Salahuddin Jahangir
This is page about Bengali author Salahddin Jahangir and his work
‘রুপান্তর’ নামে একটি টিভি নাটক নিয়ে ফেসবুকে হট্টগোল হচ্ছে। নাটকে ফারহান জোভান নামের যে অভিনেতা অভিনয় করেছেন, নাটকের পোস্টারে তার শাড়ী ও টিপ পরা ছবি ঘুরে বেড়াচ্ছে যত্রতত্র। পোস্টার দেখে যতটুকু আন্দাজ করা যাচ্ছে, নাটকে ট্রান্সজেন্ডার ইস্যু নিয়ে দহরম মহরম রয়েছে। যেহেতু নাটকটি প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ‘একান্ন মিডিয়া’ তাদের ইউটিউব চ্যানেল থেকে সরিয়ে ফেলেছে, ফলে সেটার ভেতরে কী রয়েছে সেটা বলা যাচ্ছে না। তাই নাটকের ভেতরগত বিষয় নিয়ে কথা না বলাই উচিত। যারা দেখেছেন তারা বলতে পারবেন।
তবে মজার ব্যাপার হচ্ছে, অভিনেতা জোভান, নাটকের পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু কিংবা নাটকের প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একান্ন মিডিয়াকে নিয়ে যতটা না কথা হচ্ছে, তার চেয়ে বেশি চাউর হচ্ছে বাংলাদেশী ব্র্যান্ড WALTON-কে নিয়ে। কারণ, নাটকের পোস্টারে ওয়ালটনের লোগো ব্যবহার হয়েছে এবং ওয়ালটন নাটকটির স্ক্রিন-স্পন্সর করেছে। ফলে, আমরা বয়কটপ্রিয় জনতা ধুমছে আওয়াজ তুলছি, ওয়ালটনকে বয়কট করতে হবে। তাদের পণ্যাদি আর ব্যবহার করা যাবে না ইত্যাদি।
ওয়ালটনকে নিয়ে এই বয়কট বয়কট বিষয়ে খানিক চুলচেরা বিশ্লেষণের প্রয়োজন আছে বলে মনে করি।
প্রথম কথা:
ধরুন, একটি নাটক নির্মাণ করা হবে। প্রথমে একজন স্ক্রিপ্টরাইটার নাটকটির গল্প লিখেন। এরপর পরিচালক গল্পটি পছন্দ করলে তিনি সেটা নিয়ে নাটক নির্মাণের সিদ্ধান্ত নেন। সিদ্ধান্ত নেয়ার পর তিনি কোনো প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে যান এবং তাদেরকে গল্প শুনিয়ে অনুরোধ করেন নাটকটি প্রযোজনা করতে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান গল্প শুনে সম্মত হলে এরপর শুরু হয় অভিনেতা-অভিনেত্রী বাছাইয়ের পালা। পরিচালক ও প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান মিলে নাটকের পাত্র-পাত্রীর প্রাথমিক নাম তালিকা করে তাদের কাছে যান গল্প নিয়ে। তারা গল্প পছন্দ করলে তারপর ডেট ফিক্স করে শুরু হয় নাটকের শুটিং। পাত্র-পাত্রী ও শুটিংয়ের যাবতীয় খরচ বহন করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান
নাটকের শুটিং শেষ হওয়ার পর এই নাটকটি আর পরিচালকের হাতে থাকে না। নাটকটি চলে যায় প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছে। যেহেতু তারা নাটকটিতে অর্থ লগ্নি করেছে, সুতরাং নাটকের স্বত্ব সম্পূর্ণ তাদের। এখন প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান নাটকটি নিয়ে যায় কোনো টিভি চ্যানেলের কাছে অথবা কোনো ইউটিউব চ্যানেলের কাছে বিক্রি করতে। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ নাটক পছন্দ করলে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের কাছ থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক স্বত্ব কিনে নেয়। এরপর সুযোগমতো তারা নাটকটি তাদের চ্যানেল রিলিজ করে।
এই রিলিজের আগে আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ কাজ বাকি থাকে টিভি বা ইউটিউব চ্যানেল কর্তৃপক্ষের। নাটকটি তাদের চ্যানেলে প্রচার করার আগে বিভিন্ন বহুজাতিক কোম্পানি বা নামী কোনো ব্র্যান্ডের কাছে যায় বিজ্ঞাপনের জন্য। চ্যানেল কর্তৃপক্ষ নাটকটি প্রচারের সময় ব্র্যান্ডের লোগো বা পণ্যের ছবি-ভিডিও বিভিন্ন অ্যাঙ্গেলে স্ক্রিনে প্রদর্শন করবে। বহুজাতিক কোম্পানি বা ব্র্যান্ড রাজি হলে তারা তাদের পণ্যের ছবি-ভিডিও প্রচারের অনুমতি দেয়। বিনিময়ে চ্যানেল কর্তৃপক্ষকে নির্দিষ্ট পরিমাণ অর্থ প্রদান করা হয়।
এখানেই আসে ওয়ালটন ইস্যু ও বহুজাতিক কর্পোরেট বিষয়ে আমাদের অজ্ঞতা। বহুজাতিক কোম্পানিগুলো প্রিন্ট, ইলেক্ট্রনিক ও সোস্যাল মিডিয়ায় বিজ্ঞাপন প্রচারের জন্য নিজেরা সাধারণত কাজ করে না। তাদের বিজ্ঞাপন ও প্রচার-প্রচারণার জন্য তারা দেশের বিভিন্ন বিজ্ঞাপনী এজেন্সিকে দায়িত্ব দেয়। এজেন্সিকে একটি লক্ষ্যমাত্রা দেয়া হয়, এই মাসে ১০০টি নাটকে আমার এই এই পণ্যের বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে, প্রাইম টাইমে এই এই পণ্যের অ্যাড দেখাতে হবে, অমুক অমুক টিভি চ্যানেলে এত ঘণ্টা বিজ্ঞাপন প্রচার করতে হবে, গুগল অ্যাড, ফেসবুক অ্যাড, ইউটিউব অ্যাডে এই পরিমাণ বিজ্ঞাপন দেখাতে হবে...।
