Dr Md Mobarok Hossain_ডা. মোঃ মোবারক হোসেন

Dr. Md. Mobarok Hossain
MBBS (Mymensingh Medical College)
BCS (Health)
Medical Officer
UHC,Chatmohar.

31/05/2024

#ফ্যাটি_লিভার

ফ্যাটি লিভার মানে লিভারে চর্বি জমা। শব্দটি বর্তমানে বেশ প্রচলিত। ঐতিহাসিকভাবে এটি অ্যালকোহল বা অতিরিক্ত মদ্যপানের সাথে সম্পর্কিত। কিন্তু যারা অ্যালকোহল বা মদ্যপানের সাথে যুক্ত নন, ইদানীং তাদের মাঝেও এই রোগের প্রকোপ দেখা যাচ্ছে। এর ইংরেজি প্রতিশব্দ হচ্ছে নন অ্যালকোহলিক ফ্যাটি লিভার ডিজিজ।

ফ্যাটি লিভারের কারণ
ফ্যাটি লিভার সাধারণত মধ্যবয়সী মহিলাদের দেখা দেয়। কিন্তু পুরুষদের মাঝেও এর সংখ্যা কম নয়। সাধারণভাবে এর কারণ অজ্ঞাত। তবে, যাদের স্বাস্থ্য মোটা বা মেদবহুল ও ডায়বেটিসে আক্রান্ত অথবা রক্তে চর্বির মাত্রা বেশি তাদের মধ্যে এই রোগ বেশি দেখা দেয়। এসব রোগীর শরীরে ইনসুলিন রেজিসটেন্স থাকে। অর্থাৎ তাদের শরীরে ইনসুলিন থাকা সত্ত্বেও এর কার্যকারিতা কম হয়। যাদের ওজন আদর্শ ওজনের ১০-৪০ শতাংশ বেশি তাদের ফ্যাটি লিভার হওয়ার সম্ভাবনা বেশি। ডায়বেটিস রোগীদের মধ্যে এর সংখ্যা তুলনামূলকভাবে একটু বেশি (৩৪-৭৫ শতাংশ)। যাদের রক্তের কোলেস্টেরলের পরিমাণ বেশি তাদের মধ্যে ২০-৪০ শতাংশ রোগী ফ্যাটি লিভারের ভোগেন। এ ছাড়া ফ্যাটি লিভারের অনেক কারণ রয়েছে।

ফ্যাটি লিভারের কারণ
ফ্যাটি লিভারের কারণ সম্পর্কে দুটো মতবাদ প্রচলিত। প্রথমটি হচ্ছে ইনসুলিন রেজিসটেন্স এবং দ্বিতীয়টি হচ্ছে আঘাত।

লক্ষণ
ফ্যাটি লিভার রোগীরা সাধারণত ক্লান্তি, অবসাদ, উপরের পেটের ডান দিক ব্যথা নিয়ে ডাক্তারদের কাছে আসেন। পরীক্ষা করলে দেখা যায়, রোগীদের এসজিপিটি স্বাভাবিকের চেয়ে বেশি। এদের বিলুরুবিনের মাত্রা স্বাভাবিক থাকে। কারো কারো ক্ষেত্রে দেখা যায়, লিভারে এনজাইমের মাত্রা স্বাভাবিক অথচ লিভারের আল্ট্রাসনোগ্রামে চর্বির মাত্রা বেশি। রোগের বিস্তার দেখার জন্য লিভার বায়োপসি করতে হবে।

চিকিৎসা
ফ্যাটি লিভারের ১০০ শতাংশ কার্যকরি ওষুধ এখনো আবিষ্কার হয়নি। চিকিৎসার প্রথম শর্ত হচ্ছে, ঝুঁকিগুলো কমনো। অর্থাৎ মোটা লোকের স্বাস্থ্য কমাতে হবে, ডায়াবেটিস থাকলে তা নিয়ন্ত্রণে আনতে হবে।

**************************

15/03/2024

⁉️ #রমজান_মাসে_সিয়াম রেখে #মেডিকেল_চিকিৎসা_পদ্ধতি কেমন হবে সে সম্পর্কে মাসয়ালা⤵️
♦️কুরআন সুন্নাহর আলোকে♦️

✓✓বাহ্যিক শরীরে তেল, মলম, পাওডার বা ক্রিম ব্যবহার

বাহ্যিক শরীরের চামড়ায় পাওডার বা মলম ব্যবহার করা রোযাদারের জন্য বৈধ। কারণ, তা পেটে পৌঁছে না।

তদনুরূপ প্রয়োজনে ত্বককে নরম রাখার জন্য কোন তেল, ভ্যাসলিন বা ক্রিম ব্যবহার করাও রোযা অবস্থায় অবৈধ নয়। কারণ, এ সব কিছু কেবল চামড়ার বাহিরের অংশ নরম করে থাকে এবং শরীরের ভিতরে প্রবেশ করে না। পরন্তু যদিও লোমকূপে তা প্রবেশ হওয়ার কথা ধরেই নেওয়া যায়, তবুও তাতে রোযা নষ্ট হবে না।[1]

তদনুরূপ রোযা অবস্থায় মহিলাদের জন্য হাতে মেহেন্দী, পায়ে আলতা অথবা চুলে (কালো ছাড়া অন্য রঙের) কলফ ব্যবহার বৈধ। এ সবে রোযা বা রোযাদারের উপর কোন (মন্দ) প্রভাব ফেলে না।[2]

[1] (ইবনে জিবরীন, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৭, ফাসিঃ মুসনিদ ৪১পৃঃ) [2] (ফাসিঃ মুসনিদ ৪৫পৃঃ, ফাতাওয়া ইসলামিয়্যাহ ২/১২৭)

✓✓পেটে (এন্ডোসকপি মেশিন) নল সঞ্চালন

পেটের ভিতর কোন পরীক্ষার জন্য (এন্ডোসকপি মেশিন) নল বা স্টমাক টিউব সঞ্চালন করার ফলে রোযার কোন ক্ষতি হয় না। তবে হ্যাঁ, যদি পাইপের সাথে কোন (তৈলাক্ত) পদার্থ থাকে এবং তা তার সাথে পেটে গিয়ে পৌঁছে, তাহলে তাতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। অতএব একান্ত প্রয়োজন ছাড়া এ কাজ ফরয বা ওয়াজেব রোযায় করা বৈধ নয়।[1]

[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩৮৩-৩৮৪)

✓✓পায়খানা-দ্বারে ওষুধ ব্যবহার

রোযাদারের জ্বর হলে তার জন্য পায়খানা-দ্বারে ওষুধ (সাপোজিটরি) রাখা যায়। তদনুরূপ জ্বর মাপা বা অন্য কোন পরীক্ষার জন্য মল-দ্বারে কোন যন্ত্র ব্যবহার করা দোষাবহ বা রোযার পক্ষে ক্ষতিকর নয়। কারণ, এ কাজকে খাওয়া বা পান করা কিছুই বলা হয় না। (এবং পায়খানা-দ্বার পানাহারের পথও নয়।)[1]

[1] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩৮১)

✓✓নাক অথবা কোন কাটা-ফাটা থেকে রক্ত বের হওয়া

দেহের কোন কাটা-ফাটা অঙ্গ থেকে রক্ত পড়লে রোযা নষ্ট হয় না। বরং তা দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মতই। অনুরূপ নাক থেকে রক্ত পড়লেও রোযা নষ্ট নয়। কারণ, তাতে মানুষের কোন এখতিয়ার থাকে না। আর ইচ্ছা করে বের করলে তাও দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মত।[1] তদনুরূপ মাথায় বা দেহের অন্য কোন জায়গায় পাথর বা অন্য কিছুর আঘাত লেগে রক্ত ঝরলে রোযা নষ্ট হয় না।[2]

[1] (দ্রঃ আহকামুস সাওম ১৩৬-১৩৮পৃঃ) [2] (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৩০/১২৬)

✓✓রক্তদান করা

পরীক্ষার জন্য কিছু রক্ত দেওয়া রোযাদারের জন্য বৈধ। এতে তার রোযার কোন ক্ষতি হয় না।[1]

তদনুরূপ কোন রোগীর প্রাণ বাঁচানোর উদ্দেশ্যে রক্তদান করাও বৈধ এবং তা দেহ থেকে দূষিত রক্ত বের করার মতই। এতেও রোযার কোন ক্ষতি হয় না।[2]

