Yildirim Media Photography
LET'S WORK TOGETHER
দেশের স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে জাতীয় ঐক্যের ডাক
হেযবুত তওহীদের গাজীপুর জেলা ও মহানগর শাখার আয়োজনে ‘বাংলাদেশের উন্নয়ন, অগ্রগতি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে করণীয় শীর্ষক আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শুক্রবার (৮মার্চ) বিকালে গাজীপুর মহানগরের বাসন থানাধীন তেলিপাড়াস্থ সাগর সৈকত কনভেনশন হলে এ আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, রাজতন্ত্রের কবর হয়ে গেছে বহু আগে। ফ্যাসিবাদ মানুষের কাছে প্রত্যাখ্যাত হয়েছে। বহু ফ্যাসিস্ট আত্মহত্যা করেছে। সমাজতন্ত্রও ব্যর্থ হয়েছে। গণতন্ত্রও লাইফ সাপোর্টে আছে- মন্তব্য করেন তিনি।
হেযবুত তওহীদের এই নেতা বলেন, গণতন্ত্রের সৌন্দর্য আমরা দেখেছি। প্রতি ৫ বছর পর পর মহা সংকটে পরতে হচ্ছে জাতিকে। একদল ক্ষমতায় গেলে পরের দিন থেকেই শুরু হয় তাকে টেনে নামানোর চেষ্টা। সমানে চলে জ্বালাও পোড়াও। বাসে আগুন দিয়ে নিরপরাধ নিরীহ মানুষকে পুড়িয়ে মারা হচ্ছে। সাপের মত পিটিয়ে পুলিশ হত্যা করা হচ্ছে। ক্ষমতায় যাবার লড়াইয়ে হরতাল, অবরোধ, ধর্মঘটের নামে নৃসংসতা মানুষ দেখেছে। এই সিস্টেম আর মানুষ দেখতে চায় না। মানুষের তৈরি সব সিস্টেমই তো আমরা এপ্লাই করলাম। সবগুলো ব্যর্থ হয়েছে। মানুষের তৈরি তন্ত্রমন্ত্র বাদ দিয়ে আল্লার দেওয়া সিস্টেমে প্রত্যাবর্তন করার আহ্বান জানান তিনি।
তিনি আরও বলেন, পশ্চিমারা আমাদের ব্যাপারে মাতব্বরি করে আসছে বরাবরই। তারা একে একে ইরাক, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্তান ধ্বংস করে দিয়েছে। এখন তাদের শকুনী দৃষ্টি পড়েছে আমার প্রিয় জন্মভূমির উপর। তারা বাংলাদেশের রাজনৈতিক অস্থিরতার সুযোগ নিয়ে তাদের কূট চাল চালছে বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি বলেন, শকুন যত ভয়ঙ্করই হোক না কেন আমরা ঐক্যবদ্ধ হতে পারলে কোনো সাম্রাজ্যবাদী অপশক্তি আমাদের ক্ষতি করতে পারবে না। হেযবুত তওহীদ থাকতে তাদের এই দূরাশা কোনো দিন পূর্ণ হবে না। প্রয়োজনে দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য জীবন দেব তবুও দেশকে ইরাক, সিরিয়া, আফগানিস্তান হতে দিব না- বলেন এই নেতা।
সংগঠনের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপকমিটির সদস্য শাহ নেওয়াজ খানের সঞ্চালনায় ও ঢাকা বিভাগীয় সভাপতি ডা. মাহবুব আলম মাহফুজের সভাপতিত্বে সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন- হেযবুত তওহীদের আন্তর্জাতিক প্রচারণা বিষয়ক সম্পাদক মো. মশিউর রহমান, হেযবুত তওহীদের সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দিন, দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক সম্পাদক মো. সাইফুর রহমান, হেযবুত তওহীদের ঢাকা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ও গুলশান শাখার সভাপতি মো. ফরিদ উদ্দিন রাব্বানী, ঢাকা বিভাগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মো. ইউনুস মিয়া ও মো. তসলিম উদ্দিন এবং হেযবুত তওহীদের গাজীপুর জেলা সভাপতি মো. শাহজাহান প্রধান, মহানগর সভাপতি শহিদুল ইসলাম প্রমুখ।
এছাড়াও হেযবুত তওহীদের গাজীপুর জেলা ও মহানগরের বিভিন্ন থানার সভাপতিসহ বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
"সকল ধর্মের মর্মকথা সবার ঊর্ধ্বে মানবতা" এই প্রতিপাদ্যকে হৃদয়ে ধারণ করে সুনামগঞ্জে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে সর্বধর্মীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ বৃহস্পতিবার (২৯ ফেব্রুয়ারি) বিকাল ৩টায় সুনামগঞ্জের শহীদ মুক্তিযোদ্ধা জগৎজ্যোতি পাবলিক লাইব্রেরি হলরুমে এই সম্মেলনের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদের সুনামগঞ্জ জেলা শাখা।সুনামগঞ্জ জেলা হেযবুত তওহীদের সভাপতি জাকির হোসেনের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন সুনামগঞ্জ পৌরসভার মেয়র নাদের বখত।
হেযবুত তওহীদো নারায়ণগঞ্জ জেলা সভাপতি আরিফ উদ্দিনের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচকের বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক কবি রিয়াদুল হাসান। তিনি তার বক্তব্যে বলেন, আমরা এক পিতা মাতা আদম হাওয়ার সন্তান। আল্লাহর চোখে মানুষ দুই প্রকার ভালো এবং খারাপ। অন্যান্য বিভাজন আমরা তৈরি করেছি। তিনি আরো বলেন, কোনো প্রকার জাতীয়তাবাদী বিভাজন ইসলাম স্বীকার করে না। ধর্ম, গোত্র, বর্ণ, জাতিভেদে আমরা যে বিভেদ সৃষ্টি করে রোখেছি এবং যে বিদ্বেষ পোষণ করে দাঙ্গা হাঙ্গামা পৃথিবীজুড়ে চলছে এটা কোনো ধর্মই সমর্থন করে না। হাজার বছর ধরে ধর্মীয় আদর্শগত কিছু মতবিভেদ রয়েছে বটে তবে সব ধর্মের মূল কথা হচ্ছে মানবতা। সকল ধর্মেও মূল কথার উপর ভিত্তি করে আমাদেরও এক হয়ে মানবতার কল্যাণে কাজ করতে হবে। এই কাজটিই হাতে নিয়ে মাঠে ময়দানে কাজ করে যাচ্ছে হেযবুত তওহীদ। তিনি উপস্থিত সকল ধর্মের প্রতিনিধিত্বকারীদেও প্রতি ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান।
প্রধান অতিথি তাঁর বক্তব্যে বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান একটি অসাম্প্রদায়িক বাংলাদেশ চেয়েছিলেন। হেযবুত তওহীদ ঠিক সেই কাজটি নিয়েই মাঠে নেমেছে। তাদের এই কাজকে আমি অন্তর থেকে সাধুবাদ জানাই। ধর্মীয় উন্মাদনা সৃষ্টি করে একটি গোষ্ঠী বিশৃঙ্খলা সৃষ্টির চেষ্টা করে আসছে। আমাদের সুনামগঞ্জে সেই সুযোগ ইতঃপূর্বে কাউকে দেওয়া হয়নি ভবিষ্যতেও দেওয়া হবে না।
