Hare Krishna
Contact information, map and directions, contact form, opening hours, services, ratings, photos, videos and announcements from Hare Krishna, Religious Center, Bandhorghat, Shibbari, Sylhet.
আগামী ২২শে জুন রোজ শনিবার ভগবান শ্রী জগ্ননাথ,বলদেব, সুভদ্রা মহারণীর স্নানযাত্রা মহোৎসব।
শ্রীশ্রী জগন্নাথদেবের স্নানযাত্রা মহোৎসব মহিমা
শ্রীল প্রভুপাদ একবার বলেছিলেন, আমরা ভগবানের কাছে ফিরে যাওয়ার জন্য যতটা উৎসুক, পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণ তার থেকে সহস্রগুণ বেশি উৎসুক যে, তাঁর পথভ্রষ্ট সন্তানেরা কবে জড়বন্ধন থেকে মুক্ত হয়ে তাঁর নিকট আগমন করবে। আর সেজন্যই আমরা ভগবানকে ভুলে গেলেও তিনি আমাদের মঙ্গলের কথা ভোলেন নি বরং আমাদের সার্বিক কল্যাণের জন্য তিনি নানা কল্যাণপ্রদ পন্থা প্রদান করেছেন। বিভিন্ন উৎসব-অনুষ্ঠান, ধর্মাচরণ প্রভৃতি পালনের দ্বারা যাতে আমরা ভগবানের সেবা মনোভাব লাভ করে তাঁর নিকট ফিরে যেতে পারি সেটিই হচ্ছে সেগুলো প্রণয়ণের একমাত্র উদ্দেশ্য। শুধু তাই নয়, যাতে আমরা এ দুঃখপূর্ণ জগৎ থেকে মুক্তি লাভ করতে পারি, তাই তিনি অবতার এবং তাঁর পার্ষদদের এখানে প্রেরণ করেন, এমনকি নিজেও এখানে অবতীর্ণ হন।
জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমা তিথিতে জগৎজীবের কল্যাণের জন্য পরম পুরুষোত্তম ভগবান শ্রীকৃষ্ণ জগতের নাথ জগন্নাথরূপে প্রকাশিত হন। ভগবান কেবল প্রকাশিত হয়েই কৃপা করেন নি, এমনকি তার আবির্ভাব দিবসটিকেও মহিমান্বিত করার মাধ্যমেও কৃপা প্রকাশ করেছেন। এদিন অনুষ্ঠিত হয় স্নানযাত্রা মহোৎসব। শাস্ত্রে স্নানযাত্রা উৎসবে শ্রীজগন্নাথ, বলদেব ও সুভদ্রা মহারাণীকে স্নান করানোর অপার সৌভাগ্য এবং মহিমার কথা বর্ণিত হয়েছে। এমনকি স্নান করাতে অসমর্থ হলেও স্নানযাত্রা দর্শনেরই রয়েছে অপরিসীম মহিমা। স্কন্দপুরাণে পুরুষোত্তম ক্ষেত্র মাহাত্ম্যে (৩১.৭৬) উক্ত হয়েছে,
নাতঃ পরতরং কর্ম হ্যানায়াসেন মোচনম্।
জ্যৈষ্ঠজন্মদিনে স্নানং হর্রেযদবলোকিতম্ ॥
জ্যৈষ্ঠী পূর্ণিমায় শ্রীহরির স্নানযাত্রা দর্শনের মাধ্যমে অনায়াসেই জীব মুক্তিলাভ করতে পারে। এমনকি কেউ যদি ভক্তিসহকারে একবারও স্নানযাত্রা মহোৎসব দর্শন করেন, তাঁর সংসারবন্ধন থেকে মুক্তিলাভ সুনিশ্চিত হয়ে যায়। তার আর শোক করতে হয় না।
জৈমিনি মুনি স্নানযাত্রার মাহাত্ম্য বর্ণনা করতে গিয়ে বলেন ভগবান পুরুষোত্তমের স্নানযাত্রা দর্শন করলে জীব তীর্থসমূহে স্নান করার থেকেও শতগুণ অধিক ফল প্রাপ্ত হয় এবং এতে কোনও সংশয় নেই। (স্কন্দপুরাণ ৩১.৮২) জৈমিনি ঋষি আরও বর্ণনা করেছেন, যদি কেউ আন্তরিকতার সাথে স্নানকালে ভগবানকে নিরীক্ষণ করে, তাদেরকে আর মাতৃগর্ভে বাস করতে হয় না।
হরে কৃষ্ণ।
শ্রীকৃষ্ণ বলেছেন,"সর্বধর্মাণ পরিত্যজ্য মামেকং শরণং ব্রজ"-
অর্থাৎ,আমাদের শ্রীকৃষ্ণের চরণে আত্মসমর্পণ করা উচিত।
আত্মসমর্পণ করলে কী হবে?আত্মসমর্পণ করলে আমরা তৎক্ষনাত সমস্ত পাপ থেকে মুক্ত হবো।তার জ্বলন্ত উদাহরণ হলো,"জগাই-মাধাই"।সেইক্ষেত্রে,ভদ্রতনুও আছে। ভদ্রতনু যে কিনা ছিলো পাপপরায়ণ,এমনকি সে পিতৃশ্রাদ্ধের দিন পর্যন্ত পতিতার গৃহে গমন করেছিলো সে পর্যন্ত ভগবানের চরণে আত্মসমর্পণ করায় পাপমুক্ত হয়েছিলো।তিনি নিজ ভুল বুঝতে পেরে সদগুরু দান্তের শরণাপন্ন হয়েছিলেন।এরপর,তিনি সদগুরুর কৃপার প্রভাবে কৃষ্ণদর্শন লাভ করেন।ভগবান তখন তার ভক্তি দেখে বলেছিলেন যে,"তোমার ভক্তি এতটাই দৃঢ় যে আমি তোমাকে দাসরূপে মানতে পারছি না।তুমি আমার সখা হও,আমি তোমাকে সখারূপে বরণ করলাম।"
এমনকি,সেই ভদ্রতনু ভগবানের সাথে নানা খেলাধুলাও করতেন।ভদ্রতনুকে ভগবান নিজের বসন,মুকুট,অলংকার দিয়ে সাজিয়ে দিতেন।।
পানিহাটি চিড়াদধি মহোৎসব ২০২৪ইং
২০ই জুন, রোজঃ বৃহস্পতিবার
🙏পানিহাটি চিড়াদধি উৎসবের মাহাত্ম্য✅
পানিহাটি নামক চিড়া-দধি-প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছর আগে শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু ও রঘুনাথ দাস গোস্বামী লীলাবিলাস করেছিলেন।
সেইদিন ছিল জ্যেষ্ঠ মাসের শুক্ল পক্ষের ত্রয়োদশী তিথি।
শ্রীনিত্যানন্দ প্রভু দীনহীন পাপী সকলকেই প্রেমভক্তি দান করেন। রাজার ছেলে রঘুনাথ দাস পালিয়ে রাজকীয় জীবন ও রাজকন্যা বিসর্জন দিয়ে পুরীতে মহাপ্রভুর নিকট যান প্রেমভক্তি লাভ করার জন্য। কিন্তু মহাপ্রভু এই প্রেমভক্তি ধন দিলেন না। কারন যার ধন তাকে না জানিয়ে যদি কেউ তা নিয়ে যাবার চেষ্টা করে তবে তাকে চোর বলে।
মহাপ্রভু নিত্যানন্দ প্রভুর সম্পত্তি। রঘুনাথ নিত্যানন্দ প্রভুকে না জানিয়ে, মহাপ্রভুর চরন লাভের চেষ্টা করেছিল। কিন্তু মহাপ্রভু তাকে ফিরিয়ে দেন দুই দুইবার।
একবার নিত্যানন্দ প্রভু পানিহাটিতে হরিনাম ও ভক্তসঙ্গ করবেন জেনে রঘুনাথ সেখানে উপস্থিত হলেন। দুর থেকে নিত্যানন্দ প্রভু রঘুনাথকে দেখতে পেলেন ও তাকে কাছে আসার আদেশ দিলেন।