[1] (রিসালাতানি মু’জাযাতানি ফিয যাকাতি অস্সিয়াম ২৪পৃঃ, ফাসিঃ মুসনিদ ৫৩পৃঃ, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিস্সিয়াম ৩৪পৃঃ) [2] (দ্রঃ আহকামুস সাওমি অল-ই’তিকাফ, আবূ সারী মঃ আব্দুল হাদী ১৩৮পৃঃ)

✓✓দাঁত তোলা

রোযাদারের জন্য দাঁত (স্টোন ইত্যাদি থেকে) পরিষ্কার করা, ডাক্তারী ভরণ (ইনলেই) ব্যবহার করা এবং যন্ত্রণায় দাঁত তুলে ফেলা বৈধ। তবে এ সব ক্ষেত্রে তাকে একান্ত সাবধানতা অবলম্বন করা উচিৎ, যাতে কোন প্রকার ওষুধ বা রক্ত গিলা না যায়।[1]

[1] (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিস্সিয়াম ২৯পৃঃ)

✓✓কিড্নী (বৃক্ক বা মূত্রগ্রন্থি) অচল অবস্থায় দেহের রক্ত শোধন

রোযাদারের কিড্নী অচল হলে রোযা অবস্থায় প্রয়োজনে দেহের রক্ত পরিষ্কার ও শোধন (Dialysis) করা বৈধ। পরিশুদ্ধ করার পর পুনরায় দেহে ফিরিয়ে দিতে যদিও রক্ত দেহ থেকে বের হয়, তবুও তাতে রোযার কোন ক্ষতি হবে না।[1]

[1] (ইবনে উষাইমীন, সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ৪২নং)

✓✓আহারের কাজ দেয় না এমন (ওষুধ) ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা

রোযাদারের জন্য চিকিৎসার ক্ষেত্রে সেই ইঞ্জেকশন ব্যবহার করা বৈধ, যা পানাহারের কাজ করে না। যেমন, পেনিসিলিন বা ইন্সুলিন ইঞ্জেকশন অথবা অ্যান্টিবায়োটিক বা টনিক কিংবা ভিটামিন ইঞ্জেকশন অথবা ভ্যাক্সিন ইঞ্জেকশন প্রভৃতি হাতে, কোমরে বা অন্য জায়গায়, দেহের পেশী অথবা শিরায় ব্যবহার করলে রোযার ক্ষতি হয় না। তবুও নিতান্ত জরুরী না হলে তা দিনে ব্যবহার না করে রাত্রে ব্যবহার করাই উত্তম ও পূর্বসাবধানতামূলক কর্ম। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘যে বিষয়ে সন্দেহ আছে সে বিষয় বর্জন করে তাই কর যাতে সন্দেহ নেই।’’[1] ‘‘সুতরাং যে সন্দিহান বিষয়াবলী থেকে দূরে থাকবে, সে তার দ্বীন ও ইজ্জতকে বাঁচিয়ে নেবে।’’[2]

[1] (আহমাদ, মুসনাদ, তিরমিযী ২৫১৮, নাসাঈ, ইবনে হিববান, সহীহ, ত্বাবারানী, মু’জাম প্রমুখ, ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ২০৭৪, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ৩৩৭৭, ৩৩৭৮নং) [2] (আহমাদ, মুসনাদ ৪/২৬৯, ২৭০, বুখারী ৫২, মুসলিম ১৫৯৯নং, আবূ দাঊদ, তিরমিযী, ইবনে মাজাহ, দারেমী) (দ্রঃ রিসালাতানি মু’জাযাতানি ফিয যাকাতি অস্সিয়াম ২৪পৃঃ, সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ৪২নং)

✓✓ক্ষতস্থানে ওষুধ ব্যবহার

রোযাদারের জন্য নিজ দেহের ক্ষতস্থানে ওষুধ দিয়ে ব্যান্ডেজ ইত্যাদি করা দূষণীয় নয়। তাতে সে ক্ষত গভীর হোক অথবা অগভীর। কারণ, এ কাজকে না কিছু খাওয়া বলা যাবে, আর না পান করা। তা ছাড়া ক্ষতস্থান স্বাভাবিক পানাহারের পথ নয়।[1]

[1] (আহকামুস সাওমি অল-ই’তিকাফ, আবূ সারী মঃ আব্দুল হাদী ১৪০পৃঃ)

✓✓নাকে বা মুখে স্প্রে ব্যবহার

স্প্রে দুই প্রকার; প্রথম প্রকার হল ক্যাপসুল স্প্রে পাওডার জাতীয়। যা পিস্তলের মত কোন পাত্রে রেখে পুশ করে স্প্রে করা হয় এবং ধূলোর মত উড়ে গিয়ে গলায় পৌঁছলে রোগী তা গিলতে থাকে। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা নষ্ট হয়ে যাবে। রোযাদারকে যদি এমন স্প্রে বছরের সব মাসে এবং দিনেও ব্যবহার করতেই হয়, তাহলে তাকে এমন রোগী গণ্য করা হবে, যার রোগ সারার কোন আশা নেই। সুতরাং সে রোযা না রেখে প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাইয়ে দেবে।

দ্বিতীয় প্রকার স্প্রে হল বাষ্প জাতীয়। এই প্রকার স্প্রেতে রোযা ভাঙ্গবে না। কেননা, তা পাকস্থলীতে পৌঁছে না।[1] কারণ, তা হল এক প্রকার কমপ্রেস্ড্ গ্যাস; যার ডিববায় প্রেসার পড়লে উড়ে গিয়ে (নিঃশ্বাসের বাতাসের সাথে) ফুসফুসে পৌঁছে এবং শবাসকষ্ট দূর করে। এমন গ্যাস কোন প্রকার খাদ্য নয়। আর রমাযান অরমাযান এবং দিনে রাতে সব সময়ে (বিশেষ করে শবাসরোধ বা শবাসকষ্ট জাতীয় যেমন হাঁফানির রোগী) এর মুখাপেক্ষী থাকে।[2]

অনুরূপভাবে মুখের দুর্গন্ধ দূরীকরণের উদ্দেশ্যে ব্যবহার্য স্প্রে রোযাদারের জন্য ব্যবহার করা দোষাবহ নয়। তবে শর্ত হল, সে স্প্রে পবিত্র ও হালাল হতে হবে।[3]

[1] (ইবনে উষাইমীন, ক্যাসেটঃ আহকামুন মিনাস সিয়াম) [2] (ইবনে বায, ফাতাওয়া মুহিম্মাহ, তাতাআল্লাকু বিস্সিয়াম ৩৬পৃঃ, সামানিয়া ওয়া আরবাঊন সুআলান ফিস্-সিয়াম ৬২পৃঃ, সাবঊনা মাসআলাহ ফিস্-সিয়াম ৪২নং) [3] (মাজাল্লাতুল বুহূসিল ইসলামিয়্যাহ ৩০/১১২)

✓✓গর্ভবতী ও দুগ্ধদাত্রী মহিলা

গর্ভবতী অথবা দুগ্ধদাত্রী মহিলা রোযা রাখার দরুন যদি নিজেদের কষ্ট হয় অথবা তাদের শিশুর ক্ষতির আশঙ্কা করে, তাহলে উভয়ের জন্য রোযা না রেখে যখন সহজ হবে অথবা ক্ষতির আশঙ্কা দূর হবে তখন রোযা কাযা করে নেওয়া বৈধ।[1]

বলা বাহুল্য, (কিছু উলামার নিকট) গর্ভবতী ও দুগ্ধদাত্রী মহিলাকে রোগীর উপর কিয়াস করাই সঠিক। সুতরাং রোগীর মত তাদের জন্য রোযা না রাখা বৈধ এবং তাদের জন্য সময় মত কাযা ছাড়া অন্য কিছু ওয়াজেব নয়। এতে তারা নিজেদের ক্ষতির আশঙ্কা করুক অথবা তাদের শিশুদের। যেহেতু মহানবী (সাল্লাল্লাহু আলাইহে ওয়াসাল্লাম) বলেন, ‘‘আল্লাহ মুসাফিরের উপর থেকে (যথাসময়ে) রোযা এবং অর্ধেক নামায, আর গর্ভবতী ও দুগ্ধদাত্রী মহিলার উপর থেকে (যথাসময়ে) রোযা লাঘব করেছেন।’’[2]

উপরোক্ত হাদীসের উদ্দেশ্য এই যে, তারা রমাযানে রোযা না রেখে সময় মত কাযা করতে পারে। রোযা একেবারেই মাফ নয়।[3]