হেযবুত তওহীদের সুনামগঞ্জ জেলা সভাপতির উত্থাপিত একটি দাবি প্রসঙ্গে তিনি বলেন, আমার এলাকার কাউন্সিলরদের সাথে মতবিনিময় করে সুনামগঞ্জে হেযবুত তওহীদের জন্য একটি জেলা কার্যালয়ের ব্যবস্থা করে দেয়ার প্রচেষ্টা আমি করব যাতে করে তারা তাদের এই আদর্শ প্রচারের কাজ সহজতর হয়। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সিলেট বিভাগীয় আমির আলী হোসেন, সুনামগঞ্জ রামকৃষ্ণ মিশনের স্বামী হৃদয় আনন্দ মহারাজ, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিস্টান ঐক্য পরিষদেও সুনামগঞ্জ জেলার সাধারণ সম্পাদক এড. বিশ^জিৎ চক্রবর্তী, বাংলাদেশ হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্টান আইনজীবী ঐক্য পরিষদেও সাধারণ সম্পাদক এড. গৌরঙ্গ পদ দাস, সুনামগঞ্জ শ্রী শ্রী জন্মষ্টমী উদযাপন পরিষদের সভাপতি এড. রাধাকান্ত সূত্রধর, দিরাই উপজেলা পরিষদেও সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান ছবি চৌধুরী, জাহাঙ্গীরনগর ইউনিয়নের সাবেক চেয়ারম্যান মো. ওসমান গনী, সুনামগঞ্জের সাংবাদিক ফোরামের সভাপতি ও মোহনা টিভির জেলা প্রতিনিধি কুলেন্দু শেখর দাস, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম শ্যামল, হেযবুত তওহীদের হবিগঞ্জ জেলা সভাপতি এড. এম এ মোতালেব, সুনামগঞ্জ প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আমিনুল ইসলাম, সুনামগঞ্জের সাংবাদিক ফোরামের সাংগঠনিক সম্পাদক বাবুল মিয়া প্রমুখ।
বক্তারা ‘সকল ধর্মের মর্মকথা সবার ঊর্ধ্বে মানবতা’ প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর তাদের মূল্যবাদ বক্তব্য প্রদান করেন। তারা প্রতিপাদ্যের উপর ঐকমত্য পোষণ করেন। তারা হেযবুত তওহীদের এই কাজকে সকলের কাজ বলে মন্তব্য করেন। মুখ্য আলোচকের বক্তব্য শুনে তারা সবাই সমৃদ্ধ হয়েছেন এবং হেযবুত তওহীদের কার্যক্রমের ব্যাপারে পরিষ্কার হয়েছেন বলে মন্তব্য করেন। এমন মহতী কাজের হেযবুত তওহীদের পাশে তারা থাকবেন এবং তাদের সাথে এক হয়ে কাজ করার প্রতিশ্রুতি দেন।
সমাপনী বক্তব্যে অনুষ্ঠানের সভাপতি জাকির হোসেন বলেন, আমরা স্রষ্টার সন্তুষ্টির জন্য কাজ করছি। এই আদর্শ প্রচারের জন্য আমরা আমাদেরও জীবন সম্পদ বিলিয়ে দিচ্ছি। আমরা পৃথিবীতে এর কোনো বিনিময় চাই না। এর বিনিময় নিব আমরা স্রষ্টার কাছ থেকে।
আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে ‘বাংলা ভাষার মান রক্ষায় আমাদের করণীয়’ শীর্ষক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ মঙ্গলবার (২৭ ফেব্রুয়ারি) বিকাল সাড়ে পাঁচটায় রাজধানীর সেগুনবাগিচায় কচি-কাচার মেলা হলে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হৃদয়ে বাংলাদেশ সাংস্কৃতিক পরিষদ। সংগঠনটির উপদেষ্টা শাহ মুহাম্মদ সেলিম রেজা চৌধুরীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানের শুভ উদ্বোধন করেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম।
প্রধান অতিথির বক্তব্যে জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম বলেন, ‘বাংলা ভাষা বিকৃত করার প্রবণতা তরুণদের মধ্যে বেশ লক্ষণীয়। অফিস-আদালত, চলচ্চিত্র, নাটক, বিজ্ঞাপনসহ প্রায় জায়গাতেই চলছে বিদেশি ভাষার ব্যবহার। বিদেশি ভাষার আগ্রাসনে খাঁটি বাংলা ভাষার চর্চা দিন দিন কমে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় আফসোসের বিষয় হলো, আমাদের সমাজে কিছু সুশীল ব্যক্তিবর্গ আছেন যারা বেশি ইংরেজি শব্দ ব্যবহার করেন। যার প্রভাব পড়ে দর্শক-শ্রোতাদের মধ্যে। তারাও মিশ্র ভাষায় কথা বলতে শেখে। বেসরকারি বেতারগুলোর উপস্থাপকরা তো বাংলা বলেন না বললেই চলে। পৃথিবীর প্রায় ২৮ কোটি মানুষ বাংলা ভাষায় কথা বলে। জনসংখ্যার দিক থেকে বিশ্বে বাংলা ভাষার স্থান সপ্তম। বাংলা ভাষার ঐতিহ্য এবং সাহিত্যসম্ভারও বিপুল। অথচ নতুন প্রজন্ম বাংলা ভাষার প্রতি উৎসাহী ও মনোযোগী নয়। আরেকদিকে ইংলিশ মিডিয়ামের দৌরাত্বে অনেক ছেলেমেয়ে যদিও বাংলা ভাষায় কথা বলতে পারে কিন্তু লিখতে পারে না। একটু শিক্ষিতরা বাংলার সাথে ইংলিশ শব্দ মিশ্র করে ককটেল বানিয়ে ব্যবহার করে গৌরব করে। অন্যদিকে একজন অশিক্ষিত কৃষক শ্রমিকের কথায় যদি আঞ্চলিকতা প্রকাশ পায় তাকে আমরা ক্ষেত বলে পরিহাস করতে ছাড়ি না বলে মন্তব্য করেন তিনি।
তিনি আরও বলেন, মানবজাতি এক জাতি। ভাষাভিত্তিক জাতীয়তাবাদ ইসলামের নিষিদ্ধ। সব ভাষাই আল্লাহর দেওয়া। প্রকৃতির বৈচিত্র্য যেমন স্বাভাবিক তেমনি ভাষার বৈচিত্র্যও স্বাভাবিক। ইসলাম ভ‚প্রকৃতির কারণে জাতীয়তাবাদ এবং ভাষার কারণে বিভিন্নতার কারণে জাতীয়তাবাদ কোনটাকেই স্বীকার করে না। ইসলামের বিধানে সমস্ত মানুষ এক জাতি ভাষার কারণে কোনো জাতি অন্য জাতির উপরে শ্রেষ্ঠ হতে পারে না।
বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী, লায়ন কেফায়েত উল্লাহ, বাংলাদেশ ওয়ার্ল্ড ক্যান্সার সোসাইটির সভাপতি সৈয়দ হুমায়ুন কবির, অতিথি গ্রুপের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও সিইও লায়ন সাইফুল ইসলাম, বাংলাদেশ নারী উদ্যোক্তার প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি রূপা আহমেদ, দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এসএম সামসুল হুদা, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি রিয়াদুল হাসান প্রমুখ।
বিশেষ অতিথি মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সহ-সভাপতি রিয়াদুল হাসান তার বক্তব্যে বর্তমানের বিশ্বের সবচেয়ে জনপ্রিয় ভাষা ইংরেজি ভাষার বিভিন্ন দুর্বলতা তুলে ধরে বাংলা ভাষার সমৃদ্ধ সুশৃঙ্খল রূপ তুলে ধরেন।
বিশেষ অতিথি দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এস এম সামসুল হুদা তার বক্তব্যের সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানসহ আদালতে ইংরেজি ভাষার ব্যবহারের নিন্দা জানিয়ে অনতিবিলম্বে এসব দপ্তরে বাংলা ভাষার ব্যবহার নিশ্চিত করতে কর্তৃপক্ষের নিকট দাবি জানান।
সবশেষে মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। অনুষ্ঠানের বিশিষ্ট শিল্পীদের পরিবেশিত ভাষার গানে দেশের গানে মুখরিত হয় মিলনায়তন।
মিথ্যা ফতোয়ার বেড়াজাল ছিন্ন করতে হবে!
