Shandhany Pharmacy
You may also like
"সন্ধানী ফার্মেসি" রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সুনামের সাথে সেবা দিয়ে আসছে।
2012 সালের দিকে ...
রাসায়নিক দিক থেকে ঔষধ একটি ক্রিয়াশীল পদার্থ। তাই বলা হয়, নির্দিষ্ট মাত্রায় ও নির্দিষ্ট রোগে ব্যবহৃত না হলে ঔষধ পরিণত হয় বিষে। তা কেড়ে নিতে পারে একাধিক জীবন। ঔষধের যৌক্তিক ব্যবহার তাই একটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হয়ে দাড়িয়েছে।[৭]
পথ্য হিসেবে ঔষধ
ঔষধ যদি কোনো রোগ নির্ণয়ে (diagnosis), আরোগ্যে (cure), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) নির্দিষ্ট ডোসেজ ফরমে (dosage form) ব্যবহার করা হয় তখন তাকে বলা হয় পথ্য (medicine/medication)।[১৩][১৪]
ঔষধের বিনোদনমূলক ব্যবহার (recreational drug use) বলতে বোঝায়, ঔষধকে বিনোদনের উদ্দেশ্যে ইচ্ছাকৃতভাবে ব্যবহার করা। কোনো নিয়ন্ত্রিত দ্রব্যকে (controlled substance) কারো মানসিক অবস্থা পরিবর্তনের জন্য ডাক্তারের পরামর্শ বা পর্যবেক্ষণ ছাড়া ব্যবহার করা হলে সেটি তার বিনোদনমূলক ব্যবহার হবে।[১৫] সাধারণত অ্যালকোহল, নিকোটিন (তামাক), ক্যাফেইন (চা, কফি) এবং জাতিসংঘের সিংগেল কনভেনশন অফ নারকোটিক ড্রাগস এবং কনভেনশন অফ সাইকোট্রপিক সাবস্টানসেস অর্ন্তগত ঔষধসমূহের বিনোদনমূলক ব্যবহার রয়েছে।[১৬] সাইকোফার্মাকলোজিস্ট রোনাল্ড কিথ সিয়েগেল অবশ্য একে তুলনা করেন মানুষের অপর তিনটি উদ্যমের সাথে: ক্ষুধা, তৃষ্ণা এবং আশ্রয়। তাই, তার মতে, এই ঔষধসমূহের প্রতি তীব্র এবং স্থায়ী আসক্তি এগুলোকে ব্যবহারকারীর কাছে খাদ্য, পানি এবং আবাসস্থলের মতো গুরুত্বপূর্ণ করে তুলেছে।[১৭]
নিদানতাত্ত্বিক ঔষধবিজ্ঞান
চিকিৎসাবিজ্ঞানের শাখা যা আলোচনা করে জীব ও মানবদেহের ওপর চিকিৎসার প্রভাব। ইংরেজিতে "ক্লিনিকাল ফার্মাকোলজি" বলা হয়।
স্নায়ু-ঔষধবিজ্ঞান
স্নায়ুতন্ত্রের কার্যকারিতার ওপর ঔষধের প্রভাব সম্পর্কিত শাখা। ইংরেজিতে "নিউরোফার্মাকোলজি" বলা হয়।
মনোঔষধবিজ্ঞান
মন তথা মস্তিস্কের উপর ঔষধের ক্রিয়া ও এর প্রভাব পর্যবেক্ষণ, আচরণগত পার্থক্য নির্ণয় ও শারীরতাত্ত্বিক প্রভাব পর্যবেক্ষণ, ইত্যাদি এ শাখার আলোচ্য বিষয়। ইংরেজিতে "সাইকোফার্মাকোলজি" বলা হয়।
ঔষধমাত্রাবিজ্ঞান
কিভাবে ঔষধের মাত্রা নির্ধারণ করা হয় সে সম্পর্কিত জ্ঞান। নির্ভর করে রোগীর বয়স, ভর, লিঙ্গ, আবহাওয়া ইত্যাদির উপর। ইংরেজিতে "পোসোলজি" বলা হয়।
ভেষজ ঔষধবিজ্ঞান
ভেষজ গুনাগুণ সম্পন্ন উদ্ভিদ বা প্রাণীজ পদার্থ থেকে চিকিৎসাগত দ্রব্যাদির আহরণ ও প্রক্রিয়াজাতকরণ, সংরক্ষণ, বাজারজাতকরণ, সুষ্ঠু বণ্টন ও বিতরণ ইত্যাদি এর আলোচ্য বিষয়। ইংরেজিতে "ফার্মাকগনসি" বলা হয়।
ঔষধ-বংশাণুবিজ্ঞান
বিভিন্ন জাত, বিভাগ, বর্ণ তারতম্য ভেদে ঔষধের প্রভাবের পার্থক্য নিরূপণ করা এবং এগুলোর উপর ভিত্তি করে সঠিক পরিমানের ও সর্বনিম্ন প্রতিক্রিয়াযুক্ত ঔষধ নির্বাচন করা এই শাখার প্রধান বিষয়। ইংরেজিতে "ফার্মাকোজেনেটিক্স" বলা হয়।
ঔষধ-জিনোমবিজ্ঞান
ঔষধ প্রযুক্তিতে জিন প্রযুক্তির ব্যবহার সম্পর্কে আলোচনা। এই সম্পর্কিত বিদ্যমান ঔষধের উন্নয়ন এবং নতুন ঔষধ আবিস্কারের নিমিত্তে গবেষণা। ইংরেজিতে "ফার্মাকোজিনোমিক্স" বলা হয়।
চিকিৎসাবিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে উজ্জ্বল যুগ হচ্ছে ঊনবিংশ এবং বিংশ শতক। এই দুই শতকে বিজ্ঞানের অন্যান্য সব শাখার ন্যায় চিকিৎসাবিজ্ঞানেও বিপ্লবাত্মক সব আবিষ্কার হয়। বিশেষ করে বিংশ শতকের প্রথমার্ধে সংঘটিত দুই দুটি বিশ্বযুদ্ধ চিকিৎসাবিজ্ঞানের উন্নতিতে ব্যাপক ভূমিকা রাখে। যুদ্ধকালীন প্রয়োজনেই আবিষ্কার হয় বহু চিকিৎসাকৌশল।
