Pk Nazim
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
Eid 🕌 Mubarak everyone, may everyone have a happy and safe Eid ❤️✅
আবু হুরায়রা (রাঃ) হতে বর্ণিত : আল্লাহর রাসূল (সাঃ) বলেছেনঃ যে ব্যক্তি ঈমানসহ পূণ্যের আশায় রমজানের সিয়াম পালন করে তার পূর্বের গুনাহ ক্ষমা করে দেওয়া হয়।
(ইসলামি ফাউন্ডেশনঃ ৩৭)
Kathmandu to Pokhara, nepal🇳🇵
Bus: I went to new poad travels & tourist bus. & Duplex buses are not always available but can be booked in advance
Hotel Middle Way
Lakeside, pokhara-6, Nepal
Tel: +977 061454138
Dipendar aryal +977 9856035791
Watch the full video on YouTube ✅4k
https://youtu.be/eEPA7Asodw4?si=vo0GLXKF1IFq270B
✔️ Nepal vlog part_6 🇳🇵
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
Nepal🇳🇵 Kathmandu city tour, six historical place.
নেপালের কাঠমান্ডু শহরের ঐতিহাসিক ছয়টি স্থাপনা ঘুরে দেখলাম,ট্যুর প্যাকেজ থেকে যা আমাদের গাইড সহ একটা চান্দের গাড়ি দেওয়া হয়েছিল।
Watch the full video on YouTube ✅
https://youtu.be/MEmEs9x7NPg?si=n2NZLebdJgl9Up_G
✔️ Nepal vlog part_5🇳🇵
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
নেপালের 🇳🇵 থামেল শহরে এক টুকরো মুসলিম এরিয়া মসজিদ, হালাল খাবার, বাঙালি, বাংলা খাবার
স্থান: মুসলিম ছল,থামেল
★Yasin halal restaurant
Address: Thamel, Muslim Tole (thamel jame masjid opposite kathmandu, nepal)
Contact: WhatsApp +9865555049, 9803131124
Imo +8801993058400
★Hotel dolphin
Address: Kathmandu Nepal
manager puspa b. Dahal- 9808886027
Co-ordinator dipak- 9816195870
Tel: 0097714425422, 4420697
4k✅ https://youtu.be/6P66XDAhfcY?si=T7dMHm7NWjZCF98q
✔️Nepal vlog part_4 🇳🇵
✔️My mission is to travel the 🌍 world
নেপালের 🇳🇵প্রাচীন রাজধানী ভক্তপুর দরবার স্কয়ার ও থামেল শহরের অলিগলি ঘুরে, বাস স্ট্যান্ড এবং থামেল শহরের হোটেল গুলো দেখব।
✔️ ২০ নভেম্বর ২০২২ ভোটের দিন।
4k✅ https://youtu.be/w5W0gePUVhU?si=B47hWZVKXWMucRn4
✔️ Nepal Vlog Part_3🇳🇵
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
Dhaka to Kathmandu Tribhuvan International Airport Nepal 🇳🇵❤️🧳
4k✅
https://youtu.be/U0gaEsYfnKQ?si=O4NDwn2TB8o83V4H
✔️ Nepal Vlog Part_2🇳🇵
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
নেপাল 🇳🇵এর স্টিকার ভিসা
এই ভিডিওতে থাকছে নেপালের ভিসা সংক্রান্ত
ফ্রি ভিসা/স্টিকার ভিসা নিয়ে সম্পূর্ণ তথ্য 🇳🇵
4k✅ https://youtu.be/dpuvk6V1f1I?si=EaOrPhedAHy9sTPX
🇳🇵
✔️ Nepal Vlog Part_1🇳🇵
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
through a special event
I presented the old Chapainawabganj in the new
চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার সম্মানিত মেয়র জননেতা জনাব মোঃ মোখলেসুর রহমানের আমন্ত্রণে বিশ্বব্যাংকের প্রতিনিধি দলের প্রধান Mansha chen সহ আরো অতিথি বৃন্দ এসেছে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌরসভার উন্নয়ন বাস্তবায়নের লক্ষ্যে জোসনারা অটো রাইস মিলে, আঞ্চলিক বিভিন্ন সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান উপভোগ করেন। ❤️
4k✅ https://youtu.be/5iMS9DbjgmU?si=3dNrPMBuveN5ObiS
আসলে মঞ্চে বসে প্রধান অতিথির চিয়ারে খেলা দেখার মজাই আলাদা😊
জদিও আমি সরম পাই মঞ্চে উটতে তার পর ও উঠেছি/!
