জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ
জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার,
নিবন্ধন নং-বিসগগ্র,ময়মন/৩৪
আছিম বাজার, ফুলবাড়ীয়া,ময়মনসিংহ।
মোবাইল-01942313679 Jagroto Asim Library, Asim, Fulbaria, Mymensingh.
For more details, please call 01942313679 or Google it
https://www.kalerkantho.com/online/campus/2019/02/20/739000?fbclid=IwAR28T4SMnMydQjzM6PnCOUe_MfSvmhLVtvnDrIrElVlRb9Js7r8ow_2L1_o
বিশিষ্ট লেখক ও সম্পাদক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমের চূড়ান্ত মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত 'আমাদের ছোট রাসেল সোনা' বইটির উপর আলোচনা করছেন জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার এর নিয়মিত পাঠক তাফসিরুল তালুকদার লুব্ধ।
বিশিষ্ট লেখক ও সম্পাদক মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা'র ৭৭তম জন্মদিন উপলক্ষে জাতীয় গ্রন্থকেন্দ্র আয়োজিত গ্রন্থপাঠ কার্যক্রমের চূড়ান্ত মূল্যায়ন অনুষ্ঠানে-
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা রচিত 'বেদনায় ভরা দিন' নিবন্ধের উপর আলোচনা করছেন জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার এর নিয়মিত পাঠক এবিএম জাকির হাসান কাউসার।
ভূতের রাজা দিল বর,
ভূতের রাজা দিল বর,
জবর জবর তিন বর।
(এক, দুই, তিন)
জবর জবর তিন বর।
(এক, দুই, তিন)
যা চাই পরতে খাইতে পারি,
(এক number)
যেখান খুশী যাইতে পারি।
(দুই number)
সানি ধাপা মাগা রেসা গাইতে পারি,
(তিন number)
কেমন সুন্দর !
ভূতের রাজা দিল বর,
কেমন সুন্দর !
আহা ভূত, বাহা ভূত
কিবা ভূত, কিম্ভূত
বাবা ভূত, ছানা ভূত
খোঁড়া ভূত, কানা ভূত
কাঁচা ভূত, পাকা ভূত
সোজা ভূত, বাঁকা ভূত
রোগা ভূত, মোটা ভূত
আধা ভূত, গোটা ভূত
আরো হাজার ভূতের রাজার দয়া, মোদের উপর !
আরো হাজার ভূতের রাজার দয়া, মোদের উপর !
ভূতের রাজা দিল বর।
তাইরে নাইরে নাইরে
আর ভাবনা কিছু নাইরে
তাক ধিন ধিননা ধিনতা
আর নাইকো মোদের চিন্তা।
কেবল পেটে বড় ভুখ,
না খেলে নাই কোন সুখ।
আয়রে তবে খাওয়া যাক,
মন্ডা মিঠাই চাওয়া যাক।
কোর্মা কালিয়া পোলাও,
জলদি লাও, জলদি লাও।"
- সত্যজিৎ রায়।
৫ জুন বিশ্ব পরিবেশ দিবস ২০২৩
প্রতিপাদ্য: প্লাস্টিক দূষণ সমাধানে সামিল হই সকলে
স্লোগান: সবাই মিলে করি পণ, বন্ধ হবে প্লাস্টিক দূষণ
কাঠবিড়ালির গল্প বলছিলাম। সে দৌড়াদৌড়ি করে। আসলে কাজ করে।
কী কাজ তার? মূলত সে খাদ্যসংগ্রহে ব্যস্ত। যার মধ্যে রয়েছে নানা রকম বীজ। এগুলো সে এখানে রাখে, ওখানে রাখে।
কিন্তু দিনভর সে খাদ্য কোথায় রাখে, তার নব্বই ভাগই ভুলে যায়।
সাঈদ বললো, কাঠবিড়ালির কাজ তো তাহলে বেকার যায়!!
