারবার অ্যাকাউন্ট থেকে লগআউট করারও প্রয়োজন নেই।
মেটার তথ্যমতে, একই ফোনে একাধিক হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের জন্য একাধিক মুঠোফোন নম্বর ব্যবহার করতে হবে। অর্থাৎ একটি সিমকার্ড দিয়ে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে না। শুধু তা–ই নয়, অপর হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট চালুর সময় যে সিমকার্ড ব্যবহার করা হয়েছে, সেটিও ফোনে যুক্ত থাকতে হবে। সিমকার্ড যুক্তের পর অন্য ফোনে চালু থাকা হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্টের কিউআর কোড স্ক্যান করলেই একই ফোনে একাধিক অ্যাকাউন্ট ব্যবহার করা যাবে।
একই ফোনে দুটি হোয়াটসঅ্যাপ অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুবিধা যুক্ত হলে হোয়াটসঅ্যাপের প্রোফাইল অপশনে একটি ‘পপআপ’ মেনু দেখা যাবে। মেনুতে থাকা পছন্দের অ্যাকাউন্ট নির্বাচন করলেই দ্রুত অ্যাকাউন্ট পরিবর্তন হয়ে যাবে। ফলে একই সঙ্গে দুটি অ্যাকাউন্ট ব্যবহারের সুযোগ মিলবে।
ভোটের আগে মুঠোফোন নজরদারির নতুন ব্যবস্থা :
নভেম্বর থেকে সমন্বিত আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালু হচ্ছে, যা ব্যক্তির অবস্থানের সুনির্দিষ্ট তথ্য জানাবে।
নির্বাচনের আগে মুঠোফোনে নজরদারির নতুন ব্যবস্থা চালু করতে যাচ্ছে সরকার। এ ব্যবস্থায় কোন মুঠোফোন ব্যবহারকারী কোথায় অবস্থান করছেন, তার সুনির্দিষ্ট তথ্য পাবে পুলিশ ও গোয়েন্দা সংস্থা। এটি স্থাপন করতে মোবাইল অপারেটরদের ব্যয় হবে প্রায় ২০০ কোটি টাকা।
মুঠোফোন ব্যবহারকারীদের ওপর নজরদারির ব্যবস্থা এখনো আছে। এ ব্যবস্থায় একটি মুঠোফোন নম্বর ব্যবহারকারী কোন এলাকায় রয়েছেন, তা জানা যায়। তবে সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায় না। নতুন ব্যবস্থা হবে আরও সুনির্দিষ্ট।
ধরা যাক, একজন মুঠোফোন ব্যবহারকারী এখন ফার্মগেট মোড়ে রয়েছেন। এখনকার ব্যবস্থায় সেখানকার মোবাইল নেটওয়ার্কের বেজ ট্রান্সসিভার স্টেশনের (বিটিএস, যা টাওয়ার নামে পরিচিত) আওতার তিনটি কেন্দ্রের (সেল) কোনটিতে গ্রাহক অবস্থান করছেন, তা জানা যায়। যেহেতু বিটিএসের আওতা মোটামুটি বড় থাকে, ফলে গ্রাহকের সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা যায় না।
তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ ও টেলিযোগাযোগ খাত সূত্র বলছে, নতুন ব্যবস্থায় ওই ব্যক্তি ফার্মগেট মোড়ের ঠিক কোন জায়গায় আছেন, সেটিও সুনির্দিষ্টভাবে জানা যাবে। ফলে ব্যক্তি কোন ভবনে রয়েছেন, তা শনাক্ত করা সম্ভব হবে। পাশাপাশি কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা বা আর্টিফিশিয়াল ইন্টেলিজেন্স (এআই) ব্যবহার করে জানা যাবে বিপুলসংখ্যক মানুষের গতিবিধি।
