Human Life
শির্ক মুক্ত ঈমান এবং বিদ'আত মুক্ত আমল সমাজে প্রতিষ্ঠা করার ক্ষুদ্র একটি প্রয়াস।
আজ একটা ভিডিও দেখলাম যেখানে একজন মেয়ের বয়স 40+। কিন্তু তিনি বিবাহ করেন নাই।তিনি নিজে অনেক বাল্যবিবাহ ভেঙ্গে দিয়েছেন।আজ তার বিবাহ হয় নাই।আন্টিটা কথা বলতে বলতে কেদেই দিলেন।তার আরেক বোন 30+ তার ও বিবাহ হয় না। এই ভিডিও দেখে একটা জরিপ করতে মন চাইল তাই করলাম।
আমি পাত্রীর বায়োডাটা নিয়ে আর্টিকেল লিখলাম।
সালাফি ম্যারেজ মিডিয়াতে যাদের বয়স 18 থেকে 25 বছর তাদের বায়োডাটা জমা দেওয়া আছ 777 টি।যাদের বয়স 25 থেকে 30 বছর তাদের বায়োডাটা জমা দেওয়া আছে 590 টি।
এখন আসি প্রতি 2 বছরের ব্যবধানে মেয়েদের বায়োডাটার পরিমান।
18 থেকে 20 পাত্রীর বায়োডাটা ২০১ টি
20 থেকে 22 পাত্রীর বায়োডাটা 259 টি
22 থেকে 24 পাত্রীর বায়োডাটা 358 টি
24 থেকে 26 পাত্রীর বায়োডাটা 382 টি
26 থেকে 28 পাত্রীর বায়োডাটা 298 টি
28 থেকে 30 পাত্রীর বায়োডাটা 241 টি
30 থেকে 32 পাত্রীর বায়োডাটা 146 টি
32 থেকে 34 পাত্রীর বায়োডাটা 93 টি
30 থেকে 40 পাত্রীর বায়োডাটা 258 টি
18 থেকে 40 বছর বয়সের মোট মেয়েদের বায়োডাটা আছে 1420 টি। যার 25 থেকে 40 বছর বয়সের বায়োডাটা আছে 782 টি। বাকি বায়োডাটা 25 বছর এর কম।
এখন আসি আসল কথায়। আজ মেয়েটার বয়স 20/22 বছর তার চেহারা যেমন সুন্দর দেখায় ঠিক তার বিবাহের চাহিদাও থাকে অনেক।এই বয়সে অনেক পরিবারই প্রস্তাব পাঠায়। কিন্তু যখন মেয়ের বয়স 30+ হয়ে যায় তখন আর কেউ প্রস্তাব নিয়ে আসে না।এর কিছু কারনের মধ্যে অন্যতম কারন হল অভিসাপ।যখন মেয়ের বয়স 22 ছিল তখন মেয়ের বাবার এত বেশি উচ্চচাহিদা থেকে যে এই মেয়েকে বিয়ে করার যোগ্যতা অর্জন করতে পারে না 99% ছেলে।
মেয়ের বাবা এবং মেয়ে তাদের একটু চিন্তা করা উচিত যে পাত্রীর বয়স 30+ হলে কে বিবাহ করবে??
সব ছেলেই সন্তান নেওয়ার বিষয় সামনে রেখে বিবাহকে না বলে দিবে।
এখন আসি আসল জরিপে। বর্তমানে দেশে 5 লক্ষ উচ্চশিক্ষত মেয়ে আছে যাদের বয়স 30+। কিন্তু দেশে 50 হাজার ছেলেও নাই যারা 30+ বয়সের মেয়েকে বিবাহ করতে আগ্রহী। আগামি 10 বছর এর মধ্যে আর 10 লক্ষ 30+ অবিবাহিত উচ্চ শিক্ষিত মেয়ে রেডি হচ্ছে যাদের বিবাহ করার জন্য 50 হাজার ছেলেও আগ্রহী থাকবে না। অপর দিকে পুরুষ মানুষ তার প্রিয় ভালবাসার স্ত্রীর ভালবাসার দিকে চাকিয়ে 2য় বিবাহ করতে আগ্রহী না।এই সব বিষয় থেকে বুঝাযায় সামনে এক ভয়াবহ পরিস্থিতি অপেক্ষা করতাছে উচ্চ শিক্ষিত মেয়েদের জন্য। আল্লাহ্ সবাই কে কল্যানের পথে কবুল করুন,আমিন।
-সংগৃহীত
মাহরাম ছাড়া হজ্ব/ওমরাহ করার ব্যপারে সৌদি সরকারের করা বৈধতা ও ইসলামের শারিয়্যাহ নিয়ে মুহতারাম আবু বকর যাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)
#হজ্ব #ওমরাহ #মাহরাম এর মন্তব্য
মানব সৃষ্ট এই রকম অযৌক্তিক সিস্টেমের কারনে সাধারন মানুষের দূর্ভোগ এর শেষ নেই 😒
©️আকিব আহমেদ
জুয়া খেলে রাতারাতি বড়লোক হওয়ার চেষ্টা ❗
©️আকিব আহমেদ
রাসূল ﷺ বলেছেন, বদনজর সত্য। বদনজর মানুষকে উঁচু স্থান থেকে ধাক্কা দিয়ে ফেলে দেয়।
•📚 মুসনাদে আহমাদ:- ২৪৭৩
বদ নজর (এর খারাপ প্রভাব) সত্য এমনকি যদি কোন বস্তু ত্বাকদীরকে অতিক্রম করত তবে বদ নজর তা অতিক্রম করত। সুতরাং তোমাদেরকে যখন (এর প্রভাবমুক্ত হওয়ার জন্যে) গোসল করতে বলা হয় তখন তোমরা গোসল কর । (মুসলিমঃ ১৪/১৭১)
বদ নজর মানুষকে কবর পর্যন্ত পৌছে দেয় এবং উটকে পাতিলে । (সহীহ আল জামেঃ শাইখ আলবানী (রহঃ) সহীহ বলেছেনঃ ১২৪৯)
আমার উম্মতের মধ্যে তাকদীরের মৃত্যুর পর সর্বাধিক মৃত্যু বদ নজর লাগার দ্বারা হবে। (মুসনাদে বাযযার)
-ইবাদাহ
আল্লাহ আমাদেরকে জ্বীন এবং মানুষের সকল প্রকার বদনজর থেকে হেফাজত করুন।
আল্লাহ আমাদেরকে হেফাজত করুক, আমিন।
*"যারা ধ্বংস হয়েছে তারা কাম্য বস্তু না পাবার পর সবর কম করতে পারার কারণেই ধ্বংস হয়েছে।"*
-ইমাম ইবনুল জাওযী (রাহিমাহুল্লাহ)
[সাইদুল খাতির, পৃ: ৪৬৯, দারুল কলম,দিমাশক, ২০০৪ ঈ.]