বললাম, মোটেও বেকার নয়। সে যেসব খাদ্য ভুলে গিয়ে এখানে ওখানে ফেলে রাখে, তার বেশির ভাগই গাছের চারা জন্মে কাজ করে। প্রতিদিন এভাবে জন্ম নেয় কিছু গাছের চারা।
সাঈদের প্রশ্ন : গাছ কি কাজ করে?
বললাম, অনেক কাজ করে। এর একটি হলো, গাছ আমাদের অক্সিজেন সরবরাহ করে।
সাঈদের প্রশ্ন, অক্সিজেন আমাদের কী কাজে লাগে?
বললাম, আমরা নিশ্বাস না নিলে মরে যেতাম। কিন্তু বাতাসে অক্সিজেন না থাকলে আমরা নিশ্বাস নিতে পারতাম না। অক্সিজেন অনেক দামী।
সাঈদ প্রশ্ন করে, কেমন দামী?
বললাম, একদিনের নিঃশ্বাসে আমরা অক্সিজেন নিই
৫৫০ লিটার। হাসপাতালে সে অক্সিজেন নিলে দিতে হয় কমপক্ষে ৪৮০০ টাকা। একদিনে যদি এ পরিমাণ টাকা দিতে হয়, এক বছরে কতো? একজনের যদি এতো ব্যয় হয়, এক পরিবারের ব্যয় কতো? এভাবে দুনিয়ার সব মানুষের অক্সিজেন ব্যয় কতো?
সাঈদের প্রশ্ন, কত হবে দুনিয়ার সব মানুষের অক্সিজেনের দাম?
বললাম, পৃথিবীর সকল মানুষের ৬ মাসের অক্সিজেন সরবরাহে খরচ হবে ৩৮ ট্রিলিয়ন মার্কিন ডলার। যা বাংলাদেশী মুদ্রায় ৩১৫৪৬০৮০০০০০০০০০০ টাকা।
গাছ এই পরিমান অক্সিজেন বিনামূল্যে আমাদের দিয়ে দেয়।
এর পেছনে কাজ করে গোটা প্রকৃতি। যার মধ্যে আছে এই কাঠবিড়ালি।
মানুষের ভুল নিজের বা অন্যের ক্ষতি করে। কিন্তু কাঠবিড়ালির ভুল মানুষ ও মানুষের পৃথিবীর উপকারই করে চলে! তার ভুল থেকে যদি একটি গাছ জন্মে, তাহলে মনে রাখো, একটা পূর্ণবয়স্ক গাছ বছরে গড়ে ১১৮ কেজি অক্সিজেন বাতাসে ছাড়ে।
যদি দু'টি গাছ জন্মে, তাহলে মনে রাখো, দুটো পূর্ণবয়স্ক গাছ চারজন মানুষের একটা পরিবারের সারা বছরের অক্সিজেনের চাহিদা পূরণ করে।
আমাদের অনেকের লোকদেখানো অনেক বড় কাজ থেকে কাঠবিড়ালির ভুলও অনেক দামী। কিন্তু আমরা এসবের জন্য উপাধী চাই, বিনিময় চাই। প্রকৃতি ও প্রাণিরা কিছুই চায় না!
লেখা - মুসা আল হাফিজ। কবি, গবেষক।
সম্প্রতি রাজশাহীর গোদাগাড়ী উপজেলার সারাংপুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে হয়ে গেলো আম উৎসব। বিদ্যালয়ের গাছের আম পেড়ে শিক্ষার্থীদের হাতে হাতে তুলে দেওয়ার মাধ্যমে দারুণ এক আনন্দময় মুহূর্তের অবতারনা হয়েছিলো। এভাবে দেশের প্রতিটি বিদ্যালয় এগিয়ে এলে শিশুদের মন ও মননের সাথে সাথে শরীরেও পুষ্টি-প্রকৃতির অধিকার প্রতিষ্ঠা হতে পারে।
যেখানে বাস্তবতা হলো আমাদের অধিকাংশ শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আঙিনাও এখন মেহগনি, ইউক্যালিপ্টাস, একাশিয়ার দখলে। অথচ বিদ্যালয়গুলোতে কাঠগাছ রোপনের কোনো যুক্তিসঙ্গত কারণ খুঁজে পাওয়া যাবে না।
আমরা চাই প্রতিটি বিদ্যালয় হোক প্রাণ-প্রকৃতির সাথে মেলবন্ধনের সূতিকাগার।
©ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন।
গাছ লাগিয়ে আমরা পরিবেশ ধবংস করছি!