এই সকল বিষয় দেখভালের দায়িত্ব থাকে নির্দিষ্ট বিজ্ঞাপনী সংস্থার ওপর। মাস শেষে তারা বিজ্ঞাপন প্রচারের হিসাব দিয়ে কোম্পানি থেকে তাদের সার্ভিসের পয়সা নিয়ে নেয়। কোম্পানিগুলো প্রতিটি অ্যাডের চুলচেরা হিসাব সাধারণত খুব একটা রাখে না। সুতরাং এই হিসাবের মধ্যে ওয়ালটনকে বলির পাঁঠা হিসেবে শুলে চড়ানোর পাঁয়তারা করা নিছক অনভিপ্রেত ছাড়া আর কিছুই নয়। না ‘রুপান্তর’ নাটকটি তারা নির্মাণ করেছে, না প্রযোজনা করেছে, আর না তারা স্বপ্রণোদিত হয়ে এটিকে স্পন্সর করেছে।
বয়কট যদি করতেই হয় তবে নাটকের অভিনেতা জোভান, পরিচালক রাফাত মজুমদার রিংকু কিংবা প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান একান্ন মিডিয়া বা (নাম প্রকাশ হয়নি) বিজ্ঞাপনী সংস্থাকে করুন। তারা সকলে জেনে বুঝে নাটক পরিচালনা করেছে, অভিনয় করেছে, স্পন্সর করেছে এবং প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান অর্থ লগ্নি করেছে এবং ইউটিউবে প্রকাশ করেছে।
ওয়ালটন এখানে একেবারেই একটি গৌণ প্রতিষ্ঠান। নাটক নিয়ে বিতর্ক হওয়ার আগ পর্যন্ত ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ জানতোই না যে এমন একটি নাটক নির্মাণ হয়েছে এবং সেখানে তাদের অ্যাড প্রদর্শিত হচ্ছে।
দ্বিতীয় কথা:
ওয়ালটন বাংলাদেশের অন্যতম বড় ব্র্যান্ড। বিশেষত ইলেকট্রিক পণ্যে বিদেশী নামী দামী সকল ব্র্যান্ডকে হটিয়ে তারা বাংলাদেশী ব্র্যান্ডের বিশাল বাজার তৈরি করেছে। শুধু বাজারই তৈরি করেনি, তারা কম দামে মানসম্মত পণ্য বাংলাদেশের প্রত্যন্ত অঞ্চল পর্যন্ত পৌছে দিয়েছে। বাংলাদেশের যত প্রত্যন্ত অঞ্চলেই যান না কেন, সেখানে আপনি ওয়ালটনের কোনো না কোনো পণ্যের উপস্থিতি পাবেন। ইলেকট্রিক পণ্যে তারা এখন বাংলাদেশের এক নম্বর ব্রান্ডে পরিণত হয়েছে।
বাংলাদেশী ব্র্যান্ড হিসেবে এটি ওয়ালটনের বিরাট অর্জন। আমরা আজ ফিলিস্তিন ইস্যুতে পশ্চিমা পণ্য বয়কটে স্বতঃস্ফূর্তভাবে এগিয়ে এসেছি। কোক-পেপসিসহ বিভিন্ন মশহুর পণ্য বর্জন করছি। কিন্তু এসব পণ্যের রিপ্লেসমেন্ট হিসেবে আমাদের দেশীয় পণ্য তো থাকতে হবে। কোক-পেপসির বদলে মোজো-ক্লেমন খাচ্ছি। কিন্তু ইলেকট্রিক পণ্যের ব্যাপারে আমরা কি কখনো সচেতন হয়েছি, কোনগুলো আমাদের দেশীয় পণ্য আর কোনগুলো পশ্চিমা ও ভারতীয় পণ্য? আমরা ভারতীয় পণ্য বর্জনের ডাক দিচ্ছি, কিন্তু ভারতীয় পণ্যের রিপ্লেসমেন্টে আমাদের দেশীয় ইলেকট্রিক ব্র্যান্ড কয়টা আছে? আজ যদি ওয়ালটনকে প্রশ্নবিদ্ধ করা যায়, কাল ভিশন ব্র্যান্ডকেও প্রশ্নবিদ্ধ করা যাবে, পরশু আকিজ, তারপর আরেক কোম্পানি...। এভাবে বয়কট করতে করতে আমরা তো দেউলিয়া হয়ে যাব।
কাজেই বয়কট বয়কট ডাক দেয়ার আগে খানিকটা ভেবে চিন্তে কাজ করা জরুরি।
তৃতীয় কথা:
আমাদের সতর্ক থাকা জরুরি, এই ওয়ালটন ইস্যু কি আমাদের পশ্চিমা ও ভারতীয় পণ্য বর্জনের উদ্যোগকে কোনোভাবে মেনুপুলেট করছে? ভিন্ন খাতে প্রবাহিত করার চেষ্টা চলছে না তো? অথবা পশ্চিমারা তাদের পাততাড়ি গুটানোর আগে আমাদের দেশীয় পণ্যকে আমাদের কাছে প্রশ্নবিদ্ধ করছে না তো? চেষ্টাটা এমন—আমরা যেহেতু মরেছি, এই দেশীয় কোম্পানিগুলোকে সঙ্গে নিয়েই মরব! কাজেই যে কোনোভাবে দেশীয় কোম্পানিগুলোকে স্পর্শকাতর ইস্যুতে মানুষের ঘৃণার পাত্র বানাতে হবে। তাদেরকেও বয়কট করার নানা ছুতা তৈরি করতে হবে।
এমনটা হতেই পারে। সুতরাং খেয়াল রাখতে হবে, আমাদের বয়কট আন্দোলন যেন আমাদের জন্যই বুমেরাং হয়ে না যায়।
আনন্দের বিষয় হলো, ‘রুপান্তর’ নাটকটি নিয়ে বিতর্ক শুরু হওয়ার অল্প সময়ের মধ্যেই ওয়ালটন কর্তৃপক্ষ তাদের স্পন্সরগত বিষয়টি ক্লিয়ার করে তাদের ফেসবুক পেজে পোস্ট করেছে। যদিও নাটকের ব্যাপারে তাদের তেমন কোনো স্বপ্রণোদিত যুক্ততা ছিল না, তবুও তারা অনাকাঙ্ক্ষিত বিষয়টি নিয়ে ক্ষমাপ্রার্থনা করেছে। এটি তাদের সৎ উদ্দেশ্যেরই বহিঃপ্রকাশ।
কাজেই আমার মতে, ওয়ালটন ইস্যু নিয়ে অযথা বয়কটের আওয়াজ তোলা আমাদের জন্য কোনো সুফল বয়ে আনবে না আদৌ। এই বিষয়ের এখানেই সমাপ্তি হওয়াটাই সবদিক থেকে ভালো হবে বলে মনে করি।
বাড়ি থেকে সকাল পৌনে ছয়টায় রওনা দিয়ে ধানমণ্ডিতে অফিসে পৌছে গেছি সকাল সাড়ে সাতটায়। ঈদের পর আজ অফিসের প্রথম দিন। অফিসে ঢুকে দেখি টেবিলের উপর গোটা কতেক মোজো'র বোতল, মোজো'র টি-শার্ট, মাটির বরতনে মিষ্টি আর মোজো'র পক্ষ থেকে শুভেচ্ছা কার্ড। বেশ তো!
Akij Food & Beverage Ltd.-এর অন্যতম পণ্য Mojo -র পথচলার ১৮ বছর পূর্তি উপলক্ষে গতকাল ছিল উদযাপন অনুষ্ঠান। AKij Group -এ কর্মরত যারা অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করতে পারেনি তাদের সবার অফিসে এই উপহারসামগ্রী পাঠিয়ে দেয়া হয়েছে।
আমার কর্মস্থল Akij-Monowara Prokashoni। আমাদের পথচলা নতুন। শিগগির পাঠক ও দর্শকদের সামনে উপস্থিত হব নিত্যনতুন কন্টেন্ট নিয়ে। আপাতত আমাদের পেজে লাইক দিয়ে সঙ্গে থাকুন!
