Dr. Abu Bakar Siddique

Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Dr. Abu Bakar Siddique, Barishal.

25/06/2023

শালদুধ:

শালদুধ (ইংরেজি: Colostrum) হলো বাচ্চা জন্মের পরপর মায়ের স্তন থেকে নিঃসৃত ঈষৎ হলুদাভ, আঠালো দুধ। শালদুধ পরিমাণে খুব অল্প ও ঘন হয় কিন্তু এতে পুষ্টিগুণ তুলনামূলক অনেক বেশি।শালদুধে প্রচুর পরিমাণে শর্করা, আমিষ ও ভিটামিন এ, অ্যান্টিবডি ও শ্বেত রক্ত কণিকা রয়েছে। তবে স্বাভাবিক দুধের তুলনায় শালদুধে কার্বোহাইড্রেট, লিপিড ও পটাশিয়াম কিছুটা কম রয়েছে।এতে প্রচুর অ্যান্টিবডি থাকে যা শিশুকে জীবাণুর হাত থেকে রক্ষা করে।

(১) শালদুধ শিশুর জন্য এতটা উপকারি যে যা শিশুর জীবনের প্রথম টিকা হিসাবে গন্য করা হয়।
(২) শালদুধ আমিষ সমৃদ্ধ এবং এতে প্রচুর ভিটামিন-এ আছে।
(৩) শালদুধ শিশুর রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতাকে বাড়ায়।
(৪) শালদুধ শিশুর পেট পরিষ্কার করে এবং নিয়মিত পায়খানা হতে সাহায্য করে।
(৫) শিশুর জন্ডিস হবার সম্ভাবনা কমে যায়।

প্রসবের পরে প্রথম ২-৩ দিন যতটুকু শালদুধ আসে তাই নবজাতকের জন্য যথেষ্ট। এসময় শিশুকে পানি, মধু বা চিনির পানি দেওয়া শিশুর জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এসব দিলে হজমের সমস্যা ও পাতলা পায়খানা হবার সম্ভাবনা বেড়ে যায়। অন্যদিকে শিশুর বুকের দুধ খাবার আগ্রহ কমে যায়। তাই শিশু জন্মের পর শাল দুধই অপরিহার্য। এরপর ধীরে ধীরে শিশুটির মায়ের দুধ পরিপূর্ণভাবে আসতে থাকে। যা মায়েদের একটু কষ্ট করে হলেও শিশুদের জন্য নিয়মিত পান করানোর অভ্যাস করা উচিৎ ।

20/06/2023

নিরাপদ মাতৃত্ব ও গর্ভবতী মায়ের অধিকার :

মিষ্টি মুধুর শব্দ ‘মা’ ডাক শোনার পরিপূর্ণতা আসে মাতৃত্ব লাভের মাধ্যমে। মাতৃত্বের মাধ্যমেই একজন নারীর জীবনের পরিপূর্ণতা পায়। এর জন্য প্রয়োজন মাতৃত্বকালীন সময়ে নারীর যথাযথ আদর-যত্ন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যার প্রতি লক্ষ্য রাখা। এ মাতৃত্ব অর্জনের পথে থাকা গর্ভবর্তী নারীকে নিজের স্বাস্থ্য সচেতনায় ধর্মীয় বিধি-নিষেধ এবং চিকিৎসকের যথাযথ পরামর্শ মেনে চলাও বাধ্যতামূলক। তবেই নিশ্চিত হবে নিরাপদ মাতৃত্ব ও সুস্থ শিশুর জন্মদান প্রক্রিয়া।

মাতৃত্বকালীন সময়ে গর্ভবর্তী নারীর প্রতি অবহেলা চরম অন্যায় ও গোনাহের কাজ। কেননা সন্তানসম্ভবা নারীর আদর-যত্ন ও স্বাস্থ্য পরিচর্যায় অবহেলা করলে গর্ভের সন্তানের ক্ষতি এমনকি মৃত্যুও হতে পারে।

আল্লাহ তাআলা বলেন-
‘নিশ্চয়ই তারা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যারা নিজ সন্তানদেরকে নির্বুদ্ধিতা ও অজ্ঞতার কারণে কোনো প্রমাণ ছাড়াই হত্যা করেছে। আর আল্লাহ তাদেরকে যেসব রিজিক দিয়েছিলেন, সেগুলোকে আল্লাহর প্রতি ভ্রান্ত ধারণা পোষণ করে হারাম করে নিয়েছে। নিশ্চিতই তারা পথভ্রষ্ট হয়েছে এবং সুপথগামী হয়নি।’ (সুরা আনআম : আয়াত ১৪০

নিরাপদ মাতৃত্বের জন্য নারীর প্রতি দায়িত্বসমুহ :
শারীরিক ও মানসিক প্রয়োজনে স্বামীকে পরিবারের সকলের থেকে বেশি খেয়াল রাখতে হবে।
নিয়মিত ডাক্তারের ফলোআপ এ থাকতে হবে।
পুষ্টিকর খাবার খাওয়াতে হবে। যেমন দুধ,ডিম, মাছ,গোসত, ডাল, শাকসবজি, ফল, ও আয়রন, ক্যালসিয়াম সমৃদ্ধ খাবার ইত্যাদি খাবার নিয়মিত খাওয়াতে হবে।
পরিবারের অন্যান্য সদস্যদের গর্ভবতী মায়ের প্রতি বিশেষ যত্নশীল হতে হবে।
কোনোপ্রকার শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করা যাবে না।

আসুন আমরা নিরাপদ মাতৃত্বের মাধ্যমে শিশু ও মাতৃমৃত্যুর হার কমিয়ে সুস্থ শিশুর জন্ম নিশ্চিত করি।

07/10/2022

শিশুদের মানসিক রোগ কীভাবে বোঝা যাবে?

বাংলাদেশের জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য ইন্সটিটিউট ও বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার উদ্যোগে ঢাকা পরিচালিত একটি জরিপে দেখা গেছে শিশু কিশোরদের আঠার শতাংশের বেশি বিষণ্ণতায় আক্রান্ত।

শিশুদের মানসিক রোগ হলে তার অনেকগুলো শারীরিক প্রভাবও দেখা যায়। যেমন মাথাব্যথা, বুকে ব্যথা, শ্বাসে সমস্যা, অনীহা বা দুর্বলতা ইত্যাদি উপসর্গ দেখা যায়।

''এই রকম শিশুদের পরীক্ষা নিরীক্ষার পরে যদি দেখা যায় যে, তার আসলে শারীরিক কোন সমস্যা নেই, তারপরেও তিনি এরকম সমস্যায় ভুগছেন। তখন এটা মানসিক কারণে হতে পারে বলে আমরা সন্দেহ করা হয়।''

শিশুদের ক্ষেত্রে অনেক সময় দেখা যায়, তার আচরণে সমস্যা তৈরি হয়েছে। সে খুব রেগে যাচ্ছে, ভাঙচুর করছে, বাবা-মায়ের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করছে। বন্ধুদের সঙ্গে মিশতে পারছে না। পড়ালেখায় আগ্রহ নেই, ঘুম হচ্ছে না, খাওয়াদাওয়া ঠিকমতো করছে না। এসব লক্ষণ দেখা গেলে তার মানসিক স্বাস্থ্যের দিকে গুরুত্ব দিতে হবে এবং একজন মানুসিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করতে হবে।

21/08/2022

ডিমেনশিয়া ঃ

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার হিসেবে বর্তমানে সাড়ে পাঁচ কোটিরও বেশি মানুষ ডিমেনশিয়ায় আক্রান্ত। এই শতাব্দীর মাঝামাঝি সময়ে এই সংখ্যা তিনগুণ বৃদ্ধি পাবে বলে আশঙ্কা করা হচ্ছে।

এই রোগটির কথা ১৯০৬ সালে প্রথম উল্লেখ করেন আলোইস আলঝেইমার নামের একজন জার্মান চিকিৎসক। স্মৃতি হারিয়ে ফেলা একজন নারীর ময়নাতদন্ত করতে গিয়ে তিনি দেখতে পান যে তার মস্তিষ্ক নাটকীয়ভাবে শুকিয়ে গেছে। একইসাথে স্নায়ুকোষগুলো ও তার আশপাশে অস্বাভাবিক অবস্থা তৈরি হয়েছে। এ সময় এটি খুব বিরল রোগ ছিল। তার পরের কয়েক দশকেও এ নিয়ে তেমন কোনো গবেষণা হয়নি। কিন্তু আজকের দিনে প্রত্যেক তিন সেকেন্ডে এতে একজন আক্রান্ত হচ্ছেন। উন্নত ও ধনী দেশগুলোতে ডিমেনশিয়াতেই সবচেয়ে বেশি মানুষের মৃত্যু হচ্ছে।

ডিমেনশিয়া কি?

