Bamalipur Nigamananda GuruDham - বনমালীপুর নিগমানন্দ গুরুধাম
Swami Nigamananda Paramhansha Dev, Banamalipur, Kanthi, Purba Medinipur, W.B
আজ পূর্ব মেদিনীপুর জেলার অন্তর্গত "বলাগেড়িয়া নিগমানন্দ সারস্বত সংঘের দশম বার্ষিক উৎসব" উপলক্ষ্যে বলাগেড়িয়া নিগমানন্দ সারস্বত সংঘের পরিচালনায় এবং পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিগমানন্দ যুব সংঘের সহযোগিতায় দুঃস্থ মায়েদের বস্ত্রদান করা হয় ।
মোট 20জন মা কে বস্ত্র দান করা হয় ।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন - আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠের জেলা সদস্য শ্রদ্বেয় অসীম কুমার পন্ডা, হরেকৃষ্ণ মাইতি, শ্রী গুরুমন্দির কমিটির কোষাধ্যক্ষ শ্রদ্বেয় স্বদেশ দাস মহোদয়। সম্পূর্ন অনুষ্ঠানটি সভাপতিত্ব করেন জেলাসদস্য ও জেলা যুব সংঘের পর্যবেক্ষক শ্রদ্ধেয় অমল কুমার ভূঁইয়া মহোদয়। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন পূর্ব মেদিনীপুর নিগমানন্দ যুব সংঘের সদস্যবৃন্দ।।
বনমালীপুর শ্রীগুরু মন্দিরে ভক্তবৃন্দরা দোল উৎসব পালন করেন।
ঠাকুরের হোম যোগ্য
আনন্দসভা
৪৫তম আনন্দ নগর বিভাগীয় ভক্ত সম্মিলনী -২০২৪::স্থান -রামনগর রাও স্কুল মাঠ
আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠের পরিচালনায় বিভাগীয় ভক্ত সম্মেলনীর শুভ উদ্বোধন হল রামনগর রাও স্কুলের প্রাঙ্গণে।
সবারে জানাই আহ্বান।
ঠাকুর মহারাজের দেহত্যাগের প্রায় ৬ বছর পর স্বামী জ্ঞানানন্দ সরস্বতী মহারাজ বাংলার ১৩৪৭ সাল(১৯৪১ খ্রিঃ)ভারতের ওড়িষ্যা রাজ্যের বালেশ্বর জেলার কৃষ্ণপুরে জন্মগ্রহন করেন।তার বাল্যনাম অনাদিনন্দ নন্দন। পিতা দিগম্বর নন্দ মাতা ক্ষেত্রমনি দেবী।বাল্যেই তিনি পিতৃমাতৃহারা হোন।১৯৭০ সালে শ্রীরামচন্দ্র ভন্জ মেডিকেল কলেজ থেকে MBBS উত্তীর্ণ হোন।১৯৭৫ সালে স্বামী পূর্ণানন্দ সরস্বতী মহারাজের কাছে দীক্ষা নেন।পরে চিকিৎসকতা পেশা শুরু করেন।তার স্ত্রী প্রণতি দেবী ।তিনি ১৯৮৩ সালে গৃহত্যাগ করেন এবং পূরীতে সন্ন্যাস নেন।সাধন ভজন সমাপ্ত করে ১৯৮৮ সালে আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠে (হালিসহর পশ্চিমবঙ্গ) যোগদান করেন।তিনি বাংলা, ইংরেজি, সংস্কৃত, ওড়িয়া, হিন্দি ও একাধিক ভাষায় দক্ষ ছিলেন এবং অসংখ্য গ্রন্থ রচনা করেছেন।