সালাহউদ্দীন আকন
সব সময় মানুষে পাশে থাকার স্বপ্ন দেখি। মানুষের সুখে নিজের সুখ খুজি।
ডুবন্ত বাংলাদেশ।
কুমিল্লা, ফেনি ও নোয়াখালী অঞ্চলের প্রবাসী ও প্রবাস ফেরত ভাইদের দৃষ্টি আকর্ষণ করছি।
আরজেন্ট!!!
ঢাকা দিল্লির মাঝে সকল অসম চুক্তি বাতিলের এখনই উপযুক্ত সময়।
প্রতিবেশী দুই দেশের মাঝে বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক হয় ন্যায্যতা ও উভয়ের জাতীয় স্বার্থ রক্ষার মধ্যে দিয়ে কিন্তু এতোদিন দিল্লির সাথে আমাদের জাতীয় স্বার্থ ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ক্ষুন্ন করে চুক্তি করা হয়েছে।
বৃহত্তর কুমিল্লা ও নোয়াখালী অঞ্চলের চলমান বন্যা পরিস্থিতিতে আওয়ামী ফ্যাসিস্ট মহল আমাদেরকে বুঝাতে চাইবে ভারত আধিপত্য আচরণ করলেও আমাদের দিল্লির অনুগত থাকতে হবে। এবং আওয়ামী ফ্যাসিস্টদের দিল্লির দাসত্ব নীতিই বেটার ছিলো বুঝাতে অপচেষ্টা করবে, তাদের ব্যাপারে সচেতন থাকতে হবে।
দিল্লি পানির ন্যায্য হিস্যা না দিলে এবং হুটহাট বাঁধ খুলে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি করলে আমাদেরও তাদেরকে থামানোর জন্য নতুন পন্থা অবলম্বন করতে হবে।
মনে রাখবেন, আমরা কারো গোলামির জন্য পাক হানাদার বাহিনী হটিয়ে স্বাধীন দেশ হই নাই।আমাদের শরীরের শেষ রক্তবিন্দু দিয়ে হলেও আমরা আমাদের জাতীয় স্বার্থ রক্ষা করবো ও রাষ্ট্রীয় মর্যাদা ক্ষুন্ন হতে দিবো না।
আওয়ামী লীগ নাকি এই লোক্টাকে নিয়ে স্বপ্ন দেখে!!!
আমরা এমন একটি সংগঠনের স্বপ্ন দেখি যে সংগঠন কোন রাজনৈতিক দলের হয়ে কাজ করবে না, সুধু প্রবাসীদের হয়েই কাজ করবে। প্রবাসিদের সমস্যা তুলে ধরবে। প্রত্যেক দেশে তাদের শাখা থাকবে এবং প্রবাসীরাই এর নেতৃত্ব দিবে।
দুঃখজনক হলেও সত্য এই সংকটকালে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব করার মত কোন বড় সংগঠন নাই। আমি ছোট করে চেষ্টা করছি প্রবাসীদের এক করতে, একটা নেটওয়ার্ক করতে কিন্তু পারছি না। আমার মত আপনি যদি এমন কিছু চান দয়া করে আসুন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করি যাতে করে প্রবাসীদের সার্থ নিয়ে দেশের সাথে আলোচনা করা যায়।
যারা প্রবাসে থেকেও দল মত নির্বিশেষে দেশ ও প্রবাসীদের নিয়ে কিছু করতে চান তারা সবাই এই গ্রুপে যুক্ত হোন।
দুঃখজনক হলেও সত্য এই সংকটকালে প্রবাসীদের প্রতিনিধিত্ব করার মত কোন বড় সংগঠন নাই। আমি ছোট করে চেষ্টা করছি প্রবাসীদের এক করতে, একটা নেটওয়ার্ক করতে কিন্তু পারছি না। আমার মত আপনি যদি এমন কিছু চান দয়া করে আসুন একটি নেটওয়ার্ক তৈরি করি যাতে করে প্রবাসীদের সার্থ নিয়ে দেশের সাথে আলোচনা করা যায়।
