Dr.Md Shahin Reza P-3
ডা: মো:শাহিন রেজা এম বি বি এস( ঢাকা মেডিকেল কলেজ) বিসিএস( হেলথ) এফ সি পি এস ( নাক,কান,গলা)এফ পি
Plz share
রাসেলস ভাইপার সাম্প্রতিক তার চরিত্র পরিবর্তন করে ঘরের ভেতর ঢুকার ঘটনাও ঘটেছে।এই সাপ সাধারণত তার নিজের টেরিটোরির বাইরে যায় না কিন্তু সাম্প্রতিক বন্যায় ভারত থেকে প্রচুর রাসেলস ভাইপার সারা দেশে ছড়িয়ে পরেছে।কিছু বিষয় মাথায় রাখুন:
১/ বাসার পাশে কোনভাবে জংগল থাকা যাবে না,যত ঘন ঝোপ ঝাড় রাসেলস ভাইপার এর আবাসন সম্ভাবনা তত বেশী।
২/এই সাপের সাথে অনেকে অজগর কে মিলিয়ে ফেলেন।" অজগর ভেবে সাপের কামড় খেলেন অমুক" গুগলে খুঁজলে এমন অনেক নিউজ পেয়ে যাবেন।অজগর প্রেসার কুকারের সিটির মতো সাউন্ড করে না,রাসেলস ভাইপার করে।অজগরের কাছে গেলে শরীর কুন্ডুলি পাকিয়ে ইংরেজী এস এর মতো বানিয়ে ফেলে না,রাসেলস ভাইপার বানায়।
৩/যে কোন সাপ গরম জায়গা পছন্দ করে যেহেতু এক্সোথার্মিক প্রাণী।তাই জুতার ভেতর ঢুকে বসে থাকার একটা চান্স থাকে।সকালে জুতা পরার আগে জুতার ভেতর চেক করে নিন।
৪/ ফ্লোরে ঘুমানো যাবে না বা মশারী না খাটিয়ে ঘুমানো যাবে না।
৫/ রাতে অন্ধকারে বাসার বাইরে ওয়াশরুমে যাওয়া যাবে না,আলো নিয়ে যাবেন।যদিও রাসেলস ভাইপারের দংশনের যে স্পিড ,তাতে টেরিটোরিতে ঢুকলে খুব বেশী কিছু করতে পারবেন না।
৬/ঘরে অনেক মরা ইঁদুর পেলে ঘরের চিপা চুপা চেক করুন।
৭/মাঠে বা ঝোপে কাজ করতে গেলে মোটা বুট পরুন।মনে রাখবেন,গ্যাবন ভাইপারের পর সবচেয়ে বড় দাঁত রাসেলস ভাইপারের।বুট মোটা না হলে বিষ দাঁত বুট ছেদ করে ঢুকে যাবে।
৮/ সাপ নিয়া ফাতরামি বা পাকনামি করবেন না।রাসেলস ভাইপারের রোগী হাসপাতালে নিয়া এন্টিডট দিয়াও খুব একটা লাভ হয় না।দংশনের ছয় মাস পরেও মারা যাবার রেকর্ড আছে।
০৯/ রাসেলস ভাইপারের যম বলা হয় ব্যান্ডেড ক্রেইট সাপকে।এই সাপ আমরা এতো মারসি আর এবিউজ করসি যে ইকোসিস্টেমের নরম্যাল নিয়মে রাসেলস ভাইপার বেড়ে গেছে।যে এলাকায় ব্যান্ডেড ক্রেইট থাকে সে এলাকায় রাসেলস ভাইপার ঢুকে না।
১০/রাসেলস ভাইপার এর বিষ দিয়ে গর্ভবতী মায়েদের এন্টিকোএগুলেন্ট ড্রাগ বানানো হয়।দুনিয়ায় আসলে ১০০ভাগ খারাপ বলে কিছু নাই।
-নাঈম চৌধুরী ভাই
হিট স্ট্রোক...........
যদি বাতাস শুকনা থাকে, বায়ু চলাচল ভাল থাকে, মানুষ ১৩০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৫৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।
বায়ু যদি ১০০% আদ্র থাকে, তবে ৯৪ ডিগ্রী ফারেনহাইট (৩৪ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।
ভারী কাজ কর্মরত একজন মানুষ ৮৫ থেকে ৯০ ডিগ্রী ফারেনহাইট (২৯-৩২ ডিগ্রী সেলসিয়াস) পর্যন্ত তাপমাত্রা সহ্য করতে পারে।
তাপমাত্রা এর বেশী হলে হিট স্ট্রোক হতে পারে।
হিট স্ট্রোক কিছু লক্ষণ
---------------------
মাথা ধরা
পেট ব্যাথা, সাথে বমি হতে পারে।
অজ্ঞান হয়ে যাওয়া
(সুত্রঃ গাইটন ফিজিওলজি)
প্রাথমিক চিকিৎসা
-----------------
হিট স্ট্রোকে আক্রান্ত রোগীর প্রাথমিক চিকিৎসা হিসেবে তাকে ছায়ায় নিতে হবে। শরীরের ভারী কাপড় খুলে নিয়ে ঠান্ডা পানি ঢালতে হবে। সম্ভব হলে রোগীকে ফ্যানের নিচে বা শীতাতপনিয়ন্ত্রিত (এসি) কক্ষে নিতে হবে। রোগীর বগল ও ঊরুর ভাঁজে বরফ দেওয়া যেতে পারে। থার্মোমিটার দিয়ে রোগীর শরীরের তাপমাত্রা মেপে দেখতে হবে। ১০১-১০২ ডিগ্রি ফারেনহাইটে নেমে না আসা পর্যন্ত তাকে ঠান্ডা দেওয়া অব্যাহত রাখতে হবে।
প্রতিরোধে করণীয়.......................
