Ekadashi24
হরেকৃষ্ণ♥ নিজে একাদশী মহাব্রত পালন করুন অন্যদেরকেও উৎসাহিত করুন🥰
যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে
সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকেও উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়।
___স্কন্দপুরাণ
😊
একাদশীর সংকল্প মন্ত্রঃ
“ একাদশ্যাং নিরাহারঃ স্থিত্বা অহম অপরেহহানি । ভোক্ষ্যামি পুন্ডরিকাক্ষ শরণম মে ভবাচ্যুত ” ( হরিভক্তিবিলাস, ত্রয়োদশবিলাস)
🙂
একাদশীর পারণ মন্ত্রঃ ---
”অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥” (বৃ: না: পু: ২১/২০)🙂
মাহাত্ম্যং দুর্গা সপ্তশতি প্রথমোঽধ্যাযঃ
॥ দেবী মাহাত্ম্যম্ ॥
॥ শ্রীদুর্গাযৈ নমঃ ॥
॥ অথ শ্রীদুর্গাসপ্তশতী ॥
॥ মধুকৈটভবধো নাম প্রথমোঽধ্যাযঃ ॥
অস্য শ্রী প্রধম চরিত্রস্য ব্রহ্মা ঋষিঃ । মহাকালী দেবতা । গাযত্রী ছংদঃ । নংদা শক্তিঃ । রক্ত দংতিকা বীজম্ । অগ্নিস্তত্বম্ । ঋগ্বেদঃ স্বরূপম্ । শ্রী মহাকালী প্রীত্যর্ধে প্রধম চরিত্র জপে বিনিযোগঃ ।
ধ্যানং
খড্গং চক্র গদেষুচাপ পরিঘা শূলং ভুশুংডীং শিরঃ
শংংখং সংদধতীং করৈস্ত্রিনযনাং সর্বাংংগভূষাবৃতাম্ ।
যাং হংতুং মধুকৈভৌ জলজভূস্তুষ্টাব সুপ্তে হরৌ
নীলাশ্মদ্যুতি মাস্যপাদদশকাং সেবে মহাকালিকাং॥
ওং নমশ্চংডিকাযৈ
ওং ঐং মার্কংডেয উবাচ॥1॥
সাবর্ণিঃ সূর্যতনযো যোমনুঃ কথ্যতেঽষ্টমঃ।
নিশাময তদুত্পত্তিং বিস্তরাদ্গদতো মম ॥2॥
মহামাযানুভাবেন যথা মন্বংতরাধিপঃ
স বভূব মহাভাগঃ সাবর্ণিস্তনযো রবেঃ ॥3॥
স্বারোচিষেঽংতরে পূর্বং চৈত্রবংশসমুদ্ভবঃ।
সুরথো নাম রাজাঽভূত্ সমস্তে ক্ষিতিমংডলে ॥4॥
তস্য পালযতঃ সম্যক্ প্রজাঃ পুত্রানিবৌরসান্।
বভূবুঃ শত্রবো ভূপাঃ কোলাবিধ্বংসিনস্তদা ॥5॥
তস্য তৈরভবদ্যুদ্ধং অতিপ্রবলদংডিনঃ।
ন্যূনৈরপি স তৈর্যুদ্ধে কোলাবিধ্বংসিভির্জিতঃ ॥6॥
ততঃ স্বপুরমাযাতো নিজদেশাধিপোঽভবত্।
আক্রাংতঃ স মহাভাগস্তৈস্তদা প্রবলারিভিঃ ॥7॥
অমাত্যৈর্বলিভির্দুষ্টৈ র্দুর্বলস্য দুরাত্মভিঃ।
কোশো বলং চাপহৃতং তত্রাপি স্বপুরে ততঃ ॥8॥
ততো মৃগযাব্যাজেন হৃতস্বাম্যঃ স ভূপতিঃ।
একাকী হযমারুহ্য জগাম গহনং বনম্ ॥9॥
সতত্রাশ্রমমদ্রাক্ষী দ্দ্বিজবর্যস্য মেধসঃ।
প্রশাংতশ্বাপদাকীর্ণ মুনিশিষ্যোপশোভিতম্ ॥10॥
তস্থৌ কংচিত্স কালং চ মুনিনা তেন সত্কৃতঃ।
ইতশ্চেতশ্চ বিচরংস্তস্মিন্ মুনিবরাশ্রমে॥11॥
সোঽচিংতযত্তদা তত্র মমত্বাকৃষ্টচেতনঃ। ॥12॥
মত্পূর্বৈঃ পালিতং পূর্বং মযাহীনং পুরং হি তত্
মদ্ভৃত্যৈস্তৈরসদ্বৃত্তৈঃ র্ধর্মতঃ পাল্যতে ন বা ॥13॥
ন জানে স প্রধানো মে শূর হস্তীসদামদঃ
মম বৈরিবশং যাতঃ কান্ভোগানুপলপ্স্যতে ॥14॥
যে মমানুগতা নিত্যং প্রসাদধনভোজনৈঃ
অনুবৃত্তিং ধ্রুবং তেঽদ্য কুর্বংত্যন্যমহীভৃতাং ॥15॥
অসম্যগ্ব্যযশীলৈস্তৈঃ কুর্বদ্ভিঃ সততং ব্যযং
সংচিতঃ সোঽতিদুঃখেন ক্ষযং কোশো গমিষ্যতি ॥16॥
এতচ্চান্যচ্চ সততং চিংতযামাস পার্থিবঃ
তত্র বিপ্রাশ্রমাভ্যাশে বৈশ্যমেকং দদর্শ সঃ ॥17॥
স পৃষ্টস্তেন কস্ত্বং ভো হেতুশ্চ আগমনেঽত্র কঃ
সশোক ইব কস্মাত্বং দুর্মনা ইব লক্ষ্যসে। ॥18॥
ইত্যাকর্ণ্য বচস্তস্য ভূপতেঃ প্রণাযোদিতম্
প্রত্যুবাচ স তং বৈশ্যঃ প্রশ্রযাবনতো নৃপম্॥19॥
বৈশ্য উবাচ ॥20॥
সমাধির্নাম বৈশ্যোঽহমুত্পন্নো ধনিনাং কুলে
পুত্রদারৈর্নিরস্তশ্চ ধনলোভাদ্ অসাধুভিঃ॥21॥
বিহীনশ্চ ধনৈদারৈঃ পুত্রৈরাদায মে ধনম্।
বনমভ্যাগতো দুঃখী নিরস্তশ্চাপ্তবংধুভিঃ॥22॥
সোঽহং ন বেদ্মি পুত্রাণাং কুশলাকুশলাত্মিকাম্।
প্রবৃত্তিং স্বজনানাং চ দারাণাং চাত্র সংস্থিতঃ॥23॥
কিং নু তেষাং গৃহে ক্ষেমং অক্ষেমং কিংনু সাংপ্রতং
কথং তেকিংনুসদ্বৃত্তা দুর্বৃত্তা কিংনুমেসুতাঃ॥24॥
রাজোবাচ॥25॥
যৈর্নিরস্তো ভবা~ংল্লুব্ধৈঃ পুত্রদারাদিভির্ধনৈঃ॥26॥
তেষু কিং ভবতঃ স্নেহ মনুবধ্নাতি মানসম্॥27॥
বৈশ্য উবাচ ॥28॥
এবমেতদ্যথা প্রাহ ভবানস্মদ্গতং বচঃ
কিং করোমি ন বধ্নাতি মম নিষ্টুরতাং মনঃ॥29॥
ঐঃ সংত্যজ্য পিতৃস্নেহং ধন লুব্ধৈর্নিরাকৃতঃ
পতিঃস্বজনহার্দং চ হার্দিতেষ্বেব মে মনঃ। ॥30॥
কিমেতন্নাভিজানামি জানন্নপি মহামতে
যত্প্রেম প্রবণং চিত্তং বিগুণেষ্বপি বংধুষু॥31॥
তেষাং কৃতে মে নিঃশ্বাসো দৌর্মনস্যং চজাযতে॥32॥
অরোমি কিং যন্ন মনস্তেষ্বপ্রীতিষু নিষ্ঠুরম্ ॥33॥
মার্কংডেয উবাচ ॥34॥
ততস্তৌ সহিতৌ বিপ্র তংমুনিং সমুপস্থিতৌ॥35॥
সমাধির্নাম বৈশ্যোঽসৌ স চ পার্ধিব সত্তমঃ॥36॥
কৃত্বা তু তৌ যথান্যায্যং যথার্হং তেন সংবিদম্।
উপবিষ্টৌ কথাঃ কাশ্চিত্চ্চক্রতুর্বৈশ্যপার্ধিবৌ॥37॥
রাজোবাচ ॥38॥
ভগবংস্ত্বামহং প্রষ্টুমিচ্ছাম্যেকং বদস্বতত্ ॥39॥
দুঃখায যন্মে মনসঃ স্বচিত্তাযত্ততাং বিনা॥40॥
মমত্বং গতরাজ্যস্য রাজ্যাংগেষ্বখিলেষ্বপি ।
জানতোঽপি যথাজ্ঞস্য কিমেতন্মুনিসত্তম ॥ 41 ॥
অযং চ ইকৃতঃ পুত্রৈঃ দারৈর্ভৃত্যৈস্তথোজ্ঘিতঃ
স্বজনেন চ সংত্যক্তঃ স্তেষু হার্দী তথাপ্যতি ॥42॥
এব মেষ তথাহং চ দ্বাবপ্ত্যংতদুঃখিতৌ।
দৃষ্টদোষেঽপি বিষযে মমত্বাকৃষ্টমানসৌ ॥43॥
তত্কেনৈতন্মহাভাগ যন্মোহো জ্ঞানিনোরপি
মমাস্য চ ভবত্যেষা বিবেকাংধস্য মূঢতা ॥44॥
ঋষিরুবাচ॥45॥
জ্ঞান মস্তি সমস্তস্য জংতোর্ব্ষয গোচরে।
বিষযশ্চ মহাভাগ যাংতি চৈবং পৃথক্পৃথক্॥46॥
কেচিদ্দিবা তথা রাত্রৌ প্রাণিনঃ স্তুল্যদৃষ্টযঃ ॥47॥
