Nurse Circle
Nearby clinics
Gulshan-1
Gulshan-1
Gulshan
Gulsan
Amigo 14 Square, Mohammadpur
Road-24
1212
Gulshan Circle-1
Notun Bazaar
Gulshan
Jabbar Tower
Jabbar Tower
Road No-07
Nurse Circle is a health & medical related page. We will publish all types of health post in here. Stay with Nurse Circle and care yourself by own.
বয়স ৩০-র উপর? খেজুর খাচ্ছেন তো? না হলে বিপদ বাড়বে
*খেজুর খেতে পছন্দ করেন অনেকেই৷ অনেকে মিষ্টির বদলে খেজুর খেয়ে তৃপ্তি পান৷ স্বাদে মিষ্টি এবং খেজুরের গুণ প্রচুর৷ খেজুর খেলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধি পায়৷ তাই দিনে কয়েকটা খেজুর খেলে আপনার মিষ্টিমুখ যেমন হবে, তেমনই শরীর থাকবে তাজা, সুস্থ৷
*অ্যানিমিয়ায় যারা ভোগেন তাদের জন্য খেজুর খুব উপকারী৷ খেজুরে রয়েছে ২০ থেকে ২৫ মিলিগ্রাম ম্যাগনেসিয়াম৷ এটা উচ্চ রক্তচাপ কমাতেও সাহায্য করে। শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটাতে সাহায্য করে খেজুর৷ একই সঙ্গে খেজুরের মিষ্টতা চিনির বিকল্প হিসেবে কাজ করে৷ কোষ্ঠকাঠিন্যের সমস্যায় দূর করে খেজুর৷
*খেজুরে থাকা অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট আসলে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়৷ ফলে করোনার সময় এই ধরনের ফল খুবই প্রয়োজনীয়৷ নিয়মিত খেজুর খেলে অনেক রোগের থেকে বাঁচতে পারেন আপনি৷
*১) খেজুরে থাকে প্রচুর পরিমাণ ফাইবার৷ ফলে প্রতিদিন খেজুর খেলে পেট পরিষ্কার থাকে, পেটের রোগ কম দেখা যায়৷ প্রতিদিন ৩টি করে খেজুর খেলে শরীরে উপকারি ব্যাকটেরিয়ায় মাত্রা বৃদ্ধি পায়। ফলে বদ-হজম বা কোলাইটিস, হেমোরয়েডের মতো রোগে আক্রান্ত হওয়ার আশঙ্কা কম থাকে।
*২) খেজুরে আয়রনের পরিমাণ বেশি থাকে৷ তাই নিয়মিত খেলে শরীরে আয়রনের ঘাটতি মেটে৷ বিশেষ করে মহিলাদের খেজুর খাওয়ার প্রয়োজনীয়তা বেশি৷ এর ফলে রক্তাল্পত থেকে মুক্তি মেলে৷
*৩) শরীরে আয়রনের বৃদ্ধি যেমন করে খেজুর তেমনই হাড় শক্ত করতেও সাহায্য করে৷ এতে থাকা ভিটামিন ও খনিজ বয়সকালে অস্টিওপরোসিস থেকে শরীরকে বাঁচায়৷
*৪) হার্টের জন্য খেজুর খুব ভাল৷ ডায়াটারি ফাইবারে সমৃদ্ধ হওয়ার কারণে নিয়মিত খেজুর খেলে শরীরে খারাপ কোলেস্টেরলের মাত্রা কমে ফলে হঠাৎ করে হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের আশঙ্কা কম হয়।
*৫) খেজুরের প্রাকৃতিক সুগার রক্তে মেশার পর শরীরে শক্তি জোগায়৷ শরীর ভাল থাকে, ক্লান্তিও দূর হয়৷ বাড়তি এনার্জি পাওয়া যায়৷
*৬) খেজুরের পুষ্টি উপাদান অনেক৷ ক্যালোরি কম এবং প্রোটিনের মাত্রা বেশি৷ ফলে শরীরে এনার্জি জোগায়, অথৎ বাড়তি মেদ হতে দেয় না৷
*খেজুর অত্যন্ত সুস্বাদু ও রুচিশীল একটি ফল যা ফ্রুকটোজ ও গ্লাইসেমিক সমৃদ্ধ। খেজুরে রয়েছে শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা। খেজুর রক্তে শর্করার পরিমাণ বাড়ায়। খেজুর ফলকে চিনির বিকল্প হিসেবে ধরা হয়ে থাকে। এতে রয়েছে উপকারী তেল, ক্যালসিয়াম, সালফার, আয়রন, পটাশিয়াম, ফসফরাস, কপার এবং আরও নানাবিধ খনিজ। রয়েছে উপকারী ভিটামিনও।
বাতাসের মাধ্যমেও কি ছড়ায় মাঙ্কিপক্স? সুরক্ষিত থাকতে মাস্ক পরা বন্ধ করবেন না যেন
করোনাভাইরাস (Coronavirus) এখনও বিদায় নেয়নি, তার মধ্যেই মাঙ্কিপক্সের (Monkeypox) সংক্রমণ পুরো বিশ্বকে এক নতুন সমস্যায় ফেলেছে। বিশ্বের প্রায় ২৯টি দেশে মাঙ্কিপক্সের সংক্রমণ ছড়িয়েছে। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO) জানিয়েছে যে এখন পর্যন্ত এক হাজারের বেশি মানুষ মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। এরই মধ্যে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস নিয়ে এক বিস্ময়কর তথ্য জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। এই ভাইরাস বাতাসের মধ্যেও ছড়িয়ে পড়তে পারে। কিন্তু এ ক্ষেত্রে সংক্রমণের সম্ভাবনা অনেকটাই কম।
মাঙ্কিপক্স কী?
মাঙ্কিপক্স একটি ভাইরাস যা ইঁদুর এবং বানরগোত্রীয় বন্য প্রাণীর মধ্যে দেখা যায় এবং মাঝে মাঝে মানুষের দেহেও এর সংক্রমণ ঘটে। বেশিরভাগই মধ্য এবং পশ্চিম আফ্রিকার মানুষের ক্ষেত্রে এই রোগটি দেখা গিয়েছে। ১৯৫৮ সালে গবেষণার জন্য রাখা বানরদের মধ্যে গুটিবসন্তের মতো রোগের দু’টি প্রাদুর্ভাব ঘটলে বিজ্ঞানীরা এই রোগটি প্রথম শনাক্ত করেন। এই কারণেই ভাইরাসটির নাম মাঙ্কিপক্স। প্রথম মানব সংক্রমণ ঘটে ১৯৭০ সালে কঙ্গোর প্রত্যন্ত অংশে ৯ বছর বয়সী এক শিশুর দেহে।
আরও পড়ুন-কেমন হবে পঞ্চায়েতে প্রার্থী? প্রস্তুতি শুরু তৃণমূলের অন্দরে
ইউএস সেন্টার ফর ডিজিজ কন্ট্রোল অ্যান্ড প্রিভেনশনের (CDC) বিশেষজ্ঞরা জানিয়েছেন, মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমেও ছড়ায়। বিশেষজ্ঞদের মতে, কেউ যদি সংক্রমিত ব্যক্তির সঙ্গে ক্রমাগত মুখোমুখি সংস্পর্শে থাকে তবে, এই ভাইরাস বাতাসের মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়তে পারে। যদিও বিশেষজ্ঞরা মনে করেন মাঙ্কিপক্স ভাইরাস বাতাসে বেশি দূর যেতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা তাই মাস্ক (Mask) পরার পরামর্শ দিয়েছেন।