বাংলাদেশের আনাচে কানাচে যে গাছগুলো (মেহগনি, রেইনট্রি, ইউক্যালিপটাস) বেশি চোখে পড়ে সেগুলো বেশিরভাগ পরিবেশবিনাশী। এগাছগুলো পরিবেশকে নানা ভাবে ক্ষতি করছে ব্যাপকভাবে। অথচ আমরা অর্থের আশায় কিংবা না জেনে যত্নসহকারে এইগাছগুলো রোপণ করছি।
আমরা না বুঝে গাছ লাগিয়ে পরিবেশ ধবংস করছি।
আসুন সচেতন হই, সচেতন করি। পরিবেশ বান্ধব ফলদ বৃক্ষরোপণ করি।
প্রচারে,
স্বপ্নবিলাস-Swapnobilash
ফলদ বাংলাদেশ ফাউন্ডেশন
বিশ্ববরেণ্য যেসব ব্যক্তিত্ব ‘জুলিও ক্যুরি শান্তি পদক’ পেয়েছেন, তাদের মধ্য অন্যতম হলেন- আমেরিকার মার্টিন লুথার কিং, কিউবার ফিদেল ক্যাস্ত্রো, মিসরের গামাল আবদেল নাসের, চিলির সালভাদর আলিন্দে, চিলির পাবলো নেরুদা, তুরস্কের নাজিম হিকমত, চেকোশ্লোভাকিয়ার জুলিয়াস ফুচিক, স্পেনের পাবলো পিকাসো, আমেরিকার পল রবসন, প্যালেস্টাইনের ইয়াসির আরাফাত, সোভিয়েত ইউনিয়নের লিওনিড ব্রেজনেভ, তাঞ্জানিয়ার জুলিয়াস নায়েরে প্রমুখ।
সাম্রাজ্যবাদ ও ফ্যাসিবাদ বিরোধিতা, মানবতার ও বিশ্বশান্তি প্রতিষ্ঠায় যারা অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন, শুধুই তাদের জন্য এই পদক চালু করা হয় ১৯৫০ সালে। বঙ্গবন্ধুকে এই পদক দেওয়ার ক্ষেত্রে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য তার সারা জীবনের কর্মকে বিবেচনায় আনা হয়েছিল।
মূলত, ছাত্রজীবন থেকেই নিপীড়িত মানুষের ন্যায্য অধিকারের সংগ্রাম ও অসিংহ আন্দোলন- যুগপৎ দুটোতেই সক্রিয় ছিলেন তরুণ শেখ মুজিব। একারণে ১৯৪৭ সালে দেশভাগের পর, তার নেতৃত্বেই যখন বাংলা ভাষার আন্দোলন ছড়িয়ে পড়ে সারা দেশে, তখনও অহিংস পন্থায় অধিকার আদায়ের সর্বোচ্চ প্রচেষ্টা করেন তিনি। এজন্য দীর্ঘদিন কারাভোগ করতে হয় তাকে। এক পর্যায়ে ১৯৫২ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি ছাত্র-জনতার অহিংস মিছিল-সমাবেশে পাকিস্তানিদের গুলি চালানোর প্রতিবাদে জেলের মধ্যেই আমরণ অনশনে শুরু করেন তিনি। পরে অসুস্থ হয়ে পড়লে, গণআন্দোলনের ভয়ে তাকে মুক্তি দিতে বাধ্য হয় জান্তারা। সেবছরই তরুণ আওয়ামী লীগ নেতা হিসেবে চীনের শান্তি সম্মেলনে যোগ দেন তিনি।
এরপর ১৯৫৬ সালে সুইডেনে অনুষ্ঠিত বিশ্বশান্তি পরিষদের সম্মেলনে যোগ দিয়ে শেখ মুজিবুর রহমান বলেন, ‘বিশ্বশান্তি আমার জীবনের মূলনীতি। নিপীড়িত, নির্যাতিত, শোষিত ও স্বাধীনতাকামী সংগ্রামী মানুষ, যেকোনো স্থানেই হোক না কেন, তাঁদের সঙ্গে আমি রয়েছি। আমরা চাই বিশ্বের সর্বত্র শান্তি বজায় থাকুক, তাকে সুসংহত করা হোক।’
