Dr. Fajlul Haque Sohail- physical medicine and Pain Specialist, Sylhet

√√√ সিজার–পরবর্তী কোমরব্যথার কারণ √√√

গর্ভাবস্থায় ওজন বৃদ্ধির কারণে গর্ভবতী নারীর স্বাভাবিক চলাফেরায় যে ভারসাম্যের কেন্দ্রবিন্দু থাকে, তা স্থানান্তরিত হয়ে মেরুদণ্ড ও কোমরে চাপ পড়তে পারে। তাছাড়া সিজারিয়ানের সময় এপিডুরাল বা স্পাইনাল ব্লক ব্যবহার করার কারণে প্রসবের পর মেরুদণ্ডের কাছাকাছি অবস্থিত মাংশপেশিকে শক্ত হয়ে যায়। মাংশপেশির এই অস্বাভাবিকতা প্রসবের পর কয়েক সপ্তাহ বা কয়েক মাস থাকতে পারে। যার কারণে কোমরব্যথা হয়।

√√√ সিজারের পর কোমর ব্যথা থেকে মুক্তি পেতে করণীয় √√√

➤ নবজাতককে কোলে তোলার সময় ও স্তন্যপানের সময় পিঠ সোজা রাখুন।
➤ কোমরে হিটিং প্যাড ব্যবহার করা ও হালকা কুসুম গরম পানি দিয়ে গোসল করলে মাংশপেশির টান খানিকটা কমে।
➤ খুব বেশি চলাফেরা করার পরিবর্তে যতটুকু সম্ভব বিশ্রাম নেয়া।
➤ ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি হলে একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন এন্ড রিহ্যাবিলিটেশন বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নিন।

* ♦****♦ **
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "সিজার–পরবর্তী কোমরব্যথা"-এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)
√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√ ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি কি? √√√

নিউরোপ্যাথি মানে স্নায়ুর সমস্যা। ডায়াবেটিস হলে যেসব জটিলতা হয় এর একটি হলো স্নায়ুর সমস্যা। দীর্ঘদিন যাবত অনিয়ন্ত্রিত ডায়বেটিস-এর কারণে ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি এর ঝুঁকি বেড়ে যায়।

√√√ ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথি উপসর্গ √√√

➤ হাত-পা অবশ বা ঝিনঝিন অনুভূত হওয়া
➤ হাত-পায়ে জ্বালাপোড়া
➤ অতি সংবেদনশীলতা
➤ ক্ষুধামান্দ্য, বমি বমি ভাব
➤ যৌনক্ষমতা কমে যাওয়া
➤ পা ও ত্বকের সমস্যা

√√√ ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথিরোধে করণীয় √√√

➤ ডায়াবেটিস নিয়মিত নিয়ন্ত্রণে রাখা।
➤ ডায়াবেটিসের ওষুধ নিয়ম মেনে সেবন করা।
➤ প্রতি ছয় মাসে একবার চিকিৎসকের সঙ্গে ফলোআপ করা।
➤ ওজন নিয়ন্ত্রণ ও শরীরচর্চা করা।
➤ হাত ও পায়ের নখ সঠিক নিয়মে পরিষ্কার এবং ছোট রাখা।
➤ নিয়মিত স্যান্ডেল পরিধান করা।
➤ হৃদরোগে আক্রান্তদের ক্ষেত্রে ওষুধগুলো যথানিয়মে এবং নিয়মিতভাবে সেবন করা।
➤ ফিজিওথেরাপি চিকিৎসার মাধ্যমে হাত ও পায়ের মাংসপেশির কার্যক্ষমতা ঠিক রাখা

* ♦*♦ *
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "ডায়াবেটিক নিউরোপ্যাথির জন্য চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√ গ্রোয়িং পেইন কি? √√√

গ্রোয়িং পেইন বাচ্চাদের একটি সাধারন সমস্যা। একটি শিশু বড় হওয়ার সময় যখন তার পায়ে যে দীর্ঘস্থায়ী ব্যথা এবং কম্পন অনুভব করে সেটাকেই গ্রোইং পেইন বলে। তিন বছর বয়স থেকে সাধারণত এটি শুরু হয়ে থাকে এবং গ্রোয়িং পেইন ১০-১২ বছর বয়সে নিজে থেকেই সেরে যায়। তবে ৩ থেকে ৬ বছর বয়সী শিশুদের মধ্যে বেশি দেখা যায়।

√√√ গ্রোয়িং পেইন এর উপসর্গ √√√

➤ ঊরু ও পায়ের মাংসপেশিতে বেশি হয়। হাতেও হতে পারে ব্যথা।
➤ সন্ধ্যা বা রাতের শুরুতে শিশু পায়ে ব্যথার কথা বলে।
➤ কখনো কখনো ব্যথার তীব্রতা এত বেশি থাকে যে রাতের ঘুম ভেঙে যায়।
➤ সকালে ঘুম থেকে ওঠার পর আর কোনো ব্যথা থাকে না।
➤ প্রতিদিন ব্যথার তীব্রতা একই রকম থাকে না।
➤ এই ব্যথার জন্য শিশুর হাঁটা-চলা বা দৈনন্দিন কাজে কোনো সমস্যা হয় না।

√√√ শিশুর গ্রোয়িং পেইন এর কারণ √√√

➤ বাচ্চার পায়ে গঠনগত ত্রুটি থাকলে।
➤ পারিবারিক ইতিহাস ও মানসিক চাপ ।
➤ ভিটামিন ডি এর ঘাটতি হলে।

√√√ ঘরোয়া উপায়ে গ্রোয়িং পেইন এর ব্যথা উপশমের উপায় √√√

➤ হালকা ম্যাসাজ করা।
➤ কাপড় কুসুম গরম পানিতে দিয়ে সেঁক দেয়া।
➤ ব্যথা কমানোর জন্য প্যারাসিটামল-জাতীয় ওষুধ ব্যবহার করা।
➤ শিশুকে পুষ্টিকর খাবার, দুধ ও দুধের তৈরি খাবার বেশি দিতে হবে।

