Dr. Choton Miazi

মানুষ দেখে আপনার কর্ম সমূহ...
কিন্তু...
আল্লাহ্‌ সুবহানু ওয়া তা'আলা দেখেন আপনার নিয়ত...❤️

প্রচুর দোয়া করছেন, কাঁদছেন, ভাবছেন, বলছেন, মোনাজাতে অশ্রুর টইটম্বুর ঘটছে তবুও কেন যেন দোয়া কবুল হচ্ছে না।

অধীর আগ্রহে বসে আছেন। অপেক্ষার প্রহর শেষ হচ্ছে না। বুক ফাঁটছে, কিন্তু মুখ ফাঁটছে না। কেউ জানছে না, আপনি কাঁদছেন। নীরবে, নিভৃতে রবের সহিত একান্ত আলাপ চালিয়ে যাচ্ছেন। নিয়মিত না হলেও, অনিয়মিত। অশান্ত মনকে শান্ত করবার চেষ্টা চালাচ্ছেন, সবর শিখছেন!

আপনি হয়তো জানেন'ই না, রব আপনার দোয়া অনেক আগেই কবুল করে ফেলেছেন। শুধুমাত্র আপনার 'সবর' এর মাত্রা বা পরিস্থিতি দেখছেন।

পরীক্ষায় কখনো ফার্স্ট হয়েছেন?
নয়তো কোনো প্রতিযোগিতায় প্রথম স্থান অর্জন করেছিলেন?
মনে আছে, প্রথম স্থান অধিকারীর নাম নেওয়ার পূর্বে শিক্ষক বা উপস্থাপক কিছুক্ষণ সময় নেন।

"প্রথম স্থান অধিকারী হচ্ছে......"
বলে লম্বা একটা সময় নিয়ে সবাইকে টেনশনে ফেলে দেন। সবাই কেবল বিড়বিড় করে রবকে ডাকে, দেখেছেন কখনো?

জ্বি, সামান্য ওই বিরতিটা'ই বোধকরি চলছে আপনার জীবনে। আল্লাহ্ তাঁর গোলামের দোয়া কবুল করার ক্ষেত্রে একটু সময় তো নিতেই পারেন। তাই না?

"হে আমার রব, আমি তো তোমাকে ডেকে কখনো বিফল হইনি- সুরা মারিয়াম, আয়াত ৪"

©OHEE - ওহী

একটি চাওয়ার মত জায়গা আছে। চেপে রাখা অভিমানগুলো শোনার মত একজন আছে তাঁর। হাজারো অপরাধ নিয়ে যার সামনে দাঁড়ানো যায়। রাগ হওয়ার পরিবর্তে তাঁর ফিরে আসাতে যিনি খুশি হন তীব্র ভাবে।
যিনি দুর্বল নন, বরং সবচেয়ে শক্তিশালী। ক্ষমতাহীন নন, বরং সর্বচ্চ ক্ষমতার অধিকারী।
এতকিছু যে জানে, সে কী করে হতাশায় ভোগে। কেনই বা তাঁর মনে হয়, এ জগতে সে অসহায়। কেন সে ভাবে তাঁর জীবনটা এলোমেলো, সাজিয়ে দেয়ার কেউ নেই।
পরীক্ষা গুলো তাঁর সৃষ্টি, তিনিই ফেলেন আমাদেরকে পরিক্ষায়। কিন্তু এর অর্থ এই নয়, তিনি ভুলে যান বা চলে যান আমাদের ছেড়ে। তিনি সামর্থ্যের বাইরে কিছুই চাপান না । তিনি তো কেবল দেখেন, সত্যিই তাঁকে ভালবাসি নাকি শুধু অভিনয়।
:
:
"মাতা নাসরুল্লাহ / কবে আসবে আল্লাহর সাহায্য" - নবীদের মুখ দিয়ে পর্যন্ত বের হয়ে গিয়েছিল এই বাক্য। কিন্তু জানেন কি, এর জবাব কী দিয়েছেন আমাদের রব -
:
:
"জেনে রাখ, নিশ্চয়ই আল্লাহর সাহায্য অতি নিকটে"- সুরা আল-বাক্বারাহ ২১৪।💜
সংগৃহীত

تقبل الله منا ومنكم

তাকাব্বাল আল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম
(আল্লাহ তাআলা আপনার এবং
আমাদের কাছ থেকে কবুল করুন)

কুরবানী হোক মনের পশু !

