আইন আদালত
Nearby law practices
# House Office Address; 27/5/F Jobeyda Garden � Bijoy Nagar Topkhana Road
Dhaka
Court House Street
Dhaka
Dhaka
Dhaka
Ramna 1206
1229
Supreme Court of Bangladesh
1100
Bijoy Nagar
Judges' Court, Chittagong
1100
1000
Indira Road
আইনি সমস্যার পরামর্শ দেওয়া হয় !
অন্যর জমি
জোরপূর্বক বা আইন বর্হিভূত ভাবে দখলে রাখলে নতুন আইনে ফৌজদারী অপরাধে সাজা হবে..
স্ত্রী কর্তৃক ডিভোর্স হলে কাবিনের টাকা দিতে হবে না... এটা অনেকেরই ভুল ধারনা.....
করমুক্ত আয়
সাধারণ ব্যক্তির ক্ষেত্রে-
পুরুষ ৩৫০০০০/-
এবং
নারীদের ৪০০০০০/-
তবে শূন্য রিটার্ন দাখিলে ও ন্যুনতম ২০০০/- পরিশোধ বাধ্যতামূলক।
আয়কর রিটার্ন না দিলে নীচের সেবাগুলো পাবেন না!
আয়কর এবং আয়কর রিটার্ন দিতে হবে এইসব সেবা পেতে হলে।
১. ব্যাংক বা আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে ৫ লাখ টাকার বেশি ঋণের আবেদন করতে
২. কোনো কোম্পানির পরিচালক কিংবা স্পনসর শেয়ারহোল্ডার হতে
৩. আমদানি ও রপ্তানি নিবন্ধন সনদ পেতে
৪. সিটি করপোরেশন বা পৌর এলাকায় ট্রেড লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়ন করতে
৫. সমবায় সমিতির নিবন্ধন প্রাপ্তি
৬. বীমা বা সার্ভেয়ার হিসেবে তালিকাভুক্তি বা লাইসেন্স প্রাপ্তি ও নবায়ন করতে
৭. সিটি করপোরেশন, জেলা সদরের পৌর এলাকা বা ক্যান্টনমেন্ট বোর্ড এলাকায় জমি, ভবন বা অ্যাপার্টমেন্ট বিক্রি, রেজিস্ট্রেশন, দলিল হস্তান্তর, বায়না বা পাওয়ার অফ অ্যাটর্নি দেওয়ার ক্ষেত্রে চুক্তিমূল্য ১০ লাখ টাকার বেশি হলে
৮. ব্যাংক থেকে ক্রেডিট কার্ড নিতে হলে
৯. চিকিৎসক, ডেন্টিস্ট, আইনজীবী, চার্টার্ড অ্যাকাউন্ট্যান্ট, খরচ ও ব্যবস্থাপনা হিসাবরক্ষক, প্রকৌশলী, স্থপতি বা সার্ভেয়ার বা যে কোনো পেশাদার সংগঠনের সদস্যপদ প্রাপ্তি
১০. মুসলিম বিবাহ ও তালাক আইনের অধীনে বিবাহ নিবন্ধক হিসেবে লাইসেন্স প্রাপ্তি
১১. কোনো ব্যবসায়ী বা পেশাজীবী সংগঠনের সদস্যপদ প্রাপ্তি
১২. ড্রাগ লাইসেন্স, অগ্নিনিরাপত্তা লাইসেন্স, পরিবেশ ছাড়পত্র, বিএসটিআই লাইসেন্স প্রাপ্তি বা নবায়নে
১৩. আবাসিক, বাণিজ্যিক ও শিল্পের জন্য গ্যাস সংযোগ প্রাপ্তি
১৪. ভাড়ায় চালিত লঞ্চ, স্টিমার, মাছ ধরা জলযান, ট্রলার, কার্গো, কোস্টার এবং বার্জের জন্য সার্ভে সার্টিফিকেট প্রাপ্তি
১৫. জেলা প্রশাসন বা পরিবেশ অধিদপ্তর থেকে ইট তৈরির অনুমতি পেতে
১৬. সিটি করপোরেশন বা জেলা সদর পৌরসভায় সন্তান বা পোষ্যকে আন্তর্জাতিক পাঠ্যক্রমের ইংরেজি মিডিয়াম স্কুলে বা জাতীয় পাঠ্যক্রমের অধীনে ইংরেজি ভার্সনে ভর্তি করতে