১৭৬১ সালের দিকে পশু চিকিৎসা ব্যাবস্থা শুরু হয়েছিল যা মানবদেহের চিকিৎসা ব্যাবস্থা থেকে একটু পৃথক ছিল। ফ্রান্সের পশু চিকিৎসক ক্লড বুগ্রেল্যাট ফ্রান্সের লায়নে বিশ্বের প্রথম পশুচিকিৎসা স্কুল প্রতিষ্ঠা করেছিলেন। এই আগে মেডিকেলের ডাক্তারাই মানুষের এবং অন্যান্য প্রাণীর চিকিৎসা করতো।
আধুনিক বৈজ্ঞানিক বায়োমেডিকাল গবেষণা (যেখানে ফলগুলি পরীক্ষাযোগ্য এবং প্রজননযোগ্য হয়)শুরু হয়েছিল পশ্চিমা ঐতিহ্য ভেষজের উপর ভিত্তি করে। প্রথম দিকে গ্রীক "four humours" এর পরিবর্তে এবং পরে অন্যান্য ধরনের প্রাক-আধুনিক ধারণার পরিবর্তন শুরু হতে থাকে । আধুনিক যুগ আসলে শুরু হয়েছিল ১৮ শতকের শেষের দিকে এডওয়ার্ড জেনারের smallpox এর ভ্যাকসিন আবিষ্কার (এশিয়ায় প্রচলিত টিউশুর পদ্ধতির দ্বারা অনুপ্রাণিত), ১৮৮৮ সলে রবার্ট কোচের ব্যাকটেরিয়া দ্বারা রোগের সংক্রমণের আবিষ্কার তারপর ১৯০০ এর কাছাকাছি এন্টিবায়োটিকের আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে ।
Medicines are not the only things that keep a man alive
Love and affection as well
৭৫০ খ্রিষ্টাব্দের পর মুসলিম বিশ্বের হাতে ছিল হিপোক্রেটস, Galen এবং Sushruta আরবি অনুবাদিত অনুলিপি । তাছাড়া ইসলামী চিকিৎসকগণ কিছু গুরুত্বপূর্ণ চিকিৎসা গবেষণার সাথেও জড়িত ছিল। উল্লেখযোগ্য ইসলামিক চিকিৎসা অগ্রগামীদের মধ্যে রয়েছে ফারসি আভিসিনা, ইমহোটেপ ও হিপোক্রেটসের সাথে তাকেও "মেডিসিনের জনক" বলা হয়। তিনি কানুন অফ মেডিসিন গ্রন্থটি রচনা করেছিলেন যা চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইতিহাসে সবচেয়ে বিখ্যাত বইগুলির মধ্যে একটি বলে গণ্য করা হয়। এছাড়া আবুলকাসিস, আভেনজার, ইবনে আল নাফিস, এবং আভিরোস ও তাদের অন্তর্ভুক্ত ছিলেন। Rhazes গ্রিক theory of humorism নিয়ে প্রথম প্রশ্ন করেছিল, যা মধ্যযুগীয় পশ্চিমা ও মধ্যযুগীয় ইসলামী চিকিৎসা পদ্বতিতে খুবই প্রভাবশালী ছিল। শিয়া মুসলমানদের অষ্টম ইমাম আলি-আল-রাধা Al-Risalah al-Dhahabiah রচনা করেছিলেন যা আজ অবধি চিকিৎসা বিজ্ঞানের সবচেয়ে মূল্যবান ইসলামি সাহিত্য হিসেবে সম্মানিত। ফারসি বিমরস্তান হাসপাতালগুলি পাবলিক হাসপাতালগুলির মধ্যে প্রাথমিক উদাহরণ হিসাবে গণ্য করা হয়।
তবে, চৌদ্দ এবং পঞ্চদশ শতকের কালো মৃত্যু মধ্যপ্রাচ্য ও ইউরোপ উভয়কেই ধ্বংস করে দিয়েছিল । তাছাড়া তর্কবিতর্ক করা হয়েছিল যে মধ্যপ্রাচ্যের তুলনায় পশ্চিম ইউরোপ সাধারণত আরও বেশি কার্যকর ছিল রোগ মুক্তির জন্য । প্রাক আধুনিক যুগে, চিকিৎসা বিদ্যা এবং শরীর বিদ্যা বিষয়ে গুরুত্বপূর্ণ প্রাথমিক পরিসংখ্যান ইউরোপে আবির্ভূত হয়েছিল, যার মধ্যে Gabriele Falloppio এবং William Harvey এর নাম অন্যতম।
ঔষধের ক্রিয়া
মূল নিবন্ধ: ফার্মাকোলজি
ঔষধ জীবদেহের উপর কী ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে সে সম্পর্কে বিজ্ঞানের বিশেষ শাখা ফার্মাকোলজি আলোচনা করে। এখানে দেখানো হয়: বিভিন্ন মাত্রায় (dose) ঔষধ একাধারে রোগনিরাময়কারী (therapeutic) আবার বিষাক্তও (toxic) হতে পারে। ফার্মাকোলজির দুইটি শাখা:
ফার্মাকোকাইনেটিক্স (pharmacokinetics): এটিতে কোনো ঔষধের শোষণ (absorption), বিস্তৃতি (distribution), বিপাক (metabolism) এবং রেচনের (excretion) হার এবং পরিমাণ সম্পর্কে আলোচনা করা হয়।[১১]
ফার্মাকোডিনামিক্স (pharmacodynamics): এটিতে কোনো ঔষধ শরীরে প্রবেশ করার পর তা কিভাবে নানা শারীরিক ক্রিয়া-প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করে তা নিয়ে আলোচনা করা হয়।[১২]