নতুন ব্যবস্থায় মুঠোফোন ব্যবহারকারীর ছয় মাসের ‘জিও লোকেশন’ উপাত্ত সংরক্ষণ করা হবে। সেখান থেকে তাঁর গতিবিধির এলাকা শনাক্ত করা সম্ভব। জিও লোকেশন হলো মুঠোফোন গ্রাহকের অবস্থানের তথ্য। একজন গ্রাহক মুঠোফোন নিয়ে যদি কোথাও যান, মুঠোফোন যদি সচল রাখেন, তাহলে তাঁর অবস্থানের তথ্য জানা যায় জিও লোকেশনের মাধ্যমে।
নাম প্রকাশ না করার শর্তে একজন টেলিযোগাযোগ প্রযুক্তিবিশেষজ্ঞ প্রথম আলোকে বলেন, বর্তমান ব্যবস্থায় বেশিসংখ্যক মানুষের তথ্য সংগ্রহ করা কঠিন। কারণ, প্রত্যেকের তথ্য আলাদা আলাদাভাবে সংগ্রহ করতে হয়। নতুন ব্যবস্থা কাজ করবে কৃত্রিম বুদ্ধিমত্তা ব্যবহার করে। এতে হাজার হাজার মানুষের জিও লোকেশন বিশ্লেষণ করা সহজ হয়ে যাবে।
সরকারি সংশ্লিষ্ট একটি সংস্থার নথি অনুযায়ী, নজরদারির নতুন ব্যবস্থায় সব ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান (আইএসপি), ইন্টারন্যাশনাল ইন্টারনেট গেটওয়ে (আইআইজি) প্রতিষ্ঠান, ন্যাশনাল ইন্টারনেট এক্সচেঞ্জ (এনআইএক্স) সেবাদাতা প্রতিষ্ঠান ও মোবাইল অপারেটরের ব্যবস্থা একটি সরকারি সংস্থার ব্যবস্থার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে। এর মাধ্যমে মোবাইল অপারেটরদের কাছ থেকে গ্রাহকদের জিও লোকেশন তথ্য পাবে সব আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থা।
নজরদারির নতুন ব্যবস্থাটির নাম ‘ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম’ (আইএলআইএস বা সমন্বিত আইনসম্মত আড়ি পাতার ব্যবস্থা)। নথিপত্র ও সংশ্লিষ্ট সরকারি সূত্রে জানা গেছে, এটি চালুর জন্য ২০১৮ সালের মার্চে সংশ্লিষ্ট বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে চিঠি দেওয়া হয়েছিল।
অনুলিপি দেওয়া হয়েছিল সরকারের কয়েকটি মন্ত্রণালয় ও সংস্থাকে। তবে সরকারের প্রস্তুতির ঘাটতি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোর ‘গড়িমসিতে’ তা চালু হয়নি। তবে সম্প্রতি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানগুলোকে ডেকে আগামী মাস নভেম্বরের শুরু থেকে ব্যবস্থাটি চালু করতে বলে দেওয়া হয়েছে।
আগামী জানুয়ারি মাসের শুরুর দিকে দেশে জাতীয় সংসদ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা। তার আগে মাঠের বিরোধী দলগুলো নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকারের দাবিতে আন্দোলন জোরদারের কথা বলছে।
বিনিয়োগ অপারেটরদের
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান গত ১২ জানুয়ারি জাতীয় সংসদে এক প্রশ্নের জবাবে এই ব্যবস্থা চালুর কথা বলেছিলেন। তখন তিনি বলেন, রাষ্ট্র ও সরকারবিরোধী বিভিন্ন কার্যক্রম বন্ধে ‘আইনসম্মতভাবে’ আড়ি পাতার ব্যবস্থা চালু করার উদ্যোগ নিয়েছে সরকার। এর একটি হলো আইএলআইএস।