পক্ষান্তরে যাঁরা তাদের জন্য কাযা করার সাথে সাথে মিসকীনকে খাদ্যদানেরও কথা বলে থাকেন, তাঁদের কথার উপর কিতাব ও সুন্নাহর কোন দলীল নেই। আর মূল হল দায়িত্বে কিছু না থাকা, যতক্ষণ না দায়িত্ব আসার সপক্ষে কোন দলীল কায়েম হয়েছে।[4]

কোন কোন আহলে ইল্ম এই মতকে প্রাধান্য দিয়েছেন যে, গর্ভবতী ও দুগ্ধদাত্রী মহিলার জন্য (চিররোগা ও অক্ষম বৃদ্ধের মত) কেবল খাদ্যদানই ওয়াজেব; কাযা ওয়াজেব নয়। এ মত পোষণ করেছেন ইবনে আববাস, ইবনে উমার ও সাঈদ বিন জুবাইর। ইবনে আববাস এ ব্যাপারে স্পষ্ট বলেন, ‘ওরা প্রত্যেক দিনের বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাওয়াবে; রোযা কাযা করবে না।’

অন্য এক বর্ণনায় আছে যে, একদা তিনি তাঁর ক্রীতদাসী স্ত্রীকে গর্ভ বা দুধ দান করা অবস্থায় দেখে বললেন, ‘তুমি অক্ষম ব্যক্তির মত। তোমার জন্য প্রত্যেক রোযার বিনিময়ে একটি করে মিসকীন খাওয়ানো ওয়াজেব। তোমার জন্য কাযা ওয়াজেব নয়।’[5]

তিনিই মহান আল্লাহর এই বাণী ‘‘যারা রোযা রাখার সামর্থ্য থাকা সত্ত্বেও রোযা রাখতে চায় না, তারা এর পরিবর্তে একজন মিসকীনকে খাদ্য দান করবে। (কুরআনুল কারীম ২/১৮৪) এর তফসীরে বলেছেন, ‘আর গর্ভবতী ও দুগ্ধবতী মহিলা রোযা রাখতে ভয় করলে রোযা না রেখে প্রত্যেক দিনের পরিবর্তে একটি করে মিসকীন খাওয়াবে।’ সুতরাং স্পষ্ট উক্তির বর্তমানে কিয়াসের কোন প্রয়োজন নেই।

অবশ্য ইবনে আববাসের এই মত সেই মহিলার জন্য প্রযোজ্য, যে মহিলা প্রত্যেক দুই-আড়াই বছর পর পর সন্তান ধারণ করে। কারণ, এই শ্রেণীর মহিলা কাযা করার ফুরসতই পাবে না। যে কোন সময়ে হয় সে গর্ভবতী থাকবে, নচেৎ দুগ্ধদায়িনী। আর গর্ভ বন্ধ না হওয়া পর্যন্ত তার রোযা রাখার সুযোগই হয়ে উঠবে না। অতএব সে মিসকীনকে খানা খাইয়ে দেবে এবং তার জন্য রোযা মাফ। আর আল্লাহই ভালো জানেন।

[1] (ইবনে উষাইমীন, ফাসিঃ ৫৯পৃঃ) [2] (আহমাদ, মুসনাদ ৪/৩৪৭, আবূ দাঊদ ২৪০৮, তিরমিযী ৭১৫, নাসাঈ ২২৭৬, ইবনে মাজাহ ১৬৬৭, সহীহুল জামেইস সাগীর, আলবানী ১৮৩৫নং) [3] (আশ্শারহুল মুমতে’ ৬/৩৬২) [4] (ইবনে উষাইমীন, ফাসিঃ মুসনিদ ৬৬পৃঃ) [5] (ইরওয়াউল গালীল, আলবানী ৪/১৭-২৫ দ্রঃ)
[গ্রন্থ: "রমাযানের ফাযায়েল ও রোযার মাসায়েল",
লেখক - শায়েখ আব্দুল হামিদ ফাইযি আল মাদানী ]

13/02/2024
19/01/2024

সারাদেশে (বাংলায় যাকে বলে #খোশ_পাচঁড়া)প্যান্ডেমিক ভাবে ছড়িয়ে গেছে।এটি একটি প্যারাসাইটিক ডিজিজ।Sarcoptes scabiei hominis নামক Mite জীবাণু দিয়ে এই রোগ হয়।এটি একটি ইনফেকশাস ডিজিজ (ছোঁয়াচে রোগ)।
🦠সাধারণত হাইজিন মেন্টেইন না করলে, শরীরের রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা কমে গেলে কিংবা আক্রান্ত ব্যক্তির সংস্পর্শে আসলে এই রোগটি হয়।
এমনকি আক্রান্ত ব্যক্তির কাপড়চোপড়, বিছানাপত্র ব্যবহার করলেও এ রোগ হতে পারে।বাচ্চা থেকে বড় সকলেই আক্রান্ত হয়।তবে বাচ্চাদের ইম্যুনিটি কম থাকলে বেশী আক্রান্ত হয়।

🏢হোস্টেল মেসে কিংবা মাদ্রাসার ছাত্ররা এ রোগে অধিক আক্রান্ত হয়।

☠️প্রচুর চুলকানির পাশাপাশি গোটাগোটা ফুসকুড়ি উঠে,পানি বের হয়,সারাগায়ে আঙ্গুলের চিপায়,কুচঁকি তে,মাথায় ,স্ক্রোটামে বেশি হয়।
-ইনফেকশন ছড়িয়ে গেলে পূজঁ ও বের হতে পারে।

🚩এটার সবচেয়ে বড় কমপ্লিকেশন(জটিলতা) হচ্ছে,বাচ্চাদের কিডনীতে ইনফেকশন(Acute Glomerulo Nephritis) করে।যা পরবর্তীতে জটিলতা সৃষ্টি করে।

💊এজন্য অতিদ্রুত নূন্যতম একজন এমবিবিএস চিকিৎসক এর পরামর্শ নিবেন।উনি লোশন, চুলকানীর ওষুধ,ক্ষেত্রবিশেষে মুখে খাওয়ার ঔষধ দিবেন।উনি প্রয়োজনে একজন ডার্মাটোলজিস্ট বিশেষজ্ঞ ডাক্তারের কাছে রেফার্ড করবেন।

📌বিঃদ্রঃ দয়া করে আল্লাহর ওয়াস্তে স্টেরয়েড জাতীয় (যেমন Dermomix,Combicid)মলমগুলো ব্যবহার করিয়েন না।এতে নামকাওয়াস্তে চুলকানি কমলেও রোগীর Immunosuppresion হয়ে রোগীর সারাদেহে রোগটা ছড়িয়ে যায়।রোগী খারাপ হয়।ফার্মেসীওয়ালা কিংবা যেসব ডাক্তার এভাবে ধুমায়ে না বুঝে স্টেরয়েড দেয় তাদেরকে বর্জন করবেন।ওরা জাতির ক্ষতি করছে।
Collected

09/12/2023

#সকালের_নাস্তা চিন্তাশক্তি বৃদ্ধি করে

সকালের নাস্তা যেন বাদ না যায়। একাধারে ১২ ঘণ্টা কিছুই খাননি এমনটি যেন কখনো না হয়, বিশেষ করে সকালের নাস্তা যেন কিছুতেই বাদ না পড়ে।
সকালবেলা নাস্তার মাধ্যমে শরীরে কিছু গ্লুকোজ সঞ্চিত হয় এবং কিছুটা রক্তে বিচরণ করে যা সারারাত ধরে ব্যবহৃত হতে থাকে শরীরের জ্বালানি হিসেবে। সকালের নাস্তার পর অবশ্যই শরীরটা ভালো বোধ হবে, চিন্তাশক্তি সুন্দরভাবে পরিবাহিত হতে থাকবে।
কিন্তু সকালের নাস্তা না খেলে মস্তিষ্ককে ধোঁয়াটে ভাব নিয়ে চলতে হবে। আর ধোঁয়াটে মস্তিষ্ক নিয়েই যদি দিনটা শুরু হয় তাহলে কাজকর্মে অমনোযোগিতার জন্য অবশেষে পস্তাতেই হয়। একই অবস্থা হতে পারে যদি লাঞ্চ কিংবা ডিনার কোনো কারণে বাদ পড়ে যায়।
ব্রিটিশ জার্নাল অব ক্লিনিক্যাল সাইকোলজিতে প্রকাশিত এক গবেষণায় বলা হয়েছে, যেসব লোক কম ক্যালরিযুক্ত (১ হাজার ক্যালরির নিচে) খাবার গ্রহণ করে তারা মোটামুটি পরিমাণ ক্যালরিযুক্ত খাবার গ্রহণকারীদের তুলনায় কম স্মৃতিশক্তি সম্পন্ন, কম মনোযোগী ও কম সজাগ মস্তিষ্কের হয়ে থাকে। এই বিষয়ে গবেষকদের অনুমোদন হলো ক্ষুধা না থাকলেও আপনাকে সকালে কম করে হলেও কিছু খেতে হবে। এতে করে দিনের শুরুতেই মস্তিষ্ক থাকবে সজাগ ও সতর্ক।