বিজ্ঞান এবং প্রযুক্তির উন্নয়নের সাথে সাথে চিকিৎসা ব্যাবস্থা ও ঔষধের উপর নির্ভরশীলতা বাড়তে থাকে । ইউরোপ জুড়ে অষ্টাদশ শতকের শেষের দিকে কেবল পশু ও উদ্ভিদজাত দ্রব্যই ঔষধ হিসেবে ব্যবহৃত হয় নি সাথে সাথে মানুষের দেহের অংশ এবং তরলও ব্যবহৃত হয়েছিল। ফারমাকোলজি বিকশিত হয়েছে হারবালিজম থেকে এবং কিছু কিছু ঔষধ (এট্রোপাইন, এফ্রেডিন, ওয়ারফারিন, অ্যাসপিরিন, ডাইগক্সিন, ভিনকা অ্যালকোলোড, ট্যাকোলোল, হাইস্কিন ইত্যাদি) এখনও উদ্ভিদ থেকে থেকে প্রস্তুত হয়। এডওয়ার্ড জেনার এবং লুই পাস্তুর টিকা আবিষ্কার করেছিলেন।
প্রথম অ্যান্টিবায়োটিকটি ছিল অ্যারফেনামাইন (সালভারসন) যা ১৯০৮ সালে পল এরিলিচ আবিষ্কার করেন। তারপর তিনা আবিষ্কার করেন ব্যাক্টেরিয়া যে বিষাক্ত রঞ্জন গ্রহণ করে মানুষের কোষে তা করেনা। প্রথম এবং প্রধান এন্টিবায়োটিকস হলো সালফা ওষুধ যা জার্মান রসায়নবিদ azo dyes থেকে সংগ্রহ করেছিলেন ।
ফার্মাকোলজি ক্রমবর্ধমানভাবে অত্যাধুনিক হয়ে উঠেছে; আধুনিক জৈবপ্রযুক্তি নির্দিষ্ট শারীরবৃত্তীয় প্রক্রিয়ায় মাদকদ্রব্যকে বিকশিত করতে সহায়তা করে, আবার কখনও কখনও পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া কমাতে শরীরের সাথে সামঞ্জস্যের ব্যবস্থা করা হয়। জিনোমিক্স এবং জেনেটিক্স সম্পর্কে মানুষের জ্ঞান ঔষধের উপর কিছু প্রভাব ফেলেছে, কারণ বেশিরভাগ মনোজেনিক জেনেটিক ডিসঅর্ডারগুলির জিনগুলি এখন চিহ্নিত করা হয়েছে যা causative genes হিসাবে কার্যকারী। তাছাড়া আণবিক জীববিদ্যা এবং জেনেটিক্সের কৌশলগুলির বিকাশ ও চিকিৎসা প্রযুক্তি অনুশীলনের এবং সিদ্ধান্ত গ্রহণকে অনেক প্রভাবিত করছে।
ঔষধবিজ্ঞানের দুইটি প্রধান শাখা হল ঔষধসঞ্চরণবিজ্ঞান ("Pharmacokinetics") এবং ঔষধক্রিয়াবিজ্ঞান (Pharmacodynamics)। যখন ঔষধ আমাদের দেহে প্রবেশ করে তখন দেহ সরাসরি তার উপর কাজ করতে শুরু করে। দেহের মধ্যে ঔষধের শোষণ, বণ্টন, বিপাক এবং নিষ্কাশন হল ঔষধসঞ্চরণবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ঔষধ দেহের উপর যে ক্রিয়া করে, সেই প্রক্রিয়াটি কোনও গ্রাহকের ভূমিকা ছাড়া অনেকাংশেই অচল, যেহেতু এই গ্রাহকই তার নির্বাচনশীলতার গুণে ঔষধকে দেহের উপর ক্রিয়া করতে সহায়তা করে। অন্যদিকে দেহের উপর ঔষধ বা রাসায়নিক পদার্থের ক্রিয়াই মূলত ঔষধক্রিয়াবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ঔষধ গ্রহণের পুরামাত্রা বা "কোর্স" ও তার চিকিৎসাবিদ্যাগত ক্রিয়ার সময়সীমা নির্ধারিত হয় ঔষধসঞ্চরণবিজ্ঞান এবং ঔষধক্রিয়াবিজ্ঞানের আলোকেই। ঔষধবিজ্ঞান এবং ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহার বিজ্ঞানের (ইংরেজি পরিভাষায় ফার্মেসি) মধ্যে পার্থক্য আছে। ঔষধবিজ্ঞান আলোচনা করে কীভাবে ঔষধ জীবদেহ বা জৈব মাধ্যমকে প্রভাবিত করে এবং কীভাবে ঔষধ জীবদেহ বা জৈব মাধ্যম দ্বারা প্রভাবিত হয়। অন্যদিকে ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহার বিজ্ঞান হল একটি জৈব চিকিৎসাবিজ্ঞান যার আলোচনার বিষয়বস্তু হল ঔষধবিজ্ঞান থেকে আহরিত জ্ঞান প্রয়োগ করে ঔষধের প্রস্তুতি, ব্যবহার ও পরিবেশন, ইত্যাদি।
অষ্টাদশ শতাব্দীর পরে আধুনিকতার যুগ ইউরোপ থেকে আরো জাগ্রত গবেষক খুঁজে পেয়েছিল। জার্মানি ও অস্ট্রিয়া থেকে, ডাক্তার রুডলফ বীরভো, উইলহেল্ম কনরাড রন্টজেন, কার্ল ল্যান্ডস্টেইনটার ও অটো লোইই উল্লেখযোগ্য অবদান রেখেছেন। যুক্তরাজ্য থেকে আলেকজান্ডার ফ্লেমিং, জোসেফ লিস্টার, ফ্রান্সিস ক্রিক এবং ফ্লোরেন্স নাইটিংগেলকে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয়। স্প্যানিশ ডাক্তার সান্তিয়াগো র্যামন ও কাজালকে আধুনিক স্নায়ুবিজ্ঞানের জনক বলে মনে করা হয়।
নিউজিল্যান্ড এবং অস্ট্রেলিয়া থেকে মরিস উইলকিন্স, হাওয়ার্ড ফ্লোরী এবং ফ্রাঙ্ক ম্যাকফার্লেন বার্নেট কে গুরুত্বপূর্ণ মনে করা হয় ।
মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র থেকে উইলিয়াম উইলিয়ামস কিন, উইলিয়াম কলি, জেমস ডি.ওয়াটসন ইতালি (সালভাদর লুরিয়া) থেকে, সুইজারল্যান্ড থেকে আলেক্সান্ডার ইয়ারসিন, জাপান থেকে কিটাসাটো শিবাশাবুরো এবং ফ্রান্স থেকে জিন মার্টিন চারকোট, ক্লাউড বার্নার্ড, পল ব্রোকা এবং অন্যান্য উল্লেখযোগ্য ভূমিকা রেখেছিল। রাশিয়ান নিকোলাই করতোকভ উল্লেখযোগ্য কাজ করেছিলেন যেমন করেছিলেন স্যার উইলিয়াম ওসলার এবং হার্ভি কুশিং ।
বিশ্বব্যাপী চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার বেশকয়েকরকম পদ্ধতি আছে। সাধারণত মেডিকেল স্কুল বা কলেজগুলোতে শিক্ষা দেওয়া হয়। একে সাধারণত দুইভাগে ভাগ করা হয়: স্নাতক ও স্নাতকোত্তর। চিকিৎসাবিজ্ঞানের স্নাতক ডিগ্রি হিসেবে এম.বি.বি.এস বা এম.ডি প্রচলিত। প্রথমোক্ত ডিগ্রিটি যুক্তরাজ্যসহ কমনওয়েলথ দেশগুলোতে ব্যবহৃত হয়ে থাকে। আর এম.ডি. ডিগ্রি যুক্তরাষ্ট্রসহ আরো কয়েকটি দেশে প্রচলিত। স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মধ্যে এমআরসিপি, এফআরসিএস ইত্যাদি বিভিন্ন মেম্বারশিপ ও ফেলোশিপ অন্যতম। বাংলাদেশ, পাকিস্তানসহ ভারতীয় উপমহাদেশের সবচেয়ে সম্মানজনক স্নাতকোত্তর ডিগ্রির মধ্যে এফ.সি.পি.এস. অন্যতম, যা দেশগুলোর নিজ নিজ রাষ্ট্রীয় 'কলেজ অব ফিজিশিয়ানস এণ্ড সার্জনস' কর্তৃক প্রদান করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসা বিজ্ঞানের ইংরেজি মেডিসিন (Medicine) । মেডিসিন শব্দটির উৎপত্তি হয়েছে ল্যাটিন ভাষার ars medicina শব্দ থেকে, যার অর্থ হচ্ছে "the medical art" ('চিকিৎসা কলা') [
মধ্যযুগে মুসলিম বিজ্ঞানীদের হাতে চিকিৎসাক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধিত হয়। মুসলিম বিজ্ঞানীদের মধ্যে আবু আলী হোসাইন ইবনে সিনা সবচেয়ে বিখ্যাত। মধ্যযুগীয় জ্ঞান-বিজ্ঞানের ভিত রচনায় তার অবদান অনস্বীকার্য। তার মূল অবদান ছিল চিকিৎসা শাস্ত্রে। তিনি চিকিৎসা শাস্ত্রের বিশ্বকোষ আল-কানুন ফিত-তীব রচনা করেন যা ঊনবিংশ শতাব্দী পর্যন্তও প্রাচ্য ও পাশ্চাত্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও মেডিকেল প্রতিষ্ঠানসমূহে পাঠ ছিল। আরবিতে ইবন সীনাকে আল-শায়খ আল-রাঈস তথা জ্ঞানীকুল শিরোমণি হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়। পশ্চিমে তিনি অ্যাভিসিনা নামে পরিচিত। তাকে চিকিৎসাবিজ্ঞানের একজন জনক হিসেবে সম্মান করা হয়ে থাকে।
চিকিৎসা সংক্রান্ত চিন্তাভাবনায় প্রধান পরিবর্তন ক্রমবর্ধমান প্রত্যাখ্যানটাই ছিল একটি আলোচ্য বিষয় যা মূলত চতুর্দশ ও পঞ্চদশ শতাব্দীতে বিশেষভাবে কালো মৃত্যুর সময় যাকে 'traditional authority' বলা যেতে পারে চিকিৎসা ও বিজ্ঞানের ক্ষেত্রে । Andreas Vesalius 'De humani corporis fabrica' নামে একটা বই লিখেছিলেন যা মানব অজ্ঞ গবেষণার একটি গুরুত্বপূর্ণ বই। ১৬৭৬ সালে এন্টোনি ভ্যান লিউভেনহোক একটি মাইক্রোস্কোপ দিয়ে ব্যাকটেরিয়া পর্যবেক্ষণ করার মাধ্যমে প্রথম বৈজ্ঞানিক ক্ষেত্রে মাইক্রোবায়োলজির যাত্রা শুরু করেছিলেন। মাইকেল সার্ভেটাস 'pulmonary circulation' সন্ধান পেয়েছিলেন স্বাধীনভাবে ইবনে আল নাফিসের কাছ থেকে, , কিন্তু এই আবিষ্কারটি জনগণের কাছে পৌঁছেনি কারণ এটি প্রথমবারের জন্য "Manuscript of Paris" এ লেখা হয়েছিল ১৫৪৬ সালের দিকে । পরবর্তীতে এটি ধর্মতত্ত্ব নামে প্রকাশিত হয়েছিল ১৫৫৩ সালে যা তার জীবনের সবচেয়ে কাজ ছিল এটি। পরবর্তীতে এটি রেনালডাস কলম্বাস এবং আন্দ্রে সিলেপিনোর মাধ্যমে বর্ণনা করা হয়েছিল । Herman Boerhaave কখনও কখনও তাকে "শারীরবৃত্তির জনক" হিসাবে উল্লেখ করেছিলেন লিডেন এবং পাঠ্যপুস্তক 'ইনস্টিটিউশন মেডিয়াকে' (1708) শিক্ষা প্রদান করার কারণে । পিয়ের ফৌচারকে "আধুনিক দন্তচিকিৎসার জনক" বলা হয়। সম্পাদনা মোঃ শাহাদাত হোসেন, বাংলা বিভাগ, ঢাবি
