Israt Tax Associate

আয়কর নির্দেশিকার পরিবর্তন ২০২২-২৩

আয়কর রির্টান বিষয়ে একজন টিআইএন ধারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান কে যেই বিষয় গুলো জানা প্রয়োজনঃ

➡️➡️ আয়কর রিটার্ন জমা না দিলে যে কত রকমের ঝামেলা হতে পারে তা অনেকেই জানেন না। এমনকি আগে করযোগ্য ছিলেন। কিন্তু পরে সেরকম আয় আর নেই-এমন ব্যক্তিকেও বিপাকে পড়তে হতে পারে।

➡️➡️যেই সব ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠান টিআইএন নিয়েছেন অথচ কখনো রির্টান জমা দেন নিই, পূর্বে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন সেবায় টিআইএন জমা দিলেই সেবা পাওয়া যেত অথচ করযোগ্য আয় থাকা সত্ত্বেও তারা আয়কর রির্টান জমা দেন নিই। এই জন্য দেশের বিপুল সংখ্যক টিআইএন ধারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্টান রাজস্ব বাহিরে থেকে যেত। বর্তমানে দেশের মোট জন-সংখ্যার ১% শতাংশ আয়কর রির্টান জমা দেন।

➡️➡️অর্থ বাজেট ২০২২-২৩ থেকে রাজস্ব আদায়ের লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে নতুন বাজেটে কর ব্যবস্থাকে ঢেলে সাজানো হয়েছে। বর্তমানে সকল সেবায় আয়কর রির্টান জমা দেওয়ার প্রাপ্তী স্বীকারপত্র বা আয়কর সনদপত্র ছাড়া এখন আর কোন সেবা মিলবে না।

➡️➡️যারা টিআইএন নিয়েছেন অথচ কখনো রির্টান জমা দেন নিই। সেই সব টিআইএন ধারীর ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানের যদি পূর্ব করযোগ্য আয় না থাকে, তাহলে করবর্ষ ২০২২-২৩ এর আয়কর রির্টান জমা দিলেই পিছনের করবছরের জন্য রির্টান জমা দিতে হবে না। এই ছাড়াও তাদের জন্য আগামী ৩০ শে জুন ২০২৩ এর ভিতর যেইকোন সময় জরিমানা ছাড়া আয়কর রির্টান জমা দিতে পারবেন। তাদের জন্য ৩০শে জুন ২০২৩ আয়কর রির্টান জমা দেওয়ার শেষ দিন।

➡️➡️ অন্যদিকে যেই সব করদাতারা পূর্বে থেকে আয়কর রির্টান জমা দিয়ে আসছেন তাদের জন্য করবর্ষঃ ২০২২-২০২৩ এর আয়কর রির্টান জমা দেওয়ার শেষদিন ৩০ নভেম্বর ২০২২। এইছাড়াও এই বৎসর ৩০ শে নভেম্বর ২০২২ এর ভিতর আয়কর রির্টন জমা না দিলে এই সব করদাতাদের করদায় বেড়ে যাবে। নির্ধারিত সময়ের পর যারা রির্টান জমা দিবেন তাদের কররেয়াত নিতে পারবেন ১৫% এর পরিবর্তে ৭.৫%। পূর্বে যেখানে করযোগ্য আয়ের উপর অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ রাখতে পারতেন ২৫% সেটা এই করবর্ষ থেকে সব শ্রেণীর করদাতার জন্য ২০% অনুমোদিত খাতে বিনিয়োগ রাখতে পারবেন। এতে করে একজন করদাতার বিনিয়োগ থাকা সত্বেও করদায় বেড়ে যাবে।

➡️➡️আমাদের পেইজে সকল করদাতাদের জন্য আয়কর আইনের ও বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ তথ্য গুলো পেতে পেইজের সাথে থাকুন। আপনাদের আয়কর রির্টান নিয়ে কোন পরামর্শ প্রয়োজন হলে আমাদের ফার্মের অভিজ্ঞ ট্যাক্স কনসালটেন্ট সহযোগিতা নিতে পারেন।