গরমের সময় শরীরকে পানিশূন্য হতে দেওয়া যাবে না। শরীরে পানির পরিমাণ স্বাভাবিক রাখতে প্রচুর পানি, ডাবের পানি, ওরালস্যালাইন পান করতে হবে। বেশি গরমের সময় ব্যায়াম বা ভারী কায়িক পরিশ্রম বর্জন করুন। গরমে বাইরে বের হলে সাদা বা হালকা রঙের কাপড় পরতে হবে। ঘামের সঙ্গে শরীরের লবণ বেরিয়ে যায়, তাই দুর্বল লাগলে খাবার স্যালাইন পান করতে হবে। copied
.ইনশাল্লাহ আগামী বৃহ: প্রতিবার পাবনার চেম্বারে
প্রতি বৃহস্প্রতিবার আল সাফা তে চেম্বার করবো,ইনশাআল্লাহ। পাবনা
আগামীকাল শুক্রবার রোগী দেখবেন.
শুধু আগামী শুক্রবার চেম্বার বন্ধ থাকবে, তার পরিবর্ত এ বৃহস্পতিবার চেম্বার করবো।বামনগ্রাম বাজার বিকাল ৪:০০ টা-৫:৩০। এবং চাদভা বাজার এ ৫:৪৫- ৭:৪৫ পি এম
আগামীকাল নিয়মিত রোগী দেখবেন। ইনশাআল্লাহ
নতুন সময়সুচি।আগামী শুক্রবার থেকে শুরু হবে ইনশাআল্লাহ।
আগামীকাল চেম্বার :
চাঁদভা বাজার, আটঘরিয়া, পাবনা।
সময় :সকাল ৯-১১:৩০
সবাই সাবধান এ থাকবেন
আল্লাহ কত নিখুঁত ভাবে আমাদের বানিয়েছেন
প্রয়োজনীয়
নাক,কান,গলার কোনো সমস্যা হলে চিকিৎসক এর পরামর্শ নিন।
Congratulations Vamos argentina.
ার_সন্তানকে_জানুন
সব বাবা মা ই তাদের সন্তানের পুষ্টি নিয়ে উদ্বিগ্ন থাকেন। একজন ডাক্তার হিসেবে বাচ্চার ফুড হ্যাবিট এবং পুষ্টি নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই আমাদের অসংখ্য প্রশ্নের সম্মুখীন হতে হয়। বাচ্চার পুষ্টির ব্যাপারে নিচের ব্যসিক পয়েন্টগুলো জানা থাকলে আপনি নিজেই ডিসাইড করতে পারবেন কোন খাবার আপনার বাচ্চাকে দেয়া উচিত আর কোনটা দেয়া উচিত না।
# আপনার বাচ্চাকে সঠিক ফ্যাট খাওয়ান-
বড়দের জন্য লো ফ্যাট ডায়েট খুব জনপ্রিয় একটা ধারণা। এজন্য অনেকে মনে করেন বাচ্চাদের জন্যও হয়তো লো ফ্যাট ডায়েট উপকারী। এটা ভুল ধারণা। আপনার শিশুর সঠিকভাবে বেড়ে উঠার জন্য প্রচুর পরিমাণ চর্বি জাতীয় খাবারের প্রয়োজন। এজন্য বাচ্চাদের স্পেশালি জন্মের পর প্রথম তিন বছর বাচ্চাদের চর্বি জাতীয় খাবারে কোন বিধিনিষেধ নেই। বাচ্চাদের জন্য "লো ফ্যাট ডায়েটের" পরিবর্তে প্রয়োজন "রাইট ফ্যাট ডায়েট।"
বাচ্চাদের জন্য ফ্যাট ডায়েট প্রয়োজনীয় কেন?
√ বাচ্চাদের ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এর জন্য সবচেয়ে প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান হচ্ছে ফ্যাট। জন্মের পর প্রথম তিন বছরে বাচ্চাদের ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এর প্রায় ৯০% সম্পূর্ণ হয়ে যায়। এজন্য এসময় বাচ্চাদের প্রচুর পরিমাণ চর্বি জাতীয় খাবারের প্রয়োজন।
√ আমাদের খাবার থেকে চারটা খুব গুরুত্বপূর্ণ ভিটামিন A, D, E এবং K কে পেট থেকে রক্ত পর্যন্ত পৌঁছে দেয়ার জন্য চর্বি জাতীয় খাবার প্রয়োজন।
√ চর্বি জাতীয় খাবারে প্রচুর ক্যালরি থাকে। কার্বোহাইড্রেট বা প্রোটিন জাতীয় খাবারের প্রায় দিগুণ ক্যালরি থাকে চর্বি জাতীয় খাবারে। বাচ্চাদের পেট যেহেতু ছোট থাকে এবং তারা যেহেতু খায়ও কম এজন্য অল্প খাবার থেকে অনেকবেশি ক্যালরি সাপ্লাই দেয়ার জন্য বাচ্চাদের চর্বি জাতীয় খাবার খুবই প্রয়োজন।
এখন বাচ্চাদের জন্য সঠিক ফ্যাট আসলে কোনটা?