এদিকে দেশভাগের আগে, ১৯৪৬ সালে, কলকাতার দাঙ্গার সময়েও তিনি বাংলার শেষ মুখ্যমন্ত্রী হোসেন শহীদ সোহরাওয়ার্দীর স্নেহধন্য ছাত্রনেতা হিসেবে শান্তি প্রতিষ্ঠার জন্য দিনরাত নিরলস কাজ করেন। ধর্মীয় দাঙ্গা প্রতিরোধে প্রচারণা চালিয়েছেন এবং দাঙ্গার সময়েও মুসলিম-হিন্দু নির্বিশেষে সবাইকে রক্ষার জন্য জীবনের ঝুঁকি নিয়ে সর্বোচ্চ চেষ্টা করেছেন। যখন মুসলিমরা আক্রান্ত হচ্ছিলো হিন্দুদের হাতে, তখন তিনি যেমন মুসলিমদের বাঁচাতে গিয়েছেন। তেমনি যখন হিন্দুরা আক্রান্ত হচ্ছিলো মুসলিমদের হাতে, তখনও তিনি হিন্দুদের বাঁচাতে গেছেন।
১৯৪৬ সালের এই দাঙ্গার ভয়াবহ সহিংসতা বঙ্গবন্ধুকে তুমুলভাবে অসাম্প্রদায়িক রাজনীতির দিকে ধাবিত করেছে। তিনি তাই সবসময় বলতেন, 'আগে আমি মানুষ, তারপর বাঙালি, তারপর মুসলমান।' এই অসাম্প্রদায়িকতাকে ভিত্তি করেই পরবর্তীতে বঙ্গবন্ধু বাঙালির মুক্তির সংগ্রাম এবং স্বাধীনতা অর্জনের জন্য জাতিকে একতাবদ্ধ করে তোলেন।
বঙ্গবন্ধু সবসময় যুদ্ধ ও সহিংসতার বিপক্ষে ছিলেন। যার ফলে স্বাধীনতার পর বাংলাদেশের রাষ্ট্রীয় মূলনীতির মধ্যেও তিনি স্পষ্টভাবে উল্লেখ করেছেন- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে শত্রুতা নয়। এমনকি যুদ্ধবিধ্বস্ত বাংলাদেশে প্রথম তিন মাসের মধ্যেইপ্রায় দুই কোটি স্থানচ্যুত মানুষের পুনর্বাসনের উদ্যোগ নেন তিনি। ভারত থেকে ফিরিয়ে আনা এক কোটি শরণার্থী এবং অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত প্রায় আরো এক কোটি মানুষের বিধ্বস্ত ঘরবাড়ি রাষ্ট্রীয় উদ্যোগে সংস্কার ও নির্মাণ করে দেওয়ার উদ্যোগটি ছিল তার অন্যতম প্রাথমিক ও প্রধান লক্ষ্য। ঠিক একই আদর্শে তার কন্যা বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা প্রায় দশ লাখ গৃহহীন মানুষকে ঘর নির্মাণ করে দিয়েছেন আশ্রয়ণ প্রকল্পের মাধ্যমে।
#বঙ্গবন্ধু #জুলিওকুরি #শান্তিপুরস্কার
আজকের (২৫ অক্টোবর) "প্রতিদিনের সংবাদ" পত্রিকায় জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার নিয়ে Tanjid Ahamed ভাইয়ের লেখা। আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।
৫২ বছরে এই প্রথম কোন রাষ্ট্রপতিকে আনুষ্ঠানিক বিদায় জানালো বঙ্গভবন। আব্দুল হামিদ বাংলাদেশের একমাত্র ব্যক্তি যিনি টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর ৪১ দিন রাষ্ট্রপতির পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। মোঃ আবদুল হামিদ ১৯৪৪ সালের ১ জানুয়ারি কিশোরগঞ্জ জেলার মিঠামইন উপজেলার কামালপুরে জন্মগ্রহণ করেন।