জ্ঞানিনো মনুজাঃ সত্যং কিং তু তে ন হি কেবলম্।
যতো হি জ্ঞানিনঃ সর্বে পশুপক্ষিমৃগাদযঃ॥48॥
জ্ঞানং চ তন্মনুষ্যাণাং যত্তেষাং মৃগপক্ষিণাং
মনুষ্যাণাং চ যত্তেষাং তুল্যমন্যত্তথোভযোঃ॥49॥
জ্ঞানেঽপি সতি পশ্যৈতান্ পতগাংছাবচংচুষু।
কণমোক্ষাদৃতান্ মোহাত্পীড্যমানানপি ক্ষুধা॥50॥
মানুষা মনুজব্যাঘ্র সাভিলাষাঃ সুতান্ প্রতি
লোভাত্ প্রত্যুপকারায নন্বেতান্ কিং ন পশ্যসি॥51॥
তথাপি মমতাবর্তে মোহগর্তে নিপাতিতাঃ
মহামাযা প্রভাবেণ সংসারস্থিতিকারিণা॥52॥
তন্নাত্র বিস্মযঃ কার্যো যোগনিদ্রা জগত্পতেঃ।
মহামাযা হরেশ্চৈষা তযা সম্মোহ্যতে জগত্॥53॥
জ্ঙানিনামপি চেতাংসি দেবী ভগবতী হি সা
বলাদাক্্ষ্যমোহায মহামাযা প্রযচ্ছতি ॥54॥
তযা বিসৃজ্যতে বিশ্বং জগদেতচ্চরাচরম্ ।
সৈষা প্রসন্না বরদা নৃণাং ভবতি মুক্তযে ॥55॥
সা বিদ্যা পরমা মুক্তের্হেতুভূতা সনাতনী
সংসারবংধহেতুশ্চ সৈব সর্বেশ্বরেশ্বরী॥56॥
রাজোবাচ॥57॥
ভগবন্ কাহি সা দেবী মামাযেতি যাং ভবান্ ।
ব্রবীতি ক্থমুত্পন্না সা কর্মাস্যাশ্চ কিং দ্বিজ॥58॥
যত্প্রভাবা চ সা দেবী যত্স্বরূপা যদুদ্ভবা।
তত্সর্বং শ্রোতুমিচ্ছামি ত্বত্তো ব্রহ্মবিদাং বর॥59॥
ঋষিরুবাচ ॥60॥
নিত্যৈব সা জগন্মূর্তিস্তযা সর্বমিদং ততম্॥61॥
তথাপি তত্সমুত্পত্তির্বহুধা শ্রূযতাং মমঃ॥62॥
দেবানাং কার্যসিদ্ধ্যর্থং আবির্ভবতি সা যদা।
উত্পন্নেতি তদা লোকে সা নিত্যাপ্যভিধীযতে ॥63॥
যোগনিদ্রাং যদা বিষ্ণুর্জগত্যেকার্ণবীকৃতে।
আস্তীর্য শেষমভজত্ কল্পাংতে ভগবান্ প্রভুঃ॥64॥
তদা দ্বাবসুরৌ ঘোরৌ বিখ্যাতৌ মধুকৈটভৌ।
বিষ্ণুকর্ণমলোদ্ভূতৌ হংতুং ব্রহ্মাণমুদ্যতৌ॥65॥
স নাভি কমলে বিষ্ণোঃ স্থিতো ব্রহ্মা প্রজাপতিঃ
দৃষ্ট্বা তাবসুরৌ চোগ্রৌ প্রসুপ্তং চ জনার্দনম্॥66॥
তুষ্টাব যোগনিদ্রাং তামেকাগ্রহৃদযঃ স্থিতঃ
বিবোধনার্ধায হরের্হরিনেত্রকৃতালযাম্ ॥67॥
বিশ্বেশ্বরীং জগদ্ধাত্রীং স্থিতিসংহারকারিণীম্।
নিদ্রাং ভগবতীং বিষ্ণোরতুলাং তেজসঃ প্রভুঃ ॥68॥
ব্রহ্মোবাচ ॥69॥
ত্বং স্বাহা ত্বং স্বধা ত্বংহি বষট্কারঃ স্বরাত্মিকা।
সুধা ত্বমক্ষরে নিত্যে ত্রিধা মাত্রাত্মিকা স্থিতা॥70॥
অর্ধমাত্রা স্থিতা নিত্যা যানুচ্চার্যাবিশেষতঃ
ত্বমেব সা ত্বং সাবিত্রী ত্বং দেব জননী পরা ॥71॥
ত্বযৈতদ্ধার্যতে বিশ্বং ত্বযৈতত্ সৃজ্যতে জগত্।
ত্বযৈতত্ পাল্যতে দেবি ত্বমত্স্যংতে চ সর্বদা॥72॥
বিসৃষ্টৌ সৃষ্টিরূপাত্বং স্থিতি রূপা চ পালনে।
তথা সংহৃতিরূপাংতে জগতোঽস্য জগন্মযে ॥73॥
মহাবিদ্যা মহামাযা মহামেধা মহাস্মৃতিঃ।
মহামোহা চ ভবতী মহাদেবী মহাসুরী ॥74॥
প্রকৃতিস্ত্বং চ সর্বস্য গুণত্রয বিভাবিনী।
কালরাত্রির্মহারাত্রির্মোহরাত্রিশ্চ দারুণা॥75॥
ত্বং শ্রীস্ত্বমীশ্বরী ত্বং হ্রীস্ত্বং বুদ্ধির্ভোধলক্ষণা।
লজ্জাপুষ্টিস্তথা তুষ্টিস্ত্বং শাংতিঃ ক্ষাংতি রেব চ॥76॥
খড্গিনী শূলিনী ঘোরা গদিনী চক্রিণী তথা।
শংখিণী চাপিনী বাণাভুশুংডীপরিঘাযুধা॥77॥
সৌম্যা সৌম্যতরাশেষসৌম্যেভ্যস্ত্বতিসুংদরী
পরাপরাণাং পরমা ত্বমেব পরমেশ্বরী॥78॥
যচ্চ কিংচিত্ক্বচিদ্বস্তু সদসদ্বাখিলাত্মিকে।
তস্য সর্বস্য যা শক্তিঃ সা ত্বং কিং স্তূযসেমযা॥79॥
যযা ত্বযা জগত্ স্রষ্টা জগত্পাতাত্তি যো জগত্।
সোঽপি নিদ্রাবশং নীতঃ কস্ত্বাং স্তোতুমিহেশ্বরঃ॥80॥
বিষ্ণুঃ শরীরগ্রহণং অহমীশান এব চ
কারিতাস্তে যতোঽতস্ত্বাং কঃ স্তোতুং শক্তিমান্ ভবেত্॥81॥
সা ত্বমিত্থং প্রভাবৈঃ স্বৈরুদারৈর্দেবি সংস্তুতা।
মোহযৈতৌ দুরাধর্ষাবসুরৌ মধুকৈটভৌ ॥82॥
প্রবোধং চ জগত্স্বামী নীযতামচ্যুতা লঘু ॥83॥
বোধশ্চ ক্রিযতামস্য হংতুমেতৌ মহাসুরৌ ॥83॥
ঋষিরুবাচ ॥84॥
এবং স্তুতা তদা দেবী তামসী তত্র বেধসা
বিষ্ণোঃ প্রভোধনার্ধায নিহংতুং মধুকৈটভৌ ॥85॥
নেত্রাস্যনাসিকাবাহুহৃদযেভ্যস্তথোরসঃ।
নির্গম্য দর্শনে তস্থৌ ব্রহ্মণো অব্যক্তজন্মনঃ ॥86॥
উত্তস্থৌ চ জগন্নাথঃ স্তযা মুক্তো জনার্দনঃ।
একার্ণবে অহিশযনাত্ততঃ স দদৃশে চ তৌ ॥87॥
মধুকৈটভৌ দুরাত্মানা বতিবীর্যপরাক্রমৌ
ক্রোধরক্তেক্ষণাবত্তুং ব্রহ্মণাং জনিতোদ্যমৌ ॥88॥
সমুত্থায ততস্তাভ্যাং যুযুধে ভগবান্ হরিঃ
পংচবর্ষসহস্ত্রাণি বাহুপ্রহরণো বিভুঃ ॥89॥
তাবপ্যতিবলোন্মত্তৌ মহামাযাবিমোহিতৌ ॥90॥
উক্তবংতৌ বরোঽস্মত্তো ব্রিযতামিতি কেশবম্ ॥91॥
শ্রী ভগবানুবাচ ॥92॥
ভবেতামদ্য মে তুষ্টৌ মম বধ্যাবুভাবপি ॥93॥
কিমন্যেন বরেণাত্র এতাবৃদ্দি বৃতং মম ॥94॥
ঋষিরুবাচ ॥95॥
বংচিতাভ্যামিতি তদা সর্বমাপোমযং জগত্।
বিলোক্য তাভ্যাং গদিতো ভগবান্ কমলেক্ষণঃ ॥96॥
আবাং জহি ন যত্রোর্বী সলিলেন পরিপ্লুতা। ॥97॥
ঋষিরুবাচ ॥98॥
তথেত্যুক্ত্বা ভগবতা শংখচক্রগদাভৃতা।
কৃত্বা চক্রেণ বৈ ছিন্নে জঘনে শিরসী তযোঃ ॥99॥
এবমেষা সমুত্পন্না ব্রহ্মণা সংস্তুতা স্বযম্।
প্রভাবমস্যা দেব্যাস্তু ভূযঃ শৃণু বদামি তে ॥100॥
॥ জয জয শ্রী স্বস্তি শ্রীমার্কংডেযপুরাণে সাবর্ণিকে মন্বংতরে দেবীমহাত্ম্যে মধুকৈটভবধো নাম প্রধমোঽধ্যাযঃ ॥
আহুতি
ওং এং সাংগাযৈ সাযুধাযৈ সশক্তিকাযৈ সপরিবারাযৈ সবাহনাযৈ এং বীজাধিষ্টাযৈ মহা কালিকাযৈ মহা অহুতিং সমর্পযামি নমঃ স্বাহা ॥
https://ekadashi24.blogspot.com/2024/06/online-chandi-path-ekadashi24.html
শ্রীশ্রীনৃসিংহ কবচম্
শ্রীনারদ উবাচ
ইন্দ্রাদিদেববৃন্দেশ! তাতেশ্বর! জগৎপতে!