রিকশায় আমার বাংলাদেশ। তোমাদের চিহ্নিত করে রাখছি, জবাব তোমাদের দিতে হবে। যারা এর পরেও দালালি করছো, সামাজিক ভাবে প্রত্যেক স্তরে বয়কট করা হবে।
ইতালিতে বসবাসকারী সবাইকে এই গ্রুপে যুক্ত হবার আহবান রইলো। দল মত নির্বিশেষে এক হবার সময় এসেছে। তাই নিজেদের মধ্যে যোগাযোগ থাকা প্রবাসীদের জন্য কল্যান বয়ে আনতে পারে।
মানুষ কতটা নির্লজ্জ ও বিবেকহীন হলে ছাত্রদের নৈতিক আন্দোলনকে তথা বর্তমান গণমানুষের আন্দোলনকে জামাত শিবির ট্যাগ লাগিয়ে এবং বিএনপির পরিকল্পনা বলে নির্বিচারে ছাত্র ও শিশু হত্যাকে ভুলে কিছু সম্পদের জন্য আহাজারি করতে পারে। অথচ তাদের চাকরাই নাকি ৪০০ কোটির মালিক বনে যায়।
এই সকল বিবেকহীন নির্লজ্জ মানুষগুলোকে সমাজের সকল স্তর থেকে বয়কট করতে হবে। এরা সমাজের ভাল কিছু করতে বা বয়ে আনতে অক্ষম।
-সালাহউদ্দীন আকন।
আপনারা যারা বিশ্বাস করেন যে বাংলাদেশে এই মুহূর্তে যা ঘটছে তা মানবতা, গণতন্ত্রের বিরুদ্ধে এবং আমাদের একটি নিরঙ্কুশ একনায়কত্বের দিকে নিয়ে যাচ্ছে, এখন আপনার পালা সকল অশুভ শক্তির বিরুদ্ধে আওয়াজ তোলা এবং আমাদের বাংলাদেশী ভাই/ছাত্রদের প্রতি সমর্থন দেখানোর। অনুগ্রহ করে আগামীকাল সকাল ১০টায় আমাদের সাথে যোগ দিন।
স্থানঃ পিয়াচ্ছা গারিবালদি(ফুটলকারের সামনে), পাদোভা সেন্টার।
আপনি চেতনায় অচেতন বলে সাবাই কে তা ভাবা বোকামী।
দেশ মুক্তির জন্য যতবার লড়তে হবে ততবার মুক্তিযোদ্ধা তৈরি হবে!!!
প্রবাসীদের কতভাবে চোষা যায় তার কোন দিকই ছাড়বে না তারা।
এখন থেকে কেউ নিজের ব্যবহৃত সর্বোচ্চ দুটি মোবাইল বাদে অতিরিক্ত কোন মোবাইল বাংলাদেশে নিলে শুল্ক দিতে হবে।
ঈদ মোবারক সবাইকে।
🌙 ঈদ মোবারক 🌙
تَقَبَّلَ اللهُ مِنَّا وَ مِنْكُمْ
উচ্চারণ : ‘তাক্বাব্বালাল্লাহু মিন্না ওয়া মিনকুম।
অর্থ : ‘আল্লাহ তাআলা আমাদের ও আপনার নেকা আমল তথা ভাল কাজগুলো কবুল করুন।’
আলহামদুলিল্লাহ । পবিত্র ওমরাহ শেষে ইতালি ফিরে যাচ্ছি। আল্লাহ সবাইকে তার পবিত্র ঘর তাওয়াফ করার তাওফিক দান করুক আমিন।
Padova Bangla School এর শুভ উদ্বোধন।
আসসালামু আলাইকুম। ইতালির পাদোভায় বাংলা স্কুল চালু হতে যাচ্ছে। সহজ ভাবে নাম "পাদোভা বাংলা স্কুল" ই রাখা হয়েছে। লোগো করে ফেলেছি। আগামী শনিবার আনুষ্ঠানিক ভাবে শুরু করা হবে। সকল বাবা মাকে তাদের সন্তানকে নিয়ে আসার আহবান রইলো। প্রথমিকভাবে ইতালিয়ান ভাষা, বাংলা ও ইসলামিক মূল্যবোধ এর উপরে শিখানো হবে।
-তা তোর সফটওয়্যারের দাম কত করে রাখবি?