এবার রঘুনাথ নিত্যানন্দ প্রভুর হাতে ধরা পড়লেন, তাই তখন নিত্যানন্দ প্রভু রঘুনাথকে চোর বলে সন্বোধন করলেন।
তখন নিত্যানন্দ প্রভু রঘুনাথ দাসকে নিকটে এনে স্বীয় কোটি চন্দ্র সুশীতল শ্রীচরন রঘুনাথ দাসের মস্তকে ধারন করে বললেন, ''চোর তোকে আজ শাস্তি দেব। তুমি আমার ভক্তগনকে চিড়াদধি ভোজন করাও''।
নিত্যানন্দ প্রভুর নির্দেশে রঘুনাথ দাস চিড়াদধির মহোৎসব করলেন।
সেই থেকে আজও পানিহাটিতে চিড়াদধির মহোৎসব হয়ে আসছে।
সেই মহোৎসবে স্বয়ং চৈতন্য মহাপ্রভু অপ্রাকৃত দেহে হাজির হয়ে নিত্যানন্দ প্রভুর আশ্রয়ে রঘুনাথ দাসকে সংসার বিষ্টা থেকে উদ্ধার করেন।।
কোটি তাজা প্রাণ চলে যাবে আজ 🥹
সবাই একবার বলি হরে কৃষ্ণ🙏 😓
নম্র গো মাতা, তুমি ছিলে শান্ত,
ধূপের ধোঁয়ায়, পূজায় ভরা প্রান্ত।
তোমার দুধে ছিল পুষ্টি ও শক্তি,
তোমার মমতায় ছিল আশ্রয় সিক্তি।
কৃষকের খেত, তোমার চারণ ভূমি,
তোমার নিঃশ্বাসে, পূর্ণ হয়ে যায় ভূমি।
তুমি ছিলে ঘরের মঙ্গলময় দেবী,
তোমার অনুপম দানে জীবন ছিল স্বপ্নময়।
কিন্তু আজ কেন এত কান্নার ধারা,
তোমার মৃত্যুতে, ভেঙে পড়ে সংসার সারা।
কোথায় হারালে তুমি, গো মাতা স্নেহময়ী,
তোমার আশীর্বাদে ছিল প্রাণের মাধুর্য ময়ী।
দূর প্রান্তরে তুমি গেলে, রেখে শূন্যতা,
তোমার সুরক্ষায় ছিল অনেক মমতা।
অসুখ, অনাহার, কষ্টের প্রাচীর,
তোমার বিদায় বাণী, আনে চোখে অশ্রু নীর।
গো মাতা, তোমার স্মৃতি হৃদয়ে অমলিন,
তোমার আশীর্বাদে কাটে দিনগুলি পবিত্র সজল।
তোমার আত্মা শান্তিতে থাকুক দূর আকাশে,
তোমার স্নেহ, আমাদের হৃদয়ে থাকবে চিরকাল ভাসে।
জয় গো মাতাজী
সবাই মিলে একবার বলি
হরে কৃষ্ণ 🥰🥰
💖 নৃসিংহ চতুর্দশী ব্রত পালনের নিয়ম 💖
💖💖
২২/০৫/২০২৪ইং বৈশাখ মাসের শুক্লপক্ষের চতুর্দশী তিথিতে পরমেশ্বর ভগবান শ্রীকৃষ্ণের অবতার শ্রীনৃসিংহ দেবের পবিত্র আবির্ভাব তিথি। তাই সবাইকে শ্রী নৃসিংহদেবের ব্রত সন্ধ্যা পর্যন্ত উপবাস পালনের জন্য অনুরোধ করছি।
কেউ এই পবিত্র ব্রতদিন সম্পর্কে জেনেও যদি তা পালন না করেন, তবে চন্দ্রসূর্য যতদিন থাকবে, ততদিন তাকে নরক বাস করতে হবে, একথা স্বয়ং নৃসিংহদেব তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদকে বলেছেন। তিনি ভক্ত প্রহ্লাদককে বলেছেন-"-বর্ষে বর্ষে তু কর্তব্যং মমসন্তুষ্টি কারণম।
মহাগুহ্যম ইদম্ শ্রেষ্ঠং মানবৈর্ভবভীরুভিঃ।। অর্থাৎ আমার সন্তুষ্টির লক্ষ্যে চতুর্দশী ব্রত কর্তব্য।জন্ম-মৃত্যুময় সংসার ভয়-ভীত মানুষ এই পরম গোপনীয় ও শ্রেষ্ঠ ব্রত পালন করবে।।
গোধূলি পর্যন্ত নির্জলা উপবাস থাকতে হবে। নির্জলা থাকতে না পারলে ফল প্রসাদ পেতে পারেন। গোধূলি লগ্নে নৃসিংহদেবকে দুধ, দই, ঘি, মধু, মিছরির জল এবং ফলের রস দিয়ে অভিষেক করাতে পারেন (নৃসিংহদেবের চিত্রপটে অভিষেক করা যাবে)। অভিষেকের পরে নৃসিংহদেবকে ফলমূল, সবজি রান্না করে ভোগ দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন। একাদশীর দিন যে অনুকল্প গ্রহণ করা হয় সেটাই ব্রতের দিন গ্রহণ করা যাবে। কিন্তু ব্রতের দিন অন্ন, রুটি, লুচি, পরোটা গ্রহণ করা যাবে না। তবে অবশ্যই নৃসিংহদেবকে "পনকম্ " নিবেদন করতে পারেন। "পনকম্" হলো শীতল জল, তাল-মিছরি, লেবুর রস এবং আদা দিয়ে তৈরি একরকম পানীয় যা নৃসিংহদেবের অত্যন্ত প্রিয়। ব্রতের দিন সম্ভব হলে নৃসিংহদেবের ১০৮টি নাম পড়ে নৃসিংহদেবের চরণে ১০৮টি তুলসীপাতা চন্দনে মাখিয়ে অর্পণ করতে পারেন। নৃসিংহদেবের ব্রতকথা শ্রবণ করুন।
শ্রীমদ্ভাগবতের ৭ (সপ্তম) স্কন্ধের ৮ম অধ্যায় শ্রীনৃসিংহদেবের আবির্ভাব লীলা পাঠ করুন। অথবা শুদ্ধভক্তের নিকট থেকে শ্রবণ করুন। ব্রতের দিন নৃসিংহদেবের প্রণাম মন্ত্র এবং স্তব পাঠ করুন। মনে রাখবেন নৃসিংহদেব অত্যন্ত কৃপালু।তিনি ভক্তের মনোবাসনা অবশ্যই পূরণ করবেন। তিনি অত্যন্ত করুণাময়। তিনি তাঁর ভক্তকে সর্ববিপদ থেকে রক্ষা করেন, যেমন----তাঁর ভক্ত প্রহ্লাদকে রক্ষা করেছিলেন। ব্রতের পর দিন সকালে ভগবানকে অন্ন, বিভিন্ন দ্রব্যাদি রান্না করে ভোগ দিয়ে প্রসাদ গ্রহণ করতে পারেন।
জয় নৃসিংহদেব। জয় শুদ্ধভক্ত প্রহ্লাদ মহারাজ।
🌺🌿"আগুনের কাছে লোহা রাখলে যেমন ধীরে ধীরে সেটা গরম হয়, তেমনি বৈষ্ণব সঙ্গ করলে বৈষ্ণবদের মধ্যে যে চিন্ময় গুণাবলী আছে সেগুলি আমাদের হৃদয়ে প্রকাশিত হয়।"🌺🌿
-❤️🌿 শ্রী শ্রীমৎ ভক্তিপ্রেম স্বামী মহারাজ
ভক্তিরসামৃতসিন্ধু
বছর ঘুরে আবার এলো পহেলা বৈশাখ। নতুন শান্তি, নতুন সুখ, নতুন আশা নিয়ে কৃষ্ণভাবমনাময় হয়ে ভরে উঠুক সবার জীবন। সেই শুভকামনায় সবাইকে জানাই নববর্ষের শুভেচ্ছা। শুভ নববর্ষ১৪৩১।।
🔴কেন বৈশাখ মাসে তুলসী বৃক্ষে জলধারা দান কর্তব্য? এক্ষেত্রে বৈশাখ মাসের বিশেষ কোন মাহাত্ম্য আছে কি? বৈশাখ মাসে তুলসীতে জল দান আর অন্যান্য মাসে তুলসীতে জল দানের মধ্যে পার্থক্য কি?