মহাবিষ্ণোসিংহস্য কবচং ব্রুহি মে প্রভো!
যস্য প্রপঠনাদ্ বিদ্বান্ ত্রৈলোক্য-বিজয়ী ভবেৎ ॥১॥
শ্রীব্রহ্মউবাচ
শৃণু নারদ! বক্ষ্যামি পুত্রশ্রেষ্ঠ! তপোধন!
কবচং নরসিংহস্য ত্রৈলোক্য-বিজয়াভিধম্ ॥২॥
যস্য প্রপঠনাদ্বাগ্মী ত্রৈলোক্য-বিজয়ী ভবেৎ।
স্রষ্টাহং জগতাং বৎস! পঠনাদ্বারণাদ্ যতঃ ॥৩॥
লক্ষ্মীর্জগত্রয়ং পাতি সংহর্ত্তা চ মহেশ্বরঃ।
পঠনাদ্ধারণাদ্দেবা বভূবুশ্চ দিগীশ্বরাঃ ॥৪॥
ব্রহ্মমন্ত্রময়ং বক্ষ্যে ভূতাদি-বিনিবারকম্।
যস্য প্রসাদাদ্দুর্বাস্ত্রৈলোক্য-বিজয়ী মুনিঃ।
পঠনাদ্ধারণাদ্ যস্য শাস্তা চ ক্রোধভেরযঃ ॥৫॥
ত্রৈলোক্য-বিজয়স্যাস্য কবচস্য প্রজাপতিঃ।
ঋষিশ্ছন্দশ্চ গায়ত্রী নৃসিংহো দেবতা বিভুঃ ॥৬॥
ক্ষ্রৌং বীজং মে শিরঃ পাতুঃ চন্দ্রবর্ণো মহামনুঃ।
উগ্রং বীরং মহাবিষ্ণুং জ্বলন্তং সর্ব্বতোমুখম্ ॥৭॥
নৃসিংহং ভীষণং ভদ্রং মৃর্ত্যুমৃত্যুং নমাম্যহম্ ।
দ্বাত্রিংশদক্ষরো মন্ত্রো মন্ত্ররাজঃ সুরদ্রুমঃ ॥৮॥
কণ্ঠং পাতু ধ্রুব ক্ষ্রেীং হৃদ্ভগবতে চক্ষুষী মম ।
নরসিংহায় চ জ্বালামালিনে পাতু মস্তকম্ ॥৯॥
দীপ্তদংষ্ট্রায় চ তথাগ্নিনেত্রায় চ নাসিকাম্।
সর্ব্বরক্ষোঘ্নায় সর্ব্বভূত-বিনাশনায় চ ॥১০॥
সর্ব্বজ্বর-বিনাশায় দহ দহ পচ দ্বয়ম্।
রক্ষ রক্ষ সর্ব্বমন্ত্র স্বাহা পাতু মুখং মম ॥১১॥
তারাদি-রামচন্দ্রায় নমঃ পায়াদ্গুদং মম।
ক্লীং পায়াৎ পাণিযুগ্মঞ্চ তারং নমঃ পদং ততঃ।
নারায়ণায় পার্শ্বঞ্চ আং হ্রীং ক্লৌং ক্ষ্রৌং চ হুং ফট্ ॥১২॥
ষড়ক্ষরঃ কটিং পাতু ওঁ নমো ভগবতে পদম্ ।
বাসুদেবায় চ পৃষ্ঠং ক্লীং কৃষ্ণায় ঊরুদ্বয়ম্ ॥১৩॥
ক্লীং কৃষ্ণায় সদা পাতু জানুনী চ মনূত্তমঃ।
ক্লীং গ্লৌং ক্লীং শ্যামলাঙ্গায় নমঃ পায়াৎ পদদ্বয়ম্ ॥১৪॥
ক্ষ্রৌং নরসিংহায় ক্ষ্রৌঞ্চ সর্ব্বাঙ্গং মে সদাবতু ॥ ১৫
ইতি তে কথিতং বৎস সর্ব্বমন্ত্রৌঘবিগ্রহম্ ।
তব স্নেহান্ময়াখ্যাতং প্রবক্তব্যং ন কস্যচিৎ ॥ ১৬
গুরুপূজাং বিধায়াথ গৃহ্নীয়াৎ কবচং ততঃ ।
সর্ব্বপুণ্যযুতো ভূত্বা সর্ব্বসিদ্ধিযুতো ভবেৎ ॥১৭॥
শতমষ্টোত্তরঞ্চৈব পুরশ্চর্য্যাবিধিঃ স্মৃতঃ।
হবনাদীন্ দশাংশেন কৃত্বা সাধক-সত্তমঃ ॥১৮॥
ততস্তু সিদ্ধকবচঃ পুণ্যাত্মা মদনোপমঃ।
স্পর্দ্ধামুদ্ধূয় ভবনে লক্ষ্মীবাণী বসেৎ ততঃ ॥১৯॥
পুষ্পাঞ্জল্যষ্টকং দত্ত্বা মূলেনৈব পঠেৎ সকৃৎ।
অপি বর্ষ-সহস্রাণাং পূজায়াঃ ফলমাপ্নুয়াৎ ॥২০॥
ভূর্জ্জে বিলিখ্য গুটিকাং স্বর্ণস্থাং ধারয়েদ্ যদি।
কণ্ঠে বা দক্ষিণে বাহৌ নরসিংহো ভবেৎ স্বয়ম্ ॥২১॥
যোষিদ্ বামভূজে চৈব পুরুষো দক্ষিণে করে।
বিভৃয়াৎ কবচং পূণ্যং সর্ব্বসিদ্ধিযুতো ভবেৎ ॥২২॥
কাকবন্ধ্যা চ যা নারী মৃতবৎসা চ যা ভবেৎ।
জন্মবন্ধ্যা নষ্টপুত্রা বহুপুত্রবতী ভবেৎ ॥২৩॥
কবচস্য প্রসাদেন জীবন্মুক্তো ভবেন্নরঃ।
ত্রৈলোক্যং ক্ষোভয়ত্যেব ত্রৈলোক্য-বিজয়ী ভবেৎ ॥২৪॥
ভূত-প্রেত-পিশাচাশ্চ রাক্ষসা দানবাশ্চ যে।
তং দৃষ্টা প্রপলায়ন্তে দেশাদ্দেশান্তরং ধ্রুবম্ ॥২৫॥
যস্মিন্ গেহে চ কবচং গ্রামে বা যদি তিষ্ঠতি।
তং দেশন্তু পরিত্যজ্য প্রযান্তি চাতিদূরতঃ ॥২৬॥
- শ্রীনারদ মুনি বললেন,
হে ইন্দ্রাদিদেবগণের ঈশ্বর! হে জগৎপতি! হে প্রভু! হে প্রিয় পিতা, কৃপাপূর্বক আমার নিকট ভগবান মহাবিষ্ণু শ্রীনৃসিংহদেবের সেই কবচ মন্ত্র বর্ণনা করুন যা উচ্চৈঃস্বরে পাঠ করে বিদ্বান লোক ত্রৈলোক্য বিজয়ী হতে পারেন। শ্রী ব্রহ্মা বললেন, হে পুত্র শ্রেষ্ঠ! হে তপোধন! আমি তোমাকে ত্রৈলোক্য বিজয় নামক শ্রীনৃসিংহ কবচ বর্ণনা করছি। তুমি শ্রবণ কর। হে প্রিয় পুত্র! এ কবচ পাঠ করে বাগ্মী ব্যক্তি ত্রৈলোক্য বিজয়ী হন। আমি নিজে এই কবচ পাঠ ও ধারণ ধ্যান করে জগৎ স্রষ্টা হয়েছি। এ কবচ পাঠ ও ধারণ ধ্যান করেই শ্রীমতি লক্ষ্মীদেবী ত্রিজগতের পালনকর্ত্রী হয়েছেন, মহেশ্বর সংহারকর্তা হয়েছেন এবং অন্য দেবতাগণ বিভিন্ন দিকসমূহের নিয়ন্ত্রক হয়েছেন।
আমি সমস্ত বৈদিক মন্ত্র সমন্বিত এই কবচ বর্ণনা করব যা ভূতাদি বিদূরিত করে। এ কবচের কৃপায় দুবার্সা মুনি ত্রিলোক জয়ী হয়েছেন। এ কবচ পাঠ ও ধারণ করেই তিনি শাস্তা ও ক্রোধ-ভৈরব হয়েছেন। ত্রিলোক বিজয় প্রদাতা এ কবচে, প্রজাপতি ঋষি, গায়ত্রী ছন্দ এবং সর্বশক্তিমূলক নৃসিংহদেব অধিষ্ঠাতা দেবতা। ক্ষ্রৌং-এই মহামন্ত্র, যাঁর বর্ণনাসমূহ চন্দ্রের মতো, আমার শিরোদেশ রক্ষা করুন। আমি সর্ব শক্তিমান, ভীষণ, ভদ্র, উগ্রবীর, অগ্নির ন্যায় প্রজ্জ্বলিত, সর্বত্র বিস্তৃত মুখ, মৃত্যুর মৃত্যুস্বরূপ মহাবিষ্ণু শ্রীনৃসিংহ দেবকে প্রণাম করি। এই বত্রিশ অক্ষরবিশিষ্ট মন্ত্র হচ্ছে মন্ত্ররাজ, মন্ত্রসমূহের সুরদ্রুম বৃক্ষ (কল্পবৃক্ষ)। ‘ক্ষ্রৌং’ শব্দ আমার কণ্ঠদেশ রক্ষা করুন। ‘ভগবতে’ শব্দ আমার হৃদদেশ রক্ষা করুন, ‘নরসিংহায়’ শব্দ আমার চক্ষুদ্বয় রক্ষা করুন, “জ্বালামালিনে” শব্দ আমার মস্তক রক্ষা করুন। ‘দীপ্তদ্রংষ্ট্রায়’, ‘অগ্নিনেত্রায়’, ‘সর্বরক্ষোঘ্নায়’, ‘সর্বভূত-বিনাশনায়’ শব্দসমূহ আমার নাসিকা রক্ষা করুন। ‘সর্বজ্বর-বিনাশায়’, ‘দহ দহ পচ দ্বয়ম্’, ‘রক্ষ রক্ষ স্বাহা’ ও সমগ্র মন্ত্র আমার মুখম-ল রক্ষা করুন। ‘ওঁ নমঃ রামচন্দ্রায়’ ভগবান রামচন্দ্র আমার গুহ্যদেশ ও পাণিযুগল রক্ষা করুন। ‘ওঁ নমঃ নারায়ণায়’ ভগবান নারায়ণ আমার পদদ্বয় ও পার্শ্বদেশ রক্ষা করুন। গুহ্যদেশ রক্ষার জন্য প্রথমে আচমন করে পবিত্র হয়ে- ‘ওঁ নমঃ রামচন্দ্রায়ঃ’ জপ করা উচিত। পুনরায় আচমন করে বীজমন্ত্র ‘ক্লীম্’ দুই হাতে ধ্যান করা উচিত। এরপর ‘ওঁ নমঃ’ পদদ্বয়ে ধ্যান করে ‘নারায়ণায়’ ও বীজমন্ত্র ‘আং হ্রীং ক্লৌং, ক্ষ্রৌং চ হুম ফট্’ ধ্যান করা উচিত।
কটিদেশ রক্ষার জন্য ‘ষড়াক্ষর ওঁ’ সেস্থানে ধ্যান করা উচিত। ‘ওঁ নমঃ ভগবতে’ পাদদেশে, ‘বাসুদেব’ পৃষ্ঠদেশে ও ‘ক্লীম্ কৃষ্ণায়’ উরুদ্বয়ে ধ্যান করা উচিত। হাঁটুতে “ক্লীম কৃষ্ণায়” ধ্যান করে মনে করা উচিত যে, ভগবান তাঁর বিশ্বশ্রেষ্ঠ অনূত্তম রূপে সর্বদা আমাকে রক্ষা করুন। এরপর আচমন করে পবিত্র হয়ে ‘ক্লীং গ্লৌং ক্লীং শ্যামলাঙ্গায় নমঃ’ পাদদ্বয়ে ধ্যান করা উচিত। সম্পূর্ণ শরীর রক্ষার জন্য ‘ক্ষ্রৌং নরসিংহায় ক্ষ্রৌং’ সর্বাঙ্গে ধ্যান করা উচিত।