সারস্বত মঠের পক্ষ হতে একটি শ্রীমদ্ভগবতগীতা ও প্রকাশ করেছেন আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠের সপ্তম মোহন্ত শ্রীমৎ সিদ্ধানন্দ সরস্বতী মহারাজ তার পরবর্তী প্রতিনিধি ও মোহন্ত হিসেবে স্বামী জ্ঞানানন্দ সরস্বতী মহারাজকে নির্বাচন করেন।জ্ঞানানন্দ মহারাজ এত বড় গুরুদায়িত্ব নিতে রাজি না হয়ে মঠ ত্যাগ করেন।তিনি দায়িত্ব ননা নিলে সিদ্ধানন্দ মহারাজ খাবার গ্রহন না করার অঙ্গীকার করেন। এ কথা জানতে পেরে জ্ঞানানন্দ স্বামীজি ব্যাথিত হোন।মঠে ফিরে এসে সিদ্ধানন্দ মহারাজের(৭ম মোহন্ত) উপবাস ভঙ্গ করেন ও অষ্টম মোহন্ত হিসেবে দায়িত্ব গ্রহন করেন।তিনিই প্রথম মা সুধাংশুবালা বিগ্রহ সন্মুখে আনেন।ভক্ত শিষ্যদের মধ্যে বাধা বিঘ্ন এলেই জয়গুরু জয়মা স্মরণ করতে বলেন। ।তার সমস্ত সম্পত্তি সুধাংশুবালা মহিলা যোগাশ্রমে দান করেন।যেসকল মেয়ে ও মায়েরা ব্রহ্মচারীনি জীবন কাটাতে চান তাদের জন্য ঠাকুরের অপূর্ণ ইচ্ছাকে বাস্তবে রুপ দেন। তার সহধর্মিণী ও দুই মেয়ে সেই সুধাংশুবালা মহিলা যোগাশ্রম পরিচালনায় সাহায্য করছেন।জীবিতাবস্থায় পরবর্তী নবম মোহন্ত শ্রীমৎ স্বামী ব্রজেশানন্দ সরস্বতী মহারাজের নাম ঘোষনা করেন।জ্ঞানানন্দ সরস্বতী মহারাজ সন্ন্যাসী হিসেবে শঙ্করাচার্যের চারিধাম পরিক্রমাও সমাপ্ত করেছেন।তার নিরলস পরিশ্রম বাংলাদেশ ভারতের মঠ আশ্রমসমুহের বিপুল উন্নতি হয়েছে যা পূর্বে এতটা হয়নি।তিনি দীর্ঘ ৩০ বছর মোহন্ত পদে ছিলেন।ভক্ত ভগবানের মিলনের সেই গুহ্যতর ইষ্টমন্ত্র কর্ণে প্রদান করেছেন।বাংলাদেশ ও ভারতে লাখ লাখ ভক্তশিষ্যের একমাত্র দীক্ষাচার্য তিনি।তার মহাপ্রয়াণে সারস্বত মঠ আশ্রমসমুহের সমুহ ক্ষতি হইলো।
উপলব্ধির চেয়ে উপলব্ধির ফল যাতে বিকাশ হবে, সেই শ্রেষ্ঠ৷
উপলব্ধির ফল , (১) আমিত্বের প্রসার৷নিজের জন্য কোন ভাবনা নাই, স্বার্থপরতা বা কোন প্রকার সংকীর্ণতা নাই৷আমার সুখ নাই, আমার দুঃখ নাই, বিশ্বময় আমিই ব্যাপ্ত হয়ে আছি ইত্যাদি ৷
(২) জীবের সেবা ৷আমার আমিত্ব বিশ্বময় ছড়িয়ে পড়লে সকলেই আমার প্রিয়, সকলেই আমার প্রেমের পাত্র ৷সুতরাং আপনা ভুলে শিব-জ্ঞানে যে জীবকে সেবা করতে পারে , সেই শ্রেষ্ঠ ৷
যতদিন এই দুই ভাবের বিকাশ না হবে, ততদিন হাজার দর্শন বা উপলব্ধি হোক, তবুও তাকে উন্নত মনে করতে পারি না ৷আর যার কোন অলৌকিক দর্শন না হয়ে এই দুইটি ভাবের বিকাশ হয়েছে দেখবে, তাকে উন্নত বলে গ্রহণ করবে ৷
------ স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসদেব ৷