ছেলে-মেয়ে কিভাবে তার দাদাবাড়ি ও নানাবাড়ির আত্মীয়দের দেখবে সেটা ছোটবেলায় শিক্ষাতেই ঠিক হয়ে যায়৷ মা যেভাবে প্রেজেন্ট করে ছেলে-মেয়ে সেটাই শিখে৷
পরিবার যদি খারাপও হয় তারপরও সেটাকে প্রেজেন্ট করা ঠিক নয়৷অনেক মায়েরা সন্তানের দাদার বাড়ির সবাইকে ছোট করে আনন্দ পায়, আবার অনেক দাদাবাড়ির আত্মীয়রা নানাবাড়িকে ছোট করে আনন্দ পায়।কিন্তু উভয়টাই ক্ষতিকারক৷যে পক্ষই ছোট হোক আদতে কিন্তু নিজেই ছোট হচ্ছে কারণ দু'টো পরিবারই তার অংশ।
একটা পক্ষকে ছোট করে, দোষত্রুটি প্রকাশ করে দূরে ঠেলে দিয়ে বস্তুত সন্তানকে একা বানিয়ে দেয়া হয়। একটা মানুষের সবাইকে প্রয়োজন। আর এটা বুঝতে তার অনেক বেশি বড় হতে হয়।ততদিনে অনেকের সাথেই দূরত্ব তৈরী হয়ে যায়। যারা বুদ্ধিমান তারা বড় হয়ে এই দূরত্বটা কাটাতে পারে।
বাকিরা বস্তুত একা হয়েই, একটা পক্ষকে দূরে রেখেই জীবন পার করে। আর এখানে মায়ের ভূমিকাই বেশি।কারন সারাজীবন তোর দাদি এই করছে, দাদা,চাচা-ফুফুরা এই করছে বলে বলে কচি মনগুলোকে বিষিয়ে তুলে। কোন মানুষ শতভাগ খারাপ নয়। তারপরও তাদের ভাল অংশগুলো কখনোই সন্তানদের সামনে আনে না।
আর এই অশিক্ষিত মায়েদের ভুল প্যারেন্টিং এর জন্য,বেশি পাকনা বাপেদের তোর মামারা এমন,খালারা এমন এসব বুলশীটের কারনে কচি মনগুলো দ্বিধায় বড় হয়! তারা মন থেকেই গীবত, অন্যের সমালোচনা করা জায়েজ মনে করেই বড় হয়! আর তা তাদের চরিত্র গঠনে কি ভূমিলা রাখে তা বলার অপেক্ষা রাখে না!
এক্ষেত্রে সবচেয়ে বেশি ভূমিকা রাখতে পারে বাবা-মায়েরা।অন্যের সমালোচনা বাচ্চাদের সামনে না করা,কারো দোষ-ত্রুটি নিয়ে রসালো গল্প না করে ওদেরকে শাসন করা।এটা শিখানো যে কারো অগোচরে এমন সত্য কিছু বলাও গীবত যা শুনলে সে কষ্ট পাবে৷
নিজেরাও সচেতন থাকা।
-সংগৃহীত
An unpopular opinion:
কয়েক বছর ধরে ফেসবুকে দেখছি, রমাদ্বান এলেই যাকাতের হিসাবে সহায়তার জন্য অনেকে সেই বছর নিসাবের পরিমাণ, স্বর্ণ-রূপার দর, যাকাতের পরিমাণ ইত্যাদি দিয়ে হিসাবসহ পোস্ট করেন,যেটা আমিও নিজেও হিসাবের জন্য ফলো করি।
কিন্তু এখানে একটা জরুরি কথা উল্লেখ করা হয় না।কত টাকা অতিক্রম করলে যাকাত দিতে হবে,অর্থাৎ নিসাব পরিমাণ নির্ধারণের ক্ষেত্রে ৭.৫ ভরি স্বর্ণ ‘অথবা’ ৫২.৫ ভরি রূপার মূল্যের যে কোনো একটা ধরতে পারবে। এখানে হিসাব দেখানো হয় রূপার মূল্য ধরে,যেটা উত্তম।কারণ অল্প সম্পদ থাকলেও যাকাত দিলে বেশি মানুষ উপকৃত হবে।
অথচ কেউ যদি মিশ্র ধরনের অল্প অল্প করে সম্পদের মালিক হয়–অর্থাৎ কিছু স্বর্ণ,কিছু রূপা,কিছু টাকা আছে,তখন যদি স্বর্ণের মূল্য ধরে নিসাব হিসাব করে,সেটাতেও দোষের কিছু নেই। অর্থাৎ প্রতি ভরির দাম roughly যদি এক লক্ষ টাকা ধরা হয়,৭.৫ লক্ষ টাকা এক বছর জমা থাকলে তার পর থেকে যদি সে যাকাত দেওয়া শুরু করে,সেটাও শরীয়াহ অনুযায়ী বৈধ।
বাস্তবতা হলো,প্রচুর এমন নারী আছেন যাদের হয়ত সাড়ে সাত ভরির কিছু কম অলংকার আছে,অল্প কিছু হয়ত রূপাও আছে,কিন্তু তার হাতে কোনো নগদ টাকার যোগান নেই যাকাত দেয়ার মতো।না আছে উপার্জন,না দেয় স্বামী হাতখরচ।
এক্ষেত্রে এদের জন্য রূপাকে নিসাব ধরে হিসাব করতে বাধ্য করাটা জুলুমের শামিল।কিন্তু দুঃখজনক বিষয় হলো,আল্লাহ প্রশস্ততা দিলেও মানুষে সেটা দিতে নারাজ।
বি.দ্র.: কারও কাছে যদি দলিল থাকে যে স্বর্ণের দামে নিসাব ধরা নিষেধ, অনুগ্রহ করে জানাবেন।
_______________
| নিসাবে প্রশস্ততা |
-উম্ম আম্মার
(সংগৃহীত)
কতই না সৌভাগ্যবান ছিলেন সে যুগের মানুষ! যে যুগের আলেম-ওলামা ও সাধারণ মানুষকে তারাবির রাকাআত সংখ্যায় ভিন্ন মত পোষণের কারণে সালাফি মানহাজ থেকে বের করে দেওয়া হয়নি। রাকাআতের ভিন্নতা সে যুগেও ছিল। কেউ কিরাত লম্বা করে ৮ রাকাআত পড়তেন। কেউবা কিরাত কিছুটা হালকা করে রাকাআত বেশি করেছেন। তবে আমাদের সাথে তাঁদের পার্থক্য হলো, তাঁরা আমাদের থেকে জ্ঞানী ছিলেন এবং নিজের আমল নিয়ে বেশি ব্যস্ত থাকতেন। আর আমরা তাঁদের থেকে বহুগুণ কম জ্ঞান নিয়েও নফল ইবাদত এমনকি ফরজ বাদ দিয়েও মাসআলা নিয়ে তর্ক-বাহাস করতে বেশি সময় ব্যয় করি।
উল্লেখ্য যে, রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের ৮ রাকা'আতের সুস্পষ্ট দলীল থাকার পরও সেটাকে অপব্যাখ্যা করে ২০ রাকাআতের উপর ইজমা দাবি করা ভুল ও অসত্য বটে। সাথে সাথে কোয়ালিটি মেন্টেন না করে শুধুমাত্র রাকাআত সংখ্যায় রাসূল সল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামকে অনুসরণ করলেও পুরোপুরি সুন্নাহ পালন হবে না। অতএব, বিতর্ক বাদ দিয়ে সুন্দর তিলাওয়াত ও স্থিরতার সাথে রাতের সালাতকে দীর্ঘ করার চেষ্টা করাই বুদ্ধিমানের কাজ হবে বলে মনে করি।