- কোন টাকা দিতে হবে না।
-কি! কোন টাকা নিবি না?
- হ্যাঁ। ভাষার জন্য টাকা নেব কেন?"
- ডা. মেহেদী হাসান খান (অভ্র সফটওয়ারের নির্মাতা)
‘একুশ শতকের এক নিঃস্বার্থ ভাষা সৈনিক, যার কারণে আমরা আজ আমাদের মাতৃভাষা বাংলায় এত সহজে টাইপ করে মনের ভাব প্রকাশ করতে পারছি।’ 💚❤️💚
জার্মানির মুনিখে।
🇮🇹ইতালি গতকাল ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০২৪ তারিখ থেকে বিমান বাংলাদেশ এয়ারলাইন্স এর ঢাকা-রোম-ঢাকা রুটের টিকেট বিক্রি শুরু হয়েছে।
✅গতকাল দুপুর ০২:০৫টায় বিমানের সকল ডিস্ট্রিবিউশন চ্যানেলে একযোগে বিক্রয়ের জন্যে টিকেটসমূহ উন্মুক্ত করা হয়।
✅আগামী ২৬ মার্চ ২০২৪ তারিখ মহান স্বাধীনতা দিবসে রোমের উদ্দেশ্যে বিমান এর প্রথম ফ্লাইট যাত্রা করবে।
২৬ মার্চ থেকে ৩১ মার্চ ২০২৪ পর্যন্ত সপ্তাহে প্রতি সোমবার, মঙ্গলবার এবং বৃহস্পতিবার ঢাকা থেকে ফ্লাইট
বিজি৩৫৫ স্থানীয় সময় রাত ২:০০টায় রোমের উদ্দেশ্যে যাত্রা করে রোমে পৌঁছাবে স্থানীয় সময় সকাল ৭:০০টায়।
একই দিন রোম থেকে স্থানীয় সময় সকাল ০৮:৪৫টায় যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১১:৪৫টায়।
তবে ০১ এপ্রিল ২০২৪ থেকে গ্রীষ্মকালীন সূচি অনুযায়ী প্রতি সোমবার, মঙ্গলবার ও বৃহস্পতিবার ঢাকা
থেকে স্থানীয় সময় রাত ৩:০০টায় যাত্রা করে রোমে পৌঁছাবে সকাল ০৯:১০টায় এবং রোম থেকে স্থানীয় সময় সকাল ১০:৪৫টায় যাত্রা করে ঢাকায় পৌঁছাবে রাত ১২:৩০টায়।❤️🥀✈️
খুশবন্ত সিংয়ের দিল্লী বইটি পড়ার পর আমার মধ্যে একধরনের পাগলামো শুরু হয়ে গেল। নতুনভাবে দিল্লিকে জানার জন্য আমি বইপুস্তক ঘাঁটতে শুরু করে দিলাম এবং দিল্লির মাটি ও মানুষ সম্পর্কে বাস্তব ধারণা নেয়ার জন্য নিজেকে ইবনে বতুতা, মার্কো পলো অথবা হেরোডোটাস সাজিয়ে লম্বা সময় নিয়ে দিল্লির উদ্দেশে রওনা দিলাম। মহাভারতে বর্ণিত ইন্দ্রপ্রস্থ কিংবা মৌর্য সম্রাট অশোকের জমানার শ্রীনিভাস পুরীর সাথে মুসলমানদের তৈরি দিল্লির কী সম্পর্ক তা জানার জন্য আমি সেবার যে কষ্ট করেছিলাম তা স্মরণ করলে নিজের হাসি থামাতে পারি না। ব্রিটিশরা কেন দিল্লিকে ১০০ বছর ধরে পাঞ্জাব প্রদেশের অধীন একটি ছোট শহর বানিয়ে রেখেছিল এবং ১৯১১ সালে হঠাৎ করে কেনই বা কলকাতা থেকে তাদের রাজধানী দিল্লিতে নিয়ে গেল তা চিন্তা করতে গিয়ে আমার মাথার চুল পড়তে শুরু করল। আর কেন বাংলাদেশের ভূখণ্ড গত পাঁচ হাজার বছর ধরে দিল্লিকে ঘৃণা করে তা খুঁজতে গিয়ে আমি প্রায় মরিমরি অবস্থায় পড়ে গিয়েছিলাম।