*************************

30/10/2023

#চোখের_ভাইরাসজনিত_ইনফেকশন
সাধারণভাবে প্রচলিত কথা ‘চোখ ওঠা’ বলতে চোখ লাল হওয়া বুঝানো হয়ে থাকে।
কিন্তু চোখ লাল হওয়া একটি উপসর্গ মাত্র। বিভিন্ন কারণে চোখ লাল হতে পারে। যেমন-জীবাণু দ্বারা আক্রান্ত হলে, এডিনো ভাইরাসজনিত কারণে, হারপেস সিমপ্লেক্স ভাইরাসজনিত কারণে, স্কেলেরার ইনফেকশনজনিত কারণে, ইউভিয়াল টিস্যু ইনফেকশনজনিত কারণ ইত্যাদি। তবে ভাইরাস কেরাটাইটিস বা হারপেস সিমপেক্স ভাইরাসজনিত ইনফেকশনই মুলত ভাইরাসজনিত ইনফেকশন।

এ ধরনের ইনফেকশনে সাধারণত এক চোখ আক্রান্ত হয়ে থাকে। তবে খুব কম ক্ষেতে দুটি চোখই আক্রান্ত হয়। এতে চোখ খচখচ করে। সামান্য ব্যথা হয়। রোদে বা আলোতে তাকাতে কষ্ট হয় ও পানি পড়ে। সাধারণত ৭ থেকে ৮ দিনের মধ্যে উপসর্গগুলো কমে আসে।
কিন্তু দৃষ্টি ঝাপসা হয়ে যায়। মণি বা কর্নিয়াতে সাদা দাগ পড়ে যায়। খালি চোখে দেখে বোঝা যায় না।

বায়ো মাইক্রোস কপি যন্ত্র দিয়ে পরীক্ষা করে সুনির্দিষ্ট করে বোঝা যায়।
এটি একটি জটিল রোগ। দেরি করে চিকিৎসা করালে সম্পুর্ণ আরোগ্য লাভ অনেক ক্ষেত্রেই সম্ভব হয় না।
তবে প্রাথমিক অবস্হায় চিকিৎসা নিলে খুব সহজেই সেরে যায়। কাজেই এক চোখ লাল হলে এবং ৩-৪ দিনের ভিতর অন্য চোখ আক্রান্ত না হলে মনে রাখবেন এটি কোনো সাধারণ রোগ নয়।
শুধু এক চোখের প্রদাহ, জ্বালা-পোড়া, পানি পড়া, লাল হওয়া ইত্যাদি গুরুত্বের সঙ্গে বিবেচনা করতে হবে।

যেসব সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে তা হলো-ধুলাবালি, আগুন-আলো-রোদে কম যাওয়া, ময়লা-আবর্জনাযুক্ত স্যাঁতসেঁতে জায়গায় না যাওয়া, পুকুর বা নদী-নালায় গোসল না করা, চোখে কালো চশমা ব্যবহার করা। সম্ভব হলে ১০ থেকে ১৫ দিন সম্পুর্ণ বিশ্রাম নেয়া এবং চক্ষু বিশেষজ্ঞের পরামর্শ নেয়া।cp

**************************

28/10/2023

#চোখের_এলার্জি হলে কি করবেন
চোখের কালো মণির চারদিকে যে সাদা অংশ দেখা যায়, তার আবরণের নাম হল কনজাংটিভা যার অবস্থান ভেতর থেকে আইল্যাশ বা চোখের চুল পর্যন্ত বিস্তৃত। এলার্জীজনিত কনজাংটিভার প্রদাহকে এলার্জীক কনজাংটিভাইটিস বা চুলকানী রোগ বলা হয়।

✓এলার্জেন বা এলার্জী উদ্রেককর কি?

আমাদের চারদিকের পরিবেশে প্রচুর ক্ষুদ্র দৃশ্যমান অথবা অদৃশ্য কণা অথবা পদার্থের অস্তিত্ব রয়েছে যা সরাসরি শরীরের সংস্পর্শে এসে এলার্জী সৃষ্টি করে।

এমনকি শ্বাস-প্রশ্বাসের মাধ্যমেও শরীরে ঢুকে এইসব কণা শরীরের বিভিন্ন অংশে এলার্জীর প্রদাহ সৃষ্টি করতে পারে। এসবের মধ্যে ফুলের রেণু, ছারপোকা, ধুলোবালি, বিভিন্ন খাবারের মধ্যে থাকা রাসায়নিক পদার্থ ইত্যাদি অন্যতম।

✓কখন হয়?

সাধারণত শুষ্ক মৌসুমে এলার্জীর প্রার্দুরভাব বেশী হয়। ধুলোবালি বাতাসে উড়ে চোখের সংস্পর্শে এলে এলার্জেন সংবেদনশীল রুগীদের চোখের প্রদাহ শুরু হয়। এছাড়াও বসন্তকালে ফুলের রেণু বাতাসে উড়ে চোখের এলার্জী হতে পারে।

✓কাদের হয়?

সব এলার্জী সুষ্টিকারী পদার্থে সবার চোখে এলার্জী হয় না। এটা এক একজনের সংবেদনশীলতার উপর নির্ভরশীল। কেউ ফুলের রেণুনে সংবেদনশীল আবার কেউ ধুলোবালি এবং খাবারে সংবেদনশীল।

যাদের শরীরে এলার্জী বেশী হয় তাদের চোখের এলার্জী বেশী হয়।

✓এলার্জীক কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ কি?

চোখ চুলকানো, চোখ দিয়ে পানি পড়া, চোখ লাল হওয়া, চোখ ফুলে যাওয়া, চোখের ভেতরে কিছু ময়লা পড়েছে এমন বোধ হওয়া, রোদে চোখ বন্ধ হয়ে আসা ইত্যাদি এ রোগের লক্ষণ হতে পারে। রাতে ঘুমের পর সকালবেলা চোখে সামান্য পিচুটি জমতে পারে। বাচ্চাদের ক্ষেত্রে চোখে হাত দেয়া ও পানি পড়া এলার্জীক কনজাংটিভাইটিসের লক্ষণ হতে পারে। নাকে সর্দি ও চোখের চুলকানী একসাথে হতে পারে। বারবার একই সমস্যা নিয়ে রুগীরা ডাক্তারের কাছে আসতে পারে। ওষুধ দিলে কিছু দিন ভাল থাকলেও পরবর্তীতে একই অবস্থার পুনরাবৃত্তি হতে পারে।

✓এই রোগ প্রতিরোধে করণীয়ঃ

০ রোগীকে আগে জানতে হবে তার কোন ধরনের পদার্থ বা পরিবেশে এলার্জী আছে, তারপর সেটাকে এড়িয়ে চলতে হবে।

০ শুষ্ক মৌসুমে ধুলাবালি থেকে রক্ষা পেতে নাকে মুখে মাস্ক এবং চোখে সানগ্লাস ব্যবহার করা যেতে পারে।

০ ঘরের কার্পেট নিয়মিত পরিষ্কার করতে হবে, এত বাচ্চাদের এলার্জী অনেকাংশে হ্রাস পায়।

০ গরুর মাংস, চিংড়ি মাছ, ডিম ইত্যাদিতে যাদের এলার্জী আছে, তাদের তা বর্জন করা ভাল।

০ ডাক্তারের পরামর্শ মত ওষুধ সেবনে এবং চোখের ড্রপ ব্যবহারের মাধ্যমে এলার্জীর আক্রমণ হতে চোখকে রক্ষা করা যায়।

✓চোখের এলার্জীর চিকিৎসা

০ প্রথমত এলারজেন থেকে দূরে থাকতে হবে।

০ ডাক্তারের পরামর্শ ব্যতিরেকে কোন ওষুধ সেবন এবং চোখে দেয়া ঠিক হবে না।

✓মনে রাখতে হবে

যেসব বাচ্চার এলার্জিক কনজাংটিভাইটিস আছে, তাদের সাধারণত ২০ বছর বয়সের পর আপনা-আপনিই এই রোগের আক্রমণ কমে যায়। সুতরাং ডাক্তারের পরামর্শে বাচ্চার চোখের যত্ন এবং ওষুধ ব্যবহারে নিয়মানুবর্তী হলে এলার্জিজনিত কষ্ট অনেককাংশে লাঘব হয়।cp

27/10/2023

ঘন ঘন #প্রস্রাবে_সংক্রমণ বারবার কেন সংক্রমণ হয়?