১৭. সিটি করপোরেশন বা সেনানিবাস এলাকায় বিদ্যুৎ সংযোগ পেতে
১৮. কোনো কোম্পানির ডিস্ট্রিবিউটরশিপ বা এজেন্টশিপ পেতে
১৯. অস্ত্রের লাইসেন্স পেতে
২০. আমদানির উদ্দেশ্যে ঋণপত্র খুলতে
২১. ৫ লাখ টাকার বেশি পোস্টাল সেভিংস অ্যাকাউন্ট খুলতে
২২. ১০ লাখ টাকার বেশি ক্রেডিট ব্যালেন্সসহ ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খুলতে
২৩. ৫ লাখ টাকার বেশি সঞ্চয়পত্র কিনতে
২৪. পৌরসভা, উপজেলা, জেলা পরিষদ, সিটি করপোরেশন বা জাতীয় সংসদ নির্বাচনে অংশগ্রহণ করতে
২৫. মোটরগাড়ি, জমি, বাসস্থান বা যে কোনো স্থাবর সম্পদ সংশ্লিষ্ট অংশিদারত্ব ব্যবসা করতে
২৬. কোনো বেসরকারি প্রতিষ্ঠান থেকে বেতন নেওয়ার সময়
২৭. সরকার বা সরকারি কোনো সংস্থা, করপোরেশন থেকে 'বেতন' শিরোনামে মূল বেতন হিসেবে ১৬ হাজার বা তার বেশি টাকা পাওয়ার সময়
২৮. মোবাইল ব্যাংকিংয়ের মাধ্যমে বা অন্যান্য ইলেকট্রনিক উপায়ে অর্থ স্থানান্তরে কোনো কমিশন, ফি জাতীয় অর্থ পেতে
২৯. পরামর্শক, ক্যাটারিং, ইভেন্ট ম্যানেজমেন্ট, জনবল সরবরাহ বা নিরাপত্তা সেবা দিয়ে অর্থ গ্রহণ করতে
৩০. সরকারের কাছ থেকে মান্থলি পেমেন্ট অর্ডার (এমপিও) হিসেবে প্রতি মাসে ১৬ হাজার বা তার বেশি টাকা পেতে
৩১. বীমা কোম্পানির এজেন্সি হিসেব নিবন্ধন বা পুনর্নবীকরণ করতে
৩২. দুই বা তিন চাকা ছাড়া যে কোনো ধরনের মোটরগাড়ি নিবন্ধন, মালিকানা পরিবর্তন বা ফিটনেস নবায়ন করতে
৩৩. কোনো এনজিওকে বা মাইক্রো ক্রেডিট রেগুলেটরি অথরিটির অধীনে কোনো মাইক্রো ক্রেডিট সংস্থার কাছে বিদেশি অনুদান ছাড় দেওয়ার ক্ষেত্রে
৩৪. ডিজিটাল প্ল্যাটফর্মে কোনো পণ্য বা সেবা বিক্রি করতে
৩৫. কোনো ক্লাবের সদস্যপদ পেতে চাইলে
৩৬. পণ্য সরবরাহ, চুক্তি সম্পাদন বা সেবা প্রদানের জন্য টেন্ডারের কাগজপত্র জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে
৩৭. আমদানি বা রপ্তানির জন্য বাংলাদেশ থেকে বিল অফ এন্ট্রি জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে
৩৮. ভবন নির্মাণের জন্য রাজউকসহ চট্টগ্রাম, খুলনা, রাজশাহী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ বা সংশ্লিষ্ট সিটি করপোরেশন ও পৌর কর্তৃপক্ষের কাছে আবেদন জমা দেওয়ার ক্ষেত্রে
"ঋণগ্রহীতা ঋণ পরিশোধে ব্যর্থ হলে গ্যারান্টরের সম্পত্তি নিলাম করতে বাধা নাই"- সুপ্রিমকোর্ট। ঋণগ্রহীতার জামিনদার না হওয়া ই উত্তম।
আপনার জমি ভুলে অন্যের নামে রেকর্ড হলে দুশ্চিন্তা না করে দক্ষ সিভিল আইনজীবীর পরামর্শ নিন।
.