ডিমেনশিয়া একটি মানসিক রোগ যাতে আক্রান্ত ব্যক্তির বুদ্ধি, স্মৃতি ও ব্যক্তিত্ব লোপ পায় এবং রোগ ক্রমান্বয়ে বাড়তে থাকে। সাধারণত প্রাপ্তবয়স্ক ব্যক্তিরা এ রোগে আক্রান্ত হয় এবং হঠাৎ করেই অনেক কিছুই মনে করতে পারেন না। ফলে তার আচরণে কিছুটা অস্বাভাবিকতা লক্ষিত হয়।

লক্ষণ ও উপসর্গ:
১.শেখার ক্ষমতা কমে যাওয়া।
২.স্মৃতিশক্তি হ্রাস পাওয়া।
৩.ব্যক্তিত্ব এবং মেজাজ পরিবর্তন।
৪.চিন্তা শক্তি কমে যাওয়া।
৫.কথাবার্তা ও কথাবার্তায় অসুবিধা
৬.স্থানিক এবং চাক্ষুষ ক্ষমতায় অসুবিধা, যেমন গাড়ি ৭.চালানোর সময় পথ হারানো
৮.জটিল কাজগুলি পরিচালনা করতে অক্ষমতা
৯.সমস্যা এবং যুক্তি সমাধানে অসুবিধা
১০.পরিকল্পনা ও সংগঠনে অসুবিধা
১১.সমন্বয়ে অসুবিধা
১২.বিভ্রান্তি
১৩.দিশেহারা
১৪.ব্যক্তিত্বে পরিবর্তন
১৫.দুশ্চিন্তা
১৬.বিষণ্ণতা
১৭.সহজেই উত্তেজিত হওয়া
১৮.অনুচিত আচরণ

যদি কেউ উপরের উপসর্গগুলির মধ্যে কোনটি লক্ষ্য করেন, তবে তার অবিলম্বে একজন ডাক্তারের সাথে যোগাযোগ করা উচিত

16/08/2022

এখন পাকা তালের সিজন তাই আজকে আমরা আলোচনা করবো পাকা তালের উপকারিতা ও গুনাগুণ নিয়ে। সবাই মনোযোগ দিয়ে পুরো আর্টিকেল টি পড়ুন এবং শেয়ার করে দিন।

পুষ্টিগুণঃ

তালে রয়েছে ভিটামিন এ, বি, সি, জিংক, পটাশিয়াম, আয়রন, ক্যালসিয়ামসহ আরও অনেক খনিজ উপাদান। এর সঙ্গে আরও আছে অ্যান্টি-অক্সিজেন ও অ্যান্টি-ইনফ্লামেটরি উপাদান।

পাকা তালের প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্যযোগ্য অংশে রয়েছে খাদ্যশক্তি ৮৭ কিলোক্যালরি, জলীয় অংশ ৭৭.৫ গ্রাম, আমিষ .৮ গ্রাম, চর্বি .১ গ্রাম, শর্করা ১০.৯ গ্রাম, খাদ্য আঁশ ১ গ্রাম, ক্যালসিয়াম ২৭ মিলিগ্রাম, ফসফরাস ৩০ মিলিগ্রাম, আয়রন ১ মিলিগ্রাম, থায়ামিন .০৪ মিলিগ্রাম, রিবোফ্লাভিন .০২ মিলিগ্রাম, নিয়াসিন .৩ মিলিগ্রাম ও ভিটামিন সি ৫ মিলিগ্রাম।

পাকা তালের উপকারিতাঃ

তাল অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট গুণসমৃদ্ধ হওয়ায় ক্যানসার প্রতিরোধে সক্ষম। এ ছাড়া স্বাস্থ্য রক্ষায়ও তাল ভূমিকা রাখে। স্মৃতিশক্তি ভালো রাখতে সাহায্য করে।

তাল ভিটামিন বি-এর আধার। তাই ভিটামিন বি-এর অভাবজনিত রোগ প্রতিরোধে তাল ভূমিকা রাখে।

তালে প্রচুর ক্যালসিয়াম ও ফসফরাস আছে, যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয় প্রতিরোধে সহায়ক।

কোষ্ঠকাঠিন্য ও অন্ত্রের রোগ ভালো করতে তাল ভালো ভূমিকা রাখে।

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 03/08/2022

গাব আমাদের অনেকর পরিচিত দেশীয় একটি ফল। এটি একটি সুস্বাদু, মিষ্টি এবং কোষযুক্ত ফল। আমাদের দেশে প্রচুর গাব গাছ দেখতে পাওয়া যায়। কার্বহাইড্রেট ও মিনারেল সমৃদ্ধ গাব ফল কাঁচা অবস্থায় সবুজ এবং পেঁকে হলুদ হয়ে যায়।
দেখতে অনেক সাধারণ হলেও এই ফলটি খেতে অনেক সুস্বাদু এবং এর অনেক উপকারীতা রয়েছে। আসুন আজ জেনে নিই গাব ফলের পুষ্টিগুণ এবং এর উপকারীতা সম্পর্কে।

পুষ্টি উপাদানঃ

প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য-উপযোগী গাবে রয়েছে

৫০৪ কিলোক্যালরি খাদ্যশক্তি,
৮৩ থেকে ৮৪ গ্রাম জলীয় অংশ,
২ দশমিক ৮ গ্রাম আমিষ,
শূন্য দশমিক ২ গ্রাম চর্বি,
১১ দশমিক ৮৮ গ্রাম শর্করা,
১ দশমিক ৮ গ্রাম খাদ্য আঁশ,
১১ দশমিক ৪৭ গ্রাম চিনি,
৪৬ মিলিগ্রাম ক্যালসিয়াম,
৩৫ আইইউ ভিটামিন-এ,
১৮ মিলিগ্রাম ফসফরাস,
শূন্য দশমিক ৬ মিলিগ্রাম লোহা,
শূন্য দশমিক ২ মিলিগ্রাম থায়ামিন,
১৮ মিলিগ্রাম ভিটামিন-সি,
১১০ মিলিগ্রাম সোডিয়াম, ৩০৩ মিলিগ্রাম পটাশিয়াম ।

গাব বা বিলাতি গাবের উপকারিতাঃ

১.শারীরিক দূর্বলতা কমায়
২.রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি করে
৩.ক্যান্সারের ঝুকি কমায়
৪.রক্ত চলাচলের উন্নতি ঘটায়
৫.উচ্চ রক্ত চাপ কমায়
৬.ডায়াবেটিস রোগীর জন্য কাচা ও পাকা গাব উপকারী
৮.আমাশয় ও পেটের অসুখে গাবেট ছাল উপকারী
৯.হজমে সহায়তা করে
১০.চর্মরোগে উপকারী

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 30/07/2022

পুষ্টিতে ভরপুর আমড়া একটি জনপ্রিয় ফল। আমড়াতে রয়েছে অনেক পুষ্টি যা প্রায় তিনটি আপেলের পুষ্টির সমান। আমড়াতে আপেলের চাইতে বেশি প্রোটিন, ক্যালসিয়াম ও আয়রন রয়েছে। আমড়া ভিটামিন সি সমৃদ্ধ ফল। এটি সাধারণত কাঁচাই খাওয়া হয়। এছাড়া সুস্বাদু আচার, চাটনি এবং জেলি তৈরি করা যায় আমড়া থেকে। মুখে রুচি বৃদ্ধিসহ অসংখ্য গুনাগুন রয়েছে আমড়ার।