ব্রহ্মবিদবরিষ্ঠ সদগুরু পরমহংস পরিব্রাজাচার্য্য শ্রী ১০৮ স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতীদেব প্রতিষ্ঠিত আসাম- বঙ্গীয় সারস্বত মঠ ও ট্রাষ্টবোর্ডের প্রাক্তন সভাপতি ও অষ্টম মোহান্ত , নিগমানন্দ মিশনের প্রাক্তন সভাপতি ,বেদান্তমূর্তি পরম পূজ্যপাদ শ্রীমৎ স্বামী জ্ঞানানন্দ সরস্বতী মহারাজের ৮৩তম পূণ্য আবির্ভাব তিথিতে প্রণাম ও শ্রদ্ধা জানাই।
সকলের মঙ্গল কর গুরুদেব।🙏🌷🙏
#জয়গুরু
#পরমহংসদেব
🙏🌺🙏শ্রী শ্রী ঠাকুর মহারাজের রাতুল চরণে জানাই আমার শতকোটি প্রণাম। সকলের মঙ্গল কর ঠাকুর। জয়গুরু জয়গুরু জয় মা।🙏🙏🙏
তোরা শুধু একটু ভালোবাস আমায়।
💦জয়গুরু জয় মা💦
আত্মজ্ঞানে কিম্বা নারায়ণজ্ঞানে যথাসাধ্য জীবের সেবা করিও, পরের উপকার করিতে কুণ্ঠিত হইও না। এ প্রত্যক্ষ ধর্ম ত্যাগ করিলে আধ্যাত্মিক শক্তি লাভ হয় না। নামজপ ও জীবসেবাই কলির যুগধর্ম।
শঙ্করাচার্যের বাল্যকাল থেকে সন্ন্যাস গ্রহণ পর্যন্ত সংক্ষিপ্ত অংশ।
একদিন মার সঙ্গে আলোয়াই নদীতে স্নান করতে গিয়েছিলেন শঙ্কর। জলে নেমে স্নান করার সময়
একটি কুমীর তাঁকে তাড়া করে তাঁর মার সামনে। নদীর জলে সাঁতার কেটে ছোটাছুটি করে বেড়াতে লাগলেন শঙ্কর আর কুমীরটা তাঁকে তাড়া করে বেড়াতে থাকে।
নদীর মধ্যে ছোট একটা চড়া ছিল। ক্লান্ত হয়ে সময় সময় তার উপর উঠে দাঁড়ালেন শঙ্কর।
কিন্তু কুমীরটা সেখানেও তেড়ে গেল। তিনি চীৎকার করে মাকে বলতে লাগলেন, মা, আমার মৃত্যু এবার আসন্ন। আমাকে সন্ন্যাস নেবার অনুমতি দাও। তা না হলে আমার মুক্তি হবে না। তোমার অনুমতি পেলে সন্ন্যাস নিই আমি।
মা তখন অনিচ্ছা সত্ত্বেও সন্ন্যাস নেবার অনুমতি দিলেন শঙ্করকে। অনুমতি দিয়েই মূর্ছিত হয়ে পড়লেন নদীর পারে।
এদিকে গোলমাল শুনে কয়েকজন জেলে
বর্শা নিয়ে ছুটে এসে কুমীরটাকে মেরে ফেলে। এইভাবে ভগবানের দয়ায় বেঁচে যান শঙ্কর। জ্ঞান ফিরে পেয়ে বিশিষ্টা দেবী পুত্রকে বিপদ থেকে মুক্ত ও অক্ষতদেহ দেখে হাঁপ ছেড়ে বাঁচলেন। কিন্তু এদিকে এক নতুন বিপদ দেখা দিল। শঙ্কর মাকে বললেন, তিনি আর বাড়িতে বাস করবেন না। তিনি যখন সন্ন্যাস নিয়েছেন তখন আর কোন উপায় নেই। এবার আনুষ্ঠানিক ক্রিয়াকর্ম যা করার তা করে বাইরের জীবনেও সন্ন্যাস নিয়ে চলে যেতে হবে। বিপদে পড়ে একবার যখন আমি সন্ন্যাস নিয়ে ফেলেছি তখন আর আমি মিথ্যাচারী হয়ে নরকে যেতে পারি না। সুতরাং তুমি যদি সত্যি সত্যিই আমার মঙ্গল চাও তাহলে এ কাজে আমায় বাধা দিও না মা মা।
মা কাঁদতে কাঁদতে বললেন, আমি তখন তোকে সন্ন্যাস নিতে বলেছিলাম, সে শুধু কথার কথা, অন্তরের কথা নয়। তাছাড়া তুই এখন ছেলেমানুষ, সন্ন্যাস জীবনের এত কষ্ট কি করে সহ্য করবি?