জড়তা, অন্ধত্ব, সংকীর্ণতা, ধর্মব্যবসা ও ধর্মের নামে বাড়াবাড়ির রোধে শেরপুরে হেযবুত তওহীদের উদ্যোগে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ রবিবার সকাল ১১টায় শেরপুর পৌর অডিটরিয়ামে এ অনুষ্ঠানের আয়োজন করে হেযবুত তওহীদের শেরপুর জেলা নারী বিভাগ। শেরপুর জেলা হেযবুত তওহীদের নারী সম্পাদক নুসরাত জাহান শারমিনের সভাপতিত্বে ‘আমরা আগামী যুগের আদর্শ নারী হবো’ শীর্ষক এ আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন শেরপুর পৌরসভার মেয়র আলহাজ্ব গোলাম মোহাম্মদ কিবরিয়া লিটন। মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপরে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় নারী সম্পাদক ও দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী।
তিনি বলেন, আমাদের মোট জনগোষ্ঠীর অর্ধেকই নারী। পুরুষের তুলনায় নারীরা জাতীয়, সামাজিক, রাজনীতিক অর্থাৎ সকল অঙ্গনেই পিছিয়ে আছে। তাদের এই পিছিয়ে পড়া একদিনে হয় নি, শত শত বছর ধরে তাদের উপর ধর্মের নামে হাজারো বিধিনিষেধ আরোপ করে এভাবে পিছিয়ে পড়তে বাধ্য করা হয়েছে। আজ নারীরা যখন সব বাধাকে পেছনে ফেলে এগিয়ে যেতে চাইছে, ধর্মব্যবসায়ীরা চেষ্টা করছে তাদের চারপাশে ফতোয়ার প্রাচীর তুলে তাদের গতিকে রুদ্ধ করতে। পরিণামে নারীরা ধীরে ধীরে ধর্মের প্রতি আকর্ষণ ও শ্রদ্ধা হারাচ্ছে। আল্লাহ-রসুল তথা ধর্মকেই নিজেদের প্রগতির শত্রু মনে করছে এবং পশ্চিমা অপ-সংস্কৃতিকেই মুক্তি ও উদারতার পথ মনে করে অশ্লীলতা ও অসভ্যতার দিকে পা বাড়াচ্ছে। আমরা বলছি, যে ফতোয়াগুলো আরোপ করে নারীর অগ্রগতিকে বাধাগ্রস্ত করা হচ্ছে সেগুলো প্রকৃতপক্ষে ইসলাম সমর্থন করে না, সেগুলো ধর্মব্যবসায়ীদের মনগড়া ও অজ্ঞানতাসুলভ ফতোয়ামাত্র। দ্বিতীয়ত, পাশ্চাত্য সভ্যতা নারীর সামনে যে মুক্তির পথ প্রদর্শন করছে সেটা আসলে তাকে আরো অন্ধকারে নিয়ে যাবে, তাকে ভোগ্যপণ্যে পরিণত করবে।
তিনি আরো বলেন, ‘আজকে অন্য জাতির নারীরা যখন বৈমানিক হয়, নভোচারী হয়, প্লেন চালায়, সেনাবাহিনীর ক্যাপ্টেন হয়, মেজর জেনারেল হয়, বৈজ্ঞানিক হয়, তখন কোণায় কোণায়, পাড়ায় পাড়ায়, মহল্লায় মহল্লায় আমার জাতির নারীদেরকে এই শিক্ষা দেওয়া হয় যে, ‘সাবধান! ঘরের চার দেওয়ালের মধ্যে থাকো, সুবহানাল্লাহ সুবহানাল্লাহ করো, ঘরের বাইরে যাবে না। ঘরের বাইরে বের হওয়াই পাপ!’
তিনি বলেন, এই অন্ধত্ব এই সংকীর্ণতার দেয়াল ভেদ করতে হবে। ধর্মের নাম করে নারীদের উপর যে বাড়াবাড়ি করা হচ্ছে তার পরিণাম জাতি ভোগ করছে। সময় এসেছে ধর্মের নামে মিথ্যা ফতোয়ার বেড়াজাল ছিন্ন করতে হবে। নারীদের জ্ঞান, মেধা, যোগ্যতাকে কাজে লাগিয়ে সমৃদ্ধ জাতি গঠনে ভূমিকা রাখতে হবে। আমাদেরই হতে হবে আগামী দিনের আদর্শ নারী।’
বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় দায়িত্বপ্রাপ্ত রহমত উল্লাহ রানা, হেযবুত তওহীদের ময়মনসিংহ বিভাগীয় নারী সম্পাদক রোজিনা আক্তার, হেযবুত তওহীদের শেরপুর জেলা সভাপতি মুমিনুর রহমান পান্না প্রমুখ।
গতকাল ২৩ ফ্রেব্রুয়ারি (শুক্রবার) রাজধানীতে হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ের কনফারেন্স হলে নতুন সদস্যদেরকে নিয়ে আকিদা আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন উত্তরা শাখার সভাপতি মুস্তাফিজুর রহমান টিটু। অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিভাগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ উদ্দিন রাব্বানী। আরো উপস্থিত ছিলেন আশুলিয়া শাখার সভাপতি মোহাম্মদ জাকির হাসান। মুখ্য আলোচকের বক্তব্যে হেযবুত তওহীদের মাননীয় এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম ইসলামের আকিদা, হেদায়াহ তাকওয়া, দীন প্রতিষ্ঠার কর্মসূচি ও বর্তমানের জাতীয় আন্তর্জাতিক সঙ্কট নিয়ে আলোচনা করেন। বক্তব্য শেষে প্রশ্ন উত্তর পর্ব অনুষ্ঠিত হয়
বর্ণাঢ্য আয়োজনের মধ্য দিয়ে পালিত হলো বহুল প্রচারিত ‘দৈনিক দেশেরপত্র’র ১৪তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী।
‘মানবতার কল্যাণে সত্যের প্রকাশ’ এই স্লোগানকে হৃদয়ে ধারণ করে দৈনিক দেশেরপত্র পত্রিকার ১৫ বছরে পদার্পণ করল। এ উপলক্ষে আজ মঙ্গলবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) সকাল ১০টায় বাংলাদেশ শিল্পকলা একাডেমির সংগীত ও নৃত্যকলা মিলনায়তনে ‘মানবতার কল্যাণে সাংবাদিকতা’ শৗর্ষক এক আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয়। প্রতিপাদ্য বিষয়ের উপর আলোচনা রাখেন অনুষ্ঠানে উপস্থিত অতিথিবৃন্দ।
দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নীর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি প্যানেলে ছিলেন বাংলাদেশ সমাজতান্ত্রিক দলের সভাপতি ও সাবেক তথ্যমন্ত্রী হাসানুল হক ইনু এবং বিএফইউজে এর সভাপতি ওমর ফারুক।অনুষ্ঠানের উদ্বোধন করেন এশিয়ান টিভির চেয়ারম্যান আলহাজ হারুন-উর-রশিদ সিআইপি।