এর আগে ২০২২ সালের ১ জুন সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ‘পার্ট প্রকিউরমেন্ট অব ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন (এলআই) সিস্টেম-জিও লোকেশন সিস্টেম অ্যান্ড রিলেটেড সার্ভিসেস’ কেনার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়। তখন বলা হয়, এটি ফ্রান্সের ইন্টারসেক এসএর কাছ থেকে সরাসরি ক্রয় করা হবে। ব্যয় হবে ১৭২ কোটি টাকার কিছু বেশি।
সরকার বলছে, ব্যবস্থাটি চালু করা হবে অপরাধ দমনে। এ বিষয়ে ২০১৮ সালের মার্চে দেওয়া এক চিঠিতে বলা হয়, এই ব্যবস্থা ব্যবহার করে জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহের জন্য পর্যবেক্ষণ কাজ পরিচালনা করা হবে। সব আইন প্রয়োগকারী ও গোয়েন্দা সংস্থা তাদের চাহিদা অনুযায়ী জিও লোকেশনসহ অন্যান্য সুবিধা পাবে।
২০২২ সালের ১৭ মার্চ ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ইন্টেলিজেন্স অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে আড়ি পাতার প্রযুক্তি কিনেছে। এর আগে ২০১৫ সালে মুঠোফোনে আড়ি পাতা ও নজরদারির জন্য বাংলাদেশের কেনা সরঞ্জাম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আটকে দিয়েছিল সুইজারল্যান্ড।
বাংলাদেশে টেলিযোগাযোগ নিয়ন্ত্রণ কমিশন (বিটিআরসি) ও মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন অ্যামটব সূত্র জানিয়েছে, যে জিও লোকেশন-ব্যবস্থা চালুর জন্য বলা হয়েছে, সেটি বাস্তবায়ন করতে অপারেটরদের নতুন সফটওয়্যার ও সরঞ্জাম প্রয়োজন। তা কিনতে বড় অঙ্কের অর্থ দরকার। অ্যামটব এই অর্থ চেয়েছিল বিটিআরসির সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিল (এসওএফ) থেকে। তারা যে প্রকল্প দাখিল করেছিল, সেটির ব্যয় ধরা হয়েছিল ১ কোটি ৯০ লাখ মার্কিন ডলার, যা বাংলাদেশি মুদ্রায় ২১০ কোটি টাকার সমান।
বিটিআরসি সূত্রে জানা যায়, গত ৮ আগস্ট ডাক ও টেলিযোগাযোগ বিভাগের সভাকক্ষে মন্ত্রী মোস্তাফা জব্বারের সভাপতিত্বে সামাজিক দায়বদ্ধতা তহবিলের ব্যবস্থাপনা কমিটির ২০তম সভা অনুষ্ঠিত হয়। সভায় অ্যামটবের প্রস্তাব নাকচ করা হয় এই বলে যে টেলিযোগাযোগ আইন অনুযায়ী আবেদনটি বিবেচনার সুযোগ নেই। অর্থাৎ অপারেটরগুলোকে নিজস্ব অর্থে নতুন ব্যবস্থাটি প্রতিষ্ঠা করতে হবে। দেশে চারটি মোবাইল অপারেটর রয়েছে গ্রামীণফোন, রবি-আজিয়াটা, বাংলালিংক ও টেলিটক।