শুক্রবার সাংবাদিক বৈঠকে সিডিসি প্রধান রোচেল ভ্যালেনস্কি (Rochelle Valensky) জানিয়েছেন যে অনেক জায়গায় উপসর্গযুক্ত রোগীদের সঙ্গে শারীরিক যোগাযোগ এবং সেই সূত্রে তাদের পোশাক এবং বিছানা স্পর্শ করার কারণে অনেকেই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত হয়েছে। সিডিসি তাই মাঙ্কিপক্সে আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শ এড়াতে পরামর্শ দিয়েছে।
আরও পড়ুন-বাড়বে পুরুষদের যৌন ক্ষমতা, তার জন্য রোজ সকালে উঠে খেতে হবে এই খাবার
সিডিসি তাদের ব্রিফিংয়ে আরও স্পষ্ট করেছে যে মাঙ্কিপক্স ভাইরাস শরীরে ফুসকুড়ি সৃষ্টি করে। এটি করোনাভাইরাসের মতো বেশি দিন বাতাসে টিকে থাকতে পারে না। বিশেষজ্ঞরা আরও বলেন, করোনাভাইরাসের মতো মাঙ্কিপক্স ভাইরাস অন্য কারও জিনিসপত্র স্পর্শ করলে বা দরজা বা কাপড় স্পর্শ করলে ছড়ায় না। বিশেষজ্ঞদের মতে, মাঙ্কিপক্সের যতগুলি ঘটনা এখনও পর্যন্ত রিপোর্ট করা হয়েছে তার সবগুলিই আক্রান্ত ব্যক্তির সরাসরি সংস্পর্শের কারণে হয়েছে। সিডিসি তাই মাঙ্কিপক্স ভাইরাস থেকে নিজেদের রক্ষা করতে মাস্ক পরার পরামর্শ দিয়েছে।
চায়ের সঙ্গে একটু নোনতা না হলে চলেই না? সাবধান! শরীরে বাসা বাঁধতে পারে মারাত্মক রোগ
প্রতিদিন সকাল-সন্ধ্যা চায়ের সঙ্গে যাদের 'টা' না হলে চলেই না, তাদের জানিয়ে রাখি অজান্তেই কিন্তু শরীরে অনেক বড় রোগকে আমন্ত্রণ জানাচ্ছেন। কারণ, আপনি যত বেশি নোনতা খান, তত বেশি ক্ষতি হয় আপনার শরীরের (Health Alert)। কিছু লোক নোনতার স্বাদ পেয়ে সবকিছু ভুলে যান এবং প্রতিদিন সকালে এটি খাওয়ার অভ্যাস তৈরি করেন, তবে এই নোনতা বিস্কুট বা চানাচুর তৈরির প্রক্রিয়াটি জানার পরে আপনি এটি কখনই খাবেন না (Namkeen Health Risk)।
বিষয় হল শুধু নোনতাই নয়, তার পাশাপাশি একইসঙ্গে চা পান করাও আপনার স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর। আসুন পুষ্টি বিশেষজ্ঞ 'নিখিল ভাতস'-এর কাছ থেকে জেনে নেওয়া যাক কী কী অসুবিধা হতে পারে এর ফলে।
লবণ স্বাস্থ্যের জন্য বিপজ্জনক
পুষ্টি বিশেষজ্ঞ নিখিল ভাতস বলেন, লবণ স্বাস্থ্যের জন্য মোটেও ভালো নয়। তিনি বলেন, এটি তৈরির প্রক্রিয়াই সবচেয়ে ক্ষতিকর। আসলে, লবণে ব্যবহৃত ময়দা, যা রিফাইন্ড কার্বোহাইড্রেট, যা চিনতে অনেক সময় লাগে এবং শরীরে চর্বি বাড়ায়, কারণ এটি সরাসরি ইনসুলিন ফ্যাট বৃদ্ধির হরমোনকে ট্রিগার করতে কাজ করে (Namkeen Health Risk)।
উচ্চ রক্তচাপের অভিযোগও হতে পারে
নিখিল আরও বলেন, এর পরে যখন আরও প্রসেসিং করা হয়, তখন এতে পরিশোধিত সয়াতেল বা সর্ষের তেল ব্যবহার করা হয়, যার ফলে ধমনীতে প্লাক তৈরি হতে থাকে। এমন পরিস্থিতিতে এর কারণে আপনার ব্লাড প্রেসারের সমস্যা হতে পারে।
একইসঙ্গে তিনি বলেন, লবণ ও চা থেকে চিনির আবরণের মতো টক্সিন শরীরে প্রবেশ করে, যার কারণে আপনার লিভারও ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। অর্থাৎ এর সেবনে আপনি একটি নয় বরং অনেক বড় রোগে আক্রান্ত হতে পারেন (Namkeen Health Risk)।
Disclaimer: এখানে দেওয়া তথ্য ঘরোয়া প্রতিকার এবং সাধারণ তথ্যের উপর ভিত্তি করে দেওয়া হয়েছে। এটি গ্রহণ করার আগে, অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।
তুলতুলে ত্বকের জন্য বেদানা কীভাবে ব্যবহার করবেন জেনে নিন এক মিনিটে
গরমে ত্বকে বেদানার খোসা ব্যবহার করে সান ট্যান (Sun Tan) এড়ানো যায়। রোদে বের হওয়ার আগে, ক্রিম, লোশন বা এসেনশিয়াল অয়েল যাই লাগান না কেন তাতে বেদানার খোসার গুঁড়া লাগান। এটি শুধুমাত্র কড়া রোদ থেকে সুরক্ষাই দেয় না বরং ত্বকের ট্যানিং এবং রোদে পোড়ার সমস্যাও কমায়।
বেদানার খোসা গরমে ত্বকের দারুণ ময়েশ্চারাইজার হিসেবে কাজ করতে পারে। বেদানার খোসায় থাকে ইলাজিক অ্যাসিড যা ত্বকের পিএইচ স্তরের ভারসাম্য বজায় রেখে ময়েশ্চারাইজ করতে সাহায্য করে। এই খোসা রোদে শুকিয়ে গুঁড়ো করে নিন। ২ চা চামচ পাউডারে সামান্য গোলাপ জল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন এবং ত্বকে লাগান। ১০ মিনিট পর পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন৷
অ্যান্টি-ব্যাকটেরিয়াল এবং অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট উপাদান সমৃদ্ধ বেদানার খোসার ফেসপ্যাক ত্বকের মৃত কোষ দূর করে ব্রণ, ব্রণর দাগও দূর করে। এ জন্য বেদানার খোসা থেকে তৈরি পাউডারে এসেনশিয়াল অয়েল, দই ও গোলাপজল মিশিয়ে মুখে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
গ্রীষ্মকালে ধুলাবালি, ময়লা এবং ঘামের কারণে ত্বকের ছিদ্র খুলতে শুরু করে। এমন পরিস্থিতিতে বেদানার খোসার ফেসপ্যাক ত্বকের ছিদ্র কমাতে সাহায্য করে। এর জন্য বেদানার খোসা থেকে তৈরি পাউডারে দই, গোলাপ জল এবং এসেনশিয়াল অয়েল মিশিয়ে পেস্ট তৈরি করুন। এবার ত্বকে লাগান এবং শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার জল দিয়ে ধুয়ে ফেলুন।
বেদানার খোসা ত্বকের মৃত কোষ মেরামতের কাজ করে।এর ব্যবহারে বলিরেখা ও ফাইন লাইনের সমস্যাও কমে। এই খোসা থেকে তৈরি পাউডারে ২ চা চামচ গোলাপ জল মিশিয়ে মুখে লাগান। এই প্যাকটি শুকিয়ে গেলে পরিষ্কার জল দিয়ে মুখ ধুয়ে ফেলুন।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখা থেকে ওজন কমানো, জেনে রাখুন গরমে লিচু খাওয়ার হাজার উপকারিতা
গ্রীষ্মকাল মানেই দমবন্ধ করা গরম আর প্যাচপ্যাচে ঘাম। এ ব্যাপারে কোনও সন্দেহ নেই। তবে রকমারি স্বাদের ফলের জন্য গ্রীষ্মের জুড়ি মেলা ভার। গরমের ফলের মধ্যে অন্যতম হল লিচু। তবে শুধু স্বাদেই নয়। গুণেও ভরপুর এই ফল। হার্টের স্বাস্থ্য থেকে ওজন কমানো, গ্রীষ্মে লিচু খাওয়ার হাজার উপকারিতা রয়েছে (Benefits of Eating Litchi)।