আজ দুপুরের পর থেকে আবদুল হামিদ ও তাঁর পরিবার তাদের নাগরিক জীবনে ফিরে গেলেন। আজ দুপুরে তাকে নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। আবার ট্রাফিক লাইট এবং মোড়ে থামার অভ্যাস করতে হবে আব্দুল হামিদকে।
ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী সাহেব শারীরিক ভাবে খুব একটা ভালো ছিলেন না - সপ্তাহে তিন দিন ডায়ালাইসিস এর উপর নির্ভর করে বেঁচে ছিলেন!!
কিন্তু ডায়ালাইসিস ওনাকে থামাতে পারে নি - এর মধ্যেই ছুটে চলেন - শহর থেকে শহরে - দেশ থেকে দেশে| এইতো সেদিন অল্প কয়দিনের জন্য ঘুরে এলেন আমেরিকা |
ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরীর অফুরন্ত শক্তি, উৎসাহ, প্যাশন কাজ করে এই ছুটে চলার পিছনে | সাপ্তাহিক বিচিত্রা ছিল দেশের মধ্যবিত্তের আল্টিমেট প্রকাশনা - বিচিত্রার এনডোর্সমেন্ট ছিল সর্বোচ্চ প্রচারণা | সত্তর দশকের বিচিত্রায় বঙ্গবন্ধু, রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমান, মাওলানা ভাসানী প্রমুখ ছাড়া হাতে গোনা আর যে কজন বিচিত্রার প্রচ্ছদে স্থান পেয়েছিলেন - ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী তাঁদের একজন | বিচিত্রা এক প্রচ্ছদ করে সোনালী ধানক্ষেতের ব্যাকগ্রাউন্ডে দাঁড়িয়ে আছেন ঝাঁকড়া চুলের তরুণ ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী |
ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী বাংলাদেশের সর্বোচ্চ বেসামরিক পদক - স্বাধীনতা পদক পান আজ থেকে ৪১ বছর আগে - ১৯৭৭ সালে |
স্বাধীনতা যুদ্ধের পর মুক্তিযোদ্ধা সংসদ গঠনের লক্ষে প্রথম যে বৈঠক হয় - তা অনুষ্ঠিত হয় ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরীর সভাপতিত্বে | পরে অনেক বছর উনি মুক্তিযোদ্ধা সংসদের প্রধান ছিলেন |
চট্টগ্রামে জন্ম হলেও - ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী বড় হয়েছেন পড়াশোনা করেছেন ঢাকাতে | বকশীবাজার স্কুল, ঢাকা কলেজ, ঢাকা মেডিকেল কলেজ| ১৯৬৪ সালে তিনি বিলে চলে যান উচ্চশিক্ষার জন্য এবং জেনারেল ও ভাস্কুলার সার্জারিতে এফ আর সি এস নেন - এর মধ্যে চলে আসে ১৯৭১ | ফিরে আসেন দেশে - সাধারণ সৈনিক হিসেবে অস্ত্র হাতে প্রত্যক্ষ যুদ্ধে যোগ দেন | পরে একটা ফিল্ড হাসপাতালের প্রয়োজন দেখা দিলে - গড়ে তোলেন প্রথম ফিল্ড হাসপাতাল - 'বাংলাদেশ ফিল্ড হাসপাতাল' ! ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী আর আর একজন বিলেত ফেরত একসিডেন্ট ইনারজেন্সি চিকিৎসক ডাঃ মবিন মিলে |
