MountainGypsy
Nearby travel agencies
KOLKATA 743270
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
Pailan 7000104
KOLKATA
kolkata, KOLKATA
KOLKATA 700011
KOLKATA
KOLKATA, KOLKATA
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
KOLKATA 700011
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from MountainGypsy, Eco tour agency, KOLKATA.
অসাধারণ ভাবে মাউন্টেন জিপসি শেষ করল তার ৩০ নম্বর ট্রিপ ,অপূর্ব অভিজ্ঞতা অসাধারণ ফুলের বর্ণে মন ভরে গেল.. The land of Rhododendron......
ভরা বর্ষায় সবচেয়ে সুন্দর লাগে উত্তর-পূর্ব ভারত আর উত্তর-পূর্ব ভারতে অন্যতম সুন্দর রাজ্য মেঘালয়া, মেঘ আর কুয়াশার দেশ ঝরনার আলিঙ্গনে ভেসে যায় এপার ওপার। কেউ বলে মেঘের দেশ কেউ বলে গুহার দেশ কেউ বলে ঝরনার দেশ ।
সেই মেঘ বৃষ্টির দেশ মেঘালয়া তে আবার পাড়ি দিতে চলেছে মাউন্টেন জিপসি ,অগাস্ট ২০২৪ ,সাথে আছে অসাধারণ কিছু এডভেঞ্চার মিশ্রিত মনসুন হাইকিং তাই যারা যারা যেতে চাও তাড়াতাড়ি জানাও আর মাত্র চারটি সিট বাকি আছে।
আজ বইমেলায় কাটলো আমার জীবনের এক শ্রেষ্ঠ মুহূর্ত যখন পাশে দাঁড়িয়ে বললাম স্যার উনি কাঁধে হাত দিয়ে বললেন স্যার নয় দাদা বলো আমরা দুজনেই তো পাহাড়ে হাটি মন দিয়ে শুনছিলেন আমার আফ্রিকার কথা আমার মিশর ভ্রমণের কথা আমার পাহাড় জঙ্গলের কথা কথা বলব কি কথা বলতে গিয়ে একটু যেন তোতলা ছিলাম সামনে দাঁড়িয়ে আছে আমার মত ভীষণ পাহাড় প্রেমী মানুষদের কাছে একজন ভীষণ ভীষণ ভীষণ অনুপ্রেরণামূলক মানুষ। সত্যরূপ সিদ্ধান্ত ২০১২ থেকে ২০১৯ সাল এই সাত বছরের মধ্যে প্রতিটা মহাদেশের সবথেকে উঁচু পাহাড় ও সবথেকে উঁচু আগ্নেয়গিরি আরোহন করে বিশ্ব রেকর্ড করেন প্রথম ভারতীয় হিসেবে লিমকা বুক অফ রেকর্ডস আর পৃথিবীর মধ্যে কনিষ্ঠতম আরোহনকারী হিসেবে গিনিস বুক অফ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস এর পাতায় নাম ওঠে ২০২৩ এ ভারতের সবথেকে দ্রুততম সামিট আফ্রিকার কেনিয়াতে মাউন্ট নেলিয়ন এবং কাশ্মীরের ব্রম্মা ১।
একই ফ্রেমে এ বছরে আমার প্রকাশিত দুটি বই সত্যরূপ দা হাতে নিয়ে আর আমি সত্যরূপ সিদ্ধান্তের আরেকটা বই হাতে নিয়ে । স্বপ্নের মত মুহূর্তটা কেটে গেছিল । অসাধারণ সব মানুষদের সাথে দেখা হল ,প্রচুর গল্প, প্রচুর আড্ডা কিন্তু এই মুহূর্তটা চিরকাল আমার মনে অবিস্মরণীয় একটা স্মৃতি হয়ে থেকে যাবে।
রাজস্থান আমার কাছে চিরদিনের খুব প্রিয় জায়গা। চারবার রাজস্থানে গিয়ে পুরো রাজস্থানকে চষে খেয়েছি রাজস্থানের বন্যজীবন থেকে শুরু করে রাজস্থানের ভূপ্রকৃতি রাজস্থানের রাজপুতদের ইতিহাস তাদের শিরদাঁড়া সোজা করে থাকার লড়াই আর সবচেয়ে অভূতপূর্ব অবিস্মরণীয় রাজস্থানের স্থাপত্য যা মাথা ঘুরিয়ে দেয় তারপরতো পরতে পরতে লুকিয়ে আছে অসাধারণ সব ইতিহাস ।গিয়ে গিয়ে, ঘুরে ঘুরে ,স্থানীয় মানুষদের থেকে আমি জেনেছি সমস্ত ইতিহাস যতটা পেরেছি লিপিবদ্ধ করার চেষ্টা করেছি। তার সাথে আছে অনেক অনেক ছবি। একখণ্ড রাজস্থানকে তুলে নিয়ে এসেছি সবার জন্য। আগামী কাল থাকছি বইমেলাতে। যারা আসবে সবার সাথে দেখা হবে গল্প হবে আড্ডা হবে পাহাড় থেকে মরু শহরে।
উত্তরবঙ্গের ডায়েরি
মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি
উত্তরবঙ্গের দার্জিলিং অথবা কালিম্পং যেদিকেই যাই না কেন গাড়িটা যখন চলতে শুরু করে তখন মনে একটা ছোট্ট আশা থাকে যে হঠাৎ করে একটা সবুজ জঙ্গলের মধ্যে দিয়ে গাড়িটা ছুটবে। দুধারে শাল ,সেগুন, খয়েরের জঙ্গল ।আর তার একটু বাদে একটা বড় করে হোডিং বোর্ড আসবে তাতে লেখা থাকবে মহানন্দা wild life স্যাংচুয়ারি ।
সুকনার জঙ্গলটা পার হলেই এই জঙ্গল শুরু হয়ে যায়। আমি বার তিনেক নিয়ে গেছি। আর প্রতিবারই মোহিত হয়েছি মহানন্দা জঙ্গলের অপূর্ব সৌন্দর্যে ।কিন্তু খুব কম মানুষ মহানন্দা অভয়ারণ্যকে এখনো পর্যন্ত এক্সপ্লোর করেছে ।তাই উত্তরবঙ্গের ডায়েরিতে আজকে মহানন্দা অভয়ারণ্যের কথা একটু বলি।