আপনার কি টিআইএন সার্টিফিকেট আছে? বর্তমানে সরকারী-বেসরকারি সকল সেবায় আয়কর রির্টানের প্রমাণপত্র জমা দিয়ে সেবা নিতে হয়।
অর্থ বাজেট ২০২২-২০২৩ থেকে সকল টিআইএন ধারী ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আয়কর রির্টান জমা দেওয়া বাধ্যতামূলক করা হয়েছে।

আপনি কি আয়কর রির্টান জমা দিতে অভিজ্ঞ ইনকাম ট্যাক্স কনসালটেন্ট খুঁজছেন? আমাদের ফার্মের আছে দক্ষ ও অভিজ্ঞ ট্যাক্স কনসালটেন্ট, যারা অত্যন্ত যত্নসহকারে ও দ্রুত সময়ে আপনার আয়কর রির্টান ও সার্টিফিকেট পেতে সাহায্য করবে।
জরিমানা এড়াতে ৩০ শে নভেম্বর ২০২২ এর মধ্যে আয়কর রির্টান জমা দিন।

#করদাতাদের জন্য ৩০ শে নভেম্বর রির্টান দাখিলের শেষ দিন। যারা ইতিপূর্বে রির্টান দাখিল করেছেন, তারা নির্ধারিত সময়ের মধ্যে রির্টান দাখিল করতে ব্যর্থ হলে পূর্বের মত কররেয়াত সুবিধা পাবে না। হ্রাসকৃত হার এই ক্ষেত্রে ১৫% এর পরিবর্তে ৭.৫% কররেয়াত পাবেন, তাছাড়া সময় বৃদ্ধির আবেদন করা থাকলেও করদাতাকে বিলম্ব সুদ ও গুনতে হবে।

সময় মতো আয়কর রির্টান দাখিল করে, কররেয়াত সুবিধা ও বিলম্ব সুদ এড়িয়ে চলুন।

আপনার আয়কর সংক্রান্ত সকল তথ্য পেতে পেইজের সাথে থাকুন।

আমাদের সেবা সমূহ:
১. ভ্যাট রির্টান জমা প্রদান, উপকরন উৎপাদ সহগ ঘোষনা সহ সকল প্রকার ভ্যাট এর কন্সালটেন্সি প্রদান।
২. ইনকাম ট্যাক্স এর রির্টান জমা প্রদান সহ সকল প্রকার ইনকাম ট্যাক্স এর কন্সালটেন্সি প্রদান।
৩. কোম্পানী/ পার্টনারশীপ রেজিস্ট্রেশন।
৪. ERC/IRC নতুন তৈরী এবং নবায়ন করা।
৫. ট্রেড লাইসেন্স নতুন এবং নবায়ন করতে সার্ভিস প্রদান।
৬. ফায়ার লাইসেন্স নতুন এবং নবায়নে সার্ভিস প্রদান।
৭. কলকারখানা ও প্রতিষ্ঠান পরিদর্শন অধিদপ্তর এর ফ্যাক্টরি লাইসেন্স নতুন এবং নবায়নে সার্ভিস প্রদান।
৮. পরিবেশ অধিদফতরের অবস্থানগত এবং পরিবেশগত ছাড়পত্র পেতে এ সার্ভিস প্রদান।
৯. ট্রেড মার্ক রেজিস্ট্রেশন এ সার্ভিস প্রদান।
১০. কপি রাইট রেজিস্ট্রেশন এ সার্ভিস প্রদান।
১১. পন্যের BSTI অনুমোদন এ সার্ভিস প্রদান।
১২. অডিট রিপোর্ট তৈরী।
১৩. BIDA এর লাইসেন্স পেতে সার্ভিস প্রদান।
১৪. বিসিক এর লাইসেন্স পেতে সার্ভিস প্র্রদান।
ভ্যাট, ট্যাক্স সহ সকল আইনি সমাধান পেতে যোগাযোগ করুন