√√√ চিকিৎসা √√√

গ্রোয়িং পেইন ১০-১২ বছর বয়সে নিজে থেকেই সেরে যায়। ব্যথা কমাতে প্যারাসিটামল–জাতীয় ওষুধ খাওয়ানো যেতে পারে। তবে ব্যথা গুরুতর হলে, গিরা ফুলে গেলে বা লাল হয়ে গেলে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে।

* ♦****♦ **
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "গ্রোয়িং পেইন"-এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।
√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)
√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√ রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম কি? √√√

রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম বা RLS একটি স্নায়বিক ব্যাধি যার কারণে আপনার ক্রমাগত পা নাড়ানোর তাগদা অনুভূত হয়।

√√√ রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমের কারণ √√√

ঠিক কী কারণে রেস্টলেস লেগস সিনড্রোম হয়, তার সঠিক কারণ জানা যায়নি। দীর্ঘ সময় ডেস্ক জব, কংক্রিটের মেঝেতে হাঁটা, কিডনি ফেইলিওর, ডায়াবেটিক নার্ভ ড্যামেজ, মিনারেলের ঘাটতি, রক্ত ​​প্রবাহের সমস্যা ইত্যাদি কারণেও নাইট টাইম ক্র্যাম্প হতে পারে। তাছাড়া ভিটামিন বি, ভিটামিন ডি ও ভিটামিন ই এর অভাবে রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমের ঝুঁকি বাড়ে।

√√√ রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমের লক্ষণ √√√

➤ পায়ে ব্যথা, জ্বালা-পোড়া, চুলকানো, তীব্র যন্ত্রণা।
➤ এই সিনড্রোমে আক্রান্তদের মধ্যে প্রায়ই পা নাড়ার অভ্যাস দেখা যায়।
➤ পা স্থির রাখতে গেলেই অস্বস্তি হয় শরীরে।
➤ মূল সন্ধ্যের পর থেকে এই সমস্যা বাড়ে।
➤ রাতে ঘুমের মধ্যে পা নাড়ানো এমনকি লাথি মারার ভঙিতে পা ছোড়া এই রোগের অন্যতম লক্ষণ।

√√√ রেস্টলেস লেগ সিনড্রোমের ঘরোয়া সমাধান √√√

➤ কাজের চাপ বা স্ট্রেস কমাতে হবে যতটা সম্ভব।
➤ ঘড়ি ধরে নিয়ম করে পর্যাপ্ত ঘুম জরুরি।
➤ নিয়মিত শরীরচর্চা এই সমস্যা থেকে রেহাই দিতে পারে।
➤ কফিজাতীয় পানীয় কম পান করতে হবে।
➤ রোজ পা কিছুক্ষণ গরম জলে ডুবিয়ে রাখতে পারেন।

***♦****♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "রেস্টলেস লেগ সিনড্রোম"-এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√ ফাইব্রোমায়ালজিয়া কি? √√√

ফাইব্রোমায়ালজিয়া এমন একটি রোগ, যার কারণে সমস্ত শরীরের পেশী এবং নরম টিস্যুতে ব্যথা হয়ে থাকে। ফাইব্রোমায়ালজিয়ায় আক্রান্ত ব্যক্তিদের শরীরের অনেক জায়গা থাকে, যেগুলো স্পর্শ করলে অনেক ব্যথা হয়।

√√√ ফাইব্রোমায়ালজিয়া কারণ √√√

ফাইব্রোমায়ালজিয়ার প্রকৃত কারণ অজানা। বিভিন্ন শারীরিক বা মানসিক কারণ (যেমন সংক্রমণ, আঘাত বা স্ট্রেস) লক্ষণগুলিকে ট্রিগার (প্রভাবিত) করতে ভূমিকা পালন করতে পারে

√√√ ফাইব্রোমায়ালজিয়া লক্ষণ √√√

➤ শরীরের মাংসপেশীতে ব্যথা
➤ ক্লান্তি ও অবসাদ
➤ মুখ ও চোয়ালে ব্যথা
➤ মাইগ্রেণ ও মাথা ব্যথার সমস্যা
➤ হজমে সমস্যা
➤ অনিদ্রা

√√√ ফাইব্রোমায়ালজিয়া হলে করণীয় √√√

➤ বেশি পরিমাণে ম্যাগনেসিয়াম সমৃদ্ধ শাকসবজি খেতে হবে।
➤ পানি বেশি করে পান করা।
➤ পরিমিত পরিমাণে আমিষ জাতীয় খাবার খাওয়া।
➤ নিয়মিত ব্যায়াম করা।
➤ অতিরিক্ত লবন খাওয়া থেকে বিরত থাকতে হবে।
➤ পরিমিত পুষ্টিকর ভিটামিন জাতীয় খাবার, খনিজ লবন, স্নেহ সমৃদ্ধ খাবার খেতে হবে।

* ♦****♦ **
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "ফাইব্রোমায়ালজিয়ার" চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√ Obesity কি??? √√√

Obesity বা মেদাধিক্য হলো শরীরের এক বিশেষ অবস্থা যখন শরীরে অতিরিক্ত স্নেহ বা চর্বি জাতীয় পদার্থ জমা হয়। Obesity-এর কারণে ওজন বেড়ে যাওয়ায় হাড় ও মেরুদন্ডে তার নেতিবাচক প্রভাব পরে। ফলে নানাবিধ শারীরিক নানা সমস্যা দেখা দেয়।

√√√ Obesity-এর কারণে কি কি 𝐦𝐮𝐬𝐜𝐮𝐥𝐨𝐬𝐤𝐞𝐥𝐞𝐭𝐚𝐥 𝐩𝐫𝐨𝐛𝐥𝐞𝐦 হয়ে থাকে? √√√

১) হাটু, কোমর ও হাতের অস্টিওআথ্রাইটিস
২) লো ব্যাক পেইন বা কোমরে ব্যথা
৩) ডিফিউস আইডিওপ্যাথিক স্কেলেটাল হাইপারোস্টোসিস (DISH),
৪) Galt disturbance
৫) সফট টিস্যু কন্ডিশোন (কারপাল টানেল সিনড্রোম, প্ল্যান্টার ফ্যাসিলিটিস)
৬) অস্টিওপরোসিস
৭) গাউট
৮) ফাইব্রোমায়ালগা
৯) কানেক্টিভ টিস্যু ডিসঅর্ডার (রিউমাটয়েড আথ্রাইটিস)