ভগবান ব্রহ্মা আরও বললেন, হে প্রিয়পুত্র, সকল মন্ত্রের সমন্বিত শক্তির মূর্তবিগ্রহ আমি তোমার নিকট বর্ণনা করলাম। তোমার প্রতি স্নেহপরবশ হয়ে অন্য সকলের নিকট অবর্ণনীয় এই কথা তোমার নিকট ব্যাখ্যা করলাম। গুরুপূজা করে কোনো ব্যক্তি এ কবচ ধারণ করতে পারেন। সর্বপুণ্যযুক্ত হয়ে সেই ব্যক্তি সর্বসিদ্ধি লাভ করতে পারেন। একশত আটবার পুরশ্চর্যা বিধি সম্পন্ন করলে যে ফল লাভ হয় তা উত্তম ভক্ত কর্তৃক এই কবচ পাঠ ফলের একদশমাংশ মাত্র। এ কবচ পাঠ করে যিনি পরিশুদ্ধ হয়েছেন, জাগতিক শ্রেষ্ঠত্বের প্রতিযোগিতা ত্যাগ করেছেন, সে পুণ্যাত্মার গৃহে সৌভাগ্যের অধিষ্ঠাত্রী শ্রীমতী লক্ষ্মীদেবী ও বাগদেবী শ্রীসরস্বতী নিবাস করেন। মাত্র আটবার পুষ্পাঞ্জলি ও একবার কবচ পাঠ করে কোনো ব্যক্তি সহস্রবর্ষ অর্চনের ফল লাভ করেন। স্ত্রীলোক এ কবচ বাম হস্তে ও পুরুষগণ এটি দক্ষিণ হস্তে ধারণ করতে পারেন। নিশ্চিতভাবে এ দিব্য কবচ সর্বসিদ্ধি প্রদান করেন। যদি কেউ এ কবচ গাছের পাতা বা বাকলে লিখেন এবং স্বর্ণের কবচ সহযোগে কণ্ঠে বা দক্ষিণ হস্তে ধারণ করেন, তবে স্বয়ং নৃসিংহদেব সঙ্গে থাকেন। এতে কাকবন্ধ্যা, মৃতবৎসা, জন্মবন্ধ্যা বা নষ্টপুত্রা নারী বহুপুত্রবতী হন। এ কবচের কৃপায় মানুষগণ জীবন্মুক্ত হয়, তিনি এ সমগ্র বিশ্বকে ক্ষোভিত করতে পারেন, ত্রিলোক বিজয়ী হতে পারেন। এটি দর্শন করে ভূত, প্রেত, পিশাচ, রাক্ষস ও দানবগণ ভয়ে দেশ-দেশান্তরে তৎক্ষণাৎ পলায়ন করে। যে গৃহে এমনকি যে গ্রামে এ কবচ অবস্থান করেন, দূরাত্মাসমূহ সে স্থান পরিত্যাগ করে দ্রুত চলে যায়।
শ্রী নরসিংহ কবচম্
নৃসিংহকবচং বক্ষ্যে প্রহ্লাদেনোদিতং পুরা ।
সর্বরক্ষাকরং পুণ্যং সর্বোপদ্রবনাশনম্ ॥ 1 ॥
সর্বসংপত্করং চৈব স্বর্গমোক্ষপ্রদাযকম্ ।
ধ্যাত্বা নৃসিংহং দেবেশং হেমসিংহাসনস্থিতম্ ॥ 2 ॥
বিবৃতাস্যং ত্রিনযনং শরদিংদুসমপ্রভম্ ।
লক্ষ্ম্যালিংগিতবামাংগং বিভূতিভিরুপাশ্রিতম্ ॥ 3 ॥
চতুর্ভুজং কোমলাংগং স্বর্ণকুংডলশোভিতম্ ।
সরোজশোভিতোরস্কং রত্নকেযূরমুদ্রিতম্ ॥ 4 ॥ [রত্নকেযূরশোভিতম্]
তপ্তকাংচনসংকাশং পীতনির্মলবাসনম্ ।
ইংদ্রাদিসুরমৌলিস্থস্ফুরন্মাণিক্যদীপ্তিভিঃ ॥ 5 ॥
বিরাজিতপদদ্বংদ্বং শংখচক্রাদিহেতিভিঃ ।
গরুত্মতা সবিনযং স্তূযমানং মুদান্বিতম্ ॥ 6 ॥
স্বহৃত্কমলসংবাসং কৃত্বা তু কবচং পঠেত্ ।
নৃসিংহো মে শিরঃ পাতু লোকরক্ষাত্মসংভবঃ ॥ 7 ॥
সর্বগোঽপি স্তংভবাসঃ ফালং মে রক্ষতু ধ্বনিম্ ।
নৃসিংহো মে দৃশৌ পাতু সোমসূর্যাগ্নিলোচনঃ ॥ 8 ॥
স্মৃতিং মে পাতু নৃহরির্মুনিবর্যস্তুতিপ্রিযঃ ।
নাসাং মে সিংহনাসস্তু মুখং লক্ষ্মীমুখপ্রিযঃ ॥ 9 ॥
সর্ববিদ্যাধিপঃ পাতু নৃসিংহো রসনাং মম ।
বক্ত্রং পাত্বিংদুবদনঃ সদা প্রহ্লাদবংদিতঃ ॥ 10 ॥
নৃসিংহঃ পাতু মে কংঠং স্কংধৌ ভূভরণাংতকৃত্ ।
দিব্যাস্ত্রশোভিতভুজো নৃসিংহঃ পাতু মে ভুজৌ ॥ 11 ॥
করৌ মে দেববরদো নৃসিংহঃ পাতু সর্বতঃ ।
হৃদযং যোগিসাধ্যশ্চ নিবাসং পাতু মে হরিঃ ॥ 12 ॥
মধ্যং পাতু হিরণ্যাক্ষবক্ষঃকুক্ষিবিদারণঃ ।
নাভিং মে পাতু নৃহরিঃ স্বনাভি ব্রহ্মসংস্তুতঃ ॥ 13 ॥
ব্রহ্মাংডকোটযঃ কট্যাং যস্যাসৌ পাতু মে কটিম্ ।
গুহ্যং মে পাতু গুহ্যানাং মংত্রাণাং গুহ্যরূপধৃক্ ॥ 14 ॥
ঊরূ মনোভবঃ পাতু জানুনী নররূপধৃক্ ।
জংঘে পাতু ধরাভারহর্তা যোঽসৌ নৃকেসরী ॥ 15 ॥
সুররাজ্যপ্রদঃ পাতু পাদৌ মে নৃহরীশ্বরঃ ।
সহস্রশীর্ষা পুরুষঃ পাতু মে সর্বশস্তনুম্ ॥ 16 ॥
মহোগ্রঃ পূর্বতঃ পাতু মহাবীরাগ্রজোঽগ্নিতঃ ।
মহাবিষ্ণুর্দক্ষিণে তু মহাজ্বালস্তু নৈরৃতৌ ॥ 17 ॥
পশ্চিমে পাতু সর্বেশো দিশি মে সর্বতোমুখঃ ।
নৃসিংহঃ পাতু বাযব্যাং সৌম্যাং ভূষণবিগ্রহঃ ॥ 18 ॥
ঈশান্যাং পাতু ভদ্রো মে সর্বমংগলদাযকঃ ।
সংসারভযদঃ পাতু মৃত্যোর্মৃত্যুর্নৃকেসরী ॥ 19 ॥
ইদং নৃসিংহকবচং প্রহ্লাদমুখমংডিতম্ ।
ভক্তিমান্যঃ পঠেন্নিত্যং সর্বপাপৈঃ প্রমুচ্যতে ॥ 20 ॥
পুত্রবান্ ধনবান্ লোকে দীর্ঘাযুরুপজাযতে ।
যং যং কামযতে কামং তং তং প্রাপ্নোত্যসংশযম্ ॥ 21 ॥
সর্বত্র জযমাপ্নোতি সর্বত্র বিজযী ভবেত্ ।
ভূম্যংতরিক্ষদিব্যানাং গ্রহাণাং বিনিবারণম্ ॥ 22 ॥
বৃশ্চিকোরগসংভূতবিষাপহরণং পরম্ ।
ব্রহ্মরাক্ষসযক্ষাণাং দূরোত্সারণকারণম্ ॥ 23 ॥
ভূর্জে বা তালপত্রে বা কবচং লিখিতং শুভম্ ।
করমূলে ধৃতং যেন সিধ্যেযুঃ কর্মসিদ্ধযঃ ॥ 24 ॥
দেবাসুরমনুষ্যেষু স্বং স্বমেব জযং লভেত্ ।
একসংধ্যং ত্রিসংধ্যং বা যঃ পঠেন্নিযতো নরঃ ॥ 25 ॥
সর্বমংগলমাংগল্যং ভুক্তিং মুক্তিং চ বিংদতি ।
দ্বাত্রিংশতিসহস্রাণি পঠেচ্ছুদ্ধাত্মনাং নৃণাম্ ॥ 26 ॥
কবচস্যাস্য মংত্রস্য মংত্রসিদ্ধিঃ প্রজাযতে ।
অনেন মংত্ররাজেন কৃত্বা ভস্মাভিমংত্রণম্ ॥ 27 ॥
তিলকং বিন্যসেদ্যস্তু তস্য গ্রহভযং হরেত্ ।
ত্রিবারং জপমানস্তু দত্তং বার্যভিমংত্র্য চ ॥ 28 ॥
প্রাশযেদ্যো নরো মংত্রং নৃসিংহধ্যানমাচরেত্ ।
তস্য রোগাঃ প্রণশ্যংতি যে চ স্যুঃ কুক্ষিসংভবাঃ ॥ 29 ॥
কিমত্র বহুনোক্তেন নৃসিংহসদৃশো ভবেত্ ।
মনসা চিংতিতং যত্তু স তচ্চাপ্নোত্যসংশযম্ ॥ 30 ॥
গর্জংতং গর্জযংতং নিজভুজপটলং স্ফোটযংতং হঠংতং
রূপ্যংতং তাপযংতং দিবি ভুবি দিতিজং ক্ষেপযংতং ক্ষিপংতম্ ।
ক্রংদংতং রোষযংতং দিশি দিশি সততং সংহরংতং ভরংতং
বীক্ষংতং ঘূর্ণযংতং শরনিকরশতৈর্দিব্যসিংহং নমামি ॥
ইতি শ্রীব্রহ্মাংডপুরাণে প্রহ্লাদোক্তং শ্রী নৃসিংহ কবচম্
সুলভ ভক্তিযুক্তানাম্ দুর্দশৌ দুষ্টচেতসাম্
অনন্য গতিকানাম চ প্রভুভক্তৈক বৎসলঃ।
শনৈশ্চরস্তত্র নৃসিংহদেবস্তুতিং চকারামল চিত্তবৃত্তিঃ
প্রণম্যসাষ্টাঙ্গম্ অশেষলোক কিরীট নীরাজিত
পাদপদ্মম্ ॥১॥
– ভগবান শ্রী নৃসিংহদেfব ভক্তদের কাছে সুলভ, কিন্তু
তিনি দুষ্টচেতাদের দণ্ডদাতা। তিনি শরণাগত অসহায়
ভক্তদের একমাত্র রক্ষাকর্তা। যখন অসংখ্য
গ্রহলোকের দেবতারা তাঁর পাদপদ্মে প্রণতি নিবেদন
করলে তাদের মুকুটের ঝলমল মণিরত্নগুলোর
জ্যোতি তাঁর পদনখাগ্রে প্রতিফলিত হয়, তখন মনে হয়
যেন শত শত প্রদীপ জাজ্বল্যমান। তাই ব্রহ্মার সভায়
শনিদেব সেই ভগবানের উদ্দেশ্যে প্রণতি নিবেদন
পূর্বক প্রার্থনা করছেন।
শ্রী শনিরুবাচ
যৎ পাদপঙ্কজ রজঃ পরমাদরেণ