(ঈদ মোবারক।)

😑

আপনাদের সন্তান আপনাদেরই প্রতিচ্ছবি। 🌹
বর্তমান যুগে একজন শিশুকে প্রকৃত মানুষ হিসেবে গড়ে তোলা অনেক বড় চ্যালেঞ্জিং বিষয়।পরিবারই একটা শিশুর প্রাথমিক শিক্ষাকেন্দ্র। শিশু যদি ছোট থেকেই পারিবারিক সুশিক্ষা পায়, তাহলে তার ভাষা ও ব্যবহারে সেটা অবশ্যই ফুটে উঠবে। যেকেউ আপনার সন্তানের মুখনিঃসৃত ভাষা এবং ব্যবহারেই বুঝতে পারবে মূলত সে কিরকম পরিবারে বড় হয়েছে।

সর্বোত্তম মুমিন সে...
যার মনে কোনো হিংসা-বিদ্বেষ নেই...🌹

যখন দু'আ এবং চেষ্টাতেও কাজ না হয়,তখন সবকিছু আল্লাহর হাতে ছেড়ে দাও।কারন আল্লাহ্‌ তাঁর বান্দাদের ভালোর জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নিবেন.🌹

প্রতিমুহূর্তে কতো মানুষের জীবনের কাটা থেমে যায়।আল্লাহ্‌ তা'আলা আমায় বাঁচিয়ে রেখেছেন,নিজেকে সংশোধনের সুযোগ দিয়েছেন।আলহামদুলিল্লাহ্♥

যখন সম্পূর্ণ পৃথিবী মুখ ফিরিয়ে নেয়..
তখনও একমাত্র আল্লাহ্‌ তা'আলাই সাথে থাকেন..♥

আল্লাহ্‌ আমাদের পরীক্ষা নেন কিন্তু কখনো আমাদের একা ছেড়ে দেন না...
আমরা মানুষরাই একটু কষ্ট পেলে আল্লাহর উপর ভরসা করা ছেড়ে দেই...💔

আলহামদুলিল্লাহ...💙

আল্লাহ তা'আলা সকলের মনের নেক ইচ্ছাগুলো পূরণ করুন। 🌹

বাবা-মায়ের যত্ন নিন, তাদেরকে সময় দিন, একটু বসে গল্প করুন, তাদের জমে থাকা কথাগুলো মন দিয়ে শুনুন। কারণ শরীরের চেয়েও মনের সুস্থতা অধিক জরুরী 💜

সর্বাবস্থায় আল্লাহ তা'আলার প্রতি বিশ্বাস রাখা জরুরী 💙

অনেক মানুষই কমবেশি এই ভুলটা করে থাকে।
সাধারণত এখনও অনেক মানুষ নিজেদের হেলথ নিয়ে খুব বেশি সচেতন না। ছোটখাটো কিছু হলে ফার্মেসীর লোকদের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে। এতেও যখন কাজ না হয়, তখন এরা ডাক্তারের কাছে চিকিৎসা সেবা নিতে যায়। ডাক্তার সেবা প্রদান করে থাকে একজন রোগীর সম্পূর্ণ হিস্ট্রি অনুযায়ী। এতে রোগী আল্লাহর হুকুমে ডাক্তারের মাধ্যমে সুস্থতা লাভ করে।
কিন্তু এরপরই কিছু কিছু মানুষ ভুল করা শুরু করে...
যখন একই ধরনের সমস্যা তার পরিবারের কারো বা আত্মীয়ের কারো দেখা দেয়, তখন ওই ব্যক্তিটি মনে করেন, "এই সমস্যার জন্য তো ডাক্তার আমাকে অমুক তমুক মেডিসিন দিয়েছিলো, এখন এই ওষুধ খেলেই মনে হয় এই রোগের চিকিৎসা হয়ে যাবে, ডাক্তারের কাছে গিয়ে অযথা টাকা নষ্ট করতে হবেনা"
যেই ভাবনা, সেই কাজ... শুরু করে দেয় নিজের মতো চিকিৎসা।