√√√ 𝐌𝐮𝐬𝐜𝐮𝐥𝐨𝐬𝐤𝐞𝐥𝐞𝐭𝐚𝐥 𝐩𝐫𝐨𝐛𝐥𝐞𝐦 ছাড়া Obesity-এর কারণে আর কি কি হয়? √√√

ওবেসিটি বিভিন্ন রোগকে ডেকে আনে যেমন, হৃদরোগ, ডায়াবেটিস মেলিটাস, বন্ধ্যাত্ব, নিদ্রাহীনতা, মানসিক অবসাদ, শ্বাসকষ্ট ইত্যাদি। ওবেসিটির সঙ্গে ডায়াবিটিস, উচ্চ রক্তচাপ, রক্তে কোলেস্টেরল এবং ট্রাইগ্লিসারাইডের মাত্রা বেড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

√√√ কি কি কারণে Obesity হয়ে থাকে? √√√
➤ অত্যধিক মাত্রায় ক্যালোরি যুক্ত খাবার খাওয়া
➤ শারীরিক পরিশ্রম না করা
➤ ধূমপান ও মদ্যপান
➤ অনিদ্রা
➤ বংশগত কারণে

√√√ Obesity রোধে কি করা উচিত? √√√
➤ স্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়া
➤ পর্যাপ্ত পানি পান
➤ রাতে পর্যাপ্ত ঘুমানো
➤ নিয়মিত ব্যায়াম করা
➤ দুঃশ্চিন্তা না করা

* ♦****♦ **
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "𝐌𝐮𝐬𝐜𝐮𝐥𝐨𝐬𝐤𝐞𝐥𝐞𝐭𝐚𝐥 𝐩𝐫𝐨𝐛𝐥𝐞𝐦" চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।
√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)
√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলা জনিত ইনজুরি√√√

√√সতর্ক থাকা সত্ত্বেও খেলোয়ারদের খেলতে গিয়ে বিভিন্ন ধরণের ইনজুরিতে পরতে হয়। খেলার ধরনের সাথে সাথে ইনজুরির ধরণেরও পার্থক্য হয়। এর মধ্যে মাংসপেশি, জয়েন্ট ও লিগামেন্টের ইনজুরি অন্যতম।

√√স্পোর্টস ইনজুরির মধ্যে

-লিগামেন্ট ইনজুরি, মেনিস্কাস ইনজুরি ( ফুটবল খেলোয়াড়)
-টেনিস এলবো (টেনিস খেলোয়ারদের)
-লাম্বার স্প্রেইন (ব্যাডমিন্টন খেলোয়ারদের)
-গলফার এলবো (গলফার) -জাম্পার্স নি (যে সকল খেলায় সব দলের ওপর বেশি লাফাতে হয় যেমন বাস্কেটবল)
-রানার্স নি (দৌড়বিদ)
-স্ট্রেস ফ্র্যাকচার (অতিরিক্ত খেলাধুলার কারণে) অন্যতম। আর খেলোয়াড়দের এসব ইনজুরির চিকিৎসা একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের অধীনে করা উচিত ।

খেলোয়াড়দের ইনজুরি বা আঘাত জনিত সমস্যায় একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের ভূমিকা:

➤ আঘাতপ্রাপ্ত অংশটি পরীক্ষা করার মাধ্যমে সঠিক রোগ নির্ণয় করা
➤ তারপর স্বল্পকালীন এবং দীর্ঘ চিকিৎসা প্ল্যান করে ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা প্রদান করা
➤ আঘাতপ্রাপ্ত অংশের ব্যথা উপশম করা
➤ খেলোয়াড়কে প্রশিক্ষণ দেয়া ও পরবর্তী খেলাধুলার জন্য তৈরি করা
➤ খেলায় অংশগ্রহণের জন্য খেলোয়াড়গণ উপযুক্ত কি না তা নির্ধারণ করা

ইনজুরি থেকে রক্ষা পেতে পূর্বপ্রস্তুতি হিসেবে করণীয়:
➤ খেলায় অংশগ্রহণের পূর্বে ওয়ার্মআপ করা
➤ খেলা শেষে কুলডাউন স্ট্রেচিং করা
➤ শারীরিক ফিটনেসের দিকে খেয়াল রাখা
➤ বিভিন্ন ব্যায়ামের মাধ্যমে মাসেল পাওয়ার বৃদ্ধি ও জয়েন্টের মুভমেন্ট ঠিক রাখা
➤ খেলার সময় বিভিন্ন ধরনের সহায়ক উপকরণ ব্যবহার করা
➤ ছোটখাট ইনজুরি থাকলে বা এড়াতে টেপিং করা

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "স্পোর্টস ইনজুরি বা খেলাধুলা জনিত ইনজুরি" এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√স্ট্রোক রিহ্যাবিলিটেশন√√√

√√স্ট্রোক–পরবর্তী স্বাভাবিক জীবনে ফিরে আসার আন্তর্জাতিকভাবে স্বীকৃত স্বতন্ত্র চিকিৎসাপদ্ধতি হলো ফিজিক্যাল থেরাপি ও ব্যায়াম।

√√স্ট্রোকে মস্তিষ্কে রক্ত সরবরাহে বিঘ্ন ঘটে, মস্তিষ্কের কোষের মৃত্যু হয়। এ জন্য মস্তিষ্কের ক্ষতিগ্রস্ত অংশ কার্যক্ষমতা হারায়। স্ট্রোকের পর দ্রুত চিকিৎসা ও বিভিন্ন ওষুধ রোগীর জীবন বাঁচালেও তার শরীরের স্বাভাবিক কর্মক্ষমতা ফিরিয়ে আনতে প্রয়োজন হয় ফিজিক্যাল থেরাপি ও ব্যায়াম।