হাড় মজবুত রাখে: লিচুতে রয়েছে ম্যাগনেসিয়াম, ফসফরাস, আয়রন, ম্যাঙ্গানিজ এবং কপার যা হাড়ের ক্যালসিয়াম শোষণে সাহায্য করে। বিশেষজ্ঞদের মতে, নিয়মিত লিচু খেলে হাড়ের ভঙ্গুরতা কমে এবং অস্টিওপোরোসিস ও ফ্র্যাকচারের সম্ভাবনা হ্রাস পায়
কিডনির জন্য ভাল: এতে প্রচুর পরিমাণে জল এবং পটাসিয়াম রয়েছে যা কিডনিতে জমা টক্সিন বের করে দিতে সাহায্য করে। লিচু ইউরিক অ্যাসিডের ঘনত্বও কমায় যা কিডনির ক্ষতির ঝুঁকি হ্রাস করে।
ভিটামিন বি-তে ভরপুর: ভিটামিন সি, কে, ই-র মূল উৎস লিচু। এতে কম মাত্রায় রাইবোফ্লাভিন এবং নিয়াসিন রয়েছে। গরমে নিয়মিত লিচু খেলে দৈনিক ভিটামিন বি৬-এর ১০ শতাংশ পাওয়া যায়। এটা লোহিত রক্তকণিকা তৈরিতে সাহায্য করে এবং প্রদাহজনিত রোগ থেকে রক্ষা করে।
ব্যথানাশক: এটা একটু অন্যরকম শোনাতে পারে। কিন্তু লিচু একটি কার্যকরী ব্যথানাশক যা প্রদাহ কমায় এবং টিস্যুর ক্ষতি প্রতিরোধ করে।
রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়: ভিটামিন সি সমৃদ্ধ লিচু রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়। তাছাড়া লিচুর অলিগোনল ভাইরাসকে বাড়তে দেয় না। তাই গ্রীষ্মের মাসগুলিতে নিয়মিত লিচু খেলে সাধারণ সর্দি এবং ফ্লুতে অসুস্থ হওয়ার সম্ভাবনা কমে।
ত্বকের যত্নে: প্রচণ্ড গরমে অনেকেরই ত্বকে নানারকম দাগ দেখা যায়। ব্রন হয়। এই সমস্যা থেকে মুক্তি পেতে ৩ থেকে ৪টি লিচু ছাড়িয়ে চটকে তাতে ভিটামিন ই ক্যাপসুল সলিউশন মিশিয়ে সেটা ৩০ মিনিট মুখে লাগিয়ে ধুয়ে ফেলতে হবে। চুল গজাতেও সাহায্য করে লিচু। ৭ থেকে ৮টি লিচুর রস নিয়ে তাতে অ্যালোভেরা জেল মিশিয়ে সেটা স্ক্যাল্পে লাগাতে হবে। এক ঘণ্টা রেখে ধুয়ে ফেলে শ্যাম্পু করে নিতে হবে।
ওজন কমায়: লিচুতে ক্যালোরি খুব কম। তাই ওজন বাড়ার আশঙ্কা নেই। আঁশযুক্ত এই ফল দীর্ঘক্ষণ পেট ভর্তি রাখে। নিয়মিত এই ফল খেলে হজমশক্তি ভালো হয়।
হার্টের স্বাস্থ্য ভাল রাখে: হার্টের পক্ষে খুবই উপকারী লিচু। এতে রয়েছে অলিগোনল, যা নাইট্রিক অক্সাইড তৈরি করতে সাহায্য করে। এই নাইট্রিক অক্সাইড আবার রক্ত চলাচলে সাহায্য করে। এতে ফ্ল্যাভোনয়েড রয়েছে যা ভাসকুলার ফাংশন উন্নত করে এবং হৃদরোগ প্রতিরোধ করে। একটি সমীক্ষায় দেখা গিয়েছে, যাঁরা নিয়মিত লিচু খান তাঁদের হার্ট অ্যাটাকের ঝুঁকি ৫০ শতাংশ কমে যায়।
মাঝে মাঝেই চোখের পাতা কাঁপে? জানুন এর আসল কারণ কী
আচমকাই আমাদের সকলের চোখের পাতা মাঝে মাঝে কাঁপে। রোজকার কাজের ফাঁকে এই চোখের পাতার কাঁপুনি অপ্রস্তুতে ফেলে দিতে পারে। উভয় চোখের ক্ষেত্রেই এমন কাঁপুনি হতে পারে।
কখনও এটি কয়েক মুহূর্তের জন্যে দেখা দেয়, আবার কখনও এটি দীর্ঘস্থায়ীও হতে পারে। তবে এটি শরীরের জন্যে ক্ষতিকর নয়।
ক্রমাগত এ রকম হতে থাকলে স্নায়ুর সমস্যার উপসর্গ বলে ধরা যেতে পারে। তবে এটি ঘনঘন হতে থাকলে চিকিৎসকের পরামর্শ নেওয়া উচিত।
কেন এমন হয়? এই সমস্যার কোনও একটি কারণ নেই। শারীরিক, মানসিক, স্নায়বিক-- এই তিনটির যে কোনও একটি কারণে চোখের পাতা কাঁপতে পারে।
তবে চিকিৎসকেদের মত অনুযায়ী, চোখের পাতা কাঁপার মূল কারণ ক্লান্তি। শরীরের ক্লান্তির কারণেই চোখের পাতা মাঝে মাঝে কাঁপে। এতে সাবধানতাই নিতে বলেন চিকিৎসকেরা।
এ ছাড়াও মানসিক উদ্বেগ, ঘুম কম হওয়া, ঘন ঘন ধূমপান, অতিরিক্ত কফি খাওয়া, দীর্ঘ ক্ষণ কম্পিউটারের দিকে তাকিয়ে থাকা ইত্যাদি কারণেও চোখের পাতা কাঁপতে পারে।
রাতে ভাত খাচ্ছেন? বিরাট ক্ষতি করছেন নিজেরই, কারণ জানলে সরবে পায়ের তলার মাটি
ভারতীয়দের প্রধান খাদ্যশস্য হল ভাত ৷ ভাক রান্না করা অত্যন্ত সহজ একটি বিষয় ৷ খেতেও ভাল তাই দেশের বেশিরভাগ মানুষেরই পছন্দ ভাত ৷
মানুষ ভাত খান আলাদা আলাদা ভাবে, আলাদা ধরনের রান্নার পদ্ধতি অবলম্বন করে রসনার তৃপ্তি করেন বহু মানুষ ৷
সব থেকে বড় কথা বাঙালি ভাত ছাড়া কিছুই বোঝেনা, কিছুই খোঁজেনা ৷ নিরামিষ বা আমিষ যাই হোক না কেন বাঙালি নিজের মত করেই খাদ্যসুখ গ্রহণ করেন ৷
বাঙালি ছাড়াও এমন বহু মানুষ আছে তাঁরা নিজেদের মত করে ভাত খেতে পছন্দ করেন কেউ ঘি ভাত, কেউ বা রাজমার সঙ্গে ভাতের একটি দুর্দান্ত পদ ৷ বহু মানুষ ছোলাও পছন্দ করেন ৷
ভাতের ভরপুর কার্বোহাইড্রেট বা শর্করার গুণ থাকে ৷ প্রোটিনের সঙ্গে সঙ্গে ভাতে ক্যালশিয়াম, পটাশিয়াম, ম্যাগনেশিয়ামও রয়েছে ৷ এই সত্ত্বেও বহু মানুষ একটি চিন্তা করেই থাকেন যে রাত্রে ভাত খাবেন না খাবেন না ৷
ভাতে শর্করার (Carbohydrate) পরিমাণ অত্যন্ত বেশি থাকে ৷ শরীরের শক্তি ও এনার্জি বৃদ্ধি করে ৷ শর্করার থেকে প্রাপ্ত শক্তি দিয়ে জীবনের নানান কাজ করে থাকি আমরা ৷
শরীরে শর্করা এক আলাদা মাত্রায় এনার্জির সৃষ্টি করে থাকে ৷ ভাত পেটের পক্ষে ভাল, ভাত অত্যন্ত সহজেই হজম করা সম্ভব ৷ পেটে ব্যাথা ও পাচনক্রিয়া দুটো ভাল করে ভাত ৷
যেমন ভাবে প্রতিটি জিনিসের কিছু ভাল দিক আছে আবার কিছু খারাপ দিকও আছে ৷ এবার জেনে নেওয়া যাক কীভাবে বা কোন পদ্ধতিতে রাত্রে ভাত খাওয়া উচিৎ অথচ শরীরও থাকবে ভাল ৷
ওজন কমানোর ইচ্ছা থাকলে রাত্রে ভাল খাওয়া ছাড়তে হবে আজই ৷ ভাত খেলেও দেখতে হবে সেই চাল ব্রাউন রাইস কি না? যাতে প্রচুর পরিমাণে শর্করার জায়গা শরীর পেতে পারে প্রচুর পরিমাণ তন্তু জাতীয় পদার্থ ৷
যেমন খুশি যোগাসন করে লাভ নেই, আপনার শরীরের ধরন বুঝে অভ্যাস করুন!