👉উত্তর : প্রত্যেক মাসে প্রতিদিনই ভক্তগণ সকালে শ্রীকৃষ্ণপ্রিয়া তুলসীরে স্নান করিয়ে এই মন্ত্র বলে থাকেন –
ওঁ গোবিন্দবল্লভাং দেবীং ভক্তচৈতন্যকারিণীং ।
স্নাপয়ামি জগদ্ধাত্রীং কৃষ্ণভক্তিপ্রদায়িনীম্ ॥
সাধারণত গৃহ বা মন্দির মধ্যে জলটি তুলসী বৃক্ষের মূলে দেওয়া হলেও তুলসীর সর্বাঙ্গে সামান্য ছিটিয়ে দেওয়া হয়। বাগানমধ্যে তুলসীমূলে তো দিতেই হয়, এমনকি রোজ শাখা প্রশাখা পাতায়ও জল সেচন করে ধুয়ে দেওয়া কর্তব্য যাতে বৃক্ষের ক্ষতি না হয়। বৈশাখ মাসটি আমাদের দেশে নিদাঘ কাল। এ সময়ে প্রচণ্ড গরম ও সূর্যের তেজে গাছপালার কোমল পাতা পর্যন্ত ঝলসে যায়। গাছ শুকিয়ে যায়। শ্রীহরির প্রিয় তুলসীতে জলধারা দিয়ে বৃক্ষকে সুস্থ স্নিগ্ধ রাখার প্রথাও পুরাকাল থেকেই চলে আসছে। পদ্মপুরাণে বৈশাখ মাহাত্ম্যে যমরাজের উক্তি-সকল জাতীয় পত্র অপেক্ষা তুলসী হচ্ছে কেশবের প্রিয়। আরও বলা হয়েছে, বৈশাখ মাসের পুণ্যবাসরে অর্থাৎ অক্ষয়তৃতীয়া বা একাদশী প্রভৃতি তিথিতে যারা শ্রীহরিপূজার জন্য তুলসীপত্র সংগ্রহ না করে, তাদের জীবনে, যৌবনে ও অর্থ সঞ্চয়ে ধিক্। কি ইহকাল, কি পরকাল, কোনকালেই তারা সুখ লাভ করতে পারে না। বৈশাখে উত্তপ্ত দিনগুলিতে ভগবানের স্নিগ্ধ চন্দন যাত্রা, সলিলবিহার, নৌকাবিলাস, শালগ্রামের স্নানরত থাকা ইত্যাদি অনুষ্ঠান সম্পাদন করে ভক্তরা ভগবদ কৃপাদৃষ্টি ও পরমানন্দ লাভ করে থাকেন। তুলসীপত্র বিনা ভগবানের পূজা, স্নান, ভোজন, পান হয় না। (তুলসীপাতা দিয়ে অন্য কোনও ব্যক্তির পূজা হয় না, কোন দেবদেবীর পূজা হয় না, একমাত্র শ্রীহরি বা বিষ্ণুতত্ত্বের পূজা করা হয়।) তাই ভক্তরা প্রখর বৈশাখে তুলসীবৃক্ষ যাতে নষ্ট না হয়ে যায় সেজন্য সূক্ষ্ম জলধারা দিয়ে ভক্তিদাত্রী তুলসীর যত্ন করে থাকেন। তুলসী ও শালগ্রামকে জলধারা দিলে হৃদয়ও ভক্তিপ্লুত স্নিগ্ধ সুন্দর হয়। 🙏
-----------------------------------------------
🔴 বৈশাখ মাসে অনেকে অশ্বত্থ, তুলসী বৃক্ষে জল দেন। কেন? ঐ মাসে কৃষ্ণভক্তদের কি নিয়ম পালন করা উচিত?
👉উত্তর : পদ্মপুরাণে বলা হয়েছে, মাসো মাধবো মাধবপ্রিয়ঃ। মাধব (বৈশাখ) মাস হচ্ছে মাধবের (শ্রীকৃষ্ণের) বিশেষ প্রিয় মাস। এই মাসে অশ্বত্থ তুলসী প্রভৃতি পবিত্র বৃক্ষে জল দিলে পবিত্রতা ও ভক্তি লাভ হয়। সংসারে লোক টাকাপয়সা চায়, আধিব্যাধি থেকে মুক্ত হতে চায়, দরিদ্রতা ঘুচাতে চায়, পরিবারের সবার মঙ্গল চায়, সুন্দরভাবে কৃষ্ণসেবা করতে চায়, পূর্বপুরুষের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে চায়, নানাবিধ উৎকণ্ঠা থেকে মুক্ত হতে চায়। আর পদ্মপুরাণে বৈশাখ-মাহাত্ম্য বর্ণিত হয়েছে—
যশ্চাপি নিঃস্বঃ পুরুষো মাধবে মাসি মাধবম্ ।
পুষ্পাচনবিধানেন পূজয়েন্মধুসূদনম্ ॥
সর্বপাপবিনির্মুক্তঃ পিতৃণাং তারয়েচ্ছতম্।
স জন্মশতসহস্ৰং ন শোকফলভাগ্ ভবেৎ ॥
ন চ ব্যাধিভয়ং তস্য ন দারিদ্র্যং ন বন্ধনম্ ।
স বিষ্ণুভক্তো জায়েত ধন্যো জন্মনি জন্মনি ৷৷
“দরিদ্র লোক যদি বৈশাখমাসে কেবল ফুল দিয়েও শ্রীকৃষ্ণের অর্চনা করেন, তা হলে অখিল পাতক থেকে মুক্ত হয়ে শত পিতৃকুল পরিত্রাণে সমর্থ হবেন। শত সহস্ৰ জন্ম ব্যাপী শোক দুঃখ তাঁর ঘুচে যাবে। আধিব্যাধি, দরিদ্রতা ও বন্ধন ভয় থেকে মুক্ত হবেন। জন্মে জন্মে কৃষ্ণভক্ত ও ধন্যবাদার্হ হয়ে থাকবেন।”
বৈশাখমাসে নিত্য প্রাতে পবিত্র জলে স্নান, বেশি করে হরেকৃষ্ণ মহামন্ত্র জপ ও কীর্তন, ব্রত-উপবাস, নিরলসভাবে ভক্ত সেবা, ব্রহ্মচর্য ব্রত পালন, জলদান, আহার্য দান প্রভৃতি মাঙ্গলিক কর্ম সম্পাদনে শ্রীমাধবের বিশেষ কৃপাশীৰ্বাদ লাভ হয়।
হোলি উৎসবে ভক্তদের আনন্দ 🙏
বিজয়া একাদশী মাহাত্ম্য
বিজয়া একাদশীর মাহাত্ম্য✅
স্কন্দপুরাণো এই একাদশী মাহাত্ম্য এইভাবে বর্নিত রয়েছে। যুধিষ্ঠির শ্রীকৃষ্ণকে বললেন — হে বাসুদেব! ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের একাদশীর মাহাত্ম্য অনুগ্রহ করে আমাকে বলুন। শ্রীকৃষ্ণ বললেন হে যুধিষ্ঠির! এই একাদশী, বিজয়া, নামে পরিচিত। এই একাদশী সম্পর্কে একসময় দেবর্ষি নারদ স্বয়ম্ভূ ব্রক্ষাকে জিজ্ঞাসা করেছিলেন। তিনি এই প্রসঙ্গে যা বলেছিলেন, তা আমি এখন তোমাকে বলছি। এই প্রবিএ পাপবিনাশকারী ব্রত মানুষকে জয় দান করে বলে, বিজয়া,নামে প্রসিদ্ধ। পুরাকালে শ্রীরামচন্দ্র চৌদ্দ বছরের জন্য বনে গিয়েছিলেন। সীতা ও লক্ষণের সঙ্গে তিনি পঞ্চবটী বনে বাস করতেন।সেই সময় লঙ্কাপতি রাবন সীতাকে হরণ করে। সীতার অনুসন্ধানে রাম চন্দ্র চতুর্দিক ভ্রমন করতে থাকেন। তখন মৃতপ্রায় জটায়ুর সাথে তাঁর সাক্ষাৎ হয়। জটায়ু রাবণের সীতাহরণের সমস্ত বৃওান্ত রামচন্দ্রকে জানিয়ে মৃত্যুবরন করে। এরপর সীতা উদ্বারের জন্য বানররাজ সুগ্রীবের সাথে বন্ধুত্ব করেন। ভগবান রামচন্দ্রের কৃপায় হনুমান লঙ্কায় গমন করেন।সেখানে আশোক বনে সীতাদেবীকে দর্শন করে শ্রীরাম প্রগত অঙ্গুরীয় (আংটি) তাকে অর্পণ করেন। ফিরে এসে শ্রীরামচন্দ্রের কাছে লঙ্কার সমস্ত ঘটনার কথা ব্যক্ত করেন। হনুমানের কথা শুনে রামচন্দ্র সুগ্রীবের পরামর্শে সমুদ্রতীরে যান।সেই দুস্তর সমুদ্র দেখে তিনি লক্ষ্মণকে বলেলেন —হে লক্ষ্মণ! কিভাবে এই অগাধ সমুদ্র পার হওয়া যায়। তার কোন উপায় খুঁজে পাচ্ছি না। উওরে লক্ষ্মণ বলেলেন —হে পুরুষোওম! সর্বজ্ঞাতা আদিদেব আপনি, আপনাকে আমি কি উপদেশ দেব? তবে বক্দালভ্য নামে এক মুনি এই দ্বীপে বাস করেন। এখান থেকে চার মাইল দূরে তার আশ্রম। হে রঘব, আপনি সেই প্রাচীন ঋষিশ্রেষ্ঠকে এর উপায় জিজ্ঞাসা করুন।,লক্ষ্মণের মনোরম কথা শুনে, তারা সেই মহামুনির আশ্রমে উপনীত হলেন।