والله أعلم
-শায়খ আব্দুল্লাহিল কাফি লুতফুর রহমান (হাফিযাহুল্লাহ)
রামাদান কারিম।আল্লাহ সুবাহানাহুতা'লা আমাদেরকে যথাসম্ভব যথাযথ তাকওয়া অর্জন করে উনার সন্তুষ্টি লাভের তাওফিক দান করুন,আমিন।
নতুন চাঁদ দেখার দো'আ-
اَللّٰهُ أَكْبَرُ، اَللّٰهُمَّ أَهِلَّهُ عَلَيْنَا بِالْأَمْنِ وَالْإِيْمَانِ، وَالسَّلَامَةِ وَالْإِسْلَامِ، وَالتَّوْفِيْقِ لِمَا تُحِبُّ رَبَّنَا وَتَرْضَى، رَبُّنَا وَرَبُّكَ اللّٰهُ
আল্লাহ সবচেয়ে বড়। হে আল্লাহ! এই নতুন চাঁদকে আমাদের উপর উদিত করুন নিরাপত্তা, ঈমান, শান্তি ও ইসলামের সাথে; আর হে আমাদের রব্ব! যা আপনি পছন্দ করেন এবং যাতে আপনি সন্তুষ্ট হন তার প্রতি তাওফীক লাভের সাথে। আল্লাহ আমাদের রব্ব এবং তোমার (চাঁদের) রব্ব।
আল্লা-হু আকবার, আল্লা-হুম্মা আহিল্লাহু ‘আলাইনা বিলআমনি ওয়ালঈমানি ওয়াস্সালা-মাতি ওয়াল-ইসলা-মি, ওয়াত্তাওফীকি লিমা তুহিব্বু রব্বানা ওয়া তারদ্বা, রব্বুনা ওয়া রব্বুকাল্লাহ
শাহাদাৎ খান ফয়সাল (রাহিমাহুল্লাহ) এর জুমু'আর খুতবার অংশ বিশেষ
আপনি অনেক চুজি হইতে পারেন, খাওয়া নিয়ে অনেক নখড়ামি থাকতে পারে, খাওয়া নিয়ে অনেক বাছ বিছার থাকতে পারে! দেশি মাছ ছাড়া চাষের মাছ নাই খেতে পারেন, পাকিস্থানি কক ছাড়া ফার্মের মুরগী নাই খেতে পারেন... কিন্তু এইগুলো সবই একান্তই আপনার নিজের কিচেন, নিজের বেড রুম, নিজের ডাইনিং টেবিল পর্যন্তই বরাদ্দ রাখবেন।
কারো বাসায় দাওয়াতে এসে যখন নাক শিটকে বলেন, "আমি ফার্মের মুরগী খাই না।" অথবা দাওয়াত খাবার পূর্বেই যখন জানান দেন, "আমার জন্য কিন্তু পাকিস্তানি কক রান্না করবা,আমি কিন্তু ফার্মের মুরগী খাই না।"...
আপনি তখন আর চুজি থাকেন না, আপনি হয়ে যান নির্ঘাত ম্যানারলেস। যার বিন্দুমাত্র কমনসেন্স থাকে না।
যার এতোটুকু বুঝ থাকে না, যারা দাওয়াত দিয়েছেন তারা তাদের সামর্থ্য অনুযায়ী খাওয়াবে।সেখানে এসব বলে আপনি জুলুম করছেন।
খাবার মন মতোন নাই হতে পারে, দাওয়াত পেয়েছেন শোকরিয়া আদায় করেন, ভদ্রভাবে খেয়ে উঠে পড়েন। এটাই সভ্য লোকদের সম্মানিত লোকদের আখলাক।
আবারো বলি, আপনি কি খান আর কি খান না! সেইটা নিজের কিচেনে হিসাব করবেন, অন্যের কিচেনে না। কারণ অন্যের কিচেন আপনার টাকায় চলে না।
জীবনযাত্রা,আত্নীয়তা সম্পর্ক সহজ ও সুন্দর করেন🌼
ইসলামী শরীয়াহ মোতাবেক সকল অবস্থাতেই বিবাহ বহির্ভূত প্রেম-ভালোবাসা সম্পূর্ণ নাজায়েজ। কিন্তু শয়তানের ধোঁকায় পড়ে কিংবা না বুঝে অনেকেই এই হারাম কাজে জড়িয়ে পড়েন। আর এ থেকে বের হতে চাইলেও শয়তান নানা ধরনের ধোঁকায় ফেলে। যেমনঃ
আমি প্রেম করছি কিন্তু উদ্দেশ্য আমার সৎ। পরে বিয়ে করে ফেলবো।
আমরা কোন অশ্লীল কথা বলি না। বরং দ্বীন পালনে একে অপরকে সহায়তা করি।
একজন আরেকজনের সাপোর্টার। একজন না থাকলে আরেকজন ঠিকঠাকমত ইবাদাত করতে পারি না।
সবকিছু এলোমেলো হয়ে যায়..
আমি তো যিনা করছিনা। নিরাপদ দুরুত্ব বজায় রেখেছি। তাহলে এতে অন্তত গুনাহ হবেনা।
কিন্তু আল্লাহ তা’আলা বলেনঃ
وَلَا تَقْرَبُوا ٱلزِّنَىٰٓۖ إِنَّهُۥ كَانَ فَٰحِشَةً وَسَآءَ سَبِيلًا
আর যিনা-ব্যভিচারের কাছেও যেও না, তা হচ্ছে অশ্লীল কাজ আর অতি জঘন্য পথ। (সুরা বনী ইসরাঈল- ৩২)
এখানে যিনা-ব্যভিচার করা তো দূরের কথা এর ধারে কাছেও যাওয়া থেকে বিরত থাকতে বলা হয়েছে। সুতরাং আমরা যে যতই যুক্তি দেখাই সব কিছুর জন্য কুর’আনের এই একটি আয়াতই যথেষ্ট। এখানে আর কিছু বলার আছে বলে মনে হয় না। আর তাছাড়া আপনি যাই বলুন না কেন, হারামকে হালাল করতে পারবেন না। যা হারাম তা সকল অবস্থাতেই হারাম। আর ইবাদাত যদি আল্লাহর সন্তুষ্টিরর জন্য হয়, তাহলে এইসব লেইম এক্সকিউজের তো দরকারই পড়েনা।
অনেকে আবার বলেন সবই তো জানি, বুঝি কিন্তু এত ভালোবাসি যে ফিরে আসতে পারিনা। তাহলে বলবো এইসব ভালোবাসার থেকে আমার রবের ভালোবাসা অনেকদামী। কুর’আনুল কারিমে আল্লাহ তা’আলা বলেছেন:
আর যারা বিশ্বাসী তাঁর আল্লাহকে অন্য সবকিছুর চেয়ে বেশি ভালবাসে। (সুরা বাকারা-১৬৫)
তাঁর ভালোবাসার সামনে দুনিয়াবি এইসব নকল, নোংরা ভালোবাসার আদৌ কি কোন মুল্য আছে?? বরং এইটাতে শুধু মনের শান্তি নষ্ট হয়ে যায়। অন্তর তাঁর স্মরণ থেকে গাফেল হয়ে যায়।
এ সম্পর্কে আল্লাহ তা’আলা বলেন- যে আমার স্মরন হতে মুখ ফিরাবে, তার জন্য রয়েছে সংকীর্ণ জীবন। (সুরা ত্বহা-১২৪)
বাস্তবে এর দ্বারা দুঃখ, যন্ত্রণা, অপমান, অশান্তি ছাড়া আদৌ কি কিছু পাওয়া যায়??