- বাচ্চাদের ব্রেইন ডেভলপমেন্ট এর জন্য ওমেগা ৩ ফ্যাটি এসিড নামে একটা চর্বি জাতীয় খাবার খুব গুরুত্বপূর্ণ। এই ওমেগা ৩ দুইটা সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ সোর্স হচ্ছে বুকের দুধ এবং সামুদ্রিক মাছ। সুতরাং আপনার বাচ্চাকে পর্যাপ্ত পরিমান বুকের দুধ এবং সামুদ্রিক মাছ খাওয়ানোর অভ্যাস গড়ে তুলুন। এছাড়া বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় চর্বি জাতীয় খাবারের অন্যান্য সোর্স হচ্ছে মাংশ, ডিম, দুধ, বাটার জাতীয় খাবার। তবে বিভিন্ন প্রসেসড বা প্যাকেটজাত খাবার যেমন
চিপস, ক্যান্ডি, কুকিযে যে তেল বা চর্বিটা থাকে এটাকে বলা হয় হাইড্রোজেনেড ফ্যাট। এবং এটা বাচ্চার জন্য খুব ক্ষতিকর। সুতরাং বাচ্চাকে লো ফ্যাট ডায়েটের পরিবর্তে সঠিক ফ্যাট ডায়েট খাওয়ান।
# বাচ্চাকে সঠিক কার্বোহাইড্রেট খাওয়ান-
কার্বোহাইড্রেট হল চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার। বাচ্চারা ন্যাচারালি চিনি ও মিষ্টিজাতীয় খাবার পছন্দ করে। এই কার্বোহাইড্রেট বাচ্চাদের জন্য এনার্জির প্রধান সোর্স। আমাদের দৈনন্দিন খাবারের উৎস যেমন চাল, আটা, আলু, ফলমূল এবং অন্যান্য শাকসবজিতে বাচ্চাদের জন্য প্রয়োজনীয় কার্বোহাইড্রেট থাকে। এটা বাচ্চাদের জন্য উপকারী কার্বোহাইড্রেট। বাচ্চাদের খাবারে ন্যাচারাল কার্বোহাইড্রেট এর বাইরে আলাদাভাবে চিনি এড করার কোন প্রয়োজন নেই। এটা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর। ন্যাচারাল ফুডে কার্বোহাইড্রেট প্রোটিন ফ্যাট এবং ফাইবার একসাথে থাকে। ফলে এখান থেকে বাচ্চা একটা সাসটেইনড এবং স্লো রেটে প্রয়োজনীয় এনার্জি পায়। এটা বাচ্চার জন্য উপকারী। অপরদিকে আলাদাভাবে যে কার্বোহাইড্রেট জাতীয় খাবার পাওয়া যায় এগুলা খাওয়ার পর হুট করে বাচ্চাদের রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা বেড়ে যায় আবার কিছুক্ষণ পর হঠাৎ করে কমে যায়। রক্তে গ্লুকোজের মাত্রা হঠাৎ এমন বেড়ে যাওয়া আবার কমে যাওয়া শরীরের জন্য ক্ষতিকর। এজন্য বাচ্চাদের ন্যাচারাল ফুডের বাইরে এক্সট্রা চিনি বা মিষ্টিজাতীয় খাবার দেয়ার প্রয়োজন নেই।
# শিশুকে পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়ান-
একটা বিল্ডিং তৈরির সময় যেমন স্টিলের স্ট্রাকচার ব্যাসিক বা ফাউন্ডেশন হিসেবে কাজ করে তেমনি প্রোটিন আমাদের শরীর গঠনের ফাউন্ডেশন হিসেবে কাজ করে। আমাদের শরীরের বৃদ্ধি ও ক্ষয়পূরণের জন্য প্রোটিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ একটা পুষ্টি উপাদান। জন্মের পর প্রথম দুই বছর পর্যন্ত একটা বাচ্চার ওজনের প্রতি কেজির জন্য ২ গ্রাম করে প্রোটিন প্রয়োজন হয়। অর্থ্যাৎ আপনার বাচ্চার ওজন যদি দশ কেজি হয় তাহলে তার দৈনিক ২০ গ্রাম প্রোটিন লাগবে। প্রোটিন আমাদের সকল খাদ্য উপাদান বিশেষ করে মাছ, মাংশ, ডিমে অনেক বেশী পরিমাণে থাকে। একটা গড়পড়তা ডিমে প্রায় দশ থেকে বারো গ্রাম প্রোটিন থাকে। আবার একশো গ্রাম মাংশে প্রায় ২৫ গ্রাম প্রোটিন থাকে। প্রতি একশো গ্রাম মাছে প্রায় ২০-২২ গ্রামের মত প্রোটিন থাকে। মনে রাখবেন জন্মের পর প্রথম দুই বছর প্রয়োজনীয় প্রোটিন বাচ্চা মায়ের বুকের দুধ, ফর্মুলা দুধ এবং অন্যান্য খাবার থেকেই পেয়ে যায়। সুতরাং অযথা বেশী বেশী মাছ মাংশ বা ডিম খাওয়ার জন্য বাচ্চাকে প্রেসার দিবেন না। বাচ্চার ওজন বুঝে পর্যাপ্ত প্রোটিন খাওয়ান। অযথা বেশী প্রোটিন খাওয়ালে বাচ্চার কনস্টিপেশনের সমস্যা হতে পারে।
# আপনার বাচ্চার একটা হেলদি খাদ্যাভ্যাস তৈরি করুন-
বাচ্চার জন্মের পর প্রথম তিন বছরের মধ্যে যে ধরনের খাদ্যাভ্যাস তৈরি হয় সাধারণত সেটাই সারাজীবন থেকে যায়। এ সময় আপনি আপনার বাচ্চাকে মিষ্টি বেশী খাওয়ালে সে পরবর্তীতে মিষ্টিজাতীয় খাবার বেশী খাবে, লবন বেশী খাওয়ার অভ্যাস করলে বড় হয়েও লবন বেশী খাবে আবার ঝাল জাতীয় খাবারের অভ্যাস তৈরি করলে সে বড় হয়ে ঝাল খাবারই বেশী খাবে। অর্থ্যাৎ প্রথম খাদ্যাভাসটা তার মধ্যে থেকে যাবে। এজন্য বাচ্চাকে অবশ্যই একটা সুষম খাবারের খাদ্যাভ্যাস গড়ে তুলুন। বাচ্চারা কাদামাটির মত। আমরা যেভাবে তাদের অভ্যাস তৈরি করবো তাদের অভ্যাস সেভাবে তৈরি হবে।
# মাথায় রাখবেন ফাইবারের কথাও-
শাকসবজি, ফলমূলের যে অংশটা হজম হয় না সেটাই ফাইবার। এই ফাইবার আমাদের পেটের জন্য অনেকটা ঝাড়ুর কাজ করে। সে যেহেতু হজম হয় না সুতরাং পেটের নাড়িভুঁড়ির মধ্য দিয়ে যাওয়ার সময় সে আমাদের পেটের মধ্যে যত আবর্জনা থাকে সবাইকে ঝাড়ু দিয়ে নিয়ে যায় এবং মল হিসেবে শরীরের বাইরে ফেলে দেয়। বাচ্চাদের একটা খুব কমন সমস্যা হল কনস্টিপেশন। এই কনস্টিপেশনের সমস্যা দূর করার জন্য আপনার বাচ্চাকে প্রয়োজনীয় ফাইবার জাতীয় খাবার এবং পর্যাপ্ত পানি খাওয়ান। ফাইবারের সবচেয়ে বড় উৎস হচ্ছে শাকসবজি এবং ফলমূল। স্পেশালি যেসব ফল খোসাসুদ্ধ খাওয়া যায় সেগুলা বাচ্চাকে খোসাসমেত খাওয়ার অভ্যাস করুন।