ভগবান রামচন্দ্র ভক্তরাজ সেই মুনিকে প্রণাম করলেন। মুনিবর রামচন্দ্রকে পুরাণপুরুষ বলে জানতে পারেলেন। আনন্দভরে জিজ্ঞাসা করলেন —হে রামচন্দ্র! কি কারনে আপনি আমার কাছে এসেছেন, তা কৃপা করে বলুন। শ্রীরামচন্দ্র বলেলেন —হে মুনিবর! আপনার কৃপায় সৈন্যসহ আমি এই সমুদ্র তীরে উপস্থিত হয়েছি। রাক্ষসরাজের লঙ্কা বিজয় করাই আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য। যাতে এই ভয়ঙ্কর সমুদ্র উওীন হতে পারি তার উপায় জানবার জন্য আমরা আপনার কৃপা প্রার্থনা করি।মুনিবর প্রসন্নচিওে পদ্মলোচন ভগবান শ্রীরামচন্দ্রকে বলেলেন —’হে রাম। আপনার অভীষ্ট সিদ্বির জন্য যে শ্রেষ্ঠ ব্রত করণীয় আমি তা বলছি।ফাল্গুন মাসের কৃষ্ণপক্ষের ’ বিজয়া’ নামক একাদশী ব্রতপালনে আপনি নিশ্চয়ই সৈন্যসহ সমুদ্র পার হতে পারবেন। এই ব্রতের বিধি শ্রবন করুন। বিজয় লাভের জন্য দশমীর দিনে সোনা, রুপা,তামা অথবা মাটির কলস সংগ্রহ করে তাতে জল ওআমপাতা দিয়ে সুগন্ধি চন্দনে সাজিয়ে তার উপর সোনার নারায়ণমূর্তি স্থাপন করবেন।একাদশীর দিন যথাবিধি প্রাতঃস্নান করে কলসের গলায় মালা চন্দন পড়িয়ে উপযুক্ত স্থানে নারিকেল ওগুবাক দিয়ে পূজা করবেন। এরপর গন্ধ, পুষ্প, তুলসী, ধুপ-দ্বীপ নৈবিদ্যি ইত্যাদি দিয়ে পরম ভক্তিসহকারে নারায়ণের পূজা করে হরিকথা কীর্তন সমস্ত দিন যাপন করবেন। রাএি জাগরন করে অখন্ড ঘি-প্রদীপ প্রজ্বলিত রাখবেন। দ্বাদশীর দিন সুর্যোদয়ের পর সেই কলস বিসর্জনের জন্য কোন নদী, সরোবর বা জলাশয়ের কাছে গিয়ে বিধি অনুসারে পূজা নিবেদনের পর তা বিসর্জন দেবেন।তার পর ঐ মুর্তি বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণকে দান করবেন। এই ব্রত প্রভাবে নিশ্চয়ই আপনার বিজয় লাভ হবে। ব্রহ্মা বলেলেন —হে নারদ! ঋষির কথামতো ব্রত অনুষ্ঠানের ফলে তিনি বিজয়ী হয়েছিলেন।সীতাপ্রাপ্তি, লঙ্কাজয়,রাবণবধের মাধ্যমে শ্রীরামচন্দ্র অতুল কীর্তি লাভ করেছিলেন। তাই যথাবিধি যে মানুষ এই ব্রত পালন করবেন তাদের এজগতে জয়লাভ এবং পরজগতে অক্ষয় সুখ সুনিশ্চিত জানবে। হে যুধিষ্ঠির! এই কারণে এই বিজয়া একাদশী ব্রত পালন অবশ্য কর্তব্য। এই ব্রতকথায় শ্রবন-কীর্তন মাএেই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
হরে কৃষ্ণ হরে কৃষ্ণ কৃষ্ণ কৃষ্ণ হরে হরে।
হরে রাম হরে রাম রাম রাম হরে হরে।।
জয় শ্রী রাম।❤️❤️🙏🙏
আজ ভগবান শ্রী রামের মন্দিরের শুভ উদ্বোধন।❤️❤🙏🙏
দীর্ঘ ৫০০ বছরের প্রতীক্ষার অবসান ঘটিয়ে, নেপালের কালি গণ্ডক জলপ্রপাত থেকে আনা ৩০ টন ওজনের শালগ্রাম শিলায় তৈরী প্রভু শ্রী রাম প্রতিমা এখন অযোধ্যায় রাম মন্দিরের গর্ভগৃহে।
🛕🏹🚩🔱🕉️জয় শ্রী রাম।❤️❤️🙏🙏🕉️🔱🚩🏹🛕
Hare Krishna পরিবারের পক্ষ থেকে সবাইকে পৌষ সংক্রান্তির কৃষ্ণ প্রীতি এবং শুভেচ্ছা।
বহুল আলোচিত বাংলাদেশের চট্টগ্রামের সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামে এখন ইসকন 🛕
২০২৪ সালের ১ম দিনেই সীতাকুণ্ড চন্দ্রনাথ ধামের সার্বিক পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে সরেজমিনে চন্দ্রনাথ পর্বত দর্শনে গেলেন ইসকন শ্রীশ্রী পুণ্ডরীক ধামের অধ্যক্ষ শ্রীপাদ চিন্ময় কৃষ্ণ দাস ব্রহ্মচারী প্রভু এবং ইসকনের নেতৃস্থানীয় ভক্তবৃন্দ। এবার ইসকনের আন্তরিক ও সকলের সম্মিলিত প্রচেষ্টায় সমগ্র বিশ্ব জানবে চন্দ্রনাথ ধামের পরিস্থিতি। ✅
ইসকনের সাথে সকলে ঐক্যবদ্ধ হলেই সমাধান সহজতর হবে। ✅🔔🙏
জয় শিব শম্ভু 🙏
জয় শ্রীল প্রভুপাদ 🙏
হরে কৃষ্ণ
সবাইকে জানাই হরে কৃষ্ণ পরিবারের পক্ষ থেকে নতুন বছরের কৃষ্ণ প্রীতি এবং শুভেচ্ছা।
Happy New year 2024
🙏🙏 মোক্ষদা একাদশী মাহাত্ম্য 🙏🙏
যুধিষ্ঠির বললেন হে বিষ্ণো! আপনাকে আমি বন্দনা করি। আপনি ত্রিলোকের সুখদায়খ, বিশ্বেশ্বর, বিশ্বপালক ও পুরুষোত্তম। আমার একটি সংশয় আছে। অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের যে একাদশী তার নাম কি , বিধিই বা কি ও কোন দেবতা এই একাদশীতে পূজিত হন, তা আমায় বলুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন হে মহারাজ । আপনি উত্তম প্রশ্ন জিজ্ঞাসা করেছেন, যার মাধ্যমে আপনার যশ চতুর্দিকে বিস্তৃত হবে। এখন এই একাদশরি কথা আমি বর্ণনা করছি যা শোনা মাত্রই বাজপেয় যজ্ঞের ফল লাভ হয়।
অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের এই একাদশী ‘মোক্ষদা’ নামে পরিচিত। সর্বপাপনাশিনী ও ব্রত মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ এই একাদশীর দেবতা শ্রীদামোদর। তুলসী, তুলসী মঞ্জুরী, ধূপ, দীপ, ইত্যাদি উপচারে শাস্ত্রবিধি অনুসারে শ্রীদামোদরের পূজা করতে হবে। পূর্ববর্ণিত বিধি অনুসারে দশমী ও একাদশী পালন করতে হবে। এই উপবাস দিনে স্তবস্ততি, নৃত্য-গীত আদি সহ রাত্রজাগরণ করা কর্তব্য।
হে মহারাজ! প্রসঙ্গক্রমে একটি অলৌকিক কাহিনী আমি বলছি। মনোযোগ দিয়ে এই ইতিহাস শ্রবণ মাত্রই সর্বপাপ ক্ষয় হয়। যে পিতৃপুরুষেরা নিজ নিজ পাপে অধঃযোনি প্রাপ্ত হয়েছে, এই ব্রত পালনের পুন্যফল বিন্দু মাত্র তাদেরকে দান করলে তারাও মুক্তিলাভের যোগ্য হন।
কোন এক সময় মনোরম চম্পক নগরে বৈখানস নামে এক রাজা ছিলেন। তিনি ছিলেন সমস্ত বৈষ্ণব সদগুণে বিভূষিত। প্রজাদের তিনি পুত্রের মতো পালন করতেন । তার রাজ্যে বহু বেদজ্ঞ ব্রাহ্মণ বাস করতেন। রাজ্যের সকলেই ছিল বেশ সমৃদ্ধশালী। একবার রাজা স্বপ্নে দেখলেন যে তার পিতা নরকে পতিতি হয়েছেন। তা দেখে তিনি অত্যন্ত বিস্মিত হলেন।
পরদিন ব্রাহ্মণদের ডেকে বলতে লাগলেন হে ব্রাহ্মণগণ ! গতরাত্রিতে স্বপ্নে নরকযাতনায় পিতাকে কষ্ট পেতে দেখে আমার হৃদয় বিতীর্ণ হচ্ছে। তিনি আমাকে লক্ষ্য করে বলতে লাগলেন হে পুত্র, তুমি আমাকে নরকসমুদ্র থেকে উদ্ধার কর। তার সেই অবস্থা দেখে আমার অন্তরে সুখ নেই।আমার এই বিশাল রাজ্য, স্ত্রী-পুত্র কিছুতেই আমি শান্তি পাচ্ছি না। কি করি, কোথায় যাই কিছুই বুঝে উঠতে পারছি না। আমার পূর্বপুরুষেরা মুক্তিলাভ করতে পারেন এমন কোন পুন্যব্রত, তপস্যা ও যোগের কথা আমাকে উপদেশ করুন। আমি তা অনুষ্ঠান করব।আমার মতো পুত্র বর্তমান থাকা সত্ত্বেও যদি পিতামাতা পূর্বপুরুষেরা যদি নরকযন্ত্রনা ভোগ করতে থাকেন, তবে সে পুত্রের কি প্রয়োজন ?
ব্রাহ্মণগণ বললেন হে মহারাজ ! আপনার রাজ্যের কাছেই মহর্ষি পর্বথ মুনির আশ্রম রয়েছে। তিনি ত্রিকালজ্ঞ। তার কাছে আপনার মুক্তির উপায় জানতে পারবেন।
ব্রাহ্মণদের উপদেশ শ্রবণ করে মহাত্মা বৈখানস তাদের সঙ্গে নিয়ে সেই পর্বত মুনির আশ্রমে গমন করলেন। তারা দুর থেকে ঋষিবরকে সষ্টঙ্গ প্রণাম করে তার কাছে গেলেন। মুনিবর রাজার কৃশলবার্তা জিজ্ঞাসা করলেন।
রাজা বললেন হে প্রভু ! আপনার কৃপায় আমার সবই কুশল । তবে আমি একদিন স্বপযোগে পিতার নরকযন্ত্রনা ও কাতর আর্তনাদ্ শুনে অত্যন্ত দুঃখিত ও চিন্তাগ্রস্ত হয়েছি। হে ঋষিবর! কোন পুণ্যের ফলে তিনি সেই দুর্দশা থেকে মুক্তি পাবেন, তার উপায় জানতেই আপনার শরণাগত হয়েছি।
রাজার কথা শুনে পর্বত মুনি কিছুক্ষণ ধ্যানস্থ হয়ে বললেন হে মহারাজ! পূর্বজন্মে তোমার পিতা অত্যন্ত কামাচারী হওয়ায় তার এরকম অধোগতি লাভ হয়েছে। এখন এই পাপ থেকে মুক্তির উপায় বর্ণনা করছি।অগ্রহায়ণ মাসের শুক্লপক্ষের মোক্ষদা একাদশী পালন করে সেই পুণ্যফল পিতাকে প্রদান করে। সেই পুন্য প্রভাবে তোমার পিতার মুক্তি লাভ হবে।
মুনির কথা শোনার পর রাজা নিজগৃহে ফিরে এলেন। সেই পবিত্র তিথির আবির্ভাবে তিনি স্ত্রী-পুত্রাদিসহ যথাবিধি মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করলেন। ব্রতের পুন্যফল পিতার উদ্দেশ্যে প্রদান করলেন। ঐ পুণ্যফল দানের সঙ্গে সঙ্গে আকাশ থেকে পুষ্পবৃষ্টি হতে লাগল। হে পুত্র তোমার মঙ্গল হোক। এই বলতে বলতে বৈশানস রাজার পিতা নরক থেকে মুক্ত হয়ে স্বর্গে গমন করলেন।
হে মহারাজ যধিষ্টির ! যে ব্যক্তি এই মঙ্গলদায়িনী মোক্ষদা একাদশী ব্রত পালন করে তার সমস্ত পাপ বিনষ্ট হয় এবং মৃত্যুর পর মুক্তি লাভ হয়।ট এই ব্রতের পুণ্যসংখ্যা আমিও জানি না। চিন্তামনির মতো এই ব্রতটি আমার অত্যন্ত প্রিয়। এই ব্রত কথা যিনি পাঠ করেন এবং যিনি শ্রবণ করেন, উভয়েই বাজপেয় যজ্ঞের ফল প্রাপ্ত হন।
Hare Krishna 🙏
Srimad Bhagavad Gita verse recitation
Chapter 18 verse no 44
গীতা শ্লোক আবৃত্তি
২/২৩
🍇 উৎপন্না একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য। ❤
অর্জুন বললেন-হে দেব! অগ্রহায়নের পুণ্যকারী কৃষ্ণপক্ষের একাদশীকে কেন 'উৎপন্না' বলা হয় এবং কি জন্যই বা এই একাদশী পরম পবিত্র ও দেবতাদেরও প্রিয়, তা জানতে ইচ্ছা করি। শ্রী ভগবান বললেন হে পৃথাপুত্র! পূর্বে সত্য যুগে 'মুর' নামে এক দানব ছিল। অদ্ভূত আকৃতি বিশিষ্ট সেই দানবের স্বভাব ছিল অত্যন্ত কোপন। সে দেবতাদেরও ভীতিপ্রদ ছিল। যুদ্ধে দেবতাদের এমনকি স্বর্গরাজ ইন্দ্রকে পর্যন্ত পরাজিত করে স্বর্গ থেকে বিতাড়িত করেছিল। এই ভাবে দেবতারা পৃথিবীতে বিচরণ করতে বাধ্য হয়েছিল।