ধন্যবাদ সবাইকে!
ইফতারি আগ মুহূর্তে দরবেশযাত্রায় লঞ্চের ছাদে...
কতিপয় দরবেশ দরবেশযাত্রার উদ্দেশ্যে অপেক্ষমান...
দরবেশযাত্রার উদ্দেশে ধানমণ্ডি থেকে সদরঘাটের দিকে রওনা হলাম। এলাহী ভরসা!
যারা আজ আমাদের সঙ্গে দরবেশযাত্রায় শামিল হচ্ছেন, বিকেল সাড়ে চারটার মধ্যে সদরঘাটের লালকুঠি ঘাটে উপস্থিত হওয়ার অনুরোধ রইল। বিকেল পাঁচটায় আমাদর লঞ্চ ছেড়ে যাওয়ার কথা। সুতরাং দেরি করার কোনো সুযোগ নেই।
Abu Ubayda & Sayed Tanvir Enayet এই যে মানিকজোড়, এরা দুজন বাংলাদেশের ইসলামি সংগীতাঙ্গনে অমর হয়ে রইবে।আবু উবায়দার দিলখোলা ও দেশজ গায়কী এবং তানভীরের ভার্সেটাইল লিরিক্স—তাদের অমরত্বের জন্য যথেষ্ট।
সম্প্রতি ইউটিউবে রিলিজ হয়েছে এই মানিকজোড়ের নতুন নাতে রাসুল 'বালাগাল উলা বিকামালিহি'। যারা খানিকটা মনোযোগ দিয়ে গান শোনেন, মনের কান দিয়ে গানটা শুনলে বুঝবেন, 'বালাগাল উলা'র আরবি কনটেক্সট কত শৈল্পিক উপায়ে গানের ছন্দে ব্যবহার করা হয়েছে। শুধু ছন্দের মুন্সিয়ানা নয়, নাতের প্রতিটি ছত্রে নবীজির (সা.) প্রতি লেখকের যে গভীর নিবেদন ফুটে উঠেছে, তা অনবদ্য।
'তোমার হাঁটার পর আমি উড়ি ধুলা
আমার হৃদয়ে বাজে বালাগাল উলা...'
নবীজির প্রতি অন্তরের অনন্ত প্রেম না থাকলে নিজেকে তাঁর পায়ের ধুলা হিসেবে উড়িয়ে দেয়া সহজসাধন নয়।
গানের সুরের অভিনবত্বও শ্রোতাকে বারবার এই গানের কাছে নিয়ে আসবে। উবায়দার সুর করা লাইনগুলোর তাল ও লয় বহুমুখী। আমাদের প্রথাগত ইসলামি সংগীতের একমুখী সুরের সীমাবদ্ধতা দুমড়ে মুচড়ে উবায়দা গানের লিরিক্সকে দিয়েছে বৈভব। ফলে শ্রোতার মনোজগৎ একই গানে নানা পদী সুরের মূর্ছনায় মোহিত হবে।
আমাকে সবিশেষ মুগ্ধ করেছে এই লাইন ক'টা:
মনে যদি প্রেম দাও গভীর
মুখে যদি ভাষা দাও কবির
সবকিছু ভুলে গিয়ে হে প্রিয় রাসুল
তোমার চরণে দেব কবিতার ফুল
এমন বহুধা অর্থবহ গান লিখতে যেমন স্বাধীনতা লাগে, তেমনি এমন গান গাইতেও লাগে বুকভরা সাহস। একজন শিল্পীর জন্য স্বাধীনতা ও সাহস সবচে জরুরি চিজ। এই দুই জিনিসের যদি কমতি থাকে শিল্পীর মন ও মননে, লিখে রাখুন, কোনো শিল্পই সৃষ্টিশীল সাফল্যে প্রস্ফুটিত হবে না। সারা জীবন কেটে যাবে কেবল অন্যের নকল আর সস্তা হাততালি কুড়াতে কুড়াতে।
আমি কামনা করব, আবু উবায়দা ও তানভীর এনায়েত তাদের আগামী সকল কাজে অবাধ স্বাধীনতা ও সাহস জারি রাখবে।
আজ সৃষ্টি সুখের উল্লাসে–
মোর মুখ হাসে মোর চোখ হাসে মোর টগবগিয়ে খুন হাসে
-কাজী নজরুল ইসলাম
(গানের লিংক কমেন্টে)
তৌবা মসজিদ, সেনেগাল 🇸🇳
সবাই প্রস্তুত তো? জলদি জলদি আমাদের ইভেন্টে যোগ দিন। কমেন্টে ইভেন্ট ও এন্ট্রি ফরম দেয়া হলো। চট করে ফরম পূরণ করে শামিল হয়ে যান এই মহতী দরবেশযাত্রায়।
দরবেশযাত্রা
সদরঘাট—চাঁদপুর
৩ মে ২০২৪
বুধবার, সন্ধা ৫টা
মহামতি সালাহউদ্দীন জাহাঙ্গীর ও আবু উবায়দার সঙ্গে
কবিতা পাঠ, সংগীত, মুক্ত আড্ডা, এবাদত
◾ সময় ও দিন : ৩ মে, বুধবার বিকেল ৫টা
◾ জমায়েতের স্থান : লালকুঠি ঘাট, সদরঘাট, ঢাকা
🕓 যাত্রা শুরু : বিকেল ৫টা
🕙 চাঁদপুর পৌঁছুবো রাত ১০টা
✅ ইফতার ও সেহরি লঞ্চেই
🎯 অতঃপর তিন নদীর মোহনায় কবিতা পাঠ, মরমী সংগীত, সামা সংগীত ও হালকায়ে জিকির আয়োজন
🌓 ফিরতি যাত্রা : রাত ১টা
🌔 সদরঘাট পৌঁছুবো ফজরের পর পর
📌এন্ট্রি ফি : ৫০০
🏷 বিকাশ/নগদ/ রকেট (পার্সোনাল) : 01616-016871
📞 যেকোনো প্রয়োজনে হোয়াটসএপ : 01616-016871
একটা লঞ্চ-বিহার করা দরকার। আগে প্রতি রমজানে যেমনটা করতাম—সদরঘাট টু চাঁদপুর। এক রাতের সফর। গত দুই-তিন বছর এই সফরটা করা হয় নাই, এবার করার এরাদা করেছি। দেলের মধ্যে জং ধরে গেছে, কিছু তরিকতের সোহবত হাসিল জরুরি।
আগামী বুধবার ইনশাআল্লাহ। আগ্রহীরা আগ্রহ প্রকাশ করেন।
বিস্তারিত কাল জানানো হবে...