একাত্তরের পর দেশে ফিরে উনি ইচ্ছে করলে ঢাকার প্রধানতম সার্জারি প্র্যাক্টিশনার হয়ে যেতে পারতেন , কিন্তু তা না করে তিনি ফিরে যান গ্রামে- আরেক যুদ্ধ ক্ষেত্রে | গড়ে তোলেন গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র | ওনার পাইলট প্রজেক্ট গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র প্রাইমারী কেয়ার কনসেপ্ট মাঠে প্রমান করে এবং এর ভিত্তিতে WHO আর UNO আলমা আটা কনফারেন্সের মাধ্যমে গ্লোবাল ইউনিভার্সাল প্রাইমারী কেয়ার প্রকল্পের ঘোষণা দেয় |
গ্লোবাল প্যারামেডিক যে কনসেপ্ট - তার প্রথম উদ্ভাবক গণস্বাস্থ্য কেন্দ্র এর ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী! ট্রেইন্ড প্যারামেডিক দিয়ে মিনি ল্যাপারোটমির মাধ্যমে লাইগেশন সার্জারির উদ্ভাবক ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী| এ সংক্রান্ত তাঁর পেপার টা বিশ্ব বিখ্যাত মেডিকেল জার্নাল ল্যানসেট মূল আর্টিকেল হিসেবে ছাপা হয় | যুক্তরাষ্ট্রের মূল পেডিয়াটিক্স টেক্সট বইয়ের একটা চ্যাপ্টার ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী লিখতেন অনেক বছর ধরে | দেশে বিদেশে ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরীর লিখা বই আর পেপার প্রচুর | প্রাইমারি কেয়ার নিয়ে লিখা ওঁনার প্রকাশিত একটি বই "যেখানে ডাক্তার নেই" একসময় বাংলাদেশের ঘরে ঘরে পাওয়া যেত |
১৯৭৯ সাল থেকেই তিনি জাতীয় শিক্ষা কমিটির ও নারী কমিটির মেন্বার হিসেবে আমাদের শিক্ষা নীতি আর নারী নীতি তে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছেন |
তবে গণস্বাস্থের পর তার ম্যাগনাম ওপাস হচ্ছে ১৯৮২ সালের জাতীয় ঔষুধ নীতি! সমগ্র বিশ্ব আজ অবাক হয়ে গবেষণা করে বাংলাদেশের মতো দেশ কিভাবে এ ধরণের একটা রেডিকেল নীতি কিভাবে বাস্তবায়ন করলো! স্বাধীনতার পর এই ঔষুধ নীতি স্বাস্থ খাতে আমাদের সর্বোচ্চ প্রাপ্তি |
এই সময়ের বাংলাদেশ ওনাকে জেল জরিমানা দিয়ে সম্মান করলেও দেশের বাইরে বিশ্ব মানচিত্রে ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী ব্যাপক ভাবে সমাদৃত| নোবেল এর পর যে সর্বোচ্চ যে আন্তর্জাতিক পুরস্কার - 'রেমন-ম্যাগস্যাসই এওয়ার্ড' - ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী তা বিজয়ী!
এই তো সেদিন ও ওনাকে দেখলাম মিছিলের সামনে! দুসপ্তাহ আগে নাগরিক সভায় বক্তা হিসেবে!
ওনার শরীর ভালো না অনেকদিন ধরে! আমাদের দেশের কমেডিয়ান বা কবর জিয়ারতের রাষ্ট্রপতিরা - জাস্ট সরকার পয়সা দেবে বলে - অসুস্থ না হলেও চেকআপের জন্য জার্মান, সিঙ্গাপুর ইত্যাদি সফরে যান ৪০ -৫০ জন সফর সঙ্গী নিয়ে! মৃত্যু নিশ্চিত জেনেও জীবনের শেষ মাসগুলো সিঙ্গাপুরের আইসিইউ তে কাটাবেন!