সংসেবিতম্ সকল কল্মষ রাশিনাশম্।
কল্যাণকারকং অশেশনিজানুগানাম্
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥২॥
– শ্রী শনিদেব বললেন, আপনার পদরজের দ্বারা রাশি
রাশি কলুষ নষ্ট হয়। আর আদরের সাথে যারা আপনার
পাদপদ্মের সেবা করেন তারা অশেষ কল্যাণ রাশি প্রাপ্ত
হন। হে ভগবান নৃসিংহদেব, আমাতে আপনার কৃপাদৃষ্টি
স্থাপন করুন।
সর্বত্র চঞ্চলত্ব¡য়া স্থিতয়া হি লক্ষ্মাঃ
ব্রহ্মাদি বন্দ্যপদয়া স্থিরয়ান্য সেবি।
পাদারবিন্দযুগলং পরমাদরেন
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৩॥
– স্বরূপে চঞ্চলা হয়েও লক্ষ্মীদেবী স্বয়ং এবং
সর্বলোক পূজ্য ব্রহ্মা-শিবাদি দেবতারাও আপনার
পাদপদ্মের অর্চনা করেন। হে ভগবান নৃসিংহদেব
আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
যদরূপম আগমাশিরঃ প্রতিপাদ্যমাদ্যং
আধ্যাত্মিকাদি পরিতাপ হরম বিচিন্ত্যম্।
যোগীশ্বরৈরপগতাখিল দোষ সঙ্ঘৈঃ
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৪॥
– বেদসমূহে বিস্তররূপে বর্ণিত আপনার রূপের ধ্যান
করার মাধ্যমে সকল শ্রেষ্ঠ সাধুরা ত্রিতাপ ক্লেশ ও
সকল দুর্ভাগ্য থেকে মুক্ত হন। হে ভগবান নৃসিংহদেব,
আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
প্রহ্লাদ ভক্তবচসাঃ হরিরাবিরাস
স্তম্ভে হিরণ্যকশিপুং য উদারভাবঃ।
উর্বো নিধায় উদরং নখরৈদদার
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৫॥
– প্রহ্লাদের বাক্যে পরম করুণ দয়ালু ভগবান হরি স্তম্ভ
থেকে বের হয়ে হিরণ্যকশিপুকে উরুতে স্থাপন
করে নখদ্বারা তার উদর বিদারণ করেছিলেন। হে ভগবান
নৃসিংহদেব আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
যে নৈজ ভক্তম অনলাম্বুুধি ভুধরোগ্র
শৃঙ্গপ্রপাত বিষদন্তিসরীসূপেভ্য।
সর্বাত্মকঃ পরম কারুণিকৌররক্ষ
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৬॥
– তুমি তোমার ভক্ত প্রহ্লাদকে জ্বলন্ত অগ্নি, গভীর
সমুদ্র, সুবিশাল পর্বত, বিষ, মত্তহস্তী এবং বিষধর
সাপেদের হাত থেকে রক্ষা করেছ। তুমি সর্বত্র
বিরাজমান এবং পরম করুণাময়। হে ভগবান নৃসিংহদেব,
আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
যন্বির্বিকার পররূপ বিচিন্ত্যনেন
যোগীশ্বরা বিষয়বীত সমস্তরাগাঃ।
বিশ্রান্তিমাপুর বিনাশবতীং পরাক্ষম্।
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৭॥
– যে সর্বোৎকৃষ্ট রূপের ধ্যান করে সকল শ্রেষ্ঠ
সাধুরা বিষয় সাগর থেকে মুক্ত হয়ে ব্রহ্মসাযুজ্য লাভ
করেন। হে ভগবান নৃসিংহদেব, আমাকে আপনার কৃপাদৃষ্টি
প্রদান করুন।
যদরূপম উগ্র পরিমর্দন ভাবশালি
সঞ্চিন্তনেন সকলাঘ বিনাশকারি।
ভূত-জ্বর গ্রহ সমুদ্ভব ভীতিনাশম্
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৮॥
– আপনার উগ্রমূর্তি দর্শন করে, সকল শান্তি-সুখ-সমৃদ্ধি
লাভ হয়, সকল পাপ নাশ হয় এবং ভূত ভয়, জ্বর ও অপগ্রহাদির
উপদ্রব বিদূরিত হয়। হে ভগবান নৃসিংহদেব, আমাকে
আপনার কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
যস্যৌত্তমং যশ উমাপতি পদ্মজন্ম
শক্রাদি দৈবত-সভাসু সমস্তগীতম্।
শক্ত্যৈব সর্বশমল প্রশমৈক দক্ষম্।
স ত্বম নৃসিংহ ময়ি দেহি কৃপাবলোকম্ ॥৯॥
– আপনার যশোগাথা শিব, ব্রহ্মা, ইন্দ্রাদি দেবতারা কীর্তন
করে থাকেন এবং আপনার শক্তি রাশি সমস্ত অপবিত্রতা
বিনাশকারী। হে ভগবান নৃসিংহদেব, আমাকে আপনার
কৃপাদৃষ্টি প্রদান করুন।
এবম্ শ্রুত্বাস্তুতিম দেবাঃ শনিনা কল্পিতাং হরিঃ
উবাচ্ ব্রহ্মবৃন্দস্থং শনিং তং ভক্তবৎসলঃ ॥১০॥
– ব্রহ্মার সভায় শনিদেব রচিত হৃদয়গ্রাহী স্তুতি শ্রবণ
করে ভক্তবৎসল হরি বলতে লাগলেন।
শ্রীনৃসিংহোবাচ
প্রসন্নোহং শনেতুভ্যম্ বরং বরয় শোভনম্।
যং বাঞ্ছসি তমেব ত্বম সর্বলোক হিতাবহম্ ॥১১॥
– শ্রী নৃসিংহদেব বললেন- হে শনি আমি তোমার
ভক্তিতে তুষ্ট। যার দ্বারা সর্বলোকের কল্যাণ হয় এমন
বর প্রার্থনা কর। আমি প্রদান করব।
শ্রীশনিরুবাচ
নৃসিংহ ত্বম ময়ি কৃপাং কুরু দেব দয়ানিধে।
মদ্বাসরস্তব প্রীতিকরঃ স্যাদেবতাপতে ॥১২॥
মৎকৃতম্ ত্বৎপরম স্তোত্রং শৃন্বন্তি চ পঠন্তি চ।
সর্বান কামান পুরয়েথা স্তেষাং ত্বম লোকভাবন ॥১৩॥
– শ্রীশনিদেব বললেন – হে ভগবান নৃসিংহদেব, হে
দয়ার সাগর আমার প্রতি প্রসন্ন হোন। হে দেবদেব,
আমার শনিবার যেন আপনার প্রিয় হয়। হে বিশ্বপাবন, যে
সমস্ত ভক্তরা আমার গ্রথিত এই স্তব শ্রবণ বা কীর্তন
করেন, তাদের সমস্ত বাসনা পূরণ করুন।
শ্রী নৃসিংহ উবাচ
তথৈবাস্তু শনেহম্ বৈ রক্ষৌভুবন সংস্থিতঃ।
ভক্তকামান পূরয়িষ্যে ত্বং মমৈক বচঃ শৃণু ॥
ত্বৎ কৃতং মৎপরং স্তোত্রম্ যঃ পঠেৎ শৃণুয়াচ্চ যঃ।
দ্বাদশাষ্টম জন্মস্তাৎ তদভয়মাস্তু তস্য বৈ ॥১৪॥
– শ্রীনৃসিংহদেব বললেন, হে শনি তাই হোক।
যেহেতু আমি বিশ্বরক্ষক (রক্ষভুবন), আমার ভক্তের
সকল বাসনা পূরণ করি। আরো জানো ১২-৮ অবস্থানের
গ্রহ বা অন্য কুসময়ে জন্মের দ্বারা যারা যৎপরোনাস্তি
দুঃখ পেয়েই যাচ্ছে তারা যদি এটা পাঠ করে বা শুনে তার
কোনো ভয় থাকবে না।
শনির্নরহরিং দেবং তথেতি প্রত্যুবাচ হ।
ততঃ পরম সন্তুষ্টাঃ জয়েতি মুনয়োবদন ॥১৫॥
– শনিদেব তখন নরহরি ভগবানকে বললেন যে, তিনি তার
নির্দেশ পালন করবেন। তখন ব্রহ্মা সভায় আনন্দিত সাধু
মুনি ঋষিরা জয় জয় ধ্বনি করলেন।
শ্রীকৃষ্ণোবাচ
ইতম্ শনৈশ্চরস্যাৎ নৃসিংহদেব
সম্বাদমেতত্ স্তবনং চ মানবাঃ।
শৃণোতি যঃ শ্রাবয়তে চ ভক্ত্যা
সর্বাণভীষ্ঠানি চ বিন্দতে ধ্রুবম ॥১৬॥
– শ্রীকৃষ্ণ ধর্মরাজকে বললেন, যে ব্যক্তি
ভক্তিসহকারে শ্রী নৃসিংহ-শনি সংবাদ শ্রবণ করেন বা পাঠ
করেন, তার সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হয় এবং তিনি পরমানন্দ লাভ
করেন।
॥ ইতি শ্রীভবিষ্যোত্তর পুরাণে রক্ষোভুবন
মাহাত্ম্যে শ্রীশনৈশ্চরকৃত শ্রীনৃসিংহ স্তুতি সমাপ্ত ॥
(০৭/০৩/২০২৪ইং) রোজ বৃহস্পতিবার বিজয়া একাদশী
মহাব্রত। ★পারনঃ- পরেরদিন রোজ শুক্রবার কাল
সকাল ৬:১৩-১০:১০ এর মধ্য। ( সময় ঢাকা ইসকন মন্দিরের চার্ট
থেকে নেওয়া)
বিজয়া একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য :