যে অন্তর দিয়ে ভালবাসে সে সর্বোচ্চ দিয়ে #উৎচ্ছাস_উল্লাস, করতে পারে। ❤️✅🏏
আসসালামু আলাইকুম, শুভ সকাল, আজকের বাইক ট্যুর #গ্রাম_বাংলার পরিবেশ নিয়ে শীতের সকালে।
#খেজুর_রস #গ্রাম_বাংলার
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
#শরিফ #শরিফা
শীতের সকালের শ্রেষ্ঠ খাবার #খেজুরের_রস, চাঁপাইনবাবগঞ্জ কালুপুর। 🥛
4k✅https://youtu.be/GO1Xm_aaD_E?si=mRvSZ9SKkTRkS1mz
✔️ My mission is to travel the 🌍 world
পিঠা উৎসব, নবাবগঞ্জ সরকারি কলেজ চাঁপাইনবাবগঞ্জ।🥟🥧🍰🧈🫔🥨🫓
4k✅ https://youtu.be/QcKLDQ84VLU?si=iMcGVkbF7XTXk154
#চাঁপাইনবাবগঞ্জ #পিঠা_উৎসব #গ্রাম #বাংলা
#চমোলক্ক #গ্রুপ
চমোলক্ক গ্রুপের নতুন সংযোজন “”DRONE”” ✈️
DJI mini 2 se, ultra light ultra leger 249g.
#চমোলক্ক 🛰️
4k✅ https://youtu.be/lLaouKTGGlM?si=3z5fxQI6L6rglmnK
চমোলক্ক গ্রুপের বছরের প্রথম পিকনিক-২০২৪ 🍗💣
গ্রাম বাংলার পরিবেশ নিয়ে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।
#গ্রাম #বাংলা #চাঁপাইনবাবগঞ্জ #পিকনিক #চমোলক্ক #গ্রুপ
4k✅ https://youtu.be/Xqik6tv-iKk?si=mnKGIRIx8Bk6UbTf
শুভ সকাল 🌉✔️
GoPro hero 12 black action camera unboxing
✔️সি ফুড, কক্সবাজার,
✔️চমোলক্ক বাহিনী যখন কক্সবাজার যায়
4k✅ https://youtu.be/s-MrThBB5t8?si=oYo8Y1T1p-jtzbD5
চমোলক্ক বাহিনী যখন কক্সবাজার যায়
Got Steak 🐐🐐✅
আস্ত একটা খাসি জবাই করে তারপর রান থেকে বুক পর্যন্ত নিয়ে স্টেক বানাবো, আলহামদুলিল্লাহ অনেক সুন্দর, ভালো, সুস্বাদু ভাবে তৈরি করতে পেরেছি।
4k✅ https://youtu.be/poA_5l1CW8M?si=g0a0kGTYQwJ-v_ডজ
.