মানসিক চাপ এবং উদ্বেগ কমাতে যোগাসন বা যোগ ব্যায়ামের কোনও বিকল্প নেই। কিন্তু সব যোগাসন সবার জন্য নয়। আয়ুর্বেদ মতে, শরীরের প্রকৃতি ঠিক কেমন সেটা নির্ধারণ করে বাত, পিত্ত এবং কফ। কার ক্ষেত্রে কোনটার পাল্লা ভারী সেটা বুঝে নিয়ে সেই অনুযায়ী যোগাসন অভ্যাস করলে তবেই সেরা ফল মিলবে।
দোষ এবং শরীরের ধরন বোঝা: প্রতিটি দোষ একটি নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ার প্রতিনিধিত্ব করে। যেমন বাত দোষ শরীরের ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখে। পিত্ত দোষ ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণ করে। কফ দোষ জয়েন্টের কার্যকারিতাকে উন্নত করে। আয়ুর্বেদ অনুযায়ী, প্রতিটি দোষের জন্য নির্দিষ্ট যোগাসন রয়েছে। শরীরের ধরন অনুযায়ী কোন যোগব্যায়াম কার জন্য উপযুক্ত সেটা খুঁজে বের করতে হবে।
বাত দোষ: বাত দোষের মানুষ হয় রোগা পাতলা। ত্বক হয় শুষ্ক। এঁদের বিপাক দ্রুত হয়। ওজন বাড়ে না বললেই চলে। এই ধরনের মানুষের জন্য ইয়িন এবং স্ট্রেচিং যোগ উপকারি। এগুলি ধীর গতির যোগাভ্যাস। তবে বাত দোষের মানুষদের জন্য প্রয়োজনীয় উষ্ণতা এবং আরামদায়ক অনুভূতি যোগায়। এঁদের জন্য বৃক্ষাসন, তদাসন এবং বীরভদ্রাসন অভ্যাসের পরামর্শ দেওয়া হয়।
পিত্ত দোষ: এই ধরনের শরীর আগুন উপাদান দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হয়। পিত্ত দোষের মানুষ হয় মাঝারি গড়নের। তবে শক্তিশালী পেশির অধিকারী। নেতিবাচক দিক হল, অল্প বয়সেই এদের টাক পড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা থাকে। চুলও অকালে পেকে যায়। এঁদের শরীর সবসময় গরম থাকে, তাই উষ্ণ যোগ এড়ানো উচিত। পরিবর্তে উস্ট্রাসন, ভুজঙ্গাসন, সেতুবন্ধ সর্বাঙ্গাসন, মৎস্যাসন, কপোতাসন এবং বৃক্ষাসনের মতো কিছু শীতল এবং আরামদায়ক যোগাসন অভ্যাসের পরামর্শ দেওয়া হয়।
কফ দোষ: এই ধরনের মানুষ হয় বেঁটে রোগাপাতলা, নয় তো গাঁট্টাগোট্টা ইয়া লম্বা। জল এবং মাটির উপাদান দ্বারা শরীর নিয়ন্ত্রিত হয়। চট করে সর্দি, কাশি হয়ে যায়। ওজন খুব তাড়াতাড়ি বাড়ে। তবে এই ধরনের মানুষের স্ট্যামিনা দুর্দান্ত। তাঁরা যাতে শরীরকে হালকা অনুভব করেন সে জন্য উষ্ণ এবং শক্তি যোগের প্রয়োজন। উষ্ণ যোগ হল এমন যোগ ব্যায়াম যা গরম এবং আর্দ্র অবস্থায় সম্পাদিত হয় যার ফলে খুব ঘাম হয়। আর শক্তি যোগের পদ্ধতিকে বলে ‘পাওয়ার বিন্যাস স্টাইল’। হঠ যোগের প্রায় ২৬টি ভঙ্গী রয়েছে যা বিক্রম যোগ নামেও পরিচিত। এর মধ্যে ডিপ ব্রিদিং, অর্ধ চন্দ্রাসন এবং উৎকটাসন অন্যতম। শক্তি যোগাসনগুলির মধ্যে রিপূর্ণ নাভাসন, শলভাসন, চতুরঙ্গ দণ্ডাসন এবং আধো মুখ স্বনাসন অভ্যাসের পরামর্শ দেওয়া হয়।
"এই গরমে বাচ্চার জ্বর হলে অযথা অ্যান্টিবায়োটিক নয়", সন্তানকে সুস্থ রাখতে চিকিৎসকের পরামর্শ পড়ুন
প্রচন্ড গরম৷ সঙ্গে আর্দ্রতায় বাড়ছে অস্বস্তি৷ ঘাম প্যাচ প্যাচে শরীরে বাড়ছে কাশি-সর্দি এমনকী জ্বরের ভয়৷ বিশেষ করে ছোট বাচ্চাদের অবস্থা খুবই খারাপ৷ সারাদিন দুরন্তপনায় ঝরছে ঘাম৷ সেই ঘাম বসে গিয়ে হাঁচি, কাশি লেগেই থাকছে৷ কীভাবে এর থেকে মুক্তি? বৃষ্টি নিয়ে কোনও ইতিবাচক খবর শোনাতে পারছে না আবহাওয়া দফতর৷ ফলে এই ভ্যাপসা গরম থাকবে আরও কিছু দিন৷ তার মধ্যে কীভাবে সুস্থ রাখবেন বাড়ির খুদে সদস্যকে? টিপস দিচ্ছেন শিশুরোগ বিশেষজ্ঞ সুমিতা সাহা৷
প্রশ্ন- প্রচন্ড গরম, সঙ্গে হাই হিউমিডিটি৷ ১ বছর বা তার কম বয়সি বাচ্চাদের কীভাবে সুস্থ রাখা যাবে?
উত্তর- এই সময় বাচ্চাদের বেশি করে জল খেতে হবে৷ কারণ এই আবহাওয়ায় ডিহাইড্রেশন হচ্ছে বাচ্চাদের৷ অতিরিক্ত ঘামের মধ্যে দিয়ে শরীর থেকে অনেকটা জল বেরিয়ে যাচ্ছে৷ এছাড়াও গরমে হজম ক্ষমতা কমে যায়৷ পেট খারাপও হচ্ছে অনেকের৷ একটু খেয়াল রাখতে হবে, যাতে বাচ্চারা নির্জীব না হয়ে পড়ে৷
প্রশ্ন-ঘাম থেকে বাঁচতে কিছু কি করা যাবে?
উত্তর-খুব সাধারণ ভাবে নরম কাপড় দিয়ে বারবার ঘাম মুছে দেওয়া, গা ধুয়ে দেওয়া৷ অনেকে হয়ত মনে করেন যে বাচ্চাদের একবারের বেশি স্নান করানো বা গা ধোওয়ায় সমস্যা হতে পারে৷ কিন্তু তা নয়৷ উল্টে গা মুছে দিলে ওরা আরাম পায়, আর ঘামও বসে যায় না৷
প্রশ্ন- সাধারণত বলা হয় সিজারিয়ান (caesarean) বাচ্চাদের গরম বেশি লাগে, সেটা কী ঠিক?
উত্তর-না, এনিয়ে কোনও ডকুমেন্টেশন নেই৷
আরও পড়ুন Beauty Tips: যেমন খুশি সাবান কেনেন? এটাই ত্বকের সমস্যার কারণ, দেখে নিন কোন সাবান আপনার জন্য উপযুক্ত!