প্রতি ১০০ গ্রাম খাদ্য উপযোগী আমড়ার পুষ্টিগুণঃ

শর্করাঃ ১৫ গ্রাম
প্রোটিনঃ ১.১ গ্রামং
চর্বিঃ ০.১ গ্রাম
ক্যালসিয়ামঃ৫৫ মিলিগ্রাম
আয়রন ঃ৩.৯ মিলিগ্রাম
ক্যারোটিনঃ ৮০০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন বিঃ ১০.২৮ মিলিগ্রাম
ভিটামিন সিঃ ৯২ মিলিগ্রাম
অন্যান্য খনিজ পদার্থঃ ০.৬ মিলিগ্রাম
খাদ্য শক্তিঃ ৬৬ কিলোক্যালরি

আমড়ার বিভিন্ন স্বাস্থ্য উপকারিতাঃ

১। ভিটামিন সি এর অভাব পুরনে সহযোগিতা করে
২। বদহজম ও কোষ্ঠকাঠিন্য প্রতিরোধ করে
৩) সর্দি কাশি,ইনফ্লুঞ্জার সংক্রমণ থেকে বাঁচাতে সাহায্য করে
৪। মুখে রুচি ও ক্ষুধা বৃদ্ধি করে
৫। ক্যালসিয়ামের চাহিদা পূরনে সাহায্য করে
৬। আয়রন এর অভাব মিটায়
৭। ওজন নিয়ন্ত্রণে ভুমিকা রাখে
৮। হৃদরোগ প্রতিহত করে
৯। অ্যানেমিয়া বা রক্তশূন্যতা দূর করতে আমড়া ভূমিকা রাখে
১০। ত্বক সুস্থ রাখতে

ত্বক, চুল ও নখের স্বাস্থ্য ভালো রাখতে সাহায্য করে আমড়া ফল। ত্বকের ব্রণ কমাতে, ত্বক উজ্জ্বল রাখতে আমড়া দারুণ উপকারী। আমড়ায় প্রচুর ভিটামিন সি রয়েছে যা ত্বক উজ্জ্বল রাখতে খুবই দরকার। তাই ত্বক সুস্থ ও উজ্জ্বল রাখতে নিয়মিত আমড়া খাওয়া যেতে পারে।

আমড়া আমাদের দেশের একটি জনপ্রিয় ও মজাদার ফল। আমড়া ফলকে শুধু মজাদার ফল বললে ভুল বলা হবে কেননা এতে রয়েছে অনেক পুষ্টিগুণ। এর উপকারিতার শেষ নেই। তাই চাইলে আপনিও আপনার বাড়ীর আশে-পাশে দুই চারটা আমড়া ফলের চারা রোপনের মাধ্যমে পরিবারের সবার পুষ্টির চাহিদা মিটাতে পারেন।

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 25/07/2022

সুস্থ যদি থাকতে চান নিয়মিত ফল খানঃ

ফল আমাদের স্বাস্থ্যের জন্যে খুবই উপকারী। প্রতিটি মানুষের প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যেকোন ধরণের একটি ফল অবশ্যই থাকা উচিৎ নিজের সুস্বাস্থ্যের জন্যেই। চলুন জেনে নেওয়া যাক প্রতিদিন ফল খাওয়ার দারুণ কিছু উপকারিতা-

১। নিয়মিত ফল খেলে আপনার শরীরে সহজেই রোগে আক্রান্ত করতে পারবে না।

২। ফল আপনার স্বাস্থ্য এবং আপনাকে শক্তিশালী করে তোলে।

৩। প্রায় সকল ফলেই থাকে পানি, যা আপনার ত্বককে সুস্থ এবং নরম রাখতে সাহায্য করে থাকে।

৪। প্রতিটি ফলে থাকে অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট, যা শরীরের খারাপ ব্যাকটেরিয়াগুলোর বিপরীতে কাজ করে থাকে।

৫। ফলে থাকে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ যা শরীরে মেদ জমতে বাঁধা দেয়, ফলে আপনি খুব সহজেই মোটা হবেন না। এরই সাথে ফাইবার কোলেস্টেরল এর মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রাখতে সাহায্য করে।

৬। ফল আমাদের শরীরে বিভিন্ন রকম ভিটামিন এবং মিনারেল এর ঘাটতি পূরণ করে থাকে।

৭। ফল নিয়মিতভাবে খাওয়ার ফলে আপনাকে স্বাস্থ্যকর এবং দারুণ দেখাবে।

৮। ব্রেইনের কার্যকারীতা বৃদ্ধিতেও ফল কাজ করে থাকে।

৯। ফল সম্পুর্ণই একটি প্রাকৃতিক উপাদান, তাই ফল খাওয়ার ফলে আপনি অনেক বেশী এনার্জি পাবেন এবং সুস্থ অনুভব করবেন।

১০। ফল আপনার হজমশক্তি বৃদ্ধিতে সাহায্য করে বলে আপনি থাকবেন পেটের সমস্যা মুক্ত।

মুখরোচক ও দৃষ্টিনন্দন খাবারের মোহে পরে নিজেকে অসুস্থ না বানিয়ে প্রতিদিন কিছু পরিমাণে ফল খওয়া উচিত যা আপনাকে সুস্থ রাখতে সাহায্য করবে।

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 19/07/2022

পেয়ারার পুষ্টিগুণ:

পেয়ারার পুষ্টিগুণ এতটাই বেশি যে অনেকে একে সুপারফুড হিসেবে বিবেচনা করে। একটি ১০০ গ্রাম পেয়ারায় কি কি থাকে আসুন জেনে নেই

শক্তিঃ৬৮ক্যালোরি
ফ্যাটঃ১ গ্রাম
মোট শর্করাঃ১৪.৩২ গ্রাম
প্রোটিনঃ২.৬ গ্রাম
জলঃ৮০.৮ গ্রাম
ক্যালসিয়ামঃ১৮ মিলিগ্রাম
আয়রনঃ০.২৬ মিলিগ্রাম
ম্যাগনেশিয়ামঃ২২ মিলিগ্রাম
ফসফরাসঃ ৪০ মিলিগ্রাম
জিঙ্কঃ০.২৩ মিলিগ্রাম
কপারঃ০.২৩ মিলিগ্রাম
সোডিয়ামঃ২ মিলিগ্রাম
পটাশিয়ামঃ৪১৭ মিলিগ্রাম
লাকোপিনঃ৫২০০ মাইক্রোগ্রাম
ভিটামিন-এঃ১২%
ভিরামিন-সিঃ৩৮১%
সূত্রঃUSDA

তাই সম্ভব হলে প্রতিদিন ১টি করে আর না হলে সপ্তাহে অন্তত একটি করে হলেও প্রতিটি মানুষের পেয়ারা খাওয়া উচিত।

চলুন জেনে নেই পেয়ারার আরো কিছু উপকারিতা-
উচ্চ রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণ রাখতে পেয়ারা বেশ কার্যকর।
ওজন কমাতে, কোষ্ঠকাঠিন্য দূর করতে এবং মুখের রুচি বাড়াতেও জুড়ি নেই পেয়ারার। তাই যারা পেটের সমস্যায় ভুগছেন তারা নির্দ্বিধায় এটি খেতে পারেন।
এতে ইনফেকশনরোধী উপাদান রয়েছে যা হজমক্রিয়া শক্তিশালী করে।

রক্তসঞ্চালণ ভালো রাখে। ফলে হার্টের রোগীরা এটি নিয়মিত খেতে পারেন।

অ্যাজমা, ঠান্ডা-কাশিতে কাঁচা পেয়ারার জুস বেশ উপকারী। এসব সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে সময়ে সময়ে পেয়ারা খেতে পারেন। তাহলে দ্রুত মুক্তি মিলবে।

ত্বক, চুল ও চোখের পুষ্টিও জোগায় পেয়ারা।

পেয়ারাতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ময়েশ্চার যা তারুণ্য বজায় রাখে র্দীঘদিন। ত্বকের রুক্ষ ভাব দূর করে ও শীতে পা ফাটা রোধ করে।

ডায়াবেটিস, ক্যান্সার, প্রস্টেট ক্যান্সারের মতো কঠিন ও জটিল রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক পেয়ারা।

15/07/2022

জামের উপকারিতা ঃ

জাম বিভিন্ন দেশে বিভিন্ন নামে পরিচিত। ব্ল্যাক প্লাম‚ জাম্বুল‚ জাম্বোলান‚ জাম্বাস‚ মালাবার প্লাম‚ রজামান‚ নেরেডু‚ কালা জামুন‚ নাভাল‚ জামালি‚ জাভা প্লাম ইত্যাদি নামে এটি পরিচিত।

ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে জামের উপকারের পাশাপাশি এর বীজও বেশ উপকার করে। বিশেষ করে হজমের সমস্যা সমাধানে বিকল্প হয় না। অধিকন্তু ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা জামের বীজ খাওয়ার পরামর্শ দেন।

আয়ুর্বেদের মতে জাম হলো- অ্যাসট্রিনজেন্ট অ্যান্টি-ডিউরেটিক, যা ঘন ঘন মূত্রত্যাগ কমাতে সাহায্য করে। এতে হাইপোগ্লাইসেমিক গুণ আছে, যা রক্তে শর্করার মাত্রা কমায়। এটি অ্যান্টিঅক্সিডেন্টে পূর্ণ যা ডায়াবেটিসে উপকারী। জাম ফল ও বীজ উভয়েই একই গুণ উপস্থিত আছে। হাড়ের শক্তি বৃদ্ধি করে, ইনফকশন দূর করে,জন্ডিস ও অ্যানিমিয়া নিরাময় করে,হার্টের সুস্বাস্থ্য বজায় রাখে,দেহে ইমিউনিটি বৃদ্ধি করে এছাড়াও অনেক উপকারিতা রয়েছে। আসুন চিকিৎসকের পরামর্শ অনুযায়ী জাম ও বীজের চূর্ণ গ্রহণ করি।

10/07/2022

অতিরিক্ত খাবার নিষিদ্ধ কেন?

সুস্থ হয়ে বেঁচে থাকার জন্য এবং শারীরিক পুষ্টির চাহিদা মেটাতে সুষম খাদ্যের প্রয়োজন। প্রয়োজনের চেয়ে বেশি খেলে তা স্বাস্থ্যের ওপর ক্ষতিকর প্রভাব ফেলে।

বিশেষজ্ঞদের মতে, মানুষের ৮০ শতাংশ রোগব্যাধি খাবারের কারণেই হয়ে থাকে। অপরিমিত খাবারই মানুষকে দিন দিন মৃত্যুর দিকে ঠেলে দেয়। ল্যানসেটে প্রকাশিত এক বিশ্লেষণে দেখা যায়, দৈনন্দিন যে খাদ্য তালিকা সেটিই ধূমপানের চেয়ে বেশি প্রাণহানি ঘটায় এবং বিশ্বব্যাপী প্রতি পাঁচটি মৃত্যুর মধ্যে একটির জন্য এই ডায়েট বা খাবারই দায়ী। (বিবিসি)
বিজ্ঞানীরা মনে করছেন শুধু খাদ্যাভ্যাস পরিবর্তনের মাধ্যমে বছরে ২৩.৬ শতাংশ বা এক কোটি ১৬ লাখ লোকের অকালমৃত্যু ঠেকানো যাবে।

স্বাস্থ্যবিজ্ঞানের মতে, মানুষের কোমর সোজা রাখার জন্য কয়েক লোকমা খাদ্যই যথেষ্ট। আর একান্তই যদি বেশি খাওয়া আবশ্যক হয়ে পড়ে তাহলে পেটের এক-তৃতীয়াংশ খাদ্য, এক-তৃতীয়াংশ পানি দ্বারা পূর্ণ করে বাকি এক ভাগ শ্বাস-প্রশ্বাসের জন্য খালি রাখতে হবে, যা একমাত্র রাসুল (সা.)-এরই নির্দেশ ছিল।

প্রফেসর রিচার্ড বার্ড গবেষণার পর প্রকাশ করেছেন যে বেশি খাদ্য খেলে নিম্নলিখিত রোগব্যাধির সৃষ্টি হয়—১. মস্তিষ্কের ব্যাধি। ২. চক্ষুরোগ। ৩. জিহ্বা ও গলার ব্যাধি। ৪. বক্ষ ও ফুসফুসের ব্যাধি। ৫. হৃদেরাগ। ৬. যকৃৎ ও পিত্তের রোগ। ৭. ডায়াবেটিস। ৮. উচ্চ রক্তচাপ। ৯. মস্তিষ্কের শিরা ফেটে যাওয়া। ১০. দুশ্চিন্তাগ্রস্ততা ১১. অর্ধাঙ্গ রোগ। ১২. মনস্তাত্ত্বিক রোগ। ১৩. দেহের নিম্নাংশ অবশ হয়ে যাওয়া। (সূত্র : সুন্নাতে রাসুল ও আধুনিক বিজ্ঞান)।

তাই আমাদের উচিত, খাবারসহ জীবনের প্রতিটি ক্ষেত্রে রাসুল (সা.)-এর সুন্নতকে আঁকড়ে ধরা। তবেই আমরা অর্জন করতে পারব পবিত্র ও সুস্থ জীবন

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 09/07/2022

পুদিনা পাতার উপকারিতাঃ

পুদিনা পাতা অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল, অ্যান্টিভাইরাল, শক্তিশালী অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, অ্যান্টিটিউমার এবং অ্যান্টি-অ্যালার্জিক।

পুদিনা পাতার রয়েছে অনেক স্বাস্থ্য উপকারিতা।
আসুন পুদিনা পাতার উপকারিতা জেনে নেই


১.পেটের ব্যাধি এবং ইরিটেবল বাওয়েল সিনড্রোম(আইবিএস) নিয়ন্ত্রণ করে
২.খাদ্যনালী খিঁচুনির নিয়ন্ত্রণ করে
৩.মাথাব্যথার চিকিৎসায় সাহায্য করে
৪.নিঃশ্বাসের দুর্গন্ধ থেকে মুক্তি দেয়
৫.সর্দির সাথে সম্পর্কিত লক্ষণগুলি হ্রাস করে
৬.মাসিকের ব্যথা কমাতে সাহায্য করে
৭.মৌসুমি অ্যালার্জি থেকে মুক্তি দেয়
৮.কেমোথেরাপির কারণে বমি বমি ভাব কমায়
৯.বদহজম কমায়
১০.শক্তির উন্নতি ঘটায়
১১.ওজন কমাতে সাহায্য করে

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 06/07/2022

আনারসের উপকারিতা ঃ
আনারস আমাদের অতি পরিচিত একটি ফল ফলটি ইংরেজিতে পাইনাপেল নামে পরিচিত।
আনারস রসালো ও তৃপ্তিকর সুস্বাদু ফল। ফলটিতে আঁশ ও ক্যালোরি ছাড়াও প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন, ক্যালসিয়াম, ফসফরাস এবং পটাশিয়াম থাকে। কলস্টেরল ও চর্বিমুক্ত বলে স্বাস্থ্য সুরক্ষায় এর জুড়ি নেই।আসুন জেনে নেই আনারসের উপকারিতা

১। পুষ্টির অভাব পূরণে সাহায্য করে ঃ

পুষ্টিগুণে ভরপুর ফলের নাম আনারস। এতে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন এ এবং সি, ক্যালসিয়াম, পটাশিয়াম ও ফসফরাস রয়েছে। এসব অপরিহার্য উপাদান আমাদের দেহের পুষ্টির অভাব পূরণে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে থাকে।

২। হজমশক্তিক বৃদ্ধি করেঃ

আমাদের হজমশক্তি বৃদ্ধি করতেও আনারসের জুড়ি নেই। আনারসে ব্রোমেলিন নামক এনজাইম থাকে যা হজমশক্তিকে উন্নত করতে সাহায্য করে। তাই বদহজম বা হজমজনিত যে কোনো সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে আনারস খাওয়া যেতে পারে।

৩। ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধেঃ

আনারসে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন সি থাকায় তা ভাইরাসজনিত ঠাণ্ডা ও কাশি প্রতিরোধে ভুমিকা রাখে। তাছাড়া জ্বর ও জন্ডিস প্রতিরোধে আনারস বেশ উপকারী। এছাড়া নাক দিয়ে পানি পড়া, গলাব্যথা এবং ব্রংকাইটিসের বিকল্প ওষুধ হিসাবে আনারসের রস খেতে পারেন।