আজকের নিবন্ধে দিল্লি নিয়ে আমার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করতে গেলে রীতিমতো মহাভারত রচনা করতে হবে। সুতরাং ইতিহাস বর্ণনা না করে বরং ২০২৪ সালের জানুয়ারি মাসে আমার মনে কেন দিল্লি নিয়ে নিবন্ধ রচনার সাধ জাগল সে ব্যাপারে কিছু বলি। বাংলাদেশের ডামি নির্বাচনের কলকাঠি যে দিল্লি থেকে নাড়ানো হয়েছে তা এখন এই দেশের পাগলরাও বুঝে গেছে। অন্য দিকে যারা কলকাঠি নেড়েছে তাদের লোকজন মশকারা করে স্বামী বলার চেষ্টা করছে। অথচ শব্দটির রয়েছে বহুমাত্রিক অর্থ। সংস্কৃত শোয়ামি থেকে স্বামী শব্দের উদ্ভব যা প্রাচীন হিন্দুরীতি অনুযায়ী একটি সম্মানজনক উপাধি। কোনো নারী কিংবা পুরুষ দীর্ঘ দিন ত্যাগের পথ অনুসরণ করে যে সন্ন্যাস ধর্ম পালন করেন এবং তপস্যা করতে করতে যখন সিদ্ধি লাভ করেন তখন তাদের স্বামী উপাধি দেয়া হয়।
আমাদের দেশে স্বামী বলতে সাধারণত পুংলিঙ্গ বোঝালেও মূলত আদি উৎস সংস্কৃত ভাষায় স্বামীর কোনো লিঙ্গ নেই। এটি একটি মর্যাদাপূর্ণ উপাধি যা নারী-পুরুষ যে কারো ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হতে পারে। হিন্দিতে স্বামী বলতে প্রভু, শিক্ষক, রাজপুত্র, দেবতার প্রতিচ্ছবি অথবা দেবালয় অর্থাৎ মন্দির বোঝানো হয়ে থাকে। এটি সাধারণত ভারতের উত্তরপ্রদেশ, হরিয়ানা ও রাজস্থানে ব্যবহৃত আঞ্চলিক উপাধি যার সাথে দিল্লি-ভারতবর্ষ এবং বাংলার কী সম্পর্ক রয়েছে তা নিয়েও আজকের নিবন্ধে সাধ্যমতো আলোচনার চেষ্টা করব। কিন্তু তার আগে বাংলা ভাষায় স্বামী বলতে কী বোঝায় তা নিয়ে সংক্ষেপে কিছু বলে নিই। একজন নারীকে বিয়েশাদির মাধ্যমে অবাধে শারীরিক সম্পর্কে জড়ানার যিনি অধিকারী তিনিই স্বামী। তিনিই স্বামী যিনি তার স্ত্রীর ওপর অধিকার প্রয়োগ করেন এবং ইচ্ছেমতো বিধিনিষেধ আরোপ করেন। স্বামীর ঔরসে উৎপন্ন এবং স্ত্রীর গর্ভজাত সন্তানের ওপর স্বামীর কর্তৃত্ব সীমাহীন। বৈবাহিক সম্পর্কে স্বামী একগামী কিংবা অনায়াসে বহুগামী হতে পারে, অর্থাৎ একই সাথে বহু পাত্রীর সাথে বৈবাহিক সম্পর্ক রাখতে পারে। স্ত্রী যতদিন জীবিত থাকেন ততদিন পুরুষের স্বামীত্ব বজায় থাকে। স্ত্রী মারা গেলে স্বামীর উপাধি পরিবর্তন হয়ে যায় এবং তখন তাকে বিপত্মীক বলে ডাকা হয়। কিন্তু স্ত্রী যদি আইনসঙ্গতভাবে পরিত্যাজ্য হন তবুও স্বামীত্ব চলে যায় না- সে ক্ষেত্রে স্বামীকে বলা হয় প্রাক্তন স্বামী।