 congratulation team, Australia ❤️
আজ বাংলাদেশ এর ৯৫% মানুষের মনে ইচ্ছে পুরন হয়েছে।
🛶 নৌকা ভ্রমণ-২০২৩ এর শেষ পর্ব 🇧🇩
এ পর্বে আমরা খাবারের মধ্যে খাসি মুরগির রোস্ট মিক্সড ডাল সবজি #নবায়ন কিছু পদ্ধতি নিয়ে এক মনপুরা_পরিবেশে রান্না করে নৌকার মধ্যে খাবার খেলাম।
4k✅ https://youtu.be/eGrnvD-GqL0?si=u4xNh1Hn_lhC1bb0
#নবায়ন ❤️
🛶 নৌকা ভ্রমণ-২০২৩, মহানন্দা থেকে পদ্মা মোহনা পার্ক, পর্ব-১ 🇧🇩
4k✅https://youtu.be/-MBZg7y0Cpo?si=OgxzSD3lHZzqvO2h
ফারাক্কা বাঁধ গঙ্গা নদীর উপর অবস্থিত একটি বাঁধ। ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের মালদহ ও মুর্শিদাবাদ জেলায় এই বাঁধটি অবস্থিত। ১৯৬১ সালে এই বাঁধ নির্মাণের কাজ শুরু হয়। শেষ হয় ১৯৭৫ সালে। সেই বছর ২১ এপ্রিল থেকে বাঁধ চালু হয়। ফারাক্কা বাঁধ ২,২৪০ মিটার (৭,৩৫০ ফু) লম্বা যেটা প্রায় এক বিলিয়ন ডলার ব্যয়ে সোভিয়েত রাশিয়ার সহায়তায় বানানো হয়েছিল। বাঁধ থেকে ভাগীরথী-হুগলি নদী পর্যন্ত ফিডার খালটির দৈর্ঘ্য ২৫ মাইল (৪০ কিমি)।
ফারাক্কা বাঁধ ভারত তৈরি করে কলকাতা বন্দরকে পলি জমা থেকে রক্ষা করার জন্য। তৎকালীন বিভিন্ন সমীক্ষায় বিশেষজ্ঞরা অভিমত প্রকাশ করেন যে গঙ্গা/পদ্মার মত বিশাল নদীর গতি বাঁধ দিয়ে বিঘ্নিত করলে নদীর উজান এবং ভাটি উভয় অঞ্চলে প্রাকৃতিক ভারসাম্য মারাত্মকভাবে নষ্ট হতে পারে। এ ধরনের নেতিবাচক অভিমত সত্ত্বেও ভারত সরকার ফারাক্কায় গঙ্গার উপর বাঁধ নির্মাণ ও হুগলী-ভাগরথীতে সংযোগ দেয়ার জন্য ফিডার খালখননের পরিকল্পনােও কাজ শুরু করে । পরবর্তীতে যা মূলত বাংলাদেশ ও ভারতের পশ্চিমবঙ্গ, বিহার রাজ্যে ব্যাপক পরিবেশ বিপর্যয় ডেকে আনে । এটি প্রায় ১৮ কি.মি লম্বা এবং মনহরপুরে অবস্থিত।
১৯৭১ সালে বাংলাদেশ স্বাধীন হবার পর গঙ্গার জল বণ্টন নিয়ে ভারতের সাথে আলোচনা শুরু করে।১৯৭৪ সালের ১৬ মে বাংলাদেশের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান এবং ভারতের প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধী ফারাক্কা পয়েন্টে গঙ্গার পানি বণ্টন বিষয়ে এক যৌথ বিবৃতি দেন। এই সম্মেলনে এ সিদ্ধান্ত হয় যে, উভয় দেশ একটি চুক্তিতে আসার আগে ভারত ফারাক্কা বাঁধ চালু করবে না। যদিও বাঁধের একটি অংশ পরীক্ষা করার জন্য বাংলাদেশ সরকার ১৯৭৫ সালে দশ (২১ এপ্রিল ১৯৭৫ থেকে ২১ মে ১৯৭৫) দিনের জন্য ভারতকে গঙ্গা হতে ৩১০-৪৫০ কিউসেক পানি অপসারণ করার অনুমতি দেয়। কিন্তু মুজিবুর রহমান হত্যার পর ভারত কোনোরকম আলোচনায় অংশগ্রহণ করা থেকে বিরত থাকে এবং ১৯৭৬ সালের শুষ্ক মৌসুম পর্যন্ত গঙ্গা নদী হতে ১১৩০ কিউসেক পানি অপসারণ করে পশ্চিমবঙ্গের ভাগরথি-হুগলি নদীতে প্রবাহিত করে।
মাওলানা ভাসানীর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনে একটি উল্লেখযোগ্য ঘটনা হচ্ছে ‘ফারাক্কা লং মার্চ’ সংগঠিত করা। মাওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী যখন ফারাক্কা লং মার্চের নেতৃত্ব দেন তখন তার বয়স ৯০ বছরের বেশি।