৪। শরীরের ওজন কমাতে সহায়তা করেঃ

আনারসে প্রচুর পরিমাণে ফাইবার বা আঁশ থাকে। এছাড়া এতে কোন ফ্যাট না থাকায় পরিমিত পরিমানে আনারস খেলে বা আনারসের জুস পান করলে তা শরীরের ওজন কমাতে সহায়ক হতে পারে। আনারস তাই আপনার ওজন নিয়ন্ত্রণের পথ্য হতে পারে। দেহে রক্ত জমাট বাঁধতে বাধা দেয় এই ফল। ফলে শিরা-ধমনির মধ্য দিয়ে সারা শরীরে সঠিকভাবে রক্ত প্রবাহিত হতে পারে।

৫। দাঁত ও মাড়ি সুরক্ষায় ভুমিকা রাখে ঃ

আনারসে ক্যালসিয়াম থাকায় তা দাঁতের সুরক্ষায় কাজ করে। নিয়মিত আনারস খেলে দাঁতে জীবাণুর সংক্রমণ কম হয় ফলে দাঁত ঠিক থাকে। এছাড়া মাড়ির যে কোনো সমস্যা সমাধান করতে আনারস বেশ কার্যকর ভূমিকা পালন করে।

৬। চোখের যত্নে আনারসঃ

আনারস চোখের রেটিনা নষ্ট হয়ে ধীরে ধীরে অন্ধ হয়ে যাওয়া রোগ “ম্যাক্যুলার ডিগ্রেডেশন”রোগটি হওয়া থেকে আমাদের রক্ষা করে। আনারসে রয়েছে বেটা ক্যারোটিন। প্রতিদিন আনারস খেলে এ রোগ হওয়ার সম্ভাবনা ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়। ফলে সুস্থ থাকে আমাদের চোখ।

৭। ত্বকের যত্নে আনারসঃ

আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালরি থাকে যা আমাদের শক্তির যোগান দেয়। এতে থাকা প্রোটিন ত্বকের মৃত কোষ দূর করে, ত্বককে কুঁচকে যাওয়া থেকে বাঁচায়। এছাড়া দেহের তৈলাক্ত ত্বক, ব্রণসহ সব রূপলাবণ্যে আনারসের যথেষ্ট কদর রয়েছে।

৮। হাড়ের সমস্যাজনিত রোগ প্রতিরোধ করেঃ

আনারসে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম থাকে যা হাড়ের গঠনে বেশ গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে। এছাড়া এতে থাকা ম্যাঙ্গানিজ হাড়কে করে তোলে মজবুত। তাই খাবার তালিকায় পরিমিত পরিমাণ আনারস রাখলে হাড়ের সমস্যাজনিত যে কোনও রোগ প্রতিরোধ করা সম্ভব।

৯। ক্রিমিনাশক হিসেবে কাজ করে ঃ

ক্রিমিনাশক হিসেবে আনারসের রস ভালো কাজ করে। নিয়মিত আনারসের রস খেলে কয়েকদিনের মধ্যেই কৃমির উৎপাত বন্ধ হয়ে যায়। কৃমি দূর করতে সকালবেলায় ঘুম থেকে জেগে খালি পেটে আনারস খাওয়া উচিত।

১০। ক্যান্সার প্রতিরোধে সহায়তা করে ঃ

ফ্রি-রেডিকেল বা মুক্ত মুলক মানবদেহের কোষের উপর বিরূপ ক্রিয়ার সৃষ্টি করে ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগ দেখা দিতে পারে। দেশী আনারসে আছে উচ্চ মাত্রায় পানিতে দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট, ভিটামিন-সি এবং পানিতে দ্রবনীয় অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট যা দেহকে ফ্রি-রেডিকেল বা (মুক্ত মুলক) থেকে সুরক্ষা প্রদান করে। ফলে ক্যান্সার এবং হৃদরোগের মত মারাত্মক রোগ দেহে বাসা বাঁধতে বাধাগ্রস্থ হয়।

আনারসের কিছু পার্শ্ব-প্রতিক্রিয়া

আনারসের অনেক গুরুত্বপূর্ণ উপকারিতা থাকলেও এটি সবার জন্য ঠিক স্যুট করে না। অনেকেরই আনারস এলার্জির সমস্যা যেমন বিভিন্ন ধরনের চুলকানি, ফুস্কুরি ইত্যাদি হতে পারে।
আনারসে রয়েছে প্রচুর পরিমানে প্রাকৃতিক চিনি যা ডায়বেটিস রোগীদের জন্য ক্ষতিকর। আনারসের মধ্যে অতিরিক্ত চিনি আমাদের দেহে রক্তের চিনির পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। তাই ডায়াবেটিস রোগীরা আনারস বেশি না খেয়ে সপ্তাহে ২ দিন খেতে পারেন।
আনারস একটি এসিডিক ফল। তাই খালি পেটে ফলটি খেলে পেটে প্রচন্ড ব্যথার তৈরী হতে পারে। আনারস আর দুধ এক সাথে খাওয়া যায় না, এটি একটি কুসংষ্কার। এখন পর্যন্ত আনারস এবং দুধের মাঝে এমন কোন রাসায়নিক বিক্রিয়া খুঁজে পাওয়া যায়নি যার ফলে এদেরকে এক সাথে খেলে সেটা মানুষের জীবনহানি করবে। বর্তমানে অনেক খাবারেই দুধ ও আনারস একসাথে মেশানো হয় এবং সারা বিশ্বেই তা খাওয়া হয়। কোন গ্যাস্ট্রিকের রোগী যদি খালিপেটে আনারসের সাথে দুধ খায় তাহলে তাঁর পেটে প্রচন্ড ব্যথার "ফুড ট্যাবু" এর উদ্ভব হতে পারে।
রক্ত তরল করার জন্য যে ওষুধ বানানো হয় তাতে আনারস ব্যবহার করা হয়ে থাকে। এই ফল দেহে রক্ত জমাট বাঁধার প্রক্রিয়াতে বাঁধা প্রদান করে থাকে। তাই যাদের আনারস খেলে এ সকল সমস্যায় ভুগেন তারা অবশ্যই আনারস থেকে দূরে থাকবেন।


পুষ্টিসাধন সহ দেহকে সুস্থ রাখতে আনারস একটি অতুলনীয় ও কার্যকরী ফল। এটি দামেও সস্তা এবং সহজলভ্য। এছাড়া এর বিভিন্ন পুষ্টি উপাদান আমাদের শরীরের জন্য খুবই উপকারী। প্রতিদিনের খাদ্য তালিকায় যে কোন একটি ফল থাকলে মন্দ হয়না। তাই চাইলেই প্রতিদিনের খাবারে আনারস রাখা যেতেই পারে।

05/07/2022

ভেষজের উপকারিতা ০৭ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

গ্রামে বহুল ব্যবহৃত একটি লতা হলো আসামলতা।সারাদেশে হাতের কাছেই পারি পাওয়া যাচ্ছে লতাটি।এ লতার রয়েছে অসাধারণ ঔষধি গুণাগুণ।


১। হঠাৎ কেটে যাওয়া স্থান থেকে রক্ত পড়া বন্ধ করতে আসাম লতার ৪-৫টি পাতা পরিষ্কার করে ধুয়ে ঐ স্থানে প্রলেপ দিতে হবে। এতে রক্তপড়া বন্ধ হবে।

২। পচা ঘা বা ক্ষতে এই পাতার ৫-১০ গ্রাম ছেঁচে প্রলেপ দিলে ঘা বা ক্ষত সহজে শুকিয়ে যাবে।

৩। জন্ডিস সরাতে চিকিৎসকের পরামর্শ নির্ভেজাল বিশ্রাম। আয়ুর্বেদ বা ইউনানি মতে আসাম পাতার ৮-১০ মি.লি. রস প্রতিদিন সকালে -বিকালে ২ বার খালিপেটে খেলে ৭ দিনের মধ্যে উপকারিতা উপলব্ধি করা যায়।