ডামি মার্কা নির্বাচনের পর দিল্লির বিরুদ্ধে জনগণের ঘৃণা ও ক্রোধে এক নতুন মাত্রা যুক্ত হয়েছে। দিল্লির কর্তৃত্বপরায়ণ স্বামীরা যেভাবে বাংলাদেশের ওপর গত ৫২ বছর ধরে ক্রমাগত ছড়ি ঘুরিয়ে আসছে সেই ছড়ির পরিণতি অনাগত দিনে কিরূপ হতে পারে তার কিছু নমুনা ইতিহাস থেকে বর্ণনা করছি। বাংলা নিয়ে সুলতানি আমলে কিংবা মোগল আমলে যখন দিল্লির তৎকালীন স্বামীরা বাড়াবাড়ি করেছে ঠিক তখনই বাংলা বিদ্রোহ করে বসেছে। সেই বিদ্রোহ দমন করার জন্য গিয়াস উদ্দিন বলবন, ফিরোজশাহ তুঘলক, সম্রাট আকবরের সেনাপতি মহারাজা মানসিংহ ও সম্রাট জাহাঙ্গীরের সেনাপতি মীর জুমলা বাংলাদেশে এসেছেন বটে কিন্তু যুদ্ধ করে বাঙালিকে দমাতে পারেননি। সম্রাট আওরঙ্গজেবের জমানায় দু’দফায় সুবেদার শায়েস্তা খান ২০ বছরের জন্য শান্তি স্থাপন করতে পেরেছিলেন বটে কিন্তু শেষ অবধি টিকতে পারেননি। পরে নবাব মুর্শিদ কুলি খান রাজধানী ঢাকা থেকে মুর্শিদাবাদ নিয়ে যাওয়ার পর শুরু হয় নতুন প্রেক্ষাপট।
ইংরেজ জমানার পুরোটা সময় পূর্ববঙ্গ-পশ্চিমবঙ্গ, বিহার-আসাম সবসময়ই ছিল অগ্নিগর্ভ। বারবার প্রশাসনিক রদবদল-বিভক্তি ও শত দমন-পীড়নেও বাংলার মাটি থেকে সূর্যসেনের মতো বিপ্লবী তৈরি হওয়া বন্ধ করতে পারেননি; বরং ১৮৫৭ সালের সিপাহি বিদ্রোহে বাংলা ব্্িরটিশদের কাছে কতটা গলার কাঁটা হয়েছিল তা সদরঘাটের বাহাদুর শাহ পার্কের ইতিহাস পড়লেই টের পাওয়া যায়। পাকিস্তান জমানায় দিল্লি পূর্ববঙ্গে প্রভাব বিস্তার করতে না পারলেও তাদের তাঁবেদার খয়ের-খাঁ ও এজেন্টদের মাধ্যমে পূর্ববঙ্গের শিল্পায়নের সর্বনাশ করেছিল এবং রাজনীতিতে ইন্ধন জুগিয়ে আরো সব কী করেছিল তা আমরা কমবেশি সবাই জানি।
স্বাধীনতার পর বঙ্গবন্ধু সরকারের ওপর অনৈতিক চাপ, বঙ্গবন্ধু হত্যাকাণ্ডের প্রেক্ষাপট তৈরির জন্য আওয়ামী লীগে বিভক্তি, ছাত্রলীগে দ্বন্দ্ব-সঙ্ঘাত এবং জাসদ-সর্বহারাদেরকে মদদ দিয়ে বঙ্গবন্ধু সরকারের বিরুদ্ধে গেরিলা যুদ্ধ শুরু করার মাধ্যমে দেশের স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্বকে