# ভিটামিন কেন গুরুত্বপূর্ণ?
সম্ভবত আমাদের প্যারেন্টসরা বাচ্চাদের ভিটামিন নিয়ে সবচেয়ে বেশী ওরিড থাকেন। ডাক্তারের কাছে আসলে বাচ্চাকে একটা মাল্টিভিটামিন সাজেস্ট না করলে তাদের মনে একটা খুতখুতানি থেকে যায়। ছয়মাস বয়স পর্যন্ত মায়ের বুকের দুধে সবধরনের ভিটামিন পর্যাপ্ত পরিমানেই থাকে। ব্রেস্টমিল্কে ভিটামিন ডি একটু কম পরিমাণে থাকলেও ছয়মাস পর্যন্ত সেটা যথেষ্ট। এখন ছয়মাস পর থেকে বাচ্চারা যেহেতু কেবলমাত্র খাওয়া শিখে, দেখা যায় অনেকসময় তারা পর্যাপ্ত খাবার খায় না, আবার অনেক টোডলার কিছু নির্দিষ্ট খাবারই ঘুরেফিরে খায়। তখন বাবা মায়েরা স্বভাবতই টেনশনে পড়ে যান যে আমার বাচ্চা তো বাইরের খাবার সেভাবে কিছুই খাচ্ছে না। তাহলে কী বাচ্চার ভিটামিন ডেফিসিয়েন্সি হওয়ার একটা চান্স থাকে? এ ব্যাপারে আপনারা নিশ্চিন্ত থাকতে পারেন। আপনারা বাচ্চা যদি মায়ের বুকের দুধ বা ফর্মুলা এবং সাথে বাইরের সামান্য কিছু খাবারও খায় সেখান থেকেই সে পর্যাপ্ত ভিটামিন পেয়ে যাবে। তারপরও যদি ভিটামিন নিয়ে কনফিউশনে থাকেন সেক্ষেত্রে একজন রেজিস্টার্ড ডাক্তারের পরামর্শমত বাচ্চাকে একটা মাল্টিভিটামিন খাওয়াতে পারেন। ভিটামিন সি রান্না করলে নষ্ট হয়ে যায়। এজন্য ভিটামিন সি এর জন্য বাচ্চাকে পর্যাপ্ত কাচা শাকসবজি এবং ফলমূল খাওয়ানোর অভ্যাস করবেন।
# অনেকসময় রঙিন শাকসবজি খাওয়ালে বাচ্চার গায়ের কালার রঙিন হয়ে যেতে পারে৷ এতে টেনশনের কিছু নেই। এটা বাচ্চার জন্য ক্ষতিকর কিছু না।
# জানুন মিনারেলের কথাও-
কিছু পুষ্টি উপাদান শিশুর শরীরের জন্য খুব অল্প পরিমাণে লাগে। এগুলাকে মিনারেল বলে। যেমন আয়রন, ক্যালসিয়াম, জিংক, ম্যাগনেসিয়াম এগুলো। এগুলা সাধারণত প্রতিদিনের খাবারে পর্যাপ্ত পরিমানেই থাকে। এজন্য এগুলা নিয়ে আলাদাভাবে টেনশনের কিছু নাই। আপনার বাচ্চা যদি ঠিকঠাক খাওয়াদাওয়া করে তাহলে এগুলার ঘাটতি সাধারণত হয় না। ব্যতিক্রম হচ্ছে আয়রন।
# আয়রনের দিকে স্পেশাল গুরুত্ব দিন-
আয়রন আমাদের শরীরের জন্য খুব ভাইটাল একটা পুষ্টি উপাদান। বাচ্চার শরীরে আয়রনের অভাব হলে বাচ্চার বৃদ্ধি স্লো হয়ে যায়, রুচি কমে যায়, বাচ্চা দুর্বল হয়ে যায়, মেজাজ খিটখিটে হয়ে যায় এমনকি দীর্ঘদিন শরীরে আয়রনের ঘাটতি থাকলে বাচ্চার বুদ্ধিও কমে যেতে পারে। বাচ্চা জন্মের সময় মায়ের পেট থেকে প্রচুর পরিমাণ আয়রন সাথে করে নিয়ে আসে। এই আয়রন মোটামুটি পাঁচ ছয় মাসের মত বাচ্চাকে প্রটেকশন দেয়। এজন্য জন্মের প্রথম ছয়মাস সাধারণত বাচ্চার শরীরে আয়রনের ঘাটতি হয় না। কিন্তু এরপর তার জমানো আয়রন শেষ হয়ে যায়। সাধারণত সব ধরনের খাবারেই যথেষ্ট আয়রন থাকে। কিন্তু সমস্যা হল মায়ের বুকের দুধ থেকে আয়রন যত সহজে আমাদের রক্তে চলে আসে এসব খাবার থেকে এত সহজে আসে না। খুব কম পরিমাণে আসে। এজন্য বাচ্চারা দেখা যায় খুব সহজেই আয়রনের স্বল্পতায় ভূগে। বাচ্চার শরীরে আয়রনের ঘাটতি যাতে না হয় এজন্য আমাদের নিচের কয়েকটা ব্যাপারে স্পেশালি খেয়াল রাখতে হবে-
√ বাচ্চাকে এক বছর বয়সের আগে গরুর দুধ খাওয়ানো শুরু করা যাবে না।
√ মায়ের বুকের দুধ খাওয়ানোর পরপরই অন্য খাবার খাওয়ালে বুকের দুধ থেকে আয়রন সহজে রক্তে যেতে পারে না। এজন্য বুকের দুধ এবং অন্যান্য খাবার খাওয়ানোর মধ্যে কমপক্ষে বিশ মিনিটের গ্যাপ রাখতে হবে।
√ ভিটামিন সি বাচ্চার শরীরে আয়রনের মাত্রা বাড়িয়ে দেয়। এজন্য অন্যান্য খাবারের সাথে বাচ্চাকে বেশী বেশী ভিটামিন সি খাওয়াতে হবে।
দরকার হলে রেজিস্টারড ডাক্তারের পরামর্শ মত বাচ্চাকে আয়রন সিরাপ খাওয়াতে হবে।