উনিশশো ছিয়াত্তর সালের গোড়ার দিকে মাওলানা ভাসানী বার্ধক্যজনিত অসুস্থতার কারণে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ছিলেন। ছিয়াত্তরের ১৮ই এপ্রিল হাসপাতাল থেকে ফেরার পর মাওলানা ভাসানী ঘোষণা দেন ভারত যদি বাংলাদেশকে পানির অধিকার থেকে বঞ্চিত করে তাহলে তিনি লংমার্চ করবেন। তাঁর এই কর্মসূচি তখন অনেককে বেশ চমকে দিয়েছিল। কারণ ৯০ বছরের একজন মানুষের ঘরেই থাকার কথা। এ জন্য ১৬ই মে রাজশাহী শহর থেকে লংমার্চ করার ঘোষণা দেন তিনি। কর্মসূচি বাস্তবায়নের জন্য ১৯৭৬ সালের ২ মে মাওলানা ভাসানীকে প্রধান করে ৩১ সদস্যবিশিষ্ট ‘ফারাক্কা মিছিল পরিচালনা জাতীয় কমিটি’ গঠিত হয়। এর পরে এই কমিটির সদস্য সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায়।
এই লংমার্চের আগে ভারতের তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী ইন্দিরা গান্ধীর কাছে একটি চিঠি লিখেন আব্দুল হামিদ খান ভাসানী। সে চিঠিতে মিসেস গান্ধির কাছে লংমার্চের কারণ বর্ণনা করেন ভাসানী।
সাংবাদিক এনায়েতউল্লাহ খান, আনোয়ার জাহিদ এবং সিরাজুল হোসেন খান এ চিঠি তৈরি করতে আব্দুল হামিদ খান ভাসানীকে সহায়তা করেন। লংমার্চ সফল করার জন্য ১৯৭৬ সালের ২৮ এপ্রিল মাওলানা ভাসানী এক বিবৃতিতে সবার প্রতি আহবান জানান।
জাতীয় কৃষক সমিতির আবু নোমান খান সে লংমার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন মজলুম জননেতা : মাওলানা ভাসানী স্মারক সংকলন’ বইতে। আবু নোমান খান লিখেছেন, লংমার্চের মিছিল রাজশাহী থেকে প্রেমতলী, প্রেমতলী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মনকষা এবং মনকষা থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত ৬৪ মাইল অতিক্রম করবে। মাওলানা ভাসানীর অনুসারীরা তাকে একজন রাজনীতিবিদের চেয়ে ‘দার্শনিক’ হিসেবেই বেশি বিবেচনা করতেন। তার সমর্থকরা মনে করেন, ৪৫ বছর আগে ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কে মাওলানা ভাসানী যা অনুমান করেছিলেন, পরবর্তীতে সেটিই ঘটেছে। বাংলাদেশের একজন লেখক আহমদ ছফাকে উদ্ধৃত করে ১৯৯৫ সালে দৈনিক ভোরের কাগজে ফরহাদ মজহার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সর্বনাশ ঘটছে এটা তার চেয়ে স্পষ্ট করে কেউই বোঝে নাই।’ উনিশশো ছিয়াত্তর সালের ১৬ মে রাজশাহী শহর থেকে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল শুরু হয়। হাজার-হাজার মানুষ সমবেত হয় সেই মিছিল ও জনসভায়।