ঝুঁকির মধ্যে ফেলে দিয়েছিল। এরশাদের সামরিক অভ্যুত্থান থেকে শুরু করে ২০২৪ সালের আজকের দিন পর্যন্ত ভারত বাংলাদেশের মাটি ও মানুষের সাথে যা কিছু করছে তার ফলে এ দেশের বৃক্ষ-লতা-পশু-পাখি, কীট-পতঙ্গ থেকে শুরু করে মানুষের দেহে যে বিষ ব্যথা তৈরি হয়েছে তা ডামি নির্বাচনের মাধ্যমে সহ্যের সীমা অতিক্রম করে গেছে।
ডামির আগে ভারত দেশের ছোট-বড় রাজনৈতিক দলের সাথে সমানতালে খেলেছে। প্রেস ক্লাবের সামনে যেসব ছোট ছোট দল ছোটখাটো পথসভা করে তাদের মধ্যেও সরকার গঠন করে প্রধানমন্ত্রী-রাষ্ট্রপতি হওয়ার লোভের বীজ বপন করেছে। দেশের ধর্মভিত্তিক দলগুলোর সাথে তাদের কেমন যোগাযোগ ছিল তা তরিকত ফেডারেশনের নজিবুল বশর মাইজভাণ্ডারি কিংবা তার ভাতিজা নবগঠিত সুপ্রিম পার্টির নেতা সাইফুদ্দীন মাইজভাণ্ডারির নির্বাচনী প্রতীক একতারার তারের বেহাল দশা দেখলেই বোঝা যাবে। হেফাজতের একাংশ, সিলেটের ফুলতলী পীর কিংবা আটরশির ফয়সালের গোলাপ ফুলের করুণ দশার পর তাদের কাছে যদি এখন কোনো ভারতীয় এজেন্ট কথা বলতে যায় তবে মাজারপন্থীদের মেজাজ ঠিক থাকবে না।
ডামির আগে বিএনপি-জামায়াত-জাতীয় পার্টিকে নিয়েও ভারত খেলেছে এবং সবাইকে ফাঁকি দিয়ে জুয়ার ধন তুলে দিয়েছে প্রিয়জনের হাতে। ফলে ডামি নির্বাচন-পরবর্তী সময় পরিবেশ ও প্রতিবেশ এখন দিল্লির জন্য দুর্বোধ্য, ভয়ঙ্কর ও দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর হয়ে পড়েছে।
দিল্লি সম্পর্কে এত কিছু বলার অর্থ হলো, দিল্লির প্রকৃতি ও পরিবেশ মহাকাল থেকেই জীবাণুযুক্ত। দিল্লির কবলে পড়লে ফেরেশতা কিভাবে শয়তানে পরিণত হয় তা খুশবন্ত সিংয়ের দিল্লি উপন্যাসের পরতে পরতে উল্লেখ করা হয়েছে। একইভাবে প্রখ্যাত ইতিহাসবিদ ফিরিসতা রচিত তারিখ-ই-ফিরিসতা গ্রন্থে এবং গুলশান-ই-ইব্রাহিমি গ্রন্থে মুসলিমদের ভারত বিজয়ের আগের সর্বভারতীয় ইতিহাস বর্ণনা করে গেছেন। দিল্লিকে কেন্দ্র করে দক্ষিণ ভারত, আফগানিস্তান ও উত্তর ভারতের হাজার বছরের ক্ষোভ ফিরিসতা গ্রন্থে অসাধারণভাবে উপস্থাপন করেছেন। দিল্লির প্রতাপশালী শাসকদের মধ্যে একমাত্র সুলতান মুহাম্মদ বিন তুঘলক দিল্লির মাটি ও মানুষের বিষাক্ত রসায়ন বুঝতে পেরে তার রাজধানী দিল্লি থেকে দেবগিরিতে স্থানান্তর করেছিলেন। পৃথিবীর তাবৎ সুসভ্য ও মেধাবী অভিযানকারী