# বাচ্চার পেট বুঝে খাবার দিন-
বাচ্চার পেট অনেক ছোট। রাফলি ধরলে বাচ্চার মুষ্ঠির সমান। এই ছোট পেট আজেবাজে খাবার খেয়ে ভরিয়ে রাখলে বাচ্চা প্রয়োজনীয় পুষ্টি উপাদান থেকে বঞ্চিত হবে। এজন্য যখনই সুযোগ পাবেন বাচ্চাকে হাই ক্যালরিযুক্ত পুষ্টিকর খাবার খাওয়াবেন।
# বাচ্চাকে হালকা পাতলা রাখুন-
ছোটবেলায় বাচ্চার ওজন বেশী হলে কী সেই বাচ্চা বড় হয়েও ওজন বেশী হবে? উত্তর হচ্ছে, না। একটা বাচ্চা বড় হলে ওজন বেশী হবে কী না এটা আসলে অনেকগুলো ফ্যাক্টরের উপর নির্ভর করে। তবে যেসব বাচ্চার ওজন ছোটবেলায় বেশী থাকে পরবর্তীতে তাদের ওজন বেশী হওয়ার সম্ভবনা বেশী থাকে। এজন্য বাচ্চাকে সুস্থ স্বাভাবিক রাখতে তাকে অতিরিক্ত ওজন পরিহার করে হালকা পাতলা রাখার চেষ্টা করুন।copied
প্রায় আমাদের কাছে রোগী আসে,সেটা হোক মেডিকেলের আউটডোরে বা প্রাইভেট চেম্বারে,বিশেষ করে মহিলা রোগীরা-যাদের কানের লতি বা যে জায়গা গুলোতে কান ফোড়ায় সে জায়গাতে গুটলীর মত গোল গোল টিউমার টাইপ হচ্ছে।
রোগীরা এসে ভয়ে ভয়ে জিজ্ঞাসা করে
-এগুলা কি??
-এগুলা কি টিউমার কিনা??
-এটা থেকে পরিত্রান কিভাবে পাবে??
অনেকে আবার শুরুতে পাত্তা দেয়না।ফলে কানের ছিদ্রগুলোর চারপাশ ফুলে যেতে থাকে। অনেক মহিলাই পারিবারিক চাপে ব্যথা বা ঘা হওয়া সত্তেও ওই গুটলীর উপর কানের দুল পরে থাকেন,যা তা সমস্যাকে আরো তরান্বিত করে।তখন কানের ফোলাগুলো বা গুটলী সাইজে বাড়তে থাকে। এর মধ্যে আশপাশের সবার বুদ্ধিতে কানে উল্টোপাল্টা ওষুধ লাগানো হয়, ফলে কানের ফোলাতে ঘা দেখা দেয়।
তবে ইদানীং কিছু ছেলে রোগীর ও দেখা মিলছে,যারা "ইস্টাইল" এর কারণে কান ফোড়ায় আজে বাজে জায়গায়। এরপর গুটলী ইনফেকশন নিয়ে আসে।
😶🌫️এগুলো আসলে কি???
🤠চিকিৎসাবিজ্ঞানের ভাষায় এগুলোকে বলা হয় ‘কিলয়েড’ (Keloid)। অনেকের শরীরের ত্বকের গঠনই এ রকম যে কোনো ক্ষত বা আঘাতের স্থানের ত্বক সুস্থ হতে থাকলে সেখানে এ ধরনের ত্বকে মোটা গোটা তৈরি হয়, যা দিন দিন আকারে বাড়তে থাকে। সাধারণত কানের লতিতে, কানের পাশে, নাভিতে, বুকের মাঝে ছিদ্র করা হলে সেখানে এ ধরনের গোটা হতে পারে।
😶🌫️এরকম হলে কী করা উচিত??
🤠 এটা কানের খুবই সাধারণ একটি রোগ। তাই এটা নিয়ে দুশ্চিন্তার প্রয়োজন না হলেও একে হেলা করা যাবেনা একদমই।
👉সবচে যেটা জরুরি তা হলো স্বপ্নে পাওয়া ওষুধ, অজ্ঞাত ওষুধ, হোমিও বা আজেবাজে অচিকিৎসা কুচিকিৎসা বা কুপরামর্শ অনুযায়ী কোনো কিছু ব্যবহার করবেন না। এতে কানের চামড়া স্থায়ীভাবে নষ্ট হয়ে যেতে পারে। কানের সংক্রমণ হয়ে যদি কোনভাবে তরুনাস্থিকে (কানের নরম হাড়) ইনভলভ করে ‘পেরিকন্ড্রাইটিস’ হয়,তাহলে পুরো কানের আকার পরিবর্তিত হয়ে যেতে পারে।যা নিয়ে ভোগা লাগতে পারে দীর্ঘদিন
👉 সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো,আপনার নাক-কান-গলার চিকিৎসকের পরামর্শ নিন।উনিই আপনাকে সবচে ভালো পরামর্শ এবং চিকিৎসা দুটোই দিতে পারবেন।
🤠চিকিৎসা পদ্ধতি
👂সাধারণত আমাদের দেশে যে চিকিৎসা প্রচলিত আছে তা হলো, যত্নের সঙ্গে কানের চামড়া যতটুকু রাখা যায়, ততটুকু রেখে এই গুটলী বা ফোলাগুলো কেটে ফেলা। কাটা অংশের চামড়া সেলাই করে জুড়ে দেওয়া হয়। এক সপ্তাহ পর সেলাই কাটা হয়। গুটলী কাটানোর ১৪ দিন পর চামড়া পুরোপুরিভাবে ভালো হয়ে গেলে স্টেরয়েড ইনজেকশন দেওয়া হয়। প্রতি মাসে একটি করে, প্রতি অপারেশনের স্থানে, ছয় মাসে ছয়বার। এর ফলে সেলাইয়ের স্থানে পুনরায় গোটা হওয়ার সম্ভাবনা কম থাকে।
👂উন্নত দেশে অনেক সময় ফের গুটলী হওয়া ঠেকাতে রেডিওথেরাপি দেওয়ারও চল আছে।আমাদের দেশেও কর্পোরেট হাস্পাতালগুলোর কোথাও কোথাও এই প্রচলন আছে।তবে তা বেশ খরচা সাপেক্ষ বিধায় জনপ্রিয় নয়।