হিমালয়ের পাদদেশে পূব দিকে তিস্তা এবং পশ্চিমে মহানন্দা নদীর মধ্যবর্তী অঞ্চলে অবস্থিত মহানন্দার এই মিষ্টি অভয়ারণ্য। এটি পশ্চিমবঙ্গ তথা ভারতবর্ষের অনেকগুলো অভয়ারণ্যের মধ্যে অন্যতম। এর প্রধান বিশেষত্ব এটাই যে এটা প্রায় ১৬০ বর্গ কিলোমিটার জুড়ে বিস্তৃত এই অরণ্যের বিভিন্ন এলাকায় তার বিভিন্ন রকম উচ্চতার বৈচিত্র্য । বিভিন্ন রকমের হয়ে থাকে উচ্চতা দক্ষিনে সুকনার জঙ্গলের উচ্চতা ২০০ ফুট আবার উত্তরে লাটপাঞ্চার যেখানে খুব ভালো পাখিদের দেখা যায় সেটার উচ্চতা প্রায় ৪ হাজার ৫০০ ফুট ।
উচ্চতার তারতম্যের জন্য বন্যজীবনের এত বৈচিত্র মহানন্দার জঙ্গলকে এক অন্য উচ্চতায় বা এক অন্য মাত্রায় নিয়ে গেছে। মহানন্দার জঙ্গল অভয়ারণ্য তকমা পায় 1958 সালে প্রধানত বাঘ ,হাতি এবং বাইসন তথা ইন্ডিয়ান গৌর সংরক্ষণের জন্য ।
মূলত ছোট ছোট বনভূমি দিয়ে তৈরি এর অভয়ারণ্য। কালিঝোরা লাটপাঞ্চার ,গুলমা ,তড়িবারি ,সেবক সুকনা ,সাতমাইল ,লাটলং এই ধরনের ছোট্ট ছোট্ট জঙ্গল দিয়ে এই বিশাল মহানন্দা জঙ্গল ।
প্রত্যেকটাই উত্তরবঙ্গের এক একটা সুন্দর সুন্দর পর্যটন হিসেবে স্বীকৃত ।
মহানন্দার জঙ্গলে অনেক আগে হাতি চালানোর বা এলিফ্যান্ট সাফারির ব্যবস্থা ছিল। কিন্তু এই অভয়ারণ্যের মধ্য দিয়ে জংলি হাতি যাতায়াত করত তাই জন্য প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত কুনকি হাতের সাথে জংলি হাতির লড়াইয়ে পর্যটকরা ভীষণভাবে নাজেহাল হত এছাড়াও এলিফ্যান্ট সাফারিতে অনেক রকম সমস্যা দেখা দেয়, বিশেষত যে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত হাতিদের দিয়ে কাজ করানো হয় তারা সেভাবে প্রশিক্ষণপ্রাপ্ত মাহুত বা যারা চালায় তারা ঠিকমতো সেই হাতিদের সাথে ব্যবহার করে না ভীষণভাবে তাদের উপর অত্যাচার করে । একটা সত্যি কথা এটাই মানুষ তার নিজের বিনোদনের জন্য প্রকৃতির সন্তান বা অরন্যের নিরীহ প্রাণী গুলোকে অত্যাচার করবে এই জিনিসটা বা এই ধারনাটা অতি ভয়ানক তাই জন্য ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এবং অরণ্য বিভাগের এই জঘন্য প্রথাটি খুব দ্রুত উঠিয়ে দেওয়া উচিত। মানুষের বিনোদনের জন্য অরণ্যের নিরীহ প্রাণীদের অত্যাচার করা বা এবং শারীরিকভাবে নিগ্রহ করা কোনটাই কাম্য নয় এই ব্যাপারে অরণ্য বিভাগ কঠিন সিদ্ধান্তে উপনীত হোক সেটাই কাম্য ।
এই বিশাল অভয়ারণ্যের জৈব বৈচিত্র্য দেখলে বেশ অবাক হতে হয় এই অভয়ারণ্যে প্রায় ৩৪০ প্রজাতির উদ্ভিদ লক্ষ্য করা গেছে যার মধ্যে খয়ের ,শিশু, লালি, শিমুল ,জারুল ,গামার ,সেগুন, সাল এবং প্রচুর পরিমাণে অর্কিডের দেখা পাওয়া যায়। প্রায় ৩৬ টি ভিন্ন প্রজাতির স্তন্যপায়ী প্রাণী এখানে পাওয়া যায় তার মধ্যে হিমালয়ান ব্লাক বিয়ার, লেপার্ড ,মাউন্টেন গোট, গোল্ডেন ক্যাট ,সম্বর ,চিতল হরিণ , বার্কিং ডিয়ার, ইন্ডিয়ান লেঙ্গুর, হিমালয়ান কাঠবিড়ালি ,পিপীলিকাভুক মেঘলা চিতা বা ক্লাউডেড লেপার্ড লক্ষ্য করা গেছে।
মহানন্দা জঙ্গলের লাটপাংচার বলে একটি অংশ আছে যেটি পক্ষী প্রেমীদের কাছে একটা স্বর্গ বলা যেতে পারে দেশ ও পৃথিবীর নানান প্রান্ত থেকে আসে এবং পাখির ছবি তোলে বিলুপ্তপ্রায় অনেক পাখিদের দের এখানে লক্ষ্য করা যায় Babbler, Wagtail, Egret, Roller, Robin, Hornbill, Oriole, Himalayan monal blood pheasant নানান ধরনের পাখি দেখা যায়।
এই বিশাল জঙ্গলের মধ্যে যারা ঘুরতে যায় এবং বন্যপ্রাণীদের দেখতে যায় তাদের জন্য প্রায় পাঁচটি ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হয়েছে।
লালটং ওয়াচ টাওয়ার -এটা তিস্তা নদীর লাল টং গ্রামে অবস্থিত এই ওয়াচ টাওয়ারটি তৈরি হয়েছিল ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট থেকে মূলত বন্যপ্রাণী বিশেষ করে বুনো হাতির চলাচল এবং বুনো হাতি র করিডরের মধ্যে তে যাওয়ার নজর রাখতেই এই ওয়াচ টাওয়ার তৈরি হয়েছিল ।