বরং হারাম সম্পর্কের জন্য দুনিয়া ও আখিরাত দুটোই বরবাদ হয়ে যায়। যারা না বুঝে এ ধরনের সম্পর্কে জড়িয়েছেন তারা কোন কিন্তু ছাড়াই এই সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসুন। আর যারা এখনও এমন কিছু করেন নি, উনারা তাঁর কাছে শুকরিয়া আদায় করুন আর ভবিষ্যতে এমন নাফরমানি থেকে পানাহ চান। আর যাদের ব্রেকাপ হয়ে গেছে তারা আরো বেশি বেশি শুকরিয়া আদায় করুন। আপনার রব আপনাকে অনেক বেশি ভালোবাসেন বিধায় এই হারাম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসার সুযোগ করে দিয়েছেন।
আর হ্যাঁ! ভুল করেছেন বলে নিরাশ হবেন না। খাস দিলে তওবা করুন। তওবাকারীকে আল্লাহ তা’আলা অধিক পছন্দ করেন। বিষয়টা এমনই!
সুতরাং চিন্তা কিসের?? রব্বুল আ’লামীনের ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করার জন্য নিজেকে সংশোধন করে ফেলুন।
এখন কথা হচ্ছে অনেকেই এই হারাম সম্পর্ক থেকে বেরিয়ে আসতে চান কিন্তু পেরে উঠেন না তাই আমল চান। তাদের জন্য আমল না এক্ষেত্রে আপনার ইচ্ছাশক্তি প্রয়োজন। হতাশ না হয়ে চেষ্টা করেন সফল আপনি হবেনই ইনশাআল্লাহ।
এজন্য কিছু টিপস ফলো করতে পারেন যা আপনার জন্য সহায়ক ভুমিকা পালন করবে আশা রাখি:
♦ সবথেকে উত্তম পন্থা হচ্ছে বিয়ে করে নেয়া। পরিবারকে বুঝান সব রকমভাবে। কারন বিয়েই হচ্ছে এই হারাম রিলেশন থেকে বাঁচার উত্তম উপায়। মনে রাখবেন আপনি যা করছেন তা আল্লাহ তা’আলার সন্তুষ্টির জন্য করছেন। তাই কে কি করছে, কে কি বলবে তা নিয়ে চিন্তা না করে রবের উপর তাওয়াক্কুল করে বিয়ের ব্যাপারে ফিকির করুন। পরিবারকে বুঝান। আর যদি না পারেন। তাহলে তাঁর কাছে একদম দিল থেকে বারবার সাহায্য চান। ইস্তিখারা করুন। আর এই কাজগুলো অবশ্যই তার সকল হারাম সম্পর্ক ছিন্ন করে তওবা করে করবেন। অনেকে আবার ভালোবাসার মান রাখতে গিয়ে পরিবারের অমতে বিয়ে করেন, পরবর্তীতে আরো ভোগান্তির সম্মুখীন হতে হয়। তাই যাই করুন না চিন্তা -ভাবনা, আর তাঁর কাছে সাহায্য চেয়ে (ইস্তিখারা) করে করুন।
♦ আর যদি সম্ভব না হয় তাহলে প্রথমেই তার সাথে সকল প্রকার সম্পর্ক ছিন্ন করুন। তার দেয়া গিফট বা এমন কিছু যা আপনাকে তার কথা মনে করিয়ে দিবে সেসব জিনিস সরিয়ে ফেলুন। তার টেক্সট, ফোন নং, ছবি বা পছন্দের কিছু থাকলে সেগুলোও ডিলিট করে দিন। আর ফেসবুকে থাকলে আনফ্রেন্ড না সরাসরি ব্লক করে দিন। এছাড়া যাদের সাথে মিশলে বা কথা বললে মনে পড়ার আশংকা আছে তাদের সাথেও দুরত্ব বজায় রেখে চলুন। আর মনটাকে বুঝিয়ে দিন আপনি আর এই সম্পর্ক টিকিয়ে রাখতে চান না। আপনি পুনরায় এমন ভয়ংকর গুনাহ করতে চান না। এক্ষেত্রে শয়তান আপনাকে খোঁচাতে থাকবে নানাভাবে। কিন্তু আপনি এই ফাঁদে পা দিবেন না। মনে রাখবেন এইটাই আপনার রবের সাথে সম্পর্ক মজবুত করার উপযুক্ত সময়।
♦ এমন কোন স্থান যেখানে গেলে ‘দেখা হওয়া বা মনে পড়ার’ সম্ভাবনা আছে সেগুলো এড়িয়ে চলুন। অনেকের আগে দুঃখ বিলাস টাইপ ভুত মাথায় চাপে। দয়া করে এটা করবেন না। অতীতের কিছু মনে করে মন খারাপ বা মন ভালো করার চেষ্টা করবেন না। আমি তো বলি জোর করে কিছু ভুলতে বা মনে করতে চেষ্টা করবেন না। মনে রাখবেন, “Time is the best healer.”