Kabul’s night
"গাজায় যত রক্ত ঝরেছে, যতগুলো বাড়ির ওপর দখলদাররা বোমাবর্ষণ করেছে, প্রতিটি শিশু যারা হাসপাতালে মারা গেছে, প্রতিটি নারী যারা নিহত বা বাস্তুচ্যুত হয়েছে, যারা ক্ষুধা ও তৃষ্ণায় মারা গেছে, ওষুধের অভাবে মারা যাওয়া প্রতিটি অসুস্থ ব্যক্তি— পৃথিবীর প্রত্যেকজন মুসলিম শাসকের ঘাড়ে লেগে আছে তাদের রক্ত।
বিচারের দিন আল্লাহর কাছে তাদের প্রত্যেককে জবাবদিহি করতে হবে। তাদেরকে সেদিন শহীদদের সামনে দাঁড় করানো হবে এবং আল্লাহ বলবেন: ‘এটা এমন দিন যে তারা নির্বাক হয়ে যাবে এবং তাদের কোনো অজুহাত দেওয়ার সুযোগ দেওয়া হবে না।’’
—শাইখ মুহাম্মদ হাসান আল-শানকিতি
প্রেসিডেন্ট, আব্দুল্লাহ ইবনে ইয়াসিন ইউনিভার্সিটি, তিউনিসিয়া
আমার যে বইগুলো কালোত্তীর্ণ হবে, তার মধ্যে এ দুটো বই একদম প্রথম দিকে থাকবে। এটা লেখক হিসেবে আমার মত। নবীজি (সা.)-এর যুদ্ধজীবনের সবচেয়ে স্মরণীয় যুদ্ধ—বদর ও উহুদ যুদ্ধকে গল্পভাষ্যে রূপদান করা হয়েছে '৩১৩' ও 'মৃত্যুঞ্জয়ী' গ্রন্থদ্বয়ে। যে শ্রম, অধ্যাবসায় ও ভালোবাসা নিয়ে বইগুলো লিখেছি, এজন্য বইগুলোর প্রতি আমার অসম্ভব ভালোলাগা। আশা রাখি, শিগগির নবীজির পরবর্তী প্রতিটি যুদ্ধকে উপন্যাসের আদলে গল্পভাষ্যে রূপায়ন করব ইনশাআল্লাহ।
১৭ রমজান বদর দিবস উপলক্ষে নবপ্রকাশ প্রকাশনী দারুণ অফার দিচ্ছে। ১৫, ১৬ ও ১৭ রমজান মোতাবেক ২৬, ২৭ ও ২৮ মার্চ অর্থাৎ আজ, কাল ও পরশু '৩১৩' ও 'মৃত্যুঞ্জয়ী' বই দুটো একত্রে অর্ডার করলে মোট দাম ৬৬০ টাকার বদলে পাবেন মাত্র ৪৫৯ টাকায়!
টাকা এখনই পরিশোধ করতে হবে না। কমেন্টে দেয়া লিংকে গিয়ে আপনার নাম আর ফোন নম্বর দিয়ে রাখুন, যখন ইচ্ছা কিনতে পারবেন।
আরও কিছু জানতে কল করতে পারেন:
01913 508743
বিরিয়ানি রান্নায় হাতযশ হওয়ার পর ইচ্ছা ছিল বাড়িতে আব্বা-মাকে বিরিয়ানি রান্না করে খাওয়াবো। আজ সেই সুযোগ হলো। নিজের মা-বাবাকে রান্না করে খাওয়ানোর যে আনন্দ—খোদার শোকর, তিনি আমাকে এই সৌভাগ্য দান করেছেন।
আল্লাহ তাআলা আমার ওপর এই নেয়ামত দীর্ঘায়িত করুন!
বড় আপার আদুরে বিড়াল রুপাই-এর তিনটি শাবক হয়েছে। দুটো শাবক দেখতে ঠিক ব্যাঘ্রশাবকের মতো হলদে ডোরাকাটা। আমরা তার উত্তরোত্তর সাফল্য কামনা করি।
স্বাধীনতা কিভাবে অর্জিত হলো—সেই ইতিহাস জানার চেয়ে এটা জানার চেষ্টা করো যে—তুমি পরাধীন কিভাবে হয়েছিলে!
কতিপয় গরুর বেপারীর সঙ্গে গরুর মাংস দিয়া ইফতার করতে আসলাম Beef Wala রেস্টুরেন্টে।
সাং:
বসিলা গার্ডেন সিটি
চন্দ্রিমার হাক্কার পাড়
বসিলা, মোহাম্মদপুর
রান্নাবান্না নিয়া আছি বড় মধুর বিপদে, যেখানে হাত দেই সেখানেই সোনা ফলে। আজ দুজন গরিব-মিসকিন— এহসান সিরাজ (গরিব) ও Ihsanul Haque (মিসকিন) খাওয়াবো বলে জীবনে প্রথম হালিম রান্না করলাম। সঙ্গে সাহস করে ভাইজা ফেল্লাম আলুর চপ আর বেগুনি, ছোলা-ডাবলি ভুনা তো ছিলই। সবই যেন অমৃতসম সুস্বাদ।
কি যে করি! জমিদার হয়ে আছি বড় বিপদে!!
উচ্চশিক্ষার প্রতিষ্ঠানগুলো মানুষ তৈরি না করে যেন তৈরি করছে শিক্ষকরূপী নরপিশাচ...
আসন্ন ঈদুল ফিতর উপলক্ষে মাসিক নবধ্বনি প্রকাশ করতে যাচ্ছে বিশেষ কবিতাসংখ্যা। যারা কবিতা বা কবিতা সংক্রান্ত রচনা পাঠাতে চান, পাঠিয়ে দিন নবধ্বনির মেইলে।
কবিতা পাঠানোর শেষ তারিখ ২০ মার্চ ২০২৪।
একজন কবি সর্বোচ্চ ৩টি কবিতা পাঠাতে পারবে।
কবিতাসংখ্যা ঈদুল ফিতর উপলক্ষে কেবল PDF সংস্করণ প্রকাশ হবে।
কবিতা পাঠাতে হবে ইমেইলে:
[email protected]
সমাজ একদিনে পরিবর্তন হয় না। সামাজিক পরিবর্তনের দীর্ঘমেয়াদী প্রসেস লাগে। হুট করে আন্দোলন করে বা প্রতিবাদ করে সমাজে পরিবর্তন আসে না। এর দ্বারা সমাজে একটা ইমপ্যাক্ট পড়ে বটে, কিন্তু সামগ্রিক পরিবর্তনের জন্য প্রয়োজন টেকসই দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা ও সেটার বাস্তবায়ন।
শিক্ষা নিয়ে আমাদের দেশে অস্থিরতা বিরাজ করছে। বিশেষত বিগত কয়েক বছর ধরে সরকার প্রণীত শিক্ষা কারিকুলাম সাধারণ অভিভাবক তো বটেই, শিক্ষা বিশেষজ্ঞদেরও হতাশ ও ক্ষোভিত করেছে। শিক্ষা নিয়ে আসলে কী হচ্ছে—আমাদের শিক্ষা কারিকুলাম দেখে তা বুঝার উপায় নেই।
আশার কথা হচ্ছে, সাধারণ জনগণের ধর্মভীরু অংশ এই শিক্ষা কারিকুলাম ভালোভাবে গ্রহণ করেনি। ফলশ্রুতিতে তারা ধর্মভিত্তিক শিক্ষার প্রতি ঝুঁকছে। বিশেষত প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমে নূরানী ও অন্যান্য কারিকুলামগুলো জনপ্রিয়তা পাচ্ছে।
কিন্তু চিন্তার বিষয় হলো, এই ধর্মভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক এবং প্রাথমিক শিক্ষা কারিকুলামগুলো অগোছালো এবং সুচিন্তিত নয়। আরও চিন্তার বিষয় হলো, দেশব্যাপী ধর্মভিত্তিক শিশু শিক্ষার পাঠ্যপুস্তকের নির্দিষ্ট কোনো প্যাটার্ন নেই। একেক মকতব বা স্কুল একেক প্রকারের পাঠ্যপুস্তক পাঠদান করে থাকে। এমন অগোছালো ও অনির্দিষ্ট কারিকুলাম ভবিষ্যতের জন্য চিন্তার কারণ। কারণ, সামনের দিনগুলোতে সরকার উপানুষ্ঠানিক এসব শিক্ষা কার্যক্রমগুলোর ওপর খড়গহস্ত হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা রয়েছে।
এজন্য বাংলাদেশ কওমী মাদ্রাসা শিক্ষাবোর্ড (বেফাক)-এর উচিত, সারা দেশের ধর্মভিত্তিক প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষা কার্যক্রমগুলোকে এক ছাতার তলে নিয়ে আসা এবং আধুনিক ও যুগোপযোগী পাঠ্যক্রম প্রণয়ন করা। এতে সারা দেশে প্রাক-প্রাথমিক শিক্ষায় ধর্মভিত্তিক শিক্ষার গ্রহণযোগ্যতা যেমন বাড়বে, তেমনি সরকারি হস্তক্ষেপ থেকেও এই মহৎ উদ্যোগগুলো রক্ষা পাবে।
লেখালেখি কি শেখা যায়?