যে কোন সামাজিক যোগাযোগের প্লাটফর্মে টেক্সট অথবা কমেন্ট করার পূর্বে চিন্তা করবেন... অসত্য মানহানিকর হলে ডিজিটাল / সাইবার এ্যাক্টে ফেসে যাবেন কিনা..
ফৌজদারী আইন বিশেষজ্ঞ কিংবদন্তি সিনিয়র আইনজীবী খন্দকার স্যার মৃত্যুবরণ করেছেন( ইন্নালিল্লাহ.....রাজিউন) আল্লাহ্ তাঁর ভুলত্রুটি ক্ষমা করে জান্নাতবাসি করুন...
রিসিট ছাড়া কম দামে পুরাতন ফোন ক্রয়, হতে পারে ভয়ংকর সর্বনাশ।
মহামান্য আপীল বিভাগের রায়ঃ
মহামান্য আপীল বিভাগ Bangladesh vs Blast 69 DLR (Ad) (2017) 179, মামলার রায়ে বলেছেন,
"(vi) A law enforcing officer shall disclose his identity and if demanded, shall show his identity card to the persons present at the time of arrest."
অর্থাৎ, পুলিশের কাছে কেউ আইডি কার্ড দেখতে চাইলে, পুলিশ তাকে পুলিশের আইডি কার্ড দেখাতে বাধ্য থাকবে।
না দেখালে তা আদালত অবমাননা হবে এবং পুলিশের নামে মামলা করা যাবে Ref: 69 DLR (AD) (2017) 179.
কোন দলিল রেজিস্ট্রি করতে কত টাকা???
* বায়নানামা দলিলের ফি
১. ৫০০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি নয়।
২. ১২৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য পাঁচ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি নয়।
৩. ২৩৪০ টাকা : যে সম্পত্তির মূল্য ৫০ লাখ টাকার বেশি।
* হেবার ঘোষণাপত্র দলিলের ফি
১. মুসলমানদের ব্যত্তিগত আইন (শরিয়ত) মোতাবেক হেবা মূল্য কোনো স্থাবর সম্পত্তি হস্তান্তর বিষয়ক ঘোষণা রেজিস্ট্রির জন্য সম্পত্তির মূল্য নির্বিশেষে প্রদেয় রেজিস্ট্রি ফি ৪৪০ টাকা।
২. যদি ওই হেবা স্বামী বা স্ত্রী, মা-বাবা ও সন্তান, দাদা-দাদি (নানা-নানি) ও নাতি-নাতনি, সহোদর ভাইরা, সহোদর বোনরা এবং সহোদর ভাই ও বোনদের মধ্যে হয়।
* বন্ধকি দলিলের ফি
সম্পত্তি হস্তান্তর আইন ১৮৮২-এর ধারা ৫৯ মোতাবেক বন্ধকি দলিলের প্রদেয় রেজিস্ট্রেশন ফি নিম্নরূপ-
১. ৫ লাখ টাকার বেশি হলে ২০ লাখ টাকার কম হলে ১৩৪০ টাকা।
২. ২০ লাখ টাকা থেকে ৫০ লাখ টাকা পর্যন্ত ২৩৪০ টাকা।
৩. ৫০ লাখ টাকা থেকে এক কোটি টাকা পর্যন্ত ৫০০০ টাকা।
* ঋণ বাবদ মঞ্জুরীকৃত টাকার ১ শতাংশ কিন্তু ২০০ টাকার কম নয় ও ৫০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক দুই পাঁচ শতাংশ কিন্তু ১৫০০ টাকার কম নয় ও ২০০০ টাকার বেশি নয়।
* মঞ্জুরীকৃত টাকার শূন্য দশমিক এক শূন্য শতাংশ কিন্তু ৩০০০ টাকার কম নয় এবং ৫০০০ টাকার বেশি নয়।
* বণ্টননামা দলিলের ফিসের হার (উত্তরাধিকারসূত্রে প্রাপ্ত)
১. ৫০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকা হলে।