👂এছাড়া আরো কিছু ঘরোয়া টেকনিক এপ্লাই করলে কেলয়েড হবার সম্ভাবনা কিছুটা কমে
■ কানে ছিদ্র করার পর ভ্যাসলিন লাগালে ক্ষতস্থান বেশি সময় ধরে আর্দ্রতা ধরে রাখতে পারে। এতে কিলয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
■ এ ছাড়া অতিরিক্ত পিয়ার্সিং বা নাক-কান ফোঁড়ানো থেকে বিরত থাকা।
■ ক্ষতস্থানে প্রেশার ব্যান্ডেজ ব্যবহার করলে কিলয়েড হওয়ার আশঙ্কা কমে যায়।
■ কিলয়েড বড় হতে ছয়-সাত মাস সময় লাগে। তাই প্রাথমিক পর্যায়ে চিকিৎসকের কাছে গেলে ভালো ফল আশা করা যায়
😎সুস্থ থাকার জন্য সবচে জরুরি হচ্ছে রোগটা নিয়ে কোথায় গেলে,কোন বিভাগে গেলে -সেটা হোক সরকারি হাস্পাতালের আউটডোর,প্রাইভেট চেম্বার বা কর্পোরেট হাস্পাতাল,ভালো থাকবেন সেটা জানা।শরীর আপনার,সিদ্ধান্ত ও আপনাকে নিতে হবে।
🥸সবাইকে শুভরাত্রি। অপচিকিৎসা নিপাত যাক সুস্থ ও ভালো থাকুন
ডা মারযূক
এমএস রেসিডেন্ট
ফেইজ বি
নাক কান গলা বিভাগ
ঢামেকহা
১০ ই অক্টোবর বিশ্ব মানসিক স্বাস্থ্য দিবস। মনের সমস্যা মনের ভিতর রাখতে নেই।নিমোক্ত লক্ষন যখনই দেখা যাবে সাথে সাথেই ডাক্তার এর পরামর্শ নিতে দেরি করবেন না।মানসিক রোগ অন্যান্য রোগের মত একধরনের রোগ।ছোট করে দেখার সুযোগ নেই।
আগামীকাল সকাল ৯ঃ০০ হতে ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পের ব্যবস্থা করা হয়েছে। লোকেশানঃ কামালপুর বাজার, ডিবিগ্রাম ইউনিয়ন, চাটমোহর, পাবনা।
Please consultant with ent doctor if any below these problems
এডিনয়েড বা নাকের পিছনের টনছিলঃ
এডিনয়েড হচ্ছে নাকের পিছনের টনসিল যা বড় হলে (সাধারনতঃ২ বছর থেকে ৮ বছরের) শিশুকিশোরদের মধ্যে অনেক রকমের উপস্বর্গ দেখা দেয়। এই উপসর্গগুলাের মধ্যে কান পাকা রােগ খুবই বেশী এবং সময়মত চিকিৎসা না করালে পরবর্তীতে মারাত্মক আকার ধারণ করে।
কাঠামোগত মধ্যকর্ণের সাথে নাকের পিছনের দুপাশে দুটি সংযােগনালী রয়েছে, যার নাম ইউষ্টেশিয়ান টিউব । এই ইউষ্টেশিয়ান টিউবের কাজ হল বাইরের বায়ুর চাপের সাথে মধ্যকর্ণের বাতাসের চাপের সমন্বয় সাধন করা অর্থাৎ প্রয়ােজনবােধে বাহিরের বাতাশ সংযােগনালীর মাধ্যমে মধ্যকর্ণে প্রবেশ করে মধ্যকর্ণের স্বাভাবিক পরিবেশ তৈরী করে। এর জন্য এই টিউবকে ভেন্টিলেশন টিউবও বলা হয়ে থাকে। স্বাভাবিক অবস্থায় এ টিউব বন্ধ অবস্থায় থাকে কিন্তু যখনই প্রয়োজন হয় তখনই খুলে যায়। সাধারণতঃ এ টিউব খুলে ঢোক গিলার সময়, হাই তোলার সময় কিংবা কিছু চিবানাের সময় । যাঁরা বিমান ভ্রমনে অভ্যস্ত তারা সহজেই এ উপসর্গ উপলব্ধি করতে পারেন। বিমানে উঠা বা নামার সময় অনেকের কান বন্ধ হয়ে যায় বা তালা লেগে যায় আবার ঢোক গিললে, চুইংগাম চিবুলে বা কোন প্রকারে কানে বাতাস দিলে কান পরিস্কার হয়ে যায়। সুতরাং এই টিউবের কাজের উপর মধ্যকর্ণের স্বাভাবিক কাজকর্ম নির্ভর করে।
এডিনয়েড বা নাকের পিছনের টনসিল বড় হলে ইউস্টেশিয়ান টিউবের মুখে চাপ প্রয়ােগ বা বন্ধ করে ইষ্টেশিয়ান টিউবের স্বাভাবিক কার্যক্ষমতার বাধার সৃষ্টি করে। এডিনয়েডের সাথে ইউষ্টেশিয়ানের সম্পর্ক হল ইউষ্টেশিয়ানের একটি মুখ নাকের পিছনের দিকে এডিনয়েডের সন্নিকটে এবং অপরটি মধ্য কর্নে থাকে। এডিনয়েডের অতি সন্নিকটে অবস্থান বিধায় এডিনয়েড বড় হলে সহসায় ইউষ্টাশিয়ান টিউব বন্ধ হয়ে যায় এবং মধ্যকর্ণে বাতাস চলাচল বিঘ্নিত হ'য়ে নানান রােগ সৃষ্টি করে। তার মধ্যে কানে পানি জমা রােগ বা Otitis Media with effusion (OME), সংকটজনক (Acute ) বা দীর্ঘস্থায়ী(Chronic ) মধ্যকান পাকা রােগ ইত্যাদি উল্লেখযােগ্য। ইউষ্টেশিয়ান টিউব কিন্তু শিশুকিশােরদের ছাড়াও অর্থাৎ এডিনয়েড না থাকলেও বড়দেরও বন্ধ হতে পারে। যেমন-স্বাভাবিক সর্দি জ্বর, নাকের অ্যালার্জিজনিত রােগ, নাকের মধ্যে টিউমার বা নাকের পিছনে ইউষ্টাশিয়ান টিউবের অাশপাশে টিউমারজাতীয় রােগ ইত্যাদির কারনে ।