ঔষধবিজ্ঞান জীববিজ্ঞান ও চিকিৎসাবিজ্ঞানের একটি বিশেষ আন্তঃক্ষেত্রীয় শাখা যার মূল আলোচ্য বিষয় হল ঔষধের ধর্ম এবং দেহের উপর ঔষধের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া।[১] ব্যাপকতর অর্থে ঔধধবিজ্ঞান হল বহিরাগত রাসায়নিক পদার্থের সাথে দেহের ক্রিয়া ও প্রতিক্রিয়া কীভাবে স্বাভাবিক বা অস্বাভাবিক প্রাণরাসায়নিক প্রক্রিয়াকে প্রভাবিত করে, তার গবেষণা। যদি রাসায়নিক পদার্থটি দেহের জন্য উপকারী ঔষধ হয়, তাহলে তার গবেষণাকে আরোগ্যবিজ্ঞান (Therapeutics) বলে। অন্যদিকে যদি রাসায়নিক পদার্থটি দেহের জন্য মূলত ক্ষতিকর হয়, তাহলে তার গবেষণাকে বিষক্রিয়াবিজ্ঞান (Toxicology) বলা হয়। তবে সাধারণ অর্থে উপকারী ঔষধ, অর্থাৎ যেসব রাসায়নিক পদার্থের রোগ নিরাময়যোগ্য গুনাগুণ রয়েছে এবং যার ব্যবহার চিকিৎসাগতভাবে নিরাপদ, সেগুলি সংক্রান্ত সকল জ্ঞানই ঔষধবিজ্ঞানের আলোচ্য বিষয়। ঔষধবিজ্ঞানের ইংরেজি পরিভাষা ফার্মাকোলজি শব্দটি এসেছে গ্রিক শব্দ ফার্মাকন ("Pharmacon", যার অনেকগুলি আভিধানিক অর্থের একটি হল "ঔষধ") এবং "লোগোস" ("Logos", যার অর্থ "বিজ্ঞান") থেকে।
ঔষধবিজ্ঞানীরা ঔষধসমূহের আরোগ্যসূচক (therapeutic index) নির্ধারণ করেন। অর্থাৎ তারা বিভিন্ন মাত্রায় প্রদত্ত ঔষধের বিষক্রিয়ার সাপেক্ষে আপেক্ষিক উপকারিতা নির্ধারণ করেন।[২] এর ফলে কোন্ মাত্রায় ঔষধ প্রদান করলে রোগীর সর্বোচ্চ উপকার হবে তা সংজ্ঞায়িত করা সম্ভব হয়। যেমন অনেক ঔষধ বয়স্ক ব্যক্তিদেহের দেহে অপেক্ষাকৃত ধীরগতিতে বিপাচিত হয়, ফলে ঐসব ঔষধ অপেক্ষাকৃত কম ঘনঘনভাবে প্রদান করতে হয়।[৩] আবার অনেক রাসায়নিক পদার্থ বৃক্ক বা কিডনির মাধ্যমে রেচিত বা নিষ্কাশিত হয় বলে যেসব ব্যক্তির বৃক্কজনিত ব্যধি আছে, তাদের ঔষধ নিষ্কাশনে সমস্যা হতে পারে। এসবই ঔষধবিজ্ঞানীদের বিবেচনাধীন থাকে।[৪]
ইউরোপে, শার্লিমেন ঘোষণা করেছিলেন যে প্রতিটি ক্যাথিড্রাল এবং মঠের জন্য একটি হাসপাতালকে সংযুক্ত করা উচিত । ইতিহাসবিদ জ্যফ্রে ব্লেইন মধ্যযুগের স্বাস্থ্যসেবার ক্যাথলিক চার্চের কার্যক্রমগুলিকে একটি কল্যাণ রাষ্ট্রের প্রাথমিক সংস্করণের সাথে যুক্ত করেছিলেন । যেখানে বয়স্কদের জন্য হাসপাতাল, অনাথ শিশুদের জন্য এতিমখানা এবং সব বয়সের রোগীদের জন্য ঔষধ, কুষ্ঠরোগীদের জন্য থাকার জায়গা; এবং তীর্থযাত্রীদের জন্য হোস্টেল বা inns যেখানে তারা সস্তায় বিছানা এবং খাবার কিনতে পারবে। এটি দুর্ভিক্ষের সময় জনসাধারণের জন্য খাদ্য সরবরাহ এবং দরিদ্রদের মধ্যে খাদ্য বিতরণের ব্যবস্থা করে। এই কল্যাণ ব্যবস্থাটি মূলত গির্জা অর্থায়ন করতো । এই বড় আকারের টাকা তারা কর সংগ্রহের মাধ্যমে সম্পন্ন করতো যার মূল উৎস ছিল বৃহৎ কৃষিভূমি এবং এস্টেটগুলি। বেলডিসটাইনের আদেশটি তাদের মঠগুলিতে হাসপাতাল ও রোগীর স্থাপনা নির্মাণ করাতে ব্যাপক ভূমিকা রেখেছিল, ক্রমবর্ধমান চিকিৎসা সেবার জন্য এবং তাদের জেলাসমূহের প্রধান চিকিৎসা সেবা গ্রহণকারীর জন্য Abbey of Cluny সুপরিচিত ছিল। এছাড়াও গির্জা ক্যাথেড্রাল স্কুল এবং বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠা করেছিল যেখানে চিকিৎসা বিদ্যা অধ্যয়ন করা যেতো । মধ্যযুগীয় ইউরোপের সালেনোতে গ্রিক ও আরব চিকিত্সকগণের চিকিৎসা শাস্র অধ্যয়নেরর জন্য সেরা মেডিকেল স্কুল প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল যার নাম ছিল Schola Medica Salernitana.