দৈনিক বজ্রশক্তি পত্রিকার সম্পাদক এসএম সামসুল হুদার পরিচালনায় অনুষ্ঠানে প্রধান আলোচক হিসেবে উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন পিনাকল মিডিয়া লিমিটেড এর চেয়ারম্যান ও হেযবুত তওহীদের এমাম হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। উল্লেখ্য, দৈনিক দেশেরপত্র পিনাকল মিডিয়া লিমিটেড এর একটি অঙ্গপ্রতিষ্ঠান।
প্রধান আলোচক তাঁর বক্তব্যে বলেন- ধর্মের নামে চলা যাবতীয় অধর্মের বিপরীতে ধর্মের প্রকৃত শিক্ষা তুলে ধরছে দেশেরপত্র। ধর্মীয় উগ্রবাদ, সাম্প্রদায়িকতা, ইসলামবিদ্বেষ, নারীবিদ্বেষ, ধর্মব্যবসা, গুজব, ধর্মীয় উন্মাদনা এ সকল অন্যায়ের বিরুদ্ধে সত্যের মশাল হচ্ছে দেশেরপত্র। সত্যের এই মশালকে নিভিয়ে দেয়ার জন্য অনেক প্রতিবন্ধকতাই সৃষ্টি করা হয়েছে কিন্তু কোনো প্রতিবন্ধকতাই দেশেরপত্রকে রুখতে পারেনি আর পারবেও না ইনশাল্লাহ।
সভাপতির বক্তব্যে দৈনিক দেশেরপত্রের সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী বলেন, দেশেরপত্রের একটি সংখ্যাও যিনি হাতে নিয়েছেন তিনিও নিশ্চয়ই লক্ষ্য করে থাকবেন যে, এই পত্রিকা বিজ্ঞাপন প্রধান নয়, কোনো কর্পোরেশনের স্বার্থ রক্ষা করার জন্য এই পত্রিকার জন্ম হয়নি। এ পত্রিকা কেবল সংবাদ ও কিছু তথ্যের ধারক নয়, এটি একটি আদর্শিক পত্রিকা। আমরা ন্যায় প্রতিষ্ঠার জন্য দাঁড়িয়েছি। অন্যায়ের সাথে কখনো আপোস করতে শিখিনি, আপোস করব না ইনশাল্লাহ।
অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর সভাপতি কিংবদন্তী গিটারিস্ট এনামুল কবীর, একাধিক জাতীয় চলচ্চিত্র পুরস্কারপ্রাপ্ত পরিচালক মসিহ উদ্দিন শাকের, বাংলাদেশ ছাত্র মৈত্রীর সাবেক সভাপতি ও যুগবার্তার হেড অব নিউজ রফিকুল ইসলাম সুজন, কালিয়াকৈর প্রোসক্লাবের সভাপতি আউয়ুব রানা প্রমুখ।
অনুষ্ঠানে শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন দৈনিক দেশেরপত্রের সহকারী নির্বাহী সম্পাদক ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ, সাহিত্য বিষয়ক সম্পাদক কবি রিয়াদুল হাসান, সিনিয়র রিপোর্টার ফরিদ উদ্দিন রব্বানি প্রমুখ।
গোপালগঞ্জে পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের উদ্যোগে ‘পিনাকল রান টেন কে ২০২৪’ ম্যারাথন দৌড় প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
আজ শনিবার সকাল ৬টায় গোপালগঞ্জ পৌর পার্কে উদ্বোধনী বক্তব্যের মধ্য দিয়ে অনুষ্ঠানের সূচনা করেন অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াল তালুকদার। পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের গোপালগঞ্জ জেলা পরিচালক আরিফ মো. আলী আহসান এর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বাংলাদেশ সাংবাদিক জোটের সাধারণ সম্পাদক ও দৈনিক বজ্রশক্তির সম্পাদক এসএম শামসুল হুদা।
প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন, “তরুণদের জাগাতে হলে তাদের অদম্য প্রাণশক্তিকে জাগাতে হবে। আমরা তরুণদের সেই শক্তিকে জাগাতে কাজ করে যাচ্ছি। আমরা বাংলাদেশের প্রতিটি বিভাগে, জেলায়, থানায় সুস্থধারার সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান ও খেলাধুলার আয়োজন করে চলেছি। আজকে নানাভাবে দিকভ্রষ্ট হতাশাগ্রস্ত যুব সমাজকে সঠিক পথে নিয়ে আসতে খেলাধুলার বিকল্প নেই। তাই পিনাকল স্পোর্টস সদা-সর্বদা তরুণদের নিয়ে নানা ধরনের খেলাধুলার আয়োজন করে থাকে।
অনুষ্ঠানে মুখ্য আলোচক হিসেবে বক্তব্য রাখেন অ্যাসোসিয়েশনের উপদেষ্টা ডা. মাহবুব আলম মাহফুজ। তিনি তার বক্তব্যে ম্যারাথন প্রতিযোগিতার ঐতিহাসিক প্রেক্ষাপট তুলে ধরেন। অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি ছিলেন, পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশসের উপদেষ্টা আল আমিন সবুজ, মাটি সাংস্কৃতিক গোষ্ঠীর পরিচালক মো. মেজবাউল ইসলাম। অনুষ্ঠানটির সঞ্চালনায় ছিলেন অনামিকা হক।
বিজয়ীদের মধ্যে জামিন শেখ ৪১ মিনিটে ১০ কিলোমিটার পূর্ণ করে প্রথম স্থান অধিকার করেন, রাজিব সরদার ৪৬ মিনিটে ১০ কিলোমিটার পূর্ণ করে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেন, হাসান শেখ ৪৭ মিনিটে ১০ কিলোমিটার পূর্ণ করে তৃতীয় স্থান অধিকার করেন। এছাড়া সকল ফিনিশারকে মেডেল প্রদান করেন আয়োজক কর্তৃপক্ষ। এই ম্যারাথন প্রতিযোগিতায় ১৪৮ জন অংশগ্রহণ করে। যাদের মধ্যে ১২৭ জন এন্ডিং পয়েন্ট অতিক্রম করতে সক্ষম হন।
অনুষ্ঠানটিকে সফল করার জন্য রোভার স্কাউট গোপালগঞ্জ ইউনিট ও রেড ক্রিসেন্ট সার্বিক সহযোগিতা করে। মেডিকেল পার্টনার হিসাবে ছিলেন সরকার ফিজিওথেরাপি ও পেইন রিলিফ সেন্টার। অনুষ্ঠানে সার্বিক সহযোগিতা করে- জে কে পলিমার ইন্ডাস্ট্রিজ লিমিটেড, ইমাদ পরিবহন, ডা. হাসান ডেন্টাল হাউস, জিমি হোটেল, শেখ প্লাজা কাঠি বাজার, শরিফ ফার্নিচার, সিমি ডেকোরেটর।
‘স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট গ্রাম বিনির্মানের বিকল্প নেই’ শীষর্ক এক মতবিনিময় ও কর্মপরিকল্পনা সভা করেছে হেযবুত তওহীদ।