করবর্ষ ২০২২-২০২৩ এর আয়কর রিটার্ন জমা দিতে আপনার যা যা প্রয়োজন -

ব্যক্তিগত তথ্য :
1. Photocopy of E-TIN certificate.
2. Photocopy of NID.
3. 1 copy Passport size photo

চাকুরির তথ্য :
1. Salary certificate.
2. Bank statement from 01-07-2021 to 30-06-2022.
3. Provident fund info. (if any)

ব্যবসায়ের তথ্য:
1. ট্রেড লাইসেন্স
2. বার্ষিক ক্রয়-বিক্রয় ও আয় বিবরনী
3. সম্পদ ও দ্বায় বিবরনী
4. ব্যাংক স্টেটমেন্ট

বিনিয়োগের তথ্য:
1. D.P.S (যদি থাকে)
2. Insurance certificate (যদি থাকে).
3. Share Market Investment (যদি থাকে)
4. (সঞ্চয় পত্র - যদি থাকে)

সম্পদ ও দায় বিবরনীঃ
1. House, Apartment (যদি নিজ নামে থাকে)
2. Land, Car , Furniture , Electronics, etc. (যদি নিজের নামে থাকে)
3. Bank Loan info. (যদি নিজ নামে হয়)
4. Others Loan (যদি নিজ নামে হয়)।

বি দ্রঃ যদি আপনি আগে রিটার্ন জমা দিয়ে থাকেন তাহলে অবশ্যই ঐ রিটানের একটি ফটো কপি লাগবে।

#অর্থ বাজেট ২০২২-২০২৩ থেকে নিন্মোক্ত কাজ গুলো করতে গিয়ে বাধ্যতামূলক আয়কর রির্টান জমা দিতে হবে। অন্যথায় এই কাজ গুলো করতে পারবে না।যা আগে অনেকাংশে টিআইএন নিবন্ধন করে করা যেত। করবর্ষ ২০২২-২৩ থেকে টিআইএন (TIN) জমার পাশাপাশি যেসব সুবিধা নিতে আপনাকে অবশ্যই আয়কর রিটার্ন জমার প্রাপ্তিস্বীকার পত্র (Acknowledgement Slip) / আয়কর প্রত্যয়ন সনদ জমা দিতে হবেঃ

১. সঞ্চয়পত্র ক্রয়: পাঁচ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্রর ক্ষেত্রে আয়কর রিটার্ন জমার প্রমাণ দেখাতে হবে। যেখানে তিনি সঞ্চয়পত্র কেনার আবেদন করবেন, সেখানেই রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র দিতে হবে।

২. ব্যাংক ঋণ: কোন ব্যাংক থেকে পাঁচ লাখ টাকার বেশি ঋণ নেয়ার আবেদন করলে আয়কর রিটার্নের প্রমাণপত্র দিতে হবে।

৩. ব্যাংকে জমা: ব্যাংক জমার সুদ আয় থেকে উৎস কর কর্তনে টিআইএন সনদ থাকলে ১০ শতাংশ কাটা হয়ে থাকে। না থাকলে ১৫ শতাংশ কাটা হয়। এখন থেকে টিআইএনের পরিবর্ততে রিটার্ন জমার প্রমাণপত্র জমা দিতে হবে। তাহলেই তিনি ওই সুবিধা পাবেন। না হলে বেশি উৎস কর দিতে হবে।

৪. জমি-ফ্ল্যাট ক্রয়: সিটি কর্পোরেশন, জেলা সদরের পৌর এলাকা অথবা ক্যান্টনমেন্ট এলাকায় ১০ লাখ টাকা বেশি মূল্যের জমি বা ফ্ল্যাট রেজিস্ট্রি, বিক্রি, দলিল হস্তান্তর, পাওয়ার অব অ্যাটর্নি দিতে হলে এতদিন শুধুমাত্র টিআইএন সার্টিফিকেট জমা দিতে হতো। কিন্তু এখন থেকে ক্রেতাকে রেজিস্ট্রি অফিসে রিটার্ন জমার স্লিপ বা সনদ জমা দিতে হবে।