জাফরুল্লাহ সাহেব মাঝখানে কোভিডের সময় বেশ অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন! বিদেশে যাবার কথা হচ্ছিলো অথবা সিএমএইচ! কিন্তু বাংলাদেশের রাজনীতিবিদ না আমলা বা রাষ্ট্রপতিদের যা নেই - স্পাইন এবং সেলফ রেস্পেক্ট - তা ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরীর আছে!
"কোভিডের সব পেশেন্ট আমার হাসপাতালে আসছে আর এখানে মারা যাচ্ছে - কোন বিবেচনায় আমি নিজে অন্য হাসপাতালে যাবো?" এই বিবেচনা বোধটা সেই সময় দেশের স্বাস্থ্য বিভাগের হর্তা কর্তা কারোই ছিল না - সবাই সিএমএইচ এ গিয়ে সকাল বিকেল আইভারমেকটিন খাচ্ছিলেন আর সিঙ্গাপুর পাঠানোর জন্য এয়ার এম্বুলেন্সের কোম্পানিতে ধর্ণা দিচ্ছিলেন!
ডাঃ জাফরউল্লাহ চৌধুরী আজ মারা গিয়েছেন! নিজের হাসপাতালেই - গণস্বাস্থ্য নগর হাসপাতালে! সিঙ্গাপুরের মাউন্ট এলিজাবেথ হাসপাতালে না!
আপনাকে রাষ্ট্র কিভাবে মূল্যায়ন করবে আমি জানি না! আমার চোখে একজন সত্যিকারে দেশপ্রেমিক বীর! আপনি আমাদের অষ্টম বীরশ্রেঠ!
-Rumi Ahmed.
সংযম ও শুদ্ধতার আলোয় আলোকিত হোক প্রতিটি অন্তর। এ আলো ছড়িয়ে যাক সবখানে 😊
খোশ আমদেদ মাহে রমজান ❤️
জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার এর নবগঠিত পরিচালনা কমিটির সকলকে অভিনন্দন ও শুভকামনা জানাচ্ছি।
জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগারের নতুন কমিটি; সভাপতি তুষার, সম্পাদক কাউসার মোঃ রাকিবুল হাসান, ময়মনসিংহ প্রতিনিধিঃ ময়মনসিংহের ফুলবাড়ীয়া উপজেলায় অবস্থিত সংস্কৃতি বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তালি.....
জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার এর নতুন বুকশেলফ ক্রয়ের জন্য সকলের আন্তরিক সহযোগিতা কামনা করছি।
জিল্লুর রহমান রিয়াদ - 01942313679
বইমেলার পর্দা নামছে আজ। বইমেলায় গিয়ে এভাবে ছবি তোলা হয় নি, অভিজ্ঞতা খুবই অল্প সময়ের। চলতি মাসেই জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার এ মৈমনসিংহ গীতিকা বইটি হাতে নিয়ে দেখছিলাম। সে ছবি আজ অবমুক্ত করে দিলাম 😊
Click here to claim your Sponsored Listing.