আজ সকাল ১০টা থেকে দুপুর ২টা পর্যন্ত নোয়াখালীর সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটে শহীদী জামে মসজিদ প্রাঙ্গণে এ সভা অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসাবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা, হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। অনুষ্ঠানের অন্যতম বিশেষ আলোচক হিসাবে বক্তব্য রাখেন হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দীন এবং সভাপতিত্ব করেন হেযবুত তওহীদের চট্টগ্রাম বিভাগের সভাপতি এনামুল হক বাপ্পা। অনুষ্ঠান সঞ্চালনা করেন হেযবুত তওহীদ আন্দোলনের শিক্ষা ও প্রশিক্ষণ বিষয়ক উপ-সম্পাদক, চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রাকীব আল হাসান। অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন হেযবুত তওহীদের দপ্তর সম্পাদক ও কেন্দ্রীয় কমিটির প্রধান উপদেষ্টা খাদিজা খাতুন, কেন্দ্রীয় নারী বিষয়ক সম্পাদক রুফায়দাহ পন্নী এবং বিভিন্ন পর্যায়ের দায়িত্বশীলরা।
হেযবুত তওহীদের সর্বোচ্চ নেতা বলেন, ‘হাজার হাজার গ্রাম ও শত শত শহর নিয়ে গঠিত হয় একটি দেশ। বিভিন্ন কারণে শহরগুলো কিছুটা উন্নত হলেও আমাদের মতো তৃতীয় বিশে^র রাষ্ট্রগুলোতে গ্রাম থেকে যায় অবহেলিত, নানা ধরনের নাগরিক সুবিধা থেকে বঞ্চিত। এর ফলে বৃহত্তর জনসংখ্যা যথযথ শিক্ষা, চিকিৎসা, বাণিজ্য, যোগাযোগ ইত্যাদি সুবিধা ভোগ করতে পারে না। দেশ রয়ে যায় অনুন্নত। এ সকল সুবিধার অভাবে দেশের এই বৃহত্তর গ্রামীণ জনগণ দেশ গঠনের কাজে, দেশকে স্মার্ট হিসাবে গড়ে তোলার কাজে বিশেষ ভূমিকা পালন করতে পারে না। এজন্য স্মার্ট বাংলাদেশ গঠনে স্মার্ট গ্রাম বিনির্মাণের বিকল্প নেই।’
তিনি আরও বলেন, ‘গ্রামাঞ্চলে ঠিকমতো বিদ্যুৎ থাকে না, যোগাযোগ ব্যবস্থা তেমন ভালো নয়, ইন্টারনেট সুবিধা নামে মাত্র পাওয়া যায়, দক্ষ জনশক্তি পাওয়া যায় না- এ ধরনের নানা প্রতিবন্ধকতা থাকার কারণে কেউ উদ্যোগী হয়ে গ্রামে কোনো শিল্প-কলকারখানা গড়ে তুলতে আগ্রহী হয় না। অর্থ-বিত্তশালী মানুষগুলো, ব্যবসায়ী চিন্তাধারার মানুষগুলো চলে যায় শহরে। আর নাগরিক সুবিধার অভাবে উচ্চশিক্ষিত ও শিক্ষাসচেতন মানুষগুলোও চলে যায় শহরে, কেউ বা চলে যায় বিদেশে। গ্রাম নিয়ে আর কেউ ভাবে না। তাহলে গ্রামকে স্মার্ট করবে কে?’
তিনি বলেন, ‘আমরা অর্থাৎ হেযবুত তওহীদ চেষ্টা করছে একটি আদর্শ গ্রাম, একটি স্মার্ট গ্রাম তৈরি করতে। উতোমধ্যে এই কাজে অনেকটা সফল আমরা। আমরা প্রথমত আমার নিজের গ্রাম পোরকরা, নিজের ইউনিয়ন চাষীরহাটকে মডেল গ্রাম, স্মার্ট গ্রাম বানানোর চেষ্টা করছি। এখানে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, বাণিজ্য, কৃষি, মৎস্য, ক্ষুদ্র শিল্প ইত্যাদি বিভিন্ন ধরনের অর্ধশতাধীক উন্নয়ন প্রকল্প হাতে নিয়েছি। ইতোমধ্যেই অধিকাংশ প্রকল্প সফলতার আলো ছড়াচ্ছে তবে আমরা টার্গেট অনেক বড়। আমি বিশ্ববাসীর কাছে এই মডেল তুলে ধরতে চাই। এজন্যই আপনাদেরকে আজ এখানে ডেকেছি। আমরা সবাই মিলে পরিকল্পনা করব, কীভাবে এই মডেল গ্রাম, স্মার্ট গ্রামের আদলে বাংলাদেশের প্রতিটি গ্রামকে গড়ে তোলা যায়, কীভাবে বিশ্ববাসীর কাছে এটা তুলে ধরা যায়।’
তিনি বলেন, ‘মুসলিম জাতি কখনো অনুন্নত, পশ্চাৎপদ, আনস্মার্ট হতে পারে না। আমাদের প্রিয় নবি মোহাম্মাদুর রসুলাল্লাহ (সা.) ছিলেন একজন স্মার্ট ব্যক্তিত্ব, তিনি তদানীন্তনকালের সবচেয়ে স্মার্ট জাতি গঠন করেছিলেন, যে জাতি বিশ্বকে লিড দিয়েছে। আর এই কাজে সর্ব প্রথম তিনি মদিনা নামক ছোট্ট একটি স্মার্ট গ্রাম বিনির্মাণ করেছেন। আমরাও তাঁর আদর্শ বুকে ধারণ করে, তাঁর অনুসরণ করার চেষ্টা করছি, স্মার্ট একটি জাতি, স্মার্ট একটি দেশ গঠনের চেষ্টা করছি। ইনশাল্লাহ একদিন এই বাঙালি জাতিই বিশ্বকে লিড দেবে, বিশ্ববাসীর কাছে শিক্ষকের জাতি হিসাবে আত্মপ্রকাশ করবে।’
হেযবুত তওহীদের সমন্বয়কারী মো. নিজাম উদ্দিন বলেন, ‘এখন থেকে আপনারা প্রতিটা কাজ করার সময় চিন্তা করবেন যে, এই কাজটি বিশ্ববাসীর সামনে তুলে ধরতে হবে, কাজেই কাজটি যেন নিখুঁৎ হয়, স্মার্ট হয়। শাখার উদ্যোগে যখন খেলাধুলার আয়োজন করবেন, কৃষি প্রকল্প চালাবেন, মৎস্য চাষ করবেন বা কোনো সভা-সেমিনার করবেন সেটা যেন অত্যন্ত সুশৃঙ্খল, সুন্দর, স্মার্ট হয়।’
অনুষ্ঠানে সহস্রাধিক দায়িত্বশীল উপস্থিত ছিলেন। তারা তাদের গুরুত্বপূর্ণ মতামত ব্যক্ত করেন। অনুষ্ঠানের সম্পূর্ণ সময় অনুষ্ঠান স্থলে সুশৃঙ্খল অবস্থা লক্ষ করা যায়। অনুষ্ঠান স্থলের পাশেই চলছে ‘চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্প’ কর্তৃক আয়োজিত ৭দিনব্যাপী চাষীরহাট উন্নয়ন মেলা। অনুষ্ঠান শেষে সকলে মেলা পরিদর্শন করেন এবং কেনাকাটা করেন। হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম তাদেরকে মেলা ঘুরিয়ে দেখান এবং বিভিন্ন পরিকল্পনার কথা জানান।
শুরু হলো সপ্তাহব্যাপী চাষীরহাট উন্নয়ন মেলা।