২. ৭০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব তিন লাখ টাকার বেশি কিন্তু ১০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৩. ১২০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ১০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৩০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৪. ১৮০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৩০ লাখ টাকার বেশি কিন্তু ৫০ লাখ টাকার বেশি না হলে।
৫. ২০০০ টাকা : সম্পত্তির মূল্য অনূর্ধ্ব ৫০ লাখ টাকার বেশি হলে।
* শুধু দলিলের রেজিস্ট্রি ফি
যত টাকা মূল্যের দলিল রেজিস্ট্রি করা হোক না কেন তাতে শতকরা দুই টাকা হারে রেজিস্ট্রি ফি পে-অর্ডারের মাধ্যমে পরিশোধ করতে হবে।
লা-ওয়ারিশ প্রথা বাতিল এবং কিছু নতুন সমস্যার উদ্ভব
১৯৬১ সালের পূর্বে আমাদের দেশে লা-ওয়ারিশ প্রথা নামে একটি প্রথা প্রচলিত ছিল যা আমাদের মুসলিম আইনের কাল অধ্যায় নামে খ্যাত। লা-ওয়ারিশ প্রথা অনুসারে দাদা জীবিত অবস্থায় যদি বাবা মারা যায় তবে সেই এতিম নাতিরা তাদের দাদার সম্পত্তি থেকে উত্তরাধিকার সূত্রে কোন সম্পত্তি পেত না, যা রীতিমত অনৈতিক। কোরানিক আইন অনুসারে কক্ষনোই এমন একটি বিধান প্রচলিত হওয়ার কথা ছিল না। পবিত্র আল কোরআনে মুসলিমদের সকলের জন্য ন্যায্য হিসাব নিকাশ নির্ধারণ করা আছে। কিন্তু, অন্য ধর্ম হোক আর অন্য কোন সূত্র থেকেই হোক, এই প্রথা মুসলিম উত্তরাধিকার আইনের একটি কাল অধ্যায় হিসেবে বিবেচিত হয়ে এসেছে। কালের পরিক্রমায় ১৯৬১ সালে মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ নামে একটি অধ্যাদেশ জারি হয় যাতে এই লা-ওয়ারিশ প্রথা বাতিল করে এতিম নাতিদেরকে তাদের দাদার সম্পত্তিতে অংশীদার করা হয়। অধ্যাদেশের ধারা ৪’রে বলা হয়, ‘উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টিত হওয়ার পূর্বে মৃত ব্যক্তির কোন পুত্র বা কন্যার মৃত্যু হলে, উত্তরাধিকারীদের মধ্যে সম্পত্তি বণ্টিত হওয়ার সময় ঐ পুত্র বা কন্যার সন্তানাদি যদি জীবিত থাকে, তাহলে ঐ মৃত পুত্র বা কন্যা বণ্টনের সময় জীবিত থাকলে সে যে অংশ পেতো, তার সন্তানাদি সমষ্টিগতভাবে অনুরূপ অংশ পাবে’। সুতরাং, কাল অধ্যায়ের সমাপ্তই। ১৯৬১ সালের পর থেকে আর কোন এতিম নাতি তার দাদার সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হচ্ছে না। কিন্তু, এই এক যুগান্তকারী সমস্যা সমাধানের সাথে সাথেই এই সমাধানকে ঘিরে কিছু টেকনিক্যাল সমস্যার উদ্ভব হয়েছে। টেকনিক্যাল সমস্যাগুলোর সমাধান কিন্তু আইনের মধ্যেই লুকিয়ে ছিল যা সাধারণ জনগণের কাছে অজানা ছিল। তেমনি একটি সমস্যা হচ্ছে, ১৯৬১ সালের আগে যেসব এতিম নাতি তাদের দাদার সম্পত্তি থেকে বিচ্ছিন্ন হয়েছে তাদের কি গতি হবে, তারা কি এই আইনের আওতায় সুবিধা পাবে নাকি না?
