Al-Huda Online bookshope

দাম্পত্য জীবনে ভালোবাসা বৃদ্ধি ও প্রেমময় বন্ধন অটুট রাখার গুরুত্বপূর্ণ কিছু বিষয় নিয়েই উসতাজ হাসসান শামসি পাশার প্রেমময় দাম্পত্য জীবন’ গ্রন্থটি।

বিবাহিত প্রতিটি নারী-পুরুষই চায় একটি সুন্দর সুখময় দাম্পত্য জীবন। গড়তে চায় ভালোবাসাপূর্ণ অনাবিল প্রশান্তির আধার একটি প্রেমময় সংসার। অবশ্য এর জন্য স্বামী-স্ত্রী দুজনকেই কিছু বিষয়ের প্রতি লক্ষ রেখে চলতে হয়। ভালোবাসার ঘর বাঁধতে দুজনকেই উত্তম গুণাবলিতে গুণান্বিত হতে হয়। পরিহার করতে হয় রাগ-ক্ষোভ, জিদ, অহমিকা, স্বার্থপরতা, দোষচর্চার মতো সম্পর্ক অবনতি ঘটানোর যাবতীয় মন্দ স্বভাব। তবেই দেখা মিলে দাম্পত্য জীবনের পরম সুখ আর প্রশান্তির।

আমি যেভাবে পড়তাম

যখন আমার শৈশব ও খেলাধুলার বয়স শেষ হল, তখন কিতাবপত্রকে সাথি, সঙ্গী ও বন্ধু বানিয়ে নিলাম। ভোরে ঘুম থেকে উঠি, তখনও কিতাব আমার সঙ্গী। সন্ধ্যা হয়, তখনও কিতাব আমার বন্ধু। ঘুমাই কিতাব বুকে নিয়ে। হাঁটতে থাকি, কিভাব হাতে নিয়ে। কিতাবের জন্য পরিবার ও ভাইবেরাদর ছেড়ে দিলাম। বন্ধুবান্ধব বাদ দিয়ে ব্যস্ত হলাম কিতাব নিয়ে। এ কারণে পার্কের আনন্দ-ভ্রমণও বর্জন করলাম ।

এমন এক যামানা আমার অতিবাহিত হয়েছে যে, অধ্যয়নের কারণে আমি বাড়ি থেকে বের হতাম না। কিছু দিন খাওয়া-দাওয়ার সময়ও পড়তাম। খেতাম, পড়তাম। হাঁটতাম, পড়তাম। বন্ধুরা ঘুরে বেড়াত, আমি পড়তাম। লোকজনের জমায়েত, তাদের আনন্দ-উল্লাস দেখতাম; কিন্তু আমি কিতাব নিয়ে ব্যস্ত। পাতা ওলটানোয় লিপ্ত। দিনে প্রায় দুইশ পৃষ্ঠা পড়তাম। কখনও সারা দিনে পড়ে ফেলতাম পুরো একটি খণ্ড। কখনও একটি পৃষ্ঠা দশ বার পড়তাম। গদ্যের একটি প্যারা পড়তে পড়তে মুখস্থ করে ফেলতাম। কখনও মুখস্থ করতাম পুরো কাসীদা ।

তাফসীর পড়তে পড়তে বিরক্ত হয়ে গেলে শুরু করতাম ফেকাহ । পড়তাম ক্লান্ত হওয়া পর্যন্ত। তারপর সাহিত্য পড়তাম ত্যাক্ত হওয়া পর্যন্ত।...

|| ড. আয়ে আল করনী||