জাঁকজমকপূর্ণ উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী চাষীরহাট উন্নয়ন মেলা। আজ শুক্রবার বিকেল ৩টায় চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ মেলার উদ্বোধন করেন সোনাইমুড়ীর কৃতী সন্তান, চাষীরহাট ইউনিয়নের উন্নয়নের রূপকার চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের প্রধান উপদেষ্টা হোসাইন মোহাম্মদ সেলিম। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন চাষীরহাট উন্নয়ন পরিষদের আহ্বায়ক মো. মহিউদ্দিন। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সোনাইমুড়ী থানার অফিসার ইনচার্জ মো. বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী, কররানি ফুড লিমিটেডের সিইও কাজী জাহিদুল হক, সোনাইমুড়ী প্রেসক্লাবের সভাপতি খোরশেদ আলম, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক রাসেল চৌধুরী, ৪নং ওয়ার্ড মেম্বার আবুল কাশেম ভূইঞা, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক জুলফিকার আলি ভুট্টো, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাবেক সভাপতি ফখরুল ইসলাম, ২নং ওয়ার্ডের মেম্বর আলমগীর হোসেন, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন যুবলীগের সভাপতি ফয়সাল মিয়াজী মিলন, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন যুব লীগের সাধারণ সম্পাদক আহম্মদ উল্যাহ নান্টু, বিশিষ্ট সমাজ সেবক ও ব্যবসায়ী সিরাজুল ইসলাম, চাষীরহাট বন্ধুমহলের সভাপতি সাখাওয়াত হোসেন সজল, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন স্বেচ্ছাসেবক লীগের সাধারণ সম্পাদক ওসমান গনি, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন বিএনপির (বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী দল) সভাপতি নুর নবী, স্থানীয় ব্যবসায়ী আব্দুর রহিম, ৩নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম ভূইঞা, ৩নং চাষীরহাট ইউনিয়ন শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক ইমন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী আলমগীর হোসেন প্রমুখ।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নে প্রতি বছর শীতকালে এই ‘চাষীরহাট উন্নয়ন মেলা’ হয়ে থাকে। তারই ধারাবাহিকতায় এবারও শুরু হলো এই মেলা। নোয়াখালীর প্রবেশদ্বারে চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয় মাঠে এ মেলার আয়োজন করা হয়েছে। ইতোমধ্যেই এই মেলাটি চাষীরহাটের সর্বসাধারণের প্রাণের মেলায় পরিণত হয়েছে। প্রথম দিনই দেখা গেছে উপচে পড়া ভীড়। চাষীরহাট ইউনিয়নসহ দূর-দূরান্ত থেকেও বহু দর্শনার্থী এসে ভীড় করেছে মেলায়। নানা ধরনের পণ্যে সুসজ্জিত ৬০টি স্টল রয়েছে এবারের উন্নয়ন মেলায়। প্রতিবছর এই মেলার আয়োজন করে থাকে ‘চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্প’ নামে একটি প্রতিষ্ঠান, যারা সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাট ইউনিয়নকে একটি উন্নত, আধুনিক, প্রযুক্তিসুবিধাসম্পন্ন ডিজিটাল মডেল ইউনিয়ন হিসাবে প্রতিষ্ঠা করার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছে।
এই প্রকল্পের অধীনে শিক্ষা, স্বাস্থ্য, পরিবহন, আবাসন, গার্মেন্টস, মৎস্য, কৃষি, ক্ষুদ্রশিল্পসহ অর্ধশতাধিক উন্নয়ন প্রকল্প রয়েছে। এই প্রকল্পের নিজস্ব পণ্য প্রদর্শনীর জন্যই প্রতি বছর এই প্রদর্শনী মেলার আয়োজন করা হয়। তারই ধারাবাহিকতায় শুরু হতে যাচ্ছে এই মেলা। তবে এবার চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের নিজস্ব উৎপাদিত পণ্য প্রদর্শনীর পাশাপাশি এই মেলায় রয়েছে যশোরের বিখ্যাত খেজুরের গুড়, চাঁদপুরের ইলিশ, লক্ষ্মীপুরের নারিকেল, সুপারি, টাঙ্গাইলের চমচম, নাটোরের কাঁচাগোল্লা, বগুড়ার দধি, পাবনার ঘি, বরিশালের মুড়ি, চাঁপাইনবাবগঞ্জের কালাই রুটিসহ দেশের বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী ও বিক্ষাত পণ্য সামগ্রী। প্রতি বছরের ন্যায় এবারও মেলায় পাওয়া যাচ্ছে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের নিজস্ব প্রতিষ্ঠান মেকদাদ এন্ড মেহরাদ এগ্রো ফার্মের অর্গানিক উপায়ে উৎপাদিত গরুর গোশত, খাশির গোস্ত, দেশী হাঁস, মুরগি ও বিভিন্ন প্রজাতির দেশীয় মাছ। এছাড়াও মেকদাদ এন্ড মেহরাদ এগ্রোফার্মের উৎপাদিত দুধ, দুগ্ধজাত পণ্য, দধী, রসমালাইসহ হরেক রকমের মিষ্টিও পাওয়া যাচ্ছে। আরো পাওয়া যাচ্ছে কে আর ফ্যাশনের তৈরি প্রয়োজনীয় সব ধরনের পোশাক সামগ্রী। মেলায় রয়েছে নিজস্ব কৃষি প্রকল্পে উৎপাদিত শীতকালীন সকল প্রকার শাকসবজি ও ফলফলাদির সমাহার। ক্রেতা আকর্ষণ করতে মেলা উপলক্ষে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান তাদের বেশ কিছু পণ্যে দিচ্ছে বিশেষ মূল্য ছাড়। তবে মেলার সবচেয়ে বড় আকর্ষণ হলো শীতকালীন ঐতিহ্যবাহী পিঠা-পায়েশের সমাহার। চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের উদ্যোগে হারিয়ে যেতে বসা বাংলার ঐতিহ্যবাহী নানা ধরনের পিঠা পায়েস বাসায় উৎপাদন করে এখানে প্রদর্শন ও বিক্রয় করা হচ্ছে। এজন্য রয়েছে আলাদা পিঠা কর্নার। নিরাপত্তার ব্যাপারে মেলা আয়োজক কমিটি জানান, ‘মেলায় আগত দর্শনার্থীদের নিরাপত্তা নিশ্চিন্ত করতে পুরো মেলা জুড়ে রয়েছে সিসি ক্যামেরা, প্রশাসনের সহযোগিতার পাশাপাশি মেলার সার্বিক শৃঙ্খলা রক্ষায় নিয়োজিত থাকছে নিজস্ব ভলেন্টিয়ার বাহিনীর শতাধিক কর্মী।’ সন্ধ্যার পর থকে মেলায় ছিল সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান যেখানে হামদ, নাত, দেশাত্মবোধক গান, কবিতা ও শিশুশিল্পীদের নৃত্যসহ বেশ কিছু সাংস্কৃতিক আয়োজন দেখা যায়। মেলা কর্তৃপক্ষ জানায়, ‘মেলায় প্রতিদিন থাকবে দেশের সনামধন্য শিল্পীদের অংশগ্রহণে হামদ্, নাত, দেশাত্মবোধক, ভাটিয়ালি, ভাওয়াইয়া, জারি, সারি গান, সচেনতামূলক নাটিকা, কবিতা আবৃত্তি ইত্যাদির সমন্বয়ে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান।’ মেলায় অংশগ্রহণকারী স্টলমালিকদের সাথে কথা বলে জানা যায় তারা অতীত অভিজ্ঞতার আলোকে আশা করছেন ভালো বিক্রির।