প্রথমেই একটি আইনি শব্দের সাথে পরিচিত হওয়া যাক। ‘Retrospective Effect বা ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা’ আইনের একটি বহুল প্রচলিত টার্ম। কোন আইন যেই সালেই পাশ হোক না কেন, সরকার চাইলে সেই আইনকে ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা দিয়ে দিতে পারে। ধরুন একটি আইন পাস করা হল ২০১৬ সালে, কিন্তু সরকার মনে করছে এই আইনটির কার্যকারিতা বেশ কিছু বছর আগে থেকে দেওয়া দরকার, তখন সরকার সেই আইনের ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা আইন পাসের কতবছর আগে তা আইনে বা গেজেটের মাধ্যমে প্রকাশ করে দেয়। তাহলে, সেই আইনের কার্যকরতা শুরু হয়ে যায় ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা পাওয়ার সাল থেকেই এবং সেই আইনের অধীন প্রতিকার পাওয়ার জন্য তামাদি বা লিমিটেশন হিসেব ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা দেওয়ার সাল থেকেই গণনা করা হয়। কিন্তু যেসব আইনে ‘Retrospective Effect বা ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা’ দেওয়া হয় না, সেই সব আইনের ক্ষেত্রে আইন পাসের আগের কোন বিরোধ নিয়ে সেই আইন কোন প্রকারের হস্তক্ষেপ করে না। উক্তক্ষেত্রে আইনের ভাষায় বলা হয়ে থাকে যে, তৎকালীন আইনানুসারে যা হয়ে গেছে, তা হয়ে গেছে; তাকে ভবিষ্যতের কোন আইন দ্বারা বাতিল করা যাবে না। এটাই রুল অফ ল।
আমাদের আলোচনার বিষয়বস্তু লা-ওয়ারিশ প্রথা ১৯৬১ সালের অধ্যাদেশ দ্বারা বাতিল করা হয়েছে। এর মানে হচ্ছে ’৬১ সালের আগে লা-ওয়ারিশ প্রথার মাধ্যমে দাদার সম্পত্তি এতিম নাতির পরিবর্তে অন্য কারো কাছে চলে গেছে, সেই নাতি উক্ত অধ্যাদেশের অধীন কোন প্রতিকার পাবে না। কেননা, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১, এই আইনের কোন ‘Retrospective Effect বা ভূতাপেক্ষ কার্যকরতা’ নেই। Sarwar Jan vs Mukhtar Ahmad PLD 2012 SC 217 এই মামলায় এক নাতির দাদা মারা গিয়েছিল ১৯৫৬ সালে এবং তার বাবা মারা গিয়েছে এক বছর আগে অর্থাৎ ১৯৫৫, আইনত সে এতিম নাতি। লা-ওয়ারিশ প্রথা অনুযায়ী সে সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত। কিন্তু ১৯৬১ সালে যখনি লা-ওয়ারিশ প্রথা বিলুপ্ত হল, তখনি নাতি আদালতের নিকট তার উত্তরাধিকারের দাবি জানালও। কিন্তু, আদালত স্পষ্ট করে বলে দিয়েছেন যে, উক্ত অধ্যাদেশের কোন Retrospective Effect নাই, সুতরাং ’৬১ সালের আগে যেসব এতিম নাতিনাতনি তাদের সম্পত্তি থেকে বঞ্চিত হয়েছে লা-ওয়ারিশ প্রথার দরুন, তাদেরকে উক্ত অধ্যাদেশ কোন প্রতিকার দিতে ব্যর্থ। কিন্তু আমাদের সমাজে জমাজমি বা স্থাবর সম্পত্তির ক্ষেত্রে দেখা যায় ৫০/৬০ বছর বা তারও বেশী সময় ধরে কোন প্রকার উত্তরাধিকারসূত্রে ভাগবণ্টন হয় না। ঠিক সেই কারনে দেখা যায়, ১৯৬১ সালের আগে লা-ওয়ারিশ প্রথার মাধ্যমে কোন সম্পত্তি ভাগবণ্টন হয়ে গেছে, সেই সম্পত্তির কিছু কথিত উত্তরাধিকার যারা এতিম নাতিনাতনি বা এতিম নাতিনাতনির উত্তরসূরি এই আইনের অধীন তাদের এতিম নাতিনাতনির সম্পত্তির অধিকারের জন্য আদালতের নিকট আবেদন করে থাকে। তাদের দাবি থাকে যেহেতু আইনটি এখন বলবত রয়েছে অর্থাৎ লা-ওয়ারিশ প্রথা নাই, সেহেতু তারা তাদের অংশের যোগ্য দাবীদার। কিন্তু উপরিউক্ত মামলার রায়ে এই ধরণের উত্তরাধিকারদের অধিকারকে অগ্রহণযোগ্য বলে দেওয়া হয়েছে। সুতরাং, ’৬১ সালের আগে লা-ওয়ারিশ প্রথার ফলে যা হয়েছে গেছে, তা হয়ে গেছে; তা অনৈতিক হলেও অবৈধ নয়।