যা হােক, এডিনয়েডের কারনে কানের প্রদাহজনিত রােগ বেশী দেখা যায় এবং কানে পানি জমা রােগের আনুপাতিক হার অনেক বেশী-এটি শিশু-কিশােরদের শ্রবণশক্তি লােপ পাওয়ার অন্যতম কারন।
এই রােগে মধ্যকানে পানি জাতীয় তরল পদার্থ কিংবা আঠালাে পদার্থ জমা হয়ে কানের মধ্যে শব্দ চলাচলে ব্যাঘাত সৃষ্টি করে। এই রােগের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলাে, যেহেতু এ রােগ অত্যন্ত আস্তে আস্তে বিস্তার লাভ করে এবং কান থেকে পুঁজ জাতীয় বা পানি নির্গত হয় না। তাই পিতা মাতা বা অভিভাবকগণের অগােচরে এ রােগ দীর্ঘদিন থেকে যায় । এ রােগ নির্ণয় হয় তখনই, যখন শিশুরা কানে কম শােনে, স্কুলের পাঠে অমনােযােগী হয়, শিক্ষকের কথা ঠিকমত অনুসরণ করতে না পারা, ভাষা শিক্ষায় বিঘ্নিত হওয়া এবং সাভাবিক বুদ্ধিবৃত্তি ও মানসিক বিকাশ না হওয়া ইত্যাদি। এছাড়াও শিশুকিশােরদের খাবারের প্রতি অনীহা, খিটখিটে মেজাজ বা শিশুর স্বাভাবিক বেড়ে না ওঠা ইত্যাদি।
রােগের লক্ষণঃ
রােগের লক্ষণ মূলতঃ ২ ভাবে দেখা দিতে পারে। অর্থাৎ এডিনয়েড বড় হওয়ায় নাক ও কান বন্ধের কারণে। এবং কানের প্রদাহজনিত রােগের কারণে।
কান ও নাক বন্ধ হওয়ার কারণে
১. কান বন্ধ থাকে।
২. মুখ হা করে শিশুর ঘুমানো
৩. নাক ডাকা
৪. মুখ থেকে লালা নির্গত হয়ে বালিশ ভিজিয়ে দেয়া।
৫. নাক থেকে পুঁজ বা পানি জাতীয় পদার্থ নির্গত হওয়।
৬. মাথা ব্যথা।
৭. খাবারের প্রতি অনিহা।
৮. সামনের দাঁত বড় বা বেমানান দেখানাে
৯. ঠোঁট মােটা ইত্যাদি।
কানের প্রদাহজনিত কারণে মূল লক্ষণ হচ্ছে
১. কানে কম শােনা।
২. কান ব্যথা
৩, কান বন্ধ থাকা।
৪. কানে শোঁ শোঁ আওয়াজ করা।
৫. মাথা ঘােরা ।
৬. কান থেকে পুঁজ বা পানি জাতীয় পদার্থ নির্গত হওয়া
৭. কান চুলকানাে বা কান ধরে টানাটানি করা ইত্যাদি ।
সুতরাং এধরনের উপসর্গ দেখা দিলে কালবিলম্ব না করে চিকিৎসকেরপরামর্শ নিতে হবে।
Prof.Ashraful Islam sir
📝"মাথাটা এতটা হালকা লাগছে,নাক দিয়ে এত বাতাস যে ঢোকে তা আগে কখনোই বুঝতে পারিনি।ধন্যবাদ আপনাদের পুরো সার্জারি টিমকে।"📩
ডেভিয়েটেড ন্যাসাল স্যাপটাম (DNS) তথা নাকের বাঁকা হাড়জনিত সমস্যার কারণে প্রচন্ড মাথা ব্যাথা,মাথা ধরা,ও নাকের পাশে ব্যথা নাকের ভেতরে জলা, নাক বন্ধজনিত কারণে শ্বাস নিতে সমস্যা হওয়া,মুখ হাঁ করে নিঃশ্বাস নেয়া,অল্পবয়সে নাক ডাকা ইত্যাদি সমস্যায় ভুগে অবশেষে আমাদের ইউনিট-২ টিম দ্বারা আশ্বস্ত হয়ে অপারেশন করিয়েছেন লালবাগ এলাকার ২৮ বছর বয়সী যুবক মহররম হোসেন ।মেসেজটা তারই পাঠানো।
নাকের হাড় বাঁকা (DNS) খুবই সাধারণ একটি স্বাস্থ্য সমস্যা। বাংলাদেশের মত আদ্র আবহাওয়া ধূলোবালিতে পূর্ন দেশে প্রায় ৭০-৮৫ শতাংশ মানুষেরই নাকের হাড় অল্প-স্বল্প বাঁকা থাকে। যদি এই হাড় বাঁকাজনিত কারণে আপনার কোনো উপসর্গ না দেখা দেয়, দৈনন্দিন জীবনে কোন সমস্যা অনুভব না করেন- তাহলে এটি তেমন কোনো সমস্যাই নয়।আপনি এই বাঁকা হাড় নিয়ে স্বাভাবিক জীবন যাপন করতে পারবেন। তবে আপনার নাকের মাঝখানের হাড় যদি অতিরিক্ত বাঁকা হয় এবং আপনার প্রাত্যহিক জীবনে যদি তা সমস্যা তৈরি করে তাহলে একজন নাক, কান, গলা বিভাগের চিকিৎসক এর পরামর্শ অনুযায়ী নাকের হাড় বাঁকার অপারেশনের প্রয়োজন হতে পারে।
* নাকের হাড় বাঁকা থাকলে কী কী সমস্যা হতে পারে তা নিয়ে আলোচনা করছি আমি ডা আবদুল্লাহ আল মারযূক