অনেক মহিলা ঘনঘন মূত্রপত্রের সংক্রমণে ভোগেন। দেখা গেছে, ওষুধ খাওয়ার পর কিছুদিন ভালো থাকেন, আবার তার মূত্রপথে সংক্রমণ দেখা দেয়।
প্রায় ৮০ শতাংশ মহিলাই বারবার মূত্রপথে সংক্রমণের অভিযোগ করেন। অনেককে দেখা গেছে, অতিষ্ঠ হয়ে চিকিৎসক পরিবর্তন করতে। কেন তারা ঘনঘন মূত্রপথের সংক্রমণের শিকার হন তা নির্ণয় করা জরুরী এবং সেই মতো চিকিৎসা করাও জরুরী। হুটহাট করে অ্যান্টিবায়োটিক প্রদান না করে আগে রোগের প্রকৃত কারণ খুঁজে বের করতে হবে।

সাধারণত একবার এক ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হওয়ার পর দেখা গেছে দ্বিতীয়বার তারা ভিন্ন ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হচ্ছেন। কেউ কেউ অবশ্য একই ধরনের ব্যাকটেরিয়া দ্বারাও আবার আক্রান্ত হন। আবার কেউ কেউ একাধিক ব্যাকটেরিয়া দ্বারা আক্রান্ত হন।
ন্যাশনাল ইনস্টিটিউট অব হেলথ (এনআইএইচ) এক গবেষণায় দেখা গেছে, বারবার মূত্রপথের সংক্রমণ ঘটার জন্য দায়ী ব্যাকটেরিয়াকে মূত্রপথের কোষের দেয়ালে এটে রাখার ক্ষমতা।
এনআইএইচ’র গবেষণায় আরো দেখা গেছে, যেসব মহিলার বারবার মূত্রপথের সংক্রমণ হয়, তাদের এই সংক্রমণের জন্য রক্তের বিশেষ ধরনও দায়ী। এসব মহিলার যোনি ও মূত্রনালীতে ব্যাকটেরিয়া সহজে লেগে থাকে।

✓গর্ভাবস্থায় মূত্রপথের সংক্রমণ

অন্য মহিলাদের তুলনায় গর্ভবতী মহিলাদের মূত্রপথে সংক্রমণ হওয়ার প্রবণতা খুব বেশি দেখা যায় না। তবে গর্ভবতী মহিলাদের মূত্রপথে সংক্রমণ হলে সেই সংক্রমণ বেশির ভাগ ক্ষেত্রে কিডনিতে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
যদিও মূত্রপথের সংক্রমণ মহিলাদের মধ্যে এমনিতেই বেশি দেখা যায়। বেশ কিছু রিপোর্ট অনুযায়ী গর্ভাবস্থায় প্রস্রাবের সংক্রমণ রোগে আক্রান্ত হন প্রায় দুই-চার শতাংশ গর্ভবতী মহিলা।
বিজ্ঞানীদের ধারণা, গর্ভাবস্থায় হরমোনের পরিবর্তন হয় বলে ও মূত্রপথের অবস্থান সরে যায় বলে ব্যাকটেরিয়া সহজে বৃক্কনালী পথে কিডনিতে পৌঁছে। এ কারণে গর্ভাবস্থায় প্রতি মাসে অন্তত একবার প্রস্রাবের পরীক্ষা করে কোনো সংক্রমণ আছে কিনা তা দেখা উচিত।

✓কিডনি রোগ ও মূত্রপথের সংক্রমণ

কিডনি রোগ আর মূত্রপথের সংক্রমণ কিন্তু এক নয়। তবে একটির কারণে অন্যটি হতে পারে। কিডনি রোগের প্রধান দুইটি কারণ হচ্ছে ডায়াবেটিস ও উচ্চ রক্তচাপ।
পরিবারের কারো কিডনি রোগ হলে এ রোগে আক্রান্ত হওয়ার ঝুঁকি থাকে।
এছাড়া নেফ্রাইটিস, ডায়রিয়া, পুড়ে যাওয়া, একাধিকবার মূত্রনালীর সংক্রমণ, মূত্রনালীতে কোনো প্রতিবন্ধকতা, পলিসিস্টিক কিডনি, টিউবারক্যুলোসিস বা যক্ষা, হঠাৎ রক্তচাপ কমে যাওয়া, দীর্ঘদিন ব্যথার ওষুধ খাওয়া প্রভৃতি কারণে কিডনি রোগ হতে পারে।

✓কিডনি রোগের উপসর্গ হলো ঘন ঘন প্রস্রাব, রক্ত স্বল্পতা, ক্লান্তিবোধ করা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, হাত-পা ও চোখ-মুখ ফুলে যাওয়া, মাথা ঝিমঝিম করা, কাজে মনোযোগ দিতে না পারা, মাসংপেশীতে খিল ধরা, হাত ও পায়ের আঙুল ধীরে ধীরে ফুলে যাওয়া, রক্তচাপ বেড়ে যাওয়া, কাঁপুনি দিয়ে জ্বর আসা, রক্তে ইউরিয়া ও ইউরিক এসিডের মাত্রা বেড়ে যাওয়া, প্রস্রাবে রক্ত, ইউরিক এসিড ও প্রোটিনের পরিমাণ বেড়ে যাওয়া, অল্প পরিশ্রমে বুক ধড়ফড় ও শ্বাসকষ্ট হওয়া, কোমরের পেছন দিকে ব্যথা করা ইত্যাদি।cp

*************************

26/10/2023

#নিয়মিত_সহবাসের_উপকারী_দিক
সঙ্গিনীর সঙ্গে রোমাঞ্চকর মধুর সময় কাটাতে কে না পছন্দ করে। সবাই চায় একে অপরকে সুখে রাখতে, একে অপরকে ভালোবাসায় ভরিয়ে দিতে চায়। আপনি কি জানেন নিয়মিত সহবাস শুধু দম্পতির সম্পর্ককে শক্তপোক্ত করে না এর পিছনে রয়েছে আরও বেশ কয়েকটি উপকার।

✓এক ধরনের শারীরিক ব্যায়াম :

প্রতিদিন অন্তত একবার করে শারীরিক মিলনে শরীরে ব্যায়ামের উপকারিতা পাওয়া যায়। যৌন মিলনে পর যে কেউ ক্লান্তি অনুভব করেন, কেননা পরিশ্রমের কারণে ক্যালোরি ক্ষয় হয়। কেউ যদি সপ্তাহে ৩ দিন ১৫ মিনিটের শারীরিক মিলনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠেন, তাহলে তিনি বছরে ৭৫০০ ক্যালরি কমিয়ে আনতে পারবেন যা ৭৫ মাইল জগিং করার সমতুল্য। এছাড়া শারীরিক মিলনের ফলে সৃষ্ট দ্রুত শ্বাস-প্রশ্বাস দেহের ভেতরের কোষে অক্সিজেন সরবরাহ করে এবং নিঃসরণ হওয়া টেসটোসটেরন হাড় ও মাংসপেশীকে শক্তিশালী করে তোলে।

✓ব্যথা নিরসন করে :

শারীরিক মিলনের সময়ে পুরুষ এবং নারী উভয়ের দেহেই এনডরফিনস নামক এক ধরনের হরমোনের নিঃসরণ বাড়ে যা দেহে পেইনকিলার হিসেবে কাজ করে। জিনা ওগডেন পরিচালিত এক গবেষণায় বলা হয় যৌন উদ্দীপনার সময়ে কোনো প্রকার ব্যথা অনুভূত হয় না কেননা এনডরফিনস এর উপস্থিতিতে তা নিরসিত হয়।

✓প্রজনন ক্রিয়ায় সহায়তা করে :