৪। জ্বর, মাথাব্যথা ও ঠান্ডা নিবারণে আসাম লতা দারুণ কাজ করে থাকে।

৫। ডায়াবেটিস রোধ ও যকৃতের সুরক্ষায় এটি ব্যবহৃত হয়।

৬। বসন্ত ও হামে এর পাতার রস পানিতে মিশিয়ে গা ধুইয়ে দিলে উপকার হয়।

30/06/2022

ভেষজের উপকারিতা ০৬ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

ডেউয়া,ডেলোমাদার,ডেউফল,ঢেউফল ইত্যাদি নামে পরিচিত। অঞ্চলভেদে এ ফল মানুষের কাছে বিভিন্ন নামে পরিচিত। কিছু কিছু ফল আছে যেগুলোর খুব একটা পরিচিতি না থাকলেও তাদের রয়েছে অসাধারণ ভেষজ পুষ্টিগুণ। তাদের মধ্যে ডেউয়া অন্যতম।

ডেউয়ার উপকারিতা ঃ

১। যকৃতের নানা অসুখ নিরাময়ে সাহায্য করে ।
২। কোষ্ঠকাঠিন্য ও গ্যাসের কারণে পেটব্যথা কমাতে সহায়তা করে ।
৩। পেট পরিষ্কার করতে কাঁচা ডেউয়া ৮-১০ গ্রাম বেটে নিয়ে গরম পানিতে মিশিয়ে সকালে খালি পেটে খেলে পেট পরিস্কার হবে।
৪। গাছের ছালের গুঁড়ো ত্বকের রুক্ষতা দূর করে এবং ব্রণের দুষিত পুঁজ বের করে দেয়।
৫। ডেউয়ার রয়েছে ভিটামিন সি যা ত্বক, চুল, নখ, দাঁত ও মাড়ির নানা রোগ প্রতিরোধে সহায়তা করে।
৬। এতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ক্যালসিয়াম যা দাঁত ও হাড়ের ক্ষয়রোগ প্রতিরোধ করে।
৭। ডেউয়াতে বিদ্যমান পটাশিয়াম রক্ত চলাচলে সহায়তা করে, রক্তচাপ নিয়ন্ত্রণে রাখে এবং হৃদরোগ ও স্ট্রোকের ঝুঁকি কমায়।

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 28/06/2022

ভেষজের উপকারিতা ০৫ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 27/06/2022

ভেষজের উপকারিতা ০৪ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 26/06/2022

ভেষজের উপকারিতা ০৩ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 25/06/2022

ভেষজের উপকারিতা ০২ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

Photos from Dr. Abu Bakar Siddique's post 24/06/2022

ভেষজের উপকারিতা ঃ
ভেষজ সম্পর্কে জ্ঞান থাকলে ঘরে ঘরে সুস্থ মেলে।আসুন ধারাবাহিক ভাবে ভেষজের উপকারিতা জেনে নেই

11/06/2022

মানসিক স্বাস্থ্যঃ

যদিও বাংলাদেশের মানুষ আগের তুলনায় অনেক পরিবর্তন হয়েছে, কিন্তু এখনো দেশের মানুষজনের মানসিক স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞদের কাছে যাওয়ার ক্ষেত্রে অনীহা রয়েছে।

যদিও শারীরিক অন্যান্য সমস্যার মতো মানসিক সমস্যায় আক্রান্ত হলে সঠিক কাউন্সেলিং ও চিকিৎসায় পুরোপুরি আরোগ্য লাভ করা যায়।

কি ধরনের উপসর্গ দেখা দিলে মানুসিক ডাক্তারের পরামর্শ গ্রহণ করবেন আসুন একটু মিলিয়ে নেই

১.হঠাৎ হঠাৎ করে বেশি উত্তেজিত হয়ে ওঠা।
২.অনেকদিন ধরে নিজেকে সবার কাছ থেকে সরিয়ে গুটিয়ে রাখা।
৩.টানা দুই সপ্তাহের বেশি সময় ধরে মন খারাপ থাকা।
৪.অন্যদের সঙ্গে একেবারে কথা বলতে না চাওয়া।
৫.সবার সাথে ঝগড়া করা।
৬.সব সময় চিন্তা / বিষন্নতা অনুভব করা।
৭.ঘুম কম বা বেশি হওয়া।
৮.ঘুম থেকে ওঠা মাত্রই চিন্তা গুলো চেপে ধরে।
৯.কম বা বেশি খাওয়া।
১০.সারাদিন দুঃখ অনুভব করা।
১১.দৈনন্দিন কাজ ভুল করা।
১২.ভুলে যাওয়ার প্রবনতা বেড়ে যাওয়া।
১৩.ভয় ও উদ্বেগ অনুভব হওয়া।
১৪. অকারণে ভয় পাওয়া।
১৫.নেশা করার আসক্তি বেড়ে যাওয়া।
১৬.বাস্তব থেকে দুরে সরে যাওয়া।
১৭.অকারণে সন্দেহ করা।
১৮.সব সময় মনে হবে কেউ তাকে অনুসরণ করছে।
১৯.গায়েবি আওয়াজ বা কথা শুনতে পাওয়া।
২০.একা একা কথা বলা।
২১.বিশেষ কিছু অলৌকিক বিষয় বস্তু দেখতে পাওয়া।
২২.আত্মহত্যার কথা মাথায় ঘোরা।
২৩.ভুত ও ঠাকুর দেখা।
২৪.পরিস্কার করার বাতিক যেমন হাত,জামাকাপড়, ঘর বারবার পরিস্কার করা।
২৫.রোগ নেই কিন্তু মনে হয় অনেক রোগ আছে কোন ভাবেই ভালো হচ্ছে না।

মানুসিক চিকিৎসকের পরামর্শ গ্রহণ করুন, সুস্থ সুন্দর জীবন গড়ুন।

05/06/2022

সীতাকুণ্ডে কনটেইনার ডিপোতে আগুনঃ

আগুন! আগুন!! আগুন!!!

কেউ বিস্ফোরণের আগুনে জ্বলে,
কেউ মানবতার আগুনে জ্বলে,
কেউ সন্তান হারানোর আগুনে জ্বলে,
কেউ মা বাবা হারানোর আগুনে জ্বলে,
কেউ জ্বলে প্রেমের আগুনে,
কেউ জ্বলে সম্পদ পাওয়া না পাওয়ার আগুনে,
কেউ ক্ষমতার আগুনে জ্বলে,
আমি জ্বলি পাপের আগুনে, মানবতা বিলিন হওয়ার আগুনে।
পাপ বেড়ে যাওয়া ও মানবতা বিলীন হওয়ায় পৃথিবী আজ আগুনের লেলিহানে জ্বলে পুড়ে ছাই।
কেউ আছে ছবি তুলে ভাইরাল হওয়ার ধান্দায়,
কেউ আছে মানবতা দেখিয়ে মান সন্মান বৃদ্ধির ধান্দায়,কেউবা আছে রাজনৈতিক ফায়দা লোটবার ধান্দায়। ধান্দা ছাড়া কাউকে খুঁজে পাওয়া দায়।
কিন্তু ইসলাম আমাদের শিক্ষা দেয়,
ধর্ম বর্ন নির্বিশেষে সকলের বিপদে নিঃস্বার্থ ভাবে পাশে থেকে সাহায্য করা।
আসুন আমরা নিঃস্বার্থে জান মাল দিয়ে মানুষের বিপদে ঝাপিয়ে পড়ি।
হে আল্লাহ আপনি সীতাকুণ্ডে আগুনে পুড়ে যারা মারা গেছে তাদেরকে শহিদি মর্যাদা দান করুণ ,যারা অসুস্থ অবস্থায় হাসপাতালে আছে তাদেরকে তাড়াতাড়ি সুস্থতা দান করুন এবং শোকাহত পরিবারে ধৈর্য্য দান করুণ। যদিও সকল বিপদ আপদ আমাদের কর্মের ফল।

জল–স্থলে বিপর্যয় মানুষের কৃতকর্মের ফল। (আল–কোরআন, সুরা-৩০ রুম, আয়াত: ৪১)।

হে আল্লাহ, সর্বোপরি আপনি সকল ডাক্তার- নার্সদের শারীরিক মানসিকভাবে সুস্থ রাখুন। আমিন ছুম্মা আমিন।

03/06/2022

দুশ্চিন্তা/ উদ্বেগ (Anxiety) ঃ

সাধারনত আমরা কোনো না কোনো বিষয় নিয়া চিন্তা করি কিন্তু চিন্তা যখন এমন চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছে যেখানে শরীর প্রভাবিত হয় এবং শারীরিক কাজকর্ম ব্যাহত হয় তখন সেই মানসিক অবস্থাকে আমরা দুশ্চিন্তা বলি।
দৈনন্দিন জীবনে আমরা অনেক সমস্যার মুখোমুখি হই।এসব সমস্যা আপনাআপনিই আমাদের চিন্তা গ্রস্ত করে তোলে।চিন্তা যখন অতিরিক্ত হয়, তখনই আমরা দুশ্চিন্তায় ভুগি।