গতবারের তুলনায় অধিক বেচা-কেনা হবে বলেও আশাবাদী তারা। সর্বপ্রকারের তৈরি পোশাক প্রস্তুত ও বিক্রয়কারী প্রতিষ্ঠান কে আর ফ্যাশনের স্টল পরিচালক মুনিরুজ্জামান বলেন, ‘আজ প্রথম দিনই ভালো ক্রেতা ও দর্শনার্থীর ভীড় হয়েছে, বেচা-বিক্রীও ভালোই হয়েছে। আশা করছি ক্রমান্বয়ে বিক্রী আরও বাড়বে। গতবারও বেশ ভালো বেচাকেনা হয়েছে। থ্রি-স্টার গার্মেন্টসের মালিক মশিউর রহমান বলেন, ‘মূলত আমাদের প্রতিষ্ঠানের পরিচিতির জন্য এই মেলাতে আমরা স্টল দিই। এজন্য আমরা অত্যন্ত সুলভ মূল্যে এখানে পণ্য বিক্রয় করি। গতবছরও আমরা বেশ ভালো সাড়া পেয়েছিলাম, এবারও ভালো হবেই বলেই আশাবাদী। এখন পর্যন্ত যথেষ্ট ক্রেতা আসছে।’ এই মেলার উদ্যোক্তা চাষীর হাট উন্নয়ন প্রকল্পের পরিচালক মো. মহি উদ্দীন বলেন, এটা মূলত চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের প্রদর্শনী মেলা। গত বছর আমরা তিনদিনব্যাপী মেলা করেছিলাম। কিন্তু জনসাধারণের ব্যাপক উৎসাহ, উদ্দীপনা ও চাহিদার কথা বিবেচনা করে এবারের মেলাটি আমরা সপ্তাহব্যাপী করার সিদ্ধান্ত নিই। আমাদের একটা অঙ্গীকার রয়েছে সাধারণ মানুষের সাথে খাঁটি পণ্য সরবরাহ করার। কাজেই আমাদের পণ্য তো বটেই যারা সারাদেশ থেকে বিভিন্ন অঞ্চলের ঐতিহ্যবাহী পণ্য বিক্রয় করবে তাদের পণ্যের মানও আমরা নিয়ন্ত্রণ করব। মানুষের এখন বিশ্বাস উঠে গেছে ভেজাল খেতে খেতে, আমরা মানুষের সেই বিশ্বাস ফিরিয়ে আনব ইনশাল্লাহ। আইন-শৃঙ্খলা পরিস্থিতির ব্যাপারে তিনি বলেন, মেলার শৃঙ্খলা নিয়ে আমরা সঙ্কিত নই, এলাকাবাসীও এটা জানে। আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীর পাশাপাশি আমাদের ভলেন্টিয়ার থাকবে পর্যাপ্ত।
পড়াশোনার পাশাপাশি বিভিন্ন কো-কারিকুলার এক্টিভিটিতেও চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সাফল্য
আরও একটি পুরস্কার যোগ হলো চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের সফলতার ঝুলিতে। সোনাইমুড়ী উপজেলা প্রশাসন কর্তৃক আয়োজিত ৪৫তম বিজ্ঞান মেলায় মাধ্যমিক পর্যায়ের বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপনে দ্বিতীয় স্থান অধিকার করেছে চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়।
জাতীয় বিজ্ঞান ও প্রযুক্তি সপ্তাহ উদযাপন উপলক্ষে গতকাল বুধবার দিনব্যাপী এ বিজ্ঞানমেলার আয়োজন করা হয়। সোনাইমুড়ী উপজেলার সকল মাধ্যমিক, উচ্চমাধ্যমিক ও আলিয়া মাদ্রাসা এ বিজ্ঞান মেলায় অংশগ্রহণ করে। ৮ম বিজ্ঞান অলিম্পিয়াড, বিজ্ঞান বিষয়ক কুইজ ও বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপন- এই তিনটি ক্যাটাগরিতে বিভিন্ন বিদ্যালয় অংশগ্রহণ করে। সেখানে দর্শনার্থীদের জন্য সবচেয়ে আকর্ষণীয় ইভেন্ট ছিল ‘বিজ্ঞানভিত্তিক প্রকল্প উপস্থাপন’। দর্শনার্থীরা ঘুরে ঘুরে প্রকল্পগুলো পরিদর্শন করেন ও এর বিবরণ জানেন।
বিজ্ঞান মেলা পরিদর্শন করেন উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান (ভারপ্রাপ্ত) মো. নিজাম উদ্দিন সুজন, উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন, উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা, উপজেলা কৃষি কর্মকর্তাসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রধান ও দায়িত্বশীল ব্যক্তিবর্গসহ জনসাধারণ।
চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয় ‘মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর স্বপ্নের স্মার্ট ভিলেজ’ প্রকল্পটি উপস্থাপন করেন। চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চবিদ্যালয়ের দশম শ্রেণির শিক্ষার্থী জীবন সরকারের নেতৃত্বে এ প্রকল্প উপস্থাপনে অংশগ্রহণ করে তাওসিফ রহমান, সুমাইয়া আক্তার, তানজিম জাহান ও সুম্মা খাতুন।
সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন বিদ্যালয়ের বিজ্ঞান বিভাগের শিক্ষক তুহিন মাহমুদ ও আমিনুল কবির। এই প্রকল্পে তারা এমন একটি বিজ্ঞানভিত্তিক স্মার্ট গ্রামের মডেল উপস্থাপন করেন যেখানে গ্রামে বসেই প্রতিটি নাগরিক সব ধরনের নাগরিক সুবিধা পেতে সক্ষম। শিক্ষা, স্বাস্থ্য, প্রযুক্তি, যোগাযোগ, বিনোদন, কর্মসংস্থান, বাজারব্যবস্থাপনা, কৃষি, বিশুদ্ধ প্রকৃতি নিয়ে কীভাবে একটি গ্রামকে আদর্শ গ্রাম হিসাবে গড়ে তোলা যায় এবং প্রতিটি ক্ষেত্রে কীভাবে বিজ্ঞান ও প্রযুক্তির ব্যবহার করে উন্নত জীবনযাপন নিশ্চিত করা যায় তা তুলে ধরে প্রকল্প উপস্থাপক তাওসিফ রহমান। তার উপস্থাপনায় মুগ্ধ হন উপজেলা নির্বাহী অফিসার, উপজেলা শিক্ষা অফিসার, উপজেলা কৃষি অফিসারসহ সকল দর্শনার্থীরা।