♦ সকল প্রকার প্রেমের উপন্যাস, কবিতা, কাহিনী, সিনেমা, নাটক, গান থেকে নিজেকে দূরে রাখুন। এমনকি সোশ্যাল মিডিয়ায় এই সম্পর্কিত যত পেইজে লাইক দেয়া আছে বা ফলো করেন সেগুলো আনফলো করে দিন। আর ইসলামিক পেজ, ইন্সপিরেশনাল পেইজগুলো এড করুন।
♦ প্রেম-ভালোবাসার কুফল সম্পর্কে চিন্তা করুন। এর ফলে আশেপাশে, সমাজে যে ভয়ানক ঘটনাগুলো ঘটছে সেগুলো স্মরণ করুন। আর আপনার অতীতের কথা মনে আসলে খারাপ সময়টার কথা স্মরণ করুন। আর নিজের পরিবারের কথা চিন্তা করুন। তাদের ভালোবাসা, বিশ্বাসের কথা স্মরণ করুন।
এইগুলো তো গেলো দূরে যাওয়ার টিপস। এখন আপনি যদি বলেন এইগুলো সব আমি জানি এবং ফলো করা শুরু করেছি। এখন ভুলে যাওয়া বা এ থেকে দূরে থাকার জন্য কোন আমল, রুকইয়াহ বা দোয়া থাকলে বলেন, তাহলে বলবো, জ্বী, অবশ্যই চিকিৎসা আছে।
পাক পবিত্র হয়ে সম্ভব হলে ফরজ গোসল দিয়ে তওবার উদ্দেশ্যে দুই রাকাত নফল নামাজ আদায় করুন। পুর্বেকৃত গুনাহর জন্য তওবা করুন আর ভবিষ্যতে এ ধরনের গুনাহ থেকে বেঁচে থাকার জন্য সাহায্য চান। প্রতিদিন দুই রাকাত করে নফল নামাজ পড়ে আল্লাহ তা’আলার কাছে সাহায্য প্রার্থনা করুন সকল নাফরমানির কাজ থেকে বিরত থাকার তৌফিক দানের জন্য। আর হ্যাঁ তাহাজ্জুদে আল্লাহর সাথে প্রেমালাপ মিস করবেন না কিন্তু।।
কোন কিছুর সফলতার পেছনের প্রধান হাতিয়ার হচ্ছে দু’আ। রব্বুল আ’লামীনের কাছে বেশি থেকে বেশি দু’আ করুন। তাঁর সাথে সম্পর্কটা মজবুত করুন। তাঁর ভালোবাসায় নিজেকে সিক্ত করুন। দেখবেন তখন অন্তরে যেমন প্রশান্তি আসবে তেমনি অন্য কোন ভালোবাসার জন্যও মন কাঁদবেনা।
বেশি বেশি যিকর করুন, কুর’আনের সাথে সম্পর্ক স্থাপন করুন, ফরজ ইবাদাতসহ নফল ইবাদাতও গুরুত্বের সাথে করুন, নিয়ামতের শুকরিয়া আদায় করুন।
নেক সহবত তৈরী করুন। যাদের সোহবত পাপের পথে ঠেলে দেয়, তাদের থেকে নিরাপদ দুরত্ব বজায় রাখুন। তাদের সাথেই বন্ধুত্ব স্থাপন করুন যারা আপনাকে আল্লাহ তা’আলার স্মরণ হতে গাফেল হতে দিবে না। বরং আপনাকে পাপ কাজ থেকে দূরে থাকতে সাহায্য করবে।
নফসকে দুর্বল করার উত্তম হাতিয়ার হচ্ছে রোজা। কাজা রোজা থাকলে সেগুলোর নিয়াতেও করতে পারেন। নাহলে নফল রোজাও করতে পারেন। রোজার ফায়দা জানা আছে তো!! (হাদিসে এসেছে, রোজা কুপ্রবৃত্তিকে দমন করে)
বেশি বেশি করে মৃত্যু, কবর, কিয়ামত, হাশর, জাহান্নামের আজাবের কথা স্মরণ করুন। যা আপনাকে পাপ কাজ থেকে দূরে রাখতে সহায়তা করবে। আর তারপরেও যদি মনে বাজে খেয়াল আসে তাহলে নিজেকে শাস্তি দিন।। (যেমনঃ ভারি কোন নফল ইবাদত আবশ্যক করে নিন)
কুর’আন-হাদিস অধ্যায়নে লেগে থাকেন। মাসনুন আমলসহ সকল কাজ গুরুত্বের সাথে করুন।সম্ভব হলে দ্বীনি সার্কেল, মজলিসে জুড়ুন।
সাথে ইস্তিখারাও করে যান। দেখবেন আল্লাহ তা’আলা উত্তমটার ফয়সালা করবেন, আর সবকিছু সহজ করে দিবেন।
বেশি বেশি করে এই দুয়া পাঠ করতে পারেন। আল্লাহ তা’আলা উত্তমটাই দান করবেন ইনশাআল্লাহ।
إِنَّا لِلَّهِ وَإِنَّا إِلَيْهِ رَاجِعُونَ – اللَّهُمَّ أْجُرْنِي فِي مُصِيبَتِي وَأَخْلِفْ لِي خَيْرًا مِنْهَا
উচ্চারণঃ ইন্না-লিল্লাহি ওয়া ইন্না-ইলাইহি র-জিঊন। আল্লাহুম্মা’জুরনী ফী মুসীবাতী, ওয়া আখলিফলী খইরম্মিনহা-
অর্থঃ আমরা আল্লাহরই, এবং আমর তার কাছেই ফিরব। ও আল্লাহ! আমাকে বিপদের জন্য প্রতিদান দাও এবং এর বিপরীতে আমাকে এরচেয়ে উত্তমটা দান করো”।
সাথে সুরা ফুরকানের ৭৪ নং আয়াতটা বেশি বেশি পড়বেন।
ﺭَﺑَّﻨَﺎ ﻫَﺐْ ﻟَﻨَﺎ ﻣِﻦْ ﺃَﺯْﻭَﺍﺟِﻨَﺎ ﻭَﺫُﺭِّﻳَّﺎﺗِﻦَﺍ ﻗُﺮَّﺓَ ﺃَﻋْﻴُﻦٍ ﻭَﺍﺟْﻌَﻠْﻨَﺎ ﻟِﻠْﻤُﺘَّﻘِﻴﻦَ ﺇِﻣَﺎﻣًﺎﻭ