প্রত্যেকের এটা মনে রাখা জরুরী যে,লক্ষণ একই হলেও রোগ ভিন্ন হতে পারে।যেমন- জ্বর হলো একটা লক্ষণ।জ্বর হওয়ার পেছনে অনেক কারণ থাকতে পারে।একেক জনের জ্বরের কারণ অনুযায়ী চিকিৎসা ভিন্ন হতে পারে।আর সেটা একজন ডাক্তারই রোগীর কাছ থেকে বিস্তারিত তথ্য জেনে সঠিক রোগ ডায়াগনোসিস করে ট্রিটমেন্ট দিতে পারে।

সুতরাং নিজে সচেতন হোন,সকলকে সচেতন করুন... ভালো থাকুন 🌹

🌹

অসুস্থতায় ফার্মেসীর লোকদের পরামর্শে ঔষধ সেবন করে নিজেকে বিপদের মুখে ফেলবেন না। সঠিক চিকিৎসাসেবা কেবল ডাক্তারই দিতে পারবে, কোনো ফার্মেসীর কর্মচারী নয়।

প্রতিদিন কিছুটা সময় গায়ে রোদ লাগান, ভিটামিন -ডি এর চাহিদা পূরণ করুন।
সুস্থ থাকুন... 🙂

শরীরে রোগব্যাধির কারখানা হওয়ার পর লাখ টাকার চিকিৎসাতেও কাজ হয়না।
সময় থাকতে লাইফস্টাইল ও খাবারে পরিবর্তন আনলেই অনেকদিন সুস্থ সবল থাকা সম্ভব ইন শা আল্লাহ 🥀

জরুরী অবস্থায় কোনো দালালের খপ্পরে পড়ে রোগীকে কখনোই আশেপাশের ছোটখাটো ক্লিনিকে নিয়ে সময় অপচয় করবেন না।
মনে রাখবেন, "সময় এবং টাকার চেয়ে জীবনের মূল্য অনেক"

"জন্ম" ও "মৃত্যু"
এই দুটো শব্দই একে অপরের বিপরীত।
জন্ম হলো একটি নতুন জীবনের সূচনা। অপরদিকে মৃত্যু হলো একটি সাজানো গোছানো জীবনের সমাপ্তি। ডাক্তারি পেশায় থাকার ফলে এই দুটো চিরন্তন সত্য বাস্তবতাই আমরা খুব কাছ থেকে দেখি। একদিকে অপারেশন থিয়েটার থেকে শোনা যায় পৃথিবীতে আগমন করা এক নতুন প্রাণের ক্রন্দন । অপরদিকে শোনা যায় কোনো কেবিনে সদ্য পৃথিবী ছেড়ে যাওয়া মানুষটার জন্য স্বজনদের আহাজারি। এসব বাস্তবতা আমাদের কাছে নিত্যদিনের ঘটনা।
আমরাও মানুষ, জন্ম নিয়েছি... আবার মৃত্যুকেও বরণ করে নিতে হবে।
অথচ ক্ষণিকের এই জীবন নিয়ে আমাদের কতো শত আয়োজন!

______________ #চোখ_ওঠা ___________________
মেডিকেল টার্মঃ কনজাংটিভাইটিস
অনেকসময় পিংক-আই ও বলা হয়।

হুমমমম আজকের পোস্ট এই বিষয় নিয়ে।
কেন??
কারন যদি আপনি আশেপাশে/বাসা/প্রতিবেশি/রাস্তাঘাট/যানবাহন/অফিস বা স্কুল কলেজের দিকে দেখেন তাহলে বুঝতে পারবেন এই সমস্যার প্রকোপ বাড়ছে এখন।
আজকের সচেতনতা হবে আপনার জন্য সাবধানতা ও সুরক্ষা কবজ।






আসুন ঝটপট করে জেনে রাখি বিষয়টা।

#প্রকারভেদঃঃ ব্যাকটেরিয়াল, ভাইরাল, এ্যালার্জিক।


োনটা_বেশি_হচ্ছেঃঃ ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস এই সিজনে বেশি হচ্ছে।