আরেকটি সমস্যা দেখা দিচ্ছে কত অংশ পাবে এই প্রশ্ন নিয়ে। এতিম নাতিনাতনির দাবি তাদের বাবা জীবিত থাকলে তিনি যা পেতেন, তারাও ততটুকু পাবে। কিন্তু, এটাও আইনের একটি ভ্রান্ত ব্যাখ্যা। প্রকৃত ব্যাখ্যায় দাঁড়ায়, তাদের বাবা জীবিত থাকলে যেই পরিমাণ সম্পত্তি পেতেন এবং ওনার ঐ সম্পত্তি থেকে তারা যেই পরিমাণ সম্পত্তি পেতো, ঠিক ততটুকুই তারা পাবে। মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১, এতিম নাতিনাতনির অধিকারকে রক্ষা করবে, তবে কোন মতেই অন্য কারো অধিকার ক্ষুণ্ণ করবে না। অর্থাৎ, নাতিনাতনি তাদের দাদার সম্পত্তি থেকে ঠিক ততটুকুই পাবে যতটুকু তাদের বাবা বেঁচে থাকলে পেতো। আরেকটু পরিষ্কার করে বললে, তাদের বাবার পুরো সম্পত্তির মালিক মুসলিম উত্তরাধিকার সূত্রে তারা নাও পেতে পারে। কেননা, মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুসারে কোন মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি দুইটি দাপে বণ্টন করা হয়। প্রথমত যারা অংশীদার বা ভাগীদার, তাদের দেওয়া হয় এবং তাদের দেওয়ার পর অবশিষ্ট অংশ আসাবা তালিকায় থাকা উত্তরাধিকারদের দেওয়া হয়। এখন, এতিম নাতিনাতনি হচ্ছে তাদের বাবার সম্পত্তির ভাগীদার। (মোঃ নাসির উদ্দিন এডভোকেট ০১৭২৭৮০৭১৮০) সুতরাং তারা প্রথমেই তাদের অংশগুলো পেয়ে যাবে এবং তাদের দেওয়ার পর যা অবশিষ্ট থাকবে তা আসাবা লিস্টে থাকা উত্তরাধিকারদের কাছে চলে যাবে। এতিম নাতিনাতনি কোন উপায়েই আসাবা লিস্টের কাউকে তাদের প্রাপ্য থেকে বঞ্চিত করতে পারবে না। কিন্তু অনেকেই একে ভুলে ব্যাখ্যা করে প্রচার করে দিয়েছে যে, এতিমের বাবা বেঁচে থাকলে যা পেতেন, এতিমরাও তা পাবে। আজ থেকে ভুলটা শুধরে নেওয়া যাক যে, এতিমের বাবা বেঁচে থাকলে বাবার সম্পত্তি থেকে এতিমরা যা পেতো, ঠিক তাই পাবে; বাবার সমপরিমাণ তারা পাবে না। Bhaggay BIbi vs Razia Bibi 2005 SCMR 1595 মামলায় এক লোক তার বাবা, এক ভাই, স্ত্রী এবং দুই কন্যা সন্তানকে জীবিত রেখে মারা গেছেন। এখন মৃত ব্যক্তি এবং তার একমাত্র ভাই তাদের বাবার মোট সম্পত্তির সমান দুইভাগ পাবে। মৃত ব্যক্তির সম্পত্তি পাবে তার স্ত্রী এবং দুই কন্যা। এখন, মুসলিম উত্তরাধিকার আইন অনুসারে স্বামীর সম্পত্তি থেকে স্ত্রী পায় ১/৮ এবং একের অধিক কন্যারা ২/৩ অংশ। আর বাকি অংশ চলে যাবে মৃত ব্যক্তি আসাবা লিস্টে যারা আছেন তারা, যেমন এখানে রয়েছে তার ভাই। এই থেকে স্পষ্ট বুঝা যায় যে, মুসলিম পারিবারিক আইন অধ্যাদেশ ১৯৬১ এতিম নাতিনাতনিদের উত্তরাধিকার অধিকার দিলেও অন্য কারো কোন অধিকার লুণ্ঠন করে নাই।
সত্য বা মিথ্যা যেকোন মামলায় ন্যায়বিচার / বিজয়ী হতে অবশ্যই ভালো ও দক্ষ আইনজীবী নিয়োগ করতে হবে..