অ্যামটবের কাছে প্রথম আলোর পক্ষ থেকে জানতে চাওয়া হয়েছিল, নজরদারির কাজে ব্যবহৃত হওয়ার আশঙ্কা আছে, এমন ক্ষেত্রে বহুজাতিক কোম্পানিগুলো, যারা মানবাধিকার ও গ্রাহকের গোপনীয়তার অধিকারের ক্ষেত্রে দায়বদ্ধ, তারা কি এ ধরনের উপাত্ত ভাগাভাগি করতে পারে? জবাবে অ্যামটবের মহাসচিব লেফটেন্যান্ট কর্নেল (অব.) মোহাম্মদ জুলফিকার লিখিত বক্তব্যে বলেন, বাংলাদেশের টেলিযোগাযোগ আইন ও এর আওতায় প্রদত্ত লাইসেন্সের শর্ত অনুযায়ী মোবাইল অপারেটররা সেবা পরিচালনা করে আসছে। ওই আইনের নির্দেশনা অনুযায়ী অন্যান্য দেশের মতো বাংলাদেশেও অপারেটররা আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীকে সহায়তা করে থাকে।
বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনের ৯৭(ক) ধারায় বলা হয়েছে, ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে’ যেকোনো টেলিযোগাযোগ সেবা ব্যবহারকারীর পাঠানো বার্তা ও কথোপকথন প্রতিহত, রেকর্ড ধারণ বা তত্সম্পর্কিত তথ্য সংগ্রহের জন্য সরকার সরকারি সংস্থার কোনো কর্মকর্তাকে ক্ষমতা দিতে পারবে। টেলিযোগাযোগ সেবাদানকারী নির্দেশ পালনে বাধ্য থাকবে।
তবে আইনজীবী ও অধিকারকর্মীদের কারও কারও মত, বার্তা ও কথোপকথনের কথা বলা হলেও ব্যক্তির অবস্থানের তথ্য দেওয়ার বিষয়টি আইনে নেই। এটা মানুষের গোপনীয়তার অধিকারের লঙ্ঘন। আর জনশৃঙ্খলা একটি বিস্তৃত বিষয়। এর সুযোগ নিয়ে সরকার সাধারণত সবার ওপর নজরদারি করে।
মালয়েশিয়ার ইউনিভার্সিটি অব মালয়ার আইন ও উদীয়মান প্রযুক্তি বিভাগের জ্যেষ্ঠ প্রভাষক মুহাম্মদ এরশাদুল করিম প্রথম আলোকে বলেন, সভ্য গণতান্ত্রিক দেশগুলোতে নির্দিষ্ট ব্যক্তির ওপর আদালতের অনুমতি সাপেক্ষে নজরদারির সুযোগ রাখা হয়, গণভাবে নয়। বাংলাদেশে ‘রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলা’র কথা বলে গণনজরদারি করা হয়। বিরোধীদের দমাতে এটা যে ব্যবহার করা হয়, তা বিশ্বাস করার যথেষ্ট কারণ রয়েছে।
‘সেই নিশ্চয়তা নেই’
সেবাদানকারীরা বলছেন, উন্নত বিশ্বে মুঠোফোন ব্যবহারকারী ব্যক্তি সুনির্দিষ্টভাবে কোথায় অবস্থান করছেন, তার উপাত্ত ব্যবহার করা হয় জরুরি সেবাদানের ক্ষেত্রে। ব্যক্তির নাম ও পরিচয় ব্যবহারকারীরা জানতে পারেন না।
ধরা যাক, কোনো ব্যক্তি জাতীয় জরুরি সেবা নম্বরে ফোন করে বলছেন, তিনি বাসায় একা অসুস্থ হয়ে পড়েছেন। তাঁর চিকিৎসাসেবা দরকার। তখন তাঁর জিও লোকেশন ব্যবহার করে চিকিৎসাসেবাদাতারা পৌঁছে যান। বাংলাদেশে ৯৯৯-এ ফোন করার পর ঠিকানার খুঁটিনাটি বলতে হয়। সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিরা বলছেন, বাংলাদেশে জরুরি সেবাদান মূল উদ্দেশ্য নয়, বরং নজরদারির জন্য জিও লোকেশন উপাত্ত নেওয়ার নতুন ব্যবস্থা চালু হচ্ছে।