ঔষধ বা ওষুধ হলো এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রয়োগে প্রাণিদেহের স্বাভাবিক ক্রিয়া প্রভাবান্বিত হয়[১] এবং যা দ্বারা রোগ নাশ হয় বা প্রতিকার হয়, বা পীড়া ও ক্লেশ নিবারণ হয়; ভেষজ দাওয়াই এর অন্তর্ভুক্ত।[২] ঔষধ মূলত দুই প্রকার: থেরাপিউটিক (রোগনিরাময়কারী) এবং প্রোফাইলেকটিক। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ফুড অ্যান্ড ড্রাগ অ্যাডমিনিস্ট্রেশনের (FDA) সংজ্ঞার্থ অনুসারে: "দ্রব্যসমূহ যা রোগ নির্ণয়ে, আরোগ্যে (cure), উপশমে (mitigation), প্রতিকারে (treatment), অথবা প্রতিরোধে (prevention) ব্যবহার করা হয়" এবং "দ্রব্যসমূহ (খাদ্য বাদে) যা মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীর শারীরিক গঠন বা ক্রিয়াকলাপকে প্রভাবিত করতে পারে" তাদের ঔষুধ বলা হয়।[৩] তবে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ওষুধের সংজ্ঞা এমন কঠোরভাবে আরোপ করে না। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা অনুসারে: "ঔষধ" শব্দটির বিভিন্ন রকম ব্যবহার হতে পারে। চিকিৎসা বিজ্ঞানে ঔষধ এমন দ্রব্য যার আরোগ্য (cure) এবং প্রতিরোধের (prevention) ক্ষমতা আছে অথবা যা শারীরিক ও মানসিক সুস্থতা বজায় রাখতে সহায়তা করে। আবার ফার্মাকোলজিতে ঔষধ এমন রাসায়নিক দ্রব্য যা প্রাণিদেহের অথবা কলার জৈবরাসায়নিক এবং শারীরিক প্রক্রিয়াকে পরিবর্তন করতে সক্ষম। আবার সাধারণের মুখে ড্রাগ শব্দটির অর্থ অবৈধ দ্রব্য।[৪] যেমন: হেরোইন, ফেনসিডিল, মারিজুয়ানা, ইত্যাদি।
চিকিৎসা বিজ্ঞান বা চিকিৎসা শাস্ত্র হল রোগ উপশমের বিজ্ঞান কলা বা শৈলী। মানব শরীর এবং মানব স্বাস্থ্য ভালো রাখার উদ্দেশ্যে রোগ নিরাময় ও রোগ প্রতিষেধক বিষয়ে চিকিৎসা বিজ্ঞানে অধ্যায়ন করা হয় এবং প্রয়োজন অনুসারে বিভিন্ন পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়।
সমসাময়িক চিকিৎসা বিজ্ঞানে স্বাস্থ্য বিজ্ঞান অধ্যয়ন, গৱেষণা, এবং সংশ্লিষ্ট প্রযুক্তিবিদ্যার ব্যবহার করে লব্ধ জ্ঞানের মাধ্যমে ঔষধ বা শল্য চিকিৎসার দ্বারা রোগ নিরাময় করার চেষ্টা করা হয়।ঔষধ বা শল্য চিকিৎসা ছাড়াও মনোচিকিৎসা (psychotherapy), কৃত্রিম অঙ্গ সংস্থাপন, আণবিক রশ্মির প্রয়োগ, বিভিন্ন বাহ্যিক উপায় (যেমন, স্প্লিণ্ট (Splint) এবং ট্রাকশন),জৈবিক সামগ্রি (রক্ত, অণু জীব ইত্যাদি), শক্তির অন্যান্য উৎস (বিদ্যুৎ, চুম্বক, অতি-শব্দ ইত্যাদি) ইত্যাদিরও প্রয়োগ করা হয়।
চিকিৎসাবিদ্যা অনেকগুলো শাখায় বিভক্ত। এগুলোকে তিনভাগে ভাগ করা যায়। প্রাথমিক বা বেসিক, প্যারাক্লিনিক্যাল এবং ক্লিনিক্যাল। বেসিক শাখাগুলোর মধ্যে রয়েছে এনাটমী বা অঙ্গংস্থানতত্ত্ব, ফিজিওলজি বা শারীরতত্ত্ব, বায়োকেমিস্ট্রি বা প্রাণরসায়ন ইত্যাদি। প্যারাক্লিনিক্যাল শাখার মধ্যে অণুজীববিদ্যা, রোগতত্ত্ব বা প্যাথোলজি, ভেষজতত্ত্ব বা ফার্মাকোলজি অন্যতম। ক্লিনিক্যাল হলো প্রায়োগিক চিকিৎসাবিদ্যা। এর প্রধান দুটি শাখা হলো, মেডিসিন এবং শল্যচিকিৎসা বা সার্জারি। আরও আছে ধাতৃ ও স্ত্রীরোগবিদ্যা, শিশুরোগবিদ্যা বা পেডিয়াট্রিক্স, মনোরোগবিদ্যা বা সাইকিয়াট্রি, ইমেজিং ও রেডিওলোজি ইত্যাদি। এগুলোর সবগুলোরই আবার বহু বিশেষায়িত্ব শাখা রয়েছে।