দিল্লিতে স্থায়ী হননি। আলেকজান্ডার, চন্দ্রগুপ্ত মৌর্য, অশোক, পৃথ্বিরাজ চৌহান, মুহাম্মদ ঘুরি প্রমুখ দিল্লির মাটি স্পর্শ করেননি। হর্ষবর্ধন-শশাঙ্ক, শিবাজি রাও, রণজিৎ সিং যেমন দিল্লির নাম শুনতে চাননি তদ্রƒপ মহাভারতের পাণ্ডব-কৌরবরা দিল্লির পার্শ্ববর্তী হরিয়ানায় যুদ্ধ করেছে কিন্তু তৎকালীন দিল্লি অর্থাৎ ইন্দ্রপ্রস্থের ধারেকাছেও যায়নি।
নাদির শাহ, আহম্মদ শাহ আবদালি এবং তৈমুর লং ভারত জয় করলেও দিল্লিতে অবস্থান করেননি। এমনকি দক্ষিণ ভারতের রাজ্যগুলো যথা অন্ধ্রপ্রদেশ, কর্নাটক, কেরালা, তামিলনাড়– ও তেলেঙ্গানা অঞ্চলে বিগত হাজার বছরের ইতিহাসে অনেক বড় রাজবংশ, রাজাধিরাজ তৈরি হয়েছেন কিন্তু তারা দক্ষিণ ভারত নিয়েই সন্তুষ্ট ছিলেন। ব্রিটিশ ভারতে সরদার বল্লভ ভাই প্যাটেল ও মহাত্মা গান্ধী ছাড়া অন্য কেউ দিল্লির কেন্দ্রীয় রাজনীতির ব্যাপারে উৎসাহী ছিলেন না। আর সেই দক্ষিণ ভারত থেকেই নরেন্দ্র মোদি বাবরি মসজিদ ভেঙে উগ্র হিন্দুত্ববাদের দেবতা হয়ে দিল্লির মসনদে বসে দিল্লির বিষাক্ত ইতিহাসের সাথে নিজের রক্তাক্ত হাতের ছোঁয়া লাগিয়ে ভারতবর্ষে কী সব কাণ্ড করে চলেছেন তা আমরা সবিস্তারে না জানলেও বাংলাদেশে যা কিছু করেছেন তা আমাদের রক্ত-মাংসের ভেতর এমনভাবে ঢুকে গেছে যার প্রতিক্রিয়া জন্ম-জন্মান্তরে আমাদের পরবর্তী বংশধরদের মধ্যে প্রবাহিত হতে থাকবে।
আমরা আজকের আলোচনার একদম শেষ পর্যায়ে চলে এসেছি। দিল্লির স্বামীদের অনাগত পরিণতি বাংলার জমিনে কী হবে তা এই মুহূর্তে বলা যাচ্ছে না। তবে হালআমলে তারা আফগানিস্তান, নেপাল, শ্রীলঙ্কা, ভুটান ও মালদ্বীপ থেকে যেভাবে বিতাড়িত হয়েছে তার চেয়েও করুণ পরিণতি তাদের উপহার দেয়ার জন্য বাংলার আকাশ-বাতাস-স্বাধীনতা-সার্বভৌমত্ব এবং প্রকৃতি ও পরিবেশ অধীর আগ্রহ নিয়ে অপেক্ষা করছে।
লেখক : গোলাম মাওলা রনি
দৈনিক নয়াদিগন্ত, শুক্রবার, ২৬শে জানুয়ারী, ২০২৪
সৌদি আরব ওমরাহ সফরে অনেক সুন্দর মুহুর্ত গুলোর মধ্যে কিছু কছু সময় অনেক মন খারাপ লাগতো।
সামনাসামনি ভাবে আরব মুসলিমদের ব্যাবহার অনেক অমায়িক, আমার বাচ্চাদের সাথে খুবই ভাল ব্যাবহার সহ কিছু কিছু সময় জোর করে চকলেট ক্যান্ডি সহ হাদিয়াও দিয়েছে।