শঙ্কর বললেন, যিনি আমায় কুমীরের আক্রমণ থেকে বাঁচিয়েছেন তিনিই আমায় রক্ষা করে চলবেন মা। তুমি সেই ভগবানের হাতেই আমাকে
সঁপে দাও।
মা আবার বললেন, কিন্তু তুই চলে গেলে বৃদ্ধ বয়সে কে আমায় দেখবে? কে আমায় অন্নজল দেবে? মৃত্যুর পর কে আমার মুখে আগুন দেবে? কি করে আমার মুক্তি হবে?
শঙ্কর তখন তাঁর জ্ঞাতিদের ডেকে বললেন, আমার দু চার বিঘা যে জমি জায়গা আছে তা আপনাদের দান করছি। আমি এর বিনিময়ে কিছুই চাই না। শুধু কথা দিন আপনারা আমার মার ভরণপোষণের দায়িত্ব নেবেন।
জ্ঞাতিরা সকলে শঙ্করকে ভালোবাসত। তারা আন্তরিকতার সঙ্গে কথা দিল। তারা বিশিষ্টা দেবীর ভরণপোষণের দায়িত্ব গ্রহণ করল। তিনি যতদিন বাঁচবেন তার ভরণপোষণের কোন অভাব বা অসুবিধা হবে না।
আচার্য শঙ্কর একটা বিষয় নিশ্চিন্ত হয়ে মাকে বললেন, আমি কথা দিচ্ছি মা, আমি সন্ন্যাস নিয়ে যেখানেই থাকি তোমার মৃত্যুকাল উপস্থিত হলে আমি ঠিক সময় চলে আসব। তোমার শেষকৃত্য ও পারলৌকিক ক্রিয়াকর্ম ঠিকমত সম্পন্ন করব।
মা তখন নিজের হাতে সন্ন্যাস গ্রহণের আগে যে অনুষ্ঠান করা হয় তার ব্যবস্থা করে দিলেন।
শঙ্কর সব কিছু জানতেন। তিনি নিজেই নিজের শ্রাদ্ধাদি ও বিরজা হোম সম্পন্ন করলেন। তারপর
মস্তক মুণ্ডিত করে নর্মদা নদীর দিকে রওনা হয়ে পড়লেন।
পরিব্রাজন করতে করতে একদিন তুঙ্গভদ্রার তীরে এসে উপনীত হলেন আচার্য শঙ্কর। তুঙ্গভদ্রা নদীর তীরে কদম্ববন নামে এক অরণপ্রদেশে প্রবেশ করলেন তিনি। তখন ভরা দুপুর। একে পথশ্রমে ক্লান্ত তার উপর সূর্যের তেজ বড় প্রখর।
শঙ্কর তাই বিশ্রামের জন্য নদীর ধারে একটি গাছের ছায়াতলে বসলেন। সহসা একটি অদ্ভুত দৃশ্য দেখে আশ্চর্য হয়ে গেলেন তিনি। নদীর জল হতে একদল ব্যাঙের ছানা লাফাতে লাফাতে নদীর পারে পাথরের উপরে উঠে বসল। কিন্তু রোদের তাপে পাথরটা গরম হয়ে যাওয়ায় বসতে পারছিল না। তাই তারা আবার নদীর জলে ফিরে যাবার জন্য উদ্যত হয়ে উঠল।
এমন সময় কোথা হতে এক বিরাট একটি সাপ এসে তার চওড়া ফণাটি বিস্তার করে ব্যাঙের ছানাগুলিকে ছায়াদান করতে লাগল। হিংসা ত দূরের কথা, সাপটি মার মত পরম স্নেহভরে ছায়াদান করে যেতে লাগল। ছানাগুলিও সাপ দেখে কোনরূপ ভয় করল না। যে সাপ ও ব্যাঙের মধ্যে চিরকাল এক খাদ্যখাদকের তিক্ত সম্পর্ক সেই সাপ ও ব্যাঙের মধ্যে কি করে এমন মধুর স্নেহ ভালবাসার সম্পর্ক প্রতিষ্ঠিত হতে পারে তা ভেবে পেলেন না শঙ্কর।