√√একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের মূল লক্ষ্যই হলো স্ট্রোক–পরবর্তী সমস্যাগুলো নির্ণয় করে শরীরের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতা ফিরিয়ে আনা।

√√তাই কেউ স্ট্রোকে আক্রান্ত হলে জরুরি চিকিৎসা শেষে দ্রুত শুরু করতে হবে ফিজিক্যাল থেরাপি ও ব্যায়াম। মনে রাখবেন, স্ট্রোকের পর যত তাড়াতাড়ি ফিজিক্যাল থেরাপি ও ব্যায়াম শুরু করা যাবে, রোগীর কার্যক্ষমতা ফিরে আসার সম্ভাবনা তত বেশি।

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "স্ট্রোক পরবর্তী রিহ্যাবিলিটেশন" এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√ফেসিয়াল পালসি বা মুখ বেঁকে যাওয়া √√

মস্তিষ্ক থেকে আসা ৭ নম্বর ক্রেনিয়াল নার্ভের নাম ফেসিয়াল নার্ভ, যা মুখের পেশির কার্যকলাপ নিয়ন্ত্রণ করে। ফেসিয়াল নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত (ড্যামেজ) হওয়ায় মুখের পেশির কার্যক্ষমতা নষ্ট হয়ে যাওয়াকে ফেসিয়াল নার্ভ প্যারালাইসিস বা ফেসিয়াল পালসি বলা হয়। এটি বেলস পালসি নামেও পরিচিত।

√√√√ কাদের হয় ?

যেকোনো বয়সের নারী ও পুরুষের হতে পারে। তবে পুরুষের তুলনায় নারীদের মধ্যে এই রোগটি বেশি দেখা যায়।

√√√√ কেন হয়ঃ
বেলস পালসি বিভিন্ন কারণে হতে পারে। এগুলোর মধ্যে উল্লেখযোগ্য—

১. ভাইরাস সংক্রমণ
২. মধ্যকর্ণে সংক্রমণ
৩. ঠান্ডার কারণে
৪. আঘাতের কারণে
৫. মস্তিষ্কের রক্তক্ষরণ
৬. টিউমার
৭. কানের অস্ত্রোপচার–পরবর্তী ফেসিয়াল নার্ভ ইনজুরি ইত্যাদি।

√√√√ ফেসিয়াল পালসি এর লক্ষণসমূহঃ
● আক্রান্ত রোগীর মুখ একদিকে বেঁকে যায়।
● আক্রান্ত পাশের চোখ বন্ধ হয় না।
● চোখ দিয়ে পানি পড়ে।
● কুলি করতে গেলে পানি অন্য পাশে চলে যায় বা পানি গড়িয়ে পড়ে।
● খাবার গিলতে কষ্ট হয়।
● কপাল ভাঁজ করতে পারে না।
● অনেক সময় কথা বলতে কষ্ট হয়।

√√√চিকিৎসাঃ

এই রোগের চিকিৎসা কারণের ওপর নির্ভর করে। ওষুধ কারণ অনুযায়ী ভিন্ন ভিন্ন, তবে সবক্ষেত্রেই ওষুধের পাশাপাশি মূল চিকিৎসা হলো ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা।

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "ফেসিয়াল পালসি বা, মুখ বেঁকে যাওয়া " এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩.৩০টা – সন্ধ্যা ৬.৩০টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√√ রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগ √√√

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগ একটি অটোইমিউন ডিজিজ, যার নির্দিষ্ট কোনো কারণ এখন পর্যন্ত জানা যায়নি। এই রোগে শরীরের ইমিউন সিস্টেম জয়েন্টগুলি সহ তার নিজস্ব টিস্যুতে আক্রমণ করে। এই রোগের জেরে হাড়ে প্রদাহ ও ব্যথা বাড়ে। হাত, কব্জি, পায়ে যন্ত্রণা হতে থাকে। তবে রোগ অতিরিক্ত পর্যায় পৌঁছলে চোখ, ত্বক, ফুসফুস, হৃদ্‌যন্ত্র ও রক্তনালীতে সমস্যা হয়।

√√√√ কাদের হয় ?

সাধারণত ৬৪বছর বয়সের পরে দেখা যায়। কখনও কখনও এটি শিশু, কিশোর বা অল্প বয়স্কদের মধ্যেও বিকাশ হতে পারে। পুরুষদের তুলনায় মহিলাদের মধ্যে আর্থ্রাইটিস বেশি দেখা যায়।

√√√কারা ঝুঁকিতে আছেন ?

➤ যদি কোনো নিকটাত্মীয়ের রোগটি হয়ে থাকে
➤ যে সব নারীদের ফ্যামিলি হিস্ট্রিতে এই রোগ আছে
➤ ধূমপায়ী ব্যক্তিদের
➤ স্থূলতা থাকলে

√√√√ রিউমাটয়েড আর্থাইটিস বা বাত রোগ এর লক্ষণসমূহ:

➤ হাত-পায়ের জয়েন্টে ব্যথা ও ফুলে যাওয়া
➤ ভোরবেলায় আধাঘন্টার বেশি জয়েন্ট আড়ষ্ঠ থাকা
➤ জয়েন্ট গুলো বিকৃত হয়ে যাওয়া
➤ শরীরের উভয় পাশে একই জয়েন্টগুলি প্রভাবিত হয়
➤ মাংসপেশিতে ব্যথা অনুভব
➤ ক্ষুধামন্দ, ক্লান্তি ও জ্বর

√√√চিকিৎসা কি?

রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস যেহেতু সম্পূর্ণ নিরাময়যোগ্য রোগ নয়, তাই এর জন্য চিকিৎসকের নির্দেশিত কিছু ওষুধ রোগীকে নিয়মিত খেতে হবে। পাশাপাশি এই রোগের জটিলতা, যেমন- জয়েন্টগুলো শক্ত হয়ে যাওয়া ও বাঁকা হয়ে যাওয়া ইত্যাদি প্রতিরোধ করার জন্য নিয়মিত ফিজিওথেরাপি চিকিৎসা নিতে হবে এবং শেখানো ব্যায়াম করতে হবে।

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "রিউমাটয়েড আর্থ্রাইটিস বা বাত রোগ" এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√“লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস" বা
"কোমরের বয়সজনিত ক্ষয়বাত"√√√√

বয়স্কদের কোমরে ব্যথা, এটি খুব সাধারণ ও পুরাতন একটি সমস্যা, কিন্তু খুবই কষ্টদায়ক। বিভিন্ন গবেষণায় দেখা গেছে যে সারা বিশ্বে ৭০ ভাগ লোক জীবনে কোনো না কোনো সময় কোমর ব্যথায় আক্রান্ত হয়। এই ব্যাথার অনেকগুলো কারণের মধ্যে অন্যতম হল মেরুদন্ডের কোমরের অংশের "বয়সজনিত ক্ষয়বাত” বা “লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস"। তাই আসুন জেনে নিই ...............

-কোমরের ক্ষয়বাত কি ?
-কোমরের ক্ষয়বাত কেন হয় ?
-কারা ঝুঁকিতে আছে ?
-কি আছে কোমরে (কোমরের গঠন) ?
-উপসর্গ সমুহ কি কি ?
-কিভাবে কোমরের ক্ষয় নির্ণয় করা হয় ?
-চিকিৎসা কি ?

√√√লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস কি ?

মেরুদন্ডের কোমরের অংশের অস্থি ও তরুণাস্থি গুলোতে ক্ষয়ের কারণে গঠনগত পরিবর্তন হয়ে যে রোগ হয়, তাকেই বলে কোমরের বয়সজনিত ক্ষয়বাত বা লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস।

√√√কাদের হয় ?

→লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস হল একটি বয়স বৃদ্ধিজনিত রোগ
→৪০ বৎসর বয়সের পর (আগেও হতে পারে) পুরুষ বা মহিলা উভয়ই আক্রান্ত হতে পারেন

√√√কারা ঝুঁকিতে আছেন ?

→যারা সাধারণত কোমর সামনে ঝুঁকিয়ে কাজ করেন। যেমন-
ভারি জিনিস উঠানো, ঝাড়ু দেয়া,
টিউবওয়েল চাপা ইত্যাদি
→যারা একনাগাড়ে বসে কাজ করেন, যেমন –
অফিসে কাজ, কম্পিউটারের কাজ, সেলাই করা ইত্যাদি।
→কোমরের ঝাঁকুনি হয় এমন কাজ।
যেমন-
মোটরসাইকেল বা সাইকেলে ব্যবহার, দীর্ঘ ভ্রমণ ইত্যাদি।

√√√কি আছে কোমরের ভিতরে (কোমরের গঠন) ?

কোমরের ক্ষয়বাত বুঝার জন্য কোমরের গঠন সম্পর্কে কিছুটা জ্ঞান থাকা জরুরী।
কোমরের গঠনকারী উপাদান সমুহ হল-

- শক্তহাড় বা কশেরুকাঃ কোমরে সাধারণত ৫টি কশেরুকা বা শক্ত হাড় থাকে
- নরম হাড় বা ডিস্কঃ দুই কশেরুকার মাঝখানে ডিস্ক বা নরম হাড় থাকে
- শাহী রগ বা কর্ডঃ কশেরুকার মধ্যবর্তী স্থানে স্পাইনাল কর্ড বা শাহী রগ থাকে
- স্নায়ু বা নার্ভঃ কশেরুকার দুই দিক দিয়ে স্পাইনাল কর্ড হতে নার্ভ বের হয়ে পায়ে পৌঁছায়

√√√কোমরের ক্ষয়বাত কেন হয় ?

→সাধারণত ৩৫-৪০ বছর পর হতেই মানুষের শরীরে সব কিছুর ক্ষয় শুরু হয়।
→মেরুদন্ডের কোমরের অংশের জয়েন্টে থাকা ডিস্ক বা নরম হাড় ধীরে ধীরে ক্ষয় হয়ে যায়।
→ডিস্ক বা নরম হাড় নতুন করে আর তৈরি হয় না, ফলে কশেরুকা বা শক্ত হাড়ের উপর চাপ বৃদ্ধি পায়।
→ধীরে ধীরে মেরুদন্ডে গঠনগত পরিবর্তন হয়ে, ক্ষয়বাত ও ব্যথা হয়।

√√√উপসর্গ সমুহ কি কি ?

- কোমর নাড়াতে, ঘুরাতে ব্যথা লাগা
- কোমরে শক্ত হয়ে জ্যাম ধরে থাকা
- কোমরের মাংসপেশি কামড়ানো
- পা ঝিন ঝিন, সির সির্, অবশ ভাব,
ভার ভার, সূচ ফোটানোর অনুভুতি লাগা
- অনেক সময় ব্যথা উরুতে, হাঁটুর নিচে,
পায়ের তলায় ছড়িয়ে পড়তে পারে

√√√কিভাবে কোমরের রোগ নির্ণয় করা হয় ?

- রোগের ইতিহাস জানা এবং বিশেষজ্ঞ কর্তৃক নিজ হাতে কোমরের শারীরিক পরীক্ষা করা জরুরী। এর সাথে নিশ্চিতকরণ ও অন্য রোগ থেকে আলাদা করার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন।
যেমনঃ
- রক্ত পরীক্ষা
- কোমরের এক্স-রে
- কোমরের এম,আর,আই
- কোমরের সিটিস্ক্যান
- এন,সি,এস; ই,এম,জি
- বি,এম,ডি
- হাড়ের স্ক্যানিং ইত্যাদি

√√√চিকিৎসা কি?