প্রশ্ন-এই সময় বাচ্চাদের এসি-তে রাখা নিয়ে একটা চিন্তা হয়৷ কারণ গরমে ঘেমে ঠান্ডা ঘরে ঢুকলে শরীর খারাপ হতে পারে৷
উত্তর- বাচ্চাদের নিশ্চিন্তে AC-তে রাখা যাবে৷ কোনও অসুবিধা নেই তাতে৷ কারণ শহর বা শহরতলীর অধিকাংশ বাচ্চা জন্মের পরই এসি রুমে বা নার্সারিতে থাকে৷ নবজাতদেরও এসিতে রাখলে সমস্যা নেই৷ খেয়াল রাখতে হবে যাতে AC-র তাপমাত্রা ২৭ ডিগ্রির আশপাশে থাকে৷ আর এসির ভেন্ট থেকে সরাসরি ঠান্ডা হাওয়া ওদের গায়ে না লাগে৷ তবে বারবার এসি- নন এসি করলে শরীর খারাপ হতে পারে৷ কারণ তাপমাত্রার পার্থক্যে সমস্যা হয়৷
প্রশ্ন-আপনি বললেন যে এই সময় বাচ্চাদের পেট খারাপ হতে পারে৷ তাহলে কী খেতে দিতে হবে? কারণ ছোট বাচ্চারা প্রাধাণত দুধ খায়, তাতে কী শরীরে বেশি গরম লাগে? ৬ মাসের বেশি বাচ্চাদের শরীর ঠান্ডা রাখতে কী ধরণের খাবার দিতে হবে?
উত্তর- কম মশালার খাবার, হাল্কা-পাতলা ঝোল৷ ৬ মাসের কম বয়সি শিশুরা যেহেতু মায়ের দুধ বা টিনের দুধ খায়, তাদের পেট খারাপের সমস্যা কম৷ কিন্তু একটু বড় যারা, তাদের পেটের গন্ডোগোল হতে পারে৷ ধরুন বাচ্চা বাইরের খাবার খেতে জেদ ধরেছে৷ এই সময় অনেক জায়গায়, গরমের ফলে খাবার নষ্ট হওয়ার আশঙ্কা থাকে৷ আর না জেনে সেই ধরণের ফাস্ট ফুড বা বাইরের খাবার বাচ্চা খেলে পেট খারাপ হবে৷ ডায়রিয়া হতে পারে৷ তাই খাবার ব্যাপারে সাবধান হতে হবে৷ ঘরের হাল্কা রান্না বাচ্চাকে খাওয়ানোর চেষ্টা করুন৷
প্রশ্ন-দিনে কতটা পরিমাণ জল খেতে হবে?
উত্তর- একটা সাধারণ নিয়ম থাকে যেমন ১০ কেজির অর্থাৎ ১ বছরের বাচ্চার দিনে ১ লিটার খাওয়া উচিৎ৷ ২০ কেজি বাচ্চার দিনে দেড় লিটার জল খাওয়া উচিৎ৷ তবে এটা একটা সাধারণ হিসেব৷ এর থেকে বেশি-কম হতে পারে৷ তবে খেয়াল রাখতে হবে যে প্রস্রাবের রং যদি গাঢ় হলুদ হয়, তাহলে জল খাওয়াতে হবে বেশি করে৷ কারণ প্রস্রাব হলুদ হওয়ার মানে শরীরে জলের ঘাটতি হচ্ছে৷
প্রশ্ন-অনেক বাচ্চা জল খেতে চায় না, তাদের কী ভাবে জল খাওয়ানো যেতে পারে?
উত্তর- ডাবের জল, জল যুক্ত ফল যেমন তরমুজ বা জামরুল দিন৷ শরীরের জলের পরিমাণ কম হলে সমস্যা হবে৷
প্রশ্ন- ঠান্ডা-গরম লাগলে কী করতে হবে?
উত্তর- দেখুন, এই সময় কাশি-হাঁচি হলে খুব ভয়ের কিছু নেই৷ এধরনের রোগ নিজে থেকে ঠিক হয়৷ ৫ থেকে ৭ দিন লাগবে শিশুদের সুস্থ হতে৷
প্রশ্ন- আর জ্বর হলে?
উত্তর-সেটাও নিজে থেকে ঠিক হয়ে যাবে৷ তবে কিছু উপসর্গ খেয়াল রাখতে হবে৷ বাড়িতে বাচ্চাকে একটু আরামে রাখার চেষ্টা করুন৷ অযথা প্যানিক করবেন না৷ প্যারাসিটামল দিন, বেশি করে জল খাওয়ান৷ কারণ এধরণের সর্দি-কাশিতে ৭০% বাচ্চা নিজে থেকে ঠিক হয়ে যায়৷ ৩০% নিউমোনিয়ার আশঙ্কা থাকে৷ একটু খেয়াল রেখে, ৪৮ ঘণ্টা দেখে তারপর চিকিৎসকের সঙ্গে যোগাযোগ করুন৷ আর একটা বিষয়, অনেক বাবা-মা চান তাঁদের শিশুদের তাড়াতাড়ি সুস্থ করে তুলতে, অ্যান্টিবায়োটিকের মাধ্যমে৷ চিকিৎসকের কাছে এসেও সেই দাবি জানা৷ এটা খুব ভুল৷ এই ধরনের জ্বরে অ্যান্টিবায়োটিকের একেবারই প্রয়োজন নেই৷ অযথা সেই দাবি রাখবেন না৷ এই রকম সর্দি-কাশি-জ্বরে বাচ্চারা কিছু দিন ভুগলে কোনও সমস্যা নেই৷ এই জ্বর নিজে থেকেই ঠিক হয়ে যায়৷
প্রশ্ন-করোনাও বাড়ছে৷ তার জন্য কী বাড়তি সতর্কতা?
উত্তর- হ্যাঁ, মাস্ক পরতে হবে৷ আগের নিয়ম মানতে হবে৷ মাথা ব্যথা বা হাঁচি-কাশি হলে কোভিড টেস্ট করতে হবে৷ ঝুঁকি নিলে চলবে না৷
উচ্চ রক্তচাপ ও ওজন কমাতে খেতে পারেন এলাচ জল, রইল রেসিপি
মুখশুদ্ধি থেকে রান্নার স্বাদ বাড়ানো। একটা ছোট্ট এলাচে রান্নার এমন বদল হতে পারে তা ভাবাও যায় না। তবে শুধু খাবারেই নয়, শরীরেরও নানা উপকারে লাগে এলাচ। ওজন কমানো থেকে রোগ প্রতিরোধ শক্তি বাড়ানো বহু উপকার করে এলাচ। রান্নার বাইরে এলাচের গুণ আরও বেশি মাত্রায় পাওয়া সম্ভব।
রোজ সকালে খালি পেটে এলাচ ভিজিয়ে জল খান। অনেক উপকার হবে তাতে। রোজ এলাচ-জল খেলে কী হয়? শরীরের কোন কোন উপকার হয় এর ফলে? রইল তালিকা।
রোজ সকালে খালি পেটে এলাচ ভিজিয়ে জল খান। অনেক উপকার হবে তাতে। রোজ এলাচ-জল খেলে কী হয়? শরীরের কোন কোন উপকার হয় এর ফলে? রইল তালিকা।
রক্ত জমাট বাঁধার সমস্যাও কিছুটা কমাতে পারে এলাচ জল। রক্ত সঞ্চালনের গতিও বাড়িয়ে দেয় ঘরোয়া এই উপাদানটি।
শরীর থেকে দূষিত পদার্থ দূর করে এই জল। ফলে ওজন কমে। তার চেয়েও বেশি মাত্রায় উপকার হয় ত্বকের। যাঁদের ত্বকে তুলনায় তাড়াতাড়ি বয়সের ছাপ পড়ে যাচ্ছে, তাঁরা নিয়মিত সকালে খালি পেটে এই জল খেলে ত্বক টানটান হয়, বলিরেখা কমে।
দাঁতের গোড়ার নানা ধরনের সংক্রমণও কমে এই জল খেলে।
কী ভাবে বানাবেন এলাচ জল? রোজ রাতে শুতে যাওয়ার আগে এক গ্লাস জলে সাত-আটটি এলাচ দানা ভিজিয়ে দিন। সকালে উঠে জলটি ছেঁকে নিন। তার পরে খালি পেটে সেই জল খেয়ে ফেলুন। এলাচগুলিও রান্নায় ব্যবহার করতে পারেন। তাতে অসুবিধা নেই।
হাই ব্লাড সুগার ও হাই কোলেস্টেরলে আম নয় আমপাতা যেন বরদান, শরীর সুস্থ রাখবে, নিয়ন্ত্রণে থাকবে সমস্যা
ডায়বেটিসের রোগীদের জন্য আম নয় বরং আমের পাতা অত্যন্ত উপযোগী ৷ ব্লাড সুগার লেবেল নিয়ন্ত্রিত রাখতে আমপাতা অত্যন্ত জরুরি ৷
আমপাতা সুগারের রোগীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷ দেখে নিন কীভাবে আমপাতা সুগার নিয়ন্ত্রণ অব্যর্থ ভূমিকা পালন করে ৷
গরমের সময়ে সবাই কম বেশি আম খাচ্ছেন কিন্তু আমপাতা সুগারের রোগীদের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷
আমপতায় প্যাক্টিন, ভিটামিন সি ও ফাইবার বা তন্তু থাকে ৷ যা ডায়বেটিস ও কোলেস্টেরলের জন্য বিশেষ ভাবে উপকৃত হবেন ৷
যে সমস্ত মানুষের হাই কোলেস্টেরল আছে তাঁরাও খেতে পারেন ৷ অতিরিক্ত মেদ ঝরিয়ে ওজন কমাতে চাইছেন সেক্ষেত্রে আমপাতার রসখেতে পারেন ৷
চোখের সমস্যা, অল্প দেখতে পান তাঁর জন্যও আমপাতা অত্যন্ত উপকারী ৷ দৃষ্টিশক্তি বৃদ্ধিতে আমপাতা অত্যন্ত প্রয়োজনীয় ৷
সর্বপ্রথম ১০ থেকে ১৫টি আমপাতা নিতে হবে ৷ তারপরে জলে ভাল করে ফোটাতে হবে, সারারাত রেখে দিন আমপাতা ফোটানো জল ৷ সকালে এই জলটি ছেঁকে খেয়ে নিন ৷
খালি পেটে খেয়ে নিন এতে সুগার লেবেল একদমই নিয়ন্ত্রিত থাকবে ৷
Disclaimer: উপরোক্ত সমস্ত তথ্য আসলে ঘরোয়া টোটকা ৷ কোনও চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের পরিপূরক বা বিকল্প হতে পারেনা ৷ তাই ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে ৷
শরীর ঘন ঘন দুর্বল, ক্লান্ত! বড়সড় জটিল রোগ ঘিরে ধরতে চলেছে! বিরাট মূল্য চোকাতে হবেনা তো?