তিনি বুঝতে পারলেন নিশ্চয় এখানে কোন মহাতপস্বী আছেন নিকটেই যার তপোপ্রভাবে সাপ তার হিংসাভাব পরিত্যাগ করেছে। চারিদিকে চোখ মেলে তাকিয়ে তিনি দেখলেন কদম্বগিরির গায়ে এক সাধুর কুটির রয়েছে।
সেই কুটির লক্ষ্য করে তিনি ধীরে ধীরে উঠে গেলেন পাহাড়ের উপরে। গিয়ে দেখলেন এক বৃদ্ধ তপস্বী সেই কুটিরে থেকে সাধন ভজন ও তপস্যাকার্য করেন। তপস্বী বললেন, পুরাকালে এই স্থানেই ছিল মহামুনি ঋষ্যশৃঙ্গের আশ্রম।
শঙ্কর এবার বুঝতে পারলেন এই অঞ্চলের সাপ কেন তার স্বাভাবিক হিংসা ও খলতার ভাব ত্যাগ করেছে।
এই মনোরম নির্জন ও অরণ্যসংকুল পার্বত্য প্রদেশে এক আশ্রম প্রতিষ্ঠার বাসনা জাগে আচার্য শঙ্করের মনে। পরবর্তীকালে এই ইচ্ছা পূরণ করেন তিনি এবং তার ফলে গড়ে ওঠে বিখ্যাত শৃঙ্গেরী মঠ।
পাহাড় হতে নেমে এসে আবার যাত্রা শুরু করেন শঙ্কর।
দুই মাস ক্রমাগত কত পথ চলতে চলতে পুরাণপ্রসিদ্ধ মাহিষ্মতী নগর পার হয়ে উপস্থিত হন ওঙ্কারনাথের দ্বীপশৈলে। এই পাহাড়েই একদিন সৌভাগ্যক্রমে তিনি দেখতে পান মহাযোগী গোবিন্দপাদের।
এই ওঙ্কারনাথ পাহাড়টি নর্মদার স্রোতধারাকে দুভাগে বিভক্ত করে মাঝখানে দাঁড়িয়ে আছে।
পুরাণে এই পাহাড়কেই বলা হয়েছে বৈদুর্যমণি পর্বত। পুরাকালে একসময় ভক্তবীর মান্ধাতার রাজধানী ছিল এই পাহাড়ে। ওঙ্কারনাথ, মহাকাল প্রভৃতি জাগ্রত লিঙ্গগুলি যুগ যুগ ধরে বিরাজ করছে এই পাহাড়ের কোলে। আজও ভারতের দূর-দূরান্ত হতে অগণিত তীর্থ-যাত্রীর সমাগম হয় এই সব জাগ্রত শিবলিঙ্গ দর্শনের জন্য।
এই ওঙ্কারনাথ পাহাড়ে এসে হঠাৎ জঙ্গলে ঢাকা এক সংকীর্ণ গুহার মুখ দেখতে পেলেন শঙ্কর। গুহার মুখে প্রবেশ করে থমকে দাঁড়িয়ে পড়লেন তিনি। দেখলেন, ভিতরে এক প্রশস্থ সুড়ঙ্গপথ সামনে প্রসারিত হয়ে আছে। কয়েকজন জটাজুটধারী প্রবীণ সন্ন্যাসী ধ্যানস্থ হয়ে আছেন। গুহাটি একেবারে অন্ধকার নয়। বাইরে থেকে আসা স্বল্প আলোয় মোটের উপর ভিতরটা দেখা যায়।
যে কয়েকজন সন্ন্যাসী ভ্যান করছিলেন তাঁদের মধ্যে সবচেয়ে প্রবীণ তপস্বীর কাছে গিয়ে শঙ্কর
সাষ্টাঙ্গ প্রণাম করে তাঁকে বললেন, প্রভু, আমায় ক্ষমা করবেন। আমি মহাযোগী গোবিন্দপাদের দর্শনাভিলাসী। তিনি তাঁর করুণা চাই। বহুদূর থেকে এই অভিলাষ নিয়ে এসেছি। কৃপা করে তাঁর সন্ধান বলে দিয়ে আমার প্রাণ রক্ষা করুন। কিছুক্ষণ পরে মৌন সাধক চক্ষু উন্মীলন করে তাকালেন শঙ্করের মুখপানে। দেখলেন, এক বালক নতজানু হয়ে বারবার সেই একই প্রার্থনা করছে কাতরভাবে। তার চোখ দিয়ে সমানে বেয়ে গড়িয়ে পড়ছে অবিরল জলের ধারা।