জীবনের চলার পথ কখনোই সরল নয়। অনেক সময় নানা বাধা বিপত্তির মুখোমুখি হতে হয়। আর সেসব পরিস্থিতি আমাদের মনে নানান প্রভাব ফেলে। কোনো কঠিন পরিস্থিতিতে উদ্বিগ্নতা অত্যন্ত স্বাভাবিক একটি বিষয়। বরং অনেক ক্ষেত্রে উদ্বিগ্নতা বা দুশ্চিন্তা বেশ উপকারী। যেমন, পরীক্ষার আগে যদি সামান্য উদ্বিগ্নতা কাজ করে তাহলে কিন্তু পড়তে ইচ্ছে করবে। যদি কোনো দুশ্চিন্তা না হয়, তাহলে তো আর পড়াশোন করবেন না! আবার অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা কিন্তু পড়ার ক্ষতি করতে পারে। শুধু পড়া নয়, অতিরিক্ত দুশ্চিন্তা আমাদের যেকোনো কাজে সাফল্যের হার কমিয়ে দিতে পারে।

আসুন জেনে নেই এই রোগের লক্ষণ ও উপসর্গঃ

- সহজেই বিরক্তি প্রকাশ
-অতি দুশ্চিন্তা
- মনোযোগের অভাব
- অস্থিরতা
- বুক ধড়ফড়
- বুকে চাপ অনুভব
- হার্টবিট যেন মিস হয়ে গেল, এই অনুভূতি
- শ্বাসকষ্ট বা বুকে অস্বস্তি বা জোরে করে শ্বাস নেওয়া
- মুখ শুকিয়ে যাওয়া
- পাতলা পায়খানা
- ঢোক গিলতে কষ্ট
- পায়ুপথে বেশি বাতাস যাওয়া
- বারবার প্রস্রাব
- যৌন অক্ষমতা
- অনিয়মিত মাসিক
- ঘুমের সমস্যা
- অতিরিক্ত ঘাম ইত্যাদি

দুশ্চিন্তা থেকে মুক্তির উপায় ঃ

দুশ্চিন্তা সম্পর্কে যেসব মৌলিক বিষয় আপনার জানা উচিত—

১. রৌদ্রোজ্জ্বল ঘরে বসবাস করুন ও ভবিষ্যৎ নিয়ে চিন্তা করে নিজেকে শেষ করে না দিয়ে ঘুমাতে যাওয়ার আগ পর্যন্ত আজকের দিনের জন্য বাঁচুন।
২. সমস্যা মোকাবিলা করতে উইলস এইচ ক্যারিয়ারের সূত্র মেনে চলুন। সূত্রটি হলো–
ক. চিন্তা করুন আপনি সমস্যাটি সমাধান করতে না পারলে আপনার সর্বোচ্চ কী কী ক্ষতি/সমস্যা হতে পারে
খ. সবচেয়ে খারাপ ক্ষতি/সমস্যাটি মেনে নিতে মনে মনে প্রস্তুতি নিন।
গ. তখন শান্তভাবে সবচেয়ে খারাপ ক্ষতি/সমস্যাটি থেকে ভালো করার চেষ্টা করুন।
৩. দুশ্চিন্তা যে আপনার শারীরিক কত বড় ক্ষতি করতে পারে সে বিষয়ে নিজেকে মনে করিয়ে দিন।

দুশ্চিন্তা বিশ্লেষণ করার উপায়—

১. সব তথ্য সংগ্রহ করুন।
২. তথ্যগুলো থেকে একটা সিদ্ধান্তে আসুন।
৩. নিজেকে উদ্বেগমুক্ত রেখে ফলাফলের কথা চিন্তা না করে সিদ্ধান্ত মোতাবেক কাজ করুন।
৪. যখনই মনে হবে আপনি দুশ্চিন্তা করছেন, নিচের এসব প্রশ্নের উত্তর বের করে লিখুন—
ক. সমস্যাটি কী?
খ. সমস্যাটির কারণ কী কী?
গ. সম্ভবত কী কী উপায়ে সমস্যাটি সমাধান করা যেতে পারে?
ঘ. সমস্যাটি সমাধান করার সবচেয়ে ভালো উপায় কোনটি?

দুশ্চিন্তা আপনাকে ভেঙে ফেলার আগে আপনি যেভাবে দুশ্চিন্তার অভ্যাসকে ভেঙে ফেলবেন-

১. ব্যস্ত থাকুন।
২. খুঁটিনাটি বিষয় নিয়ে হইচই করবেন না।
৩. যে বিষয়টি হতে পারে ভেবে দুশ্চিন্তা করছেন, সেটি গড়ে কেমন হারে হয়?
৪. যেটি নিশ্চিতই হবে, সে সমস্যাটির সঙ্গে সহযোগিতা করে কাজ করুন।
৫. আপনার উদ্বেগ্ন যতটুকু সমস্যা তৈরি করতে পারে, তার চেয়ে বেশি দুশ্চিন্তা না করার সিদ্ধান্ত নিন।
৬. অতীতকে নিয়ে দুশ্চিন্তা করবেন না।

মানসিক সুখ-শান্তি আনার ৭টি পদ্ধতি—

১. শান্তি, উৎসাহ, সুস্বাস্থ্য আর আশা দিয়ে মনকে ভরপুর করুন।
২. যেসব মানুষকে আপনি পছন্দ করেন না, তাদের নিয়ে চিন্তা করে আপনার এক মিনিট সময়ও নষ্ট করবেন না।
৩. মানুষের অকৃতজ্ঞতাকে মেনে নিন।
৪. সমস্যাগুলো নয়, আপনার প্রাপ্তিগুলো গণনা করুন।
৫. নিজের মতো হোন। মনে রাখবেন, এই পৃথিবীতে আর কেউ আপনার মতো নন।
৬. ক্ষতির মধ্যেও লাভ বের করুন। আপনার ভাগ্যে একটি লেবু থাকলে লেবুর সরবত বানান।
৭. অন্যের সুখ-শান্তি তৈরি করুন।

দুশ্চিন্তা জয়ের নির্ভুল পদ্ধতি—

১. প্রার্থনা করুন।
২. বর্তমান নিয়ে বাঁচুন।

01/06/2022

মনঃ
মন হলো বুদ্ধি ও বিবেকবোধের এক সমষ্টিগত রূপ যা চিন্তা, অনুভূতি, আবেগ ও ইচ্ছার মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।

মন ভালো তো সব ভালো।আমরা নিজেদের ও পরিবারের সদস্যদের স্বাস্থ্য নিয়ে সচেতন।কিন্তু আমরা ভুলে যাই যে, স্বাস্থ্য মানে কেবল শরীর না,মন স্বাস্থ্যের একটি গুরুত্বপূর্ণ অংশ। মন ভালো থাকলে শরীরও ভালো থাকে।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থায় শরীরের পাশাপাশি মনকে গুরুত্ব দেওয়ার কথা বলেছেন। শরীরে কোনো রোগ না থাকলেও যেমন শরীরকে সুস্থ রাখার জন্য প্রতিদিন দাঁত ব্রাশ, গোসল,সুষম খাদ্য গ্রহন ইত্যাদি করতে হয় তেমনি মনের সুস্থতার জন্য নিয়মিত মনের যত্ন নিতে হয়।কেননা মন ও শরীর পরস্পরের সাথে গভীরভাবে সম্পর্কিত। মন খারাপ হলে শরীরের উপর প্রভাব পড়ে আবার শরীর খারাপ হলে মনও খারাপ হয়।তাই সুস্থ থাকতে হলে মনের যত্ন নিতে হবে। আসুন জেনে নেই মনের যত্নের জন্য করনীয় বিষয়সমুহঃ
১.নিয়মিত ঘুমাতে হবে। রাতে তাড়াতাড়ি ঘুমাতে হবে এবং সকালে তাড়াতাড়ি ঘুম থেকে উঠতে হবে।
২.মনের মধ্যে কষ্ট চেপে রাখা যাবে না।
৩.নিজের জন্য কিছুটা সময় আলাদা রাখতে হবে।
৪.নিজের প্রতি সতেজ থাকতে হবে।
৫.দুশ্চিন্তা পরিহার করতে হবে।
৬.ভুল হলে সাময়িক মন খারাপ করুন কিন্তু অপরাধবোধে ও লজ্জাবোধে ভুগবেন না।
৭.ভুল স্বীকার করার মতো সাহসী হোন।
৮.তুচ্ছ বিষয় নিয়ে ভাববেন না।
৯.পারিবারিক সুসম্পর্ক বজায় রাখুন।
১০.কাজ করুন সহজ উপায়।
১১.আন্তরিকভাবে কাজ করুন।
১২.যতটুকু পারবেন ততটুকু করার চেষ্টা করুন।
১৩.সঠিক খাদ্য অভ্যাস করুন।
১৪.হালকা ব্যায়াম করুন।
১৫.সর্বোপরি মানসিক সমস্যার চিকিৎসা গ্রহণ করুন।