কোমরের ক্ষয়বাতের চিকিৎসা সাধারণত তিন ধাপে করা হয়।
১ প্রাথমিক বা কনজারভেটিভ চিকিৎসা
২ ইন্টারভেনশন (ইঞ্জেকশন) চিকিৎসা
৩ অপারেশন (সার্জারী)

আসুন একটু বিস্তারিত জানা যাক…………

√√√১, প্রাথমিক বা কনজারভেটিভ চিকিৎসাঃ
প্রাথমিকভাবে নিচের বিষয়বস্তু গুলোর সমন্বনয়ে চিকিৎসা শুরু করা হয়,
-জীবনধারা পরিবর্তন
-ফিজিওথেরাপি
-ব্যায়াম
-ঔষধ

√√√জীবনধারা পরিবর্তনের পরামর্শঃ

- ফোম বা বেশী নরম বিছানায় শুবেন না
- কোমর বাঁকা বা নরম করে কোন কাজ করবেন না
-সামনে ঝুঁকে ভারী কিছু তুলবেন না
- কোন জিনিস তোলার সময় কোমর শক্ত রেখে সোজা ভাবে তুলবেন
- তীব্র ব্যথা থাকা অবস্থায় চেয়ারে নামায পরবেন
- বাথরুমে হাই কমোড বা চেয়ার কমোড ব্যবহার করুন
- বেশী ব্যাথা থাকা অবস্থায় ব্যায়াম করবেন না
- শোয়া থেকে উঠার সময় একদিকে কাত হয়ে হাতে ভর দিয়ে উঠবেন
- সোজা হয়ে চেয়ারে বসে কাজ করবেন
- বেশীক্ষণ দাঁড়িয়ে বা বসে থাকবেন না
- ঝুঁকিপূর্ণ রাস্তায় ভ্রমণ করবেন না
- কাজের সময় বা ভ্রমণের সময় কোমরের বেল্ট ব্যবহার করবেন

√√√ফিজিওথেরাপিঃ

এটি একটি আধুনিক চিকিৎসা পদ্ধতি। বয়স্কদের যেহেতু এই রোগ বেশি হয় সেহেতু ওষুধের ব্যবহার যত কম করা যায় তত ভালো। একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞ রোগীর সার্বিক অবস্তা বিবেচনা করে ফিজিওথেরাপির পরামর্শ দিয়ে থাকেন।
যেমনঃ
শর্ট-ওয়েভ থেরাপি,
টানা বা ট্রাকশন থেরাপি
আলট্রাসাউন্ড থেরাপি
নার্ভ ইষ্টিমুলেশন থেরাপি
ম্যানুপুলেশন থেরাপি, ইত্যাদি

√√√ব্যায়ামঃ
কোমরের পেশির কার্যকারিতা বাড়ানোর জন্য নির্দিষ্ট ব্যায়ামগুলো জরুরী। যেমনঃ
-কোমরের মাংস পেশীর বলকারক ব্যায়াম, -কোমরের মাংস পেশীর প্রসারণকরন ব্যায়াম, ইত্যাদি।

√√√ঔষধঃ
রোগীর সার্বিক অবস্তা বিবেচনা করে ঔষধের পরামর্শ দেয়া হয়।
যেমনঃ
ব্যথানাশক ঔষধঃ—প্যারাসিটামল, এন,এস,এ,আই,ডি ইত্যাদি।
মাংশপেশী শিথিল করার ঔষধ, দুশ্চিন্তা কমানোর ঔষধ ইত্যাদি।

√√√ইন্টারভেনশন (কোমরে ইঞ্জেকশন)
এটিকে বলা হয় ব্যথানাশক এপিডুরাল ইনজেকশন। অত্যাধুনিক পদ্ধতিতে মেশিনের মাধ্যমে কোমরের জয়েন্টের ভিতরে ব্যথানাশক এই ইনজেকশন দেয়া হয়, যা নার্ভ বা স্নায়ুর মুলে পৌছে। ফলে স্নায়ুমূলের উত্তেজনা কমে যায়, যা কোমরের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে।

√√√৩,অপারেশন (সার্জারী)

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে " লাম্বার স্পন্ডাইলোসিস বা কোমরের বয়সজনিত ক্ষয়বাত" এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√√“সি.টি.এস-কারপাল টানেল সিন্ড্রোম” বা “হাত ব্যথা ও ঝিঝি রোগ”√√√√

কিছুক্ষণ মোবাইলে কথা বললে হাত ঝি ঝি করে অথবা মাঝরাতে হাত ব্যথা বা অবশ হয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায় ; এ সমস্যায় অনেকেই ভুগেন, বিশেষ করে গর্ভবতী মহিলারা। যার অন্যতম কারণ কারপাল টানেল সিন্ড্রোম বা সি.টি.এস।

√√সি.টি.এস কি? কেন হয় ?

কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম এক ধরণের কব্জীর স্নায়ুচাপ জনিত রোগ। হাতের তালুতে মিডিয়ান নার্ভ নামে একটি স্নায়ু থাকে যা বুড়ো আঙ্গুল, তর্জনী ও মধ্যমার অনুভূতি ও নড়াচড়া নিয়ন্ত্রন করে। এই নার্ভটা কব্জীর ভিতরে একটি সরু সুড়ঙ্গের মত জায়গা দিয়ে হাতে প্রবেশ করে। এই সুড়ঙ্গটির নাম কার্পাল টানেল (কব্জীর হাড়কে কার্পাল বলে আর টানেল অর্থ সুড়ঙ্গ)। কোন কারণে যদি এই অংশটিতে চাপ পড়ে, তা নার্ভের উপর ও প্রভাব ফেলে। ফলে কব্জীতে তীব্র ব্যথা হয়। একেই বলে সি.টি.এস বা কার্পাল টানেল সিন্ড্রোম।

√√“সিটিএস” এর কারন কি ?

সিটিএস এর সাথে সম্পর্কিত কিছু সাধারণ কারণ হলোঃ

→গর্ভকালীন সময়
→থাইরয়েডের সমস্যা
→ডায়াবেটিস
→উচ্চ রক্তচাপ
→অতিরিক্ত ওজন
→কব্জিতে আর্থ্রাইটিস, ইত্যাদি
→অনেকক্ষেত্রে এটি বংশগত হতে পারে।

√√√√কারা ঝুঁকিতে আছে ?