প্রচণ্ড গরমে মাঝে মধ্যেই শরীরে আসে ব্যাপক ক্লান্তি ৷ দুর্বলতা ও মাথা ঘুরতে থাকে ৷ তবে কখনও শুনতে পাওয়া গিয়েছে এর পিছনে ঠিক কী কারণ আছে ৷
গরমে শরীরে ইলেকট্রোলাইটের অভাব দেখা দিতেই সমস্যা হতে থাকে ৷ এরফলে ব্যথা বেদনা হতে থাকে ৷ টান ধরে মাংস পেশীতে ৷
শরীরের দুর্বলতা, ক্লান্তি, মাথাঘোরা এমন সব উপসর্গ দেখতে পাওয়া যায় ভুল করেও এড়িয়ে যাবেন না ৷ কেননা ক্লান্তি, দুর্বলতা বা মাথাঘোরার পিছনে মারাত্মক কারণ নেইতো ?
ডিহাইড্রেশন (Dehydration) বা শরীরে জলের অভাব: শরীরে পর্যপ্ত পরিমাণে জল বা জলীয় পদার্থ না থাকলেই হতে পারে ডিহাইড্রেশন ৷ ঠিকঠাক জল না পান করলেই শরীরে জলের অভাব হতে পারে ৷
এরফলেই শরীরে দুর্বলতা ও মাথাঘোরার মত সমস্যা হতে পারে ৷ তাই এইরকমের উপসর্গ দেখা দিলে মোটেই এড়িয়ে যাওয়া উচিৎ নয় ৷ শরীরে জলের অভাব মেটাতে গ্লুকোজ পান করাটা অত্যবশ্যকীয় ৷
মাইগ্রেন (Migraine): এক ধরনের মাথা যন্ত্রণা হয়ে থাকে মাইগ্রেন হলে ৷ কখনও কখনও মাইগ্রেন হওয়ার আগে মাথা ঘুরতে থাকে ৷ এরপরে মাথাধরা, দুর্বলতা ও মাথাঘোরানোর মত সমস্যা ভুলেও কখনও এড়িয়ে যাবেন না ৷
লো ব্লাডপ্রেশার (Low blood pressure): লো প্রেশার থাকলে মাথা ঘুরতে থাকে ৷ রক্তচাপ বৃদ্ধি ও হ্রাস মস্তিষ্কের মধ্যে এক আলাদা পরিবর্তন নিয়ে আসে ৷ লো ব্লাড প্রেশার হলে মাথা ঘুরতে থাকে ৷ দুর্বলতা ও ক্লান্তি অনুভব করেন ৷
আয়রনের অভাব: মাথাধরা, দুর্বলতা ও মাথাঘোরানোর মত সমস্যা আযরনের অভাবেও হতে পারে ৷ এই অবস্থায় এমন খাবার খেতে হবে যা আয়রনে পরিপূর্ণ ৷
উপরোক্ত সমস্ত তথ্য আসলে ঘরোয়া টোটকা ৷ কোনও চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের পরিপূরক বা বিকল্প হতে পারেনা ৷ তাই ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের সঙ্গে পরামর্শ নিতে হবে ৷
নিয়মিত সঙ্গমে কত calorie ঝরান পুরুষরা? মহিলাদেরই বা কত ঘাম ঝরে?
•শারীরিক মিলনে সুখ যেমন অনুভূত হয়, তেমনই বৃদ্ধি পায় সঙ্গীর প্রতি ভালবাসা৷ তাই নিয়মিত রতিক্রিয়ায় লিপ্ত হতে পছন্দ করেন অনেকে৷ তবে যৌনতার সঙ্গে জুড়ে থাকে নানা প্রশ্নও৷ যার উত্তর সবসময় জানা যায় না৷ কারণ এই নিয়ে খোলাখুলি কথা বলার চল নেই বললেই চলে৷ এ ধারা শুধু এই দেশে নয়, বিদেশেও সেভাবে যৌনতা নিয়ে কথা হয় না৷ কারণ একে ব্যক্তিগত বিষয় ভেবে এড়িয়ে যায় অধিকাংশ পুরুষ এবং মহিলা৷
•পাশাপাশি অনেকে এই নিয়ে কোনও রকম অভিজ্ঞতা ভাগ করে নিতে লজ্জা বোধ করেন৷ ফলে অনেকের কাছে সঙ্গম বা শারীরিক মিলন নিয়ে অনেক তথ্য পুরোপুরি পরিষ্কার হয় না৷ তবে এই নিয়ে বিশেষভাবে আলোচনা প্রয়োজন৷ না হলে শারীরিক ভাবে কখন বিপদ আরও বাড়বে, জানতেই পারবেন না৷ বা উপকারিতাই বা কতটা সেই তথ্যও জানা যাবে না৷
•রাতের অন্ধকারে যৌনতায় মাতেন নারী-পুরুষ৷ এই ধারণা রয়েছে বহু মানুষের৷ ফলে কোন ছেলে-মেয়ে একসঙ্গে রাত কাটানো মানেই যে তারা সঙ্গমে মেতেছেন, তা নয়৷
•বা ধরুন যৌনতা মানেই যে শুধু সঙ্গম, তেমনও নয়৷ ফোরপ্লেও এক্ষেত্রে খুব গুরুত্বপূর্ণ নারী-পুরুষের সম্পর্কে৷
•এছাড়া সঙ্গম মানে কী শুধুই শারীরিক প্রেমের আদান-প্রদান? বা প্রেমের বর্হিঃপ্রকাশ৷ মোটেও নয়৷ এর বেশ কিছু উপকারিতা রয়েছে৷
•রতিক্রিয়ার ফলে শরীরে বেশ কিছু রিল্যাক্সিং হরমোন বের হয়৷ তাতে মন থাকে শান্ত এবং মেজাজ থাকে ফুরফুরে৷ ফলে ইতিবাচক মনোভাব বজায় থাকে৷
•একই সঙ্গে সঙ্গমের ফলে ঘামও ঝড়ে৷ যার জন্য শরীরে ক্যালরি বার্ন হয়৷ এক্ষেত্রে পুরুষের শরীরে বেশি ক্যালরি বার্ন হয়৷ তবে বিশেষ কিছু অবস্থায় বা ভঙ্গিতে সঙ্গম হলে মেয়েদের পরিশ্রম বেশি হয়, তাই ক্যালরি বেশি বার্ন হয়৷
•ঠিক কত ক্যালরি বার্ন হয় রতিক্রিয়ার ফলে? প্রতিবার সঙ্গমের সাধারণত ২০০ ক্যালরি বার্ন হয় পুরুষের৷ আর মেয়েদের হয় ৭০ ক্যালরি বার্ন৷ যাদের শারীরিক চর্চা বা এক্সসারসাইজে অনীহা রয়েছে, তাদের নিয়মিত সঙ্গমে ফল ভাল হবে, এমনই বলছে গবেষণা৷ কারণ নিয়মিত শরীর থেকে ঘাম ঝরলে, শরীর থাকবে ফিট৷
ভুলেও রাখা চলবে না খাদ্যতালিকায়, এই পাঁচ প্রকার খাবারই পুরুষদের জন্য ডেকে আনছে বিপদ!