বালকের এই সকাতর প্রার্থনায় বিচলিত হলো সাধকের অন্তর। তিনি হাত তুলে অভয় দিলেন শঙ্করকে।
পাথরে পাথরে ঘষে আগুন জ্বেলে সেই আগুনে প্রদীপ জ্বালালেন সাধক। তারপর সেই প্রদীপটি হাতে তুলে দিয়ে বললেন, আমাকে অনুসরণ করো।
সেই গিরিগুহার শেষপ্রান্তে একটি গর্ভগুহা ছিল। সেই গর্ভগুহার মুখটি একটি বড় পাথর দিয়ে বন্ধ করা ছিল। সেখানে গিয়ে থামলেন প্রবীণ সাধক। বললেন, এই গুহার মধ্যেই মহাযোগী গোবিন্দপাদ সমাধিস্থ অবস্থায় আছেন। সাধনার দ্বারা যাদের সূক্ষ্ম অন্তর্দৃষ্টি খুলেছে, যারা আত্মজ্ঞান লাভ করেছে তারাই তাঁর কৃপালাভ করে। দীর্ঘকাল ধরে আমরা এখানে সাধনা করে চলেছি তাঁর কৃপালাভের আশায়। কিন্তু আজও তাঁর কৃপালাভ করতে পারিনি। কবে যে এই মহাযোগী সমাধি হতে জাগবেন তা কেউ জানে না। তোমার যা কিছু জানাবার এখান থেকেই জানাও।
শঙ্কর তেমনি কাতরভাবে বললেন, প্রভু, আমি যে যোগীরাজ গোবিন্দপাদ দর্শন করার অভিলাষেই এসেছি। তাঁর আশ্রয় না পাওয়া পর্যন্ত শান্তি পাব না আমি।
সাধক বললেন, বৎস, বুঝেছি তুমি মহাভাগ্যবান। তাই এই বয়সেই তোমার মধ্যে জেগেছে এই আধ্যাত্মিক আর্তি। তুমি শক্তিধর। এই পাথরটি সরিয়ে গুহাদ্বার মুক্ত করে তোমার প্রার্থনা জানাও।
অর্জিত তেজ ও আত্মপ্রত্যয়ে উদ্দীপিত হয়ে শঙ্কর হাত দিয়ে পাথরটি সরাবার চেষ্টা করতে লাগলেন। এদিকে তখন অন্যান্য সাধকদের ধ্যান ভেঙ্গে গেছে। তাঁরাও সবাই এসে পাথরটিতে হাত দিলেন। তখন সকলের সম্মিলিত চেষ্টায় পাথর সরে গেল। গুহাদ্বার উন্মুক্ত হলো।
প্রদীপের আলোয় দেখা গেল, মহাযোগীর চক্ষুদুটি ধ্যাননিমীলিত রয়েছে তখনো। এই অলৌকিক জ্যোতির আভায় উজ্জ্বল দেখাচ্ছে তাঁর তপোসিদ্ধ দেহখানি। সে দেহে প্রাণের স্পন্দন না থাকলেও মৃত্যুকে অতিক্রম করে আত্মজ্ঞানের সুউচ্চ স্তরে উন্নীত হয়ে সমাসীন হয়ে আছেন হয়ে আছেন তিনি।
বালক শঙ্কর তখন মহাযোগীর স্তব করতে লাগলেন একমনে। তাঁর স্তবগান শুনে আশ্চর্য হয়ে গেলেন সাধকেরা। তাঁরা বুঝলেন, এ বালক নিশ্চয় দৈববলে বলীয়ান, তা না হলে সমাধিস্থ গোবিন্দপাদের মত মহাযোগীর সামনে দাঁড়িয়ে এমন নির্ভীকভাবে স্তবগান করতে সাহস করত না। অথবা এ হয়ত যোগীরাজের লীলা, তাই তিনি হয়ত তাঁর চিহ্নিত শিষ্যকে আকর্ষণ করে এনেছেন তাঁর কাছে।