উচ্চারণঃ রব্বানা হাবলানা মিন আঝওয়াজিনা ওয়া যুররিইয়াতিনা ক্বুররতা আ’ইউনিউ ওয়াজ’আলনা লিলমুত্তাক্বিনা ঈমামা।
এটিও পড়ুন মাঝেমাঝে –
اللَّهُمَّ إِنِّى أَسْأَلُكَ حُبَّكَ وَحُبَّ مَنْ يُحِبُّكَ وَالْعَمَلَ الَّذِى يُبَلِّغُنِى حُبَّكَ اللَّهُمَّ اجْعَلْ حُبَّكَ أَحَبَّ إِلَىَّ مِنْ نَفْسِى وَأَهْلِى وَمِنَ الْمَاءِ الْبَارِدِ
উচ্চারণ: ‘আল্লাহুম্মা ইন্নী আসআলুকা হুব্বাক। ওয়া হুব্বা মান ইয়ুহিব্বুক। ওয়াল আমালাল্লাযী ইয়ুবাল্লিগুনী হুব্বাক। আল্লাহুম্মাজ’আল হুব্বাকা আহাব্বা ইলাইয়া মিন নাফসী ওয়া আহলী ওয়া মিনাল মা-ইল বারিদ’।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আপনার নিকট আপনার ভালোবাসা চাই এবং আপনাকে যে ভালোবাসে তার ভালোবাসা চাই, আর সেই আমলের ভালবাসা চাই যে আমল আমাকে আপনার ভালোবাসার পাত্র করে দিবে। হে আল্লাহ আপনার ভালোবাসা আমার নিকট যেন আমার নিজের জীবন, পরিবার এবং শীতল পানি থেকেও প্রিয় হয়ে যায়। (তিরমিজী, হাদীস নং ৩৮২৮/৩৪৯০)
[এটা আতিক হুজুরের পোস্টে পেয়েছিলাম]
সবশেষে বলবো ইসলামকে জানার চেষ্টা করুন।
আপনার নামাজ, কুর’আন সঠিকভাবে পালন হচ্ছে কিনা খেয়াল করুন। নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন সাধ্যানুযায়ী। অবশ্যই তা উত্তম পন্থায়, উত্তম কাজে, গান, মুভি বা নাটক দিয়ে না। আর আপনি কিভাবে গুনাহ থেকে দূরে থাকতে পারবেন। কোনটা আপনার জন্য উত্তম এবং সহজ হবে তা আপনিই ভালো বুঝবেন। তবে তার জন্য দরকার ইচ্ছাশক্তি আর রব্বুল আ’লামীনের কাছে পূর্ণ সমর্পণ।।।
আর এসবের পরেও যদি মনে আসে, কিন্তু তাঁর সন্তুষ্টির কথা ভেবে নিজেকে সংযত রাখেন। সেক্ষেত্রে গুনাহ নয় বরং সবরের সওয়াব পাবেন ইনশাআল্লাহ। তাই নিরাশ না হয়ে, অজিফা না খুঁজে চেষ্টা করতে থাকুন।
সফল হবেনই ইনশাআল্লাহ।
এসবের পাশাপাশি প্রতিদিন রুকইয়াহ যিনা https://youtu.be/Mdck8pWH-DE?si=AzTxEV2VBFpo96mB এবং অন্তত ৫০০ বার করে ইস্তিগফার ফলপ্রসূ হবে ইনশাআল্লাহ।
রব্বুল আ’লামীন সকলকে হারাম থেকে বাঁচার তৌফিক দিন, এজন্য উত্তম বদলা দিন, আর উত্তম জীবনসঙ্গী মিলিয়ে দিন। (আমীন)
-উম্মে আব্দুল্লাহ
রুকিয়াহ সাপোর্ট বিডি
রুকইয়াহ যিনা শর্ট - Ruqyah Zina Short রুকইয়াহ যিনার বৈশিষ্ট্যঃ১. এটা বিশেষভাবে সেসব বোনদের জন্য উপকারী, যারা রাত্রিতে জিন সংক্রান্ত ঝামেলা ফেস করেন। উ...
এর পরেও যদি মানুষ বিষয়টা না বুঝে⁉️
©️এসো নামাজের দিকে
👉কেউ যদি মনে করে ট্রা*ন্সজে*ন্ডার হওয়া জায়েজ তাহলে সে কাফের হয়ে যাবে❗
👉যে ব্যাক্তি এটা প্রস্তাব দিবে সে ও কাফের;
👉যারা এটা পাশ করাবে সে ও কাফের;
👉যারা এটা ধারণ করবে তারাও কাফের।
■ ড. আবু বকর মুহাম্মদ জাকারিয়া (হাফিযাহুল্লাহ)
রাসূলুল্লাহ ﷺ- নারীর বেশধারী পুরুষদেরকে এবং পুরুষের বেশধারী নারীদেরকে লা’নাত করেছেন❗এই হাদীসের মর্ম এখন বুঝা যাচ্ছে।
☝️ভয়ংকর নাসিহাহ....❗
একজন বিজ্ঞ আলেম ছিলেন।যার অনেক ছাত্র ছিল।যখনই তার কাছে নতুন কোন শিষ্য আসতো তিনি তখন তার পরীক্ষা নিতেন।
তিনি কিছু তোতা পাখি পালতেন।আর পাখিগুলোকে তিনি একটি কথা শিক্ষা দিয়েছিলেন।কথাটি হল- ❝শিকারি আয়েগা,দানা ঢালেগা,জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি।❞ অর্থাৎ "শিকারি আসবে,খাবার দিবে,জাল পাতবে, ফেঁসে যেও না।"
যখনই নতুন কোন ছাত্র আসতো তখনই তিনি তাকে কিছু দানা আর একটি জাল দিয়ে বলতেন, "যাও ঐ গাছের নিচ থেকে কিছু তোতা পাখি ধরে নিয়ে আসো।"
পাখিগুলো মানুষ দেখামাত্রই এই বলে গান গাইতে শুরু করতো যে, "শিকারি আয়েগা,দানা ডালেগা,জাল বিছায়েগা, ফাসনা নেহি"। তখন বেশিরভাগ ছাত্রই ফিরে আসতো এই ভেবে যে,এত চালাক পাখি ধরা যাবে না!