মহানন্দা ওয়াচ টাওয়ার- এই ওয়াচ টাওয়ার টি মহানন্দা নদীর ধারে ঘন জঙ্গলের মধ্যে অবস্থিত। মহানন্দার জঙ্গলের একটা মূল সমস্যা হল চোরা শিকারি অর্থাৎ পোচার্স এরা অবৈধভাবে সাল সেগুন শিশু এই সমস্ত গাছ কেটে নিয়ে চলে যায় তাই এই সমস্ত চোরা শিকারিদের হাত থেকে বন্যপ্রাণী এবং এবং বিশাল বিশাল গাছদের বাঁচাতে ফরেস্ট ডিপার্টমেন্ট এই ওয়াচ টাওয়ার তৈরি করেছিল ।
তড়িবারি ওয়াচ টাওয়ার -এটা গুল্মা নদীর ধারে অবস্থিত যারা পাখি ভালোবাসে তাদের জন্য আদর্শ ওয়াচ টাওয়ার। এখানে বসে খুব ভালো পাখি পর্যবেক্ষণ করা যায় ।
গুলমা ওয়াচ টাওয়ার- পরিত্যক্ত গুল্মা রেলস্টেশনে একটি পুরানো রেলের কেবিন কে ওয়াচ টাওয়ারে পরিণত করা হয়েছে ।এটিও গুলমা নদীর ধারে এখানে বসে খুব ভালো করে হরিণ সম্বর বাইসন লক্ষ্য করা যায়।
গোলাঘাট ওয়াচ টাওয়ার -মহানন্দা নদী থেকে অনেকটা দূরে সুকনা থেকে প্রায় ৫ কিলোমিটার দূরে গোলাঘাটে অবস্থিত। এখান থেকেও খুব ভালো বন্যপ্রাণীদের দেখা যায় ভাগ্য ভালো থাকলে বাইসনের দলও দেখা যেতে পারে যখন নদীতে যখন জল খেতে আসে ।এছাড়াও জানুয়ারি, ফেব্রুয়ারি মাসে অনেক পাখির দেখা মেলে এই ওয়াজ টাওয়ারে বসে।
তাহলে আর দেরী কেন ব্যাকপ্যাক করে নিন চলুন বেড়িয়ে পড়ি , এইবারের গন্তব্য মহানন্দা ওয়াইল্ড লাইফ স্যাংচুয়ারি ।🥰🥰🥰🥰
যার জন্য হিমালয়ের বুকে রেখে যেতে পেরেছি অজস্র পদচিহ্ন ।যার জন্য অসীম আদিম অনন্ত অরণ্যের মাঝে দেখেছি অন্তহীন নক্ষত্রবীথির আলো। যার জন্য কোন চিন্তা কোন ভয় না রেখেই হিমালয় অরণ্যের মাঝে কাটিয়ে দিয়েছি দিনের পর দিন ।
কত পাহাড় নদী দেশ পথ চলেছি যার জন্য ,আদিম আফ্রিকার ঘন অরণ্য মাসাইমারা থেকে চাঁদের পাহাড়ই হোক কিংবা মিশরের প্রাচীনতম পিরামিড থেকে লোহিত সাগরের গভীরে অথবা লাদাখের হিমশীতল বরফের রাত থেকে নাগাল্যান্ডের আদিবাসীদের সাথে কিংবা দার্জিলিংয়ের পাহাড়ি বাক থেকে ডুয়ার্সের সবুজ শৈশবের চা বাগানে ।
দীর্ঘ ১৭ বছরের বিশাল পথ চলার পাগলামি যিনি অবহেলায় সহ্য করে চলেছেন, যিনি আমার সৃষ্টিকর্তা তার হাতেই আমার সৃষ্টি তুলে দিলাম।
বাবা আমায় শিখিয়েছিল লেখা ,যখন প্রথম বর্তমান পত্রিকায় আমার লেখা প্রকাশ পেয়েছিল তখন ছিল বাবার চোখে জল ।আজ বাবা নেই অনেক দূর আকাশের নক্ষত্র হয়ে গেছে। কিন্তু আমি জানি ওই দূর আকাশে হাজার নক্ষত্রের মাঝে বাবা দেখতে পাচ্ছে আমার লেখা বইগুলোকে। আমার গল্প বলাকে, আমার ফেলে আসা স্মৃতিচারনাকে।
আগলে রেখে যে মানুষটা এ বিশাল পথ চলাতে সব সময় সাহস যুগিয়েছে, সব সময় পাশে থেকেছে আজ তার সাথেই আমার সৃষ্টিটা শোভা পায়। আমার প্রতিটা বই লেখাতে আমার থেকে তোমার ভূমিকা কম নয় মা। তাই এই বই দুটো তোমার।
তুমি যখন স্পর্শ করো আমার সৃষ্টি তখন সে সৃষ্টি হিমালয়ের এক পাহাড়ি নদী হয়ে যায়।
Panna national park, madhyapradesh.......
2seats are left......
A hard core wildlife tour....
Mountain gypsy.
নিস্তব্ধ অরণ্যে কখনো শুনেছো সম্বরের ডাক ? জোসনা মাখা অরন্যে কখনো অনন্ত নক্ষত্রবীথির মাঝে শুয়ে চাঁদের আলো স্নান করেছো ?জঙ্গলের মাঝে এলোমেলো প্রান্তে ডোরাকাটা রাজকীয় বাঘ মামার নৈঃশব্দ পদচারনা প্রত্যক্ষ করেছো?
এ যাওয়া শুধু যাওয়া না । এই যাওয়া চেনা, এ যাওয়া শেখা ,এ যাওয়া নিজেকে নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করা ,জঙ্গলের রূপ দর্শনকে বোঝা,।
মাউন্টেন জিপসি আবার জঙ্গলের পথে.....
জঙ্গল যারা ভালবাসে তারা খুব দ্রুত যোগাযোগ করো...
পান্না জাতীয় উদ্যান ,মধ্যপ্রদেশ ,মে ২০২৪
Panna national park
Mountain gypsy...
May 2024....
3seats are left.....
ভালোবাসার জুকুতে মাউন্টেন জিপসি কে নিয়ে, সাথে আমার প্রিয় টুপি মিশর থেকে নাগাল্যান্ড.......
Mountain gypsy
Panna tiger reserve, Mp.
May, 2024....(a hardcore wildlife tour)
Booking is start from 10jan......
Mountain Gypsy 3rd birthday celebration in jaldapara national park, dooars. Darun darun darun katlo dinta, sobaike onek onek thanks jara pase ache sob somoy.....