স্কন্দপুরাণে এই একাদশী মহাত্ম্য এইভাবে বর্ণিত রয়েছে। মহারাজ যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন- হে বাসুদেব! ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর মাহাত্ম্য অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন- হে যুধিষ্ঠির! এই একাদশী ‘বিজয়া’ নামে পরিচিত। এই একাদশী সম্পর্কে একসময় দেবর্ষি নারদ স্বয়ম্ভু ব্রহ্মাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন।
(সকল একাদশীর ব্রত মাহাত্ম্য এন্ড্রয়েড অ্যাপ ডাউনলোড করুন)
তিনি এই প্রসঙ্গে যা বলেছিলেন, তা আমি এখন তোমাকে বলছি। এই পবিত্র পাপবিনাশকারী ব্রত মানুষকে জয় দান করে বলে ‘বিজয়া’ নামে প্রসিদ্ধ।
পুরাকালে শ্রীরামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের জন্য বনে গিয়েছিলেন। সীতা ও লক্ষ্মণের সঙ্গে তিনি পঞ্চবটী বনে বাস করতেন। সেই সময় লঙ্কাপতি রাবণ দেবী সীতাকে হরণ করে।
সীতার অনুসন্ধানে রামচন্দ্র চতুর্দিক ভ্রমণ করতে থাকেন। তখন মৃতপ্রায় জটায়ুর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। জটায়ু রাবণের সীতাহরণের সমস্ত বৃত্তান্ত রামচন্দ্রকে জানিয়ে মৃত্যুবরণ করে। এরপর সীতা উদ্ধারের জন্য বানররাজ সুগ্রীবের সাথে তিনি বন্ধুত্ব স্থাপন করেন।
ভগবান রামচন্দ্রের কৃপায় হনুমান লঙ্কায় গমন করেন। সেখানে অশোক বনে সীতাদেবীকে দর্শন করে শ্রীরাম প্রদত্ত অঙ্গুরীয় (আংটি) তাঁকে অর্পণ করেন।
ফিরে এসে শ্রীরামচন্দ্রের কাছে লঙ্কায় সমস্ত ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন। হনুমানের কথা শুনে রামচন্দ্র সুগ্রীবের পরামর্শে সমুদ্রতীরে যান।
সেই দুস্তর সমুদ্র দেখে তিনি লক্ষ্মণকে বললেন- ‘হে লক্ষ্মণ! কিভাবে এই অগাধ সমুদ্র পার হওয়া যায়। তার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না।’
উত্তরে লক্ষ্মণ বললেন- ‘হে পুরুষোত্তম! সর্বজ্ঞাতা আদিদেব আপনি, আপনাকে আমি কি উপদেশ দেব? তবে বকদালভ্য নামে এক মুনি এই দ্বীপে বাস করেন। এখান থেকে চার মাইল দূরে তাঁর আশ্রম।
হে রাঘব, আপনি সেই প্রাচীন ঋষিশ্রেষ্ঠকে এর উপায় জিজ্ঞাসা করুন।’ লক্ষ্মণের মনোরম কথা শুনে, তারা সেই মহামুনির আশ্রমে উপনীত হলেন।
ভগবান রামচন্দ্র ভক্তরাজ সেই মুনিকে প্রণাম করলেন। মুনিবর রামচন্দ্রকে পুরাণপুরুষ বলে জানতে পারলেন। আনন্দভরে জিজ্ঞাসা করলেন- হে রামচন্দ্র! কি কারণে আপনি আমার কাছে এসেছেন, তা কৃপা কর বলুন।
শ্রীরামচন্দ্র বললেন- হে মুনিবর! আপনার কৃপায় সৈন্যসহ আমি এই সমুদ্র তীরে উপস্থিত হয়েছি। রাক্ষসরাজের লঙ্কা বিজয় করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য।
যাতে এই ভয়ঙ্কর সমুদ্র উত্তীর্ণ হতে পারি তার উপায় জানবার জন্য আমরা আপনার কৃপা প্রার্থনা করি। মুনিবর প্রসন্নচিত্তে পদ্মলোচন ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে বললেন- ‘হে রাম! আপনার অভীষ্ট সিদ্ধির জন্য যে শ্রেষ্ঠ ব্রত করণীয় আমি তা বলছি।
ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ‘বিজয়া’ নামক একদশী ব্রতপালনে আপনি নিশ্চয়ই সৈন্যসহ সমুদ্র পার হতে পারবেন। এই ব্রতের বিধি শ্রবণ করুন।
বিজয় লাভের জন্য দশমীর দিন সোনা, রূপা, তামা অথবা মাটির কলস সংগ্রহ করে তাতে জল ও আমপাতা দিয়ে সুগন্ধি চন্দনে সাজিয়ে তার উপর সোনার নারায়ণমূর্তি স্থাপন করবেন।
একাদশীর দিনি যথাবিধি প্রাতঃস্নান করে কলসের গলায় মালা চন্দন পড়িয়ে উপযুক্ত স্থানে নারকেল ও গুবাক দিয়ে পূজা করবেন।
এরপর গন্ধ, পুষ্প, তুলসী, ধূপ-দ্বীপ নৈবেদ্য ইত্যাদি দিয়ে পরম ভক্তিসহকারে নারায়ণের পূজা করে হরিকথা কীর্তনে সমস্ত দিন যাপন করবেন। রাত্রি জাগরণ করে অখন্ড ঘি-প্রদীপ প্রজ্বলিত রাখবেন।
দ্বাদশীর দিন সুর্যোদয়ের পর সেই কলস বিসর্জনের জন্য কোন নদী, সরোবর বা জলাশয়ের কাছে গিয়ে বিধি অনুসারে পূজা নিবেদনের পরে তা বিসর্জন দেবেন। তারপর ঐ মূর্তি বেদজ্ঞ ব্রহ্মণকে দান করবেন। এই প্রত প্রভাবে নিশ্চয়ই আপনার বিজয় লাভ হবে।
ব্রহ্মা বললেন- হে নারদ! ঋষির কথামতো ব্রত অনু
ষ্ঠানের ফলে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন। সীতাপ্রাপ্তি, লঙ্কাজয়, রাবণবধের মাধ্যমে শ্রীরামচন্দ্র অতুল কীর্তি লাভ করেছিলেন।
তাই যথাবিধি যে মানুষ এই ব্রত পালন করবেন তাদের এজগতে জয়লাভ এবং পরজগতে অক্ষয় সুখ সুনিশ্চিত জানবে।
হে যুধিষ্ঠির! এই কারণে এই বিজয়া একাদশী ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য। এই ব্রতকথার শ্রবণ-কীর্তন মাত্রেই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
*যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে
সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকেও উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়।
___স্কন্দপুরাণ*
একাদশীর সংকল্প মন্ত্রঃ
“ একাদশ্যাং নিরাহারঃ স্থিত্বা অহম অপরেহহানি । ভোক্ষ্যামি পুন্ডরিকাক্ষ শরণম মে ভবাচ্যুত ” ( হরিভক্তিবিলাস,বিলাস)
একাদশীর পারণ মন্ত্রঃ ---
”অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥” (বৃ: না: পু: ২১/২০)
বিবাহিত নারীদের ত্রকাদশী করার শাস্ত্র নিদের্শঃ
(১)
ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়বিশাং শূদ্রণাঞ্চৈব যোষিতাম্।
মোক্ষদং কূর্ব্বতাং ভক্ত্যা বিষ্ণো:প্রিয়তরং দ্বিজাঃ।।
[ বৃহন্নারদীয় পুরাণ, অধ্যায়-২১ শ্লোক-২ ]
অনুবাদ:
ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,শুদ্র এবং বিবাহিত স্ত্রীলোক - ইহাদিগের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি হউক, ভক্তি পূর্ব্বক একাদশী ব্রত পালন করে মুক্তি লাভ করতে পারে।
(২)
পতিসহিতা যা যোষিৎ করোতি হরিবাসরম্ ।
সুপুত্ৰা স্বামিসুভগা যাতি প্রেত্য হরের্গৃহম॥ ৭৬
যো যচ্ছতি হরেরগ্রে প্রদীপং ভক্তিভাবতঃ।
হরের্দিনে দ্বিজশ্রেষ্ঠ পুণ্যসঙ্গ্যা ন বিদ্যতে ॥৭৭
যাঙ্গনা ভর্ত্তৃসহিতা কুরুতে জাগরং হরেঃ।