👃নাক বন্ধ মনে হতে পারে কারণ বাঁকা অংশে বাতাস চলাচলের পথ সরু থাকে।
👃নাকের হাড়টা যেদিকে বাঁকা, সেই পাশে শ্বাস নিতে কষ্ট হয়।
👃মাথাব্যথা, মাথা চাপ দিয়ে ধরে রেখেছে এই টাইপ অনুভূতি হয়
👃সবসময় সর্দিভাব থাকে,নাক দিয়ে পানি ঝরে
👃হাড় বাঁকার কারণে নাক দিয়ে রক্তপাত হতে পারেএবং নাকের ভেতরে ইনফেকশন হতে পারে।
👃হাড় বাঁকার কারণে সাইনাস ইনফেকশনের সময় নিঃসৃত হওয়া শ্লেষ্মা (পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপ) রোগীর নাকের পিছনে অথবা গলায় জমা হতে পারে। এই পোস্ট ন্যাসাল ড্রিপের শ্লেষ্মা জমা হওয়ার ফলে কণ্ঠস্বরের পরিবর্তন, গলায় অস্বস্তি, গলাব্যথা, ঘ্রাণানুভূতি হারানো অথবা প্রায়সময় গলা পরিষ্কার করার প্রয়োজন হতে পারে,যেটাকে আমরা গলার খাঁকারি বলি।
👃নাক দিয়ে শ্বাস নিতে না পারার কারণে রোগী নাক ডাকে, ঘুমের মধ্যে মুখ শুকিয়ে যায়।
👃 এমনকি কানেও তালা লাগার মতো সমস্যা হতে পারে।
* চিকিৎসা
নাকের হাড় বাঁকা থাকলে চিকিৎসক নাকের এক্সরে,এলার্জিজনিত পরীক্ষা, ইনফেকশন দেখার জন্য পরীক্ষা করাতে পারেন এবং সে অনুযায়ী আপনাকে নাকের স্প্রে,ড্রপ,এন্টিহিস্টামিন এমনকি এন্টিবায়োটিক দিতে পারেন।
যদি এই হাড় বাঁকার কারণে সৃষ্ট সমস্যা প্রাথমিকভাবে ওষুধ দ্বারা সমাধান না হয় এবং আপনি সবসময় ড্রপ , এন্টিহিস্টামিন ব্যবহারের উপরে থাকেন সেক্ষেত্রে অপারেশনের দরকার পড়ে।কারণ অপারেশন ব্যাতীত অন্য কোন মাধ্যমে একে ঠিক করে নেয়া তখন সম্ভব হয়না। এক্ষেত্রে সার্জারির বিকল্প নেই।
আমাদের নাকের মাঝখানের পার্টিশন কয়েকটি হাড় এবং কার্টিলেজের (তরুনাস্থি)সমন্বয়ে গঠিত। বেঁকে যাওয়া সেপটাম (নাকের মধ্যাংশ) অর্থাৎ নাকের পার্টিশন সোজা করতে এবং নাকের মধ্যকার বাতাস চলাচল সহজ করতে যে সার্জারি করা হয় তাকে সেপ্টোপ্লাস্টি বলা হয়। তবে বয়সভেদে অপারেশনের ধরনেও রয়েছে ভিন্নতা। অপারেশনের পর ২৪ ঘণ্টার জন্য রোগীর নাকের ভেতরে প্যাক দেওয়া হয়, এ সময়ে রোগীকে আগে থেকে কাউন্সিলিং করা হয় মুখ দিয়ে শ্বাস-প্রশ্বাস নেওয়ার জন্য।
* অপারেশন নিয়ে ভ্রান্ত ধারণা
আমাদের মন এখনো কুসংস্কারে ভরা, তাই আধুনিক যুগে এসেও নাকের হাড় বাঁকায় কবিরাজি চিকিৎসা গ্রহণ করে অজান্তে নিজের ক্ষতি করে থাকেন। অনেকের মধ্যে একটি ধারণা কাজ করে, নাকের হাড় বাঁকার অপারেশন করলেও রোগটি আবার হতে পারে। তবে ধারণাটি একদম সঠিক নয়। ভালোভাবে দক্ষ সার্জনের মাধ্যমে অপারেশন করা হলে এবং অপারেশন পরবর্তী নির্দেশনা গুলি ভালোমতো মেনে চললে রোগী অবশ্যই সম্পূর্ণ সুস্থ হয়।
ছবি ১-এক্সরে পিএনএসে দেখা যাচ্ছে রোগীর হাড় ডান দিকে বাঁকা একই সাথে তার বামদিকে ম্যাক্সিলারি সাইনুসাইটিস আছে।copied
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Contact the practice
Telephone
Website
Address
Ataikula Road
Pabna, 6600
Dr.Md.Rahmotullah MBBS,CMU(Ultra) BMDC Reg No:A-91961 General Physician
বিশ্বাস ভবন (জুবলী ট্যাংকের উত্তর পার্শ্বে) আতাইকুলা রোড, পাবনা।
Pabna, 6600
কম খরচে, মানসম্মত স্বাস্থ্যসেবা
Shamsh Plaza, Chatmohor Bus Stand, Chatmohor
Pabna
হামদর্দের যেকোন প্রোডাক্ট হোম ডেলিভা
Chatmohar Upozila Health Complex
Pabna, 6600
Dr. Md. Mobarok Hossain MBBS (Mymensingh Medical College) BCS (Health) Medical Officer UHC,Chatmohar.
আতাইকুলা বাজার, ডেমরা রোড, পাবনা
Pabna, 880
To keep a healthy oral hygiene come to my chamber
Abdul Hamid Road
Pabna
রেজিস্ট্রার,ডায়াবেটিস,হরমোন ও মেডিসিন বিভাগ পাবনা ডায়াবেটিক হাসপাতাল