#কোন_ভাইরাসঃঃ এডেনো, হারপিস সিমপ্লেক্স



#লক্ষণঃঃ
১।চোখের যে সাদা অংশ আছে সেই অংশ পিংক/লাল/লালচে কালার হয়।
২। চোখ থেকে পানি পরা।
৩। চোখ খচখচ করা, কখনো আবার জ্বালাপোড়া করা।
৪। চোখের পাতা ফুলে যায়।
৫। রোদে তাকাতে সমস্যা হয়।
৬। চোখে হালকা ব্যথা, মাথাব্যথা, নাক থেকে পানি পরা হতে পারে।
৭। ঘুম থেকে উঠলে দেখা যায় ময়লা জমে থাকা বা চোখে আঠালো হলুদ/সবুজাভ পদার্থ (ডিসচার্জ বলা হয়)





#করনীয়ঃঃ
১।। কালো চশমা ব্যবহার করা।
২।। কুসুম গরম পানি দিয়ে চোখ পরিস্কার করা, চোখের পাতায় যেন ময়লা না থাকে লক্ষ্য রাখতে হবে।
৩।। চোখে হাত না দেয়া।
৪।। আগুন-রোদ-ধুলাবালি থেকে দুরে থাকুন।
৫।। পরিবারের সকলের জিনিস আলাদা রাখা এবং আলাদাভাবে ব্যবহার করবে।
৬।। চোখে একটু পরপর পানির ঝাপটা দেয়া এবং নরম টিস্যু দিয়ে মোছা।
৭।। ব্যথা বা চুলকানি হলে ঔষধসেবন।
৮।। পর্যাপ্ত বিশ্রাম নেয়া।
৯।। আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবেন।
১০।। সাথে টিস্যু ও হ্যান্ড-স্যানিটাইজার রাখুন।





#কি_করবেন_নাঃঃ
✍️ বারবার চোখ রগড়াবেন না, যখন-তখন চোখে হাত দিবেন না।

✍️ চোখের পানি হাত দিয়ে মুছে ঐ হাত দিয়ে অন্যকিছু না ধরা যেমন-কারো সাথে হ্যান্ডসেক, টিভি/এসির রিমোট, মোবাইল, বিছানা, অন্যের ব্যবহৃত টাওয়েল বা চশমা ইত্যাদি ।

✍️আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ থেকে বিরত থাকবেন।

✍️পুকুরে বা নদীতে গোসল না করা।

✍️ডাক্তারের পরামর্শ ছাড়া ড্রপ ব্যবহার করা যাবেনা।

✍️অতিরিক্ত আলো বা টিভি থেকে দুরে থাকুন।

এটা একটা ছোঁয়াচে/সংক্রামিত রোগ, আপনার চোখের পানি মুছে ঐ হাতে আরেকজনের সাথে হ্যান্ডসেক বা কোন জিনিস স্পর্শ করলে সেখান থেকে এটা ছড়াবে।






াক্তারের_কাছে_যাবেনঃঃ
চোখ থেকে হলুদ বা সবুজাভ শ্লেষ্মা বের হচ্ছে, এবং এগুলো দিয়ে চোখ আটকে আসছে, চোখ ফুলে যাওয়া ইত্যাদি।





#নোটঃঃ
✍️ এটা কোনো ভয়ংকর সমস্যা নয়, এটা যেহেতু ছোঁয়াচে সুতরাং সতর্কতা অবলম্বন করুন।

✍️ উল্টাপাল্টা ড্রপ দিয়ে চোখের ক্ষতি করনেন না।

✍️ ভাইরাল কনজাংটিভাইটিস ৭-১০দিনের মধ্যে আলহামদুলিল্লাহ ভালো হয়ে যায়। তবে এর থেকেও যদি বেশি সময় লাগে অবশ্যই চিকিৎসকের কাছে যাবেন।

✍️ভাইরাল এবং ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিস বুঝবেন কিভাবে?
ভাইরালে চোখে সমস্যার সাথে নাক থেকে পানিপরা ও জ্বর থাকে এবং এটা ৭-১০দিনের মধ্যে ভালো হয়ে যায়। আর ব্যাকটেরিয়াল কনজাংটিভাইটিসে চোখে পানির পরিবর্তে ঘন হলুদ/সবুজাভ ডিসচার্জ হয়, ব্যথা থাকে, চোখের পাতা আটকে থাকে, চোখ খুলতে সমস্যা হয়, চোখ ফুলে যা, তখন অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে এন্টিবায়োটিক ড্রপ ব্যবহার করতে হয়।







ডাঃতানিয়া_হাফিজ
জেনারেল ফিজিশিয়ান ✍️