→পুরুষদের তুলনায় নারীদের এই রোগ তিনগুণ বেশি হওয়ার আশঙ্কা থাকে
→সাধারণত ৩০ থেকে ৬০ বছর বয়সের মধ্যে দেখা যায়
→যাদের খাবারে বেশি লবণ গ্রহণ, ধূমপান ইত্যাদির অভ্যাস আছে
→যারা দীর্ঘ সময় ধরে বারবার একই কাজ করেন।
যেমনঃ মাউস, কী-বোর্ড, ভাইব্রেশন যন্ত্রের ব্যবহার

√√√√লক্ষণগুলো কি কি ?

→কব্জি ও হাতে ব্যাথা, অস্বস্তি ও জ্বালাপোড়া করা
→হাত অসাড় মনে হওয়া, হাতে শক্তি না পাওয়া
→মোবাইলে কথা বলার সময় হাতে ঝিঝি ও দুর্বলতা লাগা
→মাঝরাতে হাত ব্যথা বা অবশ হয়ে ঘুম ভেঙ্গে যায়,
→আবার হাত ঝাড়লে ভালো লাগে
→আপনার হাতের আঙুলে অসাড়তা ও ব্যথা

√√কিভাবে সি.টি.এস নির্ণয় করা হয় ?

রোগের ইতিহাস জানা এবং বিশেষজ্ঞ কর্তৃক নিজ হাতে কব্জী ও হাত পরীক্ষা করা জরুরী, এর সাথে রোগটি নিশ্চিতকরণ ও অন্য রোগ থেকে আলাদা করার জন্য আরও কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন। যেমনঃ
→ডায়াবেটিস পরীক্ষা
→থাইরয়েড হরমোন পরীক্ষা
→কব্জীর এক্স-রে
→কব্জীর আল্ট্রাসনোগ্রাম
→কব্জীর নার্ভের এনসিএস, ইত্যাদি

√√√√চিকিৎসা কি ?

এ রোগের চিকিৎসার জন্য একজন ফিজিক্যাল মেডিসিন বিশেষজ্ঞের তত্ত্বাবধানে সমন্বিত চিকিৎসা নেওয়া একান্ত প্রয়োজন। চিকিৎসার মধ্যে রয়েছে ......

• জীবনধাঁরার পরিবর্তন
• ওষুধ
• ব্যায়াম
• ফিজিক্যাল থেরাপি
• অর্থোসিস
• ইনজেকশন
• অপারেশন

আসুন একটু বিস্তারিত জানা যাক,,,,

√√জীবনধাঁরার পরিবর্তনঃ
→যাঁরা টেবিলে বসে দীর্ঘক্ষণ কাজ করেন, লেখেন কিংবা কম্পিউটারে টাইপ করেন,
তাঁরা প্রতি ৩০ মিনিট পরপর সামান্য বিরতি নিতে পারেন।
→কাজের সময় হাতের বাহু যেন বিশ্রামে থাকে
→কাজের সময় হাত টেবিলের সমান্তরালে করে নিন।

√√ওষুধঃ
ব্যথানাশক ওষুধ ও কব্জীতে নির্দিষ্ট নিয়মে মলম দিয়ে ম্যাসাজ করা।

√√ব্যায়ামঃ
কব্জীর স্ট্রেসিং বা প্রসারণ করন ব্যায়াম
হাতের মাংস পেশীর বলকরন ব্যায়াম, ইত্যাদি

√√ফিজিক্যাল থেরাপিঃ
ফিজিওথেরাপির মধ্যে আলট্রাসাউন্ড ও টেনস থেরাপি বেশ কার্যকর।

√√অর্থোসিসঃ
→রাতের বেলা কব্জীর অবস্থান ঠিক রাখার জন্য “রেস্টিং স্প্লিন্ট” এবং
→কাজের সময় কব্জীতে “রিষ্ট ব্রেস” ব্যবহার করা যেতে পারে

√√ইনজেকশনঃ
ব্যথা দীর্ঘমেয়াদি বা তীব্র হলে, আধুনিক পদ্ধতিতে আলট্রাসাউন্ডের মেশিনের মাধ্যমে মিডিয়ান নার্ভের চারপাশে ব্যথানাশক ইনজেকশন দেওয়া যেতে পারে।

√√√√রোগের পরিণতি কি?

→কষ্টদায়ক হলেও , এটি কোন প্রাণঘাতী রোগ নয়
→সঠিক চিকিৎসা নিলে এ রোগ পুরোপুরি ভালো হয়ে যায়
→চিকিৎসা না নিলে নার্ভ ক্ষতিগ্রস্ত হয়ে হাতের অবশ ভাব ও দূর্বলতা স্থায়ী হয়ে যেতে পারে।
→এমনকি হাতের মাংসপেশি শুকিয়ে যেতে পারে।

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে “সি.টি.এস-কারপাল টানেল সিন্ড্রোম” বা “হাত ব্যথা ও ঝিঝি রোগ” এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------

√√√√এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ড বাত√√√√

√√বিশ্রামে বা বসে থাকলে কোমর বা পিঠে ব্যাথা বেড়ে যায়, কিস্তু হাঁটাচলা শুরু করলে ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে।এই সমস্যা নিয়ে অনেকেই কষ্ট পায়, যার অন্যতম কারণ হল এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ডের প্রদাহজনিত বাতরোগ।

√√এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস কি?
-এটি মানব দেহের এক ধরনের প্রদাহজনিত বাতরোগ যা মূলত মেরুদণ্ডকে আক্রান্ত করে। যদিও মেরুদণ্ড ছাড়াও শরীরের অন্যান্য জয়েন্টগুলিও আক্রান্ত হতে পারে।

√√উপসর্গ সমূহ কি কি ?