সে সময় বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী কেন্দ্রের বার্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন হাসান মীর। তার বাড়িও রাজশাহীতে। হাসান মীর তখন লংমার্চের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করতে দুই-তিন দিন আগেই তিনি মাওলানা ভাসানী রাজশাহী এসে পৌঁছান। হাসান মীরের বর্ণনায়, ‘রাজশাহী শহরে তখন অচেনা মানুষের ভিড়। লংমার্চে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বস্তরের মানুষ আসছে। রাস্তায় রাস্তায় লাউড স্পিকারে ঘোষণা হচ্ছে - ১৬ই মে রোববার মাদ্রাসা মাঠ থেকে লংমার্চ শুরু করবে। বাসা থেকে বেতার ভবনে যাওয়ার সময় দেখলাম পথঘাট লোকে লোকারণ্য। বিশাল মাদ্রাসা মাঠে ভীড় উপচে পড়ছে।’ সেই লংমার্চের খবর সংগ্রহ করতে রাজশাহী গিয়েছিলেন সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। তিনি তখন দৈনিক সংবাদের জন্য খবরা-খবর পাঠাতেন। মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতিচারণমূলক লেখা ‘পথ থেকে পথে’ বইতে সেই লংমার্চের কিছু বিষয় বর্ণনা করেছেন।
জাতীয় কৃষক সমিতির আবু নোমান খান সে লংমার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ তুলে ধরেছেন মজলুম জননেতা : মাওলানা ভাসানী স্মারক সংকলন’ বইতে। আবু নোমান খান লিখেছেন, লংমার্চের মিছিল রাজশাহী থেকে প্রেমতলী, প্রেমতলী থেকে চাঁপাইনবাবগঞ্জ, চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে মনকষা এবং মনকষা থেকে শিবগঞ্জ পর্যন্ত ৬৪ মাইল অতিক্রম করবে। মাওলানা ভাসানীর অনুসারীরা তাকে একজন রাজনীতিবিদের চেয়ে ‘দার্শনিক’ হিসেবেই বেশি বিবেচনা করতেন। তার সমর্থকরা মনে করেন, ৪৫ বছর আগে ফারাক্কা বাঁধ সম্পর্কে মাওলানা ভাসানী যা অনুমান করেছিলেন, পরবর্তীতে সেটিই ঘটেছে। বাংলাদেশের একজন লেখক আহমদ ছফাকে উদ্ধৃত করে ১৯৯৫ সালে দৈনিক ভোরের কাগজে ফরহাদ মজহার লিখেছেন, ‘বাংলাদেশের সর্বনাশ ঘটছে এটা তার চেয়ে স্পষ্ট করে কেউই বোঝে নাই।’ উনিশশো ছিয়াত্তর সালের ১৬ মে রাজশাহী শহর থেকে ফারাক্কা অভিমুখে মিছিল শুরু হয়। হাজার-হাজার মানুষ সমবেত হয় সেই মিছিল ও জনসভায়।
সে সময় বাংলাদেশ বেতার রাজশাহী কেন্দ্রের বার্তা বিভাগে কর্মরত ছিলেন হাসান মীর। তার বাড়িও রাজশাহীতে। হাসান মীর তখন লংমার্চের ঘটনা প্রত্যক্ষ করেছেন। তিনি বলেন, সাংগঠনিক তৎপরতা জোরদার করতে দুই-তিন দিন আগেই তিনি মাওলানা ভাসানী রাজশাহী এসে পৌঁছান। হাসান মীরের বর্ণনায়, ‘রাজশাহী শহরে তখন অচেনা মানুষের ভিড়। লংমার্চে অংশ নিতে দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে সর্বস্তরের মানুষ আসছে। রাস্তায় রাস্তায় লাউড স্পিকারে ঘোষণা হচ্ছে - ১৬ই মে রোববার মাদ্রাসা মাঠ থেকে লংমার্চ শুরু করবে। বাসা থেকে বেতার ভবনে যাওয়ার সময় দেখলাম পথঘাট লোকে লোকারণ্য। বিশাল মাদ্রাসা মাঠে ভীড় উপচে পড়ছে।’ সেই লংমার্চের খবর সংগ্রহ করতে রাজশাহী গিয়েছিলেন সাংবাদিক মোনাজাত উদ্দিন। তিনি তখন দৈনিক সংবাদের জন্য খবরা-খবর পাঠাতেন। মোনাজাত উদ্দিনের স্মৃতিচারণমূলক লেখা ‘পথ থেকে পথে’ বইতে সেই লংমার্চের কিছু বিষয় বর্ণনা করেছেন।