আমার মতে ‘লেখালেখি’ মূলত শেখা যায় না। একটা সৃষ্টিশীল লেখকসত্ত্বা বুকের মধ্যে নিয়ে জন্মাতে হয়। এবং মজার বিষয় হচ্ছে, এই সৃষ্টিশীল সত্ত্বা আমাদের অধিকাংশের বুকের মধ্যেই সুপ্ত থাকে। আমরা অনেকে হয়তো জীবনভর জানতেই পারি না যে আমাদের ভেতরে অঘোরে ঘুমাচ্ছে এক ‘সৃষ্টি সুখের উল্লাসে কাঁপা’ একজন প্রতিভাধর লেখক।
লেখালেখির জন্য লেখক হয়ে জন্ম নিলেই শুধু হয় না, সেই লেখকসত্ত্বাকে সঠিক পন্থায় যদি ব্যবহার করতে না জানেন, তবে ওই ঘুমন্ত লেখক আজীবন ঘুমিয়েই থাকবে, নয়তো খুঁড়িয়ে খুঁড়িয়ে জীবন পার করে দেবে। যেখানে আপন প্রতিভা দিয়ে জয় করা সম্ভব ছিল কোটি পাঠকের মন, কিন্তু সঠিক তরবিয়তের অভাবে আপনাকে হয়তো দু-চারটে বই প্রকাশ করেই গিলতে হবে তৃপ্তির ঢেঁকুর। মনে করবেন, আমার দ্বারা এর চেয়ে আর আর কি-ই বা করা সম্ভব?
ফলতঃ লেখালেখির নানা ছলা-কলা, ভিন্ন ভিন্ন লেখার ভিন্ন ভিন্ন তয় তরিকা, গদ্যের সাবলীলতা ও প্রাঞ্জলতা ইত্যাদি বিষয়ে একটা মুলাখখাছ তরবিয়ত জরুরি।
এই এরাদা সামনে রেখে রমজান মাসে ‘হবু লেখকদের’ জন্য নবধ্বনি আয়োজন করেছে ‘লেখালেখির ৬ নম্বর’ শিরোনামের অনলাইন কোর্স। ১৫টি ক্লাসের সোহবতে শেখাতে কোশেশ করব লেখালেখির আনোখা আনোখা চিজ ও আসবাব।
যারা কোর্সে অংশ নিতে চান জলদি কমেন্টে দেয়া লিংকে ক্লিক করে ফরম পূরণ করুন অথবা QR কোডটি স্ক্যান করুন।
মালের কুরবানি:
১ জন ৮৫০
২ জন ১৪৫০ (একসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্ট করলে)
৩ জন ১৯৫০ (একসঙ্গে রেজিস্ট্রেশন ও পেমেন্ট করলে)
বিস্তারিত জানতে চাইলে:
01911 856333
[বিজ্ঞাপনে ইচ্ছে করেই আরবি-উর্দু শব্দের এস্তেমাল করা হয়েছে। ‘স্বকৃত নোমান’ নাম্নী কতিপয় গাধা দরজার লোকদের তশরিফ-জ্বলুনি উঠানোর জন্য।]
ধরুন রূপকথার এক শহর। সেই শহরে থাকে এক কৌতূহলী কিশোরী। তার খুব ইচ্ছা হয় রূপকথার সেই শহরটা ঘুরে দেখার। কিন্তু কীভাবে দেখবে? তার কখনো বাড়ি থেকে বাইরে যাওয়ার সুযোগই হয় না। সে দেখেনি শহরের কোলাহলভরা বাজার, আকাশচুম্বী প্রাসাদ, সুন্দর রাস্তা আর বাগানগুলো। কিছুই দেখেনি সে। শুধু শুনে এসেছে, এই শহরে অদ্ভুত সুন্দর একটি ‘আয়নামহল’ আছে। আয়নামহলের একটি ঘর আছে, যে আয়নাঘরটি সাজানো হয়েছে এক হাজার আয়না দিয়ে। তার খুব ইচ্ছে একদিন সে সেই আয়নাঘর দেখতে যাবে।
একদিন সুযোগ এলো। কিশোরী মেয়েটি তার বান্ধবীকে সঙ্গে নিয়ে সেই আশ্চর্য সুন্দর আয়নাঘর দেখতে গেল। আয়নাঘরটিতে একাই যেতে হয়, একজনের বেশি যাওয়ার নিয়ম নেই। কোনো সমস্যা নেই। কিশোরী মেয়েটি প্রথমে আয়নাঘরে ঢুকল। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে আশ্চর্য সব রঙ্গিন কারুকাজ দেখে মেয়েটির মুখ আনন্দে ভরে উঠল। সে আস্তে আস্তে এগুতে এগুতে সেই একহাজার আয়নারঘরে প্রবেশ করল। ঘরে ঢুকেই তার চোখ ছানাবড়া হয়ে গেল। মেয়েটি দেখলে, সেখানে ঠিক তারই মতো দেখতে আরও এক হাজার মেয়ে হাস্যোজ্জল মুখে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। সে যা করছে বাকিরাও ঠিক তাই তাই করছে। এমন আশ্চর্য দৃশ্য দেখে সে দারুণ আনন্দ পেল। নানা ভঙ্গিমায় নিজেকে দেখতে লাগল।
কিছুক্ষণ পর মেয়েটি সবকিছু দেখে বাইরে চলে এল। বাইরে এসে তার বান্ধবীকে বলল, ‘এমন সুন্দর আর আশ্চর্য জায়গা আমি জীবনে কখনো দেখেনি। সুযোগ পেলে আমি আবার আসব এ আয়নামহলে। ভেতরের সৌন্দর্য তোমাকে এখনই বলছি না, তুমি নিজে গিয়েই দেখে এসো।
সব কথা শুনে এবার মেয়েটির বান্ধবী কিছুটা ভয় ভয় মন নিয়ে আয়নামহলে প্রবেশ করল। ঘুরতে ঘুরতে আতংকিত মনে সে-ও সেই ‘এক হাজার আয়নাঘরে’ প্রবেশ করল। ঘরে ঢোকার সাথে সাথে মেয়েটি ভয় পেয়ে উঠল। ভয়ে তার মুখ ফ্যাকাশে হয়ে গেল, আতঙ্কিত হয়ে উঠল চোখ। সে খেয়াল করল, ঠিক তারই মতো দেখতে আরও এক হাজার মেয়ে আতঙ্কিত আর ভয়ার্ত চোখে তার দিকে তাকিয়ে রয়েছে। মেয়েটি ভয় পেয়ে যখন দুই হাত তুলে বলছে, ‘তোমারা কারা,’ সাথে সাথে আয়নায় প্রতিবিম্বিত এক হাজার মেয়েও দুই হাত তুলে তাকে বলছে, ‘তোমরা কারা?’