বছরের প্রথম মাস জানুয়ারিতে শুরু নাগাল্যান্ডের জুকু ভ্যালি দিয়ে, শেষের দিকে মাউন্টেন জিপসি চলে যাবে নেপালের চিন্তাফু ট্রেকে,যারা যারা যাবে জানিও ......
Winter offbeat kashmir (February 2024)......
Mountain Gypsy........
সবুজ শীতের উপত্যকায় মাউন্টেন জিপসি ,নাগাল্যান্ড জুকু ভ্যালির পথে যে যে যাবে জানিও (৫-৮ জানুয়ারি,২০২৪)....also naga heritage village......
Again in winter kashmir...
Mountain Gypsy...
February... 2024....
নেপালের চিন্তাফু ট্রেক ,মাউন্টেন জিপসি। নভেম্বর 2023.....
যারা যারা যাবে জানিও.....
জুকু ভ্যালি তে মাউন্টেন জিপসি, জানুয়ারির প্রথমে ,কাউন্টডাউন শুরু যারা যারা যাবে জানিও ...... সাথে আছে অনেকটা প্রকৃতিপাঠ .....
Mountain gypsy এইবার ডুয়ার্সের পথে ,যারা যারা যাবে জানাও ......
মোহিনীময় ডুয়ার্স❤️❤️❤️❤️
হোমাগ্নি ঘোষ....... উত্তরবঙ্গ বলতেই চোখের সামনে আমার ভেসে ওঠে সবুজ জঙ্গল, মাঝে বয়ে যাওয়া তিরতিরে পাহাড়ি নদী, হাজার পাখির মিষ্টি কলতান, এক পশলা বৃষ্টিতে বুনো মাটির সোঁদা গন্ধ, চাবাগানের মাতাল সুবাস, অরণ্যের দিনরাত্রির মাঝে ঘর ছাড়ার পিছুটানে বাধে আমায় ভালোবাসার ডুয়ার্স.... ডুয়ার্স হল বাংলা বা স্বদেশী দুয়ার শব্দের বহুবচন, হিমালয় পর্বতমালার মধ্যে দিয়ে এইরকম অনেক পথ বা দুয়ার উত্তরবঙ্গ থেকে বিভিন্ন পথে আসাম ভুটানের বিস্তীর্ণ অংশে ছড়িয়ে আছে, সম্মিলিত ভাবে এই অঞ্চলের নাম ডুয়ার্স.... এই ডুয়ার্সের মধ্যে সবচেয়ে রহস্যময় জীববৈচিত্রময় জঙ্গল বক্সা, এই বক্সা শব্দটির আবার অনেক ইতিহাস আছে শোনা যায় এই অঞ্চল ভুটানের রাজার থেকে বকশিস হিসেবে প্রাপ্ত, কেউ কেউ বলে এখানে আগত বণিকদের ঘোড়াদের পরিচর্যা করার সময় বণিকরা এখানকার স্থানীয়দের বকশিস দিতেন সেই বকশিস অপভ্ৰংশ হয়ে বক্সার উৎপত্তি...... ডুয়ার্সকে আমি বলি hidden treasure, ডুয়ার্সকে ভালোবেসে বুকের মনিকোঠায় আগলে রাখার দায়িত্ব আমাদের সবার, কি নেই বলুনতো? ডুয়ার্স তরাই অঞ্চলেই আছে সিঙ্গালিলা, নেওড়াভ্যালি (দার্জিলিং জেলা ), গরুমারা, মহানন্দা, সেঞ্চল,জোড়পোখরি, জলদাপাড়া, চাপড়ামারি, লাটাগুড়ি, বক্সাজয়ন্তী, রায়গঞ্জ পক্ষীনিবাস আর সাথে অসংখ্য উদ্ভিদ, প্রাণী তথা অণুজীবের সমাহার, শুধু কি তাই অরণ্যের সন্তান হিসেবে অরণ্যকে রক্ষা করে আসছে টোটো, মেচ, রাজবংশী, রাভা, রাই, দ্রুকপা, ওরাও, নেপালী, ভুটিয়া, গারো, সাঁওতাল বিভিন্ন জনগোষ্ঠীর মানুষ, তাদের আলাদা আলাদা ভাষা, সংস্কৃতি, রীতিনীতি ভালোবাসার ডুয়ার্সকে আরো সমৃদ্ধশালী করেছে.... বিভিন্ন ঐক্যের মাঝে সবচে বড় সংঘবদ্ধ শক্তির মিলিত রূপ এদের জঙ্গলের প্রতি শ্রদ্ধা, ভালোবাসা.... আমিও একজন অরণ্য পাহাড়প্রেমী আমার অধিকাংশ সময় কেটে যায় পাহাড় জঙ্গলের বুকে, আসুন আজ আমরাও শপথ নি আমাদের ভালোবাসার অরণ্যকে আর কিছুতেই শেষ হয়ে যেতে দেবনা, ভালোবাসা শ্রদ্ধা আর পরম মমতায় বাঁচিয়ে রাখবো পাহাড় জঙ্গল ও তার জীববৈচিত্রকে কারণ ঈশ্বর বলে যদি এই বিশ্বব্রম্মান্ডে কেউ অবস্থান করে তা হল প্রকৃতি........ ডুয়ার্সের বুক চিরে মাকড়সার জালের মতো বয়ে গেছে বহু পাহাড়ি স্রোতস্বীনি নদী... মনে আছে একবার চাঁদনী রাতে পাহাড়ি নদীর বুকে সারা শরীর ডুবিয়ে শুনেছিলাম দূরে জঙ্গলের বুক থেকে ভেসে আসা ময়ূরের কেকা, জোস্না রাতের সেই অসাধারণ অভিজ্ঞতা আপনি কোটি টাকা দিয়েও কিনতে পারবেন না, সারারাত জোস্নায় ভিজে আমরা চারবন্ধু জয়ন্তী নদীর পাড়ে মুক্ত আকাশের নিচে জয়ন্তীর বুকে শুয়েছিলাম... এক আদিম নেশা মিশানো সেই রাত ছিল আমার জীবনের এক শ্রেষ্ট রাত, আসুন আজ আমাদের সাথে পরিচয় হোক তেমনি কিছু সুন্দরী নদীর যারা ডুয়ার্সকে সৌন্দর্য্যের আলাদা মাত্রা দিয়েছে ☺️মেচি, বালাসন, মহানন্দা, তিস্তা, তোর্সা, জলঢাকা, রায়ডাক, মূর্তি, ডায়না, কমলাই, কালজানী, গদাধর, হলং, দুধুয়া, বাংরি, তিথি, বালা, জয়ন্তী আর তার সাথে অসংখ্য ছোট ছোট ঝোরা আর উপনদী..... ভারতের বহু অরণ্য আমি ঘুরেছি তবু আমার চোখে সর্বশ্রেষ্ট ডুয়ার্স কারণ ভালোবাসার ডুয়ার্স তার মোহিনীময় রূপের টানে বারবার ঘর ছাড়ার হাতছানি দেয়..... জয়ন্তী বক্সার বেশ কিছু ছবি সবার সাথে শেয়ার করলাম.....