ব্যস্ত লাইফস্টাইল। হাজারো কাজের ব্যস্ততা। ডেডলাইনের চাপ। তার মধ্যেই হয় তো কোনও সময় লাঞ্চ বা ব্রেকফাস্ট বাদ পড়ে গেল। আর এই অস্বাস্থ্যকর অভ্যেসের কারণেই দেখা দেয় নানা রকম শারীরিক সমস্যা। তাছাড়া ব্যস্ততার মধ্যে ডায়েটও সঠিক ভাবে মানা সম্ভব হয় না। তাই বিপদ নেমে আসে। তাছাড়াও এমন অনেক খাবার রয়েছে, যা পুরুষদের স্বাস্থ্যের জন্য একেবারেই ক্ষতিকর। সেই সব খাদ্য গ্রহণ করলে স্থূলতা, রক্তচাপ বৃদ্ধি, ডায়াবেটিস, কোলেস্টেরল বৃদ্ধি, হৃদরোগ ও কিডনির অসুখের মতো ঘাতক রোগ মাথাচাড়া দিয়ে উঠতে পারে। প্রভাব পড়তে পারে যৌন স্বাস্থ্যেও। তাই এই সব ধরনের খাবার খাওয়া থেকে পুরুষদের বিরত থাকাই বাঞ্ছনীয়। দেখে নেওয়া যাক, সেই সব খাবারের তালিকা।
জাঙ্ক ফুড অথবা ফাস্ট ফুড: জাঙ্ক ফুড অথবা ফাস্ট ফুড খেতে পছন্দ করলে কিন্তু এখন থেকেই সাবধান হতে হবে। আসলে জাঙ্ক ফুডে ফ্যাটের পরিমাণ বেশি থাকে, তাই তা হজমে গোলমাল ঘটাতে পারে। এই ধরনের খাবার হৃদযন্ত্র এবং প্রজনন কোষের জন্য একেবারেই ভাল নয়। এছাড়া সামগ্রিক স্বাস্থ্যের উপরেও প্রভাব পড়ে। ফলে খাদ্যতালিকা থেকে জাঙ্ক ফুড একেবারে বাদ দিতে পারলে ভাল।
দুগ্ধজাত খাবার: খাদ্যতালিকায় দুগ্ধজাত দ্রব্য রাখার ক্ষেত্রেও সাবধান হতে হবে। কারণ দুধ এবং পনিরের মতো খাবার উপকারী হলেও তাতে ফ্যাট থাকে বেশি পরিমাণে। ফলে অতিরিক্ত দুগ্ধজাত খাবার স্বাস্থ্যের পক্ষে ক্ষতিকর। তাই দুগ্ধজাত দ্রব্য বুঝে-শুনেই খেতে হবে।
মাংস: যাঁরা মাংস খেতে ভালবাসেন, তাঁদের জেনে রাখা উচিত যে, অতিরিক্ত মাংস খেলে শরীরের উপর তার নেতিবাচক প্রভাব পড়বে। গবেষণা বলছে, শুধু মাংসই নয়, প্রক্রিয়াজাত মাংসও কিন্তু স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। এই ধরনের মাংস জাতীয় খাবার আসলে প্রজনন ক্ষমতাকে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে। তাই চিকিৎসকেরাও সীমিত পরিমাণে মাংস খাওয়ার পরামর্শ দিয়ে থাকেন। একটি গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, যাঁরা সপ্তাহে তিন বারের বেশি মাংস খান, তাঁদের হৃদরোগ, ডায়াবেটিস, নিউমোনিয়া-সহ জটিল রোগের আশঙ্কা থাকে।
ক্যাফিন: বলা হয় যে, অতিরিক্ত চা এবং কফি পান করলে স্বাস্থ্যের উপর তার ক্ষতিকর প্রভাব পড়তে পারে। গবেষণায় দেখা গিয়েছে যে, দিনে দুই কাপের বেশি চা-কফি খেলে পুরুষদের প্রজনন কোষের ক্ষতি হতে পারে। কমতে পারে প্রজনন ক্ষমতাও। তাই অতিরিক্ত চা-কফি পানের অভ্যেস থেকে বিরত থাকার চেষ্টা করতে হবে।
মিষ্টি পানীয় বা সফট ড্রিঙ্ক: চিনিযুক্ত মিষ্টি পানীয় বা সফট ড্রিঙ্ক স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। সেই সঙ্গে সোডা জাতীয় ড্রিঙ্ক, এনার্জি ড্রিঙ্ক এবং কার্বোহাইড্রেট ড্রিঙ্কও এড়িয়ে চলতে হবে। আসলে এই ধরনের পানীয় অতিরিক্ত পরিমাণে সেবন করলে হৃদরোগ, রক্ত প্রবাহ এবং রক্তচাপের মতো জটিল সমস্যা দেখা দিতে পারে।
নিয়মিত আচার খান ? শরীরের উপকার করছেন না ক্ষতি? জানুন
আচারের (Pickles) সঙ্গে অনেকেরই অনেক স্মৃতি জড়িয়ে আছে। ছোটবেলায় চুরি করে আচার খাওয়া, ধরা পড়ে যাওয়া ইত্যাদি! নিরামিষ হোক বা আমিষ রান্না, সঙ্গে একটু আচার না থাকলে মুখে খাওয়ার রোচে না অনেকেরই। আচারের প্রকারভেদও তো কিছু কম নয়। কুলের আচার, আমের আচার, লেবুর আচার থেকে শুরু করে মাছ আর মাংসের আচারও হয়। আসলে তেল আর মশলা দিয়ে খাবার রেখে দেওয়ার এই পদ্ধতি শতাব্দী প্রাচীন।
আচার যখন তৈরি করা হয়, তখন তাতে তেল বা ভিনিগার (Vinegar) দেওয়া হয়। ফল বা সব্জির আচার তৈরির ক্ষেত্রে তেল বা ভিনিগারের সঙ্গে বিক্রিয়া করে ল্যাকটিক, সাইট্রিক ও অ্যাসেটিক তৈরি করে। এই তিনটে অ্যাসিডই শরীরের পক্ষে ভাল। এগুলো শরীরের মধ্যে উপকারী মাইক্রোবসদের (Microbes) আরও শক্তিশালী আর সক্রিয় করে তোলে। এই মাইক্রোবস অন্ত্রে কাজ করে। ফলে আচার খেলে হজমশক্তি বাড়ে, মেটাবলিজম (Metabolism) ভাল হয় এবং কিছু ক্ষেত্রে কোলেস্টেরলের (Cholesterol) মাত্রাও নিয়ন্ত্রিত থাকে।
তবে আচারে তো শুধু তেল বা ভিনিগার দেওয়া হয় না। দেওয়া হয় নানা রকমের মশলাও। নুন, লঙ্কা, হলুদ ও অন্যান্য মশলার গুণে আচারে অ্যান্টিঅক্সিড্যান্ট (Antioxidant) ও মাইক্রোনিউট্রিয়েন্ট (Micronutrient) যুক্ত হয়। গবেষণায় দেখা গিয়েছে, নিয়মিত আচার খেলে ইমিউনিটি সিস্টেম (Immunity System) বা রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতাও অনেকটা বেড়ে যায়।
কিন্তু কিছু গবেষণা এর উল্টো কথাও বলে। বলা হয়, প্রতি দিন আচার খেলে শরীরে অনেক সমস্যা দেখা দিতে পারে। ফল বা সবজি দিয়ে তৈরি আচারে ক্যালোরি অনেক কম থাকে। তাই আরও বেশি বেশি অন্য খাবার খেতে ইচ্ছে করে। যেহেতু আচার খুব দ্রুত খাবার হজম করে দেয় এবং খিদে বাড়িয়ে দেয়, তাই নিয়মিত আচার খেলে অস্বাস্থ্যকর খাবার খাওয়ার একটা প্রবণতা দেখা দেয়। এই অস্বাস্থ্যকর খাবার খেতে অত্যন্ত সুস্বাদু হলেও এতে কোনও পুষ্টিগুণ থাকে না। উল্টে এই জাতীয় খাবার শরীরে প্রোটিন (Protein), ফ্যাট (Fat) ও কার্বোহাইড্রেটের (Carbohydrates) পরিমাণ বাড়িয়ে দেয়। যার ফলে ওজন বৃদ্ধি, ডায়বিটিস (Diabetes) ও উচ্চ রক্তচাপ (High Blood Pressure) দেখা দিতে পারে।