মেয়েটি প্রচণ্ড ভয় পেয়ে আয়নামহল থেকে দৌড়ে বেরিয়ে এসে কিশোরী মেয়েটিকে বলল, ‘শিগগির বাড়ি চলো, এটা খুব বাজে জায়গা। ভয়ে আমার হাত-পা ঠাণ্ডা হয়ে গেছে। আমি জীবনে আর কোনোদিন এমন অদ্ভুত জিনিস দেখেতে আসব না।’
গল্পের শিক্ষা:________________
আমাদের জীবনটাও একটা আয়নাস্বরূপ। আপনি যেভাবে জীবনকে দেখবেন, জীবন ঠিক সেভাবেই আপনার কাছে ধরা দিবে। যারা সাহসিকতা, ভালোবাসা, উৎসাহ, জয় করার অদম্য ইচ্ছা নিয়ে সামনে এগিয়ে যায়, জীবন তাদের কাছে অনেক সহজ ও আনন্দময় হয়ে ধরা দেয়। কিন্তু যারা হতাশা, ভয়, সন্দেহগ্রস্ততা, মানসিক অবসাদ নিয়ে সামনে এগুতে চায়, তাদের কাছে জীবন হয়ে উঠে দুঃখ-কষ্টে জর্জরিত, ক্লান্তিকর, বিষণ্ণতায় ভরা। বাস্তবতাকে আপনি যেভাবে দেখবেন, আপনার সামনে তা সেভাবেই ধরা দিবে।
আপনার প্রতিদিনের জীবনকে উপভোগ করুন। হোক সেটা যত কষ্টক্লিষ্ট কিংবা দারিদ্রপিষ্ট, জীবন থেকে আনন্দ কখনো হারাতে দেবেন না।
ডেকে নিও পাখি, ঘুঘু কিবা পেঁচা
সাথে নিও বক, মোর ডানা কাঁচা
ছায়া দিও পাতা, মেহগনি-জাম
পুড়ে গেছে বুকে, প্রিয়তম নাম
ফুল দিও তারে, চৈত্র-ফাগুন
সে দিয়েছে হেসে, নীলাভ আগুন
প্রেমে রেখো তবু, রব্বে কাবা
ব্যথা ভুলে সুদূরিকা, বলি মারহাবা
নবধ্বনি মার্চ ২০২৪ প্রচ্ছদ
বাংলা সাহিত্যের একটা বড় ছন্দপতন—সাহিত্য গ্রাম ছেড়ে নগরমুখী হয়েছে এবং তৃণমূল চারণ কবিদের স্থান দখল করেছেন শিক্ষিত লেখক-কবি শ্রেণি। এখন কবি-লেখক বলতেই শিক্ষিত হওয়া বাঞ্চনীয়। যিনি শিক্ষিত নন বা যার প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার ঘাটতি রয়েছে, তিনি কবি বা লেখক হিসেবে সমাজে প্রতিষ্ঠিত হতে পারেন না। বিগত ৫০ বছরে বাংলা সাহিত্যে এমন উদাহরণ নেই বললেই চলে—যিনি শিক্ষিত নন কিন্তু গান বেঁধে বা কবিতা লিখে বাংলা সাহিত্যে প্রতিষ্ঠা পেয়েছেন। এটা সামগ্রিকতার বিচারে আমাদের সাহিত্যকে একক কেন্দ্রীভূত করে ফেলেছে। এবং এটা শংকার কথা।
কিন্তু হাজার বছরের বাংলা সাহিত্যের ইতিহাসে কবিদের সঙ্গে শিক্ষার তেমন কোনো সম্পর্ক ছিল না। যার হৃদয়জ ভাব-ব্যঞ্জনা তীক্ষ্ণ ও গভীর হতো, তিনিই কবি হতে পারতেন। যার পুঁথি ও গান বাঁধবার সৌকর্য থাকতো, তিনি হতেন অত্রাঞ্চলের প্রথিতযশা কবি-গায়েন। এর জন্য নগর বা রাজধানীর প্রয়োজন হতো না। প্রতিটি গ্রামীণ জনপদে বিরাজ করতেন কবিগণ। সন্ধ্যা হলেই পাড়া-মহল্লায় জ্বলে উঠতো হ্যাজাক বা মশাল বাতি। হল্লা করে স্বরচিত পুঁথিপাঠ হতো। এক গ্রামের কবিগণ পালা লড়তে যেতেন আরেক গ্রামের কবিদের সঙ্গে। এদের তেমন কোনো আক্ষরিক বিদ্যাজ্ঞান থাকতো না। মুখে মুখে শত শত—অনেকে হাজার হাজার কবিতা-পুঁথি-গীতি মুখস্থ বলতে পারতেন।
একটা সময় বাংলা সাহিত্য বলতে ছিল কেবলই কবিতা ও পুঁথি, গান বা গীতিকবিতা। এগুলো কবিদের মুখে মুখে তৈরি হতো এবং হৃদয়ঙ্গম করার মাধ্যমে সেটির স্থায়িত্ব লাভ হতো। ছন্দোবদ্ধ কবিতা তৈরি এবং হৃদয়ঙ্গম করা সহজ। যার দরুণ কবিতা যেমন কবিদের মুখে মুখে তৈরি হতো, তেমনি সেগুলো ছড়িয়েও পড়ত মানুষের মুখে মুখে। কবিতার লেখ্যরূপ ছিল নিতান্ত দুষ্প্রাপ্য। ফলে, মানুষের প্রাত্যহিক জীবনে যে কবিতা ও গান যত বেশি ব্যবহৃত হতো, সেটা তত বেশি প্রসার লাভ করত এবং স্থায়িত্ব লাভে সেটার সুযোগ বেশি হতো।
গত শতাব্দীর মাঝামাঝি থেকে সাহিত্য নগরের দিকে যাত্রা করে। এর প্রধান কারণ আমার মনে হয়েছে—কাগজ ও ছাপার সহজলভ্যতা। এ দুটো জিনিস যেহেতু অক্ষর ও শিক্ষাকে ধারণ করে, ফলে সাহিত্য গ্রামের সাধারণ মানুষের মুখ থেকে শিক্ষিতশ্রেণির কাগজে উঠে এসেছে। ফলে অধুনা এক শ বছরের মধ্যে গ্রাম থেকে সাহিত্য পুরোপুরি বিদায় নিয়েছে। যাদের অক্ষরজ্ঞান নেই বা যারা যথেষ্ঠ শিক্ষিত নয়, তাদের জন্য বাংলা সাহিত্যের এই প্রতিযোগিতায় টিকে থাকা অসম্ভব হয়ে পড়ে।
আরেকটি কারণ হলো, সাহিত্যের নতুন নতুন ধারার উদ্ভব। এটি অবশ্য ছাপার সহজলভ্যতার কারণেই হয়েছে। যেমন গল্প, উপন্যাস, ভ্রমণকাহিনি, বৈজ্ঞানিক কল্পকাহিনি, গবেষণাপত্র এবং ছাপা অক্ষরে মুদ্রিত সকল আক্ষরিক দস্তাবেজই মৌখিক গ্রামীণ সাহিত্যের জন্য অশনি হয়ে প্রতিভাত হয়েছে।