30/05/2022

Depression (বিষন্নতা)

প্রতি পাঁচ জনের মধ্যে একজন কখনো না কখনো বিষন্নতায় আক্রান্ত হয়ে থাকেন বা হতে পারেন।
বিষন্নতাকে একটি গুরুত্বপূর্ণ মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যা হিসেবে বিবেচনা করা হয়।শুরুতেই এর যথাযথ দৃষ্টি না দিলে এ থেকে গুরুতর সমস্যা তৈরি হতে পারে।

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার ধারনা ২০৩০ সাল নাগাদ বিশ্বে আর্থ সামাজিক ক্ষেত্রে বড় সংকটের তৈরি করতে যাচ্ছে বিষন্নতা।

আপনি কিভাবে বুঝবেন আপনার বিষন্নতা হয়েছে?
আসুন জেনে নেই,
১.দিনের বেশিরভাগ সময় মন খারাপ থাকবে।
২.যেসব কাজে আগে আনন্দ পেতো সেসব কাজে আনন্দ ও আগ্রহ কমে যাওয়া।
৩.ঘুম অস্বাভাবিক কম বা বেশি হওয়া।
৪.খাবার কম বা বেশি খাওয়া।
৫.ওজন কমে যাওয়া
৬.কাজে ও চিন্তায় ধীরগতি হওয়া।
৭.নিজেকে নিয়ে নেতিবাচক চিন্তা করা বা সবকিছুতে নিজেকে দায়ী করা।
৮.হঠাৎ রেগে যাওয়া।
৯.সিদ্ধান্তহীনতা বা মনোযোগ কমে যাওয়া এবং আত্মা হত্যার পরিকল্পনা ও চেষ্টা করা।
এর মধ্যে ছয়টি থাকলে বুঝতে হবে আপনার বিষন্নতা আছে।

আসুন জেনে নেই বিষন্নতা থেকে কিভাবে মুক্তি পাবেন ঃ
১.শারীরিক পরিশ্রম বা শরীরচর্চা করুণ
২.প্রতিদিন কমপক্ষে ৩০ মিনিট হাটুন।
৩.ইতিবাচক চিন্তা করুন।
৪.আত্মবিশ্বাস রাখুন যে আমি পারবো।
৫.ধৈর্য্য বৃদ্ধি করুন।
৬.আপনজন বা বন্ধুদের সাথে সময় কাটান।
৭.সৎকাজ এবং অপরের কল্যাণ এগিয়ে আসুন।
৮.স্বাস্থ্যকর খাবার গ্রহণ করুন।
৯.নিজেকে কাজে ব্যস্ত রাখুন "Keep yourself busy if you want to avoid depression. For me,inactivity is the enemy"-Matt Lucas
১০. নিয়মিত প্রার্থনা করুন।একমাত্র সৃষ্টি কর্তার স্মরনের মাধ্যমেই আত্মার প্রশান্তি পাওয়া যায়।

29/05/2022

বলা হয়,স্বাস্থ্যই সম্পদ।তাই মানুষের জন্য শারীরিক, মানসিক আত্মিক সুস্থতাকে সৃষ্টিকর্তার প্রদত্ত আমানত বলা হয়।
দৈহিক সুস্থতার পাশাপাশি মানসিক সুস্থতাও জরুরি বরং মানসিক সুস্থতা দৈহিক সুস্থতার পূর্বশর্ত। কারন মানসিক প্রশান্তি ও উৎফুল্লতা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায় আর মানসিক উৎকন্ঠা ও অস্থিরতা দেহের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমায়।বিশেষজ্ঞদের মতে,কিছু জটিল রোগের উৎস হলো মানসিক চাপ।
মানসিক চাপ কমানোর কিছু পরামর্শ দেওয়া হলো,আশাকরি সঠিকভাবে মানলে আপনি মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাবেন ইনশাআল্লাহ।

১.প্রান খুলে হাসুন।
২.লাইফস্টাইল পরিবর্তন করুন।
৩.নিয়মিত মেডিটেশন ও ব্যায়াম করুন।
৪.নিজেকে ব্যস্ত রাখুন।
৫.দুশ্চিন্তাকে না বলুন।
৬.ক্ষোভ ঝেড়ে ফেলুন।
৭.বাস্তববাদী হউন।
৮.নামাযে যত্নবান হউন।
৯.নিয়মিত কুরআন তেলাওয়াত করুন।
১০.তাকদিরের উপর বিশ্বাস রাখুন।
১১.ক্ষমা প্রার্থনা করুন।
১২.সর্বোপরি, নিয়মিত সতেজ শাকসবজি ও ফলমূল খান মানসিক চাপ থেকে মুক্ত থাকুন।

Want your practice to be the top-listed Clinic in Barishal?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Website

Address


Barishal
8200

Other Barishal clinics (show all)
Homeo Pathy Homeo Pathy
Barishal, 8200

Vision Care Hospital & Diagnostic Centre. Vision Care Hospital & Diagnostic Centre.
Barishal
Barishal

This is an digital Hospital & Diagnostic Centre

Dr. Jahidul Islam Dr. Jahidul Islam
Barishal, 8200

Barisal Falaq Women’s Hijama Center Barisal Falaq Women’s Hijama Center
C&B Road, 1 No Poal, Barisal Sadar
Barishal

আমাদের এখানে মহিলা থেরাপিস্ট দ্বারা হিজামা করিয়ে থাকি😊 দয়া করে শুধু আপুরা কল করুন,দেয়া নম্বরে🙂

Sabur-3 Sabur-3
Barishal, 8200

Good Health

Barisal Device Cosmatices Center. Barisal Device Cosmatices Center.
1 No: C&B Pol Disabhabon
Barishal, 8200

https://www.youtube.com/watch?v=PJWFCxrm3us&t=356s

Dr. Mohammad Faisal Hasan Bhuiyan Dr. Mohammad Faisal Hasan Bhuiyan
Band Road, Chandmari
Barishal, 8200

Barisal Hijama & Polypus Helpline. Barisal Hijama & Polypus Helpline.
Mojib Monjil, TTC Len, C&B Road
Barishal, 8200

বরিশাল বিভাগে সর্ব প্রথম প্রতিষ্ঠান (চিকিৎসা ও প্রশিক্ষণ).হিজামা,পলিপাস, পাইলস ও ডিভাইস কসমেটিক খতনা

AB Siddique Nursing & Community Paramedic Institute AB Siddique Nursing & Community Paramedic Institute
Abrar Rahman Tower, South Bijoypur, Gournadi
Barishal

Riyad Optics Riyad Optics
School Road, Patarhat, Mehendigonj
Barishal, 8270

রিয়াদ চ্শমা ঘর এক যুগেরও বেশি সময় ধরে সুনামের সাথে চক্ষু রোগীদের সেবা দানকারী একটি প্রতিষ্ঠান!

Jihan tv Jihan tv
Barishal

হেলবিডি, health bd,jihantv,jakariya mahamud, আমার এই চ্যালেনে স্বাস্থ্য নিয়ে সকল কথা। বড় বড় রোগ থেকে বাঁচার উপায়

Azizia Homeo Azizia Homeo
Jhalokathi
Barishal