যোগীরাজ বালক শঙ্করের স্তবে তুষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে চোখ মেলে তাকালেন। মুমুক্ষূ বালককে অভয় ও আশ্রয় দিলেন তখনি।
এরপর গোবিন্দপাদের আদেশে হিমালয়ের কোলে বদরিকাশ্রমে বেদান্তভাষ্য রচনায় ব্রতী হন শঙ্কর। নূতন ব্যাখ্যার মধ্য দিয়ে করেন অদ্বৈত বেদান্তের প্রাণ প্রতিষ্ঠা। তখন তাঁর বয়স মাত্র ষোল বছর।
এই নবীন আচার্যের কাছে অনেক শক্তিধর পণ্ডিত সাধক এসে শিষ্যত্ব গ্রহণ করেন।
এই সব সুযোগ্য শিষ্যদের সঙ্গে নিয়ে
হিমালয় হতে কন্যাকুমারিকা পর্যন্ত সমস্ত ভারত জয় করে বেড়ান যুগাচার্য শঙ্কর।
কিন্তু বদরিকাশ্রমে থেকে বেদান্তভাষ্য রচনা করতে যাবার আগে গোবিন্দপাদের কাছে তিন বছর ধরে কঠোর তপস্যা করে যান শঙ্কর। এই তিন বছরের মধ্যেই অসামান্য যোগসিদ্ধি ও তত্ত্বজ্ঞান আয়ত্ত করে ফেলেন তিনি।
গোবিন্দপাদের গিরিগুহায় আচার্য শঙ্কর থাকাকালে তাঁর কতকগুলি আশ্চর্য যোগ বিভূতির লীলা প্রকাশিত হয়।
জয়গুরু🙏🙏
রক্তদান মহৎ দান।
সবাই করুন রক্তদান।
পূর্ব মেদিনীপুর জেলা নিগমানন্দ যুব সংঘের উদ্যোগে এবং আলামপুর নিগামসুধা সারস্বত সংঘের পরিচালনায় মারিশদা থানার আলামপুর ভেকটিয়া মোড় সংলগ্ন স্ট্যান্ড এ একটি রক্তদান শিবিরের আয়োজন করা হয়। এই শিবিরে মোট 48 জন রক্তদাতা রক্তদান করে এই মহান সেবায় ব্রতী হয়েছিলেন।
উক্ত অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন - আসাম বঙ্গীয় সারস্বত মঠের জেলা সদস্য ও জেলা যুব সংঘের পর্যবেক্ষক অমল কুমার ভুঁইয়া, জেলা যুব সম্পাদক শুভঙ্কর মাইতি ও কোষাধ্যক্ষ সুমন দাস সহ নিগম সুধা সারস্বত সংঘের সদস্য বৃন্দ।
সমস্ত রক্তদাতাকে যুব সংঘের পক্ষ থেকে আন্তরিক অভিনন্দন জানানো হয়।
আরাধ্য শ্রী শ্রী ঠাকুর নিগমানন্দ পরমহংসদেবের লীলা ক্ষেত্রের জমি ক্রয়ের জন্য অর্থ সংগ্রহে মনমালিপুর গুরুধামের ট্রাষ্টি মাননীয় ইন্দুভূষণ কর মহোদয়।
প্রেমের ঠাকুর নিগমানন্দ দেবের জমি কেনার জন্য, মহন্ত মহারাজ জমি পদর্শন করলেন।
🌸জয়গুরু🌸
আমি শুধু এই ভিক্ষা করছি-- তোমরা মানুষ হও। আমি তোমাদের কাছে মনুষ্যত্ব, দেবত্ব, ঈশ্বরত্ব, ব্রহ্মত্বের ভিখারী! তোমরা মানুষ হও, দেবতা হও, ঈশ্বর হও, ব্রহ্ম হও, এই আমার আশা এবং আশীর্বাদ।
🌸জয়গুরু 🌸
" ভগবানের ইচ্ছা ব্যতীত পাতাটীও নড়ে না, পলকটীও পড়ে না। সুতরাং তাঁহার মঙ্গল বিধানে যাহা হইয়াছে, তজ্জন্য অনুশোচনা মূঢ়ের কার্য্য " -এরই প্রবক্তা ইহকাল-পরকালের সাথী পরম করুণাময় শ্রীশ্রীঠাকুর মহারাজ।