প্রতিদিন শারীরিক মিলনে অভ্যস্ত হয়ে ওঠা একজন নারীর প্রজনন ক্রিয়ায় সক্রিয়তা বেশী থাকে। কেননা এটি প্রজনন বিভিন্ন অঙ্গ নির্দিষ্ট শেপে রাখতে সাহায্য করে। এছাড়া নিয়মিত যৌন মিলনে প্রজনন ক্ষমতা বাড়ে, মাসিকের নানা সমস্যা দূর হয়।

✓মূত্রনালীর গ্রন্থির সুরক্ষা :

মূত্রনালী থেকে বের হওয়া যেকোনো তরলই গ্রন্থির ময়লা নিঃসরণ করে থাকে। কিন্তু পর্যাপ্ত শারীরিক মিলনের অভাবে যদি তরল পদার্থটি সঠিকভাবে নিঃসরিত না হতে পারে তবে তা থেকে পুরুষের নানা ধরনের সমস্যা হতে পারে। এই মূত্রনালীর গ্রন্থির সুরক্ষায় প্রতিদিন শারীরিক মিলন অবশ্যই প্রয়োজন।

✓মানসিক চাপ থেকে মুক্তি :

বৈজ্ঞানিকভাবেই প্রমাণিত যে শারীরিক মিলনের ফলে মানসিক চাপ কমে যায়। যৌন মিলনের সময়ে শরীরে ডোপামিন নিঃসৃত হয় যা মানসিক চাপ সৃষ্টিকারক হরমোনের সাথে ক্রিয়া করে। এর ফলে মানসিক চাপ থেকে মুক্তি পাওয়া যায়।cp

✓✓✓✓নিয়মিত সহবাসের ১০টি উপকারিতা-

১) সপ্তাহে দু`দিন যৌনমিলন পুরুষদের হার্ট অ্যাটাকের সম্ভাবনা কমে যায়।

২) যৌনমিলন ব্যাথা উপশমে অব্যর্থ। যৌনমিলনের সময় অর্গাজমের ফলে অক্সিটোসিন হরমোন ক্ষরণের মাত্রা বৃদ্ধি পায়। শরীর এন্ডোরফিনস ক্ষরণ করে যা ব্যাথা কমিয়ে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা নেয়।

৩) নিয়মিত যৌনমিলন শরীরে IgA অ্যান্টিবডির সংখ্যা বাড়িয়ে তোলে রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়ায়।

৪) সহবাস ক্লান্তি দূর করে। মানসিক শান্তি আনে

৫) যৌনমিলনের পরবর্তী ঘুম আরাম ও শান্তির হয়।

৬) প্রত্যেকবার যৌনমিলনের ফলে অন্তত পক্ষে ৮০ ক্যালরি করে ক্ষয় হয়। ফলে ওজন ঝরানোর জন্য মোক্ষম পদ্ধতি সহবাস।

৭) যৌনমিলন চলাকালীন ডিহাইড্রোএপিএন্ড্রোস্টেরন নামের একটি হরমোন ক্ষরিত হয়। এই হরমোন রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বৃদ্ধির সঙ্গে সঙ্গে বিভিন্ন কোষ-কলাকে মেরামত করে।

৮) মিলনের সময় হৃদস্পন্দনের হার বৃদ্ধি পায়। ফলে শরীরের বিভিন্ন অঙ্গে ও কোষে রক্ত সঞ্চালনের মাত্রা বৃদ্ধি পায়।

৯) সহবাস চলাকালীন অতিরিক্ত টেস্টোস্টেরনের ফলে হাড় মজবুত করে, কোলেস্টেরল নিয়ন্ত্রণে রাখে, হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে। মহিলাদের ক্ষেত্রে এই সময় অতিরিক্ত ইস্ট্রোজেন ক্ষরণ হার্টের সুস্থতা বজায় রাখে, এবং গন্ধ নিয়ন্ত্রণ করে।

১০) সহবাসের সময় শরীরে অক্সিটোসিন, এন্ডোরফিন জাতীয় মলিকিউলস ক্ষরণ বৃদ্ধিবৃ পায়। ক্ষতিগ্রস্থ ত্বক কোষ গুলিকে মেরামত করতে পারে এই মলিকিউলস গুলি। এছাড়া এই সময় যৌন মিলন চলাকালীন যে গ্রোথ হরমোন ক্ষরিত হয় তা চামড়ার কুঞ্চন প্রতিরোধ করে। রক্ত সঞ্চালন বৃদ্ধি করে। ত্বক চকচকে করে।cp

26/10/2023

#পেপটিক_আলসার বা #গ্যাস্ট্রিক_আলসার রোগ

পেপটিক আলসার বা গ্যাস্ট্রিক আলসার রোগের গ্যাস্টিক বা আলসার নামটির সাথে পরিচিত নন এমন লোক খুঁজে বের করা হয়তো খুব কঠিন হবে।
সাধারণত লোকজন গ্যাস্টিক বা আলসার বলতে যা বুঝে থাকেন আমরা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ভাষায় একে বলি পেপটিক আলসার।

পেপটিক আলসার যে শুধু পাকস্থলীতেই হয়ে থাকে তা কিন্তু নয়; এটি পৌষ্টিকতন্ত্রের যেকোনো অংশেই হতে পারে।

✓সাধারণত পৌষ্টিকতন্ত্রের যে যে অংশে পেপটিক আলসার দেখা যায় সেগুলো হচ্ছে­

১। অন্ননালীর নিচের প্রান্ত;
২। পাকস্থলী;
৩। ডিওডেনামের বা ক্ষুদ্রান্ত্রের প্রথম অংশ এবং
৪। পৌষ্টিকতন্ত্রের অপারেশনের পর যে অংশে জোড়া লাগানো হয় সে অংশে।

পশ্চিমা দেশগুলোর তুলনায় উন্নয়নশীল দেশ তথা আমাদের এ উপমহাদেশে এ রোগীর সংখ্যা খুবই বেশি। ধনীদের চেয়ে গরিব লোকদের মধ্যে এ রোগ বেশি দেখা যায়। তবে নারী-পুরুষ প্রায় সমানভাবে এ রোগে আক্রান্ত হতে পারেন।

যেসব কারণে পেপটিক আলসার হতে পারে­
বংশগতঃ কারো নিকটতম আত্মীয়স্বজন, যেমন­ মা, বাবা, চাচা, মামা, খালা, ফুফু যদি এ রোগে ভুগে থাকেন তবে তাদের পেপটিক আলসার হওয়ার ঝুঁকি বেশি থাকে। যাদের রক্তের গ্রুপ ‘ও’ তাদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

✓রোগ-জীবাণুঃ হেলিকো বেক্টারে পাইলোরি নামক একপ্রকার অনুজীব এ রোগের জন্য বহুলাংশে দায়ী।

✓ওষুধঃ যেসব ওষুধ সেবনে পেপটিক আলসার হতে পারে তার মধ্যে ব্যথানাশক ওষুধ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য।

#ধূমপানঃ ধূমপায়ীদের মধ্যে এ রোগের প্রবণতা বেশি।

এ ছাড়াও কারো পৌষ্টিকতন্ত্র থেকে যদি বেশি পরমাণে অ্যাসিড ও প্রোটিন পরিপাককারী একধরনের এনজাইম বা পেপসিন নামে পরিচিত তা নিঃসৃত হতে থাকে এবং জন্মগতভাবেই পৌষ্টিকতন্ত্রের গঠনতন্ত্রের গঠনগত কাঠামো দুর্বল থাকে তাহলেও পেপটিক আলসার হতে পারে।

তবে সাধারণত যে কথাটা প্রচলিত ভাজা-পোড়া কিংবা ঝালজাতীয় খাবার খেলে পেপটিক আলসার হয় এর কোনো সুনির্দিষ্ট প্রমাণ চিকিৎসা বিজ্ঞানে মেলেনি। তবে যারা নিয়মিত আহার গ্রহণ করেন না কিংবা দীর্ঘ সময় উপোস থাকেন, তাদের মধ্যে পেপটিক আলসার দেখা দিতে পারে।

✓উপসর্গগুলো:

পেটব্যথাঃ সাধারণত পেটের উপরিভাগের মাঝখানে বক্ষ পিঞ্জরের ঠিক নিচে পেপটিক আলসারের ব্যথা অনুভব হয়। তবে কখনো কখনো ব্যথাটা পেছনের দিকেও যেতে পারে।

ক্ষুধার্ত থাকলে ব্যথাঃ এ জাতীয় রোগী ক্ষুধার্ত হলেই প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব করে এবং খাবার খেলে সাথে সাথে ব্যথা কমে যায়।