মোনাজাত উদ্দিন লিখেছেন, ‘মিছিলের আগে মাদ্রাসা ময়দানে জনসভা। ভাসানী এলেন নীল গাড়িতে চেপে। জনসমুদ্র গর্জে উঠল। খুব অল্প সময়ের জন্য তিনি বক্তৃতা করলেন। বহু সাংবাদিক, বহু ফটোগ্রাফার।’ লংমার্চের ৬৪ কিলোমিটার যাত্রা ছিল বেশ কঠিন। সবচেয়ে বড় আশংকা ছিল মাওলানা ভাসানীকে নিয়ে। কারণ তার বয়স ৯০ বছরের বেশি। তার উপর কিছুদিন আগেই তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পেয়েছেন। ‘মাওলানা ভাসানীর জীবনস্রোত’ শিরোনামে একটি লেখায় সেই লং মার্চ সম্পর্কে বিস্তারিত বিবরণ দিয়েছেন জাতীয় কৃষক সমিতির সাবেক সপ্তর সম্পাদক আবু নোমান খান। ‘মিছিলের শুরুতে ভাসানীসহ নেতৃবৃন্দ পুরোভাগে দাঁড়ান। মিছিলটি তিন মাইল দুরে রাজশাহী কোর্ট এলাকায় যেতে না যেতেই মুষলধারে বৃষ্টি নামে। তা সত্ত্বেও লক্ষ জনতার মিছিল এগিয়ে চলে। এগারো মাইল অতিক্রম করে প্রেমতলী পৌঁছে। তখন দুপুর দুটো,’ লিখেছেন আবু নোমান খান। সেখানে কিছুক্ষণ বিশ্রাম নিয়ে বিকেল তিনটা নাগাদ লংমার্চ আবারো যাত্রা শুরু করে। এরপর প্রায় ২০ মাইল পথ অতিক্রম করে রাতে চাঁপাইনবাবগঞ্জ পৌঁছে মিছিলটি। রাতে সেখানেই তারা অবস্থান করেন। পরদিন সকাল আট ৮ টায় আবারো যাত্রা শুরু করে লংমার্চ। চাঁপাইনবাবগঞ্জ থেকে আরো ছয় মাইল পথ অতিক্রম করে কানসাট পৌঁছায়|
আবু নোমান খানের বর্ণনায়, ‘পথের দুধারে সারি বেঁধে দাঁড়িয়েছে হাজার-হাজার মানুষ- উদ্দেশ্য ফারাক্কা লং মার্চের মিছিলকারীদের অভ্যর্থনা জানানো। মিছিলকারীদের পানি ও বিভিন্ন খাবার খাইয়েছেন তারা।’ ফারাক্কা বাঁধের কারণে বাংলাদেশের কুষ্টিয়ার পদ্মা নদীর ওপর হার্ডিঞ্জ ব্রিজের নিচ দিয়ে শুষ্ক মৌসুমে গাড়ি চলতে পারে।
বিকেল চারটার দিকে সেখানে জনসভায় বক্তব্য রাখেন মাওলানা ভাসানী। সে জনসভায় তিনি বলেন, ফারাক্কা সমস্যার সমাধানের জন্য ভারত যদি বাংলাদেশের মানুষের দাবি উপেক্ষা করে তাহলে ভারতীয় পণ্য বর্জনের আন্দোলন শুরু হবে। হাসান মীর বলেন, ‘তিনি বাড়তি কোন ঝুঁকি নিতে চাননি বলে মিছিলকারীদের সীমান্তের কাছে যেতে নিষেধ করেন। আর এভাবেই মাওলানা ভাসানীর ঐতিহাসিক ফারাক্কা লংমার্চের সমাপ্তি ঘটে।’ ফারাক্কা লং মার্চের পর থেকে মাওলানা ভাসানীর শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। তখন থেকে মাওলানা ভাসানীর বেশিরভাগ দিন কেটেছে হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য। আগস্ট মাসের মাঝামাঝি চিকিৎসার জন্য তাকে লন্ডন নিয়ে যাওয়া হয়। উনিশশো ছিয়াত্তর সালের ১৭ ই নভেম্বর ঢাকা মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতালে মাওলানা ভাসানীর মৃত্যু হয়।
FREE PALESTINE
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Website
Address
Nawabganj
6300
Dhainagar
Nawabganj, 6300
hi, This is Md Al Amin. I'm a blogger. I have a YouTube channel. please, follow me to get my Videos everything.