তখন দেবতাগণ মহাদেবের কাছে গিয়ে নিজেদের সমস্ত দুঃখ সবিস্তারে বর্ণনা করলেন। শুনে মহাদেব বললেন- হে দেবরাজ! যেখানে শরণাগতবৎসল জগন্নাথ, গরুধ্বজ বিরাজ করছেন, তোমরা সেখানে যাও। তিনি আশ্রিতদের পরিত্রাণকারী। তিনি নিশ্চয়ই তোমাদের মঙ্গল বিধান করবেন।দেবাদিদেবের কথা মতো দেবরাজ ইন্দ্র দেবতাদের নিয়ে ক্ষীর সাগরের তীরে গমন করলেন। জলে শায়িত শ্রী বিষ্ণুকে দর্শন করে দেবতারা হাত জোড় করে তাঁর স্তব করতে লাগলেন। স্তুতির মাধ্যমে নিজ নিজ দৈন ও দুঃখের কথা তারা ভগবানকে জানালেন।
ভগবান নারায়ণ বললেন-হে ইন্দ্র!সেই মুর দানব কিরকম, সে কেমন শক্তিশালী, তা আমাকে বলো। ইন্দ্র বললেন-হে ভগবান! প্রাচীনকালে ব্রহ্ম বংশে তালজঙঘা নামে এক অতি পরাক্রমী অসুর ছিল। তারই পুত্র সেই মুর অত্যন্ত বলশালী, ভীষন উৎকট ও দেবতাদেরও ভয়উৎপাদনকারী।
সে চন্দ্রাবতী নামে এক পুরীতে বাস করে। স্বর্গ থেকে আমাদের বিতাড়িত করে তার স্বজাতি কাউকে রাজা, কাউকে অন্যান্য দিকপালরূপে প্রতিষ্ঠিত করে এখন সে দেবলোক সম্পূর্ণ অধিকার করেছে। তার প্রবল প্রতাপে আজ আমরা পৃথিবীতে বিচরণ করছি।
ইন্দ্রের কথা শুনে ভগবান দেবদ্রোহীদের প্রতি অত্যন্ত ক্রোধান্বিত হলেন। তিনি দেবতাদের সঙ্গে চন্দ্রাবতী পুরীতে গেলেন। সেই দৈত্যরাজ শ্রী নারায়ণকে দর্শন করে পুনঃ পুনঃ গর্জন করতে লাগল।দেবতা ও অসুরের মধ্যে তুমুল যুদ্ধ হয়ে গেল। যুদ্ধে দেবতারা পরাজিত হয়ে এদিক ওদিক পালিয়ে গেল। তখন যুদ্ধক্ষেত্রে শ্রী নারায়ণকে একা দেখে সেই দানব তাঁকে 'দাঁড়াও দাঁড়াও' বলতে লাগল। শ্রী ভগবানও ক্রোধে গর্জন করতে করতে বললেন-রে দুরাচার দানব! আমার বাহুবল দেখ। এই বলে অসুরপক্ষীয় সমস্ত যোদ্ধাদের দিব্য বাণের আঘাতে নিহত করতে লাগলেন। তখন তারা প্রানভয়ে নানা দিকে পালাতে লাগল।সেই সময় নারায়ণ দৈত্য সেনাদের মধ্যে সুদর্শন চক্র নিক্ষেপ করলেন। ফলে সমস্ত সেনা ধ্বংসপ্রাপ্ত হল। একমাত্র মুর দানবই জীবিত ছিল। সে অস্ত্র যুদ্ধে নারায়ণকেও পরাজিত করল।
তখন নারায়ণ,- দৈত্যের সাথে বাহু যুদ্ধে লিপ্ত হলেন। এই ভাবে দেবতাদের হিসাবে এক হাজার বছর যুদ্ধ করেও ভগবান তাকে পরাজিত করতে পারলেন না। তখন শ্রী হরি বিশেষ চিন্তান্বিত হয়ে বদরিকা আশ্রমে গমন করলেন।সেখানে সিংহাবতী নামে এক গুহা আছে। এই গুহাটি এক-দ্বার বিশিষ্ট এবং বারোযোজন অর্থাৎ ছিয়াশি মাইল বিস্তৃত। ভগবান বিষ্ণু সেই গুহার মধ্যে শয়ন করলেন। সেই দৈত্যও তার পিছন পিছন ধাবিত হয়ে গুহার মধ্যে প্রবেশ করল। সে বিষ্ণুকে নিদ্রিত বুঝতে পারল। অত্যন্ত আনন্দিত হয়ে ভাবতে লাগল-আমার সাথে যুদ্ধে পরাজিত হয়ে বিষ্ণু এখানে গোপনে শুয়ে আছে। আমি তাকে অবশ্যই বধ করব। দানবের এই রকম চিন্তার সঙ্গে সঙ্গে শ্রী বিষ্ণুর শরীর থেকে একটি কন্যা উৎপন্ন হল।
এই কন্যাই 'উৎপন্না' একাদশী। তিনি রূপবতী, সৌভাগ্যশালিনী, দিব্য অস্ত্র-শস্ত্র ধারিনী ও বিষ্ণু তেজসম্ভূতা বলে মহাপরাক্রমশালী ছিলেন। দৈত্যরাজ সেই স্ত্রীরূপিনী দেবীর সঙ্গে তুমুল যুদ্ধ শুরু করল। কিছুকাল যুদ্ধের পর দেবীর দিব্য তেজে অসুর ভস্মীভূত হয়ে গেল।তারপর বিষ্ণু জেগে উঠে সেই ভস্মীভূত দানবকে দেখে বিস্মিত হলেন। এক দিব্য কন্যাকে তার পাশে হাত জোড় করে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখলেন।
বিষ্ণু বললেন-হে পরাক্রান্ত উগ্র মূর্তি! এই মুর দানবকে কে বধ করল়? যিনি একে হত্যা করেছেন তিনি নিশ্চয়ই প্রশংসনীয় কর্ম করেছেন। সেই কন্যা বললেন-হে প্রভু! আমি আপনার শরীর থেকে উৎপন্ন হয়েছি। আপনি যখন ঘুমিয়েছিলেন, তখন এই দানব আপনাকে বধ করতে চেয়েছিল। তা দেখে আমি তাকে বধ করেছি। আপনার কৃপাতেই আমি তাকে বধ করেছি। একথা শুনে ভগবান বললেন -আমার পরাশক্তি তুমি একাদশীতে উৎপন্ন হয়েছ। তাই তোমার নাম হবে একাদশী। আমি এই ত্রিলোকে দেবতা ও ঋষিদের অনেক বর প্রদান করেছি। হে ভদ্রে! তুমিও তোমার মনমতো বর প্রার্থনা কর। আমি তোমাকে তা প্রদান করব।
একাদশী বললেন-হে দেবেশ! ত্রিভুবনের সর্বত্র আপনার কৃপায় সর্ববিঘ্ননাশিনী ও সর্বদায়িনী রূপে যেন পরম পূজ্য হতে পারি, এ বিধান করুন। আপনার প্রতি ভক্তি বশতঃ যারা শ্রদ্ধা সহকারে আমার ব্রত উপবাস করবে, তাদের সর্ব সিদ্ধিলাভ হবে-এই বর প্রদান করুন।বিষ্ণু বললেন-হে কল্যাণী! তাই হোক! 'উৎপন্না' নামে পরিচিত তোমার ব্রত পালনকারীর সমস্ত ইচ্ছা পূর্ণ হবে। তুমি তাদের সকল মনোবাসনা পূর্ণ করবে, এতে কোন সন্দেহ নেই।
তোমাকে আমার শক্তি বলে মনে করি। তাই তোমার ব্রত পালনকারী সকলে আমারই পূজা করবে। এর ফলে তারা মুক্তি লাভ করবে।তুমি হরিপ্রিয়া নামে জগতে প্রসিদ্ধ হবে। তুমি ব্রত পালনকারীর শত্রু বিনাশ, পরমগতি দান এবং সর্বসিদ্ধি প্রদান করতে সমর্থ হবে।ভগবান বিষ্ণু এই ভাবে উৎপন্না একাদশীকে বরদান করে অন্তর্হিত হলেন। সমস্ত ব্রতকারী ভক্তি পরায়ন হয়ে এই উৎপন্না একাদশীর উৎপত্তির কথা শ্রবণ-কীর্তন করলে শ্রী হরির আশীর্বাদ লাভে ধন্য হবেন।
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏🙏🙏