বাজার থেকে কেনা আচারে অতি মাত্রায় নুন, তেল ও রাসায়নিক প্রিজারভেটিভ থাকে যা মোটেও ভাল নয়। তাই আচারের প্রতি আকর্ষণ থাকলে বাড়িতে তৈরি আচার অল্প পরিমাণ খাওয়াই শ্রেয়।
Tea Side Effect: খাওয়া দাওয়া ভুলে বারেবারে চা পান! শরীর ঝাঁঝরা হয়ে যাচ্ছে, অঙ্গতন্ত্রের চরম ক্ষতি হচ্ছে
Tea Side Effect: শুধু ভারতই নয় সারা পৃথিবীর কোটি কোটি মানুষ চায়ের অনুরাগী, চা-পান করেন ছোট থেক বড় নবীন থেকে প্রবীণ চা অত্যন্ত জনপ্রিয় একটি পানীয় ৷ বহু মানুষ এমনও আছেন যাঁরা কাবার দাবার ভুলে গিয়ে দিনে চা পান করেই বেঁচে থাকেন ৷ কেউ দিনে চারবার কেউবা ৮ থেকে ১০ কাপ দিনে চা পান করতে ভালবাসেন ৷ তবে এমন অভ্যাস থাকলে সবার আগে পেট খারাপের সম্ভাবনা থাকে ৷
এছাড়াও অতিরিক্ত পরিমাণে চা পান করলে অঙ্গতন্ত্রে খারাপ প্রভাব পড়তে পারে অতিরিক্ত পরিমাণে চা পান করলে খিদেও মরে যায় ৷ খাওয়ার স্বভাব কমে যায় ৷ ঠিক ভাবে ঘুম আসেনা এই কারণেই অনেকে বারেবারে চা পান করেন ৷ তবে অতিরিক্ত পরিমাণে চা পান করলে তার খারাপ প্রভাব শরীরে পড়ে ৷ শরীরের বিভিন্ন অঙ্গতন্ত্রের জন্য বেশি পরিমাণে চা পান করলে শরীর মোটেও ভাল থাকেনা ৷
বেশি পরিমাণে চা পান করলে খাবার দাবার হজম হতে সমস্যা হয় ৷ বুকে ব্যথা বা যন্ত্রণা হতে পারে ৷ বেশি পরিমাণে চা পান করলে সমস্যা হতে পারে ৷ ভালভাবে ঘুম না হলে নানান ধরনের সমস্যা হতে পারে ৷ এই পরিস্থিতিতে বেশি চা পান করার অভ্যাস ত্যাগ করতে হবে ৷ বেশ কিছু সমীক্ষায় জানতে পারা গিয়েছে দিন ২ বার চা পান করলে তা সত্যি সত্যি শরীরের ক্ষেত্রে ভাল ৷ দিনে একাধিকবার চা পানের অভ্যাস শরীরকে ধ্বংস করে ৷
Disclaimer: উপরোক্ত তথ্যগুলি আসলে ঘরোয়া টোটকা ৷ এটি কোনও চিকিৎসা বা ওষুধপত্রের বিকল্প নয় ৷ ব্যবহারিক প্রয়োগের আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরমর্শ নিতে হবে ৷
ভীষণ গরমে পেট খারাপ! Loose Motions? সবুজ পাতাই রক্ষা করবে প্রাণ, ঠান্ডা হবে শরীর, চনমনে সারাদিন
দেশের বেশ কিছু অঞ্চল এমনও আছে যেখানে তাপমাত্রা ৪৯ ডিগ্রি পার হয নিমেষেই, ঘাম, দগদগে গরমের ও লু বইতে থাকে ৷ কখনও সখনও এই পরিস্থিতি হালকা ভাবে নিতে নিতে লু লেগে যায় শরীরে ৷
ফলত পেট খারাপ হয়, লুজ নমোশনও হতে থাকে ৷ যদি হিট স্ট্রোক বা সানস্ট্রোকের জন্য ভয় পেয়ে থাকেন এত ভয় পাওয়ার দরকার নেই আর ৷
সাধারণ ঘরোয়া উপায়ের মাধ্যমে সহজেই ছাড়া পাওয়া যায় ৷ বিশেষতগরেম খাবার দাবারের দিকে বেশি খেয়াল রাখতে হয় ৷ এই আবহাওয়ায় এমন খাবার দাবার খেতে হবে যাতে পেট ঠান্ডা থাকে ৷
শরীর থেকে বিষাক্ত পদার্থও টেনে দূর করে ৷ ধনেপাতা বেটে ছাঁকনি দিয়ে ছেঁকে এক গ্লাস চা করে কেলে বেশি উপকার পাওয়া সম্ভব ৷
লুজ মোশনও (Loose Motions) যাতে না হয় ৷ এই বিরাট সমস্যার থেকে মুক্তি পেতে ধনেপাতা বিশেষ ভাবে সাহায্য করবে ৷
এই পরিস্থিতি থেকে বাঁচতে ধনেপাতা (Coriander) খাওয়া উচিৎ ৷ ধনেপাতার ঔষধি গুণ শরীরকে অত্যন্ত ভাল রাখে ৷ এতে ভিটামিন এ, ভিটামিন সি, ভিটামিন কে, শর্করা, প্রোটিন-সহ একাধিক পুষ্টিগুণ বর্তমান ৷
পেট ভাল রাখতে ধনেপাতার জুড়ি মেলাভার ৷ লু-এর হাত থেকে বাঁচতে প্রবল গরমে ধনেপাতার চা খেতে পারেন ৷ এই চা লুজ মোশনের জন্য দারুণ উপকারী ৷
ধনেপাতা প্রচুর গরমে খাদ্য তালিকায় ধনেরাতা রাখলে গরমের খারাপ প্রভাব শরীরের ক্ষতি করতে পারেনা ৷
ধনেপাতার চাটনি খেলে শরীরের জন্য অত্যন্ত ভাল ৷ সেই চাটি দইয়ের সঙ্গে মিশিয়ে খেলে ব্যাপক সাড়া দেয় শরীর ৷
Disclaimer: উপরোক্ত তথ্যগুলি ঘরোয়া টোটকা কোনও চিকিৎসা বা ওষুধের পরিপূরক নয়, তাই এর ব্যবহারিক প্রয়োগ করার আগে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে ৷
Click here to claim your Sponsored Listing.
Category
Contact the practice
Website
Address
Gulshan
Dhaka
1212
Dhaka, 1207
we share our experience regarding Trauma, Casualty cases in private hospital
House: 1, Road: 8, Bosilla Garden City, Mohammadpur
Dhaka, 1207
Digito, the trusted name in the health and digital gadget sector of Bangladesh. We are ready to serv
Mirpur Road
Dhaka
Living a healthy life is the ultimate choice.Knowledge is a must. So for ensuring the utmost thing and to aware people about different health problems and solutions is my passiona...
Gulshan Grace, CWS (C), 8 South Avenue, Apt-5B, Bir Uttam Ak Khandakar Rd
Dhaka, 1212
Our Audiologist Specializes In Hearing Loss and Tennitus Treatments. Our Aim Is To Make Our Patients
Dhaka, 1341
আমাদের এইখানে সব রোগের ডক্টর আছে। এবং সব রকম এর টেস্ট করানো হয়।