(Nov 2023)..... Mountain Gypsy
Contact soon ....
Mountain gypsy is going to explore winter ladakh .....Feb ,2024....
Mountain Gypsy 26th trip in rainy meghalaya (17aug -23aug)...... MountainGypsy ...
2nd day in meghalaya...... All day with the waterfalls of Scotland of East....
Mountain gypsy 26 trp.....
জুকু ভ্যালি ,নাগাল্যান্ড
মাউন্টেন জিপসি
জানুয়ারি ,2024.
যারা যারা যাবে জানাও .....
Sathe naga heritage villages tour......
জঙ্গলকে চেনার কোনো শেষ নেই, জঙ্গলকে জানার কোনো সীমা নেই.... 💚
MountainGypsy Presents A Hardcore Wildlife Tour to 'Jim Corbett National Park' Uttrakhand🌲🌳🌲🌳
Full itinerary -
Date - 13th December 2023 to 19th December 2023.
The trip will start from Ramnagar and End will be on Ramnagar.
Number of Safari - 5 Gypsy Safari.
Include - Full transport, Safari Charges, Guide Charge, Forest Permit and luxurious Lodging.
Highlights --
1..We will stay in the mid of Forest.
2. Every stay Will be very luxurious.
3.We will be try to do morning and evening safari both every day.
4. Our team Leader will show You the entire forest ranges from a different perspective through his vast knowledge.
5. The amazing landscape of Corbett forest will make You speechless.
6. I assure You that This wildlife tour will be Your lifetime experience. ❤️
So, Now Take Your bag and Do Bag pack and Explore..
Hurry! Booking is already Start, only 3 seats are Left....and Open To all...
Booking and contact number - Homagni Ghosh 8981809384.
We Welcome You in our Green Family..!💚
🌲🌳"MOUNTAIN GYPSY"🌳🌲
(Save Wild.Save Nature)
PRESENTS ----
1. A Wildlife Tour to 'Jim Corbett National Park', Uttarakhand.(Luxurious facilities included)
Full itinerary -
Date-13th December, 2023 to 19th December, 2023.
Number of Jungle Safari - 5 Gypsy Safai( Ramnagar to Ramnagar).
Imcludes - Full transport,Safari and permit charges,guide fees, other forest charges and luxurious lodging.
2. 'Dhotrey- Tonglu' Tour. (Hiking to Magical Mountain)
Full itinerary -
Date - Last week of December. ( Between 25th December to 31th December) [NJP To NJP]
Duration - 2Nights, 3days.
Includes - All meals, transport, guide charge and lodging.
3. A Jungle Hiking in 'Dooars' ( Jayanti- Lepchaka - Ochlum)
Full itinerary -
Date - 25th December to 29th December,2023.
Duration - 3nights, 4days. ( Alipurduar Junction to Alipurduar Junction)
Includes - All meals,Transport, Jungle permit fees,Guide charge,local sightseeing
and lodging.
4. 'Gorkhey- Samanden' Trek ( Hiking through Green Pine Forest)
Full Itinerary-
Date- Mid Week of January, 2024.
Duration - 3nights,4days. ( New Jalpaiguri Station to New Jalpaiguri Station)
Includes - All meals, transport, Guide charge and lodging.
5. A Wildlife Tour to 'Jaldapara National Park' [ Exclusively Rhino Trip ]
Full Itinerary -
Date - 1st Week of February, 2024. ( Alipurduar Junction to Alipurduar Junction)
Number of Safari - 5 Gypsy Safari.
Duration - 3nights,4days.
Includes- All meals,Transport, Safari Charge,Guide fees,forest permit charge,Luxurious Lodging.
[ It will be a Luxurious Wildlife Trip ]
6. Winter Spiti / Ladakh
Get Ready,do your backpack and Go with MOUNTAIN GYPSY....
'Everytrip will be Your Lifetime experience.'
Hurry!Booking is Start and Open to All...
Contact and Booking Number - Homagni Ghosh 8981809384.
We Welcome You in Our Green family💚!
Mountain Gypsy exclusive wildlife tour December 2023.