আমাদের ছোটবেলায় পুঁথিপাঠ ও মৌখিক সাহিত্যের খানিকটা রেওয়াজ ছিল, কিন্তু বর্তমানে এই ধারা সম্পূর্ণ বিলুপ্ত হয়ে গেছে। এরই সঙ্গে বিলোপ হয়েছে হাজার হাজার পুঁথি, লোকগান, রূপকথা, মিথ এবং অসংখ্য সাহিত্যকর্ম। এসবের স্থানে জায়গা করে নিয়েছে জাফর ইকবালের সায়েন্স ফিকশন, মাসুদ রানার থ্রিলার আর ডিসি-মার্ভেলের আজগুবি কমিক-চরিত্র। এসবই নগরকেন্দ্রিক সাহিত্যের বড় বড় মারণাস্ত্র।
নগরমুখী সাহিত্য-প্রবণতা বাংলা সাহিত্যকে লৌকিক আভিজাত্য দিয়ে হত্যা করেছে সহস্র বছরের ঐশ্বর্যময় মানবিক সাহিত্যকে।
তবু কিন্তু কথা রয়ে যায়। কী কথা? যে কথা বলতে চাই সেটা শুনতে একটু বেখাপ্পা লাগলেও ঘটনা সত্য। র্যাপ (RAP) মিউজিকের সঙ্গে হয়তো অনেকেই পরিচিত। পরিচয় না থাকলেও সঙ্গীতের আধুনিক এই ধারার নাম বা সুরের সঙ্গে কোনো না কোনোভাবে পরিচয় হয়েছে। এখন তো রাস্তাঘাটে চলতে গেলে আকছার এ ধারার গানের বেসুরো সুর শুনতে পাওয়া যায়। তবে আমরা এখনকার বাংলা-হিন্দি যেসব র্যাপ গান শুনি সেগুলো আদতে র্যাপ নয়, বরং র্যাপের অপভ্রংশ রূপ।
পপ সঙ্গীতে যখন প্রথম র্যাপের ধারা প্রবর্তিত হয় তখন এই ধারাটি ছিল অনেকটা আমাদের কবিগানের আদলে। অর্থাৎ পুরো গান মুখে মুখে রচিত হতো এবং ছন্দোবদ্ধ মৌখিক পংক্তিতে গাওয়া হতো। এমনকি কবিগান যেভাবে দুজন কবির মধ্যে মৌখিক বাগযুদ্ধের অবতারণা করত, র্যাপ মিউজিকেও দুজন র্যাপারের মধ্যে পরস্পরে ছন্দযুদ্ধের অবতারণা হয়। এটাকে বলা হয় র্যাপ ব্যাটল, মানে র্যাপ যুদ্ধ। এই যুদ্ধে একজন র্যাপার আরেকজন র্যাপারকে তার ছন্দোবদ্ধ র্যাপের মাধ্যমে তুলোধুনা করে থাকে। যে র্যাপার যত শ্লোকবদ্ধ কথা, ছন্দ ও সুরের মাধ্যমে অপর র্যাপারকে পরাজিত করতে পারে, জয়ী সে-ই হয়। এই পুরো যুদ্ধটি তাৎক্ষনিক মৌখিক কথা ও ছন্দে রচিত হয়। আগে থেকে লেখা হয় না বা আগে থেকে প্রস্তুতি নেয়ার কোনো সুযোগ নেই। র্যাপ ব্যাটলের মঞ্চে প্রতিপক্ষ র্যাপার যে শব্দ ও ছন্দে তাকে আক্রমণ করবে তাকেও একই ছন্দে তাৎক্ষনিক জবাব দিতে হবে।
এই ধারাটিই ছিল আমাদের কবিগানের অন্যতম বৈশিষ্ট্য। কবিগানেও একজন কবি অপর কবিকে ছান্দসিক কবিতায় নানা বাক্যবাণে জর্জরিত করতেন। প্রতিউত্তরে অপর কবি একই ছন্দে প্রতিপক্ষ কবিকে ঘায়েল করতে হতো। এসব ছান্দসিক কবিতা আগে লেখা হতো না, বরং কবিগণ নিজেদের কাব্যপ্রতিভা দিয়ে তৎক্ষনাত রচনা করতেন। এই কবিগান চলতো রাতের পর রাত। কখনো সপ্তাহর পর সপ্তাহ চলতো কবিদের কবিগানের আসর। তবু তাদের বাগযুদ্ধ শেষ হতো না।
নামকরা কবিদের নিজেদের দল হতো। ঢোল, তবলা, হারমোনিয়াম, খঞ্জনি, দোতারা বাজানোর জন্য দলে নিজস্ব বাজনদার থাকতো। এই দল নিয়ে তারা দেশ-বিদেশ ঘুরে ঘুরে কবিগানের আসর মাতাতেন।
র্যাপ মিউজিক এই কবিগানেরই আধুনিক বংশধর। আধুনিক সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এর নাম ও ধরণ খানিকটা বদলেছে ঠিক, কিন্তু বিশেষত্ব অপরিবর্তনীয়। তবে আমরা আধুনিক গানের নামে এখন যে র্যাপ মিউজিকের দর্শন লাভ করি এগুলো মূলত র্যাপের নাম অপ-র্যাপ। র্যাপ মানেই একটি অ্যাংরি জেনারেশন, যারা তাদের কথা ও ছন্দের মাধ্যমে সমাজের নানা অপচিত্র ফুটিয়ে তোলে। প্রতিবাদী কথাই র্যাপের প্রাণশক্তি।
তো, সময়ের সঙ্গে সঙ্গে হয়তো গ্রাম থেকে সাহিত্য নগরে এসে আশ্রয় নিয়েছে, কিন্তু গ্রামের সেই প্রাচীন কবিতা ও গানকেন্দ্রিক সাহিত্য ঠিকই কোনো না কোনোভাবে নগরে তার প্রভাব শক্তভাবে প্রতিফলন ঘটাচ্ছে। যে সাহিত্য হাজার বছর ধরে মানুষকে প্রভাবিত করে এসেছে, তার প্রভাব এত সহজে ম্লান হবার নয়।
আমাদের ধর্মীয় জীবনের সঙ্গে জড়িয়ে আছে শত সহস্র দরবেশের জীবন। অগণিত সুফি-দরবেশ আমাদের বাংলাদেশ এবং উপমহাদেশে ইসলাম প্রচার করে এখানে প্রতিষ্ঠিত করেছেন আল্লাহর একত্ববাদী ধর্ম। তারা কেউ এসেছিলেন সুদূর তুর্কিস্তান থেকে, কেউ বা ইরান, ইয়েমেন, আফগানিস্তান, বোখারা, সমরকন্দসহ মধ্যপ্রাচ্য ও মধ্যএশিয়ার নানা অঞ্চল থেকে তারা আগমন করেছিলেন এ দেশে। নিজেদের পরিবার-পরিজন, ঘর-বাড়ি, মাতৃভূমি ছেড়ে তারা এ অঞ্চলে এসেছিলেন শুধু দীন প্রতিষ্ঠার জন্য। অথচ এই দেশে ইসলাম প্রচার করেছেন যেসব সুফি-দরবেশ, আমরা তাদের ক’জনের নামই বা জানি?