শুধু সমন্বিত আইনসম্মত আড়ি পাতার ব্যবস্থা নয়, সরকার এর আগেও মুঠোফোনে আড়ি পাতার কিছু প্রযুক্তি কিনেছে। গত ১০ জানুয়ারি ইসরায়েলের সংবাদমাধ্যম হারেৎস এক প্রতিবেদনে জানায়, ইসরায়েলের সাবেক এক গোয়েন্দা কমান্ডার পরিচালিত প্যাসিটোরা নামের একটি কোম্পানির কাছ থেকে মুঠোফোনে নজরদারির অত্যাধুনিক প্রযুক্তি কিনেছে বাংলাদেশ সরকার।
এই প্রযুক্তির মধ্যে রয়েছে নজরদারির সরঞ্জাম ও গতিবিধি শনাক্ত করতে সক্ষম সফটওয়্যার দিয়ে সজ্জিত একটি গাড়ি, যা আশপাশের প্রায় আধা কিলোমিটারের মধ্যে থাকা মুঠোফোনের ‘এনক্রিপ্টেড’ (সুরক্ষিত) হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা, মেসেঞ্জারে কথোপকথন, যোগাযোগের তালিকা, কল ও খুদে বার্তার (এসএমএস) তথ্য সংগ্রহ করতে পারে।
২০২২ সালের ১৭ মার্চ ফ্রান্সের সংবাদমাধ্যম ইন্টেলিজেন্স অনলাইন এক প্রতিবেদনে জানায়, বাংলাদেশ ইন্টারনেটভিত্তিক যোগাযোগমাধ্যম টেলিগ্রামে আড়ি পাতার প্রযুক্তি কিনেছে। এর আগে ২০১৫ সালে মুঠোফোনে আড়ি পাতা ও নজরদারির জন্য বাংলাদেশের কেনা সরঞ্জাম মানবাধিকার লঙ্ঘনের অভিযোগে আটকে দিয়েছিল সুইজারল্যান্ড।
আঞ্চলিক টেলিযোগাযোগ গবেষণা প্রতিষ্ঠান লার্নএশিয়ার জ্যেষ্ঠ পলিসি ফেলো আবু সাঈদ খান প্রথম আলোকে বলেন, বাংলাদেশে আড়ি পাতা আইনত নিষিদ্ধ নয়। তবে সেই আইনের প্রয়োগ কতটা ও কীভাবে হয়, তা রাষ্ট্রের সাংস্কৃতিক পরিচয় বহন করে। আধুনিক প্রযুক্তি রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের বিরুদ্ধে ব্যবহার করা সুসভ্য রাষ্ট্রের পরিচয় বহন করে না।
তিনি বলেন, রাষ্ট্র পরিবর্তনযোগ্য নয়, সরকার পরিবর্তনযোগ্য। আজ যাঁরা সরকারে আছেন, তাঁরা কোনো দিন বিরোধী দলে গেলে তাঁদের বিরুদ্ধে আধুনিক প্রযুক্তি প্রয়োগ করা হবে না, সেই নিশ্চয়তা নেই।
আবু সাঈদ খান আরও বলেন, নতুন ব্যবস্থায় গ্রাহকের ওপর নজরদারির জন্য সরঞ্জাম ও সফটওয়্যার কেনার অর্থ গ্রাহকের কাছ থেকেই নেওয়া হবে। এটা মোবাইল অপারেটর বা সরকারি সংস্থা কোনোভাবেই পারে না। বাংলাদেশে মোবাইল অপারেটরগুলোকে লাইসেন্স দেওয়া হয়েছে টেলিযোগাযোগ সেবা দিতে। মানুষের জিও লোকেশন উপাত্ত দিয়ে গোয়েন্দাগিরির সহযোগী হতে নয়।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Telephone
Website
Address
Zarif Communications, 8 No. Rambabu Road
Mymensingh
2200
Mymensingh, 2240
All types of electronic goods can be purchased here according to my business type.
Shoumbhuganj Kishorganj Road
Mymensingh
বিশ্বস্ততার আরেক নাম জিহাদ টেলিকম
Maskanda
Mymensingh, 24.716305436356304,90.4099024950366
About of Electrical And Electronics Knowledge
Shahgonj Bazaar, Gouripur
Mymensingh
আমরা হলাম গৌরীপুরের মধ্যে একমাএ জনপ্রিয় অনলাইন শপ আমরা বিক্রি করে থাকি সকল অরিজিনাল পণ্য।