১০৭কিলোমিটার কোর এরিয়া আর ৪৭০ কিলোমিটারের বাফার জোন নিয়ে ভারতবর্ষের শ্রেষ্ঠ অরণ্য বান্ধবগড়ে রয়েছে মোট ছটা রেঞ্জ- টালা, মাগধী, খিলৌলি, পানপাসু,পাতুর আর কালোয়া। এদের মধ্যে সবচেয়ে প্রাচীন এবং বড় রেঞ্জ হল টালা,১৯৬৮ সালে বান্ধবগড় ন্যাশনাল পার্ক হিসেবে স্বীকৃতি পেলেও তার কার্যকলাপ কিন্তু সীমাবদ্ধ ছিল তখন টালা রেঞ্জ এর মধ্যেই।১৯৭২ সালে ওয়াইল্ড লাইফ প্রটেকশন এক্ট অনুযায়ী এবং প্রজেক্ট টাইগার শুরু হলে দেখা যায় ১০৫ স্কয়ার কিলোমিটার জায়গা বাঘ সংরক্ষণের জন্য যথেষ্ট নয়।পরবর্তী কালে খিলৌলি, মাগধী আর কালোয়াকে টালার সাথে যুক্ত করে বাঘেদের আরও ভালো করে সংরক্ষণ করা হয়।
জঙ্গলে বাঘ দেখা ভাগ্যের ব্যাপার, কিন্তু সত্যিকারের ধৈর্য্য আর অধ্যবসায় থাকলে অবশ্যই বনের রাজামশাইকে দেখা যায়। পাগমার্ক, অ্যালার্ম কল ,বাঘের গতি প্রকৃতির উপর দীর্ঘদিন পর্যবেক্ষণ করে তাকে স্পট করা আলো আঁধারির লুকোচুরির গহীন অরণ্যে ,সে এক ভয়ানক রোমহর্ষক ব্যাপার । আমরা ভাগ্যবান আমাদের গাইড ছিল অসাধারণ, তাই প্রতিবার সাফারিতে আমরা রাজার দর্শন পেয়েছি, এছাড়াও দেখেছি অসংখ্য চিতল, সম্বর, বুনো শুয়োর ,শেয়াল ,লেঙ্গুর ,ইন্ডিয়ান গৌর (যদিও খুব অল্পসংখ্যক আছে ) আর অসংখ্য পাখি। লেঙ্গুর বা বাদর গাছের উপর থেকে বাঘ দেখতে পেলেই কল করে,হরিণ গন্ধ পেলেই সর্তকতামূলক শব্দ বা অ্যালার্ম কল করে যেটা সাধরনের থেকে আলাদা হয়, হটাৎ সমস্ত জঙ্গল স্তব্ধ হয়ে আসে,আমার ড্রাইভার শান্ত অথচ গম্ভীর গলায় বলে ও দেখো শের আ রাহা হ্যায়,আমরা অবাক হয়ে দেখি তার কি ভয়ঙ্কর সুন্দর রূপ।বাকি সব অভিজ্ঞতা আর ছবি পরবর্তী বইয়ে(ভারতের বিভিন্ন অরণ্যের অভিজ্ঞতা)যাবে। তাও রাজা মশাইয়ের দুটো খুব প্রিয় ছবি সবার সাথে শেয়ার না করে পারলাম না , প্রথমটা মাগধী জোনে দ্বিতীয়টি টালা জোনে।
(এইবার অসাধারণ সমস্ত ছবি পেয়েছি সেগুলো সব বইয়ের জন্যে তোলা রইলো,এইখানে দুটো ছবি দিলাম যাতে সবাই রাজামশাইকে দু চোখ ভরে দেখতে পারে ).....
বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যানে মাউন্টেন জিপসি .......
24নম্বর ট্রিপ
অরণ্য অনেকটা পুরানো মদের মতন , যতও গভীরে প্রবেশ করছি তত যেন সেই বুনো মাতাল করা গন্ধ আমাকে মাতাল করে দিচ্ছে ।মাউন্টেন জিপসির ২৪নম্বর ট্রিপ (দ্বিতীয় হার্ডকোর ওয়াইল্ডলাইফ টুর ) বান্ধবগড় জাতীয় উদ্যান ,মধ্যপ্রদেশ শেষ হলো।সারাদিন আমাদের দিন কাটতো রাজামশাইএর সাথে লুকোচুরি খেলে ,দারুন সব ছবি উঠেছে যেগুলো পরবর্তী বইয়ে স্থান যাবে ,আমাদের দলের অর্ণবের তোলা একটা ছবি সবার সাথে ভাগ করে নিলাম ।খুব শিগগিরই মাউন্টেন জিপসির পরবর্তী হার্ডকোর ওয়াইল্ডলাইফ এক্সপ্লোর জঙ্গল জানানো হবে।
Mountain gypsy 2nd wildlife tour(24th trip)
Bandhavgarh National Park (MP).
#সুন্দরবনের বাঘ বিধবা।
#হোমাগ্নি ঘোষ।
সূর্য তখন ডুবতে বসেছে, পিছনের খাড়ির নোনা জল পড়ন্ত সূর্যের রঙে কমলা লাল। গ্রামের মেঠো পথ ধরে একজন মহিলা ঘরে ফিরছে, তার পরনের ভেজা জীর্ণ শাড়ি গায়ে শুকিয়ে গেছে। সারাটা দিন খাড়ির নোনা কোমর জলে দাঁড়িয়ে মশারির মতো জাল টেনে টেনে মীন ধরে তা বিক্রি করে তার সামান্য কটা টাকায় কিছু চাল ডাল কিনে ক্লান্ত শরীরে বাড়ি ফিরছেন তিনি। বাড়িতে অপেক্ষা করে আছে চারটে অভূক্ত মুখ। তিন ছেলে মেয়ে ও বৃদ্ধা অশক্ত শাশুড়ি, যতটা পারবেন সেই মহিলা তাদের খাইয়ে বাকিটা নিজে খেয়ে পরের দিন ভোর চারটের সময় আবার যাবেন জীবন সংগ্রামের যুদ্ধে। যতদিন বাঁচবেন সেই মহিলাকে লড়ে যেতে হবে তার এই যুদ্ধ, তার স্বামীকে যে বাঘে টেনে নিয়ে গেছে সুন্দরবনের বাদাবনে। যেদিন অতর্কিতে বাঘের থাবায় ভর করে মৃত্যু নেমে এলো পরিবারটির উপর সেদিন দুঃখের থেকেও বড় একটা জ্বালা এলো জীবনে,খিদে।
অসম দারিদ্র ও অনিশ্চিত ভবিষ্যৎ এই দুই অদৃশ্য বোঝা মাথায় করে তিনি ঢুকে গেলেন তার বন্যায় ভেঙে যাওয়া কোনোমতে টিকে থাকা বাড়িটায়। তার মত মহিলা শুধু একা নয়, সমস্ত সুন্দরবনে ছড়িয়ে আছে তার মত লড়াকু মহিলারা। সমাজ ও স্থানীয়রা এদের চেনে বাঘ বিধবা বলে।
বাঘ বিধবাদের এই সমস্যা নিয়ে আলোচনায় প্রধানত তিনটে জিনিস উঠে আসে.......