শ্রী শ্রী রাধামাধব জিউ মন্দির, ইসকন, কৃষণপুরে অন্নকূট মহোৎসবে আপনারা সবাই সাদরে আমন্ত্রিত 🙏🙏
☘️উত্থান (প্রবোধিনী) একাদশী মাহাত্ম্য🌻
কার্তিক সাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর মাহাত্ম্য স্কন্দপুরাণে ব্রহ্মা-নারদ সংবাদে বর্ণিত আছে।
মহারাজ যুধিষ্ঠির বললেন- হে পুরুষোত্তম! কার্তি মাসের শুক্লপক্ষের একাদশীর নাম আমার কাছে কৃপা করে বর্ণনা করুন।
শ্রীকৃষ্ণ বললেন- হে রাজন! কার্তিক মাসের শুক্লপক্ষের একাদশী ‘উত্থান’ বা ‘প্রবোধিনী’ নামে খ্যাত। প্রজাপতি ব্রহ্মা পূর্বে নারদের কাছে এই একাদশীর মহিমা কীর্তন করেছিলেন। এখন তুমি আমার কাছে সেকথা শ্রবণ কর।
দেবর্ষি নারদ প্রজাপতি ব্রহ্মাকে বললেন- হে মহাত্মা! যে একাদশীতে ভগবান শ্রীগোবিন্দ শয়ন থেকে জেগে ওঠেন, সেই প্রবোধিনী বা উত্থান একাদশীর মহিমা আমার কাছে সবিস্তারে কীর্ত্তন করুন। ব্রহ্মা বললেন- হে নারদ! উত্থান একাদশী যথার্থই পাপনাশিনী, পূণ্যবর্ধিনী ও মুক্তিপ্রদায়ী। এই একাদশী ব্রত নিষ্ঠার সাথে পালন করলে এক হাজার অশ্বমেধ যজ্ঞ ও শত শত রাজসূয় যজ্ঞের ফল অনায়াসে লাভ হয়। জগতের দুর্লভ বস্তুর প্রাপ্তির কথা আর কি বলব! এই একাদশী ভক্তিপরায়ণ ব্যক্তিকে ঐশ্বর্য্য, প্রজ্ঞা, রাজ্য ও সুখ প্রদান করে। এই ব্রতের প্রভাবে পর্বত প্রমাণ পাপরাশি বিনষ্ট হয়ে যায়। যারা একাদশীতে রাত্রি জাগরণ করেন, তাদের সমস্ত পাপ ভস্মীভূত হয়। শ্রেষ্ঠ মুনিগণ তপস্যার দ্বারা যে ফল করেন, এই ব্রতের উপবাসে তা পাওয়া যায়। যথাযথভাবে এই ব্রত পালন করলে আশাতীত ফল লাভ হয়। কিন্তু অবিধিতে উপবাস করলে স্বল্পমাত্র ফল প্রাপ্তি হয়। যারা এই একাদশীর ধ্যান করেন, তাদের পূর্বপুরুষেরা স্বর্গে আনন্দে বাস করেন। এই একাদশী উপবাস ফলে ব্রহ্মহত্যা জনিত ভয়ঙ্কর নরকযন্ত্রণা থেকে নিস্তার পেয়ে বৈকুন্ঠগতি লাভ হয়। অশ্বমেধ যজ্ঞ দ্বারাও যা সহজে লাভ হয় না, তীর্থে স্বর্ণ প্রবৃতি দান করলে যে পুণ্য অর্জিত হয়, এই উপবাসের রাত্রি জাগরণে সেই সকল অনায়াসে লাভ হয়ে যায়।
যিনি সঠিকভাবে উত্থান একাদশীর ব্রত অনুষ্ঠান করেন, তার গৃহে ত্রিভুবনে সমস্ত তীর্থ এসে উপস্থিত হয়। হে নারদ! বিষ্ণুর প্রিয়তমা এই প্রবোধিনী একাদশীর উপবাস করলে সর্বশাস্ত্রে জ্ঞান ও তপস্যায় সিদ্ধিলাভ করে চরমে মুক্তি লাভ হয়। যিনি সমস্ত লৌকিক ধর্ম
পরিত্যাগ করে ভক্তিভরে এই ব্রত উপবাস করেন, তকে আর পুনর্জন্ম গ্রহণ করতে হয় না। এমনকি মন ও বাক্য দ্বারা অর্জিত পাপরাশিও শ্রীগোবিন্দের অর্চনে বিনষ্ট হয়ে যায়।
হে বৎস! এই ব্রতে শ্রদ্ধা সহকারে শ্রীজনার্দনের উদ্দেশ্যে স্নান, দান, জপ, কীর্তন ও হোমাদি করলে অক্ষয় লাভ হয়। যারা উপবাস দিনে শ্রীহরির প্রতি ভক্তিভাবে দিনযাপন
করেন, তাদের পক্ষে জগতে দুর্লভ বলে আর কিছু নেই। চন্দ্র ও সূযগ্রহণে স্নান করলে যে পুণ্য হয় এই উপবাসে রাত্রি জাগরণে তার সহস্রগুণ সুকৃতি লাভ হয়। তীর্থে স্নান, দান, জপ, হোম ধ্যান আদির ফলে যে পুণ্য সঞ্চিত হয়, উত্থান একাদশী না করলে সে সমস্ত
নিষ্ফল হয়ে যায়। হে নারদ! শ্রীহরিবাসরে শ্রীজনার্দনের পূজা বিশেষ ভক্তিসহকারে করবে। তা না হলে শতজন্মার্জিত পুণ্যও বিফল হয়।
হে বৎস! যিনি কার্তিক মাসে সর্বদা ভাগবত শাস্ত্রাদি অধ্যয়ন করেন, তিনি সর্বপাপ মুক্ত হয়ে সমস্ত যজ্ঞের ফল লাভ করেন। ভগবান হরিভক্তিমূলক শাস্ত্রপাঠে অত্যন্ত সন্তুষ্ট হন। কিন্তু দান, জপ, যজ্ঞাদি দ্বারা তেমন প্রীত হন না। এই মাসে শ্রীবিষ্ণুর নাম, গুণ, রূপ, লীলাদি শ্রবণ-কীর্তন অথবা শ্রীমদ্ভাগবত আদি শাস্ত্রগ্রন্থ পাঠের ফলে শত শত গোদানের ফল অচিরেই পাওয়া যায়। অতএব হে মুনিবর! কার্তিক মাসে সমস্ত গৌণধর্ম বর্জন করে শ্রীকেশবের সামনে হরিকথা শ্রবণ কীর্তন করা কর্তব্য। কোন ব্যক্তি যদি ভক্তিসহকারে এই
মাসে ভক্তসঙ্গে হরিকথা শ্রবণ ও কীর্তন করেন, তবে তাঁর শতকুল উদ্বার প্রাপ্ত হন এবং হাজার হাজার দুগ্ধবতী গাভী দানের ফল অনায়াসে লাভ করেন। এই মাসে পবিত্রভাবে শ্রীকৃষ্ণের রূপ, গুণাদির শ্রবণ- কীর্তনে দিনযাপন করলে তার আর পুণর্জন্ম হবে না। এই মাসে বহু ফলমূল, ফুল, অগুরু, কর্পূর, ও চন্দন দিয়ে শ্রীহরির পুজা করা কর্তব্য। সমস্ত তীর্থ ভ্রমণ করলে যে পুণ্য সঞ্চয় হয়, উত্থান একাদশীতে শ্রীকৃষ্ণ পাদপদ্মে অর্ঘ্য প্রদানে তার কোটিগুণ সুকৃতি অর্জিত হয়। শ্রবণ- কীর্তন, স্মরণ, বন্দনাদি নববিধা ভক্তির সাথে তুলসীর সেবার জন্য যারা বীজ রোপন, জলসেচন ইত্যাদি করেন, তারা মুক্তিলাভ করে বৈকুন্ঠবাসী হন। হে নারদ! সহস্র সুগন্ধী পুষ্পে দেবতার অর্চনে বা সহস্র সহস্র যজ্ঞ ও দানে যে ফল লাভ হয়, এই মাসে শ্রীহরিবাসরে একটি মাত্র তুলসী পাতা শ্রীভগবানের চরণকমলে অর্পণ করলে তার অনন্তকোটিগুণ ফল লাভ হয়।
শ্রীশ্রী উত্থান ব্রত মাহাত্ম্য সমাপ্ত।
জয় রাধামাধব! জয় শ্রীহরি! জয় জনার্দন!