রাতে ব্যথাঃ অনেক সময় রাতের বেলা পেটে ব্যথার কারণে রোগী ঘুম থেকে জেগে ওঠে। কিছু খেলে ব্যথা কমে যায় এবং রোগী আবার ঘুমিয়ে পড়ে।

মাঝে মধ্যে ব্যথাঃ পেপটিক আলসারের ব্যথা সাধারণত সবসময় থাকে না। একাধারে ব্যথাটা কয়েক সপ্তাহ চলতে থাকে। তারপর রোগী সম্পূর্ণরূপে ভালো হয়ে যায়, এ অবস্থা কয়েক মাস থাকে তারপর আবার কয়েক সপ্তাহ ধরে ঠিক আগের মতো ব্যথা অনুভব হয় ।

ব্যথা কমেঃ পেপটিক আলসার ব্যথা সাধারণ দুধ, অ্যান্টাসিড, খাবার খেলে কিংবা বমি করলে অথবা ঢেঁকুর তুললে ব্যথা কমে।
এ ছাড়াও পেপটিক আলসারের মধ্যে বুক জ্বালা, অরুচি, বমি বমি ভাব, ক্ষুধামন্দা, কিংবা হঠাৎ রক্ত বমি অথবা পেটে প্রচণ্ড ব্যথা অনুভব হতে পারে।
চিকিৎসা

✓শৃঙ্খলাঃ পেপটিক আলসারে আক্রান্ত রোগীদের অবশ্যই ধূমপান বন্ধ করতে হবে।
ব্যথানাশক ওষুধ অর্থাৎ এসপ্রিন জাতীয় ওষুধ সেবন থেকে যথাসম্ভব বিরত থাকতে হবে এবং নিয়মিত খাবার গ্রহণ করতে হবে।

✓ওষুধঃ পেপটিক আলসারের রোগীরা সাধারণত অ্যান্টাসিড, রেনিটিডিন, ফেমোটিডিন, ওমি প্রাজল, লেনসো প্রাজল, পেনটো প্রাজল জাতীয় ওষুধ সেবনে উপকৃত হন ।

✓কারণভিত্তিক চিকিৎসাঃ জীবাণুজনিত কারণে যদি এ রোগ হয়ে থাকে তবে বিভিন্ন ওষুধের সমন্বয়ে চিকিৎসা দেয়া হয়, যা ট্রিপল থেকে থেরাপি নামে পরিচিত।

✓অপারেশনঃ পেপটিক আলসারের ক্ষেত্রে অপারেশন সাধারণত জরুরি নয়। তবে দীর্ঘমেয়াদি ওষুধ সেবনের পরও যদি রোগী ভালো না হন, তবে কিছু খেলে যদি বমি হয়ে যায় অর্থাৎ পৌষ্টিক নালীর কোনো অংশ যদি সরু হয়ে যায়। সে ক্ষেত্রে অপারেশন করিয়ে রোগী উপকৃত হতে পারেন।

✓সময়মতো পেপটিক আলসারের চিকিৎসা না করলে রোগীর নিম্নলিখিত সমস্যাগুলো দেখা দিতে পারে। যেমন­

১। পাকস্থলী ফুটা হয়ে যেতে পারে;
২। রক্ত বমি হতে পারে;
৩। কালো পায়খানা হতে পারে;
৪। রক্তশূন্যতা হতে পারে;
৫। ক্যান্সার হতে পারে (কদাচিৎ) এবং
৬। পৌষ্টিক নালীর পথ সরু হয়ে যেতে পারে এবং রোগীর বারবার বমি হতে পারে।
কাজেই যারা দীর্ঘমেয়াদি পেপটিক আলসারে ভুগছেন তাদের উচিত চিকিৎসকের শরণাপন্ন হওয়া। পেপটিক আলসার-জনিত জটিলতা আগে থেকেই শনাক্ত করা এবং সে অনুযায়ী চিকিৎসা নেয়া। প্রয়োজনে অপারেশনের মাধ্যমে চিকিৎসা নিয়ে দীর্ঘমেয়াদি সমস্যা ধরে না রেখে সুস্থ-সুন্দর-স্বাভাবিক জীবনযাপন করা।cp

**************************

25/10/2023

#সহবাসের_আগে_ও_পরে_প্রস্রাব_করার_উপকার
সহবাস নিয়ে নানা মানুষের নানা মত।তবে সবচেয়ে বড় সমস্যা হল, সহবাস ও স্বাস্থ্যকর যৌন জীবন নিয়ে খোলাখুলি কেউ কথা বা আলোচনা চান না।
বিশেষ করে মেয়েরা তো একেবারেই এড়িয়ে যেতে চান। সহবাসের আগে পুরুষ ও নারীদের প্রস্রাব করা উচিত। এতে প্রস্রাবের স্থানে সংক্রমণ বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশনের সম্ভাবনা অনেকটাই কম হয়।

>> সহবাসের সময় ব্যক্তিগত পরিচ্ছন্নতা খুবই জরুরি। সুস্বাস্থ্যের জন্য এই পরিচ্ছন্নতা আপনি কী বজায় রাখেন? সহবাসের সময় পরিচ্ছন্নতা বজায় না রাখলে শরীরে বড় বিপদ হতে পারে। বিশেষ করে নারীদের যৌনাঙ্গে হতে পারে সংক্রমণ, যা কঠিন অসুখও ডেকে আনতে পারে।

>> কিন্তু এতে সত্যিই কী কোনো উপকার হয়? নারী-পুরুষ উভয়েই বেশিরভাগ সহবাসের পর প্রস্রাব করে থাকেন। তবে মিলনের আগে প্রস্রাব করে কী সত্যিই কোনো লাভ হয়?
স্ত্রীরোগ বিশেষজ্ঞ চিকিৎসক বিস্তারিত জানিয়েছেন। তার মতে, সহবাসের আগে ও পরে উভয়েরই প্রস্রাব করা উচিত।
ব্ল্যাডারে প্রস্রাব জমে থাকা অবস্থায় যে জীবাণু থাকে, তা সঙ্গমের সময় একে অপরের শরীরে প্রবেশ করতে পারে। তা থেকে উভয়েরই, বিশেষ করে নারীদের ইউটিআই বা ইউরিনারি ট্র্যাক্ট ইনফেকশন হওয়ার সম্ভাবনা বাড়ে।
একইসঙ্গে মিলনের আগে প্রস্রাব করা থাকলে শারীরিক স্বস্তিও অনেকটাই থাকে। এতে সঙ্গম আরো আকর্ষণীয় হয়ে উঠতে পারে।

>> অনেক সময় অর্গাজম হওয়ার মুহূর্তে প্রস্রাবের অনুভূতি চলে আসে। এতে সহবাস চলাকালীন প্রস্রাব করার দিতে মন চলে যায়।
প্রস্রাবের চিন্তায় অনেক সময়ই ইজাকুলেশন থেকে বিরত হয়ে যান অনেকে। অর্গাজমের আনন্দানুভূতি বা অভিজ্ঞতা থেকে বঞ্চিত হতে হয়। প্রস্রাব করার পর সহবাসে লিপ্ত হলে এই অনভিপ্রেত মুহূর্তের মুখোমুখি হতে হয় না।

>> সহবাসের সময় ফোরপ্লে খুবই গুরুত্বপূর্ণ। সেই সময় সঙ্গীর সঙ্গে বন্ধন দৃঢ় করার নানা পথ নিতে হয়। ভালোলাগা, মানসিক ও শারীরিক বিশ্বাস গড়ে তুলতে হয়। এসবের মধ্যে প্রস্রাবের জন্য বিরতি নেয়া, নিজের সঙ্গীকে সেটা বলাটাও মুড নষ্ট করে দিতে পারে।

>>বিশেষজ্ঞদের মতে, যৌন মিলনের পর প্রস্রাব করা একটি অত্যন্ত ভালো অভ্যাস। এর ফলে যৌনাঙ্গের ক্ষতিকারক ব্যাকটেরিয়া পরিষ্কার হয়ে যায় এবং সংক্রমণ হওয়ার সম্ভাবনা কমে। যৌনমিলনের পর প্রস্রাব করলে ইউরেথরা থেকে ব্যাকটেরিয়া মুক্ত হয়ে যায়। ফলে যে কোনো রকমের সংক্রমণ থেকে রক্ষা পাওয়া যায়। যৌনমিলনের পর ৩০ মিনিটের মধ্যে প্রস্রাব শরীরে পক্ষে উপকারী।cp