আমরা না হয় কয়েকজনের নাম ও জীবন সম্পর্কে বলতে পারব, কিন্তু আমাদের সন্তানেরা? তারা কি জানে, সুফি-দরবেশগণের কী কঠিন আত্মত্যাগ আর সংগ্রামের মাধ্যমে এ দেশে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল ইসলাম? তারা আজ যে কালেমা উচ্চারণ করছে, এই কালেমাকে তাদের মুখে তুলে দিতে কত শত দরবেশ প্রাণ দিয়েছেন, সেই ইতিহাস কি তাদের কখনো শুনিয়েছি আমরা?
নিজেদের মাতৃভূমি ছেড়ে যে দরবেশগণ পৃথিবীর দিকে দিকে ছড়িয়ে পড়েছিলেন, নিজেদের পরিবার ও স্বজনদের ছেড়ে পাড়ি জমিয়েছিলেন দেশ-দেশান্তরে, তাদের জীবন ও জীবনের গল্প কি আমাদের সন্তানেরা জানে? অথচ এই দরবেশগণের জীবনে রয়েছে শিক্ষণীয় শত শত ঘটনা, অসংখ্য দিগ্বিজয়ের গল্প। আমাদের সত্যিকারের হিরো তো তারা, তারাই আমাদের সুপারহিরো।
আধুনিকতার এই যুগে তারা জানে আব্রাহাম লিংকনের জীবনী, আলবার্ট আইনস্টাইন, মহাত্মা গান্ধি, এলন মাস্ক আর শত শত সেলিব্রেটির জীবনের গল্প। কিন্তু জানে না তাদের পূর্বসূরীদের জীবনের গল্প, যারা তাদের জন্য রেখে গিয়েছিল ইসলামের সুহাসিনী ভোর।
সেই সব দরবেশগণের জীবন ও জীবনের গল্প নিয়ে লিখেছিলাম ‘ছোটদের দরবেশ সিরিজ’। শিশুদের জন্য দরবেশ রাবেয়া বসরি (রহ.), দরবেশ আবদুল কাদের জিলানি (রহ.), দরবেশ ইবনে তাইমিয়া (রহ.), দরবেশ মুইনুদ্দিন চিশতি (রহ.) এবং দরবেশ শাহ জালাল (রহ.)-এর জীবনের গল্পগুলো সাজিয়েছি পাঁচটি বইয়ে।
এই ফেব্রুয়ারি মাস উপলক্ষে ছোটদের দরবেশ সিরিজটি নিয়ে নবপ্রকাশ দিয়েছে অভাবনীয় অফার। ৫০% ছাড়ে ৮০০ টাকার সিরিজটি আপনার সন্তানের জন্য কিনতে পারবেন মাত্র ৪০০ টাকায়।
অফারে বই কিনতে এখনই মেসেজ দিন নবপ্রকাশ-এর ইনবক্সে অথবা কল করুন: 01974 888441
আমার সেজো চাচীআম্মা আজ বাদ মাগরিব আল্লাহর ডাকে সাড়া দিয়ে পরকালে চলে গিয়েছেন।
ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন!
সবাই চাচীআম্মার মাগফেরাতের জন্য দোয়া করবেন!
পাঠক/পাঠিকাবান্ধব কবি Salman Habib-এর সঙ্গে কথা হবে রেডিও ক্যাপিটালে, দুপুর বারোটা থেকে।
শুনবেন নাকি?
📗 ইয়া আফরোজা ইয়া আফরোজা
📙 আয়েশা
কবিতাপুস্তক দুটি পাঠকের আবার পড়ার সুযোগ হলো। খুশির সংবাদ বটে। বইটই • Boitoi অ্যাপে গিয়ে অত্যন্ত স্বল্পমূল্যে খরিদ করতে পারবেন বইগুলো। পাঠকের কথা ভেবে দাম যথাসম্ভব কম রাখা হয়েছে।
খুব শিগগির আমার প্রকাশিতব্য কয়েকটি বই সরাসরি ই-বুক আকারে বইটই • Boitoi অ্যাপে প্রকাশ করব, যেগুলোর প্রিন্ট ভার্সনও হয়তো প্রকাশ হবে না।
কমেন্টে কবিতাপুস্তক দুটোর লিংক দিচ্ছি। বই কিনেন আর না কিনেন, অ্যাপে গিয়ে আমাকে ফলো করুন এবং বইয়ের রিভিউ দিন। শিগগির আপনাদের জন্য মারাত্মক সব বই নিয়ে হাজির হব ইনশাআল্লাহ!
ও পজিটিভ রক্ত প্রয়োজন, আজ রাতে।
স্থান: ইবনে সিনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতাল, কল্যাণপুর, ঢাকা
যোগাযোগ : 01911856333
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the public figure
Telephone
Address
Bawza, Dhamrai
Dhaka
1350
Dhaka
Anisul Hoque is a writer, poet, playwright, columnist lives in Dhaka, Bangladesh ([email protected]). Maa (Freedom's Mother) is his famous book. HarperCollins published his...
Dhaka
Kazi Nazrul Islam(1899-1976) is Bangladesh's national, also known as a 'rebel poet' for his courage.
American International University-Bangladesh
Dhaka
Taught at EWU (Physics) and a awesome man...
Dhaka
Author, Independent Researcher, Tech & Digital Marketer, Business & Marketing Consultant, Voice-over
True Bangladeshi
Dhaka
Around the world, corruption hurts people. In many countries – like Bangladesh – it can even kil
Dhaka Commerce College
Dhaka, 121
salam sir is the best and boss in accounting ......