৫. ক্রেডিট কার্ড গ্রহণ: যেকোনো ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে এখন থেকে আয়কর রিটার্নের প্রাপ্তিস্বীকার পত্র জমা দিতে হবে। নাহলে মিলবে না ক্রেডিট কার্ড।

৬. গাড়ি ক্রয়, মালিকানা পরিবর্তন: দুই বা তিন চাকা ছাড়া যেকোনো মোটরগাড়ি নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন করতে রিটার্ন জমা স্লিপ দেখাতে হবে। আগে শুধুমাত্র টিআইএন দিতে হতো, কিন্তু এখন থেকে রিটার্ন দাখিলের কপি দিতে হবে।

৭. ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে পড়ানো: সিটি কর্পোরেশন বা জেলা সদর, পৌরসভায় সন্তান বা পোষ্যদের আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের আওতায় ইংরেজি মিডিয়াম স্কুল বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের আওতায় ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি করাতে হলে আয়কর রিটার্ন জমার স্লিপ বা সনদ জমা দিতে হবে।

৮. গ্যাসের সংযোগ: দেশের যেকোনো স্থানে বাণিজ্যিক বা শিল্প কারখানায় গ্যাসের সংযোগ নিতে হলে এবং সিটি কর্পোরেশন এলাকায় বাসা

আপনি কি ইমপোর্ট, এক্সপোর্ট নিবন্ধন, VAT, TAX ও ব্যবসা বা অফিসের লাইসেন্স এবং ডকুমেন্টশন নিয়ে ঝামেলামুক্ত থাকতে চান ?

আপনি কি ব্যাক্তি/ কোম্পানি ট্যাক্স রিটার্ণ ফাইলিং নিয়ে চিন্তিত ?

আমরা আপনার নিন্মোক্ত ব্যবসায়িক লাইসেন্স এবং ডকুমেন্টশন করার জন্য দক্ষ কনসালটেন্ট ও অভিজ্ঞদের নিয়ে স্বল্প খরচে, আন্তরিকতার সহিত সহযোগীতা করে থাকি।

#লাইসেন্স_সংক্রান্ত_সেবা_সমূহ:
* লিমিটেড কোম্পানি গঠন ।
* পার্টনারশীপ কোম্পানি গঠন ।
* ট্রেড লাইসেন্স ।
* ই-টিন ।
* ভ্যাট ।
* আইআরসি ।
* ইআরসি ।
* ফায়ার ।
* কলকারখানা ।
* পরিবেশ।
* সকল লাইসেন্স নবায়ন ।
* এসোসিয়েশন মেম্বারশীপ ইত্যাদি ।

#ডকুমেন্টশন_সংক্রান্ত_সেবা_সমূহ:
* জয়েন্ট স্টক কোম্পানির রিটার্ণ ফাইলিং ।
* ব্যাক্তি ট্যাক্স রিটার্ণ ফাইলিং।
* কোম্পানি ট্যাক্স রিটার্ণ ফাইলিং ।
* ইনকাম ট্যাক্স আপীল ও ট্রাইব্যুনাল।
* ভ্যাট রিটার্ণ ফাইলিং ।
* এ্যাকাউন্টিং ও অডিট ইত্যাদি ।
এছাড়াও আপনার প্রয়োজনীয় আইনি সহায়তায় সবসময় আমরা প্রস্তুত।
আপনার আয়কর ও প্রতিষ্ঠানের অনলাইনে ভ্যাট রিটার্ন তৈরি ও জমাদান সহ সকল ধরনের সেবা পেতে যোগাযোগ করুন।