কিন্তু যখন কোন প্রবাসী বাংলাদেশী ও পাকিস্তানিদের সাথে কথা বলেছি তখনই মন খারাপ হয়ে গিয়েছে। আকামা নামের যে জুলুম আরব দেশে চালু আছে তা আসলেই জুলুম, অনেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠেনে কাজ করার পরেও আকামা পান না, বেতন সময় মত পান না। এই চিত্র মোটামুটি অনেকেরই।
সফরে থাকা অবস্থায় সহ গত কয়েকদিন এই বিষয় গুলো মাথায় ঘুরছে। আসলে এর সমাধান কি? কে বা কারা কিভাবে এর সমাধান করতে পারে?
আমার সমর্থ ও যোগ্যতা অনেক কম তাই আপনাদের মধ্যে যারা এই বিষয় নিয়ে ভাবছেন, কোন ভাবে কিছু করার থাকলে আমাকে জানাবেন।
আলহামদুলিল্লাহ গত কাল ওমরাহ সম্পন্ন করেছি।
সবার কাছে দুয়া চাই। ঊমরাহ এর উদ্দেশ্যে মক্কা মদীনা রওনা হলাম।
ইনশাআল্লাহ আগামী ১৫ই আগষ্ট উমরাহ করতে পরিবার সহ সৌদি যাচ্ছি। মক্কা, মদিনা বা জেদ্দায় আমার ফ্রেন্ড লিষ্টে কে কে আছেন, সময় হলে দেখা করে আসবো।
Clicca qui per richiedere la tua inserzione sponsorizzata.
Video (vedi tutte)
Digitare
Contatta il personaggio pubblico
Telefono
Sito Web
Indirizzo
Via G. VERDI 18/6
Padua
35010
Padua
Benvenuti!Io sono Francesca. Due mie grandi passioni sono il mio gatto Leo e la lettura e recensione
Padua
Assalamualikum “Shefa Bappy love bird”is created to share my life experience with others throug
Padua
Ritrovare l'armonia con il proprio corpo permette di sentirsi meglio con sé stessi e con gli altri 🙂
Padua
L’idea è semplice. Ogni giorno è il primo giorno. Ogni giorno è l’inizio di qualcosa che può
Padua
Present BEST CHEFS � ,their PLATES � and RESTAURANTS � ⓁⒾⒻⒺ is too ⓈⒽⓄⓇⓉ to ⒺⒶⓉ bad ⒻⓄⓄⒹ � Collaboration � Messenger or � email
Via Bacchiglione 5
Padua, 35020
Ciao! Io sono Gloria e i Norvegesi delle Foreste sono la mia vita 😍 Allevamento Elven Lynx (2023)
Via Beato Pellegrino, 37
Padua, 35137
Libreria - caffetteria indipendente vicinissima a Palazzo Maldura. Testi universitari e varia indipe
Padova
Padua, 35030
Questa pagina è un mezzo per condividere la mia passione per la fotografia naturalistica, attravers
Padua
Zero Balzi - Visual Storytelling Blog Un sito che parla per immagini emozioni dell’anima. Tania S