হরের্নিকেতনে তিষ্ঠেচ্চিরং পত্যা সহ দ্বিজ ॥৭৮
[ পদ্মপুরাণ, স্বর্গখন্ড, অধ্যায় ৪৪, শ্লোক- ৭৬-৭৮ ]
বঙ্গানুবাদঃ
যে স্ত্রী পতি সহ একাদশীব্রত করে, সে সুপুত্রা স্বামি-সুভাগা হয়, মরণান্তে হরিগৃহ বৈকুন্ঠে যায়। দ্বিজ শ্রেষ্ঠ! একাদশীতে ভক্তিভাবে যে জন হরির অগ্রে প্রদীপ দান করে, তাহার পুণ্যের সংখ্যা নাই অর্থাৎ অগণিত পুণ্য লাভ করে । আর যে স্ত্রী স্বামীর সহিত একাদশীতে রাত্রি জাগরণ করে, সে চিত্রকাল পতি সহ হরির নিকেতনে বাস করে।
(৩)
যা নারী স্বামীসহিতা কুর্য্যাচ্চ হরিবাসরম।
সুপুত্রা ভর্ত্তসুভগা ভবেৎ সা প্রতিজন্মানি।।
[ পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মখন্ড, ৫।১৯ ]
বঙ্গানুবাদঃ
যে নারী স্বামীর সাথে একাদশীব্রত করে, সে জন্মে জন্মে সপুত্রা ও স্বামীসুভগা হয়।
(৪)
যা নারী ভর্ত্তৃসহিতা করোত্যেকাদশীব্রতম্।
সুপ্ৰজা স্বামিসুভগা সা ভবেৎ প্রতিজন্মনি।
স্বামিনা সহ যা নারী কুরুতে জাগরং হরেঃ।
সা তিষ্ঠেদ্বিষ্ণুভবনে চিরং ভর্ত্রা সহ দ্বিজ ।।
[ পদ্মপুরাণ, ত্রিয়াযোগসারঃ অধ্যায়-২২ শ্লোক- ১০৫ ]
বঙ্গানুবাদঃ
যে নারী স্বামীর সাথে একাদশীব্রত করে, সে জন্মে জন্মে সুপুত্রা ও স্বামীসুভগা হয়। আর যে নারী স্বামীর সঙ্গে জাগরানুষ্ঠান করে, সে স্বামীর সাথে সুচিরকাল বৈকুন্ঠধামে অবস্থান করে।
(৫)
দুর্ভাগা যা করোত্যেনাং সা স্ত্রী সৌভাগ্যমাপ্নুয়াৎ।
লোকানাঞ্চৈব সর্ব্বোষাং ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী।।
[ পদ্মপুরাণ, উত্তরখন্ড, ৪৮।৪ ]
বঙ্গানুবাদঃ
কোন দুর্ভাগা স্ত্রী যদি একাদশী ব্রত আচরণ করেন, তিনি সৌভাগ্য লাভ করেন। এই একাদশী ব্রত সর্বলোকের ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী, সর্ব্বপাপহারিণী ও গর্ভবাসনিবারিণী।
(৬)
সপুত্রশ্চ সভাৰ্য্যশ্চ স্বজনৈৰ্ভক্তিসংযুতঃ।
একাদশ্যামুপবসেৎ পক্ষয়োরভয়োরপি ॥
[ বিষ্ণুধর্মোত্তর, হ.ভ.বি., ১২।৪৭ ]
বঙ্গানুবাদঃ
পুত্র, ভার্যা (পত্নী) ও স্বজনবর্গের সহিত ভক্তিযুক্ত হয়ে উভয়পক্ষের একাদশীতে উপবাস কর্তব্য।"
33
34
(২০/০২/২০২৪ইং) রোজ মঙ্গলবার শ্রীভৈমী একাদশী মহাব্রত। ★পারনঃ- পরেরদিন রোজ বুধবার সকাল
সকাল ৬:২৭-১০:১৭ এর মধ্য। ( সময় ঢাকা ইসকন মন্দিরের চার্ট
থেকে নেওয়া)
সকাল ৬:০৪-৯:৫৫ এর মধ্য। ( সময় পশ্চিমবঙ্গ ,কলকাতা ইসকন মন্দিরের চার্ট
থেকে নেওয়া)
মাঘী শুক্লপক্ষীয়া ‘জয়া’ একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য ভবিষ্যোত্তর পুরাণে যুধিষ্ঠির-শ্রীকৃষ্ণ সংবাদরূপে বর্ণিত আছে। শ্রীগরুড়পুরাণে মাঘ মাসের শুক্লাপক্ষীয়া একাদশী তিথিকে ‘ভৈমী’ একাদশী নামে অভিহিত করা হয়েছে। কল্পান্তরে বিভিন্ন পুরাণে বিভিন্ন নাম দেখা যায়। পদ্মপুরাণ অনুসারে জ্যৈষ্ঠ মাসের শুক্লপক্ষীয়া একাদশীর নামই ‘পান্ডবা নির্জলা’ বা ‘ভীমসেনী’ (ভৈমী) একাদশী।
যুধিষ্ঠির বললেন- হে কৃষ্ণ! আপনি কৃপা করে মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর সবিশেষ বর্ণনা করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন- হে মহারাজ! মাঘ মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ‘জয়া’ নামে প্রসিদ্ধ। এই তিথি সর্বপাপবিনাশিনী, সর্বশ্রেষ্ঠা, পবিত্রা, সর্বকাম ও মুক্তি প্রদায়িনী। এই ব্রতের ফলে মানুষ কখনও প্রেতত্ব প্রাপ্তি হয় না। এই একাদশীর নিম্নরূপ উপাখ্যান শোনা যায়। একসময় স্বর্গলোকে ইন্দ্র রাজত্ব করছিলেন। সেখানে অন্য দেবতারাও বেশ সুখেই ছিলেন।
তারা পারিজাত পুষ্প শোভিত নন্দনকাননে অস্পরাদের সাথে বিহার করতেন। একদিন পঞ্চাশ কোটি অস্পরা-নায়ক দেবরাজ ইন্দ্র স্বেচ্ছায় আনন্দভরে তাদের নৃত্য করতে বললেন। নৃত্যের সাথে গন্ধর্বগণ গান করতে লাগলেন। পুষ্পদত্ত, চিত্রসেন প্রভৃতি প্রধান প্রধান গন্ধর্বেরাও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। চিত্রসেনের পত্নীর নাম মালিনী। পুষ্পবন্তী নামে তাঁদের এক কন্যা ছিল। পুষ্পদত্তের পুত্রের নাম মাল্যবান। এই মাল্যবান পুষ্পবন্তীর রূপে মুগ্ধ হয়েছিল। পুষ্পবন্তী পুনঃ পুনঃ কটাক্ষ দ্বারা মাল্যবানকে বশীভূত করেছিল।
ইন্দ্রের প্রীতিবিধানের জন্য তারা দুজনেই নৃত্যগীতের সেই সভায় যোগদান করেছিল। কিন্তু একে অপরের প্রতি আকৃষ্ট থাকায় উভয়েরই চিত্ত বিভ্রান্ত হচ্ছিল। সেখানে তারা পরস্পর কেবল দৃষ্টিবদ্ধ অবস্থায় দাঁড়িয়ে থাকল। ফলে গানের ক্রম বিপর্যয় ঘটল। তাদের এইরকম তাল-মান ভঙ্গভাব দেখে তারা যে পরস্পর কামাসক্ত হয়েছে, দেবরাজ ইন্দ্র তা বুঝতে পারলেন। তখন ক্রোধবশে তিনি তাদের অভিশাপ দিলেন- রে মূঢ়! তোমরা আমার আজ্ঞা লঙ্ঘন করেছ। তোমাদের ধিক! এখনই তোমরা পিশাচযোনী লাভ করে মর্ত্যলোকে নিজ দুষ্কর্মের ফল ভোগ কর।
ইন্দ্রের অভিশাপে তারা দুজন দুঃখিত মনে হিমালয় পর্বতে বিচরণ করছিল। পিশাচত্ব প্রাপ্ত হওয়ায় তারা অত্যন্ত দুঃখ ভোগ করতে লাগল। হিমালয়ে প্রচন্ড শীতে কাতর হয়ে নিজেদের পূর্বপরিচয় বিস্মৃত হল। এইভাবে অতিকষ্টে সেখানে দিনযাপন করতে লাগল।
একদিন পিশাচ নিজপত্নী পিশাচীকে বলল- সামান্য মাত্র পাপ করিনি। অথচ নরকযন্ত্রণার মতো পিশাচত্ব প্রাপ্ত হয়েছি। অতএব এখন থেকে আর কখনও কোন পাপকর্ম করব না। এইভাবে চিন্তা করে তারা সেই পর্বতে মৃতপ্রায় বাস করতে লাগল। মাল্যবান ও পুষ্পবন্তীর পূর্ব কোন পুণ্যবশত সেই সময় মাঘী শুক্লপক্ষীয়া ‘জয়া’ একাদশী তিথি উপস্থিত হল। তারা একটি অশ্বত্থ বৃক্ষতলে নিরাহারে নির্জলা অবস্থায় দিবানিশি যাপন করল। শীতের প্রকোপে অনিদ্রায় রাত্রি অতিবাহিত হল।
পরদিন সূর্যোদয়ে দ্বাদশী তিথি উপস্থিত হল। জয়া একাদশীর দিন অনাহার ও রাত্রি জাগরণে তাদের ভক্তির অনুষ্ঠান পালিত হল। এই ব্রত পালনের ফলে ভগবান বিষ্ণুর কৃপায় তাদের পিশাচত্ব দূর হল। তারা দুজনেই তাদের পূর্বরূপ ফিরে পেল। তারপর তারা স্বর্গে ফিরে গেল। দেবরাজ তাদেরকে দেখে অত্যন্ত আশ্চর্য হলেন। তিনি জিজ্ঞাসা করলেন- কোন পূণ্য ফলে তোমাদের পিশাচত্ব দূর হল। আমার অভিশাপ থেকে কে তোমাদের মুক্ত করল?