https://www.facebook.com/Dr-Halder-Kumar-Golap-109154984959721/ আইন সেবার পাশাপাশি এই অসাধারণ ভালো মনের ডাক্তার এর পেইজ লিংক দিলাম প্রয়োজনে দেখাতে পারেন।
Dr. Halder Kumar Golap
���Surgery is my passion���
���Surgery is an Art and try to be a good artist. ?
সাক্ষ্য আইন (Evidence Act ),
যুগান্তকারী সংশোধনী।
এখন থেকে Audio, Video, E-Signature, Social media ইত্যাদি সাক্ষী হিসাবে আদালতে দাখিল করা যাবে।
পরিস্থিতি বা সম্পর্কের অবনতি যাহোক, ডিভোর্স দেবার পূর্বে কারন গুলো ভাবুন ১০০ বার ভাবুন।
আপনার মূল্যবান জমির হাল রেকর্ড সঠিক না থাকলে দ্রুত রেকর্ড সংশোধন করে নিন।
যৌতুকের দাবি স্বামী বা স্ত্রী যে করুক তার বিরুদ্ধে মামলা করা যাবে।
বিরোধ নিস্পত্তির জন্যে আপনার মূল্যবান জমিজমার মোকদ্দমা পরিচালনার দায়িত্ব অদক্ষ আইনজীবীকে দিবেন না..
কাউকে ঠকিয়ে নিজেকে
বুদ্ধিমান ভেবো না কারন সে জ্ঞানি বলেই তোমাকে যাচাই করে নিচ্ছে....
আয়কর দাখিলের জন্যে যেকোন পরামর্শ পেতে যোগাযোগ করুন...
দলিল ও ডিক্রি রদের বা বাতিলের মামলা।
সাধারণ দলিল সম্পর্কে দু ধরণের মামলা হয় যেমন ১। দলিল জাল ঘোষণার জন্য
২।রদ ও রহিদ করার জন্য এখন প্রশ্ন হল কখন শুধুমাত্র ঘোষণামৃলক মামলা করবেন আর কখন দলিল বাতিলের প্রার্থনা করবেন? যখন বাদী বা আপীল্যাণ্ট দাবী করে যে দলিলে তার দস্তখত বা টিপসহি জোরপূর্বক বা প্রতারণামূলক নেওয়া হয়েছে সেক্ষেএে শুধুমাত্র ঘোষণামূলক প্রতিকার চাওয়া যাবে দলিল বাতিলের প্রার্থনার প্রয়োজন নেই কারণ দলিলটি যদি জাল প্রমাণ হয় তাহলে আইনের দৃষ্টিতে এটা শুরু হতেই অবৈধ (void -ab-initio)।57DLR(HCD) page no 774.
২।বাদী যদি দাবী করে যে, বিতর্কিত দলিলে তার দস্তখত জোরপূর্বক গ্রহণ করা হয়েছিল বা তাঁকে ভুল বুঝিয়ে বা কোনরুপ প্রতারণা করে তাঁর দস্তখত গ্রহণ করা হয়েছিল তাহলে বাদীকে বা আপীলকারীকে দলিল রদ ও রহিতের প্রার্থনা করতে হবে, দলিলটি অবৈধ, বাদীর উপর বাধ্যকর নয় শুধুমাত্র ঐ রুপ ঘোষণামূলক কোনো মামলা চলবে না কারণ এ ধরণের দলিল বাতিল যোগ্য তাই দলিল বাতিলের জন্য আদালতের আশ্রয় নিতে হবে। 2MLR(AD)58=5BLT(AD)135=49DLR(AD)96,17BLD(AD)127,10MLR(AD)85.