যে উদ্দেশ্যেই ব্যবহৃত হোক না কেন, ঔষধ সাধারণত শরীরের নির্দিষ্ট কিছু স্থানে দেয়া হয়ে থাকে। এগুলোকে ঔষধের রুট অফ অ্যাডমিনিস্ট্রেশান (routes of administration) বলা হয়। কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ রুট হল:[৭][১০]
দেহের অভ্যন্তরে
মুখে (orally)
পায়ু ও যোনিপথে সাপোজিটরি হিসেবে (rectally and vaginally as suppository)
নিঃশ্বাসের মাধ্যমে (inhalation)
জিহ্বার নিচে (sublingually)
অনান্ত্রিক পথে (parenteral routes)
আন্তঃধমনী বোলাস (intravenous bolus)
আন্তঃধমনী ইনফিউশন (intravenous infusion)
আন্তঃপেশী (intramuscular)
সাবকিউটেনিয়াস (subcutaneous)
দেহের বাইরে
ত্বকের ওপর (topically)
বাংলাদেশে চিকিৎসাবিজ্ঞান শিক্ষার মূল ক্ষেত্র মেডিকেল কলেজ। প্রতিবছর সরকারি প্রায় ৩৭ ও বেসরকারি অনেকগুলো কলেজে প্রায় দশহাজারের মতো ছাত্রছাত্রি ভর্তি হয়ে থাকে। পাঁচবছর মেয়াদি পড়াশোনা শেষে স্নাতক হিসেবে এম.বি.বি.এস. ডিগ্রি লাভ করেন। এরপর একবছর শিক্ষানবিশ হিসেবে প্রশিক্ষণ নিতে হয়। শিক্ষানবিশি শেষে 'বাংলাদেশ মেডিকেল এণ্ড ডেন্টাল কাউন্সিল'এর রেজিস্টার্ড ডাক্তার হিসেবে চর্চা করতে পারেন।
যেসমস্ত চিকিৎসক ঔষধবিজ্ঞানে বিশেষ জ্ঞান অর্জন করেন, তাদেরকে "নিদানিক ঔষধবিজ্ঞানী" বলা হয়। হাসপাতালে যেসব ঔষধ প্রস্তুতি ও ব্যবহারবিদরা কাজ করেন, তারাও ঔষধবিজ্ঞানে বিশেষ জ্ঞান রাখেন, এবং তারা ঔষধের সর্বোত্তম ব্যবহার সম্পর্কে চিকিৎসকদের পরামর্শ দিতে পারেন।
Drug শব্দটি প্রাচীন ফরাসি শব্দ "drogue" থেকে উদ্ভূত বলে অনুমান করা হয়। কারণ এই শব্দটি থেকে পরবর্তীতে ওলন্দাজ ভাষায় "droge-vate" শব্দটি আসে। এ শব্দটির অর্থ 'শুকনো পাত্র' যেখানে ঔষধি গাছ সংরক্ষিত থাকে।[৮]
বাংলা ঔষধ শব্দটি সংস্কৃত ভাষা থেকে আগত। অর্থাৎ এটি তৎসম শব্দ। ঔষধ শব্দটিকে বিশ্লেষণ করলে দাঁড়ায়: ওষধি+অ(অণ্)। তবে ওষধি শব্দটির অর্থ যে গাছ একবার ফল দিয়েই মারা যায়।
আজ থেকে রাত ৯টা পর্যন্ত খোলা রাখা যাবে দোকানপাট ও বিপণীবিতান।বাংলাদেশ দোকান মালিক সমিতি সূত্রে জানা গেছে।
আমরা যারা বাংলাদেশে বাস করি , আমাদের শরীরের মধ্যে সামান্য কিছু হলেই ঔষধ খাওয়ার প্রবণতা দেখা যায়, যা মোটেও ঠিক না। ঔষধ মানুষের রোগ নিরাময় করে , কিন্তু এমন কিছু ঔষধ আছে যে গুলো কিছু নির্দিষ্ট রোগ ব্যতিত গ্রহণ করলে হিতে বিপরীত হয় । আবার কিছু ঔষধ আছে যে গুলো খাবারের আগে খেতে হয় …
ঔষধের নাম ও কাজ নিয়ে বাংলা বই – ফ্রী ডাউনলোড করুন মেডিসিন বইটি জেনে নিন কোন রোগে কি ঔষধ,ঔষধের মাত্রা, উপকারিতা,অপকারিতা ঔষধের নাম ও কাজ নিয়ে বাংলা বই & #8211; ফ্রী ডাউনলোড করুন মেডিসিন বইটি জেনে নিন কোন রোগে কি ঔষধ,ঔষধের মাত্রা, উপকারিতা,অপকারিতা
যেমন গ্যাষ্ট্রিক কিংবা পেপটিক আলসারের ঔষধ(অমিপ্রাজল,সেকলো,প্যান্টোনিক্স ইত্যাদি)
ঠিক বিপরীত কিছু ঔষধ আছে যা খাবারের আগে খাওয়া যায় না,
যেমন ব্যাথার ঔষধ (এ্যানালজেসিক -ডাইক্লোফেনাক,কিটোরোলাক,প্যারাসিটেমল ইত্যাদি।)
এগুলো অবশ্যই খাবারের পরে খেতে হয় ।
বেশ কয়েক বছর পুর্বে আমার পরিচিত এক লোকের জীবন-অবসান ঘটে
ব্যাথার ট্যাবলেট খালি পেঠে খেয়ে ।
রোগের প্রতিষেধক ও প্রতিরোধককেই সচরাচর ঔষধ হিসাবে অভিহিত করা হলেও প্রচলিত আইনে এর অর্থ ব্যাপকতর। যেমন, ব্রিটিশ আমলে প্রণীত এবং অদ্যাবধি বাংলাদেশে কার্যকর ১৯৪০ খ্রিষ্টাব্দের ড্রাগ অ্যাক্ট বা ঔষধ আইন [৫] অনুযায়ী ঔষধের আইনগত সংজ্ঞার্থ নিম্নরূপ:[৬][৭]