Our Story
শুরুটা করেছিলেন জিল্লুর রহমান রিয়াদ নামের এক কিশোর। ছোট থেকেই বই পড়ার প্রতি তাঁর ভীষণ আগ্রহ ছিল। যেখানেই বই পেতেন, ধার করে নিয়ে পড়তেন। টিফিনের টাকা বাঁচিয়ে পছন্দের বই কিনতেন। স্বপ্ন দেখতেন গ্রামে একটি লাইব্রেরি করার। আর এই স্বপ্ন থেকেই বন্ধু শোয়াইব হাসান শিবলীসহ বই পড়ায় আগ্রহী ছেলে-মেয়েদের খোঁজ করা শুরু করেন। স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থী কবির, সোয়াদ, তামিম, নাহিদ, মাসুদ, সোহান, তুষার, জাহিদ, সুন্নান, তায়্যিব, মিঠুন, মেহেদি, মিঠু, সিফাত, কিমিয়া, সারওয়ার ও আরাফাতকে সঙ্গে নিয়ে একসময় প্রতিষ্ঠা করেন ‘জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার’।
ময়মনসিংহের ফুলবাড়িয়া উপজেলার মধ্যে দক্ষিণাঞ্চলকে বলা হয় শিক্ষানগরী। আর এর মূল কেন্দ্র হচ্ছে আছিম নামের এলাকাটি। উপজেলা সদর থেকে দক্ষিণে এর অবস্থান। রিয়াদ ২০১৪ সালে ‘জাগ্রত আছিম’ নামে একটি ফেসবুক আইডি খোলেন। সেখানে বই পড়াসহ বিভিন্ন বিষয়ে প্রচারণা চালান। এটা এলাকার স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া জাগায়।
২০১৬ সালের প্রথম দিকে তারা স্থানীয় ইউপি চেয়ারম্যান এস এম সাইফুজ্জামানের শরণাপন্ন হয়। আছিম-পাটুলি ইউনিয়নের পুরনো কার্যালয়টি লাইব্রেরি হিসেবে ব্যবহার করার অনুমতি দেন তিনি। অর্থ সংগ্রহ শুরু হয়। সংস্কার করা হয় পুরনো ইউপি ভবনটি। ২০১৭ সালের ২১ ফেব্রুয়ারি আনুষ্ঠানিকভাবে যাত্রা শুরু করে ‘জাগ্রত আছিম গ্রন্থাগার’। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা লীরা তরফদার লাইব্রেরিটি পরিদর্শনও করেছেন।
বিকেলে গ্রামের স্কুল-কলেজের শিক্ষার্থীদের সংবাদপত্র ও বই পড়ার আড্ডা বসে অনেকটা গ্রন্থাগারটি ঘিরেই। পাঠ্য বইয়ের পাশাপাশি বিভিন্ন লেখকের কয়েক শ বইও রয়েছে। জাতীয় দৈনিক ও সাপ্তাহিক পত্রিকা রাখা হয়। স্কুল - কলেজের শিক্ষার্থীরা লাইব্রেরির সদস্য হয়ে বিনা মূল্যে বাড়িতে বই নিয়ে পড়তে পারে।
Videos (show all)
Category
Contact the organization
Telephone
Website
Address
আছিম বাজার, ফুলবাড়ীয়া, ময়মনসিংহ।
Fulbaria
MYMENSINGH
Opening Hours
Monday | 09:00 - 18:00 |
Tuesday | 09:00 - 18:00 |
Wednesday | 09:00 - 18:00 |
Thursday | 09:00 - 18:00 |
Friday | 09:00 - 18:00 |
Saturday | 09:00 - 18:00 |
Sunday | 09:00 - 18:00 |
Dhaka Medical College And Hospital, Emergency Gate Road, Dhaka
Fulbaria
Emergency ambulance service Dhaka medical college hospital (emergency gate) to All bangladesh �
Mukti Bhaban 2 No. Comrade Moni Singh Sarak 21/1 Purana Paltan
Fulbaria, 1000
The Communist Party of Bangladesh (Bengali: বাংলাদেশের কমিউনিস্?
6 Phoenix Road, Dhaka 1000
Fulbaria
Police Cyber Support for Women - PCSW is a page run by Police Headquarters,Bangladesh Police. It wor
23, Bangabandhu Avenue , Dhaka
Fulbaria
Official page of Bangladesh Awami Matshojeeby League
16 Bijaynagar (5th Floor), Dhaka
Fulbaria, 1000
This is a registered political party in Bangladesh. The Amir is Maulana Abdul Basit Azad.