-এই রোগের মূল লক্ষণ হল মেরুদণ্ডের ব্যথা বিশেষ করে কোমরে ব্যথা

- শুরুতে সকাল বেলা কোমর জ্যাম, শরীর অবসাদ গ্রস্থ ও ম্যাজ ম্যাজ করে
-বিশ্রামে (ঘুম বা বসা) থাকলে এই ব্যাথা বেড়ে যায়, কিস্তু হাঁটাচলা বা কাজকর্ম শুরু করলে ব্যথা আস্তে আস্তে কমতে থাকে।
-মাঝরাতে ঘুমে বিছানায় এপাশ-ওপাশ ফিরতে কষ্ট হয়, অনেকসময় ব্যথায় ঘুম ভেঙে যায়।
-শুরুতে কারো কারো ক্ষেত্রে শুধুমাত্র পিঠের উপরের অংশ অথবা ঘাড় আক্রান্ত হয়।
-রোগ বাড়তে থাকলে একসময় ধীরে ধীরে মেরুদন্ডের হাড় গুলো জোড়া লেগে যায়, তখন সামনে-পেছনে এবং পাশে কোমর নড়াচড়া করতে সমস্যা হয়
-বিভিন্ন জয়েন্টে ব্যথা ও ফুলা (কনুই, হাঁটু, শোলদার, আঙ্গুল ইত্যাদি)
-পায়ের তলা ও গোড়ালিতে ব্যথা

√√ কেন হয়?

-বংশগত বা জেনেটিক কারণে হতে পারে।
জীবাণু সংক্রমন (ভাইরাস, ব্যাকটেরিয়া) ও রোগজীবাণুর আন্তযোগাযোগের কারণেও হতে পারে।

√√ কারা ঝুকিতে আছেন ?
- এই রোগ সাধারণত ২০-৩০ বছর বয়সে শুরু হয়
- ছেলেদের এই রোগ মেয়েদের চেয়ে তিন গুন বেশী হয়

√√ কিভাবে রোগ নির্ণয় হয় ?
-রোগ নির্ণয়ের জন্য রোগের ইতিহাস জানা ও বিশেষজ্ঞ ডাক্তার কর্তৃক শারীরিক কিছু পরীক্ষাই যথেষ্ট। তবে রোগটি নিশ্চিতকরন ও অন্যান্য রোগ থেকে আলাদা করার জন্য কিছু পরীক্ষা প্রয়োজন। যেমনঃ
-কিছু রক্ত পরীক্ষা
-এক্স-রে
-এম আর আই
ইত্যাদি
বিশেষ পরীক্ষার মধ্যে আছে -HLA B27 পরীক্ষা

√√চিকিৎসা কি ?
-চিকিৎসার মূল উদ্দেশ্যই হলো মেরুদণ্ডের জয়েন্টগুলোকে ক্ষতির হাত থেকে রক্ষা করে ব্যথামুক্ত থাকা। এটি একটি দীর্ঘমেয়াদী রোগ তাই এর দীর্ঘমেয়াদী চিকিৎসা চলবে।

-তীব্র ব্যথা উপশমের জন্য ব্যথানাশক ওষুধ
-প্রদাহ কমানোর জন্য প্রদাহ নাশক ঔষধ
-রোগের তীব্রতা কমানোর জন্য নিয়মিত বাতের ঔষধ
-হাড় ক্ষয়ের জন্য ক্যালসিয়াম
-ব্যায়াম
-ফিজিক্যাল থেরাপি
-ইনজেকশন
-জীবনধাঁরার পরিবর্তন

√√রোগের পরিণতি কি?
-এই রোগের প্রকোপকে চিকিৎসার মাধ্যমে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব
-আপনি ভালোই থাকবেন এবং সচল জীবন যাপন করতে পারবেন
-তবে চিকিৎসা না করালে উঠতে, বসতে, হাটতে এবং অন্যান্য দৈনন্দিন কাজ করতে প্রচন্ড অসুবিধার সম্মুখীন হবেন


√√এ রোগটি কি প্রতিরোধ করা সম্ভব ?
-এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস প্রতিরোধ করার মতো কোনো উপায় এখন পর্যন্ত বের হয়নি। এর জন্য আগেই করণীয়ও কিছু নেই। আবার এটা হয়ে গেলে আতঙ্কিত হওয়ারও কিছু নেই। তবে আগেই রোগ শনাক্ত করে দ্রুত চিকিৎসা নিলে প্রায় সুস্থ বা কর্মক্ষম থাকা যায়। তাই উচিত যখনই কোমরে ব্যথা হবে, তখনই বিশেষজ্ঞ চিকিৎসককে দেখিয়ে চিকিৎসা নেওয়া।

*** ♦***********♦ ***
বিশেষজ্ঞ তত্ত্বাবধায়নে "এনকাইলোজিং স্পন্ডিলাইটিস বা মেরুদণ্ড বাত" এর চিকিৎসা নিতে আজই যোগাযোগ করুন সিলেটের প্রখ্যাত বাত, ব্যথা, প্যারালাইসিস, স্পাইন রিহ্যাব ও রিজেনারেটিভ মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডাঃ ফজলুল হক (সোহাইল) স্যারের সাথে।

√√চেম্বার-১ঃ (কক্ষ নং ৩১৯, ৩য় তলা)
ইবনে সিনা হাসপাতাল সিলেট লিঃ সোবহানীঘাট, সিলেট।
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
বিকাল ৩টা – সন্ধ্যা ৬টা
বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৯টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬
০৯৬৩৬৩০০৩০০
(সোম ও শুক্রবার বন্ধ)

√√চেম্বার-২ঃ (কক্ষ নং ৪০৭, ৪র্থ তলা)
ইবনে সিনা ডায়াগনোস্টিক এন্ড কনসালটেশন সেন্টার,
সিলেট এমএজি ওসমানী মেডিকেল কলেজ রোড, রিকাবী বাজার, মধুশহীদ, সিলেট
সময় :
শনি, রবি, মঙ্গল ও বুধবার
সন্ধ্যা ৭টা – রাত ৮টা
সিরিয়ালের জন্যঃ
০১৬০১-৬৩১৭৩৬,
০১৭০৮-৩৯৯৩০৫
----------------------------------------