#সুন্দরবন
ভারত ও বাংলাদেশ এই দুই দেশ জুড়ে ১০২০০ বর্গ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে রয়েছে সুন্দরবন অরণ্য অঞ্চল। যার মধ্যে ভারতীয় সুন্দরবনের অরণ্য অঞ্চলের পরিমাণ ৪৩৬৩ বর্গ কিলোমিটার।১৯৭৩ সালে শুরু হল প্রজেক্ট টাইগার, এ বছরেরই ডিসেম্বর মাসে প্রজেক্ট টাইগার এর আওতায় ২৫৮৪.৮৯ বর্গ কিলোমিটার এলাকা নিয়ে গড়ে উঠল সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ। এই ২৫৮৪.৮৯ বর্গ কিলোমিটারের মধ্যে ১৩৩০.১২ বর্গ কিলোমিটার কোর এরিয়া। ১৯৮৪ নাগাদ এই ১৩৩০.১২ বর্গ কিলোমিটারের এই এলাকাকে ঘোষণা করা হলো সুন্দরবন ন্যাশনাল পার্ক।আজকের দিনে সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভের মোট ২৫৮৪.৮৯ বর্গ কিলোমিটারের এলাকার মধ্যে ১৬৯৯.৬২ বর্গ কিলোমিটার এলাকা কোর এরিয়া, বাকিটা বাফার জোন, যার মধ্যে ৩৫৬.৪২ বর্গ কিলোমিটারের বিশাল সজনেখালি অভয়ারণ্য পড়ে। এই সুন্দরবন টাইগার রিজার্ভ 15 টি ব্লকে বিভক্ত - পাঁচমুখানি, পীরখালি, মাতলা, চামটা, ছোট হারদি, গোসাবা, গুনা, বাগমারা, মায়াদ্বীপ,আরবেশি, ঝিলা, খাটুয়াঝুরি, হরিণডাঙ্গা, নেতিধোপানি, চাঁদখালি।
১৯৮৯ নাগাদ UNESCO সুন্দরবনকে বায়োস্ফিয়ার রিসার্ভ ঘোষণা করে। ২০০১ সালের নভেম্বরে সুন্দরবন বায়োস্ফিয়ার রিসার্ভ গ্লোবাল নেটওয়ার্ক অফ বায়োস্ফিয়ার রিসার্ভের অন্তর্গত হয়।
নথিবদ্ধ করা তথ্য অনুযায়ী ভারতীয় সুন্দরবনে ১০২টি দ্বীপ আছে, যার মধ্যে ৪৮ টি সংরক্ষিত অরণ্য সেখানে শুধুমাত্র ওয়াইল্ডলাইফের বাসস্থান। বাকি দ্বীপগুলিতে মানুষের কমবেশি বসতি স্থাপন হয়েছে কোন না কোন সময়ে। স্যাটেলাইট মনিটারিং এর মাধ্যমে বলা হয় বর্তমান ভারতীয় সুন্দরবন এখনো ১৩৫টি দ্বীপ আছে যার মধ্যে ৩৫টি মানুষের বসবাস আর ১০০ টি সম্পূর্ণরূপে জঙ্গলে ঢাকা।
#সুন্দরবনের বাঘ
আমরা জানি যে ভারত ছাড়াও সারা পৃথিবীতে বিভিন্ন জায়গায় বাঘের দেখা পাওয়া যায়। রাশিয়া ইন্দোনেশিয়া ভুটান নেপাল মালয়েশিয়া কম্বোডিয়া থাইল্যান্ড মায়ানমার ভিয়েতনাম প্রভৃতি দেশে। ভারত বাঘের জন্য পৃথিবীবিখ্যাত। মূলত করবেট, বান্ধবগড়, সিমলিপাল, পালামৌ, রণথম্বর, তারোবা, কানহা এই জঙ্গলগুলোয় বাঘের দেখা মেলে।
কিন্তু সুন্দরবনের রয়েল বেঙ্গল টাইগার ভীষণভাবেই অনন্য এক জাতি, সারা পৃথিবীতে বাঘের যে স্বাভাবিক পরিবেশ, স্বাভাবিক বিচরণ ক্ষেত্র এবং স্বাভাবিক যে অভ্যাস দেখা যায় সুন্দরবনের বাঘ তাদের থেকে সম্পূর্ণভাবে আলাদা। বলা হয় সুন্দরবনের বাঘের জীবন সংগ্রাম পৃথিবীর আর সমস্ত বাঘের থেকে অনেক বেশি বেদনাদায়ক এবং জীবন সংগ্রামী। ঘন ঠাসা জঙ্গল, দিনে দুবার করে পুরো জঙ্গল জোয়ারের জলে ডুবে যায়, ম্যানগ্রোভের চোখাচোখা শ্বাসমূলে ভরা জমিতে চলাফেরা, এই অবস্থায় খাদ্য হিসেবে বুনো শুয়োর কিংবা হরিণ শিকার করা রীতিমতো কষ্টসাধ্য।
সুন্দরবনের বাঘ প্রায় উভচরের মতো জীবন যাপন করে এই প্রতিকূল অবস্থায় সে দিব্যি বানিয়ে গুছিয়ে নিয়েছে। এই মানিয়ে গুছিয়ে নেওয়ার ফলে তাদের মধ্যে একটা অদ্ভুত মরফোলজিকাল এডাপটেশন হয়েছে বলে অনেকে মনে করে। এজন্যই এদেশের অন্যান্য বাঘ জাত ভাইয়ের সাথে এর শারীরিক গঠনের কিছুটা পার্থক্য আছে। সুন্দরবনের বাঘ কি খায় না! বাঘের মূল খাদ্য চিতল হরিণ বুনো শুয়োর হলেও, সুন্দরবনের বাঘ মাছ কাঁকড়া এমনকি সাপও খায়। এদেশের অন্যান্য অঞ্চলে সুন্দরবনের বাঘের জাত ভাইদের মূল খাদ্য সম্বর গাওরের মত বিশালাকার প্রাণী, সেই তুলনায় সুন্দরবনের বাঘদের কপালে জোটে চিতল হরিণ কিংবা বুনো শুয়োর। ঠিক এই কারণে সুন্দরবনের বাঘ আকারে অপেক্ষাকৃত ছোট, ওজনে কম, কিন্তু পেটাই গড়ন এর শক্ত পোক্ত চেহারা আর এরকম চেহারা হওয়ার ফলে কর্দমাক্ত পরিবেশে চলাফেরা,ছোটাছুটি করা এবং সাঁতার দেওয়া অনেক বেশি সুবিধাজনক হয়েছে।
সুন্দরবনের বাঘ যেহেতু জল থেকে মাছ ধরেও খায়( যেটি অন্যান্য বাঘের স্বাভাবিক আচরণ নয় )। এই খাদ্য সংগ্রহ করার জন্য নদী পেরিয়ে অপেক্ষা সুগম অঞ্চলে অর্থাৎ মানুষের বসতি করা গ্রামে বাঘেরা চলে আসে এখানে এটা একটি নিয়মিত ব্যাপার। তবে বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে গ্রামে ঢুকে পড়া বাঘ সাধারণত মানুষের ক্ষতি করেনা গৃহপালিত গবাদি পশুই বরং তার লক্ষ্য থাকে। তবু এ অঞ্চলে বাঘের আক্রমণে মানুষের মৃত্যুর ঘটনা চিন্তার বিষয় আর এই আক্রমণ গুলো মূলত ঘটে থাকে জঙ্গলের ভিতর কখনো মধু সংগ্রহ এ গিয়ে, কখনো বা মাছ অথবা কাঁকড়া ধরার লোভে গভীর জঙ্গলের ভিতরে প্রবেশ। জীবনধারণের প্রতিকূল পরিবেশে ক্ষুদার্থ বাঘের কাছে নৌকা নিয়ে তার জঙ্গলে ঢোকা তিন চারজন অন্য কাজে ব্যস্ত থাকা অন্যমনস্ক মানুষ অত্যন্ত লোভনীয় এবং সহজ শিকার। এতকিছু জানা সত্ত্বেও, বারবার বাঘের হাতে মৃত্যু হবার পরেও প্রাণের ঝুঁকি নিয়ে কেন বারবার সেখানকার মানুষ ঢুকে পড়েন গভীর অরণ্যে সেই প্রশ্নের উত্তর পেতে গেলে জানতে হবে সুন্দরবনের প্রত্যন্ত মানুষদের কথা।