সারাদিন প্রদর্শনী শেষে বিকেলে পুরস্কার বিতরণী অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে এ অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘটে। চাষীরহাট নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়কে ক্রেস্ট ও সার্টিফিকেট প্রদান করেন সোনাইমুড়ী উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা কানিজ ফাতেমা ও উপজেলা শিক্ষা অফিসার মো. নাজিম উদ্দিন।
নোয়াখালী জেলার সোনাইমুড়ী উপজেলার চাষীরহাটে অবস্থিত এ বিদ্যালয়টি ২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়ে ইতোমধ্যে পড়ালেখা, খেলাধুলা, সাংস্কৃতিক কর্মকাণ্ড, নতুন শিক্ষাক্রমের যথাযথ অনুসরণ ও বিভিন্ন কো-কারিকুলার এক্টিভিটিতেও ঈর্ষণীয় সফলতা অর্জন করেছে। এরই সাথে যোগ হলো এই পুরস্কার।
চাষীরহাট উন্নয়ন পরিষদের উদ্যোগে নোয়াখালীর চাষীরহাট ইউনিয়নের নুরুল হক উচ্চ বিদ্যালয়ের মাঠে আগামী কাল থেকে শুরু হতে যাচ্ছে পণ্য প্রদর্শনী ও পিঠা উৎসব ২০২৪। মেলার স্টল স্থাপনের কাজ প্রায় শেষের দিকে। হেযবুত তওহীদের এমাম জনাব হোসাইন মোহাম্মদ সেলিমের উদ্যোগে এই মেলা অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে। এখানে চাষীরহাট উন্নয়ন প্রকল্পের ৪২টি প্রতিষ্ঠানের পণ্য ও সেবার প্রদর্শন হতে যাচ্ছে।
স্মার্ট ভিলেজ হচ্ছে স্মার্ট বাংলাদেশ গড়ে তোলার পূর্ব শর্ত। নিজ ইউনিয়ন চাষীরহাটকে উন্নতে গ্রামাঞ্চলের একটি মডেল হিসাবে গড়ে তোলার জন্য তিনি অক্লান্তভাবে পরিশ্রম করে যাচ্ছেন। প্রত্যন্ত গ্রামে এ জাতীয় বাণিজ্যমেলার আয়োজন বাংলাদেশে তাঁর হাত ধরেই শুরু হয়েছে। গত বছরের মেলাটি এলাকায় বিপুল প্রাণচাঞ্চল্য সৃষ্টি করতে সক্ষম হয়েছিল। এবারও তার ব্যতিক্রম হবে না ইনশাল্লাহ।
নানান আয়োজনের মধ্য দিয়ে নোয়াখালীতে পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান সম্পন্ন হয়েছে।
“সুস্থ দেহ সুস্থ মন, সমৃদ্ধ জাতি গঠন ” - এই স্লোগানে আজ সোমবার দিনব্যাপী নোয়াখালীর শহীদ ভুলু স্টেডিয়ামে এই বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। অনুষ্ঠানে নারী পুরুষ শিশু-কিশোরসহ সকল বয়সী মানুষের অংশগ্রহণে মুখরিত হয়ে উঠে পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রিড়া প্রতিযোগিতা ।
পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশন ও হেযবুত তওহীদের জেলা সভাপতি গোলাম কবিরের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নোয়াখালী জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল ওয়াদুদ পিন্টু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের বার্ষিক ক্রীড়া প্রতিযোগিতা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজক কমিটির প্রধান উপদেষ্টা ও হেযবুত তওহীদের কেন্দ্রীয় সমন্বয়কারী নিজাম উদ্দিন, আপন শিশু বিকাশ ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুলতানা রাজিয়া, পিনাকল স্পোর্টস অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক রিয়াল তালুকদার, অনুষ্ঠান আয়োজক কমিটির উপদেষ্টা এনামুল হক বাপ্পা, মাইজদী পৌর মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক হাসিনা চৌধুরীসহ আরো অনেকে।
অনুষ্ঠানে বক্তারা বলেন, ‘সমাজ থেকে খেলাধুলা ও সুস্থ সংস্কৃতির চর্চা কমে যাওয়ার কারণে আমাদের যুব সমাজ মাদক, জঙ্গিবাদ, সন্ত্রাস, সাম্প্রদায়িকতা, অপরাজনীতি ও ডিজিটাল ডিভাইস আসক্তিসহ বিভিন্ন অপকর্মে জড়িয়ে পড়ছে। তাই সুস্থ-সবল যুবসমাজ গঠনে এ ধরনের খেলাধুলা ও সুস্থ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের আয়োজন করতে হবে। এছাড়াও বর্তমান বিশ্ব পরিস্থিতি মোকাবেলায় যুব সমাজকে ঐক্যবদ্ধ রাখতে খেলাধুলার বিকল্প নেই ।’
ক্রিড়া প্রতিযোগিতার মধ্যে ছিলো ছেলেদের ৮০০ মিটার দৌড়, মোরগ লড়াই, চোখ বেঁধে পাতিল ভাঙ্গা, বস্তার মধ্যে পা রেখে দৌড় প্রতিযোগিতা, রশি টানা, কাবাডি খেলা, ফুটবল প্রতিযোগিতা; অপরদিকে মেয়েদের অংশগ্রহণে বালিশ খেলা, শিশুদের জন্য ১০০ মিটার দৌড়, বিস্কুট দৌড়, অংক দৌড়সহ প্রায় তিরিশটি প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। এছাড়াও কবিতা আবৃত্তিসহ বিভিন্ন সাংস্কৃতিক প্রতিযোগিতাও অনুষ্ঠিত হয়।
দিনব্যাপী খেলাধুলা শেষে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানের মধ্য দিয়ে বিজয়ীদের হাতে পুরষ্কার তুলে দেন অনুষ্ঠানে আগত অতিথিবৃন্দ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the business
Website
Address
Dhaka
Uttara
1230
Uttara
Uttara, 1230
Fashion, Portrait, Wedding, Campaign, E-Commerce, Advertisement photography
House 4, Road 1, Sector 10
Uttara
For Photography & Cinematography Service, Please Contact Us: +8801815640040/+8801798050333