ঔষধ বলতে ঐ সকল দ্রব্যকে বুঝায় যা মানুষ বা প্রাণীর বিভিন্ন রোগ নির্ণয়ের (diagnosis), প্রতিকারের (treatment), উপশমের (mitigation), অথবা প্রতিরোধের (prevention) জন্য আভ্যন্তরীক বা বাহ্যিকভাবে ব্যবহৃত হয়।
ঔষধ বলতে বোঝায় রোগনির্ণয়ে ব্যবহৃত দ্রব্য, গর্ভপাতের জন্য ব্যবহৃত দ্রব্য, জন্ম নিয়ন্ত্রণ এ ব্যবহৃত দ্রব্য, শৈল্যচিকিৎসায় ব্যবহৃত দ্রব্য, সুচার, ব্যান্ডেজ, শোষক তুলা, ব্যাক্টেরিওফাজ, প্লাস্টার, জিলাটিন ক্যাপসুল, অ্যান্টিসেপটিক।
খাদ্য ব্যতীত অন্য কোনো দ্রব্য যা মানুষ বা অন্যান্য প্রাণীর দেহকে বা দেহের কোনো কাজকে প্রভাবিত করে বা উকুন বা উকুন জাতীয় কীট-পতঙ্গকে মারার কাজে ব্যবহৃত হয়।
যে কোন বস্তু যা ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়া, ইউনাইটেড স্টেটস ফার্মাকোপিয়া. ব্রিটিশ ফার্মাকোপিয়াল কোডেক্স, ন্যাশনাল ফর্মুলারী বা ইন্টারন্যাশনাল ফার্মাকোপিয়াতে মনোগ্রাফ হিসেবে স্থান পেয়েছে এবং যা ইউনানী, আয়ুর্বেদী, হোমিওপ্যাথি ও বায়োকেমিক্যাল ঔষধ হিসেবে এককভাকে বা ১, ২ ও ৩ নং ধারায় বর্ণিত অন্য বস্তুর সাথে যৌথভাবে ব্যবহৃত হয়।
সেই এক সময় ব্যাস্ত ছিলাম দোকানে
Click here to claim your Sponsored Listing.
সন্ধানী ফার্মেসি
"সন্ধানী ফার্মেসি" রংপুর শহরের প্রাণকেন্দ্রে দীর্ঘ ৩০ বছর যাবত সুনামের সাথে সেবা দিয়ে আসছে। এখানে আপনি দেশি বিদেশি সকল প্রকার ঔষধ খুচরা ও পাইকারি মূল্যে পাবেন।
Videos (show all)
Category
Telephone
Website
Address
Paira Chattar
Rangpur
5400
Opening Hours
Monday | 10:00 - 17:00 |
Tuesday | 10:00 - 17:00 |
Wednesday | 09:00 - 17:00 |
Thursday | 09:00 - 17:00 |
Friday | 10:00 - 17:00 |
18:00 - 19:00 | |
Saturday | 09:00 - 17:00 |
Sunday | 09:00 - 17:00 |
Nilshagar Sharak, Hajigoinj Bazar, Nilphamari
Rangpur, 5300
MMG Hospital & Diagnostic Center, Nilshagar Sharak, Hajigoinj Bazar, Nilphamari 5300, Bangladesh
Radhaballov More, RDRS Bhaban
Rangpur, 5400
Drug and Department Store Since 1972
Gaibandha
Rangpur
আসসালামুয়ালাইকুম! যেকোনো অসুস্থতায় যোগাযোগ করুন ইনশাআল্লাহ্ ফল পাবেন🌸🖤 বিশ্বাস রাখুন ভরসা করুন💗
Uttora Epz , Boro Shongolshi, Kachari Bazar
Rangpur, 5300
I Am a general practitioner, I believe that the service of creation is the service of the Creator.
DHAKA & RANGPUR
Rangpur, 5400
আপনার ঔষধ কোম্পানির সকল গিফট আইটেম বি?
Dhap, Rangpur. ( Beside Check-up Diagnostic Centre)
Rangpur, 5400
আসসালামু আলাইকুম, আমাদের সাথে ম্যাসে?
Rangpur, 5460
এটি একটি নির্ভরযোগ্য প্রতিষ্ঠান যা মানবদেহের জন্য সব ধরনের খুচরা এবং পাইকারি ওষুধ বিক্রিয় করা হয় l
Bagda, Gobindagong, Gaibandha
Rangpur, 5740
Its a world Class Medicine Store in Bangladesh. Visit us and enjoy world class service every day
Shapla Chattar
Rangpur, 5400
Quality products, affordable prices, reliable service, customer service are 100% guaranteed.
Medical Road, Boragari Bazar, Domar, Nilphamari
Rangpur, 5402
We are a best online pharmacy in Rangpur Division. Stay Safe & Get Your Required Medicine From Home. Order time: 10am to 10pm Within 12 hours we deliver medicine to your specific ...