মাল্যবান বললেন- হে প্রভু! ভগবান বাসুদেবের কৃপায় জয়া একাদশী ব্রতের পুণ্যপ্রভাবে আমাদের পিশাচত্ব দূর হয়েছে। তাদের কথা শুনে দেবরাজ ইন্দ্র বললেন- হে মাল্যবান, তোমরা এখন থেকে আবার অমৃত পান কর। একাদশী ব্রতে যাঁরা আসক্ত এবং যাঁরা কৃষ্ণভক্তি-পরায়ণ তাঁরা আমাদেরও পূজ্য বলে জানবে। এই দেবোলোকে তুমি পুষ্পবন্তীর সাথে সুখে বাস কর।
হে মহারাজ! এই ‘জয়া’ একাদশী ব্রত ব্রহ্মহত্যাজনিত পাপকেও বিনাশ করে। এই ব্রত পালনে সমস্ত প্রকার দানের ফল লাভ হয়। সকল যজ্ঞ ও তীর্থের পুণ্যফল এই একাদশী প্রভাবে আপনা হতেই লাভ হয়। অবশেষে মহানন্দে অনন্তকাল বৈকুন্ঠ বাস হয়। এই জয়া একাদশী ব্রতকথা পাঠ ও শ্রবণে অগ্নিষ্টোম যজ্ঞের ফল পাওয়া যায়।
*যে মানুষ একাদশীর দিন শস্যদানা গ্রহণ করে
সে তার পিতা, মাতা, ভাই এবং গুরু হত্যাকারী এবং সে যদি বৈকুন্ঠলোকেও উন্নীত হয় তবুও তার অধঃপতন হয়।
___স্কন্দপুরাণ*
একাদশীর সংকল্প মন্ত্রঃ
“ একাদশ্যাং নিরাহারঃ স্থিত্বা অহম অপরেহহানি । ভোক্ষ্যামি পুন্ডরিকাক্ষ শরণম মে ভবাচ্যুত ” ( হরিভক্তিবিলাস,বিলাস)
একাদশীর পারণ মন্ত্রঃ ---
”অজ্ঞান তিমিরান্ধস্য ব্রতেনানেন কেশব।
প্রসীদ সুমুখ নাথ জ্ঞানদৃষ্টিপ্রদো ভব॥” (বৃ: না: পু: ২১/২০)
বিবাহিত নারীদের ত্রকাদশী করার শাস্ত্র নিদের্শঃ
(১)
ব্রাহ্মণক্ষত্রিয়বিশাং শূদ্রণাঞ্চৈব যোষিতাম্।
মোক্ষদং কূর্ব্বতাং ভক্ত্যা বিষ্ণো:প্রিয়তরং দ্বিজাঃ।।
[ বৃহন্নারদীয় পুরাণ, অধ্যায়-২১ শ্লোক-২ ]
অনুবাদ:
ব্রাহ্মণ,ক্ষত্রিয়, বৈশ্য,শুদ্র এবং বিবাহিত স্ত্রীলোক - ইহাদিগের মধ্যে যে কোন ব্যক্তি হউক, ভক্তি পূর্ব্বক একাদশী ব্রত পালন করে মুক্তি লাভ করতে পারে।
(২)
পতিসহিতা যা যোষিৎ করোতি হরিবাসরম্ ।
সুপুত্ৰা স্বামিসুভগা যাতি প্রেত্য হরের্গৃহম॥ ৭৬
যো যচ্ছতি হরেরগ্রে প্রদীপং ভক্তিভাবতঃ।
হরের্দিনে দ্বিজশ্রেষ্ঠ পুণ্যসঙ্গ্যা ন বিদ্যতে ॥৭৭
যাঙ্গনা ভর্ত্তৃসহিতা কুরুতে জাগরং হরেঃ।
হরের্নিকেতনে তিষ্ঠেচ্চিরং পত্যা সহ দ্বিজ ॥৭৮
[ পদ্মপুরাণ, স্বর্গখন্ড, অধ্যায় ৪৪, শ্লোক- ৭৬-৭৮ ]
বঙ্গানুবাদঃ
যে স্ত্রী পতি সহ একাদশীব্রত করে, সে সুপুত্রা স্বামি-সুভাগা হয়, মরণান্তে হরিগৃহ বৈকুন্ঠে যায়। দ্বিজ শ্রেষ্ঠ! একাদশীতে ভক্তিভাবে যে জন হরির অগ্রে প্রদীপ দান করে, তাহার পুণ্যের সংখ্যা নাই অর্থাৎ অগণিত পুণ্য লাভ করে । আর যে স্ত্রী স্বামীর সহিত একাদশীতে রাত্রি জাগরণ করে, সে চিত্রকাল পতি সহ হরির নিকেতনে বাস করে।
(৩)
যা নারী স্বামীসহিতা কুর্য্যাচ্চ হরিবাসরম।
সুপুত্রা ভর্ত্তসুভগা ভবেৎ সা প্রতিজন্মানি।।
[ পদ্মপুরাণ, ব্রহ্মখন্ড, ৫।১৯ ]
বঙ্গানুবাদঃ
যে নারী স্বামীর সাথে একাদশীব্রত করে, সে জন্মে জন্মে সপুত্রা ও স্বামীসুভগা হয়।
(৪)
যা নারী ভর্ত্তৃসহিতা করোত্যেকাদশীব্রতম্।
সুপ্ৰজা স্বামিসুভগা সা ভবেৎ প্রতিজন্মনি।
স্বামিনা সহ যা নারী কুরুতে জাগরং হরেঃ।
সা তিষ্ঠেদ্বিষ্ণুভবনে চিরং ভর্ত্রা সহ দ্বিজ ।।
[ পদ্মপুরাণ, ত্রিয়াযোগসারঃ অধ্যায়-২২ শ্লোক- ১০৫ ]
বঙ্গানুবাদঃ
যে নারী স্বামীর সাথে একাদশীব্রত করে, সে জন্মে জন্মে সুপুত্রা ও স্বামীসুভগা হয়। আর যে নারী স্বামীর সঙ্গে জাগরানুষ্ঠান করে, সে স্বামীর সাথে সুচিরকাল বৈকুন্ঠধামে অবস্থান করে।
(৫)
দুর্ভাগা যা করোত্যেনাং সা স্ত্রী সৌভাগ্যমাপ্নুয়াৎ।
লোকানাঞ্চৈব সর্ব্বোষাং ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী।।
[ পদ্মপুরাণ, উত্তরখন্ড, ৪৮।৪ ]
বঙ্গানুবাদঃ
কোন দুর্ভাগা স্ত্রী যদি একাদশী ব্রত আচরণ করেন, তিনি সৌভাগ্য লাভ করেন। এই একাদশী ব্রত সর্বলোকের ভুক্তিমুক্তিপ্রদায়িনী, সর্ব্বপাপহারিণী ও গর্ভবাসনিবারিণী।
(৬)
সপুত্রশ্চ সভাৰ্য্যশ্চ স্বজনৈৰ্ভক্তিসংযুতঃ।
একাদশ্যামুপবসেৎ পক্ষয়োরভয়োরপি ॥
[ বিষ্ণুধর্মোত্তর, হ.ভ.বি., ১২।৪৭ ]
বঙ্গানুবাদঃ
পুত্র, ভার্যা (পত্নী) ও স্বজনবর্গের সহিত ভক্তিযুক্ত হয়ে উভয়পক্ষের একাদশীতে উপবাস কর্তব্য।"
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the place of worship
Website
Address
Dhaka
1800
Gulshan Avenue
Dhaka, 1212
Obligatory daily Namaz It is obligatory to perform the following five prayers during day and night:
Dhaka
Ramakrishna Math & Ramakrishna Mission, Dhaka is a branch centre of worldwide spiritual and philanthropic twin organizations Ramakrishna Math and Ramakrishna Mission (generally ...
Dhaka
আসসালামু আলাইকুম,, প্রিয় দ্বীনি ভাই বোনদের নিকট ইসলাম ও দ্বীনের দাওয়াত পৌঁছানোর জন্য এই পেইজ