কিন্ত যদি কোন ছাত্র জাল পাততো আর দানা দিতো তবে দেখতো যে, পাখিগুলো মুখে ঐ কথা বলছে ঠিকই কিন্ত দানা খেতে আসছে আর জালে ফেঁসে যাচ্ছে।অর্থাৎ তাদের মুখের কথা তাদের কোন কাজেই আসছে না।
এই পাখিগুলো আসলে কি বলছে তারা সেটা নিজেরাই জানে না।পাখিগুলো জানে না- 'শিকারি' কি জিনিস! 'জাল' কি জিনিস! 'ফাসনা' কি জিনিস! তাই তারা মুখে যতই গান গাক না কেন,তা জালে ফেঁসে মৃত্যু ডেকে আনছে।
👉আজকের জামানায় আমাদের অবস্থাও ঠিক যেন তোতা পাখিদের মতই হয়ে গেছে। আমরা মুখে 'লা-ইলাহা-ইল্লাল্লাহ' বলে সাক্ষ্য দিচ্ছি, কিন্তু আমরা এর মর্ম জানি না। প্রত্যেক সালাতে সূরা ফাতিহা পড়ি কিন্তু আমরা বুঝি না এর ভিতর আল্লাহ কি বলতে চেয়েছেন।
একই সাথে আমরা সুদ-ঘুষ, পরনিন্দা, অহংকার,যিনা,গীবত,অশ্লীলতা,পর্দাহীনতা,ও অসংখ্য হারাম কাজ করছি আর তোতা পাখির মতই আবার কালেমা বলছি আর নিজেকে মুসলমান হিসেবে দাবীও করছি!কাজেই আমাদের এই সাক্ষ্যদান তোতা পাখির মতন। আমরা মুখে কালেমা জপার পরেও শিকারির জালে ফেঁসে যাচ্ছি।
আল্লাহ তা'য়ালা আমাদেরকে সঠিক দ্বীন শিখে,কুরআন ও সহীহ সুন্নাহ মোতাবেক জীবন গড়ার তৌফিক দান করুন,আমিন।
-সংগৃহীত
‘আয়িশাহ (রাঃ) সূত্রে বর্ণিত।রাসূলুল্লাহ ﷺ বলেছেনঃ আল্লাহ কোনো রাষ্ট্রপ্রধানের কল্যাণের ইচ্ছা করলে তার জন্য একজন সৎপন্থী মন্ত্রীর ব্যবস্থা করেন।রাষ্ট্রপ্রধান ভুল করলে সে তার স্মরণ করিয়ে দেয়।আর তার স্মরণ থাকলে মন্ত্রী তাকে সহযোগিতা করে।
আর আল্লাহ তার অকল্যাণ চাইলে একজন খারাপ লোককে তার মন্ত্রী নিযুক্ত করেন।সে (আল্লাহর নির্দেশ) ভুলে গেলে মন্ত্রী তাকে তা স্মরণ করিয়ে দেয়া না,আর তার স্মরণ থাকলে সে তাকে সহযোগিতা করে না।
-আবু দাউদ:২৯৩২(সহীহ)
☝️প্রশ্ন: স্বাধীনতা/বিজয় দিবস পালনের ব্যাপারে ইসলাম কী বলে⁉️ কোন পদ্ধতিতে আমাদের এ সব দিবস পালন করা উচিত⁉️ এ সম্পর্কে কুরআন ও হাদিসে আলোক জানতে চাই।
উত্তর:
ইসলামের দৃষ্টিতে কিভাবে বিজয় পালন করতে হয় তা জানতে সূরা নসর এর তরজমা পড়ুন। আল্লাহ তাআলা বলেন:
إِذَا جَاءَ نَصْرُ اللَّـهِ وَالْفَتْحُ – وَرَأَيْتَ النَّاسَ يَدْخُلُونَ فِي دِينِ اللَّـهِ أَفْوَاجًا – فَسَبِّحْ بِحَمْدِ رَبِّكَ وَاسْتَغْفِرْهُ ۚ إِنَّهُ كَانَ تَوَّابًا
“যখন আসবে আল্লাহর সাহায্য ও বিজয় এবং আপনি মানুষকে দলে দলে আল্লাহর দ্বীনে প্রবেশ করতে দেখবেন তখন আপনি তাসবীহ পাঠ তথা আপনার পালনকর্তার পবিত্রতা বর্ণনা করুন এবং ইস্তিগফার তথা তাঁর কাছে ক্ষমা প্রার্থনা করুন। নিশ্চয় তিনি ক্ষমাকারী।” (সূরা নসর)
অর্থাৎ বিজয় অর্জিত হলে মনে করতে হবে, এই বিজয় আল্লাহ তাআলার সাহায্যেই সম্ভব হয়েছে। তাঁর সাহায্য ও শক্তি ছাড়া কখনোই তা সম্ভব ছিল না। তাই বেশি বেশি মহান রবের তাসবীহ ও ইস্তিগফার পাঠ করতে হবে এবং তাঁর দরবারে কৃতজ্ঞতা আদায় করতে হবে। কিন্তু তা কেবল বিজয়ের দিনেই সীমাবদ্ধ নয় বরং তা সবসময়-সারা বছর।
রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং সাহাবীদের যুগে কত শত দেশ ও শহর বিজিত হয়েছে কিন্তু তারা কি কখনো ঘটা করে ‘বিজয় দিবস’ পালন করেছেন-এমন কোন ইতিহাস আমাদের জানা নেই।
🔰বর্তমান যুগে আমাদের দেশে বিজয় দিবস পালনের নামে কী হয়?
কারও অজানা নয় যে, বর্তমানে বিজয় কিংবা স্বাধীনতা দিবস পালনের নামে অনুষ্ঠিত হয় বাদ্য ও নাচগানের অনুষ্ঠান, যুবক-যুবতীদের নিয়ে উত্তাল কনসার্ট, নারী-পুরুষের অবাধ মেলামেশা এবং নানা ধরণের অপসংস্কৃতি চর্চা। কথিত ‘শহীদদের’ উদ্দেশ্যে তৈরি করা বেদিতে ফুল দেয়া হয়, সেনাবাহিনী সেগুলোতে স্যালুট দেয়, রাজনৈতিক বক্তারা পুরাতন হিংসা-বিদ্বেষকে উস্কে দেয়, পরাজিত গোষ্ঠীকে উদ্দেশ্য করে জঘন্য ভাষায় গালাগালি করে ও আক্রমণাত্মক ভাষায় বক্তৃতা দেয়। কিন্তু বিজয়ীদের জন্য এগুলো কখনও শোভা পায়? রাসূল সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এর মক্কা বিজয় কি এর উৎকৃষ্ট উদাহরণ হতে পারে না?
🔰 বিজয়/স্বাধীনতা অর্জন উপলক্ষে আমাদের করণীয় কি?