রমা একাদশী ব্রত মাহাত্ম্য।
ভাগ্য মানুষের কর্ম
বদলাতে পারে না,
কিন্তু মানুষের কর্ম অবশ্যই
ভাগ্য বদলাতে পারে।।
গোপনে করো
গোপী সাধনা !
হরে কৃষ্ণ 🙏🙏
*★☞প্রশ্নঃ দামোদর কথার অর্থ কি?*
★☞উত্তরঃ 'দাম' মানে রজ্জু বা দড়ি, এবং 'উদর' মানে পেট। কোনও দড়ি দিয়ে শ্রীকৃষ্ণকে বাঁধবার ক্ষমতা কারও নেই। মা যশোদা ঘরের সমস্ত দড়ি জড়ো করে শিশুপুত্র কৃষ্ণকে তাঁর দুষ্টুমির জন্য বাঁধতে গিয়েছিলেন। কিন্তু দড়ি বারে বারেই ছোট হয়ে যাচ্ছিল। অদ্ভুত পুত্রের উদরের সীমা-পরিসীমা বুঝি মায়ের বুদ্ধিতে আসে না। বহু দড়ি গাঁট দিয়ে বেঁধেও শিশুপুত্রের উদর বেষ্টন করা গেল না। যেরকম দড়ি, সেই রকম উদর। দুটোই মায়ের কাছে বেকায়দা বলে বোধ হচ্ছিল। অবশেষে মায়ের কষ্ট লাঘব করতে কৃষ্ণ নিজেই বাঁধা পড়লেন। দাম বেষ্টিত উদর বলে শ্রীকৃষ্ণের একটি নাম দামোদর।
*★☞প্রশ্নঃ দামোদর ব্রততে প্রদীপ দান করা হয় কেন?*
★☞উত্তরঃ প্রদীপদান মাহাত্ম্য প্রসঙ্গে প্রজাপতি ব্রহ্মা দেবর্ষি নারদকে বলেছিলেন---"হে নারদ, সমস্ত পাপে পাপী হয়েও মানুষ পবিত্র হতে পারে, যদি সে ভক্তিভরে কার্তিক মাসে ভগবান শ্রীহরির সম্মুখে প্রদীপ দান করে। দীপের আলোকে তার সমস্ত পাপ ধ্বংস হয়ে যায়। সে শুদ্ধ হয়ে ভগবানের নিত্য সেবায় উন্নীত হয়।"
(শ্রীহরিভক্তি বিলাস ১৬/৪৭)🙏🙏
যতই আমরা কৃষ্ণ এবং তাঁর ভক্তদের খুশি করতে পারব, ততই আমরা সফল হব।ভগবানের চরণযুগলের অঙ্গুলীগুলোর সেবা করার মাধ্যমে ভক্তরা সহজেই জাগতিক কামনা -বাসনার বন্ধন থেকে মুক্তি পান।
-শ্রীল জয়পতাকা স্বামী গুরুমহারাজ🙏❤️
২৬ জুলাই ১৯৯৪, বেঙ্গালুর, ভারত
সবাইকে শুভ কোজাগরী লক্ষ্মীপূজার কৃষ্ণ প্রীতি এবং শুভেচ্ছা...🌸❤️
মা লক্ষ্মীর আশীর্বাদে জীবনে সুখ, সমৃদ্ধি এবং সৌভাগ্য বয়ে আনুক।
ভারতের জনপ্রিয় নাইকা শ্রদ্ধা কাপুর জহু মন্দিরে ( ইসকন ) আসেন এবং তার নতুন lamborghini গাড়িটিকে পূজা দেন
আজ মহা বিজয়া দশমীর মাধ্যমে দূর্গতিনাশিনী মা দূর্গাকে বিদায় জানানো হলো।মা প্রতি বছর আমাদের দূর্গতি নাশ করার জন্য এই ধরাধামে আসেন।কিন্তু আদৌ কি আমাদের দূর্গতি নাশ হয়।আর হবেই বা কী করে আমরা কি মাকে সন্তুষ্ট করতে পারি।আমরা মায়ের পূজার নামে বিভিন্ন অশ্লীলতা করি।
আমরা লজ্জিত, কারণ আমরা মায়ের পূজোতে মায়ের গুনগান, মায়ের বন্দনার পরিবর্তে আমরা DJ গান বাজাই।তাও যদি শুধু DJ গানের মধ্যে সীমাবদ্ধ থাকত তাও ভালো ছিল।কিন্তু আমরা মায়ের মন্ডপে মদ খেয়ে অশ্লীলতা করি,মাতলামি করি। এজন্য আমি লজ্জিত।আমি কখনও কোনো মসজিদে এসব করতে দেখিনি বা শুনিনি, গীর্জায়ও এসব হতে শুনিনি।এজন্য সত্যিই আমরা লজ্জিত। তাহলে বলুন কীভাবে আমাদের দূর্গতি নাশ করবেন মা।মা আমাদের উপর সন্তুষ্ট না হয়ে বরং রুষ্ট হন।
আসুন আমরা এসব বাদ দিয়ে সাত্ত্বিকভাবে মায়ের পূজা করি তাহলে মা আমাদের সকল দূর্গতি নাশ করে নিয়ে যাবেন।
জয় মা দূর্গতিনাশিনী।
শ্রীগদাধর-প্রণামমন্ত্রঃ
গদাধরমহং বন্দে মাধবাচার্য্য-নন্দনং।
মহাভাব-স্বরূপং শ্রীচৈতন্যাভিন্ন-রূপিণং।।
Click here to claim your Sponsored Listing.
Videos (show all)
Category
Website
Address
Sylhet
Sylhet
Un lugar donde conocer la Misión que la Diócesis de Ibarra-Ecuador lleva a cabo en la Diócesis de Syl
Sylhet, 3171
Welcome To ISLAM, Welcome To Peace! Spreading The Message Of Love & Peace. Subscribe our YouTube channel � Practices Of Islam - Bangla �
Sylhet
এটি একটি ইসলামিক পেজ। আপনারা এই পেজে লাইক এবং আপনাদের ফ্রেন্ডদেরকে ইনবাইট করুন।
আল ইছলাহ আবাসিক এলাকা, ব্লক-সি, বাসা নং-১৬৪/১৮, উত্তর বালুচর
Sylhet
To realize the Holy Quran