25/10/2023

#মেয়েদের_স্তনে_চাকা_বা_গোটা
মহিলাদের স্তনে চাকা বা গোটা হওয়া অথবা গোটা ভাব অনুভূত হওয়া খুবই সাধারণ ঘটনা।
এসব ঘটার বেশিরভাগই ক্ষতিকর কিছু নয় অর্থাৎ এগুলো ক্যান্সার নয়। মাসিকের পূর্বে স্তনে কিছু পরিবর্তন হয়। স্তনের টিস্যু নানান হরমোন দ্বারা প্রভাবিত হয়। ফলে স্তনে চাকা অথবা গোটা ভাব বা ব্যথাও অনুভব হতে পারে।
নিজেদের স্তনের স্বাভাবিক পরিবর্তনগুলো মহিলাদের সবারই জানা প্রয়োজন। তাহলে অস্বাভাবিক কিছু হলে সহজে বোঝা যাবে। মাসিকের আগে সাধারণত স্তনে ব্যথা এবং চাকা ভাব মনে হতে পারে। এ রকম অবস্থায় দুশ্চিন্তা না করে ডাক্তারের পরামর্শ নেয়াই শ্রেয়। ডাক্তার আপনাকে পরীক্ষা করে দেখে প্রয়োজন হলে আরো কিছু পরীক্ষার ব্যবস্থা করতে পারেন।

✓সাধারণত যেসব পরীক্ষা করা হয় সেগুলো হলোঃ

মেমোগ্রাম:
মেমোগ্রাম স্তনের এক্স-রে। ৩০ বছরের বেশি বয়সে মেমোগ্রাম সবচেয়ে বেশি কার্যকর হয়। কারণ এই বয়সে স্তনের টিস্যু কম গ্লান্ডুলার থাকে এবং এক্স-রের ছবি ভালো আসে।

ফাইন নিডল এসপিরেশন সাইটোলজিঃ একটি সূক্ষ্ম সুঁচ দ্বারা স্তনের গোটা থেকে কিছু কোষ সরিয়ে নিয়ে তা অনুবীক্ষণ যন্ত্র দ্বারা পরীক্ষা করা হয়। এই পরীক্ষা করতে সাধারণত খুব একটা কষ্ট হয় না।

আলট্রাসাউন্ডঃ
শব্দ তরঙ্গ ব্যবহার করে এই পরীক্ষা করা হয়। ছোট মাইক্রোফোন জাতীয় যন্ত্র স্তনের উপর ধরা হয়। স্তনের গোটা বা চাকা ভাব এই পরীক্ষায় ধরা পড়ে। সব বয়সের মহিলাদের জন্য এই পরীক্ষা অত্যন্ত কার্যকর। এগুলোর সাথে রোগীকে পরীক্ষা করে ডাক্তার নিশ্চিত হন যে স্তনে গোটা বা চাকা ভাব হয়েছে কি না। এই পার্থক্যটা বোঝা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। ফাইব্রোএডেনোমা এবং সিস্ট­ এই দু’টি সবচেয়ে সাধারণ ক্ষতিকর নয় এমন গোটা।

ফাইব্রোএডেনোমাঃ
১৫ থেকে ৪০ বছরের মধ্যে ফাইব্রোএডেনোমো হয়। স্তনে একটি শক্ত চাকা যা চাপ দিলে বেশ সহজে নড়াচড়া করে। আকৃতিতে বাড়তে অথবা কমতে পারে, সময়ে চাকাটা মিলিয়েও যেতে পারে। পরীক্ষা করে ফাইব্রোএডেনোমা নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে অপারেশন না করলেও চলে। তবে রোগী যদি ৩০ বছরের বেশি বয়সী হন তাহলে ফাইব্রোএডেনোমা নিশ্চিত হওয়া যায় তাহলে অপারেশন করে সরিয়ে ফেলার পরামর্শ দেয়া হয়। অজ্ঞান করে ছোট অপারেশনের মাধ্যমে গুটিটা সরিয়ে ফেলা হয়। এ ক্ষেত্রে শুধু একটা ছোট কাটা দাগ থাকে, যা আস্তে আস্তে পরে মিলিয়ে যায়। অনেক সময় স্তনের অন্য জায়গায় ফাইব্রোএডেনোমা নতুন করে আবারো হতে পারে।

সিস্টঃ
স্তনের সিস্ট একটি তরল পদার্থে ভরা থলি। হঠাৎ করে সিস্ট হলে ব্যথা হতে পারে। ৩০-৫০ বছর বয়সে সাধারণত এগুলো হয়। সিস্টের চিকিৎসাও খুব সহজ। একটি ছোট সুঁচ দিয়ে চাকা থেকে পানিটা বা তরল পদার্থটা বের করে ফেলা হয়। কোনো জটিলতা না থাকলে চাকাটা সম্পূর্ণরূপে চলে যায়। যে মহিলাদের সিস্ট হয় তাদের পরবর্তীতেও স্তনের বিভিন্ন জায়গায় সিস্ট হতে পারে। অনেক সময় এসব সিস্ট অপারেশন করে সরানো হয়। ওষুধ দ্বারাও কোনো সময় চিকিৎসা করা প্রয়োজন হতে পারে। ফাইব্রোএডেনোমা এবং সিস্ট ক্যান্সার নয় এবং এগুলো হলে ক্যান্সারের সম্ভাবনাকে বাড়ায় না। মহিলাদের নিজেদের স্তন সম্পর্কে সচেতন ও সজাগ থাকতে হবে, যাতে নতুন কোনো উপসর্গ দেখা দিলেই ডাক্তারের পরামর্শ নিতে পারেন। সব স্তনের গুটি পরীক্ষা করা আবশ্যক। ৯০ শতাংশ গুটি ক্ষতিকর নয়। সময়মতো ধরা পড়লে ছোট অপারেশন দ্বারা এর চিকিৎসা হতে পারে এবং তাতে আপনার জীবন রক্ষা পেতে পারে।

Want your practice to be the top-listed Clinic in Pabna?
Click here to claim your Sponsored Listing.

Category

Website

Address

Chatmohar Upozila Health Complex
Pabna
6600

Other Doctors in Pabna (show all)
Dr.Md.Rahmotullah Rahmot Dr.Md.Rahmotullah Rahmot
Ataikula Road
Pabna, 6600

Dr.Md.Rahmotullah MBBS,CMU(Ultra) BMDC Reg No:A-91961 General Physician

Dr. Shahidul Islam Dr. Shahidul Islam
Pabna, 6620

নবজাতক, শিশু ও কিশোর রোগে অভিজ্ঞ।

সোমা ক্লিনিক সোমা ক্লিনিক
বিশ্বাস ভবন (জুবলী ট্যাংকের উত্তর পার্শ্বে) আতাইকুলা রোড, পাবনা।
Pabna, 6600

কম খরচে, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা

Limon Ahmed Limon Ahmed
Pabna

Limon Ahmed

Dr. T.A Juhany Dr. T.A Juhany
Pabna

MBBS,MCGP(Medicine) CCD(Diabetology,BIRDEM) Resident Physician Square Medical Center BSCIC,Pabna.

লাকী হোমিও হল লাকী হোমিও হল
Radhanagar, Rathghor Mor
Pabna, 6600

এখানে মহিলা পুরুষ ও শিশুদের সব ধরনের চ

Hamdard Chatmohor Branch Hamdard Chatmohor Branch
Shamsh Plaza, Chatmohor Bus Stand, Chatmohor
Pabna

হামদর্দের যেকোন প্রোডাক্ট হোম ডেলিভা

ডাঃ আরিফ ডেন্টাল  কেয়ার ডাঃ আরিফ ডেন্টাল কেয়ার
আতাইকুলা বাজার, ডেমরা রোড, পাবনা
Pabna, 880

To keep a healthy oral hygiene come to my chamber

Dr. Rafiqul Islam Dr. Rafiqul Islam
Pabna
Pabna, 6610

নিয়ম নীতিই স্বাধীনতা।

Dr.Md Shahin Reza P-3 Dr.Md Shahin Reza P-3
Pabna

ডা: মো:শাহিন রেজা এম বি বি এস( ঢাকা মেডিকেল কলেজ) বিসিএস( হেলথ) এফ সি পি এস ( নাক,কান,গলা)এফ পি

Hamdard Pabna Branch Hamdard Pabna Branch
Square Road, Shalgaria
Pabna

• হামদর্দের যেকোন প্রোডাক্ট হোম ডেলি?