রাষ্ট্রের বিজয় উপলক্ষে আমাদের কর্তব্য, আল্লাহর শুকরিয়া আদায় করা এবং অধিক পরিমানে তাসবীহ ও ইস্তিগফার পাঠ করা। কারণ এ বিজয় নিজেদের শক্তি-সামর্থ্য বলে নয় বরং আল্লাহর পক্ষ থেকে বিশেষ সাহায্যেই সম্ভব হয়েছে। সর্বোপরি সব ধরণের অপসংস্কৃতি ও শিরকী কার্যক্রম, হিংসা-বিদ্বেষ ও উস্কানি মূলক বক্তব্য ও আচরণ পরিহার করে ক্ষমা, উদারতা এবং ন্যায়-ইনসাফ এর ভিত্তিতে সকলে মিলেমিশে দেশের উন্নয়ন ও মানুষের কল্যাণে কাজ করতে হবে, অশিক্ষা ও দরিদ্রতা দুরিকরণে অবদান রাখতে হবে এবং শত্রুর কবল থেকে দেশ রক্ষার জন্য একতাবদ্ধ থাকতে হবে… তবেই মানুষ প্রকৃত স্বাধীনতার ফল লাভ করতে সক্ষম হবে ইনশাআল্লাহ।
আরও মনে রাখতে হবে, যে দেশে আমরা জন্ম গ্রহণ করেছি এবং যে দেশের আলো ও বাতাসে আমরা বড় হয়েছে তার প্রতি আমাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য রয়েছে। সে দেশের মাটি ও মানুষকে ভালবাসতে হবে এবং এমন কোন কাজ করা যাবে না যাতে দেশের বা দেশের মানুষের কোন ক্ষতি হয় অথবা বর্হী:বিশ্বে বদনাম হয়।
মোটকথা, একজন খাটি মুসলিম হবে খাঁটি, সৎ ও আদর্শ নাগরিক, দেশ প্রেমিক এবং দেশের অতন্দ্র প্রহরী-তবে তা অবশ্যই ইসলামের মহান আদর্শকে বুকে ধারণ করে; ইসলামকে জলাঞ্জলি দিয়ে নয়।আল্লাহু আলাম।
▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪▪
উত্তর প্রদানে:
আব্দুল্লাহিল হাদী বিন আব্দুল জলীল
লিসান্স,মদিনা ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়, সৌদি আরব
দাঈ,জুবাইল দাওয়াহ এন্ড গাইডেন্স সেন্টার, সউদী আরব।
মহিলাদের পর্দা সম্পর্কে অনেক কিছুই বলা হয়। পুরুষদের পর্দা সম্পর্কে জানতে চাচ্ছিলাম।বিশেষ করে গোড়ালিরউপরে প্যান্ট পরার যে সিস্টেমটা সেটা অনেকেই মানে না❗
উত্তর: পর্দা একটা বড় ব্যবস্থা। শুধু পায়ের কাপড় নয়- পোশাক, অশালীনতামুক্ত সমাজ,চক্ষু সংযত করা-বিভিন্ন বিষয় রয়েছে।পুরুষদের জন্য দুটো বিষয় গুরুত্ব দেওয়া হয়েছে। একটা হল,পুরুষরা চক্ষু সংযত করবে। নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত শরীর ঢেকে রাখবে।এটা তার জন্য ফরয।নাভি থেকে হাঁটু পর্যন্ত কোনো অংশ যদি খোলা থাকে,তাহলে যতোক্ষণ খোলা থাকবে ততোক্ষণ একটা পরিপূর্ণ ফরয তরকের কঠিন গুনাহ হতে থাকবে। আমাদের সমাজে অনেকেই অকারণে হাঁটুর উপরে তোলা কাপড় পরার অভ্যাস করেছেন,হাঁটার নামে,খেলার নামে-এগুলো কঠিন হারাম।আর এই হারাম করার ভেতর দিয়ে আমরা অগণিত গুনাহ অর্জন করি,কিন্তু দুনিয়ায় কোনো লাভ পাই না। অনুরূপভাবে পুরুষদের কাপড় টাখনুর নিচে নামবে না।টাখনুর উপরে থাকবে। এটাও পোশাকের অন্যতম বড় দিক।
ড. খোন্দকার আব্দুল্লাহ জাহাঙ্গীর(রাহিমাহুল্লাহ)
জিজ্ঞাসা ও জবাব (২য় খন্ড)
প্রশ্ন উত্তর-১৩১
ট্রান্সজেন্ডার ফেক্ট
☝️যুগ যুগ ধরে মুসলিমদেরকে সফল ভাবে তিনটি বিষ গেলানো হয়েছে⁉️
-গণতন্ত্র-জাতীয়তাবাদ-ধর্মনিরপেক্ষতা
যতদিন পর্যন্ত আমরা মুসলিম এই বিষ থেকে মুক্ত না হয়েছি,ততদিন ইসলামের সুশীতল ছায়া থেকে আমরা বঞ্চিত হবো।
আল্লাহ সুবাহানাহুতা'লা সারা বিশ্বের মুসলিমকে হক্ব জানার, বুঝার ও মানার তাওফিক দান করুন, আমিন।
মুসলিম শাসকগণ এই👇 বিষয়ের সমাধানে যতদিন একত্র হচ্ছেন্না ততদিন আমার মনে হয়না বর্তমান পরস্থিতির সমাধান হবে⁉️
আল্লাহ সুবাহানাহুতা'লা আমাদেরকে বিষয়গুলো সমাধান করার তাওফিক দান করুন, আমিন।
রাস্তায় বের হয়ে সামনে আগানো যাচ্ছিলো না জ্যামের জন্য। এত মানুষ! ছেলেমেয়ে সবাই উদ্দাম এক কনসার্টে অংশ নিতে যাচ্ছে। ৮০ শতাংশের নাম মুসলিমদের মতো। তবে এরা কেমন মুসলিম জানি না।
যাদের পরিবারের চার হাজারের অধিক শিশুকে নির্মমভাবে হত্যা করা হয়েছে, তারা কি কখনো গানে মেতে থাকতে পারে? তাও আবার তাদের কাছ থেকেই টিকেট কিনতে পারে যারা সক্রিয়ভাবে এই শিশুদের হত্যার সাথে জড়িত? পারে না।
গান শোনা পছন্দ করি না অনেকদিন থেকে। বিশেষ ওই দলটির গান আরো অসহ্য লাগত। আজকে এদের কনসার্টের আয়োজন ও ছবি চোখের সামনে দেখে বিতৃষ্ণার শেষ সীমায় চলে গেছি। লাখো মানুষ চিল্লিয়ে গান গাচ্ছে ‘আল্লাহ মেঘ দে পানি দে…’।
অথচ এখনো আল্লাহ তাদের শ্বাসে অক্সিজেন রেখেছেন। বাসায় ফিরেও আজ-কাল-পরশু এরা ভাত খাবে।
অথচ এরপরও আল্লাহ এদের রিযিক ছিনিয়ে নেবেন না। সুযোগ দেবেন। শেষ নিঃশ্বাস পর্যন্ত।
এদের কি বোধোদয় হবে?
হাশরে ওই শিশুগুলো এসে বলবে, আমাদের শরীরের রক্ত তখনো তাজা ছিল, আমাদের কবরের মাটি তখনো ভেজা ছিল। যখন তোমরা গানে মেতে ছিলে, তখন আমাদের জানাযা পড়া হচ্ছিল।
কী জবাব দেবেন?
_______________
|| সদুত্তর আছে কি? ||
সাদিয়া হোসেইন
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Website
Address
Pathantula Road
Sylhet, 3100
Jalalabad Ragib-Rabeya Medical College and Hospital (Unofficial)
Al Haramain Hospital Pvt Ltd
Sylhet, 3100
Consultant (Radiology & Imaging), Al Haramain Hospital Pvt Ltd, Subhani Ghat, Sylhet
Cardiology Department Park View Medical College. VIP Road , Taltola . Sylhet
Sylhet, 3100
world heart day 2011 september 29
শাহজালাল টাওয়ার, করনশি রোড, গুয়ালা বাজার, ওসমানী নগর, সিলেট।
Sylhet, 3100
সরাসরি চেম্বারে আসুন। চেম্বার:শাহজালাল টাওয়ার,করনশি রোড, গুয়ালা বাজার,ওসমানী নগর,সিলেট। (দুপুর ১২টা- রাত ৯ টা) সময়:শনি,সোম,বুধ ও বূহস্পতিবার (০১৩০৭৭২৪৬০৮) সেবা সমূহ: মা ও শিশু, ...
Naiorpul Sylhet
Sylhet, 3100
তিনিই ( আল্লাহ) উত্তম নিরাময় দানকারি।
Daudpur, Dhakshin Surma, Sylhet
Sylhet, 3100
আমি শিখতে চাই,আমি জানতে চাই,আমি বুঝতে চাই। সবাই একটু নিজের মতো ভাবেন ঠিকই উত্তর পাবেন💓💓