পুষ্পমাল্যদ্বারা সুসজ্জিত স্নিগ্ধ সুমধুর বেশে হালিসহর মহাসমাধিপীঠে।
(নিগম-বাণী, নিত্য সত্য, নং ৩৪)
স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসই ভারতবর্ষেরর একমাত্র ব্যাতিক্রমী মহাসাধক/মহাযোগী যিনি মা তারাকে তার পরলোক গতা স্ত্রী রূপে দর্শন লাভ করেছিলেন,এছাড়া তিনিই একমাত্র মা তারার বধূবীজ প্রাপ্ত হয়েছেন(সেই বীজমন্ত্র বামদেব ছাড়া অন্য কারও পক্ষে উদঘাটন সম্ভবপর ছিলো না)
শ্রী শ্রী নিগমানন্দ পরমহংস উপমহাদেশের একমাত্র সাধক যে, মাত্র ১ রাত তারা সাধনা করে তিনি মা তারাকে পেয়েছিলেন(যেখানে তারা সাধনাই সকল সাধনার মধ্যে সবচেয়ে কঠিন ও দুর্বোধ্য সাধনা)।অনেকের যেখানে একটি পথে সিদ্ধি লাভ করতেই শত শত বছর লেগে যায় সেখানে স্বামী নিগমানন্দ সরস্বতী তারা সাধনার পরে আরও তিনটি সাধন পথে সিদ্ধি লাভ করেছেন(জ্ঞান,যোগ,ভক্তি)।স্বামী নিগমানন্দ ছাড়া ভারতবর্ষে তেমন চর্তুমার্গীয় সিদ্ধ সাধক দেখা যায় না।অতএব সাধক হিসেবে স্বামী নিগমানন্দ পরমহংসের মত ব্যাতিক্রমি সাধক বিরল।
(বধূবীজ-বৃহৎতন্ত্রসার-তারাপ্রকরণং-পৃষ্ঠা-৪০৭-৪০৮)
--- ভগবান সর্বত্র। সুতরাং জীবজগতের সেবাই ধর্ম। ---- ঠাকুর মহারাজের এই বাণী অনুযায়ী আমাদের মহান্ কর্তব্য জীব সেবা।
দুর্লভ দর্শন
শ্রীশ্রীঠাকুর মহারাজের সাক্ষাৎ মন্ত্রশিষ্য সন্ন্যাসীকুমার আঢ্যের (বর্তমান চপলকুমার আঢ্যের দাদার বাড়ীতে) বাড়ী হুগলী রাজহাটীতে কাঁচের বাক্সে সভক্তিযত্নে সংরক্ষিত অতীব স্বপ্নাতীত দুর্লভ দর্শন
পরম করুণাময় শ্রীশ্রীঠাকুর মহারাজের ব্যবহৃত পবিত্র শ্রীপাদুকাযুগল।
দুর্লভ দর্শন
जयगुरुः জয়গুরু
শ্রীশ্রীঠাকুর মহারাজের সাক্ষাৎ মন্ত্রশিষ্য সন্ন্যাসীকুমার আঢ্যের (বর্তমান চপলকুমার আঢ্যের বাড়ীতে) বাড়ী হুগলী রাজহাটীতে কাঁচের বাক্সে সভক্তিযত্নে সংরক্ষিত অতীব স্বপ্নাতীত দুর্লভ দর্শন
পরম করুণাময় শ্রীশ্রীঠাকুর মহারাজের পবিত্র জটা, পবিত্র নখ এবং পবিত্র রুদ্রাক্ষ মালার অংশবিশেষ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Contai
721401
Marishda Bahiri Road
Contai, 721449
Hindu temple (Shivalaya Temple)
Contai, 721450
Community Organisation is one of the primary methods of social work. It deals with intervention in t