৩।কোনো ব্যাক্তি দলিলের পক্ষ না হয়েও দলিলটি অবৈধ বা তার উপর বাধ্যকর নয় এরুপ প্রতিকার প্রার্থণা করতে পারবে যদি দলিলের কারণে নালিশী জমিতে তার স্বত্বের উপর কালিমা সৃষ্টি হয়েছে। 61 DLR(AD)116 page.
৪।এবার আসি ডিক্রির ক্ষেত্রে উপরের যেসকল নিয়ম দলিল বাতিলের জন্য প্রযোজ্য সকল নিয়ম ডিক্রি বাতিলের জন্য প্রযোজ্য। যে ব্যক্তির বিরুদ্বে ডিক্রি হয়েছে সে ঐ ডিক্রি অবৈধ এ ধরণের শুধুমাত্র ঘোষাণামূলক মামলা চলবে না তাকে ডিক্রি বাতিল বা রদ বা রহিদের জন্য প্রতিকার প্রার্থনা করতে হবে। তবে ডিক্রিটি যদি শুরু থেকেও অবৈধ হয় তাহলে শুধুমাত্র ঘোষাণামূলক প্রতিকার প্রার্থণা করলে চলবে আর বাতিলের মামলা করতে হবে না। তবে ডিক্রি টি যদি ইতিমধ্যে কার্যকর হয়ে থাকে তাহলে বাতিলের প্রার্থণা করতে হবে। কোনো ব্যাক্তি চুক্তি বলবৎ করনের মামলায় ডিক্রি লাভ করার পর আদালত যোগে দলিল লাভ করে এবং জমিতে দখলও পায় তখনও ঐ ডিক্রিটি অবৈধ এরুপ ঘোষণার মামলা চলবেনা তাকে ডিক্রি বাতিলের প্রার্থণা ও করতে হবে। 12BLC(AD),65, 20BLD(AD)262.
কেহ যদি আপনার বিরুদ্ধে পাওনা টাকা পরিশোধ সংক্রান্ত উকিল / লিগ্যাল নোটিশ পাঠায় ভয় না পেয়ে একজন ভালো আইনজীবীর সাথে পরামর্শ করে জবাব দিন...
মাতা-পিতার অনলাইন জন্ম সনদ ছাড়াই এখন থেকে শিশুর জন্ম নিবন্ধন করা যাচ্ছে
জাতীয় পরিচয় পত্র ও পাসপোর্টের যেকোনো ধরনের ভুল সংশোধন করতে হলফনামা করতে হবে বিচারিক ম্যাজিস্ট্রেট দ্বারা :-প্রয়োজনে ০১৭২৭৮০৭১৮০
রিকল ফৌজদারী কার্যবিধির ৫৪০ ধারা
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Dhaka
1205
Dhaka
Hasan Tarique Chowdhury is a columnist,writer & Supreme Court Lawyer. He contributes regularly in several National and International News Magazine and journals.He is the Executive ...
Eastern Mansion, Pioneer Road
Dhaka, 1000
Hello everyone, I am Shiak Al Hassan Jony, Advocate of Bangladesh Supreme court.
Dhaka, 1219
Myself Sohana Afrin, I am an Advocate. I love to travel, shopping. Love to live a simple happy life
3/1 Purana Palton, Henolux Center, 3rd Floor
Dhaka
Advocate, Supreme Court of Bangladesh.
89 South Mugda, Mugda
Dhaka, 1214
At BLUELAWYS Lawyers we make a difference to our clients’ lives.
90 Kakrail 3rd Floor
Dhaka, 1000
Barrister At Law. Practice Civil,Criminal & Company Law. Competent In Immigration Law Too.
Dhaka, 1217
Advocate Rowshan Ali Practicing Lawyer Supreme Court of Bangladesh.