#সুন্দরবনের মানুষ
প্রাচীন কাল থেকে সুন্দরবনের মানুষের পেশা বলতে চাষ, মাছ ধরা আর জঙ্গলে যাওয়া। মিঠা জলের অভাবে এখানে একবারই ধান চাষ করা হয় তাই ফসল সীমিত। ছোট ছোট দলে পায়ে হেঁটে অথবা ছোট নৌকা নিয়ে খাড়ি বেয়ে অনেকেই যান বনে কাঠ,মধু,হোগলা পাতা,মাছ,কাঁকড়া ইত্যাদি সংগ্রহ করতে। খাড়ির মুখে মীন বা কাঁকড়া ধরাও খুব পরিচিত একটা জীবনধারণের উপায়।
জনসংখ্যা যতই বৃদ্ধি পাচ্ছে ততই এই সমস্ত জীবিকা অপ্রতুল হয়ে পড়ছে কঠিন হচ্ছে জীবন সংগ্রাম। তার মধ্যে গোদের উপর বিষফোঁড়া হচ্ছে হল উপর্যুপরি ঘূর্ণিঝড় বন্যা। একবার জমিতে যদি নোনা জল ঢুকে যায় পরবর্তী তিন চার বছর সেখানে আর ভালোভাবে চাষ করা যায় না, আজ যে ধান চাষী কালকেই সে চিংড়ির চাষ করে ভেড়ির মালিক হয়ে উঠতে বাধ্য হচ্ছেন।
আবার নদীতে মাছ ধরতে যাওয়ার ভিড় বাড়ছে কিন্তু সেই অনুযায়ী নদীতে মাছের সংখ্যা বাড়ছে না। তার সাথে আছে মীন ধরার প্রচলন চিংড়ি ছাড়াও অন্যান্য প্রজাতির মাছের ডিম ও মীন ধরার ফলে নদী-নালায় মাছ ক্রমশ কমে যাচ্ছে। সবচেয়ে বড় সমস্যা এটাই যে প্রাচীন এই পেশা গুলো বাদে নতুন করে কোনরকম কর্মসংস্থান সুন্দরবন অঞ্চলে গড়ে উঠছে না, তাই সুন্দরবনের মানুষকে বাধ্য হয়ে জঙ্গলে মাছ ধরা কাঁকড়া ধরা কাঠ সংগ্রহ করা মধু সংগ্রহ করা এসব কাজের মধ্যে লিপ্ত থাকতে বাধ্য হতে হচ্ছে।
একটা কথা খুব পরিষ্কার সুন্দরবনের মানুষদের বেঁচে থাকার সঙ্গে জঙ্গল নিবিড় ভাবে জড়িত। ঠিক যেমন বাঘের খাবার খুঁজতে খুঁজতে গ্রামে এসে যাওয়া এখানে একটুও অস্বাভাবিক না তেমনি প্রয়োজনে বা বাধ্য হয়ে বা ভালো লাগার যে কারণেই হোক জঙ্গলে মানুষের আনাগোনা এখানে খুব সাধারণ ব্যাপার।
এই ওতপ্রোত মিশ্র বসবাস, জীবন সংগ্রামের অবিরাম লড়াই, পেটের খিদে, বাঘের সঙ্গে মানুষের সংঘাত এবং কিছু দুর্ভাগ্যজনক ক্ষেত্রে মানুষটির মৃত্যু। সেই মৃত্যুতেই সেই মানুষটার স্ত্রী পরিচিত হন বাঘ বিধবা বলে।
#হোমাগ্নি ঘোষ।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Kolkata
700011
College Street
Kolkata, 700007
We organize treks in the Singalila Range and also cater to home stay needs.
427 # Karnani Mansion, Park Street
Kolkata, 700016
Subrata Mandal n Tour Madam
Kolkata, 700009
total arrangement of your picnic, picnic friends forever (pff) take care of all your picnic needs.
Baruipur Amtala Road, Village Dhopagachi Opp. Bright Club
Kolkata, 700144
Keya Patar Nouka, a beautiful Eco-Farmhouse in Baruipur (near Kolkata)! This Green Farmhouse features Organic Farms, a Natural Garden, Water Bodies & AC Cottages. Enjoy Pool Partie...
Kolkata
lakshya bohudur channel all india traveling gaid.youtub vlog,instragram,faceboock,twitter all this site active.lakshya bohudur company this tour & traveling provider.
Kolkata, 700064
Some people travel to learn about the history,culture, about the people who live in the city or their ancestors,some travel to do an activity which they cannot do at home, some t...
Salt Lake
Kolkata, 700091
"Walk The Wild" conducts wildlife tours in small groups across India for nature enthusiasts & wildlife photographers. All tours are led by a dedicated nature guide. Educational nat...
Debdas Pally, Madhyamgram, Vidyasagar Sarani Road, Landmark: Sudhriti Computer
Kolkata, 700129
To find out the Gems from offbeat destinations of West Bengal.
FH/16, Somnath Apartment, Swamiji Pally, Jyangra, Baguiati
Kolkata, 700059
Eco Tour Oraganizer
61, H. L Sarkar Road
Kolkata, 700070
Bored with your daily life? Take a break and have a recreational holiday with Apna Eco-stay! Plan your vacation with us and enjoy every moment with zeal. Contact us now to book our...